চলমান শৈত্যপ্রবাহ আরও দীর্ঘস্থায়ী হয়ে শীতের পরিমাণ বাড়তে পরে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) আবহাওয়া অধিদপ্তর তাদের পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজ সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। তবে, দেশের কোথাও কোথাও দিনে ঠান্ডাভাব বিরাজমান থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।তাছাড়া মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে আজ মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে।পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর কাছাকাছি বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ জানুয়ারি ২০২৪
পবিত্র শবে মেরাজ ৮ ফেব্রুয়ারিবাংলাদেশের আকাশে আজ ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র রজব মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আগামী ১৪ জানুয়ারি রোববার থেকে পবিত্র রজব মাস গণনা করা হবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাতে পবিত্র শব-ই-মিরাজ পালিত হবে।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বায়তুল মুকাররম সভা কক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মো. নায়েব আলী মন্ডল।সভায় ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র রজব মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সকল জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন-এর প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়সমূহ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আজ ২৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৫ হিজরি, ২৮ পৌষ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১২ জানুয়ারি ২০২৪ খ্রি. শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র রজব মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সংবাদ পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায়, আগামীকাল ২৯ পৌষ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৩ জানুয়ারি ২০২৪ খ্রি. শনিবার জমাদিউস সানি মাস ৩০ দিন পূর্ণ হবে। আগামী ৩০ পৌষ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ খ্রি. রোববার থেকে ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র রজব মাস গণনা শুরু হবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ২৬ রজব ১৪৪৫ হিজরি, ২৫ মাঘ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রি. বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পবিত্র শব-ই-মিরাজ পালিত হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ জানুয়ারি ২০২৪
আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে। এর মধ্যে নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়া বিদায়ী মন্ত্রিসভার কয়েকজনকে আগের মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেই রাখা হয়েছে। আবার আগের মন্ত্রিসভার কয়েকজনকে নতুন মন্ত্রিসভায় রাখা হলেও মন্ত্রণালয় পরিবর্তন করা হয়েছে। এ ছাড়া নতুন করে স্থান পাওয়া মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন নতুন মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করান। প্রধানমন্ত্রীসহ নতুন মন্ত্রিসভার সদস্য ৩৭ জন। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ছাড়া পূর্ণ মন্ত্রী ২৫ জন। এর মধ্যে দুজন টেকনোক্র্যাট (সংসদ সদস্য নন)। এ ছাড়া ১১ জন প্রতিমন্ত্রী হচ্ছেন।মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পূর্ণ মন্ত্রীদের মধ্যে আ ক ম মোজাম্মেল হককে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, ওবায়দুল কাদেরকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, আবুল হাসান মাহমুদ আলীকে অর্থ মন্ত্রণালয়, আনিসুল হককে আইন মন্ত্রণালয়, নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনকে শিল্প মন্ত্রণালয়, আসাদুজ্জামান খানকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মো. তাজুল ইসলামকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, মুহাম্মদ ফারুক খানকে বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়, মোহাম্মদ হাছান মাহমুদকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, দীপু মনিকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, সাধন চন্দ্র মজুমদারকে খাদ্য মন্ত্রণালয়, আবদুস সালামকে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, মো. ফরিদুল হক খানকে ধর্ম মন্ত্রণালয়, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, নারায়ণ চন্দ্র চন্দকে ভূমি মন্ত্রণালয়, জাহাঙ্গীর কবির নানককে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, মো. আবদুর রহমানকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, মো. আবদুস শহীদকে কৃষি মন্ত্রণালয়, ইয়াফেস ওসমানকে (টেকনোক্র্যাট) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং সামন্ত লাল সেনকে (টেকনোক্র্যাট) স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, মো. জিল্লুল হাকিমকে রেলপথ মন্ত্রণালয়, ফরহাদ হোসেনকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, নাজমুল হাসানকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, সাবের হোসেন চৌধুরীকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং মহিবুল হাসান চৌধুরীকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।এ ছাড়া ১১ প্রতিমন্ত্রীর মধ্যে নসরুল হামিদকে বিদ্যুৎ বিভাগ, খালিদ মাহমুদ চৌধুরীকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, জুনাইদ আহমেদকে ডাক, টেলি যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, জাহিদ ফারুককে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, সিমিন হোসেন রিমিকে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাকে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়, মহিববুর রহমানকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, শফিকুর রহমান চৌধুরীকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, রুমানা আলীকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং আহসানুল ইসলামকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১১ জানুয়ারি ২০২৪
বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। গতকাল বুধবার হোয়াইট হাউসে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের (এনএসসি) কৌশলগত যোগাযোগ সমন্বয়ক জন কারবি।ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করতে গিয়ে বলেন, বাংলাদেশে একতরফা নির্বাচন শেষ হয়েছে, বিরোধীদের দমনপীড়নের জন্য বিশ্বব্যাপী সমালোচনা হচ্ছে। দ্য গার্ডিয়ান এই নির্বাচনকে ‘বিরোধীদের ওপর নির্মম দমনপীড়নে আচ্ছন্ন’ বলে চিহ্নিত করেছে। দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলেছে, ‘বাইডেনের গণতন্ত্র প্রচারের সীমাবদ্ধতা দেখিয়ে দিল বাংলাদেশ।’ওই সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা আপনি বলেছিলেন। নির্বাচনের আগে আপনারা ভিসা নিষেধাজ্ঞার নীতি ঘোষণা করেছিলেন। গণতন্ত্র প্রচারে বাইডেন প্রশাসনের সীমাবদ্ধতা নিয়ে সমালোচনার বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?জবাবে জন কারবি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই এখনো বিশ্বজুড়ে কার্যকর ও প্রাণবন্ত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বে বিশ্বাস করি এবং বাংলাদেশি জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য আমাদের ইচ্ছার কোনো পরিবর্তন হয়নি। আমাদের এ প্রত্যাশার মধ্যে অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’আরেক প্রশ্নে বলা হয়, নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম ও কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেল পেয়েছেন, নতুন বছরের প্রথম দিন তাঁকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে তা করা হয়েছে বলে ব্যাপকভাবে ধারণা রয়েছে। বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য বিমোচনে ইউনূসের অসামান্য অবদানের কথা বিবেচনা করে প্রেসিডেন্ট বাইডেন কি এই বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত আছেন?জবাবে জন কারবি বলেন, তিনি প্রশ্নটি গ্রহণ করেছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১১ জানুয়ারি ২০২৪
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা শপথ নিয়েছেন।আজ বুধবার সকাল ১০টায় সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।অনুষ্ঠানের শুরুতে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী নিজেই সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন।এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নির্বাচিত এমপিদের শপথ বাক্য পাঠ করান স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গ্যাজেট অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে ২৯৮ আসনের মধ্যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২২২ আসন। ফলে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। এর আগে ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে ক্ষমতায় ছিল আওয়ামী লীগ।বিএনপিসহ ১৬টি রাজনৈতিক দল এবারের নির্বাচন বর্জন করেছে।নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে জয়ী ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের দুই সংসদ সদস্য ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে শপথ নিয়েছেন।অন্যদিকে সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, কল্যাণ পার্টি থেকে জয়ী নবনির্বাচিত একজন সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের সঙ্গে শপথ নিয়েছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১০ জানুয়ারি ২০২৪
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় লাভের পর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন তিনি।এরপর বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্ট নিহত স্বজনদের কবর জিয়ারত করেন শেখ হাসিনা।এর আগে সোমবার (৮ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরদিন বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের পাশাপাশি দেশের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। গণভবনের সবুজ লনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠান সংবাদ সম্মেলনে রূপ নেয়। এসময় বিদেশি সাংবাদিকদের নানান প্রশ্নের জবাব দেন শেখ হাসিনা।রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ২৯৯ আসনে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও পরে একটিতে বাতিল করা হয়। ভোটগ্রহণ শেষে ২৯৮ আসনের ফলাফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এতে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয় ২২২টি আসনে, স্বতন্ত্র বিজয়ী হয় ৬২টিতে, জাতীয় পার্টি ১১টি আসনে এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জয়ী হয় একটি আসনে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৯ জানুয়ারি ২০২৪
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটে নির্বাচিত নতুন সংসদ সদস্যদের শপথগ্রহণ বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ শপথবাক্য পাঠ করাবেন।মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) চলতি একাদশ জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সংসদ সচিবালয় সূত্র বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হওয়ার তথ্য জানিয়েছিল।এদিকে আজই নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ করবে। সংবিধানের বিধান অনুযায়ী গেজেট প্রকাশের তিনদিনের মধ্যে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করতে হবে। শপথ গ্রহণের পরই তিনি কার্যভার গ্রহণ করেছেন বলে গণ্য হবেন। ইতোমধ্যে শপথ গ্রহণের সব আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছে বলে সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে। গত ৭ জানুয়ারি সারা দেশে একযোগে ২৯৯ আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে ২৯৮ আসনের ফল বেসরকারিভাবে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের তালিকা অনুয়ায়ী, নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলগুলোর মধ্যে ২৯৮ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২২২ আসনে জয়লাভ করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠা লাভ করেছে। নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ১১ এবং ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ ও কল্যাণ পার্টি একটি করে আসনে জয়ী হয়েছে। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসনে জয়লাভ করেছে।নিয়ম অনুযায়ী, গেজেট প্রকাশের পর শপথের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্পিকারের কাছে তা পাঠাবে ইসি সচিবালয়। সংসদ নির্বাচনের ফল গেজেট আকারে প্রকাশের তিন দিনের মধ্যে শপথের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এরপর ৩০ দিনের মধ্যে অধিবেশন ডাকতে হবে। তবে ভোটের কত দিনের মধ্যে গেজেট হবে, সেই বিষয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরুর ৯০ দিনের মধ্যে স্পিকারকে অবহিত না করলে বা শপথ না নিলে সদস্য পদ খারিজ হবে। সংবিধানের ৬৭ অনুচ্ছেদে সদস্যদের আসন শূন্য হওয়া নিয়ে বলা হয়েছে— ‘৬৭(১) কোন সংসদ-সদস্যের আসন শূন্য হইবে, যদি (ক) তাহার নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ হইতে নব্বই দিনের মধ্যে তিনি তৃতীয় তফসিলে নির্ধারিত শপথ গ্রহণ বা ঘোষণা করিতে ও শপথপত্রে বা ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষরদান করিতে অসমর্থ হন। তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ মেয়াদ অতিবাহিত হইবার পূর্বে স্পিকার যথার্থ কারণে তাহা বর্ধিত করিতে পারিবেন। (খ) সংসদের অনুমতি না লইয়া তিনি একাধিকক্রমে নব্বই বৈঠক-দিবস অনুপস্থিত থাকেন; (গ) সংসদ ভাঙ্গিয়া যায়; (ঘ) তিনি এই সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের (২) দফার অধীন অযোগ্য হইয়া যান; অথবা (ঙ) এই সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে বর্ণিত পরিস্থিতির উদ্ভব হয়। (২) কোন সংসদ-সদস্য স্পিকারের নিকট স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন এবং স্পিকার- কিংবা স্পিকারের পদ শূন্য থাকিলে বা অন্য কোন কারণে স্পিকার স্বীয় দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে ডেপুটি স্পিকার- যখন উক্ত পত্র প্রাপ্ত হন, তখন হইতে উক্ত সদস্যের আসন শূন্য হইবে। পদের শপথ ১৪৮। (১) তৃতীয় তফসিলে উল্লিখিত যে কোন পদে নির্বাচিত বা নিযুক্ত ব্যক্তি কার্যভার গ্রহণের পূর্বে উক্ত তফসিল-অনুযায়ী শপথগ্রহণ বা ঘোষণা (এই অনুচ্ছেদে ‘শপথ’ বলিয়া অভিহিত) করিবেন এবং অনুরূপ শপথপত্রে বা ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষরদান করিবেন। (২) এই সংবিধানের অধীন নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তির নিকট শপথগ্রহণ আবশ্যক হইলে, অনুরূপ ব্যক্তি যেরূপ ব্যক্তি ও স্থান নির্ধারণ করিবেন, সেইরূপ ব্যক্তির নিকট সেইরূপ স্থানে শপথগ্রহণ করা যাইবে।২(ক) ১২৩ অনুচ্ছেদের (৩) দফার অধীন অনুষ্ঠিত সংসদ সদস্যদের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপিত হইবার তারিখ হইতে পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে এই সংবিধানের অধীন এতদুদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা তদুদ্দেশ্যে অনুরূপ ব্যক্তি কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোনো ব্যক্তি যে কোনো কারণে নির্বাচিত সদস্যদের শপথ পাঠ পরিচালনা করিতে ব্যর্থ হইলে বা না করিলে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার উহার পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে উক্ত শপথ পাঠ পরিচালনা করিবেন, যেন এই সংবিধানের অধীন তিনিই ইহার জন্য নির্দিষ্ট ব্যক্তি।(৩) এই সংবিধানের অধীন যে ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তির পক্ষে কার্যভার গ্রহণের পূর্বে শপথ গ্রহণ আবশ্যক, সেই ক্ষেত্রে শপথ গ্রহণের অব্যবহিত পর তিনি কার্যভার গ্রহণ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৯ জানুয়ারি ২০২৪
বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ বা সুষ্ঠু হয়নি বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর সোমবার এক বিবৃতিতে এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জনগণ এবং গণতন্ত্র, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি তাদের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করে। যুক্তরাষ্ট্র লক্ষ করেছে, ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়লাভ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে রাজনৈতিক বিরোধী দলের হাজার হাজার সদস্যকে গ্রেপ্তার এবং নির্বাচনের দিন অনিয়মের খবরে উদ্বিগ্ন।পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র অন্যান্য পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে একমত যে, এই নির্বাচন অবাধ বা সুষ্ঠু হয়নি। নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ না করায় আমরা হতাশ।’নির্বাচনকালীন সময়ে এবং এর আগের মাসগুলোতে যেসব সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, তার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব সহিংসতার গ্রহণযোগ্য তদন্ত এবং দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটি। সব দলের প্রতি সহিংসতাকে পরিহার করারও আহ্বান জানিয়েছে ওয়াশিংটন।মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে একটি অবাধ ও মুক্ত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় (ইন্দো–প্যাসিফিক) অঞ্চল প্রতিষ্ঠার অভিন্ন লক্ষ্যে কাজ করা, বাংলাদেশে মানবাধিকার সুরক্ষা ও নাগরিক সমাজের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখা এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৯ জানুয়ারি ২০২৪
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। আজ রোববার সকাল আটটায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয়েছে বিকেল চারটায়। রাজধানী বা বাইরে ভোটের চিত্রে দেখা গেছে, ভোটার উপস্থিতি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কম। রাজধানীতে ভোটার আসার হার সবচেয়ে কম। তবে ঢাকার বাইরে বেলা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কোথাও কোথাও বেড়েছে ভোটার উপস্থিতি।বেলা ৩টা পর্যন্ত ২৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ভোট গ্রহণ অবশ্য সর্বত্র নির্বিঘ্ন ছিল না। কোথাও কোথাও জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। মুন্সিগঞ্জে সহিংসতায় ইতিমধ্যে প্রাণ গেছে একজনের। নরসিংদীতে জাল ভোট দিতে গিয়ে ধরা পড়েছেন শিল্পমন্ত্রীর ছেলে। ঢাকা-১৪ আসনে কল্যাণপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার আগেই প্রার্থীদের এজেন্টদের কাছ থেকে রেজাল্ট শিটে (ফলাফল বিবরণী) স্বাক্ষর নিয়ে রাখা হয়েছে।রাজধানীর কয়েকটি ভোটকেন্দ্রের একটি বিশেষ বিষয় ছিল—গণমাধ্যমকর্মী বা পর্যবেক্ষকদের দেখে ভোটারের লম্বা সারি তৈরি। তবে গণমাধ্যমকর্মী ও পর্যবেক্ষকেরা চলে গেলে নিরুদ্দেশ হচ্ছে সেই সারি।বিএনপিসহ বিরোধী বেশ কয়কটি দল এ নির্বাচন বর্জনের করেছিল। আজ বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আজ একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।’আজ সকাল থেকে ভোট দেওয়ার হার ছিল বেশ কম। রাজধানীর সিটি কলেজে প্রথম দুই ঘণ্টায়, অর্থাৎ সকাল ১০টা পর্যন্ত ভোট পড়ে মাত্র ২ শতাংশ। ঢাকা-৭ আসনের আজিমপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভোটকেন্দ্রে সকাল থেকে ভোটারের উপস্থিতি একেবারেই কম। এই কেন্দ্রে প্রথম ৩ ঘণ্টায় ৭০ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন। এই কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ হাজার ৯১৪ জন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৭ জানুয়ারি ২০২৪
রাজধানীর সিটি কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের ওপর তাঁর বিশ্বাস আছে। তাঁর দল আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকার জয় হবে।আজ রোববার সকাল ৮টার একটু আগেই প্রধানমন্ত্রী সিটি কলেজ প্রাঙ্গণে গিয়ে পৌঁছান। সময় শুরুর পরই প্রধানমন্ত্রী ভোটকক্ষে প্রবেশ করেন। এরপর তিনি ভোট দেন।ভোট দেওয়ার পর শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যে ভোট সুষ্ঠুভাবে করতে পারছি, সে জন্য আমি আমার দেশের মানুষের প্রতি, জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। কারণ, অনেক বাধা ছিল।অনেক বিপত্তি ছিল। কিন্তু দেশের মানুষ তাদের ভোটের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হয়েছে এবং নির্বাচনটা যে একান্ত জরুরি, তা বুঝতে পেরেছে। জনগণ তার ইচ্ছেমতো ভোট দেবে। আমরা ভোট দেওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছি।’সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া নাশকতার ঘটনাগুলো উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি ও জামায়াত জোটেরা জ্বালাও-পোড়াও অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে। গতকালকে এবং আগেও আপনারা দেখেছেন, ট্রেনে আগুন দেওয়া থেকে শুরু করে গাড়িতে আগুন দেওয়া, মানুষকে বাধা দেওয়া, বোমা হামলা, ককটেল মারা—এ সমস্ত জঘন্য কাজগুলো তারা করেছে। আমি এটুকুই বলব, তারা গণতন্ত্রেও বিশ্বাস করে না, দেশের মানুষের কল্যাণও চায় না। তারা গণতান্ত্রিক ধারা চায় না।’২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। এরপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালের পরপর দুই নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ জয়ী হয়।শেখ হাসিনা আজ ভোট দেওয়ার পর বলেন, ‘২০০৯ সাল থেকে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই দেশের এই উন্নতিটা হয়েছে। আমাদের সামনে আরও কাজ আছে। সেটুকু আমরা সম্পন্ন করতে চাই। আমি আশা করি, নৌকা মার্কার জয়লাভ হবে এবং আবার আমরা জনগণের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে আমরা আমাদের বাংলাদেশ যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে, তা আমরা বাস্তবায়ন করতে পারব। এ বিশ্বাস আমার আছে। জনগণের ওপর আমার বিশ্বাস আছে।’সিটি কলেজ কেন্দ্র ঢাকা-১০ আসনের মধ্যে। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এ সময় তাঁর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ, প্রধানমন্ত্রীর বোন শেখ রেহানা ও তাঁর ছেলে রাদওয়ান মুজিব ছিলেন।জনগণকে ভোটকেন্দ্রে আসার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সবাই সুষ্ঠুভাবে ভোটকেন্দ্রে আসবেন। আপনার ভোটটা অত্যন্ত মূল্যবান ভোট। এই ভোটের অধিকারের জন্য অনেক সংগ্রাম করেছি। জেল-জুলুম, অত্যাচার, বোমা, গ্রেনেড—অনেক কিছু আমাকে মোকাবিলা করতে হয়েছে। কিন্তু মানুষের ভোটের অধিকার মানুষের হাতে তুলে দিতে পেরেছি। আজকে জনগণ সেই ভোটের অধিকার পেয়েছে। সেটা তারা সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগ করতে পারবে এবং নির্বাচনটা অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে।’প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব। জনগণ যাকে খুশি ভোট দিক। কিন্তু নির্বাচনটা যেন সুষ্ঠু হয়, সেটাই আমরা চাই। জনগণের সব রকমের সহযোগিতা চাই।’এবারের নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি। আজ শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। তারা কখন নির্বাচনেই বিশ্বাস করেনি। কারণ, বিএনপির প্রতিষ্ঠা হয়েছে সামরিক স্বৈরাচারের মাধ্যমে, সংবিধান লঙ্ঘন করে। সেনা আইন লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল করার পর এই বিএনপি দল গঠন হয়েছে। এরা তো ভোট কারচুপি আর ভোট সিল মারা, মানুষের ভোট কেড়ে নেওয়া—এটা তো তাদের চরিত্র। সেই সুযোগটা তারা এখন পাচ্ছে না।’শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘২০০৮ সালের যে নির্বাচন, সেই নির্বাচন নিয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করতে পারেনি। সেই নির্বাচনেও বিএনপি ৩০০ সিটের মধ্যে পেয়েছিল ৩০টা সিট। আর আওয়ামী লীগ এককভাবে পেয়েছিল ২৩৩টা সিট।’বিরোধীরা ভোট বর্জন করছে, সেখানে ভোটের গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু হবে—বিদেশি এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাকে বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে, তাই তো? আমি কার কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণ করব, একটি সন্ত্রাসী দলের কাছে? না। আমার দায়িত্ববোধ রয়েছে আমার জনগণের কাছে। তাঁরা আমাকে গ্রহণ করছে কি করছে না, সেটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তারা এই ভোট গ্রহণযোগ্য বলে মনে করছে কি করছে না, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।’শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি। গণতন্ত্র ছাড়া আমরা কোনো উন্নয়ন করতে পারব না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মানুষ তাদের ভোট ও ভাতের অধিকার পেয়েছে।’ভোটে জেতার ব্যাপারে কতটুকু আস্থাশীল—এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি সব সময় আস্থাশীল। কারণ, মানুষ আমার সঙ্গে আছে। ইনশা আল্লাহ পিপল উইল ভোট ফর বোট। (ইনশা আল্লাহ জনগণ নৌকা মার্কায় ভোট দেবে)।’দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ সকাল ৮টা থেকে জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯টিতে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। একজন প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনের ভোট গ্রহণ বাতিল করা হয়েছে। ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৭ জানুয়ারি ২০২৪
আলোচিত ব্যবসায়ী আদম তমিজী হকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মানহানির মামলায় কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকালে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হকের আদালত এই আদেশ দেন। একইসঙ্গে আগামী ১০ জানুয়ারি জামিন শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।এর আগে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা সোশ্যাল মিডিয়া ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের ডিবির পুলিশের পরিদর্শক মো. রেজাউল করিম আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তাকে হাজির করেন।এ দিন বেলা ৩টা ২০ মিনিটের দিকে রিহ্যাব সেন্টার থেকে আদালতে হাজির করা হয় আদম তমিজীকে। এরপর ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। সাড়ে তিনটার দিকে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন কথা লিখছিলেন আদম তমিজী। যার কারণে তার বিরুদ্ধে ডিএমপির দক্ষিণখান থানায় একটি মামলা হয়। এই মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাকে গ্রেফতারের পর তার আচরণ ও কথাবার্তায় সুস্থতার বিষয় নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। মাদকাসক্ত হওয়ায় তাকে মাদক নিরাময় কেন্দ্র বা রিহ্যাবে পাঠানো হয়েছে চিকিৎসার জন্য। রিহ্যাবে ভর্তি করিয়ে বিষয়টি আদালতে জানানো হয় যে তার এলোমেলো কথাবার্তায় ডিবির মনে হয়েছে তার চিকিৎসার প্রয়োজন।পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে জাতীয় মানসিক হাসপাতালে তাকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। মানসিক হাসপাতালে ৯ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে নিয়ে একটি বোর্ড গঠন করা হয়।গত ১০ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর গুলশানের নিজ বাসা থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদম তমিজী হককে আটক করে ডিবি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ জানুয়ারি ২০২৪
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দিতে বুধবার (৩ জানুয়ারি) থেকে মাঠে নামছে সশস্ত্র বাহিনী।মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।আইএসপিআর জানায়, সশস্ত্র বাহিনী ভোট গ্রহণের পূর্বে, ভোট গ্রহণের দিন ও ভোট গ্রহণের পরে শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দেশব্যাপী ৩-১০ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন/স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দেবে।সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা/উপজেলা/মেট্রোপলিটন এলাকার নোডাল পয়েন্ট ও অন্যান্য সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান করবে। সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের অনুরোধক্রমে ও সমন্বয়ের মাধ্যমে বাহিনীগুলো এলাকাভিত্তিক মোতায়েন সম্পন্ন করছে।সেনাবাহিনী ৬২টি জেলায় নিয়োজিত হয়েছে জানিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, সমতলে সীমান্তবর্তী ৪৫ উপজেলায় বিজিবি এককভাবে দায়িত্ব পালন করবে; এছাড়া সীমান্তবর্তী ৪৭টি উপজেলায় সেনাবাহিনী বিজিবির সঙ্গে এবং উপকূলীয় ৪টি উপজেলায় কোস্ট গার্ডের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করবে। উপকূলীয় দুটি জেলাসহ (ভোলা ও বরগুনা) সর্বমোট ১৯টি উপজেলায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।বাংলাদেশ বিমান বাহিনী হেলিকপ্টারে করে দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলের ভোটকেন্দ্রগুলোতে প্রয়োজনীয় হেলিকপ্টার সহায়তা দেবে। এছাড়া জরুরি প্রয়োজনে নির্বাচনী সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রয়োজনীয় সংখ্যক হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমনন্বয়ে যৌথ সমন্বয় সেল স্থাপন করা হয়েছে, যা ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকরী থাকবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে সশস্ত্র বাহিনী সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ জানুয়ারি ২০২৪
ভোটের দিনসহ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়ে গণপরিবহন ও প্রাইভেট কারসহ বেশকিছু যানবাহন চলাচল করবে বলে জানিয়েছেন জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান।যানবাহন চলাচলের উপরে আগের নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে শিগগির প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলেও তিনি জানান। আজ মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে জননিরাপত্তা সচিব এ সিদ্ধান্ত জানান। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের মতামতের ভিত্তিতে যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞার সার্কুলারটি শিথিল করা হয়েছে। এর কারণ ব্যাখ্যা করে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে একটা মানুষ ভোটকেন্দ্রে যেতে গেলে, তার একটা যানবাহন লাগে। যে সমস্ত যানবাহনগুলো মানুষের দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার হয়, সেগুলোকে অ্যালাও করা হয়েছে।’ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ‘রেগুলার রুটের বাস’ ও ‘পাবলিক সার্ভিস বাস’ চলাচল করবে বলে জানিয়ে সচিব বলেন, ‘এটার সার্কুলার হয়তো পেয়ে যাবেন এবং প্রাইভেটকার অ্যালাউড, সিএনজি চালিত অটো রিক্সা অ্যালাউড। তবে মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস এবং আরও কিছু যানবাহনের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ জানুয়ারি ২০২৪
বিএনপি নেতাদের দুর্নীতি ও অনিয়মের সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, জিয়াউর রহমান নাকি ভাঙা স্যুটকেস রেখে গিয়েছিলেন। তা ভাঙা স্যুটকেস কি জাদুর ভাক্স হয়ে গেল নাকি, যেখান থেকে টাকা বেরোয়?রাজধানীর কলাবাগান মাঠে সোমবার বিকালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সুশীল সমাজ ও বুদ্ধিজীবীদের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, অস্বাভাবিক সরকার হলে তাদের মূল্য বেড়ে যায়। আমরা নাকি তাদের মূল্য বুঝি না। কার কত মূল্য তা মেপে দেখতে হবে।বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তারা নির্বাচনে হেরে যাবে বলে ভোট বানচালের ষড়যন্ত্র করছে। বিদেশিদের ধর্না ধরছে। আন্দোলনের নামে নাশকতা করছে। নির্বাচন বন্ধ করবে এতো সাহস তাদের নেই।প্রধানমন্ত্রী সবাই ৭ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানান। বলেন, সকাল সকাল ভোট দেবেন। কোনো ষড়যন্ত্র আমাদের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা দমিয়ে রাখতে পারবে না।শেখ হাসিনা এ সময় ঢাকার সংসদীয় আসনগুলোতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ জানুয়ারি ২০২৪
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।এ ছাড়া প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।আজ সোমবার বেলা তিনটার দিকে এই রায় ঘোষণা করেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা।দণ্ড পাওয়া অপর তিনজন হলেন গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।শ্রম আইন লঙ্ঘনের যেসব ধারায় ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, সেসব ধারায় সর্বোচ্চ সাজা ৬ মাসের কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা।ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর মামলাটি করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর।মামলায় গত ৬ জুন ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করেছিলেন ড. ইউনূস ও অন্যরা। আপিল বিভাগ গত ২০ আগস্ট সেই আবেদন চূড়ান্তভাবে খারিজ করে দেন।এরপর গত ২২ আগস্ট শ্রম আদালতে এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় গত ৯ নভেম্বর। এতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের চার কর্মকর্তা সাক্ষ্য দেন। গত ২৪ ডিসেম্বর রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন (১ জানুয়ারি) ধার্য করেছিলেন আদালত।মামলায় অভিযোগ আনা হয় যে শ্রম আইন, ২০০৬ এবং বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাঁদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি দেওয়া, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয় না।মামলায় আরও অভিযোগ আনা হয়, গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি এবং লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয় না।অভিযোগের জবাবে আত্মপক্ষ সমর্থন করে ৯ নভেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজন বিবাদী লিখিতভাবে আদালতকে বলেছিলেন, গ্রামীণ টেলিকমের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয় নিজস্ব নীতিমালা অনুযায়ী। কারণ, গ্রামীণ টেলিকম যেসব ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে, সেগুলো চুক্তিভিত্তিক। তবে গ্রামীণ টেলিকমের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে স্থায়ী কর্মীর মতো ভবিষ্য তহবিল (প্রভিডেন্ট ফান্ড), আনুতোষিক (গ্র্যাচুইটি), অর্জিত ছুটি ও অবসরকালীন ছুটি দেওয়া হয়ে থাকে। মামলায় নিয়োগ স্থায়ী না করার যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা প্রশাসনিক ও দেওয়ানি মামলার বিষয়।আদালতে দেওয়া লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়েছিল, গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানি আইনের ২৮ ধারা অনুযায়ী একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। এর লভ্যাংশ বিতরণযোগ্য নয়, সামাজিক উন্নয়নে ব্যয় করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ জানুয়ারি ২০২৪
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু না হলে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সবকিছু থমকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিছুর রহমান।তিনি বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে দেশের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে যাবে। বাংলাদেশ হয়তো বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রোববার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।আনিছুর রহমান বলেন, সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা ছাড়া আমাদের কোনো গন্তন্তর নেই। কাজেই আপনাদের নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এ নির্বাচন শুধু আমাদের বিষয় নয়। পুরো বিশ্ব আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। আমরা যদি অবাধ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে না পারি তাহলে সামনে খারাপ দিন অপেক্ষা করছে। এক্ষেত্রে আর্থিক, সামাজিকসহ নানাভাবে বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার সম্ভাবনা আছে। সুতরাং ৫দিন আপনাদের কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি আরও বলেন, আর মাত্র ছয়দিন পর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচন যে কোনো মূল্যে সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক করতে হবে। সেই উদ্দেশ্যে ২৮ নভেম্বর থেকে মাঠে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা আছেন। আচরণবিধি প্রতিপালনে তারা কাজ করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে। এবারই প্রথম প্রতিটা আসনভিত্তিক সার্বক্ষণিক জুডিশিয়াল অফিসার দিয়ে ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি করা হয়েছে। উভয় মাঠে খুব ভালো কাজ করেছে। এক মাসেরও বেশি সময় পুরো মাঠ চষে বেড়িয়েছি। সিইসিসহ অন্যান্য কমিশনাররা দেশের বিভিন্ন স্থানে গেছেন।নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি, আচরণবিধি প্রতিপালনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ম্যাজিস্ট্রেটরা। একই সঙ্গে যে অভিযোগগুলো তাদের কাছে এসেছে, আর তারা যেটা সমাধান করতে পারেনি বা রিটার্নিং, সহকারী রিটার্নিং অফিসার সেগুলো ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটিকে দিয়েছে, তারা কারও কারও হাজিরা চেয়েছেন। কাউকে শোকজ করেছেন, লিখিত ব্যাখ্যা চেয়েছেন। এভাবে নিষ্পত্তি করেছেন। কিছু আমাদের কাছে এসেছে, আমরা সেগুলোর ব্যবস্থা নিয়েছি।সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ইসির চেষ্টার শেষ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যান্য যে কোনো নির্বাচনের তুলনায় এবার সহিংসতা খুব কম। যদিও ক্ষেত্র বিশেষে দু-একটা ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া আচরণবিধি লঙ্ঘন অন্যবারের চেয়েও কম। তারপরও আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগতে চাই না।অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনকে সংঘাতমুক্ত রাখতে হবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে আপনাদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথম দফার প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ৪৩১ জন ম্যাজিস্ট্রেট অংশ নেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, আগামী ১ জানুয়ারি থেকে ৭ জানুয়ারির মধ্যে দেশ অচল করে দেওয়ার কথা বলে দেওয়া বিএনপির কর্মসূচি আমরা আমলে নিচ্ছি না। অতীতেও আমলে নেইনি। ভবিষ্যতেও এ ধরনের ঘোষণা আমলে নেবো না।তিনি বলেন, অনেক ঘোষণাই আমরা অতীতে শুনেছি। যেসব ঘোষণা দেশবিরোধী, জনবিরোধী, সংবিধান বিরোধী তা জনগণ পছন্দ করে না। আর আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজই হচ্ছে যারা সংবিধান মানে না, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মানে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। ঢাকার চতুর্দিকে আমাদের নজরদারি আছে। যারাই নাশকতা, দুর্বৃত্তায়ন চালানোর চেষ্টা করছে তাদের গ্রেফতার করা হবে।বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিন্টুরোডে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব একথা বলেন।অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, এক সময় বাসে বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা ও পুলিশের ওপর হামলা করেছে। আমরা সব সময় মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় সব কিছু করে থাকি। হামলাকারীদের অনেককেই আমরা গ্রেফতার করেছি। পাশাপাশি আমাদের ডিবি ও থানা পুলিশ ঢাকার সরকারি, বেসরকারি ও কেপিআইভুক্ত (রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা) রেল ও মেট্রোরেলসহ সব স্থাপনায় নিরাপত্তা দিচ্ছে, খেয়াল রাখছে। যাতে করে দুর্বৃত্তরা দুর্বৃত্তায়ন, নাশকতাকারীরা যাতে নাশকতা চালাতে না পারে।তিনি বলেন, আমি মনে মেট্রোরেলের নিরাপত্তার জন্য যারা নিয়োজিত রয়েছেন, সেটি পর্যাপ্ত নয়। যাত্রীরা যেন নির্বিঘ্নে মেট্রোরেলে যাতায়ত করতে পারেন সেজন্য লোকবল আরও বাড়ানো উচিত।ডিবি’র মহানগর প্রধান বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে মানুষের মধ্যে যে আতঙ্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা হচ্ছে সেটা যাতে না হয় সেজন্য আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি। আমাদের সব পুলিশ সদস্য যার যা দায়িত্ব তা পালন করে যাচ্ছি। আশঙ্কা নেই। কিন্তু আশঙ্কা ঘিরেই নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে যাতে করে কিছু না ঘটে। যারাই নাশকতা, দুর্বৃত্তায়ন চালাবে বা চালানোর চেষ্টা করছে, ভাড়াটিয়া ভাড়া করে কারা নাশকতার চেষ্টা করছে, তাদের অনেকের নাম পরিচয় আমরা জেনেছি। অনেককে গ্রেফতার করেছি। আরও যাদের নাম আমরা জেনেছি তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।এতো নিরাপত্তার মাঝেও তেজগাঁওয়ে যারা আগুন দিলো তাদের চিহ্নিত করে কেন গ্রেফতার যাচ্ছে না– জানতে চাইলে ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, আমরা অধিকাংশ ঘটনায় আপ্রাণ চেষ্টা করি শনাক্ত করার জন্য। আমরা বেশিরভাগ ঘটনায় শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি। কিছু কিছু ঘটনায় আমরা নাম ও নম্বর জেনেছি। দেড় মাস আগে ঘটনা জেনেছি। গত রাতে আমরা ‘পিচ্চি মনির’কে গ্রেফতার করেছি। তার মানে হচ্ছে আমরা লেগে আছি বলেই গ্রেফতার করতে পেরেছি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিটি জায়গায় আমরা উন্নয়ন করেছি। উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে হবে। আজ বিএনপি নির্বাচনে আসেনি। তারা ভোট ঠেকানোর নামে ২০১৩-১৪ সালে যে অগ্নিসন্ত্রাস করেছিল, সেই ভয়ংকর রূপ নিয়ে আবার মাঠে নেমেছে।শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ছয় জেলার জনসভায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। আজ কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, নেত্রকোণা, বরগুনা ও রাঙ্গামাটি জেলার জনসভায় বক্তব্য দেন তিনি।তিনি বলেন, মাত্র কয়েকদিন আগে রেলে আগুন দিলো, ফিশপ্লেট খুলে ফেলল, রেলের বগি পড়ে সেখানে একজন মারা গেল। বাসে আগুন দিচ্ছে, ঘুমিয়ে থাকা হেলপার মারা গেল। ঠিক এভাবে আবার তারা অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ দেশের মানুষের ওপর বিএনপি-জামায়াত যেভাবে অত্যাচার নির্যাতন করেছিল, তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। ’৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে তুলনা করা যায়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩
আগামী ১ জানুয়ারি (সোমবার) রাজধানীতে নির্বাচনী জনসভা করবে আওয়ামী লীগ। ওই দিন বিকেল ৩টায় মোহাম্মদপুরে শারীরিক চর্চা কেন্দ্র মাঠে এ জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বিস্তারিত আসছে...
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ ডিসেম্বর ২০২৩
আগামীকাল বুধবার থেকে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা শুরু করতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আগামীকাল সিলেটে হজরত শাহজালাল (র.) ও শাহপরানের (র.) মাজার জিয়ারত ও জনসভার মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করবেন।সফরসূচি অনুযায়ী, বুধবার সকালে বিমানে ঢাকা থেকে সিলেটে পৌঁছাবেন শেখ হাসিনা। সেখানে পৌঁছেই তিনি দুই সুফিসাধকের মাজার জিয়ারত করবেন। মাজার জিয়ারতের পর বিকেলে নগরের সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে শেখ হাসিনার।পরদিন বৃহস্পতিবার বিকেলে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার নির্বাচনী সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হবেন শেখ হাসিনা। বিকেল ৩টায় রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় ও লালমনিরহাট, রাজশাহী বিভাগের নাটোর ও পাবনা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের খাগড়াছড়িতে ভার্চ্যুয়ালি নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেবেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩