নাগরিক সেবার মান নিয়ে সমালোচনা ও বিতর্কের মুখে পড়লেও ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদে আরও তিন বছরের জন্য নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন তাকসিম এ খান। মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ওয়াসার বোর্ড সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।ওয়াসার বোর্ডের একাধিক সদস্য বলেন, তাকসিম এ খানের মেয়াদ আরও তিন বছর বাড়ানোর প্রস্তাব পাস হয়েছে। প্রস্তাবটি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে যাবে। সেখান থেকে প্রস্তাবের সারাংশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হবে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলে নিয়োগ চূড়ান্ত হবে।২০০৯ সালে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে প্রথমবারের মতো নিয়োগ পেয়েছিলেন তাকসিম এ খান। এরপর পাঁচ দফায় তাঁর মেয়াদ বাড়ানো হয়। আগামী ১৪ অক্টোবর তাঁর ষষ্ঠবারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ঢাকা ওয়াসার এমডি হিসেবে তাকসিমের মাসিক বেতন বর্তমানে ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা। সর্বশেষ করোনা মহামারির মধ্যে একলাফে ওয়াসার এমডির বেতন বাড়ানো হয় পৌনে ২ লাখ টাকা। তাকসিম এ খান, তাঁর স্ত্রী ও সন্তানেরা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।দুর্নীতি, অনিয়মসহ নানা অভিযোগ থাকার পরও ঢাকা ওয়াসা বোর্ড কেন তাকসিমকে একই পদে রাখার প্রস্তাব করেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সাবেক সভাপতি আকতার মাহমুদ বলেন, ওয়াসার পানি সরবরাহে উন্নতি হলেও কোনো টেকসই ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়নি। পয়োনিষ্কাশনরে ব্যবস্থাতেও সফলতা নেই। তাকসিম এ খান এমন অসাধারণ কিছু করেননি, যাতে তাঁকে আরও তিন বছর একই পদে রাখতে হবে। প্রথাগতভাবেও একজনের একই পদে দীর্ঘদিন থাকা উচিত নয়। এতে অন্যদের পথ রুদ্ধ হয় এবং নতুন নেতৃত্ব তৈরি হয় না।ঢাকা ওয়াসা পরিচালিত হয় ১৯৯৬ সালে পাস হওয়া ওয়াসা অ্যাক্ট অনুযায়ী। এ আইনে সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হচ্ছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ওয়াসা বোর্ডের প্রস্তাব বা সুপারিশ অনুযায়ী, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এই পদে নিয়োগ দেয় সরকার। কিন্তু একই ব্যক্তি একই পদে সর্বোচ্চ কতবার বা কত বছর নিয়োগ পেতে পারেন, এ বিষয়ে আইনে কিছু বলা নেই। ফলে ২০০৯ সালে প্রথম দফায় নিয়োগ পাওয়ার পর আর পদ ছাড়তে হয়নি তাকসিম এ খানকে।নতুন করে তাঁর মেয়াদ বৃদ্ধির সুপারিশের সমালোচনা করে ঢাকা ওয়াসা কর্মকর্তা কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মোজাম্মেল হক প্রথম আলোকে বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনে তাকসিমের একাধিক দুর্নীতির মামলা চলমান। এমন অবস্থায় বিধিমোতাবেক তাকসিমের চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব করতে পারে না ওয়াসা বোর্ড। এটা অনৈতিক এবং দুর্নীতির সহায়ক।বৈঠকে অংশ নেওয়া ওয়াসার একজন বোর্ড সদস্য নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, তাকসিম এ খানের মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে জোরালো সুপারিশ করেন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুজিত কুমার বালা। বোর্ডের সদস্যদের তাকসিমের গুরুত্ব ও দক্ষতা বোঝানোর চেষ্টা করেন। একাধিক বোর্ড সদস্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নতুন এমডি নিয়োগের কথা তুলেছিলেন। কিন্তু চেয়ারম্যান বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে বর্তমান এমডির মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে বলেন৷এ বিষয়ে কথা বলতে ঢাকা ওয়াসা বোর্ড চেয়ারম্যান সুজিত কুমার বালার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। তবে একজন নারী ফোন ধরে বলেন, ‘উনি ফোন রেখে বাইরে গেছেন।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১১ জুলাই ২০২৩
সাভারে প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) থেকে গবেষণার জন্য রাখা ৩৮ মোরগ চুরি হয়ে গেছে।ঈদের আগের রাতে (২৮ জুন) ৫ নম্বর পিওরলাইন মেল শেড থেকে মোরগগুলো চুরি হয়। ঈদের ছুটির পর প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা বিষয়টি জানতে পারলেও চুরির কথা এতদিন গোপন রেখেছিলেন।সোমবার (১০ জুলাই) সকালে প্রতিষ্ঠানটির পোল্ট্রি গবেষণা শাখায় গিয়ে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। আর মোরগগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন মনিরুল ইসলাম নামের কর্মচারী।ওই কর্মচারী বলেন, শেডে ৩০০ মোরগ ছিল। ঈদের আগের রাতে শেড থেকে আরআরআই ও হোয়াইট লেগ হর্ন জাতের ৩৮ মোরগ চুরি হয়। আমরা সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করি। রাতে নিরাপত্তা কর্মীদের দায়িত্ব থাকে।জানতে চাইলে, পোল্ট্রি উৎপাদন ও গবেষণা বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. কামরুন নাহার মনিরা বলেন, এটা যদিও আমার গবেষণা তবে যে বিষয়টি জানতে চাইছেন সেটা প্রশাসনিক বিষয়। এ ব্যাপারে কথা বলা ঠিক হবে না।এ বিষয়ে বিএলআরআই এর মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১০ জুলাই ২০২৩
দেশবাসীকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (২৭ জুন) সরকার প্রধানের একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার।বাংলাদেশে বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ভিডিও বার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘আসসালামু আলাইকুম। বছর ঘুরে আবার আমাদের মাঝে এসেছে পবিত্র ঈদুল আজহা। কোরবানির ঈদ। কোরবানি অর্থ ত্যাগ। ক্ষুদ্রতা, নীচতা, অহংকার, স্বার্থপরতা ত্যাগের মাধ্যমে কোরবানির ঈদ সার্থক হয়ে উঠে।’‘ত্যাগের মহিমা উজ্জীবিত হয়ে আমরা মানব কল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত করি। সৌহার্দ্য এবং ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে ঈদুল আজহার আনন্দ ভাগাভাগি করে নিই।’প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘সবাই ভালো থাকুন, নিরাপদ থাকুন, সুস্থ থাকুন। খোদা হাফেজ ঈদ মোবারক।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ জুন ২০২৩
জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত বাকি আসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিহতের মেয়ে রাব্বিলা তুল জান্নাত (১৯)। গত মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে।ওই পোস্টে রাব্বিলা তুল জান্নাত লিখেন, ‘আমার আব্বু গোলাম রাব্বানী নাদিমকে মেরে ফেলা হয়েছে আজকে নিয়ে ৮ দিন হয়ে গেল। র্যাব কর্তৃক এজাহারভুক্ত ১ নম্বর আসামিসহ চারজন সর্বশেষ গ্রেপ্তার হয় ছয়দিন আগে।হাস্যকর বিষয় হলো–এখন পর্যন্ত ২ নম্বর আসামি ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত চেয়ারম্যানের ছেলে ফাহিম ফয়সাল রিফাত, ৩ নম্বর আসামি রাকিব বিল্লাহ, ৯ নম্বর আসামি শামিম খন্দকার, ইসমাইল হোসেন স্বপন মণ্ডলসহ এজাহারভুক্ত ১৭ জন আসামি কেন এখনো গ্রেপ্তার হলো না।প্রশাসন কি ঘুমিয়ে আছেন, ঘুমিয়ে থাকলে জেগে উঠুন। এক কলম হারিয়েছে, কিন্তু হাজার কলম আমাদের পাশে আছে।’তিনি আরও লিখেন, ‘সবার কাছে আমাদের চাওয়া একটাই, আমার বাবার খুনিরা যাতে রক্ষা না পায়। তারা যাতে দেশত্যাগ করতে না পারে। মামলা হয়েছে ৭ দিন। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মামলা হওয়ার পর একজন আসামিকেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ফলে আমাদের মনে স্বাভাবিকভাবেই নানা সন্দেহ দানা বাঁধছে।’গত ১৪ জুন (বুধবার) রাতে জামালপুরের বকশীগঞ্জে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন অনলাইন পোর্টাল বাংলানিউজের জেলা প্রতিনিধি গোলাম রব্বানী নাদিম। পরদিন বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে তিনি মারা যান।পরে নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। এর আগে ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বকশীগঞ্জ থানার–পুলিশ নয়জনকে আটক করে। এরপর আর কোনো আসামি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়নি।তবে মামলার আগে র্যাব ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৩ জনকে আটক করে। তাঁদের সবাইকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং আসামিদের বিরুদ্ধে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়।আদালত আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড দেন। এর মধ্যে প্রধান আসামি মাহমুদুল আলম বাবুর পাঁচ দিনের রিমান্ড আজ (শুক্রবার) শেষ হয়েছে।পুলিশের হাতে আটক নয়জনের মধ্যে সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ রয়েছে। বাকি চারজনকে পুলিশের তদন্তে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বর্তমানে মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে।গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন—প্রধান আসামি মাহমুদুল আলম বাবু, রেজাউল করিম, মো. মনিরুজ্জামান, মো. মিলন মিয়া, মো. গোলাম কিবরিয়া, জাকিরুল ইসলাম, শহিদুর রহমান, মো. তোফাজ্জল, আয়নাল হক, মো. কফিল উদ্দিন, মো. ফজলু মিয়া, মো. মুকবুল ও মো. ওহিদুজ্জামান।এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরমান আলী বলেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে আসামিদের কাছ থেকে অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্তের স্বার্থে ওই সব প্রকাশ করা যাচ্ছে না।তবে আশা করছি, খুব অল্প সময়ের মধ্যে বাকি আসামিরা গ্রেপ্তার হবেন। একই সঙ্গে মামলাটি আমরা খুব গুরুত্ব দিয়েই দেখছি এবং কাজ করছি।’এদিকে জামালপুর জেলা পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি কোনো কথা বলবেন না বলে সাফ জানিয়ে বলেন, ‘নাদিম হত্যার বিষয়ে আমি কোনো কথাই বলব না। আপনারা কার কাছ থেকে নেবেন নিয়ে লেখেন।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ জুন ২০২৩
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগের ভোট চুরি করতে হয় না। যখনই স্বাধীনভাবে নির্বাচন হয়েছে তখনই জনগণের বিশাল পরিমাণ ভোট নিয়ে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করেছে। এটি একমাত্র সংগঠন, যারা মানুষের কথা বলে, মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করে। আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলেই জনগণের কল্যাণ হয়েছে। আর অন্যরা জনগণের ভোটাধিকার, মানবাধিকার কেড়ে নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে যে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় তা প্রমাণিত। এ নিয়ে আর প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই। যেসব দেশ বা যারা নির্বাচন নিয়ে কথা বলে তারা এসে দেখে যাক। সরকারপ্রধান বলেন, বিএনপি জঙ্গিবাদী ও সন্ত্রাসীদের দল। কানাডার আদালত এ রায় দিয়েছে। বিএনপির ২০১৪ ও ’১৮ সালের অগ্নিসন্ত্রাস মানুষ ভুলে যায়নি। তাদের জনগণের প্রতি কোনো দায় নেই। তিনি আরও বলেন, বিএনপির আমলে খাম্বা ছিল, বিদ্যুৎ ছিল না। খুনি সন্ত্রাসী দল বিএনপির বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ জুন ২০২৩
ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, বাংলাদেশের এগিয়ে চলা অনন্য, যা এশিয়ার অন্য দেশের জন্য অনুপ্রেরণার উদাহরণ। চীন বাংলাদেশের এ অগ্রগতিতে বিশ্বস্ত সঙ্গী হিসেবে পাশে থাকতে চায়।বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সঙ্গে তার মন্ত্রণালয়ে নিজ কক্ষে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত একথা বলেন।আলোচনা শেষে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম ও চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন নিজেদের দেশের স্মারক উপহার বিনিময় করেন।সাক্ষাতের শুরুতে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। এ সময় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম ৯০ দশকে চীনের শেনজিং ভ্রমণের স্মৃতিচারণ করে বলেন, চীনের অবকাঠামো, সক্ষমতা এবং প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের প্রমাণ তখনই অনুধাবন করা যেত। বর্তমানে চীন বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনৈতিক শক্তি। এশিয়ান দেশ হিসেবে এ অর্জন আমাদের সবার জন্যই গর্বের।ব্রিকসে বাংলাদেশের যোগদানের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, এতে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। শেখ হাসিনা যেভাবে আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়ে নিজ দেশ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন- তা চীন সবসময় সম্মান করে।দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগার প্রকল্পে চীনা অর্থায়নের বিষয়টি উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করার ফলে পরিবেশের সুরক্ষার সঙ্গে সঙ্গে প্রকল্প সংলগ্ন মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশ যদি প্রকল্প প্রস্তাব দেয় তাহলে চীন দুই দেশের মধ্যে সম্পৃক্ততা আরও বাড়াতে চায়।বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে চীনা সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী তাজুল এ প্রকল্পটিকে একটি আদর্শ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান নগরায়ণের ফলে উৎপন্ন বর্জ্য নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে এ প্রকল্প বাংলাদেশে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ জুন ২০২৩
সৌদি আরবে পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সেই হিসাবে দেশটিতে পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপিত হবে আগামী ২৮ জুন।সৌদি আরবের সুপ্রিম কোর্ট রোববার এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রোববার সন্ধ্যায় জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সেই হিসাবে দেশটিতে আগামীকাল সোমবার (১৯ জুন) জিলহজ মাস শুরু হবে। জিলহজ মাসের ১০ তারিখ ২৮ জুন ঈদুল আজহা উদ্যাপিত হবে।বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা কবে, তা জানা যাবে আগামীকাল। ঈদুল আজহার তারিখ নির্ধারণ ও হিজরি ১৪৪৪ সনের পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনার জন্য এদিন জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা ডাকা হয়েছে।আগামীকাল সন্ধ্যা সোয়া সাতটায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের আকাশে কোথাও জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা নিম্নোক্ত টেলিফোন ও ফ্যাক্স নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক অথবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানোর জন্য অনুরোধ করেছে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ জুন ২০২৩
বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ভূমিকা রাখতে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ৬ সদস্য চিঠি লিখেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেলকে। সোমবার (১২ জুন) তারা ওই চিঠি পাঠিয়েছেন।চিঠিদাতারা হলেন ইভান স্টিফেনেক (স্লোভাকিয়া), মিকেইলা সিজদ্রোভা (চেক প্রজাতন্ত্র), অ্যান্দ্রে কোভাচভ (বুলগেরিয়া), কারেন মেলচিয়র (ডেনমার্ক), হ্যাভিয়ের নারত (স্পেন) ও হেইডি হাউতালা (ফিনল্যান্ড)।ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এই সদস্যরা চিঠিতে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন। বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ২০০৯ সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছে। তারা নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করেছে এবং সংবিধান প্রদত্ত মৌলিক অধিকারের প্রতি সম্মান দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। ক্ষমতা সংহত করার জন্য সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের, নির্যাতন, অপহরণ ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাসহ মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে। বিশেষ করে ২০১৮ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করার পর থেকে এটা ঘটেছে।হেফাজতে নির্যাতনসহ অন্যান্য খারাপ আচরণের অভিযোগও আগের মতোই রয়েছে। প্রায়ই এসব ঘটনায় বাংলাদেশ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) নাম আসছে। এই নির্যাতন শুধু রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপরই সীমাবদ্ধ নয়, তা নৃতাত্ত্বিক ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপরও ঘটছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ও রয়েছে।বাংলাদেশের দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনে জালিয়াতি, কারচুপির ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যরা। চিঠিতে তারা বলেছেন, বাংলাদেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কার্যকর কোনো পদ্ধতি এখন নেই, যাতে জনগণ তাদের পছন্দের প্রতিনিধি বাছাইয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন।এ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও পক্ষপাতহীন নির্বাচন অনুষ্ঠানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের উদ্যোগ চাওয়া হয়েছে চিঠিতে। ইইউ পার্লামেন্ট সদস্যরা বলেছেন, আমরা মনে করি, বাংলাদেশ ব্যবসা ও উন্নয়ন সহযোগিতার ক্ষেত্রে আমাদের দীর্ঘদিনের অংশীদার হওয়ার কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জোরালো কারণ রয়েছে।এর আগে মার্কিন কংগ্রেসের ছয় সদস্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে লেখা চিঠিতে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির সমালোচনা করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের মানুষ যাতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন, সে সুযোগ সৃষ্টির জন্য প্রেসিডেন্টকে ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানান। ২ জুন ভার্জিনিয়ার কংগ্রেস সদস্য বব গুড প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কাছে লেখা ওই চিঠি নিজের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ জুন ২০২৩
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ছয় সদস্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেলকে বাংলাদেশের বিষয়ে একটি চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে তারা জোসেপ বোরেলকে বলেছেন— বাংলাদেশে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ সাধারণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে অবদান রাখতে অনুরোধ করছি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অবসান ঘটাতে হবে। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলসহ (বিএনপি) অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সম্পৃক্ত করে চলমান সংকটের টেকসই ও গণতান্ত্রিক সমাধান খুঁজে বের করতে আহ্বান জানাচ্ছি।জানতে চাইলে ইইউ ঢাকা অফিসের একজন মুখপাত্র বলেন, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ছয়জন সদস্য ব্যক্তিগতভাবে তাদের মতামত ব্যক্ত করেছেন। অন্যদিকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম প্রশ্নের জবাবে বলেন, যার কাছে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে, তিনি আমাদের এ ব্যাপারে কিছু জানাননি। ফলে বিষয়টি নিয়ে কীভাবে মন্তব্য করব? ১২ জুন এই পত্র প্রেরণকারী ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের ছয় সদস্য হলেন— স্লোভাক প্রজাতন্ত্রেও ইভান স্টেফানেক, চেক প্রজাতন্ত্রের মাইকেলা সোজড্রোভা, বুলগেরিয়ার আন্দ্রে কোভাতচেভ, ডেনমার্কের কারেন মেলচিওর, স্পেনের জাভিয়ের নার্ট এবং ফিনল্যান্ডের হেইডি হাউটালা।চিঠিতে তারা বলেন, আমরা সেখানে আসন্ন ১২তম সাধারণ নির্বাচনের ওপর ফোকাস করার গুরুত্বের ওপর জোর দিতে চাই, যা ২০২৩ সালের শেষের দিকে বা ২০২৪ সালের শুরুতে হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ জুন ২০২৩
পবিত্র ঈদুল আজহায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১৪ জুন থেকে। প্রথম দিন ২৪ জুনের টিকিট দেওয়া হবে। সর্বশেষ ১৮ জুন দেওয়া হবে ২৮ জুনের অগ্রিম টিকিট। ঈদের ফিরতি টিকিট দেওয়া হবে ২২ জুন থেকে। সেদিন কাটা যাবে ২ জুলাইয়ের টিকিট। ২৬ জুন পর্যন্ত কাটতে পারবে ফিরতি টিকিট। সেদিন দেওয়া হবে ৬ জুলাইয়ের অগ্রিম টিকিট। গত ঈদের মতো এবারও সব আসনের টিকিট শুধু অনলাইনে বিক্রি করা হবে। তবে ঈদযাত্রার বিক্রিত টিকিট এবার ফেরত দেওয়া হবে না।মঙ্গলবার (৩০ মে) দুুপর ১২টায় রেলভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।তিনি বলেন, ১৪ জুন থেকে পাওয়া যাবে ২৪ জুনের টিকিট। এভাবে পর্যায়ক্রমে ১৫, ১৬, ১৭ ও ১৮ জুনে পাওয়া যাবে ২৫, ২৬, ২৭, ২৮ জুনের টিকিট।একইভাবে ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে ২২ জুন থেকে। ওইদিন পাওয়া যাবে ২ জুলাইয়ের টিকিট। পর্যায়ক্রমে ২৩, ২৪, ২৫, ২৬ জুন পাওয়া যাবে ৩, ৪, ৫, ৬ জুলাইয়ের টিকিট। পশ্চিমাঞ্চলের সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট সকাল ৮টা থেকে ও পূর্বাঞ্চলে দুপুর ১২টায় বিক্রি শুরু হবে।তিনি বলেন, ঈদুল আজহায় ঈদের বিশেষ ট্রেন চলবে ৮টি। এসব ট্রেনের টিকিট শুধু অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। ঢাকা থেকে বহির্গামী আন্তঃনগর ট্রেনের মোট ২৯ হাজার আসন হবে। ২৬ জুন থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এবং ঈদের পরদিন থেকে পাঁচদিন চাঁদপুর-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ পথে তিন জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হবে। এক জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হবে ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম পথে।পবিত্র ঈদুল আজহায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১৪ জুন থেকে। প্রথম দিনে ২৪ জুনের টিকিট দেওয়া হবেমন্ত্রী বলেন, ভৈরব ও ময়মনসিংহ থেকে দুই জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হবে শুধু ঈদের দিন শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে যাওয়ার জন্য। এছাড়া আরও দুই জোড়া বিশেষ ট্রেন ঈদের আগে ও পরে ছয়দিন চালানো হবে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে পঞ্চগড় ও লালমনিরহাটের উদ্দেশে। এ ঈদকে কেন্দ্র করে এক জোড়া নতুন ট্রেনের যাত্রা শুরু হবে ঢাকা-চিলাহাটি-ঢাকা পথে।২৪ জুন থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত সব আন্তঃনগর ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করা হচ্ছে বলেও জানা তিনি।তিনি বলেন, দিনের শুরু থেকেই রেলের পশ্চিমাঞ্চলের টিকিটের চাহিদা তুলনামূলক অনেক বেশি থাকে। কিন্তু পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীরা আশানুরূপ টিকিট পায় না। আর পূর্বাঞ্চলের টিকিট অবিক্রীত থেকে যায়। আবার সার্ভারেও অনেক বেশি চাপ তৈরি হয়। তাই এবার পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট আলাদা বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পশ্চিমাঞ্চলে চলাচলরত সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট সকাল ৮টা থেকে বিক্রি শুরু হবে। আর পূর্বাঞ্চলে চলাচলরত সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট দুপুর ১২টা থেকে বিক্রি শুরু হবে।তিনি বলেন, ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে প্রতিদিন ৩২ হাজার আসনে যাত্রী পরিবহন করা হবে। মোট আসনের ২৫ শতাংশ টিকিট দাঁড়িয়ে (স্ট্যান্ডিং টিকিট) যাওয়া যাত্রীদের কাছে বিক্রি করা হবে। স্ট্যান্ডিং টিকিট পাওয়া যাবে শুধু ঢাকার কমলাপুর, ক্যান্টনমেন্ট ও বিমানবন্দর এবং গাজীপুরের জয়দেবপুর স্টেশন থেকে। মাঝপথে বিরতি নেয় এমন কোনো স্টেশনের স্ট্যান্ডিং টিকিট পাওয়া যাবে না।মন্ত্রী বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে পূর্বাঞ্চলে ১১৬টি ও পশ্চিমাঞ্চলে ১০২টি মিলিয়ে মোট ২১৮ অতিরিক্ত ইঞ্জিন যুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ জুন ২০২৩
২০০৬ সাল থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরি ও সরবরাহের কাজ ছিল নির্বাচন কমিশনের অধীনে। এখন এই দায়িত্ব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগকে দিতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।সোমবার (১২ জুন) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।সচিব জানান, আইনের অধীনে একটি নিবন্ধক অফিস থাকবে। তারা জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধনের কাজ করবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ জুন ২০২৩
উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং এর কাছাকাছি এলাকায় গত শুক্রবার থেকেই একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছিল। তবে এটি দুর্বল হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে বলে আজ রোববার সকালে আবহাওয়ার বার্তায় জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তারা জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর বিস্তার ঘটেছে দেশের পাঁচ বিভাগে। মে মাসের একেবারে শেষে বা জুনের প্রথম সপ্তাহে দেশে মৌসুমি বায়ুর প্রবেশ ঘটে। এতে বৃষ্টি হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে সাধারণত ৩১ মে মৌসুমি বায়ু উপকূলীয় জেলা কক্সবাজারের টেকনাফ অঞ্চল হয়ে দেশে প্রবেশ করে। পরদিন তা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, উত্তর-পূর্বের সিলেট এবং ধীরে ধীরে দেশের মধ্যাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। এবার ৮ জুন মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশে প্রবেশ করে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়। এর প্রভাবে ওই দিন থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি শুরু হয়। পরদিন শুক্রবার বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়ে।আজ সকাল নয়টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার বার্তায় বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ু বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগ পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে। আর এর প্রভাবে রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে মৌসুমি বায়ু দেশের পুরো অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।আবহাওয়া অধিদপ্তর দেশের ৪৪টি স্টেশনের আবহাওয়ার বার্তা তুলে ধরে প্রতিদিন। দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩টি স্টেশনে বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে চট্টগ্রাম ও মাইজদীকোর্টে—৬২ মিলিমিটার। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় রাজশাহীতে—৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।আজ দিনভর দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১১ জুন ২০২৩
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ তিনটি মৌলিক দাবিতে রাজধানীতে পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।দলটির একজন কেন্দ্রীয় নেতা জানিয়েছেন, জামায়াত শান্তিপূর্ণ নিয়মতান্ত্রিক ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল দল। তাই সংঘাত এড়াতে কর্মসূচি পালন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রশাসন যেহেতু বলেছে কর্মদিবসে নয়, ছুটির হলে তারা অনুমতি দেবে। তাই আমরা আজকে কর্মসূচি থেকে বিরত থেকে ছুটির দিনে বিক্ষোভের অনুমতি চাইবো।তিনি বলেন, পুলিশ প্রশাসন যদি নাগরিক এবং সাংবিধানিক অধিকার মেনে চলে তাহলে জামায়াতকে পরবর্তী কর্মসূচি পালনে বাধা দেবে না।এদিকে আজ সোমবার (৫ জুন) ১১ টায় কর্মসূচি পালন নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করার কথা রয়েছে দলটির। সেখানে তারা বিস্তারিত জানাবে।জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘আমরা বিশৃঙ্খলা চাই না। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা পুলিশের নৈতিক দায়িত্ব। বাংলাদেশে রাজনীতি করার জন্য নিবন্ধন জরুরি নয়। রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ, মিছিল করার জন্য নিবন্ধন কিংবা অনুমতির প্রয়োজন নেই। এই সমাবেশে বাধা দেওয়া মানে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে বাধা দেওয়া, গণতন্ত্রের পথে বাধা দেওয়া।’জামায়াত নেতারা বলছেন, পুলিশের থ্রেটে নয়, মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে কর্মসূচি পেছানো হচ্ছে। আজকে কর্মসূচি পালনে সবধরণের প্রস্তুতি জামায়াতের ছিলো।গত সোমবার জামায়াতের চার সদস্যের প্রতিনিধিদল বিক্ষোভের অনুমতি চাইতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কার্যালয়ে গিয়ে আটক হয়েছিল। যদিও কিছু সময় পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ জুন ২০২৩
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সবাইকে অনুরোধ করব বিদ্যুৎ ব্যবহারে একটু সাশ্রয়ী হতে হবে। শুধু বিদ্যুৎ নয় সব জিনিস ব্যবহারেই সাশ্রয়ী হতে হবে। সেই সঙ্গে আমাদের খাদ্য উৎপাদনও বাড়াতে হবে। আমাদের চেষ্টা করে যেতে হবে।রোববার (৪ জুন) জাতীয় সংসদে উত্থাপিত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আফসারুল আমীনের মৃত্যুতে সংসদে শোক প্রস্তাব তোলা হয়। পরে তা সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করা হয়।শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনাকালে সরকার প্রধান বর্তমান বৈশ্বিক সংকট নিয়ে কথা বলেন। সরকার জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলেও সংসদকে জানান তিনি।প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে খাদ্য মন্দা, মুদ্রাস্ফীতি, পরিচালনা ও পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি, বিদ্যুতের ঘাটতি প্রত্যেকটি মানুষের জীবনকে অসহনীয় করে তুলেছে। এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতি আর কতদিন চলবে তা কেউ বলতে পারে না। হয়ত বিশ্ব পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে। আজকে স্বাধীনতার সুফল মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছাচ্ছে। মানুষের আর্থসামাজিক উন্নতি হয়েছে। যদিও ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ, স্যাংশন, পাল্টা স্যাংশন, বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি, জ্বালানি তেলের অভাব, যার জন্য এখন শুধু বাংলাদেশ নয়, উন্নত দেশগুলোও হিমশিম খাচ্ছে। ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে জ্বালানির অভাব হচ্ছে। সেখানে লোডশেডিং বা বিদ্যুৎ ব্যবহার সীমিত করা হচ্ছে। খাদ্য পণ্য থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। উন্নত দেশেও বহু মানুষ চাকরি হারাচ্ছে। এমন একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সারা বিশ্বব্যাপী। আমি জানি না আর কখনো এ রকম পরিস্থিতি হয়েছিল কি না। হয়ত প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে তো দুর্ভিক্ষ, মন্বন্তর দেখা দিয়েছিল।সরকারপ্রধান বলেন, আমরা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। কিন্তু জ্বালানি তেল, কয়লা বা গ্যাসের অভাব সারা বিশ্বব্যাপী। এখন তো কেনাটাই অনেকটা মুশকিল। ক্রয় করাটা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তারপরও আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। ইতিমধ্যে কাতার ও ওমানের সঙ্গে আমাদের চুক্তি সই হয়ে গেছে। আমরা জলবিদ্যুৎ আমদানির ব্যবস্থা নিয়েছি। কয়লা কেনার জন্য ইতিমধ্যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যাতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো আমরা আবার চালু করতে পারি।সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সবাইকে অনুরোধ করব বিদ্যুৎ ব্যবহারে একটু সাশ্রয়ী হতে হবে। হয়ত বিশ্ব পরিস্থতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে। তবে আমাদের দেশের মানুষের সুরক্ষার জন্য তাদের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য আমাদের যা যা করণীয় তা করে যাচ্ছি।আফসারুল আমীনকে স্মরণ করে সরকার প্রধান বলেন, তিনি ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। প্রতিটি সংগ্রামে তিনি ভূমিকা রেখেছেন। নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। দলের প্রতি তার নিষ্ঠা ও সততা ছিল অতুলনীয়। তিনি মন্ত্রী হিসেবেও অত্যন্ত সাফল্য দেখিয়েছেন।তিনি বলেন, এটা খুবই কষ্টের যে যেদিন সংসদ শুরু করলাম সেদিন শোক প্রস্তাব গ্রহণ করি। আজকে আবার শোক প্রস্তাব জানাতে হচ্ছে। এবারের সংসদে আমরা এতজন সংসদ সদস্যকে হারালাম, এ রকম বোধ হয় আর কখনো হয়নি।শেখ হাসিনা বলেন, ৭৫এর পর ২১টি বছরর আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করা হয়েছে। অনেক মুক্তিযোদ্ধারা পরিচয় দেওয়ারও সাহস পেতেন না। আমরা আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। ৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছি। সেই সংগ্রামে আফরারুল আমিনকে পেয়েছি। আওয়ামী লীগ আসার পর সেই পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটে। দেশ গড়ার কাজে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে অনেক মানুষ মারা যায়। তৎকালীন বিএনপি সরকার জানেই না যে ঘূর্ণিঝড় হয়েছে। সকলের আগে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ছুটে যায়। আমি নিজেও ছুটে যাই। সেই কুতুবদিয়া, মহেশখালী, বাঁশখালীতে মানুষের লাশ, নারী ও শিশুর লাশ ভাসছে। তখন আফসারুল আমিনসহ চট্টগ্রামের সকল নেতারা মাঠে নেমেছিলেন। মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এটা নিয়ে সংসদে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী (খালেদা জিয়া) বলেছিলেন, যত মানুষ মরার কথা ছিল তত-মানুষ মরেনি। তিনি তখন জানতেনই না। তার কাছে কোনো খবর ছিল না। শোক প্রস্তাবের ওপর অন্যদের মধ্যে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সরকারি দলের এমপি ওয়াসিকা আয়শা খান, মোতাহার হোসেন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, মুজিবুল হক চুন্নু, মসিউর রহমান রাঙা বক্তব্য রাখেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ জুন ২০২৩
২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল। এ বাজেটে মোটাদাগে করহার বাড়ানো হচ্ছে। ফলে অনেক নিত্যব্যবহার্য জিনিস যেমন: প্লাস্টিক ও অ্যালুমিনিয়ামের তৈজসপত্র, টয়লেট টিস্যু, কলম, মোবাইল ফোন উৎপাদনে ভ্যাট বাড়ানো হচ্ছে। এছাড়া ডলার সাশ্রয়ে এবং শুল্ক ফাঁকি রোধে কাজুবাদাম, খেজুরের মতো খাদ্যসামগ্রীর আমদানি শুল্ক বাড়ানো হচ্ছে। এর ফলে বাড়বে অনেক পণ্যের দাম, কমতেও পারে কিছু। দেখে নেওয়া যাক যেসব পণ্যের দাম বাড়তে-কমতে পারে।দাম বাড়বেমোবাইল ফোন: স্থানীয় উৎপাদন ও সংযোজন পর্যায়ে মোবাইল ফোনের ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। তাই মোবাইল ফোনের দাম বাড়তে পারে।এলপি গ্যাস: উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে সিলিন্ডার বানানোর কাজে ব্যবহৃত স্টিল ও ওয়েল্ডিং ওয়্যার আমদানিতে শুল্ক আরোপ হয়েছে। এ কারণে এলপি গ্যাসের দাম বাড়তে পারে।কলম: কলম উৎপাদনে বর্তমানে ভ্যাট অব্যাহতি ছিল, সেখানে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসানো হয়েছে। এতে শিক্ষা উপকরণ কলমের দাম বাড়তে পারে।চশমার ফ্রেম: চশমার ফ্রেম ও সানগ্লাস আমদানিতে শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হচ্ছে। এছাড়াও উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হচ্ছে। তাই বাড়তে পারে চশমার ফ্রেমের দামও।সাইকেল: সাইকেলের যন্ত্রাংশ আমদানিতে শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। তাই সাইকেলের দাম বাড়তে পারে।প্লাস্টিক ও অ্যালুমিনিয়ামের তৈজসপত্র: বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত প্লাস্টিক ও অ্যালুমিনিয়ামের তৈজসপত্র উৎপাদনে ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হয়েছে। এতে তৈজসপত্রের দাম বাড়তে পারে।টিস্যু পেপার: কিচেন টাওয়াল, টয়লেট টিস্যু, ন্যাপকিন টিস্যু, ফেসিয়াল টিস্যু/পকেট টিস্যু ও পেপার টাওয়াল উৎপাদনে ৫ শতাংশ ভ্যাট আছে, এটি বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হচ্ছে। এতে টিস্যু পেপারের দাম বাড়তে পারে।মাইক্রোওয়েভ ওভেন: শুল্ক ফাঁকি রোধে মাইক্রোওয়েভ ওভেন আমদানির শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। এতে বিদেশি ওভেনের দাম বাড়তে পারে।বাসমতি চাল: নন ফর্টিফাইড বাসমতি চাল আমদানিতে ভ্যাট বসানো হয়েছে। এতে এই চালের দাম বাড়তে পারে।খেজুর: শুল্ক-ফাঁকি রোধে তাজা ও শুকনো খেজুর আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্কের পাশাপাশি ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। এতে খেজুরের দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।কাজুবাদাম: স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদন বাড়াতে কাজুবাদাম আমদানিতে শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। এ কারণে আমদানি করা কাজুবাদামের দাম বাড়তে পারে। এছাড়াও ফল-বাদাম আমদানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।সিগারেট: এবারও সিগারেটের মূল্যস্তর বাড়ানো হয়েছে। কাজেই সব ধরনের সিগারেটের দামই বাড়তে পারে।সিমেন্ট: সিমেন্টের প্রধান কাঁচামাল ক্লিংকার আমদানিতে বর্তমানে টনপ্রতি ৫০০ টাকা সুনির্দিষ্ট শুল্ক আছে। এটি বাড়িয়ে ৭০০ টাকা করা হয়েছে বিধায় সিমেন্টের দাম বাড়তে পারে।এছাড়াও দাম বাড়তে পারে শিরিষ কাগজ, আঠা বা গ্লু, মাছের টুকরা, চিজ ও দই, চা-কফিমেট, গ্যাস লাইটার প্রভৃতি পণ্যের।দাম কমবেমিষ্টি: বিপণন পর্যায়ে মিষ্টিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট ছিল। এটি কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করায় মিষ্টির দাম কমতে পারে।কীটনাশক: কৃষিকাজে ব্যবহৃত কীটনাশক, বালাইনাশক ও আগাছানাশকের দাম কমতে পারে। কারণ এসব উৎপাদনে ব্যবহৃত রাসায়নিক আমদানিতে আগাম কর প্রত্যাহার করা হয়েছে।স্প্রেয়ার মেশিন: কৃষিকাজে ব্যবহৃত রাইস ট্রান্সপ্লান্টার, ড্রায়ার, স্প্রেয়ার মেশিনে আগাম কর প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাই এসব পণ্যের দাম কমতে পারে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ জুন ২০২৩
চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে নেতিবাচক অবস্থা বিরাজ করছে রাজস্ব আদায়ে। এর মধ্যেই এই খাতে আগামী বাজেটে নির্ধারণ করা হয়েছে মোটা অঙ্কের লক্ষ্যমাত্রা, যা বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। আইএমএফ-এর শর্ত পূরণ করতে গিয়েই মূলত সৃষ্টি হয়েছে এমন পরিস্থিতি। যদি লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় কম হয়, সেক্ষেত্রে ব্যয় মেটাতে বেড়ে যাবে সরকারের ব্যাংক ঋণ।এছাড়া আগামী দিনে মূল্যস্ফীতি, বড় অঙ্কের ভর্তুকি ও সুদ পরিশোধ ব্যয় অর্থনীতির ওপর চাপ সৃষ্টি করবে। কারণ, আয় কমে যাওয়ায় একধরনের অর্থ সংকটে ভুগছে সরকার।এসব প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেই অর্থমন্ত্রী আজ ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট জাতীয় সংসদে পেশ করবেন। আগামী (২০২৩-২৪) অর্থবছরের এই বাজেটে মোট আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। আর ঘাটতি (অনুদানসহ) ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি এবং (অনুদান ছাড়া) ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।বেলা ৩টায় বাজেট পেশ করার আগে দিনের প্রথমার্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এর অনুমোদন দেওয়া হবে। এটি হবে বর্তমান সরকারের তৃতীয় মেয়াদের পঞ্চম এবং শেষ বাজেট। একই সঙ্গে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের পঞ্চম বাজেট।অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এবারের বাজেটের মূল দর্শন হচ্ছে ২০৪১ সালের মধ্যে ‘সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ’। স্মার্ট বাংলাদেশ চারটি মূল স্তম্ভের ওপর প্রতিষ্ঠিত হবে।এগুলো হচ্ছে-স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট সোসাইটি এবং স্মার্ট ইকোনমি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটটি হবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে প্রথম বাজেট।এর মধ্য দিয়ে ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে স্মার্ট যুগে নেওয়ার স্বপ্ন দেখাবেন অর্থমন্ত্রী। যদিও সেখানে পৌঁছতে রয়েছে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ ও প্রতিবন্ধকতা। আগামী বাজেটে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে এ খাতে ১০০ কোটি টাকার একটি তহবিল রাখা হচ্ছে।এবারের বাজেটে স্বাস্থ্য, কৃষি, খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনাকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তবে মূল্যস্ফীতির প্রাক্কলন করা হয়েছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অর্থবছরের পুরো সময় থাকবে সরকারের নানা ধরনের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি এবং বাড়ানো হয়েছে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা।এছাড়া মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতনভাতা সমন্বয়ের ঘোষণা থাকতে পারে। তবে বেতনভাতা বাড়ানোর কাজ শুরু হবে বাজেটের পর। ধারণা করা হচ্ছে, ওই সময় সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বেতন বাড়তে পারে, যা কার্যকরের সম্ভাবনা রয়েছে পহেলা জুলাই থেকে। কিন্তু এরপরও সাধারণ মানুষের বড় অংশই মূল্যস্ফীতির জাঁতাকলে আরও পিষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। কারণ, এখনো সহনীয় মাত্রায় পৌঁছায়নি নিত্যপণ্যের দাম।আগামী বাজেটে সবচেয়ে বড় চাপ আইএমএফ-এর ঋণ শর্ত। এই শর্ত পালন করতে গিয়ে ৬৫ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত কর আদায় করতে হবে জনগণের কাছ থেকে। এজন্য চালু করা হবে সর্বজনীন কর-ব্যবস্থা। অর্থাৎ, কমপক্ষে দুই হাজার টাকা কর প্রত্যেককে গুনতে হবে। স্বাভাবিক জীবনযাপনে ৪৪ ধরনের সেবা পেতে এই কর দিতে হবে। সরকারের আয় বাড়াতে করপোরেট কর কমানো হচ্ছে না এবার।তবে মূল্যস্ফীতি থেকে লাঘব দিতে ব্যক্তি আয়করসীমা তিন লাখ থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা ধার্য করার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া প্লট, ফ্ল্যাট ও গাড়ি কেনার খরচ বাড়বে।শঙ্কার জায়গা হচ্ছে, চলতি অর্থবছরে জুলাই থেকে এপ্রিল-এই সময়ে রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২ দশমিক ৪৫ শতাংশ কমেছে। এই নেতিবাচক ধারার মধ্যে আগামী অর্থবছরে কর রাজস্ব ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।এটি চলতি অর্থবছরের তুলনায় ৬২ হাজার কোটি টাকা বেশি। কিন্তু কোনো কারণে সেটি আদায় সম্ভব না হলে সরকারের ব্যয় মেটাতে ব্যাংক ঋণের ওপর নির্ভরশীলতা বাড়বে। আর ঋণ বেশি নেওয়া হলে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ কম হবে। কারণ, ঋণপ্রবাহ কমবে বেসরকারি খাতে। এতে বিরূপ প্রভাব পড়বে কর্মসংস্থানের ওপর।এদিকে রাজস্ব আয়ের উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আগামী বাজেটে করহার ব্যাপকভাবে বাড়ানো হচ্ছে। বিশেষ করে নিত্যব্যবহার্যসামগ্রী যেমন: প্লাস্টিক ও অ্যালুমিনিয়ামের তৈজসপত্র, টয়লেট টিসু, কলম, মোবাইল ফোন উৎপাদনে ভ্যাট বাড়ানো হচ্ছে।এছাড়া ডলার সাশ্রয়ে এবং শুল্ক ফাঁকি রোধে কাজুবাদাম, খেজুরের মতো খাদ্যসামগ্রীর আমদানি শুল্ক বাড়ানো হচ্ছে। এছাড়া গৃহস্থালিসামগ্রীর ক্ষেত্রে বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত প্লাস্টিকের তৈরি সব ধরনের টেবিলওয়্যার, কিচেনওয়্যার, গৃহস্থালিসামগ্রী উৎপাদনে ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হচ্ছে।একই হারে অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি গৃহস্থালিসামগ্রী ও তৈজসপত্রের (হাঁড়িপাতিল, থালাবাসন) ভ্যাট বাড়ানো হচ্ছে। কিচেন টাওয়াল, টয়লেট টিসু, ন্যাপকিন টিসু, ফেসিয়াল টিসু/পকেট টিসু ও পেপার টাওয়াল উৎপাদনে ৫ শতাংশ ভ্যাট আছে, এটি বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হচ্ছে। এতে টিসু পেপারের দাম বাড়তে পারে।শহরে বেশির ভাগ মধ্যবিত্ত বাড়িতে খাবার গরম করতে মাইক্রোওয়েভ ওভেন ব্যবহার করে থাকে। শুল্ক ফাঁকি রোধে বাজেটে সব ধরনের ওভেন আমদানির শুল্ক ৩০ শতাংশ বাড়াচ্ছে, মোট করভার ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ করছে। এতে বিদেশি ওভেনের দাম বাড়তে পারে।সিলিন্ডার উৎপাদনে ব্যবহৃত স্টিল ও ওয়েল্ডিং ওয়্যার আমদানিতে শুল্ক আরোপ এবং উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট বাড়ানো হচ্ছে। এতে বাজারে সিলিন্ডারের দাম বাড়তে পারে।সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবিএম মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, আগামী অর্থবছরের জন্য যে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, সেটি বাস্তবসম্মত নয়। এটি অর্জন কঠিন হবে। তবে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, জিডিপির অনুপাতে কর আহরণ বিশ্বের সর্বনিম্ন দেশের তালিকায় বাংলাদেশ। পার্শ্ববর্তী নেপালের চেয়েও কম আদায় হয়।অথচ নেপালের মাথাপিছু আয় আমাদের চেয়েও কম। আইএমএফ বলেছে, প্রতি অর্থবছরে জিডিপির দশমিক ৫ শতাংশ কর আহরণ বাড়াতে হবে। এজন্য আমাদেরও চেষ্টা থাকতে হবে কর আদায় বৃদ্ধির জন্য।এদিকে আইএমএফ-এর ঋণের শর্ত পূরণ করতে গিয়ে আগামী অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ কম নেবে সরকার। চলতি অর্থবছরে ৩৫ হাজার কোটি টাকার ঋণের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও আগামী বছর এ খাত থেকে নেওয়া হবে ১৮ হাজার কোটি টাকা।যদিও অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় সরকার নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। সর্বশেষ বুধবার কৃচ্ছ সাধনের কর্মসূচির অংশ হিসাবে আকাশপথে প্রথম শ্রেণিতে বিদেশ ভ্রমণ নিষিদ্ধ হচ্ছে।এছাড়া মূল্যস্ফীতির প্রভাব মোকাবিলায় সামাজিক নিরাপত্তা খাতে সব ধরনের ভাতা ও আওতা বাড়ছে। এ খাতে বরাদ্দ থাকছে সম্ভাব্য ১ লাখ ২৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা। তবে নতুন হচ্ছে-জুলাই থেকে সীমিত আকারে সর্বজনীন পেনশন চালু করা হবে। প্রবাসী, চাকরিজীবী, সাধারণ মানুষসহ কয়েকটি শ্রেণিতে ভাগ করে সীমিত আকারে তা করা হবে-এমনটি ঘোষণা থাকবে বাজেটে।বর্তমানে বৈশ্বিক সংকট চালমান। এর প্রভাবে একধরনের সংকট বিরাজ করছে অভ্যন্তরীণ পর্যায়েও। এর আগে গেছে কোভিড-১৯ মহামারি। ফলে অর্থনীতি থেকে পুরোপুরি কালো মেঘ কাটেনি। এরপরও আগামী অর্থবছরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি জিডিপির প্রত্যাশা করা হচ্ছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। যদিও চলতি অর্থবছরে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে-এমনটি ধরে নিচ্ছে অর্থ বিভাগ।মোট ব্যয় : ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে পরিচালন ব্যয় হচ্ছে ৪ লাখ ৭৫ হাজার ২৮১ কোটি এবং মূলধনি ব্যয় ৩৯ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। পরিচালন ব্যয়ের মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি, বিদেশি ঋণ পরিশোধে ১২ হাজার ৩৭৬ কোটি, অভ্যন্তরীণ ঋণ শোধে ৮২ হাজার কোটি, ঋণ ও অগ্রিম খাতে ৮ হাজার ৪২০ কোটি, বিশেষ প্রকল্পে ৭ হাজার ৯৮৬ কোটি, কাবিখাতে ২ হাজার ৮২৮ কোটি, স্কিমে ৩ হাজার ৭৬৮ কোটি এবং অন্যান্য খাতে বরাদ্দ আছে ৫৫ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা।আয় খাত : মোট আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে কর রাজস্ব ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং কর ব্যতীত প্রাপ্তি ৫০ হাজার এবং বৈদেশিক অনুদান ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। মোট করের মধ্যে এনবিআর কর হচ্ছে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি এবং নন এনবিআর ২০ হাজার কোটি টাকা।ঘাটতি : মোট ঘাটতি (অনুদানসহ) ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি এবং (অনুদান ছাড়া) ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। এই ঘাটতি পূরণে বৈদেশিক ঋণ নেওয়া হবে ১ লাখ ২ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। এছাড়া অভ্যন্তরীণ খাত থেকে নেওয়া হবে ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা। এই অভ্যন্তীরণ খাতের ঋণ আসবে ব্যাংক থেকে ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি, সঞ্চয়পত্র থেকে ১৮ হাজার এবং অন্যান্য খাত থেকে ৫ হাজার কোটি টাকা।জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান যুগান্তরকে বলেন, আইএমএফ-এর ঋণের অনেকগুলো সংস্কার কর্মসূচির শর্ত বাংলাদেশকে মানতে হচ্ছে। কিন্তু এসব সংস্কারের কথা বিশেষজ্ঞমহল অনেকদিন থেকেই বলে আসছে। গত কয়েকটি বাজেটেও সরকার এসব সংস্কারের অঙ্গীকার করেছে। শর্তগুলো বাস্তবায়নের জন্য বাড়তি রাজস্ব আহরণের প্রস্তাব বাজেটের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হতে পারে।এজন্য শক্ত উদ্যোগ নিলে বাড়তি রাজস্ব আদায় সম্ভব। আর এনবিআরকে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারে আরও দক্ষ হতে হবে। সরকার ও সমাজের প্রতিটি অংশের তাদের কাছে প্রাপ্য কর ও ফি পরিশোধে পুরোপুরি অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে। কর ও ভ্যাট সম্পর্কিত সব বকেয়া মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ভালো আইনজীবী নিয়োগ এবং অনানুষ্ঠানিক মামলা নিষ্পত্তি বা এডিআর কার্যক্রম নিষ্ঠার সঙ্গে পরিচালনা করতে হবে।এবার বাজেটকে অধিকতর অংশগ্রহণমূলক করার লক্ষ্যে অর্থ বিভাগের ওয়েবসাইট www.mof.gov.bd-এ বাজেটের সব তথ্যাদি ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল যে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পাঠ ও ডাউনলোড করতে পারবেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ জুন ২০২৩
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনও আরেকটি এক তরফা ও তামাশার নির্বাচন আয়োজন করতে যাচ্ছে, এটা বুঝতে পেরে ৭ মাস আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেছে বলে মন্তব্য গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাদের। তাদের দাবি, নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সরকারের নীতিনির্ধারকদের বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছে।রোববার (২৮ মে) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগ মোড়ে পদযাত্রা পূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জোটের নেতারা এসব কথা বলে।পদযাত্রায় বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক সভাপতির বক্তব্যে বলেন, খবর বেরিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নাকি একই নীতি ঘোষণা করবে। যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার মতো গণতান্ত্রিক দেশগুলো নাকি একই নীতি গ্রহণ করতে যাচ্ছে।২০১৪ সাল থেকে এই সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় টিকে থেকে দেশের মানুষের মুখে চুনকালি মেখে দিয়েছে- এমন মন্তব্য করে সাইফুল হক বলেন, একটা স্বাধীন-সার্বভৌম দেশকে তারা আজকে সোমালীয় ও নাইজেরিয়ার পর্যায়ে নামিয়ে নিয়ে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী মুখে যে উন্নয়নের কথা বলতেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জেনে গেছে-২০১৪ সালে তারা কীভাবে একতরফা ও জালিয়াতির নির্বাচন করেছে। ২০১৮ সালে তারা দিনের ভোট রাতে করে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে ১৮ কোটি মানুষকে অপমান করেছে। তারা কতটুকু নির্লজ্জ যে নিজেদের আবার গণতান্ত্রিক সরকার দাবি করে।নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ইতোমধ্যে নামজাদা, লাঠিয়াল সংসদ সদস্যের ভিসা যে রিজেক্ট হয়েছে তার খবরও পাওয়া গেছে। তলে-তলে কাজটা শুরু হয়েছে।বিশ্বে বাংলাদেশের সুনাম আওয়ামী লীগ সরকার নষ্ট করে দিয়েছে উল্লেখ করে মান্না বলেন, বহু বছর ধরে বলছি-ভোট চুরি করে, জালিয়াতি করে, মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে, অত্যাচার-গুম করে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা যায় না। অতএব, সময় এসেছে, এখন আপনাকে যেতে হবে। আপনি বিদ্যুৎ উৎসব করেছে, এখন পায়রা বন্দর বন্ধ হতে চলছে, ডলারের সংকটের কারণে কয়লা আনতে পারে না। জিনিসপত্র আমদানি করতে পারে না।তিনি আরও বলেন, আমরা আন্দোলন শুরু করেছি, বন্ধ করছি না। আমাদের মধ্যে ভাঙন সৃষ্টির চেষ্টা করে, লোভ ও ভয় দেখিয়ে আন্দোলন বন্ধ করার চেষ্টা করেছে। তবে, আমরা ভয় পাই না, লড়াই শেষ পর্যন্ত করবো। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত তা চলবে। আমরা রাতের বেলায় কারও সঙ্গে সমঝোতা করার চেষ্টা করি না।গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন যে ভিসানীতি ঘোষণা করেছে এটা নাকি অন্যায় করেছে, আওয়ামী লীগের নেতারা এমনটাই বলছে। কিন্তু মানুষের ট্যাক্সের টাকায় সরকারে বসে লুটপাট করে আপনারা কেন বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেন। আপনারা কেন র্যাব-পুলিশ দিয়ে মানুষকে রাতের আঁধারে তুলে নিয়ে নির্যাতন করেন, মেরে ফেলেন, গুম করে ফেলেন। তার জবাব তো আপনারা দেন না। বাংলাদেশের মানুষ মাথা ঠুকে-ঠুকে তার জবাব চেয়েছে, সরকার বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে।আওয়ামী লীগের পৃথিবী ছোট হয়ে আসছে দাবি করে সাকি বলেন, মানুষ পরিষ্কার বুঝতে পারছে, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো একটা তামাশার নির্বাচন করতে চায় তারা, কিন্তু জনগণ হতে দেবে না।বাংলাদেশের মানুষের মর্যাদা, রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সর্বদা প্রস্তুত রয়েছি উল্লেখ করে সাকি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত করে রাষ্ট্রের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। কেবল গদি রক্ষার জন্য। দেশকে নিলামে তুলছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ মে ২০২৩
যদিও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা এবং মন্ত্রীরা একই সুরে বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত ভিসা নীতির বিধিনিষেধ নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব রাজনৈতিক দলের জন্যই প্রযোজ্য এবং একটা সতর্কবার্তা। এ নিয়ে আওয়ামী লীগ ও সরকার বিচলিত নয়। কিন্তু দলটির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, বিষয়টাতে সরকার ও তাঁদের দলের ভেতরে কিছু প্রশ্ন আলোচনায় রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই নীতির প্রভাব কী হতে পারে, সেটি ভাবনায় ফেলেছে আওয়ামী লীগকে।বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার ক্ষেত্রে যারা বাধা সৃষ্টি করবে, তাদের বিধিনিষেধের আওতায় আনার কথা বলা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিতে। কিন্তু তা চিহ্নিত করা হবে কীভাবে, এটি বড় প্রশ্ন আওয়ামী লীগ ও সরকারের কাছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তাদের নিজস্ব প্রক্রিয়া অনুসরণ করে চিহ্নিত করার কথা বলেছে। তাতে আওয়ামী লীগ ও সরকার সন্তুষ্ট হতে পারছে না। দলটির বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলে এমন ধারণা পাওয়া যাচ্ছে। একই সঙ্গে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের এই নীতির প্রভাব কী হতে পারে অথবা প্রভাব কত দূর পর্যন্ত যেতে পারে—এটিও স্পষ্টভাবে বুঝতে পারছেন না আওয়ামী লীগ নেতাদের অনেকে।বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের এই ভিসা নীতির বিধিনিষেধের বিষয়টি ব্যাপক অর্থে বলা হয়েছে। কে এর আওতায় পড়ে যাবে, সেটা যেমন পরিষ্কার নয় সরকারের কাছে; একই সঙ্গে কাউকে সুনির্দিষ্ট করে নিষেধাজ্ঞা যে দেওয়া হয়নি, সেটাকে একধরনের স্বস্তি হিসেবে দেখছেন ক্ষমতাসীনেরা। তাঁরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপে সব রাজনৈতিক দলের জন্যই বার্তা দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের বিভিন্ন ব্যাখ্যা তাঁদের আলোচনায় এসেছে। যার প্রকাশ দেখা যাচ্ছে মন্ত্রীদের বক্তব্যে।তবে ব্যাখ্যা যা-ই দেওয়া হোক না কেন, বিষয়টা আওয়ামী লীগ ও সরকারকে চিন্তায় ফেলেছে। তা দলের নেতাদের কেউ কেউ স্বীকার করেন। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের প্রভাব দেশের ভেতরেও পড়তে পারে। বিরোধী দলের কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণে সরকারের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং প্রশাসনকে বিভিন্ন সময় ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি তাদের আন্দোলন জোরদার করার কথা বলছে। এখন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি ঘোষণার পর রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার কতটা কঠোর হতে পারবে, সেটি ক্ষমতাসীনদের একটি চিন্তার বিষয়। প্রশাসনের ওপর কতটা কর্তৃত্ব রাখা যাবে—এই প্রশ্নেও আলোচনা আছে। প্রশাসনের ভেতরেও এ বিষয় নিয়ে কিছু আলোচনা রয়েছে। অনেকের মধ্যে দুশ্চিন্তাও আছে।আওয়ামী লীগ ও সরকারও যে একটা চাপের মধ্যে পড়েছে, দলটি সেখানে মন্দের ভালো কিছু খোঁজার চেষ্টা করছে বলে মনে হয়। কারণ, দলটির নেতারা বলছেন, বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক মহলে যোগাযোগ রক্ষা করে সরকারের ওপর একটা চাপ তৈরির চেষ্টা করছিল। তারা বলে আসছিল, আবারও নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। কিন্তু আওয়ামী লীগ মনে করছে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ঘোষিত ভিসা নীতি কোনো নিষেধাজ্ঞা নয়; এটি বিধিনিষেধের সতর্কবার্তা।বিভিন্ন ব্যাখ্যা যে তুলে ধরা হচ্ছে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে, তাতে বলা হচ্ছে, বিরোধী দল বিএনপিকে এনে নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে হবে। এমন কোনো বাধ্যবাধকতার কথা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির শর্তে নেই।এ ছাড়া আওয়ামী লীগ মনে করছে, বিএনপি নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে আসছে। এখন বিএনপির এ ধরনের অবস্থান নেওয়া সম্ভব হবে না। কারণ, কেউ নির্বাচন প্রতিহত করতে গেলে সেটি যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির আওতায় পড়বে। বিএনপির নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিও এখন দুর্বল হয়ে যাবে। আওয়ামী লীগ নেতারা তাঁদের পক্ষে এটিকেও ব্যাখ্যা হিসেবে দেখাচ্ছেন। আওয়ামী লীগ নেতারা বলার চেষ্টা করছেন, এখন বিএনপির নির্দলীয় সরকারের দাবি ও নির্বাচন প্রতিহত করার অবস্থানের যৌক্তিকতা থাকবে না। কিন্তু টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের ওপরই নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করার দায়িত্ব বেশি, সেটিও দলটির নেতাদের অনেকে স্বীকার করেন। এরপরও তাঁরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘোষণায় রাজনৈতিক দিক থেকে আওয়ামী লীগের ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না।আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী ফোরাম সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও সরকার যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘোষণায় বিচলিত নয়। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি সবার জন্য সতর্কবার্তা। এই সতর্কবার্তা সব দলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।’ একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আমরা বিষয়টা পর্যবেক্ষণ করছি।’অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র এখন যে পদক্ষেপ নিয়েছে, এর পেছনে দেশের কোনো শক্তি বা পক্ষ আছে কি না—এই প্রশ্নও রয়েছে আওয়ামী লীগের। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, পেছনে কারও ইন্ধন বা এর সঙ্গে যোগসূত্র আছে কি না, সেটা সরকার খতিয়ে দেখবে।এ ছাড়া আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এখন নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করার কথা বলে যুক্তরাষ্ট্র এই ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশেও গণতন্ত্রের জন্য যুক্তরাষ্ট্র এমন পদক্ষেপ নেয় কি না, সেটাও বাংলাদেশ পর্যবেক্ষণ করবে।তবে যুক্তরাষ্ট্র ১৫ মে নাইজেরিয়ার জন্য ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে। এর আগে সোমালিয়া, উগান্ডা, নিকারাগুয়া ও বেলারুশ—এই চারটি দেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্র একই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ মে ২০২৩
গাজীপুর সিটির নির্বাচনে ৪৮০ কেন্দ্রের মধ্যে ২৫০টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফল ঘোষণা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার পর এ ফল জানানো হয়। এতে দেখা যায়, নৌকা মার্কার প্রার্থী আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ১ লাখ ১৮ হাজার ২২৫ ভোট। আর টেবিল ঘড়ি প্রতীকে জায়েদা খাতুন পেয়েছেন ১ লাখ ২৮ হাজার ৬০০ ভোট। ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্রের সামনে প্রার্থীদের কর্মী–সমর্থকদের ভিড় ও উচ্ছ্বাস। গাজীপুর জেলা পরিষদ ভবনের বঙ্গতাজ মিলনায়তনের বাইরে। আজ বৃহস্পতিবার রাতেফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্রের সামনে প্রার্থীদের কর্মী–সমর্থকদের ভিড় ও উচ্ছ্বাস। গাজীপুর জেলা পরিষদের ভবনের বঙ্গতাজ মিলনায়তনে এ নির্বাচনের ‘ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র’ থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম এ ঘোষণা দেন।নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, গাজীপুর সিটিতে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। তাঁদের মধ্যে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ, ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী ও ১৮ জন হিজড়া। এই সিটিতে ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড আছে। মোট ভোটকেন্দ্র ৪৮০টি, মোট ভোটকক্ষ ৩ হাজার ৪৯৭টি।নির্বাচনের মেয়র প্রার্থীরা হলেন নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান, টেবিলঘড়ি প্রতীকে জায়েদা খাতুন (সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা), লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজী আতাউর রহমান, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ, মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। এ ছাড়া স্বতন্ত্র থেকে মেয়র পদে ঘোড়া প্রতীকে মো. হারুন-অর-রশীদ ও হাতি প্রতীকে সরকার শাহনূর ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৫ মে ২০২৩
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, উপমহাদেশে যত ভোট হয়, সেসব ভোটের চেয়ে গাজীপুরের ভোট সর্বশ্রেষ্ঠ হবে। গাজীপুরের ভোট অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে আছে। ভোটে অনিয়ম হলে গাইবান্ধার চেয়েও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। ইসি আলমগীর বলেন, নির্বাচন চলাকালীন অনিয়ম পেলে ইসি অথবা রিটার্নিং কর্মকর্তা অথবা প্রিজাইডিং কর্মকর্তা তার কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করে দিতে পারেন। আগে আইনে ইসির যে সুযোগ-সুবিধা ছিল, তা এখনও আছে। আগের সুযোগ-সুবিধার সঙ্গে আরও কিছু যুক্ত করে আমরা আরপিও সংশোধনের জন্য পাঠিয়েছিলাম। আরপিও সংশোধনের বিষয়টি এখনও আমাদের কাছে আসেনি। আমরা হাতে পেলে বিস্তারিত জানাব।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ মে ২০২৩