২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে যে বিতর্ক, সেটার চাপ বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ওপর পড়েছে বলে মন্তব্য করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, এমন পরিস্থিতিতে কমিশন নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য করার চ্যালেঞ্জ নিতে চায়।আজ রোববার নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কাজী হাবিবুল আউয়াল এসব কথা বলেন। সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন ধরনের বিতর্ক ও সমালোচনা হতে পারে। অতীতেও হয়েছে। ৫০, ৬০, ৭০ বছরের ইতিহাস ঘাঁটলেও বিতর্ক পাওয়া যাবে। এমনকি ব্রিটিশ আমলের নির্বাচন নিয়েও কিছু কিছু বিতর্ক হয়েছে। তখন হয়তো মাত্রাটা কম ছিল।কাজী হাবিবুল আউয়াল আরও বলেন, ‘আমরা যে নির্বাচনটি করতে যাচ্ছি, সেটার একটা বিশেষ দিক হচ্ছে, অভিযোগ বা বিতর্কের মাত্রাটা একটু অতিরিক্ত। ২০১৪ ও ২০১৮-এর চাপটা এসে আমাদের ওপর পড়েছে, এই নির্বাচন কমিশনের ওপর পড়েছে। আমরাও নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছি....মানুষের যে...। এগুলো সত্য হতে পারে, অসত্য হতে পারে, মিথ্যা হতে পারে, সত্য হতে পারে। আমরা সেদিকে যাচ্ছি না।’উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। সেখানে ১৫৩টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন প্রার্থীরা। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়। তবে ওই নির্বাচনে ভোটের আগের রাতে ব্যালটে সিল মারার অভিযোগ রয়েছে।২০১৮ সালের নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা প্রয়াত মাহবুব তালুকদার বলেছিলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচন ব্যর্থতার গ্লানি।২০২২ সালের ডিসেম্বরে জাপানের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আমি শুনেছি, (গত নির্বাচনে) পুলিশের কর্মকর্তারা আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি করেছেন। আমি অন্য কোনো দেশে এমন দৃষ্টান্তের কথা শুনিনি।’নির্বাচন কমিশনে গত বছর জুলাইয়ে এক সংলাপে অংশ নিয়ে সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক বলেছিলেন, ‘রাতে কিন্তু কাজটা (ভোট দেওয়া) হয়। হয় মানে কী, আমরাই করাইছি। কী বলব এটা হয়। এটা হয় না, ঠিক না।’ সিইসি আজ ইউএনওদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের ওপর যে দায়িত্ব অর্পিত হবে, সেটি কঠোরভাবে প্রতিপালন করতে হবে। আমরা নির্বাচন কমিশন থেকে বিষয়টি কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করব। জানার চেষ্টা করব আপনারা কে, কীভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে তথ্য নেব।’কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য তখনই হবে, যদি দায়িত্ব পালন করে মানুষকে দেখানো যায়। তিনি বলেন, ‘বাজারে পারসেপশন (ধারণা) আছে, আমাদের ওপর আস্থা নেই, সরকারের ওপর আস্থা নেই। নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয় না। আমরা এই চ্যালেঞ্জটা গ্রহণ করতে চাই, আমাদের অধীন যে নির্বাচন হবে, সেটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ হবে। স্বচ্ছতাটা গণমাধ্যম ও পর্যবেক্ষকদের মাধ্যমে দেখাতে চাই।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ অক্টোবর ২০২৩
বাংলাদেশে মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আরও স্যাংশন দিতে পারে, এটা তাদের ইচ্ছা। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে— তারা কী কারণে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে।শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী গণমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকার সঙ্গে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।ভোটের অধিকারের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ভোটের অধিকার নিয়ে সংগ্রাম করেছে। অনেক নেতাকর্মী রক্ত দিয়েছে, এই ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যত ধরনের সংস্কার দরকার সেটা আমরাই করেছি। ছবিসহ ভোটার তালিকা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স। মানুষের ভোটের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’— এই স্লোগান আমার দেওয়া। আমি এভাবে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছি। সে ক্ষেত্রে ভোট নিয়ে হঠাৎ স্যাংশন দেওয়ার কোনো যুক্তি আছে বলে আমি মনে করি না। তিনি বলেন, দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, আমাদের দেশের আইন অনুযায়ী আমার কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংস্থার কেউ যদি কোনো অন্যায় করে তার কিন্তু বিচার হয়। এই বিচারে কিন্তু কেউ রেহাই পায় না।খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, পৃথিবীর কোন দেশ দণ্ডিত আসামিকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে পেরেছে? পৃথিবীর কোনো দেশ দেবে? তাদের যদি চাইতে হয় তা হলে আবার আদালতে যেতে হবে। আদালতের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। আদালতের কাজে আমাদের হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ নেই।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করলে প্রয়োজন অনুসারে যেকোনও বাংলাদেশির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এমন কথাই জানিয়েছেন।একইসঙ্গে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসসহ অন্য সকল কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।এদিনের সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন ছাড়াও নাগরিকদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া স্টেট ডিপার্টমেন্টের এই ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রসঙ্গটিও উঠে আসে।যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে ওই ব্রিফিংয়ের বিস্তারিত বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক ম্যাথিউ মিলারের কাছে বাংলাদেশে গণমাধ্যমকর্মী বা সাংবাদিকদের ওপর ভিসা নীতি কার্যকরের বিষয়ে জানতে চান। তিনি প্রশ্ন করেন, যুক্তরাষ্ট্র কি বাংলাদেশে নতুন করে আরও ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের কথা ভাবছে, বিশেষ করে সরকারপন্থি মিডিয়াসহ যারা সরকারকে ‘দৈত্য’ হতে সাহায্য করেছে, তাদের বিরুদ্ধে? বিশেষ করে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে- যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞার পরিধি আরও বিস্তৃত করছে। অর্থাৎ মিডিয়াসহ অপপ্রচারে জড়িতরাও এর আওতায় আসবে।জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমি এখন নির্দিষ্ট কোনও পদক্ষেপ ঘোষণা করতে যাচ্ছি না। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের ঘোষণা অনুসারে বাংলাদেশে অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ করার কাজে দায়ী কিংবা জড়িত থাকার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, সরকার এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর ভিসা নীতি কার্যকর করার পদক্ষেপ আমরা শুরু করেছি।তিনি আরও বলেন, গত ২৪ মে ভিসা নীতি ঘোষণার সময় আমরা এটা স্পষ্ট করে বলে দিয়েছি। আমরা ভিসা নীতির কথা বলেছি তবে কারও নাম উল্লেখ করিনি। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া দুর্বল ও বাধাগ্রস্থ করার কাজে দায়ী কিংবা জড়িত যেকোনও বাংলাদেশির ক্ষেত্রে এই ভিসা নীতি কার্যকর হবে। অন্য যেকোনও ব্যক্তির ক্ষেত্রে যদি আমরা মনে করি তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা প্রয়োজন, সেক্ষেত্রে আমরা এই নীতি প্রয়োগ করব।পৃথক প্রশ্নে ওই সাংবাদিক জানতে চান, বাংলাদেশের স্থানীয় একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস তার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এমনকি শুধু তার নিরাপত্তা উদ্বেগই নয়, দূতাবাসের কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ জানিয়েছেন তিনি। তার এই উদ্বেগ বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমরা বর্তমান সরকারের অধীনে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের ওপর বেশ কয়েকটি হামলা হতে দেখেছি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কি এই উদ্বেগগুলোকে গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছেন?জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই মুখপাত্র বলেন, আমি মার্কিন দূতাবাস বা সেখানে কর্মরত কর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়ে নির্দিষ্ট বিবরণ নিয়ে আলোচনা করব না। তবে আমি বলব, অবশ্যই আমাদের কূটনৈতিক কর্মীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভিয়েনা কনভেনশনের কূটনৈতিক সম্পর্কের শর্ত অনুসারে, প্রতিটি স্বাগতিক দেশ অবশ্যই সকল দূতাবাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতা মেনে চলবে। পাশাপাশি কূটনীতিকদের ওপর যেন কোনও ধরনের হামলা না হয় তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে।ম্যাথিউ মিলার বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়টিকে যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্ব দেয়। যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাশা করে বাংলাদেশ সরকার যুক্তরাষ্ট্রসহ সকল বিদেশি দূতাবাস এবং কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।উল্লেখ্য, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচনের স্বার্থে গত মে মাসে নতুন ভিসা নীতির কথা ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন সেসময় টুইট করে এই ঘোষণা দেন। এই নীতির আওতায় যে কোন বাংলাদেশি ব্যক্তি যদি দেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের প্রক্রিয়া ব্যাহত করার জন্য দায়ী হন বা এরকম চেষ্টা করেছেন বলে প্রতীয়মান হয় - তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাকে ভিসা দেওয়ার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
দেশের দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন আজ। তিনি ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের মধুমতি নদী বিধৌত টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছার জ্যেষ্ঠ সন্তান এবং আওয়ামী লীগের সভাপতি তিনি।জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী জন্মদিনে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। প্রধানমন্ত্রী তার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে গত ২২ সেপ্টেম্বর অন্যান্য বিশ্বনেতাদের অংশগ্রহণে ইউএনজিএর সাধারণ আলোচনায় অন্যান্য বছরের মতো বাংলায় ভাষণ দেন। দলের সভাপতির জন্মদিন উপলক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে আওয়ামী লীগ।আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের একজন সফল প্রধানমন্ত্রী। চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে অর্থনীতির প্রতিটি সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে একটি রোল মডেল হিসেবে পরিচিত করেছেন। সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনেও তিনি বিশ্বনেতাদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। মিয়ানমারে জাতিগত সহিংসতায় পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলিমদের আশ্রয় দিয়ে সারা বিশ্বে হয়েছেন প্রশংসিত। বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়।বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি, একাত্তরের ঘাতক যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্য সম্পন্ন করা, সংবিধান সংশোধনের মধ্য দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি এবং সমুদ্রে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে ব্লু ইকোনমির নতুন দিগন্ত উন্মোচন, ভারতের সঙ্গে সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন ও ছিটমহল বিনিময়, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট সফল উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে মহাকাশ জয়, সাবমেরিন যুগে বাংলাদেশের প্রবেশ, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেল নির্মাণ, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন, কর্ণফুলী টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, নতুন নতুন উড়াল সেতু, মহাসড়কগুলো ফোর লেনে উন্নীত করা, এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত, দারিদ্র্যের হার হ্রাস, মানুষের গড় আয়ু প্রায় ৭৪ বছর ৪ মাসে উন্নীত, যুগোপযোগী শিক্ষানীতি প্রণয়ন, সাক্ষরতার হার ৭৫.৬০ শতাংশে উন্নীত করা, বছরের প্রথম দিনে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যে নতুন বই পৌঁছে দেওয়া, মাদরাসা শিক্ষাকে মূলধারার শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত করা ও স্বীকৃতি দান, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, প্রত্যেকটি জেলায় একটি করে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ, নারী নীতি প্রণয়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ, ফাইভ-জি মোবাইল প্রযুক্তির ব্যবহার চালুসহ অসংখ্য ক্ষেত্রে কালোত্তীর্ণ সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ।ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রবক্তা স্বপ্নদর্শী এ নেতা ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব গ্রহণের পর থেকে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দলকে সুসংগঠিত করেন এবং ১৯৯৬ সালে প্রথম, ২০০৮ সালে দ্বিতীয় এবং ২০১৪ সালে তৃতীয় এবং ২০১৮ সালে চতুর্থবারের মতো নির্বাচনে জয়লাভ করে দলকে দেশের নেতৃত্বের আসনে বসাতে সক্ষম হন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা এবং বাহ্যিক হস্তক্ষেপের বিরোধিতায় বেইজিং বাংলাদেশকে সমর্থন করে বলে জানিয়েছেন ঢাকাই নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার ৭৪তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে এক চীননীতি অনুসরণ করে। আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার উন্নয়নে চীনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করে। উভয়পক্ষ কৌশলগত সহযোগিতা আরও গভীর করতে এবং এর মাধ্যমে নতুন যুগে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ককে আরও উচ্চ স্তরে উন্নীত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও চীন যৌথ উন্নয়নের ঘনিষ্ঠ অংশীদার। বিআরআই-এর আওতায় চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতার ফল পাওয়ার সময়ে পৌঁছেছে।রাষ্ট্রদূত বলেন, পদ্মা বহুমুখী সেতু ও এর রেল সংযোগ, দাশেরকান্দি সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলসহ আরও অনেক মেগা প্রকল্প একের পর এক সম্পন্ন হয়েছে, যা বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ও অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিআরআইর ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্য উন্নয়নের নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে।রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, সামনের দিকে তাকিয়ে, উভয় দেশের উচিৎ উন্নয়নের নতুন ঐতিহাসিক সুযোগগুলো গ্রহণ করা, উন্নয়ন কৌশলগুলো আরও সংহত করা, উচ্চ মানের উন্নয়নের লক্ষ্যে বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতা পরিচালনা করা এবং একে অপরের পরিপূরক হিসেবে আমাদের নিজ নিজ অর্থনৈতিক সুবিধাগুলো কাজে লাগানো।তিনি বলেন,সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে, আমরা অবকাঠামো উন্নয়ন, তথ্য প্রযুক্তি, নতুন জ্বালানি, কৃষি ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও গভীর করতে পারি। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা অবশ্যই চীনা জাতির মহান পুনরুজ্জীবনের চীনা স্বপ্ন এবং বাংলাদেশের রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন করতে পারব।রাষ্ট্রদূত বলেন, দেশগুলোর মধ্যে সুসম্পর্ক ঘন ঘন যোগাযোগের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থেকে উদ্ভূত হয়। চীন ও বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দের মধ্যে জনগণ থেকে জনগণে পারস্পরিক যোগাযোগ ও সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান আরও জোরদার করার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্য।রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। দূতাবাস দুদেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্বকে একটি নতুন স্তরে উন্নীত করতে সর্বস্তরের বাংলাদেশি বন্ধুদের সঙ্গে যৌথ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।তিনি বাংলাদেশে চীনা উদ্যোক্তাদের সক্রিয়ভাবে সামাজিক দায়িত্ব পালন এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত চীনা নাগরিকদের স্থানীয় সমাজের সঙ্গে আরও একীভূত হওয়ার আহ্বান জানান, যাতে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের প্রসারে আরও বেশি অবদান রাখা যায়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সাবেক-বর্তমান সরকারি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি গণমাধ্যমও আগামী দিনে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিতে যুক্ত হবে। ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস রোববার এ কথা বলেছেন বলে বেসরকারি টেলিভিশন স্টেশন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের এক খবরে বলা হয়েছে। চ্যানেল টোয়েন্টিফোর বলেছে, আজ টেলিভিশন স্টেশনটির কার্যালয়ে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। সেখানে তিনি মার্কিন ভিসা নীতিতে বাংলাদেশের গণমাধ্যম যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন।বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গত ২৪ মে বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তাতে বলা হয়েছিল বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনপ্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বাংলাদেশিদের ভিসা দেবে না দেশটি।ওই ঘোষণার প্রায় চার মাস পর গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় বাধাদানকারী ব্যক্তিদের ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপ শুরুর ঘোষণা দেয়। বিবৃতিতে বলা হয়, পররাষ্ট্র দপ্তর শুক্রবার বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনপ্রক্রিয়াকে বাধাদানে দায়ী ও জড়িত ব্যক্তিদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের পদক্ষেপ নিচ্ছে। এসব ব্যক্তির মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের সদস্য রয়েছেন।যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওই বিবৃতিতে বলা হয়, এসব ব্যক্তি ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য বিবেচিত হবেন। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনপ্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে প্রমাণিত অন্য ব্যক্তিরাও ভবিষ্যতে এই নীতির আওতায় ভিসার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারেন। ওই ব্যক্তিদের মধ্যে বর্তমান ও সাবেক বাংলাদেশি কর্মকর্তা, বিরোধী ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা পরিষেবার সদস্য রয়েছেন।যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে এই বিবৃতি প্রকাশের পর সেদিন রাতে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার গণমাধ্যমকে জানান, যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে বাংলাদেশের কিছু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ক্ষমতাসীন দলের সদস্য ও রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা যখন এই ভিসা নীতি ঘোষণা করেছি, তখন থেকেই যুক্তরাষ্ট্র সরকার ঘটনাবলির ওপর গভীর দৃষ্টি রাখছে। সতর্কতার সঙ্গে তথ্যপ্রমাণ পর্যালোচনার পর আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ক্ষমতাসীন দলের সদস্য ও রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করেছি।’তবে কাদের ওপর বা কতজনের ওপর এই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, তা জানাননি তিনি। এ বিষয়ে ব্রায়ান শিলার বলেন, এসব ভিসা বিধিনিষেধের আওতায় আসা ব্যক্তিদের নাম তাঁরা প্রকাশ করবেন না। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের আইনে ভিসাসংক্রান্ত তথ্য গোপনীয় বিষয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বিধিনিষেধ নিয়ে সরকার চিন্তিত নয়। কেননা ওয়াশিংটন গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুন্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত থাকা বাংলাদেশি ব্যক্তিদের ওপর এটি প্রয়োগ শুরু করেছে।মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর শুক্রবার রাতে গুলশানে তার বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদরে হারানোর কিছু নেই, আমরা এটা নিয়ে চিন্তিত নই কেননা আমরা কিছু ভুল করছি না।’তিনি বিষয়টিকে সুখকর অভিজ্ঞতা নয় বলে অভিহিত করে বলেছেন ‘এর মধ্য দিয়েই আমাদের যেতে হবে।’যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এই ব্যক্তিদের মধ্যে আইন প্রয়োগকারী সদস্য, ক্ষমতাসীন ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরা এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসবে।’বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন সৃষ্টিকারী দায়ী ব্যক্তি বা এতে জড়িত বাংলাদেশিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপ নিচ্ছে।আলম বলনে, ওয়াশিংটন নতুন ভিসা নীতির অধীনে তাদের সিদ্ধান্তের বিষয়ে ঢাকাকে অবহিত করেছে। বাংলাদেশের লক্ষ্য অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং তার প্রতি সমর্থনের লক্ষে যুক্তরাষ্ট্র এটা করছে।বাংলাদেশের নির্বাচনের পর এ নীতি বাস্তবায়নের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঢাকা যোগাযোগ করেছিল কি না জানতে চাইলে আলম নেতিবাচক জবাবে বলেন, ঢাকা কখনোই ওয়াশিংটনের কাছে এ ধরনের কোনো অনুরোধ জানায়নি।তিনি বলেন, ‘এর আগে কিছু রাজনৈতিক দল এটা প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছিল যে, মার্কিন ভিসা বিধি নিষেধ কেবলমাত্র সরকারি দলের ওপর আরোপ করা হবে। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্পস্ট করেছে যে, নতুন নীতিটি সক্ষমতাসীন ও বিরোধী উভয় রাজনৈতিক দলের জন্যই প্রযোজ্য।’আলম বলেন, সরকারের প্রত্যাশা মার্কিন সরকার সঠিক তথ্য ও পরিসংখ্যান যথাযথভাবে পর্যালোচনা করে নতুন ভিসা নিষেধাজ্ঞা নীতি বাস্তবায়ন করবে।তিনি বলেন, ‘যদি দেখা যায় যেকোনো বিশেষ ব্যক্তির ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের জন্য আমাদের (সরকারি) কাজ সম্পাদনে সমস্যা হচ্ছে, তবে ঢাকা এ ধরনের বিষয় নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনা করবে।’প্রতিমন্ত্রী বলেন, কতজন ব্যক্তি ভিসা নীতির আওতায় এসেছে ওয়াশিংটন সে বিষয়ে ঢাকাকে একটা ধারণা দিয়েছে এবং ‘আমি আপনাকে কী বলতে পারি খুবই সংখ্যাটি কম।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বিশেষজ্ঞদের মূল্যায়নে বাংলাদেশের নির্বাচন আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী না হওয়ার আশঙ্কার কথা উঠে আসায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।ইউরোপীয় কমিশনের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তাবিষয়ক মুখপাত্র নাবিলা মাসরালি ফরাসি টিভি চ্যানেল ফ্রান্স টোয়েন্টিফোরের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। প্রথম আলোর প্রশ্নের জবাবেও তিনি একই উত্তর লিখে পাঠান।যদিও ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে গত বুধবার যে চিঠি দিয়েছেন, তাতে পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর অন্যতম একটি কারণ হিসেবে ইইউর নির্বাচন পর্যবেক্ষণসংক্রান্ত বাজেট স্বল্পতার কথা উল্লেখ রয়েছে।বাজেট স্বল্পতা এই সিদ্ধান্তের কারণ কি না, সে সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে নাবিলা মাসরালি বলেন, ইইউর অনুসন্ধানী দল ও স্বাধীন বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।নাবিলা মাসরালি আরও জানিয়েছেন, ইইউ বাংলাদেশে একটি স্বাধীন নির্বাচনী অন্বেষণ মিশন পাঠিয়েছিল। মিশনটি গত ৬ থেকে ২২ জুলাই বাংলাদেশ সফর করে। মিশনের দায়িত্ব ছিল স্বাধীনভাবে ও কৌশলগত দৃষ্টিকোণ থেকে বাস্তব তথ্য সংগ্রহ করা এবং নির্বাচনে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে চলার যে অঙ্গীকার বাংলাদেশ করেছে, তার সঙ্গে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ইইউর নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশন মোতায়েন কতটুকু কার্যকর, সম্ভব ও ফলদায়ক হবে তা মূল্যায়ন করা।ইইউর অন্বেষণ মিশনে চারজন স্বাধীন বিশেষজ্ঞ ছিলেন জানিয়ে ইউরোপীয় কমিশনের মুখপাত্র বলেন, তাঁরা বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নির্বাচন পরিচালনা সংস্থা, বিচার বিভাগ, রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি, গণমাধ্যমের প্রতিনিধি, নাগরিক সমাজ, নিরাপত্তা বাহিনী এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়সহ নির্বাচনসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বিস্তৃত পরিসরের আলোচনা করেছেন। এরপর তাঁরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে ইইউর নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশন এবার তার উদ্দেশ্য পূরণ করতে পারবে না।কমিশনের মুখপাত্রের কাছে নির্দিষ্টভাবে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে এই সিদ্ধান্ত ইইউর বাজেট সীমাবদ্ধতার কারণে কি না। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের মন্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, বাজেট স্বল্পতাই এর কারণ।ফ্রান্স টোয়েন্টিফোরের সাংবাদিক মো. আরিফউল্লাহ এক টুইটে (এখনকার এক্স) জানান যে কমিশনের মুখপাত্র তাঁকে জানিয়েছেন, ইউরোপীয় এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিস (ইইএএস) ওই স্বাধীন প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়েছে।প্রথম আলোর পক্ষ থেকে ইইউ মুখপাত্রের দপ্তরে যোগাযোগ করা হলে নাবিলা মাসরালি একই উত্তর দেন। তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের সরকার ও নির্বাচন কমিশনের চাওয়া সাপেক্ষে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার উপযুক্ত বিকল্প কী হতে পারে, তা বর্তমানে ইউরোপীয় কমিশনের বিবেচনাধীন রয়েছে।ইউরোপীয় ইউনিয়নের ঢাকার রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে যে চিঠি দেন, তাতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের সময় প্রয়োজনীয় শর্তগুলো পূরণ করা হবে কি না, তা এই মুহূর্তে যথেষ্ট স্পষ্ট নয় এবং নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ২০২৩-২৪ সালের জন্য ইইউর বরাদ্দ বাজেট বিবেচনায় বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইইউর পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিশনার জোসেফ বোরেল।এর মাত্র এক দিন আগে ইউরোপীয় কমিশন এক ঘোষণায় জিম্বাবুয়েতে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তার জন্য দেওয়া ৫০ লাখ ডলারের বরাদ্দ বাতিল করার কথা জানায়। নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বাজেট স্বল্পতার উল্লেখ তাই অনেককেই বিস্মিত করেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
দুই বছর আগে মুদ্রা বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের কাছ থেকে যে ২০০ মিলিয়ন বা ২০ কোটি ডলার ঋণ নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা, তার পুরোটাই শোধ করেছে দেশটি।শ্রীলঙ্কা শেষ কিস্তির ৫০ মিলিয়ন বা ৫ কোটি ডলার ও ঋণের সুদ বাবদ ৪৫ লাখ ডলার বৃহস্পতিবার রাতে পরিশোধ করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।২০২১ সালের মে মাসে এক বছর মেয়াদে এ ঋণ নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। তবে গত বছর অর্থনৈতিক সংকট প্রকট হলে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে তারা। সে কারণে কয়েকবার ঋণ পরিশোধে সময় নেয় দেশটি। চলতি বছর শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি আবার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করায় ঋণ পরিশোধ করতে পেরেছে দেশটি।বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, গত ২০ আগস্ট শ্রীলঙ্কা প্রথম ৫ কোটি ডলার ফেরত দেয়। এরপর ৩১ আগস্ট ফেরত দেয় আরও ১০ কোটি ডলার। সবশেষে বাকি ৫ কোটি ডলার গত বৃহস্পতিবার রাতে ফেরত দেয় তারা। অর্থাৎ, মোট তিন কিস্তিতে বাংলাদেশ থেকে নেওয়া ঋণ পরিশোধ করেছে শ্রীলঙ্কা।‘মুজিব চিরন্তন’ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শ্রীলঙ্কার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে ২০২১ সালের ১৯ মার্চ ঢাকায় এসেছিলেন। ওই সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেন মাহিন্দা রাজাপক্ষে। ওই বৈঠকের ধারাবাহিকতায় শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর ডব্লিউ ডি লক্ষ্মণ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে ডলার চেয়ে চিঠি দেন। এরপরই কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ধার হিসেবে নয়, বরং ডলারের সঙ্গে শ্রীলঙ্কান রুপি অদলবদল বা সোয়াপ করে এই অর্থ দেওয়া হয়। এর বিপরীতে কিছু সুদও পায় বাংলাদেশ।বাংলাদেশের কাছে ২০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ শ্রীলঙ্কান রুপি জমা ছিল। বাংলাদেশ এর আগে ১৫ কোটি ডলার সমপরিমাণ রুপি ফেরত দিয়েছে। এবার বাকি ৫ কোটি ডলারের সমপরিমাণ রুপিও ফেরত দেবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আওয়ামী লীগেরও চাওয়া। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যদি বাংলাদেশের বাইরে থেকে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে, সে ক্ষেত্রে এই দেশের জনগণ ওই ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) দেবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।শেখ হাসিনা বলেন, মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগের ঘোষণায় বিরোধীদের কথাও বলা হয়েছে। এবার বিএনপি জ্বালাও-পোড়াও করতে পারবে না। এতে জনগণের জীবন বাঁচবে।সরকারপ্রধান বলেন, কে নিষেধাজ্ঞা দিল আর কে দিল না, তাতে কিছু যায় আসে না। আমার ছেলেও এখানে আছে। সে ব্যবসা-বাণিজ্য করছে, বিয়ে করেছে, তার মেয়ে আছে, সম্পত্তি আছে, বাড়িঘর আছে। যদি বাতিল করে, করবে। তাতে কিছু আসে যায় না। আমাদের বাংলাদেশ তো আছেই।তিনি বলেন, যারা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তাদের নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন আছে। ভিসানীতির মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে টার্গেট করলে কিছু বলার নেই। কারও শক্তিতে বিশ্বাস করে ক্ষমতায় আসিনি। জনগণের ওপর নির্ভর করে ক্ষমতায় এসেছি এবং আছি।তিনি আরও বলেন, যদি তারা শুধু আওয়ামী লীগকে টার্গেট করে থাকে, তা হলে আমার কিছু বলার নেই। তবে মনে রাখতে হবে আমি কিন্তু কারও শক্তিতে ক্ষমতায় আসিনি। আমি ক্ষমতায় এসেছি জনগণের শক্তিতে।প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, যারা ভোটের স্বচ্ছতা নিয়ে কথা বলছে, ২০০১ কিংবা সামরিক শাসকদের নির্বাচনের সময় তারা কোথায় ছিল? শেখ হাসিনা বলেন, ‘ট্রান্সপারেন্ট ব্যালট বাক্স, ছবিসহ ভোটার তালিকা, মানুষের মধ্যে ভোটের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা— এগুলো আমরা করেছি। ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’— এই স্লোগান তো আমারই দেওয়া। ভোট ও ভাতের অধিকারের আন্দোলন তো আমরাই করেছি।সরকারপ্রধান সাফ জানিয়ে দেন, ক্ষমতায় আসতে হলে নির্বাচনই একমাত্র পথ। গোলমাল করে অবৈধভাবে আসতে চাইলে শাস্তি ভোগ করতে হবে। শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণকে দেওয়া ওয়াদা রক্ষা করে। বিএনপি-জামায়াত আমলের মতো দুর্নীতি হচ্ছে না বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।উল্লেখ্য, শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে জানান, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া যারা বাধাগ্রস্ত করবে, তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।এতে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাদানকারী ব্যক্তি ও সহায়তাকারীদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে— আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরা। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহায়তা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
অস্থিতিশীল ডিমের বাজারে স্থিতি আনতে ভারত থেকে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার।বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গতকাল রোববার দেশের চার প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি করে ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা।মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রাথমিক পর্যায়ে সরকার আমদানির পর বাজার স্থিতিশীল আছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করবে এবং বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।আমদানি করা ডিম খুচরা পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত দাম প্রতি পিস ১২ টাকায় বিক্রি হবে।মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা বলেন, আমদানি করা ডিম লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খোলার এক সপ্তাহের মধ্যে এসে পৌছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যেই এটি শুরু হবে।বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রতিদিন চার কোটি ডিমের প্রয়োজন হয়।উল্লেখ্য, গতকাল কলকাতায় এক হালি মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে ২৬ রুপিতে (৩৪.২৯ টাকা)। প্রতি পিসে যার দাম আসে সাড়ে আট টাকা।গত ১৪ সেপ্টেম্বর নিত্যপ্রয়োজনীয় আমিষের দাম বাড়ার মধ্যে খুচরা পর্যায়ে ডিমের দাম ১২ টাকা নির্ধারণ করে সরকার।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উদযাপন করা হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন স্থানীয় সরকার পরিষদে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা।বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে সাতটা থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা জনপ্রতিনিধিরা গণভবনের সামনে অবস্থান করতে শুরু করেন। এরপর সকাল নয়টা থেকে গণভবনে জনপ্রতিনিধিদের দীর্ঘ সারি দেখা যায়।দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে গণভবনে বেলা ১১টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভাপতিত্ব করবেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিষয়ক মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।দেশের সব সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলর, পৌর মেয়র ও কাউন্সিলর, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানদের এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। প্রায় আট হাজার জনপ্রতিনিধি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। তবে এতে ডাকা হয়নি সাময়িক বরখাস্ত ও মামলার আসামিদের।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
রাজধানীর কৃষি মার্কেটে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিস। সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিসের সদরদপ্তরে মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজাহান সিকদার জানিয়েছেন, ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৪টার দিকে মার্কেটের ডানদিকে আগুনের সূত্রপাত বলে জানা গেছে। শুরুতে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করলেও পরে একে একে ১৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। মার্কেটটিতে ৫শর বেশি দোকান ছিল। এসব দোকানে কাজ করে ২ হাজারের বেশি মানুষ জীবিকা নির্বাহ করতেন। এ মার্কেটে সবজি দোকানের পাশাপাশি জুতার দোকান, স্বর্ণের দোকানসহ অনেক ধরনের দোকান রয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোতে কোটি কোটি টাকার মালামাল ছিল। আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ২০০ থেকে ২৫০ কোটি টাকা হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি। অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত কিভাবে সে বিষয়েও আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি। তবে অনেকের ধারণা শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটের নতুন কাঁচা বাজারে লাগা আগুন ৫ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে । আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট কাজ করছে।এদিকে আগুনে মার্কেটের অন্তত ১৮টি স্বর্ণের দোকান পুড়ে গেছে। এর মধ্যে মার্কেটের সামনের অংশে থাকা ৯টি ও ভেতরে ৯টি দোকান রয়েছে। সরেজমিন দেখা যায়, ভয়াবহ আগুনে আলিফ জুয়েলার্স, হেনা জুয়েলার্স, দুবাই জুয়েলার্স, সিঙ্গাপুর জুয়েলার্স, মুন জুয়েলার্স, রিয়াদ জুয়েলার্স, মা জুয়েলার্স নামের দোকানগুলো পুড়ে গেছে।দুবাই জুয়েলার্সের মালিক আমির হোসেন জানান, আমার দুটি জুয়েলার্সের দোকান ছিলো। ভোর চারটায় খবর পেয়ে মার্কেটে আসি। তখনও আমার তার দোকানে আগুন লাগেনি। মার্কেট বন্ধ থাকায় সামান্য কিছু মালামাল সরাতে পারলেও সব সরাতে পারিনি।দুই দোকানে প্রায় দুই কোটি টাকার জুয়েলার্সের মালামাল ছিল দাবি করে তিনি বলেন, মার্কেটে মোট ১৮টি স্বর্ণের দোকান ছিল, সবগুলো পুড়ে গেছে।সিঙ্গাপুর জুয়েলার্সের মালিক আবু কাওসার বলেন, তার দোকানে দুই কোটি টাকার কাছাকাছি মালামাল ছিল। কিছু বের করা গেছে, তবে বেশিরভাগই দোকানে ছিল। আগুনে দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।স্বর্ণের দোকান ছাড়াও মার্কেটটিতে কাপড়, প্লাস্টিকের মালামাল, ক্রোকারিজ ও ব্যাগের দোকান ছিল। আগুনে এসব দোকানও পুড়ে গেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শাহবাগ থানায় নিয়ে ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে নির্যাতনের ঘটনার পর সাময়িক বরখাস্ত হওয়া এডিসি হারুনকে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। একই ঘটনায় এডিসি সানজিদা আফরিনকে রংপুর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে (পিটিসি) বদলি করা হতে পারে। আজ (বুধবার) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে। ছাত্রলীগের দুই নেতাকে থানায় নিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হক মামুনের দায় খুঁজছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে— রাষ্ট্রপতির এপিএস ও ছাত্রলীগ নেতারাই প্রথমে এডিসি হারুনকে মারধর করেছিলেন। এপিএস মামুনের দায় বের করতে যেখান থেকে ঘটনার সূত্রপাত হয়, সেই বারডেম হাসপাতালে কী ঘটেছিল, সেটি তদন্ত করে বের করা উচিত বলে মনে করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন-অর রশীদ। তিনি বলেন, এপিএস মামুন এবং ছাত্রলীগ নেতারাই বারডেম হাসপাতালে আগে এডিসি হারুনকে মারধর করেছেন। একই ধরনের তথ্য তুলে ধরে এডিসি হারুনের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন এপিএসের স্ত্রী পুলিশের এডিসি সানজিদা আফরিনও। তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যাকে ঘিরে ঘটনার সূত্রপাত সেই নারী এডিসি সানজিদার বিভিন্ন বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। সর্বশেষ হারুনের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্কে জড়ান বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি বেশ কয়েক মাস ধরে তার স্বামী ও রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল গোপনে নজরদারি করছিলেন। সব বিষয় সামনে রেখেই তদন্ত হচ্ছে।এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাঈমকে মঙ্গলবার দুপুরে দেখতে যান ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। এ সময় ডিএমপি কমিশনার গণমাধ্যমকে জানান, শাহবাগ থানার ঘটনায় ছাত্রলীগের একাধিক নেতা আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির কাজ শেষ হওয়ার আগেই দুজন অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এডিসি হারুনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। শাহবাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) মোস্তফাকেও থানা থেকে সরানো হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর আমরা তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয়সহ অন্যান্য ব্যবস্থা নেব। আমরা আপাতদৃষ্টিতে দেখছি, একজন ছাত্রকে থানার ভেতরে মারধর করা বেআইনি। তাৎক্ষণিকভাবে আমরা ওইটুকু অ্যাকশন নিয়েছি। এর মধ্যে যদি তদন্তে আরও অন্য কোনো বিষয় আসে সেসব বিষয় দেখা হবে
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বরখাস্ত অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন-অর-রশীদকে রংপুর রেঞ্জের ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।আজ মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে মারধরের ঘটনায় গতকাল সোমবার সাময়িক বরখাস্তের পর তাকে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছিল।সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এডিসি হারুন-অর-রশীদকে 'জনস্বার্থে সরকারি কর্ম হতে বিরত রাখা আবশ্যক ও সমীচীন', তাই তাকে আজ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।মারধরের ঘটনায় রোববার প্রথমে তাকে ডিএমপির রমনা বিভাগ থেকে প্রত্যাহার করে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে সংযুক্ত করা হয়। পরে ওই বিকেলেই পুলিশ সদর দপ্তরের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, হারুন-অর-রশীদকে এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার করা হয়েছে।মারধরের শিকার ছাত্রলীগের ২ নেতা হলেন-কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম।ছাত্রলীগের এক নেতা বলেন, 'এডিসি হারুন ও একজন নারী পুলিশ কর্মকর্তা বারডেম হাসপাতালে গল্প করছিলেন। তখন ওই নারী পুলিশ কর্মকর্তার স্বামী পরিচয়ে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের এক কর্মকর্তা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দুই নেতাকে নিয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে সেখানে যান। একপর্যায়ে সেখানে এডিসি হারুনের সঙ্গে ওই প্রশাসন কর্মকর্তার বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।'নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, 'এক পর্যায়ে হারুন পুলিশ সদস্যদের ডেকে ছাত্রলীগের দুই নেতাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়। সেখানে প্রায় এক ঘণ্টা পুলিশ তাদের ওপর নির্যাতন চালায়।'খবর পেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এম মাকসুদুর রহমান থানায় ছুটে যান এবং আলোচনার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আলাপে নির্বাচন প্রসঙ্গ ছিল না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা জানান।দিল্লিতে হাসিনা-বাইডেনের আলাচনার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, খুব ভালো, ভালো কথা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমি বাবা-মা, ভাইদের হারিয়েছি, পরিবারের লোকদের হারিয়েছি। বাংলাদেশের জনগণই আমার পরিবার। তাদের মুখে দু’বেলা ভাত, জীবন মানের উন্নয়নের জন্য আমি কাজ করছি।তিনি বলেন, আমার বিরাট পরিবার, ১৭০ মিলিয়নের পরিবার। এদের আমি সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করে দিতে চাই। আমাদের স্বপ্ন একটা সুন্দর বাংলাদেশ। আমার একটাই জীবনের কাম্য, আমার দেশবাসীর মঙ্গল করা।সরকারপ্রধানের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট কী বলেছেন, জানতে চাইলে মোমেন বলেন, তিনি বলেছেন, আমি জানি।নির্বাচন নিয়ে কোনো আলাপ হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওগুলো নিয়ে আলাপ হয়নি।’অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, আমরা কখনও চাপের মুখে ছিলাম না। আমরা চাপের মধ্যে নাই। আমরা আগামী অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সুতরাং আমরা কোনো চাপের মধ্যে নেই। আপনারা (গণমাধ্যম) বরং চাপের মধ্যে আছেন। আপনারা (গণমাধ্যম) আমাদের চাপের মধ্যে ফেলতে চান।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ঢাকা কাস্টম হাউজের নিজস্ব গুদাম থেকে গায়েব করা ৫৫ ভরি সোনার বেশিরভাগই বিক্রি হয়েছে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম ও তাঁতীবাজারের বিভিন্ন স্বর্ণের দোকানে। কাস্টম হাউজের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম শাহেদ, শহিদুল ইসলাম এবং সিপাহি নিয়ামত হাওলাদার গুদাম থেকে সরানো ওই সব সোনা তাঁতীবাজারের দুই ব্যবসায়ীর মাধ্যমে বিক্রি করেছেন। আর টাকার ভাগ পেয়েছেন কাস্টম হাউজের অনেক কর্মকর্তাই। তদন্তসংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, চোরাই সোনা কেনা অন্তত সাত স্বর্ণ ব্যবসায়ী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারিতে রয়েছেন। তাদের যে কোনো সময় গ্রেফতার করা হতে পারে।এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিমানবন্দর থানার পরিদর্শক মো. খোরশেদ আলম বলেন, ‘সন্দেহভাজনদের হেফাজতে নিয়ে তাৎক্ষণিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, ঢাকা কাস্টম হাউজের বেশ কয়েকজন এই সোনা চুরির সঙ্গে জড়িত। আমরা মামলা তদন্ত করে অনেকটা এগিয়েছিলাম। এখন ডিবি তদন্ত করবে।’সোনা গায়েবের ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় হওয়া মামলাটি গত মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) যাওয়ার পর থানা হেফাজতে থাকা কাস্টমসের চার কর্মকর্তা ও চার সিপাহিকে ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ডিবি উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার বদরুজ্জামান জিল্লু বলেন, থানা হেফাজতে থাকা আটজনকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এখনো কাউকেই গ্রেফতার দেখানো হয়নি।সূত্র জানায়, সোনা চুরির এ ঘটনা ঢাকা শুল্ক বিভাগের নজরে আসে গত শনিবার। তবে বিষয়টি জানাজানি হয় রোববার। এ ঘটনায় শুল্ক বিভাগ একজন যুগ্ম কমিশনারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ৯টার দিকে ঢাকা শুল্ক বিভাগের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও গুদামের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা মাসুদ রানা যুগ্ম কমিশনারকে বিমানবন্দরের ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড’ শাখার কাছে শুল্ক বিভাগের গুদামের মূল্যবান পণ্যসামগ্রী রাখার একটি স্টিলের আলমারির লকার ভাঙা বলে জানান।মাসুদ রানা যুগ্ম কমিশনারকে আরও জানান, প্রতিদিনের মতো আটক পণ্য গুদামে রেখে তিনিসহ চারজন রাত সাড়ে ১২টার দিকে শুল্ক বিভাগ ছেড়ে চলে যান।মামলায় আরও বলা হয়েছে, গুদামের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এমন সংবাদ পেয়ে ওই গুদাম পরিদর্শনে যান ঢাকা শুল্ক বিভাগের কমিশনার, অতিরিক্ত কমিশনার ও যুগ্ম কমিশনার। তারা গিয়ে গুদামের একটি স্টিলের আলমারির লকার ভাঙা দেখেন। গুদামের পূর্ব পাশে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের বাতাস যে অংশ দিয়ে বের হয়, সেখানকার টিনের কিছু অংশ কাটা দেখতে পান। পরে তারা গুদামের দায়িত্বে থাকা চারজন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও চারজন সিপাহিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, গুদামের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের কাছ থেকে কোনো সন্তোষজনক উত্তর না পেয়ে শুল্ক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গুদাম থেকে কোনো মূল্যবান বস্তু চুরি হয়েছে কিনা, সেটি নিশ্চিত হওয়ার জন্য গুদামের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মৌখিক নির্দেশনা দেন।পরে গুদাম কর্মকর্তারা আটকের রসিদ (ডিএম) মোতাবেক দেখতে পান ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে আটক ৫৫ কেজি ৫১ গ্রাম সোনা চুরি হয়েছে।রাত সাড়ে ৯টা থেকে পর দিন সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে কে বা কারা গুদামের আলমারির লকার ভেঙে সোনাগুলো নিয়ে গেছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ রয়েছে। পুলিশের উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, চুরির ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। এ চুরির রহস্য উদ্ঘাটনে গুদামের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।বিমানবন্দরের ভেতরের ওই গুদামের দায়িত্ব পালন করেন চারজন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও চারজন সিপাহি। তাদের মধ্যে চার সরকারি রাজস্ব কর্মকর্তারা হলেন মাসুদ রানা, সাইফুল ইসলাম শাহেদ, শহিদুল ইসলাম ও আকতার শেখ। অন্য চারজন সিপাহি হলেন রেজাউল করিম, মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, আফজাল হোসেন ও নিয়ামত হাওলাদার।শুল্ক বিভাগের ভাষ্য অনুযায়ী, চুরি হওয়া এসব সোনা ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময় উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু এত দিন ধরে এত পরিমাণ সোনা বিমানবন্দরের গুদামে রাখা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।ঢাকা কাস্টম হাউজের কমিশনার একেএম নুরুল হুদা আজাদ বলেন, গুদামে অনেকগুলো লকার থাকলেও সোনা চুরি হয়েছে একটি লকার থেকে। এসব সোনা ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে উদ্ধার হয়েছে। আমি গুদামে অটোমেশনের কাজ শুরু করি। এর মধ্যে এ ধরনের ঘটনায় আমি লজ্জিত ও বিব্রত।এ কর্মকর্তা জানান, আট দিন আগে গুদামটি অটোমেশনের কাজ শুরু হয়। এই কাজের অংশ হিসেবে গুদামে থাকা সোনা গণনার কাজ শুরু হয়। তার ধারণা, সোনা চুরির ঘটনা আগেই ঘটেছে। গুদামের অটোমেশনের কাজ শুরু হওয়ায় সেটা ধরা পড়বে; তাই লকার ভাঙার ‘নাটক’ তৈরি করা হয়েছে।বিমানবন্দরের ভেতরের সব জায়গা সিসিটিভি ক্যামেরায় নজরদারিসহ সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার মধ্যে রাখা হয়। পুরো বিমানবন্দরে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাসহ সরকারি বেশ কয়েকটি সংস্থা কাজ করে। এত নিরাপত্তার মধ্যে গুদাম থেকে সোনা চুরি হওয়ার বিষয়টি বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকেও প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।এ বিষয়ে পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, বিমানবন্দর রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা (কেপিআই)। এমন একটি জায়গা থেকে কিছু চুরি হলে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। সোনা চুরির ঘটনায় পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ এসেছে। তদন্ত করে এ ঘটনায় কারা জড়িত, সেটা বের করা হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
আগামী শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নয়া দিল্লিতে বৈঠকে বসবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৈঠকে তিস্তাসহ গুরত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলোচনা করতে চায় ঢাকা।মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এসব কথা জানান পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন।পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ৮ তারিখ সন্ধ্যার সময় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আমাদের দ্বিপাক্ষিক অনেক ইস্যু রয়েছে। এগুলো সবগুলো নিয়ে আলাপ হবে। আমাদের কানেক্টিভিটি ইস্যু আছে, তিস্তার পানির বিষয়ে কথা বলব। এরপর এনার্জি সিকিউরিটি, ফুড সিকিউরিটি নিয়ে আলাপ হবে।মাসুদ বিন মোমেন বলেন, দুই দেশের মধ্যে এখন প্রচুর প্রজেক্টও রয়েছে, সেগুলোর অগ্রগতি নিয়ে আলাপ হবে। পুরো দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে নিয়ে আলাপ করার সুযোগ হবে না। তারপরও যত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু রয়েছে সেগুলো নিয়ে আলাপ হবে।জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে আগামী শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) নয়া দিল্লির উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৯-১০ সেপ্টেম্বর নয়া দিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুল্ক বিভাগের গুদামের লকার থেকে ৫৫ কেজি স্বর্ণ চুরির মামলায় ১৫ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।মঙ্গলবার বিমানবন্দর থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মোজাফফর হোসেন জানান, সোমবার মামলার এজাহার আদালতে আসে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালত তা গ্রহণ করে বিমানবন্দর থানার পরিদর্শক খোরশেদ আলমকে আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। গত রোববার রাতে ঢাকা শুল্ক বিভাগের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় স্বর্ণ চুরির ঘটনায় মামলা করেন। এতে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।মামলার এজাহার সূত্র জানায়, ২০২৩ সালে উদ্ধার হওয়া ৪৮টি ডিএম বার যার ওজন ৮.০২ কেজি ও ২০২০ থেকে ২০২৩ সালে বিভিন্ন সময়ে আটক ৩৮৯টি ডিএম বার যার মোট ওজন ৪৭.৪৯ কেজি স্বর্ণ আলমারির লকার ভেঙে চুরি হয়েছে। গত শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টা ১৫ মিনিট থেকে পরদিন সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের মধ্যে কে বা কারা ৫৫ কেজি স্বর্ণের বার ও স্বর্ণালংকার গোডাউন থেকে স্টিলের আলমারির লকার ভেঙে চুরি করেছে; যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৪৫ কোটি টাকার বেশি। সাধারণত বিমানবন্দরে যাত্রীদের কাছ থেকে জব্দ করা স্বর্ণের বার, অলংকারসহ মূল্যবান জিনিস এ গুদামে রাখা হয়। গুদামে রক্ষিত স্বর্ণের হিসাব মেলাতে গিয়েই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩