রাজনীতি


জনগণ এবারও ব্যালটের মাধ্যমে ককটেল-বোমার জবাব দিতে প্রস্তুত

জনগণ এবারও ব্যালটের মাধ্যমে ককটেল-বোমার জবাব দিতে প্রস্তুত

নির্বাচন ভন্ডুল করতে বিএনপি-জামায়াত আবার আগুন সন্ত্রাস শুরু করেছে অভিযোগ করে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, জনগণ ২০১৪ ও ২০১৮ সালে বোমা সন্ত্রাস মোকাবিলা করে উন্নয়নের পক্ষে ভোট দিয়েছিল। জনগণ এবারও ব্যালটের মাধ্যমে ককটেল-বোমার জবাব দিতে প্রস্তুত।বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ভিশন ২০২১ টাওয়ার-১ এ (সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক) আনুষ্ঠানিকভাবে ‘নৌকার পালে জয়ের বাতাস’ গানের শুভমুক্তি ঘোষণা করে তিনি এ কথা বলেন।ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ২০০৯ সালে মুক্তিযুদ্ধ ও ডিজিটাল বাংলাদেশের পক্ষে, ২০১৪ সালে উন্নয়ন ও সন্ত্রাসের বিপক্ষে এবং ২০১৮ সালে উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ঠিক রাখতে জনগণ রায় দিয়েছিল। এবার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আবারও রায় দিতে উন্মুখ হয়ে আছে তারা। জনগণের এ রায়ের পক্ষে কাজ করছে ছাত্রলীগ। একইসঙ্গে দ্বাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘নৌকার পালে জয়ের বাতাস’ গানটি একটি জাগরণ তৈরি করবে। যেভাবে ‘জয় বাংলা, জিতবে আবার নৌকা’ গানটি জাগরণ তৈরি করেছিল।সাদ্দাম হোসেন বলেন, গান সাম্প্রদায়িকতা, গোয়ামী থেকে যেমন মুক্তি দেয় তেমনি একটি জাতির সামনের দিনের দিকনির্দেশনা দেয়। তাই নির্বাচনকে সামনে রেখে এই গানটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে। এই গানের সুবাতাসে মানুষের উন্নয়নের পক্ষে ভোট দিতে আসবে।অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, এই গানটি দ্বাদশ নির্বাচনে ব্যাপক সাড়া জাগাবে। এই গানের কথা ও ভিডিওতে দেশের গত ১৫ বছরের উন্নয়ন এবং অগ্রযাত্রাকে যেভাবে ফুটিয়ে তুলা হয়েছে, তাতে দেশের মানুষ ব্যাপক সাড়া দেবে। এই গান তৈরির পেছনে সব কলাকুশলীদের ধন্যবাদ জানান তিনি।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এই গান মুক্তির মাধ্যমে সর্বস্তরের মানুষের কাছে দেশের উন্নয়ন তুলে ধরে এর শুভমুক্তি ঘোষণা করে প্রযোজক প্রতিষ্ঠান সেরা বাংলা। এর মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণায় যুক্ত হলো আরেকটি নতুন গান।‘নৌকার পালে জয়ের বাতাস’ গানটির কথা লিখেছেন জুলফিকার রাসেল। কণ্ঠ দিয়েছেন, মিলন মাহমুদ, মিজান রাজিব, অবন্তী সিঁথী, মীর মাসুম, নাশা ও মিরাজ। সুর ও সংগীতায়োজনে ছিলেন মীর মাসুম। আর গানটি প্রযোজনা করেছেন সেরা বাংলার ফাউন্ডার তৌহিদ হোসেন।গানটির প্রযোজক তৌহিদ হোসেন বলেন, নির্বাচনী প্রচারণার জন্য অনেক গান হয়েছে। আরও নতুন নতুন গান এ তালিকায় যুক্ত হচ্ছে। ‘নৌকার পালে জয়ের বাতাস’ গানটি নির্বাচনী প্রচারণায় আরেকটি নতুন সংযোজন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনী প্রচারণায় এ গানটি সারা দেশের আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করবে। নির্বাচনী প্রচারণাকে করে তুলবে আরও উৎসবমুখর। মূলত, নির্বাচনী প্রচারণায় উৎসবের আমেজ আনতেই আমাদের এ গানটি প্রকাশ করা।গানটির শিল্পী ও কলাকুশলীরা ‘নৌকার পালে জয়ের বাতাস’ গানটিকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত। তারা মনে করছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণায় গানটি ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা পাবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩


মির্জা ফখরুল ইসলামকে মিস করছেন ওবায়দুল কাদের

মির্জা ফখরুল ইসলামকে মিস করছেন ওবায়দুল কাদের

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জেলে থাকায় বাকযুদ্ধের জবাবের অনুপস্থিতি উপলব্ধি করছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মনোভাব প্রকাশ করেন তিনি।কারাগারে থাকায় মির্জা ফখরুল ইসলামকে মিস করছেন কি না– এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘না... থাকলে ভালো হতো। এই যে… মানে এটা… এমন একটা বিষয় যে কথাবার্তার মধ্য দিয়ে একটা সুস্থ প্রতিযোগিতা। এতে গণতন্ত্রই লাভবান হয়। এখন এখানে আইনের ব্যাপার যখন বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তখন তো করণীয় কিছু নেই, থাকলে ভালো হতো। উনি আমার কথার জবাব দেন, আবার আমি তার কথার জবাব দিই। এটা তো এক ধরনের… এটা একটা ইন্টারেকশন এক্সচেঞ্জ।’‘আমি অভ্যাসগতভাবে মিস করা বলি, ঐভাবে বলতে চাই না। আমি বলছি, উনার সঙ্গে প্রতিদিনই যে কথাবার্তা, যে কাউন্টার হয়। বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে তিনিও আক্রমণ শানিত করেন। তো সেটার জবাব দিতে ভালো লাগে। আক্রমণ শানিত করলে তার সঠিক উত্তরটাও আমাদের দিতে হয়। সেদিকটা অবশ্যই এখন অনুপস্থিত। এটা ঠিক। মিস-টিস এগুলা বলতে চাই না।’তিনি বলেন, ‘সারা দেশে আগুন সন্ত্রাস করে বিএনপি কোন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়, এটা আমাদের প্রশ্ন। এটা নির্বাচনবিরোধী ষড়যন্ত্র। তাদের লক্ষ্য হচ্ছে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে নাশকতার মাধ্যমে বানচাল করা।’‘আজ তারা গভীর ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে, তারা কিছু প্ল্যান তৈরি করে রেখেছে, তারা চায় গুপ্ত হামলা, গুপ্ত হত্যা। আজ বাসে আগুন দিয়ে নাশকতা সৃষ্টি– এসব অপকর্ম বিএনপির দোসররা করতে চায়। এর জন্য আমরা সতর্ক পাহারা আরও জোরদার করেছি।’

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩


'জাতীয় পার্টি আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সরে যেতে পারে'

'জাতীয় পার্টি আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সরে যেতে পারে'

জাতীয় পার্টি আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সরে যেতে পারে বলে সন্দেহ সরকার ও শাসক দল আওয়ামী লীগের। গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এ সন্দেহ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তিনি বলেছেন, জাতীয় পার্টিকে বিশ্বাস করা যায় না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই মন্ত্রী আজ মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এই দুই মন্ত্রী গতকালের মন্ত্রিসভার বৈঠকে ছিলেন।দুই মন্ত্রী বলেছেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের বেশ কিছু পরামর্শ দেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।ওই দুই মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির অংশগ্রহণ নিয়ে কয়েকজন মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তাঁরা আওয়ামী লীগের ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থীদের বিষয়েও কথা বলেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে যেতে ব্যবস্থা নিতেও তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।মন্ত্রীদের অনুরোধ নাকচ করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় পার্টি আগামী নির্বাচনে কী করবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। শেখ হাসিনা আরও বলেন, জাতীয় পার্টি রওশন এরশাদ, তাঁর ছেলে রাহগির আল মাহি এরশাদ (শাদ এরশাদ) ও মসিউর রহমানকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে রেখেছে। তারা কখন কী করবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।শেখ হাসিনা আরও বলেন, একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দিকে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আর সবাইকে সেদিকেই যেতে হবে। নির্বাচন কারও জন্য অপেক্ষা করবে না। নির্বাচন হবেই।সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় পার্টি কয়েক দফায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠক করেছে। ৭ জানুয়ারির ভোটে আসন ভাগাভাগি নিয়েই মূলত সেসব বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।জাতীয় পার্টির সূত্র বলছে, তারা চায় তাদের চাহিদামতো ৩০ থেকে ৩৫টি আসন থেকে ‘আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের’ সরিয়ে নেওয়া হোক, যাতে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা সহজে জিতে আসতে পারেন।জাতীয় পার্টির এ চাওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘সবাইকেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে।’বৈঠকে উপস্থিত দুই মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রীকে ‘দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের’ প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে বিরত রাখার অনুরোধ করলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তাঁর কিছু বলার নেই।এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ একাধিক নেতার সঙ্গে ১৪ দলের শরিক দলগুলোর বৈঠক হয়। সেখানেও ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থীদের প্রত্যাহারের বিষয়টি ওঠে। তবে আওয়ামী লীগ এ বিষয়ে তাদের অবস্থান এখনো পরিষ্কার করেনি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ ডিসেম্বর ২০২৩


আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কোনো বিকল্প নেই : ওবায়দুল কাদের

আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কোনো বিকল্প নেই : ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আমরাও করব, শরিকদেরও করতে হবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতার কোনো বিকল্প নেই। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই নির্বাচনের রেজাল্ট আনতে হবে।মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।দেশ, জাতির নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি বিএনপি-জামায়াত উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মানুষকে জিম্মি করে রাজনীতি করে। বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচি মানেই যানবাহনে আগুন, সহিংসতা, চোরাগোপ্তা হামলা। গতকালও (সোমবার) বেশ কয়েকটি বাসে আগুন দিয়েছে। আমরা বলতে চাই, সহিংসতা করে সন্ত্রাস করে নির্বাচন বানচাল করা যাবে না। তারা যদি মনে করে, সহিংসতা করবে আর সরকার বসে থাকবে তা হবে না। তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে নির্বাচনের বিপক্ষে যে কোনো বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানাই।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসার জন্য ইতোমধ্যে অনেকে বলেছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচন বিষয়ক টেকনিক্যাল কমিটি ইতোমধ্যে বাংলাদেশে অবস্থান করছে এবং নির্বাচন পর্যন্ত তারা থাকবে। ভারত, জাপান, ফিলিস্তিন, ওআইসি, আরব লীগ পর্যবেক্ষক পাঠাবে। পর্যবেক্ষক আরও আছে সেটা শিগগিরই জানা যাবে।তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে ইসি বলেছে সেনাবাহিনী কতদিন থাকবে। আমরা সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার বিপক্ষে। বাংলাদেশের সংবিধানে নির্বাচনে তাদের কি ভূমিকা তা লিপিবদ্ধ আছে। তাদের টাস্কফোর্স হিসেবে নির্বাচন কমিশন যখন যেখানে প্রয়োজন দায়িত্ব প্রদানের অনুরোধ করবে। এ বিষয়ে আমরা আর বলতে চাই না।ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ব্যাপারে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে আছে, তাদের বলা হয়েছে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে হবে। বলপূর্বক বা ফ্রি স্টাইলের কোনো নির্বাচনের ভূমিকা কেও নেবে না। প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিযোগিতামূলক যাকে বলে, সেটা গণতন্ত্রেরই বিষয়। তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিযোগিতা করতে পারবে। সে সুযোগ তাদের দেওয়া হয়েছে। এতে আমাদের শরিকদের কারো কোনো আপত্তি থাকতে পারে কিন্তু আমি পরিষ্কার বলে দিয়েছি স্বতন্ত্র প্রার্থীরা থাকবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ ডিসেম্বর ২০২৩


শৈশব থেকেই আদম তমিজি হক নিজেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন

শৈশব থেকেই আদম তমিজি হক নিজেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন

ব্যারিস্টার তমিজুল হকের পুত্র আদম তামিজী হক ১৯৭৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি স্কুলজীবনে ইংল্যান্ডের বোর্ডিং স্কুলে কাটিয়েছেন। ১৬ বছর বয়সে তিনি বোর্ডিং স্কুল ছেড়ে লন্ডনের একটি টিউটোরিয়াল কলেজে চলে যান। তানজানিয়ার জাঞ্জিবারে অল্প কিছুদিন থাকার পরে, তিনি উত্তর ইংল্যান্ডের হাডার্সফিল্ডে চলে যান এবং হাডার্সফিল্ডের হিলটন হোটেলে কাজ করার আগে ক্যাটারিংয়ের একটি কোর্স করেন। আদম তমিজী হক যুক্তরাজ্যের মিডলসেক্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।সুদূর ইংল্যান্ডে পড়াশোনা করার সময়ও তার হৃদয় বাংলাদেশেই ছিল। তার হৃদয় সর্বদা দেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য কাঁদে। স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশে এসে সৎ ও সাহসের সঙ্গে দেশ ও দেশবাসীর সেবা করা। তিনি যেকোনো দুর্যোগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি ছিলেন একজন শিক্ষানুরাগী, যার জন্যই তিনি বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান ও রাস্তাঘাটের উন্নয়নে কাজ করেছেন। তিনি তার নিজস্ব অর্থায়নে গাজিপুরে ‘শেখ রাসেল মানবিক স্কুল’ প্রতিষ্ঠা করেছেন।শৈশবকাল থেকেই তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে নিজেকে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন, এবং বঙ্গবন্ধুর দিকনির্দেশনা মূলক বক্তৃতা তাকে সবসময় অনুপ্রাণিত করেছে। ব্যবসায়িক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে প্রচন্ড মানসিক চাপে যখন তিনি ফেসবুক লাইভে এসে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলেছিলেন, তখনও তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা তুলে ধরেছেন। মূলত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নেতা ও রাজনৈতিক আদর্শ।বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর এই আদর্শের সৈনিক এবং হক গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদম তমিজি হককে চিকিৎসার জন্য রাজধানীর একটি রিহ্যাব সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) একটি দল তাকে গুলশানের বাসা থেকে আটক করে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নেয় এবং সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাবেক এই আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলশানের একটি রিহ্যাব সেন্টারে রাখা হয়েছে। সূত্র মতে জানা গেছে, প্রায় দুই ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ডিবি কর্মকর্তারা এই সিদ্ধান্ত নেন। তারা বলছেন, আদম তমিজি হক প্রচন্ড মানসিক চাপে রয়েছেন এবং সেই জন্যই তিনি মূলত বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অসংলগ্ন কথা বার্তা বলেছেন।সূত্র বলছে, এক বা একাধিক দেশবিরোধী চক্র আদম তমিজি হককে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বলতে অনুপ্রাণিত করেছে। তারা বলছে, যখন আদম তমিজি হক তাঁর ব্যবসায় ক্ষতির সম্মুখীন হয় তখনই মূলত এই চক্রগুলো তাকে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলে।তার পরবর্তিতে, গত সেপ্টেম্বরে বিদেশ থেকে ফেসবুক লাইভে এসে নিজের পাসপোর্ট পুড়িয়ে নতুন করে আলোচনায় আসেন আদম তমিজি হক। পরে তাকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। গত ১৩ নভেম্বর দেশে ফেরেন বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের দ্বৈত এই নাগরিক।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগে আদম তমিজির বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। গত ১৬ নভেম্বর রাতে তার বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ ডিসেম্বর ২০২৩


বিএনপির মুখে মানবাধিকারের বুলি শোভা পায় না : ওবায়দুল কাদের

বিএনপির মুখে মানবাধিকারের বুলি শোভা পায় না : ওবায়দুল কাদের

বিএনপির গতানুগতিক কর্মসূচি তাদের ব্যর্থ আন্দোলনের ফলশ্রুতি, দলটির মুখে মানবাধিকারের বুলি শোভা পায় না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।রোববার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত বিফ্রিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ মানবাধিকার লুণ্ঠিত হচ্ছে যাদের হাতে তারাই মানবাধিকার নিয়ে বেশি সোচ্চার । তবে আন্তর্জাতিকভাবে আমরা দেখলাম যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডায় ১৩টি দেশের ৯০ জনের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এরমধ্যে বাংলাদেশ নেই।তিনি বলেন, যারা গাজার সিজ ফায়ারের বিরুদ্ধে ভোট দেয় তাদের কাছে চেয়ে বিচার চেয়ে কি লাভ বলে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিএনপির করা মানবাধিকার লঙ্ঘনে পশ্চিমাদের কাছে বিচার চাইবেন কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যারা গাজার সিজ ফায়ারের বিরুদ্ধে ভোট দেয় তাদের কাছে চেয়ে বিচার চেয়ে কি লাভ? আমাদের একাত্তরকেও তো হার মানিয়েছে। এখন এদের কাছে বিচার চেয়ে কি লাভ আমাদের বলুন?১৪ দল ও জাতীয় পার্টির সাথে সমঝোতা বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সময়তো আছে, ১৭ তারিখ পর্যন্ত সময় আছে। সময় যখন আছে অস্থীর হবার তো দরকার নেই। প্রার্থীরা তো প্রস্তুত হয়েই মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছে। প্রত্যাহারের একটা সময় আছে না? সে সময় পর্যন্ত এডজাস্টমেন্ট, একুমুডেশন যদি প্রয়োজন হয় আমরা সময় মতো করবো। এনিয়ে আপনাদের দুশ্চিন্তা করার দরকার নেই।এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১০ ডিসেম্বর ২০২৩


‘ব্যারিস্টার সুমন আমার পা ধরে মাফ চেয়েছে’

‘ব্যারিস্টার সুমন আমার পা ধরে মাফ চেয়েছে’

ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন পা ধরে মাফ চেয়েছেন বলে দাবি করেছেন মাদারীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ। এমন বক্তব্যের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের করা দুদকে অভিযোগ বিষয়ে আব্দুস সোবাহান গোলাপ এ দাবি করেন।গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে মাদারীপুর শহরে আব্দুস সোবহান গোলাপ তাঁর একটি নির্বাচনি কর্মিসভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে এ দাবি করেন। তিনি বলেন ‘সুমন আমার পা ধরে মাফ চেয়েছে। সে তার ভুলের জন্য ক্ষমাও চাইছে। মূলত তাকে আমার বিরুদ্ধে লাগিয়েছে শত্রুপক্ষ।’ভিডিওতে ড. গোলাপ আরও বলেন, ‘সুমনের বিরুদ্ধে আমি ৫০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা দিয়েছি। সেই মামলায় কয়েকবার হাজির না হওয়ায় হাইকোর্ট তাকে জরিমানা করেছে। আমি আইনমন্ত্রীকে বলেছি, আমার ৫০০ কোটি টাকা আদায় করে দেন। এই নির্বাচনের সময় আমার টাকার খুব দরকার। ব্যারিস্টার সুমন তার ভুলও বুঝতে পেরেছে। দুদকের কাছে আমি সব সত্য প্রকাশ করেছি। দুদকও আমাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে।’ড. গোলাপ আরও বলেন, আমার এলাকার শত্রুরা সুমনকে দিয়ে এসব করিয়েছে। এখনও আমার বিরুদ্ধে শান্তি সমাবেশের নামে গালাগালি করছে তারা। যদিও বঙ্গবন্ধুকন্যা আমাকেই নৌকা দিয়েছেন। এতে আমাকে তারা আরও শক্ত করেছে। আগামীতেও আমি আওয়ামী লীগের শক্তি হয়ে থাকব।’সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায় পাশেই শাজাহান খান ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রয়েছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১০ ডিসেম্বর ২০২৩


আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে হাজারো নেতাকর্মী নিয়ে বিএনপির মানববন্ধন

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে হাজারো নেতাকর্মী নিয়ে বিএনপির মানববন্ধন

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে রাজধানীসহ সারা দেশে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। আজ রোববার বেলা ১১টায় প্রেসক্লাবে এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। সকাল থেকেই বিএনপির নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন। এর আগে গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ করেছিল দলটি। এরপর থেকে কয়েক দফায় হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।গত শুক্রবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি আগামী ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে। সেদিন গুম-খুনের শিকার পরিবারের সমন্বয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। ঢাকা মহানগরসহ জেলা সদরে এই কর্মসূচি পালিত হবে। ঢাকায় মানববন্ধন হবে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বেলা ১১টায়। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর বিএনপি সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে এবং ঢাকার বাইরে অন্যান্য জেলায় মানববন্ধনে সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য তাঁরা প্রস্তুতি নিয়েছেন।’ রিজভী আরও বলেন, সরকারের দিক থেকে বাধাবিপত্তি যদি আসে, সবকিছুকে প্রতিহত করে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক হিসেবে এই মানববন্ধন কর্মসূচি সফল করতে হবে। এর আগে গতকাল শনিবার বাংলাদেশে গুম হওয়া পরিবারগুলোর সদস্যদের নিয়ে গঠিত মানবাধিকার সংগঠন ‘মায়ের ডাকের’ সমাবেশে বাধা দেয় পুলিশ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১০ ডিসেম্বর ২০২৩


সর্বাধিক পঠিত

গত এক দশকে বাহাউদ্দিন নাছিমের নগদ টাকা বেড়েছে ১৭ গুণ

গত এক দশকে বাহাউদ্দিন নাছিমের নগদ টাকা বেড়েছে ১৭ গুণ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের নগদ টাকা বেড়েছে। গত এক দশকে তাঁর নিজের নগদ টাকা বেড়েছে ১৭ গুণ। আর একই সময়ে স্ত্রীর নগদ টাকা বেড়েছে ১৬ গুণ। নাছিমের নগদ টাকা ৪৪ লাখ ৪৫ হাজার থেকে বেড়ে এখন ৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা হয়েছে। আর স্ত্রীর নগদ টাকা ১৮ লাখ ৯৬ হাজার থেকে বেড়ে তিন কোটি চার লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে।দশম ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য বাহাউদ্দিন নাছিমের দাখিল করা হলফনামা পর্যালোচনা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে নৌকার প্রার্থী হয়েছেন নাছিম। এর আগে ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচনে মাদারীপুর-৩ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। তবে ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হননি।হলফনামায় দাখিল করা সম্পদের বিবরণীতে নাছিম জানিয়েছেন, স্থায়ী আমানত হিসেবে ব্যাংকে তাঁর জমা আছে ৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। আগে এটি ছিল ১ কোটি ৫২ লাখ টাকা। ১০ বছর আগে তাঁর স্ত্রীর নামে আমানত হিসেবে জমা ছিল ৩১ হাজার ২১৫ টাকা। এখন জমা আছে দেড় কোটি টাকার বেশি। এ ছাড়া বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জে নাছিমের বিনিয়োগ আছে ১১ কোটি টাকার বেশি। ১০ বছর আগে এ খাতে তাঁর বিনিয়োগ ছিল ৭ কোটি ৩২ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। তবে বছরে আয় বেশি বাড়েনি পেশাগতভাবে ব্যবসায়ী এ নেতার। বছরে এখন আয় ২ কোটি ৫৩ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। আগে ছিল ১ কোটি ৮৯ লাখ ১৪ হাজার টাকা। বাহাউদ্দিন নাছিম ৬০ লাখ ৮৪ হাজার ৪৪৯ টাকা আয় করেন বাড়িভাড়া থেকে। চাকরি থেকে তাঁর আয় ৫৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। চাকরি ও বাড়িভাড়া খাতে এর আগে তাঁর কোনো আয় ছিল না। তবে অন্যান্য খাতে তিনি আগে ৫৪ লাখ ৯৪ হাজার টাকা আয় করতেন, যার খাত নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করা হয়নি ওই সময়। এবার অন্যান্য খাতে ডিভিডেন্ড থেকে বছরে ৫০ লাখ টাকা ও বাসভাড়া পেয়েছেন ৩৯ হাজার টাকা।সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার আগে বাহাউদ্দিন নাছিমের নিজের কোনো গাড়ি ছিল না। তাঁর স্ত্রীর নামে ২৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা দামের একটি গাড়ি ছিল। এখন স্ত্রীর নামে কোনো গাড়ি নেই। তবে ৫২ লাখ ৬৩ হাজার টাকায় কেনা একটি গাড়ি আছে তাঁর নিজের নামে। এ ছাড়া ১২ লাখ টাকায় কেনা একটি বাস আছে। তাঁর স্ত্রীর নামে ২৫ একর জমি (বন) আছে, যা আগেও ছিল। ধানমন্ডিতে ফ্ল্যাটটি এখনো আছে স্ত্রীর নামে। নাছিমের নামে উত্তরায় একটি ৭ তলা ভবন আছে। দশম সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় যার দাম দেখানো হয়েছিল ৯৫ লাখ টাকা, এবার দাম দেখানো হয়েছে ২ কোটি ৭১ লাখ টাকা। এ ছাড়া আগে তাঁর নামে আর কোনো বাড়ি ছিল না। এখন মাদারীপুরের কালকিনিতে একটি দোতলা বাড়ি, গাজীপুরের পুবাইলে ১ একর জমি ও দোতলা ভবন, মিরপুরে ৪৫ লাখ টাকায় কেনা একটি ফ্ল্যাট আছে। এ ছাড়া এক দশক আগে ব্যাংকের কাছে নাছিমের ঋণের দায়ে দেনা ছিল ১ কোটি ২০ লাখ টাকার বেশি। সেখানে বর্তমানে তাঁর দায় আছে চার কোটি টাকা।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩


'মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে আওয়ামী লীগ'

'মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে আওয়ামী লীগ'

বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে বিএনপি যে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, তাতে দলটি নাশকতায় জড়াতে পারে বলে সতর্ক করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেছেন, “বিএনপি মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে হঠাৎ করে মানববন্ধন কর্মসূচির নামে নাশকতার পরিকল্পনা করছে। এই দেশে নির্বাচনের পক্ষের শক্তি যারা আছেন, তাদের অনুরোধ করব- তাদের এই নাশকতা, গুপ্তহত্যা, অগ্নিসন্ত্রাস প্রতিহত করবেন।”শনিবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় সংঘর্ষের পর বিএনপির সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়, তখন থেকে দলটি হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে রোববার মানবাধিকার দিবসে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য জেলা সদরে ‘গুম-খুনের শিকার’ ব্যক্তিদের স্বজনদের নিয়ে মানবন্ধনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমাদের দলের নেতাকর্মীদেরও সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে, যেন বিএনপি কর্মসূচির নামে কোথাও কোনো নাশকতা করতে না পারে।”নির্বাচনকে ঘিরে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র চলছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “এসব নিয়ে আমরা বিচলিত নই। যেহেতু জাতিসংঘ থেকে কিছু কথা বলা হচ্ছে, জাতিসংঘ তো বিশ্বের সকল দেশের। রাজনৈতিক অভিযোগের বিষয়টা তো জাতিসংঘের কাছেই যায়।“কিছু কিছু চাপের ব্যাপার নিশ্চয়ই আছে, তা না হলে এত কিছু হল কেন। বাংলাদেশে গত কয়েক মাস কত রকমের ঘটনা ঘটেছে। এই নিষেধাজ্ঞা আসলো, এই নিষেধাজ্ঞা আসলো- এসব তো ছিল। এসব বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘকে জানিয়ে রাখল, ‘আমরা ভালো নির্বাচন করতেছি, কোনো অসুবিধা নেই, অহেতুক কেউ যেন আমাদেরকে চাপ না দেয়’।”আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য ২০০৯ সালে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। বর্তমানে দেশে মানবাধিকার কমিশন স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারছে।“আওয়ামী লীগ মানুষের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জন্মালগ্ন থেকেই হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও মাওলানা ভাসানী থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আজকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই অব্যাহত রেখেছে।”জনগণের সব ধরনের সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগ কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এবার যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ১৩ দেশের ৩৭ ব্যক্তির উপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণা ৭৫তম বার্ষিকীর প্রাক্কালে গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেয়। যে অপশক্তি নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্থ করে বা করার অপচেষ্টা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য অনুযায়ী এসব অপশক্তির বিরুদ্ধে তারা নিষেধাজ্ঞা দেয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩


'বিএনপির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আসা উচিত কারণ, তারা নির্বাচনে বাধা দিচ্ছে'

'বিএনপির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আসা উচিত কারণ, তারা নির্বাচনে বাধা দিচ্ছে'

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা নিয়ে তাঁদের কোনো উদ্বেগ নেই। তাঁর মতে, নিষেধাজ্ঞা এলে বিএনপির বিরুদ্ধে আসা উচিত। কারণ, তারা নির্বাচনে বাধা দিচ্ছে।আজ শুক্রবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি নতুন শ্রমনীতি ঘোষণা করার পর থেকে বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা জানি, সংবিধান মেনে স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটা শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এখানে নিষেধাজ্ঞা আসবে কেন? নিষেধাজ্ঞা এলে এখানে বিএনপির বিরুদ্ধে আসা উচিত, যারা নির্বাচনে বাধা দিচ্ছে। তারা নাশকতা শুরু করেছে। গাড়ি জ্বালাচ্ছে, ট্রেন পোড়াচ্ছে, মানুষ মারছে। যুক্তরাষ্ট্র যদি নিষেধাজ্ঞা দিতে চায়, সেটা একমাত্র বিএনপি ও তার দোসরেরাই এই নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে।’কোনো বাধাবিপত্তি, হুমকি, নাশকতা, অগ্নিসন্ত্রাস এই নির্বাচনে বাধা হতে পারবে না বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, নির্বাচনে বিএনপি ও তাদের সহযোগীরা অনেকে অংশ নেয়নি। তাই বলে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্বতঃস্ফূর্ততা, মানুষের মধ্যে জাগরণ, উৎসাহ–উদ্দীপনার কমতি কোথাও নেই।আওয়ামী লীগের জোট শরিক ও মিত্রদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে সমস্যা ১৭ ডিসেম্বরের পর আর থাকবে না বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। এ বিষয়ে যা হওয়ার তা এর মধ্যেই হয়ে যাবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।দেশের তৈরি পোশাক খাত নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলে বলে অভিযোগ করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, গার্মেন্ট সেক্টরের শ্রমিকদের নিজেদের বাণিজ্যিক স্বার্থে ব্যবহার করার একটা পাঁয়তারা আছে। এটা দেশেও আছে, বিদেশ থেকেও আছে।পরবর্তী সময়ে সরকারে আসতে পারলে শ্রম আইনের আরও উন্নয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘কাজেই এ নিয়ে অযথা পানি ঘোলা করার কোনো কারণ নেই। এটা যারা করছে, তারা নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে এসব করছে।’

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩


কামরুল ইসলামের সম্পদ বেড়েছে ৫৫ গুণ

কামরুল ইসলামের সম্পদ বেড়েছে ৫৫ গুণ

নবম সংসদ নির্বাচনের আগে কামরুল ইসলামের অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৮ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। এখন সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৬৯ লাখ ৪৭ হাজার ৪১১ টাকায়। অর্থাৎ ১৫ বছরে তাঁর অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৫৫ গুণ। একই সময়ের ব্যবধানে আয় বেড়েছে ২৮ গুণ।২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনের সময় এবং এবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে হলফনামায় যে হিসাব দিয়েছেন, সেটা পর্যালোচনা করে সাবেক এই মন্ত্রীর সম্পদ বৃদ্ধির এ চিত্র পাওয়া গেছে।কামরুল ইসলাম বর্তমানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। তিনি প্রথম সংসদ সদস্য হন ২০০৮ সালে ঢাকা-২ আসনে। তখন তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। এখন সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৩১ লাখ টাকার বেশি। অ্যাপার্টমেন্ট–ভাড়া, আইন পেশা, ব্যাংক সুদ, টেলিভিশনের টক শো, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ও সংসদ সদস্য হিসেবে সম্মানী থেকে তাঁর এই আয় হয়।২০০৮ সালে কামরুলের কোনো গাড়ি ছিল না। এখন তাঁর দুটি টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার গাড়ি রয়েছে। হলফনামায় গাড়ি দুটির দাম উল্লেখ করা হয়েছে ১ কোটি ৪৮ লাখ ৬০ হাজার ৪৬২ টাকা। এর মধ্যে একটি গাড়ির মালিক হন ২০১৮ সালের আগে, যা একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় হলফনামায় উল্লেখ করেছিলেন।১৫ বছর আগে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কামরুলের ছিল ৩ লাখ ৮৮ হাজার টাকা আর তাঁর স্ত্রীর নামে ছিল ১০ হাজার টাকা। বর্তমানে সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই কোটি টাকার বেশি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩


খাদ্য মন্ত্রি সাধন চন্দ্রের বার্ষিক আয় লাখ টাকা থেকে কোটিতে

খাদ্য মন্ত্রি সাধন চন্দ্রের বার্ষিক আয় লাখ টাকা থেকে কোটিতে

২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় সাধন চন্দ্র মজুমদারের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ১০ লাখ ৪৩ হাজার ৫০০ টাকা। বছরে তিনি আয় করতেন আড়াই লাখ টাকা। তিন মেয়াদে সংসদ সদস্য ও এক মেয়াদে খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের পর এখন তাঁর আয় ও সম্পদের হিসাব হচ্ছে কোটিতে। বর্তমানে তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১০ কোটি। আর বার্ষিক আয় দাঁড়িয়েছে চার কোটি টাকার কাছাকাছি।নওগাঁ-১ (নিয়ামতপুর, পোরশা ও সাপাহার) আসন থেকে নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে পরপর তিনবার সংসদ সদস্য হন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাধন সাধন চন্দ্র মজুমদার। ২০১৮ সালে তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য হওয়ার পর তিনি খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। এবারও তিনি দলের মনোনয়নে প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচনগুলোতে প্রার্থী হিসেবে দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে এই চিত্র পাওয়া গেছে।সাধন চন্দ্র মজুমদার তাঁর হলফনামায় বরাবরই পেশা হিসেবে উল্লেখ করেছেন ব্যবসা ও কৃষি। এবারের হলফনামায় তাঁর আয়ের উৎস হিসেবে তিনি সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী হিসেবে সম্মানী ভাতা, কৃষি খাত, ব্যাংকে স্থায়ী আমানতের সুদ, অংশীদারি কারবার (ঠিকাদারি), ব্যবসা ও অন্যান্য উৎস উল্লেখ করেছেন। এসব উৎস থেকে বর্তমানে তাঁর বার্ষিক আয় ৩ কোটি ৯৪ লাখ ২৩ হাজার ২৫৬ টাকা। ২০১৮ সালের হলফনামায় তিনি বার্ষিক আয় উল্লেখ করেছিলেন ২ কোটি ২৭ লাখ ৯৬ হাজার ৬১৮ টাকা। মন্ত্রী হওয়ার পর পাঁচ বছরের ব্যবধানে তাঁর বার্ষিক আয় বেড়েছে প্রায় দুই গুণ। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামা অনুযায়ী সাধন চন্দ্র মজুমদারের বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সেই হিসাবে ১৫ বছরের ব্যবধানে তাঁর বার্ষিক আয় বেড়েছে ১৫৭ গুণের বেশি।এবারের হলফনামায় খাদ্যমন্ত্রী আয়ের উৎস হিসেবে উল্লেখ করেছেন সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী হিসেবে সম্মানী ভাতা ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকা; কৃষি খাত থেকে ১ লাখ ৩২ হাজার টাকা; ব্যবসা থেকে ৫ লাখ ৩৪ হাজার ২৭৩ টাকা; শেয়ার-সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানতের সুদ ও অংশীদারি কারবার (ঠিকাদারি) থেকে আয় ৩ কোটি ৬০ লাখ ২৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া অন্যান্য উৎস থেকে আয় হয়েছে ১৪ লাখ ৭১ হাজার ৯৮৩ টাকা। এই মিলে তাঁর বার্ষিক মোট আয় হয়েছে ৩ কোটি ৯৪ লাখ ২৩ হাজার ২৫৬ টাকা। ২০০৮ সালে নির্বাচনের সময় দাখিল করা হলফনামায় কৃষি খাত থেকে ২৫ হাজার টাকা ও ব্যবসা থেকে ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা বার্ষিক আয় হতো সাধন মজুমদারের।হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় সাধন চন্দ্র মজুমদারের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ১০ লাখ ৪৩ হাজার ৫০০ টাকা। ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনের সময় দাখিল করা হলফনামা অনুযায়ী ওই সময় তাঁর মোট স্থাবর-অস্থাবর সম্পদমূল্য ছিল ৩ কোটি ২৩ লাখ ২৯ হাজার ৬৩৯ টাকা। নগদ টাকা, কৃষি-অকৃষি জমি, বাড়ি-গাড়ি, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা টাকা, সঞ্চয়পত্র ও আমানত হিসেবে ব্যাংকে বিনিয়োগ করা টাকাসহ বর্তমানে তাঁর মোট স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ১০ কোটি ২৩ লাখ ১৮ হাজার ৬৬০ টাকা। এই হিসাবে ১৫ বছরের ব্যবধানে সাধন চন্দ্র মজুমদারের সম্পদ বেড়েছে ৯৮ গুণ।হলফনামা অনুযায়ী বর্তমানে সাধন চন্দ্র মজুমদারের অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে নগদ ৫ কোটি ৮৮ লাখ ৯৫ হাজার ৭১৩ টাকা (ব্যবসার পুঁজি)। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা টাকা ১২ লাখ ২৮ হাজার ৩৬৫ টাকা। সঞ্চয়পত্র, স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ২ কোটি ১ লাখ ৫৮ হাজার ৫৯ টাকা, ১ কোটি ১৪ লাখ টাকা মূল্যের গাড়ি, প্রায় ৬ লাখ টাকা মূল্যমানের আসবাবপত্র ও স্বর্ণালংকার রয়েছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে হলফনামা দাখিলের সময় অস্থাবর সম্পদ হিসেবে কাছে নগদ ছিল ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৫০০ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা টাকা ছিল ২০ হাজার টাকা। ৯০ হাজার টাকা মূল্যমানের স্বর্ণালংকার ও আসবাবপত্র ছিল তাঁর। ২০১৪ সালে খাদ্যমন্ত্রী দুটি গাড়ি থাকার তথ্য উল্লেখ করেছিলেন। যার একটির দাম ছিল ১৬ লাখ টাকা, অন্যটি ৪১ লাখ টাকার। ২০১৮ সালের হলফনামায় তাঁর একটি গাড়ি থাকার তথ্য ছিল। ওই গাড়ির মূল্য ছিল ৬৪ লাখ টাকা।বর্তমানে খাদ্যমন্ত্রীর স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে ৫০ লাখ ৭৫ হাজার টাকা মূল্যের কৃষিজমি এবং ৪৫ লাখ ৬৪ হাজার ৯৩২ টাকা দামের অকৃষিজমি। ২০০৮ সালে নির্বাচনের সময় ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা মূল্যের কৃষিজমি এবং বসতবাড়িসহ ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা মূল্যের অকৃষিজমি ছিল তাঁর। বর্তমানে একটি বেসরকারি ব্যাংকে খাদ্যমন্ত্রীর ঋণ রয়েছে ১৫ লাখ ৮৩ হাজার ৯৫৪ টাকা।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩


আইনমন্ত্রীর ব্যাংকে বিনিয়োগ মাত্র ৪০ কোটি টাকা

আইনমন্ত্রীর ব্যাংকে বিনিয়োগ মাত্র ৪০ কোটি টাকা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের অস্থাবর সম্পদ পাঁচ বছরের ব্যবধানে সাড়ে ১১ গুণ বেড়েছে। স্থাবর সম্পদ বেড়েছে প্রায় চার গুণ। ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে তাঁর অস্থাবর সম্পদ ছিল প্রায় ৫ কোটি ৯২ লাখ টাকার এবং স্থাবর সম্পদ ছিল ৯০ লাখ টাকার কিছু বেশি। বর্তমানে সিটিজেন ব্যাংক ও এক্সিম বাংলাদেশেই তাঁর বিনিয়োগ ৪০ কোটি ১০ লাখ টাকা। শুধু তা–ই নয়, আগের দুই সংসদ নির্বাচনে আইনমন্ত্রীর কাছে কোনো অস্ত্র না থাকলেও এবার একটি পিস্তল আছে। পাঁচ বছরে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতাও বেড়েছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় দেখা যায়, এবার তাঁর নামে ৬৮ কোটি ৮৫ লাখ ৯৯ হাজার ৮৮৪ টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। বর্তমানে স্থাবর সম্পদ রয়েছে ৩ কোটি ৪৮ লাখ ১৯ হাজার ৮৫৮ টাকার।দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আনিসুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী। তিনি কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনে তিনি প্রথমবার এই আসনে প্রার্থী হন। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় বিনা ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আনিসুল হক।আইনমন্ত্রী এবারের হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করেছেন এলএলএম পাস। দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করেছিলেন এলএলবি। এবার হলফনামায় পেশা হিসেবে উল্লেখ করেছেন ‘সিনিয়র আইনজীবী ও বর্তমানে মন্ত্রী’। আনিসুল হকের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই।হলফনামা অনুযায়ী, আইনমন্ত্রীর বার্ষিক আয় এখন ১ কোটি ৫ লাখ ৯৫ হাজার ৫২৭ টাকার কিছু বেশি, যা ২০১৮ সালে ছিল ৮ কোটি ৬ হাজার ২১২ টাকা এবং ২০১৪ সালে ছিল ৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। বর্তমানে বাড়িভাড়া থেকে ৫ লাখ ২৪ হাজার ৫৭৯ টাকা, ব্যাংকে মায়ের নামের সঞ্চয়পত্র থেকে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬০০ টাকা, পেশা থেকে প্রায় ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং ব্যাংকের মুনাফা বাবদ ৪৩ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮৪ টাকা আয় করেন তিনি। গতবারের তুলনায় ব্যাংকের মুনাফা বাবদ আয় বেড়েছে। ২০১৮ সালে ব্যাংকের মুনাফা থেকে আয় ছিল ১২ লাখ ৮৬ হাজার ৬৬০ টাকা।আইনমন্ত্রীর অস্থাবর সম্পদ আছে ৬৮ কোটি ৮৫ লাখ ৯৯ হাজার ৮৮৪ টাকার। রয়েছে ২০ ভরি সোনা ও প্রায় দেড় হাজার ইউএস ডলার।আয়ের উৎস কৃষি খাত থেকে ২০১৪ সালে কোনো আয় না থাকলেও ২০১৮ সালে ছিল প্রায় ৩ কোটি ২২ লাখ টাকা। বর্তমানে এই খাতে আয় প্রায় সাড়ে ৭ গুণ কমে হয়েছে ৪৩ লাখ টাকা। ২০১৪ সালে ব্যাংক আমানত থেকে আয় ছিল সাড়ে ৪ কোটি টাকা এবং ২০১৮ সালে ছিল ৪ কোটি ৫৮ লাখ ৬২ হাজার ৯৯২ টাকা। ২০১৪ সালে আইন পেশা থেকে আয় ছিল প্রায় দেড় কোটি টাকা। কিন্তু গত ১০ বছর ধরে বর্তমান পেশা থেকে আয় ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকা।আইনমন্ত্রীর অস্থাবর সম্পদ আছে ৬৮ কোটি ৮৫ লাখ ৯৯ হাজার ৮৮৪ টাকার। রয়েছে ২০ ভরি সোনা ও প্রায় দেড় হাজার ইউএস ডলার। ৪টি মোটরগাড়ি ও একটি মোটরসাইকেল রয়েছে। ২০১৮ সালে অস্থাবর সম্পদ ছিল ২৪ হাজার ৭৭৯ ইউএস ডলার ও ২০ ভরি সোনাসহ প্রায় ৫ কোটি ৯১ লাখ ৪২ হাজার ৯৯২ টাকার। ২০১৪ সালে অস্থাবর সম্পদ ছিল ১৩ হাজার ইউএস ডলারসহ ৪ কোটি ৬০ লাখ টাকার। বর্তমানে সিটিজেন ব্যাংক ও এক্সিম বাংলাদেশে তাঁর বিনিয়োগ ৪০ কোটি ১০ লাখ টাকা, যা ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ছিল না। বর্তমানে একটি পিস্তল রয়েছে, যা আগে ছিল না। আনিসুল হকের কাছে নগদ আছে ১০ কোটি ৯২ লাখ ৯৪ হাজার ১৯৯ টাকা, যা ২০১৮ সালে ছিল ৬ লাখ ও ২০১৪ সালে ছিল ৫ লাখ টাকা।আনিসুল হকের বর্তমানে স্থাবর সম্পদও বেড়েছে। এখন তাঁর স্থাবর সম্পদ রয়েছে ৩ কোটি ৪৮ লাখ ১৯ হাজার ৮৫৮ টাকার। ২০১৮ সালে তা ছিল ৯০ লাখ ৩৮ হাজার ৪৪৫ টাকার ও পৈতৃকভাবে প্রাপ্ত ৩টি মৎস্য খামার এবং ২০১৪ সালে ছিল ৩ কোটি ৯১ লাখ টাকার। এ ছাড়া যৌথ মালিকানায় পৈতৃকভাবে প্রাপ্ত ৪৮ বিঘা জমি ও একটি বাড়ি, যা ২০১৩ ও ২০১৮ সালেও সমপরিমাণের ছিল। তাঁর কোনো ঋণ নেই।স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে বর্তমানে আনিসুল হকের নামে বনানীতে ৪৫ লাখ টাকা মূল্যের একটি বাড়ির ৫০ শতাংশের মালিক দেখানো হয়েছে, যা ২০১৮ সালে ছিল না। ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকায় কেনা দুটি ফ্ল্যাট দেখানো হয়, ২০১৮ সালে ৪৫ লাখ টাকায় কেনা ছিল যার একটি। ২০১৪ সালে হলফনামায় সাড়ে তিন কোটি টাকায় কেনা তিনটি বাড়ি ও অ্যাপার্টমেন্ট দেখানো হয়েছিল।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩


শরিকদের ৬টির বেশি আসন দিবে না আওয়ামী লীগ

শরিকদের ৬টির বেশি আসন দিবে না আওয়ামী লীগ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪–দলীয় জোটের শরিকেরা সম্মানজনক আসন প্রত্যাশা করছে। বর্তমান সংসদে শরিকদের ১০ জন (২ জন সংরক্ষিতসহ) সংসদ সদস্য আছেন। এবার শরিকদের প্রত্যাশা ২০টি আসন। তবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আসন বিন্যাস ও প্রার্থী চূড়ান্ত করা নিয়ে ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।আজ মঙ্গলবার বিকেলে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪–দলীয় জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর ইস্কাটনের বাসভবনে বৈঠক করেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু। পরে শরিকদের ওই প্রত্যাশার কথা সাংবাদিকদের জানানো হয়।এর আগে ১৪–দলীয় জোটের নেতাদের নিয়ে জোট নেত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল সোমবার বৈঠক করেন। সেখানে জোটের দলগুলোর মধ্যে আসন ভাগাভাগির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আমির হোসেন আমুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাসদের পক্ষ থেকে ছয়টি করে আসন ছাড়ের জন্য তালিকা আমির হোসেন আমুর হাতে তুলে দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে রাশেদ খান মেনন সাংবাদিকদের বলেন, জোটের পক্ষ থেকে একটা তালিকা দেওয়া হয়েছে, আগের চেয়ে কিছু আসন বেশি চেয়েছে ১৪ দল। তিনি বলেন, জোটের মর্যাদা-সম্মান রক্ষা করে যেন আসন ভাগাভাগির বিষয়টি চূড়ান্ত হয়, সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।তবে হাসানুল হক ইনু সাংবাদিকদের বলেন, আসন ভাগাভাগি যেন জোটের জন্য সম্মানজনক হয়, সেটাই প্রত্যাশা। জোটের এখন ১০ জন (২ জন সংরক্ষিতসহ) সংসদ সদস্য আছেন, প্রত্যাশা ২০ জনের। জোটের প্রার্থীরা নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবে জানিয়ে ইনু বলেন, যেখানে জোটের প্রার্থী আসবেন, সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী উঠে যাবেন। জোটের প্রার্থীরা নৌকা মার্কায় নির্বাচন করবেন।আমির হোসেন আমু গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কিছু আসনে আমরা একসঙ্গে নির্বাচন করব। আর কিছু আসনে শরিক দলগুলো নিজেদের মতো নির্বাচন করবে। একসঙ্গে নির্বাচন করা আসনগুলোয় শরিকেরা নৌকা প্রতীক ব্যবহার করবে। বাকি আসনগুলোয় তাদের নিজেদের প্রতীক ব্যবহার করবে।’১৪–দলীয় জোটের সমন্বয়ক বলেন, ১৪ দলের শরিকদের আসন ভাগাভাগির বিষয়টি জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে নির্ধারিত হবে। তিনি বলেন, নির্বাচন জোটগতভাবে হবে, আগামীকাল জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা করবে আওয়ামী লীগ। তিনি বলেন, জোটের আসন বিন্যাস ও প্রার্থী চূড়ান্ত করা নিয়ে ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।আমির হোসেন আমু বলেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেও আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট (শক্তিশালী) প্রার্থী আছে। ১৪ দল আদর্শিক জোট। আসন বিন্যাসের ওপর জোটের সম্পর্ক নির্ভর করে না। অন্যান্য দলের মতো ১৪ দল ভাগাভাগির জোট নয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩


আসন বণ্টন নিয়ে জাপার সঙ্গে আলোচনা হবে বুধবার : আমু

আসন বণ্টন নিয়ে জাপার সঙ্গে আলোচনা হবে বুধবার : আমু

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু বলেছেন, আসন বণ্টনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য ১৭ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তারপর জাতীয় পার্টি আছে, বুধবার তাদের সঙ্গে আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা হবে। মঙ্গলবার রাতে ইস্কাটনের বাসায় শরিক দলের তিন নেতার সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন। আসন বণ্টনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কবে নাগাদ পেতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির সঙ্গে আগামীকাল বুধবার আলাপ হবে। তারপর একটা পর্যায়ে যেতে পারব। কিছু কনফ্লিক্ট হতে পারে সেগুলোও দেখতে হবে।তিনি বলেন, বিগত দিনে আমরা এক সঙ্গে নির্বাচন করেছি। নির্বাচন ও আন্দোলন এক সঙ্গে করি। আমরা এখনো বলছি, আমাদের নির্বাচন কিংবা আন্দোলন এক সঙ্গেই হবে। ১৪ দল জোটগতভাবে নির্বাচন করবে। সেই সিদ্ধান্তে আমরা অটুট রয়েছি। আসনের ব্যাপারে কোথায় কী করা যায়, কীভাবে আসন বণ্টন করা যায় সে ব্যাপারে আমরা আলোচনা করছি। সেই আলোচনার বিষয়বস্তু নেত্রীকে জানাব। আজকে মেনন সাহেব, ইনু সাহেব এসেছেন, আলোচনা হয়েছে, আমি কাল এই বিষয়গুলো নেত্রীকে জানাব। আলাপ করার পর আমরা একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারব। তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত যে সিদ্ধান্তগুলো হয়েছে সেগুলো সব চূড়ান্ত নয়। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগেরও শক্তিশালী প্রার্থী রয়েছেন। কার বিরুদ্ধে কে থাকবে, কার বিরুদ্ধে কে থাকবে না, কে প্রত্যাহার করবে, কে প্রত্যাহার করবে না, এসব বিষয়ে দ্রুত আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে আমু বলেন, ১৪ দল একটি রাজনৈতিক আদর্শিক জোট। এটা ভাগাভাগির জোট নয়। ২০০১ সাল থেকে আমরা যুদ্ধ করে আসছি। ২০০৬ সালে যুদ্ধ করেছি। আমাদের কাছে কে আসন পেল, কে পেল না সেটা গুরুত্ব রাখে না। আমরা একটি আদর্শিক জোট হিসেবে কাজ করছি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩


আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই: জামায়াত

আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই: জামায়াত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, ‘দেশ আজ এক কঠিন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। ক্ষমতার জন্য রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, দলীয় ক্যাডার ও বিচারব্যবস্থার অপব্যবহার করে সরকার সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডে প্রতীয়মান হচ্ছে, তারা কোনো বিরোধী দলকে থাকতে দিতে চায় না। তারা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছে আগামী ১০ বছরের মধ্যে বিএনপি ও জামায়াতকে নির্মূল করবে। দেশের রাজনৈতিক দল ও নেতাদের নির্মূল করার মাধ্যমে দেশকে বিদেশি শক্তির বিচরণক্ষেত্র বানানোর জন্য আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করছে। আওয়ামী লীগের এ ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও জনগণের অধিকার আদায় করতে হলে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলন আরও তীব্র থেকে তীব্রতর করতে হবে।’ মঙ্গলবার ভার্চুয়ালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দের পরিচালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন-সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমির আবদুর রহমান মুসা প্রমুখ। ভারপ্রাপ্ত আমির মুজিবুর রহমান বলেন, ‘দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়ে সরকার নির্বাচনের নামে প্রহসনের নাটক মঞ্চস্থ করে আবারও ক্ষমতা দখলের জন্য আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে দেশবাসীর দাবি উপেক্ষা করে তফশিল ঘোষণা করেছে। প্রায় সব বিরোধী রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং পেশাজীবী সম্প্রদায়সহ দেশের জনগণ এ ফরমায়েশি তফশিল প্রত্যাখ্যান করেছে। দলীয় লোকদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে দাঁড় করিয়ে এবং ডামি প্রার্থী ঘোষণা করে সরকার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নিজেদের দলীয় নির্বাচনে পরিণত করেছে। নির্বাচন ব্যবস্থাকে একটি প্রহসনের নাটকে রূপ দিতে যাচ্ছে। গণতন্ত্রের সব নিয়ম-কানুন পদদলিত করে ঘুষ, ভয় ও প্রলোভন দেখিয়ে কিছু লোককে বাগিয়ে নিয়ে বিরোধী প্রার্থী ঘোষণা করে গণতান্ত্রিক ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কজনক নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ, যশোর জেলাসহ বিভিন্ন স্থানে সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা নম্বরবিহীন গাড়িতে চড়ে জামায়াতসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের তুলে নিয়ে পিটিয়ে এবং ছুরিকাঘাত করে হত্যা করছে। গুরুতরভাবে আহত করে রাস্তায় ফেলে যাচ্ছে। সম্প্রতি এ ধরনের ২০টি সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেছে।’ ভারপ্রাপ্ত আমির আরও বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলনকারী বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর চোরাগোপ্তা হামলা চালানো হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাউকে বাসাবাড়িতে থাকতে দিচ্ছে না, রাস্তায়ও নামতে দিচ্ছে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে নেতাকর্মীদের তুলে নিয়ে হত্যা করছে ও আহত করে সারা দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।’

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩


বিভিন্ন দল থেকে ছিটকে আসা প্রার্থীরা এখন নৌকা প্রার্থীদের আতঙ্ক

বিভিন্ন দল থেকে ছিটকে আসা প্রার্থীরা এখন নৌকা প্রার্থীদের আতঙ্ক

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত এমপি প্রার্থীদের সবচেয়ে বড় আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁদেরই দলের প্রার্থী যারা ইতিমধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীদের বিপরীতে প্রায় ৪৫০ এর অধিক আওয়ামী লীগের নেতারা স্বতন্ত্র হিসাবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। এদিকে, আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের আরেক আতঙ্কের নাম জোটের প্রার্থী যাদের কারণে অনেক হেভি ওয়েট ক্যন্ডিডেটদের মনোনয়ন ঋণ খেলাপির ওজুহাতে বাতিল করছে নির্বাচন কমিশন, এ যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা'। তিনবার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে জামানত হারানো আবদুল আলী বেপারী এবার প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-১ (ঘিওর, দৌলতপুর ও শিবালয়) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। আজ রোববার দুপুরে যাচাই–বাছাই শেষে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার। এরপর আবদুল আলী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের বারান্দার কান্নায় ভেঙে পড়েন। গড়াগড়ি করে কান্না করেন।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-১ আসনে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে নাতিকে নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন আবদুল আলী বেপারী। তাঁর বাড়ি মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার সিংজুরী ইউনিয়নের বেড়াডাঙ্গা গ্রামে। একসময় তিনি ইট-বালু সরবরাহের ব্যবসা করতেন। এখন তেমন কিছু করেন না। গ্রামের বাড়িতে থাকেন।আরও পড়ুননির্বাচন এলে ‘ঠিক থাকতে’ পারেন না জামানত হারানো আলী ব্যাপারীখোঁজ নিয়ে জানা যায়, আবদুল আলীর ছেলে ও দুই মেয়ের সবাই শিক্ষিত। তিনি স্বশিক্ষিত। পরিবারের সদস্যরা চান না আবদুল আলী নির্বাচন করুন। কিন্তু নির্বাচনে অংশ নেওয়া এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা করাই তাঁর শখ। ২০১১, ২০১৬ এবং ২০২১ সালে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন করেন। প্রতিবারই তিনি জামানত হারিয়েছেন।আজ বেলা একটার দিকে মনোনয়নপত্র যাচাই–বাছাই শেষে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল আলীরটি বাতিল ঘোষণা করেন। সেখানেই তিনি গড়াগড়ি করে কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে সেখানে উপস্থিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে সান্ত্বনা দেন এবং প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিলের পরার্মশ দেন।আবদুল আলী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এখন আমার ভোটাদের মুখ দেখাব কেমনে? আমি আর বাঁচুম না। আমি ভোট দিতে না পারলে মরুম, আমার জীবন রাখুম না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমার আবেদন, আমার ভোট আমাকে দিয়ে যেন মরতে পারি। আমার বিশ্বাস আছে, মানুষ আমাকে ভোট দেবে। আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে সংসদে যাইতে চাইছিলাম। যেকোনো চক্রান্তের মাধ্যমে আমার নমিনেশন (মনোনয়ন) বাদ দেওয়া হইচে। আমি এই চক্রান্ত বিশ্বাস করি না। আমাকে আমার ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক।’ আবদুল আলী বেপারীর মনোনয়নপত্র বাতিলের প্রসঙ্গে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা রেহেনা আকতার বলেন, মনোনয়নপত্রের সঙ্গে আয়কর রিটার্ন ও টিন সার্টিফিকেট এবং স্বতন্ত্র-সমর্থক ভোটারের স্বাক্ষরের গরমিল থাকায় ওই প্রার্থী (আবদুল আলী বেপারী) মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। তবে আগামী ৫ থেকে ৯ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনে তিনি আপিল করার সুযোগ পাবেন।গত বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর আবদুল আলী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমার স্ত্রী নির্বাচন করতে নিষেধ করলেও আমার মন চায়। নির্বাচন আইলে আমি ঠিক থাকতে পারি না। আমাদের ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দাঁড়াইছি, তখন মনোনয়নপত্র এক প্রতিবেশীর বাড়িতে রেখে আসি। আমার স্ত্রী জানার পর গলায় দা ধরে। এরপরও আমি নির্বাচন করেছি। এখন পরিবারের লোকজন খুব একটা নির্বাচনে দাঁড়াতে বাধা দেয় না। যত দিন বাঁচি নির্বাচন করেই যাব।’

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩


নির্বাচিত হলে ঢাকা-৮ আসনকে স্মার্ট এলাকায় পরিণত করব: নাছিম

নির্বাচিত হলে ঢাকা-৮ আসনকে স্মার্ট এলাকায় পরিণত করব: নাছিম

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, ঢাকা ৮ আসনের সকল থানা, ওয়ার্ডে ইতোমধ্যে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে। মানুষের ভিতরে প্রাণ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তারা জাতির পিতার আদর্শের দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে পেয়েছে এবং আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীকে জয়যুক্ত করার জন্য তাদের কর্মকান্ড শুরু করেছে। আমরা নির্বাচনী আচরণবিধি মেনেই ১৮ তারিখ থেকে নৌকার ভোটের জন্য মানুষের কাছে যাবো ও দোয়া চাইবো এবং ভোট প্রার্থনা করব। আমি নির্বাচিত হলে আপনাদের এলাকাকে স্মার্ট এলাকায় পরিণত করব। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজ আদায় শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আজ বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের কাছে আমি দোয়া চেয়েছি, যাতে সকলেই আমার জন্য দোয়া করে। আমি যেন সকলের সমর্থন নিয়ে নির্বাচিত হতে পারি। আমি নির্বাচনী আচরণবিধি মেনেই আমার কার্যক্রম পরিচালনা করব এবং আমাদের নেতাকর্মীরাও আচরণবিধি মেনেই নির্বাচনে উৎসবমুখর করে তুলবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন চায়। ইতোমধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশে জনগণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা শুরু করেছে। এ উৎসবকে নষ্ট করতে যারা হরতাল ও অবরোধ ডেকেছে তাদের হরতাল অবরোধ ব্যর্থ হয়েছে। জনগণের কোন সমর্থন তাদের প্রতি নেই। তাই তারা চাইলেও নির্বাচনে বানচাল করতে পারবে না। আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, কেউ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না চাইলে আমাদের কিছু করার নেই। আমরা কাউকে নির্বাচন করতে বাধা সৃষ্টি করিনি। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে চাইলে যে কেউ নির্বাচন করতে পারে। বিএনপি জনগণের সমর্থন পাবেনা জেনেই নির্বাচন করছে না। তাদের অপকর্ম দেশের মানুষ জানে। দেশের মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একটি সুশৃংখল রাজনৈতিক দল। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এটি পরিচালনা করেন। নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধু কন্যার দিকে সব বিষয়ে তাকিয়ে থাকে। তিনি যা নির্দেশ দেন সবাই তাই পালন করে। স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ১৭ তারিখ পর্যন্ত সময় আছে। সুনির্দিষ্ট জায়গা ছাড়া যে কোন জায়গায় ইচ্ছে মত কেউ প্রার্থী হতে পারবে না। সময় আসলে এটি আরো সুন্দরভাবে পরিষ্কার হবে। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম এ নামাজ আদায় করে তিনি সেখানকার মুসল্লিদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। অতঃপর পায়ে হেঁটে হাইকোর্ট মাজারে যান এবং মাজার জিয়ারত করেন। মাজার জিয়ারত শেষে তিনি জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ওয়াহিদ উল্লাহর জানাজায় অংশগ্রহণ করেন। এরপর তিনি ঢাকেশ্বরী মন্দিরে শ্রী বিপ্লবী রানীর স্মরণ সভায় যোগদান করেন এবং সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে মতবিনিময় করেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ ডিসেম্বর ২০২৩


স্মার্ট চুয়াডাঙ্গা গড়তে স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন দিলীপ কুমার আগরওয়ালা

স্মার্ট চুয়াডাঙ্গা গড়তে স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন দিলীপ কুমার আগরওয়ালা

স্মার্ট চুয়াডাঙ্গা গড়তে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার ড. কিসিঞ্জার চাকমা’র কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা গণমাধম্যকে জানান , বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হচ্ছে আমার আদর্শ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারাকে আরও এগিয়ে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে পথচলাই আমার ইচ্ছা। আগামী নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেটাকে বিবেচনা করে প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি উন্মুক্ত করে দেওয়ার জন্যই আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়েছি। তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গাইডলাইনে স্বতন্ত্র নির্বাচনের সুযোগ রয়েছে । জননেত্রী শেখ হাসিনা একজনকে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জনপ্রিয়তা পরীক্ষার জন্য আমাদের সুযোগ দিয়েছেন। তাই আওয়ামী লীগকে জনমানুষের কাতারে উপস্থাপন করতে হবে আমি নৌকার সহযোদ্ধা হিসেবে এই নির্বাচনে অংশ গ্রহন করছি। দিলীপ কুমার বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার একজন শ্রমিক হিসেবে স্মার্ট চুয়াডাঙ্গা গড়তে এলাকার জনগণের সাথে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলাম, তাদের পাশে থাকবো। এজন্য আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। এজন্য আমি চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের প্রতিটি ভোটারের দোয়া, সহযোগিতা, মূল্যবান ভোট ও পরামর্শ কামনা করছি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ ডিসেম্বর ২০২৩