বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,বিদ্যুৎ সহ বিভিন্ন খাতের সমস্যাই সরকারের পতন ত্বরান্বিত করবে । শুরু হয়ে গেছে আসল খেলা। তিনি বলেন, ‘আমি না, অর্থনীতিবিদেরা বলছেন প্রতিটি ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। জনগণ ফুঁসে উঠছে, ফুঁসে উঠবে এবং সমস্যাই তাদের পতন ত্বরান্বিত করবে।’আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম এ কথা বলেন।বিদ্যুৎ সমস্যার জন্য সরকারের দুর্নীতি দায়ী—এমন মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘এ সমস্যা যে সৃষ্টি হবে, তা আমরা বহু আগেই। দুর্নীতি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। একটা জায়গা না, সব জায়গাতেই তাদের লক্ষ্য হচ্ছে দুর্নীতি করা। এই দুর্নীতি পয়েন্ট অব নো রিটার্নে চলে গেছে। একইভাবে শ্রীলঙ্কায় যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।’মির্জা ফখরুল বলেন, এরা এভাবে টাকা চুরি করেছে। এক দিন তাদের হিসাব দিতেই হবে। এই হিসাব না দিয়ে তারা যেতে পারবে না। তাদের জনগণের আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে এবং বিচার হবে।তিনি আরও বলেন, পত্রিকায় দেখেছি ১৭৬০ কোটি টাকা বছরে তাদের জন্য গুনতে হবে। এতে প্রমাণিত শুধুমাত্র দুর্নীতি করার জন্য, বিশেষ কোম্পানিকে অর্থ বানানোর সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে, এতে নিজে উপকৃত হওয়ার কারণে এই কাজটা করেছে সরকার।বিএনপির এ নেতা বলেন, এমন কোনো পরিকল্পনা, এমন কোনো প্রজেক্ট হাতে নেওয়া উচিত নয় যেটা আমরা চালাতে পারব না। সে ধরনের জুতা কেনা উচিত যেটা আমরা পরতে পারব। পায়ের মাপের বাইরে জুতা কিনলে তা পরা সম্ভব হবে না। আজ তাই ঘটছে। এটার মূল্য দিতে হচ্ছে জনগণকে। আমরা অবিলম্বে এই দুর্নীতির কারণে সরকারের পদত্যাগ দাবি করছি।প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল এখন হাস্যকর ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছেন বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ ও নির্বাচন কমিশন তারা মনে করে যে, দেশের সব মানুষ আহাম্মক। গত ১০ বছর ধরে প্রমাণিত হয়েছে, আওয়ামী লীগের অধীনে, কোনো দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়। এ কথা শামসুল হুদা (সাবেক সিইসি) বলেছেন। শেষ মুহূর্তে একেএম নুরুল হুদা তার চাকরি যাওয়ার পরে এই কথা বলেছেন। আর বর্তমান সিইসি এখনই বলে দিচ্ছেন, যে এটা সম্ভব নয়, ইটস নট পসিবল। গতকাল তিনি বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে না আসলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ জুলাই ২০২২
নির্বাচনকালীন সরকারের বাইরে নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনায় যেতে রাজি নয় বিএনপি। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আসন্ন সংলাপেও না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। ২০ জুলাই বিএনপির সঙ্গে সংলাপের তারিখ নির্ধারণ করেছে ইসি।জাতীয় নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার নিয়ে মতবিনিময়ের পরপরই এবার নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে উন্মুক্ত সংলাপে বসতে যাচ্ছে ইসি। এতে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। কোরবানির ঈদের পর ১৭ জুলাই সংলাপ শুরু হবে। ৩১ জুলাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপের মধ্য দিয়ে ইসির এ কার্যক্রম শেষ হবে।জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করে নির্বাচন কমিশন। তারই ধারাবাহিকতায় কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন এ কমিশনও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের আয়োজন করছে। এর আগে শিক্ষাবিদ, বিশিষ্ট নাগরিক, সাবেক নির্বাচন কমিশনারসহ সাংবাদিকদের সঙ্গে কয়েক ধাপে সংলাপ করেছে।শুরু থেকেই নির্বাচনকেন্দ্রিক সব ধরনের সংলাপ বর্জন করে আসছে বিএনপি। ইসি গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আনুষ্ঠানিক সংলাপ বর্জনের মধ্য দিয়ে এর শুরু। এর পর ইভিএম নিয়ে ইসির মতবিনিময়েও যায়নি বিএনপি।রাষ্ট্রপতির সংলাপের সময় বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্ষদ স্থায়ী কমিটি বলেছে, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ প্রশাসনের সাংবিধানিক নিশ্চয়তা ছাড়া শুধু নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে সংলাপকে কেবল সময়ের অপচয় বলে মনে করে বিএনপি। তাই তারা অর্থহীন কোনো সংলাপে অংশ নেবে না।এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘যখন এই নির্বাচন কমিশন তৈরি করা হয়, আমরা প্রথম থেকেই এর কিছুতেই সম্পৃক্ত নই। আমাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হচ্ছে, আমরা এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাব না। এই সরকার পদত্যাগ করবে, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে, সেই সরকারের অধীনে ছাড়া আমরা নির্বাচনে যাব না।’বিএনপির নীতিগত অবস্থান হচ্ছে, তারা আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে সরকার বা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনায় যাবে না। আলোচনা হবে শুধু নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে। এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়—এটাই তাদের মূল দাবি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৭ জুলাই ২০২২
সদ্য সমাপ্ত কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে বিএনপি দলীয় সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেছেন, ইসির যে নতজানু-মেরুদণ্ড ভাঙা অবস্থা, তাতে খুব পরিষ্কার বুঝা যায় আগামীতে যে জাতীয় নির্বাচন হবে, সেটা কোনভাবেই এ কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব নয়।তিনি বলেন, যে কমিশন একজন এমপিকে সামাল দিতে পারে না। সেই কমিশন কীভাবে ৩০০ জন সিটিং এমপিকে সামাল দিয়ে নির্বাচন করবে? সেটা বড় প্রশ্ন।বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে নির্বাচন কমিশনার সচিবালয়ের অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাবের ছাঁটাইয়ের আলোচনায় তিনি এ প্রশ্ন তোলেন।রুমিন ফারহানা বলেন, জাতীয় নির্বাচন সামনে থাকলে সরকার স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে সুষ্ঠু দেখানো সরকারের পুরোনো খেলা। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে এ নাটক দেখেছি। কিছুদিন আগে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দেখলাম মাত্র একজন এমপির হুমকি-ধামকি নির্বাচন কমিশন সহ্য করতে পারেনি। বারবার তাকে অনুরোধ করা হয়েছে, চিঠি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে, কিন্তু কমিশন তাকে এলাকা থেকে সরাতে পারেনি।রুমিন ফারহানা বলেন, নির্বাচন যে মল্লযুদ্ধ, তার বড় প্রমাণ এ নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য। শপথ নেওয়ার পরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন জেলেনস্কির (ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট) মতো বিএনপিকে মাঠে থাকতে হবে। ভোট কি যুদ্ধ যে জেলেনস্কির মতো বিএনপিকে মাঠে থাকতে হবে?গোপন কক্ষে ডাকাত ধরাই বড় চ্যালেঞ্জ- ইসির এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ ডাকাত যে শুধু দলীয় ক্যাডার তাই নয়, এর মধ্যে রয়েছে পুলিশ ও প্রশাসন। এই ডাকাতদের পরবর্তী সময়ে যেভাবে পুরস্কৃত করা হয়, সেই পুরস্কার দেখে বুঝা যায় ভবিষ্যতে এ ডাকাতের সংখ্যা বাড়বে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদকে পুরস্কার হিসাবে স্থানীয় সরকার বিভাগে পদায়ন করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ জুন ২০২২
জাতীয় সংসদে বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপির সংসদ সদস্য জি এম (গোলাম মোহাম্মদ) সিরাজ বলেন ‘দেশের বর্তমান দুর্গত মানুষের দুর্দশায় এই উৎসব করাটা অমানবিক ও বেমানান।’ ২০২২-২৩ সালের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, 'বন্যাদুর্গতদের দুর্দশার কথা চিন্তা করে পদ্মা সেতু উদ্বোধনে উল্লাস ও মাত্রাহীন উন্মাদনা বন্ধ করুন'।সংসদে এ সময় সরকারি দলের সদস্যরা হৈ চৈ করে তার এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান।এর আগে বুধবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয় । সিলেট ও সুনামগঞ্জকে দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবি জানিয়ে বিএনপির এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘সেদিকে সরকারের খেয়াল নেই। এখন তারা পদ্মা সেতু উদ্বোধনের উৎসব উন্মাদনায় মত্ত।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৩ জুন ২০২২
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগ।বুধবার (২২ জুন) বেলা ১১টায় সেতু বিভাগের উপ-সচিব দুলাল চন্দ্র সূত্রধর রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কাছে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন।বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম থান ও ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এই সাতজনের নামে আমন্ত্রণ কার্ড দেওয়া হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ জুন ২০২২
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনার জন্য আজ সোমবার মেডিকেল বোর্ড বসছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসার অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তাঁর মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান আজ এ তথ্য জানান। হঠাৎ অসুস্থ হওয়ায় গত শুক্রবার দিবাগত রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে ভর্তি করানো হয়। গত বছরের এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর এ নিয়ে খালেদা জিয়াকে পাঁচ দফা বেসরকারি হাসপাতাল এভারকেয়ারে ভর্তি করা হলো। এর আগে গত ৬ এপ্রিল নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে একই হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।শায়রুল কবির খান বলেন, মেডিকেল বোর্ডে এভারকেয়ার হাসপাতালের ১২ জন চিকিৎসক আছেন। আর বাইরের চিকিৎসক আছেন ছয়জন। বোর্ডের নেতৃত্বে আছেন এভায়কেয়ারের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান ডা. শাহবুদ্দিন তালুকদার।আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে: বিএনপিগতকাল রোববার বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, গত শনিবার বেলা দুইটা থেকে খালেদা জিয়াকে ৭২ ঘণ্টার জন্য নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এই সময় শেষ হওয়ার পর সোমবার শারীরিক অবস্থা কেমন, তা বলা যাবে।জাহিদ হোসেন আরও বলেন, গত শুক্রবার দিবাগত রাতে হাসপাতালে ভর্তির পর ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) তিনটি ব্লক ধরা পড়েছিল। এর মধ্যে একটি ছিল ক্রিটিক্যাল (জটিল)। সেখানে রিং স্থাপন করা হয়েছে। বাকি দুটি ব্লকের আচরণ কেমন হবে তা এখন বলা মুশকিল। বর্তমানে হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞদের একটি দল খালেদা জিয়াকে দেখভাল করছেন।হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনার জন্য আজ সোমবার মেডিকেল বোর্ড বসছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসার অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তাঁর মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান আজ প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান। হঠাৎ অসুস্থ হওয়ায় গত শুক্রবার দিবাগত রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে ভর্তি করানো হয়। গত বছরের এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর এ নিয়ে খালেদা জিয়াকে পাঁচ দফা বেসরকারি হাসপাতাল এভারকেয়ারে ভর্তি করা হলো। এর আগে গত ৬ এপ্রিল নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে একই হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ জুন ২০২২