পদ্মা সেতু শুধু যোগাযোগের মেলবন্ধন নয়, শরীয়তপুর জেলাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়নের প্রবেশদ্বার। যোগাযোগের দ্বার উন্মুক্ত করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে পদ্মা সেতুতে ওঠার আগ মুহূর্তে সড়কে চুম্বন করেন শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য ইকবাল হোসেন অপু। সেই চুম্বনের ছবি সোমবার (২৭ জুন) রাত থেকে ফেসবুকে ভাইরাল।ছবিতে এমপি ইকবাল হোসেন অপুর সঙ্গে সড়কে চুম্বন করেন তার কর্মী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক মুজাফফর জমাদ্দার ও আরেকজন। এছাড়া পেছনে কয়েকজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।সোমবার (২৭ জুন) রাত সাড়ে ১০টায় পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর প্রথম সেতু দিয়ে ঢাকা যাওয়ার সময় শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের টোলপ্লাজায় ঢোকার আগে গাড়ি থেকে নেমে পদ্মা সেতুর সড়কে চুম্বন করেন অপু। পরে কর্মীদের নিয়ে দুই হাত তুলে মোনাজাত করতে দেখা যায় তাকে।ফেসবুকে এম নুর হোসেন নয়ন লিখেছেন,‘আজ জননেতা ইকবাল হোসেন অপু এমপি মহোদয় পদ্মা সেতু পার হওয়ার সময় টোল দেওয়ার আগ মুহূর্তে রাস্তায় নেমে চুমু খেয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।’স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সুমন পাহাড় জানান, ‘আমাদের শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু ভাই করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী শরীয়তপুরে তার নিজ বাড়িতে ছিলেন। পদ্মা সেতু উদ্বোধনে জনসভায় যোগদানের জন্য করোনা টেস্ট করালে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এজন্য তিনি উদ্বোধনীর জনসভায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি। পরে আবার করোনা টেস্ট করালে গতকাল তার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তাই তিনি স্বপ্নের পদ্মা সেতু পাড় হয়ে ঢাকাতে গেছেন।’এমপি ইকবাল হোসেন অপু বলেন, দেশের ১৭ কোটি মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের সেই বহুল কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা সেতু পার হতে এসে আমি আবেগে আপ্লুত হয়ে যাই। গর্বে আমার বুকটা ভরে যায়। শত বাধা, ষড়যন্ত্র আর দুষ্কৃতকারীদের চোখরাঙানি উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নিজের টাকায় স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করেছেন। এ যে কী গর্বের, কী আনন্দের ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। তাই আমি সেতুতে ওঠার আগেই সড়কে চুম্বন করেছি এবং মহান আল্লাহতালার কাছে বঙ্গবন্ধু ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ তার পরিবার এবং সকল শহীদদের জন্য দোয়া করেছি। আমি কৃতজ্ঞতার ভাষা খুঁজে পাচ্ছিলাম না, কী করবো, কী করলে এই ঋণ শোধ হবে আমাদের। আসলে এই ঋণ কখনো শোধ হওয়ার নয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ জুন ২০২২
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন বিএনপির রাজনীতি ভুলের চোরাবালিতে ঘুরপাক খাচ্ছে, তবুও বিএনপি আত্নবিশ্বাসী ও অপরিণামদর্শী রাজনীতি চর্চা করে যাচ্ছে।বিএনপি দেশবিরোধী ও উন্নয়ন বিরোধী প্রচার - প্রচারণা এবং গুজবে বিশ্বাসী বলে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন প্রকৃতপক্ষে বিএনপি ষড়যন্ত্রপ্রিয় জনবিরোধী অপশক্তি। তিনি আজ এক বিবৃতিতে একথা বলেন।তিনি বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়নের রাজনীতির কারণে বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতি এখন পদ্মার গহীন অতলে নিমজ্জিত।সরকার নাকি অজানা আতঙ্কে সবসময় উদ্বিগ্ন, - বিএনপি মহাসচিবের এমন কাল্পনিক ও অসার বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন এমন বক্তব্য বিএনপির হতাশা এবং রাজনৈতিক দীনতা উন্মোচিত হয়েছে।শেখ হাসিনা সরকারের সাথে জনগণ রয়েছে, আছে আস্থা ও আত্মবিশ্বাস, তাই সরকারের কোন উদ্বেগ নেই উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন আর বিএনপি নেতারা এখন নির্বাচন আতঙ্কে ভুগছেন এবং প্রবল জনরোষের আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন। বিএনপি পদ্মাসেতুর বিরোধিতা করেছিলো কিন্তু শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে পদ্মাসেতু নির্মিত হয়েছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন বিএনপির ষড়যন্ত্র আর পদে পদে বাধা শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নকে একটুও বাধাগ্রস্ত করতে পারে নি। মন্ত্রী বলেন এ থেকেই বিএনপি নেতারা দিন দিন গভীর থেকে গভীরতর হতাশায় আক্রান্ত। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন গনতন্ত্রের বিকাশে শক্তিশালী ও দায়িত্বশীল বিরোধীদলের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু বিএনপির দায়িত্বহীনতা, দ্বিচারিতা গণতন্ত্রের বিকাশের পথে অন্তহীন বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।বিএনপি কখনো বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়ায় না দাবি ওবায়দুল কাদেরের, বলেন বানভাসী মানুষের পাশে যখন সরকার ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা কাজ করছে তখন বিএনপি নেতারা লোকদেখানো ফটোসেশনে ব্যস্ত।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ জুন ২০২২
গৌরবময় মাহেন্দ্রক্ষণের সাক্ষী হতে শরীয়তপুরের লাখো মানুষ এরই মধ্যে বাংলাবাজার ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ঘাটের জনসভাস্থলে পৌঁছেছেন। কিন্তু করোনা পজিটিভ হওয়ায় জনসভায় যোগ দিতে পারছেন না শরীয়তপুরের তিন সংসদ সদস্য।শনিবার (২৫ জুন) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের নিজের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে করোনা পজিটিভের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তারা নিজেই।তারা হলেন, শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম ও শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক।ইকবাল হোসেন অপু তার নিজের ফেসবুকে লেখেন,"আমাদের সপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের লক্ষে বিগত ১ মাস ধরে সকল নেতাকর্মী অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। তার প্রতিফলন ঘটবে আজ হাজার হাজার জনতার সমাগমে মুখরিত হবে এই পদ্মাপাড়ে আমাদের অভিবাবক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের মাধ্যমে" ।আরো লেখেন "দুরভাগ্যক্রমে আমার বন্ধু পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপমন্ত্রী এ.কে.এম. এনামুল হক শামীম এম.পি, ভাতিজা শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক এম.পি, আমি সহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু অনল কুমার দে কোভিটে আক্রান্ত হয়েছি বিধায় আপনাদের সাথে অংশগ্রহণ করতে পারছি না"সবশেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জয়বাংলা, জয়বঙ্গবন্ধু ও জয় শেখ হাসিনা শ্লোগানে শুভেচ্ছা এবং স্বাগত জানানোর জন্য সকলকে বিনীত অনুরোধ জানান এই সাংসদ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৫ জুন ২০২২
আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগ যখন দিশেহারা ঠিক সেই সময়ে দেশে ফেরেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। ১৯৮১ সালে তিনি দেশে ফিরে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করেন। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় নিয়ে আসেন। তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের লাখ লাখ নেতা-কর্মীর পাশাপাশি দেশের মানুষ আবার নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু করলো। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার শুরুর মধ্য দিয়ে দেশকে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বের করে নিয়ে আসেন তিনি।বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন ভিশনারি লিডার। ১৯৪৭ সালে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান সৃষ্টির পরই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন এই রাষ্ট্র বাঙালির জন্য নয়। তখন থেকেই তিনি বাঙালি জাতির জন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই স্বপ্ন পূরণে বাঙালি জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো।আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, শেখ হাসিনার ভিশনারি নেতৃত্বে বাংলাদেশ চরম দারিদ্র্যের দেশ থেকে উন্নত জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পথে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাঙালি জাতি নতুন করে উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখছে। আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনা এদেশের মানুষের আস্থা, ভরসার জায়গায় পরিণত হয়েছেতিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য আজীবন লড়াই, সংগ্রাম করেছেন। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছিলাম। তিনি ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত ও অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালে একাত্তরের পরাজিত শক্তি বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে সেই স্বপ্নকে হত্যা করেছিলো। পাকিস্তানের দোসররা রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী লীগকে খন্ড-বিখন্ড করার ষড়যন্ত্র করেছিলো।হানিফ বলেন, ২০০১ সালে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে একাত্তরের দোসররা আবারো ক্ষমতায় আসে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আবার শুরু হয়েছিলো তান্ডব। এরপর আন্দোলন, সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ের মাধ্যমে আজ আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায়। বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৩ জুন ২০২২
জাতীয় সংসদে বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপির সংসদ সদস্য জি এম (গোলাম মোহাম্মদ) সিরাজ বলেন ‘দেশের বর্তমান দুর্গত মানুষের দুর্দশায় এই উৎসব করাটা অমানবিক ও বেমানান।’ ২০২২-২৩ সালের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, 'বন্যাদুর্গতদের দুর্দশার কথা চিন্তা করে পদ্মা সেতু উদ্বোধনে উল্লাস ও মাত্রাহীন উন্মাদনা বন্ধ করুন'।সংসদে এ সময় সরকারি দলের সদস্যরা হৈ চৈ করে তার এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান।এর আগে বুধবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয় । সিলেট ও সুনামগঞ্জকে দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবি জানিয়ে বিএনপির এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘সেদিকে সরকারের খেয়াল নেই। এখন তারা পদ্মা সেতু উদ্বোধনের উৎসব উন্মাদনায় মত্ত।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৩ জুন ২০২২
পদ্মা সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র প্রত্যাখ্যানের মাধ্যমে বিএনপি এ দেশের জনগণকে প্রত্যাখ্যান করেছে, জনগণের স্বপ্নকে প্রত্যাখ্যান করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে জাজিরা প্রান্তে সমাবেশস্থল পরিদর্শনে এসে এক প্রস্তুতি সভায় তিনি এ কথা বলেন।বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করে নানক বলেন, তারা এদেশের স্বাধীনতাকে মানতে পারেনি, তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বপ্নের সোনার বাংলা মানতে পারেনি, তাই তারা পদ্মা সেতু কেউও মানতে পারছে না। তাই তারা স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ করতে পারে না। এই কারণে এই দেশের জনগণ তাদেরকে বার বার প্রত্যাখ্যান করেছে। আগামী নির্বাচনেও জনগণ বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করবে।বিদেশ থেকে দেশে আসার টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না উল্লেখ করে নানক বলেন, স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন আগামী ২৫ জুন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১০ লক্ষ মানুষের জনশ্রুতি হবে এই সমাবেশ স্থলে। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য থাকবে ১৫ থেকে ২০ লক্ষ মানুষের সমাগম করা। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ আসতে শুরু করেছে। শুধু তাই নয়, বিদেশ থেকে দেশে আসার টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ বিদেশে থাকা প্রবাসী আমাদের ভাইয়েরা দেশে আসতে শুরু করেছে । স্বপ্নের সোনার পদ্মা সেতু দু'চোখে দেখতে চায় , তারাও সমাবেশস্থলে যোগ দিতে চায়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ জুন ২০২২
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগ।বুধবার (২২ জুন) বেলা ১১টায় সেতু বিভাগের উপ-সচিব দুলাল চন্দ্র সূত্রধর রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কাছে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন।বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম থান ও ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এই সাতজনের নামে আমন্ত্রণ কার্ড দেওয়া হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ জুন ২০২২
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে ২৫ জুন যে জনসভার আয়োজন করা হয়েছে সেটি হবে শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ জনসভা। এটি ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকবে, এটি হবে ঐতিহাসিক। তিনি বলেন, এটি শুধু মাত্র শেখ হাসিনার জনসভা নয়।দল মত নির্বিশেষে সকলে এ জনসভায় অংশগ্রহণ করতে হবে। তার জন্য আমাদের সবাইকে উৎসাহ দিতে হবে।সেদিন যেন শ্রমিক, মেহনতি মানুষ,ছাত্র সহ সকল মানুষ সমাবেশে অংশগ্রহণ করে। সে দিন শুধু পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন নয়,সে দিন বাঙালি জাতির জন্য এক অনন্য দিন। সে দিন শেখ হাসিনা সারাদেশের মানুষকে আমাদের সক্ষমতা ও দক্ষতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা যা বলেন তা করেন এবং তিনি পারেন।সোমবার (২০ জুন) সকালে মাদারীপুরে আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন ও জনসভা সফল করার লক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। অনেক অপপ্রচার ও মিথ্যাচার হয়েছে। এখনও অপপ্রচার ও মিথ্যাচার হচ্ছে। একদল প্রচার করছে পদ্মা সেতু উদ্বোধন হবে না, বন্ধ হয়ে গেছে, উদ্বোধনের টাকা দিয়ে এম্বুলেন্স কিনতে হবে। পদ্মা সেতু উদ্বোধন জন্য অনেক লক্ষ কোটি টাকার প্রয়োজন নেই। দেশের জনগণ এটিকে সফল করবে। আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ এর উদ্বোধনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। সেদিন বিভিন্ন জায়গা থেকে লাখ লাখ মানুষ আসবে। আমরা তাদের পাশে দাড়াবো, এটা আমাদের দায়িত্ব। মাদারীপুরের মানুষ স্বাগতিক জেলা হিসেবে সবার পাশে থাকবে।বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আমরা মুজিব আদর্শের সৈনিক,জাতির পিতার আদর্শ আমরা ধারণ করি।জাতির পিতা স্বপ্ন দেখেছেন কিভাবে পদ্মা সেতু করা যায়। তিনি যমুনা সেতুর জন্য তখন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ও জাইকার প্রধানের সাথে আলোচনা করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা আজ পদ্মা সেতু করেছেন। বিএনপি জামাত ক্ষমতায় আসার পর পদ্মা সেতু যাতে না হয় সব চেষ্টাই তারা করেছে।সেই বিএনপি জামাত আজ বলে খালেদা জিয়া নাকি পদ্মা সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছে। এটা শতাব্দীর সেরা মিথ্যা কথা।তিনি বলেন, ড. ইউনুস ও খালেদা জিয়া দেশে বিদেশে নানা ষড়যন্ত্র করেছে।তারা অপ্রচার ও মিথ্যাচার করেছে।তাদের কারনে বিশ্ব ব্যাংক সহযোগিতার কথা বলেও আর সহযোগিতা করেনি।তারা বলেছে দূর্নীতি হয়েছে।অথচ সময়ের ব্যবধানে কানাডার আদালতে রায় হয়েছে পদ্মা সেতু নিয়ে কোন ষড়যন্ত্র ও দূর্নীতি হয়নি। বিএনপি জামাতি ও কতিপয় তথাকথিত অর্থনীতিবিদ বাংলাদেশের ভালো চায় না।আমরা নিজস্ব অর্থায়নে আজ পদ্মা সেতু করেছি কারও কোন সহযোগিতা ছাড়াই।আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির সাজাপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বেগম খালেদা জিয়া বলেছে জোড়া তালি দিয়ে পদ্মা সেতু তৈরি হচ্ছে। সেখানে গাড়ি চলবেনা।এ সেতু দিয়ে পার হওয়া যাবে না। এটা দেশের জন্য লজ্জাজনক।বিএনপি জামাতিদের রাজনীতি হলো যা দেখতে না পারি তার চলন বাঁকা। এরাই এক সময় বলেছিলো এই পদ্মা চুক্তি হলে পদ্মায় পানি আসবে না।আসলেও দূষিত পানি। এই পানিতে কোন মাছ থাকবে না। মিথ্যাচার,অপপ্রচার, ষড়যন্ত্র হলো এদের একমাত্র রাজনীতি। এরা দেশে অপরাজনিতি করে।তিনি বলেন, জাতির পিতা মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশকে স্বাধীন করে সামনে যাওয়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সেই স্বপ্ন আজ পূরন হতে চলেছে।দেশ আজ অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধ। আজ বাঙালি জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে দাড়িয়েছে। আজ আমরা আর যাই হোক ভিক্ষুকের জাতি না। আমরা ৩০ লক্ষ শহীদের রক্ত ও ২ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা আর্জন করেছি সেটা আমাদের গৌরব। আজ আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার দেশ গড়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।শেখ হাসিনা দেশের মানুষের সঙ্গে ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন।জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন মোল্লা বলেন, জনসভা যাতে সফল না হয় সেজন্য নানা কুচক্রী মহল সক্রিয় আছে। তাদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে এবং ঐক্যবদ্ধভাবে জনসভা সফল করতে হবে। বর্ধিত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে, সংসদ সদস্য তাহমিনা সিদ্দিকী, মাদারীপুরের পাঁচটি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, পৌরসভার মেয়রসহ জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ জুন ২০২২
বিএনপিকে নির্লজ্জ দল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলামসহ বিএনপির নেতারা কথা বেশি বলেন, কিন্তু কাজ করেন না। আর আওয়ামী লীগ কাজ বেশি করে, কথা কম বলে। এটাই আমাদের আদর্শ।তিনি বলেন, সিলেটে ভয়াবহ বন্যায় মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারারাত ঘুমাতে পারেন না। তিনি সারারাত জেগে থেকে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ডসহ সকল সংস্থাকে নির্দেশ করেছেন বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়াতে। শুধু তাই নয়, দলীয় নেতাকর্মী ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীদের রাতের বেলায় নির্দেশ করেছেন- এক মুঠো খাবার নিয়ে বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়াও। এখনও সেই চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।সোমবার রাজধানীর শ্যামলী ক্লাব মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের আদাবর থানা এবং এর অন্তর্গত ৩০ ও ১০০ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।‘আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু নিয়ে ব্যস্ত’ বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে সরকারি দলের জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের একটা বাড়ি একটা ক্যাম্প পরিণত হয়েছে। সেখানেই বানভাসিদের জন্য তারা রান্না করছে। নৌকা দিয়ে সেই খাবার বানভাসি মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে দিচ্ছে। অথচ বিএনপির নেতারা ‘এসি’ রুমে বসে সরকারের এবং আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে। ঠিক একইভাবে মহামারী করোনাকালেও তারা মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগের সমালোচনা করেছিল। আসলে বিএনপির নেতাদের লজ্জা নেই।সাবেক প্রতিমন্ত্রী নানক বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ম্যাডাম বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন- এই পদ্মা সেতু শেখ হাসিনার সরকার করে যেতে পারবেনা, কেউ পদ্মা সেতুতে উঠবেন না, জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু তৈরি করা হয়েছে যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে যেতে পারে। আরো অনেক ধরনের অপপ্রচার চালিয়েছে। কী মূর্খ এক প্রধানমন্ত্রী ছিল এই দেশে। একটা সেতু পাট বাই পাট করেও তৈরী করতে হয় এটাই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া জানেই না। এই মূর্খ নেতৃত্বের কাছে দেশ তখন মুখ থুবড়ে পড়েছিল।সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। ওই বিজয়ের মধ্যে দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবার প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। যদি তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে না পারেন তাহলে বাংলাদেশ সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য হয়ে যাবে। এদিকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। তিনি আরও বলেন, পদ্মাসেতু যাতে উদ্বোধন না হয় সেজন্য একটি গোষ্ঠী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় আগামী ২৫ তারিখ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে হবে।আদাবর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন শামীমের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি , স্থানীয় সংসদ সদস্য সাদেক খান প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ জুন ২০২২
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অদম্য সাহসিকতার জন্যই হাজারো ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন শরীয়তপুর-১ আসনের এমপি ইকবাল হোসেন অপু।রবিবার (১৯ জুন) বিকেলে ২৫ জুন স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে শরীয়তপুরের জাজিরা ডাকবাংলোতে উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও ১২ টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।আওয়ামী লীগের এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, তিনি বলেন পদ্মা সেতু এখন আর স্বপ্ন নয় দৃশ্যমান বাস্তবতা। ২৫ জুন এই সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান জনতার বাঁধভাঙা জোয়ার সৃষ্টি হবে। এসময় জাজিরা উপজেলা চেয়ারম্যান মোবারক আলী সিকদার, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন আকন, আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম নুরুল হক, সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব চৌকিদার, জাজিরা পৌরসভার মেয়র ইদ্রিস মাদবর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ জুন ২০২২
‘গণতন্ত্র ধ্বংসকারী’ বর্তমান সরকারকে হটানোর লক্ষ্যে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের বিষয়ে একমত হয়েছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ (একাংশ)। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দুই দলের সংলাপের পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।আজ শনিবার সন্ধ্যায় ২০-দলীয় জোটের শরিক জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সঙ্গে বিএনপির সংলাপ হয়। সভাপতি মনসুরুল হাসানের নেতৃত্বে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের সংলাপ হয়। এতে মির্জা ফখরুল ইসলামের সঙ্গে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ২০ দলের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।সংলাপ শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘একটা দুঃশাসন দেশের মানুষের ওপর চেপে বসে আছে। অনির্বাচিত একটি সরকার মুক্তিযুদ্ধের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধ্বংস করে দিয়েছে, দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে, প্রশাসনকে, বিচারব্যবস্থাকে দলীয়করণ করে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। এই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে দেশের সব দল, সংগঠন ও ব্যক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে আমরা সংগ্রাম করার ব্যাপারে একমত হয়েছি।’বিএনপির মহাসচিব বলেন, সংলাপে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৩৫ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহার, সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা, সংসদকে বিলুপ্ত করে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। একই সঙ্গে আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সব দলের মতামতের ভিত্তিতে একটি সরকার গঠন করার বিষয়ে দুই দলের নেতারা একমত হয়েছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ জুন ২০২২
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবুল আলম হানিফ আবারও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। শুক্রবার (১৭ জুন) নমুনা পরীক্ষার পর তার করোনা শনাক্ত হয়। বর্তমানে তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন ও দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।মাহবুবুল আলম হানিফের ব্যক্তিগত সহকারী তারিকুল ইসলাম টুটুল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, করোনার মৃদু উপসর্গ দেখা দিলে করোনা পরীক্ষার জন্য শুক্রবার সকালে নমুনা জমা দিয়েছিলেন মাহবুবুল আলম হানিফ। সন্ধ্যায় করোনা শনাক্তের ফল জানা গেছে। করোনা টেস্টের ফলাফল পজিটিভ এসেছে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি নিজ বাসায় সম্পূর্ণ বিশ্রামে আছেন।তারিকুল ইসলাম টুটুল আরও জানান, মাহবুবুল আলম হানিফ দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য সবার দোয়া চেয়েছেন। এর আগে ২০২০ সালের ১১ নভেম্বরে তিনি করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ জুন ২০২২
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, সিলেটসহ দেশের কয়েকটি এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় প্রশাসনের পাশাপাশি ঝাঁপিয়ে পড়েছেন আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা। অন্য কোনো দলের নেতা–কর্মীরা বন্যার্তদের পাশে নেই।আজ শনিবার বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার অডিটরিয়ামে উপজেলার স্কুল ও কলেজশিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকায় বসে বসে কেউ টক শোতে বক্তৃতা দিচ্ছেন। আর ঢাকায় নয়া পল্টনে কিংবা প্রেসক্লাবের সামনে সরকারের বিরুদ্ধে অনেকে বিষোদ্গার করছেন। কিন্তু বন্যার্তদের সাহায্য করার জন্য কেউ ঝাঁপিয়ে পড়েনি। ঝাঁপিয়ে পড়েছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা।’পদ্মা সেতু নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘কেউ ভাবেনি কখনো নিজের টাকায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ সরকার পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে পারবে। পরে যখন আমরা পদ্মা সেতু নির্মাণ শুরু করে দিয়েছি, বিশ্বব্যাংক কানাডা আদালতে হেরে যায়। কানাডার আদালতে তাদের যে অভিযোগ সেটি ভুয়া, মনগড়া এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল—কানাডার আদালতে সেটি প্রমাণিত হলো। কানাডার আদালতে আমাদের সরকার যায়নি, গিয়েছে বিশ্বব্যাংক। কানাডার আদালত রায় দিলেন, কোনো দুর্নীতি হয়নি, দুর্নীতির চেষ্টাও হয়নি। তাদের দায়ের করা মামলায় তারা হেরে গেছে। এরপর তারা প্রস্তাব দিয়েছিল পদ্মা সেতুতে তারা অর্থায়ন করতে চায়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “আমার বিশ্বব্যাংকের অর্থ দরকার নেই।” আজ তিনি বিশ্বমোড়লদের দেখিয়ে দিয়েছেন নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করে। আমাদের দেশের কিছু কিছু বুদ্ধিজীবী, এমনকি একটি বড় পত্রিকায় হেডিং হয়েছিল, পদ্মা সেতু আর হচ্ছে না। তখন বুদ্ধিজীবীরা বলেছিলেন, এই সরকারের আমলে আর পদ্মা সেতু হচ্ছে না। ড. ইউনূসও বলেছিলেন। আমি ওনার প্রতি যথাযথ সম্মান রেখে বলতে চাই, সত্যটা হচ্ছে বিশ্বব্যাংক যাতে পদ্মা সেতু থেকে সরে যায়, সে ষড়যন্ত্রের পেছনে মূল ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। একইভাবে টিআইবি, সিপিডিসহ আরও অনেকে বলেছিল, পদ্মা সেতু হবে না। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেখিয়ে দিয়েছেন, নিজের টাকায় পদ্মা সেতু হয়।’হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ অনন্য উচ্চতায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। যে মানুষের সামনে কোনো লক্ষ্য থাকে না, সে মানুষ বেশি দূর এগোতে পারে না। যার লক্ষ্য নেই, তার স্বপ্নও নেই। জাতীয় জীবনেও এটি সত্য। তাই আমাদের নেত্রীও আজকে জাতিকে আশাবাদী করে তুলেছেন। জাতির সামনে একটি লক্ষ্য তিনি দিয়েছেন। ২০২১ সাল নাগাদ লক্ষ্য দিয়েছেন একটি মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার। সেটি আমরা হয়েছি। ২০৪১ সাল নাগাদ আমাদের লক্ষ্য একটি উন্নত দেশে পরিণত হওয়া। সেই লক্ষ্য নিয়েই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করছে।’শিক্ষকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য শুধু বস্তুগত উন্নয়নের মাধ্যমে দেশকে উন্নত করা নয়। আমরা চাই, মেধা, মূল্যবোধ দেশাত্মবোধ মমত্ববোধের সমন্বয় ঘটিয়ে একটি নতুন প্রজন্ম তৈরি করতে চাই। মেধার সঙ্গে মূল্যবোধের সমন্বয় ঘটিয়ে, মানবিকতার বিকাশ ঘটিয়ে যদি একটি উন্নত জাতি গঠন করতে পারি, তবে তা পৃথিবীর সামনে একটি উদাহারণ হবে।’রাঙ্গুনিয়াবাসীর উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি সাড়ে ১৩ বছর ধরে রাঙ্গুনিয়ার সবার জন্য আমার দরজা খোলা রেখেছি। কে আমাকে ভোট দিয়েছে কিংবা দেয়নি, তা কখনো দেখিনি। কে আওয়ামী লীগ করেছে বা করেনি, তা কখনো জিজ্ঞেস করিনি। আমার বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইন করেছে, এমন অনেকের চাকরি আমার হাত ধরে হয়েছে। আমি চেষ্টা করেছি সব মানুষের কথা রাখতে। তাই আমি যদি আপনাদের দরজায় যাই, আপনাদের দরজাটিও আমার জন্য খোলা রাখবেন।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ জুন ২০২২
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন দেশের মানুষ যখন প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যার কারণে বেঁচে থাকার সংগ্রামে লিপ্ত ঠিক তখন বিএনপি মহাসচিবের হীন রাজনৈতিক আচরণ অত্যন্ত দুঃখজনক।তিনি আজ এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও দুরভিসন্ধিমূলক বিভিন্ন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে একথা বলেন। বিএনপি নেতারা মানুষের দুর্ভোগ নিয়ে রাজনীতি করছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন বিএনপি নেতাদের আচরণ খুব অমানবিক, অতীতে কোন দুর্যোগ মোকাবিলায় বিএনপির পক্ষ থেকে কোন ধরনের প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ জনগণ দেখেনি।তিনি বলেন বিএনপি শুধুমাত্র লিপ সার্ভিসের মাধ্যমে মানুষের দুঃখ - দুর্দশা নিয়ে রাজনীতি করে। বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের সৃষ্ট বন্যার কারণে মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশে দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিজেবি,,কোস্টগার্ডসহ স্থানীয় প্রশাসন মানুষের কষ্ট লাঘবে সর্বাত্মক কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি তাঁর বিবৃতিতে আরো বলেন মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যার্তদের জন্য ৬০০ আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেখানে হাজার হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।যে কোন প্রয়োজনে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় সেনাবাহিনী টোল ফ্রি নম্বর চালু করেছে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন বানভাসি মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় ইমারজেন্সি কন্ট্রোল রুম চালু করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ওবায়দুল কাদের বলেন পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে মনিটরিং টিম ও মেডিকেল বোর্ডও গঠন করা হয়েছে। তিনি বলেন পানি বন্দী মানুষের মাঝে শুকনো খাবার, পানিব,প্রয়োজনীয় ঔষধ ও স্যালাইনের পাশাপাশি রান্না করা খাবারও বিতররণ করছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের নেতৃবৃন্দ। বন্যার পানি সরে গেলেও এই তৎপরতা অব্যাহত থাকবে এবং আরো জোরদার করা হবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের। দুর্যোগপূর্ণ এইসময় দেশের সকল বিত্তবান মানুষের দুর্যোগ কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাঁর বিবৃতিতে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন বিএনপি দুর্ভাগ্যজনক ভাবে বন্যার্তদের নিয়ে অপরাজনীতি শুরু করেছে, এবং দুর্গত মানুষকে নিয়ে পরিহাস করছে। ওবায়দুল কাদের বলেন সিলেটের বন্যা কোন মানবসৃষ্ট দুর্যোগ নয়, এটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার অতীতের যে কোন সরকারের চেয়ে সফলতা অর্জন করেছে।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আশা প্রকাশ করে বলেন সরকারের প্রতি কোন রকম বিষোদগার বা দোষারোপ না করে এই দুর্যোগের সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা দুর্গতদের পাশে দাঁড়াবে। এই দুর্যোগকে পুঁজি করে রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ থেকে বিরত থাকার আহবান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয় এমন মিথ্যাচার ও অপপ্রচার না করারও অনুরোধ জানান।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ জুন ২০২২
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে (কুসিক) নির্বাচন কমিশন অংশগ্রহণমূলক, অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিয়েছে বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মির্জা ফখরুল ইসলামসহ বিএনপি নেতারা কুসিক নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য অবাস্তব, কাল্পনিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিরূপ মন্তব্য করছেন।বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেন, কুসিকসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় সরকার পর্যায়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু ছিল। যা সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।বিএনপি যেমন গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, ঠিক তেমনি নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করছে না দলটি- দাবি কাদেরের। তিনি বলেন, একই সঙ্গে দলীয়ভাবে নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কিন্তু তাদের দলের অনেক প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, নির্বাচনে অংশ নেওয়া কিছু কিছু প্রার্থীকে তারা দল থেকে বহিষ্কার করে। আবার নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে হীন রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থে দূরভিসন্ধিমূলক মন্তব্য করে। নির্বাচনের ফলাফল ও নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়। যা দেশের জনগণের সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া আর কিছু নয়।যেন-তেন প্রকারে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই বিএনপির দলীয় চরিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করে কাদের বলেন, কুসিকে মনিরুল হক সাক্কুসহ আরও দুই জন বিএনপি নেতা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় তাদের বিএনপি থেকে বহিষ্কারের নাটক করা হয়। একদিকে নির্বাচনে তারা দলীয় প্রার্থী দেবে না, প্রকাশ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না; অন্যদিকে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারায় লিপ্ত হবে। আর তাদের রাজনৈতিক দৈন্যতার দায় দেশের জনগণ, সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ওপর চাপিয়ে দেবে।স্বৈরশাসনের গর্ভে জন্ম নেওয়া বিএনপি বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংসের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক পন্থাকে নস্যাৎ করতে দীর্ঘদিন যাবৎ গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের বলেন, এই চক্রান্তের অংশ হিসেবেই বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করা, অংশগ্রহণ করলেও পরাজয়ের ভয়ে প্রচার-প্রচারণায় অংশগ্রহণ না করা, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রতি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিষোদগার করাসহ গণতান্ত্রিক রীতি-নীতি বিরোধী আচার-আচরণ করে আসছে।গত বুধবার অনুষ্ঠিত কুসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত ৩৪৩ ভোটে স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত) মনিরুল হক সাক্কুকে পরাজিত করেন। এ নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত আরেক নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রায় ৩০ হাজার ভোট পান।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ জুন ২০২২
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনার জন্য আজ সোমবার মেডিকেল বোর্ড বসছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসার অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তাঁর মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান আজ এ তথ্য জানান। হঠাৎ অসুস্থ হওয়ায় গত শুক্রবার দিবাগত রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে ভর্তি করানো হয়। গত বছরের এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর এ নিয়ে খালেদা জিয়াকে পাঁচ দফা বেসরকারি হাসপাতাল এভারকেয়ারে ভর্তি করা হলো। এর আগে গত ৬ এপ্রিল নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে একই হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।শায়রুল কবির খান বলেন, মেডিকেল বোর্ডে এভারকেয়ার হাসপাতালের ১২ জন চিকিৎসক আছেন। আর বাইরের চিকিৎসক আছেন ছয়জন। বোর্ডের নেতৃত্বে আছেন এভায়কেয়ারের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান ডা. শাহবুদ্দিন তালুকদার।আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে: বিএনপিগতকাল রোববার বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, গত শনিবার বেলা দুইটা থেকে খালেদা জিয়াকে ৭২ ঘণ্টার জন্য নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এই সময় শেষ হওয়ার পর সোমবার শারীরিক অবস্থা কেমন, তা বলা যাবে।জাহিদ হোসেন আরও বলেন, গত শুক্রবার দিবাগত রাতে হাসপাতালে ভর্তির পর ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) তিনটি ব্লক ধরা পড়েছিল। এর মধ্যে একটি ছিল ক্রিটিক্যাল (জটিল)। সেখানে রিং স্থাপন করা হয়েছে। বাকি দুটি ব্লকের আচরণ কেমন হবে তা এখন বলা মুশকিল। বর্তমানে হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞদের একটি দল খালেদা জিয়াকে দেখভাল করছেন।হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনার জন্য আজ সোমবার মেডিকেল বোর্ড বসছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসার অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তাঁর মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান আজ প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান। হঠাৎ অসুস্থ হওয়ায় গত শুক্রবার দিবাগত রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে ভর্তি করানো হয়। গত বছরের এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর এ নিয়ে খালেদা জিয়াকে পাঁচ দফা বেসরকারি হাসপাতাল এভারকেয়ারে ভর্তি করা হলো। এর আগে গত ৬ এপ্রিল নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে একই হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ জুন ২০২২
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বলে দাবি করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিনা রহমান। তিনি বলেন, আজকে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার কোনো সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। তার যে রোগ, তা চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠাতে হবে। তা না হলে তার চিকিৎসা হবে না। আজকে তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। সোমবার (১৩ জুন) বেলা ১১টার দিকে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনের এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।খালেদা জিয়া মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে মহিলা দল। অনুষ্ঠান চলাকালে মহিলা দলের একজন নেত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।মানববন্ধন শেষে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ থেকে মহিলা দলের নেতাকর্মীরা মিছিল বের করলে পুলিশ বাধায় তা বেশি দূর এগুতে পারেনি। কেন আজকে খালেদা জিয়ার এই অবস্থা? এমন প্রশ্ন রেখে সেলিমা রহমান বলেন, কারণ বর্তমান অবৈধ সরকার, যারা দিনের ভোট রাতে করে, প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে। তারা জানেন, খালেদা জিয়া যদি সুস্থ অবস্থায় বাইরে আসে, তখন কোটি লোকের সমাবেশ তার পেছনে দৌড়াবে। তাই আজকে এই সরকার তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।তিনি আরও বলেন, আমরা সন্দেহ করেছিলাম, যখন খালেদা জিয়া জেলে ছিলেন, তখন বলেছিলাম তাকে সরকার তিলে-তিলে মেরে ফেলবে। আজকে দেখতে পারছি, সেই কথার সত্যতা। তা না হলে একজন প্রধানমন্ত্রী কখন আরেকজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সমন্ধে বলতে পারেন না, তাকে পদ্মা সেতু থেকে টুস করে ফেলে দেবো। এটা রাজনৈতিক শিষ্টাচারের বাইরে। আমরা রাজনৈতিক শিষ্টাচার মানি বলে অনেক কথা বলি না।পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে সারা দেশের অনুষ্ঠান আয়োজন নিয়ে প্রশ্ন তুলে সেলিমা রহমান বলেন, কেন আজকে এতো ধুম-ধাম করা হচ্ছে। সীতাকুণ্ডে আগুনে যখন মানুষ ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে মারা গেছেন। তাদের জন্য তো কোনো জবাবহিদিতা নেই। তাদের জন্য কোনো চিন্তা-ভাবনা নেই। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু নিয়ে ধুম-ধাম করছেন। আর সাধারণ জনগণ প্রাণে মারা যাচ্ছেন।তিনি আরও বলেন, আজকে দেশে দুই আইন চলছে। আওয়ামী লীগের নেতা হাজী সেলিম চিকিৎসার জন্য বিদেশে গেছেন। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তিনি আইন মেনে গেছেন। আমি জানতে চাই, কোন আইনের কারণে খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে পারছেন না।তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে না পাঠানো হলে জনগণ মাঠে নামবেন। তখন আপনার পায়ের নিচের মাটি থাকবে না। অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর উপলক্ষে ৬৪ জেলায় অনুষ্ঠান করছেন। কার টাকায় এই অনুষ্ঠান করছেন। আপনি উল্লাস করছেন, আর সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন। তিনি চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছেন না। তিনি পায়ে হেঁটে জেলে গেলেন, আর হুইল চেয়ারে করে ফিরলেন। আপনি খাবারের মধ্যে কি বিষ মিষিয়েছেন, এটাই মানুষের মুখে-মুখে প্রশ্ন।তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তিনি কারও কাছে মাথা নত করেন না। আমি ছোট একটি কথা বলছি, সেটি হলো ভারতের একটি রাজনৈতিক দলের দুই জন নেতা আমাদের হযরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে কটূক্তি করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর তো কোনো দলের বিরুদ্ধে বিবৃতি দেওয়ার দরকার ছিল না, ভারতের বিরুদ্ধেও না। আপনি শুধু ওই জন নেতা কটূক্তি করেছেন তার নিন্দা করতেন, বিজেপি যে ওই নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন ধন্যবাদও জানাতে পারতেন। কিন্তু ওইটুকু সাহসও আপনার নেই। আপনার মাথা ১৭০ ডিগ্রি নতজানু। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ জুন ২০২২
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে তার দায়-দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমরা বারবার আবেদন করেছি, অনুরোধ করেছি, কর্মসূচি দিয়েছি, আন্দোলন করেছি। আমরা সোজা কথায় বলতে চাই- গতকাল ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকার কোনো দায় নেবে না- সরকারকে দায় নিতে হবে। আজ আল্লাহ না করুক দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার যদি কোনো অঘটন ঘটে, তাহলে এই দেশের মানুষ আপনাদের ক্ষমা করবে না। টেনে-হিঁচড়ে আপনাদের ক্ষমতা থেকে নামিয়ে দেবে।আজ (রোববার) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ, তার জন্য উন্নত চিকিৎসা, উন্নত মেডিকেল সেন্টার দরকার এবং সেটা আমাদের দেশে নেই। তাই আমাদের চিকিৎসকরা বলছেন ওনার উন্নত ট্রিটমেন্ট দরকার, উন্নত মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া দরকার, যা বিদেশে আছে।সরকারকে উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের শেষ কথা- অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠান। অন্যথায় তার সমস্ত দায়-দায়িত্ব আপনাদের নিতে হবে। অবিলম্বে পদত্যাগ করুন, কারণ আপনারা এদেশের মানুষের সমস্যার সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছেন। শুধু লুটেপুটে নেওয়ার জন্য কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন।জীবনে কারও কাছে কখনও মাথানত করিনি- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের সমালোচনায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, স্বৈরাচার এরশাদ যখন ক্ষমতা দখল করে ৮২ সালে, তখন তিনি বলেছিলেন- ‘উই আর নট আনহ্যাপি’- আমরা অখুশি নই। আবার এক-এগারোর অবৈধ সরকারের সময় যখন ফখরুদ্দিন-মইনউদ্দিন রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিল, তখন বিমানবন্দরে আপনি ঘোষণা দিয়েছিলেন এই সেনা সমর্থিত অবৈধ সরকারের সমস্ত কার্যক্রম আপনি বৈধ করে দেবেন। আমাদের মেমোরি এখনো এত ‘শর্ট’ হয়নি। এজন্য আমরা বলি, আপনি বরাবরই আঁতাত করে ক্ষমতায় এসেছেন, আপনারা বরাবরই ওই শক্তির সঙ্গে আঁতাত করেছেন যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান করে, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে।গণতন্ত্র ও মৌলিক অধিকার রক্ষা করতে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে, সংসদ বাতিল করতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে তাদের মাধ্যমে একটি নতুন নির্বাচন আয়োজন করতে হবে, যেখানে জনগণ তাদের পছন্দমতো মানুষদের নির্বাচিত করবেন। পছন্দমতো পার্টি নির্বাচন করে সংসদ গঠন করবেন। এর বাইরে কোনো কিছুই মেনে নিতে এদেশের মানুষ প্রস্তুত নয়, মানবে না।সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখনও সময় আছে, এখনও বাঁচতে পারবেন, সময় আছে কিছুটা রক্ষা পেতে পারেন। এরপর আর পালাবার সময় পাবেন না। পরিষ্কার করে বলতে চাই সমস্ত রাজনৈতিক দল, রাজনৈতিক সংগঠনগুলো ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। দেশের সব মানুষ ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে, যে দুর্বার গণআন্দোলন শুরু হবে তার মাধ্যমে এ সরকারের পতন ঘটিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে।ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ জুন ২০২২
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে প্রশাসন বা সেনাবাহিনীর দরকার নেই বলে জানিয়েছেন সদ্য সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা।রোববার (১২ জুন) সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক সচিবদের সঙ্গে সংলাপে তিনি এ কথা বলেন। বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে বেলা ১১টায় সংলাপ শুরু হয়।নূরুল হুদা বলেছেন, নির্বাচন কমিশনকে আমরা শতভাগ স্বাধীন বলি। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে সরকারের মাধ্যমেই অনেক কিছু করতে হয়। ভোট সুষ্ঠু করতে নির্বাচনে প্রশাসন বা সেনাবাহিনীর দরকার নেই। এটা কোনো দেশে হয় না। তাছাড়া তারা আসলে কোনো কাজেও আসে না। নির্বাচনের ৭৫ শতাংশ টাকা তাদের পেছনে চলে যায়।সাবেক এই সিইসি বলেন, বর্তমানে প্রায় একটা থানার সমান আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একটি কেন্দ্রে মোতায়েন থাকে। তাছাড়া ইভিএম এমন একটা পদ্ধতি যেখানে বাক্স ছিনতাই করা যায় না। জাতীয় নির্বাচন ছাড়া সব নির্বাচনে আমাদের জনবল দেওয়া হয়েছিল। যারা যোগ্য তাদের রাখতে হবে। আর কিছু জায়গায় জেলা প্রশাসনকে রাখতে হবে। অনেক অভিযোগ থাকবে। সেগুলো গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। অনেক অভিযোগ সত্যও হয় না।দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এ বছরের মার্চ থেকে বিভিন্ন মহলের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে সংলাপ করছে নির্বাচন কমিশন।গত ১৩ ও ২২ মার্চ এবং ৬ ও ১৮ এপ্রিল যথাক্রমে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ-বুদ্ধিজীবী ও নাগরিক সমাজ এবং প্রিন্ট মিডিয়ার সম্পাদক/সিনিয়র সাংবাদিক ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রধান নির্বাহী/প্রধান বার্তা সম্পাদক/সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে সংলাপ করে ইসি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ জুন ২০২২