বিশেষ সংবাদ


ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে ড. মোমেনের নামে লাখ ডলারের স্কলারশিপ ঘোষণা

ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে ড. মোমেনের নামে লাখ ডলারের স্কলারশিপ ঘোষণা

ওয়াশিংটন ইউনিভাসির্টি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (ডব্লিউইউএসটি )’ তে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের নামে এক লাখ ডলারের স্কলারশিপের ঘোষণা দিয়েছেন চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ।বাংলাদেশি-আমেরিকান সফল উদ্যোক্তা ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপকে ‘ম্যাজিকম্যান’ বলে আখ্যায়িত করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের আমন্ত্রণে ডিসিতে অবস্থানকালে ১১ এপ্রিল পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেন।চ্যান্সেলর হনিপ জানান, তিনশ' থেকে ডব্লিউইউএসটির শিক্ষার্থীর সংখ্যা এখন প্রায় ১৫শ'। তার মাঝে ৬শ'র মত বাংলাদেশি স্টুডেন্ট। জুলাই থেকে নিজেদের নতুন ক্যাম্পাসে শুরু হতে যাচ্ছে কার্যক্রম। যোগ হবে নার্সিং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ডেটা-সায়েন্সসহ নতুন কিছু প্রোগাম।উদ্বোধনের দু'বছর পর এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমের উন্নতি ও ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা পাঁচগুণ বৃদ্ধি দেখে ড. মোমেন বলেন, আবুবকর হানিপ একটি সফলতার গল্পের নাম। আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে যে ল্যান্ড অব অপরচ্যুনিটি বলা হয়, ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ তা প্রমাণ করিয়ে দেখিয়েছেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি পূর্ণ সহযোগিতা থাকবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বাস দেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান। প্রথম বারের মত ক্যাম্পাস পরিদর্শনে এসে ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপের এই উদ্যোগের প্রশংসা তিনিও করেন। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ ও কর্মকর্তাগণকে আমন্ত্রিত অতিথিদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন ডব্লিউইউএসটির প্রেসিডেন্ট ড. হাসান। শত ব্যস্ততার মাঝেও এই সফরের জন্য তারা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। ক্যাম্পাস ত্যাগের আগে আশ্বাস দিয়ে যান নতুন ক্যাম্পাসে যাত্রা শুরু হলে তিনি আবারও আসবেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ এপ্রিল ২০২৩


শুধু বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে কোটি কোটি টাকা লোপাট করেছে জাহাঙ্গীর

শুধু বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে কোটি কোটি টাকা লোপাট করেছে জাহাঙ্গীর

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বহিষ্কৃত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং বেনামে ব্যাংক হিসাবে টাকা লেনদেন অভিযোগের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বরাদ্দকৃত কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন এই জাহাঙ্গীর।সম্প্রতি দুদকের করা তদন্তে উঠে আসে ২০২০-২১ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে প্রায় ২ কোটি টাকার অধিক বরাদ্দ থাকলেও সেই টাকা সিটি কর্পোরেশনের ফান্ড থেকে তুলে নেয় জাহাঙ্গীর ও তার লোকজন। অথচ কোভিড মহামারি বিধিনিষেধের কারণে প্রোগ্রামগুলো অনুষ্ঠিতই হয়নি।কাগজপত্রে দেখানো হয়েছে ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে রাজবাড়ি মাঠে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করার সিদ্ধান্ত হয় এবং এজন্য তহবিল থেকে অর্থ দেয়া হয়েছে কিন্তু করোনা মহামারীর কারণে তখন উন্মুক্ত জায়গায় সব ধরনের অনুষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল এবং এই ধরনের কোনো অনুষ্ঠান সেদিন রাজবাড়ি মাঠে অনুষ্ঠিত হয়নি।প্রতিবেদনে আরও বলা হয় জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন এর জন্য তৎকালীন সিটি কর্পোরেশনের সচিব মোস্তাফিজুর রহমানের জন্য ৪৬ লাখ এবং তৎকালীন প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা রেজাউল বারির জন্য ৪৫ লাখ টাকার আরেকটি চেক ইস্যু করা হয়।কিন্তু মাস্টাররোলে থাকা জিসিসি দুই অঞ্চলের কর্মী নাজমুল ইসলাম সুলাইমান তাদের ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করে সেগুলো ক্যাশ করেন। এব্যাপারে রেজাউল বারী জিসিসিকে জানান তার নামে ইস্যু করার চেকের বিষয়ে তিনি অবগত নন।গত ২০২১ সালের নভেম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলমকে আওয়ামী লীগ থেকে আজীবনের জন্য বহিস্কার করা হয়। পরে ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে তাঁকে মেয়র পদ থেকে বহিস্কার করা হয়।দুদকে পেশ করা অভিযোগে বলা হয়, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে নানা সরঞ্জাম ক্রয় করতে অনুদানের প্রায় ৫ কোটি টাকা খরচের হিসাব রাখা হয়নি। কী কী পণ্য কত টাকায় কেনা হয়েছে, কোথা থেকে কেনা হয়েছে- এ-সংক্রান্ত কোনো নথি সংরক্ষণ করা হয়নি। করোনা মোকাবিলায় আরও বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচের হিসাব রাখা হয়নি। জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে একটি কমিটি করোনা মোকাবিলায় অর্থ খরচসহ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।অভিযোগ করা হয়, জাহাঙ্গীর আলম ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাঁর পছন্দের ২৩টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে উন্নয়নমূলক কাজ করিয়েছেন। ২০১৮-১৯ ও ২০২০-২১ এই দুই অর্থবছরে ২৩ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রায় দেড়শ কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে। এর বাইরে কোনো প্রতিষ্ঠানকে কাজের সুযোগ দেওয়া হয়নি। পছন্দের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে কাজ করাতে করপোরেশন এলাকায় আর কোনো প্রতিষ্ঠানকে ঠিকাদারি লাইসেন্স দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া অনেক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নবায়নও করা হয়নি।দুদক সূত্র জানায়, তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়া ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে লেনদেন ও কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। একটি বেসরকারি ব্যাংকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র নামে একটি হিসাব খোলা হয়েছে। ওই হিসাবটি প্রকৃতপক্ষে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের অফিসিয়াল হিসাব নয়। ফিন-বাংলা অ্যাপারেলস, জিএসএম কম্পোজিট মিলের কাছ থেকে সোয়া ২ কোটি টাকা অগ্রিম হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ গ্রহণ করে ওই ব্যাংক হিসাবে জমা দিয়ে পরে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়েছে।গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় ইস্পহানি ফুডস নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে ৪০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। পরে এই টাকা সিটি করপোরেশনের হিসাবে জমা না দিয়ে নিজের গোপন হিসাবে জমা দিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে। তিনটি প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি সিটি করপোরেশনকে চিঠি দিয়ে তাদের অর্থ প্রদানের বিষয়টি অবহিত করেছে। তথ্যসূত্র : দ্য ডেইলি স্টার ক্রাইম ফাইলস ও সমকাল

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ এপ্রিল ২০২৩


আগামীকাল শহীদ মিনারে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা

আগামীকাল শহীদ মিনারে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা

সর্ব সাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের চেয়ারম্যান আলতাফুন নেছা মায়া।বুধবার (১২ এপ্রিল) ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।তিনি বলেন, ওইদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে। এরপর সেখানে রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনার জানানোর জন্য রাখা হবে।বর্তমানে ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মরদেহ বারডেম হাসপাতালের হিমাগারে রয়েছে বলেও জানান তিনি।আলতাফুন নেছা বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রথম জানাজা রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।তিনি বলেন, শ্রদ্ধা জানানো জন্য ১৪ এপ্রিল (শুক্রবার) সকাল ১০টায় সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ রাখা হবে। পরে জুমার নামাজের পর দ্বিতীয় জানাজা হবে গণবিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে।মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ডা. জাফরুল্লাহ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ এপ্রিল ২০২৩


আওয়ামী লীগ বনাম প্রথম আলোর এই লড়াই মূলত রাজনৈতিক

আওয়ামী লীগ বনাম প্রথম আলোর এই লড়াই মূলত রাজনৈতিক

আওয়ামী লীগ বনাম প্রথম আলোর এই লড়াই মূলত রাজনৈতিক। ২০০৭ সালের ১৩ই জানুয়ারি গঠিত সেনা-নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে বাদ দিয়ে দুই দলের কিছু ডিগবাজী নেতা এবং সুশীল সমাজের কিছু সুবিধাবাদী উচ্চাভিলাষী ব্যক্তি নিয়ে মুহাম্মদ ইউনুসকে প্রধান করে যে “জাতীয় সরকার” গঠনের প্রক্রিয়া বা মাইনাস টু ফর্মুলা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিলো তাতে প্রথম আলোর পূর্ণ সমর্থন ছিলো। জনশ্রুতি আছে, এই পরিকল্পিত "জাতীয় সরকার"-এর একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হওয়ার কথা ছিলো মতিউর রহমানের।কিন্তু সেনা-নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উৎসাহ ও উস্কানিতে এই হাঁসজারু {রসিকরাজ সুকুমার রায়ের কল্পিত হাঁস ও সজারুর মিলনে জন্ম উদ্ভট প্রাণি} বা খচ্চর {ঘোড়া ও গাধার মিলনে জন্ম} সরকারের পরিকল্পনার প্রতি দেশের জনগণ আস্থা স্থাপন করতে পারেনি। বরং এই “জাতীয় সরকার” যে একটা দুরভিসন্ধির ফসল এবং এই ব্যবস্থা যে পরিণামে দেশের জন্য ক্ষতি বয়ে আনবে তা জনগণ ঠিকই বুঝেছিলো এবং তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছিলো।পরবর্তীতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠনের পর তিনি দলীয় সভায় দলের ডিগবাজী নেতারা যারা জাতীয় সরকারে যোগ দেয়ার গোপন ষড়যন্ত্রে যোগ দিয়েছিলো তাদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেনঃ “ফরগেট করেছি, ফরগিভ করবো না”। শেখ হাসিনার এই সাবধান-বাণী আসলে সেই দুরভিসন্ধিমূলক জাতীয় সরকারের পরিকল্পনার সাথে জড়িত সবার জন্যই প্রযোজ্য ছিলো। পরবর্তীতে দলের ডিগবাজী নেতারা তা টের পেয়েছেন, এখনো পাচ্ছেন। মতিউর রহমানও সেই সাবধান-বাণীর ফলটাই টের পাচ্ছেন।রাজনীতির দাবা খেলায় “ফরগেট” ও “ফরগিভ” করার সুযোগ নাই; করলেই কিস্তি মাত, খেলা শেষ। সে দিক থেকে প্রথম আলোর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের এই অবস্থান ও য়্যাকশন অযৌক্তিক নয়।আজকের কাগজ, ভোরের কাগজ ও প্রথম আলোর সম্পাদক হিসেবে মতিউর রহমানের সাফল্য ঈর্ষণীয়। এতো সাফল্যের পর তিনি হয়তো ভেবেছিলেন যে সাংবাদিকতায় তো আর কিছু পাওয়ার নেই। এবার সরাসরি ক্ষমতার স্বাদ নেয়া যাক। আর ভীড়ে গিয়েছিলেন ইউনুসদের দলে। তাঁর আজকের এই দুর্গতির জন্য তিনিই দায়ী। এই দুর্গতি থেকে উদ্ধারের পথ তাকেই খুঁজে বের করতে হবে।লেখক - সাংবাদিক দুর্জয় রায়

দুর্জয় রায় । ১১ এপ্রিল ২০২৩


গাজীপুর সিটি নির্বাচনের আগে জাহাঙ্গীরের বহিষ্কারের বৈধতার রায়: হাইকোর্ট

গাজীপুর সিটি নির্বাচনের আগে জাহাঙ্গীরের বহিষ্কারের বৈধতার রায়: হাইকোর্ট

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জারি করা রুলের রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে আগামী ৩ মে ধার্য করা হয়েছে। ফলে মেয়র পদে ফিরতে জাহাঙ্গীরের অপেক্ষা বাড়ল।মঙ্গলবার বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। গাজীপুর সিটি নির্বাচনের আগে জাহাঙ্গীর বহিষ্কারের বৈধতা নিয়ে রায় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট।এর আগে গত বৃহস্পতিবার এ দিন ধার্য করেছিলেন হাইকোর্ট। আদালতে জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ন, অ্যাডভোকেট এমকে রহমান, ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী। সিটি করপোরেশনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম।এর আগে গত ১৫ মার্চ গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলের শুনানি শুরু হয়। মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হলে ৩০ মার্চ রায়ের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছিল। পরে ফের সময় চায় রাষ্ট্রপক্ষ। পরে সময় আবেদন মঞ্জুর করে মঙ্গলবার রায়ের দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।এদিকে গত বছরের ১৪ আগস্ট গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া জাহাঙ্গীর আলম পদ ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে তাকে সাময়িক বরখাস্তের আইনগত বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। ব্যারিস্টার মশিউর রহমান সবুজ জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে এ রিট দায়ের করেন।প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে বহিষ্কার করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এর পর জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। তবে জাহাঙ্গীর আলমকে পরবর্তীতে দলে ফিরিয়ে নিয়েছে আওয়ামী লীগ।২০১৮ সালে গাজীপুর সিটি করপোরশেন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে বিপুল ভোটে মেয়র পদে জয়ী হয়েছিলেন জাহাঙ্গীর আলম।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ এপ্রিল ২০২৩


যুক্তরাষ্ট্রকে ধূলিসাৎ করে দেওয়ার হুমকি রাশিয়ার

যুক্তরাষ্ট্রকে ধূলিসাৎ করে দেওয়ার হুমকি রাশিয়ার

রাশিয়ার কাছে যু্ক্তরাষ্ট্রকে ধ্বংস করে দেওয়ার মতো অস্ত্র মজুদ আছে- এমন হুমকি দিয়েছেন রাশিয়ার নিরাপত্তা মন্ত্রী নিকোলাই প্যাটরুশেভ। খবর আলজাজিরার। তিনি বলেন, যে কোনো শত্রুর মোকাবিলা করার মতো সামর্থ্য রাশিয়ার আছে। যদি রাশিয়ার অস্তিত্ব সংকটে পড়ে তবে যুক্তরাষ্ট্র হলেও তাকে ধূলিসাৎ করে দেওয়া হবে। রুশ গণমাধ্যম রোশিকায়া গ্যাজেটায় এসব কথা বলেন তিনি। নিকোলাই প্যাটরুশেভ আরও বলেন, আমেরিকানরা অন্যের জন্য পাতা ফাঁদে নিজেরাই পড়ে গেছে। এর আগে পুতিনকে গ্রেফতার করা হলে জার্মানিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকি দেন রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ। ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে পরোক্ষ যুদ্ধে জড়িয়ে গেছে চীন-রাশিয়া ও পশ্চিমা জোট। সম্প্রতি কথার লড়াই তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। একদিকে মস্কো সফর করে মাঠ গরম করেছেন শি জিনপিং। অন্যদিকে চীনের ওপর রাশিয়াকে সহায়তার অভিযোগ করছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়া-চীন সম্পর্ক নিয়ে পুতিন বলেন, চীন ও রাশিয়া কোনো ধরনের সামরিক জোট গড়ছে না, তবে আমরা একে অপরকে সামরিক সহযোগিতা করছি। এদিকে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করেছে বেলারুশে রাশিয়ার পরমাণু অস্ত্র স্থাপনের ঘোষণা। এ বিষয়ে পুতিন বলেন, এটা অস্বাভাবিক নয়। দশকের পর দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের কাজ করছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ মার্চ ২০২৩


লেবুর হালি ৮০, শশার কেজি ৮০ এবং বেগুনের কেজি ১০০ টাকা

লেবুর হালি ৮০, শশার কেজি ৮০ এবং বেগুনের কেজি ১০০ টাকা

রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেগুন প্রতি কেজি ১০০ টাকা, যা আগে ছিল ৮০ টাকা পটল প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, টমেটো প্রতি কেজি ৪০ টাকা; অথচ কয়েক দিন আগে ছিল ৩০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৮০ টাকা; অথচ কয়েক দিন আগেই ছিল ৬০ টাকা, , বরবটি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, সিম প্রতি কেজি ৬০ টাকা, যা আগে ছিল ৩০ টাকা, লেবু প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা অথচ কয়েক দিন আগে ছিল ২০-৩০ টাকা, মুলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, যা আগে ছিল ৪০ টাকা, পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৫ টাকা, যা আগে ছিল ৩০ টাকা, আদা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, যা আগে ছিল ১০০ টাকা।এদিকে কয়েক মাস ধরে গরু ও খাসির মাংস ছোঁয়াই যাচ্ছে না, পোয়ায় (২৫০ গ্রাম) বিক্রি হচ্ছে। এমতাবস্থায় মুরগির মাংস দিয়ে প্রোটিনের স্বাদ নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ। মুরগির দাম বাড়তে বাড়তে রমজান সামনে রেখে রেকর্ড গড়েছে। দেশের ইতিহাসে এতো দামে মুরগি বিক্রির নজির নেই। শুধু তাই নয়, মাছের দামও নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। সবজির বাজারেও আগুন। মাংসের পর সবজি ও মাছের এ অসহীয় মূল্যে নাজেহাল নিম্ন আয়ের মানুষ।রাজধানীর মাংসবাজার ঘুরে দেখা গেছে, সোনালি মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৭০ টাকা, অথচ কয়েক দিন আগেও ছিল ২৭০ টাকা। ব্রয়লার ২৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা কয়েক দিন আগে ছিল ২৪০-২৫০ টাকা কেজি। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা, যা কয়েক দিন আগে ছিল ৭০০ টাকা। খাসির মাংস ১ হাজার ২৫০ টাকা, যা আগে ছিল ১ হাজার টাকা। মাছের বাজার গিয়ে দেখা গেছে, মাঝারি আকৃতির রুই মাছ প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে; অথচ কয়েক দিন আগেও ছিল ২৬০ টাকা। জাপানি মাছ প্রতি কেজি ২৩০ টাকা, যা আগে ছিল ১৯০ টাকা। মৃগেল মাছ ২৫০ টাকা, যা আগে ছিল ২১০ টাকা। কই মাছ কেজি প্রতি ৩০০ টাকা, যা আগে ছিল ২১০ টাকা। মাঝারি গলদা চিংড়ি মাছ ৬০০ টাকা, যা আগে ছিল ৫৫০ টাকা। তেলাপিয়া প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা, যা আগে ছিল ১৮০ টাকা। গরিবের মাছ বলে পরিচিত পাঙাশও বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা কেজি, যা আগে ছিল ১৮০ টাকা।পাবদা বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায় যা আগে ছিল ৪০০ টাকা। সুরমা মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা, যা আগে ছিল ২০০ টাকা। অন্যদিকে দেশি কই মাছ প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, যা আগে ছিল ৪০০ টাকা। চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ টাকা, যা আগে ছিল ৬০০ টাকা। শোল মাছ প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, যা আগে ছিল ৫০০ টাকা। ট্যাংরা প্রতি কেজি ৫০০ টাকা, যা আগে ছিল ৩৫০ টাকা। এদিকে শুধু মাছ ও মাংসের দাম বাড়েনি। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডিমের দামও। বর্তমানে প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, যা কয়েক দিন আগেও ছিল ৪০ টাকা।এ ছাড়া পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, যা আগে ছিল ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৫০ টাকা, যা আগে ছিল ৪০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ৫০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৬০ টাকা যা আগে ছিল ৪০ টাকা এবং কাঁচাকলা প্রতি হালি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছ। শুধু সবজি বাজারে নয়, ফল বাজার অধিকাংশই ফলেরও দাম বেড়েছে। বিশেষ করে রমজান উপলক্ষ্যে দাবাস খেজুর ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে অথচ কয়েক দিন আগে ২৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছিল। মরিয়ম খেজুর ১২০০ টাকা, যা আগে ছিল ১ হাজার টাকা। আজোয়া খেজুর প্রতি কেজি ৯০০ টাকা, যা আগে বিক্রি হতো ৭০০ টাকা, আপেল ৩২০ টাকা, যা আগে ছিল ২০০ টাকা, কমলা ২৪০ টাকা, যা আগে ছিল ২০০ টাকা। এদিকে ঊর্ধ্বগতির বাজারে কয়েকটি সবজির দাম বৃদ্ধি পায়নি। লাউ প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা।খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছর রোজার আগে প্রতিকেজি বুটের বেসন বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা, যা এখন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। ইসবগুলের ভুসি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ টাকা, যা আগে ৯০০ টাকা ছিল। ২০০ গ্রামের ট্যাং বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা, যা আগে ১৬০ টাকা ছিল।প্রতিলিটার রুহ আফজা বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ টাকা, যা আগে ৩০০ টাকা ছিল। বাজারে যে ছোলা প্রতিকেজি ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, সেই একই মানের ছোলা গত বছর ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দেশি চিনি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, যা আগে ১০০ টাকা ছিল।প্রতিকেজি খেজুরের গুড় বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা, যা আগে ২২০ টাকা ছিল। মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, যা আগে ৬০ টাকা ছিল। বেড়েছে সবজি মধ্যে বেগুনের দামও বেড়েছে। প্রতিকেজি বিক্রি হচ্চে ৮০-১০০ টাকা, যা গত বছর একই সময় ৭০ টাকা ছিল।সবজির দাম কেন বাড়তি- এ বিষয়ে একই বাজারের সবজি বিক্রেতা সবুজ আলী যুগান্তরকে বলেন, শীতের মৌসুম শেষে সবজির দাম বাড়তি থাকবে এটা স্বাভাবিক। কারণ এ সময় শীতের সবজির মৌসুম শেষে সিজনাল সবজিগুলো আর হচ্ছে না। তাতে আবার রমজানে সবজির চাহিদাও একটু বেশি হয়। এ জন্য সবজির দামও কিছুটা বাড়তি হতে পারে। বৃহস্পতিবার বাজার করতে এসেছিলেন সরকারি অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম। বর্তমান বাজার কেমন এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুগান্তরকে বলেন, কী আর বলব, যেটাতেই হাত দেই সেটারই দাম বেড়েছে। অল্প কিছু টাকা মাইনে পাই, সেটা দিয়ে কোনোভাবে বেঁচে থাকি। যেভাবে বাজারের দাম ঊর্ধ্বগতি এভাবে বাড়তে থাকলে পথে পথে ভিক্ষা করতে হবে মনে হয়। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, আমাদের দেশে কোনো জিনিসের দাম বাড়লে পরে আর তা কমে না। যতই দিন যায়, ততই বাড়তেই থাকে। রাজধানীর কাঁঠালবাজারে বাজার করতে এসেছিলেন রাকিব হোসাইন, তিনি পেশায় একজন চাকুরীজিবি। তিনি জানান, মাংস কেনা তো মুশকিল আবার মাছের বাজারও চড়া। তবে আগে তেলাপিয়া, পাঙাশ, চাষের কই এমন জাতীয় মাছ কিনে খাওয়া যেত; কিন্তু এখন আর এগুলোর কম দাম নেই। এসবের দামও অনেক বেড়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে আয়-ব্যয়ের হিসাব এখন মেলানো যাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, বাজারের প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে কিন্তু আমাদের আয় বাড়েনি। এ বেতনে পরিবার চালানো খুব কঠিন। যে হারে সবকিছুর দাম বাড়ছে, সেটা দিয়ে চলা অসম্ভব। পরিবারের সদস্যদের চাহিদাও পূরণ হয় না। সন্তানদের আকুতি দেখলে নীরবেই কাঁদি। আর কিছু করার নেই।এজে/

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ মার্চ ২০২৩


'ওখান থেকেই ইচ্ছে ছিল যদি একদিন খেলতে পারি জাতীয় দলে'

'ওখান থেকেই ইচ্ছে ছিল যদি একদিন খেলতে পারি জাতীয় দলে'

বগুড়ার ছেলে তাওহীদ হৃদয়। দুরন্ত এই ছেলে পড়াশুনায় কখনো মনোযোগ দিতে পারেননি। স্বপ্নই ছিল ক্রিকেটার হওয়া। কিন্তু পরিবার থেকে যথার্থ সাহায্য পাননি। এক প্রকার তার জেদের কারণে মার কাছ থেকে টাকা নিয়ে এক বড় ভাইয়ের সাহায্যে ভর্তি হয়েছিলেন একটি একাডেমিতে। কিন্তু পরে দেখা যায় পুরো টাকাই গিয়েছে জলে।গ্রামের জমি বন্ধক রেখে যে টাকাটা দিয়েছিলেন মা, বাড়ি থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে এসে দেখলেন সেখানে কোনো একাডেমির অস্তিত্বই নেই। সব টাকাই খুইয়ে ফেলেন প্রতারকের খপ্পরে পরে, তখন মনোবল আর কীভাবে শক্ত থাকে। এক পর্যায়ে ক্রিকেট ছেড়েই দিতে চেয়েছিলেন তিনি।কিন্তু রক্তেই যার ক্রিকেটার নেশা তাকে আটকে রাখা দায়। নজরে পড়েন খালেদ মাহমুদ সুজনের। এরপর বয়সভিত্তিক দল। এরপর নানা পথ পেরিয়ে জাতীয় দলে। আর জাতীয় দলে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচেই পেয়েছেন সেরার পুরষ্কার। খেলেন ৯২ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস।সেই সব দিনের স্মৃতিচারণ করে ম্যাচ শেষে হৃদয় বলেন, 'যখন একাডেমিতে গিয়েছিলাম, অনেক কিছু আসলে ক্ষতি করেই গিয়েছিলাম ওখানে। তারপর একটা সময় ক্রিকেট খেলার কোনো ইচ্ছে ছিল না। পরিবার থেকেও ওভাবে কোন সাপোর্ট ছিল না, বাবার সাপোর্ট ছিল না, যদিও বাবা খেলা বুঝে না। আমি যখন জেদ ধরতাম মায়ের সঙ্গে, যতটুকু পেরেছে আর কী চেষ্টা করেছে।''একটা সময় আমার খেলার ইচ্ছে ছিল না। সেসময় সুজন স্যার আসলে সেই ছোট বেলাতেই, যখন আমি অনূর্ধ্ব-১৬ খেলি, সুজন স্যার ওখান থেকে নিয়ে এসেছে এবং উনি আসলে সুযোগ করে দিয়েছে। ওখান থেকে ফার্স্ট ডিভিশন খেলে আস্তে আস্তে ওখান থেকেই উঠে আসা,' যোগ করেন হৃদয়।তবে বর্তমানে দারুণ খুশি হৃদয়ের বাবা-মা। হৃদয়ের ভাষায়, 'অবশ্যই প্রতিটা বাবা-মায়ের প্রতিক্রিয়াই ভালো হওয়ার কথা। আমার বাবা-মাও খুশি হয়েছে। আমার মা বিশেষ করে একটু বেশি খুশি হয়েছে। উনি তো ছোটবেলা থেকেই আমাকে অন্যভাবে দেখেছে। পরিবার থেকে পড়াশোনার জন্য সবসময় চাপ দিতো, পড়াশোনার দিকে বেশি ফোকাস ছিলাম না। যতটুকু পেরেছি বেশির ভাগ সময় মাঠেই থাকতাম। বাবা-মা খুশি হয়েছে, আশেপাশের আত্মীয়-স্বজনরাও খুশি।'এছাড়া নিজ এলাকার আরেক তারকা খেলোয়াড় মুশফিকুর রহিমের গল্পও অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছেন হৃদয়ের, 'মুশফিক ভাই... আমি অনেক ছোট ছিলাম ২০০৭ এর একটা কাহিনী। মুশফিক ভাই বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে জিতে একটা স্টাম্প পেয়েছিলেন। তখন আমি অনেক ছোট, একদিন স্টেডিয়ামে গিয়েছিলাম। একটা প্রোগ্রামে মুশফিক ভাইয়ের কাছে যখন স্টাম্প দেখি তখন থেকেই অনেক অনুপ্রাণিত হই। ওখান থেকেই ইচ্ছে ছিল যদি একদিন খেলতে পারি জাতীয় দলে।'

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ মার্চ ২০২৩


মালয়েশিয়ায় কর্মী নেওয়ার প্রক্রিয়া স্থগিত ঘোষণা

মালয়েশিয়ায় কর্মী নেওয়ার প্রক্রিয়া স্থগিত ঘোষণা

পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিদেশী কর্মী নেওয়ার প্রক্রিয়া স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে মালয়েশিয়া। এশিয়ার এ দেশটিতে কাজ করতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতি বছর অসংখ্য মানুষ যান।মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী ভি শিবকুমার শনিবার (১৮ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রথম ধাপে ৯ লাখ ৯৫ হাজার ২৯৬ জন শ্রমিককে মালয়েশিয়ায় কাজ করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নিয়োগকর্তারা যেন এখন সুষ্ঠুভাবে এসব শ্রমিকদের নিয়ে আসতে পারেন সে ব্যবস্থা করতেই সাময়িক সময়ের জন্য শ্রমিক নেওয়ার প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে।তিনি আরও জানিয়েছেন, নতুন শ্রমিক আসার অনুমোদনের নিষেধাজ্ঞা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে। এরমধ্যে যেসব নিয়োগদাতা অবৈধ কর্মীদের নিয়োগ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন সেটিও থাকবে। মানে অবৈধদের বৈধভাবে কাজ করার অনুমোদনও স্থগিত হয়ে গেছে।মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী শিবকুমার আরও জানিয়েছেন, প্রধম ধাপে অনুমোদন পাওয়া শ্রমিকরা যখন মালয়েশিয়ায় আসবেন এবং কাজে যোগ দেবেন, এরপর আবার এ প্রক্রিয়া চালু করার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।এক বিবৃতিতে মন্ত্রী শিবকুমার বলেছেন, ‘আমরা ১৪ মার্চ পর্যন্ত সব সেক্টর— নির্মাণ, মেরামত, উৎপাদন, কৃষি, খনি এবং খনন ও বৃক্ষরোপণের জন্য ৯ লাখ ৯৫ হাজার ৩৯৬ জনকে কাজের অনুমোদন দিয়েছি।’তার মতে, এখন পর্যন্ত যতজন শ্রমিককে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে সেটি পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ খাতের চাহিদা পূরণে যথেষ্ট।এছাড়া অনুমোদনপ্রাপ্ত শ্রমিকদের দ্রুত নিয়ে আসারও অনুরোধ জানিয়েছেন শিবকুমার। তিনি বলেছেন, বর্তমানে অনুমোদনপ্রাপ্তের তুলনায় কম শ্রমিক আসছেন।২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া বন্ধ করে দেয় মালয়েশিয়া। এরপর মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার পর ২০২২ সালের ৮ আগস্ট থেকে আবারও দেশটিতে যাওয়া শুরু করেন দেশী প্রবাসীরা।গত ৫ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ৩ লাখ ১৪ হাজার ৪৭৩ জন কর্মী মালয়েশিয়া যাওয়ার অনুমোদন পান। এরমধ্যে ৫ মার্চ পর্যন্ত দেশটিতে গিয়ে পৌঁছেছেন ১ লাখ ২১ জন কর্মী।সূত্র: ফ্রিমালয়েশিয়াডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ মার্চ ২০২৩


গাজীপুর কারাগারে পাঠানো হলো চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে

গাজীপুর কারাগারে পাঠানো হলো চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে

চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি গ্রেফতারের পর ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে গাজীপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।গ্রেফতারের পর তাকে আদালতে নেওয়া হয় সেখানে থেকে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।এর আগে শনিবার সকালে চিত্রনায়িকা ওমরাহ পালন শেষে দেশে ফিরলে তাকে গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতার পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, মাহি দেশের ফেরার পর বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মাহির স্বামী রকিব সরকার এখনও পলাতক।মাহিয়া মাহিকে আজ শনিবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। সকালে ওমরাহ পালন শেষে দেশে ফিরছিলেন মাহি।এর আগে শুক্রবার তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দুটি করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। ওই দিন রাতে বাসন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রোকন মিয়া বাদী হয়ে এ মামলা করেন।এ ছাড়া জমিদখলের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে হুকুমের আসামি করে আরও একটি মামলা করেন স্থানীয় বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ মার্চ ২০২৩


'বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন রাজনীতির কবি'

'বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন রাজনীতির কবি'

একাত্তরের অগ্নিঝরা মার্চ! মার্চ মাসের শুরু থেকেই সারা দেশ অসহযোগ আন্দোলন, বিক্ষোভ-সংগ্রামে টালমাটাল। পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের বঙ্গবন্ধু কবিতায় ধরা দিয়েছে একাত্তরের উত্তাল সেই সময়-মুজিবুর রহমান।/ওই নাম যেন বিসুভিয়াসের অগ্নি-উগারী বান।/বঙ্গদেশের এ প্রান্ত হতে সকল প্রান্ত ছেয়ে,/জ্বালায় জ্বলিছে মহা-কালানল ঝঞ্ঝা-অশনি বেয়ে। বাংলাদেশ তখন চলছিল শেখ মুজিবের নির্দেশে।রাজনীতির কবি প্রতিদিন রচনা করছিলেন বাংলাদেশ নামক মহাকাব্যের নতুন নতুন স্তবক! প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ৩ মার্চ ঢাকায় অনুষ্ঠেয় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন বাতিল ঘোষণা করলে সারা দেশ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। ঢাকা হয়ে ওঠে, প্রতিবাদে, ক্ষোভে উত্তাল মিছিলের শহর। একাত্তরের ১৫ মার্চ প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান অকস্মাৎ ঢাকায় এলেন। ইতোমধ্যে ৭ মার্চে রেসকোর্সের জনসভায় রাজনীতির কবি বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠে উচ্চারিত হয়েছে সেই ঐতিহাসিক ভাষণ।স্বাধীনতার অমোঘ আহ্বান। ভাষণ নয়, যেন বাংলার মানুষের হৃদয়ের আকাঙ্ক্ষার এক অনন্য কবিতা! ঢাকায় এসে ইয়াহিয়া খান ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়ে আলোচনার নামে সাজানো নাটকের অন্তরালে করলেন গভীর গোপন ষড়যন্ত্র। ১৬-২৪ মার্চ পর্যন্ত মুজিব-ইয়াহিয়া বেশক’টি বৈঠক চলার পর আলোচনা অমীমাংসিত রেখেই কাউকে কিছু না জানিয়ে হঠাৎ ঢাকা ত্যাগ করেন ইয়াহিয়া।আর ২৫ মার্চ গভীর রাতে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর পরিকল্পিত নীলনকশা অনুযায়ী পাকিস্তান সেনাবাহিনী শুরু করে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে পৃথিবীর ইতিহাসের জঘন্যতম নৃশংস গণহত্যা। ঘুমন্ত নিরীহ বাঙালির ওপর রাতের গভীরে চালায় অতর্কিত হামলা। বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পশ্চিম পাকিস্তানে।জানা যায়, গ্রেফতার হওয়ার আগে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে পূর্বপ্রস্তুতি অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু ইস্ট পাকিস্তান রেজিমেন্টের (ইপিআর) ওয়্যারলেস সেটের মাধ্যমে পুরান ঢাকার বলধা গার্ডেন থেকে গোপন ট্রান্সমিটার সেটের মাধ্যমে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় স্বাধীনতার ঘোষণাবার্তা পাঠান। সেই রাতে বঙ্গবন্ধু তার সব সহকর্মী নেতাকে নিরাপদ অবস্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেন; কিন্তু তিনি থেকে যান ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের নিজ বাড়িতেই। গ্রেফতার বরণ করেন।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন অকুতোভয় এক মহান সংগ্রামী বীর। শত্রুর মুখোমুখি হতে কখনো পিছপা হননি। রাজনৈতিক জীবনে বহুবার গ্রেফতার হয়েছেন; কিন্তু কখনো আত্মগোপন করেননি। মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও ২৫ মার্চের সেই ভয়াবহ রাতে বাড়ি ছেড়ে কোথাও যাননি।দেশ ও মানুষের প্রতি অসীম ভালোবাসা, মানবিকতা ও অসম সাহসিকতার অসামান্য ব্যক্তিত্ব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জয় করেছিলেন বাংলার ধনী-গরিব, কবি-সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের হৃদয়।তাই তো তিনি আমাদের মহান নেতা। তারই নেতৃত্বে স্বাধিকারের জন্য দীর্ঘ ২৩ বছর আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি আমরা। তারই আহ্বানে ১৯৭১ সালে বাংলার মুক্তিকামী মানুষ, শান্তিপ্রিয় শান্ত ছেলেরা অস্ত্রহাতে যুদ্ধ করেছে। শত্রুর কাছে থেকে ছিনিয়ে এনেছে বিজয়। এনেছে লাল-সবুজের পতাকার স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ তাই অবিচ্ছেদ্য।বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বাঙালির আন্দোলন-সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আমাদের সবারই জানা। এসব ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যত ষড়যন্ত্র, অপচেষ্টাই হোক না কেন, তাকে কখনো বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করা যাবে না।তিনি ছিলেন আমাদের অবিসংবাদিত নেতা। তাই তো তিনি আমাদের জাতির পিতা। বাঙালির অন্তরের অন্তস্থলে রয়েছে তার অটল আসন পাতা। বাংলাদেশের সব্যসাচী লেখক কবি সৈয়দ শামসুল হক তার ‘আমার পরিচয়’ কবিতায় সে কথাই প্রকাশ করেছেন-এই ইতিহাস ভুলে যাবো আজ, আমি কি তেমন সন্তান?/যখন আমার জনকের নাম শেখ মুজিবুর রহমান;/তাঁর ইতিহাস প্রেরণায় আমি বাংলায় পথ চলি-/চোখে নীল আকাশ, বুকে বিশ্বাস, পায়ে উর্বর পলি।বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজ ১০৩তম জন্মবার্ষিকী। একই সঙ্গে বাংলাদেশ দিনটি উদযাপন করবে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবেও।আজকের এইদিনে পৃথিবীতে বঙ্গবন্ধুর আগমনীতে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও হক গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক আদম তমিজি হক।১৯৭৫ সালে ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু কে নির্মম হত্যার জন্য নিন্দা জানিয়ে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন আদম তমিজি হক।১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর জন্ম। কালক্রমে তার হাত ধরেই বিশ্ব মানচিত্রে নতুন দেশ হিসেবে স্থান পায় আজকের বাংলাদেশ।এই দিনে পিতা শেখ লুৎফর রহমান ও মা সায়েরা খাতুনের ঘরে জন্ম নেন শেখ মুজিব নামের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। চার বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়।দীর্ঘ ২৩ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের পথপরিক্রমায় বঙ্গবন্ধু তার সহকর্মীদের নিয়ে ১৯৪৮ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং পরবর্তীতে ১৯৪৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গঠন করেন।১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬ এর ছয়-দফা আন্দোলন, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান পেরিয়ে ৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন।বঙ্গবন্ধুর সাহসী, দৃঢ়চেতা, আপসহীন নেতৃত্ব ও বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামে অনুপ্রাণিত হয়ে জেগে ওঠে শত বছরের নির্যাতিত-নিপীড়িত পরাধীন বাঙালি জাতি। ১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জন্ম নেয় বাঙালির জাতি রাষ্ট্র বাংলাদেশ।বঙ্গবন্ধুর মাত্র ৫৪ বছরের জীবনের এক-চতুর্থাংশই কেটেছে কারাগারে; তার পুরো জীবনটাই ছিল বাঙালির জন্য নিবেদিত; সেজন্য ফাঁসির মঞ্চকেও তিনি ভয় পাননি। টুঙ্গিপাড়ার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে এ মহানায়ক উঠে এসেছেন জাতীয় অঙ্গনে, দ্যুতি ছড়িয়েছেন বিশ্বমঞ্চে।লেখক- আদম তমিজি হক

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ মার্চ ২০২৩


বিচ্ছেদের পর কেমন আছেন নুসরাত ফারিয়া

বিচ্ছেদের পর কেমন আছেন নুসরাত ফারিয়া

বাগদানের তিন বছরের মাথায় বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন ঢাকাই সিনেমার নায়িকা নুসরাত ফারিয়া। ১ মার্চ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ঘোষণা দিয়ে ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে এই কঠিন সময়ে তার জন্য দোয়া ও আশীর্বাদ চান। তিনি ভালো আছেন এবং ভীষণ ব্যস্ততায় সময় কাটছে তার।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২১’ প্রদান অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করেন নুসরাত। সেখানেই সংবাদমাধ্যমকে ফারিয়া জানান, ভীষণ ব্যস্ততায় সময় কাটছে তার। গত একমাসে তিনি পাঁচটি গানের শুটিং করেছেন। বাংলাদেশে অনম বিশ্বাসের পরিচালনায় ‘ফুটবল ৭১’ সিনেমার শুটিং করেছেন। এর মধ্যে কলকাতায় ‘বিবাহ অভিযান ২’ সিনেমার শুটিং করেছেন।বিচ্ছেদের কারণ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ফারিয়া বলেন, আসলে আমি আমার ফ্যানদের বিষয়টি জানিয়েছি। আমার জানানো উচিত ছিল তাই জানিয়েছি। এটাই যথেষ্ট। এখন আমি অনেক ভালো আছি।তিনি বলেন, এত ভালো আছি যে আমাকে যদি কেউ বলে নুসরাত ফারিয়া হতে চাও নাকি অন্যকিছু হতে চাও? আমি বলব, যতবার জন্মাবো এই নুসরাত ফারিয়া হয়েই জন্মাতে চাই।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ মার্চ ২০২৩


একুশে ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হলো বিদ্যুত জাহিদের উপন্যাস 'সোনালি অভিশাপ'

একুশে ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হলো বিদ্যুত জাহিদের উপন্যাস 'সোনালি অভিশাপ'

অমর একুশে বই মেলায় মাতৃভাষা দিবসে প্রকাশিত হলো বিদ্যুত জাহিদের উপন্যাস সোনালি অভিশাপ।মঙ্গলবার ২১ শে ফেব্রুয়ারি অমর একুশে বই মেলায় বিদ্যুত জাহিদের রচিত উপন্যাস সোনালি অভিশাপ প্রকাশ পায়।বইটি পাওয়া যাচ্ছে বইমেলায় ৪৯ নং স্টলের পাতা প্রকাশনীতে।বইপ্রকাশের পর লেখক বিদ্যুত জাহিদ তার এই উপন্যাসের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে ‘বাংলা ওয়্যার’-কে বলেন, 'উপন্যাসটির প্রেক্ষাপট ইছামতি নদীর এই পাড়ের সাতক্ষীরা এবং ঐ পাড়ের উত্তর চব্বিশ পরগনার ভূঅঞ্চল ঘিড়ে আবর্তিত। বাংলা সাহিত্য হইতে বিলুপ্ত প্রায় সাধু রীতি’র আস্বাদন পাওয়া যাইবে এই বইটিতে। সাথে থাকিবে সময়ের অতলে শেষ হইয়া যাওয়া জমিদারী সমাজের আলো আঁধারের খেলা।'উপন্যাস সম্পর্কে বলতে গিয়ে লেখক জাহিদ বলেন, 'ইতিমধ্যে তার লেখা বইটি পাঠকদের মাঝে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে।এবারের একুশে বই মেলায় বইটি সর্বোচ্চ সংখ্যক বিক্রি হবে বলে আশা রাখছি।'এছাড়াও বিদ্যুত জাহিদের লেখা কাব্যগ্রন্থ হলো-এক আমি শ্রাবণ, শাল পিয়ালের বনে চন্দ্রিমা রাতে, নদীর নাম পারুল। তিনি ছোটগল্পও লিখেছেন সেটি হলো-'বুকে বৃষ্টির শব্দ' এবং বর্তমানে তিনি আরও কিছু বই লেখার কাজ করছেন যেগুলা আগামী বই মেলায় প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন এই লেখক, কবি এবং সাংবাদিক।লেখালেখির পাশাপাশি তিনি সাংবাদিকতার সাথেও জড়িত আছেন। বর্তমানে তিনি ‘বাংলা ওয়্যার’ পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩


যার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চায় শবনম বুবলী

যার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চায় শবনম বুবলী

ঢাকাই সিনেমার নায়িকা শবনম বুবলীর সঙ্গে অপু বিশ্বাসের দ্বন্দ্ব আবারও প্রকাশ্যে এসেছে। বুবলী লিখেছেন—আমার পারিবারিক শিক্ষা আমাকে কখনো দুমুখো সাপের আচরণ করতে শেখায়নি। সুবিধাবাদী হতে শেখায়নি, ধর্ম নিয়ে একেকবার একেক মিথ্যা কথা বলে সাধারণ জনগণের আবেগ নিয়ে খেলা করে বোকা বানাতে শেখায়নি। গিরগিটির মতো রঙ বদলাতে শেখায়নি। কাউকে ছুরি মেরে পরক্ষণেই নিজের কোনো সুবিধা হবে ভেবে সেই ছুরি মারা জায়গায় ব্যান্ডেজ করতে শেখায়নি। বিভিন্ন মানুষকে নিয়ে নানান টকশোতে অপমান করে কথা বলে নির্লজ্জের মতো হাসতে শেখায়নি। মানুষকে অসম্মান করতে শেখায়নি, হিংসা শেখায়নি, কাউকে মিথ্যা অপবাদ দিতে শেখায়নি। কাউকে নানান অপমান করে আবার নিজের স্বার্থে সময় বুঝে প্রশংসা করতে করতে মুখে ফেনা তুলতে শেখায়নি। বাস্তবজীবনেও অভিনয় করতে শেখায়নি। তাই আমি হয়তো আপনাদের অনেকের সঙ্গে ইনিয়ে-বিনিয়ে নাটক করতে পারি না।’‘আমি একটি কথা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই। কারও নোংরা ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধারে আমাকে নিয়ে বা আমার ব্যক্তিজীবন নিয়ে কেউ কোনো বেফাঁস মন্তব্য করলে বা কোনো ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলার চেষ্টা করলে তার বা তাদের বিরুদ্ধে আমি দেশের প্রচলিত আইনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। কারণ আমি দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’তিনি আরও লেখেন— ‘কিছু দিন পর পর যে ব্যক্তি এসব নোংরা খেলা শুরু করে বা যাদেরকে দিয়ে করায় তাদের সব কিছু সোশ্যাল মিডিয়া, পত্রিকা ও ইউটিউবে রয়েছে, যা ডকুমেন্ট হিসেবে যথেষ্ট এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।’বুবলী লিখেছেন— ‘এসব নোংরামি পাত্তা দেওয়ার রুচি থাকে না বলেই এসব নিয়ে আমার কথা বলা হয় না; কিন্তু চুপ থাকাকে যদি সে বা তারা সুযোগ পাওয়া মনে করে, তা হলে তা হবে তাদের চরম ভুল...।’সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে বুবলীকে খোঁচা দিয়ে কথা বলেছেন অপু। তার পারিবারিক শিক্ষা নিয়েও কথা বলেছেন। এতেই চটেছেন বুবলী। শুধু মামলা করবেন বলেই ক্ষান্ত হননি। এর উত্তরও পোস্টে দিয়েছেন বুবলী।এর আগে সংবাদমাধ্যমকে অপু বলেছিলেন, ‘পৃথিবীতে আমার কাছে সব সন্তানই পবিত্র। সব বাচ্চাই আমার স্নেহের। সন্তানের মানসিক বিকাশের জন্য পুঁথিগত বিদ্যার চেয়ে পারিবারিক শিক্ষা অতিজরুরি, দরকার। মানুষের সঙ্গে আচার-আচরণ কেমন হবে, আমি আমার বাচ্চাকে সেই শিক্ষা দিচ্ছি। তিন লাইনের বার্তায় সেটিই প্রকাশ করেছি আমি।’এ ছাড়া বুবলীকে ইঙ্গিত করে সমালোচনা করেন অপু। তার পরই অপুর নাম না নিয়ে নিজের ফেসবুকে উত্তর দেন বুবলী।এজে/

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩


আমরা যেখানে শেষ করবো, তোমরা সেখান থেকে শুরু করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে :  হুইপ স্বপন

আমরা যেখানে শেষ করবো, তোমরা সেখান থেকে শুরু করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে : হুইপ স্বপন

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ ও জয়পুরহাট-২ আসনের সাংসদ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, আমরা যেখান থেকে শেষ করবো, তোমরা সেখান থেকে শুরু করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।শনিবার ৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে জয়পুরহাট স্টেডিয়াম মাঠে বর্তমান তরুণদের ভালো লাগা, মন্দ লাগা, দেশ ও সমাজ নিয়ে তাদের ভাবনা ও স্বপ্নগুলো নিয়ে তারুণ্যের মুখোমুখি জনপ্রতিনিধি শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে এবং মানুষ তা ভোগ করছে। বর্তমানে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ শুরু করেছে। আর স্মার্ট বাংলাদেশের সুফলভোগী হবে বর্তমান তরুণ সমাজ। সে কারণে তারুণদের ভাবনা গুলোকে কাজে লাগিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চায় বর্তমান সরকার। হুইপ স্বপন প্রতিকী কাঠগড়ায় দাড়িয়ে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরও দেন। তিনি আরো বলেন, সবধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে বর্তমান সরকার। যা ইতিমধ্যে আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছে। আওয়ামী লীগ সরকার দেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছে। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবনের সমস্যা রয়েছে সেসব সমস্যাও দ্রæত সমাধান করা হবে।তারুণ্যের মুখোমুখি জনপ্রতিনিধি অনুষ্ঠানে বিভিন্ন উপজেলার ছাত্র-ছাত্রীরা প্রশ্ন করেন এবং তাদের প্রশ্নের উত্তর দেন হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। জয়পুরহাট সরকারি কলেজের অর্থনীতির চতুর্থ বর্ষের ছাত্র আশিক হোসেন বলেন, জয়পুরহাট সরকারি কলেজের শিক্ষক সংকট রয়েছে, তার কারণে ঠিকমত ক্লাস হয় না। প্রশ্ন উত্তরে হুইপ বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি এবং শিক্ষামন্ত্রীকে বিষয়টি জানাবো। ক্ষেতলাল উপজেলার স্কুলের একজন ছাত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রতিটা শ্রেণিকক্ষে প্রজেক্টরের মাধ্যমে পাঠদান করলে ভালো হয়। এই ব্যাপারে আপনার কোন চিন্তাভাবনা আছে কিনা? হুইপ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, অবশ্যই সেটা সম্ভব হবে। ওই অনুষ্ঠানে হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ৩০০টিরও বেশি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লক্ষীপুরের স্থানীয় সংসদ সদস্য নুর উদ্দীন চৌধুরী নয়ন, জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আরিফুর রহমান রকেট, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ খায়রুল আলম সেলিম, জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন মন্ডল, জয়পুরহাট পৌরসভার মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাকসহ জয়পুরহাট জেলার সকল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, ইউপি চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধি ও জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থী। জয়পুরহাট স্টেডিয়াম মাঠে দিনব্যাপী তারুণ্যের মুখোমুখি জনপ্রতিনিধি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন জয়পুরিয়ান ট্রাস্ট। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন জেলা স্টুডেন্টস এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (জেডিসাব)। অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জয়পুরহাট জেলা শাখা।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩