বিএনপি


আ.লীগের কোন বাধাই আর বিএনপিকে থামাতে পারবে না : ফখরুল

আ.লীগের কোন বাধাই আর বিএনপিকে থামাতে পারবে না : ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ময়মনসিংহে বিএনপির সমাবেশকে বাধা দিতে আওয়ামী লীগের পাল্টা কর্মসূচির ডাক দেওয়া থেকে প্রমাণ হয়, তারা কখনো গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা সব সময় সন্ত্রাস সৃষ্টি করে, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার কাজ করেছে। আর তা রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা নিয়েই করছে। যার ফলে রাষ্ট্রকে তারা একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। তবে বিএনপি থেমে থাকবে না। কোনো বাধাই বিএনপিকে থামাতে পারবে না।শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) সকালে ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। এই কথা একটি সময় শুধু আমরা বা অন্য দলগুলো বলত, এখন আওয়ামী লীগের সহযোগী দল জাতীয় পার্টির প্রধান কাদের সাহেব স্পষ্ট করে বলেছেন। এটাই বাস্তবতা, আন্তজার্তিকভাবে এটা স্বীকৃতি হয়ে গেছে, বাংলাদেশ এখন একনায়কতান্ত্রিক দেশ হয়ে গেছে। এটা গণতান্ত্রিক দেশ নয়।বিএনপির এই নেতা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ করে বলেন, জ্বালানি তেল, চাল, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি, হত্যা হামলা ও মামলার প্রতিবাদে ও দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আগামীকাল ময়মনসিংহে একটি সমাবেশের ডাক দিয়েছিল বিএনপি। কিন্তু ইতোমধ্যে সেখানে আওয়ামী লীগের আসল চেহারা বের হয়ে গেছে। তারা কোনো কারণ ছাড়া বিএনপির সমাবেশকে নষ্ট করার জন্য সেখানে একটি সমাবেশ ডেকেছে। এটার মাধ্যমে তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করবে। এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদসহ বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ অক্টোবর ২০২২


জনগণ প্রস্তুত হয়ে আছে চূড়ান্ত আঘাতের জন্য : রিজভী

জনগণ প্রস্তুত হয়ে আছে চূড়ান্ত আঘাতের জন্য : রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জনগণ প্রস্তুত হয়ে আছে চূড়ান্ত আঘাতের জন্য। প্রধানমন্ত্রী আপনি বন্দুক দিয়ে জনগণের শক্তিকে দমাতে পারবেন না। সেই রাইফেল জনগণের শক্তি কোন দিকে ঘুরিয়ে দেবে সেটা চিন্তা করে কথা বলবেন। এখনো সময় আছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন।রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।রুহুল কবির রিজভী বলেন, সারা দেশের মানুষ উত্তাল হয়ে উঠেছে, আর কোনো ব্যারিকেড দিয়ে রাখতে পারবেন না। পথে ঘাটে মাঠে এমন বেরিকেট তৈরি হবে। আজ যারা ফালতু কথা বলছে। হত্যা করার পরেও যারা নানা ভাবে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। জনগণের আক্রোশ থেকে কেউ রেহাই পাবেন না।রিজভী বলেন, বর্তমান দেশের যে পরিস্থিতি, এ অবস্থা আর চলতে দেওয়া যাবে না। গুলি করবেন? সেই গুলিতে শরীর থেকে রক্ত ঝরবে। সেই রক্ত যে মাটিতে পড়বে সেই মাটি আরও তেজস্বী হয়। সেই মাটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধে আরও অঙ্গীকারবদ্ধ হয়। দুই শাওন, নারায়ণগঞ্জের এবং মুন্সিগঞ্জের, আব্দুর রহিম, নূরে আলমের যে রক্ত ঝরেছে নিশ্চয়ই এটা বৃথা যাওয়ার জন্য নয়।নির্বাচন কমিশনারদের উদ্দেশ্য করে রিজভী বলেন, এরা নির্বাচন কী করবে। শেখ হাসিনা যদি দিনকে রাত বলে এরা তাই বলবে। তাই এই সমস্ত চাকর-বাকরদের দিয়ে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসে সবার গ্রহণযোগ্য একটা নির্বাচন কমিশন গঠন করবে, সেই কমিশনের অধীনেই সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনের গ্যারান্টি গণতন্ত্রের মায়ের মুক্তি।তিনি বলেন, যিনি তার জীবনের সব সুখ শান্তি বিসর্জন দিয়ে গণতন্ত্রের পক্ষে জনগণের হয়ে আজীবন সংগ্রাম করেছে এবং এই সরকারের নির্যাতন সহ্য করছেন। এখনো বন্দি হয়ে আছেন। তারপর তিনি মাথা নত করেননি। এই উন্নত মাথার আদর্শ অনুসারী আমরা। সেই মাথা আরও উন্নত হবে শেখ হাসিনার মাথা থুপড়ে পড়বে জনগণের আদালতে।বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, শেখ হাসিনা বলেছিলেন আমাদের একজনকে মারলে ওদের ১০ জনকে মারো, আবার তিনি জাতিসংঘে গিয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন যুদ্ধ বন্ধ এবং শান্তির কথা বলছে। তিনি জাতিসংঘে শান্তির কথা বলছেন, আর দেশে তার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বিরোধী দলের চার সিপাহ শালার হত্যা করছে। তিনি জাতিসংঘের শান্তির কথা বলছে, একই সময়ে এদেশে রক্ত ঝরছে।লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মীর সরাফত আলী সফু, অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় সহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীরা।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২


‘যুদ্ধ চাই না, নিষেধাজ্ঞা চাই না–এসব বক্তব্য হাসিনার মুখে মানায় না’

‘যুদ্ধ চাই না, নিষেধাজ্ঞা চাই না–এসব বক্তব্য হাসিনার মুখে মানায় না’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্র হরণকারীরা যখন গণতন্ত্রের কথা বলে, তখন লজ্জা ধিক্কার ছাড়া কিছুই আশা করা যায় না। আজ যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে তিনি (শেখ হাসিনা) বড় বড় কথা বলছেন যে, যুদ্ধ চাই না, নিষেধাজ্ঞা চাই না। কেউ চায় না যুদ্ধ, কেউ চায় না নিষেধাজ্ঞা। প্রধানমন্ত্রীর মুখে মানবাধিকারের কথা মানায় না।শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে বিএনপির রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, দেশের শতকরা ৪২ জন মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। আর তারা (আওয়ামী লীগ) কোটি কোটি টাকার মালিক হচ্ছে। এ অবস্থার অবসান ঘটাতে হবে। এ অবস্থার অবসান আজ তরুণদের ঘটাতে হবে। তরুণদের জেগে উঠতে হবে, বাংলাদেশের মানুষদের জেগে উঠতে হবে।তিনি আরও বলেন, শাওন, আব্দুর রহিম, নূরে আলমের রক্তকে বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না। তাদের রক্তের প্রতি সত্যিকার অর্থে যদি শ্রদ্ধা জানাতে চাই, ভালবাসা জানাতে চাই; তাহলে এ ভয়াবহ দানব সরকারকে প্রতিহত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।বিএনপি মহাসচিব বলেন, গুম হয়ে গেছে আমাদের ছয় শতাধিক মানুষ। ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম থেকে শুরু করে আমাদের ছাত্রদলের অসংখ্য ছেলে। এই সমস্ত ছেলেগুলো চলে গেছে মায়ের কুল খালি করে। মা জানে না, বাবা জানে না, কোথায় তারা। আজ শত শত মানুষকে থানায় নিয়ে গিয়ে তারা পঙ্গু করে দিয়েছে। সহস্রাধিক মানুষকে তারা হত্যা করেছে। এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং করেছে। এ কারণে আজ এলিট ফোর্স র‌্যাব যারা দেশের সুনাম কুড়িয়েছিল অপরাধ দমনের ক্ষেত্রে। এ সরকারের অন্যায় আদেশ মানতে গিয়ে তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা পড়েছে। সাতজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা পড়েছে এটা নিয়ে সরকারের কোনো মাথা ব্যথা নেই। তারাই নির্দেশ দাতা তাদের সবার আগে নিষেধাজ্ঞা আসা প্রয়োজন। নিষেধাজ্ঞা ইতোমধ্যে জনগণ দিয়ে দিয়েছে। মানুষ বলে দিয়েছে তোমাদের আর দরকার নেই।ফখরুল বলেন, আগে উন্নয়নের কথা খুব বেশি বলত এখন একটু কম বলে। উন্নয়ন কখনোই টেকসই হবে না যদি সেখানে গণতন্ত্র না থাকে। আর গণতন্ত্র কখনোই ফলপ্রসূ হবে না যদি সেখানে বিরোধী দল না থাকে।আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, একজন ব্যক্তি ছাড়া কোনো ব্যক্তি নেই বাংলাদেশে। এক ব্যক্তির শাসন, এক ব্যক্তির মতবাদ, এক ব্যক্তির সব। কিন্তু এগুলো টিকে না। এ ধরনের কর্তৃত্ববাদ, এ ধরনের ফ্যাসিবাদ কখনোই ঠিকে না। অন্যায় করে, নির্যাতন করে; ভালোবাসা না থাকলে প্রেম না থাকলে কখনো কি কাউকে চিরস্থায়ী করা যায়?

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২


'পুলিশ বাহিনী সরিয়ে দেওয়া হলে আ.লীগ এক মিনিটও ক্ষমতায় থাকতে পারবে না'

'পুলিশ বাহিনী সরিয়ে দেওয়া হলে আ.লীগ এক মিনিটও ক্ষমতায় থাকতে পারবে না'

সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ও বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, 'স্বাধীনতা, মানুষের অধিকার, সুশাসন, ন্যায় বিচার দিতে ব্যর্থ হওয়া আওয়ামী লীগের মত একটি ফ্যাসিস্ট সরকারকে প্রতিনিয়ত মোকাবেলা করতে হয় বিএনপিকে। একটি গণতান্ত্রিক সরকারের সময় আন্দোলন এবং একটি এক দলীয় ফ্যাসিস্ট জালিম সরকারে বিরুদ্ধে আন্দোলন কখনোই এক রকম হয় না। পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনীদের যদি সরিয়ে দেওয়া হয় তাহলে আওয়ামী লীগ এক মিনিটও ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।'শনিবার সকালে রাজশাহী নগরীর একটি হোটেলের কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির মিডিয়া সেলের উদ্যোগে ‘জবাবদিহিতামূলক রাষ্ট্রগঠনে অবাধ, নিরপেক্ষ, নির্বাচনোত্তর একটি জাতীয় সরকার এবং দ্বিকক্ষ সংসদ অপরিহার্য’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। বিএনপির মিডিয়া সেলের আহবায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় রুমিন ফারহানা আরও বলেন, একজন রাজনীতিবিদ নির্বাচন নিয়ে চিন্তা করেন আর একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক চিন্তা করেন আগামী ১০০ বছরে দেশ কোথায় নিয়ে যাবেন। তিনি বলেন, দেশনায়ক তারেক রহমান আগামী ১০০ বছর পর দেশকে কোথায় নিয়ে যাবেন সেই চিন্তা করছেন। কিন্তু তারেক রহমানের দুর্ভাগ্য যে, আওয়ামী লীগের মতো একটি ফ্যাসিস্ট সরকারকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে হচ্ছে, যে আওয়ামী লীগের হাতে ১৯৭৩ সালেই গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিএনপি প্রতিদিনই শক্তিশালী হচ্ছে। গত ১০ বছরে দেশ মারাত্মকভাবে সামাজিক মূল্যবোধ হারিয়েছে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দলীয়করণ করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। এখন রাষ্ট্র মেরামত প্রয়োজন। কিন্তু বিএনপি বিশ্বাস করে তাদের পক্ষে একা এ কাজটি করা সম্ভব নয়। এজন্য বিএনপি একটি জাতীয় সরকার গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ হলে রাষ্ট্রের সব অঙ্গ স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে পারবে। ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, গত ১৩ বছরের একনায়কতন্ত্রকে ভাঙতেই দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ খুবই জরুরি। আগামীর রাষ্টনায়ক তারেক রহমান দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করেই দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদের প্রস্তাব করেছেন। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আক্তারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব ও সাবেক সংসদ সদস্য শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এনি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২


'রক্তের ঘ্রাণ নেওয়ার জন্য বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে হানা দিচ্ছে আ.লীগ'

'রক্তের ঘ্রাণ নেওয়ার জন্য বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে হানা দিচ্ছে আ.লীগ'

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গত কয়েকদিনের ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে ক্ষমতাসীন দলের যে তাণ্ডব চলছে, এটা নজিরবিহীন। যারা তাণ্ডব চালাচ্ছে তাদের অধিকাংশই ছাত্রলীগ নেতা।মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।রিজভী বলেন, গতকাল গণমাধ্যমে এসেছে, কীভাবে চাইনিজ কুড়াল নিয়ে বিএনপি এবং ছাত্রদলের নেতাদের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালাচ্ছে ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের নেতাকর্মীরা। রক্ত তৃষ্ণায় তারা কাতর হয়ে গেছে। এটাই আমাদের কাছে মনে হচ্ছে। রক্তের ঘ্রাণ নেওয়ার জন্য বিএনপি এবং তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হানা দিচ্ছে তারা।তিনি আরও বলেন, রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মাসুদকে না পেয়ে তার বৃদ্ধ মা-বাবাকে এমন কঠিনভাবে প্রহার করা হয়েছে তারা এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন হাসপাতালে। এছাড়া সেখানে বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট করেছে ছাত্রলীগ-যুবলীগ। যা দেশের গণমাধ্যমে এসেছে।‘আমরা কোনো নির্দেশনা দেইনি সমাবেশে হামলা করার জন্য’- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, এই কথাতেই প্রমাণিত হয় তারাই নির্দেশ দিয়েছেন হামলা করার জন্য। না হলে একটা ছাত্রের হাতে চাইনিজ কুড়াল থাকবে কেন? রামদা থাকবে কেন? পাড়ায়-মহল্লায় গ্রামেগঞ্জে থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত ছাত্রলীগ মানেই হচ্ছে মূর্তিমান আতঙ্কের নাম। এখন মায়েরা তার সন্তানকে ঘুম পাড়াবে ছাত্রলীগের ভয় দেখিয়ে। বলবে বাবা ঘুমিয়ে যা না হয় ছাত্রলীগ আসবে। এদের নাম শুনলেই প্রত্যেকটি জায়গায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।রিজভী আরও বলেন, দেশব্যাপী এমন তাণ্ডব চলছে। সহিংস রক্তপাতের যে পরিকাঠামো নির্মাণ করেছেন শেখ হাসিনা, তাতে আমাদের অনেক নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। কারও চোখ অন্ধ হয়ে গেছে স্প্লিন্টারে। সেইসঙ্গে প্রাণ কেড়ে নেওয়া হয়েছে তিনজনের, ভোলাতে দুইজন এবং নারায়ণগঞ্জে একজন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২


আ. লীগ দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে ভেঙে ফেলেছে : মির্জা ফখরুল

আ. লীগ দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে ভেঙে ফেলেছে : মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন এখন নষ্ট হয়ে গেছে, কলুষিত হয়ে গেছে। বাংলাদেশের রাজনীতির কাঠামো ভেঙে পড়েছে। আওয়ামী লীগ দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে ভেঙে ফেলেছে। নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করার নিয়ম থাকলেও সেই নির্বাচনে জনগণ অংশ নিতে পারে না।আজ শনিবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ড. মোশাররফ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে প্রয়াত গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ারের স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।মাজহারুল আনোয়ারের স্মরণে রাষ্ট্রীয় কোনো উদ্যোগ না থাকায় আক্ষেপ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তাঁকে স্মরণ করার জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এমন দেশে বাস করি, এমন রাজার রাজত্বে বাস করি, যারা এই দেশকে বিভক্ত করে ফেলেছে। দেশের সব অঙ্গনে বিভক্তি।’ তিনি বলেন, মাজহারুল আনোয়ার অনেক গুণের অধিকারী মানুষ। তাঁর অবদান ও সৃষ্টি পাহাড়সম। তাঁর গান চিরকাল থাকবে।মির্জা ফখরুল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে গাজী মাজহারুল আনোয়ারের গান জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে অনুপ্রাণিত করেছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার সেই জাতিকে বিভক্ত করেছে। সব ক্ষেত্রেই আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দুই পক্ষ।দেশকে বর্তমান পরিস্থিতি থেকে থেকে রক্ষার করার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশকে রক্ষার দায়িত্ব বিএনপির একার না। বিএনপি সব শক্তি দিয়ে চেষ্টা করছে। সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, যাঁর গানে মানুষ অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন, তাঁর স্মরণসভা জাতীয়ভাবে হওয়া উচিত ছিল। গাজী মাজহারুল আনোয়ার দেশের সব বড় বড় সম্মান ও পদকে ভূষিত হয়েছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২


‘বাংলাদেশে সহিংসতা বন্ধে একটি মাত্র পথ হচ্ছে—নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার’

‘বাংলাদেশে সহিংসতা বন্ধে একটি মাত্র পথ হচ্ছে—নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে চিরকালের জন্য সহিংসতা বন্ধ করার একটি মাত্র পথ হচ্ছে— নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আবারও চালু করা।মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব। বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপি।নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাবেক মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ বলে— তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে নেই। আরে সংবিধান পরিবর্তন করেই তো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংযুক্ত করা হয়েছিল। আমরাই (বিএনপি) সংবিধান বদল করে (তত্ত্বাবধায়ক সরকার) করেছিলাম। এখন আপনাদের (আওয়ামী লীগ) সংসদে মেজরিটি আছে, সুতরাং খুব সহজে সংবিধান পরিবর্তন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংযুক্ত করুন।সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ইতিহাস যেটা বলে, এ ধরনের অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে এবং জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কোনো সরকারই বেশিদিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি। ফ্যাসিবাদী সরকারগুলো দমন-নিপীড়নের মাধ্যমে বেশিদিন ক্ষমতায় থাকে। এবার বাংলাদেশে যেটা দেখা যাচ্ছে যে খুন-গুমের মধ্যেই মানুষ জেগে উঠেছে।তিনি বলেন, ভোলায় গুলি হওয়ার পরও সাধারণ মানুষ ভয় পায়নি। নেতাকর্মীরাও ভয় পাননি। একইভাবে তারপর থেকে সারা দেশে আন্দোলনগুলো চালিয়ে যাচ্ছে তারা। শুধু শহরগুলোতে নয়, গ্রাম-ইউনিয়ন পর্যন্ত বড়-বড় মিছিল হচ্ছে। আমরা মনে করি, মানুষ জেগে উঠেছে, এটাই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা গণতান্ত্রিক দল। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই সরকারকে দাবি মেনে নিতে বাধ্য করব।মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণের দাবি খুবই সামান্য। নির্বাচনকে নির্বাচনের মতো করে করা। নির্বাচনকে ঠিক করা, সুস্থ করা। নির্বাচনকালীন সময়ে আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনা যদি ক্ষমতা থাকে তাহলে সেই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। সুতরাং তাদের পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২


আবার কিভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় সেই আশায় ভারত সফরে গেছেন প্রধানমন্ত্রী : ফখরুল

আবার কিভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় সেই আশায় ভারত সফরে গেছেন প্রধানমন্ত্রী : ফখরুল

আবার ক্ষমতায় কীভাবে থাকা যায়, সে ব্যবস্থা করার আশাতেই প্রধানমন্ত্রী ভারতে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। ভারতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর নিয়ে ফখরুল বলেন, ‘খুব নাচতে নাচতে চলে গেলেন ভারতবর্ষে। একটা মাত্র আশায় যে ভারতে গিয়ে আবার ক্ষমতায় কীভাবে থাকা যায় তার জন্য একটি ব্যবস্থা ওনারা করে আসবেন। কী এনেছেন? কিছুই না।’ভারত সফর নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পরিষ্কার করে বলছি, কী এনেছেন। ১৫৩ কিউসেক পানির কথা বলেছেন। এ ছাড়া তো আর কিছুই দেখছি না। বলা হয়েছিল সীমান্তে হত্যা জিরোতে (শূন্য) আনা হবে। সেদিনই আমাদের সীমান্তে গুলি করে ১৪ বছর বয়সী বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে। আরও দুজন নিখোঁজ আছে। এটি অহরহ ঘটছে। সেটি কিন্তু এখন পর্যন্ত বন্ধ হয়নি।’‘বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক হোক—এটি আমরা সবাই চাই’ বলে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ভারত আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা আমাদের সহযোগিতা করছে। আমরা সে জন্য কৃতজ্ঞ। সব সময় আপনারা বলতে থাকেন এমন পর্যায়ে আপনাদের সম্পর্ক গেছে যে সেই সম্পর্কটা স্বামী–স্ত্রীর সম্পর্ক। আপনাদের মন্ত্রীই বলে সে কথা।’‘আজকে এই রাষ্ট্রের যে অবস্থা, এর জন্য দায়ী আওয়ামী লীগ’ অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে এই দেশে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। আজকে এই দেশে অর্থনীতিকে পুরোপুরিভাবে একটা লুটপাটের রাজত্ব তৈরি করে ফেলেছে। লুটপাটের অর্থনীতি ছাড়া এখানে আর কোনো অর্থনীতি নেই। যে দেশে এখনো ৪২ ভাগ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে, দুবেলা দুমুঠো খেতে পায় না, মানুষ স্বাস্থ্যব্যবস্থা সঠিকভাবে পায় না, ছেলেদের বিএ–এমএ পাস করার পর কর্মসংস্থান নেই— সেখানে বলছেন উন্নয়নের রোল মডেল হয়ে গেছে বাংলাদেশ। এ কথাগুলো বলে মানুষকে প্রতারণা করে, মানুষের সঙ্গে পুরোপুরি বেইমানি করে গণতন্ত্রবিনাশী একটি শক্তি হয়ে উঠে সবকিছু ধ্বংস করে দিচ্ছে।’মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, এই জাতি, রাষ্ট্রকে তারা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করছে। আজকে কোথাও বিচার নেই। বিচারব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে পড়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একটি দলীয় বাহিনীতে পরিণত হয়েছে।বাংলাদেশের মানুষ সব সময়ই সংগ্রাম ও লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে তাদের অধিকার আদায় করে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘সেই সংগ্রাম শুরু হয়েছে। সেই সংগ্রামে মানুষ অবশ্যই… তা অর্জন করবে। যাঁরা লেখালেখি করেন, যাঁরা বুদ্ধিজীবী, তাঁদের কাছে আহ্বান, আসুন, সত্যটা প্রকাশ করুন। সাধারণ মানুষের সংগ্রামের সঙ্গে, তাদের রক্তের সঙ্গে আপনারা একাত্মতা ঘোষণা করে এই দেশকে আবারও মুক্ত করার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ুন।’

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২


সর্বাধিক পঠিত

‘যতই দৌড়ঝাঁপ করুক, শেখ হাসিনা আর ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবেন না’

‘যতই দৌড়ঝাঁপ করুক, শেখ হাসিনা আর ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবেন না’

যতই দৌড়ঝাঁপ করুক, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবেন না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তার মতে, আওয়ামী লীগ সরকারের এখন সব অবৈধ সত্তা শেষ হয়ে গেছে। ফলে দেনদরবার করে আর লাভ হবে না।শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন রিজভী। নবগঠিত গাজীপুর জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।বিএনপির সিনিয়র এ নেতা দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী প্রতিবেশী দেশ সফরে গিয়েছিলেন কীভাবে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা যায় সেই বোঝাপড়া করতে। রিজভী বলেন, দেশের স্বার্থে নয়, তিনি সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে পারেননি। তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে পারেননি।তিনি বলেন, মানুষ বিশ্বাস করে তিনি পর্দার আড়ালে ভারতের কাছে গ্যারান্টি চেয়েছেন টিকে থাকার জন্য। কারণ তিনি এমন বলেছেন, ভারতকে আমি এত কিছু দিয়েছি যে তারা কোনোদিন ভুলে থাকতে পারবে না। কিন্তু কি দিয়েছেন সেটা কোনোদিন বলেননি।আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে সারা দেশের মানুষ জেগে উঠেছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, যত নির্যাতন করুন, মিথ্যা মামলা দিন, হামলা করুন জনগণকে দমিয়ে রাখতে পারবেন না। অচিরেই সরকারকে বিদায় নিতে হবে।শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, গাজীপুর জেলা সভাপতি ফজলুল হক মিলন, সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল হান্নান, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এসএম জিলানি, সদস্য সচিব রাজিব আহসান প্রমুখ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২


প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে বাংলাদেশের ‘দৃশ্যমান কোনো অর্জন’ নেই : ফখরুল

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে বাংলাদেশের ‘দৃশ্যমান কোনো অর্জন’ নেই : ফখরুল

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে বাংলাদেশের ‘দৃশ্যমান কোনো অর্জন’ নেই। মির্জা ফখরুল বলেন, বলা হয়েছিল সীমান্তে হত্যা জিরোতে আনা হবে। যেদিন এ কথা বলা হয়েছে, সেদিনই দিনাজপুরের সীমান্তে একজনকে হত্যা করা হয়েছে আর দুজন নিখোঁজ হয়েছে, এই হচ্ছে প্রাপ্তি।আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের পরে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে বাংলাদেশের কী অর্জন হয়েছে জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব এ মন্তব্য করেন।এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘এই সফরে বাংলাদেশের অর্জন এখন পর্যন্ত আমরা যেটা দেখতে পারছি যে ৫৩ কিউসেক পানি কুশিয়ারা নদীর। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত আমরা দৃশ্যমান কোনো অর্জন দেখতে পাইনি।’প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে চার দিনের সফর শেষ করে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে দেশে ফিরেছেন। এ সফরকালে কুশিয়ারা নদীর পানি প্রত্যাহার, রেলের আধুনিকায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে ভারতের সঙ্গে সাতটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি যে সরকার মরিয়া হয়ে উঠেছে। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে যে এ সফরের আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী (এ কে আব্দুল মোমেন) বলেছিলেন, তিনি ভারতীয় নেতৃবৃন্দের কাছে অনুরোধ করেছেন যে আওয়ামী লীগ সরকারকে যেকোনো উপায়ে টিকিয়ে রাখার জন্য তাঁরা যেন ব্যবস্থা নেন।’ফখরুল বলেন, ‘আমরা সব সময় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি এবং এটা আমরা বিশ্বাস করি, যেসব দেশ গণতান্ত্রিক, তারা সব সময় সারা বিশ্বে গণতন্ত্র সমুন্নত রাখার জন্য, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তাদের ভূমিকা অক্ষুণ্ন রাখবে। ভারত আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ, গণতান্ত্রিক দেশ। আমরা বিশ্বাস করি, ভারতও তাদের যে গণতান্ত্রিক চরিত্র, সেই চরিত্র অক্ষুণ্ন রাখবে।’

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২


নারায়ণগঞ্জে যুবদল কর্মী শাওনের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে শোকমিছিল

নারায়ণগঞ্জে যুবদল কর্মী শাওনের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে শোকমিছিল

নারায়ণগঞ্জে বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে গুলিতে যুবদলের কর্মী শাওন প্রধানের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে শোকমিছিল ও সমাবেশ করেছে জেলা যুবদল। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ভুঁইগড় এলাকায় যুবদলের নেতা–কর্মীরা এ কর্মসূচি পালন করেন।জেলা যুবদলের আহ্বায়ক গোলাম ফারুকের নেতৃত্বে মিছিলে সদস্যসচিব মশিউর রহমানসহ যুবদলের অন্য নেতা–কর্মীরা অংশ নেন। সদর উপজেলার ফতুল্লার ভুইঁগড় এলাকা থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি জালকুড়ি পাসপোর্ট অফিসের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে যুবদলের নেতা–কর্মীরা বক্তব্য দেন। এদিকে শোকমিছিল ও সমাবেশ এলাকায় পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি দেখা গেছে।মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আহ্বায়ক গোলাম ফারুক বলেন, ‘শাওনকে মিছিলে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। শাওন হত্যার পর পরিবারকে দিয়ে আবার বিএনপির নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশ মিথ্যা মামলা করিয়েছে। আমরা শাওন হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। যত দিন খালেদা জিয়া মুক্ত না হবেন, দেশের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার দেশের মানুষ ফিরে না পাবে, তত দিন রাজপথে এ আন্দোলন চলছে, চলবে।’ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিজাউল হক বলেন, সকালে যুবদলের ৫০ থেকে ৬০ নেতা–কর্মী অল্প সময়ের জন্য শোকমিছিল বের করেছিলেন। পুলিশ তাঁদের সঙ্গে ছিল, তবে বাধা দেওয়া হয়নি।এর আগে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার ছয় দিন পর গতকাল বুধবার নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল শহরের খানপুর বরফকল এলাকায় শোকমিছিল ও সমাবেশ করেছিল।গত বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জে বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবদল কর্মী শাওন প্রধানের মৃত্যু হয়। বিএনপি তাঁকে যুবদলের কর্মী বলে দাবি করে। বিএনপির মিছিলে অংশ নেওয়া শাওনের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অন্যদিকে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগ শাওনকে যুবলীগের কর্মী দাবি করে মিছিল করে। শাওন মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ শাওনে বড় ভাই মিলন হোসেনকে দিয়ে বিএনপির পাঁচ হাজার নেতা–কর্মীসহ অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করে। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে জেলা বিএনপির ৭১ নেতা–কর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৭০০ থেকে ৮০০ নেতা–কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২


বিএনপি এবার কোনোভাবেই পরাজিত হবে না : মির্জা ফখরুল

বিএনপি এবার কোনোভাবেই পরাজিত হবে না : মির্জা ফখরুল

বিএনপি এবার কোনোভাবেই পরাজিত হবে না উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এবার আমাদের বিজয় লাভ করতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। কারণ ভোলায় নুরে আলম ও আব্দুর রহিম এবং নারায়ণগঞ্জে শাওনের আত্মত্যাগকে কোনোভাবেই বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না।পুলিশ ও আওয়ামী লীগ বিএনপিকে আর কোনো ছাড় দেবে না, জনগণের শক্তি দিয়ে ছাড়টা আদায় করে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, আমাদের বিভ্রান্ত হওয়ার সুযোগ নেই। পুলিশ ও সরকার কোনো ছাড় দেবে না, প্রশ্নই উঠতে পারে না। ।শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম ও উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরামের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।নারায়ণগঞ্জে পুলিশের গুলিতে নিহত রাজা আহমেদ শাওন যুবদলের কর্মী ছিলেন বলে এসময় আবারও দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব। আমরা খুব পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, শাওন অবশ্যই যুবদলের কর্মী ও নেতা। শাওন অবশ্যই বিএনপিকে সমর্থন করত এবং কাজ করত।সরকার বিএনপির আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, এজন্য আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ অত্যন্ত সতর্কভাবে নিতে হবে। আমরা যেন নতুন কোনো চক্রান্তের মধ্যে না পড়ি, আবার যেন আমাদের দমন করার জন্য তাদেরকে (সরকার) কোনো সুযোগ করে না দিই, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।এত সহজে মুক্তি পাওয়ার সুযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, সহজ সমাধানও নেই যে আমরা পুরোপুরি মুক্তি পেয়ে যাব। এই লড়াইটা লড়তে হবে। আমাদের তো অনেক বয়স হয়েছে। আমরা এই লড়াই লড়ছি ছাত্র অবস্থা থেকে। আমাদেরকেও এই লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। আর আজকে এই লড়াইয়ের দায়িত্ব এসে পড়েছে তরুণ সমাজের ওপর।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২


গণতন্ত্রের অধ্যায় সূচনা করেছেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান : ফখরুল

গণতন্ত্রের অধ্যায় সূচনা করেছেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান : ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বিএনপি গঠনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছেন। তিনি সূচনা করেছিলেন গণতন্ত্রের অধ্যায়। তিনি সূচনা করেছিলেন মুক্তবাজার অর্থনীতি। সূচনা করেছিলেন সংবাদপত্রের স্বাধীনতার। তিনি সূচনা করেছিলেন মানুষের মুক্তি, মানুষের স্বাধীনতার।’বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচার ও ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে নতুন কমিশন গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আমরা নতুন কমিশন গঠন করব। জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচার ও হত্যাকাণ্ডের পেছনে কারা ষড়যন্ত্রকারী ছিল তাদের খুঁজে বের করা হবে।’বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর শেষে তিনি এসব কথা বলেন।ফখরুল বলেন, ‘আজকের এই দিনে আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে। যিনি এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে একটি বহুদলীয় গণতান্ত্রিক সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন। তিনি বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদের নতুন দর্শনের ভিত্তিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গঠন করেছেন।’তিনি বলেন, ‘একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া বিএনপির সামনের দিনের চ্যালেঞ্জ। কারণ অনির্বাচিত সরকার হত্যা, গুম, খুন নির্যাতন করে জনগণের ন্যায় দাবির আন্দোলন নস্যাৎ করতে চায়। কিন্তু আমাদের পরিষ্কার কথা জনগণের ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন, হত্যা, গুম, খুন করেও নস্যাৎ করা যাবে না। তাদের ষড়যন্ত্র সফল হবে না। জনগণের বিজয় হবেই।’বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অত্যন্ত লজ্জা ও ঘৃণার সঙ্গে আমরা বলতে চাই গত কয়েকদিনে এই ফ্যাসিবাদী সরকার নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করছে। জনগণের ন্যায্য আন্দোলন জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ করতে গেলে হামলা করা হচ্ছে।’

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২


খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে শেখ হাসিনার বক্তব্য রাজনৈতিক শিষ্টাচার বিবর্জিত : ফখরুল

খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে শেখ হাসিনার বক্তব্য রাজনৈতিক শিষ্টাচার বিবর্জিত : ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গতকাল এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার সম্পর্কে যে উক্তি করেছেন আমরা কল্পনাও করতে পারি না। প্রধানমন্ত্রী অবৈধভাবে বসে থাকলেও এই ধরনের উক্তি করতে পারেনা। এটা সমস্ত রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত। এর কারণ এটা হচ্ছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, প্রতিমুহূর্তে খালেদা জিয়াকে তিনি হিংসা করেন। এজন্য তার বিরুদ্ধে একেবারে অনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত কথা বলেন, যা দেশের মানুষ ভালো চোখে দেখে না।খালেদা জিয়া তার মৌলিক অধিকার চিকিৎসা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ম্যাডামের চিকিৎসকরা বারবার বলছেন— বিদেশে একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে তার চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু দুর্ভাগ্য, রাষ্ট্র ক্ষমতায় অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বসে আছেন, যার মধ্যে ন্যূনতম রাজনৈতিক শিষ্টাচার পর্যন্ত নেই। তিনি বিদেশ যেতে অনুমতি দিচ্ছে নাবুধবার (৩১ আগস্ট) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে পরাজিত করতে হবে বলে মনে করছেন মির্জা ফখরুল ।তিনি বলেন, আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে দলকে সংগঠিত করা। এরপর জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে রাজপথে গণ-আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে পরাজিত করতে হবে।হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্নার রোগমুক্তি কামনায় কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে যুবদল।সরকারকে ক্ষমতা থেকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে বলে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এরপর সংসদ বিলুপ্ত করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সেই সরকার নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করবে এবং এর অধীনে একটি সুষ্ঠু-অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।তিনি আরও বলেন, আজকে আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করব যেন আমাদের সবাইকে তৌফিক দেন যে সংগ্রামের মধ্যদিয়ে অবৈধ সরকারকে পরাজিত করতে পারি। বাংলাদেশের মানুষকে স্বাধীনতা যেন ফিরিয়ে দিতে পারি। খালেদা জিয়াকে যেন যেন মুক্ত করতে পারি।তিনি বলেন, আজকে বিএনপির সবচেয়ে বড় দায়িত্ব খালেদা জিয়া ও জিয়াউর রহমানের সৈনিক হিসেবে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে পরাজিত করে আমাদের সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। আমাদের সামনে আরও কোনো বিকল্প রাস্তা নেই। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দিনরাত কাজ করছেন গণতন্ত্রকে ফিরে আনার জন্য।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩১ আগস্ট ২০২২


আওয়ামী লীগের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ হচ্ছে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ : মির্জা ফখরুল

আওয়ামী লীগের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ হচ্ছে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ : মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ হচ্ছে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ। দলটির রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে বল প্রয়োগের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করছে। বিএনপির চলমান আন্দোলন কর্মসূচিতে সরকার ভীত হয়ে দমন পীড়নের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। অথচ ‘অবৈধ’ সরকার প্রধান কয়েক দিন আগে বলেছিল— বিএনপির কোনো কর্মসূচিতে আর বাধা দেওয়া হবে না। এর মানে হচ্ছে মুখে এক কথা বলবে আর কাজ করবে আরেকটি। এটাই তাদের আসল চরিত্র।সোমবার (২৯ আগস্ট) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক জামায়াতের ‘জোট ত্যাগ’ প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, আপনারা বলতে পারেন, জিজ্ঞাসা করতে পারেন। কিন্তু এ ব্যাপারে আমি উত্তর দেব না। জিজ্ঞাসা করাটা আপনাদের যেমন গণতান্ত্রিক অধিকার, ঠিক তেমনি উত্তর না দেওয়াটাও আমার গণতান্ত্রিক অধিকার। আপনারা গণতান্ত্রিকভাবে যা খুশি বলতে পারেন, লিখে দেন নো প্রবলেম।জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বিএনপির কর্মসূচি ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, আমাদের কর্মসূচি গত ২২ আগস্ট থেকে চলমান রয়েছে, এই কর্মসূচি সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। কর্মসূচিতে আমরা অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি। যেসব জেলা উপজেলা ইউনিয়ন মহল্লায় কর্মসূচি পালন করা সম্ভব হয়নি সেসব স্থানে চলমান কর্মসূচি আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ আগস্ট ২০২২


আওয়ামী লীগকে বিশ্বাস করা মানে আল্লাহকে অবিশ্বাস করা: গয়েশ্বর

আওয়ামী লীগকে বিশ্বাস করা মানে আল্লাহকে অবিশ্বাস করা: গয়েশ্বর

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আওয়ামী লীগ মুখে যা বলে, করে তার উল্টো। আওয়ামী লীগ মুখে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথা বলেই ক্ষমতায় এসেছে। অথচ আজ ঠিক তার উল্টোটাই করছে। এই দলকে বিশ্বাস করা মানে আল্লাহকে অবিশ্বাস করা। আল্লাহকে তো আর অবিশ্বাস করা যাবে না তাহলে আওয়ামী লীগকে অবিশ্বাস করতে হবে। এই সরকারের অধীনে যেহেতু নির্বাচনে যাচ্ছি না সুতরাং ইভিএম ১টা আসনে দিবে না ১০টা আসনে সেটা নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন নেই। রোববার (২৮ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম মিলনায়নে জাতীয়তাবাদী প্রজম্ম ৭১ এর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাব না এ সিদ্ধান্তে আমাদের অটল থাকতে হবে। আমাদের অ্যাকটিভিটির মাধ্যমে এখন থেকেই যেন জনগণ সেই বার্তা পায়। আমাদের আরও সাহসী হতে হবে। আঘাত আসলে পাল্টা আঘাত করতে হবে। রাজপথে সক্রিয় থেকে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে।গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও বলেন, একটা পজিটিভ দিক হলো বিএনপি এখন শুধু মার খায় না তারা মার দেয়। এটা বিএনপির জন্য গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার যুদ্ধ। জনগণের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার যুদ্ধে অনেক রক্ত যাবে, অনেক ক্ষয়ক্ষতি হবে। জনগণের জন্য বিএনপিকে এই যুদ্ধে নামতেই হবে। পুলিশ বাহিনীর উদ্দেশ্য তিনি বলেন, পুলিশকে আক্রমণ করা ঠিক নয়। তারা কর্তব্য পালন করছে। যদি তারা বাড়াবাড়ি করে আর জনগণ মনে করে ইউনিফর্মকে সম্মান করবে না তাহলে কিছুই করার নেই।তিনি আরও বলেন, বিদেশি চাপে সরকার হয়তো বলছে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর আমরা কোনো হামলা মামলা করব না কিন্তু গত ১৫ দিনের পত্রিকার দিকে খেয়াল করেন। গত কয়েকদিন আগে যশোরে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা তরিকুল ইসলামের বাসায় হামলা করা হয়েছে।গয়েশ্বর বলেন, সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সিক্রেট ডায়েরি ফাঁস করে দিয়েছে। এই সিক্রেট ডায়েরির রাজ সাক্ষি তিনি। যেহেতু জনগণের কাছে তিনি এটি প্রকাশ করছেন সেজন্য তাকে আমরা ধন্যবাদ জানাতে পারি। প্রধান আলোচকের বক্তব্য বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান বলেন, সরকার অনুগত নির্বাচন কমিশন বসিয়েছে। এই আউয়াল কমিশন আমরা মানি না। বর্তমানে বিএনপির সঙ্গে সব দল একমত তারা নির্বাচনে যাবে না। বর্তমান সরকার গণতন্ত্র চায় না। সরকার জানে জনগণ তাদের সমর্থন করবে না। তাই তো তারা ভারতের সাহায্য চায়।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ আগস্ট ২০২২


জাতীয় কবির মাজারে বিএনপির পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ

জাতীয় কবির মাজারে বিএনপির পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।শনিবার সকাল ৭টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবির মাজারে যান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি দলের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে জাতীয় কবির মাজারে বিএনপির পক্ষে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এ সময় তার সাথে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক সিকদারসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রুহুল কবির রিজভী বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের অনুপ্রেরণা যোগায়। আমরা বর্তমানে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যে সংগ্রামে আছি তার মূল প্রেরণা যোগায় কিন্তু কবি নজরুল ইসলাম এবং তার রচিত গান ও কবিতা। তিনি নিজেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে দুঃশাসনের অভিঘাত সয়েছেন। জেলে গিয়েছেন। আজকে বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা নেই। কেউ সত্য উচ্চারণ করতে পারেন না। চলাচল করতে গেলে ভীতির সঞ্চার হয়। কথা বলতে গেলে ভীতির সঞ্চার হয়। এ সময়ও তার তুঙ্গস্পর্শী লেখনী আমাদেরকে উজ্জীবিত করে। যে কারণেই আমরা তাকে স্মরণ করছি।তিনি বলেন, কবি নজরুল দ্রোহের কবি। তিনি অন্যায় অত্যাচার ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে লড়েছেন। এজন্য তিনি দ্রোহের কবি। তিনি বিশ্ব মানবতার কবি, অসাম্প্রদায়িক কবি। একইসাথে তিনি মানুষকে ভাসিয়ে দিয়েছেন প্রেম ভালোবাসার অভূতপূর্ব জগতে। তিনি তার লেখনী দিয়ে আমাদেরকে পৌঁছে দিয়েছেন অনন্য উচ্চতায়। তিনি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ আগস্ট ২০২২


'মহিলা দলের ১০ নেত্রীর বহিস্কারের চিঠি ভুয়া'

'মহিলা দলের ১০ নেত্রীর বহিস্কারের চিঠি ভুয়া'

কেন্দ্রীয় ও মহানগর মহিলা দলের দশ নেত্রীকে বহিস্কারের একটি চিঠি ফেসবুকে ভাসছিল, যা ভুয়া বলে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা সুলতানা আহমেদ।সাধারণ সম্পাদিকা স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে এ ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।চিঠিতে সুলতানা আহমেদ বলেন, "জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের বিভিন্ন থানার নেত্রীদের ও সদস্যদের বহিস্কার প্রত্যাহারে অবগত। পত্র অনুযায়ী জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের আদের্শে 'মহানগর, কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন থানার মহিলাদের কে বহিস্কারের নির্দেশ এবং নোটিশ বা পত্র, দপ্তরে কারো কাছে এর সত্যতা পাওয়া যায় নাই।"আমি কাউকে বহিস্কারের স্বাক্ষর ও নির্দেশ দেই নাই। জাতীয়তাবাদী মহিলা দল একটি সু-শৃখল দল এরা দীর্ঘদিন দরে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামকরছে। দলে এদের কে খুবই প্রয়োজন।"চিঠিতে তিনি বলেন, "তাই সকলের অবগতির জন্য সার্বিক বিবেচনা করে এদের বহিস্কার উড়ো চিঠি প্রত্যাহার করা হল এবং তারা জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাথে সংযুক্ত থাকবে।"যাদের বহিস্কার আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে তারা হলেন-১। সামসুন নাহার ভুঁইয়া, কাউন্সিলর, সাবেক সাধারন সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সদস্য মহিলা দল।২। মনি বেগম, সাবেক কাউন্সিলর, কেন্দ্রীয় সদস্য, সদস্য সচিব বৃহত্তর সুত্রাপুর থানা।৩। মাকসুদা খান লতা, সভানেত্রী যাত্রাবাড়ী থানা ও কেন্দ্রীয় সদস্য।৪ । বিউটি বেগম, সভানেত্রী মতিঝিল থানা।৫। মুন মুন, সহ সভানেত্রী যাত্রাবাড়ী থানা।৬। নাসিমা তালুকদার, সভানেত্রী শ্যামপুর থানা।৭। কোহিনুর বেগম, সাংগঠনিক মতিঝিল থানা।৮ । অধ্যাপক নায়লা বেগম, সভানেত্রী ডেমরা থানা।৯ । আলেয়া বেগম, যুগ্ম আহবায়িকা, বৃহত্তর সুত্রাপুর থানা।১০। মহুয়া, প্রচার সম্পাদক যাত্রাবাড়ী থানা।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৬ আগস্ট ২০২২


বিএনপি ফিনিক্স পাখির মতো ধ্বংসাবশেষ থেকে জেগে উঠছে : মির্জা ফখরুল

বিএনপি ফিনিক্স পাখির মতো ধ্বংসাবশেষ থেকে জেগে উঠছে : মির্জা ফখরুল

এবার গ্রাম পর্যায়ে বিএনপি সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু করেছে জানিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা জেগে উঠছি, সবাইকে জেগে উঠতে হবে, নেতাকর্মীদের ত্যাগ ও অশ্রু বৃথা যেতে দেওয়া হবে না। আমাদের আন্দোলনের মাধ্যমে ভয়াবহ এই দানবীয় সরকারকে হটাতে হবে। দানব সরকারকে হটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। গত ৯ বছরে গুম, খুনের শিকার বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ১৪ পরিবারকে এককালীন শিক্ষাবৃত্তি ও আর্থিক অনুদান দেয় জাতীয়তাবাদী হেল্প সেলের উদ্যোগে।মির্জা ফখরুল বলেছেন, চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল থেকে গ্রাম পর্যায়ে বিএনপির আন্দোলন শুরু হয়েছে। সেই আন্দোলনে মানুষ রাস্তায় নামতে শুরু করেছে। বিএনপি সেই ফিনিক্স পাখির মতো ধ্বংসাবশেষ থেকে জেগে উঠছে । এতো হত্যা, গুম, নির্যাতনের পরও বিএনপিকে দমাতে ব্যর্থ হওয়ায় শেখ হাসিনার সরকারের বড় ক্ষোভের জায়গা।দেশের উন্নয়ন নয়, জনগণের পকেট কেটে নিজেদের পকেট ভরিয়েছে সরকার— এমন মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই অনির্বাচিত দানবীয় সরকারকে পরাজিত করে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে দলের গুম, খুন, নির্যাতনের শিকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পুনর্বাসন করা হবে।গণতন্ত্র চায় এমন মানুষ এই দেশে এখন কেউ নিরাপদ নয় বলে দাবি করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্রের নেত্রী খালেদা জিয়া এ মুহূর্তে কারাগারে অন্তরীণ না হলেও গৃহ অন্তরীণ রয়েছেন। গতকালও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে যেতে হয়েছে। চিকিৎসকরা তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার কথা বললেও সরকার অনুমতি দেয়নি, দিচ্ছে না।‘খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে দিচ্ছেন না কারণ এ সরকারের ভয় তিনি বের হলে তাকে সামাল দিতে পারবে না’ —দাবি করেন মির্জা ফখরুল। অনুষ্ঠানে ভোলা জেলার নুর আলম, আব্দুর রহিম, নুরুল আলম নুরু, মো. সুমন ইসলাম, মো. লিখন খান, অমিত হাসান, আল আমিন, মনির হোসেন, সানাউল্লাহ, ফেনী জেলার আবুল কালাম, জামশেদ আলম, হেলাল উদ্দিন, চট্টগ্রামের ইয়ামিন আরাফাত, নেত্রকোণার মন্জুরুল হক মঞ্জু পরিবারের সদস্যদের মধ্যে অর্থ সহায়তা তুলে দেন মির্জা ফখরুল।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৩ আগস্ট ২০২২


'ছেলে ঘুমালো, পাড়া জুড়ালো, আওয়ামী লীগ এলো দেশে'

'ছেলে ঘুমালো, পাড়া জুড়ালো, আওয়ামী লীগ এলো দেশে'

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,‘আমি সবসময় বলার চেষ্টা করি এই সরকার বর্গীদের সরকার। ছোটবেলায় শুনতাম- খোকা ঘুমালো পাড়া জুড়ালো বর্গী এলো দেশে। আজকে এরা ঠিক বর্গীদের ভূমিকা পালন করছে। আজকে বাচ্চাদের ঘুম পাড়ানোর জন্য বলতে হবে আওয়ামী লীগ এলো দেশে।’তিনি বলেন, ‘রাস্তায় সিনেমার পোস্টারে দেখেছি, সেখানে লেখা রয়েছে 'জন্ম থেকেই জ্বলছি'। এ সরকারের আমলে বলা যাবে না যে- জন্ম থেকেই জ্বলছি। বলতে হবে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই জ্বলছি। এই জ্বালা এমন একপর্যায়ে যাচ্ছে সেটা অসহনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লা‌বের আব্দুস সালাম হ‌লে বিএন‌পি আ‌য়ো‌জিত দুর্নী‌তি জ্বালা‌নি সঙ্কটের উৎস শীর্ষক এক সে‌মিনা‌রে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা ব‌লেন।ফখরুল বলেন, ‘আজ জ্বালানির যে সংকট, এর মূল উৎস হচ্ছে দুর্নীতি। আজ তারা (আওয়ামী লীগ) জ্বালানিকে দুর্নীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। শুধু জ্বালানি খাত নয় সমস্ত খাতকে। বাংলাদেশের কোনো খাতকে তারা বাকি রাখেনি। আপনারা দেখেছেন আওয়ামী লীগ সরকার করোনার সময় কীভাবে মানুষের জীবন নিয়ে, স্বাস্থ্য নিয়ে দুর্নীতি করেছে। গার্ডার পড়ে কীভাবে পাঁচজনের জীবন গেল। সড়ক খাতে সারাদেশ প্রতিদিন লোক মারা যাচ্ছে।’বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘১৯৭১ সালে আমরা স্বাধীনতার যুদ্ধ করেছিলাম। ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছিল, আমাদের ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম চলে গিয়েছিল। বর্তমানে এই দেশটাকে দেখার জন্য নয়। আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৌম গণতন্ত্র সমাজ দেখতে চেয়েছিলাম। একটি মুক্ত উদার গণতন্ত্রের মধ্যে আমরা বাস করতে চেয়েছিলাম। আজকে এরা কি করেছে? সম্পূর্ণভাবে ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। কোথাও কথা বলতে পারবেন না, কোথাও লিখতে পারবেন না, কোথাও যেতে পারবেন না। এরা প্রতিমুহূর্তে বাংলাদেশকে মিথ্যার মধ্য দিয়ে প্রচারণার মধ্য দিয়ে জনগণকে বোকা বানিয়ে যাচ্ছে।’চা-শ্রমিকদের প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘আজ শ্রমিকরা রাস্তা নেমেছে, তাদের ন্যূনতম দাবি ৩০০ টাকা মজুরির জন্য। সেখানে কিন্তু তাদের ১০-১২ হাজার টাকা আসে না। যেখানে মানুষের মাথাপিছু আয় ২৮০০ ডলার, আর এখানে তারা বেতন পাচ্ছেন ১২০ টাকা। এই যদি একটা দেশ হয়, এই যদি একটা সমাজ হয়, এ যদি অর্থনীতির হিসাব হয়, তাহলে তো স্বাধীনতার মূল্য আছে বলে আমার কাছে মনে হয় না।’অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. ইলিয়াস খান, সাংবাদিক নেতা কাদের গনি চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ আগস্ট ২০২২