গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করা জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। তিনি বলেছেন, দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরলেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।মির্জা আজম বলেছেন, ‘গত পরশু দিন আমরা মিটিং করেছি। গাজীপুর ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলেছি। সবাই একমত, নেত্রী দেশে এলেই জাহাঙ্গীরের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, অথবা প্রধানমন্ত্রী ব্যবস্থা নেবেন, তাঁর বিষয়ে কখন কী করবেন।’গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুর সদর উপজেলার বাড়িয়া ইউনিয়নের আমতলী ছুটি রিসোর্টে আয়োজিত গাজীপুর সদর মেট্রো থানা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের যৌথ কর্মিসভায় এসব কথা বলেন মির্জা আজম।জাহাঙ্গীরকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে জানিয়ে দলের এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ‘জাহাঙ্গীর আলম বিরাট পাপ করার পরেও শেখ হাসিনা তাঁকে সাধারণ ক্ষমা করেছেন। ক্ষমা পেয়ে আবেদনে উল্লেখ করেছিল তাঁর বাদবাকি জীবনে আওয়ামী লীগের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কোনো কাজ করবেন না। সেটির ব্যত্যয় ঘটিয়ে প্রার্থী হয়েছেন। শুধু প্রার্থী হলেও ৯ তারিখ পর্যন্ত তাঁকে মাফ করতাম। ভাবতাম সে প্রার্থী হয়েছে পরে প্রত্যাহার করবে, কিন্তু সে মিডিয়ায় যে বক্তব্য দিয়েছে, সেটা শুধু দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেনি। বিরাট অপরাধ করে ফেলেছে।’গাজীপুর সিটি নির্বাচনকে একটি বিজয়ের নির্বাচন হিসেবে উল্লেখ করে মির্জা আজম বলেন, যিনি প্রার্থী হয়েছেন তিনি যেমন স্বচ্ছ, তেমনি এখানকার সাংগঠনিক কাঠামোও শক্তিশালী। সবকিছু নজরদারিতে রাখা হবে। যেসব কাউন্সিলর শুধু নিজেদের ভোট চাইবেন, নৌকার ভোট চাইবেন না, তাঁরা ওয়ার্ড, থানা, মহানগর কোথাও কোনো পদ পাবেন না।’সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি নির্বাচনের নৌকা মনোনীত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খান। উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মহানগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতা–কর্মীরা।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ মে ২০২৩
সরকারবিরোধী দলগুলোকে সাথে নিয়ে ধীরে ধীরে চূড়ান্ত আন্দোলনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে বিএনপি। দলটি ঢাকা অভিমুখে চূড়ান্ত এবং শেষ কর্মসূচি পালনের বিষয়ে সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামে আলোচনা শুরু করেছে। তবে তার আগে এ মাসের শেষে কিংবা জুনের প্রথমার্ধে এক বিভাগ থেকে আরেক বিভাগে রোডমার্চের মতো জনসম্পৃক্ততামূলক কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে। আগামী সপ্তাহে দলটি রোডমার্চ কিংবা এ ধরনের একাধিক কর্মসূচির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানা গেছে।বিএনপি নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো জানিয়েছে, নতুন কর্মসূচির পথ ধরে বিএনপি চূড়ান্ত আন্দোলনে যেতে চায়। এই জন্য দলের শীর্ষ নেতৃত্ব যুগপৎ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী দলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা ও বিএনপি সমর্থক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের মতামত নিচ্ছেন।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আগামীকাল ৪ মে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকদের সাথে বৈঠক করবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। এরই মধ্যে সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সাথে বৈঠক করে তাদের মতামত নিয়েছেন দলের লিয়াজোঁ কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। এসব মতামত নিয়ে স্থায়ী কমিটির পরবর্তী সভায় আলোচনা করে কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হবে।কর্মসূচি নিয়ে গত সোমবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় আলোচনা হয়েছে। সেখানে নেতারা দ্রুত আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।বৈঠকে নেতাদের কয়েকজন বলেন, গত কয়েক মাসে বিএনপি প্রায় সব ধরনের কর্মসূচি পালন করেছে। তাই এবার অধিকতর আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত আন্দোলনের জন্য কর্মসূচির পথরেখা তৈরি করতে হবে। এমন কর্মসূচি দিতে হবে যাতে আন্দোলনে গতি আসে। স্থায়ী কমিটির বৈঠক সূত্র জানায়, বৈঠকে নেতাদের অনেকে রোডমার্চের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা উত্থাপন করেন।বিএনপি নেতারা জানান, এসএসসি পরীক্ষার কারণে কর্মসূচি ঘোষণার বিষয়টি কিছুটা ধীরগতিতে এগোচ্ছে। এসএসসি পরীক্ষার মধ্যে কোনো বড় ধরনের কর্মসূচিতে যেতে চায় না দলটি। পরীক্ষা শেষ হওয়া মাত্রই চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে কর্মসূচি শুরু হতে পারে।বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক নেতা জানিয়েছেন, সরকারবিরোধী চূড়ান্ত আন্দোলনের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সে লক্ষ্যে ঈদুল আজহার আগেই আন্দোলনের শক্ত ভিত্তি তৈরি করতে চায় দলটি। আন্দোলনকে অযথা টেনে দীর্ঘমেয়াদি করতে চান না নীতিনির্ধারকেরা।জানা গেছে, সোমবারের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে কর্মসূচি কেন্দ্রিক আলোচনা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর চলমান তিন দেশ সফর নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে নেতারা প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে কোনো অর্জন নেই বলে মনে করছেন। এ সফরকে তারা পিকনিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।গতকাল দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, প্রস্তাবিত অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল-২০২৩ নিয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এটি নানা কারণে বিতর্কিত, অগণতান্ত্রিক, শ্রমিক ও পেশাজীবীদের স্বার্থবিরোধী, একতরফা, নিবর্তনমূলক এবং আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতির স্পষ্ট বরখেলাপ। এই আইনটি প্রণয়নে কোনো পর্যায়ই অংশীজনের মতামত নেয়া হয়নি। বিএনপি মনে করে, প্রস্তাবিত বিলটি শুধু শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থ ও অধিকারকেই ক্ষুণ্ণ করবে না, এটি সামগ্রিকভাবে গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং জনগণের সংবিধানসম্মত প্রতিবাদের অধিকার পরিপন্থী। বিএনপি প্রস্তাবিত অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল-২০২৩ প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে।যুগপৎ আন্দোলনের যৌথ ঘোষণা চূড়ান্ত : বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ধারাবাহিক আলোচনা করে যুগপৎ আন্দোলনের যৌথ ঘোষণা চূড়ান্ত হয়েছে। এতে নির্দলীয় সরকারের দাবিতে ১০ দফা অটুট রেখে অন্যান্য দলের দাবিগুলো সংযুক্ত করা হবে। এ ছাড়া ভবিষ্যতে রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে দলগুলো কী করবে তার একটি যৌথ রূপরেখাও তুলে ধরা হবে। বিএনপি ইতোমধ্যে ২৭ দফার রূপরেখা ঘোষণা করেছে। এ দফার সাথে অন্যান্য দলের প্রস্তাবগুলো সংযুক্ত করা হচ্ছে।সমমনা দলগুলোর লিয়াজোঁ কমিটির নেতারা জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে এক মঞ্চ থেকে যৌথ ঘোষণা দেয়া হবে। কবে এই ঘোষণা আসবে, তা আগামী দু’একদিনের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে।যৌথ ঘোষণার বিভিন্ন দফা নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের সাথে বিএনপির কিছুটা মতপার্থক্য ছিল। গতকাল মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দুই দল এ বিষয়ে একমত হয়েছে।বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সব দল মিলে যৌথ ঘোষণা দেয়া হবে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। খুব দ্রুত এ ঘোষণা দেয়া হবে।গণতন্ত্র মঞ্চের ও রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, আমরা অল্পদিনের মধ্যে গণতন্ত্র মঞ্চ, বিএনপিসহ অন্যান্য দল নিয়ে আগামীর বাংলাদেশ কেমন হবে- সেটার রূপরেখা যৌথ ঘোষণার মাধ্যমে তুলে ধরব। এ বিষয়ে আমাদের মধ্যে ঐকমত্য হয়েছে।সূত্র - নয়া দিগন্ত
Harun Ur Rashid । ০৩ মে ২০২৩
সরকারের দুর্নীতির কারণে জনগণের জীবন দুঃসহ হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।তিনি বলেন, অবৈধ অনির্বাচিত দখলদার সরকারের অধীনে বাংলাদেশ এখন প্রায় ধ্বংস রাষ্ট্রের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রের দিকে পতিত হচ্ছে। তাদের দুর্নীতির কারণে আজকে জনগণের জীবন দুঃসহ হয়ে পড়েছে।বুধবার (৩ মে) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।দ্রব্যমূল্যের দাম অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছছে দাবি করে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ব্যাংকগুলো পুরোপুরিভাবে খালি করে দেওয়াসহ দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করে দিয়ে অর্থব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যখাত, শিক্ষাখাত সবকিছুতেই একটি নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমাদের ন্যূনতম যে অধিকার- ভোট দেওয়ার অধিকার, কথা বলার অধিকার, স্বাধীন মতপ্রকাশের অধিকার; তা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ১৯৭১ সালে যুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে অধিকারগুলো অর্জন করেছিলাম, সেই অধিকারগুলো পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। তাদের একটি মাত্র উদ্দেশ্য, একদলীয় শাসন ব্যবস্থা আবারও প্রতিষ্ঠা করতে চায়। যেটা তারা করতে চেয়েছিল ১৯৭৫ সালে।বিএনপি মহাসচিব বলেন, যুগপৎ আন্দোলনে আমাদের প্রধান দাবি হচ্ছে এই সরকারের পদত্যাগ। সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে সেই দাবি নিয়ে আমরা আন্দোলন শুরু করেছি। সেই আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে যারা আমাদের সহযোগিতা রয়েছেন, তাদের সঙ্গে আমরা আলাপ-আলোচনা শুরু করেছি। ইতোমধ্যে অনেকগুলো দলের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি। আজকে কর্নেল অলি আহমেদ আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে এসেছেন। আজকের আলোচনা আমাদের শেষ নয়। আবার তার দলের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গেও আলোচনা করবো।লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. অলি আহমদের বলেন, এই আন্দোলন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়, এই আন্দোলন মন্ত্রী হওয়ার জন্য নয়, এই আন্দোলন বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে মুক্ত করার আন্দোলন।রাজনৈতিক দলগুলো তাদের কর্মকাণ্ড স্বাভাবিকভাবে পরিচালনা করতে পারছে না দাবি করে অলি আহমদ বলেন, সাংবাদিকরাও লিখতে পারে না, কারণ আইন করে তাদের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এজন্য দেশকে স্বাধীনতা করা হয়নি। মুক্তিযুদ্ধ করি নাই। মুক্তিযুদ্ধের মূল লক্ষ্য ছিল প্রত্যেকটি মানুষ স্বাধীনভাবে বসবাস করবে এবং তারা ভোট দিয়ে নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা দেশ পরিচালনা করবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৩ মে ২০২৩
আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দলকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে চিঠি দিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে ‘পার্টি টু পার্টি’ এই সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।বিজেপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক বিভাগের প্রধান বিজয় মুরলিধর চৌথাইওয়াল স্বাক্ষরিত ওই চিঠি ইতোমধ্যে ওবায়দুল কাদেরের কাছে পৌঁছেছে। আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র যুগান্তরকে এসব তথ্য জানিয়েছে। সূত্র জানায়, আমন্ত্রণ পেলেও আওয়ামী লীগের ভারত সফরের জন্য প্রতিনিধি দল এখনো চূড়ান্ত হয়নি।এ নিয়ে দলের আনুষ্ঠানিক কোনো বৈঠকও হয়নি। দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরলে তার সঙ্গে আলোচনা করে সম্ভাব্য পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল ভারত সফরের জন্য চূড়ান্ত করা হতে পারে। চলতি মাসের শেষের দিকে বা আগামী মাসের শুরুর দিকে এই সফর অনুষ্ঠিত হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৩ মে ২০২৩
নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করলে জননেত্রী শেখ হাসিনা তৃর্ণমূলের কর্মীদের আকাঙ্খা অনুযায়ী সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে আজীবন বহিষ্কার করতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন। সোমবার বিকালে গাজীপুরে মে দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এসএম কামাল হোসেন বলেন, জাহাঙ্গীর যদি নৌকাকে সমর্থন না করে তাহলে সে জামাত-বিএনপির ষড়যন্ত্রকারীদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে বলে আমি মনে করি। তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবি জাহাঙ্গীর নৌকার পক্ষে কাজ না করলে তাকে আজীবন বহিষ্কার করা হোক। জননেত্রী শেখ হাসিনার তৃণমূল নেতাকর্মীদের চোখের ভাষা বুঝে, তাদের মনের কথা উপলব্ধি করতে পারেন। শেখ হাসিনা তৃণমূলে কর্মীদের দাবীর প্রতি, তাদের আকাঙ্খার প্রতি গুরুত্ব দেন। সেই ক্ষেত্রে তৃণমূলের কর্মীদের আকাঙ্খার বাইরে, জননেত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্তের বাইরে যদি আমিও কাজ করি, আমাকেও ছাড় দেবেন না।আওয়ামী লীগের এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, আমি মনে করি তৃণমূলের দাবি অনুযায়ী, জাহাঙ্গীর যদি নৌকার পক্ষে কাজ না করে, তৃণমূলের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাকে আজীবন বহিষ্কার করতে পারেন। তিনি আরও বলেন, মহান মে দিবসে আজকে আমরা বলতে চাই যে, আওয়ামী লীগ যখন পররাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকে, শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে আওয়ামী লীগ কাজ করে। বঙ্গবন্ধুর সমযোজীবী মানুষের কল্যাণে বড় বড় শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালের ১ মে অনুষ্ঠানিকভাবে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধু শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণ শ্রমিক কৃষকদের মুক্তির লক্ষ্যে কাজ করেছেন। তুমি কর্মচারীর মুক্তির লক্ষ্যে জীবন উৎসর্গ করেছেন। এসএম কামাল হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু বিহীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা শ্রমিকদের কল্যাণে কাজ করছেন। বিএনপির আমলে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন ছিল ১৬০০ টাকা৷ শেখ হাসিনা সেই সৌমিত্রের বেতন বৃদ্ধি করেছেন ৮ হাজার টাকা। করো না মহামারী সময় কর্মক্ষম শ্রমিকদের জন্য ৩৩০০ টাকা অনুদান দিয়েছিলেন তিন মাস পর্যন্ত। বৈশ্বিক মহামারি সময় শ্রমিকদের বেতনের জন্য শ্রমিকরা যাতে সঠিক সময় বেতন পায় সেজন্য ৫ হাজার কোটি টাকা অনুদান দিয়েছিলেন। গার্মেন্টস শিল্প টিকিয়ে রাখার জন্য গার্মেন্টস মালিকদের অনুদান দিয়েছিলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা আছেন বলে আজ বাংলা অর্থনীতির উপর দাঁড়িয়ে আছেন। শ্রমিকদের সন্তানরা আজ বছরের শুরুতেই এক সেট বই পায়। তিনি বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং মহামারী করোনার কারণে দ্রব্যমূলক বৃদ্ধ পায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গরীব দুখী মানুষের পাশে থাকতে ১ কোটি পরিবারকে টিসিবির মাধ্যমে স্বল্প মু্ল্যে তো নিত্যপণ্য জিনিসের ব্যবস্থা করেছেন। আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, যারা জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে, ষড়যন্ত্র করে, তারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে মানুষের জন্য তারা কিছু করেনি। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে লুটপাট করেছেন, কৃষককে গুলি করে হত্যা করেছেন। বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদের রাষ্ট্রে, খুনিদের রাষ্ট্রে ও দুর্নীতিবাজ রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। তারা দেশটাকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে নিয়ে গেছিল। এই বিএনপি জামায়াত আজকে ষড়যন্ত্র করছে। তিনি আরও বলেন, আসন্ন সিটি করব নির্বাচনের নৌকা মার্কা ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে উপহার দিবেন। নৌকায় ভোট দিলে বাংলাদেশের মানুষ ভালো থাকে, শান্তিতে থাকে। নৌকা ভোট দিয়ে বিএনপি-জামাত ষড়যন্ত্রকারীদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ মে ২০২৩
প্রথম আলো: নগরের উন্নয়নে আপনার পরিকল্পনা কী?আজমত উল্লা খান: গাজীপুর সিটি করপোরেশনকে আমি একটি পরিকল্পিত নগর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। শিল্পপ্রধান গাজীপুরে বসতি দিন দিন বাড়ছে। এ জন্য এই সিটি করপোরেশনকে চারটি জোনে (অঞ্চলে) ভাগ করতে চাই। সেগুলো হচ্ছে—আবাসিক, শিল্প, বাণিজ্যিক ও বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করে স্বাস্থ্যসেবা–সংক্রান্ত অঞ্চল। পরিকল্পনার কারণ হচ্ছে, আমরা আগামী প্রজন্মকে এই অসুস্থ পরিবেশে রেখে যেতে পারি না। আমি আমার পরিকল্পনাকে তিন স্তরে ভাগ করেছি। যারা এই লাইনে অভিজ্ঞ, তাদের নিয়ে পরিকল্পনা করে কাজটি করব, যদি আমি জয়ী হই। আমি গাজীপুর সিটি করপোরেশনকে দুর্নীতিমুক্ত সিটি করপোরেশন হিসেবে গড়ে তুলব। আমার নামে এক টাকার দুর্নীতিও নাই। এত দিন গাজীপুর সিটি করপোরেশনে যে বাজেট ও বরাদ্দ হয়েছে, তার সঠিক ব্যবহার হয়নি। যদি সঠিক ব্যবহার হতো, তাহলে আরও উন্নত হয়ে যেত। আজ এখানে কবরস্থান নেই, খেলার মাঠ নেই। এককথায় কিছুই নেই।প্রথম আলো: নির্বাচনী ইশতেহারে কী চমক থাকছে?আজমত উল্লা খান: ৯ মে প্রতীক বরাদ্দ হবে। তারপরই আমি আমার ইশতেহার তুলে ধরব। আমার নির্বাচনী ইশতেহারের প্রধান কথা হলো, সমৃদ্ধ ও সুষম গাজীপুর। আমরা এটাকে সমৃদ্ধ করতে চাই, আমরা এটাকে সুষম বণ্টনের আওতায় আনতে চাই।প্রথম আলো: জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ষড়যন্ত্র করে তাঁর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। আপনি কী মনে করেন?আজমত উল্লা খান: এ বিষয়ে আমার মন্তব্য নেই। তবে নির্বাচনের যে আচরণবিধি, আইন এবং ২০০৯ সালের সিটি করপোরেশন আইনের ভিত্তিতেই তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক উনাকে ঋণখেলাপি বলেছে। সে অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিয়েছে। এটা আমি বা আমাদের বিষয় নয়। এটা আইনের বিষয়। তিনি আপিল করতে চেয়েছেন। তাঁর আপিল করার সুযোগ আছে।প্রথম আলো: জাহাঙ্গীর আলম আপিলে টিকে গেলে আপনার কী করণীয়?আজমত উল্লা খান: আওয়ামী লীগে বিদ্রোহী প্রার্থী বলে কোনো প্রার্থী নেই। সবাই স্বতন্ত্র প্রার্থী। তাই তাঁকে নিয়ে আমাদের কোনো কিছু করণীয় নেই।প্রথম আলো: নির্বাচনে জাহাঙ্গীর আলমের মাকে নিয়ে আসার কারণ কী মনে করেন?আজমত উল্লা খান: জাহাঙ্গীর আলম হয়তো আগেই জানতেন তিনি নির্বাচন করার অযোগ্য হবেন। মাকে দিয়ে মনোনয়নপত্র কেনানোর অর্থ হতে পারে তিনি বর্তমান অবস্থা আগেই জানতেন। তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না, এটাও জানতেন। সে কারণেই হয়তো তিনি তাঁর মাকে প্রার্থী করেছেন।প্রথম আলো: জাহাঙ্গীর মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন। সেখানে তাঁর বড় দুর্বলতা কী ছিল?আজমত উল্লা খান: বিভিন্ন গণমাধ্যমে তাঁর (জাহাঙ্গীর আলম) অসংখ্য দুর্নীতির খতিয়ান বের হয়েছে। চাক্ষুষ অনেক কিছু আছে। সে বিষয়ে আমি বলতে চাই না। জনগণই বিষয়টি জানে এবং জনগণই তার জবাব দেবে।প্রথম আলো: আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ইসির চিঠির বিষয়ে আপনার কী বলার আছে?আজমত উল্লা খান: এটার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, নির্বাচন কমিশন এখানে গ্রহণযোগ্য ও অর্থবহ একটি নির্বাচন করতে চায়। কমিশনের এই চিঠির মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হয়েছে। আমি চিঠি পেয়েছি। তবে চিঠিতে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে মনে হয়েছে, আমি কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘন করিনি। তারা যেহেতু আমাকে ডেকেছে, আমি তাদের বিষয়টির জবাব দেব। আমি বিশ্বাস করি, আমি তাদের বুঝাতে সক্ষম হবে যে আমি কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘন করিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ মে ২০২৩
মে দিবসকে সামনে রেখে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী-সমর্থক নিয়ে ‘মহড়া’ দিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। আজ সোমবার এই কর্মসূচি শেষে সিলেট সিটি নির্বাচনে ইভিএমে (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বক্তব্য দেন তিনি।এদিকে জেলা ও মহানগর বিএনপির শীর্ষপর্যায়ের নেতাদের অংশগ্রহণে মহান মে দিবস উপলক্ষে নগরে আরেকটি মিছিল হয়েছে। তবে সেখানে আরিফুলপন্থী বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের দেখা যায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক নেতা বলেন, সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে আরিফুল নিজের জনসমর্থন দেখাতেই পৃথকভাবে শোডাউন করেছেন। তবে তিনি আসলেই নির্বাচন করবেন কি না, এটা এখনো স্পষ্ট নয়।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ দুপুর ১২টায় নগরের রেজিস্টারি মাঠ থেকে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে মিছিল বের করা হয়। নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে চৌহাট্টা এলাকায় এক সমাবেশের মধ্য দিয়ে মিছিল শেষ হয়।মিছিল চলাকালে আরিফুল হক চৌধুরী হাত উঁচিয়ে রাস্তার দুই পাশের উপস্থিত জনতাসহ পথচারীদের উদ্দেশে শুভেচ্ছা জানান। তিনি দুই হাত তুলে সবার কাছে দোয়া চাওয়ার ইশারাও দেন। মিছিলে আরিফুলের সঙ্গে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহক্ষুদ্রঋণ–বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রাজ্জাক, মহানগর বিএনপির সদ্যবিদায়ী আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সালেহ আহমদ খসরু, মহানগর হকার্স দলের সভাপতি নুরুল ইসলামসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আয়োজকেরা বলছেন, মহানগর শ্রমিক দলের উদ্যোগে এই মিছিল বের করা হয়।মিছিল শেষে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই চলছে। জাতি যেখানে ইভিএমে ভোট গ্রহণ প্রত্যাখ্যান করেছে, সেখানে সিটি নির্বাচন ইভিএমে করার বিষয়টি রহস্যজনক।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ মে ২০২৩
বিএনপির দ্বিমুখী আচরণের কারণে জনগণ তাদের ওপর আস্থা হারিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেছেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একদিকে বলছেন যে, তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। অন্যদিকে আমরা দেখতে পাচ্ছি, বিএনপি নেতাকর্মীরা আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন। এই দ্বিমুখী আচরণের কারণে জনগণ দ্বারা বার বার প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিএনপি নেতৃবৃন্দ হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। তাই তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণে ভয় পায়। একই সঙ্গে তারা নির্বাচন ও নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারায় লিপ্ত থাকে।রোববার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপদপ্তর অ্যাডভোকেট সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। তিনি বিএনপি মহাসচিবের মিথ্যাচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি আজ নির্বাচন নিয়ে কথা বলে কোন মুখে? বিএনপির হাত ধরেই এদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে। সামরিক শাসন জারি রেখে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালে হ্যাঁ/না ভোট, সেনা প্রধানের দায়িত্বে থেকে ১৯৭৮ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন এবং ১৯৭৯ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করেছিল। তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে খালেদা জিয়া রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য ১৯৯৬ সালে ১৫ই ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচন করেছিল। তাদের সময়ে অনুষ্ঠিত মিরপুর ও মাগুরা উপ-নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কজনক ঘটনা হিসেবে স্থান পেয়েছে।বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল দাবি করেছেন, আওয়ামী লীগ নাকি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারসহ ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সুদীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম করেছে। এই দলের হাত ধরেই এদেশের মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ নিশ্চিতভাবে বিএনপির কাছ থেকে গণতন্ত্রের পাঠ নেবে না। আওয়ামী লীগ বিএনপির চর্চিত গণতন্ত্রে বিশ্বাস বা আস্থা রাখে না। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এদেশের মানুষকে কারফিউ মার্কা গণতন্ত্র উপহার দিয়েছিল। গণতন্ত্রের লেবাসে সামরিক স্বৈরতন্ত্রের ভূত এদেশের জনগণের ওপর চাপিয়ে দিয়েছিল। বিএনপি এদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করেছে; মানুষের ভোটাধিকারকে বারবার বাধাগ্রস্ত করেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে এবং যে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে জনগণের হৃদয়ের অনুরণন প্রতিফলিত হয় তা প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর।তিনি বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের পথকে মসৃণ করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার। সফলরাষ্ট্রনায়কোচিত ভূমিকার কারণে বর্তমানে শেখ হাসিনাকে সমীহের দৃষ্টিতে দেখে বিশ্বের সব নেতৃবৃন্দ। শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বের কারণেই অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে দেশের সব স্তরের জনগণের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধন জোরদার হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির পাশাপাশি জনগণের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটেছে। যা দেখে বিএনপি ও তার দোসরদের গাত্রদাহ হচ্ছে। তাই তারা এই অগ্রযাত্রা ব্যাহত করার লক্ষ্যে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এসব ষড়যন্ত্রের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে এবং কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ এপ্রিল ২০২৩
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আলোচিত মেয়রপ্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। রোববার জেলা শহরের রথখোলা এলাকায় বঙ্গতাজ মিলনায়তনে অবস্থিত রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়। তবে জাহাঙ্গীর আলমের মায়ের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম। মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়ন বাতিলের কারণ হিসেবে রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, একটি গার্মেন্ট কারখানার ঋণের গ্যারান্টার ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। ওই প্রতিষ্ঠানটি ঋণ খেলাপি হওয়ার কারণে গ্যারান্টার হিসেবে জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্রটি বাতিল করা হয়।এ সময় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। তিনি সাংবাদিকদের জানান, যেই ঋণখেলাপির অভিযোগে তার মনোনয়নপত্রটি বাতিল হয়েছে সেই ব্যাংক ঋণ তিনি পরিশোধ করে দিয়েছেন। তিনি রহিমের বিপরীতে জামিনদার ছিলেন। এ সময় ব্যাংকের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংক কর্মকর্তারা ঋণ পরিষদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি রিপোর্টে জাহাঙ্গীর আলম ঋণখেলাপি। এ জন্য তার মনোনয়ন পত্রটি বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।বহিষ্কারাদেশ কাটিয়ে আবারও দলীয় প্রার্থীর সঙ্গে ভোটে লড়তে মনোনয়নপত্র দাখিল করে আলোচনায় ছিলেন গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।জাহাঙ্গীর অবশ্য দাবি করেছিলেন, তিনি সব ‘ফাঁকফোকর বন্ধ করে’ তবেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আগামী ২৫ মে অনুষ্ঠেয় গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাহাঙ্গীরের দল আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন প্রবীণ নেতা আজমত উল্লাহ খান। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে নৌকার টিকিটে মেয়র নির্বাচিত হন জাহাঙ্গীর আলম। দুই বছর আগে বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত হন তিনি। এর পর মেয়র পদও হারান। তবে গত ১ জানুয়ারি জাহাঙ্গীরকে দলে ফিরিয়ে নেয় আওয়ামী লীগ। এবার দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ এপ্রিল ২০২৩
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি, বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ঢাকা মহানগরের উত্তরখানে কৃষকের তিন বিঘা জমির ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগ।উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কৃষকের ধান কেটে ও মাড়াই করে ঘরে ধান পৌছে দিয়েছে।শনিবার সকালে ঢাকা মহানগরের উত্তরখান থানার উজামপুর গ্রামের কৃষক মামুন মিয়ার ৩ বিঘা জমির ধান কেটে আটি বেধে মাড়াই করে ঘরে ধান তুলে দেয় ছাত্রলীগের কর্মীরা।ধান কেটে দেয়ার পর মো. কৃষক মামুন মিয়া বলেন, "শ্রমিক সংকটের কারণে ধান কাটতে পারছিলাম না। ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি বিষয়টি জানতে পেরে আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ধান কেটে, এবং মাড়াই করে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন। তার জন্য দোয়া করি'। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তারা এসেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকেও ধন্যবাদ জানাই।"ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ বলেন, "জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর এর অন্তর্গত উত্তরখান থানার উজামপুর গ্রামের কৃষক রফিক মিয়ার ৩ বিঘা জমির ধান কেটে আটি বেধে মাড়াই করে দিয়েছি। খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারার পরই সকাল সকাল নেতাকর্মীদের নিয়ে কৃষক মামুন মিয়ার কাছে চলে যাই।"দেশের মানুষের দুঃখ কষ্টে, বিভিন্ন দুর্যোগে সব সময় ছাত্রলীগ সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমাদের এই কাজ অব্যাহত রাখবো।"
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ এপ্রিল ২০২৩
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচন ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার দাবি, আওয়ামী লীগ তো নির্বাচনে বিশ্বাস করে না। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। এ সরকার অত্যন্ত সচেতনভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে। তাদের পুরোনো লক্ষ্য বাকশালের ন্যায় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়।শনিবার (২৯ এপ্রিল) শেরেবাংলা নগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে মাজারে ফুল দেওয়া হয়।বিএনপির মহাসচিব বলেন, সেই লক্ষ্যে তারা ২০১৪ সালের নির্বাচনকে একটা প্রহসনে পরিণত করেছে, যেখানে জনগণ ভোট দিতে যায়নি। একইভাবে ২০১৮ সালেও আগের রাতে ভোট দিয়ে জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। জনগণ সেখানেও অংশ গ্রহণ করেনি। এমনকি আপনারা লক্ষ্য করেছেন- স্থায়ী সরকার নির্বাচনগুলোতে জনগণ অংশ নিচ্ছে না। অতি সম্প্রতি যে ভোট হয়েছে, সেখানে মাত্র ১৪ শতাংশ মানুষ ভোট দিতে গেছে। কাজেই জনগণ, বিশ্ববাসী বোঝে এ সরকার ক্ষমতায় থাকলে কোনোদিনও সুষ্ঠু ভোট হবে না। তাই জনগণ এ নির্বাচনেও অংশ নেবে না।তিনি আরও বলেন, বিদেশে তাদের যে ভাবমূর্তি ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেই ভাবমূর্তি তারা আবার ঠিক করতে চায়। কিন্তু এবার জনগণ জেগে উঠেছে। আমরা বিশ্বাস করি- জনগণ তাদের আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে এদের পরাজিত করবে। সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করবে।বিএনপি কোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বলে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বিশেষ করে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মেয়র এবং কাউন্সিল পদে কোনো প্রার্থী থাকবে না বিএনপির।বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে হরণ করে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, একটা দানবীয় সরকার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়ে জনগণের অধিকারকে হরণ করে নিয়ে জোর করে বেআইনিভাবে অস্ত্রের মুখে ক্ষমতা দখল করে আছে।খালেদা জিয়াকে বেআইনিভাবে কারাদণ্ড দিয়ে গৃহে অন্তরীণ করে রাখা হয়েছে বলেও দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিথ্যা মামলার কারণে নির্বাসিত হয়েছেন। আমাদের প্রায় ৪০ লাখ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা হয়েছে। তাদের প্রায়ই কারাগারে যেতে হচ্ছে ও হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ এপ্রিল ২০২৩
ফরিদপুরে বোয়ালমারীতে পিস্তল হাতে তোলা ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর এক মৎস্যজীবী লীগ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আসাদুজ্জামান ওরফে পরশ সিকদার (৩৫) নামের এই নেতা জেলা মৎস্যজীবী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক পদে ছিলেন।গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ফরিদপুর জেলা মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক আবদুস সোবহান ও সদস্যসচিব ফরিদ মিয়া স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এই তথ্য জানানো হয়েছে। আসাদুজ্জামান বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা।এর আগে গত ২৫ মার্চ বোয়ালমারী উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুভ্রদেব সিং ওরফে সুদেব ব্যক্তিগত আইডিতে ডান কোমরে একটি কালো রঙের পিস্তলসদৃশ্য বস্তু গোঁজা ছবি পোস্ট করেছিলেন। এ ঘটনায় ২৬ মার্চ তাঁকে আটক করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হওয়া মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়।৯ এপ্রিল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে করা একটি টিকটক ভিডিও শেয়ার করেন বোয়ালমারী উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি বিল্লাল মৃধা (২৫)। এ ঘটনায় বিতর্ক সৃষ্টি হলে তিনি পোস্টটি মুছে ফেলেন। পরবর্তী সময়ে জেলা ছাত্রলীগ পৃথক দুটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সুভ্রদেব সিং ও বিল্লাল মৃধাকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে।গতকাল জেলা মৎস্যজীবী লীগের নোটিশে বলা হয়, আছাদুজ্জামান পরশ সিকদারের আগ্নেয়াস্ত্রসহ একটি ছবি ইতিমধ্যে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যা সংগঠনের গঠনতন্ত্রবিরোধী কার্যক্রম। এতে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। তাই তাঁকে সংগঠনের কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হলো।ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি বিল্লাল মৃধাকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দিয়েছে জেলা ছাত্রলীগদলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর জেলা মৎস্যজীবী লীগের ৭৫ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী লীগ। এতে আবদুস সোবাহানকে আহ্বায়ক ও মো. ফরিদ মিয়াকে সদস্যসচিব করা হয়। এ কমিটির এক নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন আসাদুজ্জামান।গতকাল বেলা একটার দিকে সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের ফেসবুক আইডিতে অস্ত্র হাতে ধরা আসাদুজ্জামানের দুটি ছবি আপলোড করা হয়। এরপর ছবিটি ভাইরাল হয়ে যায়।বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল ওয়াহাব বলেন, ফেসবুকে পোস্ট কার ছবি দুটি দেখেছেন। কে কী উদ্দেশ্যে ছবিটি ভাইরাল করল, সে বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ এপ্রিল ২০২৩
নির্বাচনে বাধা দিতে এলে প্রতিহত করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সবাইকে বলছি— এই নির্বাচনে আসতে। তবে যারাই বাধা দেবে তাদের প্রতিহত করব।শুক্রবার বনানী কবরস্থানে শহিদ শেখ জামালের জন্মদিন উপলক্ষ্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আমরা করব।বিএনপির আন্দোলনের বিপরীতে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা কোনো পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি করতে যাচ্ছি না। বিএনপি কখনো দ্রুত, কখনো ধীরগতির আন্দোলন, মানববন্ধন, পদযাত্রা, গণঅভ্যুত্থান করছে। এ জন্য অপরাজনীতি থেকে এ দেশের জনগণের জানমাল রক্ষা করার জন্য আমরা শান্তি সমাবেশ করছি। আমরা সময়সীমা দিয়ে কোনো কর্মসূচি দিচ্ছি না। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথে থাকব। জনগণকে শান্তির ডাক জানিয়ে দিতে চাই। এ সময় সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী বলেন, মানবসভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে নৃশংস হত্যাকাণ্ড জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা। সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় ‘৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ও ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। এই তিনটি ঘটনা একই সূত্রে গাঁথা।ওবায়দুল কাদের বলেন, হত্যা, যড়যন্ত্র, বিশ্বাসঘাতকতার বদলে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে হবে। একই সঙ্গে আমরা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলব, তাদের পরাজিত করব, পরাভূত করব।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ এপ্রিল ২০২৩
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগই অগ্নিসন্ত্রাসের হোতা, জন্মদাতা। আজ বুধবার দুপুরে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল পাল্টা এই অভিযোগ করেন।‘বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে’, ওবায়দুল কাদেরের এমন অভিযোগের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা কখনোই অগ্নিসন্ত্রাস করিনি। এই সন্ত্রাস তো তাদের (আওয়ামী লীগ) জিনের মধ্যে, জিনে আছে। আমি বারবার একটা কথা বলি যে তাদের দুটো ব্যাপার—একটা সন্ত্রাস, আরেকটা দুর্নীতি। এটা ওদের বডি কেমিস্ট্রিতে আছে। এখান থেকে তারা বেরোতে পারে না।’সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকায় পরপর কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং বিরোধী দল বিএনপির নেতারা একে–অপরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করছেন।রাজধানীর নিউ সুপার মার্কেটের আগুন লাগার ঘটনা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত হচ্ছেই না। ফায়ার ব্রিগেডও বলেছে, এটা শর্টসার্কিটে হতে পারে। সবগুলোতে খেয়াল করে দেখবেন এখানে যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত—তারা কথা বলার আগেই প্রধানমন্ত্রী বলে দিলেন, এটাতে বিএনপি জড়িত আছে কি না দেখতে হবে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ এপ্রিল ২০২৩
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, বিএনপি জামাত কখনো বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কিছু করেনি। তারা দেশ ও দেশের মানুষকে কিছুই দিতে পারেনি। তারা উন্নয়ন না করে শুধু দুর্নীতি করেছে। তারা দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্ব দরবারে দুর্নীতিবাজ জাতি ও দেশ হিসেবে আমাদের কপালে কলঙ্কের কালিমা লেপন করেছিল। আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ দুর্নীতিতে বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সব সময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলে। রবিবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে মাদারীপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত অসহায় ও দরিদ্র মানুষের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ কালে তিনি এসব কথা বলেন। বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিএনপি জামাত সব জায়গায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায়। ইতিপূর্বে মাদারীপুরেও তারা নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়েছে। ভবিষ্যতে তারা যেন মাদারীপুর কেনো দেশের কোথাও এমন কোন কর্মকান্ড না করতে পারে আমাদের সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। সন্ত্রাসীদের অপকর্মকে আমাদের যে কোন মূল্যে প্রতিহত করতে হবে এবং দেশের শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সবসময় মানুষের পাশে থাকতে হবে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মানুষের শান্তির জন্য কাজ করবে। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন সে অনুযায়ী যার যতটুকু সামর্থ্য আছে সেইটুকু নিয়ে মানুষের ঘরে ঘরে আপনাদের যেতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ সুখে ও শান্তিতে থাকলে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জনগনের ভোটে চতুর্থবারের মত আবার নির্বাচিত হবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবার ক্ষমতায় আসলে দেশের ভাগ্যের আরো পরিবর্তন হবে। তিনি সব সময় দেশের মানুষের কথা চিন্তা করেন এবং মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ করে থাকেন। আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন। বঙ্গবন্ধু সব সময় মানুষের কথা চিন্তা করতেন এবং মানুষের পাশে থাকতেন। আমাদের সে অনুযায়ী সব সময় মানুষের পাশে থাকতে হবে।মাদারীপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত অসহায় ও দরিদ্র মানুষের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে শতাধিক মানুষের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে, পৌর মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ সহ জেলা ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ এপ্রিল ২০২৩
আসন্ন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পেয়েছেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান।শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের প্রায় অধিকাংশ সদস্যই উপস্থিত ছিলেন। চুলচেরা বিশ্লষণ শেষে এ প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়।এদিকে খুলনায় তালুকদার আবদুল খালেক, সিলেটে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, রাজশাহীতে খায়রুজ্জামান লিটন, বরিশালে আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাতকে নৌকার মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।এর আগে বুধবার নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে শেষ দিনে গাজীপুর সিটির আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের ১৭ নেতাকর্মী মেয়র পদে নৌকা পেতে আওয়ামী লীগের সদর দপ্তরে আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। এবং মেয়র পদে নৌকা চেয়ে পাঁচ সিটিতে মোট ৪১ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ এপ্রিল ২০২৩
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে গাজীপুর মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল আহসান সরকার রাসেলের সঙ্গে এসে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি।বুধবার বিকালে আওয়ামী লীগের ধানমন্ডিস্থ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।এসময় উপস্থিত ছিলেন কামরুল আহসানের ছোট ভাই রাকিব সরকার ও তার স্ত্রী চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ছিলেন।মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪১ জনে। পাঁচ সিটি করপোরেশনের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন গাজীপুরে। সেখানে এখন পর্যন্ত ১৭ জন নেতা দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর সবচেয়ে কম মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন রাজশাহীতে, মাত্র তিন জন।এছাড়া খুলনা সিটি করপোরেশনে চারজন, বরিশাল সিটিতে সাতজন এবং সিলেট সিটিতে ১০ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।আগামী ২৫ মে গাজীপুর, ১২ জুন খুলনা ও বরিশাল, ২১ জুন রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।গাজীপুর: সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ছাড়াও গাজীপুর সিটির মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজম উল্লা খান, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল আহসান সরকার রাসেল, সাবেক সহ সভাপতি আসাদুর রহমান কিরন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান, ২৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য মেজবাহ উদ্দিন সরকার রুবেল, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী ইলিয়াস আহমেদ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক সদস্য আবদুল আলীম মোল্লা, উপকমিটির সাবেক সদস্য আশরাফুজ্জামন সেলিম, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক উপদেষ্টা রিয়াজ মাহমুদ আয়নাল, সাবেক উপ দপ্তর সম্পাদক মো. আজহারুল ইসলাম, সাবেক শিক্ষা ও মানব সম্পদ সম্পাদক এস এম আশরাফুল আলম, গাজীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতিমো. আব্দুল কাদের, প্রাথমিক সদস্য মো. হারুন অর রশিদ এবং যুবলীগের সদস্য মো. রুহুল আমিন মন্ডল।রাজশাহী: রাজশাহীর বর্তমান মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন আবারও দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী হয়েছেন। তার সঙ্গে আরও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মাহফুজুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক মো. ডাবলু সরকার।খুলনা: খুলনায় দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী চার নেতা হচ্ছেন– মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, সদস্য রুনু রেমা এবং খুলনা সদর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম।বরিশাল: মঙ্গলবার পর্যন্ত বরিশাল সিটির মেয়র পদে দলীয় মনোনয়নপত্র কিনেছেন সাতজন। তাঁরা হচ্ছেন– মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর আমিন উদ্দিন আহমেদ, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হক খান মামুন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, যুবলীগের সদস্য আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ এবং বরিশাল বিএম কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মঈন তুষার।সিলেট: সিলেট সিটি করপোরেশনে দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ১০ জন। তারা হচ্ছেন, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজবাহ উদ্দিন সিরাজ, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল খালিক, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, এটিএমএ হাসান জেবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক ছালেহ আহমদ সেলিম, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সিলেটের প্রয়াত মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের ছেলে ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আরমান আহমদ শিপলু এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য মাহি উদ্দিন আহমদ।আগামী ১৮ এপ্রিল আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় মনোনয়ন চুড়ান্ত হবে বলে দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া জানিয়েছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ এপ্রিল ২০২৩
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে ইঙ্গিত করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তারা এখানে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠাতা করতে চায়।মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, গণতন্ত্র এবং সাংবিধানিক কাঠামো’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে বিএনপি। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান। অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নয়, তারা অসংখ্য আইন তৈরি করে সুযোগ নিচ্ছে যাতে নাগরিকরা কথা বলতে ভয় পায়। যেটুকু মনে পড়ে- ১৯৮৪ নামে একটা সিনেমা আছে, সেটি নর্থ কোরিয়ার যেভাবে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়েছিল তার ওপর ভিত্তি করে নির্মিত। কীভাবে নাগরিকদের ভয় দেখিয়ে মস্তিষ্কের দিক দিয়ে কীভাবে দাস করে রাখা যায় বাংলাদেশে তার প্রতিচ্ছবি শুরু হয়েছে।তিনি বলেন, আপনারা দেখবেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অনেককে মামলা দিয়ে জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। অনেক সাংবাদিকের নামে এখনো মামলা আছে। কাজলকে (সাংবাদিক) গুম করে রাখা হলো, কীভাবে তার ওপর অত্যাচার করা হয়েছে তা তিনি নিজেই বর্ণনা করেছেন। তাদের একটাই লক্ষ্য, নাগরিকরা যেন নিজেদের অধিকার প্রয়োগ করতে না পারে ও কথা বলতে না পারে। এর কারণ হলো যাতে তারা তাদের মতো করে এখানে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারে। এখন একটি মাত্র পথ... এদেরকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে। এই সরকারকে অবৈধ দাবি করে তিনি আরও বলেন, এরা একটি দখলদার সরকার হিসেবে পুরোপুরি ভূমিকা রাখছে। আজকে বাংলাদেশকে এরা যে পরিণতির দিকে নিয়ে গেছে, সেটা কিন্তু অত্যন্ত ভয়াবহ। যে জাতি গণতন্ত্রকে ভালোবাসে, তাদেরকে একটা সংঘাতের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। তাদের সম্পূর্ণ ভিন্ন পথে পরিচালিত করা হচ্ছে।সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, দেশের যে গণতান্ত্রিক আত্মা (ব্যবস্থা) সেটাকে তারা ধ্বংস করে ফেলেছে। ইচ্ছাকৃতভাবে শুধু নিজেরা ক্ষমতায় থাকার জন্য একদলীয় শাসন ব্যবস্থা তৈরি করেছে, যেটা তাদের পুরানো চরিত্র। ৭৫ সালে তারা বাকশাল গঠন করেছিল। তারা সেটায় ব্যর্থ হয়ে এখন পুরোনো সেই শাসনকে নতুন বোতলে গণতন্ত্রের পোশাক পরিয়ে একটি ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র কায়েম করেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১১ এপ্রিল ২০২৩
আওয়ামী লীগ বনাম প্রথম আলোর এই লড়াই মূলত রাজনৈতিক। ২০০৭ সালের ১৩ই জানুয়ারি গঠিত সেনা-নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে বাদ দিয়ে দুই দলের কিছু ডিগবাজী নেতা এবং সুশীল সমাজের কিছু সুবিধাবাদী উচ্চাভিলাষী ব্যক্তি নিয়ে মুহাম্মদ ইউনুসকে প্রধান করে যে “জাতীয় সরকার” গঠনের প্রক্রিয়া বা মাইনাস টু ফর্মুলা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিলো তাতে প্রথম আলোর পূর্ণ সমর্থন ছিলো। জনশ্রুতি আছে, এই পরিকল্পিত "জাতীয় সরকার"-এর একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হওয়ার কথা ছিলো মতিউর রহমানের।কিন্তু সেনা-নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উৎসাহ ও উস্কানিতে এই হাঁসজারু {রসিকরাজ সুকুমার রায়ের কল্পিত হাঁস ও সজারুর মিলনে জন্ম উদ্ভট প্রাণি} বা খচ্চর {ঘোড়া ও গাধার মিলনে জন্ম} সরকারের পরিকল্পনার প্রতি দেশের জনগণ আস্থা স্থাপন করতে পারেনি। বরং এই “জাতীয় সরকার” যে একটা দুরভিসন্ধির ফসল এবং এই ব্যবস্থা যে পরিণামে দেশের জন্য ক্ষতি বয়ে আনবে তা জনগণ ঠিকই বুঝেছিলো এবং তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছিলো।পরবর্তীতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠনের পর তিনি দলীয় সভায় দলের ডিগবাজী নেতারা যারা জাতীয় সরকারে যোগ দেয়ার গোপন ষড়যন্ত্রে যোগ দিয়েছিলো তাদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেনঃ “ফরগেট করেছি, ফরগিভ করবো না”। শেখ হাসিনার এই সাবধান-বাণী আসলে সেই দুরভিসন্ধিমূলক জাতীয় সরকারের পরিকল্পনার সাথে জড়িত সবার জন্যই প্রযোজ্য ছিলো। পরবর্তীতে দলের ডিগবাজী নেতারা তা টের পেয়েছেন, এখনো পাচ্ছেন। মতিউর রহমানও সেই সাবধান-বাণীর ফলটাই টের পাচ্ছেন।রাজনীতির দাবা খেলায় “ফরগেট” ও “ফরগিভ” করার সুযোগ নাই; করলেই কিস্তি মাত, খেলা শেষ। সে দিক থেকে প্রথম আলোর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের এই অবস্থান ও য়্যাকশন অযৌক্তিক নয়।আজকের কাগজ, ভোরের কাগজ ও প্রথম আলোর সম্পাদক হিসেবে মতিউর রহমানের সাফল্য ঈর্ষণীয়। এতো সাফল্যের পর তিনি হয়তো ভেবেছিলেন যে সাংবাদিকতায় তো আর কিছু পাওয়ার নেই। এবার সরাসরি ক্ষমতার স্বাদ নেয়া যাক। আর ভীড়ে গিয়েছিলেন ইউনুসদের দলে। তাঁর আজকের এই দুর্গতির জন্য তিনিই দায়ী। এই দুর্গতি থেকে উদ্ধারের পথ তাকেই খুঁজে বের করতে হবে।লেখক - সাংবাদিক দুর্জয় রায়
দুর্জয় রায় । ১১ এপ্রিল ২০২৩
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিভিন্ন পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রতীক (ধানের শীষ) ছিল না, কিন্তু ঘোমটা পরে সব খানেই তাদের প্রার্থী ছিল। এই ঘোমটা পরা প্রার্থী কিন্তু সিটি নির্বাচনেও থাকবে। সিলেটের বর্তমান মেয়র আরিফ অলরেডি ঘোষণা দিয়েছেন। অন্যান্য সিটিতেও ঘোমটাপরা তাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে।কাদের বলেন, সিটি নির্বাচনে আমরা তাদের (বিএনপিকে) আমন্ত্রণ করছি না। নির্বাচন অংশগ্রহণ করা তাদের অধিকার। জাতীয় নির্বাচন যেমন, সিটি নির্বাচনও তেমন।মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস (১৭ এপ্রিল) পালন উপলক্ষ্যে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নির্দিষ্ট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, ওই জেলাগুলোর দলীয় সংসদ সদস্য ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনেও আমাদের টার্গেট মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী বিএনপির নেতৃত্বে অপশক্তি যেন ছায়া বিস্তার করতে না পারে। এই অপশক্তির যে বিষ বৃক্ষের জন্ম দিয়েছে, তা উদঘাটন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন, সংগ্রাম ও লড়াই চলবে।সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ প্রচার সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ খুলনা বিভাগীয় নেতারা।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১১ এপ্রিল ২০২৩