বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজের বক্তব্যে অটল। উনি সেটার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। এর মানে দাঁড়ায়, ভারতের আনুকূল্যে এই আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে। এখন সাধারণ মানুষ না খেয়ে থাকছে। দিন দিন দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। তবে ভালো আছে লুটেরা এলিট শ্রেণি। তারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত। তাই যে সরকার অন্যের জোরে টিকে আছে, তাদের ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই।’শনিবার (২০ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব) আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, নজিরবিহীন লোডশেডিং, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এবং হত্যা, গুম, দমন-পীড়নের প্রতিবাদে মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সামনে নির্বাচনের কারণে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারকে দেশে আসার অনুমতি দিয়েছে সরকার। আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে, ততবারই বর্গীদের মতো সবকিছু লুটপাট করে নিয়ে গেছে। সব অধিকার কেড়ে নিয়েছে।’তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আজ বিভিন্নভাবে ডাইভার্ট করতে চায়। আওয়ামী লীগ তাদের অপকর্ম-দুর্নীতি থেকে মানুষের মনকে অন্য দিকে নিয়ে যেতে চায়। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে দেশের মূল সংকট একটা সেটা হচ্ছে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে। আওয়ামী লীগ জোর করে বিনা ভোটে শুধু রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। এই আওয়ামী লীগকে সরাতে আমাদের পবিত্র দায়িত্ব আন্দোলন, আন্দোলন, আন্দোলন। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জনগণকে রাস্তায় নিয়ে এই ভয়াবহ রাষ্ট্র ধ্বংসকারী সরকারকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন আর কোনো নির্বাচনের কথা নয়। এখন আর ঘুম পাড়ানির কোনো কথা নয়। এখন একটা মাত্র দাবি, এই সরকার কবে যাবে। তাই আমরা বলেছি, সবার আগে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। তারেক রহমানসহ ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দেওয়া মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। অবিলম্বে এই সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং নতুন নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে একটি জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল একটি পার্লামেন্ট ও সরকার গঠন করতে হবে।’তিনি বলেন, ‘দুঃখ হয় আমার, একটা দলের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করেন। দলটির সভানেত্রী শেখ হাসিনাও বলে থাকেন, জিয়াউর রহমান নাকি যুদ্ধ করেননি। জিয়াউর রহমানের নাকি বাইরে মুক্তিযোদ্ধার পোশাক ছিল, ভেতরে নাকি ছিল পাকিস্তান চর, ধিক্কার দেই আমি যারা জিয়াউর রহমানের ভূমিকাকে অস্বীকার করে, তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে।’বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশকে স্থায়ীভাবে একটি অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দিয়েছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক। এটা আমার কথা নয়, এটা খালেদা জিয়ার কথা যিনি গণতন্ত্রের জন্য আজও বন্দি হয়ে আছেন। তিনি বলেছিলেন বাংলাদেশকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে, ব্যর্থ রাষ্ট্র করা হচ্ছে, এখন তাই হচ্ছে। প্রত্যেকবার নির্বাচনের আগে জনগণকে ভোট দেওয়ার জন্য লড়াই করতে হবে, সংগ্রাম করতে হবে। আর এটা যার জন্য হচ্ছে, তার জন্য দায়ী ওই খায়রুল হক সাহেব। এটাই হচ্ছে আমাদের প্রধান সমস্যা যে বিচার বিভাগ ধ্বংস হয়ে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ আগস্ট ২০২২
সরকারকে টিকিয়ে রাখতে ভারতের সাহায্য কেন দরকার, এর ব্যাখ্যা জানতে চায় বিএনপি। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য ভারতের সাহায্য কেন দাবি করেছেন, এর ব্যাখ্যা সরকারের কাছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে, এমনকি ভারত সরকারের কাছেও জানতে চাই।’জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। আজ শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সভা হয়।গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম শহরের জে এম সেন হলে জন্মাষ্টমী উৎসবের অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, সেটি করতে ভারত সরকারকে অনুরোধ করেছেন তিনি।পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মিছিল–সমাবেশে মন্ত্রীরা বড় বড় বক্তৃতা করেছেন, হুমকি দিয়েছেন। সন্ত্রাসী ভাষায় কথা বলেছেন। এতই যদি হুমকি দেন, তাহলে আপনাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য ভারতের সাহায্য দাবি করেন কেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে কথা বলেছেন, সে কথার অর্থ কী? তাতে কি এটা দাঁড়ায় এই সরকার টিকে আছে ভারতের আনুকূল্যে। এই কথার জবাব তো এ দেশের মানুষ জানতেই চাইবে।’পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের বিষয়ে আজ সকালে পৃথক এক অনুষ্ঠানে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, এ কে আব্দুল মোমেন অনেক সময় নিজের অজান্তেই সত্য কথা বলে বসেন। ‘বেহেশতে’ থেকে তো আর মিথ্যা কথা বলা যায় না। তাই সত্যটাই বলে দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।এদিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের আলোচনা সভায় ব্যাংকিং ব্যবস্থা শেষ হয়ে গেছে দাবি করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এর আগের অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন পুঁজিবাজার যে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, লুট হয়ে যাচ্ছে, তাদের ধরা যাচ্ছে না। কারণ, তাদের হাত অনেক লম্বা। তখন যে প্রতিবেদন বেরিয়েছিল, তার মধ্যে পরিকল্পনামন্ত্রীও ছিলেন। এখন তিনি অর্থমন্ত্রী। অর্থাৎ এই সরকার দুর্নীতিবাজদের সরকার। এই সরকার চোর ও ডাকাতের সরকার। এরা অবৈধ। এদের বৈধতা নাই। এরা রাতের অন্ধকারে নির্বাচন করে জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ আগস্ট ২০২২
সরকারকে টিকিয়ে রাখতে ভারত সরকারের কাছে অনুরোধের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বেহেশত থেকে তো আর মিথ্যা কথা বলা যায় না, তাই সত্যটাই বলে দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার (১৯ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।রিজভী বলেন, ‘এ কথাটা কিন্তু আজ দেশের প্রত্যেকটি গণমাধ্যমে এসেছে। তার মানে কী- জনগণের সমর্থন নেই। প্রধানমন্ত্রীর পায়ের নিচে মাটি নেই, এ কথাটাই তো সত্য প্রমাণিত হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী অনেক সময় তার অজান্তেই অনেক সত্য কথা বলে বসেন।’তিনি বলেন, ‘এ সরকার সম্পর্কে বিএনপি ও দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের যে ধারণা, সেটাই এ সরকারের মন্ত্রীরা প্রমাণ করছেন। বেহেশত থেকে তো আর মিথ্যা কথা বলা যায় না, তাই সত্যটাই বলে দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।’রিজভী বলেন, ‘জনগণের ভিত্তির ওপর তারা তো দাঁড়িয়ে নেই। তারা দাঁড়িয়ে থাকতে চায় অন্যের শক্তির ওপর। এরা যে দড়িটা ধরে আছে, সেটা জনগণের দড়ি নয়, বাইরের। আজ সেটা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।’তিনি বলেন, ‘সরকার গঠনের প্রশ্নে বিএনপি সবসময় জনগণের শক্তির ওপর সাহস করেই কথা বলে। সেজন্য সবার অংশগ্রহণে স্বচ্ছ নির্বাচন আমরা চাই। আমরা কারও কাছে ধরনা দিই না যে, আমাদের ক্ষমতায় বসাতে হবে। আওয়ামী লীগ সব কিছু হারিয়েছে, জনগণ তাদের ত্যাজ্য করেছে বলেই অন্যের কাছে যাচ্ছে তাদের টিকিয়ে রাখার জন্য।’দেশের মানুষ বেহেশতে রয়েছে -বলে মন্তব্য করে সমালোচিত হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। সবশেষ ১৮ আগস্ট চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে তিনি সরকারকে টিকিয়ে রাখতে ভারতকে বলেছেন বলে জানান।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ আগস্ট ২০২২
দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সংলাপের কোনো পরিবেশ নেই বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।তিনি বলেন, ‘দেশের রাজনৈতিক সংকট সমাধানে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনো সংলাপ হতে পারে না। এ সরকার পদত্যাগ করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে যতক্ষণ পর্যন্ত ক্ষমতা হস্তান্তর না করবে, সংসদ বিলুপ্ত না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সংলাপের প্রশ্নই ওঠে না।’বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।যে বুলেট শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে এতিম করেছে, খালেদা জিয়া সেই বুলেট আপনাকেও ছাড়েনি ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এটা তো ভয়ঙ্কর কথা। এ বুলেটের কথা যদি তিনি বলে থাকেন, তাহলে আমর সন্দেহ হয়। যদিও আমি শুনিনি তিনি ঠিক কী বলেছেন। যদি তিনি এটা বলে থাকেন, তাহলে বোঝা যাবে, তিনি পুরোপুরিভাবে এই ধরনের একটি চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত।’ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে তারা রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে চান। জীবন থেকেও সরিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত রয়েছে কি না, সেই প্রশ্ন নিশ্চয় আসে। এটা তাকে অবশ্যই জবাব দিতে হবে। কারণ তিনি দায়িত্বশীল সরকারের মন্ত্রী। এটা প্রত্যাখ্যান করার সুযোগ নেই। তিনি যদি বলে থাকেন যে, আমি এটা বলিনি তাহলে তাকে এটা বলতে হবে। তিনি যদি বলে থাকেন, তাহলে অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে সরকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।’মানবাধিকার ইস্যুতে বিএনপি যতগুলো অভিযোগ করেছে, সবকিছু রাজনৈতিক বলে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তিনি (ওবায়দুল কাদের) তো গুম-অপহরণের বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন। আমি তো টেলিভিশনে দেখলাম, তিনি বক্তব্যে বলেছেন, গুম বা অপহরণ হয়ে যাওয়া বিষয়গুলোর বিচার করার জাতিসংঘের কোনো ক্ষমতা নেই। তার মানে এগুলো সংঘটিত হয়েছে, এটা স্বীকার করছেন। নেত্রনিউজের প্রতিবেদনে আরও বেশি প্রমাণিত হয়েছে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ আগস্ট ২০২২
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এ সরকারের জনগণের কাছে কোনো দায়বদ্ধতা নেই, বিধায় তারা জনগণের কল্যাণের তোয়াক্কা না করে নিদারুণভাবে নিষ্ঠুর ও নির্দয় হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এ দুর্নীতিগ্রস্ত স্বৈরাচারী সরকারকে রাজপথের গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশে সত্যিকার অর্থে জনমানুষের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।যারা সম্পদের পাহাড় গড়েছে সুইজারল্যান্ডের (সুইস) ব্যাংকসহ কানাডার বেগমপাড়ায়, টাকা পাচার করেছেন, তারা জনগণের কষ্ট অনুভব করতে পারে না।দেশের অর্থনীতির অস্থিতিশীলতায় সরষেতে ভূত থাকলে ভূত তাড়াবে কে। সরকারের মধ্যেই ভূত রয়েছে এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।বুধবার (১৭ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।মির্জা ফখরুল বলেন, নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির মাঝেই রাতের আঁধারে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা। জনগণ অসহনীয় হয়ে উঠেছে। অর্থনীতির কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছে সরকার।দেশের জনগণ এ দুঃশাসন থেকে মুক্তি চায়। লুটপাট, দুর্নীতি, অর্থপাচার আর অপশাসন দেশেটাকে সত্যিকার অর্থেই অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে এ কথা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠানকেই বাকশালীরা ধ্বংসের শেষ প্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে। বাগাড়ম্বর আর কাল্পনিক উন্নয়নের গল্প দেশের জনগণ আর শুনতে চায় না।তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর যত অন্যায় অপকর্ম করেছে তার প্রায়শ্চিত্ত তাদের করতে হবে। সম্প্রতি জ্বালানির দাম বাড়িয়ে তারা জনগণের বেঁচে থাকার ন্যূনতম অধিকারটুকুও কেড়ে নিয়েছে।বর্তমান ভোটারবিহীন অবৈধ সরকারের কিছু সুবিধাভোগী দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী চক্রের হাতে দৈনন্দিন ভোগ্যপণ্যের বাজার ব্যবস্থাপনা জিম্মি হয়ে আছে বলে জানান তিনি।iiiiiমির্জা ফখরুল বলেন, আসুন ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারকে বিদায় করি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ আগস্ট ২০২২
১৫ আগস্ট (সোমবার) বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ৭৮ বছরে পা দিচ্ছেন। দলীয় চেয়ারপারসনের জন্মদিন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। তবে ১৫ আগস্ট নয়, ১৬ আগস্ট পালন করা হবে এসব কর্মসূচি। এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার দেশব্যাপী দোয়া মাহফিলের আয়োজন করবে বিএনপি।রোববার (১৪ আগস্ট) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এই কর্মসূচির ঘোষণা করেন।রিজভী জানান, খালেদা জিয়ার ৭৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার রোগমুক্তি ও আশু সুস্থতা কামনা করে আগামী ১৬ আগস্ট দেশব্যাপী জেলা, মহানগর, উপজেলা ও থানা পর্যায়ে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। সেই সঙ্গে দেশব্যাপী চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যারা নিহত হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত ও যারা আহত হয়েছেন তাদের সুস্থতা কামনা করে দোয়া করা হবে।সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি শুরু হয়েছে। ক্ষুধার জ্বালা সহ্য করতে না পেরে নিজের সন্তান বিক্রি করে দিচ্ছে মানুষ। খাগড়াছড়ির পারুল চাকমা তার একমাত্র সন্তানকে মাত্র ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করতে বাজারে তুলেছেন। পৃথিবীতে মনে হয় এর চেয়ে সস্তা আর কিছুই হতে পারে না। এত সস্তা মানুষের জীবন তাও বিক্রি করতে পারছে না।তিনি আরও বলেন, ইতিহাসের অমানবিক দাসপ্রথা বাংলাদেশে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে অবৈধ শাসকগোষ্ঠী। বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট এমন ঘনীভূত হয়েছে যে, নিরুপায় হয়ে ছিনতাই করতে নেমে পড়েছে কেউ কেউ। ডিমের ট্রাকও ছিনতাই হচ্ছে। ভর্তা আর কাঁচা মরিচ দিয়ে ভাত খাওয়ার সামর্থ্য হারাচ্ছে মানুষ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ আগস্ট ২০২২
‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ বেহেশতে আছে’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন এমন বক্তব্য দিয়ে জনগণের সঙ্গে তামাশা করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।শনিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন।মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের মানুষ যখন প্রতিমুহূর্তে ভোগান্তিতে, কষ্ট করছে এবং তারা হিমশিম খাচ্ছে, জীবন দুর্বিষহ হচ্ছে সেই সময়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেহেশতে থাকার কথা বললেন। আমি দুঃখিত ব্যক্তিগত পর্যায়ে কথা বলছি- বর্তমানে উনার চেহারায় ফুটে উঠেছে তিনি স্ফীত হয়েছেন এবং বেশির ভাগ মন্ত্রীদের চিটনাই বেড়ে গেছে।তিনি বলেন, এসবের কারণটা হলো প্রচুর লুটপাট হচ্ছে। যে কারণে তারা জনগণের সঙ্গে পরিহাস, তামাশা শুরু করেছে। জন দুর্ভোগের সময়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এহেন বক্তব্য প্রদানের অধিকার নেই বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।‘মন্ত্রী মহোদয় এর আগেও এমন এমন সব উক্তি করেছেন যে, উক্তিগুলো দেশের মানুষের কাছে কিছুটা হাস্যকর ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে উনার এরকম পরিহাস করার কোনো অধিকার নেই।’সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিহউল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।শুক্রবার (১২ আগস্ট) সিলেট ওসমানি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা নিরসন সংক্রান্ত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা সুখে আছি, বেহেশতে আছি। করোনার পর যুদ্ধে সারাবিশ্বে মন্দা ভাব আসছে। যুদ্ধের ফলে স্যাংশনের মুখে পড়তে হয়েছে। সাপ্লাই চেঞ্জে ব্যাঘাত হচ্ছে। যার ফলে বিভিন্ন দেশে মন্দা এসেছে। আমরা সেদিক থেকে অত্যন্ত ভালো অবস্থানে আছি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ আগস্ট ২০২২
আগামী ২২ আগস্ট থেকে দেশের প্রতিটি থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ছড়িয়ে পড়তে বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, প্রথমে উপজেলা, এরপর প্রতিটি ইউনিয়ন-গ্রাম পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়ব। পরে জেলা ও মহানগর গুলোতে বিক্ষোভ সমাবেশ করব। জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে এ অনির্বাচিত অবৈধ সরকারকে পতনে বাধ্য করব।বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি, বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং এবং সব পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। মির্জা ফখরুল তার বক্তব্যে বলেন, শেখ হাসিনা সরকারকে বলতে চাই, অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। এই মুহূর্তে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সংসদ ভেঙে দিতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। নতুন নির্বাচন দিয়ে সংসদ গঠন করতে হবে। সরকার গঠন করতে হবে।দলের নেতাকর্মীদের রাজপথ দখলের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমাদের রাজপথ দখল করতে হবে। রাজপথে দখলের মধ্য দিয়ে এ সরকারকে বিদায় করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব।মির্জা ফখরুল বলেন, তরুণ সমাজই দেশকে স্বাধীন করেছে। আমরা যখন তরুণ ছিলাম, যুদ্ধ করে এ দেশ স্বাধীন করেছি। আজ আবারও এ তরুণ সমাজকে জেগে উঠতে হবে। তরুণদের নতুন করে দেশ স্বাধীন করতে হবে। বিএনপির মহাসচিব বলেন, সংগ্রাম শুরু হয়েছে, লড়াই শুরু হয়েছে। এ লড়াই আমাদের বেঁচে থাকার লড়াই। এ লড়াই বিএনপির নয়, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের বাঁচা মরার লড়াই। আমাদের লড়াইয়ে শরিক হতে হবে, ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। এ লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে আমরা ফ্যাসিস্ট, দানবীয়, মাফিয়া সরকারকে পরাজয়ের মধ্য দিয়ে সত্যিকার অর্থে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারব।তিনি বলেন, আগামীকাল (শুক্রবার) উপজেলা পর্যায়ে সমাবেশ আছে। আগামী ২২ তারিখ থেকে আমরা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ব। প্রতিটি উপজেলায় শন্তিপূর্ণ সমাবেশের মধ্য দিয়ে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে এ সরকারকে পরাজিত করতে বাধ্য করব।প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করারতেও সমাবেশ থেকে আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।এদিকে, সমাবেশ চলাকালে পল্টন পলওয়েল ও চায়না টাউন মার্কেট বরাবর আকাশে কয়েকটি ড্রোন উড়তে দেখা যায়। যদিও কে বা কারা এ ড্রোন ওড়ায়, তা জানা যায়নি।ড্রোন ওড়ানোর প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনারা অনেকে ড্রোনের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। কিন্তু কয়েকদিন আগে একটি খবর আমার চোখে পড়েছে, সরকার বিশেষ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইরান থেকে ২১টি ড্রোন আমদানি করেছে। তারা বলেছেন, এ ড্রোন নিয়েছে ভাসানচরে রাখা রোহিঙ্গাদের মনিটরিং করবেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজে গিয়ে ছিলেন, তিনি দেখেছেন ড্রোন দিয়ে কিভাবে কী করে। আসলে তারা এগুলো নিয়ে এসেছে এ দেশের মানুষকে মনিটরিং করার জন্য, যারা গণতন্ত্র চায় তাদের মনিটরিং করার জন্য। তিনি বলেন, ড্রোনের নাম শুনলেই আমরা ভয় পাই। ভয় পাই কারণ আমরা দেখেছি, ড্রোন দিয়ে কীভাবে এক দেশ থেকে অন্য দেশে গিয়ে বিভিন্ন নেতাদের হত্যা করা হয়। আমরা দেখেছি এ ড্রোন দিয়ে কীভাবে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই-সংগ্রামকারীদের হত্যা করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১১ আগস্ট ২০২২
সমাবেশে অংশ নিতে রাজধানীর নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে জড়ো হচ্ছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুর ১২টা থেকে রাজধানীর বিভিন্ন থানা-ওয়ার্ডের বিএনপির নেতাকর্মীরা ছোট-ছোট মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে আসতে শুরু করেন। যার ফলে আনুষ্ঠিকভাবে সমাবেশ শুরু হওয়ার আগে নয়াপল্টনের ভিআইপি সড়কের একপাশ বিএনপির নেতাকর্মীদের দখলে চলে যায়। ফলে, ফকিরাপুল থেকে কাকরাইলগামী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে আশপাশের সড়কেও তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুতের নজিরবিহীন লোডশেডিং, গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধিসহ ভোলায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে দু’জনের মৃত্যুর ঘটনায় এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ বিএনপি।সড়কের ওপর পিকআপ ভ্যানে অস্থায়ী মঞ্চে দুপুর ২টা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের। এছাড়া দলের স্থায়ী কমিটির নেতারাও বক্তব্য রাখবেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১১ আগস্ট ২০২২
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি'র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রবীণ মানুষ। সত্তরোর্ধ্ব এই বয়সে কঠিন এক সময়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছেন তিনি। যে সময়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা, গণতন্ত্রের মাতা, দেশনেত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে একটি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে রেখে বিনা ভোটের সরকার জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। দেশনেত্রী কারাগারে, দলের পরবর্তী কান্ডারী বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের শক্তির প্রতীক বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশদরদী তারেক রহমান সুদূর লন্ডনে। বিএনপি মহাসচিব নির্বাচনকে সামনে রেখে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা নিয়ে সক্রিয় হয়ে উঠেন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো'র ঐক্য তৈরি করতে।এখানে বলে রাখা দরকার, ২০১৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি'র সভায় দেশনেত্রী তার বক্তৃতায় ঐক্যপ্রক্রিয়ার দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। ম্যাডাম কারাগারে যাবার পর মহাসচিবসহ স্হায়ী কমিটি সদস্যগণ যখন কারাগারে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তখন তিনি চূড়ান্ত নির্দেশ দিয়েছিলেন। জাতীয় নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন সময় তাদের বক্তব্যে তা উল্লেখ করেছেন। এরপর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সরাসরি তদারকিতে বিএনপি স্হায়ী কমিটির দুজ'ন সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে (প্রয়াত) সঙ্গে করে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট রেখেই অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে যৌক্তিক ভাবে তৈরি করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যার অগ্রভাগে ছিলেন সংবিধান প্রণেতা গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। বলা চলে নিয়তির টানেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই লড়াইয়ের সামনের কাতারে দাঁড়িয়ে যেমন কাজ করতে হয়েছে এবং এখনো কাজ করতে হচ্ছে। একনিষ্ঠভাবে তিনি লক্ষ্য স্থির রেখে ধৈর্যের সাথে সঠিক পদক্ষেপ রেখে গুরুদায়িত্ব এখনো পালন করে যাচ্ছেন। বিশেষত, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ সাল থেকে আজ অবধি যা ঘটেছে সেখানে তিনি নিজেই নিজের পথপ্রদর্শক।গণতন্ত্রের প্রতীক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অভিভাবক স্থানে রেখে, সুদূর লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় রাজনৈতিক জীবনে সবচাইতে জটিল পরিস্থিতির মধ্যে দেশ ও দলের জন্য উজ্জ্বল এক যাত্রাপথ রচনা করে চলেছেন; সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীর প্রত্যাশার চূড়া নির্মাণে যিনি নিবেদিত, তিনি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। স্বৈরশাসক এরশাদ সরকারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্রহীন বাংলাদেশে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে এনে প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা, প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হয়ে ওঠা ম্যাডাম খালেদা জিয়ার নবদিগন্তের সূচনা বড় সাফল্য ছিল। তার এই সাফল্যের ছায়ায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দুই অর্জনে হতে পারেন কীর্তিমান। প্রথমত, অঘোষিত বাকশাল, বিনাভোটের আওয়ামী সরকার ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি করার গভীর ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আস্থা অর্জনের মধ্যে দিয়ে এবং দলের স্বার্থ রক্ষায় বড় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন নিজে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ না নিয়ে। দ্বিতীয়ত, দেশে লাগামহীন দূর্নীতি, নিত্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি, অর্থনীতি সংকট, জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধি, পরিবহন খাতে নৈরাজ্য, কৃষি খাতে ব্যয় বৃদ্ধি, নজিরবিহীন বিদ্যুৎ লোডশেডিং-এ নাভিশ্বাস, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বানিজ্য, পররাষ্ট্র নীতিতে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যেখানে সরকার সর্বতই বীরদর্পে ব্যর্থ, সেখান থেকে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বর্তমানে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর যুগপৎ আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে দেশে গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য "সরকার বিরোধী ঐক্য গঠন", আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করানো, দেশনেত্রী'র মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে সম্মানজনকভাবে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করানো, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনায় গুণগত পরিবর্তন প্রতিজ্ঞায়, ‘জাতীয় সরকার গঠন করা’। প্রথম রাজনৈতিক সংগ্রামের পর দ্বিতীয় এই সাফল্যের মধ্যে দিয়ে অর্থনীতির শিক্ষক, ছাত্ররাজনীতির অভিজ্ঞান থেকে বাংলাদেশের রাজনীতির ক্রান্তিকাল পরিভ্রমণশেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হয়ে উঠতে পারেন একজন কীর্তিমান। লেখক : শায়রুল কবির খান, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিকর্মী, সদস্য, বিএনপি মিডিয়া সেল ও চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ আগস্ট ২০২২
আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে দেশবাসী শঙ্কিতমন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।জনগণের বিরুদ্ধে জুলুমের আরেকটি নগ্ন বহিঃপ্রকাশ রোববার শাহবাগে বাম ছাত্র সংগঠনের ডাকা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশের অমানবিক হামলা এবং অসংখ্য ছাত্রকে আহত করা। মূলত, গণআন্দোলনের ভয়ে অবৈধ সরকার কর্তৃক এখন জুলুমের বৈচিত্র্যময় বিন্যাস দেখা যাচ্ছে। সোমবার (৮ আগস্ট) দুপুরে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি। ফখরুল বলেন, ভোলায় গুলি চালিয়ে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতার প্রাণ নেওয়ার পর জনদৃষ্টিকে বিভ্রান্ত করতে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে জনরোষ থেকে বাঁচার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জনগণের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে।তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের লাগামহীন ও অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি ও লুটপাটের প্রতিবাদে গতকাল (রোববার) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগে ‘প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনসমূহের’ ব্যানারে ডাকা বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশ বর্বরোচিত হামলা চালায়। এ পৈশাচিক হামলায় অসংখ্য নেতাকর্মীকে আহত করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।আওয়ামী সরকারের গণবিরোধী সিদ্ধান্তে জ্বালানি তেলের দাম প্রায় শতকরা ৫০ ভাগ বৃদ্ধিতে জনজীবনে এক দুর্বিষহ নৈরাজ্য নেমে এসেছে- দাবি করে বিএনপির এ নেতা বলেন, কৃষি ও শিল্পের উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধিসহ নজিরবিহীনভাবে মূল্যস্ফীতি অতীতের সব রেকর্ড ছাড়াতে শুরু করেছে।ফখরুল বলেন, যখন বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের দাম কমেছে, তখন বাংলাদেশে এর দাম বাড়ানো কর্তৃত্ববাদী নব্য বাকশালী সরকারের দম্ভের বিকৃত প্রকাশ। জ্বালানি তেলের দাম কমানোর যৌক্তিক দাবি নিয়ে জনগণ যখন রাস্তায় নেমে আসতে শুরু করেছে, তখন তা দমন করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রাইভেট লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।সরকার দেশকে ‘ডেঞ্জার জোনে’ পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, এ সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নিজেদের পেটোয়া ছাত্রলীগ-যুবলীগ দিয়ে গোটা দেশকে ডেঞ্জার জোনে পরিণত করেছে।তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের গণভিত্তি ধসে যাওয়ায় তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে জনগণের ওপর হামলা চালিয়ে প্রতিনিয়ত রক্ত ঝরাচ্ছে। নিজেদের লুটপাট, হরিলুট ও দুর্নীতিসহ সব অপকর্ম ঢাকার জন্যই গণতন্ত্রকে সমাধিস্থ করে বাংলাদেশকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যে আগামী নির্বাচন একতরফা করার জন্য জনগণের ওপর পূর্ণমাত্রায় আগ্রাসন চালাবে, এ পুলিশি হামলায় তারই নমুনা ফুটে উঠেছে। আমি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই, দুঃশাসনের পরিকাঠামো নির্মাণ করে কেউ বেশিদিন মসনদে বসে থাকতে পারেনি।ফখরুল বলেন, দেশের জনগণ কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসনের অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের একটি নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ স্থান হিসেবে গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। আমি বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর ওপর পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি, আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ আগস্ট ২০২২
গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গে প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টার সংলাপ শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকারের অধীন কোনো নির্বাচন নয়—সে ব্যাপারে তাঁরা একমত হয়েছেন। সেই সঙ্গে এ সরকারকে সরানোর জন্য লাগাতার আন্দোলন এবং নির্বাচন-পরবর্তী রাষ্ট্র মেরামতে ‘জাতীয় সরকার’ প্রতিষ্ঠার ব্যাপারেও তাঁরা একমত হয়েছেন।আজ বুধবার বেলা ১১টা থেকে পৌনে একটা পর্যন্ত রাজধানীর পুরানা পল্টনে গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সংলাপ হয়। সংলাপ শেষে গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘খুব ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে এবং আমরা অনেক ব্যাপারে দেখলাম একমত—এখনকার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার পর আমরা বুঝেছি যে আমরা একই পথে একই চিন্তায় আছি। এটা একটা খুশিকর খবর বিরোধী দলের জন্য, যারা বাংলাদেশের একটা পরিবর্তন চায়, তাদের জন্য।’বুধবার (৩ আগস্ট) পল্টন গণঅধিকার পরিষদে কার্যালয়ে সংলাপ শেষে এসব কথা বলেন তিনি।বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে আলোচনায় অত্যন্ত সন্তুষ্ট হয়েছি। তারা আমাদের সঙ্গে সবগুলো বিষয়ে একইমত ধারণ করেন। বিশেষ করে এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়, সেই ব্যাপারে তারা একমত। আমরা একমত হয়েছি যে, এই সরকারকে আর ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া যায় না। কারণ তারা অত্যন্ত সচেতনভাবে বাংলাদেশের অর্জিত সব অর্জনগুলো- গণতন্ত্র, বাক স্বাধীনতা, কথা বলার স্বাধীনতা, সাম্য ও সামাজিক মূল্যবোধ, ন্যায় বিচারের অধিকার সব ধ্বংস করে দিয়েছে।তিনি আরও বলেন, সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন প্রভৃতি বিষয়ে গণঅধিকারের সঙ্গে ঐকমত্য হয়েছে। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একটি জনগণের পার্লামেন্ট ও সরকার গঠন করতে হবে। যা সত্যিকার অর্থে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করবে। তারপর আমরা রাষ্ট্র মেরামতের জন্য সবাইকে নিয়ে একটি জাতীয় সরকার গঠন করব। এ বিষয়টি আলোচনা মধ্যে আছে। গণঅধিকার পরিষদে আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, খুব ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে এবং অনেক ব্যাপারে একমত হয়েছি। বর্তমানে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার পর বুঝেছি যে, আমরা একই পথে, একই চিন্তায় আছি। খুব বেশি ব্যাপারে কোন দ্বিমত নেই।এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হয় আমরা সেটা মনে করি না। অনেক দলের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে, আরও হবে। একটা জাতীয় ঐক্য তৈরি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আমাদের দুই দলের অবস্থান খুব কাছাকাছি এবং একসঙ্গে কাজ করব।গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেন, দেশের চলমান সংকটে রাজনৈতিক দলগুলোর করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চলমান সংকটকে যেভাবে আমরা দেখি তাতে বিএনপির সঙ্গে আমাদের খুব একটা পার্থক্য নেই। আজকের আলোচনায় আমাদের দশটি বিষয় ছিল। সেই বিষয়গুলোতে আমরা একমত পোষণ করেছি।তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকারকে হটাতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিএনপির দাবির সঙ্গে আমরাও একমত। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা, সংসদ বিলুপ্ত করা, রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত্যের ভিত্তিকে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা এবং এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে বর্তমান নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন এবং ইভিএম বাতিল করে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৩ আগস্ট ২০২২
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, এই সরকার আগামী ২০২৩ সালের নির্বাচন করে যেতে পারবে না। তার আগেই বিদায় নেবে। রাস্তায় সকল সমস্যার সমাধান হবে। রাস্তা দখল করতে পারলেই এই স্বৈরাচারের আগের স্বৈরাচারদের মতো পতন ঘটবে। খালেদা জিয়ার ভিশন ২০৩০ নিয়ে আমরা এগুচ্ছি। তার চূড়ান্ত রূপরেখা এখনো আসেনি। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শেষ হলে সরকার হঠানোর চূড়ান্ত রূপরেখা দেব।বুধবার (৩ আগস্ট) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত ‘সরকার ইভিএম-এ নির্বাচন করতে চায় কেন?’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ইভিএম হলো ভোট ডাকাতির মেশিন। তাই ভোট শেষে পেপার ট্রেইল দেওয়া হয় না। নির্বাচন কমিশন সংলাপের নামে নাটক করছে। কমিশন বলেছে সংলাপে অংশ নেওয়া অধিকাংশ দল ইভিএমের বিরোধিতা করছে। আমরাও ইভিএম চাই না। যারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে তাদের অধীনে নির্বাচন করা একটি পোস্ট বক্স ছাড়া কিছুই না। তাই ইভিএম বাতিল করতে হবে। খন্দকার মোশাররফ বলেন, সরকার নতুন পদ্ধতিতে ভোট ডাকাতি করে টিকে থাকতে চায়। এটা হতে দেওয়া যায় না। আমরা আব্রাহামের গণতন্ত্রের সংজ্ঞা থেকে অনেক দূরে চলে গেছি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করা হয়েছে। বর্তমান ক্ষমতাসীনরা গণতন্ত্র ধ্বংস হত্যা করে বাকশাল কায়েম করেছে। এখন শেখ হাসিনা সরকার অঘোষিতভাবে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছে। মেগা প্রজেক্টের নামে করেছে মেগা দুর্নীতি। এই দুর্নীতির মাধ্যমে আমাদের নিজস্ব রিজার্ভকে সংকটে ফেলেছে। বিদ্যুৎ নিয়ে তিনি বলেন, সরকার সাময়িক ব্যবস্থা কুইক রেন্টালকে প্রতিষ্ঠা করেছে স্থায়ী ব্যবস্থা হিসেবে। সংসদে ইনডেমনিটি দিয়ে তাদেরকে যা ইচ্ছা তা করার সুযোগ দিয়েছে। ক্যাপাসিটি চার্জের নামে কোটি কোটি টাকা দিয়েছে অথচ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়নি। এরা সবাই সরকারপুষ্ট। দেশকে আমদানি নির্ভর করে দিয়েছে। কারণ আমদানি করতে পারলেই দুর্নীতি করা যায়। আইএমএফ সরকারকে বলছে সরকারের হিসেব সঠিক নয়। সরকার বলছে আইএমএফকে কেন সব হিসেব দিতে হবে। আবার অর্থমন্ত্রী আইএমএফের কাছ থেকে মূলধনের জন্য ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ চেয়েছেন।তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কায় প্রথম সংকট শুরু হয়েছিল জ্বালানি আর লোডশেডিং দিয়ে আমাদের এখানেও সেইভাবে শুরু হয়েছে। সুতরাং দেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে গেছে। কিছুদিনের মধ্যেই দেউলিয়াত্ব দেখবেন। শ্রীলঙ্কার স্বৈরতন্ত্রের মতো বাংলাদেশেও ফ্যাসিবাদ চলছে। তিনি আরও বলেন, গত নির্বাচনে ড. কামাল হোসেনকে আমরা নেতা বানালেও নির্বাচন ঘোষণার পর তিনি বললেন তিনি নির্বাচন করবেন না। তখনই ঐক্যফ্রন্টের রূপরেখা ধূলিসাৎ হয়ে যায়। ফলে ফ্যাসিবাদী সরকার বাংলাদেশের বৃহত্তম দল বিএনপিকে ৬টি আসন ধরিয়ে দেয়। আগের মতো বিপর্যয় যাতে না আসে সেজন্য আমরা দলগুলোকে যাচাই বাছাই করছি। মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকার বলছে রিজার্ভের সংকট নেই, তাহলে ব্যবসায়ীদের এলসি কেন রিফিউজ করে দেওয়া হচ্ছে। বিএনপিকে সরকারের হারিকেন ধরিয়ে দেওয়া নিয়ে বলেন, ৫ কোটি হারিকেন কেনার টাকা সরকারের নেই। তাই তারা হারিকেন ধরিয়ে দিতে পারবে না। জনগণ তাদেরকে হারিকেন ধরিয়ে দেবে।বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুন-অর-রশিদ, বিএনপির ফরিদপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, নির্বাহী কমিটির সদস্য বিলকিস ইসলাম, শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপু, ড. মো. আব্দুস সেলিম, আনোয়ার হোসেন বুলু, কৃষিবিদ শাহাদাত হোসেন বিপ্লব, মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৩ আগস্ট ২০২২
ভোলায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবদুর রহিম নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ডাকা বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপির কর্মীরা হরতালের দাবি তুলে স্লোগান দিয়েছেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাঁদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আগে রাস্তা দখল করো।’ আজ মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন মির্জা ফখরুল। ফখরুলের বক্তব্যের শেষ দিকে উপস্থিত কর্মীরা ‘হরতাল’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন। বিএনপির মহাসচিব তাঁদের উদ্দেশে বলেন, ‘আগে রাজপথ দখল করো।’ ফখরুলের বক্তব্য শেষ হয়ে গেলেও কর্মীরা ‘হরতাল’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন।মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা ঘোষণা করছি, আগামী পরশু দিন থেকে প্রতিটি অঙ্গসংগঠন বিক্ষোভ করবে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনের নেতৃত্বে পরবর্তী কর্মসূচি দেব।’কর্মীদের রাস্তায় নামতে আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘রাস্তায় না নামলে কিছুই হবে না। রাস্তা দখল করতে হবে। সবাই তৈরি হয়ে যান। এই সরকারকে টেনেহিঁচড়ে নামাব।’ভোলায় পুলিশের গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার মৃত্যুর প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভোলায় পুলিশের গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার মৃত্যুর প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ। সরকার পতনের এক দফা দাবি আদায়ের উদ্দেশে সরকারকে আর কোনো সময় দেওয়া যাবে না বলেও জানান ফখরুল। তিনি বলেন, ‘গর্জে উঠতে হবে। রাস্তাঘাট দখল করতে হবে। ক্ষমতাসীনদের নামিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে হারিকেন হাতে বিএনপির নেতাদের বিক্ষোভের ঘটনায় গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির নেতাদের হাতে হারিকেন ধরিয়ে দিতে বলেন। এর জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘হারিকেন ধরিয়ে দেওয়ার সময় এসেছে আপনাদের। হারিকেন ধরার টাইম পাবেন না। পেছনের দরজা দিয়ে যাওয়ারও সময় পাবেন না।’ শ্রীলঙ্কার উদাহরণ টেনে ফখরুল বলেন, ‘জনগণ পালাতে দেয় না। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশকে বর্তমান সরকার শ্মশানে পরিণত করেছে।’মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘ভোলায় নিহত রহিমের মায়ের বুক চাপড়ানোর দৃশ্য নতুন নয়। ফিলিস্তিনের মায়েরা যেভাবে বুক থাপড়ে কাঁদে, এটা সেই দৃশ্য। ১৪ বছর ধরে বিএনপি সেই দৃশ্য দেখে আসছে।’ তাঁদের নেতা-কর্মীরা পুলিশের ভয়ে পালিয়ে থাকতে থাকতে হয়রান হয়ে গেছেন বলেও জানান ফখরুল।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘রহিমের রক্তের মধ্য দিয়ে সরকারের বিদায়ের সূচনা শুরু হয়েছে। পুলিশ একটি দলকে খুশি করতে জনগণের ওপর গুলি ছুড়ছে।’সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ে মিথ্যাচার করছে উল্লেখ করে বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি সবচেয়ে বেশি, যা অন্তত ৩০ শতাংশ হবে।ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন, সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ আগস্ট ২০২২
সরকার পুলিশ দিয়ে আন্দোলন দমনের পাঁয়তারা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।ভোলায় পুলিশের গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নিহত আবদুর রহিমের স্মরণে আজ সোমবার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গায়েবানা জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকার পুলিশ দিয়ে গুলিবর্ষণ করে জানান দিয়ে দিয়েছে যে, তারা পুলিশ দিয়ে নির্যাতন করে এই আন্দোলনকে দমন করতে চায়। কিন্তু ভোলার মানু্ষের রক্তের মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, এদেশের মানুষ কখনো ফ্যাসিবাদী সরকার, আওয়ামী লীগ সরকারের দমননীতিকে মেনে নেবে না।'মির্জা ফখরুল বলে, 'পুলিশের গুলিতে আমার গণতান্ত্রিক ভাইদের রক্ত ঝরেছে, রক্ত ঝরেছে ভোলায়। ভোলায় শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ গুলিবর্ষণ করেছে। সেখানে স্বেচ্ছাসেবক দলের ভাই আবদুর রহিমকে হত্যা করেছে। এতে আহত হয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতা এবিএম মোশাররফ হোসেন। এক শ জনের উপরে নেতা-কর্মীকে গুলিবর্ষণ করে আহত করা হয়েছে।''এটা ছিল একটা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি। বিদ্যুতের দাবিতে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ছিল। সেই সমাবেশে আজকে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের পুলিশ দিয়ে গুলিবর্ষণ করা হয়েছে।'বিদ্যুতের লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে রোববার বিভিন্ন জেলায় সমাবেশ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভোলার নির্ধারিত কর্মসূচিতে পুলিশ নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায় ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুর রহিমসহ ৫০ এর অধিক নেতা-কর্মী আহত হয়। বিএনপি এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ সারাদেশে গায়েবানা জানাজা ও আগামীকাল বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করে।দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ভোলায় নিহত আবদুর রহিমের স্মরণে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিএনপি মহানগর, স্বেচ্ছাসেবক দল, যুব দল, কৃষক দলসহ অঙ্গসংগঠনের সহস্রাধিক নেতা-কর্মী অংশ নেন। গায়েবানা জানাজার পর আবদুর রহিমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ আগস্ট ২০২২
বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকতুল্লাহ বুলু বলেছেন, এই সরকারের আমলে সাড়ে ১৪ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে।রোববার (৩১ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাব চত্বরে ফরিদপুর জেলা ও মহানগর বিএনপির উদ্যোগে সারা দেশে লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।বুলু বলেন, বাংলাদেশের চাল-ডালের দাম বেড়েছে। শ্রীলঙ্কা দেউলিয়া হয়েছে। পাকিস্তান দেউলিয়া হওয়ার পথে। আর এই সরকারের অনেক নেতা মালয়েশিয়া, দুবাইয়ে সেকেন্ড হোম বানিয়েছে।খালেদা জিয়ার চরিত্র হনন করার চেষ্টা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, শেখ হাসিনার পর আওয়ামী লীগের হাল কে ধরবে? কে তা কেউ বলতে পারে না।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ফরিদপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন, আপনাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে শেখ হাসিনার সরকারকে হটাতে হবে। আপনারা একতাবদ্ধ না হলে এটা সম্ভব হবে না। আমরা এই সরকারকে টেনেহিঁচড়ে ক্ষমতা থেকে নামাব।বিএনপি ফরিদপুর মহানগরের আহ্বায়ক এ এফ এম কাইয়ূমের সভাপতিত্বে সমাবেশে কেন্দ্রীয় জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, ফরিদপুর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এ কে কিবরিয়া স্বপন প্রমুখ বক্তব্য দেন। এ সময় দলের বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।সভায় বক্তারা বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কার্যক্রমের সমালোচনা করে বলেন, তারা শুধু নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত। এ দেশের জনগণের প্রতি তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। প্রতিদিন দ্রব্যমূলের দাম বাড়ছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সমস্যা প্রকট হয়ে দেখা দিচ্ছে। অথচ তাদের কোনো খেয়াল নেই।বক্তারা বলেন, ক্ষমতা কারও চিরস্থায়ী নয়। রাতের আঁধারে ক্ষমতায় গিয়ে এই সরকার জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। তারা অবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ঘোষিণা করে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩১ জুলাই ২০২২
বিএনপিকে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর চায়ে কী থাকবে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এই চায়ের দাওয়াতে কী আছে, সেখানে কী থাকবে—ধুতরার ফুল থাকবে, নাকি হ্যামলকের রস থাকবে। এটা নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন উঠেছে।’তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আগেও চায়ের দাওয়াত দিয়েছিলেন। পরে আমাদের নামে ব্যাপকভাবে মামলা দেওয়া হয়েছিল। এমনকি যাঁরা হজে ছিলেন, চিকিৎসা নিচ্ছিলেন, তাঁদের নামেও মামলা দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সারা দেশের বিদ্যুতের চরম সংকট এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতার অশালীন বক্তব্যের প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।হঠাৎ বিএনপিকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরম সুরে কথা বলছেন উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘চায়ের দাওয়াত দিচ্ছেন। এসব স্বাভাবিক বিষয় না, এর ভেতর নতুন ষড়যন্ত্র রয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে ঘেরাও কর্মসূচি করলে চায়ের দাওয়াত দেব, হঠাৎ আপনার গলার সুর নরম হলো কেন? এটা তো অদ্ভুত ব্যাপার। আপনার গলার সুর যখন ক্ষীণ হয় তখন বুঝতে হয়, বিরোধী দলের ওপর মনে হয় আরও ভয়ংকর নির্যাতন নেমে আসছে।’বড় প্রকল্পের নামে টাকা লুট হচ্ছে জানিয়ে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, দেশে বড় বড় মেগা প্রজেক্টের নামে জনগণের টাকা লুটপাট করা হয়েছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আছে, তাই তাদের হয়তো আদালতে জবাবদিহি করতে হচ্ছে না। কিন্তু জনগণের আদালতে জবাবদিহি করতে হবে।রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী চায়ের দাওয়াত কেন দিচ্ছেন। যদি নিরপেক্ষ সরকার দিতে চান। তবে আলোচনা হতে পারে। তবে তাঁরা তো গণতন্ত্রকে জাদুঘরে রেখে দিয়েছেন। তাঁরা প্রশ্ন তোলে সংবিধানে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের সুযোগ নেই। এর দৃষ্টান্ত তো ১৯৯৬ সালে হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আছে দস্যুদের মতো। গণতন্ত্র আমাদের ফিরিয়ে আনতে হবে। এর জন্য নিরপেক্ষ সরকারব্যবস্থার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৫ জুলাই ২০২২
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মানলে বিএনপি প্রধানমন্ত্রীর চা পান করবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের জবাবে এ কথা জানান তিনি।আজ রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানিয়ে বলেন, ‘নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া কোনো নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না।’গণতান্ত্রিক আন্দোলনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও করতে চাইলেও বিএনপিকে বাধা দেওয়া হবে না উল্লেখ করে শনিবার বিকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের যৌথসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আমি তো বলে দিয়েছি, তারা যদি, এমনকি প্রাইম মিনিস্টার অফিসও যদি ঘেরাও করতে আসে, তাদের পুলিশ যেন বাধা না দেয়। বিশেষ করে বাংলামোটরে বাধা দেওয়া হত, সেটা বন্ধ করে দিয়েছি। আসুক না হেঁটে হেঁটে যতদুর আসতে পারে আসুক। আমি চা খাওয়াব, বসাব, কথা বলতে চাইলে শুনব। আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী।’আজ ফখরুল আরও বলেন, ‘দেশকে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, কানাডা বানিয়ে দিচ্ছে অথচ দেশের বিভিন্ন জেলায় মানুষ দুই বেলা খেতে পাচ্ছে না। জ্বালানির ব্যাপারে সরকার পরিকল্পনা করেনি তাই এই সংকট দেখা দিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘বোরো ধানের মৌসুম শুরু হতে হচ্ছে। গ্রামে ৭ থেকে ৮ঘণ্টা বিদ্যুৎ যাচ্ছে। এতে ধান উৎপাদন কমে যাবে। খাদ্য সংকট হবে। কিছুদিন পর সার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে। সারের সংকট হবে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ জুলাই ২০২২
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশ আজ গভীর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটে বিপন্ন। সরকারের গণবিরোধী কার্যক্রম ও অধিকার হরণে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। দেশের সংকট নিরসনে গণবিরোধী অনির্বাচিত সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল এবং পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করার দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের সংকট নিরসনে একমাত্র বিকল্প বিএনপি। আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করবো।শনিবার (২৩ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ‘মিট দ্য ওকাব উইথ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ওভারসিজ করেসপনডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ওকাব) এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।সংগঠনটির সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম মিঠুর পরিচালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন ওকাবের আহ্বায়ক কাদির কল্লোল।মির্জা ফখরুল বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকার বাংলাদেশকে কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। স্বাধীনতার ৫০ বছরেও মানুষ তাদের ন্যূনতম অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আজ দেশে সুশীলরা কথা বলতে ভয় পান। সাংবাদিকরা লিখতে ভয় পান, বিচারপতিরা ন্যায় বিচার করতে ভয় পান।তিনি বলেন, অর্থনীতিকে সরকার একটি ত্রাসে পরিণত করেছে। দেশব্যাপী একটি ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা লুটপাট-দুর্নীতি হচ্ছে। দারিদ্র্যের হার ৪২ শতাংশ হয়েছে, যা আগে ৪০ শতাংশের নিচে ছিল। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, তেল গ্যাস জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করেছে।নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থাকে সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে। যে দেশের মানুষ উৎসব করে ভোট দিতো তারা আজ ভোটকেন্দ্রে যায় না। ভোট দেওয়াকে ঘৃণা করে। মানুষের কোনো আস্থা নেই নির্বাচনে। বিদেশিরা ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনকে ইতোমধ্যে ভূয়া নির্বাচন বলে দিয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৩ জুলাই ২০২২
দেশকে সিঙ্গাপুর বানাতে গিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার আজিমপুর বানিয়ে ফেলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতার বক্তব্যের প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করে স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, অনেক উদ্ভট প্রতিশ্রুতি দিয়ে সরকারে এসে সর্বপ্রথম তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বললেন, বাংলাদেশকে সিঙ্গাপুর বানাবেন। এখন বাংলাদেশটা আজিমপুরের কাছাকাছি। সুতরাং সিঙ্গাপুর বানাতে গিয়ে তিনি দেশকে আজিমপুর বানিয়ে ফেলছেন।দেশকে আজিমপুর ‘বানানোর’ ব্যাখ্যা দিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘তাঁরা বলেন, ২৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ, আর আমাদের প্রয়োজন ১১ হাজার মেগাওয়াট। এখন বলে তা–ও ঘাটতি। কুইক রেন্টালের নামে লাখ লাখ কোটি টাকা লুটপাট করেছে, যে টাকা বিদেশে পাচার হয়ে গেছে।’ গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমাদের দেশে গ্যাসের দাম বাড়ে, তারপরও দিতে পারে না, আবার প্রতিবেশী দেশে গ্যাস রপ্তানির চুক্তি করে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বসে আছেন। আমার দেশের মানুষ শুষ্ক মৌসুমে পানি পায় না, অথচ ফেনী নদীর পানি তাদেরকে খাবার জন্য আমাদেরকে দিতে হয়। বর্ষা মৌসুমে যখন তাদের পানি বাড়ে তখন স্লুইচগেটগুলো খুলে দিয়ে আমাদেরকে পানিতে মারে।’এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার একটিই পথ, তা হলো শেখ হাসিনা সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামাতে হবে বলে মনে করেন তিনি। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আজকে মূল দায়িত্ব হলো এই সরকারকে বিদায় দেওয়া। নির্বাচন কমিশন নিয়ে আমরা কেন কথা বলব, আমরা নির্বাচনে যাব না। নির্বাচন কমিশন বলেছে, ভোটের দিন যদি কেউ তলোয়ার নিয়ে আসেন, তাহলে প্রতিপক্ষও পাল্টা রাইফেল নিয়ে নামবেন। আমরা যদি তলোয়ার আর রাইফেল হাতে নিই, তাহলে আমরা নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করব কেন? তার আগেই আপনাদেরকে বিদায় দেব। একটি সাংবিধানিক পদে থেকে সন্ত্রাসকে উসকে দেওয়া ও জনগণকে আতঙ্কে রাখা ভোটকেন্দ্র শূন্য রাখার একটি প্রয়াস মাত্র।’অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ।অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এস এম জিলানী। আর সঞ্চালনা করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম এবং স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সধারণ সম্পাদক গাজী রেজওয়ানুল হোসেন রিয়াজ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২১ জুলাই ২০২২