বিশেষ সংবাদ


ডব্লিউইউএসটির নতুন ক্যাম্পাসে নবীন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানালো এসজিএ

ডব্লিউইউএসটির নতুন ক্যাম্পাসে নবীন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানালো এসজিএ

যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত বাংলাদেশি মালিকানাধীন বিশ্ববিদ্যালয় ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থীদের নতুন ক্যাম্পাসে স্বাগত জানালো স্টুডেন্ট গভার্মেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (এসজিএ)।শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসে ক্যাফেটেরিয়ায় দু'শতাধিক এর বেশি শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানায় সংগঠনটি।কেক কাটার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উইন্টার কোয়ার্টারে ভর্তি হওয়া সকলকে স্বাগত জানায় এসজিএ।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ, প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ক এবং এসজিএ'র নেতৃবৃন্দ। সবাইকে স্বাগত জানিয়ে এসজিএ'র সাথে শিক্ষার্থীদের যুক্ত হবার পরামর্শ দেন চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ। আবুবকর হানিপ বলেন, "পড়াশোনার পাশাপাশি সহপাঠী, অন্যান্য দেশের সংস্কৃতি সর্ম্পকে জানার এবং নিজেকে প্রকাশ করার অন্যতম একটি মাধ্যম এই সংগঠন। সেই সাথে তিনি আরও বলেন, "সকল সুযোগ ও সম্ভাবনার দেশ যুক্তরাষ্ট্র। তবে সবার আগে সকলের প্রাথমিক লক্ষ্য হওয়া উচিত যোগ্যতা ও মেধার প্রকাশ ঘটিয়ে ডিগ্রি সম্পন্ন করা। "এসজিএ'র নেতৃত্বে ডব্লিউইউএসটিতে পরিচালিত হচ্ছে বেশ কয়েকটি ক্লাব। শিক্ষার্থীদের ইতিবাচক পরিবেশ দিতে সংগঠনটি বছরব্যাপী আয়োজন করে থাকে নানা রকম সাংস্কৃতিক, আন্তর্জাতিক, ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, "ডব্লিউইউএসটির সবচেয়ে বড় শক্তিটিই হচ্ছে এর বহু সংস্কৃতি থেকে আসা শিক্ষার্থীরা। আর এই সকল শক্তি এক হবার প্লাটফর্মের নাম স্টুডেন্ট গভার্মেন্ট অ্যাসোসিয়েশন। এর সাথে সবাই যুক্ত হলে, জানা ও শেখার পরিধি কয়েকগুন বেড়ে যাবে। তৈরি হবে ক্যারিয়ার গড়ার অসাধারণ নেটওয়ার্ক।"বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা ফারহানা হানিপ বলেন, "আমরা যদি সকলে একটি লক্ষ্য সামনে নিয়ে একসঙ্গে পথ চলতে পারি, সাফল্য আসবেই। যুক্তরাষ্ট্রে একটি সুযোগের দেশ, তবে এখানে মূল লক্ষ্য ভিন্ন পথে প্রবাহিত হওয়ার সুযোগও কম নেই। সুতারাং কারে কথায় মিসগাইডেড না হয়ে, শিক্ষার্থীরা যেনো তাদের শিক্ষা অর্জনের প্রতি মনোনিবেশ করে এই আহ্বান জানান ফারহানা হানিপ। পরামর্শ রাখেন এসজিএর সাথে যুক্ত হবার।"এসজিও কর্মকান্ডের প্রশংসা করেন উপস্থিত শিক্ষক ও কর্মকর্তাগণ। বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন আনার জন্য একটি কার্যকরী, আনন্দদায়ক পরিবেশ প্রদান করার চেষ্টা করে থাকে এসজিএ। উল্লেখ্য, এসজিএ ডব্লিউইউএসটির স্টুডেন্ট গর্ভামেন্ট অ্যাসোসিয়েশন শিক্ষার্থীদের হয়ে কথা বলার একটি সংগঠন। নতুন পরিচয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পথচলা শুরু করার প্রথম দিন থেকে সক্রিয় এই সংগঠনটি। কাজ করে স্টুডেন্টদের স্বার্থে। কথা বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অধিকার, প্রয়োজনীয় সহযোগীতা নিয়ে। বছর ব্যাপী আয়োজন করে থাকে ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক, ও খেলাধূলা বিষয়ক নানা কার্যক্রম।এছাড়াও ক্যাম্পাসে কোন ছাত্রছাত্রী বুলিং, বর্ণবাদ, কালচারাল শক বা যৌন নির্যাতনের শিকার হলেও সে সকল অভিযোগ নিয়ে সরাসরি কাজ করে এসজিএ। শুধু তাই নিয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভলান্টারি কাজও করে থাকে সংগঠনটি। ২০২৩ সালের ফেব্রয়ারিতে তুরস্কে হওয়া ভয়াবহ ভূমিকম্পে ত্রান তহবিল সংগ্রহ করে তা ক্ষতিগ্রস্থ দেশটি পাঠিয়েছিলো এসজিএ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩১ জানুয়ারি ২০২৪


বাঙালির চেতনা ও মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে: বাহাউদ্দিন নাছিম

বাঙালির চেতনা ও মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে: বাহাউদ্দিন নাছিম

ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরার মধ্য দিয়ে বাঙালির চেতনা ও মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের এমপি আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।তিনি বলেছেন, ঢাকার সঙ্গে আমাদের অনেক স্থাপনা ও প্রত্নতাত্ত্বিক বিষয় জড়িত। যেগুলো নিয়ে অনেক গবেষক, ইতিহাসবিদ কাজ করে যাচ্ছেন। আমার বিশ্বাস, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র এ বিষয়গুলো রক্ষা করবেন। তিনি ইতিহাস-ঐতিহ্যকে তুলে ধরার মধ্য দিয়ে বাঙালির চেতনা, মূল্যবোধ এবং ঐতিহ্যকে আরও জাগ্রত করতে সক্ষম হবেন।বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন নেতার মাজার সংলগ্ন এলাকায় সংস্কার পরবর্তী ঐতিহাসিক ‘ঢাকা ফটক (গেট)’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আজকের এই উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঢাকাসহ পুরো বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে রক্ষা করার একটি মহতী উদ্যোগ নিয়েছেন। সেজন্য তাকে অভিবাদন জানাই। ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র এমনই উদ্যোগ নেবেন, এটা খুবই স্বাভাবিক।তিনি বলেছেন, মুনতাসীর মামুন স্যার বলেছেন, সেই স্বাভাবিক উদ্যোগ অনেক প্রচেষ্টা করেও তিনি কাউকে দিয়ে করাতে পারেননি। কিন্তু আমাদের বর্তমান মেয়র সেই স্বাভাবিক কাজটি দ্রুতগতিতে উদ্যোগ নিয়ে করেছেন। এটিই হলো স্বাভাবিকের ভেতরে অস্বাভাবিক কাজ। সুতরাং এই অস্বাভাবিক কাজটি আমাদের আগামীদিনের জন্য আরও করে যেতে হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ জানুয়ারি ২০২৪


উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক না রাখার চিন্তা করছে আওয়ামী লীগ

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক না রাখার চিন্তা করছে আওয়ামী লীগ

দলীয় বিভেদ এড়াতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ার চিন্তা করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। অর্থাৎ কাউকে নৌকা প্রতীক দেওয়া হবে না। এ ক্ষেত্রে দলের যে কেউ অনেকটা স্বতন্ত্র প্রার্থীর মতো ভোট করতে পারবেন। দলের নেতা-কর্মীরাও যাঁর যাঁর পছন্দমতো প্রার্থীর পক্ষে ভোট করতে পারবেন।আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী সূত্র জানিয়েছে, উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক থাকবে কি না, এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে বিএনপিসহ বিরোধী দল স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও দলীয়ভাবে অংশগ্রহণ করবে না বলে ধারণা করা যায়। এ পরিস্থিতিতে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া না দেওয়া খুব বেশি গুরুত্ব বহন করে না; বরং একজনকে প্রতীক দিলে অন্যরা বিরোধিতায় নামেন। এতে দলে বিভেদ বাড়ে।এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের পরপরই আরেকটি নির্বাচন নিয়ে বিএনপি এখনো কোনো আলোচনা করেনি। দলটির নীতিনির্ধারকেরা এখন নির্বাচন-পরবর্তী আন্দোলন কর্মসূচি এবং কারাবন্দী নেতা-কর্মীদের মুক্তির বিষয়টিকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। এ পরিস্থিতিতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনুষ্ঠানিকভাবে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা কমই বলে মনে করছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা।বিএনপি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিক আর না নিক—আওয়ামী লীগ নিজেদের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলার জন্যই উপজেলা পরিষদে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন না দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করছে। গত বুধবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভা শেষে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেই আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলীয়ভাবে মনোনয়ন না দেওয়ার অনুরোধ করেন। এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার সঙ্গে আলাপ করবেন।আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয়ভাবে প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে আপত্তি করে আসছে কেন্দ্রীয় নেতাদের একটা বড় অংশ। এই অংশ স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রচারে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের অংশ নেওয়ারও পক্ষে।সূত্রমতে, দলগতভাবে প্রার্থী মনোনয়নের সিদ্ধান্ত থেকে দল সরে আসতে পারে। কিন্তু মন্ত্রী-সংসদ সদস্যের প্রচারের সুযোগ দেওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ, এতে তৃণমূলে দ্বন্দ্ব আরও বাড়বে এবং নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ আসবে।দেশে উপজেলার সংখ্যা ৪৯২। সর্বশেষ ২০১৯ সালে পাঁচ ধাপে দলীয় প্রতীকে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমবার দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচন বর্জন করে বিএনপিসহ সমমনা বিরোধী দল।২০১৫ সালে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইন প্রণয়নের পর থেকে স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার করে আসছে রাজনৈতিক দলগুলো। উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে এবং পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে দলীয়ভাবে মনোনয়ন দেওয়ার নিয়ম এখনো বিদ্যমান। ভাইস চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর ও সদস্য পদে যার যার মতো করে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে সব ক্ষেত্রেই দলের মনোনীত প্রার্থীর বাইরেও আওয়ামী লীগের বিপুলসংখ্যক নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।আগামী সপ্তাহেই প্রথম ধাপে শ খানেক উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আভাস দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। চার-পাঁচ ধাপের ভোটের শুরু হতে পারে মার্চে।নির্বাচন কমিশনের হিসাবে, সর্বশেষ নির্বাচনে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে কম ভোট পড়েছে। অতীতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। সর্বশেষ উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৪০ দশমিক ২২ শতাংশ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ জানুয়ারি ২০২৪


৭ তারিখে শান্তিপূর্ন নির্বাচন চায় আওয়ামী লীগ

৭ তারিখে শান্তিপূর্ন নির্বাচন চায় আওয়ামী লীগ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো সংঘাত-সহিংসতা দেখতে চায় না আওয়ামী লীগ। ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের দিন বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধীদের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবে দলটি। একই সঙ্গে দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যেন ভোটের পরিবেশ নষ্ট করতে না পারে, সে বিষয়েও কঠোর অবস্থানে ক্ষমতাসীনরা। ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে কেউ ভোটের পরিবেশ নষ্টের চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেবে দল। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ তৃণমূল নেতাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী নেতারাও বলছেন-তারা যে কোনো মূল্যে অবাধ-সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চান। ফলে নির্বাচন ঘিরে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের মিত্রদের কর্মকাণ্ডে কড়া নজর রাখা হচ্ছে।এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বুধবার সংবাদ বিফ্রিংয়ে বলেন, আমরা যে কোনো মূল্যে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। নির্বাচনের মাধ্যমে যে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা, সেটা আরও গতিময় হবে। দেশের ভবিষ্যৎ সুসংহত হবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় ৭ জানুয়ারি নির্বাচন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, বিএনপি যে পরিবর্তনের কথা বলছে, সেটা তাদের আসল কথা নাও হতে পারে। কারণ বিএনপি বলে একটা করে আরেকটা। তারা সত্যি কথা বলছে এটা এখন বলার সুযোগ নেই। ৪ তারিখ পর্যন্ত তারা লিফলেট বিতরণ করবে, এরপর তাদের ভূমিকাটা কী, সেটা আমরা লক্ষ্য করব। জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, বিএনপি সংঘাত-সহিংসতার অপচেষ্টা করতে পারে। কিন্তু আমরা মনে করি, তারা সফল হবে না। কারণ সাধারণ মানুষ নির্বাচনের পক্ষে। মানুষের এই স্রোত তারা বন্ধ করতে পারবে না। ভোটের আগে বা ভোটের দিন সামনে রেখে দলের নেতাকর্মীদের কোনো দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের দলের নেতাকর্মীদের দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। আমরা শান্তিপূর্ণ ভোট চাই, ফলে এ বিষয়ে আমরা সব সময় সতর্ক আছি।আওয়ামী লীগের অভিযোগ-বিএনপি শুরু থেকে নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা করেছে। ২৮ অক্টোবরের পর তারা টানা হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচিতে চলে গিয়েছিল। কিন্তু এসব কর্মসূচিতে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে পারেনি। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন ভোটারদের নির্বাচনবিমুখ করে ভোট প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। এরই অংশ হিসাবে ভোটের দিন ঘিরে বিএনপির নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা ক্ষমতাসীনদের। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ এবার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে। তারা মনে করছে-এতে একদিকে যেমন নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে অন্যদিকে দেশ-বিদেশে নির্বাচন নিয়ে কেউ প্রশ্নও তুলতে পারবে না। ফলে নির্বাচনের দিন এ সংক্রান্ত বিষয়গুলো মাথায় রেখেই নিজেদের পরিকল্পনা সাজাচ্ছে দলটি। তৃণমূল নেতাদের দিচ্ছে নানা দিকনির্দেশনা।জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেন, বিএনপি তো নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে। তারা এখন সহিংসতা ও অগ্নিসন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা সবাই সজাগ ও সতর্ক আছি। তিনি আরও বলেন, এই নির্বাচনকে আমরা অংশগ্রহণ ও প্রতিযোগিতামূলক এবং উৎসবমুখর করতে চাই। সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান বলেন, বিএনপির কর্মসূচি নিয়ে আমরাও বিভ্রান্ত, দেশের মানুষও বিভ্রান্ত। তারপরও আমরা সতর্ক অবস্থানে থাকব। এ বিষয়ে নেতাকর্মীদের দিকনির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, একাধিক প্রার্থী শক্তিশালী হলে, সবাই চায় প্রভাব খাটাতে। তখনই সংঘর্ষ-সংঘাত হয়। দু-একটি জায়গায় এমন ঘটনা ঘটতেও পারে, এটা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কিন্তু এটা আমরা কখনোই উৎসাহিত করি না। আমরা সবাইকে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আহ্বান জানাচ্ছি। এবারের নির্বাচনে দলীয় এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে শুরু থেকেই সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে চলেছে। শেষ মুহূর্তে তারা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করেন কিনা, সে নিয়ে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা রয়েছে আওয়ামী লীগের মধ্যেও। কারণ প্রার্থীদের অনেকেই নিজের বিজয়কেই বড় মনে করছেন। সেক্ষেত্রে ভোটের দিন প্রভাবশালী দলীয় এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অনেকেই কেন্দ্রের নির্দেশনা উপেক্ষা করে প্রভাব বিস্তার, কারচুপি বা সংঘাতের মতো অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করতে পারেন। যা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনার সৃষ্টি করবে। এ ধরনের ঘটনা বেশি ঘটলে ভোটের গ্রহণযোগ্যতাও প্রশ্নবিদ্ধ হবে।দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোট ঘিরে বিএনপির কর্মকাণ্ড নিয়ে সতর্ক থাকার পাশাপাশি দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিরোধ যেন সংঘাতে রূপ না নেয় সে বিষয়েও কঠোর অবস্থানে আওয়ামী লীগ। একই সঙ্গে ভোটে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা হলে সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে আওয়ামী লীগ। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও কঠোর থাকতে বলা হয়েছে।জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির এক সদস্য বলেন, এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে জেতার জন্য কিছুই করতে হবে না। তাহলে কেন শুধু শুধু আমরা বদনামে জড়াব। তাছাড়া আমাদের নেত্রী (আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) অবাধ-সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের অঙ্গীকার করেছেন। ফলে কেউ তার ব্যক্তিগত স্বার্থে সামগ্রিক বিষয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করলে তার বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ দলের নেতাকর্মীদের কঠোর বার্তা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ জানুয়ারি ২০২৪


বৃটেনে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের টাকার পাহাড়

বৃটেনে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের টাকার পাহাড়

বাংলাদেশের ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ব্রিটেনে 'হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ' আছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে বিদেশে টাকা নেয়া জটিল প্রক্রিয়া হলেও ভূমিমন্ত্রী কিভাবে বিদেশে এতো সম্পদ গড়ে তুলেছেন সেটি নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে।তবে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী সম্প্রতি তার নির্বাচনী এলাকায় এক জনসভায় দাবি করেছেন, তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন তিনি।মন্ত্রী বৈধ নাকি অবৈধ উপায়ে এ অর্থ আয় করেছেন সেটি নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলছে না। প্রশ্ন হচ্ছে, বিদেশে তিনি এতো টাকা নিয়ে গেলেন কিভাবে?গত ২৬শে ডিসেম্বর ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, এক মন্ত্রীর বিদেশে ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকার ব্যবসা রয়েছে। তবে তিনি নির্বাচনী হলফনামায় এ তথ্য দেননি। ওই সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি ওই মন্ত্রীর নাম প্রকাশ করেনি।এর একদিন পরে দেশের বিভিন্ন পত্রিকায় রিপোর্ট হয় যে নাম প্রকাশ না করা সেই মন্ত্রী হচ্ছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুফুজ্জামান চৌধুরী।বেশ কয়েকটি পত্রিকায় মন্ত্রীর পরিচয় প্রকাশ হবার পরে বিষয়টি জানতে চাওয়াও হয় টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান-এর কাছে। তিনি সূত্রকে বলেন, তারা যে মন্ত্রীর সম্পদের বিষয়ে তথ্য তুলে ধরেছিলেন তিনি ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীই ছিলেন।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশেষভাবে সুনির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে অর্থ নেয়ার সুযোগ থাকলেও তা অত্যন্ত জটিল প্রক্রিয়া। এছাড়া মন্ত্রী যে খাতে যে পরিমাণ অর্থ নিয়েছেন তা এই প্রক্রিয়ার আওতাভুক্ত নয়।ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান “রিয়েল এস্টেট খাত, যে ক্ষেত্রে এই ইনভেস্টমেন্টগুলো, এটার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এখনো কোন অনুমোদন দেয়নি।”ভূমিমন্ত্রী কী বলছেন?এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সাথে সূত্রের তরফ থেকে যোগাযোগ করা হলেও তার কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।বিভিন্ন সংবাদপত্রে নাম প্রকাশিত হবার পর চট্টগ্রামের আনোয়ারায় এক নির্বাচনী জনসভায় ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন তিনি।তিনি বলেন, “আমি এক টাকাও দুর্নীতি করেছি কেউ বলতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। এমপি, মন্ত্রী হলেও আমি ব্যবসায়ী পরিবারের সন্তান।""ব্যবসা করেছি, ব্যবসা না করে আমি উপোস করে থাকবো? চুরি করবো নাকি আমি? মানুষের হক খেয়ে তো আমি চলতে পারবো না। হারাম পয়সার আমার দরকার নেই। আমার পদ বেচে আমি ব্যবসা করি না, আমার এই পদের অনেক আগে, আমার বাবাও ব্যবসায়ী ছিলেন, আমিও ব্যবসায়ী ছিলাম।"মি. চৌধুরী বলেন, "আমি মনে করি রাজনীতি এবং এই এমপি-মন্ত্রী এগুলো আল্লাহর রহমত। মানুষকে দেয়ার মন-মানসিকতা থাকতে হবে, দেশের মানুষের জন্য করতে হবে, সেবা করতে হবে।”সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, এসব সম্পদের বর্তমান বাজারমূল্য দুই হাজার তিনশ কোটি টাকার বেশি।ভূমিমন্ত্রী নিজে এবং তার স্ত্রী মিলে বিদেশি অন্তত ছয়টি কোম্পানি পরিচালনা করছেন বলে তথ্য দেয়া হয়। যেগুলোর মূল্য ১৬.৬৪ কোটি পাউন্ড বা দুই হাজার ৩১২ কোটি টাকা বলে জানানো হয়।বিভিন্ন সংবাদপত্রের রিপোর্টে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্য সরকারের ওয়েবসাইটে গিয়ে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর নামে অন্তত ছয়টি কোম্পানি পাওয়া যায় যার সবগুলোই আবাসন ব্যবসার সাথে যুক্ত।এগুলো হচ্ছে, জেডটিজেড প্রোপার্টি ভেনচার্স লিমিটেড, আরামিট প্রোপার্টিজ লিমিটেড, রুখমিলা প্রোপার্টিজ লিমিটেড, সাদাকাত প্রোপার্টিজ লিমিটেড, জেবা প্রোপার্টিজ লিমিটেড এবং জারিয়া প্রোপার্টিজ লিমিটেড। এই সবগুলো কোম্পানিরই পরিচালকের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি।এর মধ্যে শুধু রুখমিলা প্রোপার্টিজ লিমিটেড এর পরিচালক পদ থেকে তিনি সরে দাঁড়িয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই কোম্পানিটির ঠিকানা লন্ডনের ওয়ারউইক লেন। বাকি সবগুলো কোম্পানির ঠিকানা লন্ডনের ডেভনশায়ার স্কয়ার উল্লেখ করা হয়েছে।মন্ত্রী টাকা কীভাবে নিয়েছেন?বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, বিদেশে বিনিয়োগ করার নিয়ম নেই। এমনটি একজন ব্যক্তি বৈধভাবে বছরে ১২ হাজার ডলারের বেশি নিয়ে যেতেও পারেন না। এমন অবস্থায় সরকারি একজন মন্ত্রীর বিদেশে এতো সম্পদের মালিক হওয়া নিয়ে আলোচনা চলছে।ভূমি মন্ত্রীর বিদেশে সম্পদ থাকার বিষয়টি সামনে আনে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ।এই প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যে উৎসগুলো থেকে তারা মন্ত্রীর এসব সম্পদের বিষয়ে জানতে পেরেছেন তা উন্মুক্ত ওয়েবসাইট। সেখানে শুধু সম্পদের হিসাব রয়েছে।কিন্তু এসব সম্পদ গড়তে মন্ত্রী কোন উপায়ে অর্থ নিয়েছেন তা বলা হয়নি। যার কারণে মন্ত্রী কীভাবে অর্থ নিয়ে গেছেন সেটি তাদের পক্ষে জানা সম্ভব হয়নি।তবে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো চাইলে সেটা তদন্ত করে বের করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। এক্ষেত্রে দরকার হলে বিদেশি সহায়তাও নেয়া যেতে পারে।মি. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য-দুদেশই জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী কনভেনশনের সদস্য। ফলে এই দুই দেশ চাইলে যৌথভাবে কাজ করতে পারবে। সেই সুযোগ ছাড়াও আইনি কাঠামো আছে।“সরকার চাইলে বিএফআইইউ(বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট) এর নেতৃত্বে, দুর্নীতি দমন কমিশন, সিআইডি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড- এ ধরণের সংস্থাগুলো যদি সঠিকভাবে চেষ্টা করে তাহলে অবশ্যই সবকিছুই বের করা সম্ভব।”টিআইবির এই নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, নিয়ম অনুযায়ী, কোন ব্যক্তি ১২ হাজার ডলারের বেশি দেশ থেকে বিদেশে নিতে পারেন না। সেই বিবেচনায় ভূমি মন্ত্রী যে পরিমাণ অর্থ নিয়েছেন তা এই সীমার চেয়ে অনেক বেশি। তাই এই বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ বলে উল্লেখ করেন তিনি।বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দিষ্ট কিছু খাতে অর্থ নেয়ার অনুমোদন দিলেও সেই শ্রেণিতেও ভূমি মন্ত্রীর অর্থ নেয়ার সুযোগ নেই বলে জানান তিনি।তিনি বলেন, “রিয়েল এস্টেট খাত, যে ক্ষেত্রে এই ইনভেস্টমেন্টগুলো, এটার জন্য আমাদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এখনো কোন অনুমোদন দেয়নি।”এবিষয়ে সাবেক ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর বলেন, “যে পরিমাণ অর্থ নেয়া হয়েছে তা আসলে অবৈধ উপায়ে পাচার করা হয়েছে। এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।”এ বিষয়ে ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলেও তাৎক্ষণিকভাবে তার কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।সূত্র : বিবিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩


আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ১১ বিষয়ে বিশেষ অগ্রাধিকার

আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ১১ বিষয়ে বিশেষ অগ্রাধিকার

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় ইশতেহারে ১১টি বিষয়ে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে রয়েছে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দ্রব্যমূল্য সবার ক্রয়ক্ষমতায় আনা। আবারও ক্ষমতায় এলে এসব বিষয় বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হবে বলে জানিয়েছে দলটি।স্মার্ট বাংলাদেশ থিমে ‘উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’ স্লোগানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় ইশতেহার ঘোষণা করবেন।বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁও হোটেলে এই ইশতেহার ঘোষণার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে।যে ১১টি বিষয়ে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা জানিয়েছে আওয়ামী লীগ-১. দ্রব্যমূল্য সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।২. কর্মোপযোগী শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা।৩. আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা।৪. লাভজনক কৃষির লক্ষ্যে সমন্বিত কৃষিব্যবস্থা, যান্ত্রিকীকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগ বৃদ্ধি।৫. দৃশ্যমান অবকাঠামোর সুবিধা নিয়ে এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে শিল্পের প্রসার ঘটানো।৬. ব্যাংকসহ আর্থিক খাতে দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানো।৭. নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা সুলভ করা।৮. সর্বজনীন পেনশন-ব্যবস্থায় সবাইকে যুক্ত করা।৯.আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকারিতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা।১০. সাম্প্রদায়িকতা এবং সব ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রোধ করা।১১. সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুরক্ষা ও চর্চার প্রসার ঘটানো

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩


এশিয়া মহাদেশের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল

এশিয়া মহাদেশের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল

২০১৮ সালে দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে শেষ বলে হেরে শিরোপার স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছিল বাংলাদেশের যুবাদের। এবার সেই স্টেডিয়ামেই ইতিহাস লিখল নতুন প্রজন্মের যুবারা। ২০২০ সালে যুব বিশ্বকাপের পর আরও একবার বাংলাদেশের ক্রিকেটে বড় সাফল্য এল যুবাদের হাত ধরে। এবার এশিয়া মহাদেশের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে উপস্থিত হাজারো প্রবাসী বাংলাদেশি সাক্ষী হলেন জুনিয়র টাইগারদের নতুন কীর্তির। বিজয় দিবসের ঠিক একদিন পর দুবাই থেকে ভেসে এলো দেশের ক্রিকেটের গৌরবমাখা অনন্য অর্জনের খবর। এশিয়া কাপের ফাইনালে আরব আমিরাতকে বাংলাদেশ হারাল ১৯৫ রানের বড় ব্যবধানে। আসরের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক আশিকুর রহমান শিবলির সেঞ্চুরিতে ভর করে বাংলাদেশ তুলেছিল ২৮৩ রান। জবাবে আরব আমিরাত অলআউট হয়ে গেছে মাত্র ৮৭ রানে।গ্রুপপর্বেও আরব আমিরাতের বিপক্ষে ৬০ রানে বড় জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে হারিয়েছে টুর্নামেন্টে রেকর্ড আট বারের শিরোপাজয়ী ভারতকে। আসরজুড়ে অপরাজিত থেকে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে ছিল জুনিয়র টাইগাররা। ফাইনালে সেই আমেজটা টাইগাররা ধরে রাখল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। একপেশে ফাইনালে কোনো সুযোগই তারা দেয়নি প্রতিপক্ষ আরব আমিরাতকে। শুরুতে ছিল আশিকুর রহমান শিবলীর ১২৯ রানের ম্যারাথন এক ইনিংস। তাকে সঙ্গ দিয়েছিলেন চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং আরিফুল ইসলাম। একজনের রান ৬০, আরেকজন করেছেন ৫০। এরপর বল হাতে গতি আর সুইংয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেছেন রোহানাত দৌলা বর্ষণ-মারুফ মৃধারা। বর্ষণ নিয়েছেন তিন উইকেট। দুই উইকেট নিয়ে জয়ের মিছিলে শামিল হয়েছেন আরেক পেসার ইকবাল হোসাইন ইমন। ৩৫ থেকে ৪৫, ১০ রানের ব্যবধানে আরও তিন উইকেট হারায় আরব আমিরাত। তিনবারই বাংলাদেশের নায়ক বর্ষণ। তার ইনসুইং আর আউটসুইংয়ে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে স্বাগতিকদের মিডল অর্ডার। ৪৫ রানে পঞ্চম উইকেটের পরেই বরং কিছুটা প্রতিরোধ দেখায় দলটি। ধ্রুব পরশহার এবং ইয়ায়িন রাই মিলে ১৬ রান যোগ করেন। এজন্য দুজনে খেলেছেন ৫ ওভারের বেশি। তাদের সেই জুটি ভেঙেছেন ইমন। পরপর দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচ একেবারেই নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন এই পেসার। ৬১ রানে পতন ঘটে ৭ম উইকেটের। এরপর ৭১ রানে হার্দিক পাইকে ফেরান স্পিনার জীবন। আর ৭২ রানে মারুফের বলে আউট হন আইমান আহমেদ। বাংলাদেশের জয় তখন ছিল কেবল সময়ের ব্যাপার। শেষ উইকেটের জন্য খানিকটা সংগ্রাম করতে হয়েছে টাইগার বোলারদের। ধ্রুব প্রতিরোধ করতে চেয়েছেন ১১তে নামা অমিদ রহমানকে সঙ্গে নিয়ে। সেখানে এসেছে আরও কিছু রান। তবে তাতে ম্যাচের গল্প বদলানো যায়নি। আরব আমিরাত আউট হয় ৮৭ রানে। বাংলাদেশ হয়ে যায় যুব এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন।এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ শুরুতে ১ উইকেট হারালেও খুব বেশি সমস্যায় পড়তে হয়নি। দলীয় ১৪ রানের মাথায় জিশানের উইকেট হারানোর পর দ্রুতই ঘুরে দাঁড়ায় জুনিয়র টাইগাররা। চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ১২৫ রানের বড় এক পার্টনারশিপ গড়েন ফর্মের তুঙ্গে থাকা শিবলী। দুজনের এই জুটিই অনেকটা এগিয়ে দেয় বাংলাদেশকে। দুজনেই রান তোলেন সাবলীল গতিতে। ফিফটির দেখা পান দুজনই। পরে ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দেন ওপেনার শিবলী।২য় উইকেটে বড় জুটি করার পর ৬০ রানে ফিরে যান ওয়ান ডাউনে খেলা রিজওয়ান। এরপরে ক্রিজে এসে ঝড় তোলেন আরিফুল ইসলাম। শিবলীর সঙ্গে তার জুটি হয় ৮৬ রানের। ৫০ রান একাই নেন আরিফুল। ৩৯ বলে তুলে নেন ফিফটি।এই জুটি চলার সময় অপর প্রান্তে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি তুলে নেন শিবলী। টুর্নামেন্টে এটি তার দ্বিতীয় শতক। ৪৯তম ওভারে গিয়ে আউট হওয়ার আগে করেছেন ঝলমলে ১২৯ রান।আরিফুল অবশ্য আউট হয়েছেন ফিফটির পরের বলেই। এরপর কিছুটা ধুঁকেছে বাংলাদেশ। আহরার আমিন এবং মোহাম্মদ শিহাব দুজনেই আউট হয়েছেন দ্রুত।তবে শেষদিকে দ্রুতগতির এক কার্যকরী ইনিংস উপহার দিয়েছেন অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি। ১০ বলে ২১ রান করে দলের ইনিংসে রেখেছেন কার্যকরী ভূমিকা।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩


‘হরতাল অবরোধের বিকল্প ভাবছে বিএনপি’

‘হরতাল অবরোধের বিকল্প ভাবছে বিএনপি’

হরতাল অবরোধের বিকল্প ভাবছে বিএনপি – মানবজমিনের খবর। বলা হয় দলের নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার, গণহারে সাজা, তল্লাশি হয়রানিতেও চলমান আন্দোলন থেকে পিছু হটবে না বিএনপি। ইতিমধ্যে দলটির দু’দফায় ৩ দিন হরতাল ও ৬ দফায় ১৩ দিন অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে। রোববার থেকে ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।দলটির একটি সূত্র জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহেও মঙ্গলবার বিরতি দিয়ে বুধবার থেকে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ঘোষণা করতে পারে। তবে পরের সপ্তাহে হরতাল-অবরোধের বিকল্প কর্মসূচি নিয়ে চিন্তা করছে দলটি।ইতিমধ্যে জোটের শরিক দলগুলো বিকল্প কর্মসূচি নিয়ে নানা প্রস্তাব দিয়েছে। সেগুলো নিয়ে নীতি-নির্ধারণী ফোরামে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।বিএনপি’র দায়িত্বশীল এক নেতা মানবজমিনকে জানিয়েছেন, বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জামিনে মুক্তি পেলে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয় খোলার চিন্তা করবেন তারা।ঋণের টাকায় পরিশোধ হচ্ছে সরকারি ঋণ? – বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম। এতে বলা হচ্ছে ব্যয় বাড়লেও রাজস্ব আহরণ বাড়ছে না। ঘাটতি পূরণে দেশি-বিদেশি উৎসগুলো থেকে প্রতিনিয়ত ঋণ নিতে হচ্ছে সরকারকে। ফলে ঋণের পরিমাণও বেড়ে যাচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয় এক অর্থবছরে সরকারের ঋণের স্থিতি বেড়েছে ২ লাখ ৭৩ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা।রাজস্ব ও ঋণের এ অসামঞ্জস্যতায় চাপ বাড়ছে সরকারের কোষাগারে। বাড়ছে ঋণের সুদ বাবদ পরিশোধিত অর্থের পরিমাণও।বাড়তি এ ঋণের মধ্যে বিদেশী ঋণের অবদানই সবচেয়ে বেশি। বিদেশী ঋণে নির্ভরতা বাড়ায় শঙ্কিত হয়ে উঠছেন অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা।টাকার অবমূল্যায়ন ও ডলারের সংকটজনিত কারণে এ ঝুঁকি আরো প্রকট হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজস্ব আয় বাড়াতে না পারলে দেশি-বিদেশি উৎস থেকে নেয়া ঋণ এক সময় বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনের বিপদের কারণ হয়ে দেখা দিতে পারে।নির্বাচন নিয়ে কূটনীতিকদের ব্রিফ করলেন পররাষ্ট্রসচিব-নয়া দিগন্তের খবর। এতে বলা হয় বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রস্তুতি সম্পর্কে দিল্লিতে নিযুক্ত ও বাংলাদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রায় ৯০টি দেশের মিশন প্রধানদের ব্রিফ করেছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেছেন, অন্য অনেক দেশের মতোই নির্বাচন বাংলাদেশে একটি উৎসব। বাংলাদেশের জনগণ এই উৎসবের জন্য এবং ভোট দিয়ে তাদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।দিল্লিতে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের বঙ্গবন্ধু হলে এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। এর আগে তিনি হায়দরাবাদ হাউজে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়েত্রার সাথে বৈঠক করেন।‘অনির্দিষ্টকালের’ ছুটিতে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত-মানবজমিনের খবর। বলা হয় অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে গেছেন ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান। গত ২২শে নভেম্বর থেকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে অবস্থান করছেন।শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা ও ওয়াশিংটনের একাধিক কূটনৈতিক সূত্র বাংলাদেশ দূতের ছুটিতে থাকার বিষয়টি মানবজমিনকে নিশ্চিত করেছে। জানিয়েছে, যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা এবং সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষেই রাষ্ট্রদূত ছুটিতে রয়েছেন। কিন্তু তার বর্তমান অবস্থান কোথায়? সে বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে রাজি হননি।সপ্তম দফার অবরোধ শুরু, বাসে আগুন – দেশ রুপান্তরের শিরোনাম। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল বাতিলসহ বর্তমান সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আজ রবিবার সকাল ৬টা থেকে টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো।সপ্তম দফার এই অবরোধ কর্মসূচি শুরুর আগে গতকাল শনিবার রাতে আগের দফার অবরোধগুলোর মতো রাজধানীতে বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এদিকে অবরোধ কর্মসূচি সফল করতে সারা দেশের তৃণমূল নেতাকর্মীদের রাস্তায় নামার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।আসন ভাগাভাগি শেষ মুহুর্তে-যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম। বলা হচ্ছে নির্বাচনি ট্রেনে কাকে কতটি আসনে ছাড় দেবে আওয়ামী লীগ, সে সমঝোতা হবে শেষ মুহূর্তে। মাঠের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে শরিকদের ছাড় দেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে দলটি।এছাড়া ভোটে অংশ নেওয়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর দক্ষতা ও যোগ্যতা, স্থানীয় পর্যায়ে তাদের গ্রহণযোগ্যতা এবং জনপ্রিয়তা বিবেচনায় নিয়ে আসন ভাগাভাগির টেবিলে বসবে তারা। এর আগে সংশ্লিষ্ট দলগুলোর মাঠপর্যায়ের ভিত্তি, সক্ষমতা এবং সামর্থ্যর বিষয়টিও পরখ করে দেখতে চায় ক্ষমতাসীনরা। তবে বিএনপি ভোটে এলে কৌশল পাল্টাবে আওয়ামী লীগ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৬ নভেম্বর ২০২৩


‘কঠিন পরীক্ষা মোকাবিলার পথ খুঁজছে বিএনপি’

‘কঠিন পরীক্ষা মোকাবিলার পথ খুঁজছে বিএনপি’

জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপির নানা কর্মসূচি ও চ্যালেঞ্জকে ঘিরে সমকালের প্রধান শিরোনাম, ‘কঠিন পরীক্ষা মোকাবিলার পথ খুঁজছে বিএনপি’।প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সরকার পতনের এক দফা দাবিতে চূড়ান্ত আন্দোলন করতে গিয়ে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি।এরিমধ্যে নাশকতার মামলায় দলের শীর্ষ নেতাসহ অনেকেই কারাগারে, কেউ আত্মগোপনে, আবার কেউবা নিশ্চুপ। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঝুলছে তালা। গণগ্রেপ্তারের পাশাপাশি পুরোনো মামলায় গণহারে সাজা হয়েছে।হরতাল-অবরোধ কর্মসূচির ডাক দিয়ে আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু ঢাকাতেই নেতাকর্মীরা বেশ ঢিলেঢালা মেজাজে আছেন।দলের বেশ কয়েকজন বিক্ষুব্ধ নেতা, সাবেক সংসদ সদস্য ও সমমনা দলের কেউ কেউ নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। কেউ কেউ যোগ দিয়েছেন বিএনপির সাবেক নেতাদের নিয়ে ‘সরকারের সহযোগিতা’য় গঠিত কিংস পার্টি উপাধি পাওয়া সংগঠনে।আওয়ামী লীগে মনোনয়ন বাছাই নিয়ে যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম, ‘আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাছাই শুরু আজ, মনোনয়নে থাকবে চমক,’। খবরে বলা হচ্ছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনেক আসনে আসবে আওয়ামী লীগের নতুন মুখ।প্রার্থী তালিকায় উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, সাবেক আমলা, সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের শীর্ষ ব্যক্তি স্থান পেতে পারেন।পাশাপাশি দলের জনপ্রিয় ও পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির তরুণ নেতারা মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে আছেন।অন্যদিকে বিতর্কিত মন্ত্রী-এমপিসহ স্থানীয়ভাবে জনবিচ্ছিন্ন নেতাদের প্রার্থী হিসাবে বিবেচনা না করার বিষয়ে দেওয়া হবে বিশেষ গুরুত্ব। পাশাপাশি বয়সের কারণে বাদ পড়বেন বেশ কয়েকজন বর্তমান এমপি।সব মিলিয়ে বিভিন্ন সংস্থার জরিপ, দলের সাংগঠনিক রিপোর্ট, অতীতে আন্দোলন-সংগ্রামে ভূমিকা, তৃণমূলে দল ও সাধারণ ভোটারদের কাছে গ্রহণযোগ্যতাসহ নানা বিষয় বিবেচনায় মনোনয়ন দেয়া হবে।নির্বাচনে ছোট দলগুলোর অংশগ্রহণ নিয়ে প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, ‘ছোট ছোট দল ভোটে আসছে’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, যুক্তফ্রন্ট নামে নতুন জোট গঠন করে বুধবার দুপুরে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেন সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম।বিকেলে নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানায় জিএম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি। সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে আগামী দুই তিন দিন এভাবে অনেক দল তাদের অবস্থান পাল্টাবে।আরও কিছু দল নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিতে পারে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভোটে আসতে পারে ছোট দলগুলোর মধ্যে ইসলামপন্থী একাধিক দলের নাম রয়েছে।দলগুলো শিগগিরই নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিতে পারে, তবে বিএনপির আলোচিত ও পরিচিত নেতাসহ অনেকেই দল ছেড়ে নতুন দুটি দল তৃণমূল বিএনপি ও বিএনএম-এ যুক্ত হয়ে নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে যে আলোচনা ছিল তাতে এখন পর্যন্ত উল্লেখ করার মতো ফল আসেনি।এ নিয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ে অসন্তুষ্টি রয়েছে। তাই শেষ মুহূর্তে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার তারিখ একটু পিছিয়ে হলেও বিএনপি'র আরো কিছু নেতা এবং আরো কিছু দলকে নির্বাচনে আনার কথা ভাবা হচ্ছে বলে বলছে ওই প্রতিবেদন।নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে সংবাদের প্রধান শিরোনাম, ‘নির্বাচন ‘একতরফা’ হবে না, ‘শতফুল’ ফুটবে’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিএনপি ভোটে না এলেও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ‘একতরফা হবে না’ বলে মনে করেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।তার দাবি, অনেক দল এবং ব্যক্তি পর্যায়ে অনেকে নির্বাচনে অংশ নেবেন। তার মতে, একটি দল নির্বাচন বর্জন করলে নির্বাচনকে একতরফা বলার সুযোগ নেই।দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেয়ার বাকি আছে সাত দিন। আওয়ামী লীগ ও তার জোট শরিকদের পাশপাশি জাতীয় পার্টিও মনোনয়ন জমার কাজ গুছিয়ে আনছে।তবে নির্বাচনে না আসার সিদ্ধান্তে অটল বিএনপি ও সমমনা দলগুলো আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন কি দশম সংসদের পথে হাঁটছে, এমন আলোচনাও চলছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৩ নভেম্বর ২০২৩


‘প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার কাছেই আত্মসমর্পণ করেছে ইসি’

‘প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার কাছেই আত্মসমর্পণ করেছে ইসি’

প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার কাছেই আত্মসমর্পণ করেছে ইসি – মানবজমিনের আরেকটি শিরোনাম। বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নির্বাচন কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের শর্ত রক্ষা না করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছার কাছেই আত্মসমর্পণ করেছে। তফসিল ঘোষণার সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের উচিত ছিল ভোটগ্রহণ সময় দিনে হবে, না নিশিরাতে হবে, সেটি বলা।গতকাল বিকালে এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। রিজভী বলেন, আবারো একতরফা নির্বাচনের জন্য সকল শক্তি নিয়োগ করেছে আওয়ামী সরকার। নির্বাচন কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের শর্ত রক্ষা না করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছার কাছেই আত্মসমর্পণ করেছে।সংলাপ সম্ভব নয় যুক্তরাষ্ট্রকে জানাল আওয়ামী লীগ – নয়া দিগন্তের শিরোনাম। বলা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর চিঠির জবাব দিয়েছে আওয়ামী লীগ। চিঠিতে সংলাপের শর্ত থাকলেও তা সময়স্বল্পতার কারণে তা সম্ভব নয় বলে প্রতিউত্তরের চিঠিতে জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের পক্ষে চিঠির জবাব নিয়ে যান দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত। দূতাবাসের অ্যাকটিং ডেপুটি চিফ অব মিশন আর্টুরো হাইন্সের কাছে চিঠি হস্তান্তর করা হয়।নেতাকর্মীদের না পেয়ে স্বজনদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে – বিএনপির এমন অভিযোগ নিয়ে শিরোনাম করেছে কালের কন্ঠ। তাদের খবরে বিস্তারিত বলা হচ্ছে দলের নেতাকর্মীদের না পেয়ে তাঁদের স্বজনদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি তুলে আন্দোলনকারীদের ওপর নির্যাতন চালনো হচ্ছে।গতকাল শুক্রবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে তিনি এই অভিযোগ করেন। রুহুল কবীর রিজভী বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা পাইকারি হারে গ্রেপ্তারের শিকার। তাঁদের ধরতে না পারলে গ্রেপ্তার হচ্ছেন বাবা, শ্বশুর, ছোট ভাই—এমনকি বাড়ির মেয়েরা পর্যন্ত।বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মুক্তি মিলছে না সহসাই – দৈনিক কালবেলার প্রধান শিরোনাম। বলা হয় সরকারের পদত্যাগের ‘একদফা’ দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে মহাসমাবেশের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ শীর্ষ নেতারা নানা মামলায় কারাগারে আটক রয়েছেন। আটক হয়েছেন বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। নতুন করে তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা হয়েছে।বিএনপির আইনজীবীরা অভিযোগ করছেন, একটা মামলায় জামিন পেলে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে, যেন সহসাই তারা কারামুক্ত হতে না পারেন। গ্রেপ্তার দেখানোর মামলায় জামিন চেয়ে নিম্ন আদালতে আবেদন করা হয়েছে। সেখানে জামিন না পেলে হাইকোর্টে যাবেন বলে জানান তারা।অস্ত্র হাতে রাতের অন্ধকারে নয় সরকার গঠন হবে ভোটের মাধ্যমে – শেখ হাসিনার এমন বক্তব্য নিয়ে শিরোনাম দৈনিক সমকালের।পত্রিকাটি লিখেছে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘অস্ত্র হাতে নয়, রাতের অন্ধকারে নয়, বাংলাদেশে সরকার গঠন হবে ভোটের মধ্য দিয়ে।’ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কমিটির সভায় তিনি এ কথা বলেন।শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপির আমলে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। আমরা (আওয়ামী লীগ সরকার) মানুষের ভেতরে একটা আস্থা, বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছি। একটা দল দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকে মানুষের আস্থা অর্জন করা কিন্তু বেশ কঠিন।’ শনিবার সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় হাজির হয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র কিনবেন শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমাদানের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ নভেম্বর ২০২৩


‘বিএনপির মতে দায়িত্ব সরকারের, আওয়ামী লীগ বলেছে সময় নেই’

‘বিএনপির মতে দায়িত্ব সরকারের, আওয়ামী লীগ বলেছে সময় নেই’

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপকে ঘিরে প্রথম আলোর প্রথম পাতার খবর, ‘বিএনপির মতে দায়িত্ব সরকারের, আওয়ামী লীগ বলেছে সময় নেই’প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সময় নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বিরোধপূর্ণ রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছেন।তিনি জানান, ‘পারস্পরিক প্রতিহিংসা, অবিশ্বাস ও অনাস্থা পরিহার করে সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতা ও সমাধান অসাধ্য নয়।’এখন পর্যন্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সংলাপের ব্যাপারে আগ্রহ দেখালেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এ ব্যাপারে আগ্রহী নয়। দলটি বলছে, তফসিল ঘোষণার পর সংলাপ করার মতো আসলে সময় নেই।সংলাপের প্রশ্নে বিএনপি অবশ্য বলেছে, পরিবেশ সৃষ্টির দায়িত্ব সরকারের। আর সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দল সংলাপের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে।এমনকি কোনো কোনো দল তফসিল ঘোষণার আগে রাজনৈতিক সমঝোতার কথা বলছে।তফসিল ঘোষণার পরপরই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সংলাপ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘নির্বাচন সামনে, তফসিল ঘোষণা হয়ে গেছে। .. এখন আর সংলাপের কোনো সুযোগ নেই।’এরিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রও শর্তহীন সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছে। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিকে চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু।অবরোধকে কেন্দ্র করে নিউ এইজের প্রথম পাতার খবর, ‘Blockade on amid clashes, intensified police raids’ অর্থাৎ ‘সংঘর্ষ , পুলিশি অভিযান জোরদারের মধ্যেই অবরোধ পালন’।প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দেশব্যাপী বিএনপির ডাকা পঞ্চম দফার অবরোধের প্রথম দিন বুধবার দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে তীব্র পুলিশি অভিযান ও গ্রেফতারের অভিযোগ উঠেছে।ঢাকাসহ সারাদেশে মিছিল, মহাসড়কে ভাঙচুর, দূরপাল্লার বাস বন্ধ রাখা, সড়ক অবরোধ এবং যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।সেইসাথে বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সাথে সংঘাত সংঘর্ষের খবর পাওয়া গিয়েছে।বুধবার বগুড়ার শেরপুর উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সংঘর্ষে প্রায় ৪০ জন আহত হয়েছেন।সিলেটে সন্ধ্যায় বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ বেধে যায়।বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, পুলিশ গত তিন সপ্তাহে সারাদেশে ১২ হাজারের বেশি বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে এবং তাদের অভিযান বাড়িয়েছে।তফশিল ঘিরে নানা উদ্বেগ নিয়ে যুগান্তরের প্রথম পাতার খবর, ‘২৩ স্থানে নাশকতার শঙ্কা’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল পরবর্তী সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতা হতে পারে।এর মধ্যে ২৩টি স্থান নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।এসব স্থানে পিকেটিংসহ পুলিশের ওপর হামলা, পুলিশের অস্ত্র ছিনতাই, নির্বাচনি ও রাজনৈতিক কার্যালয় ভাঙচুর, রাস্তা অবরোধ, যানবাহনে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটতে পারে।প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, অন্দোলনকারীরা বেইলি ব্রিজ ও কালভার্ট ধ্বংসের পাশাপাশি লঞ্চ-স্টিমার-ফেরিতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করতে পারে।কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেল স্টেশন, গাবতলী-সায়েদাবাদ-মহাখালী বাস টার্মিনাল এবং সদরঘাট লঞ্চঘাটসহ বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট ও রেলস্টেশনে নাশকতার শঙ্কা আছে।বঙ্গভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, গণভবন, জাতীয় সংসদ ভবন, সচিবালয়, সুধাসদন, বিমানবন্দর, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মন্ত্রী-এমপিদের বাসভবন, বিদেশি দূতাবাস ইত্যাদিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।বিএনপি ও জামায়াত শিবির অধ্যুষিত এলাকায় বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। জামায়াত শিবিরসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ছাত্রাবাস, হল ও মেসে জোরদার করা হয়েছে তল্লাশি কার্যক্রম।কেউ যেন ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের বাসা-বাড়ি ও উপাসনালয়ে হামলা করতে না পারে সেদিকেও সতর্ক দৃষ্টি রাখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া আছে।এসব বিষয় সামনে রেখে সারা দেশে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ নভেম্বর ২০২৩


‘শর্তহীন সংলাপে বসার আহ্বান ৩ দলকে’

‘শর্তহীন সংলাপে বসার আহ্বান ৩ দলকে’

দেশের বিবদমান রাজনৈতিক দলগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো চিঠি নিয়ে দৈনিক যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম, ‘শর্তহীন সংলাপে বসার আহ্বান ৩ দলকে’।প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সোমবার বিএনপি ও জাতীয় পার্টিকে এ–সম্পর্কিত চিঠি দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগকেও চিঠি দেয়ার কথা রয়েছে।ওই চিঠিতে বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের তাগিদ দিয়ে বিবদমান সব পক্ষকে শর্তহীন সংলাপে বসার আহ্বান জানায়।মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র চিঠিতে এসব কথা বলা হয়। সম্প্রতি দিল্লিতে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ২+২ সংলাপের পর তিন দলকে এই চিঠি দিলেন ডোনাল্ড লু।ওই চিঠিতে বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণা করা ভিসানীতির বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়। বলা হয়, যারা গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করবে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ প্রক্রিয়ায় ভিসানীতি (থ্রিসি) প্রয়োগ করা হবে।সোমবার বিকালে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপির কাছে ওই চিঠি পৌঁছে দেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানান, ‘আমরা চিঠি পেয়েছি’।তবে সোমবার রাত সাড়ে নয়টা নাগাদ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ‘আমরা এমন চিঠি পাইনি।’এদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার পর্যালোচনা সভায় বাংলাদেশ প্রসঙ্গ নিয়ে প্রথম আলোর প্রথম পাতার খবর, ‘গণতন্ত্র ও মানবাধিকারে জোর’।প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, জেনেভায় চলমান জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের চতুর্থ ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউ-ইউপিআর বা সার্বজনীন নিয়মিত পর্যালোচনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের সামগ্রিক মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।সেখানে গুম বিষয়ক আন্তর্জাতিক সনদে স্বাক্ষর এবং গুমের অভিযোগগুলো স্বাধীনভাবে তদন্তের আহ্বান জানানো হয়। নির্যাতনবিরোধী সনদ কনভেনশন এগেইন্স টর্চারের অতিরিক্ত প্রোটোকল স্বাক্ষরের সুপারিশও করে অনেক দেশ।ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পরিবর্তন আনা এবং সাইবার নিরাপত্তা আইনের বিষয়েও আলোচনা হয়। নতুন এ আইন মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে মারাত্মকভাবে সংকুচিত করবে বলে অভিমত বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের।এক্ষেত্রে তারা মানবাধিকার আইনগুলোর সঙ্গে সেটা সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে সংশোধন করার তাগিদ দেন। এর মধ্যে কানাডার প্রতিনিধি সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানান।এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, এসব অধিকার সীমাহীন নয়, নিরাপত্তা ও শান্তি নিশ্চিত করাও গুরুত্বপূর্ণ। আইন করার উদ্দেশ্য সাইবার জগতকে নিরাপদ রাখা।এদিকে নির্বাচন ও বিরোধী দল প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ রাজনীতির ক্ষেত্রে বিরোধীদের সব রকম অধিকার নিশ্চিত করেছে এবং বিরোধীদল পার্লামেন্টে সর্বোচ্চ স্বাধীনতা ভোগ করছে।বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা অবরোধ প্রসঙ্গে কালের কণ্ঠের প্রথম পাতার খবর, ‘তিন বাসে আগুন গ্রেপ্তার ৪৮০’।প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিএনপি ও সমমনাদের চতুর্থ দফা অবরোধের দ্বিতীয় দিন সোমবার ঢাকাসহ দেশে তিনটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। এই নিয়ে দুই দিনের অবরোধে ১৪টি যানবাহনে আগুন দেওয়া হলো।দেশের কয়েক স্থানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ হয়। সারা দেশে পুলিশ ৪৮০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।সন্ধ্যায় শনির আখড়া চৌরাস্তা ব্রিজের ওপর একটি যাত্রীবাহী বাসে এবং রবিবার দিবাগত রাতে বনানী এলাকায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি স্টাফ বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।এদিকে, বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর দাবি, রবিবার রাত ৮টা থেকে গতকাল রাত ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে নতুন ১৬টি মামলায় ৪৮০ জন নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন।এসব মামলায় মোট আসামি করা হয়েছে এক হাজার ৭০০ জনকে।এই নিয়ে গত ১৭ দিনে ৬৪২ মামলায় দলটির ১৪ হাজার ২৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। এ সময়ের মধ্যে আহত হয়েছে ছয় হাজার ৮৭ জন।ঢাকা ছাড়াও কয়েক জেলায় অবরোধের সমর্থনে ঝটিকা মিছিল হয়েছে। সকালে ঢাকায় যানবাহনের চাপ আগের চেয়ে কম ছিল। অবরোধে দূরপাল্লার বাস খুব একটা ছাড়েনি।বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যায় যানবাহন বেড়ে যায়। বাড্ডাসহ কোনো কোনো সড়কে দেখা গেছে যানজটও।ডলার সংকট নিয়ে নিউ এইজের প্রধান শিরোনাম, ‘Economy slides further amid foreign currency crunch’ অর্থাৎ ‘বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের মধ্যে অর্থনীতির অধঃপতন’।প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বৈদেশিক মুদ্রার সংকট, মূল্যস্ফীতি এবং মাসিক রপ্তানি আয়ের তীব্র হ্রাসের কারণে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে।বৈদেশিক মুদ্রার সংকট, মূল্যস্ফীতি এবং মাসিক রপ্তানি আয় কমে যাওয়ায় দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে।অর্থনীতিবিদরা বলছেন অক্টোবরে মাসিক রপ্তানি আয় ১৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ কমে তিন দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। যা একই মাসে চার ডলারের বেশি ছিল।এরমধ্যে নতুন ন্যূনতম মজুরি নিয়ে তৈরি পোশাক খাতে অস্থিরতার অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা।এদিকে অক্টোবরে দেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।ক্রমাগত উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে বেশির ভাগ মানুষ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের।অর্থনীতিবিদরা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে দায়ী করেছেন। যা কিনা ২০২১ আগস্টেও ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছিল।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ নভেম্বর ২০২৩


‘নির্বাচনে সঙ্গী খুঁজতে এখনো ব্যস্ত আওয়ামী লীগ’

‘নির্বাচনে সঙ্গী খুঁজতে এখনো ব্যস্ত আওয়ামী লীগ’

নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, ‘নির্বাচনে সঙ্গী খুঁজতে এখনো ব্যস্ত আওয়ামী লীগ’।প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিএনপিবিহীন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বেশি বেশি দলকে ভোটের মাঠে নামানোর কৌশল নিয়ে এগোচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তবে তাতে এখনো কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জিত হয়নি।সংবিধান মেনে ও যথাসময়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে অনড় আওয়ামী লীগ। তবে এই নির্বাচনী যাত্রায় আওয়ামী লীগের সঙ্গী ও প্রতিদ্বন্দ্বী কারা হবে, এ বিষয়ে এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারছে না ক্ষমতাসীন দলটি।অথচ বিএনপিবিহীন ভোটে বেশিসংখ্যক দলকে ভোটে আনা এবং তা তফসিল ঘোষণার আগেই চূড়ান্ত করার লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগের।বিএনপি থেকে নেতাদের অনেকে বেরিয়ে এসে নতুন দল গড়বেন, অন্য দলে যোগ দেবেন বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনের ঘোষণা দেবেন—আওয়ামী লীগের এমন প্রত্যাশাও অনেকটা আলোচনার মধ্যেই এখনো সীমাবদ্ধ রয়েছে।বিএনপি ও এর মিত্ররা আগামী নির্বাচন বর্জন করতে পারে—এমনটা আওয়ামী লীগের ভাবনায় অনেক আগে থেকেই ছিল। দলটির সূত্রগুলো বলছে, এ জন্য বিকল্প হিসেবে ভোটে অংশগ্রহণ বাড়াতে ১৪–দলীয় জোট ও মিত্রদের বাইরে অনেক ইসলামি দলের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে আওয়ামী লীগ।বিএনপির নেতাদের দল থেকে বের করে এনে ভোটে রাখার বিষয়েও তৎপরতা চলছে।বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারতের প্রভাব নিয়ে কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম, ‘নির্বাচনে ভারতের অবস্থান নিয়ে সতর্ক বিএনপি’।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও সংসদ নির্বাচন নিয়ে ভারতের অবস্থান বদল হবে না, এমন ধারণা বিএনপির আগেই ছিল।তবে দলটি মনে করছে, গত দুই নির্বাচনের মতো এবার ঢাকায় ভারতের উপস্থিতি ততটা জোরালো ও প্রকাশ্য নয়।শনিবার রাতে অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল বৈঠকে বিএনপি নেতারা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁদের বিশ্লেষণ হচ্ছে, ভারত বর্তমান সরকারের সঙ্গে থাকলেও এবার আগের মতো সরাসরি মাঠ পর্যায়ে সংযুক্ত নয়।তবে ভূ-রাজনৈতিক বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান অবস্থান শিগগির পরিবর্তন হবে না বলে তারা মনে করেন।গত শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচন সে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং সে দেশের মানুষই তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’নেতাদের কারো করো মত হলো, ভারতের বক্তব্যের বিষয়ে বিএনপির একটি কৌশলী প্রতিক্রিয়া আসা উচিত। কারো কারো মত, বিষয়টি কূটনীতিক পর্যায়ে আলোচনায় নেওয়া যেতে পারে।তবে চীনের বিষয়ে বক্তব্য দেওয়াটা যতটা সহজ, ভারতের বিষয়ে ততটা নয় বলে মত দেন একাধিক নেতা।জনপ্রশাসন নিয়ে যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম, ‘পদোন্নতির উৎসব ভোটের আগে’।প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার আগেই সরকার প্রশাসন, পুলিশ, শিক্ষাসহ অন্যান্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিয়েছে।জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ভোটের আগে গত কয়েক মাসে এই তিন ক্যাডারের বিভিন্ন পদে এক হাজার ৬০৮ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়।বেশ ‘উদারভাবেই এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও মেধাবী কিছু কর্মকর্তা বঞ্চিত হওয়ায় প্রায় পুরো বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।প্রশাসন বিশ্লেষকদের ব্যাখ্যা হচ্ছে, জাতীয় নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন প্রশাসন পুলিশ এবং শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা। এতে নতুন পদ প্রাপ্ত সবাই সন্তুষ্ট।সন্তুষ্ট মানুষ খুশি মনে আগ্রহী হয়ে অনেক কিছুই করে থাকে। যা সাধারণত ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে যায় না।তবে সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাদের দাবি, ‘পদ শূন্য থাকলে এবং পদোন্নাতি পাওয়ার যোগ্য কর্মকর্তা থাকলে তা দিতে কোনো সমস্যা নেই। ’তবে কিছুটা অসন্তোষ আছে মাঠপর্যায়ের নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের মধ্যে। বিশেষ করে পুলিশ প্রশাসনের নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে পদোন্নতিবঞ্চিত।এদিকে শ্রমিক বিক্ষোভে আহত চিকিৎসাধীন এক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, ‘Was shooting at them the only option?' অর্থাৎ ‘তাদের উপর গুলি চালানোই কি একমাত্র উপায় ছিল?’প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গত আটই নভেম্বর বেতন বৃদ্ধি নিয়ে শ্রমিকদের বিক্ষোভের সময় গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে শ্রমিক ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের এক তৈরি পোশাক শ্রমিক গুলিতে আহত হয়েছিলেন।রবিবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ভুক্তভোগীর নাম জালাল উদ্দিন বলে খবর প্রকাশ হয়েছে।এ নিয়ে সাম্প্রতিক তৈরি পোশাক শিল্পে চলমান অসন্তোষে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার জনে।জালাল উদ্দিনের স্ত্রী নার্গিস পারভিন পুলিশের এই গুলি ছোড়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।তিনি বলেন, ‘কেন তারা [পুলিশ] গুলি করেছিল? তারা কি অন্য কোনো উপায়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পারতো না?“তারা যে বন্দুক ব্যবহার করেছে এর আঘাতে আমার স্বামীর পেট ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়!" ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের সামনে স্তব্ধ ও বিভ্রান্ত হয়ে বসে থাকা নার্গিস ক্রন্দনরত অবস্থায় এসব কথা বলেন।বাংলাদেশের মানবাধিকার প্রসঙ্গে সমকালের প্রধান শিরোনাম, ‘আটকে রাখার ‘গোপন স্থানের’ তালিকা চায় জাতিসংঘ’।প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে সোমবার বাংলাদেশের মানবাধিকার রেকর্ড পর্যালোচনা করা হবে।বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী আটক অনেক ব্যক্তিকে গোপন স্থানে রেখে নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা অস্বীকার করেছে।রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের এমন অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুমের মতো ঘটনা নিয়ে আগেই উদ্বেগ জানিয়েছিল জাতিসংঘ।তুলে নিয়ে যেসব স্থানে ভুক্তভোগীদের ‘গোপনে আটকে রাখা হয়’, এখন সেগুলোর তালিকা প্রকাশ করতে সরকারের কাছে সুপারিশ করেছে সংস্থাটি।সেই সঙ্গে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ স্বাধীন সংস্থা দিয়ে নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছ তদন্ত করার পাশাপাশি দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে সুপারিশ করা হয়েছে।সেইসাথে ভুক্তভোগীদের ক্ষতিপূরণ দিতে একটি কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে, যাতে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দায়ের করতে পারেন।আইনে এমন ধারা যুক্ত করতে বলা হয়েছে, যাতে গুম রোধ করা যায়। সেই সঙ্গে নিরাপত্তা খাতের সংস্কার চেয়েছে জাতিসংঘ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ নভেম্বর ২০২৩


'একতরফা তফসিল হলে লাগাতার হরতাল-অবরোধ'

'একতরফা তফসিল হলে লাগাতার হরতাল-অবরোধ'

একতরফা তফসিল হলে লাগাতার হরতাল-অবরোধ; দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম এটি। বলা হয় দেশে নির্বাচনের কোনো ‘পরিবেশ না থাকায়’ এখনি তফসিল ঘোষণার পক্ষে নয় বিএনপিসহ রাজপথে নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে আন্দোলনে থাকা রাজনৈতিক দলগুলো।বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, একতরফা তফসিল ঘোষণা করা হলে লাগাতার হরতাল-অবরোধের কর্মসূচিতে যাবে দলটি। কোনো সমঝোতা না হলে কিংবা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি থেকে তারা পিছু হটবে না। মানুষের চলাচল ও পণ্য পরিবহনের সুবিধা তথা জনস্বার্থে শুক্র ও শনিবার বাদ দিয়ে এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।গ্রেপ্তার ও সহিংস ঘটনার মধ্যে বিএনপির ৪৮ ঘন্টার অবরোধ শুরু - প্রথম আলোর খবর।এতে বলা হচ্ছে একদিকে ধরপাকড় ও প্রেপ্তার অন্যদিকে সড়কে যানবাহনে অগ্নিসংযোগের সহিংস ঘটনা – এর মধ্যে চলছে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর অবরোধ কর্মসূচি।আজ চতুর্থ দফায় সারা দেশে ৪৮ ঘন্টার বড়ক, রেল ও নৌপথে এই অবরোধ শুরু হচ্ছে। রোববার সকাল ছয়টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত অবরোধ চলবে।রাতেই ঢাকায় আট বাসে আগুন – সমকালের শিরোনাম। তারা বলছে সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী রোববার থেকে চতুর্থ দফায় সারাদেশে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সড়ক, রেল ও নৌপথে সর্বাত্মক এ কর্মসূচি পালন করবে দলটি।একই সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, এলডিপি, গণফোরাম, গণঅধিকার পরিষদসহ আরও বেশ কটি সমমনা দল ও জোটের পক্ষ থেকেও এ কর্মসূচি পালন করা হবে। যুগপৎ আন্দোলনে না থাকলেও জামায়াতে ইসলামী একই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।তবে অবরোধ শুরুর আগেই শনিবার রাতে রাজধানীতে অন্তত আটটি বাসে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও তাৎক্ষণিকভাবে জড়িতদের শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।টাকার মান কমছে অস্বাভাবিক হারে – যুগান্তরের আরেকটি খবর। এখানে বলা হচ্ছে ডলারের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের মুদ্রার বিপরীতে টাকার মান অস্বাভাবিক হারে কমতে শুরু করেছে।দেশে ডলারের তীব্র সংকটের কথা বাইরের দেশগুলোতে প্রচারিত হওয়ার পর বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো টাকার মান কমিয়ে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর মুদ্রার মান বাড়িয়ে দিয়েছে। গত এক এক সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার বিপরীতে টাকার মান কমেছে ৭ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত। এত বেশি টাকার দরপতনে রেমিট্যান্স আহরণের খরচ বেড়ে গেছে। এতে ব্যাংকগুলো পড়েছে বিপাকে।থমথমে গাজীপুর-আশুলিয়া, শতাধিক পোশাক কারখানা বন্ধ – মানবজমিনের শিরোনাম। এখানে বলা হয় ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে চলমান শ্রমিক অসন্তোষের জেরে সাভার-আশুলিয়ার ১৩০টি তৈরি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।গতকাল আশুলিয়ার বাইপাইল, জামগড়া, ছয়তলা, বেরণ ও নরসিংহপুর এলাকার এসব কারখানার প্রধান গেটের সামনে বন্ধের নোটিশ টানিয়ে দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ। শনিবার সকালে কাজে যোগ দিতে আসা গেটের সামনে শ্রমিকদের ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। তবে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কারখানাগুলোর সামনে ও আশেপাশের এলাকায় বিপুল পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের শিরোনাম BNP office under lock for 14 days, 24hr watch – অর্থাৎ ১৪দিন হল তালাবন্ধ বিএনপির অফিস, ২৪ ঘন্টা নজরদারিও করা সেখানে। এ খবরে বলা হয়েছে, ২৮শে অক্টোবর মহাসমাবেশ ঘিরে সহিংসতার পর থেকে শনিবার পর্যন্ত টানা ১৪ দিন তালাবদ্ধ রয়েছে নয়া পল্টনে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়।নিউ এজের প্রতিবেদক সেখানে সরেজমিনে গিয়ে দেখেছেন, প্রধান ফটকে তালা ঝুলছে এবং ৩০-৪০ জন পুলিশ সদস্যের উপস্থিতি দেখতে পাওয়া যায় সেখানে যারা টানা টহল দিয়ে যাচ্ছে।আশেপাশে কোন নেতাকর্মীর উপস্থিতি নেই। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ২৮শে অক্টোবর থেকে তারা ২৪ ঘন্টা এখানে নজর রাখছেন। বিএনপি অভিযোগ করেছে পুলিশ তাদের ঢুকতে দিচ্ছে না।সরকারি হিসাবেই দ্রব্যমূল্য বেড়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে – মানবজমিনের অন্যতম প্রধান শিরোনাম এটি। বলা হচ্ছে নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন জ্বলছে। খরচ বাঁচাতে অসহায় মানুষ চাহিদায় কাটছাঁট করছেন। তবুও হিসাব মিলছে না।বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির যে হিসাব দেখা যায় তার বাস্তব চিত্র মেলে সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিদিনকার হিসাবেও। টিসিবি’র ৩ বছরের বাজারমূল্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রায় সব পণ্যেরই দাম বেড়েছে। কিছু কিছু পণ্যের দাম এতই বেড়েছে যে, তা ১০০ থেকে ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছুঁয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ নভেম্বর ২০২৩


‘চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে দুই দল’

‘চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে দুই দল’

‘চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে দুই দল’ দৈনিক যুগান্তরের শিরোনাম। পত্রিকাটি বলছে, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে রাজনীতিতে চলছে নানা সমীকরণ। কৌশলে এগোচ্ছে আওয়ামী লীগ। পুরোদমে শুরু করেছে নির্বাচনের প্রস্তুতি। পাশাপাশি আন্দোলন মোকাবিলায় করণীয় বিষয়ে নেতাকর্মীদের দেওয়া হচ্ছে নানা নির্দেশনাও।আর সরকার পতনের একদফার চূড়ান্ত আন্দোলনে রয়েছে বিএনপি। যে কোনো মূল্যে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ঠেকাতে চায়। এজন্য দেশব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি দিয়ে মাঠে রয়েছে দলটি।জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের কৌশল ও প্রস্তুতির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায়। আজ সন্ধ্যায় গণভবনে অনুষ্ঠেয় এ সভায় ১০টি সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা রয়েছে।একদফার চূড়ান্ত আন্দোলনকে আরও বেগবান করে কৌশলে সাফল্য পেতে চায় বিএনপি। এজন্য কর্মসূচি সফলে এবার নেতৃত্বে রাখা হয়েছে তৃণমূল (মাঠ পর্যায়ে) নেতাদের। ইতোমধ্যে তাদের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের কোনো নেতা গ্রেফতার হলেই পরবর্তী নেতাকে দেওয়া হচ্ছে দায়িত্ব।প্রতিদিন অন্তত অর্ধশতাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে নানা দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন হাইকমান্ড। নিষ্ক্রিয় নেতাদেরও সক্রিয় করা হচ্ছে। চলমান অবরোধ কর্মসূচিতে পর্যায়ক্রমে একেকটি সাংগঠনিক জেলাকে নামানো হচ্ছে মাঠে।‘নির্বাচনের আগে ভাঙনের চাপ, সতর্ক অবস্থানে বিএনপি’। দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হচ্ছে, অনেক দিন ধরেই বিএনপিতে ভাঙনের গুঞ্জন চলছে। তবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে মাসছে, ততই গুঞ্জন বাড়ছে।চাপও বাড়ছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির নেতারা। নির্বাচনে বিএনপিকে নয়, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলটির নেতাদের একটা অংশকে বের করে এনে ভোটে দাঁড় করানোর পরিকল্পনা করছে বলে তাদের অভিযোগ।তাদের মতে, বিএনপি নির্বাচনে না এলে নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক দেখানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে এই তৎপরতা চালাচ্ছে। প্রলোভন, টোপ আর চাপ দিয়ে দলের কেন্দ্রীয় অনেক নেতাকেই বাগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন বিগত দিনে রাগ-ক্ষোভ-অভিমানে দল থেকে দূরে সরে যাওয়া নেতারা। বিগত দিনের নির্বাচনে মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদেরও টার্গেট করা হয়েছে এই ভাঙন প্রক্রিয়ায়।অবশ্য নতুন দলে যোগ দেওয়ার গুঞ্জনের শীর্ষে থাকা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদও গতকাল মুখ খুলেছেন।হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেছেন, বিএনপির রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন শিগগির। আবার তৃণমূল বিএনপিতেও গতকাল বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের মাঠ পর্যায়ের কয়েকজন নেতাকর্মী যোগ দিয়েছেন।বিএনপির সাবেক নেতাদের নেতৃত্বে গঠিত বিএনএম নেতারাও বলছেন, সামনে আরও চমক আছে।'পূর্ণাঙ্গ নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করেছে আ.লীগ’ প্রথম আলোর শিরোনাম। বিএনপি দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ভোটে থাকছে না ধরে নিয়ে পুরোদমে নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। রাজপথে 'সতর্ক পাহারা’ ও ‘শান্তি সমাবেশ’ করলেও ভেতরে-ভেতরে প্রার্থী বাছাই ও নির্বাচনী ইশতেহার তৈরির কাজ চলছে।সাবেক আমলাদের নিয়ে দুটি দল প্রচারকৌশল প্রণয়ন এবং সরকারের মাঠ প্রশাসনকে ভোটে কীভাবে নিজেদের সুবিধার জন্য ব্যবহার করা যায়, এর কৌশল ঠিক করতে কাজ করছে।আজ বৃহস্পতিবার রাতে আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক বসছে গণভবনে। ওই বৈঠক থেকে আনুষ্ঠানিক নির্বাচন যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে। কারণ, বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের ‘জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি' গঠনের বিষয়টি রয়েছে বলে জানা গেছে।এটি নির্বাচনকালীন সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হিসেবে কাজ করে থাকে। এ ছাড়া নির্বাচন প্রস্তুতিতে কিছু উপকমিটি গঠনের বিষয়ও পরিকল্পনায় রয়েছে। প্রতিবারই ভোটের আগে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয় নির্বাহী কমিটির বৈঠকে।কালের কণ্ঠের শিরোনাম ‘সংকট থেকে আরো সংকটে অর্থনীতি’। খবরে বলা হচ্ছে, দেশে চলমান অবরোধ-হরতালকে কেন্দ্র করে সহিংস রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ফলে প্রাণ হারাচ্ছে নিরীহ মানুষ। নষ্ট হচ্ছে দেশের সম্পদ। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমদানি-রপ্তানি। সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় আরো বাড়ছে জিনিসপত্রের দাম।এমন পরিস্থিতিতে আগে থেকেই সংকটে থাকা অর্থনীতি আরো সংকটে পড়ছে। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ আর্থিক খাতগুলো ছাড়িয়ে শিক্ষাসহ সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা বিভিন্নভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, ২০২০ সালে শুরু হওয়া করোনার ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়। এতে গোটা বিশ্বের অর্থনীতি সংকটের মুখে পড়ে।'নির্বাচন হবে ৩ জানুয়ারি' কালবেলা পত্রিকার শিরোনাম এটি। তারা বলছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের ৩ জানুয়ারি, বুধবার অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় নির্বাচন। তার আগে আগামী মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) ঘোষণা করা হতে পারে তপশিল। সেই লক্ষ্যে ওইদিন সন্ধ্যায় টেলিভিশন ও বেতারে জাতির উদ্দেশে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের ভাষণ প্রচারের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।রেওয়াজ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নির্বাচনের প্রস্তুতি তুলে ধরবে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি সার্বিক বিষয়ে রাষ্ট্রপতির পরামর্শও চাওয়া হবে। রাষ্ট্রপ্রধানের দিক থেকে নতুন কোনো নির্দেশনা না থাকলে নিজেদের ঠিক করা সূচি অনুযায়ী অগ্রসর হবে ইসি। বঙ্গভবনে বৈঠকের পর কমিশন সভা করে আনুষ্ঠানিকভাবে তপশিল অনুমোদন করা হবে। আপাতত আগামী মঙ্গলবার তপশিল ঘোষণার চিন্তা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা দু-এক দিন পেছাতে পারে বলে জানা গেছে।বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচনের ব্যাপারে অনড় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি নিয়ে মাঠে রয়েছে সরকারবিরোধী বিএনপি ও তাদের মিত্ররা। দেশের বড় দুই রাজনৈতিক দল ও জোটের বিপরীতমুখী এমন অবস্থানের মধ্যেই নির্বাচনের সব প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। এখন শুধু তপশিল ঘোষণা এবং সে অনুযায়ী সব কাজ সম্পন্ন করার অপেক্ষা।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৯ নভেম্বর ২০২৩