তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'বিএনপি যদি ক্রমাগতভাবে নির্বাচন বর্জন করতে থাকে, এবং আগামী নির্বাচন যদি বিএনপি বর্জন করে, নির্বাচনের পরে বিএনপি একটি গুরুত্বহীন দলে রূপান্তরিত হবে। এটিই বাস্তবতা।'রোববার সন্ধ্যায় ঢাকার তেজগাঁওয়ে হক সেন্টারে টেলিভিশন ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (টিসিএ) আয়োজিত ইফতার সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি আরো বলেন, 'আমরা চাই আগামী নির্বাচনে বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করুক। দেশের গণতন্ত্র সংহত হোক।'সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'বিএনপির জন্য অত্যন্ত দু:খজনক যে, দেশে যখন জাতীয় সংসদের পঞ্চাশ বছর পূর্তি হচ্ছে, তখন তারা সংসদে নেই। আসলে তারা পার্লামেন্টারি ডেমোক্রেসি বা সংসদীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। সেই কারণে তারা সংসদে থাকলেও কিছুদিন আগে পদত্যাগ করেছে।' হাছান বলেন, 'বিএনপি ভেবেছিল তারা সংসদ থেকে পদত্যাগ করলে সরকারের মধ্যে ঝাঁকুনি লাগবে, সরকার কাঁপবে, পড়ে যাবে। কিন্তু সরকারের কিছুই হয়নি, একটু কাতুকুতু লেগেছে, এর বেশি কিছু না।'তথ্যমন্ত্রী এ সময় ক্যামেরা সাংবাদিকসহ সকল সাংবাদিকের কাজকে রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতূর্থ স্তম্ভ। এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক কাজের মধ্য দিয়ে দেশ এগিয়ে যাবে।ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও হক গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদম তমিজি হকের সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ কাদের খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহেব আলম মুরাদ, এশিয়ান টিভির চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ প্রমুখ বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৯ এপ্রিল ২০২৩
গাজীপুর, বরিশাল, খুলনা, সিলেট এবং রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন ও পাঁচ পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু করেছে আওয়ামী লীগ।রোববার (৯ এপ্রিল) সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ কার্যক্রম শুরু করেন দলের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।এসময় উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের পক্ষে সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রার্থী হিসেবে মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জসীমউদ্দীন সরাসরি এবং গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনসহ বরিশালের কয়েকজন প্রার্থীর পক্ষে অন্যরা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসেবে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনকে আধুনিক নগরী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করতে চাই।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৯ এপ্রিল ২০২৩
সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশকে সংঘাতের দিকে এগিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ জোর করে ক্ষমতায় আসার পর কৌশলে তত্ত্ববধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে। বারবার দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করছে আওয়ামী লীগ। তাদের একমাত্র লক্ষ্য হলো এককভাবে দেশকে শাসন করা। এজন্যই তত্ত্ববধায়ক সরকার বাতিল করেছে।রোববার (৯ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। নওগাঁয় র্যাবের হেফাজতে ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের অফিস সহকারী সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে এ সভার আয়োজন করা হয়।মির্জা ফখরুল বলেন, নওগাঁর ঘটনা সারাদেশের মানুষের সামনে গণতন্ত্রহীনতা ও নিরাপত্তাহীনতার একটি দৃষ্টান্ত। দেশে গণতন্ত্র নেই, সরকারের কাছে কেউ নিরাপদ নয়। সংবিধানের মৌলিক জায়গা পরিবর্তন করে নিজেদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতেই নতুন আইন তৈরি করছে।ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সরকার জনগণের কণ্ঠরোধ করতে চায় বলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে চায় না।সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবি এবং বিদ্যুৎ-গ্যাস-নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং দুর্নীতির প্রতিবাদে গতকাল শনিবার সারাদেশে থানা-উপজেলা পর্যায়ে দুই ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বিএনপি।মির্জা ফখরুল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমালোচনা করে বিএনপির কর্মসূচিতে পুলিশির বাধার নিন্দা জানিয়ে বলেন, এই ঘটনা প্রমাণ করে, হত্যা, গুম, গ্রেফতার ও নির্যাতন করেই ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায় সরকার।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৯ এপ্রিল ২০২৩
বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ব্যাপারে বিএনপি জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হবে’— আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর এ বক্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পাল্টা জবাবে তিনি দাবি করেছেন, বিএনপি নয় বরং বঙ্গবাজারে মার্কেটে ‘অগ্নিসংযোগ’র ঘটনায় আওয়ামী লীগের অত্যন্ত প্রভাবশালী লোক জড়িত। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী ১২ দলীয় জোট ও বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যদি বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত ও নিরপেক্ষ তদন্ত হয় এটি বেরিয়ে আসার তাহলে সম্ভাবনা আছে। এটা সম্পূর্ণভাবে আওয়ামী লীগের দ্বারাই হয়েছে। আওয়ামী লীগের অত্যন্ত প্রভাবশালী লোক বঙ্গবাজারকে দখল করার জন্য চেষ্টা ও কাজ করছিলেন। ফলে প্রকৃত তদন্তে হলে বেরিয়ে আসবে, আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী লোকই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত।’সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, প্রত্যেকটি হয়েছে কারচুপির, যা গ্রহণযোগ্য হয়নি। অংশীদারিত্বমূলক নির্বাচন হয়নি। এগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের নির্বাচনের মান অনুযায়ী হয়নি। স্বাভাবিকভাবে জাতিসংঘ এটাতে চিন্তিত। বাংলাদেশে যে গণতন্ত্র ছিল সেটা এখান থেকে যে চলে গেছে। নির্বাচনের মাধ্যমে সেটা ফিরে আসার যে সম্ভবনা আছে, আওয়ামী লীগের অধীনে পুরনো কায়দায় নির্বাচন হলে সেটিও থাকবে না। সেজন্য জাতিসংঘ বলেছে, সবার অংশগ্রহণে বাংলাদেশে একটা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া উচিত, যা আগে হয়নি। সে কারণে জাতিসংঘ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে এ প্রস্তাব দিয়েছে। এটা তাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।’তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেখছি সরকারের যে লক্ষ্য, তারা আবার আগের কায়দায় নির্বাচন করে ক্ষমতায় যাবে। তারা সেভাবেই পরিকল্পনা করেছে। স্বাভাবিকভাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী যেটা বলেছেন, তাতে আমরা অবাক হয়নি। তিনি বলেছেন, এখানে কাউকে দরকার নেই, আমরা নিজেরাই যথেষ্ট।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ এপ্রিল ২০২৩
জ্ঞাত আয়বহির্ভূতভাবে ১ কোটি ছয় লাখ ১৩ হাজার টাকার সম্পদ অর্জন এবং আয়ের উৎস ও তথ্য গোপন করায় বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান দুলুর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়ে গতকাল বুধবার মামলাটি দায়ের করা হয়। সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. তারিকুর রহমান বাদী হয়ে এই মামলা করেন। তবে মামলাটিকে হয়রানিমূলক দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা দুলু।দুদক জানায়, দুলুর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি তার সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ দেওয়া হয়। তিনি ওই বছরের ২৫ জুলাই তার সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন।দুলুর দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে দেখা যায় তার স্থাবর অস্থাবর মিলে সম্পদের পরিমাণ ২ কোটি ৯২ লাখ ৫২ হাজার ২৬৯ টাকা।কিন্তু যাচাইকালে আওয়ামী লীগের এই নেতার স্থাবর-অস্থাবর মিলে সম্পদ পাওয়া যায় ৩ কোটি ৭২ লাখ ৭৭ হাজার ২০৯ টাকার।তার পারিবারিক ঋণ ও খরচ বাদ দিলে দুলুর মোট সম্পদের পরিমাণ দাড়ায় ২ কোটি ৭১ লাখ ৫২ হাজার ৩৬ টাকা।এই হিসেবে দুলু জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে ১ কোটি ৬ লাখ ১৩ হাজার ৮৯০ টাকার সম্পদ ভোগদখল রেখেছেন। মামলার বাদী দুদকের সহকারি পরিচালক মো. তারিকুর রহমান জানান, আওয়ামী লীগ নেতা দুলু অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ সালের ২৬ এর (২) ও ২৭ এর (১) ধারায় মামলা হয়েছে। দুলু তার সম্পদ বিবরণীতে মিথ্যা তথ্য, আয়ের উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে স্থানান্তর ও রূপান্তর করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪ (৩) (২) ধারায় অপরাধ করেছেন। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান দুলু বলেন, আমার আয়করের আয় বিবরনীতে যা উল্লেখ আছে তার বাইরে আমার কোন সম্পদ নেই। আর আমার অতিরিক্ত যে পরিমাণ টাকা উল্লেখ করেছে তা আমি বাড়ি করার সময় লোন নিয়েছিলাম।যা অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী সাত শতাংশ টাকা পরিশোধ করি যার প্রমাণপত্র আমার কাছে আছে। সেসময়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমা দিলে সেই টাকার বিষয়ে আর জিজ্ঞাসা করা হবে না। এই পরিমাণ টাকা দুদক ধরে বসেছে। আগামীতে তদন্ত শেষ হলে আমিও আমার প্রমাণপত্র দেখিয়ে দিবো।আমার বিরুদ্ধে এই মামলাটি মিথ্যা।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৭ এপ্রিল ২০২৩
বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা রহস্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।আজ এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেছেন, বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর উদাসীনতা, নির্লিপ্ততা ও জবাবদিহির অভাবে এ ধরনের মর্মস্পর্শী ঘটনা বারবার ঘটছে।মির্জা ফখরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, অতীতে এ ধরনের ঘটনা যেগুলো ঘটেছে, সেগুলোর তদন্ত করে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে একের পর এক এ ধরনের ঘটনা ঘটলেও সরকার তা রোধ করতে পারছে না।ঈদের আগে বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারীরা সর্বস্বান্ত হয়ে চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন।তাদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল।ফখরুল ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ এপ্রিল ২০২৩
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জারি করা রুলের রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে আগামী ৩ মে ধার্য করা হয়েছে। ফলে মেয়র পদে ফিরতে জাহাঙ্গীরের অপেক্ষা বাড়ল।মঙ্গলবার বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। গাজীপুর সিটি নির্বাচনের আগে জাহাঙ্গীর বহিষ্কারের বৈধতা নিয়ে রায় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট।এর আগে গত বৃহস্পতিবার এ দিন ধার্য করেছিলেন হাইকোর্ট। আদালতে জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ন, অ্যাডভোকেট এমকে রহমান, ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী। সিটি করপোরেশনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম।এর আগে গত ১৫ মার্চ গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলের শুনানি শুরু হয়। মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হলে ৩০ মার্চ রায়ের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছিল। পরে ফের সময় চায় রাষ্ট্রপক্ষ। পরে সময় আবেদন মঞ্জুর করে মঙ্গলবার রায়ের দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।এদিকে গত বছরের ১৪ আগস্ট গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া জাহাঙ্গীর আলম পদ ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে তাকে সাময়িক বরখাস্তের আইনগত বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। ব্যারিস্টার মশিউর রহমান সবুজ জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে এ রিট দায়ের করেন।প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে বহিষ্কার করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এর পর জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। তবে জাহাঙ্গীর আলমকে পরবর্তীতে দলে ফিরিয়ে নিয়েছে আওয়ামী লীগ।২০১৮ সালে গাজীপুর সিটি করপোরশেন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে বিপুল ভোটে মেয়র পদে জয়ী হয়েছিলেন জাহাঙ্গীর আলম।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ এপ্রিল ২০২৩
বিএনপি আবার গণঅভ্যুত্থানের হুংকার দিচ্ছে। অথচ তাদের গতকালের সমাবেশে ৫শ থেকে ৭শ লোকের উপস্থিতি হয়েছে। রোযার দিনে রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করে মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে বিএনপি। জনগন যে আন্দোলনে থাকেনা সেখানে গণঅভ্যুত্থান হয় না। তাদের নেতাকর্মীরায় হতাশায় ভুগছে। পথ হারিয়ে পদযাত্রা মানববন্ধনে পরিণত হয়েছে।সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটোরিয়ামে ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব বলেন ওবায়দুল কাদের। বলেন, তাদের গণঅভ্যুত্থান আর দাঁড়াতে পারবে না। নির্বাচন নিয়ে গুজব তুলছে বিএনপি। নির্বাচন দিবে নির্বাচন কমিশন।নির্বাচনের আগে বা পরে হোক তাদের ভরাডুবি অনিবার্য। লন্ডনের ফরমায়েশ এদেশে চলবে না। শেখ হাসিনার উদারতার কারণেবেগম জিয়া আজ নিজের বাড়িতে আছেন। তার সাজা স্থগিত করে তাকে বাড়িতে রেখেছে। বিএনপি নেতারা আন্দোলন করে তাদের নেত্রীকে মুক্ত করতে পারে নাই। প্রতিনিয়ত দন্ডপ্রাপ্ত আসামী তারেক রহমান অনলাইনে মিটিং করে যাচ্ছে। এটাও বাংলাদেশে হচ্ছে, এরপরও তারা বলছে বাংলাদেশে স্বাধীনতা নেই। বিশ্বনেতারা যখন শেখ হাসিনা সরকারকে প্রশংসা করছে তখন বাংলাদেশের এক শ্রেণীর মিডিয়া সরকারকে প্রতিনিয়ত আক্রমন করছে। বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। শিশুর হাতে ১০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে স্বাধীনতার মর্যাদা ক্ষুন্ন করা কি ঠিক হয়েছে। বিশ্বের অন্য কোথাও এমনটি ঘটলে সেই গণমাধ্যমের লাইসেন্স বাতিল হতো। শেখ হাসিনা ঠান্ডা মাথায় কাজ করেন। কিন্তু এ অপরাধের জন্য কি তারা কোন ক্ষমা চেয়েছে? যে জঘন্য অপরাধ তারা করেছে তার শাস্তি তাদের পাওয়া উচিত।মির্জা ফখরুলদের আমলে সাংবাদিক হত্যার হোতা ছিলেন তারা। এখন তারা সাংবাদিকদের জন্য মায়াকান্না করে।স্বাধীনতাকে কটাক্ষা করা আর মাতৃভূমিকে কটাক্ষ করা এক কথা।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৩ এপ্রিল ২০২৩
বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসব আমরা এবং সেই দিন আর বেশি দূরে নয়। আর কয়েকটা মাস অপেক্ষা করেন মাত্র। এবারের ভোটে ২৭০টা আসন নিয়ে বিএনপি সংসদে যাবে ইনশাআল্লাহ। বিএনপি সংসদে যদি যায়, সরকার যদি গঠন করে গুম, খুনসহ প্রত্যেকটা বিচারবহির্ভূত হত্যার বিচার করব আমরা। আপনাদের সব অনিয়ম, দুঃশাসন অত্যাচারের জবাব দেশের ১৭ কোটি মানুষ আপনাদের কাছ থেকে বুইঝা নিবে ইনশাআল্লাহ’। শনিবার বিএনপির পূর্বঘোষিত ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে জেলায় জেলায় অবস্থান কর্মসূচির অংশ হিসেবে চান্দিনায় কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, তিন বছরের দুঃশাসনের জন্য যদি ২১ বছর আপনাদের ক্ষমতার বাহিরে থাকতে হয়, তা হলে এই ১৫ বছরের ক্ষমতায় যে অত্যাচার চালাইছেন—আগামী ১০০ বছরেও আর ক্ষমতায় আসতে পারবেন না। রুমিন ফারহানা বলেন, ১৯৭২ থেকে ‘৭৫ আপনাদের অন্যায়, ‘দুঃশাসন, অনিয়ম, দুর্নীতির কারণে ২১ বছর ক্ষমতায় আসতে পারেননি। মানুষের দরজায় ভিক্ষা করছেন, মানুষের কাছে হাত-পা ধইরা মাফ চাইছেন। বলছেন— এবার একটু সুযোগ দেন। ’৯৬ সালে ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছেন। গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা করে ক্ষমতা ধরে রাখছেন। যদি মনে করেন আজীবন ক্ষমতায় থাকবেন, এতবড় চিন্তা কইরা ঘুম নষ্ট কইরেন না। আমরা পরিষ্কার বলে দিতে চাই— বাংলাদেশ যতদিন থাকবে বিএনপির নাম ততদিন থাকবে ইনশাআল্লাহ। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আরেকটা নির্বাচন আসতেছে। ২০১৪ সালে কোনো নির্বাচন হয়নি। ২০১৪ সালে তারা সংসদ বানাইয়া বইসা রইছে একটা ভোটও পড়ে নাই। ২০১৮ সালে সাহস হয় নাই। লুকাইয়া লুকাইয়া রাতের আঁধারে ব্যালট বাক্স ভরছে। ২০২৪ সালে যে নির্বাচন হবে, ওই নির্বাচন দেশের মানুষের নির্বাচন হবে। মানুষ ওই নির্বাচনে ভোট দেবে। আর যদি নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি না হয়, তা হলে আমরা ওই নির্বাচনে জান, প্রাণ ও রক্ত দিয়ে নির্বাচনি পরিবেশ তৈরি করব ইনশাআল্লাহ। একবার যখন ঘর থেকে বের হইছি, একবার যখন মামলা খাইছি, একবার যখন জেল খাটছি, তখন আর পেছনে ফিরে তাকানোর কিছু নাই।’কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপি আহ্বয়ক আক্তারুজ্জামান সরকারের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এএফএম তারেক মুন্সি, চান্দিনা উপজেলা বিএনপি সভাপতি মো. আতিকুল আলম শাওন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৩ এপ্রিল ২০২৩
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এ দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি, গণতান্ত্রিক কাঠামো ও প্রতিষ্ঠানসমূহ ধ্বংস করেছে বিএনপি। তাদের গণতন্ত্র বিরোধী রাজনীতির কারণেই এদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা বার বার হোঁচট খেয়েছে।সোমবার গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নির্লজ্জ মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতেই এই বিবৃতি প্রদান করা হয়।ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতারা আজ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বলেন! নির্বাচনে না গিয়ে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর তীব্র সমালোচনা আর মিথ্যাচারের তীর ছুঁড়ে এবং দলীয়ভাবে আপাদমস্তক অগণতান্ত্রিক চর্চা অব্যাহত রেখে তারা না-কী দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে! জনগণ কী তা বিশ্বাস করে?’তিনি বলেন, জিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে মাগুরা ও মিরপুর মার্কা উপ-নির্বাচন, ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচন জাতিকে উপহার দিয়েছিল বিএনপি। নির্বাচনে কারচুপি করে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারায় আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন গঠন এবং ১ কোটি ২৩ লক্ষ ভুয়া ভোটার সৃষ্টি কারা করেছিল তা দেশবাসীর অজানা নয়।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বন্দুকের নলের মুখে অবৈধ ও অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতা দখলের মধ্য দিয়ে গঠিত অবৈধ দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের মুখে গণতন্ত্র এবং ভোটাধিকারের কথা ভূতের মুখে রাম নাম ছাড়া কিছু নয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ মার্চ ২০২৩
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ স্বস্তি নিয়ে রমজানে ইবাদত করতে পারছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।তিনি বলেন, দেশে চরম অশান্তি বিরাজ করছে, মানুষ নিরাপদবোধ করছে না। আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো এই ফ্যাসবাদী সরকার কেড়ে নিয়েছে। দেশের মানুষ ভালোভাবে ইবাদত পর্যন্ত করতে পারছে না, মানুষ নিরাপদবোধ করছে না। জিনিসের দাম বাড়ছে, সব জিনিসের দাম বেড়েছে।সোমবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর লেডিস ক্লাবে বিশিষ্ট নাগরিক ও পেশাজীবীদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।ফখরুল বলেন, আজ চতুর্দিকে সরকার ফের হত্যা-গুম-খুনের সংস্কৃতি চালু করেছে। সাংবাদিকদের লেখালেখিতে সেন্সরশিপ চালু করেছে, তারা প্রকৃত ঘটনা লিখতে পারছেন না। তিনি বলেন, নওগাঁয় এক নারীকে র্যাব তুলে নিয়ে গেছে। তুলে নেওয়ার ৩৬ ঘণ্টার পর মারা গেছে। ডাক্তারি রিপোর্টে এসেছে মস্তিষ্কে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে তার মৃত্যু হয়েছে এবং মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে যে এফআইআর করা হয়নি, সেটা পরে করা হয়েছে। অর্থাৎ আবার র্যাবের হাতে সাধারণ একজন মানুষ যিনি চাকরি করেন তার মৃত্যু হলো।ফখরুল বলেন, এ সরকার শুধু নিজেদের ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য হত্যা, গুম, খুন, মিথ্যা মামলা দিয়ে একটি ভয়ের সংস্কৃতি চালু করেছে, একটি ত্রাসের সংস্কৃতি চালু করেছে। এভাবেই তারা আজ দেশ শাসন করতে চায়। সবাইকে এ সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে স্বোচ্চার হওয়ায় আহ্বান জানাই।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ মার্চ ২০২৩
তত্ত্বাবধায়ক সরকার কখনো ফিরে আসবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি তথ্য অধিদপ্তরের গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান তথ্য কর্মকর্তা শাহেনুর মিয়া।বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচন থেকে ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগ পর্যন্ত তারা এ আন্দোলন করেছে। ২০১৪ সালে তাদের আন্দোলনের নমুনা আমরা দেখেছি। যখন বিএনপি আন্দোলনের কথা বলে, তখন পেট্রোল বোমার কথা মনে পড়ে, তখন মানুষ পুড়িয়ে হত্যার মহোৎসবের কথা মনে পড়ে। তাদের সেই কাজ আবার বাংলাদেশের মানুষ করতে দেবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারও কখনো ফিরে আসবে না।ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বাসায় ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের বৈঠক হয়েছে। এতে বিএনপি নেতারা বলেছেন, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিএনপিই নাকি কূটনৈতিকদের বাসায় ধরনা দেয়। তাহলে আওয়ামী লীগ নেতারা কেন গেল? এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মধ্যাহ্নভোজের। সেখানে আমাদের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল গেছে। আমরা বিএনপির মতো তো রাত-বিরেতে গিয়ে ধরনা দিই না। তাদের আমন্ত্রণে আমরা গেছি। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র। গত ৫১ বছরের ইতিহাসে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে তাদের অবদান আছে। নিরাপত্তা থেকে জঙ্গি দমনে তারা আমাদের সহযোগিতা করছে। বহুমাত্রিক সহযোগিতা তাদের সঙ্গে আছে। সেই দেশের রাষ্ট্রদূত যখন আমন্ত্রণ জানায়, সেখানে তো যেতেই হয়। সেজন্যই আমাদের প্রতিনিধি দল সেখানে গেছে। বিএনপির মতো রাত-বিরেতে গিয়ে আমাদের কেউ পদলেহন করে না, বলেন মন্ত্রী।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৬ মার্চ ২০২৩
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গুম, হত্যা, মিথ্যা মামলা, নির্যাতন-নিপীড়নের মধ্য দিয়ে প্রায় ৩৫ লাখ মানুষকে অমানবিক হয়রানি করা হচ্ছে। রাষ্ট্রকে একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে।তার দাবি, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার জন্য আজও দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনকে চিরদিনের জন্য নির্বাসিত করার মাধ্যমে জনগণকে চূড়ান্তভাবে ক্ষমতাহীন করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদের চরম উত্থানে দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে।আগামীকাল মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে শনিবার (২৫ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্রের যে যাত্রা শুরু হয়েছিল সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়ার হাত ধরে, তা বারবার বিপন্ন করতে চেষ্টা করেছে চক্রান্তকারীরা। কিন্তু আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়া বিপন্ন গণতন্ত্রকে বারবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধার করেছেন সেটিও আজকে ধ্বংস করে গণতন্ত্রের নামে কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদ চালু করা হয়েছে। গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়াকে চক্রান্তমূলকভাবে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে আটক করে রাখা হয়েছে।তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে যে আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে দেশের মানুষ স্বাধীনতাযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল, তা আজও পূরণ হয়নি বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।নজীরবিহীন দুর্নীতি, সীমাহীন নির্যাতন ও দুঃশাসনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে। তাই আজকের এই মহান দিনে বাংলাদেশের সব দেশপ্রেমিক মানুষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি দলমত নির্বিশেষে ইস্পাতদৃঢ় ঐক্যের মাধ্যমে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলে এই দেশবিরোধী গণআবিরোধী শক্তিকে অপসারিত করে জনগণের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণের জন্য। সাম্য, মানবিক মূল্যবোধ ও সামাজিক ন্যায়বিচারের মাধ্যমে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র নির্মাণ করতে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৬ মার্চ ২০২৩
দেশে আরেকটি বড় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটল। মৃত্যু হলো ১৯ জনের। এরপর জানা গেল, দুর্ঘটনায় পড়া বাসটির চালক সর্বশেষ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ৩০ ঘণ্টার বেশি বাস চালিয়ে ক্লান্ত ছিলেন। বাসটি চালানোর অনুমোদন ছিল না, ফিটনেস সনদের মেয়াদও পেরিয়ে গেছে।দুর্ঘটনাটি ঘটে গত রোববার মাদারীপুরের শিবচরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়েতে। এর আগে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে কক্সবাজারের চকরিয়ায় পিকআপচাপায় একসঙ্গে ছয় ভাই নিহত হওয়ার পর বেরিয়ে আসে যে পিকআপটির অনুমোদনসংক্রান্ত হালনাগাদ কোনো কাগজপত্র ছিল না। চালকেরও লাইসেন্স ছিল না।এভাবে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটার পর বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, হয় সংশ্লিষ্ট বাহনের চলাচলের অনুমোদন বা রুট পারমিট নেই, নয়তো ফিটনেস সনদ নেই। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই।সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সড়কে এই নৈরাজ্য চলছে বহু বছর ধরে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় নৈরাজ্য দূর করার ক্ষেত্রে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারছে না। মন্ত্রণালয়টি শুধু এ ক্ষেত্রেই নয়, বাস ও অটোরিকশায় নির্ধারিত ভাড়া কার্যকর করা, অধীন সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সেবা সহজ করা ও দুর্নীতি কমানো, সড়কের মান উন্নত করা এবং সময়মতো ও নির্ধারিত ব্যয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা—এসব ক্ষেত্রেও কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে দেশে ভাড়া নিয়ে বচসার কারণে যাত্রীকে মার খেতে হচ্ছে, বাসচাপায় মরতে হচ্ছে।সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে ২০১১ সালের ৫ ডিসেম্বর থেকে মন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন ওবায়দুল কাদের। দায়িত্ব নিয়ে শুরুর দিকে তিনি মাঠেঘাটে, সড়কে দৌড়াতেন। অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলতেন। প্রকাশ্যে কর্মকর্তাদের ধমকও দিতেন। ‘মাসুদ ভালো হয়ে যাও’—তাঁর এই বক্তব্য তো সবার মুখে মুখে।মন্ত্রীর এই তৎপরতা মানুষের মনে আশা জাগিয়েছিল। যাত্রীরা ভেবেছিলেন, এবার বুঝি পরিবর্তন আসবে। অবশ্য মন্ত্রী হিসেবে ওবায়দুল কাদেরের মেয়াদ ১১ বছর পার হওয়ার পর দেখা যাচ্ছে, সড়কে শৃঙ্খলা আসেনি, বরং মৃত্যু বেড়েছে।ওবায়দুল কাদের মন্ত্রী থাকা অবস্থায়ই পদ্মা সেতু হয়েছে এবং মেট্রোরেলের মতো কয়েকটি বড় প্রকল্পের কাজ এগিয়েছে। তবে এসব কাজ সরকারের অগ্রাধিকার বা ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্পের আওতাধীন। বাস্তবায়নে তদারকি করছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ও। শুধু সড়ক মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা যেসব প্রকল্পে, সেগুলোর মেয়াদ ও ব্যয় বারবার বাড়ানো হচ্ছে।এ ক্ষেত্রে উদাহরণ বাস র্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্পটি (বিআরটি)। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গাজীপুরের জয়দেবপুর পর্যন্ত সাড়ে ২০ কিলোমিটার পথে বিশেষ বাস চালুর লক্ষ্যে এই প্রকল্প নেওয়া হয় ২০১২ সালে। ২০১৬ সালে বিআরটি চালুর কথা ছিল। এখনো শেষ হয়নি। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৪০ কোটি টাকা। তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা। অব্যবস্থাপনার কারণে বিআরটি প্রকল্প এক দশকের বেশি সময় ধরে মানুষকে ভোগাচ্ছে। সঙ্গে দুই দফা গার্ডার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন সাতজন।স্বাধীনতার পর থেকে দেশে যোগাযোগ বা পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ২৫ জন। এঁদের কেউ সাত বছরের বেশি দায়িত্বে ছিলেন না। একমাত্র বর্তমান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দায়িত্ব পালন করেছেন টানা এক দশকের বেশি সময় ধরে। তিনি তিন মেয়াদ ধরে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, মন্ত্রী হিসেবে নিজের কাজ করতে যে রাজনৈতিক ক্ষমতা দরকার, সেটা ওবায়দুল কাদেরের রয়েছে। কিন্তু কাজ হয়নি।যেকোনো মন্ত্রণালয়ের প্রধান ব্যক্তি মন্ত্রী। সচিব প্রশাসনিক প্রধান। মন্ত্রণালয় কোনো কাজে সফল না হলে দায় রাজনৈতিক নেতৃত্বের ওপরই বর্তায় বলে মনে করেন জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা।সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ৮ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে সড়কমন্ত্রীর কাছে এই প্রতিবেদকের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়, তিনি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়ে সড়কে শৃঙ্খলা আনা, দুর্ঘটনা কমানো ও যানজট নিরসনকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। সে অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ার বিষয়টিকে তিনি কীভাবে দেখেন। জবাবে তিনি বলেন, ‘কর্মে, কর্তব্য পালনে একজন মানুষ কখনোই পারফেক্ট (পরিপূর্ণ) নয়। চাঁদেরও কলঙ্ক আছে, এর জন্য কি চাঁদের উজ্জ্বলতা হারিয়ে গেছে? কাজ করতে গেলে কিছু ব্যর্থতা তো থাকবেই। সফলতার মধ্যে ব্যর্থতা আছে, শতভাগ সফলতা সম্ভব না।’সূত্র - প্রথম আলো
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ মার্চ ২০২৩
রাজধানীর বনানী ক্লাব থেকে বিএনপির ৫৪ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সেখানে রাষ্ট্রবিরোধী বৈঠক করছিলেন তারা।সোমবার (২০ মার্চ) এ তথ্য নিশ্চিত করেন বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান।এর আগে রোববার (১৯ মার্চ) রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রাত আনুমানিক ১টার দিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা রাষ্ট্রবিরোধী পরিকল্পনার জন্য বনানী ক্লাবে গোপন বৈঠক করছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে বনানী ক্লাবে অভিযান চালিয়ে দলটির ৫৪ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়।এছাড়া আজ বেলা ১১টার দিকে বনানী থানার ডিউটি অফিসার সিদ্দিক আহমেদ জানান, ৫৪ জনের নামেই মামলা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ মার্চ ২০২৩
‘মির্জা ফখরুলের অন্তরে বিষ’—আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন, আমার অন্তরে নাকি বিষ! আওয়ামী লীগ ভিন্নমত সহ্য করতে পারে না। আমার কথায় তাদের গায়ে আগুন লেগে যায়। আওয়ামী লীগ মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে, প্রকৃত পক্ষে তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না।রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিকল্প নেই’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)।আওয়ামী লীগ ‘নির্বাচন নির্বাচন’ খেলা শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। বলেন, এবার আওয়ামী লীগের ফাঁদে দেশের জনগণ পা দেবে না। ‘বারেবারে ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান’—এবার আর সেটা হবে না।আওয়ামী লীগ ভয়ভীতি-ত্রাস ছড়িয়ে দেশের মানুষের মুখ বন্ধ করে রাখছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির মহাসচিব। বলেন, দেশে এত টিভি চ্যানেল, কয়টি গণতন্ত্রের কথা বলে, ভিন্নমত তুলে ধরে? সুশীল সমাজের কেউ টক শোতে কথা বলেন না, পত্রিকায় লেখেন না। দেশের মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে আছে।আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান। বক্তব্য রাখেন বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ মার্চ ২০২৩
লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম এ তাহেরের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। শোক বিবৃতিতে তিনি বলেন, মরহুম এম এ তাহের একজন দেশপ্রেমিক, বলিষ্ঠ, জনপ্রিয় ও জনকল্যাণমুখী রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধকালে ভারতের রাজনগর ক্যাম্পে ভারী অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ গ্রহণ শেষে স্বদেশের মাটিতে বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলে একাধিক সম্মুখ যুদ্ধে আর্টিলারী কমান্ডার হিসেবে বীরত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। ১৯৭৫ উত্তর অন্ধকার যুগে মরহুম এম এ তাহেরের ওপর রাষ্ট্রীয় নির্যাতন নেমে আসলেও তিনি সবকিছু মোকাবিলা করে সাহসিকতার সঙ্গে মুজিবাদর্শের রাজনীতিকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছন। তাঁর মৃত্যুতে লক্ষ্মীপুরের জনগণ একজন অকৃত্রিম বন্ধু এবং জাতি একজন বীর সন্তানকে হারিয়ে ফেলল। তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যবর্গ, আত্মীয়- স্বজন, অগণিত রাজনৈতিক সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ মার্চ ২০২৩
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন বলেন, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের শোষণ, নির্যাতন, অবহেলা, বঞ্চনা ও বাঙালিকে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকে পরিণত করার বিরুদ্ধে বাংলার জনগণকে সচেতন করে সংগঠিত করেন। তিনি পরিকল্পিতভাবে বাঙালিকে স্বাধীনতার স্বপ্নে দীক্ষিত করে তোলেন। তাঁর ঐতিহাসিক নেতৃত্বে বাংলার দামাল সন্তানরা নিজের জীবন তুচ্ছ করে দেশ মাতৃকার মুক্তির জন্য সশস্ত্র যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে আনেন।শুক্রবার (১৭ মার্চ) বেলা এগারটায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন উড়ানো ও পায়রা অবমুক্ত করণের মাধ্যমে ক্যাম্পের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের পর জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ ও এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। দুপুরে রাজনৈতিক ক্যাম্পে জামাতের সঙ্গে জুম্মার নামাজ আদায় করে। নামাজ শেষে এসব মন্তব্য করেন তিনি।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জয়পুরহাট জেলার কালাই, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠণসমূহের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি বিষয়ক শিরোনামে এক ব্যতিক্রমী রাজনৈতিক ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। এই রাজনৈতিক ক্যাম্পে তিন উপজেলার তৃণমূলের বিভিন্ন বয়সী প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।উক্ত অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি, কর্ম, জীবন ও আদর্শের ওপর আলোচনা করেন।স্বপন বলেন, বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে সৃষ্ট বাংলাদেশে পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা বঙ্গবন্ধুকেই নিষিদ্ধ করে রেখেছিল। মৃত বঙ্গবন্ধুকে নানাভাবে অপমান করার হীন প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। কিন্তু ইতিহাস বঙ্গবন্ধুকে নির্দিষ্ট মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছে। জাতিসংঘের ইউনেস্কো তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণকে বিশ্ব ঐতিহ্যের মর্যাদা প্রদান করেছে। বঙ্গবন্ধু আজ দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্ব পরিমন্ডলে ছড়িয়ে পড়েছেন। আমাদের বঙ্গবন্ধু আজ বিশ্ব সম্পদে উন্নীত হয়েছেন।কালাই সরকারী ময়েন উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ময়দানে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আরিফুর রহমান রকেটের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত রাজনৈতিক ক্যাম্পে তৃণমূলের সিনিয়র আওয়ামী লীগ সদস্যবৃন্দ এবং জেলা, উপজেলা নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি, জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনা করেন।তিনি আরও বলেন, আজকের যে বাংলাদেশ এরচেয়েও সুন্দর, সমৃদ্ধ, উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে পর্যায়ক্রমে এদেশের জনগণকে সংগঠিত করার যাত্রা শুরু করেন। তৎকালিন পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে গণতান্ত্রিক রাজনীতির ধারায় তিনি গোপনে স্বাধীনতার লক্ষ্যে পরিকল্পিতভাবে এদেশের ছাত্রসমাজকে সংগঠিত করার মহৎ কর্মে আত্মনিয়োগ করেন।এই রাজনৈতিক ক্যাম্পে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট মোমিন আহমেদ চৌধুরী, মোকছেদ আলী মাস্টার, জাকির হোসেন, আব্দুস সালাম আকন্দ, মোস্তাকিম মন্ডল, মিনফুজুর রহমান মিলন, অধ্যক্ষ মোকছেদ আলী, সিরাজুল ইসলাম সর্দার, ফজলুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিশ চৌধুরী, আলম চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা নবিবুর রহমান সহ তৃণমূলের নেতাকর্মীবৃন্দ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ মার্চ ২০২৩
পাকিস্তান ছাড়া পৃথিবীর কোনো দেশেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশ তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে মাতামাতি করে না, সেখানে বিএনপির নির্লজ্জের মতো এটা নিয়ে কথা বলে। একমাত্র পাকিস্তান ছাড়া পৃথিবীর কোনো দেশেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই।বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে এতিম খানায় খাবার বিতরণ ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, সারাবিশ্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা নেই দেশের সর্বোচ্চ আদালত এ ব্যবস্থা চিরদিনের জন্য নিষিদ্ধ করেছে, সেটা নিয়ে বিএনপির মাতামাতি করছে। তাদের লজ্জা থাকা উচিত।তিনি বলেন, ইতিহাসের বেঈমানদের মতো কিছু বিশ্বাসঘাতকের ষড়যন্ত্রের কারনে পরাজয়ের খেসারত দেন বঙ্গবন্ধু। যারা বঙ্গবন্ধুকে স্বীকার করে না তারা এদেশের জন্ম চেতনাকে বিশ্বাস করে না।কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু শিশুদের ভালোবাসতেন গুরুত্বও দিয়েছেন অনেক আগামীর ভবিষ্যৎ হিসেবে। বাংলাদেশকে জানতে হলে বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনা মুক্তির সংগ্রামের রোল মডেল।বঙ্গবন্ধু আদর্শ লালন করেই দেশকে বিশ্বের রোল মডেল করে এগিয়ে যাচ্ছেন তার কন্যা শেখ হাসিনা।ড. ইউনুসকে নিয়ে ৪০ বিশ্ব নেতার চিঠি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে মানুষ বাংলাদেশ নিয়ে ভাবে না, তাকে নিয়ে আমাদের ভাবার প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশের কোন দুর্যোগে তিনি ভাবেননি। যিনি নিজেই আইন ভাঙ্গেন। ৬০ বছরের পর জোর করে এমডি পদে থেকে নিজেই আইন ভেঙেছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ মার্চ ২০২৩
আজ ( সোমবার) জাতীয় সংসদের হুইপ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি জয়পুরহাট মহিলা ডিগ্রী কলেজের রজত জয়ন্তী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষনে বলেছেন, শত প্রতিকূল, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ভুমির স্বল্পতা, মাত্রাতিরিক্ত জনসংখ্যা, সম্পদের স্বল্পতার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বিশ্বসেরা ভিশনারী রাষ্ট্রনায়ক, বাঙালির আপন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ইস্পাত কঠিন নেতৃত্বে বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন ও সর্বব্যাপী মানবকল্যানের পথে এগিয়ে চলছে। ১৯৭১ সালে অভ্যুদয়ের সময় আমাদের জাতীয় সম্পদ ছিল মাত্র ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, ৮৪ শতাংশ জনগণ দারিদ্র্য সীমার নীচে বসবাস করত, মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৯৩ মার্কিন ডলার। পাকিস্তানীদের নারকীয়তায় দেশ ছিল ধ্বংস প্রাপ্ত। এমনকি ২০০৮ সালেও আমাদের মাথাপিছু আয় ছিল ৫৯৩ ডলার, অর্থনীতির আকার ছিল ৯১ বিলিয়ন ডলার, রপ্তানী ছিল ১৪.১ বিলিয়ন ডলার, দারিদ্র্য সীমার ছিল ৩৮ শতাংশ , বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৭ বিলিয়ন ডলার। তিনি বলেন, সেই বাংলাদেশ আজ বিচক্ষণ রাষ্ট্রনেতা শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ- নেতৃত্বে দেশের সকল শ্রেণী পেশার নাগরিকদের মেধা ও পরিশ্রমের ফসল হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনের বিশ্ব মডেলে উন্নীত হয়েছে। আজ বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ৪৬৬ বিলিয়ন ডলার, মাথা পিছু আয় ২,৮৫০ ডলার, অতি দারিদ্র্য ১০.৫ শতাংশে নেমেছে, রপ্তানী ৫৩ বিলিয়ন, বিশ্বমন্দার মাঝেও ৩১ বিলিয়নের ওপর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে। আয়তনে বিশ্বে ৯৪ তম, জনসংখ্যার ৮ম বাংলাদেশ আজ বিশ্বে ৩৫ তম অর্থনীতির দেশ। বর্তমান গতি অব্যাহত থাকলে ২০৩৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের ৩৫ তম এবং ২০৩৭ সালের মধ্যে ২০ তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। আগামী ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের নূন্যতম মাথাপিছু আয় হবে ৪,১২৬ ডলার এবং আমাদের যে লক্ষ্য তাতে ২০৪১ সালের পূর্বেই আমাদের মাথাপিছু আয় ১২,৭৩৬ ডলার অতিক্রম করতে হবে। তখনই আমরা উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে আমরা আত্মমর্যাদার সঙ্গে আত্মপ্রকাশ করবই ইনশাল্লাহ। তিনি বলেন, একজন বিশেষ ব্যক্তির জন্য কয়েকজন বিদেশী বিশিষ্ট নাগরিক বিদেশী পত্রিকায় বিজ্ঞাপন আকারে বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। এই বিবৃতির বিজ্ঞাপন একজন ব্যক্তির অযৌক্তিক আবদার পূরণের জন্য দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চক্রান্ত। যারা বিবৃতির বিজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেছেন তাদের অধিকাংশই নিজ নিজ দেশে রাজনীতিতে অবসর গ্রহণ করেছেন বা অবসর প্রস্তুতিকালিন ছুটিতে রয়েছেন। বাংলাদেশের সব দেশপ্রেমিক নাগরিকের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেবাংলাদেশ এগিয়ে চলবেই। অবসরপ্রাপ্ত বিদেশী নেতারা বাংলাদেশের অদম্য এগিয়ে চলা রুখতে পারবে না । সকাল ১১ টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পায়রা অবমুক্তি ও বেলুন উড়িয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে রজত জয়ন্তী অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। কলেজ গভর্ণিং বডির সভাপতি এডভোকেট মোমিন আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম সোলায়মান আলী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম, অধ্যক্ষ আব্দুল মোমেন, এডভোকেট নৃপেন্দ্র নাথ মন্ডল, মোঃ গোলাম হাক্কানি, সংস্কৃতিসেবক আমিনুল হক বাবুল প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ মার্চ ২০২৩