রাজনীতি


আর শান্তি নয়, এবার প্রতিরোধ হবে - কাদের

আর শান্তি নয়, এবার প্রতিরোধ হবে - কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আর শান্তি নয়, এবার প্রতিরোধ। অনেক শান্তি সমাবেশ করেছি। এবার খুনি, অপশক্তির আস্তানা গুঁড়িয়ে দিতে হবে।রোববার (২১ মে) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে যে ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত চলছে সে বিষয়ে আপনাদের সতর্ক করতে আমি দাঁড়িয়েছি। মির্জা ফখরুলের ২৭ দফা থেকে ১০ দফা, এখন ১ দফা দাবি হয়েছে। ফখরুল বলছেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগ। আর রাজশাহীতে সাবেক মেয়র প্রকাশ্যে বলেছিলেন আবার ১৫ আগস্ট ঘটাতে হবে।এক দফার নামে বিএনপি শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেক শান্তি সমাবেশ করেছি। এবার বলতে চাই, আর শান্তি নয়, এবার প্রতিরোধ হবে।তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এখন শেখ হাসিনার সরকারকে পতনের জন্য এক দফা ঘোষণা দিয়েছেন। আর গত ১৯ মে রাজশাহীর পুঠিয়ায় দলটির জেলা আহ্বায়ক বললেন, শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে। আমরা অনেক শান্তি সমাবেশ করেছি। নেতাকর্মীদের বলব, আর শান্তি সমাবেশ নয়, তাদের প্রতিরোধ করা হবে।সেতুমন্ত্রী বলেন, ১৯ তারিখে শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিয়ে এখনো আবু সাইদ বাইরে আছেন। আমি জানি না কেন এখনো তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এখন রাজশাহী আছেন। তিনি সরজমিন দেখে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন বলে আশা করি।ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাদেক খান।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২১ মে ২০২৩


সিটি নির্বাচনও ব্লু প্রিন্ট করে ফেলেছে - মির্জা ফখরুল

সিটি নির্বাচনও ব্লু প্রিন্ট করে ফেলেছে - মির্জা ফখরুল

আসন্ন সবগুলো সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনও নীল নকশার নির্বাচন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থাকে তারা (সরকার) বেমালুম ধ্বংস করে দিয়েছে। আজ নির্বাচনের অবস্থা কেমন? এই যে মেয়র ইলেকশন হচ্ছে, বেশির ভাগ সিটি কর্পোরেশনে বিরোধী দল কোনো প্রার্থী দিচ্ছে না।রোববার (২১ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার প্রতিষ্ঠাতা শফিউল আলম প্রধানের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে জাগপার একাংশ।বিএনপি মহাসচিব বলেন, সিলেটে একজন অত্যন্ত জনপ্রিয়, দুই বার মেয়র হয়েছেন আরিফ এবং সিলেটের মানুষ তাকে আবারও মেয়র হিসেবে চায়। সেই আরিফ শনিবার জনসভা করে বলেছেন, এ নির্বাচন কখনোই গ্রহণযোগ্য হবে না, নির্বাচনই হবে না। তারা ব্লু প্রিন্ট করে ফেলেছে। এ নির্বাচনে যাওয়ার অর্থই হয় না, এটা অর্থহীন হবে। আপনারা দেখেছেন সিলেটের মানুষ চোখের পানি ফেলেছে, কেঁদেছে যে, তাদের প্রিয় নেতা নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না। তিনি পরিষ্কার করে বলেছেন, আমি মনে করি যে, এ নির্বাচন অর্থহীন হবে এবং এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হবে না।মির্জা ফখরুল বলেন, সব জায়গায় একই অবস্থা। আজ প্রতিটি নির্বাচনকে একই অবস্থার দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুরো নির্বাচন ব্যবস্থা ও প্রতিষ্ঠানটাকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে। এটাই হচ্ছে এ ধরনের কর্তৃত্ববাদী যারা, এ ধরনের ফ্যাসিবাদী যারা তাদের একটা হাতিয়ার। নির্বাচন একটা টুল, দেখাবে নির্বাচন হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন তারা কথা বলবে, নির্বাচন কমিশনের কমিশনাররা কথা বলবেন। নির্বাচন একটা দেখানোর চেষ্টা করবে, কিন্তু তারা পুরো নির্বাচনকে তাদের মতো করে নিয়ে যাবে।তিনি বলেন, অত্যন্ত পরিষ্কার, স্পষ্ট, দৃঢ় উচ্চারণ যে, এ সরকার থাকলে কোনো নির্বাচন হবে না। শেখ হাসিনা সরকার থাকলে কোনো নির্বাচন হবে না। একটা নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে।বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচন নিয়ে এমন একটা অবস্থা হয়েছে, তাদের যে জোট আছে, ১৪ দলের এক শরিক দল বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির আমাদের অত্যন্ত সম্মানিত শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব রাশেদ খান মেনন, তিনি কিছুদিন আগে বলেছেন, পরিকল্পিত নির্বাচন চাই না। ম্যাসেজ ইজ ভেরি ক্লিয়ার যে, আওয়ামী লীগ পরিকল্পিত নির্বাচন করে, সেই নির্বাচন তিনি চান না। আরেকজন প্রতিমন্ত্রী বলেছেন যে, এখানে মন্ত্রীরাই সিন্ডিকেট তৈরি করে, তারাই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে। এসব আমার কথা নয়, সরকারের মন্ত্রীরা বলছেন।রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে সরকার দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।মির্জা ফখরুল বলেন, পত্রিকায় আজ এসেছে যে, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক তার রিপোর্টে বলছে যে, বাংলাদেশ ইজ চ্যাম্পিয়ান অব ডিফল্ট লোনস, এই যে খেলাপি ঋণ, এটাতে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ান হয়ে গেছে। এক শ্রীলঙ্কা ছিল, শ্রীলঙ্কা থেকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ। খেলাপি ঋণ কেন হবে না? যারা ঋণ নেয়, শোধ করে না। তারা তো তাদের অ্যাডভাইজার মন্ত্রী, আমি নাম বলব না। হাজার হাজার কোটি টাকা তারা ঋণ নিয়ে রিসিডিউল করছে বছরের পর বছর ধরে। আর আমাদের ছোটখাটো ব্যবসায়ীরা তারা যদি একটা-দুইটা ডিফল্ট হয় তো তার বিরুদ্ধে মামলা হয়ে যাচ্ছে, তাকে কারাগারে নিয়ে যাচ্ছে।তিনি বলেন, এই সরকারের অপকর্ম বলে শেষ করা যাবে না। এনাফ ইজ এনাফ। এই সরকার যদি একটা মুহূর্ত আর দেশের পরিচালনায় থাকে, দেশ আরও খারাপের দিকে যাবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২১ মে ২০২৩


সরকারের নিয়ন্ত্রণে দেশে যেসব নির্বাচন হচ্ছে, তাতে জনগণের আগ্রহ নেই

সরকারের নিয়ন্ত্রণে দেশে যেসব নির্বাচন হচ্ছে, তাতে জনগণের আগ্রহ নেই

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন কমিশন সরকারের নিয়ন্ত্রণে এবং দেশে যেসব নির্বাচন হচ্ছে, তাতে জনগণের আগ্রহ নেই। আসন্ন সবগুলো সিটি করপোরেশন নির্বাচনও নীল নকশার নির্বাচন হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার প্রতিষ্ঠাতা শফিউল আলম প্রধানের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে জাগপার একাংশ।মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থাকে তারা (সরকার) বেমালুম ধ্বংস করে দিয়েছে। আজ নির্বাচনের অবস্থা কেমন? এই যে মেয়র ইলেকশন হচ্ছে, বেশির ভাগ সিটি করপোরেশনে বিরোধী দল কোনো প্রার্থী দিচ্ছে না।নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনের দাবির প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমরা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছি, এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচন হতে হবে। এই দাবিতে সব জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে দুর্বার আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।তিনি বলেন, অথচ ১৯৯৬ সালে যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছিলো তখন আজকের আওয়ামী লীগ অনেকগুলো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো। কিন্তু আওয়ামী লীগ সেসব তো পূরণ করেইনি বরং সেখান থেকে দূরে সরে গেছে। তারা দুইটি ভুয়া নির্বাচন করেছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে কোনো ভোটার ভোট দিতে যাইনি। কুত্তা ছিলো ভোট কেন্দ্রে। ২০১৮ সালেও নিশিরাতে ভোট করেছে। আজকে এই সরকার নির্বাচন ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন সিটি করপোরেশন নির্বাচন হচ্ছে সেখানেও তারা কী করছে। এমতাবস্থায় আমাদের সিলেটের সাবেক নির্বাচিত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ভোট না করার ঘোষণা দিয়েছেন।মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদেরকে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদ করতে হবে। না হলে কোনো কিছুই থাকবে না। এই হলো আওয়ামী লীগ। যারা বাকশাল করেছিলো। আজকে রাশেদ খান মেনন বলেছেন - পরিকল্পিত নির্বাচন চাই না। শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেছেন- মন্ত্রীরাই সিন্ডিকেট করছে। আজকে দেশে ঋণখেলাপি বাড়ছে। জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ঢাকা দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, জাগপা সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদাত হোসেন, সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য খন্দকার আবিদুর রহমান, হ‌ুমায়ূন কবির, আ স মেজবাহ উদ্দিন, ন্যাশনাল পিপল পাটির নেতা মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২১ মে ২০২৩


শেখ হাসিনা আছে বলেই অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ ভালো আছে - কাদের

শেখ হাসিনা আছে বলেই অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ ভালো আছে - কাদের

আওয়ামি লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ডেকে নিয়ে আমাদের ঋণ দিয়েছে। সংস্থার প্রধান বলেছেন, বাংলাদেশের সামর্থ্য আছে বলেই ঋণ দিয়েছি। বাংলাদেশ কখনো ঋণখেলাপি হয়নি, এটাই সত্য। ঋণ নিয়ে সময়মতো পরিশোধ করেছি।শনিবার (২০ মে) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত জাতীয় ওলামা লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আছে সরকার পতনের আন্দোলন নিয়ে। আর আমরা আছি জানমাল রক্ষার আন্দোলন নিয়ে।আমাদের তার জন্য শান্তি সমাবেশ করতে হচ্ছে।তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করেছেন। আমরা এখন একটি সংকটের মধ্যে আছি। যেটা আমাদের সৃষ্টি নয়। করোনা মহামারি সামলানোর পর যুদ্ধ শুরু হয়। ফলে জ্বালানি ও ডলারের দাম বেড়ে যায়। বেড়ে যায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও। অনেক পণ্যই বাইরে থেকে আমদানি করে আনতে হয়। কিছু পণ্য আনা কমিয়ে দিলে মানুষের কষ্ট বাড়বে। আমরা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছি। কিন্তু জ্বালানি সংকটে পুরোপুরিভাবে সে চাহিদা মেটাতে পারছি না।মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার মতো নেত্রী আছে বলেই পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ ভালো আছে। অথচ একটি দল তাকে নিয়ে অপপ্রচার করে। অথচ সারা দুনিয়া তাকে নিয়ে প্রশংসা করে। তিনি থাকলে দেশ পথ হারাবে না।মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এতো সভা-সমাবেশ, দফা, মানববন্ধন করলেন, তাতে কী হলো? আপনারা বলছেন সরকারের সময় শেষ। আমি জানতে চাই, সেই শেষ সময়টা কবে? গত ১০ বছর ধরেই এই কথা শুনে আসছি।তিনি বলেন, এ দেশে আওয়ামী লীগের শিকড় অনেক গভীরে। ক্ষমতায় কে থাকবে, এটা নির্ধারণ করবে দেশের জনগণ।মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী ওলামা লীগের একটি ইচ্ছা ছিলে যে সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠিত হবে। তার জন্য সময় লেগেছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আজ তা সম্ভব হয়েছে। যেহেতু এটি প্রথম সম্মেলন, তাই কতজনকে নিয়ে কমিটি হবে তা নির্ধারণ করতে হবে। আমি ১০১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিচ্ছি। যাতে ত্যাগী ও সিনিয়র নেতারা স্থান পাবেন।তিনি বলেন, কমিটিতে যেন বাস্তবতার ও রাজনৈতিক আদর্শের প্রতিফলন থাকে। নেতাদের অবশ্যই দলীয় শৃঙ্খলায় আসতে হবে।ওয়ান ইলেভেনের সময় রাজপথে ওলামা লীগের কার্যক্রম ছিল চোখে পড়ার মতো। মাঝে কিছুটা স্বেচ্ছাচারিতা লক্ষ্য করা গিয়েছিল।তবে সেসব কাটিয়ে উঠে যেন একটি যোগ্য কমিটি তৈরি হয়। দলাদলি করে বদনাম কামাবেন না।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ মে ২০২৩


শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের নেতা নন, বিশ্বনেতায় রূপান্তরিত হয়েছেন: তথ্যমন্ত্রী

শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের নেতা নন, বিশ্বনেতায় রূপান্তরিত হয়েছেন: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের নেতা নন, বিশ্বনেতায় রূপান্তরিত হয়েছেন।তিনি বলেন, আমার মনে হয় বিএনপি’র মহাসচিবসহ অন্যান্য নেতারা বিশ্বময় বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে গ্রহণযোগ্যতা, তার প্রতি বিশ্বনেতৃবৃন্দের এবং বিশ্বঅঙ্গনের যে আস্থা, সেটি বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে।শুক্রবার (১৯ মে) দুপুরে চট্টগ্রামে বেসরকারি ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির সেশন প্রারম্ভ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে বিএনপি নেতাদের সাম্প্রতিক বক্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যে অত্যন্ত সফল সফর করে এসেছেন। পদ্মা সেতু থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া বিশ্বব্যাংক নিজেরাই বাংলাদেশকে ২.২৫ বিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রস্তাব করেছে। জাপান আমাদের বিভিন্ন প্রকল্পে ৩০ বিলিয়ন ইয়েন সাহায্য করবে। আর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করে বলেছেন- আপনি আমাদের আইডল, আমার মেয়েদেরও আইডল। আর বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক নিয়ে ১৬ মে জাতিসংঘ ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ প্রস্তাব এনে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে, সেই প্রস্তাব বাংলাদেশের সাথে ৭১টি দেশ কো-স্পন্সর করেছে যা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।'হাছান বলেন, 'এরপর বিশ্বময় জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর সরকারের গ্রহণযোগ্যতা বিশ্বময় আছে কি না তা বলার কোনো প্রয়োজন নেই। যাদের বুদ্ধি, বোধশক্তি আছে, তারা এগুলো বুঝতে পারে, শুধু বিএনপি নেতারাই তা বোঝেন না। দৃষ্টিহীনতা ও শ্রবণহীনতার সাথে তারা বোধশক্তিহীনও হয়ে গেলেন কি না সেটি আমার বোধগম্য নয়।' বিএনপির আন্দোলন প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, 'গাড়ি বসে গেলে সেটিকে মাঝে মধ্যে যেমন স্টার্ট দিতে হয়, বিএনপির আন্দোলনের কর্মসূচিও সেরকম। কারণ বিএনপি দলটাইতো বসে গেছে। যাতে জং ধরে না যায়, সেজন্য মাঝে মধ্যে স্টার্ট দেয়ার মতো তারা আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়। এছাড়া অন্য কোন কিছু নয়।'এর আগে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির সেশন শুরু অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান বলেন, 'শুধু পাঠদান আর সার্টিফিকেট প্রদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বহুমাত্রিক মেধার বিকাশ ঘটানো, জীবন গড়া, জীবন সংগ্রামে উজান ঠেলে সামনের দিকে এগিয়ে জয়ী হওয়া শেখাতে হবে। আশা করি, এই বিশ্ববিদ্যালয় সেটি পারবে।'বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সিকান্দর খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্টাতা সাঈদ আল নোমান। রেজিস্ট্রার সজল কান্তি বড়ুয়া স্বাগত বক্তব্য রাখেন।ব্রতী রাজনীতিক পঙ্কজ ভট্টাচার্য জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে চলেছেন : নাগরিক স্মরণসভায় তথ্যমন্ত্রী ঢাকা ১৯ মে ২০২৩: বুধবার বিকেলে ঢাকায় শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ঐক্য ন্যাপ সভাপতি জননেতা পঙ্কজ ভট্টাচার্য নাগরিক স্মরণসভা জাতীয় কমিটি আয়োজিত শোকসভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে যোগ দেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বক্তৃতায় তিনি বলেন, রাজনীতি একটি ব্রত সেটি অনেকে ভুলে গেলেও পঙ্কজ ভট্টাচার্য রাজনীতিকে ব্রত হিসেবেই নিয়েছিলেন। তিনি যা বিশ্বাস করতেন আজীবন সেটির জন্য কাজ করে গেছেন। আপাদমস্তক অসাম্প্রদায়িক এই মানুষটি দেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে পুরোধা ছিলেন। অনেক নির্যাতন সয়েছেন। মন্ত্রী হাছান বলেন, আমাদের দেশে সত্যিকার রাজনীতিকদেরকে জীবনটা হাতের মুঠোয় নিয়ে চলতে হয়, কখন গ্রেনেড হামলা হয়, কখন গুলি হয়, কখন কি হয়। পঙ্কজ ভট্টাচার্য তাই করেছেন। একজন রাজনীতিবিদ কেমন হওয়া প্রয়োজন সেটি পঙ্কজ ভট্টাচার্যকে দেখলে জানা যায়। তিনি সেই উদাহরণ হয়ে আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন। ইতিহাসবিদ ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, ওয়ার্কার্স পার্টি সভাপতি রাশেদ খান মেনন, মানবাধিকার কর্মী এডভোকেট সুলতানা কামাল, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী, সংস্কৃতিজন রামেন্দু মজুমদার, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সভাপতি শাহ আলম, বাংলাদেশ জেএসডি সভাপতি শরীফ নূরুল আম্বিয়া, বাংলাদেশ শান্তি পরিষদ সভাপতি ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, ঐক্য ন্যাপ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এড. এসএমএ সবুর, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল প্রমুখ প্রায় এক মাস আগে গত ২৪ এপ্রিল প্রয়াত জননেতা পঙ্কজ ভট্টাচার্যকে স্মরণ করেন। ১৯৩৯ সালের ৬ আগস্ট চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন পঙ্কজ ভট্টাচার্য। শিক্ষাজীবন কেটেছে চট্টগ্রাম ও ঢাকায়। তিনি গত শতকের ষাটের দশকের ছাত্র আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ এবং পরবর্তী বাংলাদেশের সব আন্দোলন-সংগ্রামের প্রত্যক্ষদর্শী, একজন নেতৃস্থানীয় কর্মী ও সংগঠক। ১৯৬৬ সালে তিনি ‘স্বাধীন বাংলা ষড়যন্ত্র’ মামলায় অভিযুক্ত হয়ে কারারুদ্ধ হন।পঙ্কজ ভট্টাচার্য মুক্তিযুদ্ধে ন্যাপ-ছাত্র ইউনিয়ন-কমিউনিস্ট পার্টি গেরিলা বাহিনীর সংগঠক ছিলেন। স্বাধীনতার পর দীর্ঘদিন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০১৩ সালে তিনি ঐক্য ন্যাপ নামে রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ মে ২০২৩


দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ নিম্নবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষ গরিব হয়ে যাচ্ছে: মেনন

দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ নিম্নবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষ গরিব হয়ে যাচ্ছে: মেনন

দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ নিম্নবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষ গরিব হয়ে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। তাঁর মতে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, মূল্যস্ফীতি, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি ও দুর্নীতির কারণে এমনটি হচ্ছে।রাশেদ খান মেনন বলেন, একদিকে দ্রব্যমূল্য আকাশচুম্বী, মূল্যস্ফীতি বাড়ছে হু হু করে, বাড়ছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম। অন্যদিকে উন্নয়ন হলেও দুর্নীতি-লুটপাটের মাধ্যমে মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ টাকার পাহাড় গড়ছেন। ফলে মধ্যবিত্তরা হচ্ছেন নিম্নবিত্ত আর নিম্নবিত্তরা গরিব হয়ে যাচ্ছেন। সীমাহীন বৈষম্যে মানুষ আজ পথহারা।রাশেদ খান মেননের ৮০তম জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী ও বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী আলোচনা সভাটির আয়োজন করেছিল। মেনন বলেন, ‘এখন ছাত্ররাজনীতির চরম খরা চলছে। কৃষক, শ্রমিক, যুব, নারী আন্দোলনের অবস্থাও ভালো না। কারণ, রাজনীতির নাকি চরম দুরবস্থা। এখন নাকি কথা বলা যায় না! কিন্তু ষাটের দশকের অবস্থা আরও ভয়াবহ ছিল।’অনুষ্ঠানে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বলেন, ‘এখন তো আপনারা কথা বলতে পারেন, লিখতে পারেন, গাইতে পারেন। তখনকার সময়ে (ষাটের দশক) গানও গাইতে পারতাম না। স্লোগান দিতে পারতাম না। “লাল ঝান্ডা” উচ্চারণই করা যেত না। বলতে হতো “আজাদি ঝান্ডা”।’আলোচনা সভায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন,‘রাজনীতিতে আমাদের দুটো শত্রু স্পষ্ট। তার একটি স্বৈরাচারী সামরিক শাসক, অন্যটি সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদ। সময়ের প্রয়োজনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষায় সাম্প্রদায়িকতাকে রুখতে ওয়ার্কার্স পার্টি লড়ছে, লড়বে। সেই লড়াইয়ে থাকবে আজকের তারুণ্য।’

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ মে ২০২৩


দেশের মানুষ জানেন শেখ হাসিনা সৎভাবেই জীবনযাপন করছেন : কাদের

দেশের মানুষ জানেন শেখ হাসিনা সৎভাবেই জীবনযাপন করছেন : কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যত লাফালাফি করেন আন্দোলনের দিন শেষ। আন্দোলনের জন্য মানুষ আর আসবে না। মানুষ বুঝে গেছে বিএনপিকে দিয়ে আর কিছু হবে না। মানুষ বলে বিএনপি হাঁটু ভাঙা দল।শুক্রবার (১৯ মে) বিকেলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা (নেতাকর্মীরা) হতাশ হবেন না, দেশের জনগণ শেখ হাসিনার সঙ্গে রয়েছেন। যে দেশে শেখ হাসিনার মতো প্রধানমন্ত্রী আছে সে দেশে আন্দোলনের ডাক দেওয়া যাবে, কিন্তু আন্দোলনের মানুষ পাওয়া যাবে না। দেশের মানুষ জানেন তিনিই সৎভাবে জীবনযাপন করছেন, তিনি লুটপাট করেননি। কাদের আরও বলেন, আন্দোলনের নেতা নেই, নির্বাচনের নেতা নেই কাকে নিয়ে ভোট করবেন? পেট্রোল বোমা মেরে ষড়যন্ত্র করতে গেলে বাংলার মানুষ রুখে দাঁড়াবে।সেতুমন্ত্রী বলেন, বিদেশি বন্ধুদের আশস্ত করে বলতে চাই, আগামী নির্বাচন একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং ঐতিহাসিক নির্বাচন হবে। আপনাদের কাউকে নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার নেই। বিএনপির মতো হাঁটুভাঙা দল নিয়ে মাথা ঘামানো দরকার নেই।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ মে ২০২৩


খুলনায় পুলিশের সাথে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ

খুলনায় পুলিশের সাথে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ

খুলনায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষখুলনায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।শুক্রবার (১৯ মে) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।এদিকে, এ ঘটনায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ১০ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আজকে বিএনপির একটি কর্মীসভা ছিল। তারা খুলনা প্রেসক্লাবে প্রোগ্রাম করছিলেন। কিন্তু তাদের নেতৃস্থানীয় নেতারা আসার পর বেশ কিছু নেতাকর্মী রাস্তা বন্ধ করে প্রোগ্রাম শুরু করে। আমরা পেছনে সরে গেলেও কিছু উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মী আমাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। ফলে আমরা টিয়ারশেল এবং কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে বাধ্য হই। এছাড়া আমাদের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানাতে পারব।তবে বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেন, বিভিন্ন জায়গায় বিএনপি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করছে। কিন্তু খুলনায় কেন প্রত্যেকবার শান্তিপূর্ণ সমাবেশে এভাবে পুলিশ উসকানি দিয়ে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট মারবে। আজকে আমাদের ১২ জন নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ ও অসংখ্য নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বক্তব্য শুরু করেছেন মাত্র। তখনই শুরু করে দিল মুহুর্মুহু টিয়ারশেল নিক্ষেপ। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করছিলাম। হঠাৎ করে টিয়ারশেল-গুলি নিক্ষেপ করা হয়েছে। আমাদের বেশ কিছু নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আমাদের গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক অধিকার আছে সভা-সমাবেশ করার। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা কেন আসবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ মে ২০২৩


সর্বাধিক পঠিত

গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরকে দুদকে তলব

গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরকে দুদকে তলব

অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গাজীপুরের বরখাস্ত হওয়া মেয়র জাহাঙ্গীরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।তলবি নোটিশে তাকে আগামী ২২ মে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হয়ে বক্তব্য দেওয়ার জন্য অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপ-পরিচালক আলী আকবর অনুরোধ করেছেন।বুধবার (১৭ মে) দুদকের প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প থেকে অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতসহ ভুয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগ অনুসন্ধানের স্বার্থে তাকে তলব করা হয়েছে বলে জানা গেছে। গত বছরের জুন মাসে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প থেকে অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতসহ ভুয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। একইসঙ্গে দুই সদস্যের টিম গঠন করা হয়। সংস্থাটির সচিব মো. মাহবুব হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগ।ওই প্রজ্ঞাপনে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ভুয়া দরপত্র, নির্দিষ্ট কোম্পানিকে দর দেওয়ার অনুরোধ সংক্রান্ত (আরএফকিউ) দরপত্রে অনিয়ম, বিভিন্ন পদে অযৌক্তিক লোকবল নিয়োগ, বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষ্যে ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে ও একই কাজ বিভিন্ন প্রকল্পে দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, প্রতি বছর হাটবাজার ইজারার টাকা যথাযথভাবে নির্ধারিত খাতে জমা না রাখাসহ বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। এছাড়া ভূমি দখল ও ক্ষতিপূরণ ছাড়া রাস্তা প্রশস্তকরণ সংক্রান্ত অভিযোগও রয়েছে।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, উল্লিখিত অভিযোগগুলো ক্ষমতার অপব্যবহার, বিধিনিষেধের পরিপন্থি কার্যকলাপ, দুর্নীতি ও ইচ্ছাকৃত অপশাসনের শামিল, যা সিটি কর্পোরেশন আইনানুযায়ী অপসারণযোগ্য অপরাধ। ইতোমধ্যে এসব অভিযোগের তদন্ত কার্যক্রম শুরু করার মাধ্যমে অপসারণের কার্যক্রমও শুরু করেছে। সুষ্ঠু তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।এর আগে ওই বছরের ১৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে জাহাঙ্গীর আলমের কিছু বিতর্কিত মন্তব্য সংবলিত ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর গত ৩ অক্টোবর জাহাঙ্গীর আলমকে শোকজ করা হয়েছিল। আর গত ১৫ মে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে আওয়ামী লীগ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ মে ২০২৩


যুক্তরাষ্ট্র হয়তো আমাকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না: শেখ হাসিনা

যুক্তরাষ্ট্র হয়তো আমাকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না: শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র হয়তো তাকে ক্ষমতায় চায় না বলেই বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।সাম্প্রতিক যুক্তরাজ্য সফরের সময় বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বিবিসির সাংবাদিক ইয়ালদা হাকিম। সাক্ষাৎকারের একটি অংশের ভিডিও তিনি টুইটারে শেয়ার করেছেন।বিবিসি জানতে চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের র্যাবের ওপর কেন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বলে তিনি মনে করেন।জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, যে বাহিনীর ওপর তারা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, সেটা তাদের পরামর্শেই ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। তাদের সব প্রশিক্ষণ, সরঞ্জাম যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছে। যেভাবে তারা এ বাহিনীবে প্রশিক্ষণ দিয়েছে, তারা সেভাবেই কাজ করছে বলে আমার বিশ্বাস। তাহলে কেন তারা এই নিষেধাজ্ঞা দিল? এটা আমার কাছেও বিরাট এক প্রশ্ন।ইয়ালদা হাকিম তখন জানতে চান, যুক্তরাষ্ট্র তাহলে কেন এটা করেছে বলে শেখ হাসিনা মনে করেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জানি না, হয়তো তারা আমার কাজ অব্যাহত থাকুক তা চায় না, আমি বাংলাদেশের জন্য যেসব উন্নতি করেছি, সেটা তারা হয়ত গ্রহণ করতে পারছে না। এটা আমার অনুভূতি।গুরুতর’ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর এলিট ফোর্স র্যাব এবং এর সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র সরকার।এরপর বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানানো হলেও যুক্তরাষ্ট্রের সাড়া মেলেনি। যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই বলে আসছে, নিষেধাজ্ঞা উঠানোর প্রক্রিয়া বেশ ‘জটিল’।শেখ হাসিনা সাক্ষাৎকারে বলেন, একটা সময় সন্ত্রাসবাদ সব দেশের জন্যই সমস্যা হয়ে উঠেছিল। বাংলাদেশে সরকার সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে। এরপর মাত্র একটি ঘটনা (হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলা) ঘটেছে। বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে রাখতে কঠোর পরিশ্রম করেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ মে ২০২৩


বিদেশিরা ক্ষমতায় বসাবে এমন চিন্তা শেখ হাসিনা করেন না: কাদের

বিদেশিরা ক্ষমতায় বসাবে এমন চিন্তা শেখ হাসিনা করেন না: কাদের

বিদেশিরা এসে আমাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দিবে এমন অসম্ভব চিন্তা শেখ হাসিনা কখনো করনে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেন, ক্ষমতায় বসাবার মালিক বাংলাদেশের জনগণ। আমরা জনগণের শক্তিতে বিশ্বাসী। শেখ হাসিনা নিজেই বলেছেন, আমরা ক্ষমতায় আসতে চাই জনগণের ভোটে। জনগণ চাইলে আছি, না চাইলে নেই। এ মানসিকতা যার তিনি বিদেশি বা দেশী ষড়যন্ত্রকারীদের ভয় পাবেন মনে করার কোনো কারণ নেই।মঙ্গলবার (১৬ মে) সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ঢাকা -১৭ আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর পাঠান ফারুকের মরদেহে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে পশ্চিমাদের ওপর ক্ষুদ্ধ- মির্জা ফখরুলের এমন মন্তব্যের জবাবে কাদের বলেন, তিনি মনে করছেন পশ্চিমারা তাকে ও তার দলকে ক্ষমতায় বসাতে পারবে। ঘন ঘন তাদের দুয়ারে ধর্ণা দিচ্ছেন। নালিশের পর নালিশ লবিস্ট করছেন। আওয়ামী লীগের বা শেখ হাসিনার কোনো লবিস্ট নেই।প্রয়াত চিত্রনায়ক ফারুকের কর্মজীবন স্মরণ করে তিনি বলেন, চিত্রনায়ক ফারুক বঙ্গবন্ধুর ডাকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন। আজীবন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে গেছেন। আদর্শের প্রশ্নে ছিলেন অবিচল, অনড় ও আপোসহীন।কাদের বলেন, তার (ফারুক) থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। বিশেষ করে আদর্শের প্রশ্নে তিনি সংকটেও দিশেহারা হননি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ২১ বছর আমরা ক্ষমতায় ছিলাম না। নায়ক ফারুক তখনও ছিলেন জনপ্রিয় নায়ক। কিন্তু সেসময়ও তার পেশাজীবনে ক্ষতি হবে সেটা হতেও পারতো তারপরও তিনি বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আওয়ামী লীগের আদর্শ ধারণ করে গেছেন।তিনি বলেন, তার লাইফ ছিল কালারফুল। একদিকে নায়ক আরেকদিকে রাজনীতি। মাঠের সক্রিয় রাজনীতি করেছেন। চিত্রনায়ক ফারুকের মতো সরাসরি রাজনীতির মাঠে ছিলেন এভাবে কোনো নায়ককে দেখিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ মে ২০২৩


জাহাঙ্গীরকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি

জাহাঙ্গীরকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলমকে আওয়ামী লীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি তুলেছেন দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যরা। রোববার (১৪মে) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসময় জাহাঙ্গীর আলমকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা।বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যরা বলেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম দলের ক্ষমা পাওয়ার পরও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গে লিপ্ত রয়েছেন। নিজের প্রার্থিতা অবৈধ হওয়ার পরও মায়ের জন্য মাঠে কাজ করছেন তিনি। দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। তিনি তার সব ক্ষমতা দেখাচ্ছেন। দলে থেকে দলীয় শৃঙ্খলা মানবেন না, তা হতে পারে না। আমরা তা স্থায়ী বহিষ্কার চাচ্ছি। আগামীতে দলের যেকোনো বৈঠকে দলের নেত্রীর কাছে বিষয়টি তুলে ধরার দাবি জানান তারা। আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, সিটি কর্পোরেশনের পাঁচ নির্বাচন নিয়ে বৈঠকে আমাদের কথা হয়েছে। এখানে এক অভিমত প্রতিফলিত হয়েছে। অভিমত সঠিক জায়গায় পৌঁছে দেওয়া হবে।সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ডা. দীপু মণি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সুজিত রায় নন্দী, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাশ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ-দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. সায়েম খান ও কার্যনির্বাহী সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজী উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ মে ২০২৩


দেশের মানুষ কোনো অগ্নিসন্ত্রাসীদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না: হানিফ

দেশের মানুষ কোনো অগ্নিসন্ত্রাসীদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না: হানিফ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল-আলম হানিফ বলেছেন, বিভিন্ন সময়ে বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনকে প্রতিহত করেছে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। আগামী দিনেও বিএনপি নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে তাদের সন্ত্রাসীদেরকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য যুবলীগই যথেষ্ট। এদেশের মানুষ কোনো অগ্নিসন্ত্রাসীদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না।শনিবার (১৩মে) বিকেলে ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে যুবলীগের উদ্যোগে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। সমাবেশের সঞ্চালনা করেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।এসময় মাহবুব উল-আলম হানিফ বলেন, বাংলাদেশের জনগণের ওপর বিএনপির ভরসা নেই। এই কারণে তারা ক্ষমতায় আসতে জনগণের কাছে না গিয়ে বিদেশি প্রভুদের কাছে গিয়ে ধরনা দিচ্ছে। যদি এদেশের জনগণ বিএনপির সঙ্গে থাকত, তাহলে তাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে থাকতে হতো না। তাদের নেতা-কর্মীরা আন্দোলন-সংগ্রাম করে তাকে ছাড়িয়ে নিতো।এসময় আরও বক্তব্য রাখেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, মো. জসিম উদ্দিন মাতুব্বর, মো. আনোয়ার হোসেন, যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান চপল, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ মে ২০২৩


স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই- আমিনুল ইসলাম

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই- আমিনুল ইসলাম

আগামীতে একটি আধুনিক, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের সামনে শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই। আজকের বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকটের মাঝেও দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছে বলেই আজ বিশ্ব নেতৃবৃন্দ শেখ হাসিনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তাকে দেখছেন অনুপ্রেরণা হিসেবে।আজ সকাল ১১ টায় সাতকানিয়া উপজেলার গরিবারঝিল ও নলুয়া ইউনিয়নে সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১৮ টি পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান কালে আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন এই কথা বলেন।তিনি আরো বলেন, কোভিড উত্তর রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধকালীন চরম বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মাঝেও বাংলাদেশ অনেকের চেয়ে ভালো অবস্থানে আছে শুধুমাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ভিশনারী, ডায়নামিক ও দূরদর্শী নেতৃত্বের জন্যে । যে কারণে আজ বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফ,সহ বিশ্ব নেতৃবৃন্দ শেখ হাসিনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আজ শুধু আমাদের নয় খোদ বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সোনাকের কাছেও বড় প্রেরণার নাম। তিনি বলেন, বিপদে আপদে আওয়ামীলীগ সব সময় মানুষের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে। তাই এই দেশের জনগণ আবারো শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেতে চায়। এই লক্ষ্যে তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান। এই সময় তার সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি মাস্টার ফরিদুল আলম, সাধারণ সম্পাদক কুতুবউদ্দিন চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক জসিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল গফুর লালু, সাধারণ সম্পাদক একেএম আসাদ, প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা মাস্টার ফারুক আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ মিয়া, মদিনা আওয়ামী ফাউন্ডেশনের সভাপতি ইদ্রিস, আনম সেলিম, লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের তৈয়বুল হক বেদার, আজিজুর রহমান, কৃষক লীগ সাধারণ সম্পাদক নুর হোসেন, লুৎফর রহমান, যুবলীগ নেতা এসএম আজিজ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের জায়েদ বিন কাশেম, ছাত্রলীগের তোফাজ্জল হোসেন তুহিন,তাসরিফুল ইসলাম জিল্লু মোরশেদুল আলম প্রমুখ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ মে ২০২৩


একই টেবিলে ফখরুল-জিএম কাদের, রাজনীতিতে পরিবর্তনের আভাস

একই টেবিলে ফখরুল-জিএম কাদের, রাজনীতিতে পরিবর্তনের আভাস

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা সবাই অপেক্ষা করছি পরিবর্তনের জন্য। বৃহস্পতিবার (১১মে) গুলশানে বাংলাদেশ কল্যান পার্টি আয়োজিত রাজনৈতিক দলের ঈদ আড্ডা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।মির্জা ফখরুল বলেন, এখানে প্রধান প্রধান রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ জেনারেল মুহাম্মদ ইবরাহিমের ডাকে সাড়া দিয়েছেন। এই আড্ডা সব দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি আড্ডাটা নতুন করে আশা তৈরি করবে। আমরা সবাই অপেক্ষা করছি পরিবর্তনের জন্য। অপেক্ষা করছি সত্যি করে অর্থে এটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ করা তার জন্য।জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, রাজনৈতিক নেতারা কারো প্রতিপক্ষ নন, একে অপরের যেন শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদেরকে একে অপরের প্রতি সহনশীল হতে হবে। সামাজিক ভাবে কাজ করতে হবে। তাহলে দেশের রাজনীতিতে আগামীতে সুবাতাস বইবে।বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অব: সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক এর সভাপতিত্বে ও দলটির যুগ্ম মহাসচিব আবদুল্লাহ আল হাসান সাকীবের সঞ্চালনায় গুলশানের ১ এর এক কনভেনশন সেন্টারে আয়োজন করা হয় এই ' ঈদ আড্ডা 'র।ঈদ আড্ডায় যোগ দেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাপার চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জাগপার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান, এনপিপির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, গণফোরামের সভাপতি মোস্তফা মহসীন মন্টু, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর, জাগপার চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ মাইনরিটি পার্টির চেয়ারম্যান সুকৃতি মন্ডল, বিকল্পধারার চেয়ারম্যান ড নুরুল বেপারী, এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, সাংবাদিক নেতা কবি আব্দুল হাই শিকদার, কাদের গণি চৌধুরী, শহিদুল ইসলাম, সরদার ফরিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ মে ২০২৩


এ মাসেই সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলনে নামছে বিএনপি

এ মাসেই সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলনে নামছে বিএনপি

বাংলাদেশের রাজনীতি আবারও উত্তপ্ত হতে যাচ্ছে এই মাসের শেষের দিকে কারণ প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি ও সমমনা দলগুলো সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলনে নতুন কর্মসূচি নিয়ে ২০ মে থেকে ফের রাজপথে নামছে। জেলা সমাবেশের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে প্রথম ধাপের কর্মসূচি। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপিকে রাজপথে মোকাবেলা করার জন্য ঘোষণা দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশে যারা আন্দোলনে জিতবে তারাই পরবর্তীতে নির্বাচনেও জিতবে। ৬৪ জেলাতেই সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। মঙ্গলবার স্থায়ী কমিটি ও বুধবার সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এ কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়। চার পর্বে প্রতি শনিবার এ কর্মসূচি পালন করা হবে। পরশু ঢাকায় এক সমাবেশ থেকে এর ঘোষণা আসবে। দলটির নীতিনির্ধারণী সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।সূত্র জানায়, স্থায়ী কমিটির বৈঠকে চূড়ান্ত আন্দোলনের কর্মসূচির খসড়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ঈদুল আজহার পর চূড়ান্ত ধাপে ঢাকা অভিমুখে কর্মসূচির পক্ষে মত দেন নেতারা। সেক্ষেত্রে ঢাকা ঘেরাও, ঢাকামুখী রোডমার্চ, ঢাকায় অবস্থান কর্মসূচি দেওয়া যেতে পারে বলে জানান তারা।সমমনা দলসহ বিভিন্ন পর্যায় থেকে নতুন কর্মসূচি হিসাবে ঢাকা থেকে বিভাগ অভিমুখে রোডমার্চের প্রস্তাব দিলেও তাতে আগ্রহ দেখায়নি দলটির নীতিনির্ধারকরা। এ কর্মসূচি নির্বিঘ্নে করা যাবে কিনা-তা নিয়ে সংশয় থাকায় আপাতত না করার পক্ষে মত দেন তারা।এর পরিবর্তে বড় জেলায় সমাবেশ করার পক্ষে সবাই পরামর্শ দেন। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্য দিয়েই সরকারের ওপর প্রবল চাপ তৈরির পক্ষে নীতিনির্ধারকরা। তাই আপাতত হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচিতেও যেতে চায় না দলটি।এদিকে সরকারের পতন ও রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চের ঘোষিত দফা নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছতে না পারায় বিলম্ব হবে যৌথ রূপরেখার ঘোষণা। এ নিয়ে সমঝোতায় গণতন্ত্র মঞ্চসহ সমমনা দলগুলোর সঙ্গে ফের আলোচনায় বসতে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।সরকারবিরোধী চূড়ান্ত আন্দোলনে ‘অলআউট’ মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। আন্দোলনের রোডম্যাপ চূড়ান্ত করতে সমমনা দলগুলোর সঙ্গে সিরিজ বৈঠক করে দলটি। কর্মসূচিসহ সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে করণীয় নিয়ে তাদের মতামত নেওয়া হয়।একই লক্ষ্যে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদেরও মতামত নেয় হাইকমান্ড। কর্মসূচির পাশাপাশি যৌথ রূপরেখা চূড়ান্তেও গণতন্ত্র মঞ্চের শরিকদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়। এসব বৈঠকের একটি সারসংক্ষেপ তৈরি করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১১ মে ২০২৩


আগামী নির্বাচন বড় ঘটনা জন্ম দিতে পারে: জিএম কাদের

আগামী নির্বাচন বড় ঘটনা জন্ম দিতে পারে: জিএম কাদের

আগামী জাতীয় নির্বাচন ইতিহাসে বড় ঘটনা জন্ম দিতে পারে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। বুধবার (১০ মে) বনানী পার্টি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, “আগামী জাতীয় নির্বাচন ইতিহাসে বড় ঘটনা জন্ম দিতে পারে। সেটা খারাপের দিকেও যেতে পারে আবার ভালোর দিকেও যেতে পারে। সামনের দিকে রাজনীতিতে সংঘাত হতে পারে, আবার দমন পীড়ন করে রাজনীতিকে দাবিয়ে রাখা হতে পারে।” দেশের রাজনীতিতে সমস্যা আছে মনে করে, এর সমাধান খুঁজে না পাওয়ার কথা জানান তিনি।আরেক প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের জানান, “আমরা আশা করতে চাই সিটি নির্বাচনগুলো সুষ্ঠু হবে। ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন।” এজন্য সরকার ও নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে বলেও আশা করেন তিনি।বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নিজ দলের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানান জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, “আমরা নিজস্ব রাজনীতি নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে যাচ্ছি। নির্বাচনের সময় আমরা জনগণের প্রত্যাশা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো। কি করলে জনগণের ভালো হবে আমরা তা বিবেচনা করেই নির্বাচনে সিদ্ধান্ত নেবো।”এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর প্রেস সেক্রেটারি-০২ খন্দকার দেলোয়ার জালালী এবং পার্টি নেতৃবৃন্দ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১০ মে ২০২৩


নৌকার বিরুদ্ধে প্রচারণা, জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নিবে : ওবায়দুল কাদের

নৌকার বিরুদ্ধে প্রচারণা, জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নিবে : ওবায়দুল কাদের

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রচারণার চালানোর যে অভিযোগ উঠেছে সেখানকার বরখাস্ত মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে, সে বিষয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।আজ বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে বিদ্যুৎ–চালিত যানের কর্মশালায় যোগ দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।গাজীপুরের সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে জাহাঙ্গীর আলম নিজে প্রার্থী হন এবং তাঁর মা জায়েদা খাতুনকে প্রার্থী করেন। কিন্তু ঋণখেলাপি হওয়ার অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলমের প্রার্থিতা বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। তিনি প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্ট পর্যন্ত গিয়েছিলেন। কিন্তু হাইকোর্টেও তাঁর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল থাকে।তবে জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুনের প্রার্থিতা বহাল রয়েছে। জাহাঙ্গীর আলম প্রার্থিতা ফিরে না পেয়ে তাঁর মায়ের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন। তিনি দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছেন বলে উভিযোগ উঠেছে।এমন পটভূমিতে জাহাঙ্গীর আলমের ব্যাপারে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, সাংবাদিকদের এই প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দলে ব্যবস্থার কোনো সিদ্ধান্ত না হলে আমি কিছু বলতে পারব না। তিনি (জাহাঙ্গীর আলম) আওয়ামী লীগের মেয়র ছিলেন। কিন্তু তাঁর মা আওয়ামী লীগের কোনো দলীয় পদে ছিলেন না। তিনি আওয়ামী লীগ হলেও তাঁর মা আওয়ামী লীগ নন। এর ফলে বিষয়টি ভিন্ন।’ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জাহাঙ্গীর আলম আওয়ামী লীগ করতেন। তিনি আওয়ামী লীগে ছিলেন। আওয়ামী লীগ থেকে মেয়র হয়েছেন। কিন্তু তাঁর মা প্রকাশ্যে কখনো আওয়ামী লীগ করেছেন, এটা তো আমাদের জানা নেই। কাজেই তাঁকে বিরত রাখা আমাদের বিষয় নয়।’

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১০ মে ২০২৩


নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না জাহাঙ্গীর : হাইকোর্ট

নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না জাহাঙ্গীর : হাইকোর্ট

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জাহাঙ্গীর আলমের দায়ের করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করে রিটার্নিং কর্মকর্তা যে সিন্ধান্ত দিয়েছেন তা বহাল থাকল বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।সোমবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুবুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে রিটটির ওপর শুনানি শুরু হয়।আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ফিদা এম কামাল, সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরসেদ, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, মো. আসাদুজ্জামান মনির, ওয়ায়েস আল হারুনী, নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী প্রমুখ।আদালতের আদেশের পর জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন তিনি হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।গতকাল ৭ মে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন জাহাঙ্গীর আলম। রিটে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।গত ৪ মে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের করা জাহাঙ্গীর আলমের আপিল নামঞ্জুর হয়।গত ৩০ এপ্রিল মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।ঋণখেলাপির অভিযোগে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয় বলে জানানো হয়। তবে তার মা জায়েদা খাতুনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান। জাহাঙ্গীর আলম দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ মে ২০২৩


পরাজয়ের ভয়ে বিএনপি নির্বাচনে আসতে চাইছে না : নানক

পরাজয়ের ভয়ে বিএনপি নির্বাচনে আসতে চাইছে না : নানক

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, “পরাজয়ের ভয়ে বিএনপি নির্বাচনে আসতে চাইছে না। তারা জনগণের অবস্থান বুঝতে পেরেছে। এবার সিলেটসহ দেশের অন্য পাঁচ সিটি করপোরেশনে নৌকার পক্ষে গণজোয়ারের খবর তাদের অজানা নয়। তাছাড়া তাদের অতীত কার্যক্রম জনগণের মনে আছে। তাদের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে।”শুক্রবার (৫ মে) সিলেট মহানগরীর একটি হোটেলে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।এক প্রশ্নের জবাবে নানক বলেন, “সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকা অবশ্যই জয় পাবে।” নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তারা জানে জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। কারণ, তাদের দুঃশাসনের স্মৃতি মানুষ ভুলেনি। এ অবস্থায় নিশ্চিত পরাজয়ের ভয়ে তারা নির্বাচনে আসতে চাইছে না। আত্মসম্মান হারানোর ভয়ে কেউ নির্বাচনে না এলে আমাদের করার কিছু নেই।“নানক আরও বলেন, “সম্প্রতি সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে নৌকা বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছে। শেখ হাসিনার উন্নয়নের কারণেই তা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু সিলেট সিটি করপোরেশনের মানুষের উন্নয়নের জন্য সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা দিলেও কাঙ্খিত উন্নয়ন হয়নি। এটা সিলেটবাসীর দুর্ভাগ্য। তবে এবার নৌকার জয় হবে এবং সিলেটকে তিলোত্তমা নগরী হিসাবে গড়ে তোলা হবে।”মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে ও জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী দুলাল ও এটিএম হাসান জেবুলের যৌথ পরিচালনায় এ সময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জেবুন্নেছা হক, সিলেট বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন এবং সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ মে ২০২৩