বিএনপি


বিএনপির ১০ ডিসেম্বর গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে লিফলেট বিতরণ

বিএনপির ১০ ডিসেম্বর গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে লিফলেট বিতরণ

আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে লিফলেট বিতরণ করছে বিএনপি। সোমবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর বেইলি রোড ও আশপাশের এলাকায় লিফলেট বিতরণ করে দলটির বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।লিফলেট বিতরণ করার সময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আগামী ১০ তারিখ বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন ধরনের তৎপরতা চালিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। এখন পর্যন্ত ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণে বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।বিএনপির ঢাকা বিভাগের গণসমাবেশ সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ হবে বলে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, দেশের ৯টি বিভাগে ইতমধ্যে যেভাবে গণসমাবেশ হয়েছে, ঠিক সেভাবে ঢাকায়ও গণসমাবেশ হবে। এখানে ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে আমাদের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করবেন। কিন্তু সরকার সেটাকে ব্যাহত করতে চাচ্ছে। এসব কর্মকাণ্ড তো ফ্যাসিস্ট, কর্তৃত্ববাদী সরকার করে থাকে। গ্রেপ্তার করে বিএনপির কর্মসূচিতে জনতার ঢল থামানো যাবে না বলে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, আমরা যাদেরকেই লিফলেট দিচ্ছি তারাই বলছেন আমাদের সমাবেশে তারা উপস্থিত থাকবেন। তাদের মনের আকুতি ও আকাঙ্ক্ষা কিন্তু সরকার বন্ধ করতে পারবেনা।শিগগিরই ঢাকা বিভাগীয় বিএনপির গণসমাবেশের স্থান নিয়ে জটিলতা নিরসন হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৬ ডিসেম্বর ২০২২


সরকার এখন জঙ্গিদের ধারণ করছে : মির্জা ফখরুল

সরকার এখন জঙ্গিদের ধারণ করছে : মির্জা ফখরুল

সরকার নিজেরাই নাশকতা করছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমি আজকে সুনির্দিষ্টভাবে বলতে চাই, সরকার নাশকতা করছে। সরকার জঙ্গিবাদ করছে। সরকার এখন জঙ্গিদের ধারণ করছে।রোববার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বিএনপির গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা গণপরিবহন বন্ধ করেছে। পুলিশকে ব্যবহার করে বেআইনি অসংখ্য গায়েবি মামলা দিয়ে অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।সরকার বিএনপির ১০ তারিখের সমাবেশকে ঘিরে অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি করছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার প্রতিশোধে মেতে উঠেছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকারের একেবারে উচ্চ পর্যায়ের মন্ত্রীরা অহেতুক কথা বলে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য যা যা করার দরকার তাই করছে।বিএনপির খেলার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বিশ্বাস করি বাস্তবতার খেলায়। অধিকার ফিরে পাওয়ার রাজনীতিতে আমরা বিশ্বাস করি।আগামী ১০ তারিখ বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ হবে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ দাবি ও কর্মসূচিগুলো সমাবেশ থেকে দেওয়া হবে। আমরা কখনও বলিনি এখানে এমন কিছু করা হবে, যেটাতে সমস্যা হবে। বরং সমস্যা তৈরি করছে সরকার।সরকার বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগরে একটা ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করছে বলেও দাবি করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, নাশকতা তারাই শুরু করেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ ডিসেম্বর ২০২২


'খালেদা জিয়ার বাসার সামনে সেই বালির ট্রাকের কায়দায় চেকপোস্ট-ব্যারিকেড'

'খালেদা জিয়ার বাসার সামনে সেই বালির ট্রাকের কায়দায় চেকপোস্ট-ব্যারিকেড'

রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাড়ির সামনে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার বাসার সামনে সেই বালির ট্রাকের কায়দায় চেকপোস্ট-ব্যারিকেড দিয়ে পুলিশ অবরোধ করে রেখেছে। এটি নেত্রীর ওপর নির্যাতনের আরেকটি নতুনমাত্রা। এমনিতেই খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে, তার ওপর একের পর এক বন্দিত্বের ঘেরাটোপে তাকে আরও কঠোরভাবে বন্দি করে রাখার পায়তারা চলছে।রোববার (৪ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী।এসময় কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর বিষয়ে রিজভী বলেন, রাজশাহীর সমাবেশ থেকে ফেরার পথে আমিনবাজারে টুকু, নুরুল ইসলাম নয়নসহ যুবদলের নেতাদের তুলে নিয়ে গেছে ডিবি পুলিশ। তুলে নিয়ে যাওয়ার পরও তাদের কোনো খোঁজ দেয়নি।১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনের জনসমাবেশকে বানচাল করতে সরকারের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ‘অন্তর্ঘাতমূলক’ কাজে নেমেছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব।তিনি বলেন, কর্তৃত্ববাদী সরকারের সিংহাসন নড়ে উঠাতেই ওরা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে। টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, অর্থপাচার ও ভূমি দখলের মতো অপরাধগুলোর সঙ্গে জড়িত থাকায় তারা ক্ষমতা ছাড়তে চায় না। কারণ অবৈধভাবে অর্থবিত্তের মালিক হওয়ায় ওরা বিচারের হাত থেকে বাঁচতে ক্ষমতা আঁকড়ে রেখেছে। তাই ১০ ডিসেম্বর সমাবেশকে নিরাপদ মনে করছেন না শেখ হাসিনা।এসময় রুহুল কবির রিজভী খালেদা জিয়ার বাড়ির সামনের চেকপোস্ট প্রত্যাহারের দাবি জানান। একই সঙ্গে যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও সহ-সভাপতি নয়নকে তার পরিবারের কাছে হাজির করার আহ্বান জানান।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ ডিসেম্বর ২০২২


আ.লীগ এখন আর কোন রাজনৈতিক দল নয়, লুটেরা দল

আ.লীগ এখন আর কোন রাজনৈতিক দল নয়, লুটেরা দল

আওয়ামী লীগ এখন আর কোন রাজনৈতিক দল নয়, সব সেক্টরে দুর্নীতি করে লুটেরা দলে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার বিকালে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা ময়দানে (হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ) বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।মির্জা ফখরুল বলেন, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া দেশে কোন নির্বাচন হবে না।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ ডিসেম্বর ২০২২


রাজপথে নামার পর আবারও মামলার জালে পড়েছে বিএনপি

রাজপথে নামার পর আবারও মামলার জালে পড়েছে বিএনপি

রাজপথে নামার পর আবারও মামলার জালে পড়েছে বিএনপি। ২২ আগস্টের পর থেকে গত ৩ মাসে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৫৮ জেলায় ২৬১টি মামলা হয়েছে। এরমধ্যে গত ১০ দিনেই হয়েছে ১৬৫টি মামলা। এছাড়া সচল করা হচ্ছে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে করা পুরোনো মামলাও। আন্দোলন দমাতে মামলা দায়ের আওয়ামী লীগের ‘রাজনৈতিক কৌশল’ বলে মনে করছেন বিএনপি নেতারা। তারা দাবি করেন, সম্প্রতি যেসব মামলা হয়েছে তার সবই ‘গায়েবি’। কোনো ঘটনার সঙ্গেই বিএনপির নেতাকর্মীদের সংশ্লিষ্টতা নেই। অথচ এসব মামলায় এখন পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২২ আগস্ট থেকে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ নানা ইস্যুতে রাজপথে কর্মসূচি পালন করছে দলটি। প্রথমে তৃণমূলে বিক্ষোভ সমাবেশের পর এখন বিভাগীয় পর্যায়ে গণসমাবেশ করছে।জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যুগান্তরকে বলেন, ‘এই সরকার আবারও পুরোনো খেলা শুরু করেছে। ককটেল ফাটাতে দেখেনি কেউ, অথচ মামলা দিয়েছে পুলিশ। বিএনপির বিরুদ্ধে মামলা, কিন্তু সাক্ষী কিছুই জানেন না। কারণ ককটেলের কোনো শব্দই হয়নি, কেউ কিছু দেখেনি। বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা সবই গায়েবি মামলা।’তিনি বলেন, ‘এই সরকার নির্বাচিত হয়ে আসেনি, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে আছে। এখন টিকে থাকতে নতুন নতুন কৌশল আবিষ্কার করছে। সরকারের এসব গায়েবি মিথ্যা মামলায় নেতাকর্মীরা ভীত নন। গণসমাবেশের মধ্যে দিয়ে সারা দেশে যে গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে, তাতে তারা ভয় পেয়ে এসব করছে। কিন্তু কোনো কৌশলেই আর কাজ হবে না। জনগণ জেগে উঠেছে। এ সরকারকে পদত্যাগ করতেই হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচন হবে। যত দিন পর্যন্ত এই সরকার পদত্যাগ না করবে, তত দিন এই দেশে কোনো নির্বাচন হবে না।’বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এই অবৈধ সরকার বিভাগীয় গণসমাবেশে জনস্রোত দেখে ভয় পেয়ে গেছে। তাই গায়েবি মামলা দিচ্ছে। সারা দেশে গ্রেফতার অভিযান চালাচ্ছে। বিএনপি নেতাকর্মীরা এসবে আর ভয় পায় না। এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়েছে। তাদের পতন ঘটিয়েই নেতাকর্মীরা ঘরে ফিরবে।’বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল যুগান্তরকে বলেন, ‘রোববার (গতকাল) পর্যন্ত গত ১০ দিনেই সারা দেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ১৬৫টি মামলা হয়েছে। এতে কয়েক হাজার নামে আসামি আর অজ্ঞাত তো আছেই। এসব মামলার কোনো ধরনের আইনগত ভিত্তি নেই। বর্তমান সরকার পুলিশ বাহিনীকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। অতি উৎসাহী কিছু কর্মকর্তা ইচ্ছাকৃতভাবে মামলাগুলো দায়ের করছে। এসব মামলার জন্য জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের পক্ষ থেকে কেন্দ্রসহ জেলা-থানা পর্যায় পর্যন্ত নেতাকর্মীদের আইনি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তার কারণ নেই।’ জানা গেছে, ২২ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ৫৮ জেলায় ২৬১টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হয়েছে ঢাকা মহানগরে ১৭টি। রাজশাহীতে ১৩টি, নারায়ণগঞ্জে ১২টি, বগুড়ায় ৭টি, পাবনায় ৬টি, টাঙ্গাইলে ৬টি ও ঢাকা জেলায় ৬টি। এসব মামলায় নামে আসামি ৭ হাজারেরও বেশি এবং অজ্ঞাত প্রায় ২০ হাজার। গ্রেফতার করা হয়েছে পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে। দলটির কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু জানান, প্রতিদিনই মামলা হচ্ছে। প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি।বিএনপির হিসাব অনুযায়ী, ২০০৯ থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীর নামে ১ লাখ ১৫ হাজার মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ৩৫ লাখেরও বেশি আসামি করা হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় ও তৃণমূলের প্রায় সব নেতাই এসব মামলার আসামি। কারও কারও বিরুদ্ধে শতাধিক মামলাও রয়েছে। এসব মামলায় অনেকে কারাগারে। মামলায় হাজিরা দিতে প্রায় প্রতিদিন কেন্দ্রসহ তৃণমূল নেতাকর্মীদের আদালতের বারান্দায় ঘুরতে হচ্ছে। কেউ কেউ পরোয়ানা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অনেক মামলার বিচারও শুরু হয়েছে। আবার পুরোনো অনেক মামলায় নেতাদের নামে পরোয়ানাও জারি হচ্ছে।অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা পুরাতন মামলা সচল ও নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির আবেদনে উচ্চ আদালতের আদেশে একের পর এক বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে করা মামলা সচল হচ্ছে। এরই মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, জয়নাল আবদীন ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুর মামলা সচলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল যুগান্তরকে বলেন, ‘এসব মামলা ওয়ান-ইলেভেনের সময় করা হয়েছে। মামলাগুলোর আইনগত কোনো ধরনের উপাদান নেই এবং ছিলও না। বর্তমান এই সরকার সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দুদককে দিয়ে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে পুরাতন মামলা সচল করছে।গণতন্ত্রপন্থি ও মুক্তিকামী জনগণ এই অবৈধ ও কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। আর এজন্য সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে এ মামলাগুলো সামনে নিয়ে আসছে। যেজন্য দেশের সাধারণ মানুষ দুর্নীতি দমন কমিশনকে বিএনপি দমন কমিশন হিসাবে আখ্যা দিয়েছে।’দুদকের সিনিয়র আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান যুগান্তরকে বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দলকে দমন করা দুদকের উদ্দেশ্য নয়। দেখুন এসব মামলা অনেকদিন পড়ে আছে। দীর্ঘদিন ধরে মামলাগুলো লিস্টে আছে। দুর্নীতির মামলার বিচার হয় তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে, রেকর্ডের ভিত্তিতে। দুর্নীতি দমন কমিশনের লক্ষ্য দুর্নীতির মূলোৎপাটন করা। দুর্নীতির মামলাগুলো ত্বরিত নিষ্পত্তি চায় দুদক। এ কারণে আমরা শুনানির উদ্যোগ নিয়েছি।’

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ নভেম্বর ২০২২


১০ ডিসেম্বর দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে চায় বিএনপি

১০ ডিসেম্বর দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে চায় বিএনপি

রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকার বিভাগীয় গণসমাবেশ করতে চায় বিএনপি। সেই সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে আজ মঙ্গলবার দলটির পক্ষ থেকে কয়েকজন নেতা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের কার্যালয়ে যান। সেখান থেকে ফিরে এসে বিএনপি নেতারা বিষয়টি জানান।সকাল ১০টায় মিন্টো রোডের ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ে যান বিএনপির নেতারা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম, প্রচার সম্পাদক ও বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্যসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ সদস্যসচিব আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনুসহ আরও কয়েকজন।সেখান থেকে বের হওয়ার পর আমানউল্লাহ বলেন, ‘ছয়টি বিভাগীয় শহরে বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশ হয়েছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সেই সমাবেশের জন্য আমরা অনুমতি চেয়েছি। তাঁরা বলেছেন, তাঁরা আলাপ-আলোচনা করে সেটা বলবেন, আমাদের জানাবেন।’কোথায় অনুমতি চেয়েছেন, এ প্রশ্নের জবাবে আমানউল্লাহ বলেন, ‘আমরা আমাদের দপ্তর থেকে চিঠি দিয়েছি। আমরা পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুমতি চেয়েছি। এখানে আমরা আগেও সমাবেশ করেছি। আমরা বলেছি, সমাবেশটি হবে শান্তিপূর্ণ। নিরাপত্তার বিষয়টি তাঁরা দেখবেন বলে আমরা চিঠিতে বলেছি।’আগের সমাবেশগুলোর অবস্থা তুলে ধরে আমানউল্লাহ বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, চট্টগ্রামে সমস্ত বাসসহ সব পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে। এর পরে আরও পাঁচটি বিভাগীয় সমাবেশেও একই কাজ করা হয়েছে। আমরা বলেছি, এ ধরনের পরিবহন বন্ধ করা যাবে না। এ বিষয়টি তাঁদের দেখতে অনুরোধ করেছি। আমাদের সমাবেশে যারা আসবে, তারা যেন কোনো বাধার সম্মুখীন না হয়। তাদের ওপর যেন কোনো ধরনের আক্রমণ না করা হয়।’আমানউল্লাহ বলেন, ‘আমরা কমিশনার সাহেবকে বলেছি, আপনি আওয়ামী লীগের কমিশনার নন, বিএনপির কমিশনার নন, আপনি সরকারের কমিশনার। আপনি সরকারি কর্মকর্তা। এদিকে লক্ষ রেখে আপনি আপনার দায়িত্ব পালন করবেন। আমাদের পক্ষ থেকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব।’আজ ডিএমপি কমিশনারের কাছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ধরপাকড়ের বিষয়টিও তুলে ধরা হয় বলে জানান আমানউল্লাহ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ নভেম্বর ২০২২


আমাদের দাবি একটাই, শেখ হাসিনাকে সংসদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে : মির্জা ফখরুল

আমাদের দাবি একটাই, শেখ হাসিনাকে সংসদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে : মির্জা ফখরুল

আবারও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।তিনি বলেছেন, সংসদ ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। আমাদের দাবি একটাই, শেখ হাসিনাকে সংসদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ ভেঙে দিতে হবে এবং নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।শনিবার (১২ নভেম্বর) ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।দুপুর ১২টার দিকে ফরিদপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এ এফ এম কাইয়ুম জঙ্গির সভাপতিত্বে এ গণসমাবেশ শুরু হয়।আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‌‘সমাবেশে যেতে পুলিশ বাধা দেয়। আওয়ামী লীগ নাকি গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেবে! ভূতের মুখে রাম নাম। তাদের গণতন্ত্র মানে গুম, খুন, মামলা, হামলা করা। তাদের এত ভয় কেন?’তিনি বলেন, ‘ক্যাসিনো সম্রাট মুক্তি পান আর খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়। তারেক রহমানকে সাজিয়ে-গুছিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে রেখেছেন। দেশে আসতে দেওয়া হয় না।’মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এবার সময় এসেছে নতুন করে যুদ্ধ করার। আমাদের হাতে স্বাধীনতার পতাকা আর ওদের হাতে শৃঙ্খলের জিঞ্জির। তারা মনে করেন এদেশ তাদের। এদেশ তাদের বাপের দেশ। গুম, খুন করে রেহাই পাবেন না। আজ আপনারা গণতন্ত্রের কথা বলেন, গণতন্ত্র আপনারা শেষ করে দিয়েছেন। তাদের ভাবটা এমন তোরা যে যা বলিস ভাই আমার সোনার হরিণ চাই। কিন্তু এবার আর তা হবে না। মানুষ জেগে উঠেছে। এবার আর রাতের ভোট হবে না।’ক্রসফায়ারের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আবার ক্রসফায়ার শুরু করেছেন। তারা (সরকার) মনে করেন আমরা কেউ না। আমরা চাকর-বাকর। আমরা রুখে দাঁড়াবো। দেশনেত্রীকে মুক্ত করবো। আমাদের এক দফা এক দাবি, ফয়সালা হবে রাজপথে। টেক ব্যাক বাংলাদেশ।’

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ নভেম্বর ২০২২


'আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে সরে গেলে সরকারের নেতৃত্ব দিবেন তারেক রহমান'

'আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে সরে গেলে সরকারের নেতৃত্ব দিবেন তারেক রহমান'

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে সরে গেলে একটি জাতীয় সরকার গঠন হবে। এই জাতীয় সরকারের নেতৃত্ব দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।আজ শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আমীর খসরু। ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী তাঁতীদল এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু বলেন, বর্তমান সরকারের অধীন মানুষ নির্বাচনে যাবে না। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোট হবে। মানুষ এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। কোনো শক্তি নেই যে তাদের আটকে রাখতে পারে।আমীর খসরু আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে সরে গেলে পরবর্তী সময়ে কী হবে, তা নিয়ে অনেকে চিন্তিত। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ নিয়ে বিএনপির পরিকল্পনা কী, তা–ও অনেকে জানতে চান। বিএনপির পরিকল্পনা তারেক রহমান পরিষ্কার করেছেন। এখানে কিছু গোপন রাখা হয়নি। যারা বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে থাকবে, তাদের নিয়ে একটি জাতীয় সরকার গঠন হবে। এই জাতীয় সরকার তারেক রহমানের নেতৃত্বে কী ভূমিকা পালন করবে, তা পরিষ্কার করা হবে।বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান। লন্ডনে অবস্থানরত তারেক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তারেক। ২০০৮ সালে জামিন নিয়ে চিকিৎসার জন্য লন্ডন যান তিনি। তারপর তিনি আর দেশে ফেরেননি। তিনি একাধিক মামলায় কারাদণ্ড পেয়েছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ নভেম্বর ২০২২


সর্বাধিক পঠিত

আওয়ামী লীগ নেতারা এখনই জেলে যাওয়ার বিষয়ে ভাবছেন : ফখরুল

আওয়ামী লীগ নেতারা এখনই জেলে যাওয়ার বিষয়ে ভাবছেন : ফখরুল

আওয়ামী লীগ নেতারা এখনই জেলে যাওয়ার বিষয়ে ভাবছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এটা তো আগেই বোঝা উচিত ছিল। আমরা আশা করেছিলাম তারা জনগণের চোখের ভাষা বুঝতে পারবেন, তাদের কথাগুলো বুঝতে পারবেন।রোববার (৬ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে ফখরুল বলেন, এখন জেলে যাওয়ার বিষয় নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন কেন? আপনি কেন বলেন- পালাবো না, আমরা জেলে যাবো। এগুলো আরও আগে ভাবা উচিত ছিল।দলের বিভাগীয় সমাবেশ প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, সমাবেশগুলো দেখে যা মনে হয়েছে, মানুষ সব বাধা উপেক্ষা করে চলে আসছেন। বরিশালের সমাবেশের দুদিন আগে লঞ্চ, যানবাহন বন্ধ করে দেওয়া। এমনকি খেয়া পর্যন্ত বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু মানুষ সাঁতরে পর্যন্ত সমাবেশে উপস্থিত হয়েছেন।সমাবেশ নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তিনি বলেন, একজন সাধারণ মানুষ যখন বলেন চেষ্টা করতে হবে, এটা আমাদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে। আমরা অনেক বেশি অনুপ্রাণিত হয়েছি এই সমাবেশগুলো থেকে। আমাদের মধ্যে বিশ্বাস জন্মেছে। আমরা যে যেখানেই ছিলাম, অনেক বেশি নির্যাতিত, নিপীড়িত আমাদের দল।ফখরুল বলেন, যুগপৎ আন্দোলন করার বিষয়ে আমরা সবাই একমত হয়েছি। বাকি বিষয়গুলো নিয়ে দ্রুত আলোচনা করা হবে।সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আন্দোলনকে কীভাবে দমননীতি এবং মামলা দিয়ে বন্ধ করা যায় সেই প্রচেষ্টা তারা শুরু করেছে। কিন্তু তারা বুঝতে পারছে না, জনগণের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। এখন তারা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। এই মামলা-হামলা করে কোনো লাভ হয়নি, এখনো হবে না। গত ১৫ বছর ধরে এ ধরনের কাজ করে বিএনপিকে তো দমিয়ে রাখতে পারেননি।নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের মন্ত্রী বানাতে হবে না, কিন্তু পরিবর্তনটা আনুন, দেশের মানুষকে বাঁচতে দিন। দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার একটি ক্ষেত্র তৈরি করে দিন।তিনি বলেন, বিশ্বাস করি, যদি আমরা একসঙ্গে সামনে এগিয়ে যাই, তাহলে অবশ্যই জয়ী হবো।নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই সংকটে বিএনপি একা না। তাদের সঙ্গে সবাই আছে। ডিসেম্বরের আগেই ঢাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চায় সরকার।গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের বাস্তবতা বাংলাদেশে নেই।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৭ নভেম্বর ২০২২


আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে গিলে খেয়ে ফেলেছে : মির্জা ফখরুল

আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে গিলে খেয়ে ফেলেছে : মির্জা ফখরুল

বাংলাদেশ আবার পরাধীনতার জাঁতাকলে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।আজ বুধবার দুপুরে বিএনপির বগুড়া জেলা ইউনিটের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।ফখরুল বলেন, আমাদের নিন্দুকেরা বলেন বিএনপির জন্ম নাকি ক্যান্টনমেন্টে, গণতন্ত্রের কোনো চর্চা নেই। তাদের অনুরোধ করবো আসুন আজকে বগুড়ায়। দেখুন গণতন্ত্রের কী অভূতপূর্ব চর্চা। বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকতে বগুড়ায় প্রথম আমাদের আজকের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠন শুরু করেছিলেন। পোস্টার ছাপিয়ে মার্কা দিয়ে নির্বাচন হয়েছে। আজকে আবার সেই চিত্র দেখে আমার মন ভরে গেছে।বিএনপির জন্মই হয়েছিল গণতন্ত্রকে পুনর্জন্ম দেওয়ার জন্য। যে গণতন্ত্রকে আওয়ামী লীগ গিলে খেয়ে ফেলেছিল। যে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। সেই গণতন্ত্রকে আবার ফিরিয়ে নিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছিলেন। আজকে ৫০ বছর পরে, আমাদের চরম দুর্ভাগ্য, এই দেশে আবার আমাকে বলতে হয় যে, আমাদের গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়া হোক। আমার অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হোক। আমার ভোটের, কথা বলার অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হোক। এর চেয়ে দুর্ভাগ্য আর কিছু হতে পারে না, বলেন ফখরুল।তিনি আরও বলেন, ৫০ বছর পরে এ কথা নিঃসন্দেহে বলতে পারি এ বাংলাদেশ আবার পরাধীনতার জাঁতাকলে পড়েছে। আবার একটি ফ্যাসিবাদী, অগণতান্ত্রিক, কর্তৃত্ববাদী ব্যবস্থার মধ্যে পড়েছে। সেদিন যেমন এই বগুড়ার সন্তান প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ ৯ বছর রাজপথে ঘুরে ঘুরে আন্দোলন করেছিলেন গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য, সেই আন্দোলন আজ আবার ঘোষণা করেছেন আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।আমাদের আজকে যে আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু হয়েছে, সারা দেশের মানুষ যে আবার জেগে উঠছে, এই জাগরণ সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। জনগণের জাগরণের মধ্য দিয়ে এদের পরাজিত করতে হবে। আওয়ামী লীগ এখন প্রমাদ গুণছে। তারা বুঝে গেছে তাদের পায়ের নিচে আর মাটি নেই। তারা বুঝে গেছে এ দেশের মানুষ আর তাদের সঙ্গে নেই।সেই জন্য আজকে তারা ভিন্ন পথে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তারা সংঘাত সৃষ্টি করতে চায়। তারা আমাদের সংবিধানসম্মত অধিকার যে, আমি সমাবেশ-মিছিল করতে পারবো। জনগণকে সামনে নিয়ে এগিয়ে যেতে পারবো, সেটা লুপ্ত করতে যত রকমের হীন কৌশল আছে সেগুলোকে তারা আজকে ব্যবহার করছে। সমাবেশ করতে দেবে না, বারবার হুমকি। এত হুমকি কারা দেয়? যারা ভেতরে দুর্বল। তাদের গলা অনেক চড়া হয় কিন্তু ভেতরে ভেতরে ভয়ে কাঁপতে থাকে। এরা হচ্ছে সেই দল। প্রত্যেকটা সমাবেশে তারা পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে দুদিন আগে থেকে। তারা অত্যাচার করেছে, আক্রমণ করেছে—বলেন বিএনপি মহাসচিব।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৩ নভেম্বর ২০২২


তিন নন্দ ঘোষের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে সরকার : রুমিন ফারহানা

তিন নন্দ ঘোষের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে সরকার : রুমিন ফারহানা

বিএনপি দলীয় সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেছেন, সরকার এখন সবকিছুর দায় করোনা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও বৈশ্বিক মন্দার ওপর চাপাচ্ছে। সরকারের হাতে বর্তমানে এ তিনটি নন্দ ঘোষ আছে।মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।তিনি বলেন, সরকারের হাতে তিনটি নন্দ ঘোষ আছে। একটা নন্দ ঘোষ হচ্ছে করোনা, একটা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, আরেকটা বিশ্ব মন্দা। যাই হোক না কেন, যে অবস্থায় দাঁড়াক না কেন, সরকার সমস্ত দোষ চাপাচ্ছে এই তিন নন্দ ঘোষের ঘাড়ে।ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে অধিবেশনে তিনি আরও বলেন, ২০০৯ সালে এ সরকার যখন ক্ষমতায় আসে, তখন মেয়াদের পর মেয়াদ ক্ষমতায় থাকবে বলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে। এভাবে ক্ষমতায় থাকতে গোষ্ঠীতত্ত্ব কায়েম করতে হয়েছে। তাদের খুশি রাখতে আইন প্রণয়ন করতে হয়। তাদের সুবিধার্থে নিয়ম-কানুন করতে হয়।ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রভাব সারাবিশ্বের উপর পড়েছে উল্লেখ করে রুমিন বলেন, এতে যদি চরম অর্থনৈতিক মন্দা সৃষ্টি হয়। তাহলে সরকারের হিসাবে আমাদের চাইতে কম মাথাপিছু আয়ের দেশ ভারত, নেপাল ও আফ্রিকার অনেক গরিব দেশকে বিবিসি কেন শ্রীলঙ্কা হওয়ার তালিকায় রাখেনি। গত একযুগে যে লুটপাট হয়েছে, অনিবার্যভাবেই তা হওয়ার কথা। কুইক রেন্টাল দায়মুক্তির সমালোচনা করেন রুমিন। দিনে বিদ্যুৎ ব্যবহার করব না প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই এলাহী চৌধুরীর এমন বক্তব্যের কথা উল্লেখ করে রুমিন ফারহানা বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পরিস্থিতি কী অবস্থায় আছে সেটা তার (তৌফিক-ই এলাহি) চেয়ে আর বেশি ভালো কেউ জানে না।পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে যাচ্ছে যে—সেটা টের পাচ্ছি অক্টোবরের এই শীত শীত সময়ে শুক্রবারের মতো ছুটির দিনেও দুই থেকে তিনবার লোডশেডিং হচ্ছে ঢাকায়। আগামী বছর বিশ্বে দুর্ভিক্ষ হবে এমন আশঙ্কায় প্রতি ইঞ্চি জমি চাষ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে অনুরোধ করেছেন তার সমালোচনা করে রুমিন বলেন, সাধারণভাবে ভাবতে গেলে মনে হবে প্রধানমন্ত্রীর এই ধরনের কথা কৌশলগতভাবে ভুল। যখন তার পক্ষ থেকে এই ধরনের বার্তা আসে তখন আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়।তিনি বলেন, যখন কেউ ব্যয় করে, তখন আরেকজনের উপার্জন হয়। এই পরিস্থিতির পর প্রধানমন্ত্রী বারংবার মানুষকে দুর্ভিক্ষের বিষয়ে সতর্ক করছেন। তখন আমাদের বুঝতে হবে পরিস্থিতি আসলেই খারাপ। মানুষও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এরপর ডেপুটি স্পিকার রুমিন ফারহানাকে বসার অনুরোধ করেন, তারপরও তিনি তার বক্তব্য চালিয়ে যেতে চাইলে স্পিকার রুমিন ফারহানার মাইক বন্ধ করে দেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ নভেম্বর ২০২২


অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ অতীতের মুক্তিযুদ্ধের মতো ঐক্যবদ্ধভাবে জেগে উঠবে: ফখরুল

অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ অতীতের মুক্তিযুদ্ধের মতো ঐক্যবদ্ধভাবে জেগে উঠবে: ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সব মানুষই চায় দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসুক। মানুষের অধিকারগুলো সুরক্ষিত হোক।তিনি বলেন, আজ আমরা গণতান্ত্রিক পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে যে আন্দোলন শুরু করেছি। সে আন্দোলনে লাখ লাখ সাধারণ মানুষ উপস্থিত হচ্ছেন।সোমবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে গুলশানের বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে হিন্দু সম্প্রদায় নেতাদের শারদীয় দুর্গাপূজা পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র যদি না থাকে তাহলে কারও অধিকার সেখানে প্রতিষ্ঠিত হয় না। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মূল কথা হলো- হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে একটি জাতীয়তাবাদ। এই জাতীয়তাবাদই হচ্ছে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ।‘আমাদের সবাইকে একটি কথা মনে রাখতে হবে, আমরা এখন বিপদে রয়েছি, সংকট রয়েছি। সেই সংকটটি হচ্ছে আমাদের অস্তিত্বের সংকট, সেই সংকটটি হচ্ছে স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব রক্ষার সংকট, সে সংকট হচ্ছে আমাদের গণতন্ত্রের সংকট। এই সংকটকে আমাদের কাটিয়ে উঠতে হবে।’গোটা জাতি আজ সংকটে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ১৯৭১ সালের কথা আমরা সবসময় বলি, স্বাধীনতার চেতনার কথা বলা হয়। কিন্তু স্বাধীনতার চেতনাটা কী? স্বাধীনতার চেতনা ছিল আমাদের দেশে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করা। স্বাধীনতার চেতনা হচ্ছে প্রত্যেকটি মানুষের অধিকারকে সংরক্ষিত করা। স্বাধীনতার চেতনা হচ্ছে সাম্য মানবিক মূল্যবোধ এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা। একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা সেটাই আজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।তিনি বলেন, দুর্ভাগ্য আমাদের, আগে দলের নেত্রী খালেদা জিয়া সবসময় আমাদের সঙ্গে বসতেন, আজ তাকে মিথ্যে মামলা দিয়ে সাজা দিয়ে প্রথমে অন্তরীন করে, এখন তাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যে মামলা দিয়ে নির্বাসিত করে রাখা হয়েছে। কিন্তু সৌভাগ্য আমাদের তিনি আজ আট হাজার মাইল দূরে থেকেও যেভাবে আমাদের নির্দেশনা দিচ্ছেন দলকে পরিচালনা করছেন, বাংলাদেশের মানুষকে জাগিয়ে তুলছেন।তিনি আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি, অতি অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ আরেকবার মুক্তিযুদ্ধ যেভাবে করেছিল সেইভাবে তারা ঐক্যবদ্ধভাবে জেগে উঠবে। এই ভয়াবহ অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে তারা সত্যিকার অর্থে একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ নভেম্বর ২০২২


বরিশালে বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে এবার থ্রি-হুইলার চলাচল বন্ধের ঘোষণা

বরিশালে বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে এবার থ্রি-হুইলার চলাচল বন্ধের ঘোষণা

বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের দিনে বাস বন্ধ ঘোষণার চারদিন পর পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এবার থ্রি-হুইলার চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন বরিশাল জেলা মিশুক, বেবিট্যাক্সি, ট্যাক্সিকার ও সিএনজি চালক শ্রমিক ইউনিয়ন। আগামী ৪ ও ৫ নভেম্বর বরিশালের সকল রুটে থ্রি-হুইলার চলাচল বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।যদিও কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, বাস মালিক গ্রুপ সড়কে থ্রি-হুইলার বন্ধের জন্য আল্টিমেটাম দিয়েছে। সেই আল্টিমেটামের প্রতিবাদে একই সময়ে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত একটি নোটিশে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। তবে নোটিশটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে রোববার (৩০ অক্টোবর)।নোটিশে পাঁচ দফা দাবি উল্লেখ করে বলা হয়েছে, বাসমালিক-শ্রমিকদের তিন চাকার যানের চালকদের হয়রানি বন্ধ করা; মেট্রোপলিটন এলাকায় তিন চাকার যানের নির্দিষ্ট পার্কিংয়ের ব্যবস্থা; মেট্রোপলিটন এলাকার সর্বত্র তিন চাকার যান চলাচলের অনুমতি; তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর তিন চাকার যানের ভাড়ার চার্ট প্রদান ও সহজ শর্তে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান।এ বিষয়ে বরিশাল জেলা মিশুক, বেবিট্যাক্সি, টেক্সিকার ও সিএনজি চালক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কামাল হোসেন মোল্লা বলেন, বাস মালিকরা আমাদের যানবাহন বন্ধের জন্য ধর্মঘট ডাক দিয়েছে। তাদের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতে আমরাও ধর্মঘট ডেকেছি। বিএনপির সমাবেশের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।তবে বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক বলেছেন, এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়ে সরকার গণসমাবেশ বানচাল করতে চাইছে। তবে সবকিছু মাথায় রেখেই আমরা মাঠে আছি। এসব উপেক্ষা করেই ৫ নভেম্বর বরিশাল জনসমুদ্রে পরিণত হবে। এই সমাবেশ থেকে আরও কঠিন আন্দোলনের ঘোষণা আসবে।প্রসঙ্গত, ৫ নভেম্বর বরিশালে বিভাগীয় গণসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করলেও এখনো অনুমতি পায়নি দলটি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩১ অক্টোবর ২০২২


ওবায়দুল কাদেরকে ব্যক্তিগত আক্রমণ না করার অনুরোধ ফখরুলের

ওবায়দুল কাদেরকে ব্যক্তিগত আক্রমণ না করার অনুরোধ ফখরুলের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বক্তব্য না দিতে অনুরোধ জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ব্যক্তিগত আক্রমণ করবেন না। সামাল দিতে পারবেন না। কার কয়টা বাড়ি, কার কত টাকা আছে, এত টাকা কোথা থেকে আসে? আমি ব্যক্তিগত আক্রমণে যেতে চাই না। এটা রাজনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না। রোববার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথ সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ অনুরোধ জানান তিনি। এর আগে বিএনপির সহযোগী দলগুলোর সঙ্গে যৌথসভা করেন তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেন আমি নাকি দুবাইয়ের টাকা পাই, টাকার ওপর ঘুমাই। অযথা বেশি ঘাঁটাবেন না, বেশি ঘাঁটালে কেঁচো বেরিয়ে যাবে। আমরা পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে রাজনীতি করি। আমাদের নেতাকর্মীরা নিজের টাকায় চাঁদা দিয়ে সমাবেশ করছে। আর আপনারা (আওয়ামী লীগ) কী করেন এটা সবাই জানে।গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশ দুর্ভিক্ষে পরিণত হয়েছে, এটা আমার কথা না, প্রধানমন্ত্রীর কথা।তিনি আরও বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। নির্বাচনকালীন ৯০ দিনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়টি বাতিল করেছে আওয়ামী লীগ। এখন বলে তারা করেনি, আদালত করেছে। টিকে থাকার জন্য জনগণকে বোকা বানাতে চায় তারা। ফখরুল প্রশ্ন রেখে বলেন, এতো উন্নয়ন করেছেন তাহলে ভয় পান কেন?গায়েবি মামলায় আওয়ামী লীগকে নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, বিএনপি নেতা সরফত আলী সপু, এবিএম মোশাররফ হোসেন, সুলতানা রহমান, আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনু, সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, মুনায়েম মুন্না প্রমুখ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩১ অক্টোবর ২০২২


মুজিবের শাসনামলেও দুর্ভিক্ষ হয়েছিল, এখন হাসিনার শাসনামলেও একই অবস্থা’

মুজিবের শাসনামলেও দুর্ভিক্ষ হয়েছিল, এখন হাসিনার শাসনামলেও একই অবস্থা’

দেশে দুর্ভিক্ষ হলে এর দায় শেখ হাসিনা ও তার সরকারকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।তিনি বলেছেন, এর আগে ১৯৭৪ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলেও দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। মানুষ খাবার খেতে না পেরে রাস্তায় পড়ে ছিল। এখন আবার সেই অবস্থা ফিরে এসেছে। ১০ কেজির চাল খাওয়াতে চেয়ে আওয়ামী লীগ এখন ৯০ টাকার চাল খাওয়াচ্ছে। চিনির দামও বেড়েছে। শাকসবজিও মানুষ কিনতে পারছে না। এটা দুর্ভিক্ষের লক্ষন।শনিবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে রংপুরের ঐতিহাসিক কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে আয়োজিত বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, সমগ্র বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের অনেক মিডিয়া এই সমাবেশের দিকে তাকিয়ে আছে। সরকার নাকি জনগণকে ভয় পায় না। ভয় না পেলে গাড়ি কেন বন্ধ করতে হয়, কেন আমাদের নেতাদের গুলি করে মারে?মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী সরকার গত ১৫ বছরে সব শেষ করে ফেলেছে। সব ক্ষেত্রে চুরি করেছে আওয়ামী লীগ। এমনকি আশ্রয়ণ প্রকল্পেও চুরি করেছে। আমাদের ৬০০ নেতাকর্মীকে গুম করেছে এই সরকার। সহস্রাধিক মানুষকে হত্যা করেছে। আলেম-ওলামাদের মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করেছে। এদের কি আর ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া যায়?নিত্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে দলের নেতা-কর্মীদের মৃত্যুর প্রতিবাদসহ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দেশের সব বিভাগে গণসমাবেশ করছে বিএনপি। চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও খুলনার পর আজ রংপুরে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। তিনি বলেন, বিএনপির এমপিরা জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করতে প্রস্তুত। মির্জা ফখরুল বলেন, 'শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না এবং নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে।''সরকারকে সংসদ থেকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে। আমাদের এমপিরা সংসদ থেকে পদত্যাগ করতে প্রস্তুত', যোগ করেন তিনি।দুপুর ২টায় বিভাগীয় এই গণসমাবেশ শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে নির্ধারিত সময়ের সোয়া দুই ঘণ্টা আগে দুপুর পৌনে ১২টায় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত শেষে মোনাজাতের মধ্য দিয়ে গণসমাবেশ শুরু হয়ে যায়। এতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ অক্টোবর ২০২২


ধর্মঘট উপেক্ষা করে রংপুরে বিএনপির সমাবেশস্থলে নেতাকর্মীর ঢল

ধর্মঘট উপেক্ষা করে রংপুরে বিএনপির সমাবেশস্থলে নেতাকর্মীর ঢল

ভোর থেকে মিছিল আর স্লোগান। অনেকে হেঁটে দলবল নিয়ে আসছেন, অনেকে আসছেন শত শত ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় চেপে। রংপুর শহরে প্রবেশের সব পথ দিয়েই আজ শনিবার সকাল থেকে মিছিল আসছে বিএনপির সমাবেশস্থলের দিকে।রংপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের আগে গতকাল শুক্রবার থেকে দুই দিনের জন্য পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয় জেলা মোটর মালিক সমিতি। এ কারণে সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়লেও বিএনপির কর্মীরা দলেবলে নানা উপায়ে সমাবেশস্থলে আসেন। পথে তাঁদের কোথাও কোনো বাধা দেওয়া হয়নি বলে জানান তাঁরা।লালমনিরহাট-কুড়িগ্রাম দুই জেলা থেকে রংপুর শহরে প্রবেশ করা যায় নগরের মাহিগঞ্জ সাতমাথা এলাকা দিয়ে। আজ সকাল ছয়টা থেকে আটটা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করে দেখা গেছে, প্রায় ১০০ মিলিমিটার দূরের এলাকা কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলা থেকে একটি বড় মিছিল শহরে প্রবেশ করে। এরপর সকাল আটটা পর্যন্ত একে একে লালমনিরহাট জেলার বড়বাড়ী এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল এসেছে। সেই সঙ্গে ওই এলাকার শত শত অটোরিকশায় নেতা-কর্মীরা স্লোগান দিতে দিতে সমাবেশস্থলের দিকে যান। ৯০ কিলোমিটার দূরের এলাকা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা থেকেও কয়েক শ অটোরিকশা শহরে প্রবেশ করে। এভাবে কুড়িগ্রামের উলিপুর, চিলমারী, নাগেশ্বরী, ভূরুঙ্গামারী, লালমনিরহাট সদর ও বড়বাড়ী এলাকা থেকেও বিএনপির নেতা-কর্মীরা সকাল আটটার মধ্যে রংপুরে শহরে প্রবেশ করেছে।গাইবান্ধা থেকে রংপুরে প্রবেশের দুটি পথের মধ্যে শহরের মাহিগঞ্জ এলাকায় সকাল সাতটার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা থেকে আসা বড় একটি মিছিল শহরে প্রবেশ করে। অন্য একটি পথ শহরের মডার্ন মোড় দিয়ে পলাশবাড়ী ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মিছিল এসেছে। এই এলাকা দিয়ে রংপুরে মিঠাপুকুর, পীরগঞ্জ উপজেলার মিছিলও আসতে দেখা যায়।কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী এলাকার বিএনপি নেতা বেলার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ফুলবাড়ী থেকে ভোর চারটার দিকে দুই শতাধিক অটোরিকশা তিস্তা সেতুর ওপর দিয়ে রংপুরে আসে। এই পথ পাড়ি দিতে সময় লেগেছে চার ঘণ্টা। পথে কোথাও কোনো বাধা ছিল না।’শহরের শাপলা মোড়ে মিছিল করার সময় গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা থেকে আসা নেতা-কর্মীরা জানান, বাস বন্ধ হওয়ার কারণে কোনো অসুবিধা হয়নি সমাবেশে আসতে। এলাকার সব ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ভাড়া করা হয়। এসব অটোরিকশা নগরের রবার্টসনগঞ্জ এলাকার স্কুল মাঠে রাখা হয়েছে। মিছিলে থাকা একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ভোর তিনটা থেকে আমরা রংপুর শহরে আসা শুরু করি। রবার্টসনগঞ্জ মাঠ থেকে মিছিল নিয়ে আটটার দিকে সমাবেশস্থলে যাচ্ছি আমরা।’

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ অক্টোবর ২০২২


'হাসিনা সরকারের নজিরবিহীন দুর্নীতি দেশকে চরম পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে'

'হাসিনা সরকারের নজিরবিহীন দুর্নীতি দেশকে চরম পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে'

জ্বালানির অপ্রাপ্যতা ও বিদ্যুৎ সরবরাহে চরম বিপর্যয়ের সব দায় নিয়ে অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ দাবি জানিয়েছে বিএনপি। সোমবার (২৪ অক্টোবর) দলটির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণের ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ দাবি জানানো হয়।বুধবার (২৬ অক্টোবর) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সীমাহীন দুর্নীতি, অযোগ্যতা ও অব্যবস্থাপনার কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবিলায় বর্তমান সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ।এতে বলা হয়, সরকারের মদদপুষ্ট গুটি কয়েক কোম্পানিকে সুবিধা প্রদান, ইনডেমনিটি আইন প্রণয়ন, দেশে গ্যাস উত্তোলনে অনীহা, উচ্চমূল্যে এলএনজি ক্রয় এবং অর্থ লুঠ করে বিদেশে পাচারের কারণে রিজার্ভের পরিমাণ হ্রাস পাওয়া বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।অনির্বাচিত সরকারের কোথাও জবাবদিহিতা না থাকায় নজিরবিহীন দুর্নীতি দেশকে চরম পরিস্থিতির দিকে নিয়ে গেছে বলেও উল্লেখ করা হয়।বিজ্ঞপ্তিতে ফখরুল বলেন, বিদ্যুৎ নিয়ে জ্বালানি উপদেষ্টার মন্তব্য বিএনপির কয়েকটি প্রেস কনফারেন্স ও সেমিনারের বক্তব্যকেই প্রতিষ্ঠিত করেছে।সভা মনে করে, অনির্বাচিত সরকারের নেওয়া তথাকথিত মেগা প্রকল্প এবং প্রয়োজন নয় এমন সব প্রকল্প গ্রহণ, সুষ্ঠু নীতি ব্যতিরেকে উচ্চ সুদে ঋণ গ্রহণ, আন্তর্জাতিক ঋণ প্রদানকারী সংস্থাগুলোকে এড়িয়ে ব্যক্তিস্বার্থে ঋণ গ্রহণ অর্থনীতিতে গভীর সংকট সৃষ্টি করেছে। তার দায়ভার নিয়ে সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।বরাদ্দ না থাকায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি কার্যক্রম বয়স্ক ভাতা এবং বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্ত নিগৃহীত নারী ভাতার জন্য নতুন তালিকাভুক্তি বন্ধ করায় সরকারের সমালোচনা করে বিএনপি।মির্জা ফখরুল বলেন, সমাজের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সবচেয়ে অসহায় অংশ বয়স্ক ও বিধবা, স্বামী নিগৃহীত নারীরা। বর্তমান মূল্যস্ফীতির সময়ে এ কর্মসূচিতে নতুন তালিকাভুক্তি বন্ধ করা অমানবিক।অবিলম্বে নতুন তালিকাভুক্তি শুরু করার দাবি জানিয়েছে বিএনপি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ অক্টোবর ২০২২


বিএনপির ১০ ডিসেম্বর মহাসমাবেশ, ১লা ডিসেম্বর থেকেই রাজপথ দখলে রাখবে আওয়ামী লীগ

বিএনপির ১০ ডিসেম্বর মহাসমাবেশ, ১লা ডিসেম্বর থেকেই রাজপথ দখলে রাখবে আওয়ামী লীগ

প্রধান বিরোধীদল বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশগুলোতে বিপুল মানুষের উপস্থিতি এবং তাদের নেতাদের সরকার পতনের হুমকি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে ইতিমধ্যে ভাবনায় ফেলেছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে কী হবে তা নিয়ে এরই মধ্যে দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনাও শুরু হয়েছে।বিএনপি যাতে ঢাকার সমাবেশে বেশী লোক জমায়েত না করতে পারে সেই পরিকল্পনা করছে আওয়ামী লীগ। দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভা ডেকেছে আগামী ২৮ অক্টোবর। এই সভাতে ১০ ডিসেম্বর নিয়ে আলোচনা হবে বলে আভাস দিয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। বিএনপি ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিপুল মানুষ এনে সরকারকে যেন চাপে ফেলতে না পারে সে জন্য ক্ষমতাসীন দলটি আগামী ১লা ডিসেম্বর থেকেই রাজপথে থাকবে বলে একাধিক সূত্র বাংলা ওয়্যারকে নিশ্চিত করেছে।বিএনপি যাতে ঢাকার বাইরে থেকে তাদের দলের নেতাকর্মী ঢাকার সমাবেশে না আনতে পারে সে জন্য ঢাকার সাথে বিভিন্ন জেলার বাস চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হতে পারে। খুলনা থেকে ১৮টি রুটে দুই শতাধিক বাস চলাচল করে। ২১ ও ২২ অক্টোবর এই সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ থাকবে।আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, বিএনপি একের পর এক সমাবেশ কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছে। জমায়েতও চোখে পড়ার মতো। বিএনপির এসব কর্মসূচি, সমমনা দলগুলোর সঙ্গে ঘন ঘন বৈঠক, বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ; এসবের পেছনের কারণ বোঝার চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ।ক্ষমতাসীন দলের আরেকটি সূত্র বলছে, এই মুহূর্তে বিএনপিকে খুব একটা চাপে ফেলবে না আওয়ামী লীগ কারণ বিদেশি শক্তিগুলো বিভিন্নভাবে এই সরকারের কর্মকান্ডের ওপর নজর রাখছে। ইতিমধ্যে বর্তমান সরকারের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।বিএনপির পরবর্তী সমাবেশ খুলনায়, আগামী শনিবার। এরপর পর্যায়ক্রমে বাকি বিভাগীয় সদরে হবে। সর্বশেষ ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে দলটি। এদিকে ৬ নভেম্বর থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। ১০ ডিসেম্বর পরীক্ষা না থাকলেও তার আগে–পরে আছে। এ কারণে বিএনপিকে মহাসমাবেশ করতে দেওয়া হবে কি না, সেটা নিয়েও আলোচনা আছে। শেষ পর্যন্ত করতে দিলেও উপস্থিতি কমানোর সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে বলে ক্ষমতাসীন দলের একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে।আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেন, ঢাকার বাইরের জেলাগুলো থেকে যাতে মানুষ কম আসতে পারে, সে জন্য যানবাহন চলাচলে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের একজন দায়িত্বশীল নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা জেলার পাঁচটি উপজেলা এবং নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও মানিকগঞ্জ জেলায় বিএনপির কর্মী-সমর্থক আছে।এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, আন্দোলন করে বর্তমান সরকারের পতন ঘটানোর কোনো শক্তি কারও নেই। তবে বিএনপি আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করতে পারে—এই আশঙ্কা তাদের আছে। এ জন্য আওয়ামী লীগ ও সরকার সতর্ক থাকবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ অক্টোবর ২০২২


বৃহস্পতিবার ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ

বৃহস্পতিবার ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ

সারাদেশে দলীয় নেতাকর্মীদের নামে ‘মিথ্যা’ মামলা ও জামিন বাতিলের করে গ্রেপ্তারের দাবিতে সমাবেশ করবে বিএনপি। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হবে।বুধবার (১৯ অক্টোবর) দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত এ সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া দলের স্থায়ী কমিটির নেতারও সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন।সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম। সঞ্চালনায় থাকবেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ অক্টোবর ২০২২


কী এমন ঘটল যে তাঁরা এখন ভয় পাচ্ছেন, একটা খাদ্যসংকট দেখা দেবে?’ প্রশ্ন ফখরুলের

কী এমন ঘটল যে তাঁরা এখন ভয় পাচ্ছেন, একটা খাদ্যসংকট দেখা দেবে?’ প্রশ্ন ফখরুলের

প্রধানমন্ত্রী কেন বারবার দুর্ভিক্ষের কথা বলছেন, সেটা তাঁরাও বুঝতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘(প্রধানমন্ত্রী) কেন বলছেন, সমস্যাটা তো আমরাও বুঝতে পারছি না। কারণ, উনারা কিছুদিন আগেও দাবি করেছেন যে তাঁরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে গেছেন। আজকে কী এমন ঘটল যে তাঁরা এখন ভয় পাচ্ছেন, একটা খাদ্যসংকট দেখা দেবে?’আজ মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সঙ্গে সংলাপ করে বিএনপি। সংলাপ শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেন, প্রধানমন্ত্রী কেন বারবার খাদ্যসংকট ও দুর্ভিক্ষের কথা বলছেন? জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম এসব কথা বলেন।বিএনপির মহাসচিব যোগ করেন, ‘মূল বিষয়টা যে জায়গায়, এত বেশি দুর্নীতি সবখানে, প্রতিটি খাতে, প্রতিটি ক্ষেত্রে, তাদের এখন এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সামাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সবখানে এত বেশি দুঃশাসন হয়েছে, মিস রুল হয়েছে যে নাথিং ইজ আন্ডার দেয়ার কন্ট্রোল। যে কারণে বিদ্যুতের সমস্যাটা তৈরি হয়েছে। তারা এখন বিদ্যুৎ দিতে পারছে না।এ প্রসঙ্গে বিপুল অর্থ ব্যয়ে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ক্রয় এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও মুখ্য সচিবের জন্য বাড়ি তৈরির বিষয় উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘৮ হাজার কোটি টাকায় ইভিএম কিনতে যাচ্ছে একটা জালিয়াতির ভোট করার জন্য। অন্যদিকে, ৪৩ কোটি টাকা দিয়ে মন্ত্রিপরিষদের সচিব ও মুখ্য সচিবের জন্য বাড়ি তৈরি করা হবে। আপনি কি আশা করেন, এটা অবিশ্বাস্য একটা ঘটনা। এ রকম প্রতিটি ক্ষেত্রে, একটা-দুইটা নয়—আজকে প্রতিটি খাতে এ রকম দুর্নীতি হচ্ছে। সে জন্যই আজকে তারা এ অবস্থায় উপনীত হয়েছে।’এ সময় বিএনপির মহাসচিব বিমানবন্দর সড়কে প্রতিদিনকার যানজটের ঘটনার কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘আজকের একটা কথা বলি, সকাল ৯টায় বাসা (উত্তরা) থেকে বের হয়েছি। এ পর্যন্ত (গুলশান-২ নম্বর) আসতেই আমার দুই ঘণ্টা লেগেছে। তারপরও পুরোটা আসতে পারিনি, আমাকে রিকশা নিয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালের পেছন দিয়ে আসতে হয়েছে গাড়ি রেখে দিয়ে। ১০ বছর ধরেই জনগণকে এই ভোগান্তি দিচ্ছে। অর্থাৎ তাদের কোথাও কোনো ম্যানেজমেন্ট নেই, প্রশাসনের ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে গেছে।’‘কয়েকটি সমাবেশ করলেই সরকার পড়ে যাবে, এমনটি যাঁরা ভাবেন, তাঁরা বোকার স্বর্গে বাস করছেন’—আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বিএনপির মহাসচিব এটাকে সরকারির দলের ‘আতঙ্ক’ বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের পর ময়মনসিংহে জনতা ঢলের মতো নেমেছে। ময়মনসিংহে কারফিউয়ের মতো অবস্থার সৃষ্টি করেছে। এমনকি বর্ষীয়ান নেতা নজরুল ইসলাম খান যে হোটেলে ছিলেন, সেখানে তারা গুলিবর্ষণ করেছে, ককটেল নিক্ষেপ করেছে। তারপরও তারা কোনো বাধার সৃষ্টি করতে পারেনি।সমাবেশের পরদিন বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘উল্টো দেখেন, পুলিশকে ব্যবহার করে তারা ৪০০ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। এভাবে দমন করে, গুলি করে, হত্যা করে, গুম করে কোনো দিনই ক্ষমতায় থাকা যাবে না, যতই তারা চেষ্টা করুক।’এর আগে বেলা ১১টায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও দুপুর ১২টায় এনডিপির নেতাদের সঙ্গে গুলশানের কার্যালয়ে পৃথক সংলাপ করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ২০ দলের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান।সংলাপ শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আলোচনার মাধ্যমে কয়েকটি বিষয়ে একমত হয়েছি, এ সরকারের পতনে লক্ষ্যে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দেশের সব বিরোধী দলের নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে যুগপৎ আন্দোলন করব।’

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ অক্টোবর ২০২২