জাতীয়


টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তার ছোট বোন শেখ রেহানা সঙ্গে ছিলেন।শুক্রবার (১২ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুস্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। পরে বঙ্গবন্ধু, তার পরিবারের শহিদ সদস্য ও মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহিদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।এর আগে পারিবারিক সফরে সড়ক পথে পদ্মা সেতু পার হয়ে সকাল ৯টা ৫০মিনিটে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে এবং সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে গোপালগঞ্জ সদরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। এরপর টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে যান তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ আগস্ট ২০২২


দুই দলের সঙ্গে সংলাপে বসার সময় দিয়েছে ইসি

দুই দলের সঙ্গে সংলাপে বসার সময় দিয়েছে ইসি

জাতীয় পার্টি (জেপি-মঞ্জু) ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিকে সংলাপে বসার জন্য আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ফের সময় দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর আগে নির্ধারিত সময়ে দল দুটি পরবর্তীতে সময় চেয়ে আবেদন করেছিল।বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) ইসির যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জামান বিষয়টি জানিয়েছেন।আগামী ৫ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত জেপির সঙ্গে এবং বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।গত ১৭ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ৩৯টি দলকেই সংলাপে আসার সময় জন্য দিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে বিএনপিসহ নয়টি দল সংলাপে অংশ নেয়নি। ইসির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছে ৩০টি দল। এর মধ্যে দুটি দল আসতে না পারার কারণ দেখিয়ে পরবর্তীতে সংলাপের জন্য সময় চেয়েছিল। অর্থাৎ ২৮টি দলের সঙ্গে আলোচনা করেছে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি। এক্ষেত্রে আগস্টের পরে সংলাপের জন্য সময় দিতে পারবে বলে জানিয়েছিল জাতীয় পার্টি-জেপি। আর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কারণে পরবর্তীতে সময় চেয়েছিল বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি।যে নয়টি দল সংলাপে অংশ নেয়নিবাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমল), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি।সংলাপে অংশগ্রহণকারী দলগুলো তিন শতাধিক প্রস্তাব দিয়েছে ইসিকে, যার মধ্যে অনেক প্রস্তাবই নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার বহির্ভূত। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বারবার বলেছেন, ওই ধরনের প্রস্তাবগুলো সরকারের কাছে পাঠিয়ে দেবেন। বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন সর্বোচ্চ ৪০টি প্রস্তাবনা দিয়েছে।গত ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নিয়ে আউয়াল কমিশন বিভিন্ন মহলের সঙ্গে সংলাপের আয়োজন করে। এক্ষেত্রে গত ১৩ মার্চ দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবী, ২২ মার্চ নাগরিক সমাজ, ৬ এপ্রিল প্রিন্ট মিডিয়ার সম্পাদক বা সিনিয়র সাংবাদিক, ১৮ এপ্রিল ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রধান নির্বাহী-প্রধান বার্তা সম্পাদক-সিনিয়র সাংবাদিক, ৯ জুন নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রতিনিধি এবং ১২ জুন নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে মতবিনিময় করে ইসি।এছাড়া প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ইভিএম যাচাই করার জন্য গত ২৫ মে, এবং রাজনৈতিক দলগুলো সঙ্গে ১৯, ২১ ও ২৮ জুন, তিন দফায় বৈঠক করে ইসি। সে সময়ও বিএনপিসহ ১১টি দল সাড়া দেয়নি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১১ আগস্ট ২০২২


যাদের জনশুমারি পছন্দ না তাদের আরো সন্তান পয়দার উপদেশ প্রধানমন্ত্রীর

যাদের জনশুমারি পছন্দ না তাদের আরো সন্তান পয়দার উপদেশ প্রধানমন্ত্রীর

জনশুমারির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজকে জনসংখ্যা সাড়ে ১৬ কোটির ওপরে। সেটাও কারও কারও হিসাবে পছন্দ হচ্ছে না। নিজেরাই সন্তান পয়দা দিতে থাকুক। আসন্ন জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ (সোমবার) কৃষক লীগ আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। জনশুমারির এ হিসাব পছন্দ কেন নয় জানতে চেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, নিজেরাই সন্তান পয়দা দিতে থাকুক। জনসংখ্যা বাড়াতে থাকুক। তারা সেটা করুক। আমরা খাবার দেব। কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু আমরা চাই প্রত্যেকটা পরিবার যেন সুখি হয় এবং সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে।১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসার পর মঙ্গা কবলিত উত্তরবঙ্গে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে লঙ্গরখানাসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কথাও নিজের বক্তব্যে তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। এই সময় তিনি সেখানে সফর করেন বলেও জানান। ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের সময় তৎকালীন গণমাধ্যমে প্রকাশিত কুড়িগ্রামের চিলমারীর বাসন্তীর ছবি প্রসঙ্গ তুলে ধরে তার বাড়িতে যাওয়ার ঘটনা এবং তাদের করুণ অবস্থার কথা বর্ণনা করেন শেখ হাসিনা।তিনি বলেন, তখন আমি শুধু বলেছিলাম আমার বাবার রক্ত নিয়েতো বাসন্তীদের ভাগ্য পরিবর্তন হয়নি। তাহলে কেন হত্যা করা হলো? দেশের মানুষ শোষণ-বঞ্চনার শিকারই থাকল। তাহলে এই মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাদের চোর, ডাকাত বানালো। এত কিছু করলো। তাতে দেশের মানুষ কী পেলো? সেটাই বড় প্রশ্ন।১৯৮৩ সালে আওয়ামী লীগ প্রথম রক্তদান কর্মসূচি শুরু করলেও তৎকালীন সামরিক শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তাতে বাধা দেন বলে জানান শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা আমাদের রক্তঋণে আবদ্ধ করে গেছেন। আমরা রক্ত দিয়ে দেশের একজন মুমূর্ষু রোগিকে বাঁচাতে পারি সেটাই আমাদের লক্ষ্য। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসীরা মানুষের সেবায়, বিপদে-আপদে কাজ করবে বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ। সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি। বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আবদুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী প্রমুখ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ আগস্ট ২০২২


১৪ ও ১৮’র নির্বাচন নিয়ে অতিমাত্রায় সমালোচনা হচ্ছে: সিইসি

১৪ ও ১৮’র নির্বাচন নিয়ে অতিমাত্রায় সমালোচনা হচ্ছে: সিইসি

২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে অতিমাত্রায় সমালোচনা ও তর্ক-বিতর্ক হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। রোববার (৩১ জুলাই) নির্বাচন ভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপে বসে তিনি এমন মন্তব্য করেন।সিইসি বলেন, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব। একইভাবে কমিশনকে সহায়তা করা সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব। আমরা সে দায়বদ্ধতা থেকেই সংলাপের আয়োজন করেছি। ১৯৭০ থেকে আমরা নির্বাচন দেখে আসছি। ১৯৫৪ সালের নির্বাচন সম্পর্কেও আমরা জানি।তিনি বলেন, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন এক অর্থে সাম্প্রতিক। সংসদীয় পদ্ধতিতে সম্ভবত ১৯৯১ সাল থেকে নির্বাচন হচ্ছে। অতীতের অনেক নির্বাচন নিয়েই সমালোচনা বা তর্ক-বিতর্ক হলেও ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে অতিমাত্রায় সমালোচনা ও তর্ক-বিতর্ক হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের সমালোচনাও তীব্র ও তিক্ত। নিরপেক্ষ থেকে অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করে সমালোচনা ও বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকতে চাই।সিইসি বলেন, আমরা প্রায় চার-পাঁচ পর্বে সংলাপের আয়োজন করেছিলাম। সুধীজন তাদের মতামত উপস্থাপন করেন। নির্বাচনে অর্থশক্তি, পেশিশক্তির প্রভাব, নির্বাচনে সহিংসতা, ভোট কারচুপি, কেন্দ্র দখল, ব্যালট পেপার ছিনতাই করে বাক্স ভরাট করা, ভোটকেন্দ্রে বাধা প্রদান, আমলাতন্ত্রের পক্ষপাতিত্ব, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ভূমিকা, নির্বাচন কমিশনের নির্লিপ্ততা ইত্যাদি বিষয়ে মতামত উঠে এসেছে। আমরা মতামত পর্যালোচনা করে পরবর্তী সময়ে অবহিত করেছি।তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন অবাধ ও গ্রহণযোগ্য করতে চেষ্টা আন্তরিকভাবে করে যাব। এ সংলাপ বিশেষ গুরুত্ব বহন করবে। আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে বড় দল। বড় দলের কাছে প্রত্যাশাও বেশি থাকে। পরপর তিনবার সরকারে অধিষ্ঠিত। এজন্য সাধারণ জনগণ আওয়ামী লীগকে সরকারি দল বা ক্ষমতাসীন দল বলে থাকে। কিন্তু সংবিধানে সরকারি দল বা ক্ষমতাসীন দল বলে কোনো কথা নেই। আমি যদি ভুল বুঝে না থাকি, আওয়ামী লীগ আর দশটি দলের মতোই একটি রাজনৈতিক দল। সরকার একটি সাংবিধানিক রাষ্ট্রীয় সংগঠন। এটি অবস্থানের একটি দ্বিমাত্রিকতা।সিইসি আরও বলেন, অংশগ্রহণমূলক, অবাধ, নিরপেক্ষ এবং ভোটাধিকার প্রয়োগের নিশ্চয়তাসম্পন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সংবিধানের প্রতি অনুগত থেকে আইন ও বিধি-বিধান অনুসারে নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব পালন করবে। আমরা আশা করি, সবাই কমিশনকে সহায়তা করবে।তিনি বলেন, সংলাপে কিছু বিষয় উঠে এসেছে। অনেক পার্টি মনে করছে একদিনে নির্বাচন করা সমীচীন হবে না। ভারতের মতো পৃথক দিনে হওয়া উচিত। তারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অপ্রতুলতার কথা কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে। অনেকে বলেছে সেনাবাহিনী মোতায়েন করার জন্য। সেনাবাহিনীর জনমানুষের প্রতি আস্থা অনেক বেশি বলে তারা মনে করছে। আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি।তিনি আরও বলেন, আরেকটি বিষয়ে সংকট থেকে যাবে, তা হলো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)। ইভিএম নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে সমর্থন পেয়েছি। অধিকাংশ দল ইভিএম বিশ্বাস করছে না। এর ভেতরে কী জানি একটা আছে। আমরা অনেককেই আস্থায় আনতে পারছি না।সংলাপে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। দলে ছিলেন উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, কর্নেল ফারুক খান, ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। সিইসি ছাড়াও চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩১ জুলাই ২০২২


বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন সাড়ে ১৬ কোটি

বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন সাড়ে ১৬ কোটি

বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা আট কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন, নারীর সংখ্যা আট কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ১২ হাজার ৬২৯ জন। বহুল প্রতীক্ষিত জনশুমারি ও গৃহগণনায় দেশের জনগোষ্ঠীর এ ফলাফল মিলেছে।বুধবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রথম ডিজিটাল ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ ফলাফল জানানো হয়। সারাদেশে গত ১৫ জুন একযোগে শুরু হয় জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রম। গত ২১ জুন জনশুমারি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলায় বন্যা শুরু হওয়ায় এসব জেলায় শুমারি কার্যক্রম ২৮ জুন পর্যন্ত চলে।বিবিএস প্রতিবেদনে দেখা যায়, স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম শুমারিতে দেশের জনসংখ্যা ছিল ৭ কোটি ১৫ লাখ। এরপর ১৯৮১ সালে জনশুমারি অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময় মোট জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮ কোটি ৭১ লাখ ১৯ হাজার ৯৬৫ জনে। ১৯৯১ সালে দেশে মোট জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১০ কোটি ৬৩ লাখে।২০০১ সালে চতুর্থ আদমশুমারি ও গৃহগণনা করা হয়, এসময় জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১২ কোটি ২৪ লাখ। ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত পঞ্চম জনশুমারিতে দেখা যায়, দেশের জনসংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪ কোটি ৪০ লাখ। ষষ্ঠ ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এ বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন।বিবিএস-এর প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশে মোট তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ১২ হাজার ৬২৯ জন। বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ২২ শতাংশ, এক দশক আগে যা ছিল ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। দেশে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যা ঘনত্বের হার ১ হাজার ১১৯ জন এক দশক আগে যা ছির ৯৭৬ জন। এছাড়া ৯৮ জন পুরুষের বিপরীতে নারীর সংখ্যা ১০০ জন। ১০ থেকে তার বেশি বয়সী জনগোষ্ঠীর মধ্যে ২৮ শতাংশ অবিবাহিত এবং বিবাহিত ৬৫ শতাংশ। মোট জনংখ্যার ৯১ দশমিক ০৪ শতাংশ মুসলিম, হিন্দু ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ। দেশে মোট সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এছাড়া প্রতিবন্ধিতার হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ জুলাই ২০২২


সংবিধান সংশোধন নিয়ে যা বললেন সিইসি

সংবিধান সংশোধন নিয়ে যা বললেন সিইসি

সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, 'সংবিধান যদি কালকেই সংশোধন হয়, আমরা এর আওতায় পড়ে যাব। ১৮তম হলে তার আওতায় পড়ে যাব। ১৯তম হলেও আমরা তার আওতায় পড়ে যাব। এতে আমাদের কোনো অসুবিধা বা বিচলিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমরা অবশ্যই সংবিধান মান্য করব।’‘রাজনৈতিক শক্তি বা দল কিংবা রাজনৈতিক শরীক দলগুলো যারা আছে, তাদের নিজেদের তরফে চেষ্টাগুলো করে যেতে হবে। যাতে নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক পরিবেশটা ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য অনুকূল হয়। নির্বাচনের সময় সব দল ও অংশীজনের আন্তরিক কমিটমেন্ট প্রয়োজন।'নির্বাচনকে 'কঠিন কাজ' উল্লেখ করে সেটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে তা মোকাবিলা করতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।আজ সোমবার বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সঙ্গে সংলাপের সমাপনী বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।সিইসি বলেন, 'নির্বাচনের সময় যেটা হবে, তখন সরকার থাকবে। যে সরকারই হোক, একটা সরকার তো থাকবে। সরকার আমাদের সহযোগিতা করবে। আমরা সরকারের ওপর প্রাধান্য বিস্তার করতে পারব। আমরা বলব, এই এই সহযোগিতাগুলো আমাদেরকে দিতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি, সরকার তখন না করতে পারবেন না, তাহলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে।'তিনি আরও বলেন, 'আইনের আলোকেই আমরা সরকারের কাছ থেকে সহযোগিতা চাইব এবং সে বিষয়েও আমাদের ভূমিকাটা দেখবেন। আমাদের ওপরে আরোপিত ক্ষমতাটার কমান্ড আমার হাতে। কিন্তু, শক্তিটা পুলিশের হাতে, শক্তিটা বিজিবির হাতে, শক্তিটা সেনাবাহিনীর হাতে। শক্তিটা আমার হাতে নয়, কমান্ডটা আমার হাতে আছে। আমরা কমান্ড করলে যেন শক্তিটা রেসপন্স করে, সেই ধরনের অবস্থা আমাদেরকে সৃষ্টি করতে হবে। নির্বাচনের প্রয়োজনেই সেটি অপরিহার্যভাবে প্রয়োজন।'

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৫ জুলাই ২০২২


মারা গেছেন ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া

মারা গেছেন ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া

জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে দীর্ঘ নয় মাস চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (২২ জুলাই) দিনগত রাত ২টার দিকে তিনি মারা যান। এসময় তার বড় মেয়ে ফাহিমা রাব্বী রিটা এবং একান্ত সচিব তৌফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও গাইবান্ধা-৫ আসনের এই সংসদ সদস্য দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন।ফজলে রাব্বী মিয়া ১৯৪৬ সালের ১৫ এপ্রিল গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার গটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ফয়জার রহমান এবং মাতার নাম হামিদুন নেছা।১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ফজলে রাব্বী মিয়া মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন। তিনি ১১নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন। এছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বৈশ্বিক জনমত গড়ে তুলতে তিনি কাজ করেছেন।ফজলে রাব্বী মিয়া ১৯৮৬ সালের তৃতীয়, ১৯৮৮ সালে চতুর্থ, ১৯৯১ সালের পঞ্চম ও ১৯৯৬ সালে ১২ জুন সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৩ জুলাই ২০২২


'অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন জাতির স্বার্থে অনিবার্যভাবে জরুরী'

'অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন জাতির স্বার্থে অনিবার্যভাবে জরুরী'

অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনিবার্যভাবে জাতির স্বার্থে প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সঙ্গে সংলাপে এমন মন্তব্য করেন তিনি।সিইসি বলেন, আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রয়োজনীয়তা পুনর্ব্যক্ত করেই যাচ্ছি। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলকে অংশ নিতে বারবার আহ্বান জানাচ্ছি। অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনিবার্যভাবে জাতির স্বার্থে প্রয়োজন। সে লক্ষ্যে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।সিইসি আরও বলেন, নির্বাচনে প্রতিযোগিতা, প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রয়োজন। পক্ষ-প্রতিপক্ষের সক্রিয় অংশগ্রহণে নির্বাচনে একটি ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা হয়ে থাকে। এতে করে সম্ভাব্য অনিয়ম, কারচুপি, দুর্নীতি, অর্থ শক্তির বৈভব ও পেশি শক্তির প্রভাব বহুলাংশে নিয়ন্ত্রিত হতে পারে। এটা আমরা আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি।সংলাপে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম এ মুকিতের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২১ জুলাই ২০২২


সর্বাধিক পঠিত

বিএনপির জন্য অপেক্ষা করবে ইসি

বিএনপির জন্য অপেক্ষা করবে ইসি

নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেবে না বলে সাফ জানিয়েছে বিএনপি। তবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, এই দলের জন্য অপেক্ষা করবেন।আজ বুধবার সকালে নির্বাচন ভবনে গণতন্ত্রী পার্টির সঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি এ কথা জানান। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছে ইসি।আজ বিকেল তিনটায় বিএনপিকে সংলাপের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ইসি সূত্র জানায় দলটিকে জানিয়েছে তারা এই সংলাপে অংশ নেবে না।বিএনপি সংলাপে আসছে না এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সিইসি বলেন, 'আমরা ওয়েট করব।'বিএনপিকে সংলাপে আনার জন্য বিশেষ কোনো উদ্যোগ নেবেন কিনা জানতে চাইলে এর কোনো উত্তর দেননি সিইসি।সিইসি সাংবাদিকদের বলেন,এ পর্যন্ত যতগুলো পার্টি সংলাপে অংশ নিয়েছে, তাদের সকলের মনোভাব ইতিবাচক। ভোটাররা যাতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে বলেছেন তাঁরা। ইসিও তাদের এ ব্যাপারে নিশ্চিত করেছে।সিইসি আরও বলেন, ‘আমরাও বলেছি সত্যিকার অর্থে এটিই আমাদের একমাত্র দায়িত্ব যে প্রত্যেকটা ভোটার যেন ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। এটাই গণতন্ত্রের ভিত্তি। এ ক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।’সিইসি বলেন, প্রতিটি দলই বলেছে তারা ঐকমত্যে বিশ্বাস করে। ঐকমত্য তো হতেও পারে, নাও হতে পারে। কিন্তু ঐকমত্যের জন্য ইসি চেষ্টা চালিয়ে যাবে। রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যের চেষ্টা করলে ইসি আনন্দিত হবে বলেও জানান তিনি।এই সংলাপের মধ্য দিয়ে ইসির প্রতি রাজনৈতিক দলগুলোর অনাস্থা দূর হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ইসির প্রতি অনাস্থা সব সময় আছে বা নাই দুটোই জিনিস। আপনারা তো পেপারেই দেখছেন একটা দলের হয়তো অনাস্থা আছে। আবার আমাদের সঙ্গে যারা বসেছে তাদের প্রত্যেকের আমাদের প্রতি আস্থা আছে।’

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ জুলাই ২০২২


এবার ক্ষমা চাইলেন সিইসি

এবার ক্ষমা চাইলেন সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, কেউ তলোয়ার নিয়ে এলে প্রতিপক্ষকে রাইফেল নিয়ে দাঁড়ানোর কথা তিনি কৌতুক করে বলেছিলেন। তবে তিনি এ বক্তব্যের জন্য অনুতপ্ত। এ জন্য তিনি ক্ষমাও চেয়েছেন।আজ মঙ্গলবার ইসলামী ঐক্যজোটের সঙ্গে সংলাপের সমাপনী বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ওই দলটিকে এ কথা বলেন। এ সময় সিইসি গণমাধ্যমকেও দোষারোপ করেন। তিনি বলেন, গণমাধ্যম বুঝে না বুঝে আর ওই বক্তব্য প্রচার করে তাঁর মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে দিয়েছে। তিনি যদি 'মিন' করে এ বক্তব্য দিতেন তাহলে রাজনৈতিক দলগুলোকে অস্ত্র সংগ্রহ করতে বলতেন।হতাশা প্রকাশ করে সিইসি বলেন, তাঁর বাবা-মা পত্রিকা পড়তেন।বেঁচে থাকলে হয়তো পেপার পড়ে বলতেন ‘বাবু এত খারাপ পরামর্শ দিলে কেন? সিইসি পরামর্শ দেন, গণমাধ্যম বস্তুনিষ্ঠভাবে বলতে পারতো সিইসি হিউমার করে এমন কথা বলেছেন।একবার গণমাধ্যমকে দুষলেও পরে আবার সিইসি গণমাধ্যমকে সম্মান করেন বলে জানান। স্বচ্ছতা রক্ষার জন্য বিগত নির্বাচনগুলোতে ইসি মিডিয়াকে অবাধ সুযোগ দিয়েছে বলে জানান।ইসলামি ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আবুল হাসনাত আমিনীর নেতৃত্বে ঐক্যজোটের ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেন। সংলাপে বক্তব্যের সময় ‘তলোয়ার নিয়ে এলে আপনারা রাইফেল নিয়ে দাঁড়াবেন’ সিইসিকে এ ধরনের বিতর্কিত বক্তব্য না দেওয়ার পরামর্শ দেয় দলটি। পরে সমাপনী বক্তব্যে সিইসি তার জবাব দেন।এনডিএম-এর সঙ্গে সংলাপে এ ধরনের একটি বক্তব্য আসার বিষয়টি উল্লেখ করে সিইসি হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমার এক ভাই বলেছেন- ‘একটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। পরশু আমি বলেছিলাম যে, কেউ তলোয়ার নিয়ে এলে আপনারা রাইফেল নিয়ে দাঁড়াবেন’। এটা আপনাদের বুঝতে হবে একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এই কথাটি কখনো মিন করে বলতে পারেন না। আমি হয়তো অল্প শিক্ষিত। অল্পশিক্ষিত হলেও তারা এ ধরনের কথা বলতে পারেন না।’সিইসি আরও বলেন, ‘ববি হাজ্জাজ সাহেবের কথার পিঠে আমি হেসে বলেছি তলোয়ার দেখালে আপনি একটি বন্দুক নিয়ে দাঁড়াবেন। এটা হচ্ছে কথার পিঠে কথা। এটা কখনো একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার মিন করতে পারে না।আর যদি এটা আমি মিন করতে পারতাম- প্রথম দিন থেকেই সবাইকে বলতাম আপনারা অস্ত্র সংগ্রহ করবেন। আপনারা অস্ত্র সংগ্রহ করে নিজেদের শক্তিশালী করুন। আর এই কথাটি কখনো প্রথম দিন থেকে বলেছি বলে মনে পড়ে না।’

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ জুলাই ২০২২


আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে নিয়ে আসা ইসি'র চ্যালেঞ্জ

আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে নিয়ে আসা ইসি'র চ্যালেঞ্জ

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে ইসি একটা সংকটে পড়ে গেছে। কারণ একটি বড় দল বলছে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না। আরেকটি দল বলছে নির্বাচন হবে। সিইসি এটাও বলেছেন যে, নির্বাচনের নামে নাটক মঞ্চস্থ হোক তা তাঁরা কখনোই চাইবেন না।আজ সোমবার নির্বাচন ভবনে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে সিইসি এসব কথা বলেন।সিইসি বলেন, জনপ্রতিনিধিত্বমূলক সরকার হতে হবে। সেখানে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচনে অংশ নেওয়া ও নির্বাচন হওয়া নিয়ে দুই দলের কথায় অনাকাঙ্ক্ষিত, কাঙ্ক্ষিত যাই হোক রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে দ্বিধাদ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান সিইসি।যেভাবেই হোক গ্রহণযোগ্যভাবে নির্বাচন করার চেষ্টা করবেন বলে জানান সিইসি। তিনি বলেন, সুন্দর সংসদ ও সরকার গঠিত হোক এটা তাঁরা চান। আলোচনা ও সংগ্রামের মাধ্যমে বিএনপিকে দাবি প্রতিষ্ঠা করতে হবে বলেন তিনি। কারণ এটির সঙ্গে সংবিধান জড়িত।নির্বাচনের সময় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ইসির অধীনে আনার প্রস্তাব বাস্তবায়ন জটিল বলে মনে করেন সিইসি। তিনি বলেন, এর সঙ্গে জটিল সাংবিধানিক বিষয় জড়িত রয়েছে। এটি নিয়ে সব রাজনৈতিক দল নিজের মধ্যে সংলাপ করতে পারে। নির্বাচন কমিশনের অনেক ক্ষমতা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অতীতে হয়তো কোনো কারণে সেই ক্ষমতা পুরোপুরি প্রয়োগ করতে পারেনি। কিন্তু আমরা সেটি প্রয়োজনে প্রয়োগ করার চেষ্টা করব।সকালে স্বাগত বক্তব্যে সিইসি বলেন, বিএনপিসহ কয়েকটি দল আগাম অনাস্থা দিয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই। কী বিশেষ সুবিধা নিয়ে পক্ষপাতদুষ্ট হলাম তা বুঝতে পারছি না। বিএনপি যদি আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা বা অন্য কোনোভাবে নতুন ব্যবস্থাপনায় নির্বাচনে আসে, তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি থাকবে না।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ জুলাই ২০২২


এবার বাড়ছে ঢাকা ওয়াসার পানির দাম, এমডি থাকেন আমেরিকায়

এবার বাড়ছে ঢাকা ওয়াসার পানির দাম, এমডি থাকেন আমেরিকায়

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধগতির মধ্যেই এবার বাড়ছে ঢাকা ওয়াসার পানির দাম। আজ বৃহস্পতিবার সংস্থাটির বোর্ড সভায় আবাসিক ও বাণিজ্যিক পর্যায়ে পানির দাম ৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। এ নিয়ে গত ১৪ বছরে অন্তত ১৫ বার বাড়ানো হলো পানির দাম।ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের এপ্রিলে ও ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মিলে মোট দুই দফা পানির দাম বাড়ানো হয়। এ দুই দফায় আবাসিকে প্রতি ১ হাজার লিটারে পানির দাম বেড়েছিল ৩ টাকা ৬১ পয়সা (৩১ শতাংশ)। বাণিজ্যিকে বেড়েছিল ৪ টাকা ৯৬ পয়সা (১৩ শতাংশ)।বর্তমানে আবাসিক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ১ হাজার লিটার পানির দাম ১৫ টাকা ১৮ পয়সা। আর বাণিজ্যিক সংযোগের ক্ষেত্রে ১ হাজার লিটার পানির দাম বর্তমানে ৪২ টাকা। সেপ্টেম্বর থেকে এই দামের সঙ্গে ৫ শতাংশ অতিরিক্ত যুক্ত হবে।এদিকে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) দায়িত্ব অন্য কাউকে না দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বসে নিজেই অনলাইনে সেই দায়িত্ব পালন করতে চেয়েছিলেন সংস্থাটির বর্তমান এমডি তাকসিম এ খান। কিন্তু সংস্থাটির বোর্ড সদস্যদের তীব্র বিরোধিতার মুখে তাঁর এই আবদার পূরণ হলো না। বোর্ড সদস্যরা একমত হয়ে তাকসিম এ খানের আমেরিকায় বসে ‘ভার্চ্যুয়াল অফিসের’ আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ওয়াসার বোর্ড সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় উপস্থিত দুজন বোর্ড সদস্যের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।ঢাকা ওয়াসা পরিচালনা আইন অনুযায়ী সংস্থাটি নিয়ে সব নীতিনির্ধারনী সিদ্ধান্ত হয় ১৩ সদস্যের বোর্ড সভায়। আলোচ্যসূচিতে আজ নয়টি বিষয় ছিল। সভার একেবারে শেষ দিকে তাকসিম এ খানের ভার্চ্যুয়াল অফিসের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।ওয়াসার বোর্ড সদস্য ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব দীপ আজাদ জানিয়েছেন, তাকসিম এ খান যুক্তরাষ্ট্রে বসে দুই মাসের ভার্চ্যুয়াল অফিসের অনুমতি চেয়েছিলেন। তাঁকে সেই অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে তাঁকে দুই মাসের ছুটি দেওয়া হচ্ছে। এই দুই মাস তিনি পূর্ণ ছুটিতে থাকবেন, ভার্চ্যুয়ালি কোনো দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। তিনি ছুটিতে যাওয়ার আগে অন্য কাউকে ঢাকা ওয়াসার ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব দিয়ে যেতে হবে। এই সময়ে তিনি বেতন-ভাতা পাবেন কি না জানতে চাইলে দীপ আজাদ বলেন, তাঁর ছুটি পাওনা থাকলে তিনি পুরো বেতন-ভাতা পাবেন।ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ হলেও তাকসিম এ খান সরকারি বিধি অনুযায়ী ছুটির সুবিধা পাবেন। বিধি অনুযায়ী, বছরে ২০ দিন নৈমিত্তিক ছুটি ও প্রতি ১২ দিনে ১ দিন করে অর্জিত ছুটি পাবেন তাকসিম এ খান। ওয়াসার একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, সবশেষ ২০২০ সালে এমডি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তাকসিম এ খান কখনো ছুটি নিয়েছেন বলে তাঁদের জানা নেই। গত বছরের ২৫ এপ্রিল থেকে ২৪ জুলাই তিন মাস যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন। এই সময় তিনি ভার্চ্যুয়াল অফিসের অনুমতি নিয়ে গেছেন। সবশেষ স্পেনে এবং নেদারল্যান্ডসে দুটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গত ১৬ থেকে ২১ মে দেশের বাইরে ছিলেন তাকসিম। সে সময়ও তিনি ভার্চ্যুয়াল অফিস করেছেন, ছুটি নেননি।ওয়াসা সূত্র জানিয়েছে, প্রতিবারই দেশের বাইরে যাওয়ার আগে একটি অফিস আদেশ জারি করেন তাকসিম এ খান। ওই অফিস আদেশের মাধ্যমে তিনি অনলাইনে অফিস করার বিষয়টি জানিয়ে যেতেন এবং একজনকে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পক্ষে রুটিন দায়িত্ব পালন করতে বলতেন। তাই এখন পর্যন্ত কোনোবারই দেশের বাইরে যাওয়ার সময় কাউকে ভারপ্রাপ্ত এমডি করে যাননি তাকসিম এ খান। তাই এবার যদি কাউকে ভারপ্রাপ্ত এমডি করা হয়, তা হলে তা গত ১২ বছরের মধ্যে প্রথম ঘটনা হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৭ জুলাই ২০২২


অনেক দেশেই এখন বিদ্যুতের জন্য হাহাকার: শেখ হাসিনা

অনেক দেশেই এখন বিদ্যুতের জন্য হাহাকার: শেখ হাসিনা

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বেই তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘এখন আন্তর্জাতিক বাজারে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উপকরণগুলোর দাম অত্যাধিক বেড়েছে। অনেক দেশেই এখন বিদ্যুতের জন্য হাহাকার তৈরি হয়েছে। অনেক উন্নত দেশেও কিন্তু দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গেছে।’মঙ্গলবার ঢাকা সেনানিবাসে পিজিআর সদর দপ্তরে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এতে যুক্ত হন।শেখ হাসিনা বলেন, ‘একদিকে করোনার একটা অভিঘাত, তার ওপরে এসেছে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ। যার ফলে আজকে সমগ্র বিশ্বেই যেমন তেলের দাম বেড়েছে, অনেক দেশেই এখন বিদ্যুতের জন্য হাহাকার। সব কিছুর দাম বেড়েছে। কয়লা এখন পাওয়া যায় না।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইউক্রেন আর রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে পরিবহনের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। আগের মতো জাহাজ চলাচল করতে পারছে না। শুধু আমাদের দেশে না, প্রত্যেকটা দেশেই এখন জিনিসের ঘাটতি। এই সমস্যাটা দেখা দিয়েছে। সেখানে আমরা যদি একটু সাশ্রয় করে চলি, মিতব্যয়ী হই এবং নিজেরা নিজেদের সঞ্চয়টা বাড়াতে পারি তাতে যেকোনও সমস্যা মোকাবিলা করা যাবে। অর্থাৎ প্রতিটি পরিবারই যেন সঞ্চয়মুখী হয়, যে আমরা নিজেরা কিছু করবো।’করোনা সংক্রমণ প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন আবার একটু পাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।'

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ জুলাই ২০২২


বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা

বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা।সোমবার (৪ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে তিনি সমাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে তিনি দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর পুত্র ও আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়সহ তার পরিবারের সদস্য ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী আজ সোমবার (৪ জুলাই) সকাল ৮টার কিছুক্ষণ পরে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন। সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের টোল প্লাজায় টোল দেন।পরে সেতুর মাঝামাঝি গিয়ে পুত্র ও কন্যাকে নিয়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন। সেতু পার হয়ে জাজিরা প্রান্তের ফলকের সামনে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেখানে প্রায় আধাঘণ্টার মতো যাত্রা বিরতি নেয় প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর। যাত্রা বিরতি শেষে আবারও তারা টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা শুরু করেন।বিকালে হেলিকপ্টার যোগে ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ জুলাই ২০২২


সন্তানদের নিয়ে পদ্মা সেতুতে হাস্যোজ্জ্বল প্রধানমন্ত্রী

সন্তানদের নিয়ে পদ্মা সেতুতে হাস্যোজ্জ্বল প্রধানমন্ত্রী

ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে সঙ্গে নিয়ে পদ্মা সেতু হয়ে সড়কপথে প্রথমবারের মতো টুুঙ্গিপাড়া গেছেন প্রধানমন্ত্রী।সোমবার (৪ জুলাই) সকাল আটটায় গণভবন থেকে রওনা হয়ে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে পৈত্রিক বাড়িতে প্রবেশ করেন তিনি।এর আগে সকাল আটটা ৪৮ মিনিটে মাওয়া টোল প্লাজায় পদ্মা সেতুর টোল দিয়ে ওঠেন সেতুতে।ব্রিজের মাঝামাঝি গিয়ে সন্তানদের নিয়ে কিছু সময় পার করেন শেখ হাসিনা। সে সময় মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের ক্যামেরায় ছেলের সঙ্গে সেলফি তোলেন প্রধানমন্ত্রী।পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সজীব ওয়াজেদ জয় তার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ ছবি পোস্ট করেছেন।সকাল সোয়া ৯টার দিকে প্রধানমন্ত্রী জাজিরা প্রান্তে যান এবং সেখানে ফলকের সামনে কিছু সময় দাঁড়ান। এরপর প্রায় ৪০ মিনিট বিশ্রাম নেন জাজিরা প্রান্তের সার্ভিস এরিয়া-২ এ। সোয়া ১০টায় সেখান থেকে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন প্রধানমন্ত্রী।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ জুলাই ২০২২


পদ্মা সেতুতে চালু হচ্ছে না মোটরসাইকেল

পদ্মা সেতুতে চালু হচ্ছে না মোটরসাইকেল

ঈদুল আজহার আগে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চালুর কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।রোববার (৩ জুলাই) মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পদ্মা সেতুতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন ক্যামেরা ও স্পিডগান বসবে। এরপর হয়তো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বাইকের বিষয়ে। তবে ঈদের আগে মনে হয় না এটা হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৩ জুলাই ২০২২


প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে চাই: প্রধানমন্ত্রী

প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে চাই: প্রধানমন্ত্রী

নির্বাচনের সময় জনগণের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ক্ষমতায় গিয়ে ভুলে যায়নি মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের উন্নয়ন পরিকল্পনা একেবারে তৃণমূল থেকে। বিশেষ করে আমাদের লক্ষ্যটা হলো আমরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছি তা বাস্তবায়ন করতে চাই।রোববার মন্ত্রণালয়/বিভাগগুলোর ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর এবং ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন পুরস্কার ২০২২’ ও ‘শুদ্ধচার পুরস্কার ২০২২’ বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব বলেন তিনি।রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, উন্নয়ন কাজের সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন সবাইকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আপনারা আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করেছেন বলেই আমরা কাজটা করতে পেরেছি।শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের লক্ষ্যটা হলো আমরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছি সেটা আমরা বাস্তবায়ন করতে চাই। আমরা রাজনীতি করি, আমাদের দল আছে। আমরা যখন নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সময় একটা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করি।প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশগুলো দেয়নি, আমরা বিনাপয়সায় সবাইকে করোনা টেস্ট ও ভ্যাকসিন দিয়েছি। বুস্টার ডোজও দেওয়া হচ্ছে। আমি আশা করি সবাই এ ভ্যাকসিন নেবেন।এ সময় মুজিব বর্ষের গৃহনির্মাণ কর্মসূচির বাস্তবায়নের সঙ্গে জড়িতদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান সরকার প্রধান।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৩ জুলাই ২০২২


গণমাধ্যমের সহযোগিতা চান রেলমন্ত্রী

গণমাধ্যমের সহযোগিতা চান রেলমন্ত্রী

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটতে ভোগান্তির শিকার হলে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। এ বিষয়ে তথ্য জানাতে গণমাধ্যমের সহযোগিতা চান তিনি।মন্ত্রী বলেন, ঈদুল ফিতরের সময় অনলাইনে টিকিট কাটতে বিভিন্ন অভিযোগ ছিল। তবে এবার এখন পর্যন্ত সে ধরনের অভিযোগ পাইনি। গণমাধ্যমে দেখলাম অনেকেই অনলাইন মাধ্যমে টিকিট কাটতে পেরেছেন। এরপরও এবার অনলাইন টিকিটে ফাঁকফোকর পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।শনিবার (২ জুলাই) কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীদের জন্য উন্নতমানের ট্রলি সরবরাহ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। চীন থেকে আমদানি করা উন্নতমানের ৫০টি ট্রলি হস্তান্তর করে বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড।রেলমন্ত্রী বলেন, এক সময়ে স্টেশনগুলোতে যাত্রীদের মালামাল আনা-নেওয়া করতেন কুলিরা। এখন সেটা নেই। স্টেশনে লাগেজ-ব্যাগ আনা-নেওয়ায় অত্যন্ত উন্নতমানের ট্রলি উপহার দিয়েছে ইসলামী ব্যাংক। প্রধানমন্ত্রী রেল মন্ত্রণালয়কে ঢেলে সাজাতে চান। রেল মন্ত্রণালয়ে এবার ১৯ হাজার কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আগামী বছরের মধ্যে কক্সবাজার যাবো (রেললাইন সম্পন্ন হবে), ঢাকা থেকে ভাঙ্গা যেতে পারবো।তিনি বলেন, কয়েকদিন পর ঈদুল আজহা, যাত্রীদের প্রধান চাহিদা এখন ট্রেন। এবার পোশাক কারখানার শ্রমিকদের জন্য বিশেষ ট্রেন থাকছে। জয়দেবপুর থেকে ওই ট্রেনের টিকিট নেওয়া যাবে।মন্ত্রী বলেন, আমাদের ডুয়েলগেজ ৬০টি কোচ আসছে। আরও ১০০টি পাইপলাইনে আছে। ডাবল লাইন এবং পদ্মা সেতু হয়ে গেলে আমাদের সক্ষমতা আরও বেড়ে যাবে। তখন নিরাপদে সব যাত্রী ট্রেনের মাধ্যমে নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে পারবেন।অনুষ্ঠানে ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মনিরুল মওলা বলেন, ৪০ বছরের ব্যবধানে ব্যাংকিং সেক্টরে আমরা নাম্বার ওয়ান। সারাদেশ একটি মেডিকেল কলেজ, ৫টি নার্সিং ইনস্টিটিউটসহ ১৯টি হাসপাতাল আছে। জাতির প্রয়োজনে সব সেক্টরে সহযোগিতা করবে ইসলামী ব্যাংক। আজকে তারই ধারাবাহিতায় রেলওয়ের যাত্রীদের জন্য ট্রলি উপহার দিচ্ছি।এসময় রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার, ইসলামী ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ম্যানেজার মিজানুর রহমান ভূঁইয়াসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊধ্র্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ জুলাই ২০২২


গ্রামীণফোন সিম বিক্রয়ে নিষেধাজ্ঞা বিটিআরসির

গ্রামীণফোন সিম বিক্রয়ে নিষেধাজ্ঞা বিটিআরসির

মানসম্মত সেবা দিতে না পারায় গ্রামীণফোনের সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।বুধবার (২৯ জুন) দুপুরে নিষেধাজ্ঞা অনুমোদনের পর বিটিআরসি এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা গ্রামীণফোনে পাঠিয়েছে।এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, যতদিন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি সেবার মান না বাড়াবে ততদিন এই নিষেধাজ্ঞা চলবে। কারণ এর আগেও তাদের অনেকবার সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।এদিকে গত ৩১ মার্চ সবশেষ নিলামে সবচেয়ে বেশি তরঙ্গ (৬০ মেগাহার্টজ) কেনে গ্রামীণফোন।এর আগে গ্রামীণফোনের হাতে ছিল ৪৭ দশমিক ৪০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ। সব মিলিয়ে অপারেটরটির তরঙ্গের পরিমাণ ১০৭ দশমিক ৪০ মেগাহার্টজ হয়েছে। যদিও বাকি অপারেটরদের মতো গ্রামীণফোনও নতুন বরাদ্দ পাওয়া তরঙ্গ ব্যবহার করতে পারছে না। আগামী ডিসেম্বর থেকে অপারেটরগুলো তরঙ্গ ব্যবহার করতে পারবে বলে জানা গেছে।বর্তমানে এক মেগাহার্টজ তরঙ্গে ১৪ লাখ গ্রাহককে সেবা দিচ্ছে গ্রামীণফোন। অন্যান্য অপারেটরের চেয়েও যা বেশি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ জুন ২০২২


আগামী দিনে দেশকে নেতৃত্ব দিতে তোমরা তৈরি হও,নতুন প্রজন্মকে প্রধানমন্ত্রী

আগামী দিনে দেশকে নেতৃত্ব দিতে তোমরা তৈরি হও,নতুন প্রজন্মকে প্রধানমন্ত্রী

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের সোনার ছেলে-মেয়েরা, আগামী দিনে দেশকে নেতৃত্ব দিতে তোমরা তৈরি হও। তোমরা তোমাদের মেধা বিকাশ করবে এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। দেশ যেন আর পিছিয়ে না থাকে, এগিয়ে যায়।রোববার (২৬ জুন) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ ২০২২-এ সেরা মেধাবীদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন।শেখ হাসিনা বলেন, বিজ্ঞান চর্চা ও প্রযুক্তি জ্ঞানের মাধ্যমে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।তিনি বলেন, মেধা অন্বেষণ একটি চমৎকার ব্যবস্থা। এর মধ্য থেকে অনেক সুপ্ত জ্ঞান বেরিয়ে আসবে, যা আমাদের দেশের আগামী দিনের উন্নয়নে কাজে লাগবে।সরকার প্রধান বলেন, মনে রাখতে হবে দেশ এখানেই থেমে থাকবে না। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে মাত্র সাড়ে ৩ বছরের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশে উন্নীত করে দিয়ে গিয়েছিলেন। এরপর প্রায় ২১ বছর কোনো অগ্রগতি সাধিত হয়নি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেশের মানুষের অগ্রগতি সাধিত হয়।তিনি বলেন, ড. কুদরত-ই-খুদাকে প্রধান করে বঙ্গবন্ধু একটি শিক্ষা কমিশন গঠন করেন। সেই কমিশন একটি নীতিমালা প্রণয়ন করেছিল। সেটা জাতির পিতার হাতেও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে নির্মমভাবে হত্যার পর সেই কমিশনের নীতিমালা আর কখনো আলোর মুখ দেখেনি। আর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কারণ, তখন ‘মার্শাল ল’ জারি করা হয়। ‘মার্শাল ল’ দিয়ে দেশ পরিচালনা করা হয়েছিল। এটাই হলো সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্যের বিষয়।শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে মিলিটারি ডিকটেটররা মেধাবী ছাত্রদের হাতে অস্ত্র-অর্থ-মাদক তুলে দিয়ে তাদের লাঠিয়াল বাহিনী তৈরি করে। এই বাহিনীর মাধ্যমে তারা ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করার চেষ্টা করে। এ কারণে বছরের পর বছর সেশন জট হয়। ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার সুযোগ অনেকটা সীমিত হয়ে পড়ে।তিনি বলেন, ২১ বছর পর ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। সরকার গঠনের পর থেকে আমাদের প্রচেষ্টা ছিল, ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি করা। গ্রেডিং পদ্ধতি নিয়ে আসা, শিক্ষাকে আধুনিকায়ন করা। আধুনিক প্রযুক্তি শিক্ষা, কম্পিউটার শিক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ নেই। পাশাপাশি গবেষণার ওপর আমি গুরুত্ব দেই। যেটা আমি লক্ষ্য করেছিলাম, গবেষণার জন্য বাজেটে আলাদা কোনো অর্থ দেওয়া হতো না। গবেষণার উৎসাহ দেওয়া হতো না। শুধু নিয়ম মাফিক যেটুকু গবেষণা শুধু সেটুকুই হতো।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯৬ সালে যখন আমি সরকার গঠন করি, প্রথম পর্যায়ে আমি ১২ কোটি টাকা দিয়েছিলাম গবেষণায়। বিশেষ করে তখন খাদ্যের জন্য আমরা যে পরনির্ভরশীল ছিলাম, ৪০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি ছিল, সেখানে আমি কৃষি গবেষণাকে গুরুত্ব দেই। যাতে করে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারে।তিনি বলেন, আমি একটি কথা বলব, আমাদের ছেলে-মেয়েদের অনেক মেধা আছে। আমাদের নতুন প্রজন্ম প্রযুক্তির যুগে জন্মগ্রহণ করছে। তাদের ভেতরে অনেক মেধা। তাদের সেই সুপ্ত মেধাগুলো অন্বেষণ করতে হবে। সেই মেধা আগামী দিনের বাংলাদেশকে উন্নত করার কাজে ব্যবহার করতে হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৬ জুন ২০২২