সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ ও সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ কার সৃষ্টি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।তিনি বলেন, ‘ডামি নির্বাচনে রাতের ভোটে বিজয়ীরা লুটপাট-অপকর্মে জড়িয়েছে। স্বাধীনতার সময় যখন দলমত ছেড়ে যুদ্ধ করে দেশকে মুক্ত করেছি, আজও সেই সময় এসেছে অপকর্মের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার। এখন আলোচনায় আসছে আজিজ-বেনজীরের অপকর্ম-লুটপাটের বিষয়। এই আজিজ-বেনজীর কার সৃষ্টি? এটা তো তাদেরই (আওয়ামী লীগ) সৃষ্টি।’মঙ্গলবার (২৮ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।তিনি বলেন, ‘শাসকগোষ্ঠীর চামড়া মোটা হয়ে গেছে। তাদের যত কথাই বলুন কিছু যায় আসে না, কর্ণপাত করে না। তাদের লক্ষ্য একটাই, সেটি হলো লুটপাট করা। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এটা করছে, সেই ক্ষমতা ভোগ করা ও লুট করার জন্য এটা করছেন।’তিনি বলেন, ‘আজ জেনারেল আজিজের কথা বলা হচ্ছে, সেই আজিজ কার সৃষ্টি? এটা তো আওয়ামী লীগের সৃষ্টি। কোথা থেকে কোথায় এসেছেন এই আজিজ? বেনজীর আহমেদের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের তথ্য বেরিয়ে আসছে। এই আজিজ-বেনজীরকে তারাই তৈরি করেছে, লালন করেছে। এই এক-দুটো ঘটনা না, চারদিকে তাকিয়ে দেখুন, অপকর্ম-লুটপাটের শত শত ঘটনা রয়েছে। সব জায়গায় একই অবস্থা।’মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন না দিয়ে সেটা ধ্বংস করেছেন। অথচ এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রস্তাব আপনাদের ছিল। খালেদা জিয়া জনগণের আস্থার ওপর সেটা বাস্তবায়ন করেন। জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেন। আজ ভোটের অধিকার নেই, ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে রাতের আঁধারে ভোট অনুষ্ঠিত হয়।’‘তাদের তথাকথিত ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে বিজয়ীরা গ্রামেও লুটপাট করছে। মধ্যরাতের নির্বাচনের নেতারা এখন দেশের বাইরে লুটপাটের টাকা পাচার করছে। এক ভূমিমন্ত্রী দেশের বাইরে ৩৬৫টি ঘরবাড়ি করেছেন। আমাদের বয়স হয়েছে, রাস্তায় দাঁড়িয়ে মারামারি করতে পারবো না, এখন যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে। স্বাধীনতার সময় যখন দলমত ছেড়ে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি, আজ সেই সময় এসেছে। আজ দেশ মুক্ত করতে হবে, দেশের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে হবে, পাচারকারীদের রুখে দিতে হবে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ মে ২০২৪
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থিতা নিয়ে দ্বন্দ্বে বড় ভাই আবদুল কাদের মির্জাকে ইঙ্গিত করে তাঁর ছোট ভাই ও প্রার্থী মো. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, এই পরিবারের জন্ম হওয়াটাই আমার ভুল হয়েছে। আমি যদি এটা জানতাম, তাহলে আগে তাদের বলতাম, আমাকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলো।’ গতকাল শুক্রবার রাতে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটে নির্বাচনী প্রচারণার সময় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন শাহাদাত।শাহাদাত হোসেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই। তাঁদের আরেক ভাই আবদুল কাদের মির্জা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র।এ প্রসঙ্গে শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘তাঁরা ঘোষণা করেন, তাঁদের প্রার্থী আওয়ামী লীগের। কিন্তু বাংলাদেশের কোথাও আওয়ামী লীগের প্রার্থী দেওয়া হয়নি। আমি জন্ম থেকে তাদের সহযোগিতা করে আসছি। কিন্তু তারা আমাকে কখনো সহযোগিতা করেনি। আমার মনে হয়, এই পরিবারের জন্ম হওয়াটাই আমার ভুল হয়েছে। আমি যদি এটা জানতাম, তাহলে আগে তাদের বলতাম আমাকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলো।’বড় ভাই ওবায়দুল কাদের ও আবদুল কাদের মির্জাকে ইঙ্গিত করে শাহাদাত আরও বলেন, ‘তারা দুজনই দাবি করে, তারা দুজন ভাই। আমরা ভাই না। শিয়াল-কুকুর। আমরা কুলাঙ্গার। বলে কিসের ভাই? এই বিচার কার কাছে দেব আমি? প্রশাসন তো আমার বিরুদ্ধে। তারা সকাল-বিকেল আমার লোকদের নির্যাতন করছে। আমার একটা লোক রাস্তা দিয়ে হাঁটতে পারে না, তাকে ধরে নিয়ে বলে তোমার বিরুদ্ধে মামলা আছে। এখানে আওয়ামী লীগের লোকদেরও বিএনপি-জামায়াত বলে এখন নির্যাতন করা হয়েছে।’এর আগে ১৫ মে বসুরহাট পৌরসভার মিলনায়তনে চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম শরীফ চৌধুরীর এক মতবিনিময় সভায় ছোট ভাই শাহাদাত হোসেনকে কুলাঙ্গার আখ্যা দিয়ে কাদের মির্জা বলেন, শাহাদাত তাঁর ভাই নন।তারা দুজনই দাবি করে, তারা দুজন ভাই। আমরা ভাই না। শিয়াল-কুকুর। আমরা কুলাঙ্গার। বলে কিসের ভাই? এই বিচার কার কাছে দেব আমি? প্রশাসন তো আমার বিরুদ্ধে। তারা সকাল-বিকেল আমার লোকদের নির্যাতন করছে।অন্যদিকে গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের এক রায়ে উপজেলা নির্বাচনে নিজের প্রার্থিতা ফেরত পান শাহাদাত হোসেন। শাহাদাতের দাবি, আদালতে তাঁর বিজয় হয়েছে; এখন ২৯ মে পরবর্তী বিজয়ের অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি।নির্বাচন সুষ্ঠু হলে জয়ের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন শাহাদাত হোসেন। তিনি অভিযোগ করেন, প্রতিপক্ষ প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে হেলমেট বাহিনী নামিয়ে দিয়েছেন। সব সদস্য বসুরহাটসহ গোটা কোম্পানীগঞ্জে তাঁর (শাহাদাত) সাধারণ কর্মী ও ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নানা হুমকি দিচ্ছেন। এ কারণে সুস্থ নির্বাচন নিয়ে সন্দেহ রয়েছে তাঁর।এ প্রসঙ্গে শাহাদাত সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা বসুরহাটে ঘুরে দেখুন, তাদের কোনো ভোট আছে কি না? তারা হেলমেট বাহিনীর লোকদের দিয়ে বয়স্ক লোকদের হুমকি দিচ্ছে; কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের দিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমি অসহায় মানুষ, আমার ওপরে আল্লাহ আছে, আর নিচে জনগণ আছে। ২৯ তারিখে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারি, ইনশা আল্লাহ আমি বিপুল ভোটে জয়লাভ করব।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রশাসন যন্ত্রকে কাজে লাগিয়ে বারবার আমাকে নির্বাচন থেকে বহিষ্কার করছে, মনোনয়নপত্র বাতিল করছে। তাদের তাণ্ডবে আমার একটা কর্মী কোম্পানীগঞ্জে ঘুমাতে পারছে না। তারা হেলমেট বাহিনীর পাশাপাশি হাতুড়ি বাহিনীও বাহিনীও তৈরি করেছে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৫ মে ২০২৪
পৃথিবীর কোন দেশের সেন্ট্রাল ব্যাংকে সাংবাদিকরা অবাধে ঢুকতে পারছে প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ওয়েবসাইটে সব আছে আপনার জানার বিষয়। আপনি ভেতরে ঢুকবেন কেন!আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।কাদের বলেন, 'বঙ্গবন্ধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছিলেন। ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী তখন কারাগারে ছিল। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে এই ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধীকে ছেড়ে দিয়েছিল। এর মধ্যে ৭০৩ জন দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধী। এদেরকেও ক্ষমা করে দিয়েছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত খুনের প্রধান আসামিকে জিয়াউর রহমান ছেড়ে দিয়েছিল।'তিনি বলেন, 'আজ মির্জা ফখরুল ইসলাম যখন বলেন বাকশালী শাসন, আমি মির্জা ফখরুলকে আবারও স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, বাকশাল কোনো একদল নয়। এটা ছিল একটি জাতীয় দল। নামটায় কৃষক আর শ্রমিক যুক্ত করা হয়েছিল—কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ। এটাকে বাকশাল বলে একটি গালিতে পরিণত করার দুরভিসন্ধি অনেকেরই ছিল।'আমি মির্জা ফখরুলকে বলতে চাই, আপনাদের প্রতিষ্ঠাতা, আপনাদের নেতা জিয়াউর রহমান অফিসিয়ালি বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করে বাকশালের সদস্য হয়েছিল। সেটার কী জবাব দেবেন? আরও দুএকবার বলেছি জবাব পাইনি,' প্রশ্ন রাখেন কাদের।তিনি আরও বলেন, 'অহেতুক ঘাঁটাঘাঁটি করলে আপনাদের চেহারাটাই উন্মোচিত হবে।'গণমাধ্যমকর্মীরা প্রশ্ন করেন, বিএনপির রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ, সেখানে ইদানীং দেখা যাচ্ছে যে, তারা আওয়ামী লীগের বিরোধিতা ছেড়ে নতুন করে ভারত বিরোধিতায় নেমেছে। এই ব্যাপারটি আপনি কীভাবে দেখছেন?জবাবে কাদের বলেন, 'বিএনপির রাজনৈতিক শত্রু আওয়ামী লীগ, আমরা মনে করি তারা প্রতিপক্ষ।'তিনি বলেন, 'আজকে পত্রিকায় দেখলাম, বিএনপির ভারত বিরোধিতার বিষয়টি তারা পুনর্বিবেচনা করে দেখছে—বিরোধিতা না করে মধ্যপন্থা অবলম্বন করা যায় কি না।উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে মফস্বলে কিন্তু বিএনপি গুলশান-বনানীতে লিফলেট বিতরণ করছে—এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'তাদের সামনে এখন কোনো ইস্যু নেই। তারা আছে, এটা বোঝানোর জন্য শেষ পর্যন্ত গণঅভ্যুত্থান থেকে লিফলেট বিতরণে আসতে হলো। এটাই মজার ব্যাপার।'
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ মে ২০২৪
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ায় আপন ছোট ভাইকে কুলাঙ্গার আখ্যা দিলেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা। কাদের মির্জা একই সঙ্গে বসুরহাট পৌরসভার মেয়রও। তাঁর ছোট ভাই শাহদাত হোসেন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। তাঁরা দুজনই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই।গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বসুরহাট পৌরসভার সরকারি মিলনায়তনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুলের সমর্থনে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় কাদের মির্জা ভাইয়ের প্রসঙ্গে এ কথা বলেন। শাহদাত হোসেন তাঁর ভাই নন বলে তিনি মন্তব্য করেন। তাঁর বক্তব্যটি স্থানীয় একাধিক সাংবাদিক ফেসবুকে লাইভে প্রচার করেন। ভাইয়ের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে দেওয়া কাদের মির্জার ওই বক্তব্য নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে।শাহদাত হোসেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ার পর হলফনামায় মামলার তথ্য না দেওয়ায় এবং আয়-ব্যয়ের বিবরণী না থাকায় প্রথমে যাচাই-বাছাইয়ে পরবর্তী সময়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আপিলে তাঁর প্রার্থিতা বাতিল হয়। এরপর তিনি হাইকোর্টে রিট আবেদন করে প্রার্থিতা ফিরে পেলেও এখনো প্রতীক বরাদ্দ পাননি। তৃতীয় ধাপে ২৯ মে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।মতবিনিময় সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘আজ ওবায়দুল কাদের ঘুমাতে পারেন না একটা ছেলের জন্য। সে আমার ভাই নয়, ওবায়দুল কাদেরের ভাই নয়। ওবায়দুল কাদের সাহেব স্টেটমেন্ট দিয়ে বলেছেন, কোনো মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়স্বজন নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবে না। আমাদের ভাই নয় এই কুলাঙ্গার শাহদাত। তার কারণে আজ ওবায়দুল কাদের অসহায়, সাংবাদিকদের সামনে গেলে চেহারা কালো হয়ে যায়। শেখ হাসিনার কাছে জবাব দিতে পারে না।’কাদের মির্জা বলেন, ‘সে (শাহদাত) আজ কোর্টে কোর্টে ঘুরছে। কাদের ইঙ্গিতে এ ষড়যন্ত্র হচ্ছে একদিন প্রকাশ হবে ইনশা আল্লাহ। ওবায়দুল কাদেরের ইজ্জত যে ছেলে নষ্ট করে, সে ছেলেকে যদি ভোটে আসে, ভোট দেওয়া যায়?...না। আল্লাহর গজব পড়বে এই ছেলের ওপর।’বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ছোট ভাই শাহদাতের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, ‘একটা সালিস তার জন্য করতে পারি না পৌরসভায়। সালিসে রায় দিলে যে হেরে যায়, সে তার পক্ষ হয়। সালিস বাস্তবায়ন করতে পারি না এই ছেলের কারণে। এই ছেলেকে ঘৃণাভরে যদি প্রত্যাখ্যান না করেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব যদি মারা যান, তাঁর আত্মার শান্তি পাবে না।’আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘আমার কষ্টে বুক ফেটে যায়, আমি হচ্ছি পৌরসভার মেয়র। সে আমার বয়সে অনেক ছোট। সে উপজেলা চেয়ারম্যান হবে, এটা কেমন কথা? আপনারা বলেন? আমার ইজ্জত থাকবে? আমি আপনাদের কাছে করজোড়ে অনুরোধ করব, একটা ভোটও ওই ছেলেকে দেবেন না। আপনারা আমাদের প্রার্থীদের ভোট দেবেন। আমি বসুরহাট বাজারের শান্তি রক্ষার জন্য যা যা করার সবকিছু করব।’জানতে চাইলে শাহদাত হোসেন মুঠোফোনে বলেন, আবদুল কাদের মির্জাকে তিনিও ভাই বলে পরিচয় দেন না।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ মে ২০২৪
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের প্রার্থিতা নিয়ে বিব্রত আওয়ামী লীগ। এ নিয়ে দল থেকে বারবার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। দলীয় সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আজ বলেছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের বিরত রাখা আওয়ামী লীগের নীতিগত সিদ্ধান্ত, এখানে আইনগত কোনো বিষয় নেই।আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে রোববার দুপুরে তিনি এসব কথা বলেন। সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রতীক ছাড়া নির্বাচন করলে নির্বাচনটি আরও বেশি অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে— এ ভাবনা থেকে আওয়ামী লীগ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ স্থগিত করেছে। এর মানে এই নয় যে অন্যান্য দলগুলো নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ করতে পারবে না।দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কট নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, যুদ্ধের কারণে বিশ্বে যে অর্থনৈতিক সংকট চলছে তা বাংলাদেশেও আছে। বাংলাদেশ এ প্রভাব থেকে মুক্ত নয়। যেমন, দ্রব্যমূল্যের যে চাপ তা তো অস্বীকার করার উপায় নেই।এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ মে ২০২৪
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের মিথ্যাচার প্রতিরোধে আমাদের কিছু ব্যর্থতা আছে বলে আমি মনে করি, বিশেষ করে এখানে যারা আওয়ামী লীগের আছেন, তারা যথাযথভাবে এসব অপপ্রচারের জবাব দিতে পারেননি। বিএনপির বক্তব্য/তথ্য যে মিথ্যা তার জবাব জোরালোভাবে দিতে পারেননি। কিংবা ঐসব ন্যারেটিভের বিরুদ্ধে কাউন্টার ন্যারেটিভ অর্থাৎ বিশ্বাসযোগ্যতার সাথে সত্য কথাটা তুলে ধরতে পারেননি। আমি মনে করি এখানে যারা আওয়ামী লীগের আছেন, যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে বসবাস করেন, তারা দলকে দেশকে কন্ট্রিবিউট করতে পারেন। আর এটা শেখ হাসিনার জন্য বা আওয়ামী লীগের জন্য নয়। বাংলাদেশের স্বার্থেই আমি মনে করি এ দায়িত্বটি সকলের পালন করা উচিত। শুক্রবার নিউইয়র্কে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কাদের মিয়ার বাসায় বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ বিরোধী লাগাতার অপপ্রচার প্রতিরোধে প্রবাসীদের করণীয় প্রসঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি আরো বলেন, গত সপ্তাহে ক্যালিফোর্নিয়ায় আন্তর্জাতিক বঙ্গবন্ধু সম্মেলনে এসেছিলেন প্রফেশনাল ইঞ্জিনিয়ার, চিকিৎসক, কর্পোরেশনের বড় কর্তারা। তাদেরকে জানিয়েছি যে, বাংলাদেশ ছেড়ে এলেও সেখানে আত্মীয়-স্বজনতো রয়েছেন। পরবর্তী প্রজন্মের প্রতিতো দায়িত্ববোধ আছে। সে বোধ থেকেই তাদের উচিত মার্কিন প্রশাসন-রাজনীতিক, নীতি-নির্ধারকদের কাছে বাংলাদেশের সঠিক চিত্র তুলে ধরা। প্রপাগান্ডা মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া। এমন আহ্বান রেখেছি তাদের কাছে। কিছদিন আগে র্যাবের কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের স্যাংশন প্রসঙ্গে বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, তা ভুলভাবে করা হয়েছে। আমি মনে করি তা ন্যায্যতার সাথে হয়নি। বাংলাদেশের বাস্তবতাকে বিবেচনায় নেয়া হয়নি। বিএনপি তো বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড শুরু করেছে এবং দায়ীদেরকে ইমডেমনিটিও দিয়েছিল। যেভাবে জাতির জনকের হত্যাকারিদের দেয়া হয়েছিল। এরচেয়ে বর্বর ন্যাক্কারজনক ঘটনাতো বাংলাদেশের ইতিহাসে নেই। আওয়ামী লীগের এই নেতা আরো বলেন, বিএনপি যেসব তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে মূলধারার মিডিয়ায় নিউজ করিয়েছে সেগুলোকে আমরা চ্যালেঞ্জ করেছি যে, তার কোনটাই সত্য নয়। বাংলাদেশের কারাগারে বিএনপির এতলোক আছে এবং এতজন মারা গেছে, তার কোনটিই সত্য নয়। ব্যক্তিগতভাবে উদ্যোগ নিয়ে আমি আইজি প্রিজনের সাথে কথা বলে জেনেছি, প্রতিমাসে বাংলাদেশের কারাগারে গড়পরতা ৪০ থেকে ৪৫ জন মারা যায় বিভিন্ন রোগে। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখনও একই রকম ছিল। এটা স্বাভাবিক। এখন জেলে কাউকে হত্যা করা হয়েছে-এমন কোন ঘটনা নেই এবং জেলে যারা মারা গেছে অনেকেরই রাজনীতির সাথে কোনো সম্পর্ক নেই। অনেকে দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে ছিলেন। বিএনপির আমলেই তারা কারাগারে গিয়েছিলেন। তারা (বিএনপি) ভুলভাবে এমন ভুল তথ্য বিদেশীদের কাছে উপস্থাপন করে তাদের পক্ষে করুনা আদায়ের জন্য, রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য তারা এমন বানোয়াট তথ্য তাদেরকে (বিদেশীদেরকে) দেয়। বাংলাদেশের কারাগারসমূহের ধারণ ক্ষমতা ৮০ হাজারের বেশী নয়। অথচ বিএনপি তার বিদেশী প্রভুদের বলেছে যে, কারাগারে নাকি তাদের লাখ লাখ লোক রয়েছে। এ ধরনের মিথ্যা তথ্য, বিএনপির নেতারাতো দণ্ডপ্রাপ্ত এবং পলাতক-সাজাপ্রাপ্ত হাওয়া ভবনের মালিক তারেক জিয়ার নির্দেশেই এসব অপপ্রচার চালায়। বিএনপির অনেক নেতার সাথেই আমাদের ব্যক্তিগত পর্যায়ে যোগাযোগ আছে এবং তারাও সেটি জানে। কিন্তু তারা তাদের নেতাকে তুষ্ট করার জন্য এ ধরনের মিথ্যাচার চালিয়েই যাচ্ছে। ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াতের কোনো সমর্থন নেই। তারা নির্বাচনে আসেনি। ভোটও দেয়নি। এ অবস্থায় তারা বেছে নিয়েছে এই মিথ্যাচার, প্রপাগান্ডা। তারা যে সময়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল, সে সময় তারা যে লুটপাট করেছে, সেই অর্থ বাইরে এনে লবিষ্ট ফার্ম ভাড়া করেছে। পশ্চিমা মিডিয়াগুলোতে এ ধরনের প্রপাগান্ডা অত্যন্ত সাকসেসফুল্লি তারা করতে পেরেছে। এসব কারণে গত নির্বাচনটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল এবং দেখা গেছে যে, সেই নির্বাচন-বিরোধী ষড়যন্ত্র পরাজিত হয়েছে এবং বাংলাদেশের জনগণ পুনরায় গণতন্ত্রের পক্ষে, নির্বাচনের পক্ষে, নির্বাচিত সরকার ব্যবস্থার পক্ষে সমর্থন দিয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ মে ২০২৪
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।এর আগেও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ২০২৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। যদিও ১৩ অক্টোবর আরেক বিজ্ঞপ্তিতে তাকে স্বপদে বহাল করা হয়।সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের যৌথ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাকে শোকজ করা হয়।এতে বলা হয়, সাম্প্রতিককালে আপনার একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে, যা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এটি সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। এর দায়ভার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ কোনভাবেই বহন করবে না।আরো বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে আপনার বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না সে মর্মে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ৪৭ (৯) ধারা মোতাবেক উপযুক্ত ও যথার্থ যুক্তিযুক্ত কারণসহ আগামী ১৫ মের মধ্যে লিখিত জবাব প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হলো।সম্প্রতি অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেত্রী ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলীকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে আওয়ামী লীগ।চামেলির বহিষ্কারাদেশ বাতিল করা যাবে—এই মর্মে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজের একটি অডিও রেকর্ড তখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হয়। চামেলির সঙ্গে ফাঁস হওয়া ১৮ সেকেন্ডের ওই অডিওতে শোনা যায়, ‘রিয়াজ বলছেন—আমিতো কাজে আসছি। চামেলি বললেন, কথা হয়েছে? তখন রিয়াজ বললেন, ঠিক আছে অসুবিধা নাই। আপনিতো ওই সময় বললেন সন্ধ্যায় আসবেন, এখন আবার! তখন চামেলি বললেন, মানে সন্ধ্যায় বুঝো নাই? আইসা আবার জোগাড় করতে করতে…। তখন রিয়াজ বললেন, আচ্ছা ঠিক আছে, কথা আর বাড়ানোর দরকার নাই। ঠিক আছে। তখন চামেলি বললেন, ঠিক আছে আমি সকালে ১০ পাঠাই দিতাছি। তখন রিয়াজ বললেন, ঠিক আছে।’এ বিষয়ে জানতে চাইলে চামেলী বলেন, ‘হ্যাঁ আমার সঙ্গে রিয়াজের ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে বহিষ্কার করা হবে না এই মর্মে কথা হয়েছিল। রিয়াজ বলেছেন, তার সঙ্গে নাকি আমাদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কথা হয়েছে, ১০ লাখ টাকা দিলে তারা বহিষ্কার করবে না। অব্যাহতি দিয়ে একটা চিঠি দেবে। গত মঙ্গলবার দুপুরে রিয়াজের সঙ্গে টাকার বিষয়ে কথা হয়েছে।’ তার কাছে বিস্তারিত অডিও রয়েছে বলেও জানান তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ এপ্রিল ২০২৪
আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস (মে দিবস) উপলক্ষ্যে রাজধানীতে শ্রমিক সমাবেশ করবে বিএনপি। আগামী ১ মে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আগামী ১ মে শ্রমিক সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন। এছাড়া দলের অন্যান্য নেতারাও এই সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন।এর আগে গতকাল খালেদা জিয়াসহ দলের নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে সমাবেশ ঘোষণা করেছিল বিএনপি। কিন্তু তীব্র গরমের কারণে পরে সেই সমাবেশে স্থগিত করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ এপ্রিল ২০২৪
কালো চশমা পরা বিএনপি নেতারা দেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বিএনপির লজ্জা পাওয়া উচিত।শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে রোববার (২৮ এপ্রিল) সকালে বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, আমার মনে হয় এরা (বিএনপি) পড়াশোনা করে না। কথাটা বলেছেন (বাংলাদেশের উন্নতি দেখে এখন লজ্জিত হই) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। পাকিস্তানের সঙ্গে পিরিতি তাদের (বিএনপি), বন্ধুত্ব তাদের। পাকিস্তান আজ বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখতে পায়। পাকিস্তান একসময় বোঝা ভাবতো, এখন লজ্জিত। এতে রিজভীদেরই লজ্জা পাওয়া উচিত। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে তাদেরই লজ্জা পাওয়া উচিত। তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না। কালো চশমা পরে। শেহবাজ শরীফ যা দেখে সেটাও দেখে না। তারা (বিএনপি) কেন দেখে না সেটা তাদেরকে জিজ্ঞাসা করুন। জাতীয় পার্টিকে হুমকি দিয়ে নির্বাচনে নিয়ে আসা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, কে কাকে হুমকি দিয়েছে? তাদের জন্ম তো বন্দুকের নলে। তারা গণতন্ত্রের মধ্য দিয়ে আসেনি। গত নির্বাচনে বাংলাদেশের ৪২ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে। ভোটের দিন কোনো খুন খারাবি হয়নি। এখানে আমরা কোনো চাপ অনুভব করিনি। তিনি কোন কারণে, কার চাপে নির্বাচনে এসেছেন সেটা তাকেই (জিএম কাদের) পরিষ্কার করতে হবে।তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতেই ৭৫'এর ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড। খুনিদের মদত দিয়েছে জিয়া-মোশতাক চক্র। এর মধ্যদিয়ে দেশে হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু। শেখ হাসিনা দেশে ফিরে হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বন্ধ করে উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা সূচিত করেন। বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতায় স্থিতিশীল পরিস্থিতিতে দেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত আছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ এপ্রিল ২০২৪
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। ভোটার, প্রার্থী ও সমর্থকরা যদি নিয়ম মেনে চলে তাহলে কোনো ধরনের সমস্যা থাকবে না। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত লোকজনের কোনো কাজ থাকবে না। তারা বসে বসে ঘুমাবে। নিয়ম ভঙ্গ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারা যত বড় ক্ষমতাধর হোক কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে শনিবার মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর ও সিংগাইর উপজেলার প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন মো. আলমগীর ।প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসি আলমগীর বলেন, বিএনপি অফিসিয়ালি নির্বাচনে না আসলেও অনেকেই নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন।+0নেতাদের স্বজনদের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, সরকারি সিদ্ধান্ত নয়। আঠার বছর বয়সী বাংলাদেশের নাগরিক এবং আদালত কর্তৃক নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য নন তিনিই প্রার্থী হতে পারবেন। দুপুরে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতারের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন সরকার, জেলা নির্বাচন অফিসার আমিনুর রহমান মিয়া এবং হরিরামপুর ও সিংগাইর উপজেলার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। প্রার্থীদের মধ্যে কেউ কেউ ইভিএমে ভোটগ্রহণ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশও করেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ এপ্রিল ২০২৪
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আতঙ্ক এখনও কাটেনি। তিনি এখনও আতঙ্কিত কেন জানেন? আতঙ্কিত এ জন্য কারণ তিনি জানেন জনগণ তাকে তো ভোট দেয়নি। দেশের ৯৫ শতাংশ জনগণ তাকে ভোট দেয়নি।শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা ও ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিবের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি।রিজভী বলেন, সরকার চোরাবালির উপর দাঁড়িয়ে আছে, যেকোনো সময় সরকারের গদি বালির মধ্যে ডুবে যাবে। সে কারণে সরকার হাবিবুন নবী খান সোহেল, সাইফুল আলম নীরব, আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, হাবিবুর রশিদ হাবিব দেরকে আটক করে রেখেছে। ভয় থেকে তাদের আটক করে রেখেছে।বিএনপির নেতাদের নামে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই, প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ১/১১ সরকারের সময়ে আপনার বিরুদ্ধেও তো মামলা হয়েছিল সেই মামলাগুলো গেলো কোথায়? যারা স্বৈরাচারী, যারা একনায়ক তারা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের কারাগারে ভরে রাখে। ব্যাংক লুট হচ্ছে, ঘরবাড়ি লুট হচ্ছে, তাদের আপনি ধরতে পারেন না। যার প্রত্যেকটির সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা জড়িত; তাদের আপনি ধরতে পারেন না।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ এপ্রিল ২০২৪
বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, 'আমি রাজনীতি করি, সে জন্য বুয়েটে আমি যেতে পারব না? এটা কোন ধরনের আইন?'আজ রোববার সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে চট্টগ্রাম বিভাগের নেতাদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, 'আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা অপকর্ম-অন্যায়ের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেন এবং সেই নীতিতেই আমরা এগিয়ে চলছি। আজকে বিশ্বজিৎ হত্যার বিচার করতে গিয়ে আমাদের আমাদের অনেক কর্মী দণ্ডিত হয়েছে। তারপর বুয়েটে আবরার হত্যাকাণ্ডে আমরা কাউকে ছাড় দেইনি। শেখ হাসিনা কাউকে ছাড় দেননি।'তিনি বলেন, 'এখানে সেদিন যা ঘটেছে, কেউ তো ওখানে রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচি পালন করতে যায়নি! সেখানে তো কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না। আজকে আমি রাজনীতি করি, সে জন্য বুয়েটে আমি যেতে পারব না? এটা কোন ধরনের আইন? এটা কোন ধরনের নিয়ম?'আমরা পরিষ্কার একটা কথা বলতে চাই, ঘটনার তদন্ত চলছে। আমরা খতিয়ে দেখছি। ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করার নামে বুয়েটকে একটা অপরাজনীতি-জঙ্গিবাদের কারখানায় রূপান্তরিত করা হবে, পরিণত করা হবে—এটা যাতে না হয়। আমরা তদন্ত করে দেখছি, এ ধরনের কিছু পাওয়া গেলে সরকারকে অ্যাকশনে যেতে হবে,' বলেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩১ মার্চ ২০২৪
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সংসদ সদস্যদের প্রভাব বিস্তার না করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।আজ শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রংপুর বিভাগের আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার শুরুতে এসব কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমি এমপি, প্রভাব বিস্তার করব, আমার একজন থাকবে, তাঁকে জেতানোর জন্য গোটা প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে, এটা হতে পারে না। কেউ হস্তক্ষেপ করবে, এটা কোনোভাবে মেনে নেওয়া হবে না।’ওবায়দুল কাদের বলেন, সামনে উপজেলা নির্বাচন। এতে উন্মুক্ত নির্বাচন করার সুযোগ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে ইউনিয়ন পর্যায়েও নৌকা প্রতীক দেওয়া হয়েছে। এবার উন্মুক্ত করে দিয়ে এটা তাঁরা দেখতে চান, এর মধ্য দিয়ে নির্বাচন কতটা প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়, স্বচ্ছ হয়। সংগঠন যখন আছে, সমস্যাও থাকবে বলে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বড় দল। বড় দলে কখনো কখনো কিছু সমস্যা সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে নিতে বাধাগ্রস্ত করে। তাঁরা এবার প্রথম থেকেই আটঘাট বেঁধে নামতে চান। জাতীয় নির্বাচনের পর থেকেই সাংগঠনিক কার্যক্রমে তাঁরা নজর দিয়েছেন। কিছু কিছু জেলায় সমস্যার ব্যাপারে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছেন। যাঁর যেমন খুশি যখন-তখন দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য রাখবেন, সেটার দায়িত্ব দল গ্রহণ করবে না। একটা-দুইটা বক্তব্য পুরো দলের শৃঙ্খলার ওপর আঘাত হানে। এ ব্যাপারে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণের সঙ্গে সেতুবন্ধন তৈরি করতে হবে। জেলার সঙ্গে উপজেলা, উপজেলার সঙ্গে ইউনিয়নের সাংগঠনিক সেতু তৈরি করতে হবে। যেখানে সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় দেয়াল আছে, তা ভেঙে দিতে হবে।ওবায়দুল কাদের বলেন, যে উদ্দেশ্যে এই নির্বাচন উন্মুক্ত করা হয়েছে, সে উদ্দেশ্য ব্যাহত করা যাবে না। প্রতিযোগিতা যাঁরা করতে চান, করুন। তাঁরা নির্বাচন সম্পূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু করতে চান উপজেলায়। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলেন। নির্বাচন শেষে, নির্বাচন আগের আশঙ্কা-আতঙ্ক ছিল, তা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে কেটে গেছে। সারা বিশ্ব নির্বাচন প্রত্যক্ষ করেছে। ৮১টি দেশ শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। ৩২টি সংস্থা তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, অর্থমন্ত্রী আবুল হাছান মাহমুদ আলী, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ মার্চ ২০২৪
স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ প্রকাশ্যে দুর্নীতি করার ঘোষণা দিয়েছেন। তার এমন বক্তব্যের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছড়িয়ে পড়েছে।বক্তব্যে মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমার পাঁচটা বছরের (২০১৪-২০১৮) বেতন ভাতার টাকা ছাড়া আমার কোনো সম্পদ ছিল না। আগামীতেও থাকবে না। এবার (দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে) ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। সেই টাকা আমি তুলব। যে ভাবেই হোক তুলবই। এতটুক অনিয়ম আমি করবই। এটুকু অন্যায় করব, আর করব না।তিনি আরও বলেন, ওই সময় এক টাকাও খরচ হয়নি আমার। শুধু ব্যাংকে ২৫ লাখ টাকা জমা রাখতে হয়, ওটা রেখেছি। এক টাকাও খরচ নাই, ২৫ লাখ টাকা তুললাম। ট্যাক্স ফ্রি ২৭ লাখ টাকা দিয়ে গাড়ি কিনেছিলাম। চাইলে ১ কোটি টাকা দিয়ে কিনতে পারতাম। আমার যখন টাকা নাই তখন ২৭ লাখ টাকা দিয়ে কিনেছি। এবার আমি কিনব, ওই টাকা দিয়ে কিনব। ওই যে টাকা, ওই টাকা তুলে নিব আমি। খালি ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা তুলব।গত মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) লালপুর উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য এসব কথা বলেন। বুধবার রাতে ওই বক্তব্যের একটি ভিডিও ক্লিপ ঢাকা পোস্টের হাতে এসেছে। সংসদ সদস্যের প্রকাশ্যে এমন বক্তব্যে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে জেলাজুড়ে।অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আখতার বলেন, এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। উনার বক্তব্যে (সংসদ সদস্য) উনি বলেছেন, এটাতে আমার কোনো কথা নেই।বক্তব্যর বিষয়ে জানতে চাইলে সংসদ সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমার বক্তব্যে এটা বোঝাতে চেয়েছি যে অনেকেই এ রকম করে। আমার বক্তব্য বিকৃত করে প্রচার করা হচ্ছে।এ বিষয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি নাটোর জেলা শাখার সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সরকারি অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে একজন সংসদ সদস্যের এমন বক্তব্য খুব দুর্ভাগ্যজনক। তার (সংসদ সদস্যের) এমন বক্তব্যে তার সহকারী এবং দলীয় নেতাকর্মীরা দুর্নীতিতে উৎসাহিত হবেন। এটা একদিকে যেমন পরিষ্কারভাবে শপথের লংঘন অন্যদিকে নির্বাচনী বিধিরও লংঘন। নির্বাচনী ব্যয় অনুযায়ী একজন সংসদ সদস্য ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারেন না। সংসদ সদস্যের কাছে গঠনমূলক বক্তব্যেরও প্রত্যাশা করি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ মার্চ ২০২৪
বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান মাগুরা-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু এর আগে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) এ যোগ দিয়েছিলেন বলে বিভিন্ন পত্রিকায় খবর ও ছবি প্রকাশ হয়েছে। এ নিয়ে কোনো কিছু জানেন না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।বিএনএমের সদস্য হয়ে আওয়ামী লীগ থেকে কিভাবে সংসদ সদস্য হয়েছেন—এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, সাকিব আওয়ামী লীগের টিকিটে মাগুরা থেকে ইলেকশন (নির্বাচন) করেছে, জয় লাভ করেছে। পার্টির কাছে নমিনেশন (মনোনয়ন) চাওয়ার সময় সে পার্টির সদস্য। তার আগে তো সাকিব আমাদের পার্টির কেউ ছিল না। নমিনেশন যখন নেয় তখন তাকে তো প্রাইমারি সদস্য পদ নিতে হয়। সে শর্ত পূরণ করা দরকার সেটা সে করেছে। সেভাবেই আমরা মনোনয়ন দিয়েছি। সে এমপি হয়েছে নির্বাচনে। আমি এই বিষয়ে আর কিছু জানি না।নির্বাচনের আগে সরকার কিংস পার্টি তৈরি করেছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সরকারি দল কিংস পার্টি করতে যাবে কেন? নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতিতে অনেক ফুল ফুটে। কোনটা কিংস পার্টি, কোনটা প্রজা পার্টি এটা সম্পর্কে আমার জানা নেই। এটার রেজিস্ট্রেশন করে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন। কোন দল কে রিকগনিশন (প্রতিনিধিত্ব) করে এটা নির্বাচন কমিশনের বিষয়। এখানে আমাদের কিছু বলার নেই।এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সম্পাদক বলেন, তারা (বিএনপি) বন্ধুরাষ্ট্র বলতে ইন্ডিয়াকে বলেছে। বলেছে তোমরা স্বাধীনতা অর্জনে সাহায্য করেছো, এখন গণতন্ত্র উদ্ধারে তোমাদের সাহায্য চাই। গণতন্ত্র তো আমাদের ঠিকই আছে। তাদের সাহায্য চাওয়ার অর্থ ক্ষমতায় বসিয়ে দেওয়া। নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনোভাবে বিদেশি রাষ্ট্র এসে ক্ষমতায় বসাবে এটা তো হতে পারে না। জনগণের সমর্থন ছাড়া সরকার পরিবর্তন সম্ভব নয়।বিএনপির কাছে বন্ধুপ্রতিম দেশের সহযোগীতার অর্থ মানে ক্ষমতায় বসিয়ে দেওয়া বলে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের গণতন্ত্র ঠিক আছে। আমাদের নির্বাচন হয়েছে। বিএনপির কাছে বন্ধুপ্রতিম দেশের সহযোগীতার অর্থ তাদেরকে ক্ষমতা বসিয়ে দেওয়া। নির্বাচন ছাড়া কেউ ক্ষমতায় বসাতে পারবে না।তিনি বলেন, আমরা একটি দেশ। গণতন্ত্রের বিষয়ে আমাদের একটা মানদণ্ড আছে। গণতন্ত্রের ব্যাপারে কেউ পারফেক্ট না। এদেশে ২১ বছর গণতন্ত্রের চর্চা হয়নি। এর আগে গত সোমবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান বলেছেন, আওয়ামী লীগ যদি আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রের সহায়তা চায় একটি এক দলীয় শাসনের জন্য, আমরা কিন্তু বন্ধু রাষ্ট্রের সহায়তা চাই একটি ভিন্ন কারণে, সেটি হলো একটি গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের জন্য। আমরা তো কারও সঙ্গে কোনো শত্রুতা চাই না।এসময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ দপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনিসুল ইসলাম প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ মার্চ ২০২৪
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও মৎস্য প্রাণী মন্ত্রী আবদুর রহমান বলেছেন, ‘হাওর অঞ্চলের সম্ভাবনাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে হাওর অঞ্চল হবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু। এজন্য সুষ্ঠু পরিকল্পনা প্রণয়ন করে আমাদের হাওর অঞ্চলের সম্ভাবনা খুঁজে বের করতে হবে। শুক্রবার বিকালে ঢাকার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে ‘বৃহত্তর ময়মনসিংহ গবেষণা ফাউন্ডেশন’ ‘আয়োজিত হাওরের সম্ভাবনা: প্রাপ্তি ও সংকট উত্তরণের পথরেখা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।মন্ত্রী বলেন, ‘হাওর অঞ্চল হচ্ছে জীব বৈচিত্রের এক অপার আধার। হাওর কেন্দ্রিক অর্থনীতির যে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে তা কাজে লাগাতে বহুমুখী ও পরিকল্পিত উপায়ে উদৌগ গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নে সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে।’ হাওর অঞ্চলের উন্নয়নকে জাতীয় উন্নয়নের মুল ধারায় সম্পৃক্ত করা গেলে শেখ হাসিনার হাত ধরে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।তিনি বলেন, ‘হাওর অঞ্চলে মাছের উৎপাদন মূলত ব্যাহত হয় স্থায়ী অভয়াশ্রমের অভাব, ক্ষতিকর চায়না জালের ব্যবহার, ডিম ওয়ালা মাছ ও পোনা নিধণ, ইজারা প্রথা, সেচ দিয়ে মাছ শিকার, জমিতে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের ব্যবহার এবং হাওরের গভীরতা কমে যাওয়ায় শুষ্ক মৌসুমে পানিশূন্য হয়ে পড়ার কারণে। তিনি এসব সমস্যা সমাধানের জন্য সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের তাগিদ দেন।’তিনি জানান, ‘স্বাধীনতার পর হাওর অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নের জন্য জাতির পিতা বংগবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে হাওর উন্নয়ন বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সে ধারাবাহিকতায় হাওর এলাকার জনজীবন, জীবিকা, পরিবেশসহ সার্বিক উন্নয়নের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ২০১২ সাল থেকে ২০৩২ সাল পর্যন্ত ২০ বছর মেয়াদি একটি হাওর মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।’তিনি বলেন, ‘হাওরের যেমন সম্ভাবনা রয়েছে তেমনি নানাবিধ চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অতিবৃষ্টি, শিলা বৃষ্টি, পাহাড়ি ঢলের কারণে মাছ চাষ ও বোরো ফসল উৎপাদন আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া প্রতিনিয়ত পাহাড়ি ঢলের সাথে বাহিত পলি জমে নদী ভরাট হওয়ায় নদীর পানি ধারণ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে।’ তিনি এসব সমস্যা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল সরকারি বেসরকারি কতৃপক্ষকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহবান জানান।আয়োজক সংগঠন বৃহত্তর ময়মনসিংহ গবেষণা ফাউন্ডেশনের সভাপতি সাজ্জাদুল হাসান এমপি অনুষ্ঠানের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যথাক্রমে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট মহাপরিচালক ডক্টর শাহজাহান কবীর, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এ্যকুয়াকালচার বিভাগের প্রফেসর (ব্রি) ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের হাওর ও চর উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর সুভাষ চন্দ্র দাস। সম্মানীয় অতিথি উপস্থিত থেকে প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন এমিরেটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার ও পানি সম্পদ সচিব নাজমুল আহসান। স্বাগত বক্তব্য দেন আয়োজক সংগঠনের মহাসচিব সাকী আনোয়ার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সহ-সভাপতি কবি ও কপিরাইট বিশেষজ্ঞ মনজুরুর রহমান এবং সালমা মুক্তা।সভাপতির বক্তব্যেও সাজ্জাদুল হাসান এমপি বলেন, ‘‘জাতির জনক কবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন করে বলেছিলেন- তিনি দেশের উন্নয়ন দেখে চান। কিন্তু দেশকে যখন উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন ঠিক তখন একদল কুলঙ্গার ১৫ আগস্টে জাতির জনককে সপরিবারে হত্যা করে। দেশ আবার পেছন দিকে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় আছেন বলেই দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। তার একজন সারথী হিসেবে উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় অবদান রাখার প্রয়াসেই আমাদের এই আয়োজন।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ মার্চ ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়াস্থ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অগ্রসরতার নতুন নতুন ধাপ পার করছে। মিলছে নতুন স্বীকৃতি ও সম্মাননা। সবশেষ ভার্জিনিয়া স্টেট অ্যাসেম্বলিতে বিশেষ স্বীকৃতি ও সম্মাননা পেলো এই বিশ্ববিদ্যালয়। যার মালিকানায় রয়েছেন বাংলাদেশি-আমেরিকান আইটি ও শিক্ষা উদ্যোক্তা ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ। এর আগে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ভার্জিনিয়া স্টেট সিনেটে সম্মাননা ও স্বীকৃতি পায় ডব্লিউইউএসটি।সেবার ৪০ জন সিনেটরের পক্ষ থেকে সাইটেশন পাবার পর এবার জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে ভার্জিনিয়ার ১০০ সদস্যের হাউজ অব ডেলিগেটসে বিশেষ সম্মাননা পেলো ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি-ডব্লিউইউএসটি।গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার ভার্জিনিয়ার রাজধানী শহর রিচমন্ডের অ্যাসেম্বলি হলে ফেয়ারফ্যাক্স কাউন্টির ডিস্ট্রিক্ট সেভেনের ডেমোক্র্যাট ডেলিগেট ক্যারেন কিইস গামাররা তার উপস্থাপনায় তুলে আনেন এই বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রসঙ্গ। জানান, চেয়ারম্যান ও চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ ও প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্কে নেতৃত্বে ডব্লিউইউএসটি অগ্রসরতার কথা। যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ শিক্ষার বিস্তার এবং ভবিষ্যতের জন্য আশা জাগানিয়া অবদান রাখার জন্য সম্মাননা প্রস্তাব তোলেন ক্যারেন কিইস গামাররা। তার উপস্থাপনা শেষ হতে স্পিকার ডন স্কটের নেতৃত্বে ১শ ডেলিগেটস ও গ্যালারিতে উপস্থিত সকল অতিথিগণ তুমুল করতালির মাধ্যমে সম্মননা জানান ডব্লিউইউএসটিকে।বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ ও প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্কের নেতৃত্বে ১৩সদস্যের এই প্রতিনিধি দল এসময় অ্যাসেম্বলি হলে উপস্থিত ছিলেন। অন্যদের মধ্যে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএফও ফারহানা হানিপ, আবুবকর হানিপ ও ফারহানা হানিপের জ্যেষ্ঠ কন্যা সাইবার সিকিউরিটির শিক্ষার্থী নাফিসা নওশিন, স্কুল অব বিজনেসের পরিচালক অধ্যাপক ড. মার্ক রবিনসন, স্কুল অব বিজনেস ও জেনারেল এডুকেশন ফ্যাকাল্টি প্রফেসর সালমান এলবাদর, জেনারেল এডুকেশন অ্যান্ড সেন্টার ফর স্টুডেন্ট সাকসেস এর অ্যাসিসট্যান্ট ডিরেক্টর ড. হুয়ান লি, বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং ডিরেক্টর হোসে উর্তেগা, স্টুডেন্ট সাকসেস ও ক্যারিয়ার সার্ভিস ম্যানেজার র্যাচেল রোজ, ক্যারিয়ার সার্ভিস ও আইটি ম্যানেজার অমিত গুপ্ত, স্টুডেন্ট গর্ভামেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সেলিন ইগিত এবং ইনফরমেশন টেকনলজির মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মো. নাঈম হাসান।অ্যাসেম্বলি হলে সম্মাননা অনুষ্ঠান শেষে ভার্জিনিয়ার ৪৮তম অ্যাটর্নি জেনারেল জেসন মিয়ারেসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ডব্লিউইউএসটি প্রতিনিধি দল। কমনওয়েলথ অব ভার্জিনিয়ার বারবারা জনস বিল্ডিংয়ে এই সাক্ষাতের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হন স্টেট অ্যাটর্নি জেনারেল। ডব্লিউইউএসটির পক্ষ থেকে রিপাবলিকান এই অ্যাটর্নি জেনারেলের হাতে স্যুভেনির তুলে দেয়া হয়। পরে ফটোসেশনের মাধ্যমে এই বৈঠক শেষ হয়।এদিকে এশিয়ান কমিউনিটি নিয়ে বহুবছর ধরে সফলতার সাথে ভার্জিনিয়ার রিচমন্ডে কাজ করে আসছে এমন চারটি সংগঠনের আয়োজনে একটি মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠান ছিলো সন্ধ্যায়। যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভার্জিনিয়ার ৭৪তম গভর্নর রিপাবলিকান দলের গ্লেন ইয়ংকিন। বেশ কয়েকজন সিনেটর ও হাউজ অব ডেলিগেটস এতে উপস্থিত ছিলেন, যেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয় ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির প্রতিনিধি দলকে। ভার্জিনিয়ার শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ নানা কথা উঠে আসে গভর্নর গ্লেন ইয়ংকিনের বক্তৃতায়। নতুন নতুন প্রোগ্রামের মাধ্যমে ইন্ড্রাস্টিতে কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভূমিকা রাখছে তা উল্লেখ করেন তিনি।এই অনুষ্ঠানেও ডব্লিউইউএসটির সফলতার কথা তুলে ধরেন ডিস্ট্রিক সেভেনের ডেলিগেট ক্যারেন কিইস গামাররা।আর স্টেটে শিক্ষা সেবায় অনন্য ভূমিকা রাখায় ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ ও প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্কে সাধুবাদ জানান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সফলতা কামনা করেন গভর্ণর গ্লেন ইয়ংকিন। ডিনারের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এই আয়োজন।এই স্বীকৃতিকে পাথেয় করে নতুন উদ্যম ও উদ্দীপনা নিয়ে রিচমন্ড থেকে ভার্জিনিয়ায় ফিরে আসে ডব্লিউইএসটি টিম।২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ও বাংলাদেশি-আমেরিকান আইটি ও শিক্ষা উদ্যোক্তা ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপের ব্যবস্থাপনা ও নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষণ ও পরিচালন পদ্ধতিতে আসে ব্যাপক পরিবর্তন। যার মধ্য দিয়ে ঘটেছে দ্রুত প্রসার, শিক্ষার্থীদের কাছে হয়ে উঠে জনপ্রিয়। তিনবছরের ব্যবধানে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী সংখ্যা ৩০০ থেকে বেড়ে দাড়িয়েছে ১৭০০।এখানে তথ্য-প্রযুক্তি, সাইবার সিকিউরিটি ও ব্যবসায়িক প্রশাসনের উপর ব্যাচেলর ও মাস্টার্স কোর্সে বর্তমানে বিশ্বের ১২১ দেশের শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। সম্প্রতি ভার্জিনিয়ার আলেক্সান্দ্রিয়ায় বৃহৎ ভবনে গড়ে তোলা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির নতুন ক্যাম্পাস।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ মার্চ ২০২৪
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেছেন, আজকে মানুষ বাজার করতে না পেরে ঘরে ফিরে যায়।জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।মঈন খান বলেন, 'শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ঐক্যের রাজনীতি করেছেন। বিভাজনের রাজনীতি করেন নাই, যেটা আজকে আওয়ামী লীগ করছে।'তিনি বলেন, 'বাংলাদেশে বিভাজনের কোনো স্থান নেই। সরকার ঔপনিবেশিক ধ্যান-ধারণা নিয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি-বিপক্ষের শক্তি বলে বিভেদ সৃষ্টি করে এই দেশকে শাসন করে যেতে চায়। তারা নিজেদের ক্ষমতার লোভে এই জাতিকে বিভাজনের মাধ্যমে ধ্বংস করে দিচ্ছে।'বাংলাদেশে কোন জিনিসের দাম আজকে বাড়েনি? সব জিনিসের দাম আকাশচুম্বী, মানুষের জীবন ত্রাহি ত্রাহি। আজকে মানুষ বাজারে গিয়ে বাজার করতে না পেরে ঘরে ফিরে যায়।'রাজধানীর মোড়ে মোড়ে বুভুক্ষু মানুষের হাহাকার, গাড়ির পাশে এসে দাঁড়ায় মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'সরকার এগুলো দেখতে পায় না। কারণ সরকার দেখতে পায় কানাডার বেগম পল্লী, মধ্যপ্রাচ্যের গুলশান থ্রি, মালয়েশিয়ার সেকেন্ড হোম।'তিনি বলেন, 'আজকে আমাদের এই প্রত্যাশা, সরকার ক্ষমতার মোহ থেকে বেরিয়ে আসুক, তারা জনগণের রাজনীতি করুক—যে উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল। আমরা পাকিস্তানের ২২টি ধনী পরিবারের জন্য বাংলাদেশ সৃষ্টি করি নাই। এই সরকার আজকে তার পরিবর্তে, বাংলাদেশে ২২০টি পরিবার সৃষ্টি করে গণতন্ত্রের পরিবর্তে একটি অলিগার সৃষ্টি করেছে। যেখানে তারা কিছু মুষ্টিমেয় লোক বাংলাদেশের সব সম্পদ কুক্ষিগত করে ফেলেছে। লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। এই অবস্থা থেকে আমরা মুক্তি চাই।'
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
এবার চার ধাপে অনুষ্ঠিত হবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ভোট গ্রহণের প্রথম ধাপ ৪ মে, দ্বিতীয় ধাপ ১১ মে, তৃতীয় ধাপ ১৮ মে এবং চতুর্থ ধাপ ২৫ মে। এ তথ্য জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। দেশের ছয় বিভাগের ৩৪৪ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে নির্বাচন ঘিরে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নেমেছেন প্রচারের মাঠে। গণসংযোগ, সভা-সমাবেশ করে দলীয় নেতাকর্মী, সমর্থকদের মধ্যে অবস্থান জানান দিচ্ছেন। প্রতিদিনের কর্মসূচি তুলেও ধরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।ছয়টি বিভাগের ১০৮ উপজেলা প্রথম ধাপে নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আগামী ৪ মে ঢাকা বিভাগের কেরাণীগঞ্জ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে অংশ নিতে সম্ভাব্য প্রার্থীরা জোরেসোরে প্রচারণায় চালাচ্ছেন। চেয়ারম্যান পদে আবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহিন আহমেদ। টানা তিনবারের উপজেলা চেয়ারম্যান। বর্তমানে এ দায়িত্বেই আছেন।এর মধ্যে টানা দুই বার পেয়েছেন শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যানের পুরষ্কার। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হিসেবে দলের নেতাকর্মী, সাধারণ মানুষের মধ্যেও রয়েছে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। এসব তথ্য স্থানীয় আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে। সূত্র জানায়, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের (২০০১-২০০৬) সময় শাহিন আহমেদ দলের নেতাকর্মীদের একত্রিত করেছিলেন। দুর্দিন, দু:সময়ে যেকোন প্রয়োজনে দলের নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন। নেতা-কর্মীদের আগলে রেখে উপজেলা আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করেছেন। কর্মসূচির নাম করে বিএনপি-জামায়াত যেনো, দেশ বিরোধী কোন ধরনের নাশকতা করতে না পারে। সেটিও রুখে দিয়েছেন তিনি।প্রথম ধাপের নির্বাচন নিয়ে কেরাণীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রীতম সংগঠন নেতারা দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে করছেন প্রচারণা। ভোটের দিন অনেক সময়। এখনি, ভোটের হাওয়া লেগেছে জনসাধারণদের। তবে, স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, কেরাণীগঞ্জের হাল ধরতে এবারো শাহিন আহমেদ এগিয়ে রয়েছেন। জানতে চাইলে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানা সেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মিরাজুর রহমান সুমন বলেন, দক্ষ-কর্মীবান্ধব ও জনবান্ধন একজন নেতা শাহিন আহমেদ। স্বচ্ছ ও জনপ্রিয় হওয়ায় টানা তিনবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এবং দুই বার দেশসেরা চেয়ারম্যানের খেতাব অর্জন করেছেন। কেরাণীগঞ্জে আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠন নেতাকর্মীদের উতসাহ দিয়ে তিনি দলের প্রতি উজ্জীবিত করেছেন।মিরাজুর রহমান জানান, পুনরায় নির্বাচন করছেন শাহিন আহমেদ। এরমধ্যে প্রচারণায় দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানা সেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকর্মীরা বেশজোরেসোরে তার (শাহিন আহমেদ) পক্ষে মাঠে নেমেছেন। ওই থানা সেচ্ছাসেবক লীগ সূত্র জানিয়েছে, তাদের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন সভা-সমাবেশ করে শাহিন আহমেদের জন্য এবারও ভোট প্রার্থনা করছেন। পাশাপাশি শেখ হাসিনা সরকারের নানামুখী অর্জন ও উন্নয়ন তুলে ধরছেন।এক প্রশ্নের জবাবে মিরাজুর রহমান বলেন, শাহিন আহমেদের নেতৃত্বে আমরা সুসংগঠিত। এবং ঐক্যবদ্ধ রয়েছি। আগামী ৪ মে নির্বাচনে তাকে (শাহিন) বিপুল ভোটে বিজয়ী করা হবে। এই লক্ষ্যেই আমাদের অভিভাবক নসরুল হামিদ বিপুর (প্রতিমন্ত্রী) নির্দেশে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। এদিকে, বিভিন্ন সভা-সমাবেশে উপস্থিতি বাড়িয়েছেন শাহিন আহমেদ। দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে বেশ গণসংযোগ করছেন। ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা সরকারের নানামুখী অর্জন ও উন্নয়নের কথা তুলে ধরছেন। নিজের অবস্থান জানান দিয়ে অনেক রকম প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। দোয়া, সমর্থন চেয়ে করছেন ভোট প্রার্থনা।শাহিন আহমেদ বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের যে অভুতপূর্ব উন্নয়ন। এই উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে কেরাণীঞ্জবাসী আবার আমাকে চাচ্ছেন। তিনি জানায়, কেরাণীগঞ্জবাসীরা তাকে ভালোবাসেন। আধুনিক স্মাট কেরাণীগঞ্জ গড়তে পুনরায় কেরাণীগঞ্জের জনপ্রতিনিধি হতে চান। এক প্রশ্নের জবাবে শাহিন আহমেদ বলেন, আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ভিষন-মিশন বাস্তবায়নে অংশীজন হয়ে কেরাণীগঞ্জকে উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে নেওয়াই লক্ষ্য।জানা গেছে, ঢাকা জেলার অন্তর্গত কেরাণীগঞ্জ উপজেলা। দুটি থানা ও ১২টি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে এ উপজেলা গঠিত। রয়েছে দুটি সংসদীয় আসন। মোট জনসংখ্য ৬ লাখ ৩ হাজার ১১৪ জন। প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে ঢাকা, ময়মনসিংহ,রাজশাহী, খুলনা, রংপুর ও বরিশাল বিভাগের ১০৮টি উপজেলায়। এরপর ভোট গ্রহণ হবে দ্বিতীয় ধাপের ১২১টি, তৃতীয় ধাপের ৭৭টি এবং চতুর্থ ধাপের ৩৮টি উপজেলায়। জানিয়েছে ইসি সূত্র।সূত্র জানায়, দেশে ৪৯৫টি উপজেলা পরিষদ রয়েছে। ২০১৯ সালের ১০ মার্চ সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শুরু হয়। পাঁচ ধাপের ওই নির্বাচন শেষ হয়েছে জুন মাসে।আইন অনুযায়ী, প্রথম সভার দিন থেকে উপজেলা পরিষদের মেয়াদ শুরু হয়। যা, পরবর্তী পাঁচ বছর নির্বাচিত পরিষদ দায়িত্ব পালন করে। মেয়াদপূর্তির আগের ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।প্রসঙ্গত: উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় ভাবে মনোনয়ন না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এতে, দলের নেতাকর্মীদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দেয়ার সুযোগ তৈরী হচ্ছে। প্রার্থীদের অনেকটা স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচন করতে হচ্ছে।কিছুদিন আগে এক সভায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি দলগতভাবে অংশ না নিলেও তৃণমূলের নেতারা নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় নির্বাচন করবে।তিনি বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচন অংশ নেয়া নিয়ে দলটির মধ্য দ্বিধা দ্বন্দ্ব চলছে। আমরা দলীয় প্রতীক দিয়ে নির্বাচন করছি না।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, কথাবার্তা উনি (ওবায়দুল কাদের) যেভাবে বলেন, তাতে মনে হচ্ছে উনি বিএনপির বিকল্প জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য। তিনি বলেন, উনি (ওবায়দুল কাদের) কি বলেন, বিএনপি উপজেলা নির্বাচনে যাবে। তাতে মনে হচ্ছে, উনি শুধু আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নন, উনি বিএনপির বিকল্প জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য। কারণ মনে হচ্ছে, বিএনপির অনেক গোপন কথা উনি জেনে যাচ্ছেন। এগুলো আসলে জনগণের সঙ্গে তামাশা ও প্রতারণা করা। রাজধানীর নয়াপল্টনে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।মার্কিন প্রতিনিধি দলের কাছে বিএনপি নালিশ করেছে- ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের বিষয়ে রিজভী বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে তারা (আওয়ামী লীগ) কী করেছেন? শুধু দেশে না বিদেশে গিয়ে, এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশে গিয়ে বাংলাদেশের সরকারের বিরুদ্ধে খুব জোরালো কণ্ঠে সেখানে তারা কথা বলেছেন। আর কীসের নালিশ। উনি (ওবায়দুল কাদেদের) কি শুনেছেন কি কথাবার্তা হয়েছে? উনি কি জানেন? আমরা তো জানি না। তিনি আরও বলেন, বিদেশি কোন রাষ্ট্র এবং বিদেশি কোনো কর্মকর্তা আসলে, বিশেষ করে গণতান্ত্রিক দেশের কর্মকর্তারা আসলে সরকারি দল এবং বিরোধী দলসহ সবাই সঙ্গেই বসেন। এটা তো রেওয়াজ, এটা তো দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য। তারা ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। সে কারণে আমাদের নেতারা দেখা করতে গিয়েছেন। কিন্তু কী আলোচনা হয়েছে, কী কথা হয়েছে- আমরা তো কেউ জানি না। আমাদের নেতারা যারা গেছেন, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তারা তো কিছু বলেননি। তাহলে উনি (ওবায়দুল কাদের) জানলেন কি করে? তাহলে উনি কি কোনো গোপন ডিভাইস কোথাও রেখেছিলেন? রুহুল কবির রিজভী বলেন, ওবায়দুল কাদের একসময় ছাত্রনেতা ছিলেন। কিন্তু 'ডামি সরকারের' ডামি মন্ত্রী হয়ে উনি সত্য কথা বলতে ভুলে গেছেন। জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে, সেটা তারা ভুলে গেছেন। এক ধরণের দস্যুবৃত্তির মানসিকতা নিয়ে তারা ক্ষমতা দখল করে আছেন। আরেক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, খেসারত তারা (আওয়ামী লীগ) দিয়েছেন। আমরা দেই নাই। তাই এদেশের যখন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন তখন এই যে বিভ্রান্তমূলক কথাবার্তা বলছেন, তার পরিণতি আওয়ামী লীগকে ভোগ করতে হবে। আর ওবায়দুল কাদেররা যে মিথ্যাচার করছেন, তারও পরিণতি ভোগ করতে হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪