আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচনে আসতে চায় না, ওরা আওয়ামী লীগকে ভয় পায় এবং আওয়ামী লীগের উন্নয়নকে ভয় পায়। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয় তাদের, সেই কারণে ভয়ে ভয়ে পথ হারিয়ে তারা এখন পদযাত্রায় মিলেছে।মঙ্গলবার সকালে নিজ নির্বাচনি এলাকা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি জানে না, আন্দোলনে মানুষ লাগে, তারা সাধারণ মানুষকে আন্দোলনে আনতে পারেনি। কারণ মানুষ জানে— শেখ হাসিনার উন্নয়ন সারা দুনিয়ায় জেনে গেছে। তাই সাধারণ মানুষ শেখ হাসিনার উন্নয়নে সাড়া দিয়ে তাদের আন্দোলনে যায়নি। শেখ হাসিনা নির্ঘুম রাত কাটায় মানুষের জন্য, দেশের জন্য।এ সময় তিনি আরও বলেন, রাজনীতির অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে নির্বাচন। নির্বাচন মানেই রাজনীতি নয়। রাজনীতি এখন ভালো মানুষের জন্য আদর্শ নয়। ভালো ও সৎ মানুষের রাজনীতিতে আনতে হবে।মন্ত্রী বলেন, নতুন করে আর নির্বাচনি ওয়াদা করতে চাই না। পূর্বের কাজগুলো শেষ করতে চাই। নতুন কাজ হাতে নিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতে চাই না।কাদের বলেন, একজন দক্ষ, সৎ ও গুণী-জ্ঞানী সিনিয়র দায়রা জজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে অবাক করে দিয়ে রাষ্ট্রপতি পদে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন।এতে সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ রাহ্বার হোসেন। আরও বক্তব্য রাখেন— জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম, জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহাবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলসহ অনেকে। এজে/
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
আমরা এমন কোনো রাষ্ট্রপতি করিনি যার নাম ইয়াজউদ্দিন-কার্যক্রমে ইয়েস উদ্দিন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।তিনি আরও বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী, কোনো অপশক্তিকে মনোনয়ন দেইনি।আজ সোমবার দুপুরে নির্বাচন ভবনে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি পদে সাহাবুদ্দিনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণার পরে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ধন্যবাদ জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক।গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাব ওবায়দুল কাদের বলেন, 'টেররিজমে বিশ্বাস করে, আগুন সন্ত্রাসে বিশ্বাস করে এমন কোনো ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। সুশিক্ষিত, সৎ, যোগ্য ও দক্ষ ব্যক্তিতে রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন দিয়েছি। যার ক্যারিয়ার, গোটা জীবনটাই বর্ণাঢ্য—এমন ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন দিয়েছি।'বিএনপি সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'এখানে তাদের আগ্রহ থাকবে না। দেশের সংবিধান-গণতন্ত্রে তাদের কোনো আগ্রহ নেই। যদি গণতন্ত্র ও সংবিধানে আগ্রহ না থাকে তাহলে রাষ্ট্রপতি কে হলো-না হলো তা নিয়ে তাদের আগ্রহ না থাকারই কথা। এ নিয়ে আমরা অবাক হইনি।''আমরা প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন চাই। বিএনপির মতো দল নির্বাচনে থাকুক এটা আমাদের প্রত্যাশা,' বলেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
রাষ্ট্রপতি পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় চুপ্পুই হচ্ছেন দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি।প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলীয় প্রার্থী হিসেবে তার নাম চূড়ান্ত করেছেন। রোববার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নির্বাচন কমিশনে গিয়ে দলীয় প্রার্থীকে নিয়ে তার মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি করার কারণস্বরূপ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তিনি মাঠেই রাজনীতি করতেন। তিনি ছাত্রলীগের জেলার শাখার সভাপতি ছিলেন, তিনি যুবলীগের জেলা শাখার সভাপতি ছিলেন এবং তিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে ২০ আগস্ট গ্রেফতার হয়েছিলেন, তিন বছরের বেশি কারাগারে ছিলেন।প্রসঙ্গত, সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ১৯৭১ সালে পাবনা জেলার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ছাত্রজীবনে তিনি পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ১৯৭৪ সালে পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ১৯৭৫ সালে সংঘটিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর কারাবরণ করেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিলে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।তিনি ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) বিভাগে যোগদান করেন এবং ১৯৯৫ সালে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিযুক্ত সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা, হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের ঘটনা তদন্তে পরবর্তী সময়ে গঠিত কমিশনের প্রধান ছিলেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন তিনি।তিনি ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল দুদকের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমামের মৃত্যুতে খালি থাকা প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির চেয়ারম্যান পদে তাকে মনোনীত করা হয়।এজে/
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য সৈয়দ আব্দুল আওয়াল শামীম বলেছেন, বিদেশ থেকে আসা টাকায় ব্যানার-ফেস্টুন বানিয়ে শেষ আশা-ভরসা নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা রাস্তায় নামতে চায়, যেন কোনভাবে ক্ষমতায় আসা যায়।তিনি বলেন, ‘আমি বিএনপি নেতাদের বলতে চাই, আওয়ামী লীগ যদি চায় এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাদের নির্দেশ দেন, সারা বাংলাদেশের কোন ইউনিয়নে বিএনপি রাস্তায় নামতে পারবে না।’শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিএনপি জামায়াতের দেশ বিরোধী সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যর প্রতিবাদে গোপালগঞ্জ জেলার গোবরা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।আব্দুল আওয়াল শামীম বলেন, ‘আমরা পর্যবেক্ষণ করছি বিএনপি কি করতে চায়, এরা কোথায় ছিলো এতদিন, আওয়ামী লীগের সাথে মিশে ছিলো? কোন ইঁদুরের গর্তে ছিল।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় আসলে দেশে আবারও লুটপাট শুরু করবে, আবারও হাওয়া ভবন গড়বে।’বিএনপি নেতারা বলেছেন তারা ক্ষমতায় এলে দূর্নীতির বিচার করবেন, এই প্রসঙ্গে শামীম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের প্রশ্ন করেছেন, দূর্নীতির দায়ে যারা কারাদণ্ড প্রাপ্ত, তারা কিভাবে ক্ষমতায় আসলে দূর্নীতির বিচার করবেন?আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের সকল নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্য শামীম বলেন, নির্বাচনের আগে নিজেদের মধ্যে কোন ঝগড়া-বিবাদ করা যাবে না।শামীম বলেন, আমাদের ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। ঐক্যের শক্তিতে যেন দেশ থেকে পাকিস্তানের পেতাত্মা জামাত, পাকিস্তানের এজেন্ট খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে চিরতরে শূন্য করে দিতে পারি।এরআগে গতকাল রবিবার সকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক জরুরি সভায় শান্তি সমাবেশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।বিএনপি-জামায়াতের ‘অশুভ শক্তির সন্ত্রাস-নৈরাজ্য ও ষড়যন্ত্রমূলক অপরাজনীতির বিরুদ্ধে’ দেশের সব ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দলটি।এজে/
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
বগুড়া-৪ এবং বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনেও আলোচনার উত্তাপ ছড়িয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আলোচিত মুখ আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। ইতোমধ্যেই জানিয়েছেন, আগামীতেও সংসদ নির্বাচন করতে চান তিনি।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হিরো আলমের অনুসারীদের অনেকের মধ্যেই আবার প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, আগামীতে তিনি কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দেবেন কি-না।জবাবে হিরো আলম জানান, কোনো রাজনৈতিক দলে যোগদান নয়, ভবিষ্যতে নিজেই নতুন দল গঠনের ইচ্ছা রয়েছে তার। এখন যেসব রাজনৈতিক দল আছে, সব একই রকমভাবে চলছে উল্লেখ করে তিনি বলছেন, নতুন দল করলে সেখানে পরিবর্তন আনতে চান তিনি। দিতে চান নতুন কিছু।জার্মানিভিত্তিক গণমাধ্যম ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগের ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত এক টকশোতে অংশ নিয়ে শুক্রবার রাতে তিনি এসব কথা বলেন।রাজনীতির সংস্কৃতি ও হিরো আলম শিরোনামের টকশোতে উপস্থাপক ডয়েচে ভেলে বাংলা বিভাগের প্রধান খালেদ মুহিউদ্দীন হিরো আলমের কাছে জানতে চান, হিরো আলমের রাজনৈতিক লক্ষ্য কী? কোনো জোটে বা রাজনৈতিক দলে যোগ দেবেন কি-না? সরকার বা বিরোধী দলে যোগ দেওয়ার জন্য তার সঙ্গে কেউ কোনো যোগাযোগ করেছেন কিনা?জবাবে হিরো আলম বলেন, আমি সব সময় জনসেবা করা পছন্দ করি। সেই উদ্দেশ্য থেকেই রাজনীতি করা। ভোটের আগে বা পরে বড় কোনো রাজনৈতিক দল এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের যোগাযোগ করেনি। কোনো দলে যোগ দিব কি-না, এখন পর্যন্ত ঠিক করিনি।নিজের কোনো নতুন রাজনৈতিক দল করবেন কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম বলেন, সবারই স্বপ্ন থাকে দল করার। আমারও নতুন দল করার ইচ্ছা আছে। আমি দল করলে নতুন কিছু নিয়ে আসব। কোনো হিংসা থাকবে না, বিবাদ থাকবে না, সুষ্ঠুমতো ভোট হবে। যার যাকে ভালো লাগবে, তাঁকে ভোট দিবেন। সমাজের জন্য কাজ করবেন।তিনি বলেন, নতুন দল করলে পরিবর্তন কিছু নিয়ে আসব। রাজনৈতিক দলগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে। সমাজ পাল্টাতে হবে। দলের কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। এখন যেসব রাজনৈতিক দল আছে, সব একই রকমভাবে চলছে। যারা চালাচ্ছেন, একই রকমভাবে চালাচ্ছেন। যিনি ক্ষমতায় আছেন, তার বাবাও আছে, বাবা গেলে ছেলে আছে। তারা কিন্তু দলে আসন ছাড়ছেন না। এতে দলে এবং দেশে কোনো পরিবর্তন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। দেশের পরিবর্তন করতে গেলে নতুনদের পদ ছেড়ে দিতে হবে। পরিবর্তন আনার জন্য নতুনদের সুযোগ দিতে হবে।আপনার মধ্যে কী এমন গুণ আছে যে মানুষ অন্যদের বাদ দিয়ে আপনাকে বেছে নেবেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে হিরো আলম বলেন, আমি সৎ পথে চলি, মানুষের পাশে দাঁড়াই, সহযোগিতা করি। মানুষ এখন ক্যাডার চায় না, সুখে–দুঃখে মানুষের পাশে থাকবেন, এমন মানুষ চায়।অনুষ্ঠানের অপর আলোচক ছিলেন ব্যারিস্টার নিঝুম মজুমদার। তিনি অভিযোগ করেন, বগুড়া-৪ উপ-নির্বাচনে বিএনপি কূটচালে হিরো আলমকে ভোট দিয়ে জেতানোর চেষ্টা করেছে। বিএনপির নির্দেশে নেতা-কর্মীরা হিরো আলমের পক্ষে কাজ করেছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।এ প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, “বিএনপির একজন নেতা-কর্মী তাকে সহযোগিতা করেছেন, এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারলে আর কোনো দিন ভোট করব না। আওয়ামী লীগ-বিএনপি সব দলের লোকজনই আমাকে ভোট দিয়েছে।”এজে/
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
বিএনপির পর আওয়ামী লীগও আজকের সমাবেশ স্থগিত করেছে। বিএনপির ছিল পদযাত্রা। আর ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের ছিল শান্তি সমাবেশ। বিএনপি ‘তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে হাজার হাজার মানুষ নিহত হওয়ায় গভীর শোক, সমবেদনা, সহমর্মিতা জ্ঞাপন করে’ তাদের পদযাত্রা স্থগিত করেছিল বুধবার গভীর রাতে। দলটির পক্ষ থেকে বিবৃতিতে পদযাত্রা বাতিলের কথা জানানো হয়। এরপর আজ সকালে একই কারণ দেখিয়ে সমাবেশ স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ।বিএনপি তাদের কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় আজ বেলা দুইটায় পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সংগঠনটির মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত এ পদযাত্রা রাজধানীর গোপীবাগ থেকে প্রেসক্লাবে এসে শেষ হওয়ার কথা ছিল। এতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। বিএনপির কর্মসূচিটি ঘোষণা করা হয় গত সোমবার।আর গতকাল বুধবার ঢাকায় আবার দুটি ‘শান্তি সমাবেশ’ কর্মসূচির ঘোষণা করে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন যুবলীগ। সেই ঘোষণা অনুযায়ী, আজ বেলা তিনটায় পল্লবী ১২ নম্বর লালমাঠে সমাবেশ করার কথা ছিল ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের। এতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন বলেও দলটির তরফে জানানো হয়েছিল।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
বায়ু দূষণ বিপদজনক অবস্থায় পৌছেছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সিটি করপোরেশনের মেয়রদের দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।মঙ্গলবার রাজধানীর মৎস ভবন মোড়ে নিরাপদ সড়ক চাই রোড শোতে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় ফের শীর্ষে উঠে এসেছে ঢাকা। কয়েকদিন আগে সুইস বায়ুমান পর্যবেক্ষক সংস্থা আইকিউএয়ারের শহরভিত্তিক এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) সবচেয়ে বাজে দশা ছিল ঢাকার বাতাসের, স্কোর ছিল ২৭১, যার মানে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর ও ঝুঁকিপূর্ণ’।এর কথা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আজকে আমাদের লজ্জার ব্যপার, বাংলাদেশ আজকে উন্নয়ন অর্জনে বিশ্বের বিষ্ময় সেই বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বায়ু দূষণ ওয়াস্ট কনডিশানে বায়ু দুষণ খুবই বাজে অবস্থা, বিপদ জনক অবস্থা, এটা অত্যান্ত লজ্জার বিষয় এবং এটা অবশ্যই মানুষ সৃষ্ট।“আজকে উন্নয়ন কর্মকান্ড করতে গিয়ে রাস্তায় ধুলা, ঠিকমত পানি না দেয়া, রাস্তায় প্রতিদিনই পানি দেয়া দরকার। এই দায়িত্বটা সিটি করপোরেশনের, কোথাও কোথাও করেন। আমি তাদেরকে অনুরোধ করবো দুজনই উদ্যমী মেয়র, তারা যেন এই কাজটি করে। কারণ আমাদের বায়ু দূষণ একেবারেই বিপদজনক অবস্থায় আছে। এই বিপদ জনক অবস্থা থেকে বায়ু দূষণ বিভিন্ন রোগের কারণ হিসেবে আসছে। এই জন্য সারা রাজধানীতে পানি ছিটানো দরকার।”এ সময় পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দায়ের কথা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আশপাশের ইটের ভাটাগুলো প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেয়া দরকার। আমাদের এখন মাটি থেকে ইট তৈরি করার জ্বালানো পোড়ানো আমাদের পরিবেশকে দুষিত করছে। আমাদের পরিবেশ মন্ত্রনালয় শুধু সার্টিফিকেট দিলে চলবে না। দরকার হলে টিম ওয়ার্ক করতে হবে। আজকে দূষণ এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিন। ঢাকায় আজকে প্রায় দুই কোটি মানুষের বাস, এই ছোট শহরটা আমাদের পরিবেশ ঠিক রাখতে হবে।“ছোট একটা দেশ সিঙ্গাপুর, সুন্দর করে সাঁজিয়ে রেখেছে, যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে ধুমপান করতে পারবেন না, আমাদের এখানে গাড়ির হর্ণ বাঁজিয়ে যাচ্ছে। যেখানে সেখানে সিগারেট টানছে। আজকাল স্কুলের ছেলে মেয়েরা প্রকাশ্যে সিগারেট টানছে। কোন ভেদাভেদ নেই্। যেখানে সেখানে খুশি হর্ন বাজাচ্ছে, হাসপাতালের সামনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে হর্ন বাজাচ্ছে, এগুলো বন্ধ করতে হবে।”সড়কে শৃঙ্খলা আনতে বিশ্বব্যাংকের প্রজেক্টের কথা তুলে ধরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, “পরিবহনে শৃঙ্খলা আনা এটা এখন আমাদের টপ প্রায়রটি। বিশ্ব ব্যাংক একটা প্রকল্প আমাদের এখানে করছে। এখন পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ে যাবে, প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প।“এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারলে বাংলাদেশের সড়ক যোগাযোগের শৃঙ্খলা আমরা অনেক দুর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো। তবে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হচ্ছে মানুষের জনসচেতনতা, জনগনের সচেতনতা। শৃঙ্খলা না এলে উন্নয়ন খুব একটা কাজে আসবে না।”মেট্রো রেলের পিরারে পোষ্টার লাগালে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আজকে মেট্রোরেল এ আমি লক্ষ্য করলাম, মেট্রোরেলের পিলার পোষ্টারে ভরে গেছে। এই বিষয়টা বার বার হচ্ছে। মানুষ যদি সচেতন না হয়, আজকে মেট্রোরেলের এত সুন্দর পিলার, সেই মেট্রোরেলের পিলার গুলো পোষ্টারে পোষ্টারে ভরে গেছে।“আমি এই খারাপ অভ্যাস থেকে বিরত থাকার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় আমাদের শাস্তিমূরক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এই পোষ্টারগুলো তারাই উঠিয়ে ফেলুক, তা না হলে যারা পোষ্টার লাগিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো। মানুষ সচেতন না হলে কোন উন্নয়নই পূর্ণতা লাভ করবে না।”সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমাদের প্রোগাম প্রতিদিনই, আগামী নির্বাচন পর্যন্ত, আমাদের প্রতিদিনই কর্মসূচি। আমাদের বিভাগ, জেলা-উপজেলা, মহানগর -থানা, ইউনিয়নে প্রয়োজনে ওয়ার্ডে থাকবে। আমাদের কর্মসূচি আমরা নির্বাচন পর্যন্ত সারা বাংলাদেশে থাকবে। এখানে কারও সাথে পাল্টা পাল্টি নয়, এটা আমাদের কর্মসূচিরই অংশ। আমরা আমাদের কর্মসূচি পালন করছি।“১৩/১৪সালে আমরা দেখেছি আগুন সন্ত্রাস, রাস্তার পাশের গাছ কাটা, রেল স্টেশন পুড়িয়ে ফেলা, ভুমি অফিস পুড়িয়ে ফেলা, বিদ্যুৎ স্টেশনে পুড়িয়ে ফেলা এসব আমরা দেখেছি। আমরা ক্ষমতায় জনগণের জানমাল রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব কর্তব্য। আমরা সারা বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত সতর্ক পাহারায় থাকবো।”
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। নির্বাচনী পরিস্থিতি উন্নয়নে সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। সরকার চাইলে আমরা দলীয় ফোরামে আলোচনা করে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে প্রস্তাবনা দেবো।সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে আলোচনাকালে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন জিএম কাদের।জাতীয় পার্টি আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল জানিয়ে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, সংবিধানের কয়েকটি ধারার কারণেই বিচার বিভাগের পূর্ণ স্বাধীনতায় ঘাটতি আছে। ওই ধারার কারণে বিচার বিভাগ কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। জাপা চেয়ারম্যানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় শুধু জাতীয় পার্টি নেতাকর্মীই নয়, দেশের সাধারণ মানুষও খুশি হয়েছে।মামলার কারণে স্বাভাবিক রাজনীতিতে কিছুটা বাধা এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দীর্ঘসময় রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকায় জনগণের আস্থা হারিয়েছে। বিএনপিকেও দেশের সাধারণ মানুষ পছন্দ করে না। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে একটি তৃতীয় শক্তি প্রত্যাশা করছে। জাতীয় পার্টি সেই তৃতীয় শক্তি হিসেবে নির্বাচনে আবির্ভূত হতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। জাতীয় পার্টি তিনশো আসনেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।তিনি বলেন, দেশ থেকে দুর্নীতি, দুঃশাসন, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য দূর করতেই আমরা রাজনীতি করছি। দেশের মানুষ মনে করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির চেয়ে জাতীয় পার্টি দেশ পরিচালনায় অনেক বেশি সফলতা অর্জন করেছে। তাই দেশের মানুষ জাতীয় পার্টিকে বিকল্প শক্তি হিসেবে দেখতে চায়।এর আগে গাজীপুর জেলা জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন জিএম কাদের। এসময় দলের মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম, হাজি সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তিনি হিরো আলম সম্পর্কে কোন মন্তব্য করেন নাই, তিনি শুধু বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন।বগুড়া-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের চ্যালেঞ্জের বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি তাকে (হিরো আলম) কিছুই বলিনি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের জবাব দিয়েছি। সে (হিরো আলম) প্রান্তিক মানুষের প্রতিনিধি হিসাবে নির্বাচন করেছে। ভালো ভোটও পেয়েছে। তাঁর সম্পর্কে আমার কোনো মন্তব্য নেই। আমি যা বলেছি সেটা মির্জা ফখরুলের মন্তব্যের জবাব।’আজ সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমেদের নামাজে জানাজা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।বিএনপি ছেড়ে দেওয়া ছয়টি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গত ১ ফেব্রুয়ারি। এর মধ্যে বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হন আলোচিত আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। এর মধ্যে বগুড়া-৪ আসনের আওয়ামী আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় প্রার্থী রেজাউল করিম তানসেনের কাছে প্রায় হাজারখানেক ভোটে পরাজিত হন হিরো আলম। জালিয়াতির মাধ্যমে তাকে হারানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন হিরো আলম।গত শনিবার বিকেলে কামরঙ্গীচরে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘ফখরুল সাহেব বলেন রাষ্ট্রতন্ত্র ব্যবহার করে হিরো আলমকে হারানো হয়েছে। হায়রে মায়া। হিরো আলমের জন্য এত দরদ উঠল ফখরুলের।ফখরুল সাহেব ভেবেছিল হিরো আলম জিতে যাবে। হিরো আলম এখন জিরো হয়ে গেছে। তারা তো নির্বাচন চায় নাই। হিরো আলমকে বিএনপি দাঁড় করিয়েছে। সংসদকে ছোট করার জন্য হিরো আলমকে প্রার্থী করেছে বিএনপি। অবশেষে ফখরুলের স্বপ্নভঙ্গ।’গত রোববার ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে হিরো আলম বলেন, ‘হিরো আলমের সঙ্গে একটা নির্বাচনে আপনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ও আপনি দলীয়ভাবে দাঁড়ান। এরপর আপনি সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে দেখেন খেলা হয় কি-না। খেলার জন্য নাকি উনি মাঠে প্লেয়ার খুঁজে পান না!’এজে/
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বগুড়া-৪ আসনের উপ-নির্বাচনে হিরো আলম হেরে যাওয়ায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘স্বপ্নভঙ্গ’ হয়েছে।শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কামরাঙ্গীরচর সরকারি হাসপাতাল মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য অপরাজনীতি ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ফখরুল সাহেব বলেছেন, রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে হিরো আলমকে হারানো হয়েছে। হায়রে মায়া! হিরো আলমের জন্য এত দরদ উঠলো ফখরুলের? ফখরুল ভেবেছিলেন হিরো আলম জিতে যাবে। হিরো আলম এখন জিরো হয়ে গেছে। তারা তো নির্বাচন চান নাই। হিরো আলমকে বিএনপি দাঁড় করিয়েছে। জাতীয় সংসদকে ছোট করার জন্য হিরো আলমকে প্রার্থী করেছে বিএনপি। অবশেষে ফখরুলের স্বপ্নভঙ্গ।’আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ফখরুল সাহেব, পাকিস্তান আমল তো ভালো, এখন পাকিস্তানের কী অবস্থা? বাংলাদেশের ছয়মাস আমদানি করার রিজার্ভ আছে। পাকিস্তানে তিন সপ্তাহের রিজার্ভও নেই। আজ ক্ষুধায় পাকিস্তান কাঁপছে। সেই পাকিস্তান আপনার ভালো লাগে। বাংলাদেশ বাংলাদেশ থাকবে। এ বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়াবে। কিন্তু আপনারা যদি ক্ষমতায় যান, বাংলাদেশ আজকের পাকিস্তান হবে। ফখরুল সাহেবের পেয়ারে পাকিস্তান বাংলাদেশকে বানাবে, আমরা সেটা হতে দেবো না।’ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তাফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ প্রমুখ। এ শান্তি সমাবেশ পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
আওয়ামী লীগ সরকার হিরো আলমের কাছেও সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ভয় পায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) সেখানেও রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে। হিরো আলম প্রমাণ করেছেন আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।গ্যাস, বিদ্যুৎ, চাল, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি।মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার শুধু চাপার জোরে টিকে আছে। বারবার মিথ্যা কথা বলে মানুষকে তারা প্রতারিত করতে চায়।বিএনপির আন্দোলন জাতির স্বাধীনতা রক্ষার আন্দোলন দাবি করে তিনি বলেন, দেশের মানুষ এখন এক দফা দাবিতে আন্দোলন করছে, সেটি হচ্ছে গণতন্ত্র এবং গণবিরোধী সরকারের পদত্যাগ। এই ভোটাধিকার হরণকারীদের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না, তা ২ ফেব্রুয়ারির উপ-নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে।দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, চাল, ডাল, গ্যাসের দাম বেড়েছে, সে দাম কত? গরিব মানুষের অবস্থা আরও খারাপ। মানুষের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। এই মুহূর্তে মানুষ সরকারের পতন দেখতে চায়। এই সরকার গরিব সাধারণ মানুষের দিকে তাকায় না। তার উল্টো দিনে দিনে ফুলে ফেঁপে উঠছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা করবে বিএনপি।আজ শনিবার বিকেল ৫টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
বিভিন্ন দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ শুরু হয়েছে। সমাবেশ উপলক্ষে শনিবার সকাল থেকেই হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা নয়াপল্টনে জমায়েত হচ্ছেন। নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত রাস্তার একপাশ ভরে গেছে।খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতা-কর্মীরা আসছেন। বেলা দুইটায় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়। বিদ্যুৎ-গ্যাসসহ নিত্যপণ্যের দাম কমানো, সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে এই সমাবেশ করছে বিএনপি এবং তাদের সমমনা দল ও জোট।ঢাকার সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে সভাপতিত্ব করছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম। মঞ্চে উপস্থিত রয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
সরকার সদ্য অনুষ্ঠিত ছয়টি আসনের উপ-নির্বাচনও ন্যূনতম গ্রহণযোগ্য করতে পারেনি। উত্তরবঙ্গে হিরো আলম দাঁড়িয়েছিলেন। মানুষ আগ্রহী হয়ে ভোট দিয়েছিল। তাকে স্যার বলতে হবে, এটা প্রশাসনের লোকেরা মানতে পারলো না। তাই হিরো আলম জিতলেও, তাকে জিততে দেওয়া হয়নি।রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি এসব কথা বলেন।জনগণকে রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, উন্নয়ন আর স্মার্ট বাংলাদেশের চক্রান্তে বিভ্রান্ত না হয়ে আপনারা (জনগণ) রাজপথে নামেন। গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকারের জন্য, দেশকে বাঁচানোর জন্য ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলুন।জোনায়েদ সাকি বলেন, এই সরকার মানুষকে উন্নয়নের বাংলাদেশ বলেছে। এখন বলছে স্মার্ট বাংলাদেশ। উন্নয়নের নামে সরকারের পোষ্য লোকেরা, ভাই-ব্রাদার, আত্মীয়-স্বজনরা সবকিছু লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে। তারা দেশ থেকে টাকা পাচার করে বিদেশে নিয়ে হোটেল কিনছে, ব্যবসায় বিনিয়োগ করছে।তিনি বলেন, কথা ছিল ২০১৪ সালের মধ্যে বৃহৎ বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করা হবে। এই বৃহৎ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো যখন বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে, তখন আর ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আর কোনো দরকার হবে না। কিন্তু সরকার ভাড়া করা বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ না করে, তাদের বসিয়ে রেখে ক্যাপাসিটি চার্জ দিচ্ছে।তিনি বলেন, সরকার গত কয়েকদিন আগে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। এর ১৯ দিন আগে একবার বাড়ানো হয়েছিল। আগামী মাসে তারা আবার বিদ্যুতের দাম বাড়াবে। দেশের যেসব মানুষ খেতে পায় না তাদের ঝোলা থেকে টাকা নিয়ে সরকার তাদের আত্মীয়-স্বজন, ভাই-ব্রাদারদের পকেট ভরানোর ব্যবস্থা করছে। এই হলো উন্নয়ন।‘সরকারের স্মার্টনেস মানে তাদের চাকরি করা, মানুষের চোখে ধুলো দেওয়া, ভোট চুরি করে সেটাকেই গণতন্ত্র বলা। দেশের মানুষ আর এই মিথ্যাচার নেবে না। মানুষ জেগে উঠছে। রাজপথ মানুষে সয়লাব হবে। পদভারে প্রকম্পিত হবে সরকার, চক্রান্ত, দমন-পীড়ন, ভয়কে ডিঙিয়ে এই দেশের মানুষ গণঅভ্যুত্থান করে তাদের ক্ষমতা থেকে নামাবে। সেই লড়াই গড়ে উঠছে।’তিনি জনগণের প্রতি উন্নয়ন আর স্মার্ট বাংলাদেশের চক্রান্তে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা (জনগণ) রাজপথে নামেন। গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকারের জন্য, দেশকে বাঁচানোর জন্য ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলুন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
জাতীয় সংসদের হুইপ ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, শিক্ষার মানোন্নয়ন ছাড়া জাতির প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়। সবাই আন্তরিক হলে গ্রামের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে মান সম্পন্ন শিক্ষা চালু করা অসম্ভব নয়। কর্মরত সম্মানিত মেধাবী শিক্ষকগণ আর একটু আন্তরিক হলে প্রতিটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব।আজ শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ১৮০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিনি শিশু পার্ক নির্মাণে অনুদানের অর্থ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।জাতীয় সংসদের হুইপ বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ এবং একটি পরমতসহিষ্ণু উন্নত মূল্যবোধসম্পন্ন শান্তিময় সমাজ গড়তে শিক্ষিত, সৃজনশীল নাগরিক গড়ে তোলার বিকল্প নেই। গ্রামে শিক্ষার মানোন্নয়ন দেশ ও জাতির প্রকৃত উন্নয়নের অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ।প্রতিটি বিদ্যালয়কে জ্ঞানের বাতিঘর হিসেবে গড়ে তোলার জন্য শিক্ষকবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি ও সরকারি অফিসারদের সর্বাত্মক যত্নবান হওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন মন্ডল, কালাই উপজেলার চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন, ক্ষেতলাল উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তাকিম মন্ডল, আক্কেলপুর উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম আকন্দ, তিন উপজেলা নির্বাহী অফিসারবৃন্দ, ক্ষেতলাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুজ্জামান নাদিম, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, আক্কেলপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোকছেদ আলী, সাধারন সম্পাদক আহসান কবীর, কালাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশ্য প্রণোদিত বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল বলেছেন, উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৫ শতাংশ, ফখরুলের এই দাবি মিথ্যা ভিত্তিহীন।৩ ফেব্রুয়ারী এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এসব কথা বলেন।বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বুধবার অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের উপ-নির্বাচনগুলোয় ভোটারের উপস্থিতি নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মিথ্যা তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে জাতিকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছেন।তিনি বিএনপির এক হিসাব তুলে ধরে বলেন, উপ-নির্বাচনগুলোয় ভোটার উপস্থিতি ৫ শতাংশের বেশি হয়নি। যা সম্পূর্ণভাবে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের লক্ষ্যে এ ধরনের নির্লজ্জ মিথ্যাচার করেছেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রচণ্ড শীত ও প্রতিকূল আবহাওয়া উপেক্ষা করে ভোটাররা ভোট দিতে এসেছিলেন। সবগুলো উপ-নির্বাচনে ২৫ শতাংশের বেশি ভোটাররা ভোট প্রদান করেছেন। এমনকি ঠাকুরগাও-৩ আসনে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৪৫ শতাংশের মতো। উপ-নির্বাচনে যেহেতু সরকার পরিবর্তনের কোন বিষয় থাকে না সেহেতু জাতীয় নির্বাচনের তুলনায় এটা নিয়ে ভোটারদের মধ্যে আগ্রহ কম থাকে। স্পষ্টভাবে বলা যায়, জাতীয় নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি আরও বৃদ্ধি পাবে এবং মানুষ ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে ভোট প্রদান করবে।বিবৃতিতে সাধারণ সম্পাদক বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সর্বদা দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করে। তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। অন্যদিকে দুর্নীতি বিএনপির মজ্জাগত বিষয়।দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে তারেক রহমানের নেতৃত্বে হাওয়া ভবন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। তাদের দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার অঙ্গীকার ছিল উন্নয়ন ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে সরকার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে যেখানে সারা বিশ্বে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে সেটা বিবেচনায় না নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অর্বাচীনের ন্যায় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির দায় সরকারের উপর চাপানোর অপচেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, দেশবাসী ভালো করেই জানে, যাদের রাজনৈতিক উত্থান গণবিরোধী পন্থার সিঁড়ি বেয়ে তারা সবসময় গড়যন্ত্রের মাধ্যমে ফায়দা নেওয়ার অপচেষ্টা করবে। হত্যা-ক্যু-গড়যন্ত্রের মাধ্যমে যারা গণতন্ত্রের কফিনে পেরেক ঠুকেছে তাদের মুখে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথা শোভা পায় না।তিনি বলেন, বিএনপি যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই দেশের গণতন্ত্র মুখ থুবড়ে পড়েছে। মানবাধিকার হরণ, সংখ্যালঘু হত্যা, বিরোধী মত দমন বিএনপির রাজনৈতিক চরিত্র; মিথ্যাচার তাদের একমাত্র হাতিয়ার। আন্দোলনে জনগণের সাড়া না পেয়ে বিএনপি নেতৃবৃন্দ ষড়যন্ত্রের নীলনকশা সাজাচ্ছে। দেশের জনগণ সেটা বুঝতে পেরেই তাদের আন্দোলনে সাড়া দেয়নি।বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা একটি মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি সুশাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এবং দুর্নীতি ও জবাবদিহিহীনতার চৌহদ্দি ডিঙ্গিয়ে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বর্তমান সময়কে ধারণ করেই ভবিষ্যতের দিক-নির্দেশনা দেন। তাঁর সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। একইসাথে এই দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করতে জাতির সামনে তিনি রূপরেখা তুলে ধরেছেন। ন্যায্যতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিমূলক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ'-এর ঘোষণা দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশবাসী। ঐক্যবদ্ধ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন আলোচিত ইউটিউবার এবং বগুড়া-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।হিরো আলম বলেন, ‘আমি হাইকোর্টের আদেশে নির্বাচন করতে পেরেছি। ফলাফল নিয়েও বিচার চাইব হাইকোর্টে। আদালত ছাড়া আর কারও ওপর আস্থা নেই আমার।’বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে হিরো আলম বগুড়া জেলা নির্বাচন অফিসে যান। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি এখানে এসেছি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ওঠাতে। আমি হাইকোর্টে রিট করব। রিটার্নিং অফিসারের ওপর আমার আস্থা নেই। রিটার্নিং অফিসারের ঘোষণা করা ফলাফল আমি মানি না।’উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে মাত্র ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে হেরে গেছেন হিরো আলম। বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, কাহালু ও নন্দীগ্রাম উপজেলার মোট ১১২টি কেন্দ্রে মোট বৈধ ভোট পড়েছে ৭৮ হাজার ৫২৪টি। এর মধ্যে ২০ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন (মশাল)। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আশরাফুল হোসেন (একতারা) পেয়েছেন ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট।এজে/
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
সরকারকে ধাক্কা দিতে গিয়ে বিএনপির কোমর ভেঙে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) তথ্য অধিদপ্তরের পিআইডি সম্মেলন কক্ষে পিআইডি প্রকাশিত ‘উন্নয়নের নব দিগন্ত’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ মন্তব্য করেন।তথ্যমন্ত্রী বলেন, ডিসেম্বর মাসে তারা বলেছিল সরকারের বিদায় হবে এবং সরকারকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেবে। ডিসেম্বর মাসে সরকারকে ধাক্কা দিতে গিয়ে তারা নিজেরা পড়ে গেছে। এরপর থেকে এখন তারা হাঁটা শুরু করেছে।বিএনপি অনুধাবন করতে পেরেছে, সরকারকে ধাক্কা মারলে লাভ হবে না। সরকারের ভিত অনেক গভীরে প্রথিত। আওয়ামী লীগের ভিত অনেক গভীরে প্রথিত। সরকারকে ধাক্কা মারতে গিয়ে তাদের যে কোমর ভেঙে গেছে সেটা তাদের বর্তমান কর্মসূচির মাধ্যমে পারিষ্ফুটিত হয়েছে, বলেন হাছান মাহমুদ।আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আশা করবো বিএনপি সব সময় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্যে থাকবে, গণতন্ত্রের পথেই হাঁটবে। এটিই হচ্ছে আমাদের প্রত্যাশা।তিনি বলেন, তাদের ষড়যন্ত্র কিন্তু থেমে নেই। তাদের ষড়যন্ত্র সব সময় ছিল, এখনো আছে। তারা জানে যে ২০০৮ সালে ২৯ আসন পেয়েছিল, পরে উপ-নির্বাচনে বেড়ে ৩০টি আসন অতিক্রম করে। ২০১৪ সালে বর্জন করেছিল। ২০১৮ সালে ছয়টি আসন পেয়েছিল। আগামী নির্বাচনেও তাদের সম্ভাবনা যে নেই, সেটি তারা জানে। সেটি জানে বলেই তারা নির্বাচন নিয়ে, নির্বাচনকে বিতর্কিত করার জন্য, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এবং মানুষকে নির্বাচন বিমুখ করার জন্য নানা ধরনের কথাবার্তা বলে।এসময় সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে বলা হয়- গতকাল যে উপনির্বাচন হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দেখা গেছে বিএনপির প্রার্থীর কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ মাঠে নেমেছে। অন্যদিকে বিএনপির মহাসচিব বলেছেন, মাগুরার নির্বাচনকে হার মানিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নির্বাচন।এর উত্তরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সেখানে আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী ছিল না। যেহেতু আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী নেই, আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকরা যে কাউকে পছন্দ করতে পারেন। সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। আমাদের দলের কোনো নির্দেশনা কারও পক্ষে নামার জন্য ছিল না। যে যার পছন্দ মতো প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
২০২০ সালের ২৭ জানুয়ারি জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সিনজো আবেকে বিএনপি মহাসচিব চিঠি দিয়েছিলেন’, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের এ বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা-তো বহু লোককে চিঠি দিয়েছি, বহু দেশকে চিঠি দিয়েছি। অবশ্যই দিয়েছি। এটা তো অস্বীকার করিনি।বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথ সভা শেষে এসব কথা বলেন তিনি।মির্জা ফখরুল আরও বলেন, দেশের চলমান যে শাসন ব্যবস্থা, আওয়ামী লীগ দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে, মানুষের উপর অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে, দুর্নীতি-লুটপাটের মধ্য দিয়ে, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে গুম করছে, খুন করছে, প্রতিমুহূর্তে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে, এগুলা আমরা সারা পৃথিবীকে জানিয়েছি।দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য যে আন্দোলন চলমান রয়েছে তাকে নস্যাৎ করার জন্য আওয়ামী লীগ পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে আমাদের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আমরা যখনই কর্মসূচি দিচ্ছি তখন একই সময় পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে। তারা যে ভাষা ব্যবহার করছে সেটা সম্পূর্ণভাবে সন্ত্রাস।তিনি বলেন, একদিকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস, অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশও সন্ত্রাস করে। আন্দোলনকে দমন করার জন্য যে প্রচেষ্টা সেটা তারা অব্যাহত রাখতে চায়। এর প্রতিবাদে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি সমাবেশ করবে বিএনপি।সরকার দেশের সমস্ত অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা সবচেয়ে বড় ক্ষতি করেছে গণতন্ত্রের যে কাঠামো সেটা ধ্বংস করে দিয়ে। তারা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে।তিনি আরও বলেন, সরকার বিশ্ব মন্দার কথা না বলে দুর্নীতি ও লুটপাট বন্ধ করলেই বিদ্যুৎসহ নিত্যপণ্যের দাম কমানো সম্ভব হতো।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম হেরে গেছেন। এই আসনের মোট ১১২টি কেন্দ্রের ফলাফলে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) নেতা রেজাউল করিম তানসেন মশাল প্রতীকে ২০৪৩৭ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিরো আলম একতারা প্রতীকে পেয়েছেন ১৯৪৮৬ ভোট। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে উপনির্বাচনের ফলাফল গ্রহণ ও পরিবেশন কেন্দ্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।বিস্তারিত আসছে...
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩