জাতীয়


চলছে বিএনপির সকাল-সন্ধ্যা হরতাল, গুলিস্তান জিপিওর সামনে বাসে আগুন

চলছে বিএনপির সকাল-সন্ধ্যা হরতাল, গুলিস্তান জিপিওর সামনে বাসে আগুন

রাজধানীর গুলিস্তান জিপিওর সামনে একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আগুনের সংবাদ পেয়ে দুটি ইউনিট পাঠিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার লিমা খানম জানান, আমরা মাত্র আগুনের খবর পেয়েছি। খবর পাওয়া মাত্র দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।এদিকে, বিএনপির সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় হরতাল শুরু হয়েছে।প্রথমে সোমবার ভোর ৬টা থেকে হরতাল ডেকেছিল বিএনপি। পরে কুয়েতের আমির শেখ নাওয়াফ আল আহমদ আল সাবাহ-এর মৃত্যুর কারণে দেশে একদিনের (সোমবার) রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করায় হরতাল একদিন পিছিয়ে মঙ্গলবার পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়।গত রোববার দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বিদেশে পাঠিয়ে উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করা, মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির কয়েক হাজার নেতাকর্মীর মুক্তি এবং সরকারের পদত্যাগের দাবিতে চলমান যে আন্দোলন তারই ধারাবাহিকতায় ১৮ ডিসেম্বর (পরে ১৯ ডিসেম্বর নির্ধারণ) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হরতাল ঘোষণা করছি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩


১৩ দিনের জন্য ভোটের মাঠে নামছে সশস্ত্র বাহিনী

১৩ দিনের জন্য ভোটের মাঠে নামছে সশস্ত্র বাহিনী

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ১৩ দিনের জন্য ভোটের মাঠে নামছে সশস্ত্র বাহিনী। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) ইসির উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।চিঠিতে ইসি জানায়, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠান করার নিমিত্তে নির্বাচন কমিশন সম্ভব সকল আইনানুগ ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার জন্য সার্বিক প্রস্তুতিও গ্রহণ করা হয়েছে। ভোটগ্রহণের পূর্বে, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরে শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার নিমিত্ত ইন এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ারের আওতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সমগ্র বাংলাদেশের ৩০০টি নির্বাচনী এলাকায় ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ হতে ১০ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত (যাতায়াত সময়সহ) সশস্ত্র বাহিনী নিয়োজিত হবে মর্মে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনের কয়েকদিন পূর্ব থেকে নির্বাচনী এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা, ভৌত অবকাঠামো এবং নির্বাচনী পরিবেশ পরিস্থিতির ওপর প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করার নিমিত্তে প্রতি জেলায় সশস্ত্র বাহিনীর ছোট আকারের একটি করে অগ্রবর্তী টিম পাঠানো যেতে পারে।ইসি জানায়, ফৌজদারি কার্যবিধি ও অন্যান্য আইনে বিধান অনুসারে এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় হতে জারিকৃত ইন্সট্রাকশন রিগার্ডিং এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ারের ৭ম ও ১০ম অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী সশস্ত্র বাহিনী পরিচালিত হবে। মোতায়েনকৃত সশস্ত্র বাহিনী নির্বাচনী কাজে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের পরামর্শে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী বেসামরিক প্রশাসনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় (ক) সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ প্রতিটি জেলা/উপজেলা/মেট্রোপলিটন এলাকার নোডাল পয়েন্ট এবং সুবিধাজনক স্থানে নিয়োজিত থাকবে; (খ) রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে সমন্বয় করে উপজেলা/থানায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণকে মোতায়েন করা হবে, (গ) সশস্ত্র বাহিনীর টিমের সঙ্গে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত করা হবে এবং আইন, বিধি ও পদ্ধতিগতভাবে কার্যক্রম গৃহীত হবে; (ঘ) সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের নির্দেশনা অনুসারে এলাকাভিত্তিক ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান চূড়ান্ত করা হবে; (ঙ) ভোটগ্রহণের দিন, তার আগে ও পরে কার্যক্রম গ্রহণ ও মোতায়েনের সময়কালসহ বিস্তারিত পরিকল্পনা অবহিত করতে হবে; (চ) বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার এর অনুরোধক্রমে চাহিদামত আইনানুগ অন্যান্য কার্যক্রমে সহায়তা করতে হবে।এ বিষয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত নির্দেশনা জারি করা হবে। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ করা হলো।উল্লেখ্য, রোববার (১৭ ডিসেম্বর) বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সেনা মোতায়েনে ইসির আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। রাষ্ট্রপতি এতে সম্মতি দেন।এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার জানিয়েছিলেন, রাষ্ট্রপতি অনুমতি দিলে আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৩ দিনের জন্য সেনাবাহিনী ভোটের মাঠে দায়িত্ব পালন করবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩


দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ শুরু

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ শুরু

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে আজ সোমবার শুরু হচ্ছে নির্বাচনী প্রচারণা।সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে সারাদেশের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়গুলোতে একযোগে এই কার্যক্রম শুরু হয়। নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং কর্মকর্তারা এই প্রতীক বরাদ্দ দিচ্ছেন।নির্বাচন কমিশন (ইসি) গত ১৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা করে। তফসিল অনুযায়ী, ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত প্রচারণা চালানো যাবে। ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।যাচাই-বাছাই ও আপিল নিষ্পত্তি শেষে গতকাল রোববার ইসি জানায়, ২৭ রাজনৈতিক দলের মোট ১ হাজার ৮৯৬ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন। প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার আগের দিন গতকাল আওয়ামী লীগ ও তার শরীক দলগুলো এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী নির্ধারণ শেষ হয়।ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ শরিক ১৪ দলকে ৬টি, জাতীয় পার্টিকে ২৬ আসনে ছাড় দিয়ে ২৬৩ আসনে প্রার্থী দিয়েছে।আওয়ামী লীগ ও শরিক দলের প্রার্থীরা নৌকা এবং জাতীয় পার্টি লাঙল প্রতীকে নির্বাচন করবেন।ইতোমধ্যে প্রার্থীরা প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন। গতকাল রাত থেকেই বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের নৌকার পোস্টার টাঙাতে দেখা গেছে। তবে, নির্ধারিত তারিখের আগে বিভিন্ন নির্বাচনী সভার আয়োজন করায়, আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রার্থীদের শোকজ ও তলব করেছে ইসি।এবারের নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর, যাচাই-বাছাই ১-৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ও শুনানি ৬-১৫ ডিসেম্বর।মোট ২ হাজার ৭১৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ৭৪৭ জন ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩


শীঘ্রই নতুন পেঁয়াজ সয়লাব হয়ে যাবে বাজার

শীঘ্রই নতুন পেঁয়াজ সয়লাব হয়ে যাবে বাজার

পেঁয়াজের ঘাটতি ও চড়া দামের এই সময়ে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের ভালো ফলনের খবর দিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের চাষিরা। এ বছর জেলার সাড়ে চার হাজার কৃষক কৃষি বিভাগের প্রণোদনায় সাড় চার হাজার বিঘা জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের আবাদ করেছেন। ভালো ফলন ও ভালো দাম পেয়ে তাঁরা দারুণ খুশি।গতকাল রোববার সকালে সদর উপজেলার রানীহাটি ইউনিয়নের রানীহাটি গ্রামে গিয়ে কথা হয় পেঁয়াজচাষি সায়েম আলী, কামাল আলী, মো. মোমিন, রুবেল আলী ও তরিকুল ইসলামের সঙ্গে। প্রায় পাশাপাশি জমি তাঁদের। এরই মধ্যে কেউ কেউ জমি থেকে পেঁয়াজ তুলে ফেলেছেন। কেউ পেঁয়াজ তুলছেন। এই কৃষকেরা জানান, এক বিঘা করে জমিতে চাষের জন্য কৃষি বিভাগ থেকে তাঁরা প্রণোদনা হিসেবে পেয়েছেন ভারতীয় এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজের বীজ, সার-কীটনাশক ও ২ হাজার ৮০০ টাকা। কয়েক বছর ধরেই পেঁয়াজের চাষ করলেও এবার ফলন বেশি হয়েছে বলে জানালেন তাঁরা।তরিকুল ইসলাম বলেন, গত ১০ থেকে ১২ দিনে তিনি খেতের সব পেঁয়াজ ঘরে তুলেছেন। বিক্রিও করছেন। এক বিঘায় ফলন হয়েছে প্রায় ১০০ মণ। শুরুতে ৩ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি করেছেন। তবে গত শনিবার তাঁর বাড়ি থেকেই এক পাইকার ৫ মণ পেঁয়াজ কিনে নিয়ে গেছেন ৬ হাজার টাকা মণ দরে।'বেশির ভাগ কৃষকেরই ভালো ফলন হয়েছে। এটা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। তাঁরা ভালোই লাভের মুখ দেখবেন। এ পেঁয়াজ বাজারে আসার পর দামও কমবে,' বলেন পলাশ সরকার, উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ। সায়েম আলী জানান, তিনি অল্প কিছু পেঁয়াজ তুলেছেন। পেঁয়াজের আকারও হয়েছে বেশ বড়। একেকটি ওজন ২০০ থেকে ৩০০ গ্রাম। এক বিঘায় ফলন ১১০ থেকে ১২০ মণ হবে বলে আশা করছেন তিনি। কমপক্ষে সাড়ে ৪ লাখ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারবেন বলে ধারণা করছেন সায়েম আলী। এ দামে বিক্রি করতে পারলে তাঁর লাভ হবে প্রায় ৪ লাখ টাকা। তবে এ লাভ এখনকার বাড়তি দামের জন্য হবে বলে জানান তিনি।রানীহাটি এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জোহরুল ইসলাম বলেন, রানীহাটি মৌজায় ১৮ জন কৃষককে প্রণোদনা দিয়ে ১৮ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করানো হয়েছে। সবার জমিতেই ভালো ফলন হয়েছে। বিঘাপ্রতি ১০৫ থেকে ১২০ মণ ফলন হবে বলে আশা করা যায়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপপরিচালক পলাশ সরকার বলেন, জেলায় তিন দফায় সাড়ে চার হাজার কৃষককে প্রণোদনা দিয়ে সাড়ে চার হাজার বিঘা জমিতে ভারতীয় এন-৫ জাতের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের চাষ করানো হয়েছে। বেশির ভাগ কৃষকেরই ভালো ফলন হয়েছে। এটা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। তাঁরা ভালোই লাভের মুখ দেখবেন। এ পেঁয়াজ বাজারে আসার পর দামও কমবে।চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার বরেন্দ্র অঞ্চলের মাটিতে পেঁয়াজের আকার একটু ছোট হওয়ায় বিঘাপ্রতি ফলন হয়েছে ৮০ থেকে ৯০ মণ। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সালেহ আকরাম প্রথম আলোকে বলেন, এই ফলনও কম কিছু নয়। এখানকার চাষিরা এখন সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা মণ দরে পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারছেন। হাসি ফুটেছে তাঁদের মুখে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১১ ডিসেম্বর ২০২৩


আলফা নারীরা কেন পুরুষদের এত পছন্দ ?

আলফা নারীরা কেন পুরুষদের এত পছন্দ ?

আপনার সমবয়সী বান্ধবী হয়তো ভালো একটা বিয়ের জন্য কোনোভাবে পড়াশোনাটা শেষ করেছেন বা পড়াশোনা শেষ করেই কেবল আর্থিক দায় থেকে চাকরি নিয়ে বিয়ে করে সন্তান, সংসার সামলাচ্ছেন। আর আপনি তাঁদের একজন হয়েও এসবের ভেতরে ভরসাম্য করছেন। অথবা ভারসাম্য করে বা না করে কেবল পেশাজীবনকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। লোকের পাঁচ কথা উপেক্ষা করে নারী হয়েও আত্মবিশ্বাস, স্বাধীনতাকে জীবনে অগ্রাধিকার দিয়ে নিজের সফলতার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তবে আপনি একজন আলফা নারী। আলফা নারীরা উচ্চাকাঙ্ক্ষী, আত্মনির্ভরশীল, যুক্তিবাদী। নিজের ক্ষমতা–সীমাবদ্ধতা আর তিনি কী চান—এই দুই বিষয়ে স্পষ্ট জ্ঞান রাখেন। যেকোনো পরিস্থিতিতে সহজে মানিয়ে নেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক, কীভাবে চিনবেন আলফা নারী।সবসময় কোনো না কোনো লক্ষ্য কেন্দ্র করে জীবন যাপন করেনআপনার জীবনের একটি নির্দিষ্ট মুখ্য উদ্দেশ্য রয়েছে, যা অর্জনের জন্য আপনি ক্রমাগত চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আপনার সবকিছুই সেই উদ্দেশ্যকে ঘিরে। হতে পারে সেটা আপনার চাকরি, সম্পর্ক, সন্তান, সামাজিকতা অথবা পদাধিকার বা অন্য যেকোনো লক্ষ্য। আপনি সহজেই হাল ছেড়ে দেন না কিংবা কোনো ব্যর্থতা আপনাকে দমিয়ে রাখতে পারে না। বরং ব্যর্থতা আপনাকে নতুন শুরুর শক্তি যোগায়। সেসব ক্ষেত্রে আপনি ঝুঁকি নিতে ভয় পান না, সব চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন হাসিমুখে। যেকোনো পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে, পরিবর্তনে ভয় না পাওয়ার সাহসও আপনি রাখেন। আপনার সাহস অদম্য!উচ্চ মানসিক বুদ্ধিমত্তাসম্পন্নআপনি আপনার আবেগকে চিনতে, বুঝতে, নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। জানেন যে কোথায় কতটুকু আবেগ প্রকাশ করা যায়, কিংবা কখন আবেগকে প্রশ্রয় দিতে নেই। খুব সহজে মানুষ চিনতে পারেন এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিজের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সহজেই অন্যদের প্রভাবিত করতে পারেন।মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে আপনিযখন আপনি কোনো একটি অনুষ্ঠান বা দলে থাকবেন, তখন আপনার আত্মবিশ্বাস ও নেতৃত্বের গুণাবলির কারণে সবাই আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাইবে, মতামত জানতে চাইবে। আপনি আপনার দলের মতমোড়ল (অপিনিয়ন লিডার)। গবেষকেরা দেখেছেন যে আলফা নারীদের প্রায়ই পরামর্শদাতার অবস্থানে রাখা হয়। নন-আলফারা দল ছেড়ে চলে গেলে তেমন কিছুই আসে–যায় না। তবে যখন একজন আলফা নারী দল ছেড়ে যান, তখন অদ্ভুত কিছু ঘটতে দেখা গেছে। হয় মতবিনিময় সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়, কিংবা দলের অন্যরা একজন নতুন আলফার প্রত্যাশায় চারপাশে তাকান, অথবা সবচেয়ে বেশি যেটা হয়—দলটি ভেঙে যায়!বহির্মুখী ও অন্তর্মুখী স্বভাবের মাঝামাঝি থেকে সম্প্রীতি ছড়ানদলের মধ্যমণি হয়ে সবার সঙ্গে বন্ধুসুলভ আচরণ, আড্ডা যেমন দিতে পারেন, তেমনি বন্ধুদের সমস্যায় সবার আগে এগিয়ে আসেন, মানুষকে ভালোবাসেন। আবার একা থাকতেও পছন্দ করেন। একা সময়ে নিজেকে ‘রিচার্জ’ করে নেন। নিজের যত্ন নেন, বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা করেন, সবকিছুর ভারসাম্য করতে শেখেন।নেতৃত্বের উচ্চাকাঙ্ক্ষাআলফা নারীদের উপস্থিতি সবাই পছন্দ করে, তাঁদের পরামর্শ শোনে। তবে আলফা নারীরা বিষয়টি উপভোগ করেন, অন্যকে ভালো কাজে প্রভাবিত করেন, অনুপ্রেরণা দেন। খুব অল্প বয়স থেকেই ছোট ছোট কাজের মাধ্যমে ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের বেশি ভাগাভাগি, সহযোগিতা, মানুষ চিনতে পারার গুণ শেখানো হয়। তাই মেয়েরা অন্যদের আবেগ পড়তে পারেন, একটি দলের অন্যদের আবেগ-চিন্তা ধরতে পারেন। আলফা নারীরা নেতৃত্বের ক্ষেত্রে এই গুণ সহজেই কাজে লাগান।নতুন কিছু জানা ও শেখার প্রতি প্রবল আগ্রহআলফা নারীরা নতুন নতুন বিষয় শিখতে, বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা করতে পছন্দ করেন। তাঁরা সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেন, অভিজ্ঞতা থেকে শেখেন, নতুন কিছু শেখার নেশায় আশপাশে তাকান, পর্যবেক্ষণ করেন।পৃথিবীতে আপনার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিটা হলেন মাআলফা নারীদের তাঁদের মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক অনেক শক্তিশালী। যখন কোনো নারী তাঁর পরিবারে ছোট থেকে একজন শক্তিশালী মা ও দৃঢ় পারিবারিক ভিত্তির সাহচর্যে থাকেন, তখন তাঁরাও ছোট থেকে জীবনে কিছু করার, ঘরের বাইরের দুনিয়া দেখার সাহস নিয়ে বেড়ে ওঠেন।সায়েন্স অব পিপল অনুসারে, আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় অনেক পুরুষই আলফা নারীদের ‘ভীতিকর’, ‘লাউড’, ‘দৃষ্টিকটু’, ‘দলবাজ’—এসব ট্যাগ দেন। কেননা, অবচেতনে তাঁরা এই নারীদের নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবেন। এই নারীদের কারণে তাঁদের ক্ষমতাচর্চার সীমা কমে আসবে বলে আশঙ্কায় থাকেন। এই ক্ষমতাচর্চার লড়াইয়ে নারীরা যোগ্য দাবিদার হিসেবে অনেক বাধা ঠেলে নিজেদের উপস্থাপন করেন। তবে আলফা নারীরা কিন্তু এই পুরুষদের নিয়ে ভাবেন না। তাঁদের ভাবনাজুড়ে থাকে তাঁদের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, আপনজন, মা, জীবনসঙ্গী, সন্তান, বন্ধু, সমাজ আর সুস্থ ও যৌক্তিক ক্ষমতাচর্চা। তবে ম্যারেজ ডটকমের সমীক্ষা বলছে, আলফা নারীর জন্য আলফা পুরুষেরাই সেরা জীবনসঙ্গী!লেখা: সুমাইয়া অনন্যা, সূত্র- প্রথম আলো

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩


এবারও আমরা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন পাচ্ছি না: টিআইবি

এবারও আমরা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন পাচ্ছি না: টিআইবি

এবারও জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হওয়ার মতো কিছু পাওয়া যাচ্ছে না বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে ‘গণতন্ত্র, সুশাসন ও শুদ্ধাচার চর্চার রাজনৈতিক অঙ্গীকার: টিআইবির সুপারিশমালা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার আগে ও পরে পরিমাপকগুলোর ওপর ভিত্তি করে আমরা যে পর্যবেক্ষণ করেছি, তাতে মোটামুটি ধারণা বদ্ধমূল হয়েছে যে, সত্যিকার অর্থে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলতে যা বোঝায়, সেটি আমরা এবারও পাচ্ছি না। এটি আমাদের উদ্বেগের বড় কারণ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ নভেম্বর ২০২৩


আয়কর রিটার্ন জমার সময় ২ মাস বেড়েছে

আয়কর রিটার্ন জমার সময় ২ মাস বেড়েছে

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের কারণে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময়সীমা দুই মাস বাড়ানো হয়েছে।রিটার্ন দেওয়ার নির্ধারিত সময় আগামীকাল ৩০ নভেম্বর শেষ হলেও ব্যক্তি পর্যায়ে এই সময়সীমা দুই মাস বাড়িয়ে আগামী ৩১ জানুয়ারি করা হয়েছে।সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, রিটার্ন জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়িয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।সরকারি ৪০ সেবা পেতে রিটার্ন দাখিলের সঙ্গে দিতে হতে পারে ন্যূনতম আয়কর

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ নভেম্বর ২০২৩


অর্থনীতি বাঁচাতে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে: সিইসি

অর্থনীতি বাঁচাতে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, দেশের অর্থনীতি ও ভবিষ্যৎ বাঁচাতে হলে আসন্ন সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে।আজ সোমবার ইলেক্টোরাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) নির্বাচনী তদন্ত কমিটির প্রশিক্ষণের উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক যে কিছু বিদেশি দেশ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের ওপর তাদের থাবা বাড়াচ্ছে।সিইসি বলেন, 'কয়েকটি দেশকে বাদ দিলে বেশিরভাগ দেশই সত্যিকারের সার্বভৌম নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে নির্দেশ দিতে পারে, আমরা সেভাবে করতে পারি না।'তিনি বলেন, 'আমাদের নির্বাচনে কিন্তু বাহির থেকেও থাবা এসে পড়েছে। তারা থাবা বিস্তার করে রেখেছে। আমাদের অর্থনীতি, আমাদের ভবিষ্যৎ, আমাদের অনেককিছুই রক্ষা করতে হলে এই নির্বাচনটাকে ফ্রি, ফেয়ার ও ক্রেডিবল করতে হবে।'তিনি বলেন, 'নির্বাচন নিয়ে দেশ 'সংকটে' রয়েছে। আস্থা নিয়ে সন্দেহ আছে, আমাদের তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। প্রত্যেকেরই দায়িত্বশীলতার সাথে দায়িত্ব পালন করা উচিত।'সিইসি বলেন, সম্প্রতি খুব কষ্ট পেয়েছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং লক্ষ্মীপুরে সিল মারা হয়েছে। আমরা সেখানে প্রতিহত করতে পারিনি। আমাদের প্রশাসন পারেনি। আমাদের নির্বাচন কর্মকর্তারা পারেনি। এটা লজ্জাকর। তবে এই সিল মারাটাও কিন্তু আমাদের নির্বাচনের সংস্কৃতির একটা অংশ হয়ে গেছে। এটা মন্দ সংস্কৃতি। পেশিশক্তি ব্যবহার করা, কালো টাকা ব্যবহার করা এবং এই ধরনের কারচুপি করা দীর্ঘদিন ধরে চর্চার মাধ্যমে একটা অপসংস্কৃতির চর্চা হয়ে গেছে। ক্রমান্বয়ে আমাদের এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমরা নিরন্তর চেষ্টা করছি।'আমরা নির্বাচন কমিশন থেকে প্রতিশ্রুতি দেয়েছি নির্বাচনকে অবাধ, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য করতে নির্বাচন কমিশন যথাসাধ্য চেষ্টা করবে। এজন্য সকলের আন্তরিক ও সাহসি সহায়তা আমাদের লাগবে,' বলে জানান সিইসি।তিনি বলেন, 'আমরা আশা করব আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকলে চোখকান খোলা রেখে, সৎভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন এবং আপনারা যারা ইলেকটোরাল ইনকোয়ারি কমিটিতে কাজ করবেন তাদেরও ব্যাপক দায়িত্ব রয়েছে।'

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ নভেম্বর ২০২৩


সর্বাধিক পঠিত

নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে চলছে সহিংস দমন–পীড়ন :হিউম্যান রাইটস ওয়াচ

নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে চলছে সহিংস দমন–পীড়ন :হিউম্যান রাইটস ওয়াচ

২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ দেশটির বিরোধী নেতা-কর্মী-সমর্থকদের লক্ষ্যবস্তু করছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) গতকাল রোববার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছে।এইচআরডব্লিউর বিবৃতিটি সংগঠনটির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের উচিত নিরপেক্ষভাবে সহিংসতার সব ঘটনা তদন্ত করা। এর মধ্যে এমন সব ঘটনাও আছে, যে ক্ষেত্রে এক পক্ষ অপর পক্ষকে দোষারোপ করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৮ অক্টোবর প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) একটি পূর্বপরিকল্পিত সমাবেশের পর থেকে প্রায় ১০ হাজার বিরোধী নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চলমান সহিংসতায় পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন সাড়ে ৫ হাজারের বেশি মানুষ।এইচআরডব্লিউর এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ গবেষক জুলিয়া ব্লেকনার বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার কূটনৈতিক অংশীদারদের কাছে দাবি করছে, তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্তু একই সঙ্গে দেশটির রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক বিরোধীদের দিয়ে কারাগার ভরছে।জুলিয়া ব্লেকনার আরও বলেন, বাংলাদেশের কূটনৈতিক অংশীদারদের বিষয়টি স্পষ্ট করা উচিত যে সরকারের কর্তৃত্ববাদী দমন–পীড়ন ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে বিপন্ন করবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ নভেম্বর ২০২৩


এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ, জিপিএ-৫ ও পাসের হার কমেছে

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ, জিপিএ-৫ ও পাসের হার কমেছে

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। রোববার (২৬ নভেম্বর) বেলা ১১টায় ওয়েবসাইট ও স্ব-স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফল প্রকাশ করা হয়। এবার পাসের হার ও জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা দুটোই কমেছে।প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, দেশের ১১টি শিক্ষাবোর্ডে গড় পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। গত বছর ২০২২ সালে পরীক্ষায় গড় পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। সেই হিসাবে এবার পাসের হার ৭ দশমিক ৩১ শতাংশ কমেছে।অন্যদিকে, এ বছর ১১টি শিক্ষাবোর্ডে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সাড়ে ১৩ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯২ হাজার ৩৬৫ জন। গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৭৬ হাজার ২৮২ জন। সেই হিসাবে এ বছর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৮৩ হাজার ৯১৭ জন।রোববার (২৬ নভেম্বর) বেলা ১১টায় ওয়েবসাইট ও নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফল প্রকাশ করা হয়। এর আগে সকাল ১০টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও বোর্ড চেয়ারম্যানরা।এদিকে, দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক সংবাদ সম্মেলনে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।গত ১৭ আগস্ট দেশের আটটি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পিছিয়ে যাওয়া চট্টগ্রাম, মাদরাসা ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা শুরু হয় ২৭ আগস্ট।এ বছর ৯টি সাধারণ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ড ১১টি বোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নিতে ফরম পূরণ করেছিলেন ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮৮৭ জন এবং ছাত্রী ৬ লাখ ৭০ হাজার ৪৫৫ জন।এবার পূর্ণ নম্বরের প্রশ্নপত্র ও পূর্ণ সময়ে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে আইসিটি বিষয়ে ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৭৫ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৬ নভেম্বর ২০২৩


আসছে আরেকটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়

আসছে আরেকটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়

চলতি নভেম্বরেই বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছিল। তার প্রভাবে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জেলা ও ভারতের উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলোতে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি। এর প্রভাব না কাটতেই নতুন এক ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তা এলো।ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে চলেছে আরেকটি ঘূর্ণিঝড়, যার নাম মিগজাউম। এর কবলে প্রভাবিত হতে পারে বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের উপকূল।এ বিষয়ে ভারতের আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে সাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। যা আগামী সোমবার আরও কিছুটা গভীর হয়ে অতি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আবহাওয়াবিদ সৌরিশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘রোববার (২৬ নভেম্বর) দক্ষিণ আন্দামান সাগরের কাছে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। যা পশ্চিমবঙ্গ থেকে অনেকটা দূরে অবস্থিত। সেই সম্ভাব্য নিম্নচাপ আরও শক্তি বাড়িয়ে সোমবার (২৭ নভেম্বর) দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপর গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।’দ্য মিন্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মে মাসে মৌসুমি বৃষ্টি সাধারণত সাইক্লোন সংখ্যা বাড়ানোর অনুকূলে কাজ করে। নভেম্বরের মৌসুমি বৃষ্টি পরবর্তী সময়ের আবহাওয়া পরিস্থিতিতেও একই ভূমিকা রাখে। সাধারণত এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর সময়ে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতেও বঙ্গোপসাগরে এ ঝড় সৃষ্টি হওয়ার মতো অবস্থা বিরাজ করছে। যে নিম্নচাপ তৈরি হবে, সেটা কি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে, ওই সম্ভাব্য গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে কি না— সে বিষয়ে ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। তবে মডেল অনুযায়ী, ডিসেম্বরের শুরুতে একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে। যদি শেষ পর্যন্ত ওই সম্ভাব্য নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়, তাহলে সেটির নাম হবে মিগজাউম।বঙ্গোসাগরে চলতি বছর এ ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হলে সেটির নাম হবে মিচাহং, তবে উচ্চারণ করতে হবে মিগজাউম। মিয়ানমার এই নাম প্রস্তাব করেছে। তবে স্থানভেদে ঘূর্ণিঝড়ের এ নাম পরিবর্তন হতে পারে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৩ নভেম্বর ২০২৩


সহিংস পন্থায় শ্রমিক আন্দোলন দমনে নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

সহিংস পন্থায় শ্রমিক আন্দোলন দমনে নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশে সহিংস পন্থায় শ্রমিক আন্দোলন দমনে নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে বাংলাদেশে শ্রমিক ও ট্রেড ইউনিয়নগুলোর বিরুদ্ধে চলমান দমন-পীড়ন নিয়েও যুক্তরাষ্ট্র উদ্বেগ জানিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিং থেকে এ তথ্য জানানো হয়।ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন যেন জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী হয় সে লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলে জানানো হয়।এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে আলাদা করে কোনও রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার (২০ নভেম্বর) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শ্রম অধিকার নীতি ও বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট নিয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শ্রম অধিকার নীতিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন সম্প্রতি উল্লেখ করেছেন, যারা শ্রমিকের অধিকার লঙ্ঘন করবে, হুমকি দেবে বা শ্রমিকদের ভীতি প্রদর্শন করবে তারা প্রয়োজনে নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হতে পারে। তিনি বাংলাদেশের গার্মেন্টস কর্মী নেত্রী কল্পনা আক্তারের সংগ্রামের কথাও উল্লেখ করেন। বাংলাদেশে মজুরি বৃদ্ধি আন্দোলনে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে পাঁচজন গার্মেন্টস শ্রমিক নিহত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র কি কোনও ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে?জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, গত সপ্তাহে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেওয়া বক্তৃতা থেকে বোঝা যায়, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রম অধিকারের সুরক্ষা এবং প্রসারে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে বিশ্বজুড়ে সরকার, শ্রমিক, শ্রমিক সংগঠন, ট্রেড ইউনিয়ন, সুশীল সমাজ এবং প্রাইভেট সেক্টরের সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত রেখেছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় যুক্তরাষ্ট্র তার এই তৎপরতা অব্যাহত রাখবে। আপনার প্রশ্নের জবাবে আমি আবারও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পুরো বিবৃতির বিষয়েই আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করব।বাংলাদেশে শ্রমিকদের বিক্ষোভে প্রাণহানি এবং সহিংসতার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে এই মুখপাত্র আরও বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে সহিসংতা, শ্রমিক এবং ট্রেড ইউনিয়নের বৈধ কার্যক্রমকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করার মতো বিষয়গুলোতে আমরা নিন্দা জানাচ্ছি। শ্রমিক ও ট্রেড ইউনিয়নগুলোর বিরুদ্ধে চলমান দমন-পীড়ন নিয়েও আমরা উদ্বিগ্ন।তিনি আরও বলেন, এক্ষেত্রে আমাদের মূলনীতি হলো- কোনও ধরনের সহিসংতা, প্রতিশোধপরায়ণতা ও ভীতি প্রদর্শন ছাড়াই শ্রমিকরা যাতে স্বাধীনভাবে সাংগঠনিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ এবং মালিকপক্ষের কাছে নিজেদের দাবি তুলে ধরতে পারে সেই অধিকার সরকারকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।এছাড়া বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল জায়গায় এই মৌলিক মানবাধিকারগুলো নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও উল্লেখ করেন মিলার।পরে ওই সাংবাদিক বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, বিরোধী কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের হত্যা, গণগ্রেপ্তার এবং অপহরণসহ বিরোধীদের ওপর ক্র্যাকডাউনের মাধ্যমে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আরেকটি একতরফা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। শাসক দল আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সংলাপের আহ্বানও প্রত্যাখ্যান করেছে। যুক্তরাষ্ট্র যেহেতু বাংলাদেশে এক দলের ওপর অন্য দলকে প্রাধান্য দেয় না, এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে এই একদলীয় স্বৈরাচারী শাসন ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র কী পদক্ষেপ নিচ্ছে?জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, আপনি ঠিকই বলেছেন। আমরা এক দলের ওপর অন্য দলকে প্রাধান্য দেই না। বাংলাদেশিরা নিজেরাই যা চায়, আমরাও তাই চাই। আর তা হচ্ছে: শান্তিপূর্ণভাবে পরিচালিত অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন।তিনি বলেন, সরকার, বিরোধীদল, সুশীল সমাজ এবং অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততা অব্যাহত থাকবে। আমরা সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য তাদেরকে আহ্বান জানাবো যেখানে তারা যেন বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশা পূরণে একসঙ্গে কাজ করে, যাতে করে বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।পরে আরেক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশের তিনটি প্রধান রাজনৈতিক দলের কাছে নিঃশর্ত সংলাপের জন্য চিঠি লিখেছেন। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি নির্বাচন হওয়ার কথা। ত্রিশের বেশি রাজনৈতিক দল ঘোষণা করেছে যে, তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। শুধু বিরোধী দল বিএনপিই বয়কটের ডাক দিয়েছে। ৩০ টিরও বেশি রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে হতে যাওয়া এই নির্বাচনকে কী যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধিত্বশীল এবং অংশগ্রহণমূলক বলে বিবেচনা করবে, নাকি বিএনপির নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত নির্বাচন প্রক্রিয়ার অন্তর্ভুক্তি এবং বৈধতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ বাড়াবে?জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমি আপনার প্রশ্নের প্রশংসা করি। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে আমাকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করা সত্ত্বেও তেমন কিছু করা থেকে আমি বিরত থাকব। আমি আগেই যেমন বলেছি, বাংলাদেশে আমাদের লক্ষ্য বরাবরের মতো একই রয়েছে। আর তা হচ্ছে, অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা যা শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২১ নভেম্বর ২০২৩


সশস্ত্র বাহিনীর বীর শহীদদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

সশস্ত্র বাহিনীর বীর শহীদদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২৩ উপলক্ষে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর শহীদ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।প্রধানমন্ত্রী আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।এ সময় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার পেশ করে।পরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিখা অনির্বাণ প্রাঙ্গণে সংরক্ষিত দর্শনার্থী বইয়ে সই করেন।এর আগে প্রধানমন্ত্রী শিখা অনির্বাণ প্রাঙ্গণে পৌঁছলে ৩ বাহিনীর প্রধানরা তাকে অভ্যর্থনা জানান।পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে যান এবং সেখানে ৩ বাহিনীর প্রধানরা তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আক্রমণ চালায়, যা মুক্তিযুদ্ধে বিজয়কে ত্বরান্বিত করে।দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে প্রতিবছর এই ঐতিহাসিক দিনটি সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালিত হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২১ নভেম্বর ২০২৩


যুক্তরাষ্ট্র স্যাংশনের দেশ - পররাষ্ট্রমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্র স্যাংশনের দেশ - পররাষ্ট্রমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্রকে ‘স্যাংশনের দেশ’ অভিধা দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমরা তো একদিনে আমেরিকা হতে পারব না। আমাদের ইচ্ছে আছে ওনাদের মতো ভালো হওয়ার, কিন্তু আমরা একদিনে হতে পারব না।রোববার (১৯ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।বিশ্বব্যাপী শ্রমিকদের অধিকার ও তাদের মান উন্নয়ন নিয়ে সম্প্রতি একটি নতুন স্মারকপত্র স্বাক্ষর করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। স্মারকপত্র প্রকাশের পর দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন তার বক্তব্যে কল্পনা আক্তার নামে বাংলাদেশের এক গার্মেন্টস শ্রমিক ও নেত্রীর কথা উল্লেখ করে হুঁশিয়ারি দেন। এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সাংবাদিকরা।জবাবে মোমেন বলেন, ওরা স্যাংশনের দেশ। ওরা দিতে পারে। ওরা বড় লোক। কিন্তু আমরা আমাদের মতো কাজ করব। বাস্তবতার নিরিখে আমরা কাজ করব। আমরা তো একদিনে আমেরিকা হতে পারব না। ওনারা (যুক্তরাষ্ট্র) যাদের টাকাটুকা দিয়ে রাখে তারা মনে করে একদিনে বাংলাদেশ আমেরিকা হয়ে যাবে। হঠাৎ করে ওনারা বড় লোকের কথা বললে তাজ্জবের বিষয় মনে হয়।আমেরিকার শ্রমিক ইতিহাস টেনে ড. মোমেন বলেন, আমেরিকার এ অবস্থায় আসতে আড়াইশ বছরের মতো সময় লেগেছে। আমেরিকাতে একসময় শ্রমিকরা ক্রীতদাস ছিল। আব্রাহাম লিংকনের সময় এটা বাদ পড়ে। এটা বাদ পড়ায় আমেরিকায় গৃহযুদ্ধ হয়। ১৯ শতকের শুরুতে আমেরিকায় প্রতিটি শ্রমিক ১৮ ঘণ্টা কাজ করত। ২০ সেন্ট মাত্র মজুরি পেত। সেই ইতিহাস তো আমরা ভুলিনি।আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের তুলনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমেরিকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্পর্কে আমরা জানি। সে দিক থেকে আমাদের শ্রমিকরা আমেরিকার তুলনায় অনেক ভালো আছে। এখন তাদের (যুক্তরাষ্ট্র) জনপ্রতি আয় ৬৫ হাজার ডলার। আর আমার ২ হাজার ৮০০ ডলার। সেই তুলনায় আমার শ্রমিকরা অনেক ভালো আছে। তাদের আমাদের প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানা উচিত।যুক্তরাষ্ট্র থেকে নতুন করে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আসবে কি না— জানতে চাইলে মোমেন বলেন, আমি জানি না। এটা অন্য দেশের এখতিয়ার।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ নভেম্বর ২০২৩


মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, নির্বাচনী যাত্রা শুরু আ.লীগের

মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, নির্বাচনী যাত্রা শুরু আ.লীগের

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-৩ আসনের জন্য দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই প্রথম দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। এর মধ্য দিয়ে দলটির মনোনয়নপত্র বিক্রির কার্যক্রম শুরু হলো। দলটি শুরু করল তাদের নির্বাচনী যাত্রা। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহমুদ আলী খান ও সাধারণ সম্পাদক বি এম শাহাবুদ্দিন আজম নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আজ সকাল ১০টা থেকে দলীয় মনোনয়নপত্র বিক্রির কথা ছিল আওয়ামী লীগের। প্রধানমন্ত্রী দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করছেন।বেলা সোয়া ১১টা থেকে দুপুর পৌনে ১২টা পর্যন্ত সরেজমিন দেখা যায়, মনোনয়নপ্রত্যাশীরা শত শত নেতা–কর্মী সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আসছেন। এরপর দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পর আগত নেতা-কর্মীদের নৌকা প্রতীকের নামে স্লোগান দিতে দেখা গেছে।যদিও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কোনো প্রকার অতিরিক্ত লোকসমাগম ছাড়া প্রার্থী নিজে অথবা প্রার্থীর একজন যোগ্য প্রতিনিধির মাধ্যমে আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে বলা হয়েছিল।এর আগে দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনি (১৮ নভেম্বর) থেকে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) পর্যন্ত (প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা) দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়া যাবে।ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী প্রার্থীদের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সুনির্দিষ্ট বুথ থেকে দলীয় মনোনয়নের জন্য আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে হবে।কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগ এবং তৃতীয় তলায় রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হবে। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় সব বিভাগের মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হবে।আবেদনপত্র সংগ্রহের সময় অবশ্যই প্রার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সঙ্গে আনতে হবে এবং ফটোকপির ওপর মুঠোফোন নম্বর, বর্তমান সাংগঠনিক পরিচয়সহ তিনটি পদ সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।২১ নভেম্বর বিকেল ৪টার মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ নভেম্বর ২০২৩


সংলাপ সম্ভব নয়, ডোনাল্ড লু'র চিঠির জবাবে আ.লীগ

সংলাপ সম্ভব নয়, ডোনাল্ড লু'র চিঠির জবাবে আ.লীগ

ডোনাল্ড লু’য়ের চিঠিতে সংলাপের শর্ত থাকলেও তা সময় স্বল্পতার কারণে সম্ভব নয় বলে প্রতি উত্তরের চিঠিতে জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকায় মার্কিন হাইকমিশন কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের পক্ষে চিঠির জবাব নিয়ে যান দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত।চিঠিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমি আপনার (ডোনাল্ড লু), রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ও ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রতি ১২ নভেম্বরের চিঠির জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত করতে আন্তর্জাতিক বন্ধুদের সাহায্য ও সহায়তার প্রশংসা করছি। দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সমুন্নত রাখতে আমি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে আমাদের দলের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করতে চাই। জনগণের ভোট দেওয়ার অধিকারকে একটি পবিত্র অধিকার বলে মনে করে আওয়ামী লীগ। সেই অধিকার রক্ষায় নিরলস সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের দীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য ত্যাগের ইতিহাস রয়েছে আওয়ামী লীগের।চিঠিতে আরও বলা হয়, নির্বাচন কমিশনকে সত্যিকার অর্থে সংবিধান স্বীকৃত একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের দূরদর্শী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাঠামোগত, আর্থিক, মানবসম্পদ ও আইনি উদ্যোগ নিয়েছেন। এর মধ্যে ছবিযুক্ত ভোটার আইডি কার্ড, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য আইন প্রণয়ন উল্লেখযোগ্য।বিজ্ঞাপনচিঠিতে বলা হয়, আপনারা অবগত আছেন, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। যেখানে মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দীর্ঘ দিন ধরে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নিঃশর্ত সংলাপের দরজা খোলা রেখেছিল। তবে এ ধরনের সংলাপ হয়নি। কারণ এ ধরনের যেকোনো সংলাপের পূর্বশর্ত হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পদত্যাগের বিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) অবিচল ছিল এবং এখনও আছে।বর্তমানে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামী অব্যাহতভাবে জোরপূর্বক রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছে। সরকারের পদত্যাগের দাবিতে অবরোধ এবং অগ্নিসংযোগের মতো কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছে।আগুন সন্ত্রাসের কথা তুলে ধরে চিঠিতে বলা হয়, অবরোধ কার্যকর করার উপায় হিসেবে তারা অগ্নিসংযোগকে বেছে নিয়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে চিঠিতে বলা হয়, ২৮ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত অবরোধের সমর্থনে ১৫৪টি অগ্নিসংযোগ হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ নভেম্বর ২০২৩


মেয়র-চেয়ারম্যান থাকাবস্থায় কেউ সংসদ নির্বাচন করতে পারবে না

মেয়র-চেয়ারম্যান থাকাবস্থায় কেউ সংসদ নির্বাচন করতে পারবে না

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সিটি করপোরেশন, পৌরসভার মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাবস্থায় কেউ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো চেয়ারম্যান ও মেয়ররা সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাইলে পদত্যাগ করে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে।বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশন এ সংক্রান্ত নির্দেশনা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন।ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমানের পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের মেয়র ও চেয়ারম্যানদের প্রার্থী হওয়া: উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভার মেয়রের পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি/স্বায়ত্বশাসিত/ আধা-স্বায়ত্তশাসিত ও সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত অফিস/প্রতিষ্ঠানের বা কর্পোরেশন অথবা সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, কর্তৃপক্ষ এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের মিশনসমূহে চুক্তিভিক্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য পদ্ধতিগতভাবে পদত্যাগ করতে হবে।প্রার্থীদের ভোটার তালিকা সরবরাহের বিষয়ে বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বর্তমানে প্রণীত ছবিসহ ভোটার তালিকা ব্যবহার করতে হবে। ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণের কাজে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ছবিসহ ভোটার তালিকা ব্যবহার করবেন। তবে প্রার্থী বা তার নির্বাচনী এজেন্ট বা পোলিং এজেন্ট ছবি ছাড়া ভোটার তালিকার সিডি ক্রয় করতে পারবেন। এ জন্য জেলা বা উপজেলা পর্যায় থেকে অথবা রিটার্নিং অফিসার বা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের অফিস হতে মনোনয়নপত্র গ্রহণের সময় নির্বাচনী এলাকার আওতাধীন প্রতি ইউনিয়নের জন্য ৫০০ টাকা এবং সিটি কর্পোরেশন বা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড/পৌরসভার প্রতি ওয়ার্ডের জন্য ৫০০ টাকা হারে ট্রেজারি চালান/পে-অর্ডার মাধ্যমে টাকা জমা দিতে হবে।সিইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি (রোববার)।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ নভেম্বর ২০২৩


আগামী ৭ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচন

আগামী ৭ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচন

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল ঘোষণা উপলক্ষ্যে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নির্বাচনের এ তারিখ জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন সিইসি। সেখানে তিনি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। ভাষণে সিইসি সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। এ সময় তিনি সংবিধান ও আইনের আলোকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেন।ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত এবং ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।তফসিল ঘোষণাকালে সিইসি আরও জানান, এবারের সংসদ নির্বাচনে ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ৫৯২ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়েছে।প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এই ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের দলীয় মনোনয়ন প্রয়োজন হবে। কেউ স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করতে চাইলে নির্বাচনী এলাকার মোট ভোটারের এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরযুক্ত প্রত্যয়নপত্র লাগবে। অবশ্য কেউ অতীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করে থাকলে এই বাধ্যবাধকতা থাকবে না।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ নভেম্বর ২০২৩


বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতিতে উদ্বিগ্ন জাতিসংঘ

বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতিতে উদ্বিগ্ন জাতিসংঘ

বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে উল্লেখ করে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল (এইচআরসি)। এছাড়া পরিস্থিতি মোকাবিলায় সংস্থাটির বিশেষজ্ঞরা মানবাধিকার কাউন্সিলের পর্যালোচনাকে গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) এইচআরসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে এই উদ্বেগ জানান বিশেষজ্ঞরা।মানবাধিকার কাউন্সিল বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনা সম্পন্ন করার পর দেওয়া এই বিবৃতিতে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলেন, ন্যায্য মজুরি দাবি করা শ্রমিকদের বিরুদ্ধে কঠোর দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে।একইসঙ্গে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে সরব রাজনৈতিক কর্মী, সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী ও সুশীল সমাজের নেতাদের বিচারিক হয়রানি করা হচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমনকারী আইন সংস্কারে ব্যর্থতা গুরুতর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ যখন ২০২৪ সালের শুরুতে জাতীয় নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন রাজনৈতিক সহিংসতার তীব্র বৃদ্ধি, বিরোধী দলের সিনিয়র নেতাদের গ্রেপ্তার, হাজার হাজার রাজনৈতিক কর্মীকে নির্বিচারে আটক করা, কর্তৃপক্ষের অত্যধিক শক্তি প্রয়োগ এবং আন্দোলনে ব্যাঘাত ঘটাতে ইন্টারনেট বন্ধ করার মতো ঘটনার কারণে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এছাড়া প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা হিসাবে পরিবারের সদস্যদের হয়রানি, ভয় দেখানো এবং বেআইনিভাবে আটক রাখার অভিযোগও সামনে এসেছে।’বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর হুমকি রয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে এইচআরসি। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়েছে, গত কয়েক বছরে গণমাধ্যম ও গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলা, নজরদারি, ভয় দেখানো এবং বিচারিক হয়রানির কারণে সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক স্ব-সেন্সরশিপ হয়েছে।সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী ও সুশীল সমাজের নেতাদের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার বিষয়েও উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল (এইচআরসি)। সংস্থাটির বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ‘বিচার বিভাগকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের এমন ঘটনা বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে খর্ব করে এবং একইসঙ্গে মৌলিক মানবাধিকারকেও ক্ষুণ্ন করে।’বাংলাদেশে বিচারিক হয়রানির উদাহরণ হিসেবে জাতিসংঘের এই কাউন্সিলের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা অনুসন্ধানী সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের মামলার বিষয়েটি সামনে তুলে ধরেছেন। তারা বলছেন, দুই বছর ধরে তদন্ত চালিয়ে, বারবার শুনানি করে এবং দেশের বাইরে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে তার কাজ ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। কিন্তু এরপরও প্রসিকিউশন রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি।এছাড়া গত সেপ্টেম্বরে শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস, মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের আদিলুর রহমান খান ও নাসিরউদ্দিন এলানসহ বিভিন্ন ব্যক্তি হয়রানির শিকার হয়েছেন। তাদের বারবার আদালতে যেতে হয়েছে এবং সাজা হয়েছে। এখনও আইনি লড়াই চালিয়ে যেতে হচ্ছে তাদের। অধিকারকে গত বছর তার নিবন্ধন নবায়ন করা থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ নভেম্বর ২০২৩


‘নির্বাচনে সঙ্গী খুঁজতে এখনো ব্যস্ত আওয়ামী লীগ’

‘নির্বাচনে সঙ্গী খুঁজতে এখনো ব্যস্ত আওয়ামী লীগ’

নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, ‘নির্বাচনে সঙ্গী খুঁজতে এখনো ব্যস্ত আওয়ামী লীগ’।প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিএনপিবিহীন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বেশি বেশি দলকে ভোটের মাঠে নামানোর কৌশল নিয়ে এগোচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তবে তাতে এখনো কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জিত হয়নি।সংবিধান মেনে ও যথাসময়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে অনড় আওয়ামী লীগ। তবে এই নির্বাচনী যাত্রায় আওয়ামী লীগের সঙ্গী ও প্রতিদ্বন্দ্বী কারা হবে, এ বিষয়ে এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারছে না ক্ষমতাসীন দলটি।অথচ বিএনপিবিহীন ভোটে বেশিসংখ্যক দলকে ভোটে আনা এবং তা তফসিল ঘোষণার আগেই চূড়ান্ত করার লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগের।বিএনপি থেকে নেতাদের অনেকে বেরিয়ে এসে নতুন দল গড়বেন, অন্য দলে যোগ দেবেন বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনের ঘোষণা দেবেন—আওয়ামী লীগের এমন প্রত্যাশাও অনেকটা আলোচনার মধ্যেই এখনো সীমাবদ্ধ রয়েছে।বিএনপি ও এর মিত্ররা আগামী নির্বাচন বর্জন করতে পারে—এমনটা আওয়ামী লীগের ভাবনায় অনেক আগে থেকেই ছিল। দলটির সূত্রগুলো বলছে, এ জন্য বিকল্প হিসেবে ভোটে অংশগ্রহণ বাড়াতে ১৪–দলীয় জোট ও মিত্রদের বাইরে অনেক ইসলামি দলের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে আওয়ামী লীগ।বিএনপির নেতাদের দল থেকে বের করে এনে ভোটে রাখার বিষয়েও তৎপরতা চলছে।বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারতের প্রভাব নিয়ে কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম, ‘নির্বাচনে ভারতের অবস্থান নিয়ে সতর্ক বিএনপি’।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও সংসদ নির্বাচন নিয়ে ভারতের অবস্থান বদল হবে না, এমন ধারণা বিএনপির আগেই ছিল।তবে দলটি মনে করছে, গত দুই নির্বাচনের মতো এবার ঢাকায় ভারতের উপস্থিতি ততটা জোরালো ও প্রকাশ্য নয়।শনিবার রাতে অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল বৈঠকে বিএনপি নেতারা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁদের বিশ্লেষণ হচ্ছে, ভারত বর্তমান সরকারের সঙ্গে থাকলেও এবার আগের মতো সরাসরি মাঠ পর্যায়ে সংযুক্ত নয়।তবে ভূ-রাজনৈতিক বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান অবস্থান শিগগির পরিবর্তন হবে না বলে তারা মনে করেন।গত শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচন সে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং সে দেশের মানুষই তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’নেতাদের কারো করো মত হলো, ভারতের বক্তব্যের বিষয়ে বিএনপির একটি কৌশলী প্রতিক্রিয়া আসা উচিত। কারো কারো মত, বিষয়টি কূটনীতিক পর্যায়ে আলোচনায় নেওয়া যেতে পারে।তবে চীনের বিষয়ে বক্তব্য দেওয়াটা যতটা সহজ, ভারতের বিষয়ে ততটা নয় বলে মত দেন একাধিক নেতা।জনপ্রশাসন নিয়ে যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম, ‘পদোন্নতির উৎসব ভোটের আগে’।প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার আগেই সরকার প্রশাসন, পুলিশ, শিক্ষাসহ অন্যান্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিয়েছে।জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ভোটের আগে গত কয়েক মাসে এই তিন ক্যাডারের বিভিন্ন পদে এক হাজার ৬০৮ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়।বেশ ‘উদারভাবেই এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও মেধাবী কিছু কর্মকর্তা বঞ্চিত হওয়ায় প্রায় পুরো বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।প্রশাসন বিশ্লেষকদের ব্যাখ্যা হচ্ছে, জাতীয় নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন প্রশাসন পুলিশ এবং শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা। এতে নতুন পদ প্রাপ্ত সবাই সন্তুষ্ট।সন্তুষ্ট মানুষ খুশি মনে আগ্রহী হয়ে অনেক কিছুই করে থাকে। যা সাধারণত ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে যায় না।তবে সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাদের দাবি, ‘পদ শূন্য থাকলে এবং পদোন্নাতি পাওয়ার যোগ্য কর্মকর্তা থাকলে তা দিতে কোনো সমস্যা নেই। ’তবে কিছুটা অসন্তোষ আছে মাঠপর্যায়ের নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের মধ্যে। বিশেষ করে পুলিশ প্রশাসনের নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে পদোন্নতিবঞ্চিত।এদিকে শ্রমিক বিক্ষোভে আহত চিকিৎসাধীন এক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, ‘Was shooting at them the only option?' অর্থাৎ ‘তাদের উপর গুলি চালানোই কি একমাত্র উপায় ছিল?’প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গত আটই নভেম্বর বেতন বৃদ্ধি নিয়ে শ্রমিকদের বিক্ষোভের সময় গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে শ্রমিক ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের এক তৈরি পোশাক শ্রমিক গুলিতে আহত হয়েছিলেন।রবিবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ভুক্তভোগীর নাম জালাল উদ্দিন বলে খবর প্রকাশ হয়েছে।এ নিয়ে সাম্প্রতিক তৈরি পোশাক শিল্পে চলমান অসন্তোষে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার জনে।জালাল উদ্দিনের স্ত্রী নার্গিস পারভিন পুলিশের এই গুলি ছোড়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।তিনি বলেন, ‘কেন তারা [পুলিশ] গুলি করেছিল? তারা কি অন্য কোনো উপায়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পারতো না?“তারা যে বন্দুক ব্যবহার করেছে এর আঘাতে আমার স্বামীর পেট ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়!" ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের সামনে স্তব্ধ ও বিভ্রান্ত হয়ে বসে থাকা নার্গিস ক্রন্দনরত অবস্থায় এসব কথা বলেন।বাংলাদেশের মানবাধিকার প্রসঙ্গে সমকালের প্রধান শিরোনাম, ‘আটকে রাখার ‘গোপন স্থানের’ তালিকা চায় জাতিসংঘ’।প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে সোমবার বাংলাদেশের মানবাধিকার রেকর্ড পর্যালোচনা করা হবে।বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী আটক অনেক ব্যক্তিকে গোপন স্থানে রেখে নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা অস্বীকার করেছে।রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের এমন অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুমের মতো ঘটনা নিয়ে আগেই উদ্বেগ জানিয়েছিল জাতিসংঘ।তুলে নিয়ে যেসব স্থানে ভুক্তভোগীদের ‘গোপনে আটকে রাখা হয়’, এখন সেগুলোর তালিকা প্রকাশ করতে সরকারের কাছে সুপারিশ করেছে সংস্থাটি।সেই সঙ্গে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ স্বাধীন সংস্থা দিয়ে নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছ তদন্ত করার পাশাপাশি দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে সুপারিশ করা হয়েছে।সেইসাথে ভুক্তভোগীদের ক্ষতিপূরণ দিতে একটি কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে, যাতে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দায়ের করতে পারেন।আইনে এমন ধারা যুক্ত করতে বলা হয়েছে, যাতে গুম রোধ করা যায়। সেই সঙ্গে নিরাপত্তা খাতের সংস্কার চেয়েছে জাতিসংঘ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ নভেম্বর ২০২৩