বিশেষ সংবাদ


যেভাবে পাওয়া যাবে মেট্রোরেলের টিকিট

যেভাবে পাওয়া যাবে মেট্রোরেলের টিকিট

বহুল প্রতীক্ষিত ঢাকার প্রথম মেট্রোরেল আগামীকাল বুধবার উদ্বোধন করা হবে। সাধারণ যাত্রীরা পরদিন বৃহস্পতিবার থেকে মেট্রোরেলে চড়তে পারবেন।আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উত্তরায় মেট্রোরেল উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে মেট্রোরেলে চড়ে আগারগাঁওয়ে নামবেন। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জানিয়েছে, শুরুতে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল। পৌনে ১২ কিলোমিটারের এই পথ পাড়ি দিতে মেট্রোরেলের সময় লাগবে ১০ মিনিট ১০ সেকেন্ড।শুরুতে মেট্রোরেল চলবে দিনে চার ঘণ্টা। সকাল ৮ থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলার সময় ট্রেন মাঝপথে কোথাও থামবে না। শুরুতে উত্তরা ও আগারগাঁও স্টেশন থেকে টিকিট (কার্ড) কাটা যাবে। এই পথের ভাড়া ৬০ টাকা।প্রথম দিকে স্টেশনে দুই ধরনের কার্ড পাওয়া যাবে। স্থায়ী ও এক যাত্রার (সিঙ্গেল জার্নি) কার্ড।শুরুতে মেট্রোরেল স্টেশন থেকেই এই কার্ড কিনতে হবে। পরে পর্যায়ক্রমে স্টেশনের বাইরে কার্ড বিক্রির জন্য কিছু প্রতিষ্ঠান নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।১০ বছর মেয়াদি স্থায়ী কার্ড কিনতে হবে ২০০ টাকা দিয়ে। এই কার্ড দিয়ে যাতায়াতের জন্য প্রয়োজনমতো টাকা রিচার্জ করা যাবে।স্থায়ী কার্ড পেতে নিবন্ধন করতে হবে। বৃহস্পতিবার ডিএমটিসিএলের ওয়েবসাইটে নিবন্ধনের লিংক দেওয়া হবে। এদিন থেকে নিবন্ধন করা যাবে। নিবন্ধন করতে নিজের নাম, মাতা–পিতার নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা পাসপোর্ট নম্বর, মুঠোফোন নম্বর, ই-মেইল আইডি লাগবে।এক যাত্রার (সিঙ্গেল জার্নি) কার্ডের জন্য নিবন্ধনের প্রয়োজন হবে না। স্টেশন থেকে এই কার্ড কিনে যাত্রা করা যাবে। ট্রেন থেকে নামার সময় কার্ড রেখে দেওয়া হবে।স্টেশনের টিকিট অফিস মেশিন (টিওএম) থেকে বিক্রয়কর্মীর সহায়তায় কার্ড কেনা যাবে। এ ছাড়া ভেন্ডিং মেশিন থেকে যাত্রীরা নিজেরাই স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।সরকার মেট্রোরেলের সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ করেছে ২০ টাকা। এরপর প্রতি দুই স্টেশন পর ১০ টাকা ভাড়া যোগ হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ ডিসেম্বর ২০২২


আগামী ২২ মার্চ থেকে শুরু পবিত্র মাহে রমজান

আগামী ২২ মার্চ থেকে শুরু পবিত্র মাহে রমজান

আগামী মার্চের শেষের দিকেই শুরু হতে যাচ্ছে মুসলিমদের মহিমান্বিত মাস রমজান। যদিও সিয়াম সাধনার এ মাস শুরু শুধুমাত্র চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল।তবে আগামী ২৩ মার্চ, বৃহস্পতিবার রমজান মাস শুরুর সম্ভাব্য তারিখ হতে পারে। আর ঈদ-উল-ফিতর ২১ এপ্রিল, শুক্রবার হতে পারে।ইসলামি জ্যোতির্বিদদের বরাত দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদ মাধ্যম গালফ নিউজের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।জ্যোতির্বিদদের হিসেব অনুযায়ী, পবিত্র মাহে রমজান আসতে এখনো চার মাসেরও বেশি সময় বাকি।যদিও পবিত্র রমজান মাস ও ঈদের সুনির্দিষ্ট তারিখ চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। চাঁদ দেখার ভিত্তিতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।আরব আমিরাতের জ্যোতির্বিদদের হিসেব অনুযায়ী, পবিত্র রমজান মাস আগামী বছরের ২৩ মার্চ, বৃহস্পতিবার শুরু হবে এবং শেষ হতে পারে ২০ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ ডিসেম্বর ২০২২


বগুড়ার গাবতলীতে কৃষিজমিতে পুকুর খনন, প্রশাসন নির্বিকার

বগুড়ার গাবতলীতে কৃষিজমিতে পুকুর খনন, প্রশাসন নির্বিকার

রাজিবুল ইসলাম রক্তিম: বগুড়ার গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের পোড়াদহ, ছয়মাইল এলাকায় কৃষি জমিতে এক্সভেটর মেশিন (ভেকু) দিয়ে চলছে পুকুর খননের কাজ। এরপরে ঢাকনাবিহীন ট্রলি ও ট্রাকে করে বিক্রি করা হচ্ছে সেই মাটি। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে পুকুর খনন ও মাটি বহনে নষ্ট হচ্ছে রাস্তার স্থায়িত্ব। এছাড়া খোলা যানবাহন বহনের কারণে রাস্তার ওপর পড়ে জমছে মাটির আস্তরণ। এতে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। সেইসাথে ধুলা উড়ে পথচারীসহ বিভিন্ন যানবাহনের চালকসহ যাত্রীরা দূর্ভোগের স্বীকার হচ্ছেন।এলাকাবাসীরা জানান, পুকুর খনন ও মাটি ব্যাবসায়ী মহিষাবান ইউনিয়নের রানীর পাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদ, ছয়মাইল এলাকায় কুখ্যাত জুয়ারু হাম্বি, একই এলাকার হাম্বির ভাগিনা মাসুদ, চকমড়িয়া গ্রামের আব্দুল হান্নান, কর্নিপাড়া গ্রামের আবু সাঈদ, মাহিষাবান ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শাহজাহান আলী ও আব্দুল রাজ্জাক ওরফে চিকে রাজ্জাক। শীত মৌসুম এলেই ফসলি জমির মাটিকে প্রধান টার্গেট করে বছর শুরু করে চলে তাদের মাটি বিক্রির রমরমা ব্যবসা। এতে হারিয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে অভিযান পরিচালনা করেও কিছুতেই বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। ভূমি দস্যুরা সরকার দলীয় এবং এলাকার প্রভাবশালী হওয়াতে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে নির্বিচারে ফসলি জমিতে পুকুর খনন করছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাশের জমির এক কৃষক বলেন, এ পুকুর খননের জন্য তাদের ফসলসহ জমিও নষ্ট হচ্ছে। পুকুর খননের কারণে জলাবদ্ধতাও সৃষ্টি হবে। আমার জমি ভেঙ্গে পুকুরের মধ্যে চলে যাবে। আমরা বাধা দিয়ে বিভিন্ন হুমকির সম্মুখীন হচ্ছি। তাই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি যাতে করে আমরা কৃষকেরা বাঁচতে পারি।এ বিষয়ে ভূমি দস্যুদের কথা বললে তারা জানান, সব কিছু ম্যানেজ করেই পুকুর ও মাটি খননের কাজ করেছি। আর ট্রলিতে করে ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে নির্মাণাধীন ভবন, ডোবা, পুকুর ও ভরাটসহ বিভিন্ন কাজে এই মাটি বিক্রি করছি।তারা আরো জানান, আপনারা পত্রিকাতে রিপোর্ট করে কি করবেন যেখানে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কোন মাথা ব্যাথা নাই আপনাদের কেন এত মাথাব্যথা?মহিষাবান ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ জানান, 'আমার ইউনিয়নের মধ্যে এমন কাজ কেউ করে থাকলে অবশ্যই দ্রুত বন্ধ করে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করবো'।গাবতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফতাবুজ্জামান আল-ইমরান জানান, 'সরকারি সম্পদ বা জনগনের ক্ষতি হয় এমন কোন কাজ বরদাস্ত করা হবে না। প্রয়োজন সরেজমিনে গিয়ে মাটি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে'।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ ডিসেম্বর ২০২২


বগুড়ার গাবতলীতে বেপরোয়া ভূমি দস্যুরা: প্রশাসনের নজরদারির অভাব

বগুড়ার গাবতলীতে বেপরোয়া ভূমি দস্যুরা: প্রশাসনের নজরদারির অভাব

বগুড়ার গাবতলীতে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তিন ফসলে কৃষি জমির মাটি কেটে ইটভাটা সহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে আসছে একটি চক্র। গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নে বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে কৃষি জমির মাটি কর্তন করা হচ্ছে। এতে করে জমির টপ সয়েল চলে যাচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়, জমি হারাচ্ছে উর্বরতা। দিনরাত মাটি বহনকারী ট্রাক ও ভেকু চলাচলের ফলে অন্যান্য যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে ওই এলাকার রাস্তাঘাট। জেলা কৃষি কর্মকর্তা বলছেন, 'উপরিভাগের মাটি বিক্রি করা কৃষির জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। এতে কমে যাচ্ছে আবাদি জমির উৎপাদন। ফলে অধিক চাষাবাদেও ফলন কম হচ্ছে। একবার টপ সয়েল কেটে নিলে তা পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসতে কমপক্ষে এক যুগ সময় লাগে। অথচ থামছে না মাটি কাটার মচ্ছব'।সরেজমিনে মহিষাবান ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে ভূমি দস্যুদের বর্বরতা। ওই এলাকার ভূমি দস্যুরা এক একটা বড়সড় সিন্ডিকেট। মহিষাবান ইউনিয়নের বকরি ভিটা গ্রামের ইউ পি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক ওরফে (চিকে রাজ্জাক) দলীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ মাটির ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে। সে এলাকার মানুষকে জিম্মি করে ভয় ভীতি দেখে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। তার ভয়ে এলাকার কেউ প্রতিবাদ ও মুখ খোলার সাহস করে না।নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে ওই এলাকার প্রায় অর্ধশত কৃষক বলেন, আমরা যেসব জমিতে ফসল চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করি সেই সব জমির পাশে জোরপূর্বক এক্সেভেটর (ভিকু) মেশিন দিয়ে জমির মাটি কাটার ফলে হুমকির মুখে পড়ছে আমাদের আবাদি জমিগুলো। আমরা বাধা দিতে গেলে সে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখায়। আমরা অসহায় মানুষ তাই জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসে অভিযোগ দেওয়ার সাহস পাচ্ছি না নাম প্রকাশের ভয়ে। কেননা এই ব্যবসায়ীরা এতটাই ক্ষমতাশালী যে উপজেলার প্রতিটা দপ্তরে এদের আসা-যাওয়া আছে। এরা পুলিশ প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন অসাধু কর্মকর্তার সাথে সম্পর্ক রেখে নিজেদের ফায়দা লুটে। দ্রুত মাটি কর্তন বন্ধ করে কৃষকদের ফসল উৎপাদনে সহয়াতা করতে প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন এলাকার জনসাধারণ।উপজেলার মাটি সিন্ডিকেটের আরেক হোতা মহিষাবান ইউনিয়নের মড়িয়া ছয়মাইল এলাকার হাম্বি। হাম্বি মাটির সিন্ডিকেটের সদস্য ছাড়াও এলাকাতে তাকে সবাই বড় জুয়াড়ী হিসেবে চিনে। নিজের এলাকা ছাড়াও উপজেলার বাইরের অন্যান্য এলাকাতে সে জুয়া খেলা পরিচালনা করে থাকে। হাম্বির ভাগিনা মাসুদ সে সরাসরি মাটি সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত। সে মরিয়া ছয় মাইল এলাকাতে একক অধিপত্য স্থাপন করেছে। সোর্সের সূত্র ধরে মাসুদের সাথে কথা হলে সে জানান, আমি থানা পুলিশ ম্যানেজ করে এবং সব ধরনের ঝুরঝাট এড়াতে রাতের আঁধারে মাটি কেটে থাকি। তারপরেও হালকা কিছু ঝুর ঝামেলা থাকলেও সেগুলো আমি মুহূর্তেই ম্যানেজ করে ফেলি।মাটির সিন্ডিকেটের আরো সদস্য হলেন রানীর পাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদ, চকমড়িয়া গ্রামের আব্দুল হান্নান, কর্নিপাড়া গ্রামের আবু সাঈদ, মাহিষাবান ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শাহজাহান আলী।মহিষাবান ইউনিয়নের প্রবীণ বয়োজ্যেষ্ঠ মোকসেদুর রহমান জানান, আমরা মূর্খ মানুষ অফিস আদালত সম্পর্কে খুব একটা জ্ঞান না থাকলেও যতটুকু জানি।উচ্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে স্থানীয় প্রশাসন ম্যানেজ করে এই এলাকার মাটি সিন্ডিকেটের সদস্যরা অবৈধ ভাবে তিন ফসলি আবাদি জমি পুকুরের পরিনত করছে। এই অবৈধ পুকুর খননে সহযোগীতা করছেন এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তি। এসব পুকুর খননের কারণে মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়ছে এলাকার কৃষি জমি। এস্কেভেটর (ভেকু) মেশিন দিয়ে ১০-১২ ফিট গভীর করে পুকুর খনন করে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে ইট ভাটায়। যার ফলে মাটির সংকটের কারণে চাইলেও কখনোই আর পুকুরকে জমিনের রুপ দেওয়া যাবে না। আমরা জনসাধারণ কঠোরভাবে মাটি কর্তন রোধে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি।মাটি কর্তনের বিষয় নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফতাবুজ্জামান আল-ইমরান জানান, অত্র এলাকার ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৬ ডিসেম্বর ২০২২


জাতীয়  বস্ত্র দিবস উপলক্ষে ১০টি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেবে সরকার

জাতীয় বস্ত্র দিবস উপলক্ষে ১০টি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেবে সরকার

জাতীয় বস্ত্র দিবস উপলক্ষে ১০টি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেবে সরকার। বস্ত্রখাতের উন্নয়ন, উৎকর্ষতা সাধন, বস্ত্র শিক্ষার সম্প্রসারণ ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখায় তাদের এ পুরস্কার দেওয়া হবে।রোববার (৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় সচিবালয়ে জাতীয় বস্ত্র দিবস উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‌‘দেশীয় বস্ত্র ব্যবহার করি সোনার বাংলা গড়ে তুলি।’মন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী বস্ত্র শিল্পের সম্ভাবনাগুলো বিকশিত করার লক্ষ্যে বস্ত্রখাত সংশ্লিষ্ট সব উদ্যোগ ও অংশীজনদের সমন্বয়ের উদ্দেশে সরকার ৪ ডিসেম্বরকে ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। দিবসটি উপলক্ষে আগামী ১২ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র (বিআইসিসি) বস্ত্র দিবসের মূল অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করার সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। এ অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির মাননীয় সভাপতি মির্জা আজম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এ অনুষ্ঠানে বস্ত্রখাতের উন্নয়ন, উৎকর্ষতা সাধন, বস্ত্র শিক্ষার সম্প্রসারণ ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখায় ১০টি অ্যাসোসিয়েশন/প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা প্রদান করা হবে।তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতিতে বস্ত্রখাতের ভূমিকা অপরিসীম। দেশের রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ আসে বস্ত্রখাত থেকে। দ্রুত সম্প্রসারিত এ শিল্প দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখছে। বর্তমানে বস্ত্রখাতে প্রায় অর্ধকোটি লোক কর্মরত রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৮০ ভাগই নারী। নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে বস্ত্রখাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বস্ত্রখাতের সক্ষমতা বৃদ্ধি, যুগোপযোগীকরণ ও বিনিয়োগে আকৃষ্টকরণ এবং অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বৃদ্ধির ব্যাপক প্রচারের লক্ষ্যে ৪ ডিসেম্বর ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস’ দেশব্যাপী উদযাপন করা হচ্ছে।পুরস্কারের জন্য মনোনীত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো─ বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ), বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ), বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ), বাংলাদেশ স্পেশালাইজড টেক্সটাইল মিলস অ্যান্ড পাওয়ারলুম ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন (বিএসটিএমপিআইএ), বাংলাদেশ কটন অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএ), বাংলাদেশে গার্মেন্ট বায়িং হাউজ অ্যাসোসিয়েশন (বিজিবিএ), বাংলাদেশ টেরিটাওয়েল অ্যান্ড লিনেন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিটিএলএমএ), বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স), বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যাকসেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমএই) এবং বাংলাদেশ তাঁতী সমিতি।তৈরি পোশাক শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর দাবি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে এ সময় জানান বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ ডিসেম্বর ২০২২


বাহরাইনের অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদে‌শি দূতের সাক্ষাৎ

বাহরাইনের অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদে‌শি দূতের সাক্ষাৎ

বাহরাইনের অর্থমন্ত্রী শেখ সালমান বিন খালিফা আল খালিফার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন দেশ‌টি‌তে নিযুক্ত বাংলা‌দে‌শের রাষ্ট্রদূত ড. মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।মঙ্গলবার (২৯ ন‌ভেম্বর) রা‌তে মানামার বাংলা‌দেশ দূতাবাস এক বার্তায় এ তথ্য জানায়। দূতাবাস জানায়, সোমবার বাহরাই‌নের অর্থমন্ত্রীর স‌ঙ্গে সাক্ষাতের সময় রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ ও বাহরাইনের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নসহ, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রসারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ স্কুলের জন্য জমি বরাদ্দ দেওয়ায় বাহরাইন সরকারকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান এবং ওই জমিতে স্কুল ভবন নির্মাণে বাহরাইন সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে দ্রুত অনুমোদন দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান। বাহরাইনের অর্থমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ নভেম্বর ২০২২


সমবায়ীদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার আহ্বান মন্ত্রী তাজুল ইসলামের

সমবায়ীদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার আহ্বান মন্ত্রী তাজুল ইসলামের

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবনের লালিত স্বপ্ন ছিল একটি সুখী সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তোলা এবং গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে সামষ্টিক অর্থনীতির সাথে কিভাবে যুক্ত করা যায় সেই লক্ষ্যে তিনি সমবায় ব্যবস্থাপনা এবং বিআরডিবি মত সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।তিনি বলেন, কিভাবে সবাই একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করা যায় এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় অবদান রাখা যায়, এরকম একটি স্বপ্ন ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের।রোববার (২৭ নভেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে 'বাংলাদেশ জাতীয় পল্লী উন্নয়ন সমবায় ফেডারেশনের ৩৫তম বার্ষিক সাধারণ সভা ও ড. আখতার হামিদ খান পল্লী ও সমবায় উন্নয়ন পদক প্রদান' অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন।স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, 'জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমবায়ের মাধ্যমে ক্ষুধা, দারিদ্র, শোষণ ও দূর্নীতিমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন৷ এখন জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণের জন্য সমবায় সমিতিসমূহকে কাজ করে যেতে হবে৷'তাজুল ইসলাম আরও বলেন, উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি (ইউসিসিএ)-এর সমবায়ীদের সচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে৷ সচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বিদ্যমান থাকলে সমবায় সমিতিগুলো অধিক কার্যকরী করে গ্রামীণ অর্থনীতিতে বড় ধরণের পরিবর্তন আনা সম্ভব।এর আগে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ জাতীয় পল্লী উন্নয়ন সমবায় ফেডারেশনের পুরস্কার প্রাপ্ত সদস্যদের মধ্যে ‘ড. আখতার হামিদ খান পল্লী ও সমবায় উন্নয়ন পুরস্কার ও পদক’ প্রদান করেন৷বাংলাদেশ জাতীয় পল্লী উন্নয়ন সমবায় ফেডারেশনের সভাপতি খন্দকার বিপ্লব মাহমুদ উজ্জল সভায় সভাপতিত্ব করেন। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, এমপি, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মোঃ মশিউর রহমান এনডিসি, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড মহা পরিচালক সাহেদ আলী, পরিচালক ও বগুড়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান সফিক।এসময় সমবায় ফেডারেশনের পরিচালকবৃন্দ, কর্মকর্তা ও উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির ( ইউসিসিএ) সভাপতি এবং বাংলাদেশ ইউসিসিএ কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ নভেম্বর ২০২২


এই মুহূর্তে ওবায়দুল কাদেরের বিকল্প খুঁজছে না আওয়ামী লীগ

এই মুহূর্তে ওবায়দুল কাদেরের বিকল্প খুঁজছে না আওয়ামী লীগ

আগামী ২৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশের প্রাচীনতম দল আওয়ামী লীগের ২২ তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ওই সম্মেলনেই ঠিক হবে আগামী তিন বছরের জন্য কারা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দেবেন। দলীয় সূত্র বলছে, এবারের সম্মেলন খুব একটা জাকজকমপূর্ণ হবে না। সাদামাটা ভাবেই অনুষ্ঠিত হবে ২২তম আসর।আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এক বাক্যে মেনে নেন দলের কাউন্সিলর-প্রতিনিধিরা । দু-একবার নিজ থেকে অবসরে যাওয়ার প্রস্তাব তুললেও দলের নেতা-কর্মীরা শেখ হাসিনাকে ছুটি দিতে রাজি হননি। সুতরাং সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনাই থাকছেন—এটা প্রায় নিশ্চিত। এই জন্য এবারও আওয়ামী লীগের সম্মেলনের মূল আকর্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সাধারণ সম্পাদক পদটি।আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের টানা দ্বিতীয় মেয়াদে এই দায়িত্বে আছেন। এখন পর্যন্ত দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে আলোচনায় যেটা শুনতে পাওয়া যাচ্ছে সেটি হলো- এই মুহূর্তে ওবায়দুল কাদেরের বিকল্প খুঁজছে না দলটির সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।তিনি যদি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকেন তাকেই আবার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিতে পারেন শেখ হাসিনা। তাছাড়া আওয়ামী লীগের মুখপাত্র হিসাবে তিনি ভালোই করছেন। তিনি এখন পর্যন্ত সফলতার সাথে তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।ওবায়দুল কাদের দলের প্রতিটি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করছেন কখনো স্ব-শরীরে কখনো ভার্চুয়ালি এবং তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের বুদ্ধিভিত্তিক ও দাঁতভাঙ্গা জবাবে তার জুরি নেই। যোগ্যতার দিক থেকেও তিনি দলের অন্যন্য নেতাদের তুলনায় এগিয়ে। সবকিছু মিলিয়ে তিনিই আগামী সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদকের দৌড়ে এখন পর্যন্ত এগিয়ে আছেন বলে জানা গেছে।অসমর্থিত একটি সূত্র বলছে- ওবায়দুল কাদেরের দ্বিতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পিছনে পার্শ্ববর্তী একটি দেশের ক্ষমতাসীন দলের জোড়ালো ভুমিকা ছিল, এবারও সেই ক্ষমতাসীন দলটি তাঁর জন্য আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে সুপারিশ করতে পারেন।উল্লেখ, দলের ২১তম জাতীয় সম্মেলনে দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পরে দলের ধানমন্ডি কার্যালয়ে তিনি এই প্রতিবেদকের সামনে বলেছিলেন ‘নেত্রী (হাসিনা) আমাকে আবারো দলের সাধারণ সম্পাদক বানিয়েছেন কারণ নেত্রী আসলে আমার বিকল্প খুঁজে পাননি। অন্যথায় আমি হতাম না’।এদিকে ভেতরে-ভেতরে এক ডজনের মতো নেতা সাধারণ সম্পাদক পদের দাবিদার হিসেবে নিজেদের উপস্থাপন করার চেষ্টা করছেন। করোনা মহামারির মধ্যে দীর্ঘদিন দৃশ্যত বাইরে না আসা ওবায়দুল কাদেরের এই রাজনৈতিক তৎপরতা আশা যোগাচ্ছে তাদের ।গত দুই সম্মেলনে ওবায়দুল কাদেরের পাশাপাশি দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাকের নামও আলোচনায় ছিল। এর বাইরে সাধারণ সম্পাদক হতে আগ্রহী আরও কয়েকজন নেতা নানাভাবে সক্রিয় আছেন। তাঁরা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। কেউ কেউ দলের বিভিন্ন জেলার বিভেদ মেটাতে উদ্যোগী ভূমিকা রাখছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন জাহাঙ্গীর কবির নানক, মাহবুব উল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, দীপু মনি ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।নতুন করে আলোচনায় যুক্ত হয়েছেন দুই সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ ও মির্জা আজম। এর বাইরে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের সম্ভাবনাও দেখছেন কেউ কেউ।আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী সূত্র বলছে আর সাধারণ সম্পাদক ঠিক করেন সভাপতি নিজেই। এবার কে হতে পারেন সাধারণ সম্পাদক—এ বিষয়ে দলীয় সভাপতি এখন পর্যন্ত তাঁর মনোভাব প্রকাশ্যে বা ঘনিষ্ঠ নেতাদের কাছে প্রকাশ করেননি। সাধারণত তিনি জাতীয় সম্মেলনের তিন থেকে সাত দিন আগে বিষয়টি খোলাসা করেন। এবারও এমনটাই হওয়ার কথা।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ নভেম্বর ২০২২


ঠাকুরগাঁওয়ের শীতকালীন সবজি সারাদেশে

ঠাকুরগাঁওয়ের শীতকালীন সবজি সারাদেশে

( কায়সার রেজা লাবণ্য)ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি: হরেক রকম শীতকালীন আগাম সবজির সমারহ ঘটেছে ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন হাট-বাজারে। আর স্থানীয়দের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এসব সবজি যাচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। এতে লাভবান হচ্ছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। আর ভোক্তারা পাচ্ছেন শীতের বিভিন্ন ধরণের আগাম সবজি। ঠাকুরগাঁও কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এবার সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ হাজার ৮৯৫ হেক্টের জমি। এ পর্যন্ত আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৬৩৭ হেক্টর জমিতে।জেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, মাঠে-ঘাটে আগাম জাতের শীতকালীন সবজির ব্যাপক চাষ। আগাম সবজির মধ্যে বাজারজাত করা হচ্ছে, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, বেগুন, লাউ, করল্লা, পেঁপে, বোরবটি, সীমসহ বিভিন্ন জাতের শাক সবজি।এসব সবজির মান ভালো হওয়ায় পাইকারি দরে কিনে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় পাঠাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। গতবার এমন সময় এক থেকে দুইটা করে সবজির গাড়ি লোড হতো আর এবার আগাম সবজির চাষ ও ফলন বেশি হওয়ায় দৈনিক ৪-৫টা করে সবজির গাড়ি লোড করে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় পাঠাচ্ছেন। এতে যেমন লাভবান হচ্ছেন কৃষক তেমনি তারাও বেশ লাভবান হচ্ছেন বলে জানান সবজি ব্যবসায়ী ওহায়েদ মুরাদ ও সুজন মিয়া।বর্তমান সবজির যে বাজার দর, এমন দাম থাকলে লাভবান হবেন বলে জানান কৃষক হানিফ। তিনি বলেন, আমি দেড় বিঘা জমিতে বেগুন আবাদ করেছি। এতে প্রতি সপ্তাহে ১০-১৫ হাজার টাকার বেগুন বিক্রয় করছি। আশা করছি মৌসুম শেষে দেড় বিঘার বেগুনে প্রায় ৫০-৬০ হাজার টাকা লাভ হবে। সদর উপজেলার নারগুন কহরপাড়া গ্রামের ক্ষুদ্র সবজি চাষী আব্দুল মালেক চাষ করেছেন বিভিন্ন প্রকার সবজি। এর মধ্যে পালং শাক তুলে বাজারজাত করছেন তিনি। তিনি জানান, পালং শাক শুধু ৭ কাঠা জমিতে করেছি। খরচ হয়েছে ৩ হাজার টাকা। ৩ কাঠা জমির শাক বিক্রি করেছি সাড়ে ৬ হাজার টাকা। আরও বাকি যেটা শাক আছে সেটা বর্তমান বাজার অনুযায়ী প্রায় ১৫ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারব। আর যদি এর থেকে দাম বেশি হয় তাহলে আশা করছি ২০-২৫ হাজার টাকা বিক্রয় হবে।কৃষকদের কাছে পাইকারি দরে ভালো মানের ফুলকপি ৩৫ টাকা, করল্লা ৪০, বেগুন ২২-২৫, লাউ প্রতি পিচ ২৪, মুলা ৭-৮ টাকা কেজি দরে কিনছেন বলে জানান সবজি ব্যবসায়ীরা মনির হোসেন।তবে এবার মূলা চাষ করে খরচের তুলনায় দাম না পেয়ে হতাশ মূলা চাষীরা। চাষী আল-আমীন বলেন, এবার ফুলকপি, লাউসহ অন্যান্য সবজির দাম ভালো হলেও মূলার তেমন দাম নেই। মজুর দিয়ে জমি থেকে মূলা তুলতে মূলা বিক্রয় করে সেই মজুরের টাকায় হয় না। এখনো আমার ৫ একর জমির মূলা বিক্রি করতে পারিনি। এতে আমরা মূলা চাষীরা খুব হতাশায় আছি।ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. আব্দুল আজিজ বলেন, সবজি চাষে সার্বক্ষণিক কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আগাম সবজি চাষে কৃষকরা ভালো দাম পাচ্ছেন বলে আগাম সবজি চাষে ঝুঁকছেন অনেক কৃষক। আশা করি আবহাওয়া ভালো থাকায় সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ নভেম্বর ২০২২


বগুড়ায় সরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক গুলো ওষুধ বিক্রয় প্রতিনিধিদের দখলে

বগুড়ায় সরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক গুলো ওষুধ বিক্রয় প্রতিনিধিদের দখলে

রাজিবুল ইসলাম রক্তিম (বগুড়া) : বগুড়ায় বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক গুলো ওষুধ কোম্পানি প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। তাদের কোম্পানির ওষুধ ব্যবস্থাপত্রে লেখা আছে কিনা তা দেখার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েন বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিরা। কেউ কেউ আবার রোগীদের দাঁড় করিয়ে তাদের মুঠোফোন দিয়ে ব্যবস্থাপত্রের ছবি তুলে রাখেন। এতে করে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন এইসব হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ রোগী ও রোগীর স্বজনরা। যেখানে সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করা নিষেধ। কিন্তু এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ডাক্তারের চেম্বার থেকে বের হওয়া রোগীদের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে ঔষধ বিক্রয় প্রতিনিধিরা। ব্যবস্থাপত্র নিয়ে কাড়াকাড়ি করার মতো ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। বিষয়টি পুরুষ রোগীর জন্য স্বাভাবিক হলেও নারী রোগীর জন্য খুবই বিব্রতকর। বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল ও বেসরকারি ১৫০০ শয্যাবিশিষ্ট টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতাল গুলোতে শতশত রোগীরা আসেন বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা নিতে। কিন্তু সেবা নিতে এসে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের কারণে।সরেজমিনে এই সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ডাক্তারদের চেম্বারে ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেই বিভিন্ন নামীদামী ঔষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিদের মহড়া। তারা দল বেঁধে ডাক্তারদের চেম্বারের আশেপাশে ঘুর ঘুর করে এবং ডাক্তারের সহকারীকে বিভিন্ন পন্থায় ম্যানেজ করে একজন একজন করে ডাক্তারের সাথে দেখা করে কোম্পানির ওষুধের স্যাম্পল দিয়ে থাকে। ডাক্তারের চেম্বার থেকে চিকিৎসা নিয়ে রোগীরা যখন বাইরে বের হয়ে আসে তখন ব্যবস্থাপত্র দেখতে তারা হুমড়ি খেয়ে পড়ে রোগীর উপর। এরপর ব্যবস্থাপত্রটি নিয়ে দেখা শুরু করে তাদের কোম্পানির ওষুধ গুলো ব্যবস্থাপত্রে লেখা আছে কিনা দেখা শুরু করে। কেউ কেউ আবার তাদের স্মার্ট ফোন দিয়ে ছবি পর্যন্ত তুলছে। এতে রোগীরা অস্বস্তি ও বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়ছেন ক্ষুণ্ন হচ্ছে রোগীর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা।চিকিৎসা নিতে আসা ফরিদা ইয়াসমিন (৫৫) নামের এক রোগী বলেন, আমি বেশি অসুস্থ্য হলে হাসপাতালে আসি ডাক্তার দেখানোর জন্য সেখানে এসে দেখি ডাক্তারের চেম্বারের আশেপাশে অনেক ঔষধ কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধি বসে বিভিন্ন রকম খোশ গল্পে ব্যস্ত আছে। আবার কেউ কেউ ডাক্তারের চেম্বারে ভিতরে বসে ডাক্তারকে তাদের কোম্পানির ঔষধ ব্যবস্থাপত্র লেখার জন্য অনুরোধ করছে ঔষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা। দীর্ঘক্ষন দাঁড়িয়ে থাকার পর বাধ্য হয়ে ডাক্তারের চেম্বারে ঢুকে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ পাইছি।নাম না প্রকাশের শর্তে শহরের বেশ কয়েকটি নামীদামী ফার্মেসী ব্যবসায়ী জানান, ঔষুধ কোম্পানি গুলোর আগ্রাসী মার্কেট পলিসির ফলে দেশে প্রয়োজনীয় ঔষধের চেয়ে অপ্রয়োজনীয় ঔষধের ব্যবহার বেড়ে গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি ঔষুধ বাজারজাতকরণ নীতিমালা থাকলেও তা মানে না কোম্পানি গুলো। ফলে অসাধু ও অর্থলোভী ডাক্তার, হাতুড়ে ডাক্তার ও ফার্মাসিষ্টদের ফাঁদে পড়ে অশিক্ষিত ও দরিদ্র রোগীরা ভেজাল ও নিম্নমানের ঔষধ সেবন দিকে ঝুঁকছে।তারা আরো জানান, ডাক্তারদের এই মহামূল্যবান উপকৌটন দেওয়া বন্ধ করে দিয়ে ঔষধ কোম্পানী গুলো ভালো মানের ওষুধ বাজারজাত করলে রোগীরা প্রতারিত ও ভেজাল ওষুধ থেকে রক্ষা পাবে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কিছু কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি জানান, ডাক্তারের দেওয়া ব্যবস্থাপত্রে তাদের কোম্পানির ঔষুধ লিখার জন্য প্রতিমাসেই আমরা তাদের কলম, প্যাড, চাবির রিং থেকে শুরু করে ঘরের আসবাবপত্র টিভি-ফ্রিজসহ মোটা অংকের উপহার দিয়ে থাকি। তার বিনিময় ডাক্তাররা তাদের ব্যবস্থাপত্রে আমাদের ঔষধ লিখবে। এই কারনে আমার ডাক্তারদের চেম্বারের সামনে ভীড় করি ব্যবস্থাপত্রের একটি কপি মেইল করে কোম্পানির হেড অফিসেও পাঠানো জন্য। এ বিষয়ে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা: মো: আব্দুল ওয়াদুদ সাথে কথা হলে তিনি জানান, ঔষধ কোম্পানি প্রতিনিধিদের ডাক্তারদের চেম্বার ভিজিট করার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারা যদি এই সময় লঙ্ঘন করে রোগীদের হয়রানি করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ নভেম্বর ২০২২


বগুড়ায় কিশোর গ্যাং ও বার্মিজ চাকুর শেষ কোথায়

বগুড়ায় কিশোর গ্যাং ও বার্মিজ চাকুর শেষ কোথায়

রাজিবুল ইসলাম রক্তিম: বগুড়ায় কিশোর গ্যাং ও বার্মিজ চাকু ব্যবহার একটা সামাজিক মরন ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। একটি আরেকটির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।বর্তমানে বগুড়া জেলায় বিভিন্ন ধরনের অপরাধ ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, জমিদখল, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং, ধর্ষণ এবং খুন-খারাবি ইত্যাদি সংগঠিত হচ্ছে যার অধিকাংশ কিশোর সন্ত্রাসীরা জড়িত। অপরাধকর্ম ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার বা দলগত সেরা হয়ে ওঠার প্রক্রিয়া হিসাবে এইসব কিশোর সন্ত্রাসীরা পাড়ায় পাড়ায় প্রথমে ছোট ছোট গ্রুপ তৈরি করে। ধীরে ধীরে ছোট গ্রুপ তৈরি হয় বিশাল বাহিনীর। অন্য দল বা অন্য এলাকার কিশোরদের ওপর প্রভাব খাটিয়ে এইসব কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসীরা রোমাঞ্চকর স্বাদ পেয়ে যায়। আর এই রোমাঞ্চকর স্বাদ থেকে শুরু হয় তাদের অপরাধ কর্মকাণ্ড। তাদের অপরাধ কর্মকাণ্ডের কারণে মানুষ অস্বস্তিকর অশান্তির মধ্যে দিনাতিপাত করছে।বগুড়া শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও এলাকাবাসী নির্যাতনের শিকার হওয়া অনেকই জানান, আমরা সবসময় এইসব কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসীদের ভয়ে নিজেদের সহায়-সম্পদ, উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েদের নিয়ে উৎকণ্ঠায় দিন কাটায়। কখন কারা জায়গা-জমি দখল করতে আসে বা চাঁদা দাবি করতে আসে, স্কুল-কলেজে পড়ুয়া মেয়েটিকে কখন কোন বখাটে বিরক্ত করে বা স্কুলে যাওয়া ছেলেটিকে তাদের দলে ভিড়িয়ে ফেলে। সমাজের নিরীহ অংশ বিশেষ করে যাদের কোনো প্রভাব প্রতিপত্তি নেই বা প্রভাবশালী মহলের সাথে কোনো ধরনের সম্পর্ক ও যোগাযোগ নেই তাদের আতঙ্ক সবচেয়ে বেশি। এলাকাবাসী আরও জানান, অনেক সময় আমরা এদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করলে গ্যাং এর সদস্যরা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। কোন কোন সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে আসার আগে এসব গ্যাং সদস্যরা সেখান থেকে সড়িয়ে পরে।সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর বগুড়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন ইসলাম তুহিন জানান, বগুড়ায় কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম ও বার্মিজ চাকু ব্যবহার একটা সামাজিক মরন ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। এই কিশোর গ্যাং সংস্কৃতি বর্তমানে তরুণদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে যার মূল কারণ হলো সামাজিকভাবে দায়বদ্ধতার অভাব। পারিবারিক দায়বদ্ধতার অভাব, সঠিক শিক্ষা ও শিষ্টাচারের অভাব, ধর্মীয় মূল্যবোধের অভাবের পথভ্রষ্ট হয়ে তরুণরা কিশোর গ্যাংয়ে নাম লেখাচ্ছে। নিজেদেরকে হিরোইজম বা বাহাদুরি, বাবার অবৈধ আয়ের কাঁচা টাকা-পয়সা, মাদকাসক্তি, সাংস্কৃতিক চর্চার নামে সস্তা ছেলে-মেয়েদের অবাধে মেলামেশার ফলে সমাজের ভেতরে ভেতরে উইপোকার মতো বিস্তার লাভ করছে কিশোর গ্যাং ও তাদের অপরাধ। এসব গ্যাংয়ের উৎপাতে পাড়ায় পাড়ায় মারামারি হানাহানি লেগেই আছে। তিনি আরও জানান,অপরিকল্পিত নগরায়ণের কারণে খেলাধুলা করার কোন মাঠ নাই। পুকুর, নদী-নালা ভরাট হয়ে যাওয়ায় শিশু-কিশোরদের খেলাধুলা বা পুকুর-নদীতে ঝাঁপাঝাঁপি করার সুযোগ নিঃশেষ হয়ে গেছে। এই সব থেকে বঞ্চিত হয়ে আড্ডা দিয়ে সময় কাটাতে গিয়েই গ্যাং সৃষ্টি করেছে। আগে অঞ্চলভিত্তিক, পাড়ায় পাড়ায় বিভিন্ন টুর্নামেন্ট ও খেলাধুলার প্রতিযোগিতার আয়োজন হতো, যাতে সবার মধ্যে সৌহার্দ্যরে বন্ধন এবং সুস্থ প্রতিযোগিতার মনোভাব সৃষ্টি হতো। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীদের সাথে নিয়ে সমাজে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠা কিশোর গ্যাং রোধে কাজ করবে। যাতে সামাজিক ভাবে দায়বদ্ধতা থেকে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে হবে স্কুল পড়ুয়া বাচ্চারা যাতে কোনোভাবেই রাজনীতির সাথে জড়িয়ে না পড়ে। তারা কোথায় যাচ্ছে কার সাথে মিশতেছে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।এই বিষয়ে জেলা পুলিশের মিডিয়া ও মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শরাফত ইসলাম জানান, কিশোর গ্যাং এবং কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট অপরাধসমূহ নির্মূলের জন্য জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। তবে কিশোর গ্যাং নির্মূল করতে মূখ্য ভূমিকা পালনের জন্য পরিবারের লোকজন হতে পারে অন্যতম মাধ্যম। পরিবার থেকেই তাদের বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে হবে। পুলিশের একার পক্ষে অপরাধ কর্মকাণ্ড দমন করা সম্ভব নয় তাই সামাজিক ভাবে দায়বদ্ধতা থেকে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ নভেম্বর ২০২২


বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্বপ্নপূরণের বিশ্ববিদ্যালয়-‘ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্বপ্নপূরণের বিশ্ববিদ্যালয়-‘ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’

দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন অনেকের। এটা যদি যুক্তরাষ্ট্রে হয় তাহলে তো কথাই নেই। কিন্তু সেই স্বপ্ন ছুঁয়ে দেখার সৌভাগ্য কজনেরই বা ভাগ্যে জোটে। তবে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে আশার কথা।যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে রয়েছে পূর্ণাঙ্গ একটি বিশ্ববিদ্যালয়। যার নাম ‘ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’। তবে অবাক করার বিষয় হলো এই বিশ্ববিদ্যালয়টির মালিক একজন বাংলাদেশি। দুনিয়ার সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশটিতে গর্ব করার মতো এই উদ্যোগ নিয়েছেন প্রকৌশলী আবুবকর হানিপ।এই বাংলাদেশি মার্কিন নাগরিক জানান, এরইমধ্যে তার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশিরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন। বছরে তাদের কারও কারও বেতন এক থেকে দেড় লাখ ডলারের মতো।তথ্যপ্রযুক্তি, সাইবার সিকিউরিটি ও এমবিএ কোর্সে ১২১টি দেশের হাজারের বেশি শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। যার অর্ধেকের বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী। কারণ এখানে তাদের জন্য রয়েছে সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ শিক্ষাবৃত্তিও রয়েছে। গত এক বছরে ৫০০ এর বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এখানে পড়তে এসেছেন।বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠার বিষয়ে জানা যায়, ২০০৮ সালে ওয়াশিংটন ডিসিতে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘আই গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি’। পরে বিশ্ববিদ্যালয়টি ১০০ কোটি টাকায় কিনে নেন আবুবকর হানিপ। এরপর এর নাম হয় ‘ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি।’ আবুবকর হানিপ বিশ্ববিদ্যালয়টির চ্যান্সেলর।২০২১ সালে যখন এর যাত্রা শুরু হয় তখন শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩০০। দুই বছরের কম সময়ে সেই সংখ্যা ছাড়িয়েছে এক হাজার। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকেই গেছেন ৫শ’র বেশি শিক্ষার্থী।আবুবকর হানিপ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এখানে ক্লাস নিচ্ছেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূলভিত্তি হলো কারিগরি ও সাধারণ শিক্ষায় পাঠদান। এখানে পড়ালেখা শেষ করে ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী নিজেদের যোগ্যতা ও দক্ষতা অনুযায়ী চাকরি পাচ্ছেন।‘ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’তে পড়াশোনা করছেন মাহমুদ মেনন খান। বাংলাদেশি এই শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের যারা শিক্ষক রয়েছেন তারা তাদের ইন্ডাস্ট্রিতে খুব অভিজ্ঞ। একই সঙ্গে তারা আবার স্কলার। ফলে তাদের ইন্ডাস্ট্রি জ্ঞান ক্লাসরুমে শেয়ার করেন। এতে আমরা আরও সমৃদ্ধ হই।বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করে অনেকে কর্মক্ষেত্রে সফল হলেও এর যাত্রার পেছনের গল্পটা সহজ ছিল না। কারণ আবুবকর হানিপ শিক্ষার্থী ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) থেকে স্নাতক করে তিনি যান যুক্তরাষ্ট্রে।দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষাপীঠের সনদ থাকার পরও কেবল দক্ষতার অভাবে ঘণ্টায় মাত্র পাঁচ ডলার মজুরিতে কাজ করেছেন ভিনদেশে। এই কষ্টের অভিজ্ঞতা হানিপকে অনুপ্রাণিত করে। এরপর তিনি পিপলএনটেক নামে একটি দক্ষতা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। সবশেষ চালু করেন পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ‘ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’।বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সুবিধা দেওয়াই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম উদ্দেশ্য বলে জানান আবুবকর হানিপ।তিনি বলেন, আমাদের টিউশন ফি খুবই সহনীয়। যেমন মাস্টার্স করলে দুই বছরে ২২ হাজার ৬০০ ডলার লাগে। তবে যদি বৃত্তি পায় এই খরচ কমে আসে। সেক্ষেত্রে দুই বছরে ১৫ হাজার ডলার প্রয়োজন হয়।পড়াশোনার পাশাপাশি যেন চাকরি করা যায় সেই সুযোগও শিক্ষার্থীদের দেওয়া হচ্ছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়টির চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপ।তিনি জানান, ওয়াশিংটনে নিজস্ব ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়টি নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এজন্য ব্যয় হবে ৩শ কোটি টাকা।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ নভেম্বর ২০২২


স্কাউটিংয়ে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির সহকারী পরিচালক ফরহাদ মল্লিকের অর্জন

স্কাউটিংয়ে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির সহকারী পরিচালক ফরহাদ মল্লিকের অর্জন

ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির অফিস অব দ্য স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের সহকারী পরিচালক এবং রোভার স্কাউট লিডার ফরহাদ হোসেন বাংলাদেশ স্কাউটসের মেসেঞ্জার্স অব পিস - এমওপির ‘রিং ব্যাজ’ গ্রহণ করেছেন। গত ২১ সেপ্টেম্বর ওয়ার্ল্ড পিস ডে উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে সারা দেশের ৩৯ জন স্কাউট লিডারকে ব্যাজটি প্রদান করা হয়। এই লিডাররা ’মাস্টার ট্রেইনার’ নামে পরিচিত। ফরহাদ হোসেন সম্প্রতি এমওপি টিম বাংলাদেশের মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে তালিকাভূক্ত হয়েছেন। ৩ নভেম্বর বাংলাদেশ স্কাউটসের জাতীয় সদর দফতর থেকে তিনি রিং ব্যাজ গ্রহণ করেন। এমওপি রিং ব্যাজ হলো মেসেঞ্জার্স অব পিসের সদস্যদের পরিচিতি স্মারক, যা তারা স্কাউট ইউনিফর্মে পরিধান করতে পারেন। ফরহাদ হোসেন বর্তমানে বাংলাদেশ স্কাউটসের ‘স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং ও গ্রোথ’ বিষয়ক জাতীয় কমিটির সদস্য এবং ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি রোভার স্কাউট গ্রুপ কমিটির সম্পাদক ও কোঅর্ডিনেটর। রোভার স্কাউটিংয়ে ধারাবাহিক সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ২০০৯ সালে ‘প্রেসিডেন্ট’স রোভার স্কাউট’ (পিআরএস) অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন। এ ছাড়া, তিনি কাব স্কাউট, স্কাউট ও রোভার স্কাউট - তিন শাখাতেই ‘উডব্যাজ পার্সমেন্ট’ সনদ পেয়েছেন। ফরহাদ হোসেন বর্তমানে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ক্যারিয়ার সার্ভিস ও ইন্টারন্যাশনাল অফিসেরও দ্বায়িত্ব পালন করছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ নভেম্বর ২০২২


সমন্বয়ে ফল চাষে ভাগ্য খুলেছে মাসুদ রানার

সমন্বয়ে ফল চাষে ভাগ্য খুলেছে মাসুদ রানার

গুরুদাসপুর(নাটোর) প্রতিনিধি: ম্যালচিং পদ্ধতিতে মিশ্র ফল বাগান করে অভাবনীয় সফলতা লাভ করেছেন নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের কুসুমহাট্টি গ্রামের প্রভাষক মাসুদ রানা। প্রথম দিকে শুরু বারো মাসী থাই গোন্ডেন পেয়ারা ও দুই ধরনের কুল চারা দিয়ে। অতঃপর হরেক রকমের ফল ও সবজি চাষে সাফল্য আসায় ফিরেছে ভাগ্য। কৃষিতে নতুন দ্বার উন্মোচন করা দৃষ্টিনন্দন বিশাল ফল বাগান দেখতে ভিড় করছেন ফল প্রেমিকরা।উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে জানা যায়, উপজেলায় মোট ২১০ হেক্টর জমিতে রয়েছে ফল বাগান । এর মধ্যে ১৯০ হেক্টর জমিতে রয়েছে একক ফলের বাগান। বাকি ২০ হেক্টর জমিতে মিশ্র ফলবাগান। আধুনিক প্রযুক্তিতে অল্প খরচে স্বল্প জমিতে হরেক রকমের ফল চাষে সহজেই লাভবান হওয়া যায়। ক্রমেই বাড়ছে মিশ্র ফল বাগান।সরেজমিনে গতকাল বৃহস্পতিবার গিয়ে দেখা যায়,উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের কুসুমহাট্টি গ্রামের মৃত আবুল কালামের ছেলে মাসুদ রানা। পেশায় একজন শিক্ষক। তার ১৫ বিঘা জমির উপর ম্যালচিং প্রদ্ধতিতে করেছেন মিশ্র ফল বাগান। তার বাগানে রয়েছে বারোমাসি থাই গোন্ডেন পেয়ারা গাছ ৫হাজার,বলসুন্দরী ও কাশমেরী কুল গাছ ২হাজার,রিড লেডি পেঁপে গাছ ১৫০টি,মালটা গাছ ১৫০টি,বিভিন্ন ধরনের আম গাছ ২০০টি, ছফেদা ফল ১৫টি,১হাজারটি কাঁচা মরিচ ,হলুদ গাছ আর ১বিঘা জমিতে রয়েছে ফিলিপাইন জাতের ব্লাক সুগারকেইন। ফল গাছে মাঝে মাঝে দেখা যায় সবজি গাছ। বাগান মালিক মাসুদ রানা বলেন, শৈশব কালের ইচ্ছা পূরণে ২০২০সালে কৃষি অফিসের পরামর্শে নিজ ৫বিঘা জমি উপর ১০০০টি থাই গোন্ডেন-৮ জাতের পেয়ারা ও ১১০০টি বলসুন্দরী ও কাশমেরী কুল চারা শুরু করেন এই ফল বাগান। এতে খরচ হয় ২ লক্ষ ৫০হাজার টাকা। এক বছরের মাথায় বাগানে ফল ধরতে শুরু করে। সেই বছরেরই আসে সাফল্য। ফল বিক্রিতে লাভ হয় ৬ লক্ষ টাকা। পরে ১০বছরের জন্য বিঘাপ্রতি ১৫ হাজার বিনিময়ে লিজ নেন আরও ১০ বিঘা জমি। বাগান পরিচর্যা ও যত্ন নেওয়ার কাজে নিয়োজিত রয়েছে ১০জন শ্রমিক।১৫বিঘার এই মিশ্র বাগান করতে খরচ হয়েছে প্রায় ১৫লক্ষ টাকা। কিছু কিছু ফল গাছে ফল ধরেছে। পরিপক্ক ফল বিক্রি শুরু হয়েছে। বাজারে চাহিদা থাকায় ভাল দামে বিক্রি হচ্ছে ফল। তিনি আশা করছেন প্রতিদিনের শ্রমিকসহ আনুসাঙ্গিক ধরে প্রতিবছর খরচ হবে ১৫লক্ষ টাকা। আর ফল বিক্রি হবে ৪০লক্ষ টাকা। তিনি আরও জানান,পরিবারে মা ছাড়া অন্য সদস্যদের মত্ত ছিল না। পরবর্তীতে বাগান ও আয় দেখে আমার সাহসের প্রশংসা করেছেন তারা।ফজলু হোসেন ও সুমন রহমান বলেন , এক বাগানে হরেক রকমের ফল গাছ দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে কৃষি অফিস ও মাসুদ রানার পরামর্শে দুই বিঘার উপর এই ধরনের বাগান করেছি। সাফল্য আসলে বড় আকারে করার চিন্তা ভাবনা রয়েছে।কৃষি কর্মকর্তা হারুনর রশিদ বলেন,মাসুদ রানার মিশ্র বাগানে কৃষি বিভাগ হতে মালচিং প্রযুক্তি সরবরাহ করেছি। এতে তার বাগানে খরচ কমেছে এবং বেড়েছে ফলন। আগ্রহী অনেক কৃষক যোগাযোগ করছেন। তাদের কৃষিবিভাগ থেকে পরামর্শ ও প্রযুক্তি দিয়ে সহায়তা করা হচ্ছে।#৩-১১-২০২২শ/ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৩ নভেম্বর ২০২২


দেওবন্দের কর্মপদ্ধতি বৈপ্লবিক : মাহফুজুল হক

দেওবন্দের কর্মপদ্ধতি বৈপ্লবিক : মাহফুজুল হক

ভারতের দারুল উলুম দেবওন্দের কর্মপদ্ধতিকে বৈপ্লবিক ধারা বলে মন্তব্য করেছেন কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক।তিনি বলেন, ‘শায়খুল হাদীস পরিষদ’ সারাদেশে আকাবীরে দেওবন্দের চিন্তাধারা নিয়ে ব্যাপক আলোচনার মধ্য দিয়ে হতাশাজনক পরিস্থিতিতে এক নবজাগরণ সৃষ্টি করবে। মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) রাজধানীর বাবুস সালাম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে শায়খুল হাদীস পরিষদ উত্তরা জোনের উদ্যোগে ‌‘আকাবীরে দেওবন্দের চিন্তাধারা ও আজকের প্রেক্ষিত’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উত্তরা জোনের আহ্বায়ক মুফতি আনীসুর রহমানের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব মুফতি নেয়ামতুল্লাহ আমীন ও মাওলানা মুর্শিদ সিদ্দিকীর যৌথ সঞ্চালনায় আলোচনা করেন দারুল উলুম করাচির সিনিয়র মুহাদ্দিস মুফতি আব্দুল মান্নান, মুফতি আব্দুল মুনতাকিম, মাওলানা তাফাজ্জুল হক আজিজ, মুফতি হাবীবুল্লাহ মিসবাহ, মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, মাওলানা মাহবুবুল হক, মুফতি মাসুদুল করীম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরীর সভাপতি মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা হাসান জুনাইদ, মাওলানা বখতিয়ার হুসাইন সরদার, মাওলানা নুরুল ইসলাম কাসেমি প্রমুখ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ নভেম্বর ২০২২