মেহেন্দীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র কামাল খানকে ‘কুপিয়ে জখম’ করতে দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বরিশাল-৪ আসনের সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথের বিরুদ্ধে। থানার পুলিশ পরিদর্শকের (তদন্ত) মোবাইল নম্বরে কল করে সংসদ সদস্য তা জানিয়ে দেন।ইতোমধ্যে ১ মিনিট ৯ সেকেন্ডের ওই কথোপকথনের একটি অডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এ নিয়ে খোদ জেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মাঝে ক্ষোভ ও উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। ঢাকা পোস্টের কাছে ওই অডিও এসে পৌঁছেছে।নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, গত ৪ জুলাই পংকজ নাথের অনুসারীরা পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রাতুল চৌধুরীকে কুপিয়ে দুই হাতের রগ কেটে দেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে কর্মসূচি পালনের জন্য রাতুলের অনুসারীরা ৫ জুলাই পৌর ভবনের সামনে জড়ো হন। খবর পেয়ে সেখানে ফোর্সসহ উপস্থিত হন মেহেন্দীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) তৌহিদুজ্জামান। তখন পরিদর্শককে এমন নির্দেশনা দেন সংসদ সদস্য।সংসদ সদস্য ও পুলিশ পরিদর্শক তৌহিদুজ্জামানের ১ মিনিট ৯ সেকেন্ডের ওই কথোপকথনে সংসদ সদস্য পংকজ নাথকে বলতে শোনা যায় :পংকজ নাথ : তুমি কোথায় এখন?পরিদর্শক (তদন্ত) : স্যার, আদাব স্যার।পংকজ : আদাব, ভালো আছেন? হ্যাঁ।পরিদর্শক : জি স্যার। স্যার।পংকজ : আপনি কোথায় এখন? থানায় না, বাইরে?পরিদর্শক : স্যার, আমি পৌরসভার সামনে আছি স্যার।পংকজ : যা হইছে হইছে। ওই শালায় তো খারাপ। ওরা মারামারি করলে আমাগো লোকজনরে কইয়া দিছি রামদা লইয়া ওপেন মিছিল করতে। কামাল খানরে শুইদ্ধা কোপাইবে...ফাইজলামি করলে কিন্তু কামাল খান (পৌর মেয়র) কোপ খাইবে। আমি কইয়া দিছি...কেমন?পরিদর্শক : আচ্ছা স্যার, দেখি।পংকজ : সিদ্ধান্ত হইছে মেয়র সামনে পড়লে মেয়ররে কোপাইব। যে সামনে পড়বে, তারেই কোপাইব। কেমন?পরিদর্শক : আচ্ছা স্যার, দেখি স্যার। আমরা আছি স্যার, বাইরে আছি।পংকজ : ওসি কই? ওসি কই?পরিদর্শক : ওসি স্যার বরিশাল আছে, স্যার।পংকজ : যে কোপ খাইছে (পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রাতুল চৌধুরী) ওইডা খারাপ। নেশাখোর, অ্যাডিক্টেড...তাই না? এ নিয়া যেন মাতবরি না করে, বাড়াবাড়ি না করে...আমি পোলাপানরে রেডি হইতে কইছি। তোরা রেডি হ...যা আছে কপালে...যুদ্ধ হইয়া যাইব একটা।(ভাষারীতি ও বিধির কারণে কিছু শব্দের বানান সংশোধন করা হয়েছে)এ বিষয়ে মেহেন্দীগঞ্জ পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল খান বলেন, বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে জানতে পেরে আমি ডিআইজি, পুলিশ সুপার এবং থানার ওসির সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছে, এমপি তো, আমরা একটু খোঁজ নিয়ে দেখি। এটা আমার প্রতি তার (এমপি) একটা ক্ষোভ। আমি আওয়ামী লীগ সংগঠনকে ধরে রেখেছি তো, এটা এমপির সহ্য হচ্ছে না।বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস বলেন, অডিও ক্লিপের কণ্ঠস্বর এমপি পংকজের। সংসদ সদস্যের এমন নির্দেশনায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। দলের কর্মী নয় শুধু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ যাদের কোপানোর নির্দেশনা তিনি (এমপি পংকজ নাথ) দিয়েছেন, এটি আমাদের জন্য দুঃখজনক। এতে প্রমাণিত হয়েছে, দলের প্রতি তার কোনো দরদ নেই।এ বিষয়ে সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ বলেন, আমি রাজনীতি করি। কখন কাকে কী বলি তা ঠিক নেই। এ জন্য বলতে পারব না কল রেকর্ডিংটা আমার কি না! তবে যে অফিসটার বিষয়ে বলেছি, সেটি হয়ে গেছে অপরাধীদের আখড়া। ওখানে নেশাখোর অ্যাডিক্টেট দখলে নিয়েছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে সাহস করে কাউকে না কাউকে তো কথা বলতেই হবে।প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে বিগত এক দশকে কমপক্ষে ৯ জন নেতা খুনের ঘটনা ঘটেছে মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলায়। আর শারীরিকভাবে পঙ্গু হয়েছেন শতাধিক নেতা-কর্মী।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ জুলাই ২০২২
তীব্র গরমে অস্থির হয়ে ওঠেছেন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ। বৃষ্টির তেমন দেখা নেই; শুকিয়ে কাঠ আমন ক্ষেত। এরই মধ্যে বৃষ্টি প্রার্থনায় নামাজ আদায়ও করেছেন দিনাজপুরের মানুষ। বর্তমানে দেশের উত্তরাঞ্চলের তিন জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু তাপপ্রবাহ। এরই মধ্যে কিছুটা স্বস্তির খবর দিল আবহাওয়া অফিস।সোমবার (১৮ জুলাই) সকাল ৯টায় দেয়া সবশেষ আবাহাওয়া বার্তায় বলা হয়, আগামী তিন দিনে দেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে। বিশেষ করে ২০ জুলাই থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। এছাড়া সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; রংপুর, খুলনা, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিচ্ছিন্নভাবে মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় সৈয়দপুরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আর একই সময়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, টেকনাফ ও সিলেটে ২৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।এ সময় সিলেটে বৃষ্টিপাত বেড়েছে। দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ৪৮ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে। যদিও ঢাকায় কোনো বৃষ্টিই হয়নি।আবহাওয়া অফিস বলছে, ধীরে ধীরে বৃষ্টিপাত বাড়ছে। সিলেটে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার পাশাপাশি ২০ জুলাই থেকে সারা দেশে বৃষ্টি বাড়বে। এতে তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ জুলাই ২০২২
‘বেসুরো’ কন্ঠে রবীন্দ্রসঙ্গীত। তাতেই আপাতত ঠাট্টার পাত্র হিরো আলম। বাংলাদেশের পদ্মাসেতু নিয়ে তাঁর গানেও কটাক্ষের বন্যা। বেশ ক্ষুব্ধ তাঁর অনুরাগীরাও। যাঁকে নিয়ে এত কটূক্তি, এত চর্চা, সেই হিরো আলম ওরফে আশরাফুল হোসেন কিন্তু চুপ। হিরো আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন, “হিরো আলম পারে না, এমন কিছু নেই!”হিরো আলম মানেই হিট। লক্ষ লক্ষ ভিউ আর লাইকের বন্যা। তাঁর গাওয়া আরেবিয়ান গান, উগান্ডা গান পেয়েছিল বিপুল জনপ্রিয়তা। শিল্পীর কথায়, “গান যে কেউ গাইতে পারে। গান গাওয়ার জন্য কারও অনুমতি প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। আমি ভালবেসে গান করি।” সঙ্গে তাঁর আরও সংযোজন, “আমাকে এই গান গাইতে বাধ্য করা হয়েছে। আমি দেশের অনেক তাবড় শিল্পীদের কাছে গিয়েছিলাম, আমার ভিডিয়োয় গান গাওয়ার আর্জি নিয়ে। তাঁরা কেউ রাজি হননি। তখনই ভাবলাম, আমি যদি হিরো হতে পারি, তা হলে গানও গাইতে পারি।” কারও কথাকে তাই আর প্রাধান্য দিতে রাজি নন হিরো আলম। বরং পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের সঙ্গীত পরিচালক এবং শিল্পীদের দিকেই।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ জুলাই ২০২২
সিলেট, ময়মনসিংহ ও উত্তরাঞ্চলের বন্যা কারণে সাময়িকভাবে স্থগিত মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। রোববার (১৭ জুলাই) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি আরও জানান, উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা এসএসসি শেষ হওয়ার ৪৫ দিন পর নভেম্বর মাসে শুরু হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ জুলাই ২০২২
আমরা জানি, একটি দেশের অভ্যন্তরে এক বছরে চূড়ান্তভাবে উৎপাদিত দ্রব্য ও সেবার বাজারে সামষ্টিক মূল্যই হচ্ছে মোট দেশজ উৎপাদন তথা জিডিপি। আগের বছরের তুলনায় পরের বছরে এ উৎপাদন যে হারে বাড়ে সেটি হচ্ছে জিডিপির প্রবৃদ্ধি। জিডিপি একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান সূচক।আর এই জিডিপির আকার অনুযায়ী বাংলাদেশ বিশ্বের ৪১তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। শুধু তা-ই নয়, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়।সম্প্রতি কানাডাভিত্তিক সংবাদ প্রতিষ্ঠান ভিজুয়াল ক্যাপিটালিস্ট আইএমএফের তথ্যের আলোকে পরিচালিত এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। ১০৪ ট্রিলিয়ন ডলারের বৈশ্বিক জিডিপির ভিত্তিতে ১৯১ দেশের তালিকা প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যমটি।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের জিডিপির আকার ৩৯৭ বিলিয়ন বা ৩৯ হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে একমাত্র ভারতই বাংলাদেশের উপরে রয়েছে। দেশটির জিডিপির আকার ৩ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন বা তিন লাখ ৩০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। বৈশ্বিক তালিকায় ভারতের অবস্থান ষষ্ঠ। জিডিপির ভিত্তিতে শীর্ষ ৫০-এ দক্ষিণ এশিয়ার আর কোনও দেশ নেই। প্রতিবেদনে মূলত ট্রিলিয়ন ডলারের মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করেই বৈশ্বিক অর্থনীতির পরিধি পরিমাপ করা হয়। বিশ্ব অর্থনীতির আকার ২০২০ সালে ছিল ৮৮ ট্রিলিয়ন ডলার। ২০২১ সালে তা বেড়ে ৯৪ ট্রিলিয়ন ডলার হয়। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলেছে, ২০২২ সালেই বিশ্ব অর্থনীতির আকার (জিডিপির ভিত্তিতে) হবে ১০৪ ট্রিলিয়ন ডলার। নতুন এই মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে করা জরিপের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির জিডিপির আকার ২৫ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার, যা বৈশ্বিক মোট জিডিপির চার ভাগের এক ভাগ। ১৯ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ডলার নিয়ে এর পরের অবস্থান চীনের। দেশটির দখলে বৈশ্বিক জিডিপির পাঁচ ভাগের এক ভাগ। ৪ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ডলার নিয়ে জাপানের অবস্থান তিন নম্বরে। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ৪ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার নিয়ে সবচেয়ে বেশি জিডিপি জার্মানির। বৈশ্বিক তালিকায় দেশটির অবস্থান চতুর্থ। ৩ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলার নিয়ে যুক্তরাজ্য বিশ্বে পঞ্চম। ২ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ডলারের জিডিপি নিয়ে তালিকায় ফ্রান্সের অবস্থান সপ্তম। কানাডার জিডিপির আকার ২ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলার, বৈশ্বিক অবস্থান অষ্টম।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ জুলাই ২০২২
বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকায় থাকতে চান না প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। তিনি আবারও তাঁর সম্পদ দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। গত বুধবার বিল গেটস তাঁর দাতব্য সংস্থা বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনে আরও ২ হাজার কোটি (২০ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার অনুদান দেন। ফাউন্ডেশনের বার্ষিক কার্যক্রমকে আরও বাড়াতে তিনি এ অনুদান দিচ্ছেন বলে ঘোষণা দেন। এরপর তিনি আরও সম্পদ দান করার প্রতিশ্রুতি দেন। খবর বিবিসিরবর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছেন বিল গেটস। তিনি বলেন, সমাজে তাঁর সম্পদগুলো দান করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এর আগে বিল গেটস ২০১০ সালে তাঁর সব সম্পদ দান করার ঘোষণা দেন। কিন্তু এরপর থেকে তাঁর সম্পদ দ্বিগুণ হয়েছে। ফোর্বস ম্যাগাজিনের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে গেটসের সম্পদমূল্য ১১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে জুলাই মাসে দান করা সম্পদ ফাউন্ডেশনে চলে গেলে গেটসের মূল সম্পদ অনেক কমে যাবে। ২২ বছর আগে বিল গেটস ও তাঁর সাবেক স্ত্রী মেলিন্ডা গেটস মিলে এই ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। এটিকে বিশ্বের অন্যতম বড় দাতব্য সংস্থা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।টুইটারে বিল গেটস বলেছেন, তাঁর ফাউন্ডেশন থেকে বার্ষিক সহায়তার পরিমাণ ২০২৬ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ বেড়ে ৬ বিলিয়ন থেকে ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে। ফাউন্ডেশনে দান করা অর্থ মহামারি, ইউক্রেন যুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যবহৃত হবে।বিল গেটস বলেছেন, ‘আমি ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে সব ফাউন্ডেশনকে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছি। আমি বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকা থেকে নিচে চলে যাব এবং ধনীর তালিকায় থাকব না। আমার সম্পদ সমাজকে ফেরত দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে, যাতে মানুষের দুঃখকষ্ট কমাতে ও জীবনকে উন্নত করার জন্য প্রভাব ফেলে। আমি আশা করি অন্য ধনকুবেররাও এতে এগিয়ে আসবেন।’বিল গেটসের নতুন এই অনুদানের মধ্য দিয়ে ২২ বছরের বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটসের অনুদানসংশ্লিষ্ট অর্থের পরিমাণ প্রায় ৭ হাজার কোটি মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে গত মাসে ওয়ারেন বাফেটের কাছ থেকে পাওয়া ৩ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের অনুদানও রয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ জুলাই ২০২২
বাংলাদেশের জনপ্রিয় মডেল, অভিনেতা, গায়ক এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত হিরো আলমের নামে ভারতীয় বাক-বাকুম এপসে ফেক একাউন্ট খুলে অশ্লীল পোষ্ট করেন কে বা কাহারা।এ বিষয়ে হিরো আলম ফেসবুক লাইভে এসে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, আমি ঈদের আগে ভারতে যাই। ভারতীয় একটি সংস্থা অনলাইন ' বাক-বাকুম 'নামে এপস লঞ্চ করে। সেখানে আমি আমার নিজের নামে অ্যাকউন্ট খুলে ভিডিও পোষ্ট করলে তা মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়।আমি লক্ষ্য করেছি ঐ এপসে কে বা কাহারা আমার ছবি ব্যবহার করে আমার নামের পরিবর্তে 'কাউয়া আলম' নাম দিয়ে অশ্লীল ছবি-ভিডিও শেয়ার করছে যা আমার প্রফেশনাল জীবনে সম্মানে আঘাত হেনেছে।এ ব্যাপারে হিরো আলম বাংলা ওয়্যারকে বলেন, আমার নামে যে বা যারা এই অশ্লীল ছবি-ভিডিও শেয়ার করছেন, বা ভবিষ্যতে করবেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
Harun Ur Rashid । ১৩ জুলাই ২০২২
খ্যাতিমান অভিনেত্রী শর্মিলী আহমেদ (৭৫) মারা গেছেন। আজ শুক্রবার ভোরে রাজধানীর উত্তরার নিজ বাসায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।বিষয়টি নিশ্চিত করে তার বোন অভিনয়শিল্পী ওয়াহিদা মল্লিক জলি জানান, আজ জুমার নামাজের পর তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বনানীতে স্বামীর কবরে তাকে সমাহিত করা হবে।অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম ডেইলি স্টারকে জানান, অভিনেত্রী শর্মিলী আহমেদ ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। আজ ভোরে নিজ বাসায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।মঞ্চ, টেলিভিশন নাটক ও সিনেমার প্রখ্যাত অভিনেত্রী শর্মিলী আহমেদের প্রকৃত নাম মাজেদা মল্লিক। ১৯৪৭ সালের ৮ মে রাজশাহীতে তার জন্ম।৪ বছর বয়সে মঞ্চে অভিনয় শুরু করেন শর্মিলী আহমেদ। ১৯৬২ সালে তিনি রেডিওতে ক্যারিয়ার শুরু করেন। এরপর ১৯৬৪ সালে সিনেমায় অভিনয় শুরু করেন।শর্মিলী আহমেদ অভিনীত উল্লেখযোগ্য কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে—'মালঞ্চ', 'দম্পতি', 'আগুন', 'আবির্ভাব', 'পৌষ ফাগুনের পালা', 'মেহেরজান', 'আবার হাওয়া বদল (২০১৪)', 'বৃষ্টির পরে (২০০৫)', 'আমাদের আনন্দ বাড়ি (২০০৫)', 'আঁচল (২০০৬)', 'আগন্তুক (২০০৫)', 'ছেলেটি (২০১১)', 'উপসংহার (২০১০)' ইত্যাদি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ জুলাই ২০২২
যুক্তরাষ্ট্রের বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্কের (৫১) ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অনেকের আগ্রহ রয়েছে। তবে তিনি ব্যক্তিগত জীবনের সবকিছু খুব বেশি সামনে আনেন না। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসাবিষয়ক গণমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডার জানিয়েছে, গত নভেম্বরে যমজ সন্তানের বাবা হয়েছেন তিনি। ইলনের মস্তিষ্কে চিপ স্থাপনবিষয়ক আরেক উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান নিউরালিংকের শীর্ষ নির্বাহী শিভন জিলিস এ যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।আদালতের নথি উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, গত এপ্রিলে মাস্ক ও জিলিস ওই যমজ সন্তানের নাম পরিবর্তন করার জন্য আদালতে আবেদন করেন। আবেদনে বাবা ও মায়ের নামের শেষাংশ শিশুদের নামের সঙ্গে যুক্ত করার কথা বলা হয়। এক মাস পরে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের একজন বিচারক ওই আবেদন অনুমোদন করেন।কোনো সূত্র উল্লেখ না করে বিজনেস ইনসাইডার তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, ইলন মাস্ক ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে টুইটার অধিগ্রহণ করলে তা পরিচালনার জন্য শিভন জিলিসের নাম শোনা যাচ্ছে।৩৬ বছর বয়সী জিলিস তাঁর লিংকডইন প্রোফাইলে নিজেকে নিউরালিংকের পরিচালন এবং বিশেষ প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। নিউরালিংকে তিনি ২০১৭ সালের মে মাস থেকে কাজ শুরু করেন। একই সময়ে তিনি টেসলার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রকল্প পরিচালক হিসেবেও কাজ শুরু করেন। তিনি সেখানে ২০১৯ সাল পর্যন্ত কাজ করেন। তিনি ইলন মাস্কের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের পরিচালনা পর্ষদেরও সদস্য।ইলন মাস্কের এই যমজ সন্তানসহ মোট সন্তানসংখ্যা ৯। এর মধ্যে কানাডার সংগীতশিল্পী গ্রিমসের ঘরে তাঁর দুই সন্তান রয়েছে। ইলন মাস্কের সাবেক স্ত্রী কানাডার লেখক জাস্টিন উইলসনের ঘরেও তাঁর পাঁচ সন্তান রয়েছে। যমজ সন্তানের বিষয়ে ইলন মাস্ক ও জিলিসের কাছে রয়টার্সের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হলে তাঁরা সাড়া দেননি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ জুলাই ২০২২
ক্রেতাদের কাছে আকর্ষণীয় করতে বড় আকারের গরুগুলোকে ‘বস’, ‘রাজাবাবু’, ‘টাইগারবাবু’সহ নানা ধরনের নাম দিয়ে থাকেন খামারিরা। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার লাউরফতেহপুর ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামের খামারি ইউনুস মিয়া এসব নামকেও ছাপিয়ে গেছেন। তিনি নিজের লালন-পালন করা একটি গরুর নাম রেখেছেন ‘জায়েদ খান’।গত সোমবার (৪ জুলাই) নবীনগর উপজেলার আহাম্মদপুর কোরবানির পশুর হাটে বিক্রির জন্য তোলা হয়েছে জায়েদ খানকে। ষাঁড় গরুটির ওজন ৬০০ কেজিরও বেশি। প্রাথমিকভাবে গরুটির দাম হাঁকা হচ্ছে তিন লাখ টাকা। তবে এদিন বিকেল পর্যন্ত ‘জায়েদ খানের’ দাম উঠেছে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা। গরুটি একনজর দেখতে হাটে ভিড় করেন উৎসুক জনতা।খামারি ইউনুস মিয়া জানান, এবার কোরবানির পশুর হাটে তোলার জন্য তার খামারে ২২টির বেশি গরু লালন-পালন করেছেন তিনি। এরমধ্যে খামারের বড় গরুগুলোকে ক্রেতাদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে ‘জায়েদ খান’সহ বিভিন্ন নাম দেওয়া হয়েছে।উল্লেখ্য, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এবার ৮০টির মতো কোরবানির পশুর হাট বসবে। এসব হাটে অন্তত ৭০০ কোটি টাকার পশু কেনাবেচা হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এবার জেলাজুড়ে কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা আছে এক লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৬ জুলাই ২০২২
দিনে কাজ করতে হবে মাত্র ৬ ঘণ্টা। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত। এর জন্য প্রতি মাসে বেতন দেওয়া হবে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ইউরো। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৫ লাখ টাকা। কিন্তু এরপরও লোক পাওয়া যাচ্ছে না।শুনতে বেশ অবাক লাগলেও শ্রমিকের অভাবে এমন ঘটনারই সাক্ষী হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। এতে করে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়তে যাচ্ছেন দেশটির লেবু চাষীরা। গত ১ জুলাই এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সানপ্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিনে মাত্র ৬ ঘণ্টা কাজের জন্য শ্রমিক খোঁজা হচ্ছে। কাজ গাছ থেকে পাকা লেবু তুলতে হবে। কিন্তু সেই কাজের জন্য পর্যাপ্ত লোক পাওয়া যাচ্ছে না। এর জেরে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ায় লেবু চাষের সঙ্গে যুক্তদের।আর তাই অস্ট্রেলিয়ার এক সংসদ সদস্য এই কাজে এগিয়ে আসতে কর্মীদের কাছে আবেদন করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার সেই আইনপ্রণেতার পোস্টে সাড়াও মিলেছে প্রচুর। কিন্তু কাজ করার জন্য কর্মী তেমন মেলেনি। কর্মীর অভাবেই প্রচুর লেবু পড়ে নষ্ট হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওই এমপি।অস্ট্রেলিয়ার সংসদ সদস্য অ্যানি ওয়েবস্টার জানিয়েছেন, লেবুর ফার্মে প্রচুর পাকা লেবু মাটিতে পড়ে নষ্ট হচ্ছে। এর জেরে লাখ লাখ টাকা নষ্ট হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।ব্যাপারে ওই আইনপ্রণেতা বলেছেন, ‘সানরেশিয়ার লেবু উৎপাদকরা খুব সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। ভালো লেবু বাজারে পাঠাতে হবে। লেবুর উৎপাদনেও কমতি নেই। গাছে লেবু হয়েছে প্রচুর। কিন্তু সেই লেবু তুলে বাজারের পাঠানোর জন্য লোকের অভাব। পাকা লেবু মাটিতে পড়ে গেলে সবটাই নষ্ট।’তিনি আরও বলেছেন, ‘লেবু তোলার কাজে প্রতিদিন ২২৫ ইউরো করে পাওয়া যাবে। প্রতি মাসে ৪ হাজার ৪০০ ইউরো বেতন দেওয়া হবে।’ বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৫ লাখ টাকা।অ্যানি ওয়েবস্টার আরও জানিয়েছেন, লেবু চাষে এ রকম কর্মীর অভাব তিনি প্রথম বার দেখছেন। বাইরের প্রায় ২১ হাজার কর্মী রয়েছে দেশে। কিন্তু তারা অন্য কাজে নিযুক্ত। করোনাভাইরাস মহামারির কারণেই বাইরে থেকে কর্মীরা আসতে পারছেন না অস্ট্রেলিয়ায়। আর মূলত এই কারণেই কর্মীর সংকট দেখা দিয়েছে বলে মনে করছেন ওই সংসদ সদস্য।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ জুলাই ২০২২
চট্টগ্রামের রাউজানে যৌতুকের টাকা না পেয়ে মো. আলমগীর তালুকদার (৫০) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে তার স্ত্রী তাওহিদুন্নেসাকে (২৫) নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।গত রোববার (৩ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত নির্যাতিত গৃহবধূ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তবে কবে হাসপাতাল ছাড়বেন, তা জানা নেই তার।জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (২৮ জুন) সকাল ১০টায় রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে যৌতুকের টাকার জন্য তাওহিদুন্নেসাকে মারধর করেন তার স্বামী আলমগীর তালুকদার। তার আর্তচিৎকারে এলাকার লোকজন গিয়ে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। এর মধ্যে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।নির্যাতনের শিকার তাওহিদুন্নেসার বাবা মোস্তাক আহমেদ বলেন, যৌতুকের টাকার জন্য আমার মেয়েকে চরম নির্যাতন করা হয়েছে। কী করব কিছুই বুঝতে পারছি না।অভিযুক্ত স্বামী মো. আলমগীর তালুকদার জানিয়েছেন, যৌতুকের জন্য আমার স্ত্রীকে মারধর করিনি। মূলত, বিয়ের সময় আমার স্ত্রী এইচএসসি পাস বলে জানিয়েছিল আমার শ্বশুরবাড়ি থেকে। কৌতূহলবশত স্ত্রী তাওহিদুন্নেসাকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর প্রথম দিনে আদায়কৃত টাকার উপর ভিত্তি করে পুরো বছর আয় কত হবে তা বের করতে বলেছিলাম। কিন্তু সে কোনো হিসাব করতে পারেনি। যোগ-বিয়োগ, গুণ-ভাগ কিছুই জানে না। মূলত, পদ্মা সেতুর টোল আদায়ের বাৎসরিক হিসাব বের করতে না পারায় মারধর করেছি।রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, স্বামী কর্তৃক স্ত্রী নির্যাতনের বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। এরপরও আমি খোঁজ নিয়ে পরে জানাচ্ছি।উল্লেখ্য, ৪ বছর আগে রাউজান উপজেলায় বাগোয়ান ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড উত্তর গশ্চির প্রয়াত সালেহ আহম্মদ তালুকদারের ছেলে মো. আলমগীর তালুকদারের সঙ্গে বাশঁখালী উপজেলার উত্তর জলদী গ্রামের মোস্তাক আহম্মদের মেয়ে তাওহিদুন্নেসার বিয়ে হয়। তাদের এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ জুলাই ২০২২
মাদারীপুরের শিবচর থেকে ঢাকা যাচ্ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা হাসি আক্তার (২১)। গতকাল সোমবার পদ্মা সেতু পাড়ি দিতে জাজিরা প্রান্তের টোল প্লাজার সামনে এসে স্বজনদের সঙ্গে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনি। তখনই হাসির প্রসববেদনা উঠলে স্বজনেরা তাঁকে নিয়ে টোল প্লাজার পাশে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার দিকে রওনা দেন। তবে থানা ও ফায়ার সার্ভিস ভবনের মাঝের সড়কেই সন্তান প্রসব করেন হাসি।সন্তান জন্ম দেওয়ার খবরে হাসির পরিবার ও টোল প্লাজার আশপাশের মানুষ আনন্দে মেতে ওঠেন। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান মা ও নবজাতককে বিকেলে গ্রামের বাড়ি শিবচর উপজেলার বিশরসি গ্রামে পৌঁছে দিয়েছেন। নবজাতক ও মা সুস্থ আছেন বলে জানা গেছে।হাসি আক্তার শিবচর উপজেলার বিশরসি গ্রামের আলী হাসানের স্ত্রী। আলী হাসান ও হাসি আক্তার—দুজনেই বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কর্মকর্তা। বর্তমানে তাঁরা কক্সবাজারের টেকনাফে কর্মরত। হাসি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় কিছুদিন আগে তিনি মাতৃত্বকালীন ছুটিতে গ্রামে আসেন। গতকাল তাঁর প্রসববেদনা শুরু হলে প্রথমে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যান। তবে ওই ক্লিনিকের চিকিৎসকেরা তাঁকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে হাসিকে ওই ক্লিনিক থেকে ভ্যানে করে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের টোল প্লাজার সামনে নিয়ে আসেন তাঁর স্বজনেরা।ভ্যান থেকে নেমে তাঁরা ঢাকাগামী বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় হাসি আক্তারের প্রসববেদনা বেড়ে গেলে জনেরা তাঁকে নিয়ে টোল প্লাজার পাশে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার দিকে রওনা দেন। তবে থানা ও ফায়ার সার্ভিস ভবনের মাঝের সড়কেই সন্তান প্রসব করেন হাসি।খবর পেয়ে পদ্মা সেতুর দক্ষিণ থানার নারী পুলিশ সদস্যরা হাসি ও নবজাতককে উদ্ধার করে থানা ভবনে নিয়ে যান। পরে সেখানে তাঁদের সেবা দেওয়া হয়। এরপর তাঁরা সুস্থবোধ করলে বিকেলে মা ও নবজাতককে বাড়িতে পৌঁছে দেন ওসি শেখ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।হাসি আক্তারের ভাই সাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘হাসিকে ঢাকায় পিলখানা বিজিবি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু আশপাশে কোনো গাড়ি পাচ্ছিলাম না। গ্রামে অ্যাম্বুলেন্সও পাওয়া যায়নি। তাই ভ্যানে করে টোল প্লাজার সামনে আসি। সেখান থেকে বাসে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ঢাকায় যেতে চাইছিলাম। কিন্তু টোল প্লাজার পাশের সড়কেই সন্তানের জন্ম হয়েছে। অনেক বিপদ ঘটতে পারত। কিন্ত আল্লাহর রহমতে কোনো সমস্যা হয়নি।’হাসি আক্তার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘একজন মা কেবল বুঝবে প্রসববেদনার যন্ত্রণা। আমি ব্যথায় ছটফট করছিলাম। কোথায় কী হচ্ছে, সেটা খেয়াল ছিল না। স্বজন ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আমার সন্তান সুস্থভাবে পৃথিবীর আলো দেখেছে। আমার সন্তান সুস্থ আছে, এতে আমি অনেক খুশি। পদ্মা সেতুর প্রান্তে আমার সন্তান প্রথম নিশ্বাস নিয়েছে। আমার সন্তান ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকবে।’এ সময় সন্তান প্রসবে সহায়তার জন্য স্থানীয় লোকজনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন হাসি আক্তার। এ ছাড়া নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য পুলিশ সদস্যদের ধন্যবাদ জানান তিনি।ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘সকাল সোয়া ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু পার হয়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর যাত্রা নিয়ে সবাই সকাল থেকে ব্যস্ত ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী যাওয়ার কিছুক্ষণ পর যখন যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়, তখনই এক নারীর সন্তান প্রসব করার খবর পাই। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। নবজাতক ও তাঁর মা ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকবেন। সারা দিনই স্থানীয় লোকজন থানায় নবজাতককে দেখতে এসেছেন, আনন্দ করেছেন।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ জুলাই ২০২২
গায়ক লুৎফর হাসান এবারের বর্ষায় আসছেন নতুন গান নিয়ে। সঙ্গে আছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের ক্ল্যাসিকালের শিক্ষার্থী আফরোজা রূপা। গানের শিরোনাম ‘যদি বৃষ্টি নামে’। কথা ও সুর লুৎফর হাসানের। সংগীতয়োজন করেছেন তরিক আল ইসলাম। গানটি নিয়ে লুৎফর হাসান বলেন ‘বৃষ্টির সন্ধ্যায় হাঁটতে হাঁটতে গানটি লিখি। সুর করার পর গুনগুন করছিলাম। ধ্রুব দাদাকে শোনানোর পর তিনি পছন্দ করলেন। তারপর তরিকের সঙ্গে বসে এটার মিউজিক ডিজাইন করি। ক্ল্যাসিকের মেলবন্ধনের জন্য রূপার কণ্ঠ যুক্ত করাটা প্রাসঙ্গিক মনে হয়। ফলে একটা মনমতো বৃষ্টির গান হলো’।গায়িকা আফরোজা রূপা জানান, তিনি মূলত ক্ল্যাসিকের শিল্পী। আধুনিক গানে যুক্ত হওয়াটা তার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা। গানের কথা, সুর, সংগীতায়োজন ভালো লেগেছে বলেই গেয়েছেন। শ্রোতারা পছন্দ করলে তিনি আধুনিক গানে নিয়মিত হবেন।নান্দনিক সেটে সন্ধ্যার বৃষ্টির আবহে গানটির ভিডিওচিত্র নির্মাণ করেছেন খ্যাতিমান নির্মাতা চন্দন রায় চৌধুরী। এতে অংশ নিয়েছেন শিল্পীরাই।এবারের ঈদুল আজহার আয়োজনে ইউটিউবে ধ্রুব মিউজিক স্টেশন (ডিএমএস) চ্যানেলে গান-ভিডিওটি অবমুক্ত করা হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ জুলাই ২০২২
পৃথিবীর ঠিক উল্টো পীঠে বসে আমরা চেয়ে চেয়ে দেখি একটি সেতুর রূপ। কি অপরূপ সাজে সাজানো হয়েছে এই সেতু। মিডিয়ার কল্যাণে কত ছবি, ভিডিও চোখে পড়ছে। আর মুগ্ধ হচ্ছি। তবে শুধু রূপে নয়, এমন এক শক্ত কাঠামো দেওয়া হয়েছে এই সেতুতে যা শতবর্ষের জন্য সকল ধকল নিতে প্রস্তুত। যার মধ্য দিয়ে দেখছি ১০০ বছর পরের বাংলাদেশকেও।আমরা জানি, উন্নয়নের আরেক নাম গতি। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দ্রুততম গতির সংযোজন ঘটিয়ে চলছে নানাবিধ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড। ফলে আমরা দূর পরবাস থেকেও দেখতে পাই একটি গতিময় সময়ে গতিময় বাংলাদেশকে। যার সর্বশ্রেষ্ঠ সংযোজন এই পদ্মাসেতু। গত ২৫ শে জুন সেতুটি উদ্বোধন হয়েছে। যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এক নতুন যুগে পা ফেলেছে ।আমি মনে করি এই পদ্মা সেতু বাংলাদেশের অর্থনীতির গেম চেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে।যুক্তরাষ্ট্রের অভিজ্ঞতার সঙ্গে যদি মিলিয়ে দেখি, এই দেশে আমরা কী দেখতে পাই? এই দেশে একটি রাজ্যের সঙ্গে অন্য রাজ্যের কানেক্টিভিটির দিকে যদি তাকাই আমরা দেখি অত্যন্ত সুচারূরূপে রচনা করা হয়েছে সেই কানেক্টিভিটি। কোথাও পাহাড়ের খাঁজ কেটে, কোথাও নদীর উপর সেতু রচনা করে। মূলতঃ যোগাযোগটাই উন্নয়নের অন্যতম পূর্বশর্ত। সেই হিসেবে এখানে রাজ্যগুলো একে অন্যের সাথে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থায় সংযুক্ত। আর সে কারণে এই দেশে মানুষগুলো যার যে রাজ্যে মন চায় গিয়ে বসতি গাড়ে। কারণ রাজ্যে রাজ্যে দ্রব্যমূল্যে নেই বড় কোনো ফারাক। ফারাক নেই জীবন ব্যবস্থায়। জীবনাচারে প্রয়োজনীয় অন্যান্য উপকরণে।একটি উদাহরণ দেই- এই দেশে ফ্লোরিডার আবহাওয়া অনেকটা গ্রীস্মমণ্ডলীয় দেশগুলোর মতো। ফলে সেখানে ফলে আম, জাম, লিচুর মতো রসালো ফলগুলো। কিন্তু সেই ফল আমরা ভার্জিনিয়াতে বসেও কিংবা নিউইয়র্কে বসে কিনে খেতে পারি অনেকটা সমমূল্যে। কারণ অতি সহজেই সেইসব ফল যুক্তরাষ্ট্রের অন্য রাজ্যগুলোতে পৌঁছে যায়। কারণ একটাই সহজ ও সাবলীল যোগাযোগ ব্যবস্থা।আমি মনে করি পদ্মাসেতু বাংলাদেশের জন্য সেই সুযোগটিই সবচেয়ে বড় করে আনবে। সবচেয়ে বড় কথা কাছাকাছি টেনে আনবে মানুষগুলোকে। এখন আর দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গের মানুষকে দূরের মনে হবে না। কিংবা রাজধানী ঢাকাকেও দূরের কোনো নগরী মনে হবে না সেই অঞ্চলের মানুষগুলোর কাছে। এই কাছাকাছি করে আনার মধ্য দিয়ে যে কাজের একটি শক্ত ভিত রচিত হবে যা উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে।গত কয়েকটি বছর পদ্মাসেতুর নির্মাণ প্রক্রিয়া দৃষ্টি কেড়েছে সকলের। আমরাও অবাক হয়ে দেখেছি কতটা আত্মনিয়োজনে তৈরি হয়েছে এই সেতু। সেতুর উপকরণ হিসেবে বিশ্বের যেখানে যেটি শ্রেষ্ঠ সেই উপকরণটিই সেই দেশ থেকে আনা হয়েছে। ফলে গুণগত মানে এতটুকু ছাড় না দিয়ে তৈরি হওয়া সেতুকে স্রেফ স্বপ্নের সেতু না বলে একটি ভিশনারি সেতুও বলা চলে। যাতে নিশ্চিত করা হয়েছে শতবর্ষের ভিত।সোয়া ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুতে উপরের তলায় প্রস্তুত হয়েছে চার-লেনের হাইওয়ে, আর নিচের তলায় সিঙ্গেল ট্র্যাক রেলওয়ে। সাড়ে সাত বছর ধরে ৩.৬ বিলিয়ন ডলার খরচে বানানো হয়েছে এই সেতু। বিশ্বের ২০ টি দেশের প্রকৌশলীদের প্রকৌশল বিদ্যার প্রয়োগ ঘটানো হয়েছে এই সেতুতে। ১০টি দেশ থেকে এসেছে এই সেতুর প্রধান উপকরণগুলো। আর বিশ্বের অন্তত ৫০টি দেশ থেকে আসা কোনো না কোনো উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে এই সেতুতে।এই যে আমরা আমাদের উন্নয়ন ও নির্মাণ প্রক্রিয়া অনেকটা দূর পর্যন্ত দেখতে শিখলাম। শ্রেষ্ঠত্বের প্রয়োগ ঘটাতে শিখলাম। এই চর্চা আমাদের শুরু হলো। এটাই আমাদের সময়ের তরফ থেকে হয়ে থাকবে ভবিষ্যত সময়ের জন্য এক উপহার। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে যা গর্বের প্রতীক হয়ে থাকবে।আমি ব্যবসায়ী দৃষ্টিকোণ থেকে যদি দেখি বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে বিপুল এক গতির সঞ্চার করবে এই সেতু। কাচামালের দ্রুত যোগান মানেই শিল্পের উৎপাদন তরান্বিত হওয়া সেতো আছেই কিন্তু যে কৃষক ফসল ফলায় মাঠে, তার উৎপাদিত পণ্যও এখন স্বল্প সময়ের ব্যবধানে পৌঁছে যাবে ক্রেতা কিংবা ভোক্তার কাছে ফলে কৃষি-বাণিজ্য তরান্বিত হবে। যে মানুষটি রাজধানী শহরে যেতে চায় কাজের খোঁজে তার জন্য শহরটি কাছাকাছি হবে, ফলে তার বেকারত্ব ঘুচবে। কিন্তু সেতুপথ তো একদিকে ধাবিত নয়, এর সমান দুটি লেন দুই দিকে ধাবিত, অর্থাৎ রাজধানীমুখি যেমন মানুষ হতে পারবে, তেমনি রাজধানির সুবিধাগুলো পৌঁছে যাবে সেই মানুষের কাছে। উভয়পথেই একটি নতুন দিনের সূচনা হবে। ফলে, যেমনটা বলছিলাম, যুক্তরাষ্ট্রে মানুষ যেমন যে কোনো রাজ্যে গড়তে পারে তার স্বস্তির, সম্মৃদ্ধির নিবাস, তেমনি বাংলাদেশেও মানুষগুলো তাদের ইচ্ছে মতো থাকতে পারবে সেতুর মাধ্যমে সংযুক্ত যে কোনো জেলায়, একই সুযোগ সুবিধা নিয়ে।আর কেবলতো সড়কপথই নয়, সেতুতে রেলপথও রয়েছে। ফলে দ্রুতগতির ট্রেন এখন গোটা বাংলাদেশে তার রুটগুলো তৈরি করে নিতে পারবে। এখানেও একটু যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে চাই। এখানেও অধিকাংশ স্টেট সড়কপথের পাশাপাশি ট্রেন লাইনেও সংযুক্ত। যা যোগাযোগের সুব্যবস্থা নিশ্চিত করেই উন্নয়নে গতি দেয়। আর নিশ্চিত করে বিকেন্দ্রীকরণ। আমরা এখন স্পষ্ট করেই ধারনা করতে পারছি এক উন্নত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল যা হয়তো আগামী ৫-৭ বছরেরই চাক্ষুস করতে পারবো।এই সেতু এইসব অঞ্চলের দারিদ্র বিমোচন করবে। অর্থনীতিকে করে তুলবে অন্তর্ভূক্তিমূলক আর অংশগ্রহণমূলক। সড়ক ও রেলপথে নতুন যে নেটওয়ার্ক তৈরি হবে তাতেই উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে এসব অঞ্চলে। নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি করবে। কমবে মানুষের যাতায়াত খরচ, পণ্য পরিবহণ খরচ ও সময়। এতে অর্থনৈতিক হিসাব-নিকাশ থেকে এখনই স্পষ্ট হচ্ছে, স্রেফ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাগুলোর অতিরিক্ত সক্রিয়তায় আগামী বছরগুলোতে বাংলাদেশের সার্বিক জিডিপি ২ শতাংশ বেড়ে যাবে।এই সেতু নির্মাণ করে বাংলাদেশ নিজেকে যোগ্য প্রমাণ করলো। বিশ্বকে দেখালো যে, বাংলাদেশ পারে। বস্তুত মানুষ চাইলেই পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তা আর বাংলাদেশের মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থনই এই সেতু তৈরির প্রধান ভিত। এর মধ্য দিয়েই আপাত অসম্ভব মনে হওয়া একটি কাজ সম্ভব করে তুললো বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশ সেটা করলো স্রেফ নিজস্ব অর্থায়নে।দূর প্রবাসে বসে সেই গর্বে গর্বিত আমি ও আমরা। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এর মধ্যদিয়ে একজন বাংলাদেশি আমেরিকান হিসেবে আমরা এদেশেও গর্ব করতে পারবো। বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যে কতবড় ভুল ছিলো তার এক জাজ্বল্যমান প্রমাণ এই পদ্মাসেতু। সে কথা আমরা বলতে পারবো জনে জনে। বুক ফুলিয়ে বলতে পাবরো, আমরাও পারি। আমাদের সকলের গর্বের প্রতীক এই পদ্মাসেতু। পদ্মাসেতুকে ঘিরে আমাদের আগামী দিনের গল্পগুলো হোক কেবলই সাফল্যের আর এগিয়ে চলার।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ জুন ২০২২