বিএনপি যতই আটলান্টিকের ওপারে তাকিয়ে থাকুক শেখ হাসিনা ভিসানীতি ও নিষেধাজ্ঞার কোন পরোয়া করেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ দুপুরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা কোন বিদেশি শক্তির হুমকি ধামকির পরোয়া করেন না। তিনি ভয় পান একমাত্র স্রষ্টাকে। তিনি ভালোবাসেন বাংলাদেশের জনগনকে।ওবায়দুল কাদের বলেন, ভালো লোকেরা নির্বাচিত হলে দেশ ভালো চলবে, নতুবা দু:শাসন অনিবার্য।। তিনি আরো বলেন, তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছে বোমা মেরে আতঙ্ক সৃষ্টি করবে। এই বিএনপিকে চিরতরে লাল কার্ড দেখাতে হবে।ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়। আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। পরে ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ জানুয়ারি ২০২৪
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো সংঘাত-সহিংসতা দেখতে চায় না আওয়ামী লীগ। ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের দিন বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধীদের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবে দলটি। একই সঙ্গে দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যেন ভোটের পরিবেশ নষ্ট করতে না পারে, সে বিষয়েও কঠোর অবস্থানে ক্ষমতাসীনরা। ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে কেউ ভোটের পরিবেশ নষ্টের চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেবে দল। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ তৃণমূল নেতাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী নেতারাও বলছেন-তারা যে কোনো মূল্যে অবাধ-সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চান। ফলে নির্বাচন ঘিরে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের মিত্রদের কর্মকাণ্ডে কড়া নজর রাখা হচ্ছে।এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বুধবার সংবাদ বিফ্রিংয়ে বলেন, আমরা যে কোনো মূল্যে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। নির্বাচনের মাধ্যমে যে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা, সেটা আরও গতিময় হবে। দেশের ভবিষ্যৎ সুসংহত হবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় ৭ জানুয়ারি নির্বাচন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, বিএনপি যে পরিবর্তনের কথা বলছে, সেটা তাদের আসল কথা নাও হতে পারে। কারণ বিএনপি বলে একটা করে আরেকটা। তারা সত্যি কথা বলছে এটা এখন বলার সুযোগ নেই। ৪ তারিখ পর্যন্ত তারা লিফলেট বিতরণ করবে, এরপর তাদের ভূমিকাটা কী, সেটা আমরা লক্ষ্য করব। জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, বিএনপি সংঘাত-সহিংসতার অপচেষ্টা করতে পারে। কিন্তু আমরা মনে করি, তারা সফল হবে না। কারণ সাধারণ মানুষ নির্বাচনের পক্ষে। মানুষের এই স্রোত তারা বন্ধ করতে পারবে না। ভোটের আগে বা ভোটের দিন সামনে রেখে দলের নেতাকর্মীদের কোনো দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের দলের নেতাকর্মীদের দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। আমরা শান্তিপূর্ণ ভোট চাই, ফলে এ বিষয়ে আমরা সব সময় সতর্ক আছি।আওয়ামী লীগের অভিযোগ-বিএনপি শুরু থেকে নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা করেছে। ২৮ অক্টোবরের পর তারা টানা হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচিতে চলে গিয়েছিল। কিন্তু এসব কর্মসূচিতে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে পারেনি। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন ভোটারদের নির্বাচনবিমুখ করে ভোট প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। এরই অংশ হিসাবে ভোটের দিন ঘিরে বিএনপির নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা ক্ষমতাসীনদের। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ এবার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে। তারা মনে করছে-এতে একদিকে যেমন নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে অন্যদিকে দেশ-বিদেশে নির্বাচন নিয়ে কেউ প্রশ্নও তুলতে পারবে না। ফলে নির্বাচনের দিন এ সংক্রান্ত বিষয়গুলো মাথায় রেখেই নিজেদের পরিকল্পনা সাজাচ্ছে দলটি। তৃণমূল নেতাদের দিচ্ছে নানা দিকনির্দেশনা।জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেন, বিএনপি তো নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে। তারা এখন সহিংসতা ও অগ্নিসন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা সবাই সজাগ ও সতর্ক আছি। তিনি আরও বলেন, এই নির্বাচনকে আমরা অংশগ্রহণ ও প্রতিযোগিতামূলক এবং উৎসবমুখর করতে চাই। সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান বলেন, বিএনপির কর্মসূচি নিয়ে আমরাও বিভ্রান্ত, দেশের মানুষও বিভ্রান্ত। তারপরও আমরা সতর্ক অবস্থানে থাকব। এ বিষয়ে নেতাকর্মীদের দিকনির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, একাধিক প্রার্থী শক্তিশালী হলে, সবাই চায় প্রভাব খাটাতে। তখনই সংঘর্ষ-সংঘাত হয়। দু-একটি জায়গায় এমন ঘটনা ঘটতেও পারে, এটা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কিন্তু এটা আমরা কখনোই উৎসাহিত করি না। আমরা সবাইকে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আহ্বান জানাচ্ছি। এবারের নির্বাচনে দলীয় এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে শুরু থেকেই সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে চলেছে। শেষ মুহূর্তে তারা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করেন কিনা, সে নিয়ে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা রয়েছে আওয়ামী লীগের মধ্যেও। কারণ প্রার্থীদের অনেকেই নিজের বিজয়কেই বড় মনে করছেন। সেক্ষেত্রে ভোটের দিন প্রভাবশালী দলীয় এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অনেকেই কেন্দ্রের নির্দেশনা উপেক্ষা করে প্রভাব বিস্তার, কারচুপি বা সংঘাতের মতো অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করতে পারেন। যা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনার সৃষ্টি করবে। এ ধরনের ঘটনা বেশি ঘটলে ভোটের গ্রহণযোগ্যতাও প্রশ্নবিদ্ধ হবে।দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোট ঘিরে বিএনপির কর্মকাণ্ড নিয়ে সতর্ক থাকার পাশাপাশি দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিরোধ যেন সংঘাতে রূপ না নেয় সে বিষয়েও কঠোর অবস্থানে আওয়ামী লীগ। একই সঙ্গে ভোটে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা হলে সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে আওয়ামী লীগ। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও কঠোর থাকতে বলা হয়েছে।জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির এক সদস্য বলেন, এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে জেতার জন্য কিছুই করতে হবে না। তাহলে কেন শুধু শুধু আমরা বদনামে জড়াব। তাছাড়া আমাদের নেত্রী (আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) অবাধ-সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের অঙ্গীকার করেছেন। ফলে কেউ তার ব্যক্তিগত স্বার্থে সামগ্রিক বিষয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করলে তার বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ দলের নেতাকর্মীদের কঠোর বার্তা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ জানুয়ারি ২০২৪
আগামীকাল শুক্রবার সকাল ৮টায় শেষ হচ্ছে সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা। ফলে আজ বৃহস্পতিবার প্রচারের শেষ সুযোগ কাজে লাগাতে মরিয়া বিভিন্ন আসনের প্রার্থী ও সমর্থকরা। নির্বাচনী এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা আজই শেষ জনসভা করবেন।নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সারাদেশে একযোগে ভোটগ্রহণ চলবে।ভোটের দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।ইসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তাদের সহায়তা দিতে এরই মধ্যে মাঠে নেমেছে সশস্ত্র বাহিনী। এরপরও বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী উত্তাপ রয়ে গেছে।বুধবারও কয়েকটি স্থানে আওয়ামী লীগ দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। নানামুখী হিসাব-নিকাশে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণাও দিয়েছেন কোনো কোনো প্রার্থী। তবে প্রায় ২০০ আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে শক্ত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ২৯৯ আসনে ১ হাজার ৯৭০ প্রার্থী নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বীতায় আছেন এবং তারা নিজ নিজ প্রতীক নিয়ে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।২৮ রাজনৈতিক দলের হয়ে লড়াই করছেন ১ হাজার ৫৩৪ প্রার্থী। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াই করছেন ৪৩৬ জন। নওগাঁ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল ইসলাম মারা যাওয়ায় ওই আসনের নির্বাচন স্থগিত করেছে ইসি। বিএনপিসহ নিবন্ধিত ১৬ রাজনৈতিক দল ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়ে ভোট ঠেকানোর আন্দোলনে রয়েছে।এবারের নির্বাচনে রেকর্ডসংখ্যক শোকজ, তলব, সতর্ক ও জরিমানার পরও প্রার্থীদের বাগে আনতে পারছে না ইসি।কমিশনের রক্তচক্ষুর আড়ালে সারাদেশে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের হুমকি-ধমকি, হামলা, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলাসহ নানা আচরণবিধি লঙ্ঘন করে চলেছেন অনেক প্রার্থী। এসব অভিযোগে গতকালও কয়েকজন প্রার্থী ও তাদের সমর্থককে শোকজ করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ তাদের সমর্থকদের এ পর্যন্ত ৫৮৯টি শোকজ ও তলব নোটিশ দিয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। এর মধ্যে ঢাকা অঞ্চলে সর্বোচ্চ ১৩১টি এবং সিলেট অঞ্চলে সর্বনিম্ন ২১টি নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশের জবাবে এ পর্যন্ত ৩৮৪ প্রার্থী ও তাদের সমর্থক অনুসন্ধান কমিটির কাছে সরাসরি অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ জানুয়ারি ২০২৪
‘এইবার বুইঝা-শুইনাই নামছি। বুইঝা-শুইনাই নামছি চোর ক্যামনে আটকাইতে হয়। ২০১৪ ও ১৮-তে কামডা আমরাই কইরা দিছিলাম। এইবার ক্যামনে আটকাইতে হয় হেইডা আমরা জানি। হ্যারা কী করতে চাইতেছে, সব জানি। এইডা দেখবেন, ৭ তারিখে প্রমাণ কইরা দিমু। আপনারা শুধু ভোটকেন্দ্রে যাইয়েন আর ভোটটা দিয়েন। রক্ষা কেমনে করতে হয়, হেইডা আমরা দেইহা দিমু।’গাজীপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিমের (রাসেল) নির্বাচনী সভায় কথাগুলো বলেছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। গত শনিবার দুপুর ১২টার দিকে কালিয়াকৈর উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে এই সভা হয়। গাজীপুর-১ (কালিয়াকৈর ও সিটির একাংশ) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আ ক ম মোজাম্মেল হক। স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।সভায় জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘অনেকেই বলে, ভোট দিব ট্রাকে, যাইবোগা হের মার্কায়। আমি আপনাগো বইলা যাই। ২০১৪ করেছি, ২০১৮ করছি, এটা ২০২৪ সাল। আমার মা জায়েদা খাতুন একজন নারী। কোনো পার্টি ছিল না, কোনো দল ছিল না, একটা বড় নেতা ছিল না। রাষ্ট্রের যন্ত্র সব ব্যবহার করছিল। একটা ভোটও চুরি করতে পারে নাই। এটা তো পুরুষ মানুষের ভোট। বাক্সের মধ্যে হাত দিব আর চুরি ছিনতাই করবো, হেইডা পারবো না।’মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর উদ্দেশে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে গেছিল সবাই, তারা কইছে, এইবার একটু স্বতন্ত্রকে ঘুরাইয়া দেন। প্রধানমন্ত্রী কইছে, “১৫ বছর আমি দেখছি। আমি ১৫ বছর দেখছি মানুষকে কী সার্ভিসটা দিছেন, এইবার সেই পরীক্ষাটা জনগণকে দিয়ে আসেন।” পরে গেছে পার্টির সাধারণ সম্পাদকের কাছে। গিয়া কইছে স্বতন্ত্ররে আর জাহাঙ্গীররে একটু থামায়া দেন। হ্যারে কইছে, “আপনি যদি মন্ত্রী হইয়া স্বতন্ত্রকে ভয় পান, তাইলে নির্বাচনে দাঁড়াইলেন কেন।”’জাহাঙ্গীর আলমের এসব বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। গত শনিবার এক দিনে গাজীপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিমের সমর্থনে কালিয়াকৈর উপজেলায় ১১টি পথসভা করেন জাহাঙ্গীর। প্রতিটি সভায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীকে আক্রমণ করেন কথা বলেন তিনি।এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা তাকে থামানোর জন্য কোথাও যাইনি, যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। আমরা যদি প্রধানমন্ত্রীর কাছে, দলের কাছে গিয়ে থাকি, তাহলে কি সে কাউকেই মানে না। এটাই বুঝাতে চাইছে। যাহোক তার (জাহাঙ্গীর আলম) কোনো বিষয়ে কথা বলতে চাই না। তার মুখে যখন যা আসে, তা-ই বলেছে।’এ বিষয়ে কথা বলতে জাহাঙ্গীর আলমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁর ফোন অন্য একজন ধরে বলেন, ‘ভাই পথসভায় ব্যস্ত আছেন।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৩ জানুয়ারি ২০২৪
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগে করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন প্রশ্নে রুল শুনানি চলতি সপ্তাহের জন্য মুলতবি করা হয়েছে। মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন দায়েরকারী আইনজীবীর পক্ষে এক আইনজীবীর সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ চলতি সপ্তাহের জন্য শুনানি মুলতবি করেন। এর আগে এই আইনজীবীর উদ্দেশে হাইকোর্ট বলেন, ‘তখন এত আর্জেন্সি (তাড়া) দেখালেন, এখন নেই কেন?’ মামলাটিতে গত ৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট মির্জা ফখরুলের জামিন প্রশ্নে রুল দেন। মির্জা ফখরুলকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। রাষ্ট্রপক্ষকে এক সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।রুল শুনানির দিন ধার্যের জন্য গত ১৭ ডিসেম্বর আদালতে আরজি জানান মির্জা ফখরুলের আইনজীবীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ রুল শুনানির জন্য ৩ জানুয়ারি তারিখ ধার্য করেছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ বিষয়টি কার্যতালিকায় ওঠে। বিষয়টি শুনানির জন্য বেলা ১১টায় সময় ধার্য ছিল।ক্রম অনুসারে উঠলে আবেদনকারীর পক্ষে একজন আইনজীবী বলেন, ‘প্রে ফর নট দিস উইক, পারসোনাল ডিফিকাল্টিজ’ (চলতি সপ্তাহে না করার জন্য আরজি জানাচ্ছি, ব্যক্তিগত অসুবিধার জন্য)।তখন আদালত এই আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, কার পক্ষে বলছেন?তখন এই আইনজীবী বলেন, আইনজীবী সগীর হোসেনের পক্ষে।আদালত বলেন, জামিন আবেদন দায়েরকারী আইনজীবী কে? তখন এই আইনজীবী বলেন, সগীর হোসেন।এ সময় আদালত বলেন, ‘তখন এত আর্জেন্সি (তাড়া) দেখালেন, এখন নেই কেন?’ তখন এই আইনজীবী বলেন, ‘পারসোনাল ডিফিকাল্টিস’ (ব্যক্তিগত অসুবিধা)।এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বি এম আবদুর রাফেল হলফনামা (রুলের জবাবসংক্রান্ত) দাখিল করেন। পরে আদালত চলতি সপ্তাহের জন্য শুনানি মুলতবি করে আদেশ দেন।আদালত থেকে বের হওয়ার সময় জানতে চাইলে আবেদনকারী এই আইনজীবী বলেন, তাঁর নাম ওয়ালী উদ্দিন।মামলাটিতে গত ২২ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়। এরপর তিনি জামিন চেয়ে গত ৫ ডিসেম্বর হাইকোর্টে আবেদন করেন। আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট জামিন প্রশ্নে রুল দেন।বিষয়টি গত ১৪ ডিসেম্বর আদালতে তুলে ধরেন মির্জা ফখরুলের আইনজীবীরা। শুনানির দিন ধার্যের আরজি জানিয়ে সেদিন তাঁর আইনজীবী বলেন, নোটিশ জারি হয়েছে। রুল প্রস্তুত হয়েছে।তখন আদালত বলেন, উল্লিখিত হিসাবে বিষয়টি ১৭ ডিসেম্বর কার্যতালিকায় আসবে।সেদিন (১৭ ডিসেম্বর) বিষয়টি কার্যতালিকায় উঠলে আদালত ৩ জানুয়ারি (আজ) শুনানির জন্য দিন রাখেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৩ জানুয়ারি ২০২৪
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে; বরং বিএনপি ও তার দোসররাই একতরফাভাবে নির্বাচনের বিরোধিতা করছে। ড. ইউনূসের দণ্ডে আওয়ামী লীগের কোনো দায় নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলীয় সভাপতির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী বলেন, লিফলেট বিতরণ বিএনপির রহস্যময় কর্মসূচি। হঠাৎ তারা সশস্ত্র হয়ে উঠতে পারে। তবে তারা যতই বাধা দিক নির্বাচন ঠেকানো যাবে না।ড. ইউনূসের সাজা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আদালতের রায়েই তিনি দন্ডিত হয়েছেন। এখানে আওয়ামী লীগের কোনো দায় নেই। যে শ্রমিকদের পাওনা থেকে বঞ্চিত করেছেন তারাই মামলা করেছেন। এখানে আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা কেন?জাতীয় পার্টির কিছু প্রার্থীর নির্বাচন থেকে সরে আসা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতীয় পার্টির ২/১ জন ব্যক্তিগত অসুবিধার কারণে নির্বাচন নাও করতে পারেন। কিন্তু দলগতভাবে নির্বাচন থেকে তারা সরে যাবে বলে মনে হয় না। যাদের সঙ্গে কম্প্রোমাইজ হয়েছে তারা তো কেউ সরে যায়নি।তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে মানুষ যাতে ভোট দিতে না যায় সেজন্য বিএনপি সন্ত্রাসী তৎপরতা চালাচ্ছে। যে কোনো মূল্যে নির্বাচনি কর্মকাণ্ড ভালোভাবে সমাপ্ত করার ক্ষেত্রে কমিশনকে স্বাধীন ভূমিকা পালনে সব কিছু করবে আওয়ামী লীগ।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভোটের প্রচার-প্রচারণা যেভাবে চলছে, তাতে স্পষ্ট যে, আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ জানুয়ারি ২০২৪
বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে মহাসড়কের চান্দিনা বেলাশোর এলাকায় এ অবরোধ শুরু হয়।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অবরোধের কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম (এন-১) মহাসড়কের দুই পাশে কয়েকশ যানবাহন আটকা পড়েছে।দুপুর ১টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পোশাকশ্রমিকদের এই বিক্ষোভ চলছিল বলে জানিয়েছেন দ্য ডেইলি স্টারের সংবাদদাতা।ডেনিম প্রসেসিং প্ল্যান্টের শ্রমিক কাকলী আক্তার বলেন, 'কারখানা কর্তৃপক্ষ আমাদের বেতন দিচ্ছে না এবং গত তিন মাস ধরে তারা আমাদের দুর্দশার কথাও শুনছে না। তাই আমরা বাধ্য হয়ে মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছি।'বিষয়টি নিয়ে জানতে ডেনিম প্রসেসিং প্ল্যান্টের জরুরি নম্বরে দ্বিতীয়বার ফোন করলে কারখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা এই বিষয়টি নিয়ে কোনো কথা বলবে না।চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ সানজুর মোর্শেদ বলেন, 'গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে শ্রমিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টা চলছে।'
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ জানুয়ারি ২০২৪
আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামাত অগ্নি সন্ত্রাস করে আপনাদের ভোট কেড়ে নিতে চায়। সকাল সকাল পরিবার-পরিজন নিয়ে কেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোট নিজে দেবেন। কেউ যেন আপনার ভোট ঠেকাতে না পারে। ভোট দিয়ে অগ্নি সন্ত্রাসের উপযুক্ত জবাব দেবেন।আজ সোমবার রাজধানীর কলাবাগান মাঠে নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এই জনসভার আয়োজন করে।বেলা ১২টার আগে থেকেই ছোট ছোট মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জনসভাস্থলে আসতে শুরু করেন। বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে জনসভার মঞ্চে আসেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বক্তব্য শুরু করেন তিনি।জনসভায় আওয়ামী লীগ সভাপতির বক্তব্যে ছিল বিএনপির সমালোচনা। বিএনপির ব্যাপারে জনগণকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি ভোট চুরি করে অভ্যস্ত। ক্ষমতা দখল, ভোট চুরি ছাড়া কিছু করতে পারে না। ভোট চুরি করতে পারবে না বলে তারা নির্বাচন বর্জন করেছে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ভোটাধিকার কেড়ে নেবে ও নির্বাচন বানচাল করবে-এত সাহস বিএনপির নেই।শেখ হাসিনা তাঁর বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে দেশের অগ্রযাত্রা, ১৫ আগস্টের ঘটনা, ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং দেশের জনগণের উন্নত জীবনের জন্য নিজের সংগ্রামের কথা তুলে ধরেন। এরপর তিনি গত ১৫ বছরে তাঁর সরকারের নেওয়া উদ্যোগ, বিভিন্ন খাতে দেশের উন্নয়ন, আসন্ন নির্বাচন এবং বিএনপি ও বিভিন্ন দলের ভোট বর্জনসহ বিভিন্ন প্রসঙ্গে কথা বলেন।শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে বিশ্বাস করে। জনগণের ভোটাধিকার আওয়ামী লীগই জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনকে করে দেওয়া হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে গণতন্ত্র থাকায় দেশে আর্থসামাজিক উন্নতি হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বস্ত্র, বাসস্থানের জন্য কাজ করে জনগণের হৃদয় জয় করে ভোট পাই। ভোট চুরির প্রয়োজন হয় না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই উন্নয়ন হয়েছে।বিএনপি নির্বাচন বানচাল করতে চায় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভোট চুরি করতে পারবে না বলে তারা নির্বাচন বর্জন করেছে। জ্বালাও-পোড়াও করে বিএনপি শুধু মানুষ খুন করতে পারে। ২০১৩-১৪ নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনে এসেছিল। তাদের জন্য নির্বাচন হয়ে গেল নমিনেশন বাণিজ্য। তাদের নির্বাচন ভেস্তে যায়। তারেক রহমানের টাকায় বাংলাদেশে আবার তারা অরাজকতা, অগ্নি সন্ত্রাস শুরু করেছে। এদের ব্যাপারে সব সময় জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে। এরা দেশের সর্বনাশ করতে চায়।শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষের কল্যাণে যা যা করা প্রয়োজন আওয়ামী লীগ করছে। এটা প্রমাণিত সত্য, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়। জিয়াউর রহমান, এরশাদ, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় ছিল, দেশের জনগণকে কিছু দেয়নি। নিজেরা সম্পদের মালিক হয়েছে, লুটপাট করে খেয়েছে। আওয়ামী লীগ জনগণের অধিকারের কথা বলে।‘অস্বাভাবিক সরকারে নাকি মূল্য বাড়ে’বুদ্ধিজীবীরা নানা কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করে বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, মিথ্যা তথ্য দিয়ে তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করে। এর জবাব আমি দেব। গণতন্ত্র থাকলে নাকি তাদের (বুদ্ধিজীবীদের) মূল্য থাকে না। আর অস্বাভাবিক সরকার থাকলে নাকি তাদের মূল্য বেড়ে যায়। কার কত মূল্য সেটি দাঁড়িপাল্লায় মেপে দেখতে চাই।এই ১৫ রত্ন, আপনাদের সেবকবক্তব্যের শেষ দিকে ঢাকার ১৫টি আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এই ১৫টি রত্ন আপনাদের তুলে দিলাম। এরা আপনাদের সেবক হিসেবে কাজ করবে। এই নৌকা উন্নতি, সমৃদ্ধি, নিশ্চিন্ত জীবন ও শান্তি দেয়।দেশের অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার পদক্ষেপ হিসেবেই এই নির্বাচন। তরুণদের আহ্বান করব নৌকায় ভোট দিয়ে দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে।লাল কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছে বিএনপি‘খেলা হবে?’—এই প্রশ্ন দিয়ে জনসভায় নিজের বক্তব্য শুরু করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘খেলা হবে। বিএনপি কোথায়? মাঠে আছে? পালিয়ে গেছে। খেলা থেকে বাদ পরেছে। ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ থেকে বেরিয়ে গেছে। ২৮ অক্টোবর ফাউল করে লাল কার্ড দেখেছে।’আগামী ৭ জানুয়ারি ফাইনাল খেলা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ৭ জানুয়ারি বিএনপি-জামাতকে লাল কার্ড দেখিয়ে চিরতরে বের করে দিতে হবে। লুটেরা, দুর্নীতিবাজ, খুনি, ষড়যন্ত্রকারীদের স্থান বাংলার মাটিতে হবে না।যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা মিয়া আরেফির প্রসঙ্গ তুলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাইডেনের দোস্ত কোথায়? গরগর করে ইংরেজি বলে। বাইডেন নাকি পাঠিয়েছে। বিমানবন্দর থেকে পুলিশ ধরল। বরিশালের উচ্চারণে গরগর করে বাংলা বলা শুরু করল। কত রং দেখাইলা রে জাদু, ফান্দে পড়িয়া বগায় কান্দে…।’আগামী ৭ জানুয়ারি সবাইকে ভোটকেন্দ্রে আসার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নানক জিতবে, নাছিম জিতবে, আরাফাত জিতবে, ফেরদৌস জিতবে। ভোট কেন্দ্রে গিয়ে কী লাভ হবে? এটা মনে করে ঘরে শুয়ে থাকলে হবে না। এটা আমাদের চ্যালেঞ্জ। দলে দলে কেন্দ্রে আসবে ভোটাররা।’ সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির নানক, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থী আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা-১০ আসনের প্রার্থী চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ প্রমুখ। মঞ্চে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকার বিভিন্ন আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। সভা সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ও উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এস এ মান্নান কচি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ জানুয়ারি ২০২৪
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় ছয় মাসের দণ্ডিত নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে আপিলের শর্তে জামিন দিয়েছেন শ্রম আদালত। রায় ঘোষণার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই আসামিদের জামিন দেন আদালত।ড. ইউনূসসহ একই মামলায় দণ্ডিত চারজনকে সাজার রায় ঘোষণার পর সোমবার দুপুরে তাদের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা।দুপুর ২টা ১৫ মিনিট থেকে রায় ঘোষণা শুরু করা হয়। রায় শোনার জন্য ১টা ৪০ মিনিটে আদালতে উপস্থিত হন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।এদিন রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আদালত চত্বর ও আশপাশে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। মোতায়েন করা হয় বিপুল সংখ্যক পুলিশ। খবর সংগ্রহের জন্য ভিড় জমান দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা।এর আগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৪ জনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। পাশাপাশি সবাইকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে।রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, আসামিপক্ষ এক নম্বর আসামির বিষয়ে প্রশংসা সূচক বক্তব্য উপস্থাপন করেন। যেখানে তাকে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করা নোবেল জয়ী আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব বলে উল্লেখ করেন। কিন্তু এই আদালত নোবেল জয়ী ইউনূসের বিচার হচ্ছে না, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান হিসেবে তার বিচার হচ্ছে। এর আগে দুপুর ২টা ১৫ মিনিটের দিকে ঢাকার শ্রম আদালত-৩ এর বিচারক ৮৪ পৃষ্ঠার এ রায় ঘোষণা শুরু করেন।এরও আগে দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে ড. ইউনূসসহ চার আসামি আদালতে হাজির হন।গত ২৪ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের শেষ যুক্তিতর্ক শোনার পর রায় ঘোষণার জন্য আজকের তারিখ ধার্য করে শ্রম আদালত।ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ-আল-মামুন এ তথ্য জানিয়েছিলেন।গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূস এবং শীর্ষ কর্মকর্তা আশরাফুল হাসান, নুরজাহান বেগম ও মোহাম্মদ শাহজাহানের নামে এই মামলা করা হয়।গত ১৬ নভেম্বর এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করে।এর আগে, গত ৬ জুন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের চার সাক্ষীর জবানবন্দিও রেকর্ড করা হয়।২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে মামলাটি করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) এসএম আরিফুজ্জামান।মামলার নথি অনুসারে, আইএফইডি কর্মকর্তারা ২০২১ সালের ১৬ আগস্ট ঢাকার মিরপুরে গ্রামীণ টেলিকমের অফিস পরিদর্শন করে শ্রম আইনের বেশকিছু লঙ্ঘন খুঁজে পান।সেই বছরের ১৯ আগস্ট গ্রামীণ টেলিকম কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠিয়ে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটির ৬৭ কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা ছিল, কিন্তু তা করা হয়নি।এছাড়া কর্মচারীদের পার্টিসিপেশন ও কল্যাণ তহবিল এখনো গঠন করা হয়নি এবং কোম্পানির যে লভ্যাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার কথা ছিল তার পাঁচ শতাংশও পরিশোধ করা হয়নি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ জানুয়ারি ২০২৪
ভোটের ছয় দিন আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন গাজীপুরে দুটি আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হওয়া এম এম নিয়াজ উদ্দিন। তিনি দলের গাজীপুর মহানগরের সভাপতিও।আজ রোববার বিকেলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তের বিষয়টি বাংলা ওয়্যারকে নিশ্চিত করেছেন।গাজীপুর-১ (কালিয়াকৈর ও সিটির একাংশ) ও গাজীপুর-৫ (কালীগঞ্জ ও সদর একাংশ) আসন থেকে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী হন নিয়াজ উদ্দিন। দুটি নির্বাচনী এলাকার গুরুত্বপূর্ণ কিছু এলাকায় পোস্টার ও ব্যানারও সাঁটিয়েছিলেন। কিন্তু প্রচার–প্রচারণা শুরুর ১৩তম দিনে নির্বাচন থেকেই সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন তিনি।এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘সরকারের একতরফা নির্বাচন, সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ব্যক্তিগত কারণে সরে দাঁড়িয়েছি। আমার সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গেও কোনো আলোচনা হয়নি। মূলত আমি আর পারছি না, যার কারণে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি।’গাজীপুর-১ (কালিয়াকৈর ও সিটির একাংশ) আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আ ক ম মোজাম্মেল হক ও দলটির স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম (রাসেল) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া গাজীপুর-৫ (কালীগঞ্জ ও সদর একাংশ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মেহের আফরোজ (চুমকি) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আখতারউজ্জামান প্রচার–প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।নির্বাচন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে গাজীপুর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিষয়টি তিনি আমাদের লিখিত বা মৌখিক কোনোভাবেই জানাননি। তবে মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি। তিনি সরে দাঁড়ালে আমাদের এতে কিছু করার নেই।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঠেকাতে হস্তক্ষেপ চেয়ে জাতিসংঘে চিঠি দিয়েছে বিএনপি।রোববার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে দলটির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জাগো নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।চিঠিতে বিএনপি জানিয়েছে, বর্তমান সরকারের অধীনে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের দুটি বিতর্কিত নির্বাচনের পটভূমিতে আবারও আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের নামে একটি প্রহসনমূলক ও সহিংস কারচুপির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তথাকথিত এই ‘ডামি নির্বাচন’ সামনে রেখে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় যে নাশকতা চলছে, তাতে শুধু গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক নেতাকর্মীরাই নন, নিপীড়ন-নিষ্পেষণের শিকার হচ্ছেন খেটে খাওয়া প্রান্তিক মানুষও। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান-কাঠামোতে, বিশেষত বাস-ট্রেনে পরিকল্পিত হামলার মাধ্যমে জনগণের জানমাল ও নিরাপত্তা-স্বাধীনতা বিনষ্ট করছে আওয়ামী লীগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাংশ।সহিংসতার বিষয়টি উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়েছে, চলমান অগ্নিসংযোগের প্রতিটি ঘটনায় একটি সুনির্দিষ্ট প্যাটার্ন লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যার একমাত্র বেনিফিশিয়ারি আওয়ামী লীগ ও তার অধীনস্থ রাষ্ট্রযন্ত্র। আর প্রধান ভুক্তভোগী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। ক্ষমতাসীন শীর্ষ নেতৃত্ব ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কোনো তদন্ত, তথ্য বা সূত্র ছাড়াই প্রতিটি ঘটনার পরপর অবলীলায় ও একই সুরে অগ্নিসন্ত্রাসের দায় বিএনপির ওপর চাপিয়ে দিচ্ছেন। নিজেদের সুপরিকল্পিত এই ধ্বংসযজ্ঞকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে অপব্যবহার করে তারা রাষ্ট্রীয় দমন-নিপীড়নকে উসকে দিচ্ছেন, যা শেখ হাসিনার প্রতিহিংসামূলক বক্তব্যে বারবার প্রমাণিত হয়েছে।গত ১৯ ডিসেম্বর ট্রেনে মর্মান্তিক ঘটনার উল্লেখ করে জাতিসংঘে পাঠানো এই চিঠিতে বলা হয়েছে, ঢাকায় চলন্ত ট্রেনের তিনটি বগিতে অগ্নিসংযোগ করা হয় এবং চারজন যাত্রী মারা যান। ঘটনার বিশ্লেষণে প্রতীয়মান হয় যে, রাষ্ট্রযন্ত্রের একটি চিহ্নিত অংশের যোগসাজশে এই নাশকতা সংঘটিত হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের দুদিন আগেই ১৯ ডিসেম্বরের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বিশেষভাবে সরকারি হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত শয্যা, জরুরি পরিষেবা, ডাক্তার এবং অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। আমাদের বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে যে, এই নির্দেশনাটি কোনো কাকতালীয় বিষয় নয়। ডিএমপির এই প্রস্তুতিমূলক উদ্যোগ কেন নেওয়া হয়েছিল, নাশকতার সুস্পষ্ট তথ্য ও পরিকল্পনা তাদের কাছে কীভাবে এলো এবং তারপরও এটি রোধে কেন তারা কোনো ব্যবস্থা নিলেন না, জনমনে এসব প্রশ্ন রয়েছে।চিঠিতে বলা হয়, বিগত বছরগুলোতে বিএনপি যতবার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, আওয়ামী লীগও একই দিনে পরিকল্পিত নাশকতার উদ্দেশে কর্মসূচি আহ্বান করেছে। আমরা দলের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সর্বদা একটি অহিংস আন্দোলন বজায় রাখার ওপর জোর দিয়েছি এবং সব উসকানি এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছি। গত ২৮ অক্টোবর আমরা ঢাকায় একটি মহাসমাবেশের আয়োজন করেছিলাম, যেখানে সারাদেশ থেকে গণতন্ত্রকামী লাখ লাখ মানুষ যোগ দিয়েছিলেন। নানা প্রতিকূলতা-প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আবারও প্রমাণ করেছিল, বিএনপির পক্ষে ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে এবং একটি সত্যিকারের নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের বিব্রতকর পরাজয় অনিবার্য। আর তাই আমাদের মহাসমাবেশকে বানচাল ও চলমান শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে সেদিন একটি ধ্বংসাত্মক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে শেখ হাসিনার আজ্ঞাবহ পুলিশের চিহ্নিত অংশ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩
এবারের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে নির্বাচন বিরোধী অপতৎপরতার জবাব দিতে ৭ জানুয়ারি দলে দলে ভোটকেন্দ্রে আসতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ দুপুরে নোয়াখালীর কবিরহাটে চাপরাশিরহাটে পথসভায় তিনি বলেন, আজকে বিএনপি কোন প্রার্থী ও নামী কোন নেতাকে হত্যার জন্য কিলিং এজেন্ট তৈরি করছে। লন্ডন থেকে নির্দেশ আসছে। তারেক রহমানের সাহস নেই, থাকলে দেশে আসুক। আজকে আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি দেশে নির্বাচন পন্ড করতে লাশ ফেলার রাজনীতি করতে চায়। ওরা ৭৫ এ ১৫ আগস্ট, ৩ রা নভেম্বর জেল হত্যা করেছে মোস্তাক জিয়াউর রহমান। তারেক রহমান, খালেদা জিয়া ২০০৪ গ্রেনেড হামলা করেছে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্য। যেখানে আইভি রহমানসহ ২৩ প্রাণ ঝরে গেছে। আমি সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। এদেরকে প্রতিরোধ করতে হবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ অস্ত্রবাজি, গোলাবাজিতে বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগের অস্ত্র জনগণ। জণগণের শক্তিতেই ৭১ মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্রের আন্দোলন করেছি। ৭ জানুয়ারি শেখ হাসিনা টানা ৪র্থ বার, ৫বাবের মতো বিজয়ী হবেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ৭১ এ কাউকে ভয় পায় নি। এ নির্বাচনে যত বাধাই আসুক, বিদেশি শক্তি নির্বাচন নিয়ে পরামর্শ দিলে আমরা শুনব, কিন্তু বিএনপির সুরে উসকানি দিলে মেনে নিবো না।ওবায়দুল কাদের বলেন, বরিশালে শেখ হাসিনার সমাবেশ এটাই প্রমাণ করে - এই নির্বাচনে ভোট দেয়ার জন্য জনগণ উন্মুখ হয়ে আছে। এই নির্বাচন বাধা দিয়ে ঠেকানোর ক্ষমতা কারো নেই। পথ সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, বিএনপি লাল কার্ড খেয়ে পালিয়ে গেছে। এখন লিফলেট বিতরণের আন্দোলন করে। বিএনপির কোমর, হাটু ভেঙে গেছে, আর দাড়াতে পারবে না।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩
অনেকে আন্তর্জাতিকভাবেও বাংলাদেশে তৃতীয় পক্ষকে ক্ষমতায় আনার জন্য কাজ করছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।আজ শনিবার সকালে টুঙ্গিপাড়ায় সরকারি শেখ মুজিবুর রহমান কলেজ মাঠে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য নির্বাচনী জনসভায় শেখ হাসিনা এ কথা জানান।শেখ হাসিনা বলেন, ‘নির্বাচন বাতিলের জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। অনেকে আন্তর্জাতিকভাবেও জড়িত। তারা বাংলাদেশে তৃতীয় পক্ষকে ক্ষমতায় আনার জন্য কাজ করছে। আমরা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে ষড়যন্ত্রের উপযুক্ত জবাব দেব।’আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে নির্বাচনের মাধ্যমে তৃতীয় দলকে ক্ষমতায় আনতে আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বাতিলের দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের জবাব দেবে দেশবাসী।৭ জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারি আমাদের নির্বাচন। নৌকা মার্কায় আমরা ভোট করব। আপনারা সকালে সকলে সশরীরে এসে ভোট দিয়ে বিশ্বকে দেখাবেন যে এই নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং আমরা তা করতে জানি ও করতে পারি। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন আমরা করতে পারি।’আওয়ামী লীগ সভাপতি টুঙ্গিপাড়াবাসীর সমর্থনকে নিজের শক্তি হিসেবে উল্লেখ করে তাঁর দায়িত্ব নেওয়ার জন্য তাঁদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি ৩০০ আসন দেখি। আর আমাকে দেখেন আপনারা। কাজেই এটাই হচ্ছে আমার সব থেকে বড় পাওয়া, আমার মতো একজন সৌভাগ্যবান প্রার্থী বাংলাদেশে আর নেই। এটা হলো বাস্তবতা। তার কারণ আপনারা। আপনারাই আমার দায়িত্ব নেন। আপনারা আমাকে দায়মুক্ত করে রেখেছেন বলেই বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে আমরা কাজ করতে পারছি।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি একজন প্রার্থী হিসেবে নৌকা মার্কায় ভোট চাই, ভোট দেবেন তো?’ তাঁর এই প্রশ্নের উত্তরে সমস্বরে চিৎকার করে জনতা দুই হাত তুলে ভোট প্রদানের সম্মতি জানায়। ‘আমি জানি আপনারা দেবেন’—প্রতি উত্তর দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।প্রধানমন্ত্রী তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে বেলা সোয়া ১১টায় সমাবেশস্থলে পৌঁছান এবং সমাবেশে জাতীয় পতাকা নেড়ে জনতাকে শুভেচ্ছা জানান। সমাবেশটি একটি জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩
রাজধানীর নিউমার্কেট থানাধীন সেন্ট্রাল রোডে চিত্রনায়ক ফেরদৌসের নির্বাচনী প্রচারণায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়ে অন্তত ১২ জন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।আজ শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসা নেওয়া আহতরা হলেন- জনি বাবু (৩০), অনিন্দ্র চৌধুরী (২৩), শিশির (৩৫), রাসেল (৩০), আব্দুল জলিল (৩৮), সোহেল খান (২৮), মাহি (২৫), ইব্রাহিম, আলিফ (৩৫), উজ্জলসহ আরো কয়েকজন।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নিউমার্কেট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কামাল বলেন, ‘আমি সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে এসেছি। আহতদের তথ্য সংগ্রহ করছি। এখনে বিস্তারিত কিছু বলতে পারছি না।’আহতদের হাসপাতালে নিয়ে আসা সাহেদ আলী বলেন, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড ইউনিট সভাপতি ইমাম হোসেন মঞ্জিলের নেতৃত্বে বহিরাগতদের নিয়ে আমাদের লোকজনের ওপর ধাক্কাধাক্কি শুরু করে পরে হামলা চালায়।তিনি আরো বলেন, আমরা ১০ আসনের আওয়ামী লীগের (নৌকা প্রতীক) প্রার্থী নায়ক ফেরদৌস আহমেদের সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারণায় ছিলাম। পরে দুপুর আনুমানিক দেড়টার দিকে পেছনের দিকে বহিরাগতসহ আমাদের ওপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, আহত অন্তত ১২ জনকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে কারো অবস্থাই গুরুতর নয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩
আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নির্বাচনে আতঙ্ক ছড়াতে প্রয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও প্রার্থীদের হত্যার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। এ প্রেক্ষাপটে দলীয় প্রার্থী, নেতাকর্মী সহ সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।আজ সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিংয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাকে বাচিয়ে রাখতে হলে এ নির্বাচনে নৌকার বিজয়ের কোন বিকল্প নেই।ওবায়দুল কাদের বলেন, ৭ ই জানুয়ারি ভোটার উপস্থিতি নিয়ে প্রয়োজনে লাশ বানিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারে জনগনকে ভোটকেন্দ্রে আসা থেকে বিরত রাখতে। আইনশৃঙ্খলাবাহিনী সকলে সতর্ক থাকতে হবে। সেতুমন্ত্রী বলেন, লন্ডন থেকে বার্তা দেয়া হয়েছে প্রয়োজনে গুপ্ত হত্যার পথে তারা এগিয়ে যাবে। হয়ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও প্রার্থীকে লাশ বানানোর চক্রান্ত আছে নির্বাচনকে ঘিরে। সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। খুবই ভয়াবহ পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে। প্রস্তুতি নিচ্ছে ভয়ংকর কোন হামলা, গুপ্ত হত্যার দিকে যাচ্ছে এমন খবর পাচ্ছি। নেতাকর্মীদের সতর্ক করছি। নির্বাচন আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ আমাদের অতিক্রম করতে হবে। সারাদেশের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সতর্ক পাহারায় থাকতে হবে।নতুন বছরে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের নতুন যাত্রা শুরু হবে জানিয়ে দলীয় প্রার্থীসহ সকলকে নির্বাচনি আচরণবিধি মেনে চলার কড়া নির্দেশনা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের।ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নিজেরাই নিজেদের অপকর্ম ও নেতিবাচক রাজনীতির জন্য নিশ্চিহ্ন ও ধ্বংসের জন্য দায়ী। অন্য কেউ নয়।প্রেসব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩
বাংলাদেশের ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ব্রিটেনে 'হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ' আছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে বিদেশে টাকা নেয়া জটিল প্রক্রিয়া হলেও ভূমিমন্ত্রী কিভাবে বিদেশে এতো সম্পদ গড়ে তুলেছেন সেটি নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে।তবে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী সম্প্রতি তার নির্বাচনী এলাকায় এক জনসভায় দাবি করেছেন, তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন তিনি।মন্ত্রী বৈধ নাকি অবৈধ উপায়ে এ অর্থ আয় করেছেন সেটি নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলছে না। প্রশ্ন হচ্ছে, বিদেশে তিনি এতো টাকা নিয়ে গেলেন কিভাবে?গত ২৬শে ডিসেম্বর ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, এক মন্ত্রীর বিদেশে ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকার ব্যবসা রয়েছে। তবে তিনি নির্বাচনী হলফনামায় এ তথ্য দেননি। ওই সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি ওই মন্ত্রীর নাম প্রকাশ করেনি।এর একদিন পরে দেশের বিভিন্ন পত্রিকায় রিপোর্ট হয় যে নাম প্রকাশ না করা সেই মন্ত্রী হচ্ছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুফুজ্জামান চৌধুরী।বেশ কয়েকটি পত্রিকায় মন্ত্রীর পরিচয় প্রকাশ হবার পরে বিষয়টি জানতে চাওয়াও হয় টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান-এর কাছে। তিনি সূত্রকে বলেন, তারা যে মন্ত্রীর সম্পদের বিষয়ে তথ্য তুলে ধরেছিলেন তিনি ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীই ছিলেন।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশেষভাবে সুনির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে অর্থ নেয়ার সুযোগ থাকলেও তা অত্যন্ত জটিল প্রক্রিয়া। এছাড়া মন্ত্রী যে খাতে যে পরিমাণ অর্থ নিয়েছেন তা এই প্রক্রিয়ার আওতাভুক্ত নয়।ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান “রিয়েল এস্টেট খাত, যে ক্ষেত্রে এই ইনভেস্টমেন্টগুলো, এটার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এখনো কোন অনুমোদন দেয়নি।”ভূমিমন্ত্রী কী বলছেন?এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সাথে সূত্রের তরফ থেকে যোগাযোগ করা হলেও তার কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।বিভিন্ন সংবাদপত্রে নাম প্রকাশিত হবার পর চট্টগ্রামের আনোয়ারায় এক নির্বাচনী জনসভায় ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন তিনি।তিনি বলেন, “আমি এক টাকাও দুর্নীতি করেছি কেউ বলতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। এমপি, মন্ত্রী হলেও আমি ব্যবসায়ী পরিবারের সন্তান।""ব্যবসা করেছি, ব্যবসা না করে আমি উপোস করে থাকবো? চুরি করবো নাকি আমি? মানুষের হক খেয়ে তো আমি চলতে পারবো না। হারাম পয়সার আমার দরকার নেই। আমার পদ বেচে আমি ব্যবসা করি না, আমার এই পদের অনেক আগে, আমার বাবাও ব্যবসায়ী ছিলেন, আমিও ব্যবসায়ী ছিলাম।"মি. চৌধুরী বলেন, "আমি মনে করি রাজনীতি এবং এই এমপি-মন্ত্রী এগুলো আল্লাহর রহমত। মানুষকে দেয়ার মন-মানসিকতা থাকতে হবে, দেশের মানুষের জন্য করতে হবে, সেবা করতে হবে।”সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, এসব সম্পদের বর্তমান বাজারমূল্য দুই হাজার তিনশ কোটি টাকার বেশি।ভূমিমন্ত্রী নিজে এবং তার স্ত্রী মিলে বিদেশি অন্তত ছয়টি কোম্পানি পরিচালনা করছেন বলে তথ্য দেয়া হয়। যেগুলোর মূল্য ১৬.৬৪ কোটি পাউন্ড বা দুই হাজার ৩১২ কোটি টাকা বলে জানানো হয়।বিভিন্ন সংবাদপত্রের রিপোর্টে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্য সরকারের ওয়েবসাইটে গিয়ে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর নামে অন্তত ছয়টি কোম্পানি পাওয়া যায় যার সবগুলোই আবাসন ব্যবসার সাথে যুক্ত।এগুলো হচ্ছে, জেডটিজেড প্রোপার্টি ভেনচার্স লিমিটেড, আরামিট প্রোপার্টিজ লিমিটেড, রুখমিলা প্রোপার্টিজ লিমিটেড, সাদাকাত প্রোপার্টিজ লিমিটেড, জেবা প্রোপার্টিজ লিমিটেড এবং জারিয়া প্রোপার্টিজ লিমিটেড। এই সবগুলো কোম্পানিরই পরিচালকের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি।এর মধ্যে শুধু রুখমিলা প্রোপার্টিজ লিমিটেড এর পরিচালক পদ থেকে তিনি সরে দাঁড়িয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই কোম্পানিটির ঠিকানা লন্ডনের ওয়ারউইক লেন। বাকি সবগুলো কোম্পানির ঠিকানা লন্ডনের ডেভনশায়ার স্কয়ার উল্লেখ করা হয়েছে।মন্ত্রী টাকা কীভাবে নিয়েছেন?বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, বিদেশে বিনিয়োগ করার নিয়ম নেই। এমনটি একজন ব্যক্তি বৈধভাবে বছরে ১২ হাজার ডলারের বেশি নিয়ে যেতেও পারেন না। এমন অবস্থায় সরকারি একজন মন্ত্রীর বিদেশে এতো সম্পদের মালিক হওয়া নিয়ে আলোচনা চলছে।ভূমি মন্ত্রীর বিদেশে সম্পদ থাকার বিষয়টি সামনে আনে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ।এই প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যে উৎসগুলো থেকে তারা মন্ত্রীর এসব সম্পদের বিষয়ে জানতে পেরেছেন তা উন্মুক্ত ওয়েবসাইট। সেখানে শুধু সম্পদের হিসাব রয়েছে।কিন্তু এসব সম্পদ গড়তে মন্ত্রী কোন উপায়ে অর্থ নিয়েছেন তা বলা হয়নি। যার কারণে মন্ত্রী কীভাবে অর্থ নিয়ে গেছেন সেটি তাদের পক্ষে জানা সম্ভব হয়নি।তবে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো চাইলে সেটা তদন্ত করে বের করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। এক্ষেত্রে দরকার হলে বিদেশি সহায়তাও নেয়া যেতে পারে।মি. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য-দুদেশই জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী কনভেনশনের সদস্য। ফলে এই দুই দেশ চাইলে যৌথভাবে কাজ করতে পারবে। সেই সুযোগ ছাড়াও আইনি কাঠামো আছে।“সরকার চাইলে বিএফআইইউ(বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট) এর নেতৃত্বে, দুর্নীতি দমন কমিশন, সিআইডি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড- এ ধরণের সংস্থাগুলো যদি সঠিকভাবে চেষ্টা করে তাহলে অবশ্যই সবকিছুই বের করা সম্ভব।”টিআইবির এই নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, নিয়ম অনুযায়ী, কোন ব্যক্তি ১২ হাজার ডলারের বেশি দেশ থেকে বিদেশে নিতে পারেন না। সেই বিবেচনায় ভূমি মন্ত্রী যে পরিমাণ অর্থ নিয়েছেন তা এই সীমার চেয়ে অনেক বেশি। তাই এই বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ বলে উল্লেখ করেন তিনি।বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দিষ্ট কিছু খাতে অর্থ নেয়ার অনুমোদন দিলেও সেই শ্রেণিতেও ভূমি মন্ত্রীর অর্থ নেয়ার সুযোগ নেই বলে জানান তিনি।তিনি বলেন, “রিয়েল এস্টেট খাত, যে ক্ষেত্রে এই ইনভেস্টমেন্টগুলো, এটার জন্য আমাদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এখনো কোন অনুমোদন দেয়নি।”এবিষয়ে সাবেক ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর বলেন, “যে পরিমাণ অর্থ নেয়া হয়েছে তা আসলে অবৈধ উপায়ে পাচার করা হয়েছে। এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।”এ বিষয়ে ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলেও তাৎক্ষণিকভাবে তার কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।সূত্র : বিবিসি
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি হচ্ছে একটা সন্ত্রাসী দল। এই সন্ত্রাসী দলের রাজনীতি করার অধিকার বাংলাদেশে নেই। কারণ তারা মানুষ পোড়ায়, মানুষ হত্যা করে। আমাদের রাজনীতি মানুষের কল্যাণে, আর ওদের রাজনীতি মানুষ হত্যায়। তাদের কী মানুষ চায় বলেন? তাদের মানুষ চায় না। শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে বরিশালের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা যখন জনগণের জন্য উন্নয়ন করি, তখন ওই বিএনপি-জামায়াত করে অগ্নিসন্ত্রাস। রেললাইনের ফিস প্লেট ফেলে দিয়ে, বগি ফেলে দিয়ে মানুষ হত্যার ফাঁদ পাতে। রেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে। মা-সন্তানকে বুকে জড়িয়ে রেখেছে- এই অবস্থায় আগুনে পুড়ে কাঠ হয়ে গেছে। এই দৃশ্য পুরো বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিয়েছে। আসে আগুন, গাড়িতে আগুন, ঠিক ২০০১ সালে শুরু করেছিল। এরপর ১৩-১৪ একই ঘটনা ঘটায়। এখন আবার অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে। আমি ধিক্কার জানাই বিএনপি-জামায়াতকে।শেখ হাসিনা বলেন, আজকে আমি বরিশালে উপস্থিত হয়েছি। ৭ জানুয়ারি নির্বাচন, সেই লক্ষে এখানে উপস্থিত হয়েছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শূন্য হাতে বাংলাদেশ বিনির্মাণের যাত্রা শুরু করেছিলেন। তিনি যখন দায়িত্ব নেন তখন মাথাপিছু আয় ছিল ৯১ ডলার। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার তিন বছরের মধ্যে তা ২৭৭ ডলারে উন্নীত করেন। তিনি অসহায়দের জন্য অকাতরে সব বিলিয়ে দেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালে জাতির জনককে হত্যা নয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করেছিল। এরপর অবৈধভাবে জিয়া, এরশাদ ক্ষমতায় আসে। তারা মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারেনি। একমাত্র আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ উন্নয়নে দেশের সোনালী সময় ছিল। দুর্ভাগ্য চক্রান্ত করে ২০০১ সালে আমাকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হয়নি। বরিশালে নেতাকর্মীদের যে নির্যাতন করা হয়েছিল তা অবর্ননীয়। ২০০১ থেকে ২০০৬ ছিল মানুষের সবচেয়ে বড় অন্ধকার যুগ। বরিশাল থেকে ২৫ হাজার লোক গোপালগঞ্জে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল।প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। বিএনপির দুঃশাসনে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করে আমাদের ক্ষমতায় রেখেছে। আজ ২০২৩ সাল, আমরা বদলে যাওয়া বাংলাদেশে। আজকে দুর্ভিক্ষ নেই, মঙ্গা নেই। যে মানুষ একবেলা খেতে পারতো না। তারা তিন বেলা খেতে পারছে। বই বিনামূলে বিতরণ করছি। অসহায়দের ভাতা দিচ্ছি। আজকে ১০ কোটি মানুষ উপকারভোগী। আমরা বিশেষ প্রণোদনা দিয়ে শিল্প কলকারখানা চালিয়ে আসছি। ১০ টাকায় কৃষকরা অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। ১ কোটি ২ লাখ কৃষক অ্যাকাউন্ট খুলে ভর্তুকির টাকা পাচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-২ (সুজানগর-আমিনপুর) আসন থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) থেকে নোঙর প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কণ্ঠশিল্পী ডলি সায়ন্তনী।গায়িকা হিসেবে ডলি সায়ন্তনীর বার্ষিক আয় ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। অথচ তার বাড়ি-গাড়ি-সম্পত্তি কিছুই নেই। প্রায় ৪০ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পদ থাকলেও, তার কোনো স্থাবর সম্পদ নেই। নির্বাচন কমিশনের কাছে দেওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।নির্বাচন কমিশন বরাবর দাখিলকৃত হলফনামা থেকে জানা যায়, ডলি সায়ন্তনীর শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি পাশ। বসবাস করেন ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের ডিওএইচএস বারিধারা এলাকায়। তার বাবার নাম রফিকুল ইসলাম ও মায়ের নাম মনোয়ারা বেগম।তার পেশা হিসেবে গায়িকা উল্লেখ করেছেন। তার বার্ষিক আয় ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ টাকা রয়েছে ২ লাখ। ব্যাংকে জমাকৃত টাকা ৩৬ লাখ ৪২ হাজার টাকা। ৩০ ভরি স্বর্ণের মালিক তিনি। তবে তার কোনো মূল্য উল্লেখ করেননি হলফনামায়। ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী রয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকার। আর আসবাবপত্র রয়েছে ৪০ হাজার ৪০০ টাকার। গুণী এই শিল্পীর স্থাবর কোনো সম্পদের বিবরণ নেই। তার বিরুদ্ধে নেই কোনো মামলা।ডলি সায়ন্তনীর দাদার বাড়ি পাবনার সুজানগর উপজেলায়। আর পৈতৃক আবাস ছিল পাবনা শহরে। নির্বাচন ঘিরে তিনি মনোনয়নপত্র দাখিলের পর থেকে নির্বাচনি এলাকায় গণসংযোগ করে বেশ জমিয়ে রেখেছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩
বিএনপি ঘোষিত অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসেবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আগামী বছরের ১ থেকে ৭ জানুয়ারি দেশের সব আদালত বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।আজ বুধবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনের দক্ষিণ হলরুমে আয়োজিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।সংগঠনের পক্ষ থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিতি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সাবেক মন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি জয়নুল আবেদীন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী, বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও আয়োজক সংগঠনের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ অনেকে।এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, 'এত বছর পরে আমরা "হীরক রাজার দেশে" চলচ্চিত্রের প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি।'
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩
গত ১৪ ডিসেম্বর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটকের পর নিখোঁজ বগুড়ার বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন হৃদয় ও দেলোয়ার হোসেনের হদিস জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।আগামী ৪ জানুয়ারির মধ্যে পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) এই প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।একইসঙ্গে আনোয়ার হোসেন ওরফে হৃদয় ও দেলোয়ার হোসেনকে বেআইনিভাবে আটক রাখা হয়নি, তা নিশ্চিতে তাদের আদালতে হাজির করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে রুল জারি করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, র্যাবের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ৩ সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।আজ বুধবার নিখোঁজ দুই নেতার সন্ধান জানতে পৃথক দুই রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।এর আগে গতকাল মঙ্গলবার আনোয়ারের ভাগ্নে নুরুন্নবী ও দেলোয়ারের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন আইনজীবী কায়সার কামালের মাধ্যমে পৃথক দুটি রিট করেন।তারা জানান, গত ১৪ ডিসেম্বর বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন ও দেলোয়ার হোসেনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আটক করলেও গতকাল পর্যন্ত তাদের কোনো আদালতে হাজির করা হয়নি।তারা এ ব্যাপারে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।আনোয়ার হোসেন বগুড়ার কাহালু উপজেলা বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক এবং দেলোয়ার হোসেন উপজেলার বীরকেদার ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩