প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারের উন্নয়ন যারা ধ্বংস করেছে তাদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকেই রুখে দাঁড়াতে হবে। এ তাণ্ডব যারা করেছে, তাদের বিচার দেশবাসীকে করতে হবে।বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকালে কোটা আন্দোলনের সময় ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।শেখ হাসিনা বলেন, কোটা আন্দোলনকারীদের যেমন দাবি ছিল তার থেকে বেশি পূরণ করা হয়েছে। তাহলে এখনও কীসের আন্দোলন। তাদের দাবি ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তন হয়েছে। যা ধ্বংসযজ্ঞকে সুযোগ করে দিচ্ছে।তিনি বলেন, গেল ১৬ বছরে দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন করা হয়েছে। যার সুফল সাধারণ মানুষ পাচ্ছে। এগুলোর উপর এত ক্ষোভ কেন? রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্টে সাধারণ মানুষেরই কষ্ট হবে। সেটা কি সাধারণ মানুষ ভেবেছে? যারা এই কষ্ট তৈরি করল তাদেরকে জনগণেরই প্রতিহত করতে হবে। এসব তাণ্ডব যারা চালিয়েছে তাদের বিচার জনগণকেই করতে হবে।এ সময় ধ্বংসযজ্ঞকারীদের রুখে দিতে জনসাধারণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।তিনি বলেন, দেশের মানুষের জীবনমান উন্নতি করতে কাজ করে যাচ্ছি। সাধারণ মানুষ যেন নির্বিঘ্নে কর্মক্ষেত্র পৌঁছাতে পারে সেটা সুনিশ্চিত করা হবে। দেশ যেন আর্থিকভাবে সচ্ছল হতে পারে সেই চেষ্টা করা হবে। এ দেশ মানুষ রক্ত দিয়ে স্বাধীন করেছে সেটা ব্যর্থ হতে পারে না।তিনি আরও বলেন, যে স্থাপনাগুলো মানুষের জীবনকে সহজ করে সেগুলো ধ্বংস করা আসলে কোন ধরনের মানসিকতা। ঢাকা শহর যানজটে নাকাল থাকলেও মেট্রোরেল স্বস্তি দিয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির এই পরিবহন এভাবে ধ্বংস করেছে তা মানতে পারছি না।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৫ জুলাই ২০২৪
বাংলাদেশ রেলওয়ের ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিনের প্রথম ভাগে পশ্চিমাঞ্চলের টিকিটের সিংহভাগ মাত্র আড়াই ঘণ্টাতেই শেষ হয়ে গেছে। আজ সোমবার রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের টিকিট বিক্রি শুরু হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাহিদা ছিল প্রথম রংপুর বিভাগের। এ বিভাগের টিকিট প্রথম ঘণ্টাতেই বিক্রি শেষ হয়ে গেছে।প্রথম আড়াই ঘণ্টায় পশ্চিমাঞ্চলের সাড়ে ১৪ হাজার টিকিটের মধ্যে ১৪,৩৯১ টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। সকাল আটটা থেকে পশ্চিমাঞ্চলে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়।প্রথমদিনে পশ্চিমাঞ্চলের অন্য দুই বিভাগ রাজশাহী ও খুলনায় টিকিটের চাহিদা কম থাকলেও আজ দ্বিতীয় দিনে টিকিটের ব্যাপক চাহিদা ছিল।ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট বিক্রির শুরুতেই উত্তরবঙ্গের টিকিটের অনেক চাহিদা ছিল।রেলওয়ের টিকিট বিক্রিতে যুক্ত সহজ ডটকমের সিইও সন্দ্বীপ দেবনাথ বলেন, প্রথম আড়াই ঘণ্টায় পশ্চিমাঞ্চলের ১৪,৩৯১টি টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। এর মধ্যে পিক আওয়ার সকাল ৮টা থেকে সাড়ে আটটার মধ্যে যাত্রীদের টিকিট কাটতে সহজ ডটকমের সার্ভারে প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখ হিট পড়েছে।রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিমাঞ্চল রেলওেয়ের উত্তরবঙ্গের ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে চলাচলকারী একতা, দ্রুতযান ও পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের টিকিটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এরপরই রয়েছে ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটের কুড়িগ্রাম ও রংপুর এক্সপ্রেস এবং ঢাকা-নীলফামারি রুটের চিলাহাটি ও নীলসাগর এক্সপ্রেসের চাহিদা।এই তিনরুটের টিকিট প্রথম দশ মিনিটেই শেষ হয়ে গেছে। আর ঢাকা থেকে লালমনিরহাটে চলাচলকারী একমাত্র আন্তঃনগর ট্রেন লালমনি এক্সপ্রেস হওয়ায় এই রুটের টিকিটও দ্রুততম সময়ে শেষ হয়ে গেছে বরাবরের মতো।অপরদিকে, ঢাকা থেকে রাজশাহীতে চলাচলকারী চার আন্তঃনগর-পদ্মা, সিল্কসিটি, বনলতা ও রাজশাহী এক্সপ্রেসের টিকিট বিক্রি হতে সময় লেগেছে এক ঘণ্টার মতো। আর যশোর ও খুলনা অঞ্চলের তিন আন্তঃনগর ট্রেন-বেনাপোল, সুন্দরবন ও চিত্রা এক্সপ্রেসের টিকিটও বিক্রি হয়ে গেছে।অন্যদিকে, দুপুর দুইটায় শুরু হবে পূর্বাঞ্চলের আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৩ জুন ২০২৪
ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ঈদযাত্রার ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। আজ রোববার দেওয়া হচ্ছে ১২ জুনের টিকিট। এবারও ঈদযাত্রার ট্রেনের সব টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে। সকাল ৮টা থেকে পশ্চিমাঞ্চল এবং দুপুর ২টা থেকে পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট দেওয়া হচ্ছে। গত বছর থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), মোবাইল নম্বর এবং জন্মতারিখ দিয়ে নিবন্ধন করা যাত্রীর কাছে টিকিট বিক্রি করছে রেলওয়ে। গত ঈদ থেকে যুক্ত হয়েছে ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি)। এবারের ঈদেও একই পদ্ধতিতে টিকিট দেওয়া হবে। আগামী ১৭ জুন ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে ধরে টিকিট বিক্রির পরিকল্পনা সাজিয়েছে রেলওয়ে। ১৩ জুনের টিকিট ৩ জুন, ১৪ জুনের টিকিট ৪ জুন, ১৫ জুনের টিকিট ৫ জুন এবং ১৬ জুনের টিকিট ৬ জুন বিক্রি করা হবে। ফিরতি যাত্রার ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১০ জুন থেকে। সেদিন দেওয়া হবে ২০ জুনের টিকিট। ২৪ জুন পর্যন্ত রেলের ফিরতি যাত্রা চলবে। এবার ঢাকা থেকে বহির্গামী ৪৩ আন্তঃনগর ট্রেনে আসন সংখ্যা হবে ৩৩ হাজার ৫০০। ১০ জোড়া বিশেষ ট্রেন চলবে ঈদযাত্রায়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ জুন ২০২৪
আগামী ১৭ জুনকে পবিত্র ঈদুল আজহার দিন ধরে ট্রেনের আসন অগ্রিম বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। বরাবরের মতো এবারও ঈদের আগে বিশেষ ব্যবস্থায় ৫ দিনের ট্রেনের আসন বিক্রি করবে রেলওয়ে। ঈদ উপলক্ষ্যে ঘরমুখো মানুষের এই ট্রেন যাত্রার আসন বিক্রি শুরু হবে আগামী ২ জুন থেকে। যাত্রীদের সুবিধার্থে এবারও শতভাগ আসন অনলাইনে বিক্রি করা হবে।মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে রেল ভবনের সম্মেলন কক্ষে 'ঈদ উপলক্ষ্যে যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা ও বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রস্তুতি বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে' এ তথ্য জানান বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী।তিনি বলেন, এবার ঢাকা থেকে বহির্গামী ট্রেনের মোট আসন সংখ্যা হবে ৩৩ হাজার ৫০০টি। যা শতভাগ অনলাইনে বিক্রি করা হবে। ২ জুন থেকে যাত্রা শুরুর ১০ দিন আগের আন্তঃনগর ট্রেনের আসন অগ্রিম হিসেবে বিক্রি করা হবে। পশ্চিমাঞ্চলে চলাচল করার সব আন্তঃনগর ট্রেনের সকাল ৮টায় এবং পূর্বাঞ্চলে চলাচল করা সব ট্রেনের আসন ২টায় বিক্রি করা হবে।অগ্রিম আসন বিক্রির তারিখ ঘোষণা করে মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত বলেন, ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ১২ জুনের আসন বিক্রি হবে ২ জুন; ১৩ জুনের আসন বিক্রি হবে ৩ জুন; ১৪ জুনের আসন বিক্রি হবে ৪ জুন; ১৫ জুনের আসন বিক্রি হবে ৫ জুন; ১৬ জুনের আসন বিক্রি হবে ৬ জুন।সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম, উপসচিব মো. তৌফিক ইমাম (সচিবের একান্ত সচিব), বাংলাদেশ রেলওয়ের বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) মো. আরিফুজ্জামান, (রোলিং স্টক) পার্থ সরকার, (অপারেশন) এ এম সালাহ উদ্দীন প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ মে ২০২৪
ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী। একইসঙ্গে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের উদ্যোগে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। যার নম্বর-০২৩৩৩৩৫৪৮৪৩। শনিবার (২৫ মে) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়া।তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী স্বাস্থ্যজনিত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলার ১৫ উপজেলার প্রতি ইউনিয়নে একটি, প্রতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঁচটি, প্রতিটি পৌর এলাকায় একটি মেডিক্যাল টিমসহ জেনারেল হাসপাতালে পাঁচটি মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন।’এছাড়া জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য যথেষ্ট ওষুধ, স্যালাইন, খাবার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট মজুত রাখতে হবে। সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে প্রস্তুত থাকতে হবে। ইউএইচঅ্যান্ডএফপিওসহ সব চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বাধ্যতামূলক কর্মস্থলে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হলো। দুর্যোগ না কাটা পর্যন্ত এ নির্দেশনা বলবৎ থাকবে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে প্রশাসনের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করতে হবে। সাপে কাটা রোগীর জন্য অ্যান্টিভেনম মজুত রাখতে হবে। অতি বৃষ্টির কারণে যেন জনগণের চিকিৎসাসেবা ব্যাহত না হয়, সে বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। দুর্যোগ পরবর্তী স্বাস্থ্য শিক্ষা কার্যক্রম জোরদার করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ মে ২০২৪
বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতিতে আজ রাত থেকেই মহাবিপদ সংকেত দেখানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান।আজ (শনিবার) দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি বাস্তবায়ন বোর্ডের জরুরি সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। মহিববুর রহমান বলেন, এখন ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত রয়েছে। আগামী ১ থেকে ২ ঘণ্টার মধ্যে সংকেত ৩-এ চলে যাবে। সন্ধ্যা নাগাদ এটা ৪-এর ওপরে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস পর্যালোচনা করে আমরা ঝড়ের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছি।তিনি বলেন, বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস, ভারতের আবহাওয়া অফিস, চীনের আবহাওয়া অফিস, জাপানের আবহাওয়া অফিস এবং পৃথিবীর অন্যান্য দেশের আবহাওয়া অফিসের সাথে সমন্বয় রেখে আমরা যেটা পরিষ্কার বুঝতে পারছি আমাদের ঘূর্ণিঝড়টি আসন্ন। আমরা সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাত ৮টায় আবার এই মন্ত্রণালয়ে সভা অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল ১১টায় আমরা আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডেকেছি। এক কথায় এ ঘূর্ণিঝড় আসন্ন, সেটা মাথায় রেখে আমরা প্রস্তুতি সম্পন্ন করে আমাদের কাজকর্ম শুরু করে দিয়েছি। কয়টি জেলা আক্রান্ত হতে পারে— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখানে সাতক্ষীরা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত পুরো এলাকাটি অ্যাফেক্ট হওয়ার ঝুঁকি আছে। এখন ৫০০ থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে এটি অবস্থান করছে। বিশেষ করে পায়রা ও মোংলা পোর্টের সরাসরি দক্ষিণে। সিডরের মতো কি কোনো ভয়াবহ রূপ নিতে পারে? জানতে চাইলে দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা বিপজ্জনক হতে পারে রাত ১২টা-১টা নাগাদ। এটা ১০ নম্বর মহাবিপদে চলে যেতে পারে, এরকম একটা সম্ভাবনা আছে। তিনি বলেন, কালকে ভোর থেকে এটা প্রাথমিক আঘাত হানার সম্ভাবনা শুরু হবে। কালকে সন্ধ্যা নাগাদ মূলটা আঘাত হানবে। পূর্বাভাসে আমরা এরকমই বুঝতে পারছি এবং আজকে রাত ১২টা-১টা থেকেই এটা ডেঞ্জার পয়েন্টে চলে যেতে পারে। তিনি বলেন, উপকূলীয় জেলায় আমাদের প্রায় চার হাজার আশ্রয়কেন্দ্র আছে। এগুলো আমরা প্রস্তুত রেখেছি। খাদ্যের জন্য আমাদের প্রত্যেকটি জেলায় গুদামে পর্যাপ্ত শুকনো খাবারসহ যেসব জিনিস দরকার হবে এগুলো মজুত রেখেছি। প্রয়োজনে ঢাকা থেকে যাতে আরও সাপ্লাই দিতে পারি এজন্য আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৫ মে ২০২৪
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ বৃহস্পতিবার মে মাসের আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস দিয়েছে। অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান এ পূর্বাভাস দেন। সেখানে মে মাসের গরম, তাপপ্রবাহ, বৃষ্টি , নিম্নচাপ, ঘূর্ণিঝড়—এসব বিষয়ে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মে মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিই হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও এক থেকে তিনটি মৃদু ও মাঝারি এবং এক থেকে দুটি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ মাসে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকবে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।সদ্য শেষ হওয়া এপ্রিল মাসজুড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। এমন অবস্থা গত ৭৬ বছরে হয়নি বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছিল।তবে মে মাসের তাপমাত্রা এপ্রিল মাসের চেয়ে কিছুটা কম থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান। তিনি আজ প্রথম আলোকে বলেন, মে মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রা একটু বেশি থাকতে পারে। তবে তা এপ্রিলের মতো অবস্থায় যাবে না। তাপপ্রবাহ এত দীর্ঘ সময় ধরে থাকবে না।মে মাসে তিন থেকে পাঁচ দিন হালকা ধরনের কালবৈশাখী হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আর দুই থেকে তিন দিন বজ্র–শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি ও তীব্র কালবৈশাখী হতে পারে।চলতি মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে একটি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলেও এ বার্তায় বলা হয়েছে।এ মাসে দেশের উত্তরাঞ্চল বা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের (সিলেটসহ হাওর অঞ্চলে) নদ-নদীর পানি দ্রুত বাড়তে পারে। কিছু কিছু জায়গায় তা বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।মে মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের হার ২৭৭ দশমিক ৩ মিলিমিটার। তবে গত এপ্রিল মাসে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে ৮১ ভাগ কম বৃষ্টি হয়েছে। ঢাকায় বৃষ্টি কম হয়েছে ৯১ শতাংশ। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে এপ্রিলে কোনো বৃষ্টিই হয়নি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ মে ২০২৪
শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালতে এ মামলায় অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য ধার্য ছিল। এ দিন ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্যান্য আসামিরা আদালতে হাজিরা দেন। আসামিদের পক্ষে আইনজীবীরা পূর্বশর্তে জামিনের আবেদন করেন। অবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে আগামী ২ জুন পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। এর আগে, গত ২ এপ্রিল ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আস সামছ জগলুল হোসেন। তিনি পরবর্তী বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ মামলাটি বদলির আদেশ দেন।চার্জশিটভুক্ত ১৪ আসামি হলেন, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক কামরুল হাসান ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম।এর আগে, গত ১ ফেব্রুয়ারি ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান।সূত্রে জানা যায়, দুদকের অনুমোদিত চার্জশিটে আসামি ছিল ১৩ জন। নতুন করে একজন আসামি যুক্ত হয়েছে। তিনি হলেন গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক কামরুল হাসান।গত বছরের ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। সংস্থার উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলামসহ বোর্ডের সদস্যদের উপস্থিতিতে ২০২২ সালের ৯ মে অনুষ্ঠিত ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় হিসাব খোলা হয়। গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের পাওনা লভ্যাংশ বিতরণের জন্য গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন এবং গ্রামীণ টেলিকমের সঙ্গে সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্ট চুক্তি হয় ওই বছরের ২৭ এপ্রিল।গ্রামীণ টেলিকমের বোর্ড সভার হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত ৯ মে হলেও হিসাব খোলা হয় একদিন আগে ৮ মে। সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টেও ৮ মে ব্যাংক হিসাব দেখানো আছে, যা বাস্তবে অসম্ভব। এরকম ভুয়া সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টের শর্ত অনুযায়ী ও ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০২২ সালের ১০ মে গ্রামীণ টেলিকমের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মিরপুর শাখা থেকে ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় ৪৩৭ কোটি ১ লাখ ১২ হাজার ৬২১ টাকা স্থানান্তর করা হয়।পরবর্তী সময়ে ২২ জুন অনুষ্ঠিত গ্রামীণ টেলিকমের ১০৯তম বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অ্যাডভোকেট ফি হিসেবে অতিরিক্ত ১ কোটি ৬৩ লাখ ৯১ হাজার ৩৮৯ টাকা প্রদানের বিষয়টি অনুমোদন দেওয়া হয়। অন্যদিকে, ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাব থেকে গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন নামীয় ডাচ-বাংলা ব্যাংকের লোকাল অফিসের হিসাব থেকে তিন দফায় মোট ২৬ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু কর্মচারীদের লভ্যাংশ বিতরণের আগেই তাদের প্রাপ্য অর্থ তাদের না জানিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে ২০২২ সালের মে ও জুন মাসের বিভিন্ন সময়ে সিবিএ নেতা মো. কামরুজ্জামানের ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মিরপুর শাখার হিসাবে মোট ৩ কোটি টাকা, সিবিএ নেতা মাইনুল ইসলামের হিসাবে ৩ কোটি ও সিবিএ নেতা ফিরোজ মাহমুদ হাসানের ডাচ-বাংলা ব্যাংক মিরপুর শাখার হিসাবে ৩ কোটি টাকা স্থানান্তর করা হয়।একইভাবে অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলীর কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলনের ধানমন্ডি শাখার হিসাবে ৪ কোটি টাকা ও দ্য সিটি ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাবে ৫ কোটি টাকা এবং অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ ও অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলীর স্ট্যান্ডার্ড টাচার্ড ব্যাংকের গুলশান নর্থ শাখায় যৌথ হিসাবে ৬ কোটি স্থানান্তর করা হয়, যা তাদের প্রাপ্য ছিল না।দুদকের রেকর্ডপত্র অনুযায়ী, অ্যাডভোকেট ফি হিসেবে প্রকৃতপক্ষে হস্তান্তরিত হয়েছে মাত্র ১ কোটি টাকা। বাকি ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বোর্ড সদস্যদের সহায়তায় গ্রামীণ টেলিকমের সিবিএ নেতা এবং অ্যাডভোকেটসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অসৎ উদ্দেশ্যে সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টের শর্ত লঙ্ঘন করে জালিয়াতির আশ্রয়ে গ্রামীণ টেলিকম থেকে ওই অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। যা দণ্ডবিধি ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ সংবলিত একটি প্রতিবেদন দুদকে পাঠানো হয়। ওই প্রতিবেদনের সূত্র ধরে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই অনুসন্ধান শুরু।অভিযোগগুলো ছিল— অনিয়মের মাধ্যমে শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টনের জন্য সংরক্ষিত লভ্যাংশের ৫ শতাংশ অর্থ লোপাট, শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধকালে অবৈধভাবে অ্যাডভোকেট ফি ও অন্যান্য ফির নামে ৬ শতাংশ অর্থ কর্তন, শ্রমিক কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলে বরাদ্দ করা সুদসহ ৪৫ কোটি ৫২ লাখ ১৩ হাজার ৬৪৩ টাকা বিতরণ না করে আত্মসাৎ। এছাড়া কোম্পানি থেকে ২ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ মে ২০২৪
সারাদেশে চলমান তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা আরও তিন দিন বাড়িয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।আজ রোববার সকালে আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানান, জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি আরও বাড়তে পারে। এর আগে, গত ১৯, ২২ ও ২৫ এপ্রিল তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করেছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর।এদিকে, ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের ছুটির পাশাপাশি তাপপ্রবাহের কারণে আরও এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর আজ থেকে খুলেছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ এপ্রিল ২০২৪
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, উপজেলা ভোটে ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন হতে পারে। নির্বাচনের সময় আবেগ-অনুভূতির কারণে কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষ্যে সব বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, জেলা প্রশাসক, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করে ইসি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে সভায় নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।যেকোনো মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনের সময় আবেগ-অনুভূতির জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। এই নির্বাচনে ব্যর্থ হলে বিগত সংসদ নির্বাচনে যে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে তা ক্ষুণ্ন হতে পারে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে তা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে।প্রথম ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ও বাছাইয়ের সময় শেষ। এই ধাপে বৈধ প্রার্থী এক হাজার ৭৮৬ জন, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল, নিষ্পত্তি, প্রার্থিতা প্রত্যাহার, প্রতীক বরাদ্দ সব প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ২১ এপ্রিল শেষ হয়েছে, মনোনয়নপত্র বাছাই হয়েছে ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ চলছে ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি হবে ২৭-২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারিী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬- ৮ মে। আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ভোট ২৯ মে। এই ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোট হবে।এই ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।চতুর্থ ধাপের তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৫ জুন দেশের ৫৪ উপজেলায় চতুর্থ ধাপের ভোটগ্রহণ হবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এর সঙ্গে নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার প্রার্থীর মৃত্যুতে স্থগিত হওয়া ভোটও এ ধাপে অনুষ্ঠিত হবে, ফলে মোট ৫৫ উপজেলায় ভোট হবে। চতুর্থ ধাপে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৯ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ১২ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৩-১৫ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৯ মে। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২০ মে।চতুর্থ ধাপের ৯টি উপজেলায় ভোট হবে ইভিএমে। বাকিগুলো ব্যালট পেপারের ভোটগ্রহণ করা হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৫ এপ্রিল ২০২৪
ট্রেনের যাত্রীদের ৩২ বছর ধরে রেয়াত সুবিধা দিয়ে আসছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে। ফলে যাত্রীরা কিছুটা কম ভাড়ায় ভ্রমণ করতে পারছিলেন আরামদায়ক এ বাহনে। তবে সেই সুবিধায় ট্রেনে ভ্রমণ করা যাবে আর মাত্র ১০ দিন। এরপরই বাতিল হচ্ছে রেয়াত সুবিধা।আগামী ৪ মের জন্য ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে ট্রেনে ভ্রমণের জন্য আসন কিনতে হবে রেয়াত সুবিধা ছাড়া। ওই দিনের আসন বিক্রি শুরু হবে বুধবার (২৪ এপ্রিল) থেকে। কারণ, ট্রেন ভ্রমণের ১০ দিন আগে অগ্রিম আসন বিক্রি করে থাকে বাংলাদেশ রেলওয়ে।সোমবার (২২ এপ্রিল) এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছে, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি দেওয়া হয়। ২০১২ সালে ‘সেকশনাল রেয়াত’ বাতিল করা হলেও দূরত্বভিত্তিক রেয়াত বলবৎ থাকে। সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়েতে যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোতে ভাড়া বৃদ্ধি না করে শুধু বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে সব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেনে বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি আগামী ৪ মে থেকে কার্যকর করা হবে।দূরত্বভিত্তিক রেয়াতি সুবিধায় ৩২ বছর ধরে মূল ভাড়ায় ১০১-২৫০ কিলোমিটার ভ্রমণে ২০ শতাংশ, ২৫১-৪০০ কিলোমিটারে ২৫ শতাংশ ও ৪০১ কিলোমিটার বা এর বেশি দূরত্বের জন্য ৩০ শতাংশ ছাড় দিয়ে আসছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে। আর্থিক চাপ ও লোকসান কমাতে এখন এ সুবিধা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে সরকারের যাত্রীসেবামূলক এ প্রতিষ্ঠানটি। এর পাশাপাশি ট্রেনে অতিরিক্ত সংযোজিত কোচ ও আবেদনের মাধ্যমে রিজার্ভ করা আসনের ভাড়াও বাড়ানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে রিজারভেশন চার্জের ভিত্তিতে অতিরিক্ত সংযোজিত কোচ ও আবেদনের মাধ্যমে রিজার্ভ করা নন-এসি কোচের আসনে ব্যয় বাড়ছে মূল ভাড়ার ২০ শতাংশ এবং এসি কোচের আসনের বাড়ছে ৩০ শতাংশ।এদিকে বাংলাদেশ রেলওয়ের অপারেশন বিভাগের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, নতুন এ সিদ্ধান্ত হওয়ার পর বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিট বিক্রির সহযোগী প্রতিষ্ঠান সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি এরইমধ্যে সারা দেশে স্টেশন-টু-স্টেশন রেয়াত সুবিধা বাদ দিয়ে নতুন ভাড়া নির্ধারণ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির হিসাবের ভিত্তিতে ১ হাজার ৩৪টি স্টেশন-টু-স্টেশনে নির্ধারিত নতুন ভাড়ায় এরই মধ্যে রেলওয়ের বাণিজ্যিক বিভাগের মাধ্যমে অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে। ১৫টি প্রধান রুটে যত বাড়ছে ট্রেনের ভাড়াসহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি ও রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, নতুন তালিকা অনুযায়ী আগামী ৪ মে থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার শ্রেণির ভাড়া ৩৪৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে ৪০৫ টাকা ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির আসনের ভাড়া ৬৫৬ থেকে বেড়ে হবে ৭৭৭ টাকা।ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রুটে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ১৫০ ও ২৮৮ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ১৬০ ও ৩০৫ টাকা।ঢাকা-রাজশাহী রুটে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৩৪০ ও ৬৫৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৪০৫ ও ৭৭১ টাকা।ঢাকা-নোয়াখালী রুটে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২৭৫ ও ৫২৪ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৩১০ ও ৫৯৩ টাকা।ঢাকা-সিলেট রুটে পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৩২০ ও ৬১০ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৩৭৫ ও ৭১৯ টাকা।ঢাকা-মোহনগঞ্জ রুটে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২২০ ও ৪২৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ২৫০ ও ৪৭২ টাকা।ঢাকা-খুলনা রুটে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০০ ও ৯৫৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬২৫ ও ১১৯৬ টাকা।ঢাকা-লালমনিরহাট রুটে লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০৫ ও ৯৬৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৩৫ ও ১২১৪ টাকা।ঢাকা-রংপুর রুটে রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০৫ ও ৯৬৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৩৫ ও ১২১৪ টাকা।ঢাকা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪২৫ ও ৮১০ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৫১২ ও ৯৭৫ টাকা।ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫১০ ও ৯৭২ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৪৫ ও ১২৩৭ টাকা।ঢাকা-চিলাহাটি রুটে চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪৯৫ ও ৯৪৯ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬২০ ও ১১৮৫ টাকা।ঢাকা-বেনাপোল রুটে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪৮০ ও ৯২০ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬০০ ও ১১৫০ টাকা।ঢাকা-ভূঞাপুর রুটে জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২৬০ ও ৪৯৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ২৯৫ ও ৫৭০ টাকা।ঢাকা-দেওয়াগঞ্জ রুটে তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২২৫ ও ৪২৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ২৫০ ও ৪৭৬ টাকা।এছাড়া শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার বাদে সব আন্তঃনগর ট্রেনে ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে এসি সিট ও বার্থ এবং প্রথম শ্রেণির সিট ও বার্থ আসনের ভাড়াও আনুপাতিক হারে বাড়বে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৩ এপ্রিল ২০২৪
রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে আগামী ৭২ ঘণ্টা বা তিন দিন ধরে এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে জানিয়ে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।সোমবার (২২ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।এতে বলা হয়েছে, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে জনজীবনের অস্বস্তি বাড়তে পারে।এর আগে গত ১৯ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রথমবার তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়।এদিকে সকাল ৯টার দিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে । এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।পাবনা ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রাজশাহী, টাঙ্গাইল, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শ্রীমঙ্গল ও চাঁদপুর জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাম্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ এপ্রিল ২০২৪
ঘর থেকে বের হলেই যেন মরুভূমির লু হাওয়া। প্রচণ্ড গরমের সঙ্গে আর্দ্রতা জ্বালা ধরাচ্ছে শরীরে। দরদর করে ঝরছে ঘাম। এই সময়ে মাঝেমধ্যে কালবৈশাখী ও বৃষ্টি কিছুটা স্বস্তি আনে; কিন্তু এবার তা-ও নেই। গত দুই বছরের মতো এবারও এপ্রিল মাস যেন ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। একসময় রাজশাহী বিভাগ ও খুলনা বিভাগের একাংশে গ্রীষ্মকালে প্রচণ্ড গরম পড়ত। আর তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে গরমের কষ্ট ছিল বেশি। গত ১০ বছরে দেশের ৮০ শতাংশ এলাকাজুড়ে মার্চ থেকে জুলাই পর্যন্ত থেমে থেমে তাপপ্রবাহ বইছে। আর সবচেয়ে বেশি কষ্ট ও ভোগান্তি তৈরি করছে এ মাসের বেশির ভাগ সময়জুড়ে বয়ে যাওয়া অতি উষ্ণ তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা, যা ‘ওয়েট বাল্ব গ্লোব টেম্পারেচার’ নামে পরিচিত। এ ধরনের উষ্ণ আবহাওয়া বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাণঘাতী দুর্যোগে রূপ নিতে শুরু করেছে।এপ্রিলের এ সময়ে বাংলাদেশের গড় তাপমাত্রা থাকে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু এক সপ্তাহ ধরে তা ৩৫ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকছে। গতকাল শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করে গেছে। গড়ে সারা দেশের তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি ছিল।তীব্র দাবদাহে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে এরই মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এক সপ্তাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, চলতি মাসের বাকি সময়জুড়ে তো বটেই, মে মাসের প্রথম সপ্তাহ ধরে সারা দেশে থেমে থেমে তাপপ্রবাহ বয়ে যাবে। আর অতি উষ্ণ ও আর্দ্রতার বিপদ থাকতে পারে জুলাই-আগস্ট পর্যন্ত। ফলে এ ধরনের আবহাওয়ার সঙ্গে কীভাবে খাপ খাইয়ে চলা যায়, এই গরমের মধ্যে কীভাবে সুস্থ থাকা যায়, তা নিয়ে পরিকল্পনা ও উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।তাপমাত্রাবিষয়ক গবেষক ও ইউনিভার্সিটি টেকনোলজি মালয়েশিয়ার অধ্যাপক শামসুদ্দিন শহিদ বলেন, বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালে শুধু তাপমাত্রার তীব্রতা দিয়ে মানুষের কষ্ট ও বিপদ বোঝা যাবে না। কোথাও তাপপ্রবাহ অর্থাৎ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে না গেলেও বিপজ্জনক আবহাওয়া তৈরি হতে পারে। কোথাও যদি তাপমাত্রা ৩০ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে এবং আর্দ্রতা ৪০ শতাংশের বেশি হয় এবং বাতাসের প্রবাহ কম থাকে, তাহলে সেখানে অতি উষ্ণতার বিপদ তৈরি হতে পারে। এপ্রিল মাসজুড়ে বাংলাদেশে এই অতি উষ্ণতার বিপদই তৈরি হচ্ছে।অধ্যাপক শামসুদ্দিন শহিদ বলেন, এই বিপদকে আমলে নিয়ে অন্য আট-দশটা দুর্যোগের মতোই গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। নাগরিকদের এ ধরনের আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য জনপরিসরে খাওয়ার পানি, বৃক্ষ ও অন্যান্য অবকাঠামো দিয়ে ছায়ার ব্যবস্থা করতে হবে।আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ‘বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, গত ৬০ বছরে এপ্রিলের উষ্ণতা দ্রুত বেড়ে বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এই মাসের বেশির ভাগ সময়জুড়ে দেশের অর্ধেকের বেশি এলাকায় তাপপ্রবাহ বইছে। অন্য বছরগুলোতে এই সময়ে কয়েক দিন পরপর একাধিক কালবৈশাখী, ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হয়। এতে তাপমাত্রা কিছুটা হলেও কমে আসে। এবার বৃষ্টি ও বাতাস নেই বললেই চলে। চার দিন ধরে দেশের ৭০ শতাংশ এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করে গেছে। আর গতকাল দেশের অন্তত ১২টি জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি ছিল।আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে, এপ্রিল মাসে আর্দ্রতা বা বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৭৫ শতাংশ; কিন্তু এ মাসের বেশির ভাগ সময়জুড়ে তা ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশের মধ্যে ছিল। গতকাল ঢাকার বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ।পূর্ব এশিয়াসহ বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি উঠলে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ঘোষণা করা হয়। আর তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর আর্দ্রতা ৩০–এর ওপরে গেলে একে বিপজ্জনক আবহাওয়া হিসেবে ঘোষণা করা হয়।বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশ করা ২০২২ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, এপ্রিল মাসে তাপপ্রবাহ সবচেয়ে বেশি হচ্ছে। ‘বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালীন তাপপ্রবাহের একটি বিশ্লেষণ’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে অনুযায়ী, রাজশাহী, খুলনা, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা থাকছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাবেক আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক অ্যান্ড মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা যৌথভাবে ওই গবেষণা করেন।গবেষণায় বলা হয়েছে, ওই উচ্চ গরমের সঙ্গে মানুষের শরীর খাপ খাওয়াতে পারছে না। এতে নানা ধরনের রোগবালাই বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ছে। ওই উচ্চ তাপমাত্রা শহরে খাওয়ার পানি ও বিদ্যুতের সংকট তৈরি করছে। এ ছাড়া ফসলের উৎপাদন কমিয়ে দেওয়া এবং খরা পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। মানুষের মেজাজ খিটখিটে হওয়া এবং সামাজিক অশান্তি তৈরির ক্ষেত্রেও ওই অতি উষ্ণতা ভূমিকা রাখছে।আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, এপ্রিল মাসের আবহাওয়া অতিরিক্ত তাপমাত্রা ও অন্যান্য কারণে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। ফলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই সময়ের জনস্বাস্থ্য, কৃষি ও গবাদিপশুর সুরক্ষার জন্য দ্রুত পরিকল্পনা নিতে হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২১ এপ্রিল ২০২৪
আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি ছুটি ৯ এপ্রিল এক দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়নি মন্ত্রিসভায়। মন্ত্রিসভার একটি সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।ফলে এখন পর্যন্ত ঈদের ছুটি আগের ঘোষণা অনুযায়ী, ১০ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত তিন দিনই থাকছে।তবে বাস্তবে সরকারি চাকরিজীবীরা ছুটি ভোগ করবেন আরও বেশি। কারণ, ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। তার পরদিন রোববার আবার পয়লা বৈশাখের ছুটি। মানে হলো, পাঁচ দিন টানা ছুটির সুযোগ থাকছেই।সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও কার্যত ছুটি থাকবে।পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি ছুটি (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে) ১০ থেকে ১২ এপ্রিল।গতকাল রোববার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ৯ এপ্রিল এক দিন ছুটি বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছিল।এদিকে পবিত্র শবে কদরের পরদিন, ৭ এপ্রিল সরকারি ছুটি। তার আগে ৫ ও ৬ এপ্রিল দুই দিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ এপ্রিল ২০২৪
ভারত মহাসাগরে ২৩ নাবিকসহ জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ সোমালিয়ার উপকূলের কাছে নিয়ে গেছে দস্যুরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা একটা নাগাদ জাহাজটি গ্যারাকাদ নোঙর এলাকা থেকে ২০ নটিক্যাল মাইল দূরে দস্যুরা নোঙর করে রেখেছে। লন্ডন ও কুয়ালালামপুরভিত্তিক জলদস্যুতা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ব্যুরো (আইএমবি) থেকে তথ্য নিয়ে জাহাজটির এই অবস্থানের তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন।সংস্থাটির সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন জানান, জাহাজটি গ্যারাকাদ থেকে দুই ঘণ্টার দূরত্বে ২০ নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত দস্যুদের কেউ মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।জাহাজটির মালিকপক্ষের একজন প্রতিনিধিও জাহাজটি নোঙর করে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রথম আলোর কাছে। সমুদ্রগামী জাহাজের অবস্থান পর্যবেক্ষণকারী ‘শিপফিক্স’–এর ওয়েবসাইটে দেখা যায়, জাহাজটি সাড়ে ১০ নটিক্যাল মাইল গতিতে চলেছে। সোমালিয়ার উপকূলের কাছে অবস্থান করছে জাহাজটি।মোজাম্বিক থেকে ৫০ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে গত মঙ্গলবার বেলা দেড়টায় জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। যুক্তরাজ্যের মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনের তথ্য অনুযায়ী, জিম্মি করার সময় জাহাজটির অবস্থান ছিল সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসু থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল পূর্বে ভারত মহাসাগরে।জাহাজটি চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং লিমিটেডের মালিকানাধীন। তিন মাস আগে গ্রুপের বহরে যুক্ত হয়েছিল জাহাজটি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ মার্চ ২০২৪
প্রতিকূলতা ও চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অর্জনের স্বীকৃতি হিসেবে পাঁচ নারীর হাতে “শ্রেষ্ঠ জয়িতা সম্মাননা-২০২৩” তুলে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের হাতে এ সম্মাননা তুলে দেন।শুক্রবার (৮ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে “আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৪” উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ পুরস্কার তুলে দেন।পাঁচ জয়িতা হলেন- ময়মনসিংহের আনার কলি (অর্থনীতি), রাজশাহীর কল্যাণী মিনজি (শিক্ষা ও কর্মসংস্থান), মৌলভীবাজারের কমলী রবিদাশ (সফল মা), বরগুনার জাহানারা বেগম (দমন-পীড়ন প্রতিরোধ) ও খুলনার পাখি দত্ত হিজড়া (সামাজিক উন্নয়ন)।রাজনৈতিক দলে এখনও পিছিয়ে নারীরারাজনৈতিক দলে এখনও পিছিয়ে নারীরামহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক।এর আগে ৭ মার্চ সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ জয়িতার সাফল্য তুলে ধরেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি।তিনি বলেন, “ময়মনসিংহের আনার কলি একজন সফল উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী, ওরাও সম্প্রদায়ের জয়িতা কল্যাণী মিনজি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ বিজ্ঞানে লেখাপড়া করেন। বর্তমানে তিনি সোনাদিঘি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা। এছাড়া সিলেটের কমলী রবিদাশ একজন সফল মা। মাত্র ১৮ টাকা দিন মজুরিতে চা শ্রমিক হিসেবে অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে এক ছেলেকে তিনি উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করেন। তার ছেলে বর্তমানে একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা।”তিনি আরও বলেন, “বরগুনার জাহানারা বেগমের বিয়ে হয় ১২ বছর বয়সে। যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় স্বামী তাকে অ্যাসিডে দগ্ধ করেন। পরে নিজেকে একজন স্বাবলম্বী নারী হিসেবে প্রমাণ করেন। খুলনার পাখি দত্ত হিজড়া নিজের জনগোষ্ঠীর অধিকার ও জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছেন।”
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ মার্চ ২০২৪
দুই ভাগে রাজাকারের তালিকা প্রণয়নের কাজ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, আইন ও বিচার বিভাগ, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ কার্য অধিবেশন হয়।মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, আমাদের যেসব কাজকর্ম চলছে, যেমন- বধ্যভূমি, যুদ্ধকালীন ঐতিহাসিক স্থান সংরক্ষণ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস, সেসব কাজকর্ম যেন যথাযথভাবে হয়, সেজন্য তাদের (ডিসি) তদারকি-তৎপরতা বাড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যেসব সমস্যা আছে বা কিছু নিয়ে গেলে সেগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।রাজাকারের তালিকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাজাকারের তালিকার জন্য আলাদা কমিটি আছে। সরকারিভাবে যে তালিকা ছিল, সেটা কিন্তু আমরা প্রকাশ করার চেষ্টা করেছিলাম। তখন দেখা গেলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা যুদ্ধের সপক্ষে ছিল এমন মানুষের নাম তালিকায় এসেছে। তখন দেশবাসী এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু রেকর্ডে তাদের নাম ছিল।মোজাম্মেল হক বলেন, এখন আমরা দুই ভাগে ভাগ করেছি। একটি হলো সক্রিয়ভাবে যারা কাজ করেছে। যেমন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে রাস্তাঘাট চিনিয়ে নিয়ে বাড়িঘর পোড়ানোর জন্য সহযোগিতা করেছে, লুটপাট করার জন্য সহযোগিতা করেছে, অস্ত্র নিয়ে-ট্রেনিং নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। তাদের একটি তালিকা। আরেকটি হচ্ছে, যারা রাজাকার হিসেবে নাম দিয়ে রেখেছে জীবন বাঁচানোর জন্য। তখন হয়তো কিছু বলার ছিল না।‘এগুলো নিয়ে এখন খুবই বিভ্রান্তি-দ্বিমত হচ্ছে। কাজেই এটা একটি জটিল ব্যাপার। তারপরও শাজাহান খান সাহেবের নেতৃত্বে কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। ওনারা কাজ করছেন। ওই কমিটি আমাদের কাছে তালিকা পাঠালে আমরা সেটি প্রকাশ করবো।’ যোগ করেন মন্ত্রী।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ মার্চ ২০২৪
রাজধানীর সাত মসজিদ রোডের বিভিন্ন ভবনের রেস্তোরাঁগুলোতে অভিযান চালাচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত।আজ সোমবার বিকেল ৩টায় ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান শুরু করে।প্রথমে ওই সড়কের কেয়ারি ক্রিসেন্ট ভবনে অভিযান চালানো হয়। ওই ভবনে বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্ট আছে।সড়কের দুই পাশের ঝুকিপূর্ণ ভবনগুলোর সামনে সতকর্তামূলক ব্যানার টাঙিয়ে দিচ্ছে ফায়ার সার্ভিস।এর আগে সকালে সাত মসজিদ সড়কের গাওসিয়া টুইন পিক ভবনের ১২টি রেস্তোরাঁ সিলগালা করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।ভবনটি বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য ডিজাইন করা হলেও, সেখানে অনুমোদন ছাড়া রেস্তোরাঁ পরিচালনার কারণে সেগুলো সিলগালা করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ মার্চ ২০২৪
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পুলিশ জনগণের বন্ধু, সে কথা মাথায় রেখেই দায়িত্ব পালন করতে হবে। আর পুলিশ যে জনগণের বন্ধু এটা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন সরকারপ্রধান।শেখ হাসিনা বলেন, পুলিশ জনগণের বন্ধু। জনগণের বন্ধু হিসেবে পুলিশকে সেটা মাথায় রাখতে হবে। পুলিশ বাহিনীকে তাদের কর্মনিষ্ঠা, সাহসিকতা ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে যে, তারা জনগণের বন্ধু। এটা প্রতিষ্ঠা করা খুব জরুরি। দেশের মানুষ যখনই কোনো বিপদে পড়ে, সবার আগে আশ্রয় খোঁজে পুলিশের কাছে। পুলিশ জনগণের বন্ধু, এটা সবসময় হয়ে আসছে। পুলিশ বাহিনীকে মানুষের সেবায় আমরা গড়ে তুলছি।প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক আন্দোলনের নামে অগ্নিসংযোগে বাধা দিতে যাওয়ায় পুলিশের ওপর হামলাও হয়েছে। তাদের পিটিয়ে মারা হয়েছে। জনগণের জানমাল রক্ষায় পুলিশ জীবন দিয়েছে। তারপরও পুলিশ জনগণের জানমাল রক্ষা করেছে। গত বছরের ২৮ অক্টোবর রাজারবাগে ঢুকে জামায়াত-বিএনপি হামলা করেছে। পুলিশ ধৈর্যের সঙ্গে এগুলো মোকাবিলা করছে।প্রাকৃতিক দুর্যোগে পুলিশের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে পুলিশ বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। করোনায় যখন আত্মীয়-স্বজন পাশে ছিল না, পুলিশ ছিল মানুষের পাশে। মরদেহ দাফন-কাফনের ব্যবস্থাও করেছে পুলিশ।এ সময় প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে পুলিশের অবদানের কথা তুলে ধরে বলেন, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে গিয়েও আমাদের পুলিশ বাহিনী বীরত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। অনেকে জীবনও দিয়েছে। শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বেও শান্তিরক্ষায় তাদের অবদানের কথা আমি স্মরণ করছি।‘স্মার্ট পুলিশ স্মার্ট দেশ, শান্তি প্রগতির বাংলাদেশ'-প্রতিপাদ্যে পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে এবার সর্বাধিক সংখ্যক ৪০০ পুলিশ সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) এবং রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) পরিয়ে দেন।এছাড়া জীবন উৎসর্গকারী নয়জনের পরিবারের সদস্যদের হাতে মরণোত্তর বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, পুলিশকে সব সময় সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। আপনারা দেশের মানুষের সেবা করেন। দুষ্টের দমন শিষ্টের লালন এটাই পুলিশের ধর্ম। আপনারা সেবার মাধ্যমে মানুষের আস্থা অর্জন করবেন, এটাই আমাদের কাম্য। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় পুলিশ সদস্যরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখবে এটাই আমাদের কাম্য। দেশের মানুষ যখনই কোনো বিপদে পড়ে সবার আগে আশ্রয় খোঁজে পুলিশের কাছে। পুলিশ জনগণের বন্ধু। এটা প্রতিষ্ঠিত হওয়া একান্ত দরকার। পুলিশ বাহিনীকে মানুষের সেবায় আমরা গড়ে তুলছি।অনুষ্ঠানে সরকারপ্রধান বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন কন্টিনজেন্ট ও পতাকাবাহী দলের প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন। বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) স্টলও পরিদর্শন করেন তিনি।এনআই/জেডএস
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
মাতৃগর্ভে থাকা শিশুর লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ করা যাবে না বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।আজ রোববার এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত দেশের হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো যাতে গর্ভাবস্থায় লিঙ্গ পরিচয় শনাক্তকরণকে নিরুৎসাহিত করে এবং গাইডলাইন কঠোরভাবে অনুসরণ করে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন।রিট আবেদনকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, একই সঙ্গে গর্ভের শিশুর পরীক্ষার রিপোর্টের ডেটাবেজ সংরক্ষণ করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।তিনি বলেন, বাংলাদেশে গর্ভের শিশুর লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ নিষিদ্ধ করেছে হাইকোর্ট।বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের সুরক্ষায় প্রসবপূর্ব লিঙ্গ শনাক্তকরণ নিষিদ্ধ করার নির্দেশনা চেয়ে করা চার বছরের পুরোনো রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে এ রায় দেন।গর্ভের শিশুর লিঙ্গ পরিচয় নির্ণয় এবং গর্ভের শিশুর লিঙ্গ পরিচয়ে ব্যবহৃত মেশিন বিক্রি, স্থানান্তর বা পরিচালনা বন্ধে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে গত ২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান। ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২০২০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চ গর্ভের শিশুর লিঙ্গ পরিচয় শনাক্ত রোধে নীতিমালা প্রণয়নে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।রুলের শুনানিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি হাইকোর্টে একটি গাইডলাইন দাখিল করে জানায়, গর্ভাবস্থায় লিঙ্গ পরিচয় শনাক্তকরণ নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।গাইডলাইনের শিরোনাম 'ন্যশনাল গাইডলাইন ফর দ্য প্রিভেনশন অব সন প্রেফারেন্স অ্যান্ড দ্য রিস্ক অব জেন্ডার-বায়াসড সেক্স সিলেকশন, ২০২২'।আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত ও আইনজীবী তীর্থ সলিল পাল।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪