আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ষড়যন্ত্রের গন্ধ সব ব্যাপারে বলতে চাই না। এখন বিএনপির কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। কারণ, তারা বলেছিল নির্বাচন হবে না। নির্বাচন হলে পাঁচদিনও টিকবে না। তারা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে যা চায়, সেই চাওয়াটা পাওয়া হয়নি। তারা শুনতে চেয়েছিল সরকারের ওপরে নিষেধাজ্ঞা আসবে। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে য়ে তিনি এসব কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতাদের মিথ্যাচারের ভাঙা রেকর্ড শুনতে শুনতে কান ঝাঁঝরা হয়ে গেছে। এখন তাদের গলার জোর একটু কমে গেছে। মুখে বিষটা আরও উগ্রো হয়ে গেছে।তিনি বলেন, আন্দোলনে ব্যর্থতা, নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে না আসার ব্যর্থতা। তাদের নেতিবাচক মানসিকতা সরকারের ওপরে চাপাচ্ছে। যা বাস্তবে দেখি না।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যা হয়নি সেটা আবারও হবে। আমেরিকা ফিরে গিয়ে কি বলবে এ নিয়ে স্পেকুলেশনের কোনো প্রয়োজনীয়তা কি আমাদের আছে? আমরা বুঝব কী বলে গেছেন? আবার আমেরিকায় গিয়ে কি বলবেন সেসব নিয়ে এত মাথা ঘামানোর কোনো প্রয়োজন তো আমাদের নেই। দেখুন, একটা কথা বলে রাখি আমরা বিদেশি বন্ধুর সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চাই, বন্ধুর পরিবর্তে যারা প্রভুর ভূমিকায় আসতে চান সে প্রভুর দাসত্ব আমরা মানি না। এটাই আমাদের পররাষ্ট্রনীতি।বিএনপির সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধি দল বৈঠক করলেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে করেনি, এটাকে কোনো সংকট মনে করছেন কি না– এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো সংকটের কথা বলেনি, কেন বলবে? বিএনপির সঙ্গে তারা বৈঠক করেছে, সেটা নির্বাচনের আগে একটা পরিস্থিতি ছিল। তখন এই বৈঠক সরকারি দল, বিরোধী দল সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে করার দরকার ছিল। এখন তারা মূলত এসেছে সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে। তাদের (বিএনপি) সঙ্গে একটা বৈঠক করেছে, তাদের মতামত বা পরিস্থিতি সম্পর্কে কি ওপিনিয়ন, তাদের কি ভিউজ সেটা জানাটা তারা (মার্কিন প্রতিনিধি দল) যৌক্তিক মনে করেছে। সে কারণে বৈঠক করেছে। তারা তো আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, তিনি তো আমাদের দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলেছেন, কাজেই এখানে কোনো ঘাটতি আছে, এটা আমরা মনে করছি না।গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রায় দ্বিগুণ ৩০০ কোটি ডলার ঋণ পরিশোধ করতে হবে, এ নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন কি না– এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঋণ পরিশোধ করতে হবে। বিশ্ব সংকটের কারণে সারা দুনিয়াতেই এখন অর্থ সংকট প্রধান সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। এসময়ে ঋণ আগের তুলনায় বাড়তে পারে কিন্তু বাংলাদেশ এ যাবত ঋণখেলাপি হওয়ার কোনো রেকর্ড রাখেনি। আমরা সে ব্যবস্থা করছি। আমরা ঋণখেলাপি থাকব না, এটুকু বলতে পারি।দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে যেতে পারে এমন আশঙ্কা আছে কি না– এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের দেশের জনগণ প্রমাণ করেছে তারা এত উসকানি, এত আন্দোলন যে বাংলাদেশ উত্তাল সাগর হয়ে যাবে– এসবের পরও তাদের ওই পিকনিক পার্টি সমাবেশে জনগণ প্রলুব্ধ হয়নি, প্ররোচিতও হয়নি। দেশের জনগণ সারা বিশ্বের খবর রাখে। সারা বিশ্বের সব খবর নিয়ে গ্রামে চায়ের দোকানে রীতিমতো গবেষণা হয়। মানুষ বুঝে এখানে সরকারের দোষ নেই। বিশ্বে যে সংকট দ্রব্যমূল্য নিয়ে সে দ্রব্যমূল্য বাংলাদেশের একার নয় সমস্যা নয়। সারা দুনিয়াতে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। পৃথিবীর একটা দেশ দেখান যেখানে দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক অবস্থায় আছে। তবে আমাদের জনগণের ক্রয়ক্ষমতা এখনো আছে। আমরা আশা করি সামনের রমজানেও জিনিসপত্র অ্যাভেইলেবল থাকবে।চাঁদাবাজির কারণে গরুর মাংসের দাম বাড়ছে– এমন অভিযোগের বিষয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, চাঁদাবাজির একটা বিষয় অবশ্যই আছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই এই চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠিন বক্তব্য রেখেছেন। সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। একটা বিষয় শুরু হলে রাতারাতি বন্ধ হয়ে যাবে এমন তো ভাবার কোনো কারণ নেই। প্রধানমন্ত্রী বলার পর সবাই নড়েচড়ে বসেছেন। যার যে দায়িত্ব আছে পালন করার জন্য, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পালন করার জন্য সবাই সবার তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে। অর্থনীতিতে যখন সংকট হবে তখন দ্রব্যমূল্য, বাজার ওঠানামা করে। ওঠানামা করে এটা বাজারের ধর্ম। অপেক্ষা করেন, আপনাদের তো না খাইয়ে রাখেনি, দেশের মানুষ খেতে পারছে। একটা মানুষও না খেয়ে মরেনি। দেশের মানুষ অনেক ভালো আছে।এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, উপ প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আগেই জানতেন পিলখানা হত্যাকাণ্ড ঘটবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।আজ রোববার সকালে রাজধানীর বনানীতে সামরিক কবরস্থানে শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।ফারুক খান বলেন, 'দুটি মামলা হয়েছে, একটি হত্যার ও একটি বিস্ফোরকের মামলা। বিচারের যে নিয়ম, সেই নিয়ম তো আমাদের পালন করতে হবে। সেটা না হলে আবার অন্য দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হবো। আমি শুনেছি, বিচারের কার্যক্রম প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে।'তিনি বলেন, 'যারা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে এবং আমাদের পার্টি—আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও আমরা দাবি করি, আমরা আশা করি যে, অতি দ্রুততার সঙ্গে এই মামলার মীমাংসা হবে এবং যারা দোষী তাদের কঠোরতম শাস্তি হবে।'এর সঙ্গে যারা যারা জড়িত সবার শাস্তি হবে এবং এই ধরনের ঘটনা যাতে আর কখনো বাংলাদেশে না ঘটতে পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আগামীতেও নেওয়া হবে,' যোগ করেন তিনি।মাস্টার মাইন্ডরা একেবারেই বাইরে রয়ে গেছে। আপনি সাবেক সেনা কর্মকর্তা হিসেবে কী মনে করেন যে, তাদের কি কখনো পাওয়া যাবে না—গণমাধ্যমকর্মীর প্রশ্নের জবাবে ফারুক খান বলেন, 'আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু হত্যা; মাস্টার মাইন্ডদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিচ্ছি আমরা। ঘটনার পেছনে যারা কুশীলব, কিছুটা তো আমরা জানি কারা ছিল।'আমরা জানি, সেদিন ঘটনার কিছু পূর্বে বেগম জিয়ার বাসা থেকে একটি কালো রঙের গাড়ি কোনো প্রোটকল না নিয়ে বেরিয়ে গেছে। এতে প্রমাণিত হয়ে তিনি জানতেন ঘটনা ঘটবে,' বলেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।তিনি আরও বলেন, 'এ ঘটনার বিচার যাতে সুষ্ঠুভাবে হয়, তার জন্য কাজ চলছে। যারা এর পেছনে আছে তাদের খুঁজে বের করা হবে।'
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
রোজার আগে ভারত থেকে দেশে কিছু পেঁয়াজ ঢুকবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।শনিবার জাতীয় সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে এলডি হল চত্বরে ‘রাঙ্গুনিয়া সমিতি, ঢাকা’ আয়োজিত সংবর্ধনা, মেজবান ও মিলন মেলা অনুষ্ঠানে শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান মন্ত্রী।পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ দেশে আসছে। রোজার আগেই কিছু পেঁয়াজ বাজারে ঢুকবে। বাজার কারসাজির বিরুদ্ধে ইশতেহার অনুযায়ী সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনী ইশতেহারে আমরা বলেছিলাম, দ্রব্যমূল্য যেন মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে সেটার ওপর আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি। এই সরকারের যাত্রার শুরু থেকে সেই অগ্রাধিকার নিয়ে আমরা কাজ করছি এবং বাজারের অসাধু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকার সব রকম ব্যবস্থা নেবে।পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাজারের অসাধু সিন্ডিকেট কারণে-অকারণে নানা অজুহাতে বিভিন্ন পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করে। আমরা দেখেছি, একটি কোল্ড স্টোরেজের ভেতর থেকে দেড় লাখ ডিম উদ্ধার করা হয়েছে। অতীতে পেঁয়াজের সংকট তৈরি করা হয়েছিল। আবার যখন বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হলো, বাজারে পেঁয়াজ সয়লাব হয়ে গেলো, তখন স্টোরেজ থেকে জমিয়ে রাখা পচা পেঁয়াজ ফেলে দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আমাদের সরকার সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।হাছান মাহমুদ বলেন, যারা সরকারকে টেনে নামাতে চায়, এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে তারাও যে যুক্ত, সেটি সঠিক। তবে আপনারা দেখছেন, বাজার মোটামুটি স্থিতিশীল আছে। কেবল পাইকারি বিক্রেতা না, খুচরা বিক্রেতাদের মধ্যেও একটু বেশি মুনাফা করার প্রবণতা দেখা দিয়েছে। আমরা এটির বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন হতে বলেছি। সরকারও সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেবে।বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খানের মন্তব্য নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, সরকার তো অবশ্যই পাঁচ বছর পর পরিবর্তন হবে। তখন দেশে নির্বাচন হবে, তারপর নতুন সরকার গঠন করা হবে। আশা করি, জনগণের ভোটে সেই সরকারেরও প্রধান হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
দ্রব্যমূল্যে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে মজুতদার-সিন্ডিকেটকারীদের বিএনপি পৃষ্ঠপোষকতা ও মদদ দিচ্ছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিএনপি সিন্ডিকেট লালন পালন করেছে, মজুদদারদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে, একথা বললে কি ভুল হবে? যারা করছে তারা বিএনপির পুরোনো সিন্ডিকেট।সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সরকার ছিল ব্যবসায়ী সরকার। আওয়ামী লীগ ব্যবসা করতে আসেনি। এখানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার হাল ছেড়ে দিয়েছে— এ কথা মনে করার কোনো কারণ নেই। বিভিন্নভাবে সরকার পরিকল্পনা নিয়ে যে অশুভ চক্র দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে জন অসন্তোষের কারণ সৃষ্টি করছে তাদের কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী নিজেই জোরালোভাবে সেটি বলেছেন।বিএনপি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে এবং এই আন্দোলনে সরকারের পতন অবশ্যই হবে— এক বিএনপি নেতার এমন মন্তব্যের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখন প্রশ্ন হচ্ছে দেশে একটা নির্বাচন হয়ে গেল। তারা নির্বাচনে অংশ নেয়নি। আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসের মহড়া দিয়েছে। আগুন সন্ত্রাস করেছে। আন্দোলনের নামে কত ভয়ংকর ভূমিকায় বিএনপি হতে পারে সেটা তারা করে দেখিয়েছে বারে বারে। জনগণের সম্পৃক্ত ছিল না বলে অতীতে তারা ব্যর্থ হয়েছে।উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি দলগতভাবে অংশ না নিলেও তৃণমূলে নেতারা নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় নির্বাচন করবে বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে দলটির মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব চলছে। আমরা দলীয় প্রতীক দিয়ে নির্বাচন করছি না। এমন অবস্থায় স্বতন্ত্র পরিচয়ে বিএনপির অনেকে নির্বাচন করবে। দলীয়ভাবে যাই করুক যারা তৃণমূলে আছেন তারা তাদের অস্তিত্বের বিষয় আছে। তৃণমূলে অস্তিত্ব নিয়ে টিকে থাকার প্রশ্ন আছে। আমার ধারণা বিএনপির অনেকেই অংশ নেবে। দলগতভাবে তারা যাই বলুক কেন।বর্তমানে অর্থনীতির সংকট রয়েছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, এজন্য আমরা দায়ী নই। বিশ্ব যুদ্ধ বিগ্রহ যেভাবে প্রসারিত হচ্ছে তাতে অর্থনীতির ওপর প্রতিক্রিয়া স্বাভাবিকভাবে হচ্ছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। কিন্তু দ্রব্যমূল্য যাতে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে সে ব্যাপারে সরকার যথেষ্ট তৎপরতায় কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রণালয়গুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন, তার আলোকে সবাই কাজ করে যাচ্ছে। এ সময় বিদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক এক মন্ত্রীর বিপুল অর্থ সম্পদ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি করে কেউ ছাড় পাবে না। তিনি মন্ত্রী হন আর যেই হোন।এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এবার নির্বাচনে যত বেশি-বিদেশি খেলা হয়েছে তখনো ভারত আমাদের পাশে ছিল। এখানে শেখ হাসিনাকে নিয়ন্ত্রণের প্রশ্ন কেন আসবে? বন্ধু বন্ধুর মত থাকবে। সহযোগিতার অর্থ নিয়ন্ত্রণ নয়। পারস্পরিক সহযোগিতা, সমন্বয় এখন খুবই জরুরি। ডিপ্লোম্যাসি উইথ কমনসেন্স— খুবই জরুরি।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, উপ দপ্তর সায়েম খানসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
দেশে বিএনপি'র চেয়ে বড় উগ্রবাদী কারা? এ প্রশ্ন রেখেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।তিনি আজ দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানান, দেশে উগ্রবাদের জন্ম বিএনপির হাত ধরে। আজকে মির্জা ফখরুল কেন বলেন না, তাদের কথামতো না চললে দেশে উগ্রবাদ চলবে? সরকার আত্মশক্তিতে বলিয়ান। ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ বেফাস কথা বলে না, বিএনপিই বলে। বেপরোয়া গাড়ির চালকের মতো বেপরোয়া রাজনীতির চালক মির্জা ফখরুল। রাজনীতিতে বিএনপি দুর্ঘটনা ঘটাতে চায়। অতীতে তাদের এই ইতিহাস আছে। এই দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি তারা বারে বারে ঘটাতে চায়। এছাড়া রাজনীতিতে টিকে থাকার তাদের আর কোন রসদ নেই।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে যাদের হাতে রক্তের দাগ, যারা এদেশে হত্যা ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছিল, মানব সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কিত হত্যাকান্ড ৭৫ এর ১৫ ই আগস্ট, যার মাস্টারমাইন্ড ছিল খন্দকার মোস্তাকের সঙ্গে জেনারেল জিয়াউর রহমান। অবাক লাগে নিজেরাই যেসব অভিযোগে অভিযুক্ত, তাদের উপর আরোপিত অভিযোগ নতুন করে আরোপ করতে চায় আওয়ামী লীগের উপর। তেশরা নভেম্বর জেলহত্যা, একুশে আগস্ট ২০০৪ সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশের উপর সন্ত্রাসী হামলায় ২৩ জনের প্রাণ ঝরে গেছে। এসব হত্যাকাণ্ড বিএনপির আমলে সংঘটিত করেছিল। এরপর মির্জা ফখরুল হঠাৎ এক বিবৃতিতে কোথা থেকে পেলেন আওয়ামী লীগ নাকি হত্যা ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছে? উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপাচ্ছেন। বিএনপি নিজেরাই নিজেদের নেতাকে হত্যা করে আওয়ামী লীগের উপর দায় চাপিয়েছিল নির্বাচনকে সামনে রেখে। একুশে আগস্ট জজ মিয়া নাটক সাজিয়েছিল তারা। এমন নাটক তারা বারে বারে সাজিয়েছে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করার জন্য। নিজেদের কৃতকর্মের দায় অপরের উপর চাপাতে তাদের অপকর্ম এখনো অব্যাহত আছে। জেল থেকে বের হয়ে মির্জা ফখরুল যা বলছেন তাই এসব নাটকেরই প্রতিধ্বনি।বিএনপির ঘুরে দাঁড়ানো প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি কোথায় ঘুরে দাঁড়াবে সেটা আমাদের জানা নেই। এ কথা আগেও শুনেছি। কোন বছর ঘুরে দাঁড়াবে? আন্দোলনের যে চৌকস কথার ফুলঝুরি অনেক শুনেছি। সে কথা বারে বারে বলতে গিয়ে বিএনপি নেতারা জনগণের কাছে নিজেদেরকেই খাটো করছেন। দেশে আন্দোলনের কোন বস্তুগত ইস্যু নেই। তারা গায়ে পড়ে ইস্যু খুঁজে বেড়ায়। জনগণ জেনে শুনে শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়েছে। বাস্তবে হতাশা নিরাশা থেকে নিজেদের আত্মতুষ্টির জন্য ও নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতে দলটির নেতারা এসব বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলি নিয়ে সেতু মন্ত্রী বলেন, ওখানে এখন যেটা দরকার তা হল ইনটেলিজেন্ট ডিপ্লোমেসি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে। সবপক্ষের গতিবিধি লক্ষ্য করে যুদ্ধকে পরিহার করে শান্তির জন্য ইন্টেলিজেন্স ডিপ্লোমাসি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া সহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
কারাগার থেকে বেরিয়েই ‘ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার’ আন্দোলন অব্যাহত রাখার কথা বললেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, নেতা-কর্মীদের হতাশার কিছু নেই।গ্রেপ্তার হওয়ার সাড়ে তিন মাস পর জামিনে আজ বৃহস্পতিবার মুক্তি পান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে মুক্তি পান এই দুই নেতা।মুক্তি পাওয়ার পর নেতা-কর্মীরা ফুল ছিটিয়ে মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুকে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় তাঁদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, তাঁদের আন্দোলনের কোনো ক্ষতি হয়নি। তাঁরা ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন।মির্জা ফখরুল বলেন, ৭ জানুয়ারির একপক্ষীয় নির্বাচন করে সরকারই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিএনপির কোনো ক্ষতি হয়নি।এ সময় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীও বলেছেন, তাঁরা তাঁদের আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে গত ২৮ অক্টোবর এবং এর পরের সংঘর্ষ ও সহিংসতাকে কেন্দ্র করে ১১টি মামলা হয়। এর আগে ১০টিতে তিনি জামিন পেয়েছেন। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় তাঁর জামিন গতকাল মঞ্জুর করেন আদালত।অন্যদিকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১০টি মামলা হয়। এর আগে তিনি ৯টি মামলায় জামিন পান। গতকাল তিনিও প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় জামিন পান।সর্বশেষ গত ১৭ জানুয়ারি রাজধানীর পল্টন থানায় হওয়া একটি মামলায় জামিন পান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।এর আগে ১০ জানুয়ারি ঢাকার সিএমএম আদালত থেকে ৯টি মামলায় জামিন পান মির্জা ফখরুল।গত ২৯ অক্টোবর গ্রেপ্তার হয়ে সেদিন থেকে সাড়ে তিন মাস সময় ধরে কারাগারে ছিলেন মির্জা ফখরুল।২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচনের পর বর্তমান মন্ত্রিসভার পরিধি বাড়তে পারে বলে জানালেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।আজ সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর ১১ জানুয়ারি টানা চতুর্থবারের মতো আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। তাতে প্রধানমন্ত্রীসহ নতুন মন্ত্রিসভার সদস্য ৩৭ জন। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ছাড়া ২৫ জন মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন।বর্তমান মন্ত্রিসভার পরিধি বাড়ছে কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটি প্রধানমন্ত্রী বলতে পারেন। তবে সময়মতো কিছু, যেমন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়—এগুলোয় কোনো না কোনো সময় মন্ত্রী আসবেন। প্রসঙ্গত, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে বর্তমানে আলাদা মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী নেই। এগুলোর দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর হাতে রয়েছে।ওবায়দুল কাদের মনে করেন, সংরক্ষিত আসনের নির্বাচনের পর নির্বাচিত নারীদের মধ্য থেকে মন্ত্রী হতে পারেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ভারত ও মিয়ানমার সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। একই সঙ্গে নিহতদের স্মরণে দোয়া ও মাগফিরাত কামনায় কর্মসূচি রাখা হয়েছে।রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।তিনি জানান, ১৩ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গল ও বুধবার ঢাকাসহ দেশের সব মহানগরে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করা হবে। এরপর ১৬ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) ভারত ও মিয়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নিহত হওয়া বাংলাদেশিদের স্মরণে বাদ জুম্মা সারা দেশের সব মসজিদে দোয়া ও মাগফিরাত কামনা করা হবে।পরদিন শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সব জেলা শহরে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ হবে। ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি দেশের সব উপজেলা, থানা, পৌরসভায় ও ইউনিয়ন পর্যায়ে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করবে নেতাকর্মীরা।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে হাসপাতালে নেওয়া হবে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে।জানা গেছে, বিকাল চারটায় তাকে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হবে।২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল থেকে বাসায় আসেন বিএনপি চেয়ারপারসন। ২০২১ সালের ১১ এপ্রিল করোনাভাইরাস পজিটিভ রিপোর্ট আসে তার। একই বছরের ১৫ এপ্রিল এভারকেয়ার হাসপাতালে সিটিস্ক্যান করানো হয়।৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বুকে ব্যথা নিয়ে ২০২২ সালের ১০ জুন গভীর রাতে ফের এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। পরের দিন (১১ জুন) খালেদা জিয়ার হৃৎপিণ্ডের ব্লক অপসারণ করে একটি ‘স্টেন্ট’ বসানো হয়েছিল। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পরে ২৪ জুন তাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়।এর পর বাসা থেকেই এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
৭ম ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্সে যোগ দিতে অস্ট্রেলিয়া গেলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি। আজ দুপুরে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন। সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে তিনি আগামী ১১ তারিখে দেশে ফিরবেন। ৯-১০ ফেব্রুয়ারি তারিখে অস্ট্রেলিয়ার পার্থে অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনটিতে মন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। প্রতিনিধি দলে তিনি ছাড়াও অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আল্লামা সিদ্দিকী অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেয়ার পাশাপাশি তিনি যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, মালদ্বীপ, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সিঙ্গাপুরের মন্ত্রীদের সাথে দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে বৈঠক করবেন।২০১৬ সাল থেকে ভারত মহাসাগর উপকূলবর্তী দেশসমূহকে নিয়ে এই সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সম্মেলনটিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধান, মন্ত্রীবর্গ, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা সমূহের প্রধানগণ, গবেষকসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। এতে পরিবর্তিত বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়ে থাকে যা অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্রে কে বিস্তৃত করছে। এ পর্যন্ত সর্বমোট ছয়টি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।উল্লেখ্য, ষষ্ঠ ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স ২০২৩ সালের ১২-১৩ মে তারিখে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো বিরোধ নেই উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, 'আমাদের সঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যুতে যে সমস্যা, সেটা আন্তর্জাতিকভাবে সমাধানের প্রয়াস চলছে। এটা তাদের সঙ্গে আমাদের যুদ্ধের কোনো কারণ হবে না।'তিনি আরও বলেন, 'আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে নয় শুধু—আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চাই না।'আজ মঙ্গলবার সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।কাদের বলেন, 'আমরা তো একে অন্যের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত না। (মিয়ানমার) তাদের ইন্টারনাল কনফ্লিক্টটা তাদের সীমান্ত পর্যন্ত গড়াচ্ছে এবং সীমান্ত থেকে ছিটকে পড়ছে মর্টার শেল, গোলা; আমাদের দুজন নাগরিক—একজন নারী ও একজন পুরুষ মারা গেছে। মিয়ানমারের ১০৪ জনের মতো সীমান্তরক্ষী বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।'তিনি বলেন, 'আমরা মনে করছি, এটা মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাদের ৫৪টার মতো এথনিক কমিউনিটি আছে। এরা বিভিন্ন জায়গা ইতোমধ্যে দখল করে ফেলেছে। সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাদের ইন্টারনাল কনফ্লিক্ট; আমাদের সঙ্গে তাদের কোনো বিরোধ নেই। আমাদের সঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যুতে যে সমস্যা, সেটা আন্তর্জাতিকভাবে সমাধানের প্রয়াস চলছে। এটা তাদের সঙ্গে আমাদের যুদ্ধের কোনো কারণ হবে না।'আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে নয় শুধু—আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চাই না। আমরা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে আমাদের উদ্বেগ আমরা জানাব। তাদের বক্তব্যও শুনব। যে কোনো সমস্যা আমরা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের ব্যাপারে আমাদের সিদ্ধান্ত আছে,' যোগ করেন তিনি।একজন গণমাধ্যমকর্মী দৃষ্টি আকর্ষণ করেন, এ ধরনের ঘটনা যখন ঘটে আমরা দেখি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ হয়। যতবারই এ রকম হয়েছে, রোহিঙ্গারা স্রোতের মতো বাংলাদেশে ঢুকেছে। এবারও সে রকম আশঙ্কা আছে। যেহেতু ঘটনাটা একেবারে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী—এ ব্যাপারে কাদের বলেন, 'আমরা নেতিবাচক কথা বলতে চাই না, আমরা ইতিবাচক। আমরা আলাপ-আলোচনাই করব। জাতিসংঘ আছে, তাদের দৃষ্টিও আমরা আকর্ষণ করব।'এর আগে তিনি সংরক্ষিত আসনের মনোনয়ন ফরম বিক্রির বুথ পরিদর্শন করেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মাঝেও দেখা যাচ্ছে তারকাদের। এ দলে রয়েছেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন তিনি।মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র কিনেছেন তিনি। মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের পর সবার কাছে দোয়া চান অভিনেত্রী।সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য হওয়ার ইচ্ছা আগেই প্রকাশ করেছিলেন অপু বিশ্বাস। সেসময় বলেছিলেন, ‘আমি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সংরক্ষিত আসন থেকে মনোনয়নপত্র কিনেছিলাম। এবারও মনোনয়ন কিনতে চাই।’তিনি আরও বলেছিলেন, ‘মনোনয়ন পেলে নারীদের নিয়ে কাজ করতে চাই। সবাই জানেন, আমি মনে-প্রাণে আওয়ামী লীগ ধারণ করি। সে কারণেই সংরক্ষিত আসনের মনোনয়ন চাই। আমার বিশ্বাস, এই দায়িত্ব পালন করার মতো যোগ্যতা আমার আছে।’এছাড়াও মনোনয়নপত্র কিনেছেন অভিনেত্রী শাহনূর ও সোহানা সাবা। জানা গেছে সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায় যোগ হতে পারে আরও কয়েকজন তারকার নাম।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের জনগণও বিএনপির সঙ্গে নেই, বিদেশি বন্ধুরা তাদের ছেড়ে চলে গেছে। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লম্বা চিঠি পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করার জন্য। অর্থনৈতিক উন্নয়নের ব্যাপারে বিশেষভাবে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন তিনি।সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিএনপির প্রতি প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন আপনারা (বিএনপি) কী বলবেন? কে আপনাদের ক্ষমতায় বসানোর জন্য আসবে? কে আমাদেরকে (আওয়ামী লীগ) হটাতে আসবে? যাদের আশায় ছিলেন তারা তো এখন একসঙ্গেই কাজ করার জন্য এসেছেন। নেতারা তো অনেকেই পালিয়ে আছেন, অনেকে প্রকাশ্যে আসেন না। এখন আপনাদের সাহসের উৎস কোথায়? কে সাহায্য করবে? দেশের জনগণ আপনাদের থেকে সরে গেছে।তিনি বলেন, নির্বাচনে ২৮ টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে। সংসদ বসেছে। অধিবেশনের শুরুতেই স্ট্যান্ডিং কমিটি পর্যন্ত হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরো সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি নিজ হাতে লিখেছেন।এসময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, উপ দপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজীসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে এক ব্যক্তিকে আটকে রেখে তার স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন।রোববার সকাল ৮টার দিকে তিনি সাভার মডেল থানায় গিয়ে আত্মসমপর্ণ করেন। এর আগে মোস্তাফিজুর রহমান গভীর রাতে হলের রান্নাঘরের তালা ভেঙে পালিয়ে যান। অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এবং শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান সোহেলের অনুসারী।আটক অন্যরা হলেন- আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী হাসান, ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোস্তফা মনোয়ার সিদ্দিকী সাগর, উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন সাগর। অভিযুক্তকে পালাতে সাহায্য করায় এই তিনজনকে আটক করা হয়। সবাইকে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ। তবে মোস্তাফিজুর রহমানের সহযোগী মামুন (বহিরাগত) এখনো পলাতক রয়েছেন। এদিকে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, শনিবার দিনগত রাত ১২টার দিকে মূল অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান মীর মশাররফ হোসেন হলের রান্নাঘরের তালা ভেঙে পালিয়ে যান। তাকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেন ওই তিন শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ.স.ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, মূল অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান থানায় আত্মসমর্পণ করেছে। বাকি তিনজনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। বহিরাগত মামুন পলাতক। জানা গেছে, ওই দম্পতির বাড়িতে ভাড়া থাকেন অভিযুক্ত মামুন। শনিবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগীর স্বামীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেকে নিয়ে আসেন তিনি। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আসলে তাকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের ‘এ’ ব্লকের ৩১৭ নম্বর কক্ষে আটকে রাখেন অভিযুক্তরা। এরপর তার স্ত্রীকে দিয়ে নিজের রেখে আসা জিনিসপত্র আনতে বলেন মামুন। তার পরিপ্রেক্ষিতে মামুনের জিনিসপত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে আসেন ভুক্তভোগী নারী। পরে জিনিসপত্র নিয়ে মামুন হলের ভেতরের ওই কক্ষে রেখে আসেন। এরপর তার স্বামী অন্যদিক থেকে আসবে বলে ওই নারীকে হল সংলগ্ন জঙ্গলে নিয়ে যান অভিযুক্তরা। পরে সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই নারী।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ত্রুটিপূর্ণ বলেনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তারা বর্তমান সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে একথা জানান তিনি। নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহন করেনি তার মানে কি নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু হয়নি?এমন প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন,এবারের নির্বাচন সহিংসতাহীন,শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। বিস্তারিত জানাচ্ছেন শাহরিয়ার বাঁধন।রবিবার সকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন সড়ক পরিবার ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে।এরপর দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন তিনি। এসময় তিনি বলেন,এবারের সংসদ নির্বাচনকে ত্রুটিপূর্ণ বলেনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র,দুদেশের স্বার্থে তারা বর্তমান সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক অব্যাহত রাখবে।তার দাবী,এবারের নির্বাচন সহিংসতাহীন, শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে আর বিএনপির অংশ নেয়নি বলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি এটা ঠিক নয়।সেতু মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে চীন সাপোর্ট করেছে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন আর রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্সন নিয়ে চীন বাংলাদেশকে সহায়তা করবে বলেও জানান, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অহেতুক গ্রেফতার বা কারাগারে পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সহকারী জজ ও সমপর্যায়ের বিচারবিভাগীয় কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি ও প্রশিক্ষণ কোর্স অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।তবে আদালত ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে যে রায দেবেন তা বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব সরকারের সংশ্লিষ্টদের বলেও জানান আইনমন্ত্রী।রাজধানীর বিচার, প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত সহকারী জজ/সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের ৪৯তম বুনিয়াদি ও প্রশিক্ষণ কোর্স শুরু হয়েছে ৩ ফেব্রুয়ারি। চলবে ১ জুন পর্যন্ত।প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সভাপতিত্ব করেন বিচার, প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ও আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা। বিশেষ অতিথি ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. গোলাম সারোয়ার।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্র সার্বক্ষণিক চলছে। এ বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকার পাশাপাশি এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।বুধবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর মিরপুরে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির প্রেতাত্মারা এখনো দেশের আনাচে-কানাচে অনেক জায়গায় আছে। তারা ঘাপটি মেরে থাকে, লুকিয়ে থাকে। সুযোগ পেলেই মাথাচাড়া দেয়। আবারও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অন্তরাত্মায় তারা আঘাত করতে চায়।তিনি আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। মুক্তিযোদ্ধাদের হাত ধরে এদেশ স্বাধীন হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে মুক্তিযোদ্ধারা ঝাঁপিয়ে না পড়লে এ দেশকে আমরা হানাদার মুক্ত করতে পারতাম না। বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে এখনো আমাদের দাসত্ব করতে হতো এবং আমরা কোথায় গিয়ে দাঁড়াতাম সেটা আমরা কল্পনাও করতে পারি না।এদেশের নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের গল্প বলতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাঁথা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাদের বোঝাতে হবে অনেক কষ্ট, অনেক ত্যাগ, অনেক কিছুর পর আমরা এ দেশ পেয়েছি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের দিনে সংসদ অভিমুখে গণঅধিকার পরিষদের কালো পতাকা মিছিলে পুলিশের বাধা ও লাঠিচার্জ করার অভিযোগ উঠেছে।গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, বিকেলে বিজয়নগর আল রাজি ভবনের সামনে থেকে তারা মিছিল শুরু করলে পুলিশ মারমুখী অবস্থান নেয়, ব্যানার কেড়ে ছিড়ে ফেলে এবং নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের হুমকি দেয় ও লাঠি চার্জ করে। এতে ১০ জনের বেশি নেতাকর্মী আহত হন। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, পুলিশের লাঠি চার্জে দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ফাতিমা তাসনিম, জসিম উদ্দিন আকাশ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারজানা কিবরিয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নুসরাত কেয়া, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুনসহ প্রায় ১০ জন আহত হয়েছে। পুলিশের বাধা পরবর্তী সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছি কিন্তু পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে হামলা করছে। আজকে দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ হামলা করেছে, অসংখ্য নেতাকর্মীকে আটক করেছে। আমরা চাইলে পুলিশের সাথে ধাক্কাধাক্কি করে মিছিল করতে পারি, এতে আমাদের হয়তো কয়েকজনকে আটক করবে। কিন্তু এতে লাভ কার? তিনি আরও বলেন, ২৮ অক্টোবর একজন পুলিশ মারা গেল, এতিম হলো তার সন্তান, বিধবা হলো তার স্ত্রী, লাভ হলো সরকারের। আজকে একটা অবৈধ সংসদের অধিবেশন বসেছে। এই সংসদে কেউ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। এরা অবৈধভাবে সংসদে বসেছে। আজ এই সরকার দৈত্য-দানবের সমেত জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আজ ড. ইউনূসের মতো সম্মানী লোককে কোর্টের বারান্দায় ঘুরতে হচ্ছে।সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, সংসদ অভিমুখে আমাদের কালো পতাকা মিছিল ছিল, পুলিশ আমাদের মিছিল পণ্ড করে দিয়েছে। আমাদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে। পুলিশের দায়িত্ব জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া। সেখানে পুলিশ উল্টো অবৈধ ক্ষমতা রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে। গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান খানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন— উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩১ জানুয়ারি ২০২৪
মহিলা সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে দলের পরীক্ষিত ও ত্যাগীদের গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, মহিলা সংরক্ষিত আসনের জন্য মনোনয়ন নেওয়ার বা চাওয়ার যে হিড়িক, সেই তুলনায় আমাদের দেওয়ার সুযোগ খুব কম। আমরা আমাদের পরীক্ষিত, ত্যাগীদের গুরুত্ব দেব। যারা দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন, যারা আমাদের দুঃসময়ের পরীক্ষিত কর্মী, তাদের ব্যাপারটা আমরা অগ্রাধিকার দেব। তিনি বলেন, মহিলা সংরক্ষিত আসনে দলগতভাবে ৩৮টি, আর স্বতন্ত্র থেকে ১০ জন মিলিয়ে ৪৮টি মনোনয়ন দেওয়া হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩১ জানুয়ারি ২০২৪
পথ হারা পথিকের মতো দিশেহারা বিএনপি উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন বিএনপির নেতারা কী বক্তব্য দিচ্ছেন, এর প্রতি দেশের মানুষের কোনো আগ্রহ নেই। আমাদের কোনো আগ্রহ নেই। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির কালো পতাকা মিছিল প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে তারা রাজপথে ফ্রি স্টাইল করবে আর আমরা চুপচাপ বসে থাকব? এটা মনে করার কোনো কারণ নেই।বর্তমান সংসদের ভারসাম্য রক্ষা হয়নি, জিএম কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, কথা তো যা বলার উনি একাই বললেন। গতকাল দেশের প্রধানমন্ত্রীও কথা বলেননি। আমরা শুধু আনুষ্ঠানিকতা করেছি। স্পিকারকে ধন্যবাদ জানানোর নামে ফ্লোর নিয়ে তিনি গতকাল যেসব কথা বলেছেন তা ঠিক হয়নি। সামনে আরো সময় ছিল তখন অনেক কথাই বলতে পারতেন। তিনি শুরুটাই এমনভাবে করলেন যে তুলকালাম কাণ্ড ঘটিয়ে ফেললেন, লম্বা একটা বক্তৃতা দিলেন। বিষয়টা হলো ধন্যবাদ জানানোর। এত লম্বা ভাষণের জন্য ওনাকে আহ্বান করা হয়নি। উনি নিয়ম লঙ্ঘন করে কথা বলেছেন। ওনার কথা বলার সামনে যথেষ্ট সুযোগ আছে। স্বাধীনতার পর এদেশে একজন বিরোধীদলীয় নেতা ছিল, এখন তো তারাই ১১ জন। মহিলা সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়ে কাদের বলেন, 'দলের পরীক্ষিত ও ত্যাগীদের গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ।ওবায়দুল কাদের বলেন, মহিলা সংরক্ষিত আসনের জন্য মনোনয়ন নেওয়ার বা চাওয়ার যে হিড়িক, সেই তুলনায় আমাদের দেওয়ার সুযোগ খুব কম। আমরা আমাদের পরীক্ষিত, ত্যাগীদের গুরুত্ব দেব। যারা দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন, যারা আমাদের দুঃসময়ের পরীক্ষিত কর্মী, তাদের ব্যাপারটা আমরা অগ্রাধিকার দেব।তিনি বলেন, মহিলা সংরক্ষিত আসনে দলগতভাবে ৩৮টি, আর স্বতন্ত্র থেকে ১০ জন মিলিয়ে ৪৮টি মনোনয়ন দেওয়া হবে।এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩১ জানুয়ারি ২০২৪