ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বড়দিনের ছুটি কাটাতে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে আজ শুক্রবার দিল্লি গেছেন। ছুটি শেষে আগামী সপ্তাহের শেষ দিকে ঢাকায় ফিরে কাজে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। কূটনৈতিক সূত্রগুলো আজ সন্ধ্যায় বড়দিনের ছুটির সময় পিটার হাসের ঢাকার বাইরে থাকার তথ্য নিশ্চিত করেছে। তিনি সস্ত্রীক সকালে দিল্লি গেছেন বলে বিমানবন্দর সূত্র নিশ্চিত করেছে।পিটার হাস গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত বৈঠক করেন। পদ্মায় তাঁর আগে পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে দেখা করেন ঢাকায় যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক।প্রসঙ্গত, গত ১৬ নভেম্বর ছুটি কাটাতে পিটার হাস শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়েছিলেন। ১১ দিন ছুটি কাটিয়ে তিনি ঢাকায় ফেরেন ২৭ নভেম্বর। পিটার হাসের শ্রীলঙ্কা সফর পূর্বনির্ধারিত হলেও তাঁর ওই সফর ঘিরে রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনা ছিল।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ ডিসেম্বর ২০২৩
বিএনপিকে ডামি দল বলে আখ্যায়িত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা আন্দোলন থেকে পালিয়ে গেছে, তারাই এখন অসহযোগের ডাক দিয়েছে। জনগণ বিএনপির ডাকে অসহযোগ করবে না। জনগণ বিএনপির বিরুদ্ধে অসহযোগ শুরু করেছে।তারেক রহমানকে দেশে আসার আহ্বান জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, জনগণ রিমোট কন্ট্রোল মানে না। সাহস থাকলে দেশে আসুন।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন করে আগামী পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকবে আওয়ামী লীগ। আর এ নির্বাচন পাঁচ বছরই টিকবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা কারও সঙ্গে আপস করে না।ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন তারেক রহমান রিমোট কন্ট্রোলে আন্দোলনের ডাক দিচ্ছে। পলাতক নেতা জনগণের আস্থা পায় না। সাহস থাকলে তাকে দেশে আসতে হবে। নেতা হতে হলে জেলে যাওয়ার সাহস থাকতে হবে।তিনি বলেন, আপনারা গুপ্ত হামলা বন্ধ করুন। তা না হলে জনগণ প্রতিহত করবে আপনাদের। নির্বাচনবিরোধী আন্দোলন জনগণ প্রতিহত করবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২১ ডিসেম্বর ২০২৩
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দেশের পাঁচটি জেলার নির্বাচনী ভার্চুয়াল জনসভায় অংশ নেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় রাজধানীর তেজগাঁওস্থ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবন প্রান্ত থেকে পাঁচ জেলার নির্বাচনী ভার্চুয়াল জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি।আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার (২০ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শেখ হাসিনা পর্যায়ক্রমে রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় ও লালমনিরহাট জেলা, রাজশাহী বিভাগের নাটোর ও পাবনা জেলা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের খাগড়াছড়ি জেলার নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন।এতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, সংশ্লিষ্ট জেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা/থানা/পৌর আওয়ামী লীগ, ইউনিয়ন/ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর নির্বাচনী এলাকাসমূহের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা উপস্থিত থাকবেন।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ভার্চুয়াল জনসভা সফলভাবে সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২১ ডিসেম্বর ২০২৩
বিএনপি তারেক রহমানের নির্দেশে দেশের মানুষের সঙ্গে আগুন নিয়ে খেলছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত সরকারি আলীয়া মাদ্রাসা ময়দানে নির্বাচনী প্রচারণা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি জনগণের সাথে আগুন নিয়ে খেলে, লন্ডনে বসে অর্ডার দেয় তারেক। আর দেশে আগুন দিয়ে মানুষের জানমালের ক্ষতি করা হয়।’তিনি বলেন, ‘বিএনপি দেশের জনগণের ক্ষতি করছে হরতাল-অবরোধ দিয়ে। তারা অতীতে ক্ষমতা পেয়ে দেশের মানুষের সম্পদ লুট করেছে।’আ. লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি ভোট চোর। দেশ বিক্রির চেষ্টা করছে খালেদা জিয়া। ২০০১ সালে বিএনপি ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছিল। যে কূপ খনন করে খালেদা গ্যাস পায়নি, সেই কূপ খনন করে আমরা গ্যাস তেল দুটোই পেয়েছি।’আগুনসন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মানুষ পোড়ানোর মতো এত সাহস এরা কোথা থেকে পায়? মনে রাখতে হবে আগুন নিয়ে খেলতে গেলে সেই আগুনেই হাত পোড়ে। আওয়ামী লীগ সরকার আছে মানেই উন্নয়ন আছে। আমার হারাবার কিছু নেই। সব হারিয়ে, নিজের সন্তানদের দূরে সরিয়ে দেশে এসেছিলাম এই দেশের মানুষের জন্য।’সিলেট প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৮১ সালে মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যে সিলেট থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করি। আজকেও আবার এসেছি। ১৯৫৯ সালেও সিলেটে এসেছিলাম। ছোট ছিলাম তখনো এসেছি। তবে ৮১ সালে আসাটা ছিল ভিন্ন। তখন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে এসেছিলাম। তখন এসেছিলাম একটি প্রত্যয় নিয়ে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নের স্বপ্ন নিয়ে।’তিনি আরও বলেন, ‘আমার বিচার চাওয়ার অধিকার ছিল না। এমন দেশে ফিরেছিলাম। আমি দেখেছি কীভাবে ভোট চুরি করে, কীভাবে গণতন্ত্র হরণ করে। ২১ বছর পর সরকার গঠন করে স্বপ্ন দেখেছি দেশকে সুন্দরভাবে গঠন করার।’আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ববোধ থাকলে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করত না। ২০১৩ সালে আগুন দেওয়া শুরু করে। ১৩ থেকে ১৫ সাল পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার মানুষ পোড়ায়। অগ্নিসন্ত্রাস করে তারা নির্বাচন বানচাল করতে পারেনি।’শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০১৮ সালে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিয়ে মনোনয়ন বাণিজ্য করে নির্বাচন শেষ করে দেয়। আজকে দেশে মাথাপিছু আয় বেড়েছে। সেখানে বিএনপির আমলে সেটা ছিল না। দারিদ্র্য হার ৪১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৮তে নামিয়েছি। ৮ লাখ ৪১ হাজার মানুষকে ঘর দিয়েছি। ২১ জেলা গৃহহীনমুক্ত করেছি, তার মধ্যে সিলেট অন্যতম। কোনো মানুষ যাতে কষ্ট না পায়, সেই লক্ষ্য রেখে কাজ করি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ ডিসেম্বর ২০২৩
এমপি থাকতে যদি জনপ্রিয়তা হারিয়ে ফেলেন, আমাদের কি করার আছে— নৌকার প্রার্থীদের উদ্দেশে এ কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।আজ বুধবার সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনি যদি এলাকায় এমপি থাকতে নিজের জনপ্রিয়তা হারিয়ে ফেলেন, তখন ওখানে স্বতন্ত্র ঢুকে গেলে আমরা কি করবো? কি করার আছে আমাদের। কাজেই নৌকার ইজ্জত নৌকার লোকেরা রাখবে।’নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করতে স্বতন্ত্রদেরও প্রার্থী হতে বলেছেন জানিয়ে কাদের বলেন, ‘এ নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করার জন্য, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য, আমাদের নেত্রী একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য স্বতন্ত্রদেরও প্রার্থী হতে বলেছেন। এতে কারও কিছু হারাবার নেই, নৌকার নিজের শক্তি আছে। ভয় পান কেন?’নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশনা দিয়ে কাদের বলেন, স্বতন্ত্র স্বতন্ত্রের নির্বাচন করবেন, নৌকা নৌকার নির্বাচন করবেন। কারও সঙ্গেঝগড়া-ঝাটির কোনো প্রয়োজন নেই।বিএনপির অসহযোগ আন্দোলন কর্মসূচি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখন বলে কি অসহযোগ আন্দোলন করবে। হায়রে আল্লাহ, “বানরে সংগীত গায়, শিলা ভাসে জলে”, সে রকম হল না? এরা নাকি অসহযোগ আন্দোলন করবে। বঙ্গবন্ধুর সেই ডাক স্বাধীনতার জন্য। ঢাল নেই, তলোয়ার নাই, নিধিরাম সর্দার। তারা কিসের অসহযোগ করবে?’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষ ভোটের পক্ষে, তারা মাঠে নেমে নির্বাচনী প্রচারণায় আসতে চায়। বুধবার হযরত শাহজালাল (র.) এর মাজার জিয়ারত শেষে তিনি এ কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আসলে জনগণের উন্নয়ন হয়। আগামী নির্বাচনে মানুষ নৌকায় ভোট দিলে পুরো দেশ উন্নত হবে।তিনি বলেন, যারা অগ্নিসন্ত্রাসে জড়িত, মানুষ হত্যা করে তাদের ক্ষমা নেই। মানুষ মেরে ভয় সৃষ্টি করে নির্বাচন বন্ধ করা যবে না।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে আজ বুধবার জনসভায় যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সিলেট পৌঁছেছেন। বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের বিজি ৬০১ ফ্লাইটে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। এ সময় তাঁকে অভ্যর্থনা জানান আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বিমানবন্দর থেকে তিনি শাহজালাল ও শাহপরান (রহ.) মাজার জিয়ারতে যান। বিকেলে প্রধানমন্ত্রী সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বক্তৃতা করবেন।প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে সিলেটের শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আশপাশের এলাকা, চৌহাট্টা, রিকাবীবাজারসহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের জড়ো হতে দেখা গেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ ডিসেম্বর ২০২৩
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো নির্বাচনে আসছে না। ফলে সেই ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।সম্প্রতি ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন তিনি। সিইসি বলেন, নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা অসাংবিধানিক ও আইনের পরিপন্থী। সংবিধানে সভা-সমাবেশ করার যে অধিকারের কথা বলে হয়েছে তা শর্তসাপেক্ষে।এবারের নির্বাচন একটু ভিন্ন ধরনের। কারণ ২০১৪ সাল বাদে নির্বাচনের আগে সংঘাত ও সহিংসতার ঝুঁকি তৈরি হয়নি। কারণ নির্বাচনগুলো ছিল সর্বজনীন। তিনি বলেন, যারা সভা-সমাবেশ করছে নির্বাচনের পক্ষে তাদেরও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। নির্বাচনের পক্ষে ও বিপক্ষে তারা মুখোমুখি হলে সংঘাতের ঝুঁকি থাকে। আমরা চাই, এ ধরনের যে কোনো ঘটনা যাতে না ঘটুক। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করলে কোনো সমস্যা নেই। এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি জানান, নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা থেকেই নির্বাচন করতে হবে কমিশনকে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সচেতন হতে হবে, ভোটকেন্দ্রে কোন কারচুপি হচ্ছে কিনা? যে কোনো উপায়ে জেতার মানসিকতা থেকে প্রার্থীদের বের হয়ে আসতে হবে বলেও মনে করেন সিইসি।যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি নিয়ে নির্বাচন কমিশন মাথা ঘামাচ্ছে না। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী একটি অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার সক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের আছে। ভোট করতে প্রয়োজন ১২ লাখ জনবল, কিন্তু কমিশনের আছে মাত্র ১ হাজার ৫০০ লোকবল। ফলে বিভিন্ন দপ্তর থেকে জনবল নিতে হয় কমিশনকে। সিইসি মন্তব্য করেন, এককভাবে কমিশনের পক্ষে নির্বাচন সফল করা সম্ভব হবে না, সবার সম্মিলিত প্রয়াসেই নির্বাচন সফল হবে। ৭ জানুয়ারির নির্বাচন দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্য না হলে পদত্যাগ করবেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি সরাসরি কোনো উত্তর দেননি। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে এককভাবে কমিশনকে দায়বদ্ধ করা যাবে না, এর দায় সরকারের ওপরেও পড়বে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল মনে করেন, এটি একটি রাজনৈতিক বিতর্কিত প্রশ্ন। এই বিতর্ক সমাধান করতে হবে রাজনৈতিক দলগুলোকেই। এ সময় তিনি বলেন, তবে আওয়ামী লীগ, স্বতন্ত্রসহ ২৭টি দল এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। নির্বাচন বয়কট করতে কোনো বাধা নেই বলেও জানান তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ ডিসেম্বর ২০২৩
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করতে সিলেট পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।বুধবার শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-৬০১-এর একটি ফ্লাইট বেলা ১১টা ৩৩ মিনিটে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।প্রতিবারের মতো এবারও সিলেট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আজ বিকালে জেলার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের জনসভায় ভাষণের মধ্য দিয়ে এর উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।এর আগে হয়রত শাহজালাল ও হয়রত শাহ পরান (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত করবেন শেখ হাসিনা। এর পর বিকাল ৩টায় সভাস্থলে পৌঁছাবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকেই আওয়ামী লীগের নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণার আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘোষিত হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ ডিসেম্বর ২০২৩
বর্তমান সরকারকে এখন থেকে আর কোনো সহযোগিতা না করতে প্রশাসন ও দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। সেইসঙ্গে আগামী ৭ জানুয়ারির ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়েছে।বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়ে এসব কথা বলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।তিনি বলেন, আমি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষে থেকে এ আহ্বান জানাচ্ছি। রিজভী বলেন, মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় অভিযুক্ত নেতা-কর্মীদের আজ থেকে আদালতে হাজিরা দেওয়া থেকে বিরত থাকারও আহ্বান জানাচ্ছি।তিনি বলেন, ব্যাংক খাতের মাধ্যমে সরকার সবচেয়ে বেশি অর্থ লুটপাট করেছে। ফলে ব্যাংকে টাকা জমা রাখা নিরাপদ কি না, সেটি ভাবুন।নির্বাচনে কারা এমপি হবেন সেই তালিকা তৈরি হয়ে গেছে উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র এ নেতা ভোটগ্রহণে নিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।এছাড়া বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারকে সকল প্রকার কর, খাজনা, পানি, গ্যাস বিদ্যুৎ বিল দেওয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ জানানো হয়।আগামী ৭ জানুয়ারির ভোট প্রতিহতের অংশ হিসেবে এসব কর্মসূচি বলে জানান রিজভী।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ ডিসেম্বর ২০২৩
মহান বিজয় দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে বিজয় শোভাযাত্রা করবে আওয়ামী লীগ। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন থেকে শুরু হয়ে শোভাযাত্রাটি ধানমন্ডি-৩২ নম্বর গিয়ে শেষ হবে। শোভাযাত্রায় অংশ নিতে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিউশনের সামনে জড়ো হচ্ছেন দলের নেতাকর্মীরা।জানা গেছে, আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বিজয় শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। শোভাযাত্রাটি উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এতে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেবেন।মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে থেকে শোভাযাত্রাটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করবে। ধানমন্ডি-৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধুর ভবনের সামনে গিয়ে শোভাযাত্রাটি শেষ হবে।সরেজমিনে দেখা যায়, আজ দুপুর ১২টা থেকেই দলের নেতাকর্মীরা জড়ো হচ্ছে। প্রথমে মহিলা শ্রমিক লীগের একটি মিছিল ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আসেন। এরপর বেশ কয়েকটি মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা এসে সেখানে উপস্থিত হন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে ঢাকার আদালতে আনা হয়েছে।আজ সোমবার দুপুর সোয়া একটার দিকে তাঁদের ঢাকার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হয়। পল্টন থানার একটি মামলায় তাঁদের ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদনের ওপর শুনানি হবে।এর আগে ১৪ ডিসেম্বর মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পল্টন থানা-পুলিশ।ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান প্রথম আলোকে বলেন, পল্টন থানার কয়েকটি মামলার এজাহারে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুর নাম রয়েছে। পল্টন থানার একটি মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছে পল্টন থানা-পুলিশ।গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের মধ্যে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। পরদিন ২৯ অক্টোবর এ ঘটনায় রমনা মডেল থানায় মামলা করা হয়। এ মামলায় ওই দিনই বিএনপি মহাসচিবকে গ্রেপ্তার করা হয়।এ মামলায় গত ২২ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়। এরপর জামিন চেয়ে ৫ ডিসেম্বর হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি। আবেদনের শুনানি নিয়ে ৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল দেন। মির্জা ফখরুলকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। রাষ্ট্রপক্ষকে এক সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩
ঢাকা জেলার পাঁচটি সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ চলছে। সোমবার ঢাকা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেন ঢাকার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আনিসুর রহমান।কে কোন প্রতীক পেলেনঢাকা-১ (দোহার এবং নবাবগঞ্জ উপজেলা)১. সালমা ইসলাম, জাতীয় পার্টি (লাঙ্গল) ২. সালমান এফ রহমান, আওয়ামী লীগ (নৌকা) ৩. আ. হাকিম, এনপিপি, (আম) ৪. সামসুজ্জামান চৌধুরী, সুপ্রিম পার্টি (একতারা) ৫. শেখ মো. আলী, গণফ্রন্ট (মাছ) ৬. মো. করম আলী, ওয়ার্কার্স পার্টি (কাস্তে) ৭. মুফিদ খান, তৃণমূল বিএনপি (সোনালী আঁশ)।ঢাকা-২১. ডা. হাবিবুর রহমান, স্বতন্ত্র (ট্রাক)২. আশরাফ আলী জিহাদী, ইসলামী ঐক্যজোট (মিনার) ৩. অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ (নৌকা) ৪. শাকিল আহমেদ শাকিল, জাতীয় পার্টি (লাঙ্গল)।ঢাকা-৩১. মনির সরকার, জাতীয় পার্টি (লাঙ্গল) ২. মো. রমজান, মুক্তিজোট (ছড়ি) ৩. মো. আলী রেজা, স্বতন্ত্র (ট্রাক) ৪. আব্দুস সালাম, এনপিপি (আম) ৫. নসরুল হামিদ, আওয়ামী লীগ (নৌকা) ৬. মো. জাফর, বাংলাদেশ কংগ্রেস (ডাব)।ঢাকা-১৯ (সাভার-আশুলিয়া)১. ডা. এনামুর রহমান, আওয়ামী লীগ (নৌকা) ২. তালুকদার মো. তৌহিদ জং মুরাদ, স্বতন্ত্র (ঈগল) ৩. মিলন কুমার ভঞ্জ, বাংলাদেশ কংগ্রেস (ডাব) ৪. নুরুল আমিন, গণফ্রন্ট (মাছ) ৫. মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, স্বতন্ত্র (ট্রাক) ৬. মাহবুবুল হাসান, তৃণমূল বিএনপি (সোনালী আঁশ) ৭. আইরিন পারভীন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (কাঁঠাল) ৮. ইসরাফিল হোসেন সাভারী, এনপিপি (আম) ৯. মো. জুলহাস, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (একতারা) ১০. সাইফুল ইসলাম মেম্বার, বিএনএম (নোঙ্গর)।ঢাকা-২০১. বেনজীর আহমদ, আওয়ামী লীগ (নৌকা), ২. খান মোহাম্মদ ইসরাফিল, জাতীয় পার্টি (লাঙ্গল), ৩. এম এ মালেক, স্বতন্ত্র (ট্রাক), ৪. মোহাদ্দেছ হোসেন, স্বতন্ত্র (কাঁচি), ৫. মো. আমিনুর রহমান, মুক্তিজোট (ছড়ি), ৬. মো. মিনহাজ উদ্দিন, সুপ্রিম পার্টি (একতারা), ৭. রেবেকা সুলতানা, এনপিপি (আম)।এদিকে আজ প্রতীক পাওয়ার পর প্রচার-প্রচারণায় মাঠে নামছেন প্রার্থীরা। নির্বাচনি প্রচারণা চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ৭ জানুয়ারি হবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩
বিএনপির মাথা নেই, শুধু একটা ধড় চলছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মন্তব্য করেন।এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বিএনপির চরিত্র কখনো বদলাবে না। জনগণের কল্যাণের কথা এরা চিন্তা করে না। নিজেদেরটাই শুধু ভালো বোঝে। বিএনপি যখন ক্ষমতায় এসেছে অর্থসম্পদ বানানো, বিদেশে পাচার করা, এতিমের অর্থ আত্মসাৎ, এগুলোই করেছে। আর তাদের কাছ থেকে এখন বড় বড় কথা শুনতে হয়। এটাই বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য।'বিএনপির সঙ্গে সংলাপের প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, 'যখন ডায়ালগের জন্য ফোন করলাম, যে ধরনের আচরণ করল, আমি অবাক হলাম। এরপরেও নির্বাচন হয়ে গেল। ২০১৮ সালে আবার যখন আহ্বান করলাম, সব দলই কথা বলল, শুধু বিএনপি ছাড়া। কিন্তু তারা নির্বাচনে আসে।''নির্বাচন তারা করবে কীভাবে। কারণ তারা নমিনেশন দেয়, একটা আসে লন্ডন থেকে, একটা আসে পল্টন থেকে, আরেকটা আসে গুলশান থেকে। যখন লন্ডনেরটা আসে, তখন পল্টনেরটা চলে যায়, যখন পল্টনেরটা থেকে তখন গুলশানেরটা যায়। এই করে সকালে একটা নির্বাচন দেয়, বিকেলে একটা নির্বাচন দেয়। শেষকালে পল্টনও গেল, লন্ডনও গেল, গুলশানও গেল,' যোগ করেন তিনি।২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির কয়েকটা সিট পেয়েছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'তাদের যারা পার্লামেন্টে সদস্য ছিল, আমরা তাদের সবরকম সুযোগ দিতাম কথা বলার। কারণ আমরা যখন বিরোধী দলে দিতাম, তখন আমাদের কথা বলতে দেওয়া হতো না। এমনকি ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ দেয়নি। আমি বিরোধী দলের নেতা হয়েও আমি কোনোদিন মাইকই পেতাম না।' প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, 'এখন আবার যখন নির্বাচন এসেছে, তখন তাদের নানা কথা, নির্বাচন করবে না। আসলে নির্বাচন করবে কীভাবে। ওই দলের তো মাথা নেই, শুধু একটা ধড় চলছে। সেটাও একটা গুলশান, আর একটা পল্টন থেকে। এই দুই জায়গা থেকে তারা চলছে। আর কোন কোন অন্ধকার জায়গা থেকে তারা কথা বলে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ নিয়ে প্রতিদিন হরতাল ডাকে, অবরোধ ডাকে, মানুষ পুড়িয়ে মারে।' তিনি বলেন, 'লন্ডন বসে হুকুম দেয়, আর এখান থেকে আগুন দেয়। এই আগুনের খেলা ভালো না। বাংলাদেশের মানুষকে আহ্বান জানাই, যারা আগুন দেয় তাদের প্রতিহত করুন।''বিএনপির অবরোধে তারা নিজেরাই অবরুদ্ধ হয়ে যায়' মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'খালেদা জিয়া তো বছরের পর বছর অবরুদ্ধ, কারণ ২০১৪ সালে তিনি যে অবরোধের ঘোষণা দিয়েছিল, তা এখনো তোলেনি। এখন আবার অবরোধ দিচ্ছে, হরতাল দিচ্ছে।'
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩
আওয়ামী লীগ এবারের নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে ২৬টি এবং ১৪ দলের শরিকদের ৬টি আসন ছেড়ে দিয়েছে।নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে আজ রোববার বিকেলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই ৩২ আসনে তাদের প্রার্থী থাকছে না।রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের চিঠি নিয়ে যান আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া। পরে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ১৪ দলের শরিকেরা নৌকা মার্কায় ভোটে অংশ নেবেন। আর জাতীয় পার্টির জন্য ছেড়ে দেওয়া আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।নির্বাচন কমিশনে আওয়ামী লীগের দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দলগত ও জোটগতভাবে অংশগ্রহণ করবে মর্মে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করা হয়েছিল। উক্ত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছিল যে, জোটভুক্ত রাজনৈতিক দলসমূহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক কিংবা তাদের স্ব স্ব দলের দলীয় প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে এবং এ বিষয়টি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখের মধ্যে চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি করা হবে। এমতাবস্থায় নিম্নোক্ত আসনগুলোতে জোটের প্রার্থী থাকার কারণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কর্তৃক মনোনীত প্রার্থীদের প্রত্যাহার করা হলো।’এদিকে আজ বেলা সাড়ে তিনটার পর জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক বলেন, ২৮৩টি আসনে ভোটে থাকছে জাতীয় পার্টি। তবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো জোট হয়নি। আসন সমঝোতা হয়নি। কিছু আসনের ক্ষেত্রে কিছু কৌশল রয়েছে।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। আজ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন।যেসব আসনে সমঝোতাজাতীয় পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগের সমঝোতা হয়েছে ঠাকুরগাঁও-৩, নীলফামারী-৩ ও ৪, রংপুর-১ ও ৩, কুড়িগ্রাম-১ ও ২, গাইবান্ধা-১ ও ২, বগুড়া-২ ও ৩, সাতক্ষীরা-২, পটুয়াখালী-১, বরিশাল-৩, পিরোজপুর-৩, ময়মনসিংহ- ৫ ও ৮, কিশোরগঞ্জ-৩, মানিকগঞ্জ-১, ঢাকা-১৮, হবিগঞ্জ-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, ফেনী-৩, চট্টগ্রাম-৫ ও ৮ এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে। এর মধ্যে নানায়ণগঞ্জ–৫ আসনে আগে থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিল না।১৪ দলের শরিকদের মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টি দুটি, জাসদ তিনটি ও জাতীয় পার্টি (জেপি) একটি আসন পেয়েছে। তাদের জন্য বগুড়া-৪, রাজশাহী-২, কুষ্টিয়া-২, বরিশাল-২, পিরোজপুর-২ এবং লক্ষ্মীপুর-৪ আসন ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩
‘আওয়ামী লীগ দেউলিয়া বলেই আসন ভাগাভাগির নির্বাচন করছে’- এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি বলেছেন, ‘ভাগাভাগির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ খান খান হয়ে যাবে। তারা নিজেরা নিজেরা ভাগাভাগি করে নির্বাচন খেলা করবে, মারামারি করে শেষ হয়ে যাবে। এসব করে কোনো লাভ হবে না, সরকার পার পাবে না।’শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে রেজা কিবরিয়ার গণঅধিকার পরিষদ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। ব্যারিস্টার খোকন বলেন, ‘জনসমর্থন না থাকায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মুখোমুখি হতে চায় না। ১৫ বছর এভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে তারা ধ্বংস করে একতরফা সাজানো নির্বাচন করেছে। এবার তারা একতরফা ভাগাভাগির নির্বাচনের পথে হাঁটছে। প্রতিদিন গণমাধ্যমে ভাগ-বাটোয়ারার খবর প্রকাশ হচ্ছে। কতটা দেউলিয়া হলে আওয়ামী লীগের মতো একটি প্রাচীন রাজনৈতিক দল আজকে এই ধরনের ভাগাভাগি নির্বাচনের নীলনকশা ধরে এগোচ্ছে।’‘কৌশল করে টিকে থাকা যাবে না’ মন্তব্য করে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘যত কৌশল করুক না কেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে চলে যেতে হবে। এই আন্দোলন জনগণের আন্দোলন। বিএনপি, গণঅধিকার পরিষদ কিংবা কোনো রাজনৈতিক দলের একক আন্দোলন নয়। এটা ভোটাধিকার ফিরে পাবার আন্দোলন।’তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে কোনো উৎসাহ নেই। এই নির্বাচন করে তারা শেষ রক্ষা পাবেন না। জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে কোনো স্বৈরাচারই টিকতে পারেনি, শেখ হাসিনাও টিকতে পারবেন না।’আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন- জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, গণঅধিকার পরিষদের (রেজা কিবরিয়া) ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ফারুক হাসান, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের ববি হাজ্জাজ, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণফোরাম নেতা অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, সরকার পাতানো নির্বাচনের নামে নাটক করার চেষ্টা করছে। কিন্তু নাটকে কোনো দর্শক নেই। তারা নিজেরাই দর্শক, নিজেরাই অভিনেতা। আমরা এই জাতীয় নাটক দেখতে চাই না।শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) নোয়াখালী টাওয়ারে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা জেলা দক্ষিণ কর্তৃক বিতর্কিত নির্বাচন কমিশনের একতরফা নির্বাচনী তফসিল বাতিল, সব রাজবন্দিদের মুক্তি, বর্তমান সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনের বাতিলের দাবিতে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।ইউনুছ আহমাদ বলেন, দেশে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কার কথা বলা হচ্ছে। কারণ, এ দেশ যারা পরিচালনা করছে, তাদের ব্যর্থতার জন্যই আশঙ্কার কথা বলা হচ্ছে। তারাও ব্যর্থ, এর আগে যারা দেশ পরিচালনা করেছে তারাও ব্যর্থ। দেশের উন্নয়ন দেখলে ভালো লাগে, কিন্তু উন্নয়নের পাশাপাশি যেসব ব্যর্থতার উদাহরণ তৈরি করা হয়েছে, সেসব দেখলে উন্নয়ন ম্লান হয়ে যায়। এইসব উন্নয়নে কথা বলে জনগণকে আর জিম্মি রাখা যাবে না।তিনি বলেন, সরকার মনে করতে পারে এভাবেই পার পেয়ে যাবে। কিন্তু ইতিহাস বলে, স্বেচ্ছাচারিতার পরিণতি সবসময়ই ভয়ানক হয়। এ দেশের মানুষকে নিয়ে আর খেলা করতে দেওয়া যাবে না।সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব আতাউর রহমান যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩
জোটের শরিকদের জন্য সাতটি আসনের বেশি ছাড় দেওয়া আওয়ামী লীগের জন্য সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।আজ শুক্রবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।ওবায়দুল কাদের বলেন, 'আমাদের শরিক দল বলতে জাতীয় পার্টি তাদের নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করবে, ১৪ দলে কিছু আসনে নৌকা মার্কা আমরা দেবো। সাতটা নির্বাচনী এলাকায় নৌকা আমরা স্যাক্রিফাইস করতে পারব, গতকালই আমরা জানিয়ে দিয়েছি।'জোটের অন্যতম শরিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু সাতটির বেশি আসন ছেড়ে দেওয়ার দাবি করেছেন, বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'শুনেন, আরও অনেক শরিক দল আছে। তাদেরকে তো বোঝাতে হবে। কিন্তু যা হওয়ার হয়েছে। এর বাইরে আমাদের পক্ষে সম্ভব না।'স্বতন্ত্র প্রার্থী তুলে নিতে শরিকদের দাবির বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'নির্বাচন তো হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক, আমরা আমাদের দলীয় প্রার্থী যেখানে আছে, সেখানে স্বতন্ত্রের সঙ্গে কম্প্রোমাইজ করে ইলেকশন করবে না, স্বতন্ত্র যদি জিতে জিতবে, আমরা জোর করে কারো বিজয় ছিনিয়ে আনব না।'শরিকরা নিশ্চিত বিজয়ের গ্যারান্টি চায় কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমরা কাউকে বিজয়ের গ্যারান্টি দিতে পারব না। আমি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, আমারও জেতার গ্যারান্টি নেই। আমার সঙ্গে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বী আছে। এখন কেউ যদি জিতে যায়, তাহলে তো আমাকেও হার মানতে হবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা, প্রতিযোগিতা যেটা আছে, সেটা আমরা মেনে নিয়েছি।'ওবায়দুল কাদের বলেন, 'জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। এই অ্যালায়েন্সে আসনের ব্যাপারটা গৌণ, মুখ্য হচ্ছে রাজনৈতিক ব্যাপারটা।'টিআইবির সমালোচনা করে তিনি বলেন, 'আমাদের দেশে যারা মুক্তবুদ্ধির চর্চা করেন বলে দাবি করেন, যারা মানবাধিকারের প্রবক্তা, যেমন: টিআইবি, ২৮ দল এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে, তারপরেও এই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক কেন হবে না, কারণ তারা জেনে-শুনে এটা করছে। বিএনপির ভাবাদর্শের, মতাদর্শের প্রবক্তা হয়ে তারা চোখ থাকিতে অন্ধ এমন একটা ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। আমরা টিআইবির কাছে জানতে চাই, অংশগ্রহণমূলক বলতে কী বোঝায়? ২৮টি দল অংশগ্রহণ করছে। বিএনপি অংশগ্রহণ না করলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না এটার অর্থটা কী? টিআইবি কি বিএনপির শাখা বা সমর্থক? একই সুরে কথা বলছে।'ওবায়দুল কাদের বলেন, মঈন খান (বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য) বলছে ভাগাভাগির নির্বাচন। কীসের ভাগাভাগি, বানরের পিঠা ভাগাভাগি নাকি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যেকোনো মূল্যে এই নির্বাচনকে আমরা সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হিসেবে একটা রেকর্ড আমরা রাখতে চাই। নির্বাচনই হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রাণ। কাজেই নির্বাচনব্যবস্থাকে গণতান্ত্রিক করার আমাদেরও দায়িত্ব আছে। আমাদের প্রার্থীদের মধ্যে যাদের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে, কারো ব্যাপারেই প্রভাবিত করার চেষ্টা করিনি, আর করবোও না।''বাংলাদেশে একটা ভালো দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে—এমন একটা নির্বাচন করার ব্যাপারে শেখ হাসিনা অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি পরিষ্কার বলেছেন যে, নির্বাচনের ব্যাপারে কোনো প্রকার ছাড় কাউকে দেওয়া হবে না। নির্বাচনে পক্ষপাতিত্ব করা হবে না। জনগণ যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে—এটা আমরা সম্পূর্ণভাবে মেনে চলব। বিদেশি বন্ধুদের বলতে চাই, নির্বাচন নিয়ে কারো উদ্বেগের কোনো কারণ নেই', যোগ করেন তিনি
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩
নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনের সামনে কথা কাটাকাটির জেরে দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে নৌকার প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে এই হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।সূত্র জানায়, কুমিল্লা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিষ্টার নাইম হাসান প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার শুনানিতে অংশ নিতে নির্বাচন কমিশনে আসেন। ১ শতাংশ ভোটারের তথ্য নিয়ে গড়মিলে তার প্রার্থিতা বাতিল করেছিল রিটানিং কর্মকর্তা।প্রার্থিতা ফেরতের শুনানির উদ্দেশে তিনি নির্বাচন কমিশনের ফটক দিয়ে বেরিয়ে আসার সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুরের সমর্থকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতি ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এসময় পুলিশ দুজনকে আটক করে।ব্যারিষ্টার নাঈম এ বিষয়ে বলেন, আমাকে ও আমার সমর্থকদের কটূক্তিমুলক কথা বলায় আমার সমর্থকরা উত্তেজিত হয়। এসময় এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী সারোয়ার বাবু ও মুরাদসহ আরও কয়েকজন হামলা চালিয়েছে।তবে সারোয়ার হোসেন বলেন, আমি স্থানীয় যুবলীগের সাবেক নেতা। এখানে দেখতে এসেছিলাম। কোনো মারামারি করিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এখনো দেশে ডালপালা মেলে আছে। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়ে লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে।শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।ওবায়দুল কাদের বলেন, একাত্তরের যে অপশক্তি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করেছিল, সেই সাম্প্রদায়িক অপশক্তি বাংলার মাটিতে এখনো ডালপালা মেলে আছে। এরাই স্বাধীনতা ও বিজয়ের শত্রু।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকের দিনে তাঁদের শপথ হবে বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িকতামুক্ত করা। বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে যে অপশক্তি স্বাধীনতার প্রতি হুমকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়া।ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তি হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার চক্রান্ত করছে তারা। তাদের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকবে। একাত্তরের চেতনা ও আত্মশক্তিতে বলীয়ান একটি জাতি কখনো পরাজিত হতে পারে না।দিবসটি উপলক্ষে সকাল ৭টা ৫ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং ৭টা ৬ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩
গাজীপুরে রেললাইন কাটা এবং ট্রেনের ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষ হত্যা করে সরকার উৎখাত করতে পারবে না।বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে গণভবনে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের নবনির্বাচিত কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘মানুষকে হত্যা করে সরকার উৎখাত করবে? মানুষ হত্যা করে আন্দোলন? আমি জানি না এই আন্দোলন করে কী পাবে তারা?’তিনি বলেন, ‘বিএনপি যে এই জ্বালাও-পোড়াও করে যাচ্ছে। প্রতিদিন তারা অবরোধ আর হরতাল ডেকে যাচ্ছে। হরতাল-অবরোধ মানে কি কয়েকখান বাস পোড়ানো, গাড়ি পোড়ানো, যাত্রীসহ বাস পোড়ানো?’শেখ হাসিনা বলেন, ‘চাল যাচ্ছে, চালের গাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে, ধান যাচ্ছে ধানের গাড়ি পোড়াচ্ছে। মানে মানুষকে ক্ষুধার্ত মারা। এই ঘটনা এর আগেও তারা করেছে ২০১৩ সালে। আমি জানি না তাদের কোনোমতে কেউ থামাতে পারবে কি না। এই মানুষ হত্যা করে সরকার উৎখাত তো করতে পারবে না।’আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমি ঠিক জানি না, মানুষকে পুড়িয়ে মারার মধ্য দিয়ে কী আন্দোলন হয় সেটা আমার জানা নেই। আমরাও আন্দোলন করেছি জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, আর মানুষের অর্থনৈতিক উন্নতি যেন হয়, সেটা চিন্তা করে। কিন্তু আমি এ রকম আন্দোলন দেখিনি।’তিনি বলেন, ‘এটা দেখেছি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে, তারা আমাদের এভাবে সব জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছে। আর এখন দেখি ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের হামলা, হাসপাতাল রেহাই পায় না। হাসপাতালের ওপর পর্যন্ত তারা বোমা হামলা করে। ঠিক আমাদের দেশে যেন সেই চিত্রটাই দেখতে পাই।’শেখ হাসিনা বলেন, ‘যখন আন্দোলনের নামে অ্যাম্বুলেন্সের ওপর হামলা করা, পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে সেখানে অ্যাম্বুলেন্স পুড়িয়ে দেওয়া; পুলিশের ওপর হামলা, পুলিশকে মাটিতে ফেলে পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা; এ রকম বীভৎস ঘটনা বাংলাদেশে ঘটানো হচ্ছে। এটা নাকি আন্দোলন। তাহলে কার স্বার্থে আন্দোলন?’গাজীপুরে রেললাইন কাটা এবং ট্রেনের ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটু চিন্তা করে দেখুন, কী রকম ধ্বংসাত্মক কাজ, এরা আন্দোলন না, রেললাইন ফেলে দিয়ে, প্রায় আটটা বগি পড়ে যায়, একজন মানুষ মারা যায়, কয়েকজন আহত। তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। তার মানে হচ্ছে রেলের বগি ফেলে দিয়ে মানুষকে হত্যা করা।’বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের বিরুদ্ধে জনগণকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা মানুষ মারার জন্য রেললাইন উপড়ে ফেলে বা রেললাইন কেটে দিয়ে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে মানুষ মারার কল্পনা করে বা জীবন্ত মানুষকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারে এদের মধ্যে মনুষ্যত্ববোধ বলে কিচ্ছু নেই। এটা জনগণকেই প্রতিহত করতে হবে। সেটাই আমার আহ্বান সারা দেশের মানুষের প্রতি।’তিনি বলেন, ‘যারা রেললাইন কেটে দিয়ে বগি ফেলে দিয়ে মানুষ হত্যার পরিকল্পনা করে আর আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ায়; আর পিটিয়ে পিটিয়ে পুলিশ সাংবাদিক থেকে শুরু সাধারণ মানুষকে মারে, মিছিলে মেয়েদের ওপর অত্যাচার করে এদের ক্ষমা নেই। এদের শাস্তি একদিন পেতেই হবে। জনগণকে বলবো এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য।’ক্ষমতা আঁকড়ে ধরার চেষ্টা আওয়ামী লীগের নেই মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণের কাছে যাবে, জনগণ যাকে ভোট দেবে, সে ক্ষমতায় আসবে। ক্ষমতা আঁকড়ে ধরার তো কোনো চেষ্টা আমাদের নেই।’দেশের অগ্রগতিতে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন উন্নয়নকাজের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা যতক্ষণ ক্ষমতায় আছি দেশের উন্নতি করছি। দেশের যে উন্নতি হয়েছে এটা তো কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। আজকে বাংলাদেশটা বদলে গেছে।’ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের তো হাওয়া ভবন নেই। কারও পাওনা দিয়ে ব্যবসা নিতে হয় না। ব্যবসায়ীরা স্বাধীনভাবে ব্যবসা করতে পারেন। অন্তত এইটুকু সুযোগ আমরা করে দিয়েছি।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩