বিশেষ সংবাদ


যুক্তরাষ্ট্রে আইটি শিক্ষায় অবদান রাখার জন্য ফোবানার বিশেষ অ্যাওয়ার্ড পেলেন আবুবকর হানিপ

যুক্তরাষ্ট্রে আইটি শিক্ষায় অবদান রাখার জন্য ফোবানার বিশেষ অ্যাওয়ার্ড পেলেন আবুবকর হানিপ

যুক্তরাষ্ট্রের এলিনয় অঙ্গরাজ্যের শিকাগোতে শেষ হলো উত্তর আমেরিকার প্রবাসী বাঙালিদের মিলনমেলাখ্যাত ফেডারেশন অব বাংলাদেশি অ্যাসোশিয়েশন্স ইন নর্থ আমেরিকা (ফোবানা) সম্মেলন। শিকাগো শহরের প্রাণকেন্দ্রে স্বাগতিক সংগঠন ‘বাংলাদেশ অ্যাসোশিয়েশন অব শিকাগোল্যান্ড’-এর আয়োজনে তিন দিনব্যাপী ৩৬তম ফোবানা সম্মেলন ২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার শুরু হয়ে শেষ হলো ৪ সেপ্টেম্বর রোববার। উত্তর আমেরিকার ৬০টিরও বেশি বাংলাদেশি-আমেরিকান সংগঠন এই সম্মেলনে অংশ নেয়। এছাড়া সম্মেলনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের নানা প্রান্ত থেকে শত শত প্রবাসী বাংলাদেশি যান শিকাগোতে। এদের মধ্যে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে অন্যতম বাংলাদেশি আমেরিকান শিক্ষা উদ্যোক্তা ওয়াশিংট ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপ। যুক্তরাষ্ট্রে আইটি শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ফোবানা সেন্টার কমিটির পক্ষ থেকে সম্মামনা দেয়া হয় ওয়াশিংটন ইউনিভাসির্টি অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজির চ্যান্সেল ইঞ্জিনিয়ার আবু বকর হানিপকে। কমিউনিটি সেবায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে ভূষিত করা হয় বিশেষ পুরস্কারে। আবুবকর হানিপের দুই প্রতিষ্ঠান ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ও পিপলএনটেক এই আয়োজনের গোল্ড স্পন্সর।স্কোকি শহরের ডাবল ট্রি হিলটন হোটেলের বল রুমে শুক্রবার সন্ধ্যায় ‘এক্সিকিউটিভ ডিনারে’ অন্য অতিথিদের সঙ্গে অংশ নেন আবুবকর হানিপ। তিনি এতে বক্তব্য রাখেন। এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের এদেশে উচ্চতর শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, একমাত্র শিক্ষা ও প্রযুক্তিজ্ঞানই পারবে বাংলাদেশিদের এদেশে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে।এ জন্য তিনি বাংলাদেশিদের তার পরিচালনায় এগিযে যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসার আহ্বান জানান। এবং সন্তানদেরও এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাতে বলেন।পরে সন্ধ্যায় নর্থ শোর সেন্টার ফর পারফর্মিং আর্টস-এ শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। সেখানে ফোবানা নির্বাহী কমিটি ও হোস্ট কমিটির সকলের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।এ সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাঠানো বাণী পাঠ করেন এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি মাসুদ রব চৌধুরী এবং প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমেদের বাণী পাঠ করেন সম্মেলনের আহ্বায়ক মকবুল এম আলী।সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন ফোবানার চেয়ারপার্সন রেহান রেজা, মাসুদ রব চৌধুরী, মকবুল এম আলী, সাঈদ আহমেদ কোকো। আলোচনা সভায় ফোবানার চেয়ারপার্সন রেহান রেজা বলেন, একটি মহল ফোবানার সুনামকে বিনষ্ট করতে ফোবানার নাম ব্যবহার করে লস আঞ্জেলসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।তিনি আরও বলেন, ফোবানা সম্মেলন শুধুমাত্র নাচগানের বিনোদন নয়, আর্তমানবতার জন্যও কাজ করে ফোবানা। মহামারি করোনাকালে অসহায় মানুষের পাশে গিয়ে পৃথক পৃথকভাবে সাহায্য করেছেন ফোবানার নেতৃবৃন্দ। দেশে বন্যার্ত মানুষের সাহায্য ছাড়াও প্রবাসে বেড়ে ওঠা শিক্ষার্থীদের শিক্ষা বৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থাও করেছেন ফোবানা

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২


নতুন শিক্ষাক্রমে ধর্ম শিক্ষা বাদ দেওয়ার তথ্যকে গুজব বললেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি

নতুন শিক্ষাক্রমে ধর্ম শিক্ষা বাদ দেওয়ার তথ্যকে গুজব বললেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি বলেছেন, নতুন শিক্ষাক্রমে ধর্ম শিক্ষা বাদ দেওয়ার যে তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে তা সঠিক নয়। এটি গুজব। শনিবার (২৭ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরাম খা মিলনায়তনে ‘ওরিয়ন ট্রেক উইথ নিশাত’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।মন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি বিশেষ মহল সরকারবিরোধী প্রচারণার অংশ হিসেবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা আর কোনো ইস্যু খুঁজে না পেয়ে নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করছে। যেখানে ধর্ম শিক্ষা বাদ দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। এটি একেবারেই সত্য নয়। নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে যতগুলো অপপ্রচার ছিল, সেগুলো ইতোমধ্যে আমরা জনগণের সামনে তুলে ধরেছি।নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার পরিধি আরও প্রসারিত হবে বলে মন্তব্য করে দীপু মনি। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান দক্ষতা, মূল্যবোধ প্রসারিত করতে আমরা কাজ করছি। এই শিক্ষাক্রমে ধর্ম, নৈতিকতা, মূল্যবোধ এগুলো একেবারেই অবিচ্ছেদ অংশ। এগুলো থাকছে।ধর্ম শিক্ষা বাদ দেওয়ার প্রশ্নই আসে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, দক্ষতা ও জ্ঞানকে যেভাবে প্রসারিত করা হচ্ছে, সেখানে কোনো বিশেষ শিক্ষাকে সংকুচিত করার তথ্য একেবারেই সঠিক নয়।এসময় শিক্ষামন্ত্রী নিশাত মজুমদার ও পারমিতা প্রজ্ঞার মানাসলু যাত্রার বিষয়ে বলেন, নারীরা সব দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী ২৯ আগস্ট নিশাত মজুমদার ও পারমিতা প্রজ্ঞা মানাসলু জয়ে যাবেন। তারা বাংলাদেশের পতাকা উড়াবেন পর্বত চূড়ায়। নিশাত জয় করে আসবে আর আমরা তার গল্প শুনব। নিশাত শুধু পর্বতজয়ী নারী নয় বরং আমাদের সবার অনুপ্রেরণা।তিনি বলেন, মানুষ স্বপ্ন দেখায় আর বঙ্গবন্ধু সব বাধাকে অতিক্রম করে জয় করা শিখিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী সেই স্বপ্ন দেখাচ্ছেন জাতিকে। আর বাঙালি সাধারণ মেয়ে অথচ দুঃসাহসী কাজ করেন নিশাতরা।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ আগস্ট ২০২২


মদ্যপান করে ছাত্রীদের ওয়াশরুমে ছাত্রলীগ নেতা

মদ্যপান করে ছাত্রীদের ওয়াশরুমে ছাত্রলীগ নেতা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) ‘মদ্যপ’ অবস্থায় ছাত্রীদের ওয়াশরুমে ঢুকে এক ছাত্রীকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। বুধবার (১৭ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর নাম তানজিন আল আলামিন। তিনি ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।আল আলামিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি সংসদের সভাপতি এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সংস্কৃতিবিষয়ক উপ-সম্পাদক।হয়রানির শিকার ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী। ঘটনার বিচার চেয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন (ই-মেইলে পাঠিয়েছেন)।অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, ‘নারীদের জন্য নির্ধারিত ওয়াশরুম ব্যবহারকালে তানজিন আল আলামিন মদ্যপ অবস্থায় নারীদের ওয়াশরুমে প্রবেশ করে একটি টয়লেটের দরজা খোলা রেখে অর্ধনগ্ন হয়ে মূত্রত্যাগ করতে থাকেন এবং আমার দিকে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করেন। আমি প্রচণ্ড ভীত ও উদ্বিগ্ন হওয়ার পরও ওই ব্যক্তি বের হয়ে চলে যাওয়ার সময় আমি এবং আমার বন্ধুরা তাকে জিজ্ঞাসা করতে গেলে তিনি এলোমেলো কথা তাচ্ছিল্যের সুরে বলতে থাকেন। তবুও তার ভুল স্বীকার করেননি। তার সঙ্গে থাকা আরও কয়েকজনসহ আমাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যান। এমতাবস্থায় আমি তার দ্বারা হওয়া হয়রানি ও হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে অনিরাপদ বোধ করছি এবং মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। উক্ত এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ তদারকির মাধ্যমে দোষী ব্যক্তি ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি চেয়ে বিচার প্রার্থনা করেন।এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার বিকেলে ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, ‘আমি এখনো মানসিক ট্রমার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই আমি। অভিযুক্ত আল আলামিন এখনো আমাকে বিভিন্নভাবে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করছেন। আজ ছুটির দিন হওয়ায় ইমেইলের মাধ্যমে অভিযোগপত্র সাবমিট করেছি। আগামীকাল আমি সরাসরি গিয়ে লিখিত অভিযোগ দেব।’অভিযোগ অস্বীকার করে তানজিন আল আলামিন বলেন, ‘ইচ্ছাকৃতভাবে নয়, ভুল করে আমি মেয়েদের ওয়াশরুমে ঢুকে যাই। সামনে তাকাতেই একটা মেয়ে দেখায় আমি বিষয়টি বুঝতে পারি এবং কাজ সেরে দ্রুত বের হয়ে যাই। মেয়েটি চিৎকার করতে থাকে এবং বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা তার বয়ফ্রেন্ড আমাকে নানা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। আমি তাদের বলেছি যে ইচ্ছাকৃতভাবে আমি প্রবেশ করিনি। তারপরও তারা বিষয়টি নেগেটিভলি নিয়েছেন। পরে আমি তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে সেখান থেকে বিদায় নিই।’মদ্যপ থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি দুঃখজনক, আমি বারবার স্যরি বলার পরও তিনি আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন। আমি কোনোভাবেই মদ্যপ অবস্থায় ছিলাম না।’এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ফোন করে আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। অভিযোগপত্র এখনো পাইনি। সেটি পেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’তবে অভিযোগপত্র পাওয়ার বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান লিটু। তিনি বলেন, ‘আজ ছুটির দিন হওয়ায় তাকে (ভুক্তভোগী) ইমেইলে অভিযোগপত্র দিতে বলেছি। তিনি অভিযোগপত্র পাঠিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দিন দুপুর ১২টার মধ্যে হার্ডকপি জমা দিতে বলেছি। তারপর বিষয়টি আমরা দেখব।’সূত্র: ঢাকা পোষ্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ আগস্ট ২০২২


পিপলএনটেকের প্রেসিডেন্ট ফারহানা হানিপের পদ্মা সেতু ভ্রমণ

পিপলএনটেকের প্রেসিডেন্ট ফারহানা হানিপের পদ্মা সেতু ভ্রমণ

পিপলএনটেক ইনস্টিটিউট অফ আইটির প্রেসিডেন্ট ও ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সাইন্স এন্ড টেকনোলজির সিএফও ফারহানা হানিপ গতকাল (৯ আগস্ট) বাংলাদেশের বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু ভ্রমণ করেন। এ সময় বাংলাদেশে অবস্থিত পিপলএনটেকের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীরাও উপস্থিত ছিলেন। পদ্মা সেতু ভ্রমণ শেষে মুন্সিগঞ্জের ঢালি'স আম্বার রিসোর্টে মধ্যাহ্ন ভোজনের মাধ্যমে একটি বনভোজনের আয়োজন করেন।প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট ফারহানা হানিপ বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠান উদ্বোধন ঘোষণা করেন।এসময় পদ্মা সেতু পরিদর্শনে আরো উপস্থিত ছিলেন পিপলএনটেক ইনস্টিটিউট অফ আইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাশরুল হোসেন খান লিওন। ভ্রমণ শেষে বিকেলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রিসোর্টে বিশ্রাম, সুইমিং, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।পিপলএনটেক কর্মীদের অংশগ্রহণে ছেলেদের ফুটবল খেলা, চোখ বেঁধে হাড়িভাঙ্গা, মেয়েদের চামচে মার্বেল নিয়ে দৌড় এবং কেউ নিতে চায় না খেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।খেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন পিপলএনটেক প্রেসিডেন্ট ফারহানা হানিপ। খেলা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরন করেন।এসময় তিনি ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি ও পিপলএনটেকের বাংলাদেশের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের একসাথে কাজ করার আহবান জানান এবং ভবিষ্যতে কাজের গতি আরো বাড়বে জানিয়ে পিপলএনটেক ও ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির ভবিষ্যত সফল করার সহযোগিতা কামনা করেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১১ আগস্ট ২০২২


যিনি নিজেই নিজের পথপ্রদর্শক

যিনি নিজেই নিজের পথপ্রদর্শক

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি'র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রবীণ মানুষ। সত্তরোর্ধ্ব এই বয়সে কঠিন এক সময়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছেন তিনি। যে সময়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা, গণতন্ত্রের মাতা, দেশনেত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে একটি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে রেখে বিনা ভোটের সরকার জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। দেশনেত্রী কারাগারে, দলের পরবর্তী কান্ডারী বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের শক্তির প্রতীক বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশদরদী তারেক রহমান সুদূর লন্ডনে। বিএনপি মহাসচিব নির্বাচনকে সামনে রেখে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা নিয়ে সক্রিয় হয়ে উঠেন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো'র ঐক্য তৈরি করতে।এখানে বলে রাখা দরকার, ২০১৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি'র সভায় দেশনেত্রী তার বক্তৃতায় ঐক্যপ্রক্রিয়ার দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। ম্যাডাম কারাগারে যাবার পর মহাসচিবসহ স্হায়ী কমিটি সদস্যগণ যখন কারাগারে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তখন তিনি চূড়ান্ত নির্দেশ দিয়েছিলেন। জাতীয় নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন সময় তাদের বক্তব্যে তা উল্লেখ করেছেন। এরপর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সরাসরি তদারকিতে বিএনপি স্হায়ী কমিটির দুজ'ন সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে (প্রয়াত) সঙ্গে করে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট রেখেই অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে যৌক্তিক ভাবে তৈরি করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যার অগ্রভাগে ছিলেন সংবিধান প্রণেতা গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। বলা চলে নিয়তির টানেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই লড়াইয়ের সামনের কাতারে দাঁড়িয়ে যেমন কাজ করতে হয়েছে এবং এখনো কাজ করতে হচ্ছে। একনিষ্ঠভাবে তিনি লক্ষ্য স্থির রেখে ধৈর্যের সাথে সঠিক পদক্ষেপ রেখে গুরুদায়িত্ব এখনো পালন করে যাচ্ছেন। বিশেষত, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ সাল থেকে আজ অবধি যা ঘটেছে সেখানে তিনি নিজেই নিজের পথপ্রদর্শক।গণতন্ত্রের প্রতীক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অভিভাবক স্থানে রেখে, সুদূর লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় রাজনৈতিক জীবনে সবচাইতে জটিল পরিস্থিতির মধ্যে দেশ ও দলের জন্য উজ্জ্বল এক যাত্রাপথ রচনা করে চলেছেন; সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীর প্রত্যাশার চূড়া নির্মাণে যিনি নিবেদিত, তিনি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। স্বৈরশাসক এরশাদ সরকারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্রহীন বাংলাদেশে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে এনে প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা, প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হয়ে ওঠা ম্যাডাম খালেদা জিয়ার নবদিগন্তের সূচনা বড় সাফল্য ছিল। তার এই সাফল্যের ছায়ায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দুই অর্জনে হতে পারেন কীর্তিমান। প্রথমত, অঘোষিত বাকশাল, বিনাভোটের আওয়ামী সরকার ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি করার গভীর ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আস্থা অর্জনের মধ্যে দিয়ে এবং দলের স্বার্থ রক্ষায় বড় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন নিজে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ না নিয়ে। দ্বিতীয়ত, দেশে লাগামহীন দূর্নীতি, নিত্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি, অর্থনীতি সংকট, জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধি, পরিবহন খাতে নৈরাজ্য, কৃষি খাতে ব্যয় বৃদ্ধি, নজিরবিহীন বিদ্যুৎ লোডশেডিং-এ নাভিশ্বাস, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বানিজ্য, পররাষ্ট্র নীতিতে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যেখানে সরকার সর্বতই বীরদর্পে ব্যর্থ, সেখান থেকে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বর্তমানে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর যুগপৎ আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে দেশে গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য "সরকার বিরোধী ঐক্য গঠন", আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করানো, দেশনেত্রী'র মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে সম্মানজনকভাবে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করানো, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনায় গুণগত পরিবর্তন প্রতিজ্ঞায়, ‘জাতীয় সরকার গঠন করা’। প্রথম রাজনৈতিক সংগ্রামের পর দ্বিতীয় এই সাফল্যের মধ্যে দিয়ে অর্থনীতির শিক্ষক, ছাত্ররাজনীতির অভিজ্ঞান থেকে বাংলাদেশের রাজনীতির ক্রান্তিকাল পরিভ্রমণশেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হয়ে উঠতে পারেন একজন কীর্তিমান। লেখক : শায়রুল কবির খান, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিকর্মী, সদস্য, বিএনপি মিডিয়া সেল ও চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ আগস্ট ২০২২


বিজয় লক্ষী নারী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব

বিজয় লক্ষী নারী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব

কোন রনে কত খুন দিল নর, লেখা আছে ইতিহাসে। কত নারী দিল সিথীর সিদুর, লেখা নাই তার পাশে।কত মাতা দিল হৃদয় উপারি, কত বোন দিল সেবা।বীরের স্মৃতির স্থম্ভের গায়ে, লিখিয়া রাখিছে কে বা?কোন কালে একা হয়নিকো জয়ী, পুরুষের তরবারি। প্রেরণা দিয়েছে, শক্তি দিয়েছে, বিজয় লক্ষী নারী।।জাতিরপিতার ছায়াসঙ্গী থেকে যে নারী, জাতির পিতাকে সাহস জুগিয়েছেন, প্রেরণা জুগিয়েছেন, পরামর্শ দিয়েছেন, তিনি বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।আজ ৮ আগস্ট সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিন। ১৯৩০ সালের এ দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।তাঁর ডাক নাম ছিল ‘রেনু’। পিতার নাম শেখ জহুরুল হক ও মাতার নাম হোসনে আরা বেগম। দাদা শেখ কাসেম চাচাত ভাই শেখ লুৎফর রহমানের ছেলে শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে বেগম ফজিলাতুন্নেছার বিয়ে দেন। গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা নেন। এরপর সামাজিক রীতি-নীতির কারণে গ্রামে গৃহশিক্ষকের কাছে লেখাপড়া করেন। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনে তার সহধর্মিনী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব তাকে সাহস দিয়েছেন। পাশে থেকে নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক ব্যস্ততা ও কারাজীবনে পরিবারের হাল ধরা, আত্মীয়-স্বজন ও সামাজিক পরিসরে যোগদান করা, ছেলেমেয়েদের দেখাশোনা, লেখাপড়ার সব দায়িত্বই তিনি নিজের হাতে নিয়েছিলেন।বঙ্গবন্ধু কারাঅন্তরীণ হলে দলীয় নেতাকর্মীদের সুখ-দুঃখের সাথী হয়ে তাদের খোঁজখবর রাখতেন ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। স্বামীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি সন্তানদের গড়ে তোলেন। রাজনৈতিক জীবনের অনেক জটিল সংকট পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে পরামর্শ দিতেন এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহযোগিতা করতেন তিনি। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করার পর তদানীন্তন পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করে গ্রেফতারের হুমকি দেয়।বাঙালি জাতির সুদীর্ঘ স্বাধীকার আন্দোলনের প্রতি পদক্ষেপে সক্রিয় সহযোগিতা করেছেন তিনি। স্বামীর আদর্শ বাস্তবায়ন করবার জন্য ছায়ার মতো তাকে অনুসরণ করেছেন।বঙ্গবন্ধু জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ সময় বছরের পর বছর কারাগারে কাটিয়েছেন। তাঁর অবর্তমানে মামলা পরিচালনার ব্যবস্থা করা, দলকে সংগঠিত করতে সহায়তা করা, আন্দোলন পরিচালনায় পরামর্শ দেওয়াসহ প্রতিটি কাজে তিনি যুক্ত থেকেছেন ফজিলাতুন্নেসা। আন্দোলন চলাকালে তিনি প্রতিটি ঘটনা জেলখানায় সাক্ষাৎকারের সময় বঙ্গবন্ধুকে জানাতেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও নির্দেশ নিয়ে আসতেন, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগকে সে নির্দেশ জানাতেন। নেপথ্যে থেকে তিনি ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছিলেন। তিনি পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার চোখ বাঁচিয়ে সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতেন।১৯৭১-এর ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হওয়ার পর বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হানাদার বাহিনীর চোখ এড়িয়ে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, শেখ জামাল, শেখ রাসেল প্রমুখ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অবরুদ্ধ ঢাকা শহরে আত্মগোপন করেন। কিন্তু পাক বাহিনী ক্ষিপ্ত হায়েনার মতো তাঁদের খুঁজে বেড়ায়। কিছু দিন বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়ে পালিয়ে থাকলেও শেষাবধি পাকিন্তানি সামরিক গোয়েন্দারা তাদের মগবাজারের একটি বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। এর পর বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে পরিবারের অপরাপর সদস্যদের সঙ্গে ধানমন্ডির ১৮ নং সড়কের একটি বাড়িতে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয় এবং পাক বাহিনীর আত্মসমর্পনের পর ১৯৭১-এর ১৭ ডিসেম্বর তাদের বন্দিদশার অবসান ঘটে। এই মহীয়সী নারী জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে দেশ ও জাতির সেবা করে গেছেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার সময় পরিবারের অপরাপর সদস্যদের সঙ্গে বেগম মুজিবকেও মানবতার শত্রু, ঘৃণ্য ঘাতক, দুশমনের দল নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে।বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের প্রতিটি ধাপে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী হিসেবে নয়, একজন নীরব দক্ষ সংগঠক হিসেবে যিনি নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে বাঙালির মুক্তি সংগ্রামে ভূমিকা রেখেছেন এবং বঙ্গবন্ধুকে হিমালয় সমআসনে অধিষ্ঠিত করেছেন তিনি বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।সেই মহীয়সী নারীর জন্মদিনে, উনাকে স্মরণ করছি অতল শ্রদ্ধায়।লেখক - কৃষিবিদ দীপক কুমার বনিক দীপু। সদস্য, কেন্দ্রীয় উপকমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ আগস্ট ২০২২


বহুমাত্রিক অনন্য সৃষ্টিশীল প্রতিভার অধিকারী তারুণ্যের দীপ্ত প্রতীক শেখ কামাল

বহুমাত্রিক অনন্য সৃষ্টিশীল প্রতিভার অধিকারী তারুণ্যের দীপ্ত প্রতীক শেখ কামাল

ছাত্রলীগের অগ্রজ শেখ মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন ভাই এর লেখা 'ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথা' বইটি পড়ছিলাম। এক জায়গায় এসে চোখ থমকে দাঁড়ালো, অশ্রুসজল অনুভব করছিলাম এই ভেবে যে, একজন অমায়িক সজ্জন একজন মানুষকে, কতভাবেই না মৃত্যু পরবর্তীতে ইতিহাস বিকৃতির স্বীকার হতে হয়েছে। জাহিদ ভাই, ৬৯ এর গন অভ্যুত্থান এর স্মৃতিচারণ করে উনি লিখেছেন, "১৯৬৯ সাল। সেই উত্তাল সময়ের ফেব্রুয়ারীর ১৯ অথবা ২০ তারিখ, ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে ঢাকা শহরে এক বিশাল মিছিল বের করা হয়েছিল। দুই লাইনের বিশাল সেই মিছিলটি উত্তেজনা, বিশালতা এবং নিয়ন্ত্রণের বিবেচনায় আজও সম্ভবত অনন্য। যাহোক, সেই মিছিলে আমরা পূর্বপরিকল্পনা মতো ছড়িয়ে ছিলাম এবং ভাগ ভাগ করে দুই লাইনের মাঝখান দিয়ে হেঁটে স্লোগান দিচ্ছিলাম। আমার পরেই ছিল শেখ কামাল। মাথায় রুমাল বেধে শেখ কামাল তার নিজস্ব ভঙ্গিমায় আগে পিছে দুলে দুলে স্লোগান দিচ্ছিল আর তার চারপাশের সঙ্গীরাও বেশ সাড়া দিচ্ছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে খেয়াল করলাম লোকজন আস্তে আস্তে শেখ কামালের কাছ থেকে সরে যাচ্ছে। বেশ কিছু লোক এগিয়ে আমার দিকে চলে এসেছে আবার কিছু লোক পিছিয়ে সৈয়দ শাহেদ রেজা এবং নজরুল ইসলাম (ঢাকা কলেজ) যেখানে স্লোগান দিচ্ছিল সেদিকে চলে যাচ্ছে। বিষয়টি চোখে পড়ার মতো, আমি আমার স্লোগান সহকর্মী শাহাবউদ্দিনকে ধরিয়ে দিয়ে এগিয়ে আসা একজনকে জিজ্ঞাসা করলাম তাদের সামনে-পিছনে সরে পড়ার কারণ। লোকটি কোনরকম দ্বিধা না করে সরাসরি শেখ কামালের দিকে আঙ্গুল উচিয়ে বেশ জোরে প্রচণ্ড ঝাঁঝের গলায় বলল, 'ওই বেটা নিশ্চয়ই পাকিস্তানীদের দালাল, সব স্লোগান দেয় কিন্তু শেখ মুজিবের মুক্তির স্লোগান দেয় না।' স্পষ্টতই আমি হতবাক। কামালও ওইভাবে ওর দিকে আঙ্গুল উচিয়ে জোরে কটাক্ষ করে কথা বলায় হতভম্ব হয়ে থমকে দাঁড়িয়ে পড়েছে। কোনোরকমে নিজেকে সামলে নিয়ে বললাম যাকে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে একথা বলছেন, সে শেখ মুজিবের বড় ছেলে শেখ কামাল। সেজন্যই বাবার মুক্তির স্লোগান নিজে দিতে পারছে না। লোকটি কতক্ষণ শেখ কামালের দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থেকে এক দৌঁড়ে গিয়ে সোজা শেখ কামালকে ঘাড়ে তুলে নিল, তারপর শুধু একই স্লোগান, তোমার নেতা আমার নেতা, শেখ মুজিব-শেখ মুজিব, জেলের তালা ভাংবো শেখ মুজিবকে আনবো, শেখ মুজিবের মুক্তি চাই, দিতে হবে ইত্যাদি। সেদিন মিছিলের অন্যান্য যায়গায় দুই লাইন রাখা সম্ভব হলেও শেখ কামালের স্থানে আর সেটি রাখা সম্ভব হয়নি। আর দেখলাম সদা প্রাণচঞ্চল শেখ কামালকে, একটু আগেও যে নেচে নেচে হেলে দুলে তার স্বাভাবিক ভঙ্গিমায় স্লোগান দিচ্ছিল, এখন বাকহারা হয়ে অশ্রুসিক্ত নয়নে নীরবে হেঁটে চলছে। হয়ত সে মুহুর্তে সাধারণ মানুষের ভালোবাসার অনুভূতি তার অন্তরকে গভীরভাবে আপ্লুত করেছিল।" শেখ কামালের জীবন অধ্যায়ের শুরু কথা বঙ্গবন্ধু তার 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী'তে লিখেছেন এভাবে,"একদিন সকালে আমি ও রেণু বিছানায় বসে গল্প করছিলাম। হাচু ও কামাল নিচে খেলছিল। হাচু মাঝে মাঝে খেলা ফেলে আমার কাছে আসে আর 'আব্বা' 'আব্বা' বলে ডাকে। কামাল চেয়ে থাকে। একসময় কামাল হাচিনাকে বলছে, "হাচু আপা, হাচু আপ, তোমার আব্বাকে আমি একটু আব্বা বলি।" আমি আর রেণু দুজনেই শুনলাম। আস্তে আস্তে বিছানা থেকে উঠে যেয়ে ওকে কোলে নিয়ে বললাম, "আমি তো তোমারও আব্বা।" কামাল আমার কাছে আসতে চাইত না। আজ গলা ধরে পড়ে রইল। বুঝতে পারলাম, এখন আর ও সহ্য করতে পারছে না। নিজের ছেলেও অনেকদিন না দেখলে ভুলে যায়! আমি যখন জেলে যাই তখন ওর বয়স মাত্র কয়েক মাস। রাজনৈতিক কারনে একজনকে বিনা বিচারে বন্দি করে রাখা আর তার আত্মীয়স্বজন ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে দূরে রাখা যে কত বড় জঘন্য কাজ তা কে বুঝবে? মানুষ স্বার্থের জন্য অন্ধ হয়ে যায়।"বাংলাদেশ ছাত্র লীগের একজন নিবেদিত, সংগ্রামী, আদর্শবাদী কর্মী হিসেবে ৬৯-র গণঅভ্যুত্থান ও ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে যথোচিত সাহসী ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭১-এর ২৫ মার্চ রাতে পাকহানাদার বাহিনী কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্মৃতি-বিজড়িত ৩২ নম্বর সড়কস্থ বাসভবন আক্রান্ত হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে বাড়ি থেকে বের হয়ে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ওয়ার কোর্সে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে মুক্তিবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন ও মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল ওসমানির এডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।বাংলাদেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি অঙ্গনের শিক্ষার অন্যতম উৎসমুখ ছায়ানট-এর সেতার বাদন বিভাগের ছাত্র ছিলেন। স্বাধীনতা উত্তর যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠন ও পুনর্বাসন কর্মসূচির পাশাপাশি সমাজের পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর ভাগ্য উন্নয়নে সমাজ চেতনায় উদ্বুদ্ধকরণে মঞ্চ নাটক আন্দোলনের ক্ষেত্রে তিনি প্রথমসারির সংগঠক ছিলেন। বন্ধু শিল্পীদের নিয়ে গড়ে তুলেছিলেন স্পন্দন শিল্পী গোষ্ঠী। শেখ কামাল ছিলেন ঢাকা থিয়েটারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। অভিনেতা হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যাঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। শৈশব থেকে ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, বাস্কেটবলসহ বিভিন্ন খেলাধূলায় প্রচণ্ড উৎসাহ ছিল তাঁর। তিনি উপমহাদেশের অন্যতম সেরা ক্রীড়া সংগঠন, বাংলাদেশে আধুনিক ফুটবলের প্রবর্তক আবাহনী ক্রীড়াচক্রের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। শহীদ শেখ কামাল আমাদের দেশে নান্দনিক ফুটবল ও ক্রিকেটসহ অন্যান্য দেশীয় খেলার মান উন্নয়নে তাঁর অক্লান্ত শ্রম দিয়ে অপরিসীম অবদান রেখেছিলেন। নতুন নতুন খেলোয়াড় সৃষ্টির লক্ষে প্রশিক্ষণ শিবির গড়ে তুলতেন এবং তাদের সাথে নিয়মিত অনুশীলন করতেন। ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠক শেখ কামাল অমর হয়ে থাকবেন তার সৃষ্টি আবাহনীর মাঝে। বাংলাদেশ তাকে মনে রাখবে আধুনিক ফুটবলের জনক হিসাবে।১৯৪৯ সালের এই দিনে তিনি তদানীন্তন গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালো রাত্রিতে মাত্র ২৬ বছর বয়সে জাতির জনকের হত্যাকারী মানবতার ঘৃণ্য শত্রুদের নির্মম-নিষ্ঠুর বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়ে শাহাদাত বরণ করেন।বহুমাত্রিক অনন্য সৃষ্টিশীল প্রতিভার অধিকারী তারুণ্যের দীপ্ত প্রতীক শেখ কামালের আজ জন্মদিন। অনন্য প্রতিভার অধিকারি শেখ কামালকে স্মরণ করছি বিনম্র শ্রদ্ধায়।লেখক- কৃষিবিদ দীপক কুমার বনিক দীপু। সদস্য, কেন্দ্রীয় উপকমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ আগস্ট ২০২২


বৈশ্বিক মন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল রয়েছে : ইকোনমিক টাইমস

বৈশ্বিক মন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল রয়েছে : ইকোনমিক টাইমস

করোনা মহামারির মধ্যে বিশ্বের অনেক দেশ আর্থিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে থাকলেও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ছিল জোরালো। আবার চলতি বছরের শুরু থেকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে ভুগতে শুরু করেছে বিশ্বের বহু দেশ।তবে আঞ্চলিক ভূ-অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সত্ত্বেও নিজেদের অর্থনীতি স্থিতিশীল রেখেছে বাংলাদেশ। সোমবার (১ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দীর্ঘ সময় পার করে বাংলাদেশ নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। উৎপাদন খাতের বিস্তৃত ভিত্তি এবং অবকাঠামো প্রকল্পে উদ্দীপনাসহ এটি এশিয়ার জন্য একটি শক্তিশালী অর্থনীতি হতে পারে।১৯৭১ সালের পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে ‘তলাহীন ঝুড়ি’ বলে অভিহিত করেছিলেন। এরপর সেই জায়গা থেকে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে। সদ্য উদ্বোধন হওয়া পদ্মা সেতুটি সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে। যেসব আন্তর্জাতিক সংস্থা এই সেতুর অর্থায়নে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল তারাই এখন এটি সম্পূর্ণ হওয়ায় বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানাচ্ছে।৩.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মিত সড়ক-রেল সেতু (পদ্মা সেতু) গত ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন। এই সেতুটি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত করেছে। এছাড়া এই সেতুর কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত্তিও হয়েছে অনেক শক্ত।এমনকি আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন প্রায় ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। করোনা মহামারির আগেও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার পাকিস্তানের চেয়ে অনেক ওপরে ছিল। ২০১৮-১৯ সালে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৭.৮ শতাংশ। একইসময়ে পাকিস্তানের এই হার ছিল ৫.৮ শতাংশ।বাংলাদেশ নিজেই নিজেকে উন্নয়নের একটি রোডম্যাপ দিয়েছে। ভিশন-২০৪১ নামের এই রোডম্যাপের লক্ষ্য ২০৩১ সালের মধ্যে প্রকট দারিদ্র্যের অবসান এবং উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদায় উন্নীত হওয়া। আর এর মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত হওয়াই বাংলাদেশের লক্ষ্য। এছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিভিন্ন ক্ষেত্রেও অগ্রগতি অর্জন করছে বাংলাদেশ।কৃষি থেকে ফার্মাসিউটিক্যালস এবং জাহাজ নির্মাণ থেকে গার্মেন্টস পর্যন্ত বাংলাদেশের শিল্প ভিত্তি ক্রমেই বৈচিত্র্যময় হচ্ছে এবং দেশটির রপ্তানি বাড়ছে। আবার বাংলাদেশের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জও রয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ দেশটির অর্থনীতিকে সমান গতিতে রাখতে কাজ করে যাচ্ছে।সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে লাগাম, মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন, বিদেশ থেকে পাঠানো রেমিট্যান্স নগদ প্রণোদনা এবং বিলাসবহুল পণ্যের ওপর কর আরোপ; এই সবই বাংলাদেশকে তার রিজার্ভ তৈরি করতে সাহায্য করছে, যেন সহজেই আমদানির চাহিদা মেটানো যায়।এছাড়া রপ্তানি বাড়ানো এবং আমদানি কমানোর বিষয়ে সরকারের নেওয়া নীতি ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সহায়তা করতে শুরু করেছে। যদিও অর্থনীতিতে কোভিড-১৯ মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব অস্বীকার করা যায় না।তবে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকার বাংলাদেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে বদ্ধপরিকর। দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির অর্থনীতির প্রধান স্তম্ভ হলো- গার্মেন্টস এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রেরণ করা বৈদেশিক মুদ্রা। বিশ্বের অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের তুলনায় বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে।অবশ্য করোনা মহামারির প্রাথমিক পর্যায়ে, অনেকে ধরে নিয়েছিল যে বাংলাদেশে রেমিটেন্স প্রবাহ হ্রাস পাবে কারণ অনেক প্রবাসী শ্রমিকদের অনেকে চাকরি হারিয়েছিলেন। তবে, সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার সাফল্যের কারণে, অনেক বাংলাদেশি বিদেশে তাদের কর্মক্ষেত্রে ফিরে এসেছেন এবং মহামারির পূর্বের হারে দেশে আবারও বৈদেশিক মুদ্রা পাঠাচ্ছেন।বিশ্বব্যাংক-আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ২০২২ সালের বসন্তকালীন বৈঠকে করোনা মহামারি মোকাবিলা এবং এর প্রভাব থেকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য নেওয়া নীতিগুলো সফলভাবে বাস্তবায়ন করায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে।এছাড়া বাংলাদেশ গত পাঁচ দশকে শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার কমিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষস্থান দখলে নেওয়ার মাধ্যমে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। বিশ্বব্যাংকের অনুমান অনুযায়ী, বাংলাদেশে বর্তমানে প্রতি ১ হাজার জীবিত শিশুর মধ্যে ২১ শিশুর মৃত্যু হয়।অর্থাৎ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে শিশুমৃত্যুর হার ৮৫ শতাংশ কমিয়েছে বাংলাদেশ। স্বাধীনতার সময় বাংলাদেশে এই হার ছিল প্রতি হাজারে ১৪১ জন। অন্যদিকে পাকিস্তানে এখন শিশুমৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ৫৫ জন। যা বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বেশি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ আগস্ট ২০২২


যুক্তরাষ্ট্রে ইঞ্জি. আবুবকর হানিপকে সম্মাননা স্মারক দিলেন বাংলাদেশের দুই সাকিব

যুক্তরাষ্ট্রে ইঞ্জি. আবুবকর হানিপকে সম্মাননা স্মারক দিলেন বাংলাদেশের দুই সাকিব

যুক্তরাষ্ট্র সফরে এসেছেন বাংলাদেশের দুই সুপার স্টার। একজন ক্রিকেটে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। অন্যজন বাংলা চলচ্চিত্রের সুপারস্টার শাকিব খান। এই দুই তারকা ব্যক্তিত্বকে সম্মানিত করতে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি কমিউনিটির সফল ব্যক্তিত্বরা সমবেত হয়েছিলেন শো টাইম মিউজিক'র আয়োজনে। যাদের অন্যতম ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে সফল বাংলাদেশি আমেরিকান, ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপ। অনুষ্ঠানে আবুবকর হানিপকে প্রবাসীদের সামগ্রিক উন্নয়নে অশেষ অবদানের জন্যে বিশেষ সম্মাননা স্মারক তুলে দেন দুই সুপার স্টার। আর আবুবকর হানিপও ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির পক্ষ থেকে দুই সুপারস্টারকে দেন বিশেষ সম্মাননা স্মারক। নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ডফেয়ার মেরিনার আলো ঝলমল মিলনায়তনে ‘মিট এ্যান্ড গ্রিট এক্সক্লুসিভ’ শীর্ষক মনোজ্ঞ এই অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক ছিলেন শো টাইম মিউজিক’র কর্ণধার আলমগীর খান আলম।কোন ভূমিকা ছাড়াই দুই রাজাধিরাজকে মঞ্চে আলিশান চেয়ারে বসার আহবান জানালেন আলমগীর খান। এরপর দুই শাকিবের পাশে দু’জন করে বসেন এবং তারা সরাসরি উভয়ের মতামত ও মন্তব্য জানতে চান নানা ইস্যুতে। তারই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্রে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলাজি’র চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপের সঙ্গেও আলাপচারিতায় অংশ নেন সাকিব আল হাসান ও শাকিব খান। আবুবকর হানিপ শাকিব ও সাকিবকে প্রবাসীদের পক্ষ থেকে উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়ে জানতে চান, নিজ নিজ ক্ষেত্রে আপনারা উভয়ে শীর্ষে আরোহন করেছেন। কঠোর অধ্যাবসায়ের পাশাপাশি আর কোন বিষয়টি আপনাদের সুপার স্টারে পরিণত করেছে বলে মনে করেন। ক্রিকেটে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান বললেন, "পরিশ্রম তো করতে হয়েছে এবং এখনো করছি। এরকম পরিশ্রম অনেকেই করেন। কিন্তু সবাই তো হতে পারেন না। এজন্যে কপাল লাগে। মাশআল্লাহ আমার কপাল বড়, সেটি বড় একটি ব্যাপার।"সুপার স্টার শাকিব খান বলেন, "ভাগ্য লাগে। সেটি নির্দ্ধারণ করেন আল্লাহ তা’লা। এটাই বড় সত্য। আমি চেষ্টা করে আসছি। এই চেষ্টা জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠতে সহায়তা করে অনেককেই। আমার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত হিসেবে ভাগ্য প্রসন্ন হয়েছে এবং সেটি পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তার দান।" চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপের অপর এক কৌতুহলের জবাবে সাকিব আল হাসান বলেন, আমি বাস্তববাদি মানুষ। বর্তমান নিয়েই ব্যস্ত থাকি। তাই মারা যাবার পর কে কী ভাবলেন সেটি তো আমি জানতে পারবো না। তবে আমি জানি যারা একান্তই কাছের মানুষ তারা স্মরণ করবেন, দোয়া করবেন। আর যদি সমগ্র জাতির কল্যাণে কিছু করছি বলে বিবেকসম্পন্নরা অনুধাবনে সক্ষম হন, তাহলে তারাও স্মরণ রাখবেন বহুদিন।ইউএস সুপ্রিম কোর্টে প্রথম বাংলাদেশি আমেরিকান এটর্নি এবং কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট ডেমক্র্যাটিক পার্টির লিডার মঈন চৌধুরীর কৌতুহলের জবাবে সাকিব ও শাকিব বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের চিন্তা যখন করবেন, তখোন নিশ্চয়ই ইমিগ্রেশনের এটর্নি হিসেবে তার (মঈন চৌধুরী) শরণাপন্ন হবেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিকেটের প্রসারে কোন পরিকল্পনা আছে কিনা জানতে চাইলে ক্রিকেটার সাকিব বলেন, অবশ্যই করার ইচ্ছা আছে। নতুন প্রজন্মে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে ক্রিকেটের প্রতি। সেই আবেগ কাজে লাগাতে সচেষ্ট রয়েছেন সকলেই।মার্কিন মূলধারার চলচ্চিত্রে প্রতিভাসম্পন্ন অন্যদেরকে নিয়ে সম্পৃক্ততার কোন চিন্তা-ভাবনা আছে কিনা জানতে চাইলে ঢালিউডের কিং শাকিব বলেন, বাংলাদেশিসহ এশিয়ানদের মেধা এবং প্রতিভা অত্যন্ত প্রখর-এটি মার্কিন মুল্লুকের বিদগ্ধজনেরা ইতিমধ্যেই উপলব্ধিতে সক্ষম হয়েছেন। এ আর রহমান, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এর অন্যতম উদাহরণ। নিশ্চয়ই আমরাও একই অবস্থানে উঠতে সক্ষম হবো। এজন্যে নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। উত্তর আমেরিকায় বাংলা সংস্কৃতির বিকাশে নিরন্তরভাবে কর্মরত শো-টাইম মিউজিকের উদ্যোগে কয়েকস মাস আগে এই নিউইয়র্কে প্রথমবারের মতো দুই কিংবদন্তি কন্ঠশিল্পী রুনা লায়লা এবং সাবিনা ইয়াসমীন একই মঞ্চে গেয়েছেন। এরপর এই দুই সুপার স্টারকেও একই মঞ্চে প্রাণবন্ত মতবিনিময়ে হাজির করার মধ্যদিয়ে কম্যুনিটিতে অনন্য এক উদাহরণ সৃষ্টি করলেন আলমগীর খান আলম। এই আলাপ-চারিতায় বিশিষ্টজনদের মধ্যে আরো ছিলেন বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম পৃষ্ঠপোষক নুরুল আজিম, রাহাত মুক্তাদির, রায়হান জামান, ডা. চৌধুরী সারওয়ার হাসান, ফাহাদ সোলায়মান, মোহাম্মদ এ কে আজাদ, শাহনেওয়াজ, রানু নাওয়াজ প্রমুখ।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনপ্রিয় নাম ‘প্রিসিলা নিউইয়র্ক’ তথা প্রিসিলা ফাতেমাও এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। অনুষ্ঠানের সকলেই আলমগীর খান আলমকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এমন একটি আয়োজনের জন্যে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ জুলাই ২০২২


যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পতাকা গৌরবের সাথে উড়াচ্ছেন ইঞ্জিনিয়ার হানিপ

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পতাকা গৌরবের সাথে উড়াচ্ছেন ইঞ্জিনিয়ার হানিপ

নিজস্ব প্রতিবেদক-বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বিকর্ণ কুমার ঘোষ বলেছেন বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থীরা এখন ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে পড়াশোনা করছে, যে ইউনিভার্সিটির মালিকানা একজন বাংলাদেশির যার নাম ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ।‘সম্প্রতি আমি তার ইউনিভার্সিটিতে ভিজিট করেছি। মি. হানিপ এবং ফারহানা হানিপ তারা সেখানে অসাধারণ কাজ করছে। আমরা তাদের জন্য গর্ববোধ করি।যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে মি. হানিপ বাংলাদেশের পতাকা গৌরবের সাথে উড়াচ্ছেন। এই দেশকে এগিয়ে নিতে আমাদের হাজারো হানিপ দরকার,’ বলেন বিকর্ণ কুমার ঘোষ।রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনে গত বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) বাংলাদেশের অধ্যায়নরত বিদেশী শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার ডেভলপমেন্টের জন্য আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।মি. বিকর্ণ কুমার ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির সাথে কাজ করারও অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন যাতে করে কম খরচে এদেশের শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারে।‘আমরা এখন এগিয়ে যাচ্ছি আমাদের পরবর্তী গন্তব্যে- এবারের গন্তব্য স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার। বাংলাদেশ স্মার্ট হলে আমাদের নাগরিক স্মার্ট হবে, সরকার স্মার্ট হবে, আমাদের অর্থনীতি স্মার্ট হবে। এজন্য আমাদের তরুণ প্রজন্মকে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে, তাহলেই একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে,’ তিনি যোগ করেন।এসময় তিনি উপস্থিত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জন ও দক্ষ হওয়ার মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে সহযোগিতা করার আহবান জানান। বিদেশি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, তারা যদি যুক্তরাষ্ট্রে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে উচ্চ শিক্ষার জন্য যেতে চান তাহলে পিপলএনটেক তাদের সবধরনের সাহায্য-সহযোগিতা করবে।উক্ত সেমিনারে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ তাঁর ইউনিভার্সিটি ও অন্যান্য ইউনিভার্সিটির মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরে বলেন যখন একজন শিক্ষার্থী কোন ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স করেন সে শুধু একাডেমিক জ্ঞান অর্জন করেন কিন্তু ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষার্থীরা একাডেমিক ও ইন্ডাস্ট্রি উভয় জ্ঞানই অর্জন করতে পারে, এরফলে তারা দক্ষ হয়ে চাকরি জীবনে প্রবেশ করে এবং প্রথম দিন থেকেই তারা অবদান রাখতে পারে।সুতরাং আমাদের অভিজ্ঞতা আছে, এই অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে আমরা শিক্ষা প্রদান করছি। আমাদের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে ৪ থেকে ৩০ বছরের অভিজ্ঞ স্কলার রয়েছে। এই অভিজ্ঞ স্কলারদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা একাডেমিক ও ইন্ডাস্ট্রি উভয় জ্ঞানই অর্জন করতে পারছেন এবং দক্ষ হয়ে বের হচ্ছেন।সভাপতির বক্তব্যে পিপলনটেকের প্রেসিডেন্ট ফারহানা হানিপ উপস্থিত বিদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সকল প্রকার সাহায্য-সহযোগিতা প্রদানের অঙ্গীকার করেন। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের একাডেমিক জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে নিজেকে দক্ষভাবে গড়ে তোলার আহবান জানান।এসময় বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. সাজ্জাদ হোসাইন, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ডিন ও ফ্যাকল্টি অফ ইঞ্জিনিয়ার এন্ড টেকনোলজির প্রফেসর ড. মো মাহফুজুর রহমান, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং প্রধান প্রফেসর ড. তৌহিদ ভূঁইয়া, এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটি কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং প্রধান ড. শাহ মুর্তজা রশিদ আল মাসুদ, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ এর অ্যাক্টিং হেড আবুল কালাম আজাদ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির সহকারী অধ্যাপক ড. আহমেদুল কবির।

Harun Ur Rashid । ২৯ জুলাই ২০২২


‘বছরের শেষ দিকে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে’

‘বছরের শেষ দিকে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে’

চলমান সংকট কাটিয়ে চলতি বছরের শেষ দিকে দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।তিনি বলেন, ‘২০২২ সালের শেষ নাগাদ দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়ে আসবে। স্বাভাবিক হবে পরিস্থিতি।’পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), বিদেশি সংস্থা ব্লুমবার্গ এলপি এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে ‘জাতীয় ব্র্যান্ডিং: বিশ্বব্যাপী নতুন প্রতিভা এবং বিনিয়োগের আকর্ষণ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।সালমান এফ রহমান বলেন, ‘এ রকম অস্থিতিশীল অর্থনৈতিক অবস্থা আমাদের আর বেশিদিন দেখতে হবে না। বছরের শেষ নাগাদ কমে আসবে জ্বালানি তেলের দাম৷ সেই সঙ্গে জ্বালানি তেলের দাম কমার পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও হ্রাস পাবে।’সোমবার রাতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের (বিআইসিসি) সেলিব্রেটি হলে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্লুমবার্গের আঞ্চলিক কৌশলের প্রধান অ্যান্ড্রু বগস।এ ছাড়া সরকারি ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৬ জুলাই ২০২২


রাহুল গান্ধী আটক

রাহুল গান্ধী আটক

ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) রাজধানী দিল্লিতে কংগ্রেসের বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃত্ব দেওয়ার সময় তাকে আটক করা হয়। খবর এনডিটিভির।এদিকে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি-সংক্রান্ত তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি এবং তদন্ত সংস্থাগুলো বিরোধী নেতাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে এমন অভিযোগসহ বেশ কিছু ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ-সমাবেশে অংশ নিয়েছেন কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা।রাহুল গান্ধীর আগে আরও বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতাকে আটক করে পুলিশ। আটকের আগে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিয়ে স্লোগান দেন রাহুল। তিনি বলেন, ভারত একটি পুলিশ রাষ্ট্র (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র), মোদি এর রাজা।ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইডির দফতরে সোনিয়া গান্ধীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাকে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি। এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সোনিয়া গান্ধী ইডির দফতরে যাওয়ার সময় তার সঙ্গে ছিলেন তার মেয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। রাহুল গান্ধীও বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার আগে তার মায়ের সঙ্গে ছিলেন। রাহুল গান্ধীসহ ৭৫ জন কংগ্রেস নেতা আটক হয়েছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৬ জুলাই ২০২২


শেষ পর্যন্ত বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েই নিলেন অপু বিশ্বাস

শেষ পর্যন্ত বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েই নিলেন অপু বিশ্বাস

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শাকিব জানান, তার পরিবারের পক্ষ থেকে মেয়ে দেখা হচ্ছে। সব ঠিকঠাক হলে আগামী বছরই বিয়েটা সেরে ফেলবেন।এরপ্ররই অপু বিশ্বাস জানালেন, তিনিও বিয়ে করবেন। কারণ জীবন একাকী কাটানো যায় না। একটি গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে অপু বলেন, ‘আমিও বিয়ে করব, জীবন তো আর একাকী চলে না। তবে এখনই নয়, হাতে অনেক কাজ জমা আছে। সব দায়িত্ব শেষ করে, আদর্শবান ও যত্নশীল একজন মানুষ খুঁজে নিয়ে তার গলায় ভালোবাসার মালা পরাতে চাই। আজীবন সুখ আর শান্তির বন্ধনে আবদ্ধ হতে চাই।’শাকিবের নতুন বিয়ে প্রসঙ্গেও মন্তব্য করেছেন অপু। বলেছেন, ‘এটা তো অবশ্যই সুখবর! সে বিয়ে করবে আর আমরা সবাই তার বিয়ের আনন্দ নিয়ে মেতে উঠব। এটাই তো চাই। শাকিবের বিয়েতে আমি আর জয় মহাআনন্দ করব।’ভালোবেসে ঘর বেঁধেছিলেন ঢাকাই সিনেমার দুই শীর্ষ তারকা শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। সেটা ২০০৮ সালের কথা। তবে বিয়ের খবর টের পায়নি কেউ। দীর্ঘ নয় বছর পর ২০১৭ সালে একটি টিভি চ্যানেলের লাইভে সন্তান আব্রাহাম খান জয়সহ হাজির হন অপু। এরপর জানান, তিনি ও শাকিব বিবাহিত এবং এই সন্তান তাদেরই।ওই ঘটনায় গোটা দেশ তোলপাড় হয়। কিছুদিন পর শাকিব-অপুর সংসারও ভেঙে যায়। তখন থেকে শাকিব যেমন একা রয়েছেন, অপুও একা। তবে এবার নতুন কিছু ভাবছেন কিং খান। আগামী বছরই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন তিনি।এদিকে অপু বিশ্বাসের ক্যারিয়ারে নতুন ব্যস্ততা যুক্ত হয়েছে। প্রযোজক হিসেবে তিনি সরকারি অনুদান পেয়েছেন। ‘লাল শাড়ি’ নামের একটি সিনেমা বানাবেন তিনি। পরিচালনা করবেন বন্ধন বিশ্বাস। তাই অভিনয়ের পাশাপাশি এখন নিজের প্রযোজিত সিনেমা নিয়েও থাকবে তার ব্যস্ততা।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ জুলাই ২০২২


পণ্য বহুমুখীকরণের মাধ্যমে রিজার্ভ বাড়ানো ওপর গুরুত্বারোপ করলেন সালমান এফ রহমান

পণ্য বহুমুখীকরণের মাধ্যমে রিজার্ভ বাড়ানো ওপর গুরুত্বারোপ করলেন সালমান এফ রহমান

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে পণ্য বহুমুখীকরণের ওপর গুরুত্বারোপের কথা বললেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি বলেন ডলারের যোগান বাড়াতে পারলে কোনো সংকটের আশঙ্কাই থাকে না। এর জন্য রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণের মাধ্যমে রপ্তানি আয় বাড়াতে হবে। তৈরি পোশাকের মতো অন্যান্য খাতে সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে পারলে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছাতে বেশি সময় লাগবে না।তিনি আরও বলেন, ডলার মজুদ পরিস্থিতির উন্নতির জন্য চাহিদার ওপর ভিত্তি করে এলসি মার্জিন বাড়ানোসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।শনিবার (২৩ জুলাই) রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সময়ে ঔষধ খাতের রপ্তানি : কৌশল নির্ধারণ’ বিষয়ক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।উপদেষ্টা বলেন, ওষুধ শিল্পে আমাদের অর্জন অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক এবং দক্ষ মানব সম্পদের উপস্থিতির কারণে এ সাফল্য এসেছে। তিনি বলেন, এ শিল্পে আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার শুরু হয়েছে। তাই আমাদের আরও বেশি গবেষণা ও উন্নয়ন কাজে মনোনিবেশ করতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, বিশ্বব্যাপী বেশি হারে বায়োলজিক্যাল ড্রাগ উৎপাদনের প্রবণতা আগামীতে আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে।তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের ব্যবহৃত মোট এপিআই’র ১৫ শতাংশ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়ে থাকে। তবে আরও বেশি হারে মূল্য সংযোজনের নিশ্চিত করার বিষয়টি আমাদের জন্য খুব জরুরি।রহমান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশে তৈরি ওষুধের প্রবেশাধিকারের বিষয়ে অত্যন্ত আশাবাদী তিনি এবং একবার এটা করা সম্ভব হলে ওষুধ শিল্পের বৈশ্বিক ইমেজ তৈরিতে আর কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকবে না বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। আগামী ৪ থেকে ৫ বছরের মধ্যে ৫ বিলিয়ন ডলারের ওষুধ রপ্তানি সম্ভব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে দেশে বিদ্যুৎসহ অন্যান্য পরিষেবা ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যোক্তাদের সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।“বেসরকারি খাতকে অনুরোধ করব, বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে বিদ্যুৎসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে যতটা সাশ্রয়ী হওয়া যায়, সেটা করুন। বিলাসী পণ্য আমদানিও কমাতে হবে” তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী যে জ্বালানি সংকট দেখা যাচ্ছে, আমরা মনে করি সেটা সাময়িক। খাদ্য সরবরাহ নিয়ে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে চুক্তি সই হয়েছে। আশা করি খুব দ্রুত রাসায়নিক সার নিয়ে এ ধরনের আরও কিছু হবে। একই সঙ্গে জ্বালানি তেল ও এলএনজি সরবরাহ নিয়ে ভালো উদ্যোগ দেখতে পাব।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ জুলাই ২০২২


রণবীর সিং'য়ের নগ্ন ছবি নিয়ে এক হাত নিলেন হিরো আলম

রণবীর সিং'য়ের নগ্ন ছবি নিয়ে এক হাত নিলেন হিরো আলম

গত শুক্রবার রাতে হঠাৎই অন্তর্জালে ঝড় ওঠে রণবীর সিংয়ের একটি ফটোশুট নিয়ে। একটি ম্যাগাজিনের জন্য করা ফটোশুটটিতে পুরোপুরি নগ্ন অবস্থা হাজির হয়েছেন অভিনেতা, যা নিয়ে তাঁর ভক্ত থেকে শুরু করে মত দিয়েছেন বিনোদন দুনিয়ার তারকাও।এবার রণবীরের উলঙ্গ ছবি নিয়ে মুখ খুললেন হিরো আলম, তিনি তার ফেসবুকে রণবীরের ছবি পোষ্ট করে ক্যাপশন দেন -(ছবি গুলো বলিউডের অভিনেতা রণবীর সিং এর। রণবীর সিং এর উলঙ্গ ছবি নিয়ে আপনারা কিছু বলছেন না কেন? আপনারা বলেন আমি নাকি অশ্লীল ভিডিও তৈরি করি তাই লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন, আপনারা যে হিরো আলমকে নিয়ে সমালোচনা করেন কই আমি তো কখনো উলঙ্গ ছবি দেইনি।আপনারা হিরো আলম কে নিয়ে যতই সমালোচনা করুন, হিরো আলম সব সময় হিরো আলম'ই থাকবে) এদিকে যাঁকে নিয়ে এত কথা, সেই রণবীর অবশ্য নগ্ন ফটোশুট নিয়ে অকপট বয়ান দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘শারীরিকভাবে নগ্ন হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে খুব সহজ। আমি হাজার হাজার মানুষের সামনে নগ্ন হতে পারি, কিছু যায় আসে না। তবে বাকিরা অস্বস্তিতে পড়বেন।’

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৩ জুলাই ২০২২