বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনের পূর্বশর্ত নিরপেক্ষ সরকার। তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মানতে হবে। দাবি না মানলে রাজপথ উত্তপ্ত হবে।শনিবার (১০ জুন) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জামায়াত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।দীর্ঘ এক দশক পর রাজধানীতে ইনডোরে (ঘরোয়াভাবে) সমাবেশ করেছে জামায়াত। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ, জামায়াত নেতা শফিকুর রহমানসহ জাতীয় নেতা এবং ওলামায়ে কেরামের মুক্তি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে এ সমাবেশ আয়োজন করা হয়েছে। শুক্রবার দিনগত রাতে কিছু মৌখিক শর্তে জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি দেয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।শনিবার দুপুরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় বাইরের খোলা জায়গা এবং ফুটপাতে অসংখ্য নেতাকর্মী জড়ো হন। একপর্যায়ে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি মূল সড়কে গিয়ে ঠেকে। এতে মৎস্য ভবন ক্রসিং থেকে শাহবাগ অভিমুখী সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নেতাকর্মীরা জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেন। বক্তব্যের পাশাপাশি বিভিন্ন ইসলামী সংগীত পরিবেশন ও কবিতা আবৃত্তি করা হয়। সমাবেশ ঘিরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়।প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, সংবিধান পরিবর্তন করে জনগণের দাবি মেনে তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। গণতন্ত্রের অপরিহার্য উপাদান নির্বাচন। সেটা হতে হবে অবাধ ও সুষ্ঠু। সেটা করতে হলে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে করতে হবে। কিন্তু এরা (আওয়ামী লীগের প্রতি ইঙ্গিত করে) দিনের ভোট রাতে করে। লজ্জা তো ঈমানের অঙ্গ। কিছুটা তো লজ্জা থাকা উচিত নেতাদের। সুতরাং বলবো, ২০১৪ ও ২০১৮ গেছে যাক। এবার ২০২৪ আর সেভাবে যাবে না। এটা যদি আওয়ামী লীগ বুঝে তাহলে বলবো- আসুন, আলোচনা করুন। এবারের নির্বাচন হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। সে দাবি আদায়ে যা করা দরকার আমরা তা করবো, ইনশাআল্লাহ্।তিনি বলেন, আজ দেশের শাসকগোষ্ঠী ও সুবিধাভোগী মানুষ সৎ হলে ডোনার দেশ হতাম। কিন্তু সেটা করতে পারিনি। আপনারা না পারলে আমাদের সহযোগিতা করুন। তাহলেই দেশের পরিবর্তন হবে। সব ঠিক হয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ্।এসময় তিনি সমাবেশের অনুমতি দেওয়া ও শেষ পর্যন্ত সহায়তার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, জামায়াত কখনো বিশৃঙ্খলা করেনি, করে না এবং করবেও না। যদি বিশৃঙ্খলা হয় তবে সেটা বাইরে থেকে কেউ করতে পারে, স্যাবোটেজ। জামায়াতে ইসলামী সন্ত্রাস, নাশকতা, বিশৃঙ্খলা এবং হামলায় বিশ্বাস করে না।নায়েবে আমির আরও বলেন, জামায়াত দেশের তৃতীয় বৃহত্তম সুশৃঙ্খল আদর্শিক দল। রাষ্ট্র পরিচালনায় যারা থাকেন তাদের জামায়াত সম্পর্কে জানতে হবে। আজকে যারা সোনার বাংলা গড়তে ঘোষণা দিয়েছিলেন তারা ব্যর্থ। সেখানে সোনার বাংলাদেশ ও সোনার নাগরিক তৈরির কাজ করছে জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রশিবির। যে কারণে কোনো চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ইভটিজিং, মাদক বা নারী কেলেংকারির ঘটনায় ছাত্রশিবিরের কোনো নেতাকর্মীর নাম আসে না। কারণ, জামায়াত ও শিবির মডেল সোনার মানুষ তৈরি করে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১০ জুন ২০২৩
অবশেষে সমাবেশের অনুমতি পেল জামায়াতে ইসলামী। আজ শনিবার বেলা দুইটায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ সমাবেশ হবে। তবে ঘরোয়া এই কর্মসূচির জন্য দলটিকে মিলনায়তনের বাইরে জড়ো না হওয়াসহ বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, দলের আমির শফিকুর রহমানসহ রাজনৈতিক নেতা ও আলেমদের মুক্তি এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা এ সমাবেশ করছে। দলীয় সূত্র জানিয়েছে, পুলিশের অনুমতি নিয়ে তারা সর্বশেষ বিক্ষোভ মিছিল করেছিল ঢাকার মতিঝিলে ২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি। সে হিসাবে ১০ বছরের বেশি সময় পর ঢাকায় কর্মসূচি পালনের অনুমতি পেল জামায়াত।জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার সৈয়দ মামুন মোস্তফা প্রথম আলোকে বলেন, ডিএমপি পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক তিন শর্তে মৌখিকভাবে অনুমতি দিয়েছেন। প্রথমত কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা যাবে না, যানজট সৃষ্টি করা যাবে না এবং মিলনায়তনের ভেতরেই সমাবেশ করতে হবে।রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন নেই। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দলটিকে নিষিদ্ধেরও দাবি আছে বিভিন্ন মহলের। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দলটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের বিচার, দণ্ড কার্যকর করাসহ সার্বিক প্রেক্ষাপটে ২০১৩ সাল থেকে জামায়াতে ইসলামীর স্বাভাবিক কার্যক্রম দৃশ্যমান নয়।রাজধানীর মগবাজারে দলটির কেন্দ্রীয়, পুরানা পল্টনে মহানগর কার্যালয়সহ সারা দেশের দলীয় কার্যালয়গুলো অঘোষিতভাবে বন্ধ রয়েছে। তবে বিভিন্ন সময়ে পুলিশের অনুমতি ছাড়াই জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরকে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে।এর আগে ৫ জুন রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ ডেকেছিল জামায়াত। ঢাকা মহানগর পুলিশ কর্মসূচির অনুমতি দেয়নি। অনুমতি চাইতে গেলে দলের চার আইনজীবীনেতাকে আটক করা হয়। অনুমতি না দেওয়ার কারণ হিসেবে পুলিশ বলেছিল, সাপ্তাহিক কর্মদিবসে সমাবেশ করলে যানজটসহ জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হবে। পরে জামায়াত কর্মসূচি স্থগিত করে ১০ জুন (শনিবার) বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশ করার জন্য আবেদন করে। পুলিশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে অনুমতি দেয়।আজকের কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চাইলে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাজনৈতিক কর্মসূচি–বিক্ষোভ সাধারণত উন্মুক্ত স্থানেই হয়। এ মুহূর্তে আমরা জনগণের দাবিগুলোকেই প্রাধান্য দিচ্ছি। আশা করি, ভবিষ্যতে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এ বিষয়গুলো সমন্বয় করবেন।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১০ জুন ২০২৩
ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনের জন্য ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন মোহাম্মদ আলী আরাফাত (মোহাম্মদ এ আরাফাত)। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনিবাহী সদস্য।শুক্রবার (৯ জুন) রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়। মনোনয়ন বোর্ড সভায় দলের সভাপতি শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন।সভায় নৌকার মাঝি হিসেবে মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে চূড়ান্ত করা হয়। মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে এক বিফ্রিংয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তা জানিয়েছেন।এর আগে ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে গত ৩ জুন থেকে ৬ জুন পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে আওয়ামী লীগ। এসময় ২২ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। আলী আরাফাত বাদে যারা মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন তারা হলেন- আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য মো. মোহাম্মদ ওয়াকিল উদ্দিন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা মো. নুরুল ইসলাম তামিজি, গুলশান থানা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য আরাফাত আশওয়াদ ইসলাম, মুজিবনগর বিসিএস মুক্তিযোদ্ধা অফিসার, কর্মচারী সমিতির সভাপতি ও সাবেক সচিব মোহাম্মদ মুসা, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জাকির হোসেন, ক্যান্টনমেন্ট থানা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মো. আবু সাইদ, যুবলীগের সাবেক শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. আব্দুল খালেক, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক কানিজ ফাতেমা সুলতানা, অভিনেতা ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতি জোটের (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুল কাদের খান।আরও রয়েছেন বনানী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম জসিম উদ্দিন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাবেক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হেফজুল বারী মোহাম্মদ ইকবাল, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুল হাফিজ মল্লিক, আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপ-কমিটির (প্রস্তাবিত) তাহসিন মাহবুব, সাংস্কৃতি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ, এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, বনানী থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. নাছির, বনানী থানা আওয়ামী লীগের সদস্য লতা নাসির, বাংলাদেশ তাঁতী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ তানভীর ইমাম, প্রয়াত চলচ্চিত্র নায়ক ফারুকের ছেলে রৌশন হোসেন পাঠান ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ড্যানি সিডাক।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৯ জুন ২০২৩
সরকার আবার ‘নির্বাচন নির্বাচন খেলা’ শুরু করেছে অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কোনো নির্বাচন এ দেশে হবে না, যদি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে না হয়। আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে এই শ্রমিক-কর্মচারী সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল হয়। বক্তব্যে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে ভোট দিতে না পারার অভিযোগ করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘এখন আবার নির্বাচন আসছে, সেই নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার আবার নির্বাচন নির্বাচন খেলা শুরু করেছে। আমাদের প্রয়োজন একটা অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন; প্রয়োজন একটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা।’গোটা জাতি আজকে নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কোনো নির্বাচন এ দেশে হবে না, যদি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে না হয়।’ সে জন্য সংসদ বিলুপ্ত, আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ এবং নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানান বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, নতুন নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নির্বাচন করতে হবে। এ ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই।আওয়ামী লীগ জোর করে ১৪ বছর ক্ষমতা দখল করে অত্যন্ত সচেতনভাবে সাধারণ মানুষের অধিকারগুলো কেড়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘আজকে শ্রমিক ভাইয়েরা আপনারা এখানে সমবেত হয়েছেন, আপনাদের ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে, শ্রমিকদের কাজের সংস্থান নেই। অথচ এই সরকারের সঙ্গে যারা আছে, তারা লুটতরাজ করে টাকা পাচার করে দিচ্ছে।’‘দুনিয়ার মজদুর এক হও’ স্লোগান ধরে মির্জা ফখরুল ইসলাম শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করাসহ একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য চলমান আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে শ্রমিক-কর্মচারীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৯ জুন ২০২৩
জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় বিএনপির সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। ক্ষমতাসীন দলেরই একজন জ্যেষ্ঠ নেতা আমির হোসেন আমু এ বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন। তাঁর বক্তব্য নিয়েই দলটির ভেতরে প্রতিক্রিয়া হয়েছে। এমনকি আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে তাঁর কাছে কৈফিয়তও চাওয়া হয়েছে।আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃত্ব চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে জাতিসংঘ বা বিদেশিদের মধ্যস্থতা বা হস্তক্ষেপের পক্ষে নন।যদিও তাঁদের অনেকে চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপ বা আলোচনার প্রশ্নে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনাও রয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপ বা আলোচনার ব্যাপারে এখনো দলগতভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় সংলাপের প্রশ্নে দলের একজন নেতার বক্তব্য নিয়ে আওয়ামী লীগের ভেতরের প্রতিক্রিয়া বেশ দ্রুত প্রকাশ্যে এসেছে। গত মঙ্গলবার ঢাকায় ১৪–দলীয় জোটের এক জনসভায় ওই জোটের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় আলোচনার কথা বলেছিলেন। পরদিনই গতকাল বুধবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এর উল্টো বক্তব৵ দেন।জাতিসংঘ বা বিদেশিদের মধ্যস্থতায় আলোচনার বিষয় নাকচ করে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জাতিসংঘের মধ্যস্থতা বা হস্তক্ষেপ করতে হবে, এমন কোনো রাজনৈতিক সংকট দেশে এখনো তৈরি হয়নি। আমাদের দেশে আমরা আলোচনা করব। এটা নিজেদের সমস্যা, নিজেরাই সমাধান করব।’ গতকাল ছয় দফা দিবসের এক অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ–ও বলেন, বিএনপির সঙ্গে আলোচনার সিদ্ধান্ত এখনো নেই।রাজনৈতিক সংকট নিরসনে আলোচনা বা সংলাপের প্রশ্নে গতকাল অন্তত তিনজন মন্ত্রী বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় আলোচনার বিষয় নাকচ করেছেন। তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ গতকাল দুপুরে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমির হোসেন আমুর বক্তব্য তাঁর ব্যক্তিগত বক্তব্য।’ অন্যদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান গতকাল সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেছেন, আলোচনার বিকল্প নেই।বিএনপির সঙ্গে ক্ষমতাসীনদের নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে বিরোধের মীমাংসার কোনো ইঙ্গিত এখনো নেই। বিরোধী দল নির্দলীয় সরকারের দাবিতে তাদের আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। অন্যদিকে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে গত ২৪ মে।নির্বাচন নিয়ে বিরোধপূর্ণ রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি সরকার ও আওয়ামী লীগের ওপর একটা চাপ সৃষ্টি করেছে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা মনে করেন। তাঁরা বলছেন, চাপের কারণে এখন কোনো ইস্যু এলেই মন্ত্রীরা এবং আওয়ামী লীগের নেতারা তা নিয়ে একের পর এক বক্তব্য দিয়ে থাকেন এবং তাঁদের বক্তব্যে সমন্বয়ের ঘাটতি প্রকাশ পায়। এখন সংলাপ বা আলোচনার প্রশ্নেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। যদিও ক্ষমতাসীনেরা কোনো চাপের বিষয় স্বীকার করতে রাজি নন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ জুন ২০২৩
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রতি বছর কমপক্ষে দেড় লাখ কোটি টাকার সমপরিমাণের বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে পাচার হচ্ছে। বর্তমান বাংলাদেশে চারদিকে শুধু হাহাকার। তবে এই হাহাকার সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট ও সুবিধাভোগী নব্য ধনীদের জন্য নয়। তারা সম্মিলিতভাবে সাধারণ মানুষের রক্ত চুষে দিব্যি ভালো আছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় তারা দেদারসে অর্থ লোপাট করছে। ব্যাংকগুলোকে ফোকলা করে দিয়েছে। আর অন্যদিকে গরিব আরও গরিব হচ্ছে। মানুষ সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে। বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, করোনা উত্তরকালে প্রায় চার কোটি মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়ে পড়েছে। বিএনপির বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার যে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেছে তা বর্তমান ফ্যাসিস্ট লুটেরা সরকারের অর্থনৈতিক দুর্নীতির ধারাবাহিকতা রক্ষার এক বার্ষিক ঘোষণাপত্র মাত্র। এই বাজেট কল্পনাবিলাসী বাস্তবায়ন অযোগ্য এক উচ্চাভিলাষী বাজেট। এটি স্রেফ দুর্নীতিবাজ বর্তমান সরকারের আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার লুটের লক্ষ্যে প্রণীত “অর্থ লুটেরাদের বাজেট”। বাজেটে চলমান অর্থনৈতিক সংকট, ক্রমবর্ধমান আয়বৈষম্য, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে যাওয়া, বেপরোয়া অর্থপাচার, জনগণের কাঁধে রাষ্ট্রীয় ঋণের বোঝা একেবারের জন্যও স্বীকার করা হয়নি। পরিত্রাণের উপায়ও বলা হয়নি। তেমনিভাবে সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে সুশাসন ও ন্যায়বিচারের ধারণাকে।তিনি বলেন, এ বাজেট বাস্তবতা বিবর্জিত, প্রতারণামূলক, লোকদেখানো বাজেট, জনকল্যাণের নয়। বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি ও বিনিয়োগসহ সামষ্টিক অর্থনীতির যেসব প্রক্ষেপণ করা হয়েছে তা অর্জনযোগ্য নয়। জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭.৫ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করলেও তা কীভাবে অর্জন করা হবে তার কোনো সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা বাজেটে নেই। চলতি অর্থবছরেও ঢাকঢোল পিটিয়ে ঘোষণা করা হয়েছে প্রবৃদ্ধি হবে ৭.৫ শতাংশ। সংশোধনী বাজেটে তা পরে ৬.৩ শতাংশ পুনর্নির্ধারণ করা হয়। অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, এবারও ৭.৫ শতাংশ টার্গেট অর্জন সম্ভব হবে না। কেননা অর্থনীতি এমনিতেই চাপের মধ্যে রয়েছে।বিএনপির এ নেতা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে অর্থনীতি ও সাধারণ মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ। এ চাপ মোকাবিলায় বাজেটে তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই। বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পরিবহণ এবং খাদ্যসহ তেল, চাল, আদা, চিনি, ডিম, মুরগিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য অনেক আগেই মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে চীন, আমেরিকা, ভারতসহ বিশ্বের নানা দেশে যথাযথ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে। বিশেষভাবে খাদ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে। আপনারা জানেন, দেশের অর্থনীতি মহাবিপর্যয়ে রয়েছে। ডলারের সংকট প্রকট। পণ্য আমদানির জন্য ঋণপত্র (এলসি) খুলতে গেলে প্রায় সকল ব্যাংক ফিরিয়ে দিচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে। সরকারি হিসাব মতে গত ৭ বছরে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ২৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে গেছে। আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী, প্রকৃত রিজার্ভ দাঁড়ায় ২১ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। বিশ্বস্ত সূত্রমতে, ইতোমধ্যে নতুন নোট ছাপিয়ে বাজারে ছাড়া হয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকার ওপর। একটি রাজনৈতিক গোষ্ঠীর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংকব্যবস্থায় নজিরবিহীন নৈরাজ্য চলছে। ব্যাংকের অতিরিক্ত ক্যাশ লিকিউডিটি কমেছে ৫৭ হাজার ৭০৭ কোটি টাকা। ২০০৯ সালে যেখানে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২২ হাজার কোটি টাকা, এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩১ হাজার ৬২০ কোটি টাকা। তবে পুনঃতফসিলকৃত ঋণ যোগ করলে প্রকৃত খেলাপি ঋণ ৪ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। গত বছরের প্রথম ৯ মাসেই খেলাপি বেড়েছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা। গত তিন মাসেই খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১১ হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশে খেলাপি ঋণ বাড়ার প্রধান কারণ রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৭ জুন ২০২৩
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর বক্তব্য প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বক্তব্যটি তার ব্যক্তিগত। এ বক্তব্য নিয়ে আওয়ামী লীগে আলোচনা হয়নি, এমনকি ১৪ দলেও আলোচনা হয়নি। বুধবার (৭ জুন) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৭ জুন ২০২৩
সংলাপ চলমান থাকবে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সংলাপের কোনো বিকল্প নেই। আমরা মনে করি, সব কিছুই সংলাপের মাধ্যমে, আলোচনার মাধ্যমে শেষ করতে হবে। বুধবার (৭ জুন) দুপুরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সদর দপ্তরে স্বাধীনতা পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। কয়েকদিন ধরে নির্বাচন ইস্যুতে সংলাপের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ একটি জনপ্রিয় দল। আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ক্ষমতায় রয়েছে। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণের ক্ষমতায় চলতে হবে। আর জনগণের ক্ষমতা অব্যাহত রাখতে হলে সবার সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। তাই আলোচনার বিকল্প কিছু নাই। জামায়াতে ইসলামীকে বিক্ষোভ সমাবেশের অনুমতির বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা রাজনীতি করেন তাদের রাজনৈতিক অধিকার রয়েছে সভা-সমাবেশ করার। তারা তাদের মতামত প্রদর্শন করবে, জানাবে এটাই তো স্বাভাবিক। মন্ত্রী বলেন, আমি যতদূর জানি, জামায়াত ইসলামী এখন নির্বাচন কমিশনের স্বীকৃত একটি দল নয়। কাজেই এ বিষয়ে আমাদের ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার নিরূপণ করবেন। এখানে সমাবেশ করতে দিলে কোনো নাশকতা বা বিশৃঙ্খলার সম্ভাবনা রয়েছে কিনা। পরেই তারা সিদ্ধান্ত দেবেন।বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছেন। আগামী নির্বাচনে তাদের কোনো ষড়যন্ত্র বা পরিকল্পনা আছে কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, এটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ। তারা যেটা বলেছে সেটাই যথেষ্ট। তারাই মনিটরিং করছেন। আমরা এটুকু মনে করি, রাষ্ট্রদূতরা যাতে তাদের শিষ্টাচার মেনে, তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেন। এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৭ জুন ২০২৩
জাতিসংঘ মধ্যস্থতা করবে এই রকম কোনো সংকট স্বাধীন বাংলাদেশে হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।বুধবার সকালে ৬ দফা দিবস উপলক্ষ্যে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা শেষে তিনি এসব কথা বলেন। জাতিসংঘ কেন মধ্যস্থতা করতে যাবে— প্রশ্ন করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের দেশে এমন কোনো রাজনৈতিক সংকট হয়নি যে জাতিসংঘের এখানে ইন্টারফেয়ার করতে হবে। জাতিসংঘ মধ্যস্থতা করবে এই রকম কোনো সংকট স্বাধীন বাংলাদেশে হয়নি।সেতুমন্ত্রী বলেন, সংকটে সমাধান হলো আমাদের সংবিধান। সংকটে আর কোনো সমাধান নেই। সংবিধানই যদি কোনো দেশের সমাধান না দিতে পারে তা হলে সে দেশে গণতন্ত্র হবে কি করে?তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে আমাদের আলোচনার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। আমাদের দেশে আমরা আলোচনা করব, এটা নিজেদের সমস্যা, নিজেরাই সমাধান করব। বিগত নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী সংলাপের আহ্বান করেছিলেন। সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার উদ্যোগে নির্বাচন কমিশন আরও গণতান্ত্রিক হয়েছে। নির্বাচনব্যবস্থা আরও গণতান্ত্রিক হয়েছে। গণতন্ত্র হঠাৎ করে রাতারাতি প্রতিষ্ঠা পায় না। প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে সময় লাগে। একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়।মন্ত্রী বলেন, আমাদের গণতন্ত্র এখন অনেক পরিপূর্ণ হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এগিয়ে চলছে। কাজেই এখানে বাইরের কোনো মধ্যস্থতা, বাইরের কোনো হস্তক্ষেপের দরকার নেই। আমাদের নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধান করব। সময় বলে দেবে কখন কী হবে। আপাতত আলাপ-আলোচনার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) আমাদের নেত্রীকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। তাদের সঙ্গে আমরা কী আলোচনা করব? তারা আজ নালিশের রাজনীতি করছে। কি পেয়েছে? তারা আমেরিকায় নালিশ করেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে নালিশ করে তারা কি পেয়েছে? পেয়েছে ঘোড়ার ডিম। এখন তারা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধান চায়। এই তত্ত্বাবধানে আবার নতুন সূত্র তুলে ধরছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৭ জুন ২০২৩
জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করতে চান বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু।আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ১৪ দলের সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।আমির হোসেন আমু বলেন, 'জাতিসংঘের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি আসুক। আমরা বিএনপির সঙ্গে মুখোমুখি বসে আলোচনা করে দেখতে চাই, কোথায় সমস্যা; সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা কোথায় এবং কীভাবে সেটা নিরসন করা যায়। এটা আলোচনার মধ্য দিয়েই সুরাহা হতে পারে, অন্য কোনো পথে নয়।''অন্য কোনো পথে চেষ্টা করে নির্বাচন বানচাল করে যারা অসাংবিধানিক অবস্থা সৃষ্টি করতে চান, অসাংবিধানিক কোনো জিনিস আনতে চান, তাদেরকে প্রতিহত করা হবে। ১৪ দল ঐক্যবদ্ধভাবে, ১৪ দলের নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত দিনের মতো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে এ দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখবে,' যোগ করেন তিনি।তিনি আরও বলেন, 'সংবিধানের ভিত্তিতে দেশ পরিচালিত হচ্ছে। এই সংবিধানকে সামনে রেখে যেকোনো সমাধান, যেকোনো কিছু করতে আমরা প্রস্তুত। আপনারা এগিয়ে আসুন, আমরা গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার স্বার্থে, গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখার স্বার্থে আপনাদের (বিএনপি) সঙ্গে বসতে রাজি আছি।'আমির হোসেন আমু বলেন, 'আলোচনার দ্বার খোলা।'বিএনপির বিরুদ্ধে তার অভিযোগ, 'নির্বাচনকে সামনে রেখে আপনারা নানা রকম অজুহাত তুলছেন, বিদেশিদের কাছ থেকে অনেক রকম সাহায্য-সহযোগিতার জন্য কথা বলছেন, ভিসানীতিকে আশ্রয় করে মানুষের মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চিন্তা করছেন।'মার্কিন নতুন ভিসানীতির বিষয়ে তিনি বলেন, 'বৃক্ষ তোমার নাম কি, ফলে পরিচয়। আজকে এটা বলার প্রয়োজন নেই। যখন এই বৃক্ষের ফল পড়বে তখন দেখা যাবে, এই বৃক্ষ কী। এর উত্তর তখন সবাই আপনারা উপলব্ধি করবেন। বগল বাজাবার কোনো সুযোগ নেই, বাহবা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার, বিভিন্ন রকমের ফন্দিফিকির আপনারা গতদিনেও করেছেন, আজকেও করার চেষ্টা করছেন।'
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৬ জুন ২০২৩
পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে ছাত্রলীগের কর্মসূচি বয়কট করেছেন গণমাধ্যমকর্মীরা। মঙ্গলবার (৬ জুন) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত ছয় দফা দিবস স্মরণে আলোচনা সভায় এ ঘটনা ঘটে।এসময় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান ও ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে প্রবেশ করেন আলোচনা সভার প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।উপস্থিত সাংবাদিক ও ছাত্রলীগ নেতারা জানান, ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের বক্তব্যকালে ডিবিসি ও সময় টিভিরসহ কয়েকজন ক্যামেরাপার্সন সামনে গিয়ে ফুটেজ নিতে চাইলে সৈকত এসময় রেগে যান এবং ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিক উদ্দেশ্য করে নানা ধরনের অসৌজন্যমূলক কথা বলেন। এছাড়া তার অনুসারীরাও এসময় হট্টগোল করেন। পরে তাৎক্ষণিক উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীরা কর্মসূচি বয়কট করে বের হয়ে যান।পরবর্তীতে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান দুঃখ প্রকাশ করলেও সাংবাদিকরা আর কর্মসূচি স্থলে উপস্থিত হননি বলে জানা যায়।এ বিষয়ে তানভীর হাসান সৈকত বলেন, আমি যখন বক্তব্য দিচ্ছিলাম তখন কয়েকজন সাংবাদিক আমার সামনে দাঁড়িয়ে অডিয়েন্সের ভিডিও করছিলেন। এর ফলে আমাকে অডিয়েন্স দেখতে পারছিল না, আমিও তাদের দেখতে পাচ্ছিলাম না। আমি কয়েকবার তাদের সরে যেতে বলি কিন্তু তারা শোনেননি। পরে আমি বলেছি সবার কমনসেন্স থাকা দরকার, কোথায় দাঁড়াতে হবে, কোথায় দাঁড়াতে হবে না এটা জানতে হবে। এটা বলে আমি কোনো অপরাধ করিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৬ জুন ২০২৩
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কাঙ্ক্ষিত স্যাংশন না পেয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম চিরাচরিত ভঙ্গিতে প্রলাপ বকছেন। মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করে তারা প্রতিনিয়ত সরকারবিরোধী কুৎসা ও বদনাম রটাচ্ছেন। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ ও এ দেশের জনগণের মান ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।তিনি বলেন, ৩০ লাখ শহীদের প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে ম্লান করে হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলে বিদেশি প্রভুদের কাছে ধরনা দিচ্ছে এবং দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। দেশের মানুষের প্রতি তাদের কোনো আস্থা ও বিশ্বাস নেই এবং দেশের সংবিধান, গণতন্ত্র, নির্বাচন ও গণরায়কে অবজ্ঞা করে তারা কেবল বিদেশি প্রভুদের কাছে করুণা প্রার্থনা করছে।মঙ্গলবার (৬জুন) দুপুরে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত ভিসানীতি নিয়ে আওয়ামী লীগ ও সরকার ভীত নয়। কারণ আমরা সর্বদা সংবিধান, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যদি এই ভিসানীতি যথাযথভাবে প্রয়োগ হয়, তাহলে বিএনপি নেতাকর্মীদের এর আওতায় আসার আশঙ্কা রয়েছে। কেননা, তারা বরাবরই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করছে। তারা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত করতে ও নির্বাচন প্রতিরোধের নামে সন্ত্রাসের মাধ্যমে সাংবিধানিক রাজনীতির অচলাবস্থা সৃষ্টির পাঁয়তারা করে আসছে।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মিথ্যাচার-অপপ্রচারের মাধ্যমে বিএনপি নেতারা খুনি-স্বৈরশাসক, সংবিধান ও গণতন্ত্রের হত্যাকারী স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা হিসেবে ভ্রান্ত মিথ তৈরি করার অপচেষ্টা করে আসছে। মূলত জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও সংবিধান ধ্বংস করেছে। প্যাডসর্বস্ব ভুঁইফোড়, বিবৃতিজীবী, পাকিস্তানপন্থি রাজনীতিক ও যুদ্ধাপরাধীদের ধরে এনে সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে রাজনৈতিক দল গঠন করে পাকিস্তানপন্থিদের ক্ষমতায়ন করেছিল জিয়াউর রহমান। রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম ও গণমাধ্যম থেকে মুক্তিযুদ্ধের জয়ধ্বনি ‘জয় বাংলা’ ও ‘জয় বঙ্গবন্ধু’-কে নির্বাসনে পাঠিয়েছিল। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীতে পাকিস্তানি দর্শনের রাজনীতির প্রচলন করেছিল। দিনের পর দিন আওয়ামী লীগের কার্যালয় তালাবদ্ধ করে কার্যত অঘোষিতভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করে রাখা হয়েছিল।বিবৃতিতে তিনি বলেন, অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, আজ বিএনপির কোনো কোনো নেতার বক্তব্যে তাদের এতটাই দেউলিয়াত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে যে, তাদেরকে আর কোনো রাজনৈতিক সংগঠন বলা চলে না। জনগণের প্রতি আস্থা না রেখে বিএনপি নেতারা বিদেশি প্রভুদের পদলেহনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার এ ধরনের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী খুনিগোষ্ঠী ও ষড়যন্ত্রকারীদের কাছে আত্মসমর্পণ করবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশবিরোধী এই অপশক্তিকে উৎখাত করা হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৬ জুন ২০২৩
প্রয়াত চিত্রনায়ক ফারুকের আসনে (ঢাকা-১৭) উপনির্বাচনে প্রার্থী হবেন হিরো আলম।আজ সোমবার সকালে বাংলা ওয়্যারকে তিনি এই কথা জানান। তিনি বলেন, 'আজ বিকেল ৩টায় নির্বাচন কমিশন থেকে নমিনেশন ফর্ম কিনব। ফারুক ভাই একজন মহান নায়ক। তার চলে যাওয়া আমাদের জন্য অনেক বড় ক্ষতি। তার অনেক উন্নয়ন কাজ অসমাপ্ত থেকে গেছে। আমি সেই কাজগুলো সমাপ্ত করতে চাই।'ঢাকার মানুষ কেন আপনাকে ভোট দেবেন এমন প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম বলেন, 'আমাকে সারাদেশের মানুষ ভালোবাসেন। আমি খুব কষ্ট করে এই অবস্থায় এসেছি। ঢাকায় নির্বাচন করে প্রমাণ করতে চাই, মানুষ আমাকে কত ভালোবাসে। আমার বিশ্বাস ঢাকার ভোটাররাও আমাকে ভোট দেবেন।'আগামী জাতীয় নির্বাচনেও কী ঢাকা থেকে প্রার্থী হবেন- জানতে চাইলে হিরো আলম বলেন, 'জাতীয় নির্বাচনে আমি ঢাকা থেকে নয়, বগুড়া থেকে নির্বাচনে অংশ নেব।'এর আগে, গত ফেব্রুয়ারিতে বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনের উপ-নির্বাচনে অংশ নেন হিরো আলম। তিনি বগুড়া-৬ আসনে অনেক ভোট হারলেও বগুড়া-৪ আসনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত জাসদের প্রার্থীর কাছে মাত্র ৮৩৪ ভোটে পরাজিত হন।আগামী ১৭ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ জুন ২০২৩
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. আজমত উল্লাহ খানকে গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান করেছে সরকার।রোববার (৪ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।এতে বলা হয়, গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন অনুযায়ী অ্যাডভোকেট মো. আজমত উল্লা খানকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী তিন বছর মেয়াদে গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেওয়া হলো।এই নিয়োগের অন্যান্য শর্ত অনুমোদিত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে বলেও এতে জানানো হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ জুন ২০২৩
ঢাকা ১৭ আসনে উপ-নির্বাচনের জন্য ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন সাতজন। গতকাল শনিবার থেকে আজ বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময়ে এ সাতজন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।বিষয়টি নিশ্চিত করে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খান বলেন, ঢাকা ১৭ আসনে উপ-নির্বাচনের জন্য সাত নেতা দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য মো. মোহাম্মদ ওয়াকিল উদ্দিন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা মো. নুরুল ইসলাম তামিজি, গুলশান থানা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য আরাফাত আশওয়াদ ইসলাম, মুজিবনগর বিসিএস মুক্তিযোদ্ধা অফিসার ও কর্মচারী সমিতির সভাপতি ও সাবেক সচিব মোহাম্মদ মুসা, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জাকির হোসেন, ক্যান্টনমেন্ট থানা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মো. আবু সাইদ ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাবেক শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. আব্দুল খালেক। তিনি আরও জানান, ৯টি পৌরসভার মেয়র পদে ৩১টি এবং ৩৭টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে ৩৩টি মনোনয়ন ফরম বিতরণ করা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ জুন ২০২৩
প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে এই বাজেট প্রণীত হয়েছে।তিনি বলেন, 'সোনার বাংলার অভিমুখে যাত্রার প্রথম সোপান আমরা অতিক্রম করেছি। এটি সংকটে ঘুরে দাঁড়ানোর বাজেট। এটা হলো মূল কথা।'বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় প্রস্তাবিত বাজেট ২০২৩-২৪-এর ওপর গণমাধ্যমে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'দ্রব্যমূল্য এখন কমছে।'সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য ভাঙতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। দ্রব্যমূল্য এখন বেশ কিছু ক্ষেত্রে কমতে শুরু করেছে। বাজেটটা এমনভাবে করা হয়েছে যে, মানুষের কষ্ট লাঘব হবে। দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকবে।'প্রস্তাবিত বাজেটকে জনবান্ধব বলার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, 'সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে এই বাজেট প্রণীত হয়েছে।'
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ জুন ২০২৩
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। মনোনয়নপত্র দাখিল ১৫ জুন, বাছাই ১৮ জুন ও প্রত্যাহার ২৫ জুন। আগামী ১৭ জুলাই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন এই তফসিল ঘোষণা করে।প্রসঙ্গত গত ১৫ মে ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুতে এ আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে এই আসনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ জুন ২০২৩
জনগন অবশ্যই তাদের অধিকার আদায় করবে। আগামী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।মঙ্গলবার (৩০মে) দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।রাজধানীর শেরে বাংলা নগর জিয়াউর রহমানের সমাধি প্রাঙ্গণে বিএনপি মহাসচিব বলেন, জনগনকে গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে দূরে রাখা, রাজনৈতিক অধিকার থেকে দূরে রাখা, একটি সুষ্ঠু ভোট থেকে দূরে রাখা এবং যাতে একদলীয় নির্বাচন করতে পারে তার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। কিন্তু এবার জনগণ সেটা করতে দেবে না”। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে থাকা মামলাগুলোর রায় দেওয়া থেকে বোঝা যায় সরকার সম্পূর্ণভাবে রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে দখল করে নিয়েছে।সাংবাদিকদের মির্জা ফখরুল জানান, আজকে আমরা শপথ নিয়েছি, বাংলাদেশের হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্রকে পুন:রুদ্ধার করব। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব। তিনি জানান, যারা গণতান্ত্রিক আন্দোলন করছে, ফরমায়েশি রায় দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠিয়ে স্তব্ধ করতে চাইছে সরকার। দীর্ঘ ১২ বছর ধরে তারা একই কাজ করছে। এ ধরনের রায় দিয়ে আন্দোলকে বন্ধ করা যায় না।এর আগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার সমাধিতে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান বিএনপি মহাসচিব। অন্যদিকে সমাধি কমপ্লেক্সে কুরআন খতম ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী ওলামা দল। শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাথে উপস্থিত ছিলেন, দলের স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান উমর বীর উত্তম, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব ফজলুল হক মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ মে ২০২৩
বিএনপির সরকারবিরোধী চূড়ান্ত আন্দোলনের পরিকল্পনা প্রায় প্রস্তুত। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি ঘোষণার পর এ পরিকল্পনায় কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়। সবকিছু ঠিক থাকলে জুনেই সমমনাদের নিয়ে একমঞ্চ থেকে সরকার পতনের একদফার ঘোষণা দেবে বিএনপি। ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে আন্দোলন রূপরেখার খসড়া। সমমনা রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে আলোচনা করে শিগগিরই তা চূড়ান্ত করা হবে। তবে চূড়ান্ত আন্দোলনেও থাকছে না হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে বড় জমায়েতের মধ্য দিয়ে সরকারকে দাবি আদায়ে বাধ্য করার পরিকল্পনা রয়েছে দলটির। একদফা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে তৃণমূলসহ সব পর্যায়ের নেতাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।সূত্র জানায়, সমমনাদের সঙ্গে নিয়ে একমঞ্চ থেকে সরকার পতনের একদফার ঘোষণার পাশাপাশি রাষ্ট্র মেরামতের যৌথ ঘোষণাপত্র তুলে ধরার কথা রয়েছে। বিএনপি ও সমমনাদের ঘোষিত দফাগুলো সমন্বয় করা হচ্ছে। রাষ্ট্র মেরামতে বিএনপির ২৭ দফাকে ৩১ দফায় উন্নীত করে একটি খসড়াও প্রস্তুত করা হয়েছে, যা স্থায়ী কমিটি চূড়ান্ত করবে।দলটির নেতারা মনে করেন, সম্প্রতি সব সাংগঠনিক জেলা ও মহানগরে জনসমাবেশ ও পদযাত্রার কর্মসূচিতে আন্দোলনের গতি বেড়েছে। মার্কিন নতুন ভিসানীতি ঘোষণার পর নেতাকর্মীরা আন্দোলনের মাঠে নতুনভাবে উদ্দীপনা পেয়েছেন। মাঠের এই আবহ একদফার আন্দোলন সফল করার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আর কোনো দশ দফা নয়, এখন একটাই দাবি-শেখ হাসিনার পদত্যাগ। সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন। তবেই বিএনপি নির্বাচনে যাবে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে।’ বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘একদফা আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। কারণ এ সরকার একটি প্রতারক সরকার। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগে নির্বাচন বিষয়ে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা রাখেনি। ফলে তাদের বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই। খুব দ্রুতই আমরা একদফা আন্দোলনে নামব। এজন্য দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে আমরা কাজ করছি।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলটির একজন নীতিনির্ধারক জানান, স্থায়ী কমিটির গত চারটি বৈঠকে একদফা আন্দোলন প্রশ্নে করণীয় কী কী হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সেখানে নেতারা তাদের মতামত তুলে ধরে বলেন, বিএনপিকে অপ্রস্তুত রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তড়িঘড়ি করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করতে পারে। যেভাবে দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দেওয়া হচ্ছে, গ্রেফতার করা হচ্ছে এবং জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে- একদফা আন্দোলনের দিনক্ষণ এগিয়ে না আনলে শেষ পর্যন্ত আন্দোলন করার মতো নেতাকর্মী মাঠে পাওয়া যাবে না। তাছাড়া সামনে আগস্ট মাস এবং বর্ষাকাল রয়েছে। সবকিছু বিবেচনা করে জুনেই একদফার আন্দোলন শুরু করার পরিকল্পনা হচ্ছে।তিনি আর বলেন, সম্প্রতি বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব বিভিন্ন জেলা ও মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ নেতা, দলের সাবেক এমপি-মন্ত্রী এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। এছাড়া দলের বিভাগীয় সাংগঠনিক, সহসাংগঠনিক সম্পাদক এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কয়েক দফা সমন্বয় বৈঠক করেছেন। সবাইকে দ্রুত একদফার আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।সূত্রমতে, দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কর্মসূচি শেষে নতুন কর্মসূচি শুরু হবে। জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বিভাগীয় পর্যায়ে তরুণ সমাবেশ করার কথা রয়েছে। একদফায় নামার আগে এ সমাবেশকেও খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বিএনপি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ মে ২০২৩
দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আরজি নিয়ে বিএনপি কেবল চাতক পাখির মতো বিদেশি প্রভুদের দিকে চেয়ে থাকে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।মঙ্গলবার সকালে দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া সাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বাংলাদেশে শ্রীলংকার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। রেমিট্যান্স বৃদ্ধির সুখবরে বিএনপি নেতারা খুশি নয়। যারা কেবল দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আর্জি নিয়ে চাতক পাখির মতো বিদেশি প্রভুদের দিকে চেয়ে থাকে, তারা রেমিট্যান্স বৃদ্ধির সুখবর কোনোভাবেই মেনে নিতে পারবে না, সেটাই স্বাভাবিক।ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের যে কোনো অগ্রগতি ও সফলতায় বিএনপির গাত্রদাহের বহিঃপ্রকাশ মির্জা ফখরুলদের নেতিবাচক বক্তব্যের মধ্যদিয়ে বারবার উন্মোচিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়া সম্পর্কে মির্জা ফখরুলের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্যে তারই পুনরাবৃত্তি ঘটেছে।তিনি বলেন, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২.৫ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ার সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের কারণেই রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুকন্যার সফল নেতৃত্বের কল্যাণে বাংলাদেশের শক্তিশালী অর্থনৈতিক কাঠামো প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগের নিরাপদ স্থান হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করায় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মতোই প্রবাসী বাংলাদেশিরাও দেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত হচ্ছে।তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার অর্থপাচার রোধে কার্যকর আইন প্রণয়ন এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির নজির স্থাপন করেছে। অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াত অশুভ জোট শাসনামলে দুর্নীতি ও অর্থপাচারকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়েছিল।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে আওয়ামী লীগের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই বরং বিএনপিই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। আগুন দিয়ে শত শত নিরীহ, নিরাপরাধ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা ও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ এবং উগ্র-সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদী অপশক্তিকে পৃষ্ঠপোষকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য বিএনপিই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এমনকি কানাডার উচ্চ আদালত বিএনপিকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু তারা তাদের অতীত অপকর্ম নিয়ে অনুতপ্ত না হয়ে উল্টো নতুন নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে।বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশে দীর্ঘ স্বৈরশাসনের অবসানের মধ্যদিয়ে গণতন্ত্র এবং ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন গঠনের সুনির্দিষ্ট আইন প্রণীত হয়েছে এবং অবকাঠামো উন্নয়ন ও কারিগরি সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণসহ নির্বাচনী ব্যবস্থার সার্বিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। নির্বাচন কমিশনের অধীনেই গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ মে ২০২৩