বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে পরিবার পরিকল্পনা কর্মী, শ্রেষ্ঠ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ও পরিবার পরিকল্পনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ প্রদান করা হয়েছে।বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে পরিবার পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব পুরস্কার পেল বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদ। বুধবার (০২ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর শাহবাগের মিন্টু রোডের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন সেন্টারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. জাহিদ মালেকের কাছে থেকে পুরষ্কার গ্রহণ করেন বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান সফিক।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন করতে হলে তাদের শিক্ষিত এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলেই নারীরা মর্যাদা পাবে।তিনি বলেন, আমাদের প্রাইভেট সেক্টরে সি সেকশন (সিজারিয়ান) বেশি। এখনো প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিকে গেলে ৭০ শতাংশ গর্ভবতী নারীদের সিজার করা হয়। এটাও আমাদের কমাতে হবে। এর কারণে নারীদের কর্মক্ষমতা খর্ব করা হয়। আমাদের ইনস্টিটিউশনাল ডেলিভারি কম, আশানুরূপ নয়। এটা আমরা বাড়ানোর চেষ্টা করছি।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) সাহান আরা বানু।বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা টিটো মিয়া, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূর। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল বাংলাদেশের প্রতিনিধি ক্রিস্টিন ব্লখুস।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ আগস্ট ২০২৩
রাজধানীর পূর্ব রামপুরা তিতাস রোড এলাকার একটি বাসা থেকে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্বজনদের দাবি- সংসারে অভাব-অনটনের কারণে দুইজন একসঙ্গে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।নিহতদের নাম:- মো. জুয়েল (২৮) ও মোছা. নাসরিন আক্তার (২২)। জুয়েল কুড়িগ্রাম জেলার ও নাসরিন কিশোরগঞ্জ জেলার বাসিন্দা।বুধবার (২৬ জুলাই) ভোরে এ ঘটনা ঘটে। অচেতন অবস্থায় তাদের দুজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, জুয়েল দিনমজুরের ও নাসরিন বাসাবাড়িতে কাজ করতেন। ময়নাতদন্তের জন্য তাদের মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৬ জুলাই ২০২৩
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম আগের তুলনায় কিছুটা কমে বর্তমানে প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বাকি সব ধরনের মুরগির দাম এখনও চড়া। কিছুদিন আগে এসব মুরগির দাম আরও বাড়তি গেলেও, এখন কিছুটা কমেছে ঠিকই, তবে সাধারণ ক্রেতারা এখনও এসব মুরগি কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। সাধারণ ক্রেতাদের মতে, বাজারে ব্রয়লায় ছাড়া অন্য মুরগি কেনাই দায়।শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়, সোনালী মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি ৩০০ টাকায়, লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ টাকায়, কক (লাল) মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায় এবং দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকায়।রাজধানীর মিরপুর শেওড়াপাড়ার বাজারে বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী খোরশেদ আলমের মতে, বাজারে শুধু ব্রয়লার মুরগির দাম কম। বাকি সব ধরনের মুরগির দাম অনেক বেশি। ব্রয়লার ছাড়া অন্য মুরগি কিনে খাওয়াই কঠিন। তিনি বলেন, আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতারা একমাত্র ব্রয়লার মুরগি ছাড়া অন্য কোনো মুরগি কিনতে পারি না। কারণ সব ধরনের মুরগির দাম বেশি। দেশি মুরগি কেনার কথা তো চিন্তাও করতে পারি না। গরুর মাংসের দামের কাছাকাছি দেশি মুরগির কেজি। এছাড়া সোনালী মুরগি যে কিনবো এটার দামও ৩০০ বা তার চেয়েও বেশি। পাশাপাশি লেয়ার, কক মুরগিরও দাম অতিরিক্ত। সব মিলিয়ে আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতাদের জন্য ব্রয়লার ছাড়া অন্য মুরগি কেনাই দায়।ব্রয়লার ছাড়া অন্য মুরগির দাম কেন বেশি? এ বিষয়ে রাজধানীর মহাখালীর বাজারের মুরগি বিক্রেতা সিরাজুল ইসলাম বলেন, কিছুদিন আগের চেয়ে এখন তাও দাম কমেছে। কিছুদিন আগে মুরগির দাম আরও বাড়তি ছিল। সোনালি, কক, লেয়ার এসব মুরগির দাম আগের চেয়ে ৫০/৬০ টাকা করে কেজিতে কমেছে। আসলে মুরগির বাচ্চা থেকে শুরু করে মুরগির খাবারের দাম অতিরিক্ত বেড়ে গেছে। যে কারণে খামারিরা বেশি দামে মুরগি ছাড়ে। আমরা যখন যে দামে কিনতে পারি পাইকারি বাজার থেকে, তখন সে রকম দামেই খুচরা বাজারে বিক্রি করি। এখানে আমাদের কোনো হাত নেই, বাজার যারা নিয়ন্ত্রণ করে তারাই মূল কারণ বলতে পারবে। মগবাজারে ছাত্রদের একটি মেসে থাকেন হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের একজন শিক্ষার্থী আবির ফেরদৌস। তিনি বলেন, মেসে সাধারণত শুক্রবারে সবাই থাকে, তাই এইদিন একটু ভালো খাবার রান্না হয় সব মেসেই। কিন্তু বর্তমান বাজারের যে ঊর্ধ্বগতি এতে করে ভালো মাছ-মাংস কেনা কঠিন হয়ে গেছে। বাজারে এলে সবচেয়ে কম দামের মাংসের মধ্যে আছে একমাত্র ব্রয়লার মুরগি। তাই এটাই কিনতে হয় আমাদের। অন্য সোনালী, কক, লেয়ার,দেশি মুরগির অতিরিক্ত দামের কারণে কেনা হয় না বললেই চলে। আমাদের মতো মেসে থাকা মানুষদের জন্য ব্রয়লার মুরগিই ভরসা। ঠিক কবে যে অন্য মুরগি মেসের জন্য কিনেছি সেটা মনে করাই কঠিন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২১ জুলাই ২০২৩
ভারতের জনপ্রিয় হিন্দি চলচ্চিত্রশিল্প বলিউডকে প্রায়ই ‘পুরুষের জগৎ’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়।দীর্ঘদিন ধরেই বিষয়টি নিয়ে কথা হচ্ছে। তবে নতুন এক গবেষণায় বলিউডে পর্দা ও পর্দার বাইরে লিঙ্গসমতার করুণ চিত্র উঠে এসেছে।২১০ কোটি মার্কিন ডলারের চলচ্চিত্রশিল্প বলিউডে প্রতিবছর শত শত সিনেমা মুক্তি পায়। বিশ্বব্যাপী এসব সিনেমার প্রচুর দর্শক রয়েছেন।দর্শক-ভক্তদের চিন্তাভাবনা-কল্পনার ওপর সিনেমা ও চলচ্চিত্র তারকারা যে প্রভাব ফেলছেন, তা জোরের সঙ্গেই বলা যায়।কিন্তু পশ্চাৎগামিতা, কুসংস্কার প্রচার ও লিঙ্গবৈষম্যের জন্য বছরের পর বছর ধরে বলিউডের অনেক সিনেমার সমালোচনা হচ্ছে।ভারতের মুম্বাইয়ের টাটা ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সেসের (টিস) গবেষকেরা হিন্দি সিনেমায় পিতৃতন্ত্রের দাপট কতটা প্রকট, তা পরিমাপের চেষ্টা করেছেন। বলিউড নিয়ে এই প্রথম এ ধরনের গবেষণা হলো।গবেষকেরা তাঁদের গবেষণার জন্য ২০১৯ সালের বক্স-অফিস হিট হওয়া সিনেমাগুলোর মধ্য থেকে ২৫টি বাছাই করেন।এ ছাড়া ২০১২ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যকার ১০টি নারীকেন্দ্রিক চলচ্চিত্র গবেষকেরা বেছে নিয়েছিলেন। ২০১২ ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে একটি বাসে এক ছাত্রী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। এ নিয়ে তখন ব্যাপক বিক্ষোভ-প্রতিবাদ হয়। এর জেরে ভারত সরকার নারীর বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়ন-সংক্রান্ত কঠোর আইন প্রবর্তন করে। এই ঘটনার পর বলিউডের সিনেমার গল্পে কোনো পরিবর্তন এসেছে কি না, তা দেখতে চেয়েছিলেন গবেষকেরা।গবেষণার জন্য বাছাই করা বক্স-অফিস হিট সিনেমাগুলোর মধ্যে ছিল ‘ওয়ার’, ‘কবির সিং’, ‘মিশন মঙ্গল’, ‘দাবাং ৩ ’, ‘হাউসফুল ৪ ’, ‘আর্টিকেল ১৫ ’।আর নারীকেন্দ্রিক সিনেমাগুলোর মধ্যে ছিল ‘রাজি’, ‘কুইন’, ‘লিপস্টিক আন্ডার মাই বোরখা’, ‘মার্গারিটা উইথ আ স্ট্র’ ইত্যাদি।গবেষকেরা বাছাই করা সিনেমাগুলোর প্রায় দুই হাজার চরিত্র বিশ্লেষণ করেন। সিনেমায় চরিত্রগুলোর পেশার ধরন বিশ্লেষণ করেছেন গবেষকেরা। এ ছাড়া তাঁরা যৌনতা-সংক্রান্ত গৎবাঁধা ধারণা, ঘনিষ্ঠতা, হয়রানির মতো বিভিন্ন বিষয়ের আলোকে সিনেমাগুলো বিশ্লেষণ করেছেন।গবেষকেরা সিনেমাগুলোতে অংশ নেওয়া এলজিবিটিকিউ প্লাস ও প্রতিবন্ধী চরিত্রের সংখ্যা গুনে দেখেছেন। সিনেমায় তাঁদের চরিত্র কীভাবে চিত্রায়িত করা হয়েছে, তা তাঁরা দেখেছেন।সিনেমাগুলোতে কতজন নারী পর্দার পেছনে কাজ করেছেন, সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখেন গবেষকেরা।গবেষকেরা এই উপসংহারে পৌঁছান, নারীকেন্দ্রিক সিনেমাগুলো কিছুটা আশাবাদ তৈরি করে। কিন্তু বক্স-অফিস হিট হওয়া সিনেমাগুলো যৌনতাবাদী ও পশ্চাদ্গামী। এসব সিনেমায় নারী, এলজিবিটিকিউ প্লাস, প্রতিবন্ধীদের প্রতিনিধিত্ব শোচনীয়।যেমন গবেষণায় বিশ্লেষণ করা সিনেমাগুলোর চরিত্রের ৭২ শতাংশই পুরুষ। ২৬ শতাংশ নারী। ২ শতাংশ অন্যরা।গবেষণা প্রকল্পটির প্রধান অধ্যাপক লক্ষ্মী লিঙ্গম বলেন, বলিউডের সব বড় বড় পুরুষ চরিত্রের ওপর ভর করে বড় অঙ্কের আয় আসছে। আর চলচ্চিত্র নির্মাতারা বলছেন, খুব শক্তিশালী নারী চরিত্র দর্শকদের সঙ্গে যায় না।লক্ষ্মী বিবিসিকে বলেন, বলিউডে ভিন্ন কিছু করার চেষ্টা খুব কমই হয়েছে। কারণ, পুরুষতান্ত্রিকতা সিনেমার গল্পের ধারণা ও বর্ণনাকে আচ্ছন্ন করে রাখে। নির্মাতাদের মধ্যে এমন বিশ্বাস তৈরি হয়েছে যে এই ধরনের গল্পই দর্শক টানতে পারে, অর্থ আনতে পারে। তাই তারা এই সূত্রের মধ্যেই থাকেন।লক্ষ্মী আরও বলেন, সিনেমায় নায়ককে উচ্চবর্ণের পুরুষ হতে হবে। প্রধান নারী চরিত্রকে হতে হবে হালকা-পাতলা, সুন্দরী। তাঁকে হতে হবে নম্র, বিনয়ী, যিনি কথার চেয়ে অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে সম্মতিসূচক ভাব প্রকাশ করেন। যৌনতা প্রকাশ করে—এমন পোশাক পরেন তিনি।পর্দায় চরিত্রগুলো যে ভূমিকা পালন করে, তাতে একটি সংকীর্ণ লিঙ্গগত দৃষ্টিভঙ্গির বহিঃপ্রকাশ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন লক্ষ্মী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সিনেমাগুলোতে অভিনয় করা প্রধান নারী চরিত্রের ৪২ শতাংশ ছিলেন চাকরিজীবী, যা বাস্তবতার চেয়ে অনেক বেশি। কিন্তু সিনেমায় এই নারী চরিত্রগুলোর পেশা ছিল খুব গৎবাঁধা ধরনের।লক্ষ্মী বলেন, ১০ জনের মধ্যে ৯ জন পুরুষ চরিত্র সিদ্ধান্ত গ্রহণমূলক ভূমিকায় ছিলেন। এই চরিত্রগুলো ছিল সেনা কর্মকর্তা, পুলিশ, রাজনীতিবিদ ও গডফাদার। অন্যদিকে, নারী চরিত্রের বেশির ভাগই চিকিৎসক, নার্স, শিক্ষক ও সাংবাদিকদের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। ১০ জনের মধ্যে মাত্র ১ জন নারী সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভূমিকায় ছিলেন।গবেষণায় এলজিবিটিকিউ প্লাস চরিত্রগুলোর চিত্রায়ণে বড় ধরনের সমস্যা দেখা গেছে। তারা কখনোই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভূমিকায় ছিল না। চরিত্রকে প্রায়ই যৌনতাপূর্ণ রসিকতায় যুক্ত থাকতে দেখা গেছে। প্রতিবন্ধী চরিত্রের উপস্থিতি ও চিত্রায়ণও ভালো ছিল না।লক্ষ্মী বলেন, চলচ্চিত্র নির্মাতারা বলছেন, তাঁরা পর্দায় যা দেখাচ্ছেন, সেটিই বাস্তবতা। কিন্তু আরও অনেক বাস্তবতা রয়েছে, যা তাঁরা দেখান না।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ জুলাই ২০২৩
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যে একটি ভুট্টাখেতের মাটির নিচে সাত শতাধিক স্বর্ণমুদ্রার মজুত পাওয়া গেছে। এগুলো যুক্তরাষ্ট্রের গৃহযুদ্ধের (১৮৬১-১৮৬৫) সময়কার। উদ্ধার হওয়া এসব স্বর্ণমুদ্রা এখন বিক্রির জন্য তোলা হবে। ধারণা করা হচ্ছে, এগুলো লাখ লাখ ডলার মূল্যে বিক্রি হবে। চলতি বছরের শুরুর দিকে ব্লুগ্রাস স্টেটের একটি খামারে স্বর্ণমুদ্রাগুলো পাওয়া গেছে। ওই খামারের কর্তৃপক্ষ এবং স্বর্ণমুদ্রাগুলো বিক্রির দায়িত্ব পাওয়া কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, স্বর্ণমুদ্রার ওই মজুতকে গ্রেট কেন্টাকি হোর্ড নামে ডাকা হচ্ছে।তবে ঠিক কোন জায়গা থেকে এ স্বর্ণমুদ্রাগুলো উদ্ধার করা হয়েছে এবং যে ব্যক্তি এগুলোর সন্ধান পেয়েছেন, তাঁর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।উদ্ধার স্বর্ণমুদ্রাগুলো বিক্রির দায়িত্ব পেয়েছে গভমিন্ট ডটকম। ওই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে, এক ব্যক্তি মাটি খুঁড়ে স্বর্ণমুদ্রাগুলো বের করছেন।স্বর্ণমুদ্রাগুলো ১৮৪০ ও ১৮৬৩ সালের মাঝামাঝি সময়কার। এর মধ্যে আছে ১ ডলার গোল্ড ইন্ডিয়ানস, ১০ ডলার গোল্ড লিবার্টিস ও ২০ ডলার গোল্ড লিবার্টিস।এর মধ্যে ১৮টি অত্যন্ত বিরল ধরনের ২০ ডলার গোল্ড লিবার্টিস আছে। এগুলো ১৮৬৩ সালে ফিলাডেলফিয়াতে তৈরি করা।কয়েক মাস আগে ওই ব্যক্তি ভুট্টাখেতে স্বর্ণমুদ্রাগুলোর সন্ধান পাওয়ার পর বিরল মুদ্রা সংগ্রহকারী জেফ গ্যারেটের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।এক বিবৃতিতে গারেট বলেন, উদ্ধার হওয়া সাত শতাধিক স্বর্ণমুদ্রা গৃহযুদ্ধের সময়কার প্রতিনিধিত্ব করছে।১৮৬১-১৮৬৫ সাল পর্যন্ত দাসপ্রথাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রে গৃহযুদ্ধ হয়। তবে এটি কখনো রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়নি। এ গৃহযুদ্ধে কেন্টাকি নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছিল।সন্ধান পাওয়া স্বর্ণমুদ্রাগুলো পরীক্ষা করে এরই মধ্যে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছে নুমিসম্যাটিক গ্যারান্টি কোম্পানি। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এ প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন মুদ্রা পরীক্ষা ও বিশ্লেষণ করে থাকে।নুমিসম্যাটিক গ্যারান্টি কোম্পানির এক বিবৃতিতে বলা হয়, গ্রেট কেন্টাকি হোর্ড ওই সংঘাতেরই (যুক্তরাষ্ট্রের গৃহযুদ্ধ) ফলাফল। ১৫০ বছরের বেশি সময় ধরে এ মুদ্রাগুলো আড়ালে ছিল।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ জুলাই ২০২৩
সাভারে প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) থেকে গবেষণার জন্য রাখা ৩৮ মোরগ চুরি হয়ে গেছে।ঈদের আগের রাতে (২৮ জুন) ৫ নম্বর পিওরলাইন মেল শেড থেকে মোরগগুলো চুরি হয়। ঈদের ছুটির পর প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা বিষয়টি জানতে পারলেও চুরির কথা এতদিন গোপন রেখেছিলেন।সোমবার (১০ জুলাই) সকালে প্রতিষ্ঠানটির পোল্ট্রি গবেষণা শাখায় গিয়ে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। আর মোরগগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন মনিরুল ইসলাম নামের কর্মচারী।ওই কর্মচারী বলেন, শেডে ৩০০ মোরগ ছিল। ঈদের আগের রাতে শেড থেকে আরআরআই ও হোয়াইট লেগ হর্ন জাতের ৩৮ মোরগ চুরি হয়। আমরা সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করি। রাতে নিরাপত্তা কর্মীদের দায়িত্ব থাকে।জানতে চাইলে, পোল্ট্রি উৎপাদন ও গবেষণা বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. কামরুন নাহার মনিরা বলেন, এটা যদিও আমার গবেষণা তবে যে বিষয়টি জানতে চাইছেন সেটা প্রশাসনিক বিষয়। এ ব্যাপারে কথা বলা ঠিক হবে না।এ বিষয়ে বিএলআরআই এর মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১০ জুলাই ২০২৩
জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত বাকি আসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিহতের মেয়ে রাব্বিলা তুল জান্নাত (১৯)। গত মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে।ওই পোস্টে রাব্বিলা তুল জান্নাত লিখেন, ‘আমার আব্বু গোলাম রাব্বানী নাদিমকে মেরে ফেলা হয়েছে আজকে নিয়ে ৮ দিন হয়ে গেল। র্যাব কর্তৃক এজাহারভুক্ত ১ নম্বর আসামিসহ চারজন সর্বশেষ গ্রেপ্তার হয় ছয়দিন আগে।হাস্যকর বিষয় হলো–এখন পর্যন্ত ২ নম্বর আসামি ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত চেয়ারম্যানের ছেলে ফাহিম ফয়সাল রিফাত, ৩ নম্বর আসামি রাকিব বিল্লাহ, ৯ নম্বর আসামি শামিম খন্দকার, ইসমাইল হোসেন স্বপন মণ্ডলসহ এজাহারভুক্ত ১৭ জন আসামি কেন এখনো গ্রেপ্তার হলো না।প্রশাসন কি ঘুমিয়ে আছেন, ঘুমিয়ে থাকলে জেগে উঠুন। এক কলম হারিয়েছে, কিন্তু হাজার কলম আমাদের পাশে আছে।’তিনি আরও লিখেন, ‘সবার কাছে আমাদের চাওয়া একটাই, আমার বাবার খুনিরা যাতে রক্ষা না পায়। তারা যাতে দেশত্যাগ করতে না পারে। মামলা হয়েছে ৭ দিন। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মামলা হওয়ার পর একজন আসামিকেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ফলে আমাদের মনে স্বাভাবিকভাবেই নানা সন্দেহ দানা বাঁধছে।’গত ১৪ জুন (বুধবার) রাতে জামালপুরের বকশীগঞ্জে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন অনলাইন পোর্টাল বাংলানিউজের জেলা প্রতিনিধি গোলাম রব্বানী নাদিম। পরদিন বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে তিনি মারা যান।পরে নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। এর আগে ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বকশীগঞ্জ থানার–পুলিশ নয়জনকে আটক করে। এরপর আর কোনো আসামি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়নি।তবে মামলার আগে র্যাব ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৩ জনকে আটক করে। তাঁদের সবাইকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং আসামিদের বিরুদ্ধে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়।আদালত আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড দেন। এর মধ্যে প্রধান আসামি মাহমুদুল আলম বাবুর পাঁচ দিনের রিমান্ড আজ (শুক্রবার) শেষ হয়েছে।পুলিশের হাতে আটক নয়জনের মধ্যে সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ রয়েছে। বাকি চারজনকে পুলিশের তদন্তে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বর্তমানে মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে।গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন—প্রধান আসামি মাহমুদুল আলম বাবু, রেজাউল করিম, মো. মনিরুজ্জামান, মো. মিলন মিয়া, মো. গোলাম কিবরিয়া, জাকিরুল ইসলাম, শহিদুর রহমান, মো. তোফাজ্জল, আয়নাল হক, মো. কফিল উদ্দিন, মো. ফজলু মিয়া, মো. মুকবুল ও মো. ওহিদুজ্জামান।এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরমান আলী বলেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে আসামিদের কাছ থেকে অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্তের স্বার্থে ওই সব প্রকাশ করা যাচ্ছে না।তবে আশা করছি, খুব অল্প সময়ের মধ্যে বাকি আসামিরা গ্রেপ্তার হবেন। একই সঙ্গে মামলাটি আমরা খুব গুরুত্ব দিয়েই দেখছি এবং কাজ করছি।’এদিকে জামালপুর জেলা পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি কোনো কথা বলবেন না বলে সাফ জানিয়ে বলেন, ‘নাদিম হত্যার বিষয়ে আমি কোনো কথাই বলব না। আপনারা কার কাছ থেকে নেবেন নিয়ে লেখেন।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ জুন ২০২৩
বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আনন্দ আয়োজনে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (ডব্লিউইউএসটি) সমাবর্তন ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এটি দ্বিতীয় সমাবর্তন। এইবার ৭৬ জন শিক্ষার্থীকে তুলে দেওয়া হয়েছে তাদের গ্রাজুয়েশন সনদ ও সম্মাননা।গত শনিবার (১৮ জুন) ভার্জিনিয়ার জর্জ সি. মার্শাল হাইস্কুল মিলনায়তনে সম্পন্ন হয় এই গ্রাজুয়েশন সেরিমনি। কালো গাউন মাথায় গ্রাজুয়েশন হ্যাট পরে সেরিমনির মূল আকর্ষণ হয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের সনদ নেন, আনন্দ-উচ্ছ্বাসে ভরিয়ে তোলেন দিনটিকে।বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ, প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ক শিক্ষার্থীদের হাতে সনদ বিতরণের পাশাপাশি তাদের বক্তৃতায় তুলে ধরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থার কথা।অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে স্বীয় ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত অন্য আরো অনেক বাংলাদেশি-আমেরিকান। যারা এই গ্রাজুয়েশন-কনভোকেশনে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপ তাঁর বক্তৃতায় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, এখন যারা গ্রাজুয়েটেড হলেন তারা সবাই গত বছরগুলোতে একটি কঠিন ও অনিশ্চিত সময়ের মধ্যে দিয়ে গেছেন। কিন্তু আমি দেখেছি শিক্ষার্থীদের অসীম শক্তি ও আত্মপ্রত্যয়। আর সে কারণেই তারা সফল হতে পেরেছেন। আর তারই পথ ধরে তাদের সেই সাফল্যই আজ উদযাপিত হচ্ছে।ড. হাসান কারাবার্ক বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীরা শিক্ষার পাশাপাশি যে অভিজ্ঞতা অর্জন করে সেটিই সবচেয়ে বড় কথা। অভিজ্ঞতার কোনো বিকল্প কিছু নেই।দিনের পরের ভাগে সন্ধ্যায় অতিথিরা যোগ দেন কনভোকেশন ডিনারে। স্থানীয় একটি হোটেলে আয়োজিত এই ডিনারে অতিথিরা একজন বাংলাদেশি আমেরিকান হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম কোনো পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য আবুবকর হানিপকে অভিনন্দন জানান।২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে সফল বাংলাদেশি উদ্যোক্তা ইঞ্জি. আবুবকর হানিপের ব্যবস্থাপনা ও নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রে কোনো বাংলাদেশি আমেরিকানের হাতে পরিচালিত প্রথম কোনো পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে তথ্য-প্রযুক্তি, সাইবার সিকিউরিটি ও এমবিএ- বিবিএ কোর্সে বর্তমানে ছয় শতাধিক শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। বিশ্বের ১২১ দেশের শিক্ষার্থীরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ জুন ২০২৩
মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বরখাস্ত হওয়া মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হলেও এখনও ধরাছোঁয়ার বাহিরে আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা জাহাঙ্গীর ।এর আগে ২০২২ সালের ৩১ আগষ্ট ফরিদপুর ৩নং আমলী আদালতের বিজ্ঞ সিনিয়র ম্যাজিষ্ট্রেট এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘মানবিক বাংলাদেশ সোসাইটি’র পক্ষে সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউর রহমান বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলার সি আর নম্বর ৩৩৪/২১।এদিকে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোঃ শাহজাহানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদক কে বলেছিলেন তারা এখন পর্যন্ত গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ পায়নি।পরবর্তীতে জাহাঙ্গীরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি আদালতের কাছে থেকে জামিন নিয়েছেন। উল্লেখ্য, গত বছরের সেপ্টেম্বরে জাহাঙ্গীরের একটি মন্তব্যের অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে তোলপাড় শুরু হয়। ওই অডিওতে মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ এবং বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন তিনি। ওই ঘটনায় জাহাঙ্গীরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় আওয়ামী লীগ, তিনি তার জবাবও দিয়েছিলেন। তবে কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় জাহাঙ্গীরকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত আসে।এরপরই ওই বছরের ২৫ নভেম্বর তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন দেয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।প্রজ্ঞাপনে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ভুয়া টেন্ডার, আরএফকিউ, বিভিন্ন পদে অযৌক্তিক লোকবল নিয়োগ, বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে ও একই কাজ বিভিন্ন প্রকল্পে দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ এবং প্রতিবছর হাট-বাজার ইজারার অর্থ যথাযথভাবে নির্ধারিত খাতে জমা না রাখাসহ নানাবিধ অভিযোগের কথা উল্লেখ করা হয়।এদিকে গত ২২ আগস্ট মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে দেশের বিভিন্ন জেলায় করা সাতটি মামলায় তিনি আগাম জামিনও পেয়েছেন।সম্প্রতি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ১৪ মে গাজীপুরের বহিষ্কৃত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ মে ২০২৩
আগামী রোববার বাংলাদেশের কক্সবাজার ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের চকপিউ শহরের মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় 'মোখা'। এই ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় এরই মধ্যে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছে।জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড মেটেরলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের তথ্য মতে, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় সামুদ্রিক ঝড়ের ক্ষেত্রে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬৩ কিলোমিটারের বেশি হলে একে সাইক্লোন বলা হবে। বাতাসের গতি এর কম হলে সেটাকে বলা হয় নিম্নচাপ। সেই হিসাবে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে সাইক্লোন সৃষ্টি হয়নি। এটি এখনো গভীর নিম্নচাপ অবস্থায় আছে। শক্তি সঞ্চয় করে এটি সাইক্লোনে পরিণত হবে। তখনই এর নাম হবে 'মোখা'।ঘূর্ণিঝড়টির নাম কেন 'মোখা', তা নিয়ে অনেকের মধ্যে প্রশ্ন আছে। এই নামটি দিয়েছে ইয়েমেন। মোখা ইয়েমেনের লোহিত সাগর উপকূলে একটি বন্দর শহর। ঊনবিংশ শতাব্দীতে এটাই ছিল ইয়েমেনের প্রধান বন্দর শহর। কফি বাণিজ্যের জন্য বিখ্যাত ছিল এই বন্দর।উত্তর ভারত মহাসাগর তথা বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করে এই অঞ্চলের ১৩টি দেশ। জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড মেটেরলজিক্যাল অর্গানাইজেশন প্যানেল সদস্য দেশগুলো ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে এই নামগুলো গ্রহণ করেছে। দেশগুলো হলো বাংলাদেশ, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইয়েমেন। এই দেশগুলোর নামের আদ্যক্ষর অনুযায়ী তৈরি তালিকা থেকে পর্যায়ক্রমে ঘূর্ণিঝড়গুলোর নামকরণ হয়।তালিকা অনুযায়ী পরবর্তী ঘূর্ণিঝড়টির নাম হবে 'বিপর্যয়'। এই নামটি বাংলাদেশের দেওয়া। এর পরবর্তী পাঁচটি ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে যথাক্রমে তেজ (ভারত), হামুন (ইরান), মিধিলি (মালদ্বীপ), মিগজাউম (মিয়ানমার), রিমাল (ওমান)।ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের প্রচলন হয় ২০০০ সালে। ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের কারণ সম্পর্কে ওয়ার্ল্ড মেটেরলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, একটি ঘূর্ণিঝড় এক সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এই সময়ের মধ্যেই একই অঞ্চলে আরও ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়া অসম্ভব কোনো ব্যাপার নয়। এ কারণে ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হলে সম্ভাব্য বিভ্রান্তি এড়ানো সহজ হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ মে ২০২৩
দক্ষিণ বঙ্গোসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। ১০ মে রাতের মধ্যে এটি ঘুর্ণঝড়ে রূপ নেয়া সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের জেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক জানান, গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর প্রথমে উত্তর-পশ্চিম দিকে, এরপর উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে মিয়ানমার উপকূলে পৌঁছতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর নাম হবে মোখা (Mocha)।ঘূর্ণিঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থানকারী গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা ঝড়ো হাওয়া আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাগরের এ অংশ উত্তাল হয়ে পড়ছে।তবে বাংলাদেশ উপকূল এবং সবগুলো সমুদ্রবন্দর থেকে প্রায় ১৫০০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি, একারণে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে আপাতত ১ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। সাগরে অবস্থানকারী মাছ ধরা নৌকা-ট্রলারকে গভীর সমুদ্রে না গিয়ে উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে।এর আগে, মঙ্গলবার (৮ মে) দিনগত রাতে আন্দামান সাগর সংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থানকারী লঘুচাপটি আরও তীব্র হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়। সাগরে এমন বিরূপ আবহাওয়ার প্রভাবে দেশের আকাশ হয়ে পড়েছে মেঘ শূণ্য। ফলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে সারাদেশে বয়ে যাচ্ছে তাপ প্রবাহ।গেল ২৪ ঘন্টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায় ৪১.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১০ মে ২০২৩
বিশ্বের বৃহত্তম মহাদেশ এশিয়ার বিভিন্ন অংশে যেভাবে ফোস্কাপড়া তাপ প্রবাহ শুরু হয়েছে, তাতে চলতি ২০২৩ সাল পৃথিবীর উষ্ণতম বছর হতে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন জলবায়ুবিদরা।এল নিনো ধরনের আবহাওয়ার প্রভাবে ২০২৩ সালের শীত শেষ হতে না হতেই তাপমাত্রার পারদ যেভাবে চড়ছে, তা বিশ্বের উত্তর গোলার্ধের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর জন্য রীতিমতো অশনি সংকেত বলে মত বিশ্বের জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের।রোববার ভিয়েতনামের গড় তাপমাত্রা ছিল ৪৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এই দেশটির ইতিহাসে এটি সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। তাপমাত্রার প্রভাবে বিদ্যুতের চাহিদায় আকস্মিক উল্লম্ফন এবং তার জেরে ভিয়েতনামে প্রায় ভেঙে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা। প্রতিবেশী দেশ লাওসেও এ দিন রেকর্ডভাঙা তাপমাত্রা ছিল। দক্ষিণপূর্ব এয়িশার অপর দেশ ফিলিপাইনে প্রায় প্রতিদিন তাপমাত্রার সূচক ‘বিপজ্জনক’ পর্যায়ে থাকায় স্কুলের সময়ঘণ্টা কমাতে বাধ্য হয়েছে সরকার।তাপপ্রবাহ থেকে থেকে মুক্তি পাচ্ছেনা ফিলিপাইনের দুই প্রতিবেশী থাইল্যান্ড-মালয়েশিয়াও। গত সপ্তাহে প্রতিদিনই থাইল্যান্ডের উত্তর ও মধ্যাঞ্চালে তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর। তাপপ্রবাহের কারণে স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে বিদ্যুতের চাহিদাও। থাই জলবায়ুবিদরা সরকারের উদ্দেশে সতর্কবার্তা দিয়ে জানিয়েছেন, সামনের তিন বছর দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে খরা দেখা দিতে পারে; সরকারের উচিত আসন্ন এই দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখা।খরার আশঙ্কায় আছে মালয়েশিয়াও। দেশটির আবহাওয়া দপ্তর এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে, চলতি বছর মালয়েশিয়ায় বৃষ্টিপাত কমে যেতে পারে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত। যদি সত্যিই এমন হয়, সেক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ পাম ওয়েল উৎপাদনকারী এই দেশটির ভোজ্যতেলের মূল কাঁচামাল পামের উৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বৈশ্বিক জলবায়ুবিদদের মতে, ২০২৩ সালের মাঝামাঝি থেকে শুরু হতে যাওয়া এল নিনো আবাহাওগত প্যাটার্ন এই দীর্ঘস্থায়ী তাপপ্রাবাহের জন্য মূলত দায়ী এবং একে আরও অসহনীয় করে তুলছে মানবসৃষ্ট কারণে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির ব্যাপারটি।স্প্যানিশ ভাষার দুই শব্দ ‘এল নিনো’ এবং ‘লা নিনা’র আক্ষরিক বাংলা অর্থছোটো খোকা ও ছোটো খুকী। তবে গত কয়েকশ’ বছর ধরে এই শব্দ দু’টি দিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব উপকূলের জলবায়ুগত অবস্থা বা চক্রকে বোঝানো হয়। এই চক্রের একটি অংশের নাম ‘এল নিনো’ অপরটির নাম ‘লা নিনা’।কোনো কোনো বছর প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্বাঞ্চলীয় দেশ পেরু, ইকুয়েডর ও চিলির উপকূলে উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে এক প্রকার উষ্ণ সমুদ্র স্রোতের প্রবাহ লক্ষ্য করা যায়। গড়ে প্রতি ৬ থেকে ৭ বছর অন্তর অন্তর বিশেষ এই ব্যাপারটি ঘটে।এই উষ্ণ স্রোতের কারণে দক্ষিণ থেকে উত্তরমুখী শীতল সামুদ্রিক স্রোতের প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়, ফলে প্রশান্ত মহাসাগরের বিভিন্ন অঞ্চলের সমুদ্রে বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়, উদ্ভিদ প্ল্যাংকটনের পরিমাণ হ্রাস পায় এবং মাছের উৎপাদন কমে যায় এবং স্থলভাগের তাপমাত্রা বাড়ে।এল নিনোর প্রভাবে প্রশাসন্ত মহাসাগরের উপকূলবর্তী বিস্তীর্ণ অঞ্চলে খরা বা অনাবৃষ্টি দেখা দেয়। কোনো কোনো অঞ্চলে অতিবর্ষণও ঘটে থাকে।সাধারণত ২ থেকে ৪ বছর স্থায়ী হয় এল নিনো। তারপরই আসে ‘লা নিনা’। সে সময় এল নিনোর বিপরীত অবস্থা দেখে প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলবর্তী বিভিন্ন দেশ। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের জলবায়ু মডেলগুলোর তথ্য অনুযায়ী, গত তিন বছর প্রশান্ত মহাসাগরে লা নিনা আবহাওয়া প্যাটার্ন ছিল। ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের চাপ থাকা সত্ত্বেও খানিকটা কম ছিল বৈশ্বিক তাপমাত্রা; কিন্তু চলতি বছরের মাঝামাঝি বা তার কিছু পর থেকে লা নিনা শেষ হবে, শুরু হবে এল নিনো প্যাটার্ন।গত প্রায় তিন বছর ধরে খরা চলছে দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশভুক্ত আর্জেন্টিনা ও যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাংশে। বৈশ্বিক জলবায়ুবিদদের মতে, এল নিনো’র প্রভাবে হয়ত চলতি বছরই এই খরার অবসান হবে, কিন্তু একই সময়ে তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়তে থাকবে দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়াসহ অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল।আর এসব জায়গায় টানা ও দীর্ঘমেয়াদী তাপপ্রবাহের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হবে কফি, চিনি,পাম তেল ও কোকোয়ার মতো কৃষিপণ্যের উৎপাদন।সূত্র : ব্লুমবার্গ
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ মে ২০২৩
মা হতে চলেছেন বলিউড অভিনেত্রী ইলিয়ানা ডি’ক্রুজ। গত মাসেই অনুরাগীদের এ সুখবর দিয়েছেন তিনি। তবে সন্তানের বাবা কে? তা নিয়ে ক্রমাগত প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে অভিনেত্রীকে। একদিন আগেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পাতায় নিজের স্ফীতোদরের ছবি অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নেন ইলিয়ানা।সাদা-কালো ভিডিওতে তিনি, আর তার কাছেই রয়েছে তার পোষ্য। ইলিয়ানার হাতে কফির কাপ। ভিডিওতে লেখা, ‘লাইফ লেটলি’, আবহে ‘আ বিউটিফুল মর্নিং’ গান। নিজের জীবনের এই সময় যে চুটিয়ে উপভোগ করছেন অভিনেত্রী, তা স্পষ্ট এই ভিডিও থেকেই। তবে অস্বস্তিও যে কম রয়েছে, এমনটি নয়।গর্ভাবস্থার এই সময় নানা ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় হবু মাকে। সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরি থেকে অভিনেত্রী জানান, রাতে ঘুমোতে পারছেন না। বিছানার ওপর শুয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করছেন। সেই ছবির ক্যাপশনে ইলিয়ানা লিখলেন, যখনই ঘুমের চেষ্টা করছি, তখনই পেটের ভেতর ড্যান্স পার্টি শুরু হয়ে যাচ্ছে।বছর কয়েক আগে পর্যন্তও অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা অ্যান্ড্রু নিবোনের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন ইলিয়ানা ডি’ক্রুজ। তাকে একাধিকবার ‘স্বামী’ বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। ২০১৯ সালে সম্পর্কে চিড় ধরে ইলিয়ানা ও অ্যান্ড্রুর। তার পর থেকে নিজের প্রেমজীবন নিয়ে নীরবই থেকেছেন ইলিয়ানা।সম্প্রতি ক্যাটরিনা কাইফের ভাই সেবাস্তিয়ান লরেন্ট মিচেলের সঙ্গে নাম জড়ায় তার। একসঙ্গে ছুটি কাটাতেও দেখা গেছে চর্চিত যুগলকে। ইলিয়ানার অনাগত সন্তানের বাবা ক্যাটরিনার ভাই-ই কিনা, সে বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন অভিনেত্রী।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৬ মে ২০২৩
প্রথম আলো: নগরের উন্নয়নে আপনার পরিকল্পনা কী?আজমত উল্লা খান: গাজীপুর সিটি করপোরেশনকে আমি একটি পরিকল্পিত নগর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। শিল্পপ্রধান গাজীপুরে বসতি দিন দিন বাড়ছে। এ জন্য এই সিটি করপোরেশনকে চারটি জোনে (অঞ্চলে) ভাগ করতে চাই। সেগুলো হচ্ছে—আবাসিক, শিল্প, বাণিজ্যিক ও বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করে স্বাস্থ্যসেবা–সংক্রান্ত অঞ্চল। পরিকল্পনার কারণ হচ্ছে, আমরা আগামী প্রজন্মকে এই অসুস্থ পরিবেশে রেখে যেতে পারি না। আমি আমার পরিকল্পনাকে তিন স্তরে ভাগ করেছি। যারা এই লাইনে অভিজ্ঞ, তাদের নিয়ে পরিকল্পনা করে কাজটি করব, যদি আমি জয়ী হই। আমি গাজীপুর সিটি করপোরেশনকে দুর্নীতিমুক্ত সিটি করপোরেশন হিসেবে গড়ে তুলব। আমার নামে এক টাকার দুর্নীতিও নাই। এত দিন গাজীপুর সিটি করপোরেশনে যে বাজেট ও বরাদ্দ হয়েছে, তার সঠিক ব্যবহার হয়নি। যদি সঠিক ব্যবহার হতো, তাহলে আরও উন্নত হয়ে যেত। আজ এখানে কবরস্থান নেই, খেলার মাঠ নেই। এককথায় কিছুই নেই।প্রথম আলো: নির্বাচনী ইশতেহারে কী চমক থাকছে?আজমত উল্লা খান: ৯ মে প্রতীক বরাদ্দ হবে। তারপরই আমি আমার ইশতেহার তুলে ধরব। আমার নির্বাচনী ইশতেহারের প্রধান কথা হলো, সমৃদ্ধ ও সুষম গাজীপুর। আমরা এটাকে সমৃদ্ধ করতে চাই, আমরা এটাকে সুষম বণ্টনের আওতায় আনতে চাই।প্রথম আলো: জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ষড়যন্ত্র করে তাঁর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। আপনি কী মনে করেন?আজমত উল্লা খান: এ বিষয়ে আমার মন্তব্য নেই। তবে নির্বাচনের যে আচরণবিধি, আইন এবং ২০০৯ সালের সিটি করপোরেশন আইনের ভিত্তিতেই তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক উনাকে ঋণখেলাপি বলেছে। সে অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিয়েছে। এটা আমি বা আমাদের বিষয় নয়। এটা আইনের বিষয়। তিনি আপিল করতে চেয়েছেন। তাঁর আপিল করার সুযোগ আছে।প্রথম আলো: জাহাঙ্গীর আলম আপিলে টিকে গেলে আপনার কী করণীয়?আজমত উল্লা খান: আওয়ামী লীগে বিদ্রোহী প্রার্থী বলে কোনো প্রার্থী নেই। সবাই স্বতন্ত্র প্রার্থী। তাই তাঁকে নিয়ে আমাদের কোনো কিছু করণীয় নেই।প্রথম আলো: নির্বাচনে জাহাঙ্গীর আলমের মাকে নিয়ে আসার কারণ কী মনে করেন?আজমত উল্লা খান: জাহাঙ্গীর আলম হয়তো আগেই জানতেন তিনি নির্বাচন করার অযোগ্য হবেন। মাকে দিয়ে মনোনয়নপত্র কেনানোর অর্থ হতে পারে তিনি বর্তমান অবস্থা আগেই জানতেন। তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না, এটাও জানতেন। সে কারণেই হয়তো তিনি তাঁর মাকে প্রার্থী করেছেন।প্রথম আলো: জাহাঙ্গীর মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন। সেখানে তাঁর বড় দুর্বলতা কী ছিল?আজমত উল্লা খান: বিভিন্ন গণমাধ্যমে তাঁর (জাহাঙ্গীর আলম) অসংখ্য দুর্নীতির খতিয়ান বের হয়েছে। চাক্ষুষ অনেক কিছু আছে। সে বিষয়ে আমি বলতে চাই না। জনগণই বিষয়টি জানে এবং জনগণই তার জবাব দেবে।প্রথম আলো: আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ইসির চিঠির বিষয়ে আপনার কী বলার আছে?আজমত উল্লা খান: এটার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, নির্বাচন কমিশন এখানে গ্রহণযোগ্য ও অর্থবহ একটি নির্বাচন করতে চায়। কমিশনের এই চিঠির মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হয়েছে। আমি চিঠি পেয়েছি। তবে চিঠিতে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে মনে হয়েছে, আমি কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘন করিনি। তারা যেহেতু আমাকে ডেকেছে, আমি তাদের বিষয়টির জবাব দেব। আমি বিশ্বাস করি, আমি তাদের বুঝাতে সক্ষম হবে যে আমি কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘন করিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ মে ২০২৩
পদ্মা সেতুতে গাড়ি থামিয়ে ছবি তুলেছেন ঢাকাই সিনেমার ব্যস্ততম নায়িকা শবনম বুবলী।শনিবার দুপুর ২টার দিকে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে নিজের চারটি ছবি পোস্ট করেছেন বুবলী। এতে দেখা যায়, কালো পোশাকে পদ্মা সেতুর রেলিং ধরে পোজ দিয়েছেন তিনি। পাশেই দাঁড় করানো রয়েছে তার কালো একটি প্রাইভেটকার। ছবিগুলোর ক্যাপশনে কিছু না লিখলেও শুধু ভালোবাসার ইমো দিয়েছেন নায়িকা। ছয় ঘণ্টার ব্যবধানে ৮৩ হাজারের বেশি রিঅ্যাক্ট পড়েছে ছবিগুলোতে। মন্তব্য পড়েছে সাড়ে প্রায় ছয় হাজার।ছবিগুলো যে নেটিজেনদের পছন্দ হয়েছে, মন্তব্যে তাদের অনেকেই তা প্রকাশ করেছেন। তবে সেই সঙ্গে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে সেতুতে দাঁড়িয়ে ছবি তোলায় তোপের মুখেও পড়েছেন এই নায়িকা। অনেকেই মন্তব্যের ঘরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।একজন নেটিজন লিখেছেন, ‘ছবি অনেক সুন্দর লাগছে। পদ্মা সেতুতে দাঁড়ানো নিষেধ। আইন অমান্যকারীকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।’আরেকজন লিখেছেন, ‘প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, নিয়ম ভঙ্গ করার জন্য উনাকে আইনের আওতায় আনা হোক।’অন্য একজন লিখেছেন, ‘প্রশাসন কি এদের চোখে দেখে না।’ আবার কেউ লিখেছেন, ‘এদের কেউ জরিমানা করে না?’ এমন অসংখ্য মন্তব্য করেছেন নেটিজেনরা।পদ্মা সেতু পাড়ি দেওয়ার সময় সেতুর ওপরে কোনো যানবাহন থামানো যাবে না এবং গাড়ি থেকে নেমে ছবি তোলা বা হাঁটাহাঁটি করা যাবে না; এমন বেশ কিছু নিয়ম করে গত বছর ২৩ জুন গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ এপ্রিল ২০২৩