‘চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে দুই দল’ দৈনিক যুগান্তরের শিরোনাম। পত্রিকাটি বলছে, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে রাজনীতিতে চলছে নানা সমীকরণ। কৌশলে এগোচ্ছে আওয়ামী লীগ। পুরোদমে শুরু করেছে নির্বাচনের প্রস্তুতি। পাশাপাশি আন্দোলন মোকাবিলায় করণীয় বিষয়ে নেতাকর্মীদের দেওয়া হচ্ছে নানা নির্দেশনাও।আর সরকার পতনের একদফার চূড়ান্ত আন্দোলনে রয়েছে বিএনপি। যে কোনো মূল্যে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ঠেকাতে চায়। এজন্য দেশব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি দিয়ে মাঠে রয়েছে দলটি।জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের কৌশল ও প্রস্তুতির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায়। আজ সন্ধ্যায় গণভবনে অনুষ্ঠেয় এ সভায় ১০টি সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা রয়েছে।একদফার চূড়ান্ত আন্দোলনকে আরও বেগবান করে কৌশলে সাফল্য পেতে চায় বিএনপি। এজন্য কর্মসূচি সফলে এবার নেতৃত্বে রাখা হয়েছে তৃণমূল (মাঠ পর্যায়ে) নেতাদের। ইতোমধ্যে তাদের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের কোনো নেতা গ্রেফতার হলেই পরবর্তী নেতাকে দেওয়া হচ্ছে দায়িত্ব।প্রতিদিন অন্তত অর্ধশতাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে নানা দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন হাইকমান্ড। নিষ্ক্রিয় নেতাদেরও সক্রিয় করা হচ্ছে। চলমান অবরোধ কর্মসূচিতে পর্যায়ক্রমে একেকটি সাংগঠনিক জেলাকে নামানো হচ্ছে মাঠে।‘নির্বাচনের আগে ভাঙনের চাপ, সতর্ক অবস্থানে বিএনপি’। দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হচ্ছে, অনেক দিন ধরেই বিএনপিতে ভাঙনের গুঞ্জন চলছে। তবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে মাসছে, ততই গুঞ্জন বাড়ছে।চাপও বাড়ছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির নেতারা। নির্বাচনে বিএনপিকে নয়, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলটির নেতাদের একটা অংশকে বের করে এনে ভোটে দাঁড় করানোর পরিকল্পনা করছে বলে তাদের অভিযোগ।তাদের মতে, বিএনপি নির্বাচনে না এলে নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক দেখানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে এই তৎপরতা চালাচ্ছে। প্রলোভন, টোপ আর চাপ দিয়ে দলের কেন্দ্রীয় অনেক নেতাকেই বাগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন বিগত দিনে রাগ-ক্ষোভ-অভিমানে দল থেকে দূরে সরে যাওয়া নেতারা। বিগত দিনের নির্বাচনে মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদেরও টার্গেট করা হয়েছে এই ভাঙন প্রক্রিয়ায়।অবশ্য নতুন দলে যোগ দেওয়ার গুঞ্জনের শীর্ষে থাকা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদও গতকাল মুখ খুলেছেন।হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেছেন, বিএনপির রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন শিগগির। আবার তৃণমূল বিএনপিতেও গতকাল বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের মাঠ পর্যায়ের কয়েকজন নেতাকর্মী যোগ দিয়েছেন।বিএনপির সাবেক নেতাদের নেতৃত্বে গঠিত বিএনএম নেতারাও বলছেন, সামনে আরও চমক আছে।'পূর্ণাঙ্গ নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করেছে আ.লীগ’ প্রথম আলোর শিরোনাম। বিএনপি দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ভোটে থাকছে না ধরে নিয়ে পুরোদমে নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। রাজপথে 'সতর্ক পাহারা’ ও ‘শান্তি সমাবেশ’ করলেও ভেতরে-ভেতরে প্রার্থী বাছাই ও নির্বাচনী ইশতেহার তৈরির কাজ চলছে।সাবেক আমলাদের নিয়ে দুটি দল প্রচারকৌশল প্রণয়ন এবং সরকারের মাঠ প্রশাসনকে ভোটে কীভাবে নিজেদের সুবিধার জন্য ব্যবহার করা যায়, এর কৌশল ঠিক করতে কাজ করছে।আজ বৃহস্পতিবার রাতে আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক বসছে গণভবনে। ওই বৈঠক থেকে আনুষ্ঠানিক নির্বাচন যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে। কারণ, বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের ‘জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি' গঠনের বিষয়টি রয়েছে বলে জানা গেছে।এটি নির্বাচনকালীন সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হিসেবে কাজ করে থাকে। এ ছাড়া নির্বাচন প্রস্তুতিতে কিছু উপকমিটি গঠনের বিষয়ও পরিকল্পনায় রয়েছে। প্রতিবারই ভোটের আগে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয় নির্বাহী কমিটির বৈঠকে।কালের কণ্ঠের শিরোনাম ‘সংকট থেকে আরো সংকটে অর্থনীতি’। খবরে বলা হচ্ছে, দেশে চলমান অবরোধ-হরতালকে কেন্দ্র করে সহিংস রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ফলে প্রাণ হারাচ্ছে নিরীহ মানুষ। নষ্ট হচ্ছে দেশের সম্পদ। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমদানি-রপ্তানি। সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় আরো বাড়ছে জিনিসপত্রের দাম।এমন পরিস্থিতিতে আগে থেকেই সংকটে থাকা অর্থনীতি আরো সংকটে পড়ছে। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ আর্থিক খাতগুলো ছাড়িয়ে শিক্ষাসহ সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা বিভিন্নভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, ২০২০ সালে শুরু হওয়া করোনার ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়। এতে গোটা বিশ্বের অর্থনীতি সংকটের মুখে পড়ে।'নির্বাচন হবে ৩ জানুয়ারি' কালবেলা পত্রিকার শিরোনাম এটি। তারা বলছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের ৩ জানুয়ারি, বুধবার অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় নির্বাচন। তার আগে আগামী মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) ঘোষণা করা হতে পারে তপশিল। সেই লক্ষ্যে ওইদিন সন্ধ্যায় টেলিভিশন ও বেতারে জাতির উদ্দেশে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের ভাষণ প্রচারের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।রেওয়াজ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নির্বাচনের প্রস্তুতি তুলে ধরবে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি সার্বিক বিষয়ে রাষ্ট্রপতির পরামর্শও চাওয়া হবে। রাষ্ট্রপ্রধানের দিক থেকে নতুন কোনো নির্দেশনা না থাকলে নিজেদের ঠিক করা সূচি অনুযায়ী অগ্রসর হবে ইসি। বঙ্গভবনে বৈঠকের পর কমিশন সভা করে আনুষ্ঠানিকভাবে তপশিল অনুমোদন করা হবে। আপাতত আগামী মঙ্গলবার তপশিল ঘোষণার চিন্তা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা দু-এক দিন পেছাতে পারে বলে জানা গেছে।বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচনের ব্যাপারে অনড় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি নিয়ে মাঠে রয়েছে সরকারবিরোধী বিএনপি ও তাদের মিত্ররা। দেশের বড় দুই রাজনৈতিক দল ও জোটের বিপরীতমুখী এমন অবস্থানের মধ্যেই নির্বাচনের সব প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। এখন শুধু তপশিল ঘোষণা এবং সে অনুযায়ী সব কাজ সম্পন্ন করার অপেক্ষা।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৯ নভেম্বর ২০২৩
বিএনপি দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ভোটে থাকছে না ধরে নিয়ে পুরোদমে নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। রাজপথে ‘সতর্ক পাহারা’ ও ‘শান্তি সমাবেশ’ করলেও ভেতরে-ভেতরে প্রার্থী বাছাই ও নির্বাচনী ইশতেহার তৈরির কাজ চলছে। সাবেক আমলাদের নিয়ে দুটি দল প্রচারকৌশল প্রণয়ন এবং সরকারের মাঠ প্রশাসনকে ভোটে কীভাবে নিজেদের সুবিধার জন্য ব্যবহার করা যায়, এর কৌশল ঠিক করতে কাজ করছে।আজ বৃহস্পতিবার রাতে আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক বসছে গণভবনে। ওই বৈঠক থেকে আনুষ্ঠানিক নির্বাচন যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে। কারণ, বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের ‘জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি’ গঠনের বিষয়টি রয়েছে বলে জানা গেছে।এটি নির্বাচনকালীন সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হিসেবে কাজ করে থাকে। এ ছাড়া নির্বাচন প্রস্তুতিতে কিছু উপকমিটি গঠনের বিষয়ও পরিকল্পনায় রয়েছে। প্রতিবারই ভোটের আগে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয় নির্বাহী কমিটির বৈঠকে।ক্ষমতাসীন দলটির নেতারা বলছেন, কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত গ্রেপ্তার অভিযান শুরুর পর বিএনপি অনেকটা ‘ঘরে’ ঢুকে গেছে। এই পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ সর্বত্র নির্বাচনী আবহ আনার পরিকল্পনা নিয়েছে।আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো জানায়, তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তেজগাঁও এলাকায় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বসবেন। গত জুনে তেজগাঁওয়ে ট্রাক টার্মিনালের পাশের এই কার্যালয় চালু করা হয়। ক্ষমতাসীন দলটির নেতারা বলছেন, কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত গ্রেপ্তার অভিযান শুরুর পর বিএনপি অনেকটা ‘ঘরে’ ঢুকে গেছে। এই পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ সর্বত্র নির্বাচনী আবহ আনার পরিকল্পনা নিয়েছে।আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের নির্বাচন প্রস্তুতি অনেক আগেই শুরু হয়েছে। এখন পুরোপুরি নির্বাচনপ্রক্রিয়ার মধ্যে দল ঢুকে যাচ্ছে।কো-চেয়ারম্যান পদ আলোচনায়বরাবরই জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান হন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। সর্বশেষ তিনটি নির্বাচনে কো-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন প্রয়াত এইচ টি ইমাম। এবার এই পদে নতুন কে আসছেন—এই নিয়ে দলে আলোচনা চলছে।সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার গত জানুয়ারিতে সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার দুই দিন পরই আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয়ে যান। ওই কার্যালয়ে এইচ টি ইমাম যে কক্ষে বসতেন, সেখানেই তিনি বসা শুরু করেন। তখনই বলা হচ্ছিল, এইচ টি ইমামের পদে আসছেন কবির বিন আনোয়ার। বর্তমানে তিনি এই কক্ষে বসেই নির্বাচনের প্রচারকৌশল নিয়ে কাজ করছেন। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে কোনো পদ দেওয়া হয়নি বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে। অবশ্য কবির বিন আনোয়ার নিজে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক হিসেবে পরিচয় উল্লেখ করছেন।কবির বিন আনোয়ারের নেতৃত্বে সারা দেশে ডিজিটাল প্রচার, সরকারবিরোধী অপপ্রচারের জবাব দেওয়া এবং সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরার কাজ চলছে। জেলায় জেলায় প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে। তাঁরা সারা দেশে ছয় লাখ লোকের একটি দল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন। দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে আগামী নির্বাচনের ইশতেহার তৈরির কাজও চলছে।গত জুন থেকে তেজগাঁও কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে আরেকটি দল নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছে। সেখানে নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব মো. সাদিক, সাবেক সচিব কামাল আবদুল নাসের, সাবেক রাষ্ট্রদূত সোহরাব হোসেন, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার, ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়াসহ বেশ কয়েকজন সাবেক আমলা, পুলিশের কর্মকর্তা ও কূটনীতিক বসছেন। আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো বলছে, নির্বাচনের সময় মাঠ প্রশাসনের ‘সদ্ব্যবহার’ নিশ্চিত করতে এই দল কাজ করছে।সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, কবির বিন আনোয়ার ও আবুল কালাম আজাদের মধ্যে কেউ কো-চেয়ারম্যান হতে পারেন—এমন আলোচনা আছে। আবার এমনও মত আছে, এবার কো-চেয়ারম্যান পদ না-ও রাখা হতে পারে। আর রাখলেও দলের উপদেষ্টা পরিষদের কোনো জ্যেষ্ঠ নেতা এই পদ পেতে পারেন।জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব হন দলের সাধারণ সম্পাদক। দলের উপদেষ্টা পরিষদ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা এই কমিটির সদস্য থাকেন।ফরম বিক্রি ও জমানির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণার পরই দলের আগ্রহীদের মধ্যে ফরম বিক্রি শুরু করবে আওয়ামী লীগ। এবার ফরমের দাম ৫০ হাজার টাকা ধরার প্রস্তাব করা হয়েছে। এত দিন তা ছিল ৩০ হাজার টাকা। আজ কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে ফরমের মূল্য নির্ধারণ হতে পারে বলে জানা গেছে।আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী সূত্র বলছে, আগামী নির্বাচনে দলের মনোনয়নের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা করেছেন। চূড়ান্ত যাচাই-বাছাই করা হবে মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে। তবে এবার অন্তত ১০০ মন্ত্রী-সংসদ সদস্য বাদ পড়তে পারেন বলে আলোচনা আছে।আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ প্রথম আলোকে বলেন, আগামী নির্বাচনে জয়ী হওয়ার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ অনেক আগেই ভোটের প্রস্তুতি শুরু করেছে। এখন আনুষ্ঠানিক যাত্রা হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৯ নভেম্বর ২০২৩
তৃণমূল বিএনপি নিয়ে নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, ‘বিএনপিকে দুর্বল করতে নানা তৎপরতা’।প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিএনপির সাবেক দুই নেতার নেতৃত্বে নতুন একটি দল গঠনের মাধ্যমে আন্দোলনে থাকা বিএনপিকে দুর্বল করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ গত সোমবার দলের এক আলোচনা সভায় দু’টি তথ্য দিয়েছেন।এক. বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব:) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে নতুন দল হচ্ছে। দুই. তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিতে অনেকেই লাইন ধরে আছে।মন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর বুধবার বিএনপির সাবেক দুই নেতা শমসের মবিন চৌধুরী ও তৈমূর আলম খন্দকারের নেতৃত্বে গঠিত রাজনৈতিক দল ‘তৃণমূল বিএনপি’ জাতীয় প্রেস ক্লাবে একটি যোগদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।দলটি জানিয়েছে, নেতাকর্মী ও সাবেক সেনা কর্মকর্তাসহ অনেকে তাদের দলে আজ যোগ দেবেন।রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, গত ২৮শে অক্টোবর মহাসমাবেশের পর আন্দোলনে থাকা বিএনপিকে ‘দুর্বল’ করতে এ ধরনের তৎপরতা শুরু হতে পারে।তারা এটিও বলছেন, কারাগারে আটক বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বকে বিদ্যমান ব্যবস্থায় নির্বাচনে অংশ নিতে আগামী দিনে নানা প্রস্তাবও দেয়া হতে পারে।নির্বাচনে আওয়ামী লীগের তৎপরতা নিয়ে যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম, ‘আওয়ামী লীগের সামনে এ মুহূর্তে দুই পথ’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের সামনে এখন দুটি পথ খোলা রয়েছে।খবরে বলা হয়েছে, এর একটি হলো বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে নির্বাচন করা। সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে আনতে দেশ-বিদেশের যেমন চাপ রয়েছে, তেমনি পর্দার আড়ালে চলছে বিভিন্ন মহলের তৎপরতাও।দ্বিতীয় পথ হল, বিএনপি যদি না আসে, সেক্ষেত্রে সংবিধান মেনে যারা আসবে, তাদের নিয়েই নির্বাচনে যাওয়া। দলটি এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও সম্পন্ন করছে।তবে সব দলকে নির্বাচনে আনতে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ও নেতা সংবিধান মেনে শর্তহীন সংলাপের বিষয়ে ইতিবাচক অবস্থানের কথা জানিয়েছেন বলে যুগান্তরের খবরে বলা হয়েছে।শেষ পর্যন্ত বিএনপি যদি না আসে সেটা মাথায় রেখে নির্বাচন যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সেজন্য অধিক সংখ্যক রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে কাজ করছে সরকারি দল।একই সঙ্গে নির্বাচনের আবহ ধরে রাখা ও ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে আওয়ামী লীগের।এ সময় বিএনপি হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি অব্যাহত রাখলে রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বাড়বে এবং দেশের অর্থনৈতিক সংকট ঘনীভূত হবে বলে শঙ্কা বিশ্লেষকদের।অবরোধ কর্মসূচি জোরদার করতে বিএনপির প্রস্তুতি নিয়ে কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম, ‘সম্ভাব্য এমপি প্রার্থীদের নির্বাচনী এলাকায় যাওয়ার নির্দেশ’।প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব দলের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থীদের যার যার নির্বাচনী এলাকায় যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, অবরোধ কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, সারা দেশ থেকে ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা। এ কাজটি সফলভাবে করতে হলে জেলা পর্যায়ের আন্দোলন আরো তীব্র করতে হবে।অর্থাৎ জেলা পর্যায়ের সড়ক-মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ করতে হবে।এখন এই বিষয়টির ওপর দলের শীর্ষ নেতৃত্ব নজর দিচ্ছেন বেশি।আবার অবরোধের বিকল্প হিসেবে হরতাল ছাড়া ভিন্ন কোনো কার্যকর কর্মসূচি প্রস্তাব করতেও বলা হয়েছে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের।এখন পর্যন্ত দলের বেশির ভাগ নেতা ও বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের শরিকরা সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা পর্যন্ত হরতাল-অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।এদিকে তৈরি পোশাক শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, ‘Workers reject Tk 12,500, warn of tough demos’ অর্থাৎ ‘শ্রমিকদের বেতন ১২,৫০০ টাকার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, কঠোর বিক্ষোভের হুঁশিয়ারি’।প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য মজুরি বোর্ড সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারণ করেছে ১২ হাজার পাঁচশ টাকা, যা শ্রমিকদের দাবির অর্ধেকের কিছু বেশি।শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা দেন।কারখানা মালিকদের প্রস্তাবিত নতুন ন্যূনতম মজুরি প্রত্যাখ্যান করেছেন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা।বর্তমানে শ্রমিকরা ন্যূনতম মজুরি আট হাজার টাকা পেয়ে থাকেন। শ্রমিকরা এই বেতন বাড়াতে টানা ১২ দিন ধরে বিক্ষোভ করেছে।চালের বাজার নিয়ে সমকালের প্রধান শিরোনাম, ‘চালের বাজারে উত্তাপ ক্রেতার বাড়ল চাপ’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, কয়েক মাস স্থির থাকার পর এবার দাম বাড়ার তালিকায় উঠে এসেছে প্রধান খাদ্যশস্য চাল।এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে ৫০ কেজি বস্তায় দাম বেড়েছে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। তাতে খুচরায় কেজিতে চার থেকে সাত টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। অন্য পণ্যের পর চালের দাম বাড়ায় বড় চাপে পড়েছেন ক্রেতারা।এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে বিআর-২৮ চালের। খুচরা পর্যায়ে এ জাতের চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৬ থেকে ৫৮ টাকা দরে। ৮ থেকে ১০ দিন আগে এ চালের দর ছিল ৫০ থেকে ৫২ টাকা। অর্থাৎ কেজিতে দাম বেড়েছে ৬ টাকা।গত সপ্তাহে মোটা চাল অর্থাৎ স্বর্ণা ও চায়না ইরির কেজি ছিল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৫ টাকা দরে। অর্থাৎ কেজিতে বেড়েছে চার থেকে পাঁচ টাকা।মিনিকেট বা সরু চাল কেজিতে বেড়েছে ছয় থেকে ৭ টাকা, নাজিরশাইল চাল কেজিতে পাঁচ টাকার মতো বেড়েছে।দাম বাড়ার পেছনে নানা যুক্তি দাঁড় করাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, মিল মালিক তথা বড় মজুতদাররা ভারতের চাল রপ্তানিতে শুল্ক আরোপের সুযোগ নিচ্ছেন। কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়াচ্ছেন তারা।এ ছাড়া অবরোধের কারণে পরিবহন ভাড়া বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে দামে। অন্যদিকে মিলাররা বলছেন, মাঠ পর্যায়ে মজুত ফুরিয়ে আসছে। সে জন্য বাজার কিছুটা বাড়তি। সপ্তাহ দুয়েক পর নতুন ধান উঠবে। তখন চালের বাজার স্বাভাবিক হবে তারা জানিয়েছেন।তবে সরকার বলছে চালের দাম সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ নভেম্বর ২০২৩
নির্বাচনকে ঘিরে আন্তর্জাতিক চাপ নিয়ে সমকালের প্রধান শিরোনাম, ‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের উপায় খুঁজতে বিদেশি চাপ’।প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, এতদিন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাওয়া ছিল, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হোক। কূটনীতিকরা এখন শুধু অবাধ ও সুষ্ঠু নয়– নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, গ্রহণযোগ্য, সহিংসতামুক্ত ও অংশগ্রহণমূলক দেখতে চাইছেন।বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনের জন্য যে পরিবেশ দরকার, এর ঘাটতিও দেখছেন তারা। এ জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর তরফ থেকে সব রাজনৈতিক দলকে সংলাপের তাগিদও দেওয়া হয়েছে।এদিকে সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে নির্বাচনের বিষয়ে কূটনীতিকদের একাধিকবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেইসাথে তারা এটাও বলেছে নির্বাচনে কোনো দল অংশগ্রহণ করবে কি করবে না, এটি একান্তই সে দলের সিদ্ধান্ত।২০১৪ ও ২০১৮ সালের ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ নির্বাচনের পর বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করা নিয়ে চাপ আসছে আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে।জাতিসংঘসহ পশ্চিমা মিত্ররা মনে করে, বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশন (ইসি), মানবাধিকার কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিচার বিভাগসহ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকার রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যবহার করে।*বাংলাদেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি নিয়ে নিউ এইজের প্রথম পাতার খবর, ‘Food inflation reaches new height’ অর্থাৎ ‘খাদ্য মূল্যস্ফীতি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে’।প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, অক্টোবরে বাংলাদেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে, যা সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতিকে গত এক দশকে প্রথমবারের মতো দুই অঙ্কের কাছাকাছি ঠেলে দিয়েছে।নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার নানা প্রচেষ্টা হাতে নিলেও কোনটাই কাজে দেয়নি।বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী, অক্টোবরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। যা আগের মাসেও কিছুটা কম ছিল।অন্যদিকে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি রেকর্ড নয় দশমিক ৯৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। যা গত ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। সেইসাথে খাদ্য বহির্ভুত পণ্যের মূল্যস্ফীতিও বেড়ে আট দশমিক তিন শতাংশ হয়েছে।সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলির বাজার পর্যবেক্ষণ একপ্রকার না থাকায় গত মাসে ডিম, আলু, পেঁয়াজ, চিনি, ভোজ্য তেল, মাংস ও মাছসহ সব ধরণের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আরও বেড়েছে।যার ফলে সীমিত আয়ের ভোক্তাদের প্রয়োজনীয় খাবারটা কিনতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে।*এদিকে এইড ডাটার গবেষণা নিয়ে কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম, ‘মার্কিন চাপের বিপরীতে চীনা ঋণের রেকর্ড’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের মান নিয়ে বাংলাদেশকে চাপে রাখার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র।তবে পশ্চিমারা যখন চাপ তৈরি করছে তখন চীন সহযোগিতায় এগিয়ে আসছে। আওয়ামী লীগ সরকারের চলতি মেয়াদে (২০১৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত) চীনা ঋণের আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।যুক্তরাষ্ট্রের উইলিয়াম অ্যান্ড ম্যারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক গবেষণা ল্যাব এইডডাটার সর্বশেষ গবেষণায় বাংলাদেশে চীনা ঋণের এই চিত্র তুলে ধরা হয়।এইডডাটা বলছে, স্বাধীনতার পর থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে ছিল। এখন সেই জায়গা নিয়েছে চীন।চীন এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ঋণদাতা দেশই নয়, বিশ্বের একক বৃহত্তম ঋণদাতা দেশও চীন।নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে বছরে প্রায় ৮০ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেয় চীন। যুক্তরাষ্ট্র এখন চেষ্টা করছে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে চীনের সঙ্গে তার যে বিরাট ব্যবধান তা কমিয়ে আনতে। তবে শেষ পর্যন্ত তারা চীনের সঙ্গে পারবে কি না তা স্পষ্ট নয়।এইডডাটার গবেষণায় দেখা গেছে, বিএনপি সরকারের (২০০২-০৬) তুলনায় আওয়ামী লীগ সরকারের ২০০৯ থেকে ২০১৪ মেয়াদে দ্বিগুণ উন্নয়ন অর্থায়ন করেছে চীন। আবার ২০১৪-১৮ মেয়াদে তা সাত গুণ বেড়েছে।কারণ তারা চীনের মতো সহযোগিতা করতে পারছে না। আবার পরিস্থিতিকেও মানতে পারছে না।* বিএনপি নেতা ধরপাকড় নিয়ে মানবজমিনের প্রধান শিরোনাম, ‘তফসিলের আগে ‘ক্র্যাকডাউন’’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২৮শে অক্টোবর মহাসমাবেশে সংঘর্ষের পর বিরোধী জোটের নেতাকর্মীদের ওপর রীতিমতো ক্র্যাকডাউন চলছে।বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারে অব্যাহত রয়েছে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান। প্রতিরাতেই নেতাদের বাসায় বাসায় চলছে তল্লাশি। প্রতিদিনই গড়ে সারা দেশে পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হচ্ছেন।সিনিয়র থেকে মাঠপর্যায়ের নেতা কেউ বাদ যাচ্ছেন না। ইতিমধ্যে গত ১০ দিনে দলটির মহাসচিব, দুইজন স্থায়ী কমিটির সদস্য, তিনজন ভাইস চেয়ারম্যান, তিনজন যুগ্ম মহাসচিব, দুইজন সাংগঠনিক সম্পাদকসহ সাড়ে পাঁচ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।গ্রেপ্তারের পর সিনিয়র নেতাদের পাঠানো হচ্ছে রিমান্ডে। তালা ঝুলছে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। বন্ধ রয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ও। গ্রেপ্তার এড়াতে আড়ালে চলে গেছেন দলটির সিনিয়র নেতারা।দলীয় কর্মপন্থা নির্ধারণে বৈঠকও করছেন ভার্চ্যুয়ালি। রাজপথে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছেন দলটির মাঝারি ও মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৭ নভেম্বর ২০২৩
লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতার প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে সিল মারার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে ভোটকেন্দ্রে ওই নেতাকে একাধিক ব্যালট পেপারে নৌকা প্রতীকে সিল মারতে দেখা যায়। আজ সোমবার ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর সুষ্ঠু ভোট নিয়ে সমালোচনা তৈরি হয়েছে।ছড়িয়ে পড়া ৫৭ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা গেছে, ভোটকক্ষে বসে এক ব্যক্তি ব্যালট পেপারে অনবরত নৌকা প্রতীকে সিল মারছেন। তাঁর গলায় নৌকা প্রতীকের কার্ড ঝুলছে। এ সময় ৪৩টি ব্যালটে নৌকা প্রতীকে তাঁকে সিল মারতে দেখা যায়। তাঁকে নৌকায় সিল মারতে সহযোগিতা করছেন কক্ষে থাকা অন্য একজন ব্যক্তি।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একাধিক সিল মারা ওই ব্যক্তির নাম আজাদ হোসেন। তিনি সদর উপজেলা দিঘলী ইউনিয়নের দক্ষিণ খাগুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকার এজেন্ট হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। আজাদ চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন। গত অক্টোবর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাঁকে বহিষ্কার করে জেলা ছাত্রলীগ।এ বিষয়ে আজাদ হোসেনের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন ধরেননি। চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু তালেব প্রথম আলোকে বলেন, আজাদ তাঁদের কমিটির সহসভাপতি ছিলেন। শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে জেলা ছাত্রলীগ তাঁকে গত ৮ অক্টোবর বহিষ্কার করে। তিনি এখন ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। ভিডিওটি তিনিও দেখেছেন বলে জানান।তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মিয়া গোলাম ফারুক দাবি করেন, ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি পুরোনো। গতকালের উপনির্বাচনে এমন ঘটনা ঘটেনি। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কেউ পুরোনো ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন।প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে সিল মারার কোনো ভিডিও প্রথমে নজরে আসেনি বলে দাবি করেন উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন। পরে সন্ধ্যায় মুঠোফোনে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। জেলা প্রশাসনও ভিডিওটি আমাকে পাঠিয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৬ নভেম্বর ২০২৩
'সুষ্ঠু নির্বাচন কিভাবে হবে, প্রশ্ন যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের'। এটি দৈনিক কালের কণ্ঠের শিরোনাম। খবরে বলা হচ্ছে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন কিভাবে নিশ্চিত করবে, বাংলাদেশের কাছে তা আবার জানতে চাইবে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।জাতিসংঘের ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউ (ইউপিআর) কাঠামোর আওতায় মানবাধিকারবিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তি, সনদ ও আইনগুলোর প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকার ও বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে।এই অধিবেশনে বাংলাদেশকে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করবে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য আগেই তাদের প্রত্যাশার কথা জানিয়েছিল। সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় দেশ দুটির প্রতিনিধিরা তাঁদের প্রত্যাশা পুনর্ব্যক্তও করেছেন।এবার তাঁরা ইউপিআর অধিবেশনে এ বিষয়ে প্রশ্ন করবেন। আগামী সপ্তাহে জেনেভায় এই অধিবেশন বসবে।ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম 'Govt plans harsher clampdown on BNP' খবরে বলা হচ্ছে, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের অধীনে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো রাজপথে আন্দোলনে সক্রিয় হচ্ছে। অপরদিকে সরকার এমন আন্দোলন দমনে আরও কঠোর হচ্ছে।সম্প্রতি পুলিশ সদর দপ্তরে ডিআইজি পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কারো নামে মামলা থাকলে তাদের গ্রেপ্তার করতে ওই বৈঠকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশ কর্মকর্তাদের।দৈনিক যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম 'কূটনীতিকদের দৌড়ঝাঁপ পর্দার আড়ালে'। পত্রিকাটি বলছে, রাজনৈতিক সংকট নিরসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংলাপ আয়োজনের লক্ষ্যে বিদেশি কূটনীতিকদের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগ সফল করার লক্ষ্যে ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতাও শুরু হয়েছে।বিদেশি কূটনীতিকরা দফায় দফায় নিজেদের মধ্যে শলাপরামর্শ করছেন। এর পাশাপাশি আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন।তবে 'স্পর্শকাতর বিবেচনায়' জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের সঙ্গে চলমান উদ্যোগ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।'জিরো টলারেন্সে সরকার' বাংলাদেশ প্রতিদিনের শিরোনাম । পত্রিকাটি বলছে, আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াওয়ে নেতৃত্ব দেওয়া এবং অংশগ্রহণকারীদের গ্রেফতারে চলছে সাঁড়াশি অভিযান।সড়ক-মহাসড়কের যানবাহনসহ সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য চলছে সমন্বিত টহল। ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে।রেল, সড়ক ও নৌপথে যোগাযোগ নির্বিঘ্ন রাখতে ‘অপারেশন সুরক্ষিত যাতায়াত’ শুরু করছে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। এ জন্য সারা দেশে ৬৫ হাজার আনসার ও ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৬ নভেম্বর ২০২৩
দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।শনিবার (৪ নভেম্বর) সকালে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।এনটিআরসিএর পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন শাখার সদস্য (যুগ্মসচিব) ড. মো. আব্দুল মান্নানের সই করা বিজ্ঞপ্তিটি সংস্থার ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়।বিজ্ঞপ্তির নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী ৯ নভেম্বর সকাল ৯টা থেকে অনলাইনে আবেদন শুরু হবে। চলবে ৩০ নভেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত। আগ্রহীরা www.ntrca.gov.bd ও ntrca.teletalk.com.bd -এ ওয়েবসাইটে দেওয়া ফরম পূরণ করে অনলাইনে আবেদন সম্পন্ন করতে পারবেন। এবার আবেদন ফি ৩৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এতে আরও বলা হয়, প্রার্থীদের প্রথম ধাপে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের দ্বিতীয় ধাপে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে।১৮তম নিবন্ধনের পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞপ্তি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ নভেম্বর ২০২৩
বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে কোনো হয়রানি, নির্বিচার গ্রেপ্তার বা সহিংসতা দেখতে চায় না জাতিসংঘ।গতকাল বুধবার জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্রের কার্যালয়ের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলা হয়। প্রেস ব্রিফিংয়ে কথা বলেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক।প্রেস ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, বিরোধীদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে, হয়রানি করে, কারাবন্দী করে নির্বাচন করা হলে, তা যে সুষ্ঠু বলে বিবেচিত হবে না, সে বিষয়ে জোর দিতে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। গত মঙ্গলবার পুলিশের গুলিতে বিরোধী দলের অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘের মহাসচিব কি সংস্থার এই সদস্যরাষ্ট্রের পরিস্থিতিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছেন?জবাবে মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, তিনি মনে করেন, বাংলাদেশ বিষয়ে জাতিসংঘের অবস্থান, দেশটিতে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সংস্থার অবস্থান তাঁরা খুব স্পষ্টভাবেই বলে দিয়েছেন।স্টিফেন ডুজারিক আরও বলেন, এই সময়ের মধ্যে কোনো হয়রানি, নির্বিচার গ্রেপ্তার বা সহিংসতা তাঁরা দেখতে চান না। এসবের বিরুদ্ধেও তাঁরা কথা বলেছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ নভেম্বর ২০২৩
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ– পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন। আজ বুধবার ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত ডব্লিউএইচওর আঞ্চলিক সম্মেলনে এ নির্বাচন হয়।নয়াদিল্লি থেকে ফেসবুক পোস্টে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এ তথ্য জানান। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তাঁর পোস্টে লিখেছেন, সায়মা ওয়াজেদ ৮-২ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি আগামী পাঁচ বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন।সায়মা ওয়াজেদ তাঁর এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে দেওয়া পোস্টে নির্বাচিত হওয়ার খবর জানান। তিনি বলেন, ‘আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত করায় আমি ডব্লিউএইচওর দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের সদস্যরাষ্ট্রগুলোকে ধন্যবাদ জানাই। আমাদের অঞ্চলের জনস্বাস্থ্যে অবদানের জন্য আমি বিদায়ী পরিচালক ড. পুনম ক্ষেত্রপাল সিংয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী বছরের (২০২৪) ১ ফেব্রুয়ারিতে সায়মা ওয়াজেদ তাঁর দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।এর আগে বাংলাদেশ সরকার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক পদে সায়মা ওয়াজেদকে মনোনীত করেছিল। ডব্লিউএইচও দক্ষিণ–পূর্ব অঞ্চলবিষয়ক কার্যালয় ওই সংস্থার ছয়টি আঞ্চলিক অফিসের মধ্যে একটি। সায়মা ওয়াজেদ ১৯৯৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক এবং ২০০২ সালে ক্লিনিক্যাল মনস্তত্ত্বে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন আজ দুপুরে তাঁর দপ্তরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ আমরা একটা সুখবর পেয়েছি। খুবই সুখবর। আমরা অনেক দিন ধরেই এ নির্বাচনের জন্য প্রচারণা চালাচ্ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে আগামী পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ নভেম্বর ২০২৩
২৮ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে মতিঝিলে সমাবেশ করার ঘোষণা নিয়ে বিশ্লেষণ চলছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে। দলটির নেতারা মনে করেন, জামায়াতের ঘোষণায় লাভ-ক্ষতি দুটিই আছে।দলীয় সূত্র জানায়, জামায়াতের সমাবেশের ডাক দেওয়ার ফলে নিজেদের একধরনের লাভ দেখছে আওয়ামী লীগ। কারণ, জামায়াতকে গত এক দশক বা এরও বেশি সময় ধরে অনেকটা নিষিদ্ধ রাজনৈতিক সংগঠনের মতোই ‘ট্রিট’ করে আসছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক বিশ্বের কোনো নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। রাজপথে জামায়াতকে দমন করার নামে বিএনপিকেও দমন করা কিছুটা সহজ হবে। বিএনপিকে মহাসমাবেশ করতে না দেওয়ার অজুহাত হিসেবে জামায়াতের উপস্থিতিও ব্যবহার করতে পারবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপারেশনস) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। বিএনপিকে অনুমতি দেওয়া হবে। তবে কোথায় তাদের (বিএনপি) সমাবেশ করতে দেওয়া হবে, সেটা এখনো ঠিক হয়নি।ক্ষমতাসীন দলটির নীতিনির্ধারকেরা মনে করেন, বিএনপি পশ্চিমা বিশ্বকে দেখাতে চেয়েছে যে জামায়াতের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নেই। আর আওয়ামী লীগ বরাবরই বলে আসছে, জামায়াত এখনো বিএনপির মিত্র হিসেবেই রয়ে গেছে। বিএনপি ও জামায়াত একই দিনে রাজপথে নামার ঘোষণার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের এই বক্তব্যই প্রমাণিত হতে যাচ্ছে। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, বিএনপির সঙ্গে মিশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চাইছে জামায়াত। কিন্তু আওয়ামী লীগ কিছুতেই তা হতে দেবে না।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৫ অক্টোবর ২০২৩
পিপলএনটেক ইন্সটিটিউট অফ আইটির প্রতিষ্ঠাতা ও ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির চ্যান্সেলর ও চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ বলেছেন, আইটিকে প্রধানতম স্তম্ভ হিসাবে তৈরি করলে আমাদের গার্মেন্টসের ওপর নির্ভর করতে হবে না, প্রবাসী রেমিট্যান্সের ওপর নির্ভর করতে হবে না।সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকাল ৩ টায় রাজধানীর আগারগাঁও আইসিটি ভবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের সাথে আইটি প্রতিষ্ঠান পিপলএনটেক ইন্সটিটিউট অফ আইটির মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, আমি আমার ৩০ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি আইসিটি বিভাগ যেভাবে গ্রামগঞ্জে ছড়িয়ে ছিটিয়ে জনগণের নিকট আইটি শিক্ষা পৌঁছে দিচ্ছে এতে করে আইটি খাতকে বাংলাদেশের প্রধান স্তম্ভ হিসেবে তৈরী করা সম্ভব হবে।চ্যান্সেলর হানিপ বলেন, আমেরিকান অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বেশিরভাগেই একাডেমিক দিকটাকে বেশি জোর দেওয়া হয়ে থাকে। ফলে সেখান থেকে উচ্চতর ডিগ্রি লাভের পর একজন শিক্ষার্থীকে প্রতিষ্ঠানের এন্ট্রি লেভেলে চাকরি নিতে হয়। কিন্ত আমি ট্রিপল মিশন নিয়ে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি গড়েছি, সেখানে ডিগ্রি, দক্ষতা ও চাকুরী। এই বিশ্ববিদ্যলয় থেকে শিক্ষার্থীরা দক্ষতার সাথে বের হয়ে শতভাগ চাকরি পাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।তিনি আরো বলেন, ’শিক্ষার্থীরা আমেরিকার বিভিন্ন নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় যেমন প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি, হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি, জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি, কলোম্বিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে এসে পড়শোনা করছে। শুধু দক্ষ হয়ে চাকরী পাবার আশায়। গত ২০ বছরে আমি পিপলএনটেকের মাধ্যমে আমেরিকার মূল ধারায় ১০ হাজার দক্ষ ব্যক্তিতে চাকরি দিয়েছি যারা ১০০ থেকে ২০০ হাজার ডলার ইনকাম করছে।'ইঞ্জিনিয়ার হানিপ আরো বলেন, সমঝোতা স্মারকের লক্ষ্য আইটি কে সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে পিপলএনটেক ও আইসিটি অধিদপ্তরের দক্ষ জনবল একসাথে কাজ করবে এমন টায় প্রত্যাশা।উক্ত সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো: সামসুল আরেফিন।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সামসুল আরেফিন বলেন, আমরা তথ্য প্রযুক্তিতে যত বেশি জনবল তৈরি করতে পারব তত বেশি দেশের উন্নয়ন করা সম্ভব হবে। আমি আশা করছি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে ও দক্ষ জনবল তৈরি করতে আইসিটি বিভাগ ও পিপলএনটেক একসাথে কাজ করবে।এছাড়াও বিদেশের মাটিতে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি গড়ার জন্য চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপকে ধন্যবাদ জানান তিনি।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: মোস্তফা কামাল, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, পিপলএনটেক ইন্সটিটিউট অফ আইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাশরুল হোসাইন খান লিওন, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক ফাতেমা তুজ জোহরা, পিপলএনটেকের প্রকল্প ব্যবস্থাপক সেলিম রেজা, ডেপুটি ব্যবস্থাপক (অপারেশন) শেখ আহমেদ প্রমুখ।উল্লেখ্য, পিপলএনটেক প্রথম ২০০৫ সালে যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠানটি স্টেট কাউন্সিল অব হায়ার এডুকেশান ভার্জিনিয়া (SCHEV) থেকে অনুমোদন প্রাপ্ত এবং NYCDCA অথরাইজড রিক্রুটিং এজেন্সি।পিপলএনটেক’র শিক্ষণ-শিখন এবং জব প্লেসমেন্ট পদ্ধতি ইতোমধ্যেই একটি সফল মডেল হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।বর্তমানে পিপলএনটেক ইনস্টিটিউটে ৬০টির অধিক বিষয়ে প্রশিক্ষণসহ সফটওয়ার টেস্টিং, ডাটাবেস অ্যাডমিনিস্ট্রাশন, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশান টেস্টিং, বিজনেস অ্যানালিস্ট, প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ও প্রোফেশনাল ফ্রিল্যান্সিং তৈরিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ অক্টোবর ২০২৩
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্নেহধন্য, ’৬৯-এ পূর্ব বাংলার অবিসংবাদিত ছাত্রনেতা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক সচিব, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সংসদ, সাবেক শিল্প ও বানিজ্যমন্ত্রী, ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদর আজ ৮১তম জন্ম দিন।পরিবারের বা প্রিয়জন অনেকের কাছে তিনি প্রিয় আদরের তোফু হিসাবেই পরিচিত। শুধু দ্বীপজেলা ভোলাই নয়, সারা বাংলাদেশেই এক নামে যাকে সকলে চিনেন। শ্রদ্ধা করেন, সম্মান করেন, সকলে ভালোবাসেন।১৯৪৩ সালের ২২ অক্টোবর ভোলা সদরের দক্ষিন দিঘলদী ইউনিয়নের কোড়ালিয়া গ্রামে তার জন্ম হয়। তার পিতা মৌলোভি আজহার আলী এবং মা ফাতেমা খানম ছিলেন এলাকার সম্মানীত ব্যাক্তিত্ব। তার পিতা একজন ১৯৬০ সালে ভোলা সরকারী হাই স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন।বরিশাল ব্রজমোহন কলেজ থেকে ১৯৬২ সালে আইএসসি পাস ও পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মৃত্তিকা বিজ্ঞানে এমএসসি পাশ করেন। কলেজ জীবন থেকেই তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে সম্পৃত্ত ছিলেন। ব্রজমোহন কলেজ ছাত্র সংসদের ক্রীড়া সম্পাদক পদে এবং কলেজের হোস্টেল অশ্বিনী কুমার হলের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন ১৯৬২ সনে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ১৯৬৪তে ইকবাল (বর্তমানে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) হল ছাত্র-সংসদের ক্রীড়া সম্পাদক, ১৯৬৫তে মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের সহ-সভাপতি, ১৯৬৬-৬৭তে ইকবাল হল ছাত্র-সংসদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৭ থেকে ১৯৬৯ সন পর্যন্ত তিনি ডাকসুর ভিপি থাকাকালীন ৬৯-এর মহান গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেন।১৯৬৬-এর ৮ মে থেকে ১৯৬৯-এর ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দীর্ঘ প্রায় ৩৩ মাস কারাগারে আটক থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা’র সকল রাজবন্দীকে নিঃশর্ত মুক্তিদানে তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ সারা বাংলায় তৃণমূল পর্যন্ত তুমুল গণআন্দোলন গড়ে তোলেন। ১৯৬৮-৬৯-এ গণজাগরণ ও ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন তিনি ডাকসুর ভিপি হিসেবে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন এবং ’৬৯-এর ২২ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল রাজবন্দীকে মুক্ত করেন।ওই সময়ে তোফায়েল আহমেদকে নিয়ে পাকিস্তান অবজারভার পত্রিকায় শিরোনাম হয়, তোফায়েল দি গভর্নোর অব ইষ্ট পাকিস্তান।” ওই সময়ে ইকবাল হলের ৩১৫ নাম্বার রুমের সামনে দেশী বিদেশী সাংবাদিকগন তার বক্তব্য নিতে অপেক্ষা করতে আন্দোলনের কর্মসূচী জানার জন্য। ২৩ ফেব্রুয়ারি রেসকোর্স ময়দানে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভার সভাপতি হিসেবে ১০ লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতিতে কৃতজ্ঞ জাতির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞচিত্তে গণজোয়ারে জাতির জনককে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করেন। ১৯৭০ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে মাত্র ২৭ বছর বয়সে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে ভোলা দৌলতখান-তজুমদ্দিন-মনপুরা আসন থেকে অংশ নিয়ে এমএনএ নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে তিনি মুজিব বাহিনীর অঞ্চল ভিত্তিক দায়িত্বপ্রাপ্ত চার প্রধানের একজন ছিলেন। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর তারিখে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালে ১৪ জানুয়ারি তারিখে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক সচিবের দায়িত্ব লাভ করেন।১৯৭০-এ পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ, ১৯৭৩, ১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০৮,২০১৪এবং ২০১৮সনের সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে সর্বমোট ৮ বার তিনি এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন তিনি শেখ হাসিনা সরকারের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রীর দায়িত্ব প্রাপ্ত হন। তিনি দীর্ঘদিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি জাতীয় সংসদে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় ̄স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ অক্টোবর ২০২৩
গাজায় হামাস-ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাতের কারণে চরম মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মিশরের প্রেসিডেন্ট সেখানে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছাতে একটি সীমান্ত ক্রসিং খুলে দিতে রাজি হয়েছেন। এতে ত্রাণবাহী ২০টি ট্রাক প্রবেশ করতে পারবে বলে জানা গেছে। খবর বিবিসির।এদিকে ইসরায়েলের মানুষের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে দেশে ফিরেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে মধ্যপ্রাচ্যের পথে থাকা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বৃহস্পতিবার সকালেই ইসরায়েলে পৌঁছাবেন বলে জানা গেছে।গাজায় ত্রাণ সহায়তা পাঠানোর জন্য রাফাহ ক্রসিং খুলে দিচ্ছে মিশর। এই ক্রসিং দিয়ে ২০টি ত্রাণবাহী ট্রাক পাঠানো যাবে। একদিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ঘোষণার পর মিশরের দিক থেকেও এ বিষয়ে নিশ্চিত করা হলো।মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাফাহ টার্মিনাল ব্যবহার করে গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর বিষয়ে একমত হয়েছেন। দেশটির প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র আহমেদ ফাহমি এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছেন।তবে তিনি কোনো সময়সীমার কথা উল্লেখ করেননি। রাফাহ ক্রসিং মিশরের সিনাই মরুভূমি সংলগ্ন একটি সীমান্তপথ যেটি গাজার সর্বদক্ষিণে অবস্থিত। গাজা থেকে বের হওয়ার আরও দুটি সীমান্তপথ রয়েছে যেগুলো পুরোপুরি ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে এবং দুটিই এখন বন্ধ আছে।ফলে মিশরের এই সীমান্তপথটিই এখন গাজার অসহায় মানুষদের একমাত্র ভরসা। তবে ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ওই সীমান্তটি মিশর বন্ধ করে দেওয়ায় সেটা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই আলোচনা চলছিল।গত ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলের ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এ ঘটনার পর পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সীমান্ত বন্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল।ফলে রাফাহ সীমান্ত এখন বেসামরিক নাগরিকদের জন্য গাজা ত্যাগ করার একমাত্র স্থলপথ। গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানোর ক্ষেত্রেও রাফাহ এখন গুরুত্বপূর্ণ। মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, গাজার জন্য মানবিক সহায়তা নিয়ে ইতোমধ্যেই একটি বিমান উত্তর সিনাইয়ের আল-আরিশ বিমানবন্দরে পৌঁছেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ অক্টোবর ২০২৩
অবরুদ্ধ গাজার আল আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে হামলার পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে আরব নেতাদের বৈঠক বাতিল হয়ে গেছে।আজ বুধবার সৌদি সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়া এ তথ্য জানায়।প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল আম্মানের এক শীর্ষ কূটনীতিক বলেছেন যে বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে জর্ডান, মিশর ও ফিলিস্তিনের নেতাদের যে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল তা বাতিল করা হয়েছে।গাজার হাসপাতালে হামলা ইসরায়েল চালিয়েছে এমন সংবাদের প্রেক্ষাপটে এই বৈঠক বাতিল করা হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়।সেই হামলায় অন্তত ৫০০ জন নিহত হয়েছেন। হামলার পর ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে রামাল্লায় ফিরে যেতে হয়েছে।জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি গণমাধ্যমকে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন আম্মান সফর স্থগিত করায় বৈঠকটি বাতিল করা হয়েছে।তিনি আল জাজিরাকে বলেন, 'এখন যুদ্ধ বন্ধ করা ছাড়া আর কোনো বিষয়ে কথা বলার নেই।'হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, বাইডেনের ইসরায়েল সফর চলমান আছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট বৈঠকে থাকতে পারবেন না বলে বাইডেন তার সফর স্থগিতের কথা বাদশাহকে জানিয়েছেন।হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, আজ প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে দেশটির প্রতি তার সমর্থনের কথা জানাবেন। আশা করা হচ্ছে তিনি গাজায় ইসরায়েলের সামরিক পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা করবেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ অক্টোবর ২০২৩
বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও পরমাণু বিজ্ঞানী এপিজে আবদুল কালাম ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড পেলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) কেএন রায় নিয়তি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।সম্প্রতি হাওড়ার শরৎ সদনে এপিজে আবদুল কালাম ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ডের আসর বসে। সেখানে ১৫ দেশের বিভিন্ন পেশার ১৫ জন কৃতী ব্যক্তিত্বকে পুরস্কৃত করা হয়। তাদের মধ্যে অন্যতম ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। ডিএমপি জানায়, সম্প্রতি তার একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে ‘ঠার, বেদে জনগোষ্ঠীর ভাষা’। বইটি সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। জনপ্রিয়তা পেয়েছে পাঠক মহলেও। এই অসামান্য গ্রন্থের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।প্রশাসনিক ব্যস্ততার কারণে তিনি শেষমুহূর্তে কলকাতায় পৌঁছাতে পারেননি। তার হয়ে পুরস্কার গ্রহণ করেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট সমাজকর্মী সোমনাথ দে। তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন নেপালের সাবেক উপরাষ্ট্রপতি প্রেমানন্দ ঝা। এই জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের দুই বিশিষ্ট মন্ত্রী জাভেদ খান ও অরূপ রায়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ অক্টোবর ২০২৩