পদ্মা সেতুতে ১৬ হাজার ৪০০ টাকা টোল দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে নিজের গাড়ির জন্য ৭৫০ টাকা টোল দিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহরে ১৮টি গাড়ি ছিল।আজ শনিবার দুপুর ১২টার একটু আগে মাওয়ায় পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে জাজিরা প্রান্তে যান।পদ্মা সেতুর টোলকর্মী তানিয়া আফরিন প্রধানমন্ত্রীর ১৬ হাজার ৪০০ টাকা টোল দেওয়ার কথা জানান।কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীই প্রথম ব্যক্তি, যিনি টোল দিয়ে পদ্মা সেতু পার হয়েছেন। পদ্মা সেতু আজ যানবাহন চলাচলের জন্য উদ্বোধন করা হলেও কাল রোববার সকাল ছয়টায় সর্বসাধারণের যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।এর আগে গতকাল শুক্রবার পদ্মা বহুমুখী সেতুর টোল প্লাজার জন্য মাওয়া প্রান্তে টোল প্লাজা অতিক্রম করে কিছু পাবলিক গাড়ি নিয়ে পরীক্ষা চালায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।পরীক্ষামূলক যানচলাচল প্রক্রিয়া সাত দিন ধরে হয়। কর্তৃপক্ষ এ সময়ের মধ্যে টোল নেওয়া এবং স্লিপ দেওয়ার প্রক্রিয়াটির মহড়া দেয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৫ জুন ২০২২
পদ্মা সেতুতে প্রথম টোল দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার দুপুর ১২টার একটু আগে মাওয়ায় পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন তিনি। কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীই প্রথম ব্যক্তি যিনি টোল দিয়ে পদ্মা সেতু পার হয়েছেন।পদ্মা সেতু আজ যানবাহন চলাচলের জন্য উদ্বোধন করা হলেও আগামীকাল সকাল ছয়টায় সর্বসাধারণের যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।এর আগে গতকাল শুক্রবার পদ্মা বহুমুখী সেতুর টোল প্লাজার জন্য মাওয়া প্রান্তে টোল প্লাজা অতিক্রম করে কিছু পাবলিক গাড়ি নিয়ে পরীক্ষা চালায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।পরীক্ষামূলক যানচলাচল প্রক্রিয়া সাত দিন ধরে হয়। কর্তৃপক্ষ এ সময়ের মধ্যে টোল নেওয়া এবং স্লিপ দেওয়ার প্রক্রিয়াটির মহড়া দেয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৫ জুন ২০২২
দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ (২৫ জুন) দুপুরে মাওয়া প্রান্তে টোল পরিশোধ শেষে উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী সেতু উদ্বোধন করেন।উদ্বোধন শেষে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের উদ্দেশে যাত্রা করেন শেখ হাসিনা। এসময় মাঝ সেতুতে দাঁড়িয়ে বিমান বাহিনীর ৩১টি বিমান ও হেলিকপ্টারের সমন্বয়ে এক মনোজ্ঞ ‘ফ্লাইং ডিসপ্লে’র উপভোগ করেন তিনি। সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়েমা ওয়াজেদ পুতুলসহ অন্যরা।এসময় দুটি মিগ-২৯, দুটি এফটি-৭বিজি/এফ-৭ এমবি ও দুটি এফ-৭ বিজিআইর সমন্বয়ে স্মোক পাস, তিনটি এফ-৭ বিজিআই/বিজির ফ্লাই পাস্ট প্রদর্শন, একটি সি-১৩০জে ও পাঁচটি কে-৮ ডব্লিউর সমন্বয়ে স্মোক পাস প্রদর্শন, তিনটি এল-৪১০ ও পাঁচটি গ্রোব-১২০টিপির সমন্বয়ে ফ্লাই পাস্ট প্রদর্শন, পাঁচটি এমআই-১৭/১৭১ এর মাধ্যমে পতাকা প্রদর্শন ও একটি বেল-২১২ এর মাধ্যমে লিফলেট বিতরণ, দুটি কে-৮ডব্লিউর মাধ্যমে শেকুল মেন্যুভার প্রদর্শন, পাঁচটি কে-৮ডব্লিউ এর মাধ্যমে ভিক্সেন ব্রেক প্রদর্শন এবং একটি মিগ-২৯ এর মাধ্যমে লো লেভেল অ্যারোবেটিক্স প্রদর্শন করা হয়।পাঁচ হেলিকপ্টারের একটি বহরের শুরুতেই ছিল লাল সবুজের পতাকা। যা জানান দেয় বাঙালির আত্মমর্যাদা, সক্ষমতার।দ্বিতীয়টিতে ছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সম্বলিত পতাকা। অসীম আকাশে পাখা মেলে জানান দিয়ে গেল দাবিয়ে রাখা অসম্ভব অদম্য বাঙালিকে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৫ জুন ২০২২
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় যোগাযোগ প্রকল্প পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যার মধ্যে দিয়ে খুলে গেল দখিনা দুয়ার।শনিবার (২৫ জুন) দুপুরে মাওয়া প্রান্তে টোল পরিশোধ শেষে উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন শেষে তিনি ‘জয় বাংলা’ বলে স্লোগান দেন।এ সময় সেখানে উপস্থিত সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পা ছুঁয়ে সালাম করেন। তার পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন সাবেক সেতু সচিব মোশাররাফ হোসেন ভূঁইয়া।প্রধানমন্ত্রীর পেছনে ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়েমা ওয়াজেদ পুতুল, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।এর আগে, হেলিকপ্টারে করে সেখানে আয়োজিত সুধী সমাবেশস্থলে পৌঁছান তিনি। সমাবেশে তিনি বক্তব্য দেন। সুধী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, বিভিন্ন বাহিনীর প্রধান, সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা।উদ্বোধনের আগে স্মারক ডাকটিকিট, স্যুভেনির শিট, উদ্বোধনী খাম ও বিশেষ সিলমোহর উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে তিনি মাওয়ায় স্থাপিত টোল প্লাজায় টোল পরিশোধের পর উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন।উদ্বোধন শেষে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের উদ্দেশে যাত্রা করবেন তিনি। পরে জাজিরা পয়েন্টে পৌঁছে সেতু ও ম্যুরাল-২ এর উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন।এরপর মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়িতে সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বিকেল সাড়ে ৫টায় হেলিকপ্টারে জাজিরা প্রান্ত থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবেন।গত ২৪ মে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের তারিখ অনুমোদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারই দৃঢ় মনোবলের কারণে শেষ পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী মূল সেতুর পাইলিং ও নদীশাসনের কাজ উদ্বোধন করেন। এরপর একে একে সব ধাপ পেরিয়ে পদ্মার বুকে গড়ে ওঠে স্বপ্নের সেতু।সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্থাপনা পদ্মা সেতু। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। দ্বিতল এ সেতুর এক অংশ পদ্মা নদীর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত এবং অপর অংশ নদীর শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে যুক্ত।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৫ জুন ২০২২
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মাওয়া-জাজিরা প্রান্তে পদ্মা সেতু নির্মাণে যে বড় খরচ হয়েছে সেটা উঠলে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে।আজ (বুধবার) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।পদ্মা সেতুর মাধ্যমে ২১ জেলার মানুষ সংযুক্ত হচ্ছে। এর মধ্যে ১৬ জেলার মানুষ আরও বেশি উপকৃত হবে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু (দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া) নির্মাণ হলে।এটি নির্মাণে ভাবনা সম্পর্কে জানতে চাইলে শেখ হাসিনা বলেন, সারা দেশে বিভিন্ন সেতু নির্মাণ করে সংযোগ তৈরি করেছি। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পরে দ্বিতীয়টার জন্য আয়োজন রয়েছে। তবুও আগে দেখতে হবে, এটার প্রয়োজনীয়তা কতটুকু? সেটা বিবেচনা করে করা হবে। এখনই এত বড় একটা কাজ শেষ করে, আবার আরেকটা এখনই শুরু করতে পারব না।তিনি বলেন, এখন জায়গাটা খুব বড় না, বড় সেতু না। কাজেই ভবিষ্যতে যখন প্রয়োজন হবে মনে করব। আগেই বলেছি কোনো প্রয়োজন হলে সেটা থেকে রিটার্ন কি আসবে, সেটাও আমাকে দেখতে হবে। সেটা দেখেই প্রকল্প নেব। আমাদের এটা মাথায় আছে। এখন এত বড় খরচ করেছি, সেটার টাকা আগে উঠুক। তারপরে দ্বিতীয়টা করব।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ জুন ২০২২
উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা পদ্মা সেতু শুধু দক্ষিণাঞ্চলের চেহারা বদলে দেবে না, বরং এই সেতু অর্থনীতির ‘গেম চেঞ্জার’ হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করেন দেশের শীর্ষ অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, এটি আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। বাড়িয়ে দিয়েছে প্রত্যাশা।গতকাল রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘জাতীয় অর্থনীতিতে পদ্মা সেতুর গুরুত্ব’ শীর্ষক এক সংলাপ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তারা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী বিশ্বব্যাংক এ প্রকল্পে অর্থায়ন বাতিল করে দেয়ার পর নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত ৯ দশমিক ৩০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে বিশ্বের এগারতম বৃহত্তম এই সেতু আগামী শনিবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো প্রকল্প, যাতে ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি। পদ্মা সেতু চালুকে ঘিরে দেশে উৎসবের আমেজ বইছে। ব্যাপক প্রস্ততি নেয়া হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে। শনিবার খুলে দেয়ার পরের দিন থেকেই যানবাহন চলবে পদ্মা সেতু দিয়ে।জাতীয় অর্থনীতিতে পদ্মার সেতুর অবদান তুলতে ধরতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী, উপদেষ্টা, রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবদি, বিশেষজ্ঞসহ শীর্ষ ব্যবসায়ীরা বক্তব্য রাখেন। বক্তরা বলেন, এটি শুধু একটি সেতু নয়। এটি জাতির গর্ব। আস্থা, সততা ও আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। পদ্মা সেতু রাজধানীর ঢাকার সঙ্গে শুধু দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলাকেই যুক্ত করবে না, বরং সারা দেশকে সংযুক্ত করবে। ফলে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের অফুরন্ত সম্ভাবনা তৈরি হবে। জিডিপিতে যোগ হবে বাড়তি আড়াই শতাংশ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, পদ্মা সেতুর ফলে দেশ আরও এগিয়ে যাবে। পদ্মা প্রকল্পে সরকারি মালিকানাধীন অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে ১৫০ কোটি ডলার অর্থায়ন করা হয়েছে জানিয়ে অর্থনীতিবিদ ড. জায়েদ বখত জানান, বিপুল পরিমাণ ব্যয় করার পরও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের উপর চাপ আসেনি। ব্যহত হয়নি সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা। বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, পদ্মা সেতুর ফলে রাজস্ব আহরণ অনেক বাড়বে। মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের আদলে দেশের অন্যান্য মহাসড়কগুলো নির্মাণের পরামর্শ দেন যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের প্রফেসর ড. শামসুল হক। তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর ফলে ঢাকায় যানজট যাতে না বাড়ে, সে জন্য অনেকগুলো রিং রোড তৈরি করতে হবে।সিপিডি’র ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান মনে করেন, পদ্মা সেতু হলে অর্থনীতি একীভূত হবে। বিনিয়োগ হবে মূল চালিকাশক্তি। এ ছাড়া বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, মিয়ানমারসহ উপ-আঞ্চলিক জোটে পদ্মা সেতু বড় ভূমিকা রাখবে বলে জানান তিনি। পদ্মা সেতুর ফলে দক্ষিণাঞ্চলে কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প স্থাপনের ব্যাপক সম্ভাবনা তৈরি হবে বলে জানান ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন।পদ্মা সেতু অর্থনীতির ‘গেম চেঞ্জার’ হিসেবে কাজ করবে বলে জানান ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন। দক্ষিণাঞ্চলে অঞ্চলে দ্রুত শিল্পায়নের জন্য গ্যাস সরবরাহের দাবি জানান এই শীর্ষ ব্যবসায়ী। বাংলাদেশ রফতানিকারক সমিতির সভাপতি সালাম মুশের্দী বলেন, পদ্মা সেতুর ফলে চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর নির্ভরশীলতা কমবে। সক্রিয় হবে মোংলা বন্দর। পদ্মা সেতু নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করেছে, তাদের বিরদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মানহানি মামলা করার দাবি জানান দ্য ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী। সিনিয়র সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, নাম দিলেই কি আর না দিলেই বা কি, পদ্মা সেতু যতদিন থাকবে শেখ হাসিনার নাম ততোদিন বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে থাকবে। যশোর, কৃষ্টিয়া, ঝিনাইদাসহ দেশের আরও ১৬ জেলাকে ঢাকার সঙ্গে যুক্ত করতে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু তৈরির তাগিদ দেন বেসরকারি টিভি চ্যানেল মাছরাঙা টিভির বার্তা প্রধান রেজওয়ানুল হক।স্বাগত বক্তব্যে পদ্মা সেতুকে দেশের গর্ব বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ও বিজেএমইএ-এর সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। তিনি বলেন, এটি শুধু সেতু নয়। দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য এফবিসিসিআই-এর সাবেক সভাপতি ফজলে ফাহিম। সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ জুন ২০২২
আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে শতভাগ ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে কিনা এ নিয়ে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন দেশের ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছে এবং দল গুলোকে এ বিষয়ে মতামত দেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে।সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি দ্বিতীয় ধাপে ৮টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে । মঙ্গলবার (২১ জুন) বিকেল ৩টায় ইসির সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক শুরু হয়। তবে এ বৈঠকে অংশ নেয়নি বিএনপিসহ পাঁচ রাজনৈতিক দল।ইসির জনসংযোগ পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান বলেন, আজ দ্বিতীয় ধাপে ১৩টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ৮টি দল এসেছে। তাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে।তিনি বলেন, সংলাপের জন্য নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দলগুলোর সাধারণ সম্পাদকদের চিঠি দিয়েছি। দলগুলো চার সদস্যের কারিগরি টিম বা প্রতিনিধি পাঠাতে পারবে।এর আগে প্রথম ধাপে গত ১৯ জুন ১৩টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচন কমিশন। আগামী ২৮ জুন তৃতীয় ধাপে বাকি ১৩টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।ইভিএম নিয়ে ইতোমধ্যে প্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে বৈঠক করে মতামত নিয়েছে ইসি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করতে চায় নির্বাচন কমিশন। তবে তার আগে সবার মতামত নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।ইসির হাতে বর্তমানে ১ লাখ ৫৪ হাজার ইভিএম রয়েছে, যা দিয়ে সর্বোচ্চ ১০০ আসনে ভোট করা যাবে। ৩০০ আসনে এ ভোটযন্ত্র ব্যবহার করতে হলে আরও তিন লাখের মতো মেশিন কিনতে হবে।দ্বিতীয় দফায় সংলাপে যেসব রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে--ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ। যেসব দল অমন্ত্রণ পেয়েও সংলাপে অংশগ্রহণ করেনি তারা হলো--বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ বিএমএল।১৯ জুন ১ম ধাপে যারা ইসিতে আসার আমন্ত্রণ পেয়েছিল--জাতীয় পার্টি, জাতীয় পার্টি-জেপি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি, জাকের পার্টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, গণফোরাম, গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন এনডিএম ও বাংলাদেশ কংগ্রেস।২৮ জুন ৩য় ধাপে যারা ইসিতে আসার আমন্ত্রণ পেয়েছে--বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল- এমএল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল- বাসদ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি- বাংলাদেশ ন্যাপ, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২১ জুন ২০২২
বন্যা নিয়ে ঘাবড়ানোর কিছু নেই জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে সহায়তা দেওয়া হবে।সিলেট বিভাগের সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও বন্যাদুর্গতদের পুর্নবাসন নিয়ে মঙ্গলবার (২১ জুন) সিলেট সার্কিট হাউজে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।এর আগে সকালে হেলিকপ্টারে করে নেত্রকোণা, সুনামগঞ্জ ও সিলেটের বন্যা দুর্গত এলাকার পরিস্থিতি ঘুরে দেখেন। পরে সিলেট সার্কিট হাউজে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের এবং স্থানীয় প্রশাসনকে বন্যা মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে উপস্থিত নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের মানুষকে এই বন্যা-প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে লড়াই করে বাঁচার মানসিকতা থাকতে হবে। সে কারণে আমাদের অবকাঠামোগত যত উন্নয়ন হবে সেগুলো মাথায় রেখে করতে হবে।তিনি বলেন, সিলেট অঞ্চলে মাটি উঁচু করে আর কোনো রাস্তা করা হবে না, ‘এলিভেটেড’ রাস্তা হবে। এলিভেটেড রাস্তা হলে সেটা সহজে নষ্ট হয় না, বন্যার মত দুর্যোগে যাতায়াতেরও সুবিধা হয়।শেখ হাসিনা বলেন, আমি আগে থেকেই আমার কার্যালয়ে বন্যার বিষয়ে প্রস্তুতির জন্য বলে রেখেছিলাম। প্রায় এক-দেড় মাস আগে থেকেই সবাইকে বলতাম, এবার খুব বড় একটা বন্যা আসবে, প্রস্তুতি নেতে। প্রাকৃতিক একটা পরিস্থিতি দেখে আন্দাজ করা যায়। সেটা দেখেই আমি সবসময় বলছি এবার বড় বন্যা আসবে। এসময় ৯৮ এবং ৮৮ সালের দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। ১০ বছর ১২ বছরের মধ্যে এমন বন্যা আসে। এখন রাস্তাঘাট অনেক উন্নত হয়ে গেছে। তিনি বলেন, খাদ্যমন্ত্রীকে আগেই বলেছিলাম, এবার কিন্তু বন্যা আসবে। বন্যায় খাদ্যগুদামে পানি ঢুকতে পারে। সেজন্য পানি সেচের ব্যবস্থা রাখতে হবে, পাম্প রাখতে হবে। বিশেষ করে খাদ্যগুদাম এবং সার রক্ষা করতে হবে। আবার খাদ্যগুদাম থেকে খাদ্য যাবে বের করা যায়। এগুলো আমাদের সব সময় করে রাখতে হবে।এবারের বন্যা অনেক দেরিতে এসেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯৮ সালের সেই দীর্ঘস্থায়ী বন্যার পর...। বন্যা এলে পরপর আসে। ৫৫ ও ৫৬ সালে দীর্ঘস্থায়ী বন্যার পর...। এবার সিলেট বিভাগে পরপর তিনবার বন্যা হয়েছে। এটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি। প্রতিবার নতুন নুতুন জায়গায় প্লাবিত হয়েছে। আমাদের যে ফসল বা যা কিছু ক্ষতি হয়েছে... আমরা গতকালকেও মিটিংয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।এসময় বৃষ্টি পানি ধরে রাখার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্যার সময় নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, এর আগে নৌকায় করে আমাকে বিভিন্ন জনসভায় যেতে হয়েছে। কানাইঘাট, শাল্লা নৌকা করে গেছি। সে সব অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাহেরপুরে তো জনসভা মঞ্চেই পানি হয়ে গিয়েছিল। নৌকায় করে গিয়ে মিটিং করেছিলাম।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২১ জুন ২০২২
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমরা কোনো বিপর্যয় দেখিনি। সোমবার (২০ জুন) বেলা ১১টায় কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন পরবর্তী সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।এসময় নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশিদা সুলতানা, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খান, মো. আলমগীর, হুমায়ুন কবীর খোন্দকার উপস্থিত ছিলেন।কুমিল্লার ভোটের ফলাফল ঘোষণার সময় বিশৃঙ্খলা চাঁদের কলঙ্ক হয়ে গেল কি না— একজন গণমাধ্যমকর্মীর এমন মতামত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা রাত ৮টা পর্যন্ত নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছি, কোনো বিপর্যয় দেখিনি। সিসিটিভির মাধ্যমে আমরা কিন্তু সার্বিক পরিস্থিতি দেখছিলাম। কিন্তু একটা টেলিফোনে ফলাফল পাল্টে গেল— এমন একটি কথা শোনা যাচ্ছে। শেষ মুহূর্তে একটা ফোনে বক্তব্য পাল্টে যায়, এটা একেবারে অসম্ভব। একটা বা দুইটা টেলিফোন আমি নিজেও করেছিলাম। আমাদের রিটার্নিং অফিসার আমাকে খুব বিপর্যস্ত অবস্থায় ফোন করে বললেন, ‘আমি বিপদে পড়েছি’। আমি সেখানে প্রচণ্ড শব্দ শুনতে পাচ্ছিলাম। আমি ভাবলাম তাকে মারধর করা হচ্ছে।’‘আমি এরপর ডিসি-এসপিকে ফোন করেছিলাম। তারা তখন জানালেন তাৎক্ষণিক বিষয়টি দেখছেন। এরপর রিটার্নিং অফিসারকে বললাম, সমস্যা হবে না। পরে তিনি জানালেন পুলিশ এসেছে মানুষকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। উচ্ছৃঙ্খল ঘটনাটা মাত্র ১৫ মিনিট ছিল। কোনোভাবেই ২০ মিনিটের বেশি দীর্ঘ হয়নি। এরপর তিনি স্বাচ্ছন্দ্যে ফলাফল ঘোষণা করলেন, সেটি আমরা দেখেছি।’সিইসি বলেন, ‘একটা ফোনে পাল্টে গেল— এটা একজন বলার পর হাজার মানুষ বলল। এটা আমাদের দেশের কালচার, এটা গুজব। মেশিনের ফল অথবা হাতের রেজাল্ট আমরা ওয়েবসাইটে তুলে দিয়েছি। এমন ঘটনা ঘটেনি।’তিনি বলেন, ‘ফলাফলের সময় মিছিলের বিষয়টি হয়েছে মানুষের আবেগ উচ্ছ্বাসের কারণে। এটা আমাদের কাছে অনাকাঙ্ক্ষিত কিন্তু তাদের কাছে কাঙ্ক্ষিত। তারা উচ্ছ্বাসের কারণেই এটা করেছেন। আর রিটার্নিং কর্মকর্তা ফলাফল ঘোষণার সময় টয়লেটে গেছেন বলে যেটি বলা হচ্ছে, তিনি ন্যাচারাল কলিং হলে যেতেই পারেন। এটাকে বড় করে দেখার কিছু নেই। আমি শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়ে বলছি, আপনারাও খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন পাঁচ মিনিটে ফল পাল্টানো সম্ভব না।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ জুন ২০২২
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেছেন, পদ্মা সেতুটি বন্যার এই প্রেক্ষাপটে সহজ যোগাযোগে জাতির জন্য একটি আশীর্বাদ হবে, কারণ সরকার এটি ২৫ জুন উদ্বোধন করতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ২৫ জুন পদ্মা সেতু আমরা উদ্বোধন করবো ইনশাআল্লাহ! এই উদ্বোধনের পরে এটাও আল্লাহর একটা আশীর্বাদ হবে। কেননা দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগটা আমরা অব্যাহত রাখতে পারবো।রোববার প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ের (পিএমও) শাপলা হলে আন্তর্জাতিক ক্রীড়াক্ষেত্রে দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনা ক্রীড়াবিদদের মাঝে সম্মাননার চেক বিতরণকালে এসব কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী আগামী ২৫ জুন বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু উদ্বোধনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আমি মনে করি, পদ্মা সেতু এমন একটা সময় উদ্বোধন করতে যাচ্ছি সে সময় বন্যা শুরু হয়ে গেছে এবং এই বন্যা কিন্তু দক্ষিণাঞ্চলেও যাবে।তিনি বলেন, সে সময় পণ্য পরিবহন, বন্যা মোকাবিলা, বন্যার সময় মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের সহযোগিতার একটা বিরাট সুযোগ আমাদের আসবে। বন্যার্তদের রিলিফ দেওয়া থেকে ওষুধ সরবরাহ এবং খাদ্য সরবরাহের বিষয়টি আরও সহজতর হবে।‘৮৮ সালের বন্যায় গোপালগঞ্জে আটকা পড়ার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, তখন এ রকম পদ্মা সেতু থাকলে সহজেই চলে আসা সম্ভব হতো। ’৯৮ সালে বাংলাদেশের সব থেকে ভয়াবহ এবং দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ঠিক সেই বন্যার আগেই আমরা যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু উদ্বোধন করেছিলাম। সেটা করেছিলাম বলেই উত্তরবঙ্গ থেকে পণ্য পরিবহনসহ সব কাজের সুবিধা হয়।’সরকারপ্রধান বলেন, বন্যায় নদীগুলো আরও ভয়ংকর হয়ে উঠলে প্লাবিত দক্ষিণাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় তার সরকার উত্তরাঞ্চল থেকে সুবিধাটা পায়। ফলে বন্যা সফলভাবে মোকাবিলা সম্ভব হয়।ওই সময় বিবিসি, বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রচার ছিল- সে বন্যায় প্রায় দুই কোটি লোক না খেতে পেয়ে মারা যাবে। কিন্তু তার সরকার বলেছিল, ‘একজন মানুষকেও তার সরকার না খেয়ে মরতে দেবে না’ এবং সেটা সম্ভব হয়েছিল। এই কাজে সেই সেতুটা তখন বিরাট কাজে এসেছিল- বলেন তিনি।খেলাধুলাকে এগিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে দেশে বিশ্বমানের ক্রীড়াবিদ তৈরিতে তার সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বন্যাও আমরা মোকাবিলা করবো এবং খেলাধুলাও আমাদের চলবে, সবই আমাদের চলবে। এটাই আমাদের জীবন এটাকেই মেনে নিতে হবে।এটাই বাস্তব এবং বাস্তবতার সঙ্গে তাল মিলিয়েই আমাদের চলতে হবে এবং বিশ্ব সভায় আমরা মাথা উঁচু করেই চলবো- উল্লেখ করেন তিনি। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাফ-২০২১ চ্যাম্পিয়ন নারী অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় ফুটবল দলের ৩৩ জন সদস্যসহ মোট ৮৮ জন ক্রীড়াবিদকে আর্থিক সম্মাননা দেওয়া হয়।অন্য ৫৫ জন খেলোয়াড়ের মধ্যে মুজিববর্ষ ফিফা আন্তর্জাতিক ফুটবল সিরিজ ২০২০-এর ৩৩ জন এবং বঙ্গবন্ধু-৪ জাতি ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২২-এর বিজয়ী ২২ জন খেলোয়াড় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।অনুষ্ঠানে সাফ-২০২১ চ্যাম্পিয়ন নারী অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় ফুটবল দলের ক্যাপ্টেন মারিয়া মান্দা, খেলোয়াড় মনিকা চাকমা এবং প্রধান প্রশিক্ষক গোলাম রব্বানী ছোটন, বাংলাদেশ শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ক্রিকেট দলের ক্যাপ্টেন ফয়সাল খান এবং বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ক্যাপ্টেন জামাল ভূঁইয়ার হাতে আর্থিক সম্মানীর চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।অনুষ্ঠানের শুরুতে তিন শ্রেণির ক্রীড়া দলের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি (বাফুফে) কাজী মো. সালাহউদ্দিন, নারী অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক মারিয়া মান্দা এবং বাংলাদেশ শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ফয়সাল খান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। স্বাগত বক্তব্য দেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ জুন ২০২২
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে আমন্ত্রণ পাচ্ছেন তিন হাজার সুধীজন। এ তালিকায় রয়েছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, দাতা সংস্থার প্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, নির্মাণ সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, দেশের খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিকরা। সোমবার (২০ জুন) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণপত্র বিতরণের কাজ শুরু করবে সেতু বিভাগ।রোববার (১৯ জুন) সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শেখ ওয়ালিদ ফয়েজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমন্ত্রণপত্র আজকে হয়তো পুরোপুরি প্রস্তুত হবে। আগামীকাল (সোমবার) থেকে বিতরণ শুরু করা হবে। মাওয়া প্রান্তে সুধী সমাবেশে আমন্ত্রণ পাবেন তিন হাজার সুধীজন। জাজিরা প্রান্তে জনসভা হবে। সেটা সবার জন্য উন্মুক্ত।জানা গেছে, এরই মধ্যে পদ্মা বহুমুখী সেতুর সড়কপথের সব কাজ সম্পন্ন। শুধুমাত্র রেলিংয়ের কিছু কাজ চলছে। সেটাও উদ্বোধনের আগেই শেষ হয়ে যাবে।আগামী ২৫ জুন সকাল ১০টায় মাওয়া প্রান্তে সুধী সমাবেশ করে পদ্মা সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন নামফলক উন্মোচন করে টোল দিয়ে পদ্মা সেতু পার হবেন তিনি।এরপরে অন্যপ্রান্তেও নামফলক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন বিকেলে মাদারীপুর শিবচরে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ জুন ২০২২
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল সারাদেশে প্রতিদিন রাত ৮টার পর দোকানপাট, শপিংমল, মার্কেট ও বিপণী বিতান বন্ধ রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।বিশ্বব্যাপী অব্যাহত বিদ্যুত ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংরক্ষণের লক্ষ্যে আজ জারি করা এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।জননিরাপত্তা বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, শিল্প মন্ত্রণালয়, কল-কারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, সমস্ত বিভাগীয় কমিশনার, সমস্ত রেঞ্জের মতো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবগণ। পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক, সকল জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ১১৪ ধারা অনুযায়ী কঠোরভাবে আদেশ কার্যকর করার জন্য বলা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ জুন ২০২২
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগ্রহ প্রকাশ বলেছেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের সঙ্গে জড়িত সবার সঙ্গে গ্রুপ ছবি তুলবেন।মঙ্গলবার (১৪ জুন) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভা শেষে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান।প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা তুলে ধরে শামসুল আলম বলেন, পদ্মা সেতুর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শ্রমিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সবার সঙ্গে ছবি তুলবেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত যন্ত্র-যন্ত্রাংশ দিয়ে ভাঙ্গা অংশে একটি জাদুঘর নির্মাণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামীতে হাওর অঞ্চলের সব সড়ক এলিভেটেড বা উড়াল সড়ক নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। হাওরের সড়কে ছোট কালভার্ট নির্মাণ না করে বড় ব্রিজ করারও নির্দেশনা দিয়েছেন।তিনি বলেন, হাওর এলাকায় ভবিষ্যতে যে সড়ক হবে সেগুলো উড়াল সড়ক করা হবে। পানি প্রবাহ ঠিক রাখতে কালভার্টের পরিবর্তে ব্রিজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একনেকের সভায় ১০ হাজার ৮৫৫ কোটি ৬০ লাখ ব্যয়ে ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৫ হাজার ১৪২ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ জুন ২০২২
আগামী ২৫ জুন বহুল কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন সেতুর দুই পারে জনসংযোগ করবেন তিনি।এ উপলক্ষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “আমার মনে হয়, স্মরণকালের বৃহত্তম জনসভা হবে, যে জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।”তিনি আরও বলেন, “আজকে এ পদ্মা সেতু যার স্বপ্ন, এই পদ্মা সেতু যার কমিটমেন্ট, এই পদ্মা সেতুর জন্য যিনি পারিবারিকভাবে অপমানিত হয়েছেন, তার সেই স্বপ্নের পদ্মা সেতু। বাঙালির সক্ষমতার পদ্মা সেতু এবং অপমানের প্রতিশোধের এই পদ্মা সেতু।”রবিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।ওবায়দুল কাদের সোয়া ৭টার দিকে মাদারীপুরের শিবচরের কাঁঠালবাড়ির ইউনিয়নের বাংলাবাজার ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ফেরিঘাট এলাকায় পৌঁছেন। মন্ত্রীর গাড়িবহর নিয়ে মুন্সীগঞ্জ প্রান্ত থেকে পদ্মা সেতু কাজের অগ্রগতি দেখতে দেখতে মাদারীপুর যান তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ ও মাদারীপুর-১ (শিবচর) আসনের এমপি নুর-ই-আলম চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জনসভার সমন্বয়ক মির্জা আজম এমপি, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, ইকবাল হোসেন অপু এমপি, মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, মাদারীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরী, পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেলসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা। সেতুমন্ত্রী এ সময় বলেন, “বঙ্গবন্ধুকন্যা এপারে (মাদারীপুর) ভাষণ দেবেন এবং ওপারে (মুন্সিগঞ্জ) সুধী সমাবেশ করবেন। আপনারা সবাই ওই দিন বেলা ১১টার মধ্যে প্রস্তুত থাকবেন।”
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ জুন ২০২২