ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচন ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার দাবি, আওয়ামী লীগ তো নির্বাচনে বিশ্বাস করে না। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। এ সরকার অত্যন্ত সচেতনভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে। তাদের পুরোনো লক্ষ্য বাকশালের ন্যায় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়।শনিবার (২৯ এপ্রিল) শেরেবাংলা নগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে মাজারে ফুল দেওয়া হয়।বিএনপির মহাসচিব বলেন, সেই লক্ষ্যে তারা ২০১৪ সালের নির্বাচনকে একটা প্রহসনে পরিণত করেছে, যেখানে জনগণ ভোট দিতে যায়নি। একইভাবে ২০১৮ সালেও আগের রাতে ভোট দিয়ে জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। জনগণ সেখানেও অংশ গ্রহণ করেনি। এমনকি আপনারা লক্ষ্য করেছেন- স্থায়ী সরকার নির্বাচনগুলোতে জনগণ অংশ নিচ্ছে না। অতি সম্প্রতি যে ভোট হয়েছে, সেখানে মাত্র ১৪ শতাংশ মানুষ ভোট দিতে গেছে। কাজেই জনগণ, বিশ্ববাসী বোঝে এ সরকার ক্ষমতায় থাকলে কোনোদিনও সুষ্ঠু ভোট হবে না। তাই জনগণ এ নির্বাচনেও অংশ নেবে না।তিনি আরও বলেন, বিদেশে তাদের যে ভাবমূর্তি ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেই ভাবমূর্তি তারা আবার ঠিক করতে চায়। কিন্তু এবার জনগণ জেগে উঠেছে। আমরা বিশ্বাস করি- জনগণ তাদের আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে এদের পরাজিত করবে। সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করবে।বিএনপি কোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বলে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বিশেষ করে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মেয়র এবং কাউন্সিল পদে কোনো প্রার্থী থাকবে না বিএনপির।বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে হরণ করে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, একটা দানবীয় সরকার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়ে জনগণের অধিকারকে হরণ করে নিয়ে জোর করে বেআইনিভাবে অস্ত্রের মুখে ক্ষমতা দখল করে আছে।খালেদা জিয়াকে বেআইনিভাবে কারাদণ্ড দিয়ে গৃহে অন্তরীণ করে রাখা হয়েছে বলেও দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিথ্যা মামলার কারণে নির্বাসিত হয়েছেন। আমাদের প্রায় ৪০ লাখ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা হয়েছে। তাদের প্রায়ই কারাগারে যেতে হচ্ছে ও হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ এপ্রিল ২০২৩
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে ইঙ্গিত করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তারা এখানে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠাতা করতে চায়।মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, গণতন্ত্র এবং সাংবিধানিক কাঠামো’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে বিএনপি। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান। অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নয়, তারা অসংখ্য আইন তৈরি করে সুযোগ নিচ্ছে যাতে নাগরিকরা কথা বলতে ভয় পায়। যেটুকু মনে পড়ে- ১৯৮৪ নামে একটা সিনেমা আছে, সেটি নর্থ কোরিয়ার যেভাবে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়েছিল তার ওপর ভিত্তি করে নির্মিত। কীভাবে নাগরিকদের ভয় দেখিয়ে মস্তিষ্কের দিক দিয়ে কীভাবে দাস করে রাখা যায় বাংলাদেশে তার প্রতিচ্ছবি শুরু হয়েছে।তিনি বলেন, আপনারা দেখবেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অনেককে মামলা দিয়ে জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। অনেক সাংবাদিকের নামে এখনো মামলা আছে। কাজলকে (সাংবাদিক) গুম করে রাখা হলো, কীভাবে তার ওপর অত্যাচার করা হয়েছে তা তিনি নিজেই বর্ণনা করেছেন। তাদের একটাই লক্ষ্য, নাগরিকরা যেন নিজেদের অধিকার প্রয়োগ করতে না পারে ও কথা বলতে না পারে। এর কারণ হলো যাতে তারা তাদের মতো করে এখানে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারে। এখন একটি মাত্র পথ... এদেরকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে। এই সরকারকে অবৈধ দাবি করে তিনি আরও বলেন, এরা একটি দখলদার সরকার হিসেবে পুরোপুরি ভূমিকা রাখছে। আজকে বাংলাদেশকে এরা যে পরিণতির দিকে নিয়ে গেছে, সেটা কিন্তু অত্যন্ত ভয়াবহ। যে জাতি গণতন্ত্রকে ভালোবাসে, তাদেরকে একটা সংঘাতের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। তাদের সম্পূর্ণ ভিন্ন পথে পরিচালিত করা হচ্ছে।সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, দেশের যে গণতান্ত্রিক আত্মা (ব্যবস্থা) সেটাকে তারা ধ্বংস করে ফেলেছে। ইচ্ছাকৃতভাবে শুধু নিজেরা ক্ষমতায় থাকার জন্য একদলীয় শাসন ব্যবস্থা তৈরি করেছে, যেটা তাদের পুরানো চরিত্র। ৭৫ সালে তারা বাকশাল গঠন করেছিল। তারা সেটায় ব্যর্থ হয়ে এখন পুরোনো সেই শাসনকে নতুন বোতলে গণতন্ত্রের পোশাক পরিয়ে একটি ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র কায়েম করেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১১ এপ্রিল ২০২৩
বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসব আমরা এবং সেই দিন আর বেশি দূরে নয়। আর কয়েকটা মাস অপেক্ষা করেন মাত্র। এবারের ভোটে ২৭০টা আসন নিয়ে বিএনপি সংসদে যাবে ইনশাআল্লাহ। বিএনপি সংসদে যদি যায়, সরকার যদি গঠন করে গুম, খুনসহ প্রত্যেকটা বিচারবহির্ভূত হত্যার বিচার করব আমরা। আপনাদের সব অনিয়ম, দুঃশাসন অত্যাচারের জবাব দেশের ১৭ কোটি মানুষ আপনাদের কাছ থেকে বুইঝা নিবে ইনশাআল্লাহ’। শনিবার বিএনপির পূর্বঘোষিত ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে জেলায় জেলায় অবস্থান কর্মসূচির অংশ হিসেবে চান্দিনায় কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, তিন বছরের দুঃশাসনের জন্য যদি ২১ বছর আপনাদের ক্ষমতার বাহিরে থাকতে হয়, তা হলে এই ১৫ বছরের ক্ষমতায় যে অত্যাচার চালাইছেন—আগামী ১০০ বছরেও আর ক্ষমতায় আসতে পারবেন না। রুমিন ফারহানা বলেন, ১৯৭২ থেকে ‘৭৫ আপনাদের অন্যায়, ‘দুঃশাসন, অনিয়ম, দুর্নীতির কারণে ২১ বছর ক্ষমতায় আসতে পারেননি। মানুষের দরজায় ভিক্ষা করছেন, মানুষের কাছে হাত-পা ধইরা মাফ চাইছেন। বলছেন— এবার একটু সুযোগ দেন। ’৯৬ সালে ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছেন। গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা করে ক্ষমতা ধরে রাখছেন। যদি মনে করেন আজীবন ক্ষমতায় থাকবেন, এতবড় চিন্তা কইরা ঘুম নষ্ট কইরেন না। আমরা পরিষ্কার বলে দিতে চাই— বাংলাদেশ যতদিন থাকবে বিএনপির নাম ততদিন থাকবে ইনশাআল্লাহ। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আরেকটা নির্বাচন আসতেছে। ২০১৪ সালে কোনো নির্বাচন হয়নি। ২০১৪ সালে তারা সংসদ বানাইয়া বইসা রইছে একটা ভোটও পড়ে নাই। ২০১৮ সালে সাহস হয় নাই। লুকাইয়া লুকাইয়া রাতের আঁধারে ব্যালট বাক্স ভরছে। ২০২৪ সালে যে নির্বাচন হবে, ওই নির্বাচন দেশের মানুষের নির্বাচন হবে। মানুষ ওই নির্বাচনে ভোট দেবে। আর যদি নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি না হয়, তা হলে আমরা ওই নির্বাচনে জান, প্রাণ ও রক্ত দিয়ে নির্বাচনি পরিবেশ তৈরি করব ইনশাআল্লাহ। একবার যখন ঘর থেকে বের হইছি, একবার যখন মামলা খাইছি, একবার যখন জেল খাটছি, তখন আর পেছনে ফিরে তাকানোর কিছু নাই।’কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপি আহ্বয়ক আক্তারুজ্জামান সরকারের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এএফএম তারেক মুন্সি, চান্দিনা উপজেলা বিএনপি সভাপতি মো. আতিকুল আলম শাওন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৩ এপ্রিল ২০২৩
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গুম, হত্যা, মিথ্যা মামলা, নির্যাতন-নিপীড়নের মধ্য দিয়ে প্রায় ৩৫ লাখ মানুষকে অমানবিক হয়রানি করা হচ্ছে। রাষ্ট্রকে একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে।তার দাবি, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার জন্য আজও দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনকে চিরদিনের জন্য নির্বাসিত করার মাধ্যমে জনগণকে চূড়ান্তভাবে ক্ষমতাহীন করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদের চরম উত্থানে দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে।আগামীকাল মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে শনিবার (২৫ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্রের যে যাত্রা শুরু হয়েছিল সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়ার হাত ধরে, তা বারবার বিপন্ন করতে চেষ্টা করেছে চক্রান্তকারীরা। কিন্তু আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়া বিপন্ন গণতন্ত্রকে বারবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধার করেছেন সেটিও আজকে ধ্বংস করে গণতন্ত্রের নামে কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদ চালু করা হয়েছে। গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়াকে চক্রান্তমূলকভাবে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে আটক করে রাখা হয়েছে।তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে যে আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে দেশের মানুষ স্বাধীনতাযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল, তা আজও পূরণ হয়নি বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।নজীরবিহীন দুর্নীতি, সীমাহীন নির্যাতন ও দুঃশাসনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে। তাই আজকের এই মহান দিনে বাংলাদেশের সব দেশপ্রেমিক মানুষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি দলমত নির্বিশেষে ইস্পাতদৃঢ় ঐক্যের মাধ্যমে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলে এই দেশবিরোধী গণআবিরোধী শক্তিকে অপসারিত করে জনগণের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণের জন্য। সাম্য, মানবিক মূল্যবোধ ও সামাজিক ন্যায়বিচারের মাধ্যমে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র নির্মাণ করতে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৬ মার্চ ২০২৩
রাজধানীর বনানী ক্লাব থেকে বিএনপির ৫৪ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সেখানে রাষ্ট্রবিরোধী বৈঠক করছিলেন তারা।সোমবার (২০ মার্চ) এ তথ্য নিশ্চিত করেন বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান।এর আগে রোববার (১৯ মার্চ) রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রাত আনুমানিক ১টার দিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা রাষ্ট্রবিরোধী পরিকল্পনার জন্য বনানী ক্লাবে গোপন বৈঠক করছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে বনানী ক্লাবে অভিযান চালিয়ে দলটির ৫৪ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়।এছাড়া আজ বেলা ১১টার দিকে বনানী থানার ডিউটি অফিসার সিদ্দিক আহমেদ জানান, ৫৪ জনের নামেই মামলা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ মার্চ ২০২৩
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা করবে বিএনপি।আজ শনিবার বিকেল ৫টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
আওয়ামী লীগকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অবিলম্বে পদত্যাগ করুন, পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না। অন্যথায় ভারাক্রান্তভাবে চলে যেতে হবে।আজ শনিবার দুপুরে ঢাকায় বাড্ডায় পদযাত্রা শুরুর আগে তিনি এ কথা বলেন।বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি পদযাত্রার আয়োজন করে।মির্জা ফখরুল বলেন, 'আজকে কোনো বক্তব্য নেই। আজকে আমরা এক নতুন আন্দোলন শুরু করলাম। ঢাকা শহরে নিরব প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে, নিরব যাত্রার মধ্য দিয়ে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই ভয়াবহ, দানবীয় সরকারকে সরে যেতে বাধ্য করবো।''আমাদের চালের দাম, ডিমের দাম, তেল-লবণের দাম বেড়ে গেছে। আমার শ্রমিক ভাইরা জীবন-যাপন করতে পারছে না। চাল-ডাল-তেল কিনতে পারছে না। কথা বলতে গেলেই গ্রেপ্তার, প্রতিবাদ করতে গেলেই মামলা। মিথ্যা মামলা, গায়েবি মামলা দিয়ে বিরোধী সব দলকে আটক করে রাখা হচ্ছে। সারা বাংলাদেশকে এরা কারাগারে পরিণত করেছে,' বলেন তিনি।ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'আমরা বলেছি, এই সরকার থাকলে কোনো দিন সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। সেই কারণে আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, এই সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে, একটা নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। জনগণ তার ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচন করবে, সরকার নির্বাচন করবে, সেই সরকার দেশ পরিচালনা করবে।''পদযাত্রার মধ্য দিয়ে সরকারকে জানিয়ে দিতে চাই, আর কাল বিলম্ব নয়। অবিলম্বের পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিন এবং নতুন নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে জনগণকে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করার ক্ষমতা দিন। অন্যথায় আপনাদের অত্যন্ত ভারাক্রান্তভাবে চলে যেতে হবে, পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না,' আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বলেন ফখরুল।তিনি আরও বলেন, 'আমরা এখন পর্যন্ত প্রতিটি আন্দোলন অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে করছি। আমরা দেখাতে চাই, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা এদের পতন ঘটাবো।'
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ জানুয়ারি ২০২৩
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে দশ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঢাকায় চার দিনব্যাপী পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, সরকারের পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলনে জনগণ সম্পৃক্ত হচ্ছে। এরমধ্যে আন্দোলনে বিএনপির ১৫ জন নিহত হয়েছে। ১০ দফা দাবি আদায়ে রাজধানীতে পদযাত্রা করবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি।ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আগামী ২৮ জানুয়ারি দুপুর ২টায় বাড্ডা সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে থেকে মালিবাগ আবুল হোটেল পর্যন্ত পদযাত্রা করা হবে। আর ৩১ জানুয়ারি দুপুর ২টায় গাবতলী থেকে শুরু হয়ে মাজার রোড হয়ে মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরে গিয়ে পদযাত্রা শেষ হবে।অন্যদিকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি ৩০ জানুয়ারি দুপুর ২টায় যাত্রাবাড়ী থেকে শ্যামপুর পর্যন্ত পদযাত্রা করবে। আর ১ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টায় মুগদা থেকে শুরু হয়ে মালিবাগে গিয়ে শেষ হবে পদযাত্রা।এই পদযাত্রা শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হবে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব জনগণকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালানো হচ্ছে। নিম্ন আদালত সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলছে। হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে নিম্ন আদালতে গেলে তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এতে প্রমাণ হয় নিম্ন আদালত সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলছে। নির্যাতন নিপীড়ন ভয়াবহ পর্যায়ে নিয়ে গেছে সরকার।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ জানুয়ারি ২০২৩
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আওয়ামী লীগের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যে, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালে কী হয়েছিল তা জনগণের সামনে প্রকাশ করুন। ফখরুল বলেন, 'কেন বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল? কেন প্রায় ৩০ হাজার মানুষের প্রাণ নেওয়া হয়েছিল? কেন সেদিন আওয়ামী লীগ থেকে জাসদ তৈরি হলো? আওয়ামী লীগ এগুলোর উত্তর দেয় না।'আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ 'বিএনপি ঘোষিত যুগপৎ আন্দোলনের ১০ দফা ও তারেক রহমানের রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা' শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।ফখরুল বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধের মূল কথা ছিল বাংলাদেশ একটি উদার গণতান্ত্রিক দেশ হবে, সাম্য, ন্যায় বিচার, মানবিক মর্যাদা নিয়ে এ দেশ পরিচালিত হবে। সেটাকে আওয়ামী লীগ ধ্বংস করে দিয়েছে।'তিনি বলেন, 'স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে আমাকে একই কথা বলতে হচ্ছে, বুকের রক্ত দিতে হচ্ছে, রাস্তায় নামতে হচ্ছে গণতন্ত্র; আমার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। আমি স্বাধীনভাবে কথা বলতে চাই, আমার ভোট আমি দিতে চাই।'আওয়ামী লীগ সুপরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্র কাঠামো ধ্বংস করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'গণতান্ত্রিক প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠান তারা ধ্বংস করেছে। এখন যে পার্লামেন্ট তারা তৈরি করেছে সেটা ক্লাব অব আওয়ামী লীগ। নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে, মানুষ এখন ভোট দিতে যায় না।''আমরা একটি অসম লড়াইয়ের মধ্যে আছি। আমাদের প্রতিপক্ষ প্রবল প্রতাপশালী, তাদের হাতে পুরো রাষ্ট্রযন্ত্র, পিস্তল, গ্রেনেড—অবলীলায় তারা সেগুলো মারে এবং আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়। আমাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হবে, মানুষকে বাঁচাতে হবে, আমাদের রাষ্ট্র টিকিয়ে রাখতে হবে,' বলেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ জানুয়ারি ২০২৩
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগের স্লোগান হলো- আমার ভোট আমি দেবো তোমার ভোটও আমি দেবো। উন্নয়নের কথা বলে ফ্যাসিস্ট এই সরকার জনগণকে বোকা বানাচ্ছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির কার্যালয়ে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।সরকারের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, গরিব আরও গরিব হচ্ছে, আর আওয়ামী লীগের নেতারা ফুলে ফেঁপে বড়লোক হচ্ছে।তিনি বলেন, জনগণকে নিয়ে এসব ফাজলামি আর চলবে না, জনগণকে নিয়ে মশকরা করা চলবে না, বিএনপি ভোট চায় তবে তা হতে হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। তা-না হলে আওয়ামী লীগ ভোট চুরি করবেই, এটা তাদের স্বভাব।বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, সব দলকে নিয়ে যে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করা হয়েছে সেই আন্দোলনে জয়লাভ করলে বিএনপি একটি জাতীয় সরকার গঠন করবে। সে জাতীয় সরকারে সব দলের নেতারা প্রতিনিধিত্ব করবেন।শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশিদ প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ জানুয়ারি ২০২৩
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে দেশকে উন্নতি ও অগ্রগতির দিকে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য যে, তাকে আমরা বেশিদিন পাইনি। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন। জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি এবং বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন ও মোনাজাত করেন মির্জা ফখরুল।বর্তমানে জিয়াউর রহমান ঘোষিত ১৯ দফাকে সামনে রেখে বিএনপি পথ চলছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকেও ক্ষমতাসীন সরকারের একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টার বিরুদ্ধে গোটা জাতি জেগে উঠেছে। জাতি আজ সংকটে। কিন্তু দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে গোটা জাতি জেগে উঠেছে। তারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সেই লড়াই সংগ্রামে জয়ী হব।জিয়াউর রহমান দেশকে একদলীয় শাসন থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র উপহার দিয়েছিলেন দাবি করে তিনি বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতি উপহার দিয়েছেন। আজকে আধুনিক বাংলাদেশের উন্নয়নের ভীত রচনা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। জনগণের নেতা জিয়াউর রহমান, আমরা তাকে শ্রদ্ধা জানাই। তার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আব্দুস সালাম আজাদ ও প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিসহ আরও অনেকে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ জানুয়ারি ২০২৩
চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন।বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) জানান, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সুস্থ আছেন। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে গতকাল রাতে চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি বাসায় ফিরেছেন।গত রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকালে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই সময় শায়রুল কবির খান জানান, কারাগারে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন মির্জা ফখরুল। কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হওয়ার পর চিকিৎসকের পারমর্শে তাকে হাসপাতাল ভর্তি করানো হয়েছে।গত বছরের ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত হন এবং পুলিশসহ অর্ধশত ব্যক্তি আহত হন। সংঘর্ষের পর রাতে বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। পরদিন পল্টন, মতিঝিল, রমনা ও শাহজাহানপুর থানায় পৃথক চারটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। এতে বিএনপির দুই হাজার ৯৭৫ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে নাম উল্লেখ করা হয় ৭২৫ জনের। সেখানে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের নাম ছিল না।৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে নিজ নিজ বাসা থেকে ফখরুল ও আব্বাসকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। দুজনকে প্রথমে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন তাদের পল্টন থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।এক মাস বন্দি থাকার পর গত ৯ জানুয়ারি সন্ধ্যায় কেরাণীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তারা।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ জানুয়ারি ২০২৩
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, বর্তমান সরকারকে হটাতে যদি সুনামির দরকার হয়, তাহলে তাঁরা সবাই মিলে সেই অবস্থা সৃষ্টি করবেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ১২ দলীয় জোট আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবদুল আউয়াল মিন্টু এ কথা বলেন।সরকারি দলের নেতা ও মন্ত্রীদের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘তারা বলে, ধাক্কা দিলে নাকি পড়বে না। আমার প্রশ্ন, ধাক্কা কত বড় লাগবে? মাঝেমধ্যে যখন তুফান আসে, তার সঙ্গে কিন্তু সুনামিও আসে। যদি সুনামির দরকার হয়, তাহলে আমরা সবাই মিলে সে অবস্থার সৃষ্টি করব, যাতে করে এই লুটেরা বাহিনী কোনোক্রমেই এ দেশে আর ক্ষমতায় থাকতে না পারে।’আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসার প্রসঙ্গ নিয়ে বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘আগের লেগেছে ২১ বছর। এবার ফেলতে পারলে ৪১ বছরেও আর আসতে পারবে না।’আওয়ামী লীগের নেতা-মন্ত্রীদের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘মাঝেমধ্যে দেখবেন ২০৪১,২০৪১ সাল কয়। আরে ২০৪১ সাল তো আপনারা স্বপ্ন দেখতেছেন। আওয়ামী লীগের স্বপ্ন মানে দেশের জনগণের দুঃস্বপ্ন। অতএব দেশের জনগণকে বাঁচানোর জন্য, দেশকে রক্ষা করার জন্য ভবিষ্যতে আমরা এমন আন্দোলন গড়ে তুলব, যে আন্দোলনের ধাক্কায় এ সরকার ভেসে উড়ে যাবে।’নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবির মাধ্যমে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘আমরা মাত্র আন্দোলন শুরু করেছি। আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায় সামনের দিকে আসতেছে। কোনোভাবে এই সরকার থাকতে পারবে না। আর যদি এই লুটেরা বাহিনী থাকে, তাহলে আমাদের দেশ আর আমাদের থাকবে না। তাই রাজনৈতিক দলগুলোর ঈমানি দায়িত্ব এ সরকারকে উৎখাত করার জন্য যা যা করার তা করা।’বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠাসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপির নেতৃত্বে যুগপৎ আন্দোলন করছে সরকারবিরোধী বিভিন্ন দল ও জোট। এই দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আজ ১২ দলীয় জোট বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এ সময় নেতা-কর্মীরা বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবি ও চট্টগ্রামে বিএনপির মিছিলে পুলিশের গুলি-হামলার প্রতিবাদে স্লোগান দেন।ব্যবসায়ী নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, আজকে দেশের মানুষ বহু কষ্টে আছে। সরকার বলছে, বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়েছে। আসলে বিশ্বে এখন তেলের দাম কমেছে ২৫ শতাংশ। কিন্তু সরকার দাম কমাচ্ছে না। তারা বলে, ২৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা আছে। কিন্তু বাংলাদেশে আজ পর্যন্ত ১২ থেকে ১৪ হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন কখনো হয়নি। এখন ২৪ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা থাকলে প্রতিদিন লোডশেডিং হচ্ছে কেন? তার একটি কারণ, দুর্নীতি-লুটপাট।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ জানুয়ারি ২০২৩
বিনা উসকানিতে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিএনপির কর্মসূচিতে পুলিশ, আওয়ামী লীগ এবং তাদের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। তিনি বলেন, বিরোধী মত দমনে ক্ষমতাসীনরা অপচেষ্টা চালাচ্ছে, সারাদেশে প্রশাসনকে ব্যবহার করে দমন-নিপীড়ন চালাচ্ছে।মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।প্রিন্স বলেন, সরকারি দলের মন্ত্রী নেতারা হরহামেশাই বলেন, দেশে সবার রাজনীতি করার অধিকার রয়েছে। বিদেশিদের সামনে তারা বলেন, বিরোধী দলের কর্মসূচি পালনে সরকার নাকি সর্বাত্মক সহযোগিতা করে থাকে। তাদের এই বয়ান সর্বৈব বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। প্রকৃত সত্য, সরকার কর্তৃত্ববাদী শাসন অব্যাহত রাখতে রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। গণ আন্দোলনে ভীত হয়ে দমন নিপীড়ন চালিয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে উসকানি-প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তাণ্ডব সৃষ্টি করছে। ক্ষমতাসীনরা সভা সমাবেশে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে অভিযোগ করে প্রিন্স বলেন, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি সরকার করছে। বিরোধীমত দমনে ক্ষমতাসীনরা অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সারাদেশে প্রশাসনকে ব্যবহার করে দমন নিপীড়ন চালাচ্ছে সরকার। প্রিন্সের দাবি, গতকাল চট্টগ্রামে মিছিল পূর্ব সমাবেশ চলাকালে বিনা উসকানিতে পুলিশ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। বেধড়ক লাঠিচার্জ, গুলি, সাউন্ড বোমার হামলায় সমাবেশ পণ্ড করে দেয়। পুলিশের এই সাঁড়াশি অভিযানে ১০ জন গুলিবিদ্ধসহ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন, গ্রেপ্তার করা হয় ২০ জনকে। সীতাকুণ্ডে সমাবেশস্থল উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব গাজী সুজাউদ্দিনের মালিকানাধীন মুন স্টার কনভেনশন হলে আওয়ামী সন্ত্রসীরা পুলিশের উপস্থিতিতে বোমা হামলা চালায় এবং ব্যাপক ভাঙচুর করে। ময়মনসিংহের গৌরীপুর সদরে বিএনপির মিছিল চলাকালে পুলিশের উপস্থিতিতে হারুন পার্কের সামনে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা হামলা করে। হামলায় ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য হাফেজ আজিজুল হক, অচিন্তপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আব্দুল আউয়াল মারাত্মক আহত হন। ময়মনসিংহ উত্তর জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী তানজিল চৌধুরী লিলি, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুজ্জামান সোহেলকেও আহত করে। একইভাবে ময়মনসিংহ মুক্তাগাছা, ধামরাই উপজেলা, কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলম আওয়ামী সন্ত্রাসীরা তার গাড়ি বহরে হামলা করে। প্রিন্স বলেন, আমরা এই হামলা, গ্রেপ্তার, গুলি, মামলা, দমন নিপীড়নের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে গ্রেপ্তারদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও হামলাকারীদের শাস্তি দাবি করছি।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সুলতানা আহমেদ প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ জানুয়ারি ২০২৩
শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে বিদায় করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির নেতারা। তবে আন্দোলনে দলের নেতা-কর্মীদের ওপর আঘাত এলে অন্যায়কারীর প্রতি পাল্টা আঘাত করা, হাত তোলা নৈতিক অধিকার বলেও মন্তব্য করেন তারা। সোমবার (১৬ জানুয়ারি) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ ও মিছিল পূর্ব বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন বিএনপির নেতারা।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। আমাদের দল থেকে ১০ দফা কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। বর্তমান সরকার বিদায়ের পর কেমন সরকার দেখতে চাই তা আমরা ২৭ দফা রূপরেখায় উল্লেখ করেছি। তিনি বলেন, লুটপাট করার জন্য বিদ্যুতের কুইক রেন্টাল প্লান্ট করেছে সরকার। সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার জন্য গণতন্ত্র ধ্বংস করে দিয়েছে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে সরকারকে বিদায় করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সময় বেশি দিন নেই, বলা বলি বন্ধ হয়ে যাবে। শত চেষ্টা করলেও এই সরকারকে রাখা যাবে না। সরকার ও প্রশাসন এক হয়ে লুটপাট করছে। কারণ এই সরকার ফ্যাসিস্ট ও অত্যাচারী। সরকারি আমলাদের বিদেশে ডজন-ডজন বাড়ির খবর বের হচ্ছে। তিনি বলেন, সরকারের সমালোচনা করা সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার। সাফ কথা, জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে দেশের হয়ে যুদ্ধ করেছিলাম। রক্তচক্ষু ও হামলা-মামলা, গ্রেপ্তার উপেক্ষা করে অধিকার আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবো। মরতে হয় মরবো। এরইমধ্যে জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে, দাঁড়াবে। নেতা-কর্মীদের ওপর আঘাত এলে অন্যায়কারীর প্রতি পাল্টা হাত তোলা ও নৈতিক অধিকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, চলমান ঐক্য ধরে রাখতে হবে। রাজপথের আন্দোলনে এই সরকারের পতন ঘটবে। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশের মানুষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবে।স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, গ্রেপ্তার হামলা-মামলা অধিকার কেড়ে নিয়ে আন্দোলন থামানো যাবে না। আন্দোলন বাংলাদেশের মানুষ হাতে তুলে নিয়েছে। আন্দোলনের মালিকানা জনগণের হাতে চলে গেছে। আগামীর প্রতিটি কর্মসূচিতে উত্তর উত্তর সফলতার মধ্যে দিয়ে এই সরকারের পতন ঘটানো হবে। ঢাকা মহানগর বিএনপি উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক এবং দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু সঞ্চালনা করেন। সমাবেশে শেষে নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে নাইটিঙ্গেল মোড় হয়ে ফকিরাপুল ঘুরে আবার কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ জানুয়ারি ২০২৩
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল ভর্তি হয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকালে তাকে হাসপাতাল ভর্তি করানো হয়।বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, কারাগারে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন মির্জা ফখরুল। কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হওয়ার পর চিকিৎসকের পারমর্শে তাকে হাসপাতাল ভর্তি করানো হয়েছে।এক প্রশ্নের জবাবে শায়রুল কবির বলেন, কতদিন হাসপাতালে থাকবেন সেটা তো আমরা বলতে পারব না। উনার চিকিৎসকরা বলতে পারবেন।গত বছরের ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত হন এবং পুলিশসহ অর্ধশত ব্যক্তি আহত হন। সংঘর্ষের পর রাতের বেলা বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। পরদিন পল্টন, মতিঝিল, রমনা ও শাহজাহানপুর থানায় পৃথক চারটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। এতে বিএনপির দুই হাজার ৯৭৫ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে নাম উল্লেখ করা হয় ৭২৫ জনের। সেখানে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের নাম ছিল না।৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে নিজ নিজ বাসা থেকে ফখরুল ও আব্বাসকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। দুজনকে প্রথমে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন তাদের পল্টন থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।এক মাস বন্দি থাকার পর গত ৯ জানুয়ারি সন্ধ্যায় কেরাণীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তারা।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ জানুয়ারি ২০২৩
আগামী ৩০ ডিসেম্বর (শুক্রবার) ঢাকায় অনুষ্ঠেয় গণমিছিলের রুট প্রকাশ করেছে বিএনপি। গণমিছিল শুরু হবে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে। এরপর কাকরাইল মোড়, শান্তিনগর-মালিবাগ-মৌচাক-মগবাজার হয়ে বাংলামোটরে গিয়ে শেষ হবে। ওইদিন দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত গণমিছিল করবে বিএনপি।এ বিষয়ে অবহিত করতে মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কাছে যাবে বিএনপির প্রতিনিধি দল। এরই মধ্যে এ সংক্রান্ত চিঠি ডিএমপিতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, এ বিষয়ে অবহিত করতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে সন্ধ্যায় বৈঠক করবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ ডিসেম্বর ২০২২
জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছে লিখিত পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির এমপিরা। রোববার বেলা সোয়া ১১টার দিকে পদত্যাগপত্র নিয়ে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে প্রবেশ করেন তারা। এর পর পদত্যাগপত্র জমা দেন।পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে জাতীয় সংসদ ভবন থেকে বেরিয়ে গণমাধ্যমকে বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ বলেছেন, গত ৪ বছরে বিরোধী দল বলতে শুধু আমরা ৭ জনই ছিলাম। আর যে বিরোধী দল নামকা ওয়াস্তে আছে, তারা তো পোষা বিরোধী দল। এই পোষা বিরোধী দলের ৪টি বছর গীত-বন্দনা করতে করতেই গেছে। তাই আজকে থেকে সংসদে বিরোধী দলের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য মানুষ তো নেই, মশা-মাছিও নেই। আমি মনে করি, আজকে থেকে সংসদ সম্পূর্ণ অবৈধ।রোববার সকালে ৭ জনের পদত্যাগপত্র সশরীরে জমা দিতে তারা সংসদ ভবনে প্রবেশের আগে তিনি এ কথা বলেন।গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ বলেন, গতকাল সংসদ বন্ধ থাকায় আমরা ইমেইলে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলাম জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছে। আজ আমরা সশরীরে পদত্যাগপত্র জামা দিতে এসেছি।তিনি বলেন, আমরা যখন জনগণের কথা বলতাম, ৩৫০ জনের মধ্যে শুধু ৭ জনের কথা জনগণ শুনতো। ৩৪৩ জন যারা কথা বলতো, সেটা শুধু দেয়াল শুনতো, মানুষ শুনতো না। জাতীয় পার্টি যখন কথা বলতো, মানুষ অন্য চ্যানেলে চলে যেত। আমাদের আন্দোলনের এটাই শুরু, পদত্যাগ দিয়ে শুরু করেছি। ১০টি দফা দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৪ ডিসেম্বর যুগপৎ আন্দোলন; আমাদের একই দফা, এই সরকারের পতন। জনগণ সরকারকে বাধ্য করবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে। এই দেশে মানুষ যাতে ভোটাধিকার ফিরে পেতে পারে, মানুষ যাতে বাকস্বাধীনতা ফিরে পায় এবং অনতিবিলম্বে এই সংসদ ভেঙে দিতে হবে।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন—বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেন, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের জাহিদুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের আমিনুল ইসলাম ও সংরক্ষিত নারী আসনের রুমিন ফারহানা।চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ দেশের বাইরে থাকায় এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের আবদুস সাত্তার ভূঞা অসুস্থ থাকায় তারা উপস্থিত থাকতে পারেননি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ ডিসেম্বর ২০২২
জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির ৭ সংসদ সদস্য (এমপি)। আজ শনিবার রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে আয়োজিত বিএনপির সমাবেশে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।ওই ৭ এমপি হলেন— বগুড়া-৬ আসনের এমপি গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, বগুড়া-৪ আসনের এমপি মোশারফ হোসেন, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের এমপি জাহিদুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের এমপি আমিনুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের এমপি হারুনুর রশীদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের এমপি আবদুস সাত্তার ভূঞা এবং সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি রুমিন ফারহানা।হঠাৎ কেন এই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত প্রশ্নের জবাবে বগুড়া ৬ আসনের এমপি গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ বাংলা ওয়্যারকে বলেন, 'বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে দলের স্থায়ী কমিটির মিটিংয়ে আমাদের এ সিদ্ধান্তে নেওয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে আজ বিএনপির গণসমাবেশে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে'।এ ব্যপারে সাংসদ রুমিন ফারহানা বলেন, 'ইমেলে স্পিকারের কাছে আমরা ৭ জনই আমাদের পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছি। আজ অফিস বন্ধ। তাই কাল আমরা সরাসরি সেখানে পদত্যাগপত্র জমা দেবো।'তিনি আরও বলেন, 'সংসদে আমরা জনগণের পক্ষে কথা বলতে চেয়েছিলাম৷ কিন্তু বারবার আমাদের মাইক বন্ধ করে দিয়েছিল৷ এই সংসদে থাকা আর না থাকা সমান৷'
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১১ ডিসেম্বর ২০২২
ব্যক্তিগত সহকারীসহ ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে বলে দাবি করেছে বিএনপি।সোমবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য কাদের গনি চৌধুরী সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, সোমবার বিকেল থেকে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক ও তার ব্যক্তিগত সহকারীর হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৬ ডিসেম্বর ২০২২