কারো প্রেসক্রিপশনে নয়, আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী বলে পুর্নব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি আজ সকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদ পরবর্তী মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশি বন্ধুরা কেউ হস্তক্ষেপ করছেন না, কেউ কেউ পরামর্শ দিচ্ছেন। আমরা তাদের কথাবার্তা, ভালো পরামর্শ শুনবো। কিন্তু নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। সংবিধানই আমাদের বিধান। কারো পরামর্শ বা প্রেসক্রিপশনে এদেশে নির্বাচন হবে না। পৃথিবীর অন্যান্য গনতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন হয় এদেশেও সেভাবে হবে।তিনি বলেন, আমাদের গণতন্ত্র পুরোপুরি ত্রুটিমুক্ত নয়। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিতে হলে আরো পথ পাড়ি দিতে হবে। আরো ২/৩ টা নির্বাচন করতে হবে। এসময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন , আমেরিকার নিজের গণতন্ত্রই ত্রুটিমুক্ত নয়। আমাদের কি গনতন্ত্র শেখাবে?ভিসানীতি, নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সব বিষয়ে তাদের সাথে আমাদের সম্পর্ক অটুট থাকবে। বন্ধুত্ব থাকবে, লেনদেন থাকবে। কিছু কিছু বিষয়ে ভিন্নমত থাকতে পারে, সেটা বন্ধুত্বেরই অংশ।বিএনপি সহ ৩৬ দলের এক দফা আন্দোলন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্দোলন তো এখনো শুরু হয়নি। শুরু হতে হতে কয় দল কেটে পড়ে, কয় দল শেষপর্যন্ত থাকে- সেটা অবশ্য দেখার বিষয়। এই ৩৬ দলের মধ্য এখন দরকষাকষি চলছে আন্দোলন সফল হলে ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে। এই আন্দোলেনর পরিণতি কোথায় গিয়ে দাড়ায় সেটা দেখার বিষয়। এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনীতির বিষয় রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করা হবে। তবে এতে সহিংসতার উপাদান যুক্ত হলে উদ্ভুত পরিস্থিতি বলে দিবে করণীয় কি হবে। জনগণের জানমাল রক্ষায় আমরা মাঠে, রাজপথে সতর্ক অবস্থানে আছি। নির্বাচন পর্যন্ত শান্তি সমাবেশ কর্মসূচি আছে। খাদের মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব সংকটের কারণে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে, জীবন নির্বাহে ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে, জ্বালানি সংকটে নিত্যপণ্যের সংকট- এসব বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে। সাধারণ মানুষের জীবন যেন স্বস্তিদায়ক হয সেজন্য আমাদের সহযোগিতা করতে হবে। সরকারের এখানে অগ্রাধিকার হচ্ছে মানুষের জীবনকে স্বস্তিদায়ক করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে এসব বিষয়ে মনিটরিং করছেন, খোঁজখবর নিচ্ছেন। এসময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখন রংপুরে দুইশ নারী অভাবের তাড়নায় পতিতাবৃত্তিতে নাম লিখিয়েছিল। পত্রপত্রিকায় সে খবর এসেছে। আজকে সে দৃশ্য দেখা দেয়নি। আমরা সচেতন আছি। মানুষকে বাঁচাতে হবে।সিন্ডিকেট নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, মানুষের কষ্ট হবে সেটা সিন্ডিকেট হোক সেই বাধা দূর করতে হবে, বাজারে সিন্ডিকেট করে মূল্যবৃদ্ধি হবে সেখানে সরকারের দাযিত্ব আছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় এনিয়ে তাদের মতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আশা করি একসময় এটা লাগামছাড়া থাকবে না। এ সময় চলমান প্রকল্পগুলো দ্রুত শেষ করতে ও নতুন করে কোন প্রকল্প না নিতে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ জুলাই ২০২৩
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার আত্মবিশ্বাস এমন জায়গায় চলে গেছে যে, তিনি ক্ষমতায় নেই সেটা বুঝতে পারছেন। তিনি নিজেই বলেছেন উনাকে সরানোর জন্য আমেরিকা কাজ করে যাচ্ছে। সেন্ট মার্টিন দিয়ে দিলে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। কিন্তু সেন্ট মার্টিন দেবেন না। বুধবার (২৮ জুন) বিকেলে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির কার্যালয় জিয়া স্মৃতি পাঠাগার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির আন্দোলন চলমান। ইতোমধ্যে কয়েক জায়গায় তারুণ্যের সমাবেশ হয়েছে। এ আন্দোলন আরও বেগবান হবে। এই সরকার বিরোধী দলের দাবিগুলো মেনে নিয়ে দ্রুতই একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন দেবে। বিএনপির মহাসচিব বলেন, অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে নির্বাচনী রূপরেখা দেওয়া হবে। তবে দাবি একটাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাব না। এদেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। আওয়ামী লীগকে সরে গিয়ে একটি সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে। মতবিনিময় সভায় জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান, সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর করিম, সহসভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিন, জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুন, যুবদলের সভাপতি আবু নুর চৌধুরী, মহিলা দলের সভানেত্রী ফোরাতুন নাহার প্যারিস, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক সত্যজিৎ কুন্ডু, পৌর বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরিফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ জুন ২০২৩
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, 'বিএনপি অবশ্যই নির্বাচন চায়। তবে তা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে। সেজন্য সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। এই অবৈধ সরকারের অধীনে আমরা নির্বাচনে যাব না।'আজ শনিবার বিকেলে বরিশাল নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আয়োজিত বিএনপির 'বরিশাল বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশে' তিনি এ কথা বলেন।প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, 'এই দেশটাকে বাঁচাতে হলে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে, তরুণদের সামনে এগিয়ে দিয়ে মুক্ত-স্বাধীন বাংলাদেশ গড়তে হবে।''এই সরকারের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে ভোট চুরি করা আর চুরি করা টাকা বিদেশে পাচার করা', যোগ করেন তিনি।সমাবেশে জিনিসপত্রে দাম বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, 'এই সরকার কাগজের দাম বাড়িয়েছে, কলমের দাম বাড়িয়েছে, প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়িয়েছে। সরকার র্যাবকে ব্যবহার করেছে হত্যা, গুমের জন্য। এজন্য র্যাবের বিরুদ্ধে স্যাংশন এসেছে।'বরিশালের সিটি নির্বাচন নিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'বরিশালের সিটি নির্বাচন হয়ে গেল, আবার তারা ইভিএমকে ব্যবহার করল। এখানে একজন আলেম, শ্রদ্ধেয় মানুষ চরমোনাই পীর সাহেবকে পর্যন্ত তারা আঘাত করতে দ্বিধাবোধ করল না।'তিনি তরুণদের উদ্দেশে বলেন, 'তরুণরা জেগে উঠুন। ঐক্যবদ্ধ হোন। ফ্যাসিবাদী সরকার পরিবর্তন করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করুন।'জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত এই সমাবেশে বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার হাজার হাজার তরুণ অংশ নেন। বিপুল সংখ্যক তরুণ জাতীয় পতাকা, ফেস্টুন ও ক্যাপে সজ্জিত হয়ে দুপুর থেকে অনুষ্ঠানস্থলে আসতে শুরু করেন। তারা গান, কবিতা ও ম্লোগানে মাতিয়ে রাখেন অনুষ্ঠান।ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ও বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে যুবদল কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ জুন ২০২৩
ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদ নেতা নুরুল হক নূর তিন দফা বৈঠক করেছেন বলে দাবি করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান। তিনি দাবি করেন, নূর মোসাদের সঙ্গে কাতার, দুবাই ও ভারতে তিন দফায় বৈঠক করেছেন।বৃহস্পতিবার ঢাকার ফিলিস্তিন দূতাবাসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত এ দাবি করেন। রোহিঙ্গাদের জন্য ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা ওআইসির খাদ্য সহায়তা অবহিত করতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ঢাকার ফিলিস্তিন দূতাবাস।ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত বলেন, নূরের সঙ্গে কাতার, দুবাই ও ভারতে তিন দফা বৈঠক হয়েছে মোসাদের। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা থেকে আমরা বৈঠকের ছবি পেয়েছি। কাতার বিশ্বকাপের সময় (২০২২ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয়) বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। মোসাদের সঙ্গে তার (নূর) বৈঠকের বিষয়ে তিনি যদি অস্বীকার করে থাকেন, তা ফিলিস্তিনের জন্য ভালো। তবে বিষয়টি সত্য হলে এটি বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি।রাষ্ট্রদূত রামাদান বলেন, ইসরাইল থেকে টাকা নেওয়া মানুষ কখনো নেতা হতে পারে না। এ ধরনের নেতা দেশের জন্য কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না।দুবাইয়ে ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সদস্য মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে নুরুল হক নূরের ছবিসহ বৈঠকের তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যাপক তোলপাড় হয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ নিয়ে খবরও প্রকাশ হয়েছে। যদিও নূর বিষয়টি বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন। তিনি বলছেন, প্রকাশিত ছবি এডিট করা।এদিকে মোসাদের এজেন্টের সঙ্গে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরের বৈঠক নিয়ে তার রাজনৈতিক দল গণঅধিকার পরিষদে চলছে তোলপাড়। ওই বৈঠক শেষে নূর মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন খোদ তারই দলের সদস্যরা। দলের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়াও এই অভিযোগ তুলেছেন। এবার ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত মোসাদ-নূরের বৈঠক হওয়ার দাবি করলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ জুন ২০২৩
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বর্ষায় বৃষ্টির পর পুঁটি মাছ যেভাবে লাফালাফি করে বিএনপি সে রকম লাফালাফি করছে। আর দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল লাফাচ্ছেন কোলা ব্যাঙের মতো।আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে রাজপথের বিরোধী দল বিএনপি, তারা কয়েকদিন আগেও সংসদে ছিল। গ্রামে যখন বর্ষাকালে বৃষ্টি হয়, পুকুরের মধ্যে পুঁটি মাছ খুব লাফালাফি করে। আজকে বিএনপির লাফালাফি হচ্ছে বর্ষাকালে পুঁটি মাছের প্রথম লাফালাফির মতো। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গলা দেখি আগের চেয়েও চড়া হয়ে গেছে। তার আওয়াজটা কোলাব্যাঙের আওয়াজ মনে হচ্ছে। মাননীয় স্পিকার আমাকে ক্ষমা করবেন এ তুলনা দেওয়ার জন্য।’হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পাঁচ সংসদ সদস্য চিঠি লিখল। বাংলাদেশের কাছে নয়, তাদের আন্তর্জাতিক কমিটির চেয়ারের কাছে। সেখানে ৭০৫ জন সদস্য। তার মধ্যে ৫ জন সদস্য চিঠি লিখল। এটা নিয়ে তাদের (বিএনপি) মধ্যে পুলকিত ভাব। কেউ কেউ পুলকিত ভাব প্রকাশ করছে। এই চিঠির কোনো অর্থ নেই, মূল্য নেই। অন্য কোনো দেশ হলে পত্রিকায় এ চিঠি ছাপাত না। আমাদের দেশে সেটি ছাপিয়েছে।’তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘৪৩৫ জন কংগ্রেসম্যানের মধ্যে ৫ জন চিঠি লিখেছে জো বাইডেনের কাছে যে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে। বাংলাদেশের সব সংখ্যালঘু সংগঠন এটার বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েছে। খ্রিষ্ট সম্প্রদায়ের আর্য বিশপ বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, এ চিঠি বাস্তবতাবিবর্জিত। বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের সময় আমরা সংখ্যালঘুরা ভালো আছি। আমরা বরং আতঙ্কিত- মৌলবাদী শক্তি আবার যদি ক্ষমতায় নেয় তখন আমাদের কী হবে। তাদের বিবৃতি নিয়ে পত্রপত্রিকায় সংবাদ। যখন হোয়াইট হাউসের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ চিঠি নিয়ে প্রশ্ন করা হলো- তারা বলে চিঠি সম্পর্কে আমরা কিছু জানি না। এ চিঠি সম্পর্কে জো বাইডেনের দপ্তর হোয়াইট হাউস কিছু জানে না। বাংলাদেশের কয়েকটি পত্রিকা জানে আর জানে বিএনপির মহাসচিব, আর বিএনপির নেতারা। লবিস্ট নিয়োগ করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটা একটা চিঠি আনায়। আমাদের কাছেও দেয় না। সে চিঠি তাদের ইন্টারনাল চিঠি, তা এনে পুলকিত ভাব করে।’প্রতিবছর বাজেট পেশ করার পর ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ও বিএনপি একই রকম বক্তব্য দেয় বলে সংসদে দাবি করেন তথ্য মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘একটা সংস্থা আছে সিপিডি। তারা বাজেটের নানা ভুল ধরে। পাণ্ডিত্য দেখাতে ভুল ধরতে হয়। এটা তাদের পেশা। এটা করেই তারা বিদেশ থেকে টাকা পায়। তা দিয়ে প্রতিষ্ঠান চালায়। টিআইবি তাদের প্রতিষ্ঠান চালায়।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ জুন ২০২৩
গণঅধিকার পরিষদের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নুরুল হক নুর এবং রেজা কিবরিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সংগঠনের সচেতন সদস্যরা।আজ মঙ্গলবার রাতে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও শৃঙ্খলা এবং অডিট কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামানকে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে।বৈঠকে বলা হয়, আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারীগণ সবাই গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সচেতন সদস্য। গত ১৮ জুন আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়ার বাসার ছাদে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় ড. রেজা কিবরিয়ার আলোচিত-সমালোচিত ইনসাফ কমিটির মিটিংয়ে যাওয়া ও সদস্য সচিব নুরুল হক নুরের ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের কথিত সদস্য মেন্দি সাফাদির সঙ্গে দেখা করার কারণ ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। ওই ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের অনুগত সদস্যদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে সভার সভাপতি ড. রেজা কিবরিয়া সভাস্থল ত্যাগ করেন এবং সঞ্চালক সভা মুলতবি ঘোষণা করেন।পরের দিন গত ১৯ জুন সদস্য সচিব নুরুল হক নুর একটি সভার আহ্বান করেন। যা গঠনতন্ত্রের ৩৬(খ), ৩৭(ক), ৩৮, ৩৯(খ) ও ৩৯ (ঘ) অনুযায়ী অবৈধ। তবুও আমাদের কয়েকজন দলের স্বার্থে সেখানে উপস্থিত হই এবং কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি বন্ধ করে আহ্বায়ক দেশে আসার পূর্ব পর্যন্ত প্রটোকল অনুযায়ী ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খানকে অন্তর্বর্তীকালীন আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করার পরামর্শ দেই। কিন্তু উপস্থিত সবার মতামতকে উপেক্ষা করে একটি বানোয়াট প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। যেখানে মুহাম্মদ রাশেদ খানকে সরাসরি দলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ঘোষণা করা হয়। অবৈধ এই সিদ্ধান্তে দলের মধ্যে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।এদিকে আজ ২০ জুন তারিখে আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়ার দলের ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান ও সদস্য সচিব নুরুল হক নুরকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ও গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হাসান আল মামুনকে ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ঘোষণা করেন। আমরা মনে করি, আহ্বায়কের এই কাজটি সংকটকে আরও ঘনীভূত করেছে। এমন পাল্টাপাল্টি কার্যক্রমে দলে বিভক্তি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।এ অবস্থায়, আমরা কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সদস্যগণ গঠনতন্ত্রের ১৮-গ-৮ ধারার ক্ষমতাবলে অত্র ঘোষণায় স্বাক্ষর করছি এবং দলের এরূপ পরিস্থিতিতে উভয় পক্ষের তৎপরতাকে নীতিবহির্ভূত এবং দলের শৃঙ্খলা ও জনমনে দলের ইমেজ ক্ষুণ্নকারী বলে মনে করছি। সেইসাথে ঘটনার তদন্ত ও পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো। কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অনুরোধ করা গেল।তদন্ত কমিটির সদস্যবৃন্দ:১. কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক, গণঅধিকার পরিষদ ও প্রধান সমন্বয়ক, শৃঙ্খলা এবং অডিট কমিটি।২. ব্যারিস্টার জিসান মহসিন, যুগ্ম আহ্বায়ক, গণঅধিকার পরিষদ ও প্রধান সমন্বয়ক, আইনজীবী অধিকার পরিষদ।৩. সাদ্দাম হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক, গণঅধিকার পরিষদ ও উপদেষ্টা, বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ।৪. জাকারিয়া পলাশ, যুগ্ম আহ্বায়ক, গণঅধিকার পরিষদ ও প্রধান সমন্বয়ক, গঠনতন্ত্র প্রণয়ন কমিটি।৫. সাকিব হোসাইন, সহকারী আহ্বায়ক, গণঅধিকার পরিষদ ও প্রধান সমন্বয়ক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক উপকমিটি।এ ছাড়া উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্তে সমর্থন জানিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির ৪৫ জন সদস্য স্বাক্ষর করেছেন
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ জুন ২০২৩
ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুরকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একইসঙ্গে সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত আহ্ববায়ক রাশেদ খানকেও বহিষ্কার করা হয়েছে।আজ মঙ্গলবার (২০ জুন) সন্ধ্যায় এক বৈঠকে গণঅধিকার পরিষদ এই সিদ্ধান্ত নেয়।গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া তাদের বহিষ্কারাদেশে স্বাক্ষর করেছেন।গণঅধিকার পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, নুরুল হক নুরের সঙ্গে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের যোগাযোগ, আর্থিক কেলেঙ্কারিসহ নানা কারণে বিরক্ত সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতারা। সর্বশেষ মোসাদের সঙ্গে নুরুল হক নুরের টাকা লেনদেনের বিষয়টি সামনে আসলে দলের অভ্যন্তরে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। তবে বিষয়টি নিয়ে নুরের স্পষ্ট কোনো বক্তব্য না থাকায় ভালোভাবে নেননি দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।পরে মঙ্গলবার দিনভর দফায় দফায় বৈঠক করেন গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা। সভায় সংগঠনটির বেশিরভাগ যুগ্ম আহ্বায়ক, যুগ্ম সদস্য সচিব এবং কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অংশ নেন চিকিৎসার জন্য বিদেশে অবস্থান করা ড. রেজা কিবরিয়া।বৈঠকে উপস্থিত গণঅধিকার পরিষদের এক নেতা জানান, বৈঠকে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া প্রায় সবাই উপস্থিত ছিলেন; যারা নুরের একনায়কতান্ত্রিক মনোভাবের কারণে বিরক্ত। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন, জেলও খেটেছেন কিন্তু দলে মূল্যায়িত হননি এমন নেতারাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।ওই নেতা জানান, বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুসারে নুরুল হক নুরকে বহিষ্কার করা হয়। নুরকে বহিষ্কারের পর সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলনের আহ্ববায়কের দায়িত্ব পালন করা হাসান আল মামুনকে। হাসান আল মামুন গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্বও পালন করেছেন।উল্লেখ্য, গত রোববার সন্ধ্যায় গুলশান ২ নম্বর সেক্টরের ৫৫ নম্বর রোডের ২০ নম্বর বাড়িতে দলের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়ার বাসার ছাদে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সংসদের বৈঠক বসে। সন্ধ্যা ৭টা থেকে শুরু হয়ে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত আড়াই ঘণ্টাব্যাপী ওই বৈঠকে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়।দলের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বৈঠকে আসেন সাড়ে ৮টার দিকে। এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রেজা কিবরিয়া। তিনি বলেন, ৭টার বৈঠকে কেন সদস্য সচিব সাড়ে ৮টায় উপস্থিত হবেন? এর পর থেকেই উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় চলতে থাকে। যার রেশ থাকে শেষ পর্যন্ত। রাত ৯টা নাগাদ এক পর্যায়ে রাগ করে উঠে বাসায় চলে যান রেজা কিবরিয়া।পরবর্তীতে এ ঘটনা সোমবার (১৯ জুন) রাতে পাল্টাপাল্টি বিবৃতি দেন ড. রেজা কিবরিয়া এবং নুরুল হক নুর।সোমবার রাতে গণঅধিকার পরিষদের প্যাডে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ড. রেজা কিবরিয়া জানান, রোববার (১৮ জুন) তার সভাপতিত্বে জরুরি সভায় দলীয় শৃঙ্খলার স্বার্থে সদস্য সচিবের কাছে প্রবাসী অধিকার পরিষদের কমিটি পুনর্গঠন, এরই মধ্যে সংগৃহীত অর্থের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি, রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে বৈঠক, ইসরায়েলের বিতর্কিত মোসাদ সদস্য মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে গোপন বৈঠক, দলীয় নেতাদের নিয়ে অসত্য সংবাদ প্রচারের জন্য ভিপি নুরকে দায়ী করে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। এতে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির উদ্ভব হলে তিনি (রেজা কিবরিয়া) সভাস্থল ত্যাগ করেন।রেজা কিবরিয়ার এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তির পর নিজের ফেসবুক পেজে ভিপি নুর পাল্টা অভিযোগ তুলে বিবৃতি দেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ জুন ২০২৩
গণঅধিকার পরিষদে ড. রেজা কিবরিয়াকে দয়া করে জায়গা দেওয়া হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের ‘বহিষ্কৃত’ সদস্য সচিব নুরুল হক নুর।মঙ্গলবার (২০ জুন) গণঅধিকার পরিষদ থেকে বহিষ্কার প্রসঙ্গে নুরুল হক নুর এ মন্তব্য করেন।তিনি বলেন, ‘গণঅধিকার পরিষদ কি উনি গড়েছেন, উনার সাথে গণঅধিকার পরিষদের সংশ্লিষ্টতা কি? আমরা দয়া করে তাকে গণঅধিকার পরিষদে তাকে জায়গা দিয়েছি বলে উনি আহ্বায়ক হতে পেরেছেন। না হলে তো উনি হতে পারতেন না।’এর আগে মঙ্গলবার (২০ জুন) সন্ধ্যায় গণঅধিকার পরিষদের এক বৈঠকে ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুরকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়। একইসঙ্গে সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত আহ্ববায়ক রাশেদ খানকেও বহিষ্কার করা হয়েছে।গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া তাদের বহিষ্কারাদেশে স্বাক্ষর করেন।নিজের বহিষ্কার প্রসঙ্গে নুর বলেন, ‘রেজা কিবরিয়া তো দেশের বাইরে। তিনি কিভাবে বহিষ্কার করেন। তিনি গণফোরাম ভেঙেছেন। এখন গণঅধিকার ভাঙার তৎপরতা চালাচ্ছেন। গতকাল কেন্দ্রীয় মিটিংয়ে ওনাকে বহিষ্কার করে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক নিযুক্ত করেছি। উনার সেই (বহিষ্কার) এখতিয়ার বা সক্ষমতা নাই।’কর্মীদের সঙ্গে রেজা কিবরিয়ার সুসম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করে নুর আরও বলেন, ‘গণঅধিকার পরিষদে উনার নিয়ন্ত্রণ নাই। নেতাকর্মীরাও তার প্রতি অনুগত নয়। গত পৌনে দুই বছরে নেতা কর্মীদের সাথে মেশা, তাদের সাথে কথা বলা, তাদের সমস্যা শোনা কোনো কাজেই তিনি ছিলেন না।’নুর বলেন, ‘দলের প্রধানকে বহিষ্কার করা যায়। বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতিরও অভিশংসনের বিষয় আছে। দলের প্রধানকে কেন বহিষ্কার করা যাবে না। আমাদের গঠনতন্ত্রেও বহিষ্কারের বিষয় রয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ জুন ২০২৩
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘দফা এক, দাবি এক। শেখ হাসিনার পদত্যাগ। অবিলম্বে পদত্যাগ করো। সংসদ বিলুপ্ত করো। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করো। দেশ চলবে নতুন পার্লামেন্টের নেতৃত্বে। নতুন নির্বাচনের মাধ্যমে সেই পার্লামেন্ট গঠিত হবে। নির্বাচন একটাই হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে।’সোমবার বিকেলে বগুড়া শহরের সূত্রাপুর সেন্ট্রাল হাইস্কুল মাঠে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬ জেলার নেতা-কর্মীদের নিয়ে আয়োজিত ‘তারুণ্যের সমাবেশ’-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।চার কোটির বেশি নতুন ভোটারের ভোটাধিকার ফিরে দেওয়া, নিরপেক্ষ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ নানা দাবিতে তরুণদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে এ তারুণ্যের সমাবেশ আয়োজন করা হয়।দেশের গণতন্ত্র লুট হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, পাকিস্তানি হানাদারদের মতো আওয়ামী লীগ সরকার জোর করে, বন্দুকের ভয় দেখিয়ে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতা দখল করে আছে। যারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নষ্ট করেছে, তারা আবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরকার দাবি করে।গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফেরানোর আন্দোলনে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশ এখন কঠিন সময় পার করছে। এতটা কঠিন সময় আর কখনো আসেনি। সরকার জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে। নতুন ভোটারদের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ জুন ২০২৩
বগুড়ায় বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশে সাংবাদিকদের ধাক্কা দিয়ে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দিলেন বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা ও সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা।সোমবার রাজশাহী ও রংপুর বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশ চলাকালীন সময়ে মঞ্চে থাকা সাংবাদিকদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দেন।এ সময় সাংবাদিকদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবাদ সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকা ও টেলিভিশন সংবাদকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।সোমবার বিকেল ৪টায় কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে বগুড়ায় তারুণ্যের সমাবেশ শুরু হয়। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বিএনপির তিন সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের যৌথ উদ্যোগে বগুড়া শহরের সেন্ট্রাল হাইস্কুল মাঠে এ সমাবেশ শুরু হয়।এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুরুতে বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী রিগ্যান। সমাবেশের মঞ্চে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সম্মানে দুটি চেয়ার খালি রাখা হয়েছিল।স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানীর সভাপতিত্বে সমাবেশ পরিচালনা করেন যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল। আজ সোমবার বিকেলে বগুড়া শহরের সেন্ট্রাল হাইস্কুল মাঠে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের এই ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ হয়।তরুণ সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমুখ। এছাড়াও তরুণ সমাজের কয়েকজন প্রতিনিধি বক্তব্য রাখেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ জুন ২০২৩
সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে থাকা পুরোনো মামলাগুলোতে তড়িঘড়ি রায় দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক পুরোনো মামলাগুলো আবার সচল হচ্ছে। তড়িঘড়ি সেসব মামলার রায় দিতেও চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার। তাদের (সরকার) মূল উদ্দেশ্য, বিএনপিকে মাঠে নামতে না দেওয়া, মাঠছাড়া করা। আগের মতো একতরফা নির্বাচন করে ক্ষমতায় থেকে যাওয়ার লক্ষ্যে এ কাজ করছে সরকার।’বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজজামান দুদু, উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন প্রমুখ।মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) চট্টগামে তারুণ্যের সমাবেশে আসা ও যাওয়ার সময় যুবদলের ওপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে। আমাদের কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। কী একটা অবস্থা..আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে আবার আমাদের নামেই মামলা দিচ্ছে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ জুন ২০২৩
দেশের সুষ্ঠু নির্বাচনকে নিয়ে করা বিএনপি মহাসচিবের বিরুপ মন্তব্য প্রত্যাহার ও ক্ষমা চাইতে হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি আজ সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কৃষক লীগ আয়োজিত তিনমাসব্যাপী বৃক্ষরোপন কর্মসুচির আলোচনাসভায় এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিবের কি বিশ্রি মন্তব্য। বিষাক্ত কথা। কী করে বের হয়? দেশের সুষ্ঠু নির্বাচনকে বলে কুত্তা মার্কা নির্বাচন। তিনি কি গাজীপুর, বরিশাল, খুলনা, কক্সবাজারের নির্বাচন দেখেননি? সুষ্ঠু নির্বাচনকে বিএনপি বলে কুত্তা মার্কা নির্বাচন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ শব্দ ব্যবহার করার পরও মার্কিন ভিসানীতি এখানে কী করবে- এটাতে সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা। ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকো যারা বিদেশ থেকে কথা বলছেন, এই ঘটনায় তারা কি ব্যবস্থা নেয়? এটা কি সুষ্ঠু নির্বাচনে অন্তরায় নয়? এটা কারা করেছে- বিএনপি ও তার দোসররা।সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর করবে, গ্রেফতার করা হলে বলবেন মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে! বিনা বিচারে আটক, অভিযোগের অন্ত নেই। বক্তব্যে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুরকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি উপর্যুপুরি আন্দোলনে ব্যর্থ হওয়ায় মরহুম ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী বিএনপিকে বলেছিলেন হাঁটুভাঙ্গা দল। আমাদের হাটু ভাঙ্গেনি। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে বিএনপির হাটুর কাঁপুনিও শুরু হয়েছে। সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ কাউকে ভয় পায় না, আমাদের ঈমানের শক্তি আছে, দেশপ্রেম আছে। আওয়ামী লীগের শক্তির উৎস এদেশের জনগণ। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা রাজনীতির নামে বড় বড় কথা বলে, মিথ্যাচার করে, বিদেশিদের কাছে নালিশ করে বাংলাদেশ যাতে আরো কষ্টে নিপতিত হয়। যাতে বাংলাদেশ সক্ষমতার সাথে চলতে না পারে। আজকে বাংলাদেশের নির্বাচন শুধু বাংলাদেশ নয়, বাংলাদেশের বাইরে থেকেও খেলা চলছে। চক্রান্ত চলছে। কোটি কোটি টাকা দিয়ে লবিস্ট নিয়োগ করছে। ক্ষমতায় না থাকলেও তাদের সে অর্থ আছে। লবিস্ট নিয়োগ করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ছয়জন সদস্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ছয়জন কংগ্রেসম্যানের চিঠিতে বলা হচ্ছে - বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে। দেশটা আমাদের, মাথাব্যথা তাদের।ওবায়দুল কাদের এসময় বলেন, কেউ কেউ মনকলা খাচ্ছে - এই বুঝি নিষেধাজ্ঞা এলো। ভিসানীতিতে পড়লো আওয়ামী লীগ সরকার। ফখরুল তো দিনের বেলায় স্বপ্ন দেখছে।রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার সরকার মানবিক কারণে তাদের পাশে আছে। আমাদের সংকটের মধ্যেও ১২ লাখ রোহিঙ্গার খাওয়া-দাওযার দায়িত্ব নিতে হয়েছে। জাতিসংঘ এদের ভরণপোষণের প্রয়োজনীয় ফান্ড দিতে পারছে না বলে অপরাগতা প্রকাশ করেছে। ফান্ড ইতিমধ্যে অর্ধেকে নেমে এসেছে। আজকে যারা বড় বড় কথা বলেন তারা কি এটা জানেন না। এ সংকটে ১২ লাখ লোকের দায়িত্ব আমরা কিভাবে পালন করব? কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবীদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইৃদৌলী, কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি সহ কৃষকলীগের নেতৃবৃন্দ। পরে কৃষকলীগের বি়ভিন্ন জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ জুন ২০২৩
জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার ক্ষেত্রে সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার নির্বাচনের ক্ষেত্রে একটি উচ্চ মানদণ্ড স্থাপন করতে পেরেছে। আওয়ামী লীগের সময়ের কোনো নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়নি।আজ বুধবার জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় সফরে সুইজারল্যান্ডে অবস্থান করছেন। তবে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত লিখিত প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন করা হয়।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের ক্ষেত্রে একটি উচ্চ মানদণ্ড স্থাপন করতে পেরেছি। নির্বাচনে জনগণ যাকে ভোট দিয়েছে, সে–ই নির্বাচিত হয়েছে। বিএনপির আমলে অনুষ্ঠিত ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির মতো বিতর্কিত নির্বাচন কখনো আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হয়নি এবং হবেও না। দেশের জনগণ যাতে তাদের মূল্যবান ভোটাধিকার প্রয়োগ করে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারে, সে লক্ষ্যে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের স্বাধীন কর্মকাণ্ডকে এগিয়ে নিতে আমাদের সরকার সদা প্রস্তুত রয়েছে।’প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে স্বচ্ছ, অবাধ, ভীতিহীন, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার নির্বাচন কমিশনকে পূর্ণ সহায়তা প্রদানসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করতে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন তার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী স্বাধীনভাবে কাজ করে যাবে এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনে যা যা করার, তার সবকিছু করবে। আমরা দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষককে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। যারাই পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায়, তারা পাঠাতে পারবে।’নির্বাচন কমিশন যেকোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী, নিরপেক্ষ এবং প্রশাসনিক ও আর্থিকভাবে স্বাধীন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনকালে নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব সরকারি কর্মকর্তা/প্রতিষ্ঠান সুনির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন কমিশনের অধীন ন্যস্ত হবে।সংসদ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ম্যান্ডেটে বিশ্বাসী। জনগণই ঠিক করবে কে দেশ চালাবে। এটা জনগণের ক্ষমতা। সরকার জনগণের ক্ষমতা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করেছে, তখনই সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে উল্লেখ করে সংসদ নেতা বলেন, ‘ইতিমধ্যে যতগুলো জাতীয় সংসদ নির্বাচন, জাতীয় সংসদের শূন্য পদের নির্বাচন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন, উপনির্বাচন হয়েছে, তা সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। নির্বাচন কমিশন পূর্ণ সক্ষমতা নিয়ে স্বাধীনভাবে এসব নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেছে। সরকারের সকল দপ্তর/বিভাগ এতে সহযোগিতা করেছে। আমাদের সরকারের সময়ের কোনো নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়নি।’সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের সংসদ সদস্য মেরিনা জাহানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গত তিন যুগ ধরে সংসদে আমি গণতন্ত্র, আইনের শাসন, জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য নিরলস কাজ করছি। বাংলাদেশের জনগণই আমার শক্তি, প্রেরণা। বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে সদা প্রস্তুত আমি।’ তিনি বলেন, ধারাবাহিকভাবে সরকার পরিচালনার ফলে বাংলাদেশ আজ আর্থসামাজিক উন্নয়নের এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ জুন ২০২৩
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ছয় সদস্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেলকে বাংলাদেশের বিষয়ে একটি চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে তারা জোসেপ বোরেলকে বলেছেন— বাংলাদেশে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ সাধারণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে অবদান রাখতে অনুরোধ করছি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অবসান ঘটাতে হবে। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলসহ (বিএনপি) অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সম্পৃক্ত করে চলমান সংকটের টেকসই ও গণতান্ত্রিক সমাধান খুঁজে বের করতে আহ্বান জানাচ্ছি। এ দিকে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাচ্ছেন এমন গুঞ্জনও রাজনীতিতে চাউর হয়েছে। আগামী নির্বাচন নিয়ে প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে যে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক তৎপরতা চলছে, বেগম জিয়ার মুক্তির আলোচনাটি তারই অংশ বলে কেউ কেউ মনে করছেন। যদিও এ বিষয়ে বিএনপির নেতৃস্থানীয় কেউ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। গতকাল বিকেলে দলের এক নেতা আলাপকালে বলেন, ‘যেকোনো কিছুই হতে পারে’।বেগম খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের এক বছর আগে কারাবন্দী হন। প্রায় ২ বছর কারাভোগের পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তযুক্ত সাময়িক মুক্তি পান তিনি। মুক্তির পর ৬ মাস অন্তর অন্তর কারাগারের বদলে তার বাসায় থাকার মেয়াদ বাড়ছে। শারীরিক নানা জটিলতা থাকলেও বেগম জিয়া এখন অপেক্ষাকৃত সুস্থ আছেন বলে জানা গেছে।জানতে চাইলে ইইউ ঢাকা অফিসের একজন মুখপাত্র বলেন, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ছয়জন সদস্য ব্যক্তিগতভাবে তাদের মতামত ব্যক্ত করেছেন। অন্যদিকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম যুগান্তরের প্রশ্নের জবাবে বলেন, যার কাছে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে, তিনি আমাদের এ ব্যাপারে কিছু জানাননি। ফলে বিষয়টি নিয়ে কীভাবে মন্তব্য করব?১২ জুন এই পত্র প্রেরণকারী ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের ছয় সদস্য হলেন— স্লোভাক প্রজাতন্ত্রেও ইভান স্টেফানেক, চেক প্রজাতন্ত্রের মাইকেলা সোজড্রোভা, বুলগেরিয়ার আন্দ্রে কোভাতচেভ, ডেনমার্কের কারেন মেলচিওর, স্পেনের জাভিয়ের নার্ট এবং ফিনল্যান্ডের হেইডি হাউটালা।চিঠিতে তারা বলেন, আমরা সেখানে আসন্ন ১২তম সাধারণ নির্বাচনের ওপর ফোকাস করার গুরুত্বের ওপর জোর দিতে চাই, যা ২০২৩ সালের শেষের দিকে বা ২০২৪ সালের শুরুতে হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।আমাদের মনে রাখতে হবে যে, জনগণের তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার এখনো বাকি। কারণ দেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কোনো ব্যবস্থা নেই। এটা একটা সমস্যা যেহেতু কারচুপি, কারসাজি এবং ভোটারদের অনুপস্থিতি ১০ ও ১১তম সংসদ নির্বাচনকে বিঘ্নিত করেছে।যদিও দশম সাধারণ নির্বাচন প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণমূলক ছিল না এবং ১১তম সংসদ নির্বাচন (মধ্যরাতের নির্বাচন নামে পরিচিত) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নির্বাচন বর্জন করেছে।ফলস্বরূপ সরকারের বাংলাদেশের জনগণের কাছ থেকে কোনো বা সামান্য ম্যান্ডেট ছিল না এবং তা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনুমোদন অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে।সুতরাং ইইউকে শুধু বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মানবাধিকার বিষয়ে অবিরাম সংলাপে বসে থাকলেই হবে না।বাস্তব ফলে কাজ করতে হবে। সম্ভাব্য ব্যবস্থা যেমন মানবাধিকারের জন্য দায়ী এবং জড়িতদের ইইএ জোনে প্রবেশের সীমাবদ্ধতা অথবা জিএসপি+ প্রণোদনার শর্তের নিয়মিত স্মরণ করিয়ে দেওয়া যেতে পারে।চিঠিতে তারা বাংলাদেশে মানবাধিকারের লঙ্ঘনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন, এই চিঠির মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন সম্পর্কে আমাদের উদ্বেগ প্রকাশ করতে চাই এবং আসন্ন নির্বাচন সামনে রেখে সেখানে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার আহ্বান জানাই।চিঠিতে তারা বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদের সরকার যারা ২০০৯ সাল থেকে ক্ষমতায়, তারা নাগরিকদের জন্য গণতান্ত্রিক স্থান হ্রাস করেছে এবং সংবিধান দ্বারা নিশ্চিত করা তাদের মৌলিক অধিকারের প্রতি সম্মান দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। নিজেদের ক্ষমতা সুসংহত করার জন্য সরকার বিচারবহির্ভূত হত্যা, অপহরণ, নির্যাতন ও মিথ্যা মামলার আশ্রয় নিচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ওপর। মতপ্রকাশের স্বাধীনতাসহ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হয়েছে, বিশেষ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের পর থেকে।আরও বলা হয়, হেফাজতে নির্যাতন এবং অন্যান্য দুর্ব্যবহারের অভিযোগগুলো প্রায়শই সংযুক্ত ছিল বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) বিষয়ে। অপব্যবহার শুধু সরকারের রাজনৈতিক বিরোধীদের ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ ছিল না; বরং জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং বাংলাদেশের সংখ্যালঘু খ্রিস্টান জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রেও একই রকম ছিল।গত এক দশকে বিচারবহির্ভূত মৃত্যুদণ্ড এবং জোরপূর্বক গুমের উচ্চ হার জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক ইউএন কমিটি অ্যাগেইনস্ট টর্চারসহ (সিএটি) জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে উদ্বেগ অব্যাহত রেখেছে। বাংলাদেশ সফরকালে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার (ওএইচসিএইচআর) অনুমোদনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বলপূর্বক গুম থেকে সব ব্যক্তির সুরক্ষার জন্য।উপরোক্ত বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে, আমরা ইইউ নেতৃত্বের পুনরাবৃত্তি করতে চাই বিশ্বজুড়ে কূটনীতি, আইনের শাসন এবং মানবাধিকারের বিষয়ে। এবং এর ফলে আমরা বিশ্বাস করি, ইইউ বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জোরালো কারণ রয়েছে। কারণ দেশটি আমাদের দীর্ঘ বাণিজ্য ও উন্নয়ন সহযোগিতার অংশীদার।উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। এর পর থেকেই খালেদা জিয়া নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়।এর পর খালেদা জিয়ার পক্ষে জামিন আবেদন করা হলে হাইকোর্ট গত ১২ মার্চ তাকে চার মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন।পর দিনই আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে তা স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক। ওই দিন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর জামিন আদেশ স্থগিত না করে আবেদন দুটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।১৪ মার্চ আপিল বিভাগ চার মাসের জামিন দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ ১৮ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করেন। ওই সময়ের মধ্যে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত আপিলের আবেদন (লিভ টু আপিল) করার নির্দেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত।ওই দিন বিকালে খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের ওপর আপিল বিভাগের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে তার আইনজীবী চেম্বার জজ আদালতে আবেদন করলে তা শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ জুন ২০২৩
শেখ হাসিনার ওপর আল্লাহর রহমত আছে। যে নেতা তাহাজ্জুদ পড়েন, যে নেতা দেশের সংকট নিয়ে চিন্তা করেন, তাকে হটানো এত সহজ না। লোডশেডিং থাকবে না। অলরেডি লোডশেডিং নাই হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।সোমবার (১২ জুন) বিকেলে পল্লবীতে যুবলীগ উত্তর ইউনিটের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। দ্রব্যমূল্য ইতোমধ্যে কমতে শুরু করেছে দাবি করে এই দুর্ভোগ বেশিদিন থাকবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।বরিশাল ও খুলনা সিটি নির্বাচন প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, খুলনা আর বরিশালে নৌকা বিপুল ভোটে বিজয়ের পথে।তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি বলে, দেশের মানুষের নাকি ভোটের প্রতি আগ্রহ নাই। তাহলে বরিশাল এবং খুলনায় ৪৫-৫০ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে কীভাবে? আপনারা নেই বলে কেন্দ্রে ভোটার আসবে না, সেই দু:স্বপ্ন দেখে আর লাভ নেই মির্জা ফখরুল সাহেব।’তত্ত্বাবধায়ক মরে গেছে দাবি করে কবর থেকে উঠে আসলেও আর কাজ হবে না বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ জুন ২০২৩
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মেয়র প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম কি ইন্তেকাল করেছেন? আমরা যেটা দেখেছি, তার কিন্তু রক্তক্ষরণ দেখিনি। নির্বাচন আনন্দমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে।’সোমবার (১২ জুন) খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব মন্তব্য করেন।একটি দলের মেয়র প্রার্থীকে মেরে রক্তাক্ত করা হয়েছে, তাহলে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ বলা যায় কি- এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘রক্তাক্ত...এখন সবকিছু তো আপেক্ষিক। তিনি কি ইন্তেকাল করেছেন? আমরা যেটা দেখেছি, তার কিন্তু রক্তক্ষরণ দেখিনি। যতটা শুনেছি তাকে পেছন থেকে কেউ ঘুসি মেরেছে। তার বক্তব্যও শুনেছি। তিনি বলেছেন, ভোট বাধাগ্রস্ত হচ্ছে না। আমাকে আক্রমণ করা হয়েছে। এবং আমরা সঙ্গে সঙ্গে খবর নেওয়ার চেষ্টা করেছি।ভোট কার্যক্রম ওই কারণে বাধাগ্রস্ত হয়েছে কি না? আমরা যে খবর পেয়েছি, ভোট কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়নি এবং তাকে যে আহত করা হয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে আমরা সবার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক, রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং যে দায়ী তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে দায়-দায়িত্ব নিরূপণ করার পর পুলিশ পদক্ষেপ নিয়েছে। আমরা আরও নির্ভরযোগ্য তথ্য পরবর্তীতে হয়তো পাবো।তিনি বলেন, আজ আপনারা সবকিছু দেখেছেন, আমার যে পর্যবেক্ষণ তাতে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ভোট সার্বিকভাবে সুন্দরভাবে সুচারুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আমরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছি যে সার্বিকভাবে ভোটটি বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশন বেশ গুরুত্ব বহন করেছে। সার্বিকভাবে ভোট বেশ সুশৃঙ্খল আনন্দমুখর পরিবেশে হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ জুন ২০২৩
খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের মেয়রপ্রার্থী মো. আব্দুল আউয়াল বলেন, মানুষের ভোট দিতে সমস্যা হচ্ছে। সঠিকভাবে ভোট দিতে পারছে না। কোনো কোনো জায়গায় হাতপাখায় ভোট দিলে নৌকা আসছে, এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। খালিশপুর ১২ নম্বর ওয়ার্ডে একটা কেন্দ্রে হাতপাখায় টিপ দিলে নৌকা আসছে। কিছু কিছু মেশিনে বিভ্রাট দেখা দিচ্ছে। মেশিন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, ঠিকমতো কাজ করছে না।সোমবার (১২ জুন) সকাল ১০টায় নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বানিয়াখামার এলাকার দারুল কোরআন বহুমুখী মাদরাসা কেন্দ্রে ভোটদান শেষে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, পরিবেশ ভালো আছে, আমার মনে হচ্ছে। যদি পরিবেশ এমন ভালো থাকে তাহলে মানুষ ভোটকেন্দ্রে আসবে। মানুষের সাথে আমাদের একটা আত্মিক সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ মনে করে আমাদেরকে ভোট দিলে আমরা নগর উন্নয়ন করতে পারব। মানুষের মধ্যে আকাঙ্ক্ষা রয়েছে। মানুষ পরিবর্তন করতে চায়। এই আশায় মানুষ আমাদেরকে ভোট দেবে। কোনো ষড়যন্ত্র না হলে হাতপাখা মার্কা বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। ভোট যদি সুষ্ঠু ও সুন্দর হয় ফলাফল যাই হোক আমরা মানব।কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনের মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন ৫ জন। তারা হলেন আওয়ামী লীগের তালুকদার আব্দুল খালেক (নৌকা), জাতীয় পার্টির এস এম শফিকুল ইসলাম মধু (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আব্দুল আউয়াল (হাতপাখা), স্বতন্ত্রপ্রার্থী এস এম শফিকুর রহমান (দেয়াল ঘড়ি) ও জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন (গোলাপ ফুল)।৩১টি ওয়ার্ডের ২৮৯টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৭৩২টি ভোটকক্ষে ভোট গ্রহণ চলছে। ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৩৬ জন ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যার মধ্যে নগরীর ১৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ২ জন কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।এবারের সিটি নির্বাচনে ৩১টি ওয়ার্ডে ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন ও পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ জুন ২০২৩
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তিনি রিটার্নিং অফিসার ও পুলিশ কমিশনার বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন।সোমবার (১২ জুন) ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ৮৭ নম্বর কেন্দ্রে সাবেরা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনকালে এ ঘটনা ঘটে।ফয়জুল করীম জানান, নগরীর ২২ নং ওয়ার্ডে ৮৭ নম্বর কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে দেখি নৌকার সমর্থকরা ভোটকক্ষে ঢুকে ভোটারদের বলছেন, নৌকায় ভোট দিলে দাও, না হলে চলে যাও। এসময় আমি প্রিসাইডিং অফিসারকে এসব বিষয় বলছিলাম। তখন নৌকার কর্মীরা এসে আমাকে ও আমার সঙ্গে যারা ছিলেন তাদের ওপর হামলা চালিয়ে জখম করে। বিষয়টি সম্পর্কে রিটার্নিং অফিসার ও পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ দিয়েছি।তিনি আরও বলেন, যত হামলা হোক ভোটের শেষ পর্যন্ত আমি নির্বাচনের মাঠে আছি।নির্বাচনের পর আন্দোলনের কথা বলে তিনি জানান, এই সরকারের পতন না করে আমি ঘরে ফিরবো না। আমি কোনো অন্যায় করিনি। যারা হামলা করেছে তাদের বাবার বয়সী আমি। আমাকে মারধর করার কী কারণ? আমার দাড়িপাকা, একজন আলেম মানুষ। এতবড় পিশাচ হতে পারে মানুষ? এসব কী হচ্ছে? এটা কেমন নির্বাচন?এ ব্যাপারে রিটার্নিং অফিসার মো. হুমায়ুন কবির বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।বিজ্ঞাপন
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ জুন ২০২৩
দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর কোনোদিন ফিরবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা জানান।ওবায়দুল কাদের বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে আদালত অনেক আগেই ফয়সালা করে দিয়েছেন। বিএনপি নেতারা যতই আহাজারি করুক মৃত এ সত্তার জীবিত রূপ আর ফিরে আসবে না। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, এদেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পাহারাদার অগণতান্ত্রিক কোনো ব্যবস্থা হবে না।প্রহসন ও প্রতারণা বিএনপির অপরাজনীতির অংশ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রহসন ও প্রতারণা বিএনপির অপরাজনীতির নীতি। তারা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করতে করতে নিজেরাই প্রতারণার গোলকধাঁধায় দিশেহারা। গণতন্ত্র, সংবিধান ও মানুষের ভোটাধিকার নিয়ে বারবার ছিনিমিনি খেলায় জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে নাই। আওয়ামী লীগ ও দেশের জনগণের সম্পর্ক ঐতিহাসিক ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। আওয়ামী লীগ জনগণের কাছে যখন যে ওয়াদা করেছে তা বাস্তবায়ন করেছে।ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম বরাবরের মতো ভাঙা রেকর্ড বাজিয়ে চলেছেন। একমাত্র বিএনপি ও তাদের ঘিরে থাকা অগণতান্ত্রিক শক্তির কাছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার লাইভ ইস্যু হলেও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধসম্পন্ন সব মানুষের কাছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি ডেড ইস্যু।২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ১০ ভাগের বেশি আসন পায়নি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা সেই দুঃস্বপ্নের ট্রমা আজও কাটিয়ে উঠতে পারেননি। তাই তারা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আসন প্রাপ্তি নিয়ে পাগলের প্রলাপ বকছেন। খবর: বাসস
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১১ জুন ২০২৩
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘জামায়াত যেহেতু এখনো নিষিদ্ধ হয়নি, তারা রাজনৈতিক দল হিসেবে সমাবেশের জন্য আবেদন করেছিল, সেজন্য তাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে গতকাল (শনিবার) জামায়াতের নেতাদের যে বক্তব্য, এটি আসলে বিএনপির বক্তব্য।’রোববার (১১ জুন) দুপুরে বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পদকপ্রাপ্তির ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন তথ্যমন্ত্রী। এরপর তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কথা বলেন। এ সময় ‘জামায়াতকে মাঠে নামার সুযোগ দেওয়া হলো কেন’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে মোড়ক উন্মোচনের আয়োজন করা হয়। এ সময় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফারুক আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।আগামীতেও জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যেকোনো রাজনৈতিক দল সমাবেশ করতে পারে। কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ হলে তাদের সভা-সমাবেশ করার অধিকার থাকে না। যতক্ষণ পর্যন্ত নিষিদ্ধ না হয়, তারা সভা-সমাবেশ করার অধিকার রাখে।’জামায়াতের সমাবেশে বক্তারা বিএনপির সুরে সুর মিলিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন হবে না বক্তব্য দিয়েছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জামায়াতের সমাবেশ থেকে যেভাবে আস্ফালন করা হয়েছে। এগুলো আসলে জামায়াতের বক্তব্য নয়, বিএনপির বক্তব্য। তারা নির্বাচন প্রতিহত করার কথা বলেছে। অর্থাৎ ২০১৪ সালে যেভাবে নির্বাচন প্রতিহত করতে গিয়ে শত শত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সেটারই ইঙ্গিত তারা গতকালও দিয়েছে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের প্রধান শরিক হচ্ছে জামায়াত। বিএনপি জামায়াতকে দিয়ে এ কথাগুলো বলিয়েছে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১১ জুন ২০২৩