ফিচার


আগামী ২২ মার্চ থেকে শুরু পবিত্র মাহে রমজান

আগামী ২২ মার্চ থেকে শুরু পবিত্র মাহে রমজান

আগামী মার্চের শেষের দিকেই শুরু হতে যাচ্ছে মুসলিমদের মহিমান্বিত মাস রমজান। যদিও সিয়াম সাধনার এ মাস শুরু শুধুমাত্র চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল।তবে আগামী ২৩ মার্চ, বৃহস্পতিবার রমজান মাস শুরুর সম্ভাব্য তারিখ হতে পারে। আর ঈদ-উল-ফিতর ২১ এপ্রিল, শুক্রবার হতে পারে।ইসলামি জ্যোতির্বিদদের বরাত দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদ মাধ্যম গালফ নিউজের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।জ্যোতির্বিদদের হিসেব অনুযায়ী, পবিত্র মাহে রমজান আসতে এখনো চার মাসেরও বেশি সময় বাকি।যদিও পবিত্র রমজান মাস ও ঈদের সুনির্দিষ্ট তারিখ চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। চাঁদ দেখার ভিত্তিতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।আরব আমিরাতের জ্যোতির্বিদদের হিসেব অনুযায়ী, পবিত্র রমজান মাস আগামী বছরের ২৩ মার্চ, বৃহস্পতিবার শুরু হবে এবং শেষ হতে পারে ২০ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ ডিসেম্বর ২০২২


কবি খোকন সরদারের কবিতার বই ”একবস্তি” মোড়ক উন্মোচন

কবি খোকন সরদারের কবিতার বই ”একবস্তি” মোড়ক উন্মোচন

২৭ নভেম্বর সকালে বাংলাদেশ মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়ে, সংগঠক, মানবাধিকার কর্মী, চিত্রশিল্পী কবি খোকন সরদারের কবিতার বই “একবস্তি'র” মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান, উদ্বোধন করেন, অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান,প্রফেসর ড.মোঃ আব্দুর রহিম খান,পিপিএম, সাবেক অতি. আইজিপি বাংলাদেশ পুলিশ।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব,কবি ও রবিউল ইসলাম সোহেল, ইনডেক্স গ্রুপের পরিচালক মানবাধিকার বন্ধু তাওহিদ খান,ক্লাসিকাল সংগীত শিল্পী রাজা বশির, ইব্রাহিম খলিল, বিএমএফ ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মোঃ ছলিম উদ্দিন, ফাউন্ডেশনের গাজীপুর মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক রন্জুল ইসলাম রনজু, লালমাটিয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যাপক কবি সৈয়দা নাজনীন আকতার,অনুষ্ঠানটির গ্রন্থনা ও উপস্থাপনায় উপস্থিতি ছিলেন চলচ্চিত্র ও সামাজিক ব্যক্তিত্ব, প্রযোজক অভিনেতা ও মানবাধিকার কর্মী তামান্না সুলতানা।এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের দপ্তর সম্পাদক মোঃ আসাদ খান, মনিটরিং এম এ আল মামুন, গাজীপুর জেলা বাংলাদেশ মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক রন্জুল ইসলাম রন্জু সহ আরো আনেকে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ নভেম্বর ২০২২


আপনার জন্ম একটি নতুন সময়ের ইংগিত : রাসেল আশেকী

আপনার জন্ম একটি নতুন সময়ের ইংগিত : রাসেল আশেকী

পথবিন্দু থেকে রক্তবিন্দুর সিংহাসন অবধি বাংলাদেশ ছাপিয়ে বিশ্বমানবতার জননী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আপনার প্রতি নিবেদিত এই কবিতা।পথের দূর্বাঘাসও আপনাকে চেনেআপনাকে চেনে তালগাছে ঝুলে থাকা বিরল বাবুইপাখি খুব বেশি চেনে ভোরের কাক ও কোকিলের চোখআর দোয়েলের শিসে দোল খাওয়া ঝিঙেফুল মৌমাছি।অমন চেনার সরলতায় ফড়িং প্রজাপতিতুলতুলে ডানায় আপনাকে দেখায়, আর বলে, 'ভূমণ্ডলে আপনার তুলনা আপনি, আপনার বিকল্প আপনি, আপনার কর্ম অশেষ, আপনি দাঁড়ালে দাঁড়ায় বাংলাদেশ।'আর কই মাছের ফুসফুস থেকে বেরোনো বাতাসপ্রবল জীবনীশক্তির মধুর বিস্ময়ে জানায়'আপনি সেই রত্নগর্ভের সুযোগ্য পরমাবিমূর্ত থেকে মূর্ত যুগের আলোকবর্তিকা।'এখনো আপনি অমল পুরাণের সেই দুর্গতিনাশিনীআর ইতিহাসের নেফারতিতির মতন স্বজাতির মুখে হাসি ফোটাতেই সমপৃথিবীর জনসমুদ্রে একাই এক উন্নত শির দেশমাতৃকা! যেদিকে তাকান সেদিকেই আলোর ভুবনযেখান থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন সেখানেই আঁধার ভীষণ!যেভাবে আপনার আত্মার অশ্রুতে-ভরা নদীও জেগে ওঠে পৃথিবীর সবুজে, ক্ষমাও হতে থাকে ভালোবাসার বিকল্প শক্তি! কেননা, আপনার জন্ম একটি নতুন সময়ের ইংগিত আর পিতার মহাস্বপ্নের মুক্তি। যে মুক্তির অনন্ত আলোয় জেগে উঠছে একটি সাহসী মানুষভূমি, আপনি সেই সাহসী মানুষভূমির মমতাময়ী জননী। সালাম সালাম সালাম হে বিশ্বমানবতার জননীসালাম আপনার প্রতি।শুভ জন্মদিন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২


শুভ জন্মদিন মানবতার আলোকবর্তিকা দেশরত্ন শেখ হাসিনা

শুভ জন্মদিন মানবতার আলোকবর্তিকা দেশরত্ন শেখ হাসিনা

বর্তমান বিশ্বের অন্যতম প্রাজ্ঞ, দূরদর্শী ও সফল রাষ্ট্রনায়ক গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার শুভ জন্মদিনে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শ্রদ্ধা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা, হিমাদ্রী শিখর সফলতার মূর্ত-স্মারক, বাংলাদেশের উন্নয়নের কান্ডারি রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন আজ। শুভ জন্মদিন মানবতার আলোকবর্তিকা জননেত্রী শেখ হাসিনা। এই শুভ জন্মদিনে--আপনার সু-স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মধুমতি নদী বিধৌত গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়ায় পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ও মাতা বেগম ফজিলাতুননেসা মুজিবের কোলজুড়ে আসেন বঙ্গপাড়ের এ অগ্নিকন্যা। পাঁচ ভাই-বোন। কনিষ্ঠদের মধ্যে শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রেহানা এবং শেখ রাসেল। তিনি বাবা-মায়ের প্রথম সন্তান। শৈশব-কৈশোর কেটেছে দাদা-দাদির কোলে-পিঠে, বাইগার নদীর তীরে। পিতা শেখ মুজিবুর রহমান জেল-জুলুম, রাজরোষ ছিল তার নিত্য সহচর।ব্যক্তিজীবনে মরহুম পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন। তাদের দুই সন্তান-তথ্য-প্রযুক্তিবিদ সজীব ওয়াজেদ জয় এবং আন্তর্জাতিক অটিজম বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।সরল সহজ সাদামাটা জীবনের অধিকারী শেখ হাসিনার গোটা জীবন নানা আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অতিক্রম হয়েছে। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী।১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালো রাতে পিতা বঙ্গবন্ধু এবং মা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ সবাই ঘাতকদের হাতে নির্মমভাবে শহীদ হন। এ হত্যাকান্ডের ভিতর দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি কালো অধ্যায়ের সূচনা হয়। সে অবস্থার পরিবর্তন হয় ১৯৮১ সালের ১৭ মে। সেদিন বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন সর্বস্বহারা শেখ হাসিনা। কান্ডারিবিহীন, দিগভ্রান্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে দেশে ফিরে আসেন তিনি। সে সময়ে দেশের বাইরে ছিলেন বলেই ঘাতকের বুলেট তাকে তখন স্পর্শ করতে পারেনি। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ দেশের সব মানুষেরই ভরসা ছিল এই যে, একদিন ফিরবেন তিনি। পিতার আদর্শ বাস্তবায়নে এগিয়ে নেবেন দলকে, সর্বোপরি দেশকে। বাংলা মায়ের সন্তান তিনি। ফিরে এলেন আবার সেই মায়েরই কোলে।জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। তার নামের আগে পরে কোন বিশ্লেষণ যোগ করার দরকার হয় না। এক কঠিন সংগ্রামের পথ বেয়ে নিজ প্রতিভায় বিকশিত তিনি। বিশ্বমানবের আশা-আকাংখা প্রতীকে পরিণত আজ তিনি। প্রায় ৪০ বছর ধরে একটানা দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে থাকা, তিন-তিনবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়া রূপকথার বিস্ময়কর কাহিনীর মতো যেন। তিনি বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। শেখ হাসিনা নব্বইয়ের ঐতিহাসিক গণআন্দোলনে নেতৃত্ব প্রদান করেন এবং এই আন্দোলনের মুখে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর এরশাদ সরকার পদত্যাগে বাধ্য হয়। পিতার মতো দুর্জয় সাহস নিয়ে দেশের রাজনীতি ও জনগণের পক্ষে নিজের দৃঢ় অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছেন, যুদ্ধ করছেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখনও এগিয়ে চলছেন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মতো ১৯ বার তাকে হত্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে।এই তিনিই আজকের জননেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী এবং একইসঙ্গে বিশ্ব নেত্রী, বিশ্ব নেতৃত্বের আসনে নিজেকে সমাসীন করার জন্য প্রস্তুতি পর্ব সমাপণ করে সমুখে শান্তি পারাবার নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন দৃঢ় ও দীপ্ত পদক্ষেপে। নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অনেক উচ্চতায় তিনি নিয়ে গেছেন, যে কারণে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের জন্য রোল মডেল।বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে আরো মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবেন এই প্রত্যাশায় হেরাল্ড অফ চেঞ্জ, মাদার অফ হিউম্যানিটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করছি। তিনি ভালো থাকলে ভালো থাকবে দেশ, ভালো থাকবে দেশের ১৬ কোটি মানুষ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয় শেখ হাসিনা।লেখক- আদম তমিজি হকসদস্য, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, হক গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মানবিক বাংলাদেশ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২


পিপলএনটেকের প্রেসিডেন্ট ফারহানা হানিপের পদ্মা সেতু ভ্রমণ

পিপলএনটেকের প্রেসিডেন্ট ফারহানা হানিপের পদ্মা সেতু ভ্রমণ

পিপলএনটেক ইনস্টিটিউট অফ আইটির প্রেসিডেন্ট ও ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সাইন্স এন্ড টেকনোলজির সিএফও ফারহানা হানিপ গতকাল (৯ আগস্ট) বাংলাদেশের বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু ভ্রমণ করেন। এ সময় বাংলাদেশে অবস্থিত পিপলএনটেকের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীরাও উপস্থিত ছিলেন। পদ্মা সেতু ভ্রমণ শেষে মুন্সিগঞ্জের ঢালি'স আম্বার রিসোর্টে মধ্যাহ্ন ভোজনের মাধ্যমে একটি বনভোজনের আয়োজন করেন।প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট ফারহানা হানিপ বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠান উদ্বোধন ঘোষণা করেন।এসময় পদ্মা সেতু পরিদর্শনে আরো উপস্থিত ছিলেন পিপলএনটেক ইনস্টিটিউট অফ আইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাশরুল হোসেন খান লিওন। ভ্রমণ শেষে বিকেলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রিসোর্টে বিশ্রাম, সুইমিং, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।পিপলএনটেক কর্মীদের অংশগ্রহণে ছেলেদের ফুটবল খেলা, চোখ বেঁধে হাড়িভাঙ্গা, মেয়েদের চামচে মার্বেল নিয়ে দৌড় এবং কেউ নিতে চায় না খেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।খেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন পিপলএনটেক প্রেসিডেন্ট ফারহানা হানিপ। খেলা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরন করেন।এসময় তিনি ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি ও পিপলএনটেকের বাংলাদেশের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের একসাথে কাজ করার আহবান জানান এবং ভবিষ্যতে কাজের গতি আরো বাড়বে জানিয়ে পিপলএনটেক ও ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির ভবিষ্যত সফল করার সহযোগিতা কামনা করেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১১ আগস্ট ২০২২


বিজয় লক্ষী নারী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব

বিজয় লক্ষী নারী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব

কোন রনে কত খুন দিল নর, লেখা আছে ইতিহাসে। কত নারী দিল সিথীর সিদুর, লেখা নাই তার পাশে।কত মাতা দিল হৃদয় উপারি, কত বোন দিল সেবা।বীরের স্মৃতির স্থম্ভের গায়ে, লিখিয়া রাখিছে কে বা?কোন কালে একা হয়নিকো জয়ী, পুরুষের তরবারি। প্রেরণা দিয়েছে, শক্তি দিয়েছে, বিজয় লক্ষী নারী।।জাতিরপিতার ছায়াসঙ্গী থেকে যে নারী, জাতির পিতাকে সাহস জুগিয়েছেন, প্রেরণা জুগিয়েছেন, পরামর্শ দিয়েছেন, তিনি বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।আজ ৮ আগস্ট সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিন। ১৯৩০ সালের এ দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।তাঁর ডাক নাম ছিল ‘রেনু’। পিতার নাম শেখ জহুরুল হক ও মাতার নাম হোসনে আরা বেগম। দাদা শেখ কাসেম চাচাত ভাই শেখ লুৎফর রহমানের ছেলে শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে বেগম ফজিলাতুন্নেছার বিয়ে দেন। গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা নেন। এরপর সামাজিক রীতি-নীতির কারণে গ্রামে গৃহশিক্ষকের কাছে লেখাপড়া করেন। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনে তার সহধর্মিনী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব তাকে সাহস দিয়েছেন। পাশে থেকে নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক ব্যস্ততা ও কারাজীবনে পরিবারের হাল ধরা, আত্মীয়-স্বজন ও সামাজিক পরিসরে যোগদান করা, ছেলেমেয়েদের দেখাশোনা, লেখাপড়ার সব দায়িত্বই তিনি নিজের হাতে নিয়েছিলেন।বঙ্গবন্ধু কারাঅন্তরীণ হলে দলীয় নেতাকর্মীদের সুখ-দুঃখের সাথী হয়ে তাদের খোঁজখবর রাখতেন ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। স্বামীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি সন্তানদের গড়ে তোলেন। রাজনৈতিক জীবনের অনেক জটিল সংকট পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে পরামর্শ দিতেন এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহযোগিতা করতেন তিনি। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করার পর তদানীন্তন পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করে গ্রেফতারের হুমকি দেয়।বাঙালি জাতির সুদীর্ঘ স্বাধীকার আন্দোলনের প্রতি পদক্ষেপে সক্রিয় সহযোগিতা করেছেন তিনি। স্বামীর আদর্শ বাস্তবায়ন করবার জন্য ছায়ার মতো তাকে অনুসরণ করেছেন।বঙ্গবন্ধু জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ সময় বছরের পর বছর কারাগারে কাটিয়েছেন। তাঁর অবর্তমানে মামলা পরিচালনার ব্যবস্থা করা, দলকে সংগঠিত করতে সহায়তা করা, আন্দোলন পরিচালনায় পরামর্শ দেওয়াসহ প্রতিটি কাজে তিনি যুক্ত থেকেছেন ফজিলাতুন্নেসা। আন্দোলন চলাকালে তিনি প্রতিটি ঘটনা জেলখানায় সাক্ষাৎকারের সময় বঙ্গবন্ধুকে জানাতেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও নির্দেশ নিয়ে আসতেন, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগকে সে নির্দেশ জানাতেন। নেপথ্যে থেকে তিনি ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছিলেন। তিনি পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার চোখ বাঁচিয়ে সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতেন।১৯৭১-এর ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হওয়ার পর বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হানাদার বাহিনীর চোখ এড়িয়ে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, শেখ জামাল, শেখ রাসেল প্রমুখ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অবরুদ্ধ ঢাকা শহরে আত্মগোপন করেন। কিন্তু পাক বাহিনী ক্ষিপ্ত হায়েনার মতো তাঁদের খুঁজে বেড়ায়। কিছু দিন বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়ে পালিয়ে থাকলেও শেষাবধি পাকিন্তানি সামরিক গোয়েন্দারা তাদের মগবাজারের একটি বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। এর পর বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে পরিবারের অপরাপর সদস্যদের সঙ্গে ধানমন্ডির ১৮ নং সড়কের একটি বাড়িতে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয় এবং পাক বাহিনীর আত্মসমর্পনের পর ১৯৭১-এর ১৭ ডিসেম্বর তাদের বন্দিদশার অবসান ঘটে। এই মহীয়সী নারী জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে দেশ ও জাতির সেবা করে গেছেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার সময় পরিবারের অপরাপর সদস্যদের সঙ্গে বেগম মুজিবকেও মানবতার শত্রু, ঘৃণ্য ঘাতক, দুশমনের দল নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে।বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের প্রতিটি ধাপে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী হিসেবে নয়, একজন নীরব দক্ষ সংগঠক হিসেবে যিনি নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে বাঙালির মুক্তি সংগ্রামে ভূমিকা রেখেছেন এবং বঙ্গবন্ধুকে হিমালয় সমআসনে অধিষ্ঠিত করেছেন তিনি বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।সেই মহীয়সী নারীর জন্মদিনে, উনাকে স্মরণ করছি অতল শ্রদ্ধায়।লেখক - কৃষিবিদ দীপক কুমার বনিক দীপু। সদস্য, কেন্দ্রীয় উপকমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ আগস্ট ২০২২


মাসে বেতন ৫ লাখ তবু শ্রমিক মিলছে না অস্ট্রেলিয়ায়

মাসে বেতন ৫ লাখ তবু শ্রমিক মিলছে না অস্ট্রেলিয়ায়

দিনে কাজ করতে হবে মাত্র ৬ ঘণ্টা। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত। এর জন্য প্রতি মাসে বেতন দেওয়া হবে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ইউরো। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৫ লাখ টাকা। কিন্তু এরপরও লোক পাওয়া যাচ্ছে না।শুনতে বেশ অবাক লাগলেও শ্রমিকের অভাবে এমন ঘটনারই সাক্ষী হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। এতে করে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়তে যাচ্ছেন দেশটির লেবু চাষীরা। গত ১ জুলাই এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সানপ্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিনে মাত্র ৬ ঘণ্টা কাজের জন্য শ্রমিক খোঁজা হচ্ছে। কাজ গাছ থেকে পাকা লেবু তুলতে হবে। কিন্তু সেই কাজের জন্য পর্যাপ্ত লোক পাওয়া যাচ্ছে না। এর জেরে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ায় লেবু চাষের সঙ্গে যুক্তদের।আর তাই অস্ট্রেলিয়ার এক সংসদ সদস্য এই কাজে এগিয়ে আসতে কর্মীদের কাছে আবেদন করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার সেই আইনপ্রণেতার পোস্টে সাড়াও মিলেছে প্রচুর। কিন্তু কাজ করার জন্য কর্মী তেমন মেলেনি। কর্মীর অভাবেই প্রচুর লেবু পড়ে নষ্ট হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওই এমপি।অস্ট্রেলিয়ার সংসদ সদস্য অ্যানি ওয়েবস্টার জানিয়েছেন, লেবুর ফার্মে প্রচুর পাকা লেবু মাটিতে পড়ে নষ্ট হচ্ছে। এর জেরে লাখ লাখ টাকা নষ্ট হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।ব্যাপারে ওই আইনপ্রণেতা বলেছেন, ‘সানরেশিয়ার লেবু উৎপাদকরা খুব সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। ভালো লেবু বাজারে পাঠাতে হবে। লেবুর উৎপাদনেও কমতি নেই। গাছে লেবু হয়েছে প্রচুর। কিন্তু সেই লেবু তুলে বাজারের পাঠানোর জন্য লোকের অভাব। পাকা লেবু মাটিতে পড়ে গেলে সবটাই নষ্ট।’তিনি আরও বলেছেন, ‘লেবু তোলার কাজে প্রতিদিন ২২৫ ইউরো করে পাওয়া যাবে। প্রতি মাসে ৪ হাজার ৪০০ ইউরো বেতন দেওয়া হবে।’ বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৫ লাখ টাকা।অ্যানি ওয়েবস্টার আরও জানিয়েছেন, লেবু চাষে এ রকম কর্মীর অভাব তিনি প্রথম বার দেখছেন। বাইরের প্রায় ২১ হাজার কর্মী রয়েছে দেশে। কিন্তু তারা অন্য কাজে নিযুক্ত। করোনাভাইরাস মহামারির কারণেই বাইরে থেকে কর্মীরা আসতে পারছেন না অস্ট্রেলিয়ায়। আর মূলত এই কারণেই কর্মীর সংকট দেখা দিয়েছে বলে মনে করছেন ওই সংসদ সদস্য।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ জুলাই ২০২২


শিশুপার্কের প্রতি টয়লেট তৈরিতে বাজেট ১ কোটি ২১ লাখ

শিশুপার্কের প্রতি টয়লেট তৈরিতে বাজেট ১ কোটি ২১ লাখ

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কেন্দ্রীয় শিশুপার্ক আধুনিকায়ন করা হবে। বসানো হবে ১৫টি রাইডস (খেলনা)। এ জন্য ডিএসসিসি খরচ করতে চায় ৪৪১ কোটি টাকা। এসব রাইডস বাচ্চাদের দেখিয়ে আকৃষ্ট করতে ৫ কোটি টাকায় বসানো দরকার চারটি ডিজিটাল ডিসপ্লে। রাইডস চড়তে গেলে তো টিকিট কেটে ঢুকতে হবে, সে জন্য ১০ কোটি টাকা লাগবে টিকিটিং সিস্টেম বসাতে। ঘোরাফেরার সময় প্রকৃতির ডাক পড়লে টয়লেটে যেতে হবে। তাই ছয়টি টয়লেট বানাতে খরচ করতে হবে প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা। তখন তো আবার পানিও লাগবে, সে জন্য ২ কোটি টাকা লাগবে দুটি নলকূপ বসাতে। এ ধরনের আরও আছে।সব মিলিয়ে পার্কে শিশুদের খেলাধুলার সুযোগ বাড়াতে ৬১৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছিল ডিএসসিসি। গত ফেব্রুয়ারিতে এ প্রস্তাব নিয়ে কমিশনের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অস্বাভাবিক দাম পুনর্নির্ধারণ করে বিস্তারিত তথ্য, ব্যাখ্যাসহ আবার প্রস্তাব দেওয়ার জন্য প্রকল্পটি ডিএসসিসিতে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। তবে এখনো ডিএসসিসি সংশোধিত প্রস্তাব কমিশনে পাঠায়নি।পিইসি বৈঠকে উপস্থিত এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ডিএসসিসির প্রস্তাবটি এতটাই অবাস্তব মনে হয়েছে যে, এ জন্য তাদের বাইরেও লোকজনদের দিয়ে একটি কমিটি করে, ওই কমিটির সুপারিশের আলোকে প্রস্তাবটি আবার পাঠাতে বলা হয়েছে। এতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, স্থাপত্য বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগকে রাখার কথা বলা হয়েছে। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ যেমন, বেসিস বা কম্পিউটার কাউন্সিল থেকে প্রযুক্তিবিষয়ক পণ্যের দাম যাচাই করে পাঠাতে হবে।পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মামুন আল রশীদ বলেন, ‘ওরা যে দাম ধরেছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট নই। অস্বাভাবিক বেশি। আমরা কিছু গাইডলাইন দিয়েছি। এগুলোর ডিটেইল দাম দিতে হবে।’জানতে চাইলে প্রকল্প প্রস্তাবটি তৈরিতে সম্পৃক্ত ডিএসসিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনিসুর রহমান বলেন, ‘আমরা আমাদের মতো করে কাজ করেছি। পরিকল্পনা কমিশন থেকে কিছু তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। আমরা তা দেখছি। সেগুলো আমরা পর্যালোচনা করে দেখব। যদি যুক্তির ভেতরে থাকে, দাম কমাব। আর যুক্তির ভেতরে না থাকলে দাম বাড়বে। এগুলো নিয়ে আর কথা বলতে পারব না।’প্রকল্পের উদ্দেশ্য সম্পর্কে প্রস্তাবে ডিএসসিসি বলেছে, শিশু-কিশোরসহ জনগণের উন্নতমানের বিনোদনসেবার সুযোগ সৃষ্টি করতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবান্ধব রাইডস বসানো হবে। মোট ১৫টি রাইডস বসাতে খরচ হবে ৪৪১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। প্রতিটির দাম গড়ে সাড়ে ২৯ কোটি টাকা।কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবান্ধব খেলনা কেমন জিনিস তা বুঝছে না পরিকল্পনা কমিশন। তাদের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি বলেছে, ‘ডিপিপিতে যেসব রাইডসের ছবি ও ডিজাইন দেওয়া হয়েছে, তাতে এ বিষয়টি পরিলক্ষিত হয় না।’কমিটি আরও বলেছে, ‘প্রস্তাবিত রাইডসসমূহের প্রাক্কলন তিনটি কোম্পানির নিকট হতে সংগ্রহ করা হয়েছে। তিনটি কোম্পানি আলাদা আলাদা প্রাক্কলন প্রদান করেছে। এখান থেকে গড় মূল্য বের করা যাচ্ছে না। অর্থাৎ কোম্পানির মূল্যই প্রাক্কলন বলে হিসাব করা হয়েছে। এখানে প্রতিটি রাইডসের ক্ষেত্রে তিনটি কোম্পানির দর থাকা সমীচীন হবে।’প্রকল্প প্রস্তাবে ডিএসসিসি বলেছে, আধুনিকায়নের পরে পার্কটিতে কী কী সুবিধা থাকবে, তা তুলে ধরতে সেখানে বসানো হবে চারটি ১০ ফুট বাই ১৫ ফুট ডিজিটাল ডিসপ্লে। এর জন্য খরচ ধরা হয়েছে ৪ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতিটির জন্য খরচ হবে ১ কোটি ২৪ লাখ টাকা।রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু ডিজিটাল ডিসপ্লে চোখে পড়ে শহরবাসীর। বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানই সেগুলো বসিয়েছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ও কয়েকটি ডিসপ্লে স্থাপন করেছে, যেগুলোতে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের তথ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে। মন্ত্রীর দপ্তরের সামনে যে ৭ ফুট বাই ৫ ফুটের এলইডি ডিসপ্লে বসানো হয়েছে, তার দাম সাড়ে 8 লাখ টাকা। যে প্রতিষ্ঠান এটি সংযোজন করেছে, তার কর্মকর্তা ওসমান গনি বলেন, ‘বিভিন্ন মানের ডিজিটাল ডিসপ্লে পাওয়া যায়। ১৫ ফুট বাই ১০ ফুট একটি এলইডি ডিসপ্লের দাম পড়তে পারে ১৫ থেকে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা।’প্রস্তাবের ওপর মতামতে পরিকল্পনা কমিশন বলেছে, ‘চারটি এলইডি স্ক্রিন বাবদ ৪ কোটি ৯৮ লাখ টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা অত্যধিক বলে প্রতীয়মান হয়।’নতুন নতুন রাইডস এলে শিশুরা তো খেলতে যাবে। তার জন্য টিকিট কাটতে হবে। একটি অনলাইন বা অ্যাপসভিত্তিক টিকিটিং সিস্টেম চালু করা হবে। এর জন্য খরচ ধরা হয়েছে ১০ কোটি টাকা। দেশের আইটি বিশেষজ্ঞরা এমন সফটওয়্যার তৈরি করে থাকেন। তাঁরা বলছেন, এমন একটি সিস্টেম কমবেশি ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকায় করা সম্ভব। অথচ এর প্রায় ১০০ গুণ বেশি ধরা হয়েছে।দেশের সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সেবা খাতের শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সাবেক সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির বলেন, ‘টিকিটের জন্য ভালো সফটওয়্যার এখন বাংলাদেশেই তৈরি হয়। শিশুপার্কের মতো একটি প্রতিষ্ঠানের ১০-২০টি রাইডের জন্য টিকিট বিক্রি এবং ৫ থেকে ১০টা বুথে টিকিট প্রিন্ট হবে এমন একটা খুব ভালো সফটওয়্যার তৈরিতে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার বেশি লাগার কথা নয়।’প্রায় একই কথা জানালেন বাংলাদেশ আইটি প্রফেশনালস ফ্রেন্ডস ক্লাবের সভাপতি সালেহ মোবিন। তিনি বলেন, একটি থিম পার্ক ধরনের প্রতিষ্ঠানের টিকিটিং সফটওয়্যার ও মোবাইল অ্যাপস তৈরিতে সাধারণত ৫ থেকে ৮ লাখ টাকা খরচ হয়। এ প্রকল্পে ওয়েববেইজড সফটওয়্যারের পাশাপাশি ৫০টি প্রিন্টারের কেনার কথাও বলা হয়েছে। সব মিলিয়ে গড়ে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকার মতো খরচ হওয়ার কথা। এর বেশি নয়।প্রকল্প প্রস্তাবে ছয়টি টয়লেট স্থাপনে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতিটিতে খরচ হবে ১ কোটি ২১ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। সিটি করপোরেশন বলছে, টয়লেট হবে আধুনিক। তবে প্রস্তাবে সাধারণ মানের একতলা টয়লেটের নকশা দেওয়া হয়েছ। কমিশন বলছে, এ দাম অত্যধিক।পার্ক ঘুরে ও ডিসপ্লে দেখে ক্লান্ত দর্শনার্থীদের নিরাপদ পানি খাওয়াতে শিশুপার্কের জন্য একটি গভীর নলকূপ বসাতে চায় ডিএসসিসি। তার জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি টাকা।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকায় গভীর নলকূপ বসানোর ক্ষেত্রে খরচ নির্ভর করে এর কার্যক্ষমতার ওপর। সাধারণ ক্ষমতার একটি নলকূপে খরচ পড়ে ১২ থেকে ৩০ লাখ টাকা। ঢাকা ওয়াসা একটি গভীর নলকূপ দিয়ে কয়েক হাজার পরিবারের জন্য পানি সরবরাহ করে। সেই তুলনায় পার্কের জন্য কতটুকু পানির প্রয়োজন হতে পারে ধারণা করাই যেতে পারে।পরিকল্পনা কমিশনও ওয়াসার খরচের বিষয়টি উল্লেখ করেছে। বলেছে, ‘একটি গভীর নলকূপ বসানোর জন্য ঢাকা ওয়াসার খরচ পড়ে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা।’পার্ক হবে কিন্তু তাতে বড় বড় ভবন থাকবে না, তা কি হয়? এ জন্য শিশুপার্ক উন্নয়নের নামে ভবন নির্মাণসহ ১৭টি পূর্তকাজ একটি প্যাকেজের মধ্যে রাখা হয়েছে। এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫৭ কোটি টাকা। পূর্তকাজের মধ্যে আছে গ্যালারি, এম্ফিথিয়েটার, সীমানাপ্রাচীর, ড্রেন, ভবন, দর্শনার্থীদের জন্য শেড ও ইন্টেরিয়র।পূর্তকাজগুলো আলাদাভাবে না দেখিয়ে প্রস্তাবে ১৭টি কাজ একই সঙ্গে দেখানো হয়েছে। এতে কোন কাজে কত টাকা ব্যয় হবে, তা পৃথকভাবে নির্ণয় করা যাচ্ছে না।এ বিষয়ে কমিশনের মত, ‘পূর্তকাজসমূহের কিছু কিছু উপ-অঙ্গে ব্যয় বেশি প্রাক্কলন করা হয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হয়। প্রতিটি কাজের বিস্তারিত ব্যয় প্রাক্কলন পিইসি সভায় উপস্থাপন করতে হবে এবং প্রাক্কলনের ভিত্তি উল্লেখ করতে হবে।’প্রকল্প হলে কর্মকর্তাদের জন্য গাড়িবিলাসের ব্যবস্থা থাকবে না, তা মনে হয় আমাদের এ দেশে আর ভাবা যায় না। এ প্রকল্পেও রয়েছে। ঢাকার মধ্যে এই প্রকল্প হলেও প্রকল্প পরিচালকের জন্য চাই বিলাসবহুল জিপগাড়ি। এর জন্য চাহিদা ৯৬ লাখ টাকা। এ ছাড়া ৬৫ লাখ টাকায় বিলাসবহুল ডাবল কেবিন পিকআপ কেনার কথাও বলা হয়েছে।কমিশনের পর্যবেক্ষণ, ‘প্রকল্প এলাকা ঢাকা শহরের অভ্যন্তরে, এ ক্ষেত্রে জিপ ও পিকআপ ক্রয় প্রকল্প থেকে বাদ দেওয়া যেতে পারে।’প্রকল্পের ওপর একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কথা প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু সমীক্ষাটি ডিএসসিসি নিজে করেছে নাকি তৃতীয় কোনো ব্যক্তি বা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান দিয়ে করা হয়েছে, প্রস্তাবে তা উল্লেখ করা হয়নি। কমিশন বলছে, প্রকল্পটি ১০০ কোটির বেশি টাকা ব্যয়ের। কাজেই সমীক্ষাটি তৃতীয় পক্ষ দিয়ে করা না হয়ে থাকলে অবশ্যই তৃতীয় কোনো পরামর্শক কর্তৃক সমীক্ষা সম্পাদন করা প্রয়োজন।পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মামুন আল রশীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের সব চাওয়া, সব ব্যাখ্যাসহ আবারও তাদের ডিপিপি (প্রকল্প প্রস্তাব) পাঠাতে হবে। তা নিয়ে আমরা আবারও পিইসি করব। এটা খুব কম প্রকল্পের ক্ষেত্রে হয় যে দুইবার পিইসি করতে হয়। যারা তথ্যে সন্তুষ্ট করতে পারে না, তার ক্ষেত্রেই এমন হয়।’মামুন আল রশীদ আরও বলেন, ‘আমরা বলেছি, তাদের কয়েকজন কর্মকর্তার কমিটি গঠন করতে হবে। তারা কোথা থেকে দাম পেয়েছে তার তথ্যসহ প্রাক্কলন তাদের স্বাক্ষরসহ দিতে বলেছি। দেখা যাক তারা পুনর্গঠিত ডিপিপি কেমন পাঠায়।’সূত্র: আজকের পত্রিকা

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ জুন ২০২২


সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশের অর্থনীতির গেম চেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে পদ্মা সেতু: ইঞ্জিনিয়ার হানিপ

বাংলাদেশের অর্থনীতির গেম চেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে পদ্মা সেতু: ইঞ্জিনিয়ার হানিপ

পৃথিবীর ঠিক উল্টো পীঠে বসে আমরা চেয়ে চেয়ে দেখি একটি সেতুর রূপ। কি অপরূপ সাজে সাজানো হয়েছে এই সেতু। মিডিয়ার কল্যাণে কত ছবি, ভিডিও চোখে পড়ছে। আর মুগ্ধ হচ্ছি। তবে শুধু রূপে নয়, এমন এক শক্ত কাঠামো দেওয়া হয়েছে এই সেতুতে যা শতবর্ষের জন্য সকল ধকল নিতে প্রস্তুত। যার মধ্য দিয়ে দেখছি ১০০ বছর পরের বাংলাদেশকেও।আমরা জানি, উন্নয়নের আরেক নাম গতি। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দ্রুততম গতির সংযোজন ঘটিয়ে চলছে নানাবিধ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড। ফলে আমরা দূর পরবাস থেকেও দেখতে পাই একটি গতিময় সময়ে গতিময় বাংলাদেশকে। যার সর্বশ্রেষ্ঠ সংযোজন এই পদ্মাসেতু। গত ২৫ শে জুন সেতুটি উদ্বোধন হয়েছে। যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এক নতুন যুগে পা ফেলেছে ।আমি মনে করি এই পদ্মা সেতু বাংলাদেশের অর্থনীতির গেম চেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে।যুক্তরাষ্ট্রের অভিজ্ঞতার সঙ্গে যদি মিলিয়ে দেখি, এই দেশে আমরা কী দেখতে পাই? এই দেশে একটি রাজ্যের সঙ্গে অন্য রাজ্যের কানেক্টিভিটির দিকে যদি তাকাই আমরা দেখি অত্যন্ত সুচারূরূপে রচনা করা হয়েছে সেই কানেক্টিভিটি। কোথাও পাহাড়ের খাঁজ কেটে, কোথাও নদীর উপর সেতু রচনা করে। মূলতঃ যোগাযোগটাই উন্নয়নের অন্যতম পূর্বশর্ত। সেই হিসেবে এখানে রাজ্যগুলো একে অন্যের সাথে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থায় সংযুক্ত। আর সে কারণে এই দেশে মানুষগুলো যার যে রাজ্যে মন চায় গিয়ে বসতি গাড়ে। কারণ রাজ্যে রাজ্যে দ্রব্যমূল্যে নেই বড় কোনো ফারাক। ফারাক নেই জীবন ব্যবস্থায়। জীবনাচারে প্রয়োজনীয় অন্যান্য উপকরণে।একটি উদাহরণ দেই- এই দেশে ফ্লোরিডার আবহাওয়া অনেকটা গ্রীস্মমণ্ডলীয় দেশগুলোর মতো। ফলে সেখানে ফলে আম, জাম, লিচুর মতো রসালো ফলগুলো। কিন্তু সেই ফল আমরা ভার্জিনিয়াতে বসেও কিংবা নিউইয়র্কে বসে কিনে খেতে পারি অনেকটা সমমূল্যে। কারণ অতি সহজেই সেইসব ফল যুক্তরাষ্ট্রের অন্য রাজ্যগুলোতে পৌঁছে যায়। কারণ একটাই সহজ ও সাবলীল যোগাযোগ ব্যবস্থা।আমি মনে করি পদ্মাসেতু বাংলাদেশের জন্য সেই সুযোগটিই সবচেয়ে বড় করে আনবে। সবচেয়ে বড় কথা কাছাকাছি টেনে আনবে মানুষগুলোকে। এখন আর দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গের মানুষকে দূরের মনে হবে না। কিংবা রাজধানী ঢাকাকেও দূরের কোনো নগরী মনে হবে না সেই অঞ্চলের মানুষগুলোর কাছে। এই কাছাকাছি করে আনার মধ্য দিয়ে যে কাজের একটি শক্ত ভিত রচিত হবে যা উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে।গত কয়েকটি বছর পদ্মাসেতুর নির্মাণ প্রক্রিয়া দৃষ্টি কেড়েছে সকলের। আমরাও অবাক হয়ে দেখেছি কতটা আত্মনিয়োজনে তৈরি হয়েছে এই সেতু। সেতুর উপকরণ হিসেবে বিশ্বের যেখানে যেটি শ্রেষ্ঠ সেই উপকরণটিই সেই দেশ থেকে আনা হয়েছে। ফলে গুণগত মানে এতটুকু ছাড় না দিয়ে তৈরি হওয়া সেতুকে স্রেফ স্বপ্নের সেতু না বলে একটি ভিশনারি সেতুও বলা চলে। যাতে নিশ্চিত করা হয়েছে শতবর্ষের ভিত।সোয়া ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুতে উপরের তলায় প্রস্তুত হয়েছে চার-লেনের হাইওয়ে, আর নিচের তলায় সিঙ্গেল ট্র্যাক রেলওয়ে। সাড়ে সাত বছর ধরে ৩.৬ বিলিয়ন ডলার খরচে বানানো হয়েছে এই সেতু। বিশ্বের ২০ টি দেশের প্রকৌশলীদের প্রকৌশল বিদ্যার প্রয়োগ ঘটানো হয়েছে এই সেতুতে। ১০টি দেশ থেকে এসেছে এই সেতুর প্রধান উপকরণগুলো। আর বিশ্বের অন্তত ৫০টি দেশ থেকে আসা কোনো না কোনো উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে এই সেতুতে।এই যে আমরা আমাদের উন্নয়ন ও নির্মাণ প্রক্রিয়া অনেকটা দূর পর্যন্ত দেখতে শিখলাম। শ্রেষ্ঠত্বের প্রয়োগ ঘটাতে শিখলাম। এই চর্চা আমাদের শুরু হলো। এটাই আমাদের সময়ের তরফ থেকে হয়ে থাকবে ভবিষ্যত সময়ের জন্য এক উপহার। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে যা গর্বের প্রতীক হয়ে থাকবে।আমি ব্যবসায়ী দৃষ্টিকোণ থেকে যদি দেখি বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে বিপুল এক গতির সঞ্চার করবে এই সেতু। কাচামালের দ্রুত যোগান মানেই শিল্পের উৎপাদন তরান্বিত হওয়া সেতো আছেই কিন্তু যে কৃষক ফসল ফলায় মাঠে, তার উৎপাদিত পণ্যও এখন স্বল্প সময়ের ব্যবধানে পৌঁছে যাবে ক্রেতা কিংবা ভোক্তার কাছে ফলে কৃষি-বাণিজ্য তরান্বিত হবে। যে মানুষটি রাজধানী শহরে যেতে চায় কাজের খোঁজে তার জন্য শহরটি কাছাকাছি হবে, ফলে তার বেকারত্ব ঘুচবে। কিন্তু সেতুপথ তো একদিকে ধাবিত নয়, এর সমান দুটি লেন দুই দিকে ধাবিত, অর্থাৎ রাজধানীমুখি যেমন মানুষ হতে পারবে, তেমনি রাজধানির সুবিধাগুলো পৌঁছে যাবে সেই মানুষের কাছে। উভয়পথেই একটি নতুন দিনের সূচনা হবে। ফলে, যেমনটা বলছিলাম, যুক্তরাষ্ট্রে মানুষ যেমন যে কোনো রাজ্যে গড়তে পারে তার স্বস্তির, সম্মৃদ্ধির নিবাস, তেমনি বাংলাদেশেও মানুষগুলো তাদের ইচ্ছে মতো থাকতে পারবে সেতুর মাধ্যমে সংযুক্ত যে কোনো জেলায়, একই সুযোগ সুবিধা নিয়ে।আর কেবলতো সড়কপথই নয়, সেতুতে রেলপথও রয়েছে। ফলে দ্রুতগতির ট্রেন এখন গোটা বাংলাদেশে তার রুটগুলো তৈরি করে নিতে পারবে। এখানেও একটু যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে চাই। এখানেও অধিকাংশ স্টেট সড়কপথের পাশাপাশি ট্রেন লাইনেও সংযুক্ত। যা যোগাযোগের সুব্যবস্থা নিশ্চিত করেই উন্নয়নে গতি দেয়। আর নিশ্চিত করে বিকেন্দ্রীকরণ। আমরা এখন স্পষ্ট করেই ধারনা করতে পারছি এক উন্নত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল যা হয়তো আগামী ৫-৭ বছরেরই চাক্ষুস করতে পারবো।এই সেতু এইসব অঞ্চলের দারিদ্র বিমোচন করবে। অর্থনীতিকে করে তুলবে অন্তর্ভূক্তিমূলক আর অংশগ্রহণমূলক। সড়ক ও রেলপথে নতুন যে নেটওয়ার্ক তৈরি হবে তাতেই উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে এসব অঞ্চলে। নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি করবে। কমবে মানুষের যাতায়াত খরচ, পণ্য পরিবহণ খরচ ও সময়। এতে অর্থনৈতিক হিসাব-নিকাশ থেকে এখনই স্পষ্ট হচ্ছে, স্রেফ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাগুলোর অতিরিক্ত সক্রিয়তায় আগামী বছরগুলোতে বাংলাদেশের সার্বিক জিডিপি ২ শতাংশ বেড়ে যাবে।এই সেতু নির্মাণ করে বাংলাদেশ নিজেকে যোগ্য প্রমাণ করলো। বিশ্বকে দেখালো যে, বাংলাদেশ পারে। বস্তুত মানুষ চাইলেই পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তা আর বাংলাদেশের মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থনই এই সেতু তৈরির প্রধান ভিত। এর মধ্য দিয়েই আপাত অসম্ভব মনে হওয়া একটি কাজ সম্ভব করে তুললো বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশ সেটা করলো স্রেফ নিজস্ব অর্থায়নে।দূর প্রবাসে বসে সেই গর্বে গর্বিত আমি ও আমরা। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এর মধ্যদিয়ে একজন বাংলাদেশি আমেরিকান হিসেবে আমরা এদেশেও গর্ব করতে পারবো। বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যে কতবড় ভুল ছিলো তার এক জাজ্বল্যমান প্রমাণ এই পদ্মাসেতু। সে কথা আমরা বলতে পারবো জনে জনে। বুক ফুলিয়ে বলতে পাবরো, আমরাও পারি। আমাদের সকলের গর্বের প্রতীক এই পদ্মাসেতু। পদ্মাসেতুকে ঘিরে আমাদের আগামী দিনের গল্পগুলো হোক কেবলই সাফল্যের আর এগিয়ে চলার।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ জুন ২০২২


বিশ্বের ১৩০ দেশ ভ্রমণ করেছেন বাংলাদেশি নারী কাজী আসমা আজমেরী

বিশ্বের ১৩০ দেশ ভ্রমণ করেছেন বাংলাদেশি নারী কাজী আসমা আজমেরী

সবুজ পাসপোর্ট হাতে বিশ্বের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ১৩০ দেশে ভ্রমণ করেছেন বাংলাদেশি নারী কাজী আসমা আজমেরী। বিশ্ব পর্যটক হিসেবে শতাধিক দেশে বাংলাদেশের পতাকা উঁচিয়ে ধরার গৌরব অর্জন করেছেন তিনি।খুলনার মেয়ে কাজী আসমা আজমেরী ছোট বেলা থেকেই ঘোরাঘুরি পছন্দ করতেন। তার বেড়ে ওঠা খুলনা শহরে। কাজী গোলাম কিবরিয়া ও কাজী সাহিদা আহমেদ দম্পতির দুই সন্তানের মধ্যে আসমা বড়। খুলনা থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করে ঢাকার ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতক করেন। একই বিষয়ে এমবিএ করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে।ঘুরে বেড়ানোর শখ আর আগ্রহকে পুঁজি করে ২০০৯ সালে নেমে পড়েন বিশ্ব-ভ্রমণে। এরপর থেকে এক এক করে বিশ্বের ১৩০ দেশ ছুঁয়েছেন বাংলাদেশি সবুজ পাসপোর্ট নিয়ে।২০০৯ সাল থেকে শুরু করে ২০২২ সাল, এই তের বছরের পথপরিক্রমায় ১৩০ দেশ ভ্রমণের পর এখন বিশ্বের অন্য দেশগুলোতেও তার পদচিহ্ন এঁকে দিতে চান তিনি। চষে বেড়াতে চান বাকি দেশগুলোর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে।100%একজন বাংলাদেশি সবুজ পাসপোর্টধারী হয়ে বিশ্বের এতগুলো দেশ ঘুরে বেড়ানো মোটেই সহজ বিষয় ছিল না তার জন্য। পদে পদে এসেছে বাধা, সৃষ্টি হয়েছে নানান প্রতিকূলতা, তবুও তিনি দমে যাননি। ফের ঘুরে দাঁড়িয়েছেন বিশ্বকে দেখার অদম্য ইচ্ছা নিয়ে, এই ইচ্ছাশক্তি তাকে পৌঁছে দিয়েছে ১৩০ দেশের মাটিতে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২১ জুন ২০২২


সিলেটে কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি

সিলেটে কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি

সুনামগঞ্জে আজ মঙ্গলবারও বৃষ্টি হয়নি। পানিও কমেছে বন্যার। তবে পানি নামার গতি খুবই ধীর। শহরের রাস্তাঘাট, মানুষের বসতবাড়িতে এখনো বন্যার পানি। পানি থাকায় বাসাবাড়িতে ফিরতে পারেননি বাসিন্দারা। পানি নামায় জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। আজ সুনামগঞ্জ পৌর শহরের আরও কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া হয়েছে।পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সুনামগঞ্জ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শহরের কাছে আজ বিকেলে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ১১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।ত্রাণের জন্য সড়কে অপেক্ষমাণ বানভাসি মানুষ। দুর্গম এলাকার উদ্দেশে যাওয়া ত্রাণবাহী ট্রাক দেখলেই তাঁরা হাত বাড়িয়ে আকুতি জানাচ্ছেন কিছু পাওয়ার জন্য। গতকাল বিকেলে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার থানা বাজারেগত বৃহস্পতিবার থেকে রোববার পর্যন্ত সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল সুনামগঞ্জ। এ সময়ে মুঠোফোনের নেটওয়ার্ক পর্যন্ত বন্ধ ছিল। বিদ্যুৎবিহীন ছিল চার দিন। দাঁড়ানোর মতো মাটি ছিল না কোথাও। শহরের রাস্তাঘাটে তিন থেকে ছয় ফুট পানি ছিল। এতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। তলিয়ে যায় মানুষের বসতবাড়ি। গত তিন দিন বৃষ্টি কম হওয়ায় বাড়িঘর, রাস্তাঘাট থেকে পানি নামতে শুরু করে।পুরো জেলা বন্যাকবলিত হলেও জেলা সদর, ছাতক, দোয়ারাবাজার, তাহিরপুর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ। সরকারি হিসাবে জেলায় প্রায় ৫০০ আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এ ছাড়া বাড়িঘর, অফিস-আদালত, হাসপাতাল যেখানেই সুযোগ পেয়েছেন, সেখানেই হাজার হাজার বানভাসি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ৯০ ভাগ বাড়িঘরে এখনো বন্যার পানি। পানি কমলেও তাঁরা বাড়িতে ফিরতে পারছেন না। তবে পানি কমতে শুরু করায় শহরের বিভিন্ন এলাকায় কিছু দোকানপাট খুলেছে। মানুষ বাজারসহ প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র কিনছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২১ জুন ২০২২


সুনামগঞ্জে হেলিকপ্টার থেকে ফেলা ত্রাণ নিতে গিয়ে নিহত এক যুবক

সুনামগঞ্জে হেলিকপ্টার থেকে ফেলা ত্রাণ নিতে গিয়ে নিহত এক যুবক

সিলেটের সুনামগঞ্জ তাহিরপুরে হেলিকপ্টার থেকে ফেলা ত্রাণ নিতে গিয়ে আহত একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল লতিফ তরফদার জানান, আজ মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টায় সিলেটের জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।মৃত বিপ্লব মিয়া উপজেলার উজান তাহিরপুর গ্রামের বাসিন্দা।গতকাল বিকালে বন্যা কবলিত তাহিরপুরে হেলিকপ্টার থেকে বিমানবাহিনীর ত্রাণ বিতরণের সময় শিশুসহ ১০ জন আহত হন। উপজেলার শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম মাঠে এ ঘটনাটি ঘটে।তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ তরফদার বলেন, 'হেলিকপ্টার থেকে দেওয়া ত্রাণ সামগ্রী সবাই একসঙ্গে ধরতে গেলে ১০-১২ জন আহত হন।'আহতদের সবাই উপজেলার সদর ইউনিয়ন উজান তাহিরপুর, মধ্য তাহিরপুর এবং ভাটি তাহিরপুর গ্রামের বাসিন্দা।তাহিরপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার শফিকুল ইসলাম গতকাল বলেন, 'শুনেছি মাঠে আহত হয়েছেন কয়েকজন। তাদের মধ্যে ৩ জন ভর্তি আছেন। কয়েকজন চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। বাকিদের খবর পাইনি।'তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মির্জা রিয়াদ হাসান জানান, 'ত্রাণ সামগ্রী নিতে গিয়ে কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদেরকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।'

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২১ জুন ২০২২


প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেলো স্বপ্ন-পদ্মা-সেতু

প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেলো স্বপ্ন-পদ্মা-সেতু

নারায়ণগঞ্জে এক সঙ্গে জন্ম নেওয়া তিন সন্তানের নাম ‘স্বপ্ন-পদ্মা-সেতু’ রাখায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সেই অভিনন্দন বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রটোকল অফিসার শামীম মুসফিক। পৌঁছে দিয়েছেন উপহারের এক ভরি করে তিনটি স্বর্ণের চেইন, ফলমূল, ফুলের তোড়া ও কাপড়।সোমবার সন্ধ্যায় বন্দরের নবীগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম অপুর বাড়িতে যান প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের প্রটোকল অফিসার শামীম মুসফিক। সঙ্গে ছিলেন বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কুদরত এ খোদা, বন্দর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুরাই ইয়াসমীন, বন্দর থানার ওসি দিপক চন্দ্র সাহাসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা।অপুর স্ত্রী এ্যানি বেগম ওই সময়ে তিন সন্তান নিয়ে বাড়িতেই ছিলেন। তাদের তিন সন্তানের মধ্যে একজন ছেলে ও দুইজন মেয়ে। ছেলের নাম রেখেছেন স্বপ্ন আর মেয়ে দুইজনের নাম রেখেছেন পদ্মা ও সেতু। যা একসঙ্গে হয় স্বপ্নের পদ্মা সেতু। বর্তমানে মা ও সন্তানেরা সুস্থ আছেন।পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীপদ্মা সেতুর উদ্বোধন ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীতিন সন্তানদের বাবা আশরাফুল ইসলাম অপু বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের মাসে আমার স্ত্রীর একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম হয়েছে। এই জন্য শখ করে তাদের নাম রাখা হয়েছে স্বপ্ন, পদ্মা ও সেতু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জন্য অনেক কাজ করছেন। আমার সন্তানদের জন্মের মাসে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করা হবে। আর এটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্যই তাদের এই নাম দেওয়া।তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমার সন্তানদের জন্য উপহার পাঠানোয় আমি অত্যন্ত খুশি। আমি প্রধানমন্ত্রীর জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই। তিনি যেন দেশে উন্নয়ন করতে দীর্ঘ জীবন লাভ করেন

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২১ জুন ২০২২


একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম,খুশিতে নাম রাখলেন স্বপ্ন, পদ্মা ও সেতু

একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম,খুশিতে নাম রাখলেন স্বপ্ন, পদ্মা ও সেতু

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন অ্যানি বেগম (২৪) নামের এক নারী। খুশিতে তিন সন্তানের নাম রেখেছেন স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সঙ্গে মিলিয়ে—স্বপ্ন, পদ্মা ও সেতু।শনিবার (১৮ জুন) নারায়ণগঞ্জ শহরের হেলথ রিসোর্ট হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে একসঙ্গে এক ছেলে ও দুই মেয়ে জন্ম দেন অ্যানি বেগম।অ্যানি বেগম বন্দরের নবীগঞ্জ এলাকার আশরাফুল ইসলাম অপুর স্ত্রী। অপু পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তিনি স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।আশরাফুল-অ্যানি দম্পতি ছেলের নাম রেখেছেন ‘স্বপ্ন’। আর দুই মেয়ের নাম রেখেছেন ‘পদ্মা’ ও ‘সেতু’, যা একসঙ্গে হয় স্বপ্নের পদ্মা সেতু। বর্তমানে মা ও সন্তানরা সুস্থ আছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ জুন ২০২২