বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে ‘সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১২তম বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই)। বাংলাদেশের স্কোর ১ পয়েন্ট কমে ২৬ থেকে ২৫ হয়েছে। দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে এক ধাপ অবনমন হয়েছে।বার্লিনভিত্তিক দুর্নীতিবিরোধী এই সংস্থার প্রকাশ করা ‘দুর্নীতির ধারণা সূচক (সিপিআই)’-এ এ তথ্য উঠে এসেছে।মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের বাংলাদেশের (টিআইবি) এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়েছে।সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সিপিআই অনুযায়ী বাংলাদেশের অবস্থান হতাশাজনক। এবছর সূচকে নিচের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ১২ এবং ওপরের দিক থেকে ১৪৭। এবার বাংলাদেশ ১০০ স্কোরের মধ্যে ২৫ অর্জন করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার ৮টি দেশের মধ্যে এবারও বাংলাদেশের অবস্থান ও স্কোর যথারীতি বিব্রতকরভাবে আফগানিস্তানের পর দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। এবার আফগানিস্তানের স্কোর ১৬ থেকে বেড়ে ২৪ হয়েছে। অথচ বাংলাদেশের স্কোর ঘুরেফিরে ২৫ থেকে ২৮ এর মধ্যে রয়েছে।এর আগে দুর্নীতির ধারণা সূচক (সিপিআই)-২০২১ অনুসারে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ২৬। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের এক ধাপ এগিয়ে ১২তম অবস্থান থেকে ১৩তম অবস্থানে এসেছিল।আর তালিকায় উপরের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪৭তম। অবশ্য দুর্নীতির এই সূচকে বা স্কোরের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কোনো অগ্রগতি হয়নি৷ এর আগের বছরের মতো একই স্কোর ছিল৷ চার বছর ধরেই একই স্কোর রয়েছে।১৯৯৫ সাল থেকে বেসরকারি সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল দ্বারা প্রতি বছর এই সূচক প্রকাশ করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খানসহ নয়জনের বিরুদ্ধে ১৩২ কোটি টাকা আত্মসাতের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) দাখিল অভিযোগের প্রতিবেদন চেয়েছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান এই আদেশ দেন। আগামী ১০ এপ্রিল এই প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। আদালত বলেন, দুদকের প্রতিবেদন পাওয়ার পর আদালত সিদ্ধান্ত নেবেন আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ আমলে নেওয়া হবে কিনা। ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের পক্ষে সমিতির সম্পাদক মো. শাহাব উদ্দিন সরকারের দায়ের করা মামলায় এই আদেশ দেওয়া হয়েছে।মামলায় অন্য যারা আসামি তাঁরা হলেন—ঢাকা ওয়াসার প্রকৌশলী শারমিন হক আমীর, সাবেক রাজস্ব পরিদর্শক মিঞা মো. মিজানুর রহমান, প্রকৌশলী মো. আখতারুজ্জামান, রাজস্ব পরিদর্শক মো. জাকির হোসেন, প্রকৌশলী মো. বদরুল আলম, জনতা ব্যাংকের সাবেক ডিজিএম শ্যামল বিশ্বাস, উপসচিব শেখ এনায়েত উল্লাহ ও উপপ্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. সালেকুর রহমান।আজ মামলার বাদীর দেওয়া অর্থ আত্মসাৎ সংক্রান্ত কাগজপত্র পর্যালোচনা করতে গিয়ে আদালত বলেন, দুদকে কি কাগজপত্র আছে বা এ সংক্রান্ত কি কি অভিযোগ আছে তা আগে জানা প্রয়োজন। পরে তিনি দুদকের প্রতিবেদন তলব করেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের বিশেষ পিপি মীর আহমেদ আলী সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।বাদী পক্ষের আইনজীবী গাফফার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত বছর ১০ নভেম্বর এই মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালত আজ শুনানির জন্য দিন ধার্য করে বাদীকে অভিযোগের স্বপক্ষে কাগজপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। বাদী অভিযোগ সংক্রান্ত নথিপত্র আদালতে দাখিল করেন। এই আইনজীবী জানান গত বছর ২ আগস্ট দুদকে বাদী অভিযোগ দিয়েছিলেন। দুদক কার্যকর করা ব্যবস্থা না নেওয়ায় পরে তিনি আদালতে এই মামলা দায়ের করেন। তখন আদালত দুদকে যে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছিল সে সংক্রান্ত প্রতিবেদন তলব করেন।গাফফার হোসেন আরও বলেন দুদকের প্রতিবেদন পাওয়ার পর আদালত সিদ্ধান্ত নেবেন আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ আমলে নেওয়া হবে কিনা। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি ১৬ জুলাই, ২০১৭ থেকে ৩০ জুন, ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৯৯ কোটি ৬৫ লাখ ১৯ হাজার ১৭৩ টাকা ঢাকা ওয়াসা থেকে রাজস্ব আদায় বাবদ পায়। আর ২০১৮ সাল থেকে ২০১৯ অর্থবছরে একই কাজ বাবদ সমিতি আয় করে ৩৪ কোটি ১৮ লাখ ৫৭ হাজার ৭৯০ টাকা। এর মধ্যে ২০১৭ থেকে ২০১৮ অর্থবছরে সমিতির হিসাবে জমা হয় ১ কোটি ৭৯ লাখ ৫৯ হাজার ৫০৩ টাকা। অবশিষ্ট ১৩২ কোটি ৪ লাখ ১৭ হাজার ৪৬০ টাকা ছয়টি ব্যাংক থেকে বিভিন্ন চেকের মাধ্যমে আসামি তাকসিম এ খানের প্রত্যক্ষ মদদে ও নির্দেশে অন্য আসামিরা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। আসামিদের এই আত্মসাতের বিষয়টি সমবায় অধিদপ্তরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে প্রমাণিত হয়েছে। এ ছাড়া সমিতির গাড়িসহ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি সমিতির হেফাজত থেকে স্থানান্তর করে প্রায় ২০০ কোটি টাকার সমমূল্যের সম্পদ চুরি করেন আসামিরা। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বিশ্বাসভঙ্গ করে অর্থ আত্মসাৎ ও চুরি করেছেন বলে দণ্ডবিধির ৩৮০ / ৪২০ / ৪০৯/ ৫০৬ / ১০৯ ধারায় ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনেন বাদী।গত বছর একই অভিযোগে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এই বাদী মামলা দায়ের করেছিলেন। তখন মামলাটি উত্থাপন করা হলে আদালত মামলাটি গ্রহণ না করে ফেরত দেন। আদালত আদেশে উল্লেখ করেন, সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী কর্তৃক কোনো টাকা আত্মসাৎ করা হলে, তা দুর্নীতি দমন কমিশনের শিডিউল ভুক্ত অপরাধ। এ ক্ষেত্রে ব্যক্তি পর্যায়ে কেউ মামলা করতে পারেন না এবং এমন মামলা গ্রহণের এখতিয়ার আদালতের নেই।বিষয়:
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩১ জানুয়ারি ২০২৩
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকলেই দেশের মানুষের উন্নতি হয়। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা আর সেটাই আপনারা দেখতে পাচ্ছেন।’সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন গণপূর্ত অধিদপ্তর, রাজউক ও গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের বাস্তবায়িত ১১টি প্রকল্প উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। স্যাটেলাইট যুগের বাংলাদেশ। পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে আমরা পরমাণু শক্তির সঙ্গে যুক্ত হতে পেরেছি। আমরা পরমাণু বোমা বানাবো না কিন্তু আমরা বিদ্যুৎ তৈরি করছি। আমরা অন্তত সেটুকু করতে পেরেছি, পরমাণু ক্লাবে যোগদান করতে সক্ষম হয়েছি।’‘আমরা আজকে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছি। সারা বিশ্ব যখন অর্থনৈতিক মন্দায় ব্যতি-ব্যস্ত, উন্নত দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে, করোনাভাইরাসের অতিমারি, সেই সঙ্গে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ, স্যাংশন-কাউন্টার স্যাংশন, যার ফলে আজকে ধনী দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে। তারপরও বাংলাদেশের গতিধারা আমরা অব্যাহত রেখেছি। আমরা ৭ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি,’ বলেন তিনি।সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, 'বাংলাদেশের উন্নয়ন শুধু আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন না, প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষার জন্য কিন্তু আওয়ামী লীগ কাজ করে যাচ্ছে।'তিনি আরও বলেন, '২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের যে উন্নয়ন, দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৫২৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত করা, চিকিৎসা সেবা গণমানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াসহ সব ক্ষেত্রে আমরা কাজ করছি।'আমরা দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করছি উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, 'এটা সম্ভব হয়েছে আজকে জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই। জনগণ আমাদের ভোট দিয়ে ২০১৪ সালে, ২০১৮ সালে নির্বাচিত করেছে তার একটি মাত্র কারণ আমরা তাদের উন্নয়নে কাজ করেছি। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকলেই দেশের মানুষের উন্নতি হয়। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা আর সেটাই আপনারা দেখতে পাচ্ছেন।''আজকের বাংলাদেশ; ১৪ বছরের মধে যে পরিবর্তনটা হয়েছে, আমি আশা করি, এটা সবাই একটু বিশেষভাবে লক্ষ করবেন আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। এই দেশটা জাতির পিতার নেতৃত্বে আমরা স্বাধীন করেছি। কাজেই আমাদের একটা দায়িত্ব আছে দেশের জন্য, জনগণের জন্য। সেই দায়িত্ব বোধ থেকেই আমরা দেশ চালাই। ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলেছি, এখন আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলবো,' বলেন তিনি।এজে/
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩১ জানুয়ারি ২০২৩
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেলা প্রশাসকদের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির ওপর জোর দেয়া এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের ব্যবস্থা গ্রহণসহ ২৫টি নির্দেশনা বাস্তবায়নের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় প্রকল্পই গ্রহণ করতে বলেছেন।তিনি বলেন, ‘প্রকল্পের গ্রহণের ক্ষেত্রে যেটা আমাদের এখনি প্রয়োজন শুধুমাত্র সেগুলোই গ্রহণ করতে চাই।’প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড-১৯ কালিন এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দায় সারাবিশ্বে এখন হিমসিম খাচ্ছে। অনেক উন্নত দেশও অর্থনৈতিক মন্দার দেশ হিসেবে নিজেদের ঘোষণা দিয়েছে। কাজেই আমাদের যেন সেটা করতে না হয় সেজন্যই আমরা কৃচ্ছতা সাধনের ঘোষণা দিয়েছি। আমাদের অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে ফেলেছি এবং সে ব্যাপারেও আপনারা সচেতন থাকবেন।’শেখ হাসিনা আজ সকালে তাঁর কার্যালয়ের (পিএমও) শাপলা হলে তিন দিনব্যাপী বার্ষিক জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৩ উদ্বোধনকালে একথা বলেন।ডিসিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ২৫ দফা নির্দেশনা:১.খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে। পতিত জমিতে ফসল ফলাতে হবে। কোনো জমি যেন অনাবাদি না থাকে সে লক্ষে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে;২.নিজেরা বিদ্যুৎ জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে এবং জনগণকে এ ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।৩.সরকারি অফিসসমূহে সাধারণ মানুষ যেন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বিঘ্নে যথাযথ সেবা পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। সেবা প্রত্যাশীদের সন্তুষ্টি অর্জনই যেন হয় সরকারি কর্মচারীদের ব্রত;৪.সরকারি তহবিল ব্যবহারে কৃচ্ছতা সাধন করতে হবে;৫.এসডিজি স্থানীয়করণের আওতায় নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রাসমূহ অর্জনে তৎপরতা জোরদার করতে হবে;৬.দেশে একজনও ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না। গৃহহীনদের জন্য গৃহনির্মাণ, ভূমিহীনদের কৃষি খাসজমি বন্দোবস্তসহ সকল সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে যেন প্রকৃত অসহায়, দুস্থ ও সুবিধাবঞ্চিত প্রান্তিক শ্রেণির মানুষ সুযোগ পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। জমি ও ঘর প্রদানের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে;৭.শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের পাঠদান কার্যক্রমের মানোন্নয়নে উদ্যোগী হতে হবে। অপেক্ষাকৃত দুর্গম এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে;৮.কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রসমূহ যেন কার্যকর থাকে তা প্রতিনিয়ত তত্ত্বাবধান করতে হবে;৯.শিশু-কিশোরদের শারীরিক-মানসিক বিকাশের লক্ষে তাদের জন্য প্রত্যেক এলাকায় সৃজনশীল চর্চা, সাংস্কৃতিক কর্মকা- ও ক্রীড়া সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে;১০. নাগরিকদের সুস্থ জীবনাচারের জন্য জেলা ও উপজেলায় পার্ক, খেলার মাঠ প্রভৃতির সংরক্ষণ এবং নতুন পার্ক ও খেলার মাঠ তৈরির উদ্যোগ নিতে হবে;১১. পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে উচ্চ প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ শ্রমশক্তি গড়ে তুলতে কাজ করতে হবে;১২. সরকারি দপ্তরসমূহের ওয়েবসাইট নিয়মিত হালনাগাদ করতে হবে। নিজ নিজ জেলার সরকারের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সাফল্য ওয়েবসাইটে তুলে ধরতে হবে;১৩. জনসাধারণের মধ্যে তথ্য-প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিতকরণে কাজ করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার, গুজব ইত্যাদি রোধে উদ্যোগ নিতে হবে;১৪. আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যেন কোনোভাবেই অবনতি না হয়, সেদিকে নজরদারি জোরদার করতে হবে;১৫. মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে কেউ যেন সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে না পারে, সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে;১৬. মাদক, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দূর করতে হবে। নিরীহ ধর্মপ্রাণ মানুষ যাতে জঙ্গিবাদে জড়িত না হয় সে জন্য সচেতনতা তৈরির উদ্যোগ নিতে হবে। যুব সমাজকে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে মুক্ত রাখতে হবে;১৭. বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং, খাদ্যে ভেজাল, নকল পণ্য তৈরি ইত্যাদি অপরাধ প্রতিরোধে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে হবে;১৮. বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে, কৃত্রিম সঙ্কট রোধকল্পে ও পণ্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে বাজার মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করতে হবে;১৯ সরকারি জমি, নদী, বনভূমি, পাহাড়, প্রাকৃতিক জলাশয় প্রভৃতি রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকরণের উদ্দেশে নতুন সরকারি প্রতিষ্ঠান স্থাপনে ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণকে প্রাধান্য দিতে হবে;২০. নিয়মিত নদী ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নাব্যতা বৃদ্ধি করতে হবে। স্লুইচগেট বা অন্য কোনো কারণে যেন জলাবদ্ধতার সৃষ্টি না হয়, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। বিশেষ করে জলাবদ্ধতার জন্য যেন উৎপাদন ব্যাহত না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে;২১. বজ্রপাত প্রবণ এলাকায় তালগাছ রোপণ করতে হবে;২২. পর্যটন শিল্পের বিকাশ এবং রক্ষণাবেক্ষণে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। নতুন নতুন পর্যটন স্পট গড়ে তুলতে হবে;২৩. জেলার নিজস্ব ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষা এবং জেলাভিত্তিক বিখ্যাত পণ্যসমূহের প্রচার, বিপণন এবং ব্রান্ডিং করতে হবে২৪ জনস্বার্থকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে রেখে সেবার মনোভাব নিয়ে যেন সরকারি দপ্তরগুলো পরিচালিত হয়, সে লক্ষে মনিটরিং জোরদার করতে হবে;২৫. জেলার সকল সরকারি দপ্তরের কার্যক্রমসমূহ যথাযথ সমন্বয়ের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ তথা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে আপনাদের ব্রতী হতে হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৫ জানুয়ারি ২০২৩
আগামী সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দুই লাখ নতুন ইভিএম কিনতে নির্বাচন কমিশনের আট হাজার ৭১১ কোটি টাকার প্রকল্প প্রস্তাব আপাতত অনুমোদন পাচ্ছে না।নির্বাচন কমিশন নতুন দুই লাখ ইভিএম কিনতে যে প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে দিয়েছিল তাআপাতত প্রক্রিয়াকরণ হচ্ছে না। পরিকল্পনা কমিশন রোববার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে। সোমবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব জাহাঙ্গীর আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সরকারের আর্থিক সামর্থ্য বিবেচনায় এ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না বলে পরিকল্পনা কমিশন জানিয়েছে। বর্তমান কমিশন আগামী নির্বাচনে সর্বোচ্চ দেশ শাসনে ইভিএমে ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তাদের হাতে এখন দেড় লাখ ইভিএম আছে যা দিয়ে ৬০ থেকে ৭০ টি আসনে ভোট করা সম্ভব। ১৫০ আসনে এই যন্ত্র ব্যবহার করতে হলে আরও ২ লাখ ইভিএম প্রয়োজন। এ কারণে নতুন ইভিএম কিনতে প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়। তবে প্রকল্পটি আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তে আগামী নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০ ইভিএম ব্যবহার সম্ভব হবে না।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কমিশনের হাতে যে ইভিএম আছে আগামী নির্বাচনে সেগুলো ব্যবহার করা হবে।নির্বাচন কমিশন আগামী জাতীয় নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইভিএমে ভোট নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। এ জন্য ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকার প্রকল্প পরিকল্পনা কমিশনে পাঠায় তারা।নির্বাচন কমিশন গত বছরের জুলাই মাসে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যে সংলাপ করে, তাতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই ইভিএমে ভোট চায়। অন্যদিকে বিএনপি ইভিএমকে ‘কারচুপির যন্ত্র’ বলে অভিযোগ করে আসছে। এমতাবস্থায় নির্বাচন কমিশন ২৩ আগস্ট জানায়, তারা সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইভিএমে ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের কাছে দেড় লাখ ইভিএম আছে। ১৫০ আসনে ভোট নিতে প্রয়োজন আরও ২ লাখ ইভিএম।নতুন করে ইভিএম কিনতে ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয় গত ১৯ অক্টোবর। প্রকল্পটির নাম ‘নির্বাচনী ব্যবস্থায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার বৃদ্ধি এবং টেকসই ব্যবস্থাপনা’। প্রকল্পের পুরো টাকা সরকারেরই জোগান দেওয়ার কথা ছিল।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ জানুয়ারি ২০২৩
কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন লেভেলে বৃত্তি প্রদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রাশিদ আল দেরহামকে অনুরোধ করেছেন কাতারে বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য এফেয়ার্স ড. মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান।রোববার (২২ জানুয়ারি) কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুরোধ করেন তিনি। চার্জ দ্য’এফেয়ার্সের অনুরোধে কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট এ বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেন এবং বংলাদেশের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত একটি লিখিত প্রস্তাব পাঠানোর পরামর্শ দেন। মুস্তাফিজুর রহমান কাতার ও বাংলাদেশ শিক্ষা সহায়তা বিষয়ক খসড়া সমঝোতা স্মারক অনুমোদন করার জন্য কাতার সরকারকে ধন্যবাদ জানান। এ স্মারক স্বাক্ষরিত হলে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মুস্তাফিজুর রহমান।এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে উচ্চ শিক্ষা, গবেষণা ও প্রকাশনা বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের আগ্রহের কথা উপস্থাপন করেন। জবাবে কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট জানান, বিশ্বের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গেও এ ধরনের সমঝোতা স্বাক্ষর করা যেতে পারে। চার্জ দ্য’এফেয়ার্স সফলভাবে ফিফা বিশ্বকাপ কাতার-২০২২ সম্পন্ন করার জন্য কাতার সরকারকে অভিনন্দন জানান।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ জানুয়ারি ২০২৩
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করতে শনিবার গাজীপুরে বাংলাদেশ স্কাউটসের অনুষ্ঠানে তার পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি স্থগিত করেছেন।প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার শুক্রবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান। তিনি জানান, ‘বিশ্ব ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের স্বার্থে গাজীপুরে বাংলাদেশ স্কাউটসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।’শনিবার গাজীপুরের মৌচাক জাতীয় স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৩২তম এশিয়া-প্যাসিফিক এবং ১১তম জাতীয় স্কাউট জাম্বুরীতে প্রধানমন্ত্রীর যোগ দেওয়ার কর্মসূচি ছিল।রাজধানী ঢাকার উপকণ্ঠে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে শুক্রবার ভোরে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম মুসলিম জামাত বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে। বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের অংশগ্রহণে ফজরের নামাজের পর ‘আম বয়ান’ দিয়ে বিশ্ব ইজতেমার ৫৬তম আসরের এই পর্ব শুরু হয়েছে। এর আগে গত ১৩-১৫ জানুয়ারি একই স্থানে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।সূত্র-বাসস
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ জানুয়ারি ২০২৩
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ জাতীয় সংসদে বলেছেন, শিল্পখাতে নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ পেতে হলে সরকার যে দামে গ্যাস আমদানি করে শিল্প মালিকদের সে দাম পরিশোধ করতে হবে। এখানে ভর্তুকি দেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই।আজ বুধবার জাতীয় সংসদে এক অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, আইএমএফ তখনই ঋণ দেয় যখন ওই দেশ ঋণ পরিশোধের যোগ্যতা অর্জন করে। এখানে বাংলাদেশ তেমন কোনো শর্তে ঋণ নিচ্ছে না।এর আগে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক অনির্ধারিত আলোচনায় বলেন,? আইএমএফের ঋণের জন্য গ্যাস–বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে। এর ফলে মূল্যস্ফীতির যে চাপ তৈরি হবে সরকার কীভাবে তা সামলাবে সে প্রশ্ন রাখেন তিনি।মুজিবুল হকের বক্তব্যের জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, 'আমরা তো বিদ্যুতে ভর্তুকি দিচ্ছি। গ্যাসে ভর্তুকি দিচ্ছি। আমার প্রশ্ন হলো পৃথিবীর কোন দেশ গ্যাস আর বিদ্যুতে ভর্তুকি দেয়? কেউ দেয় না। আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়েছি। বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়িয়েছি। কিন্তু বিদ্যুত ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হতে হবে। ইংল্যান্ডে ১৫০ ভাগ বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে এই ইউক্রেন আর রাশিয়ার যুদ্ধের পর। আমরা তো মাত্র ৫ শতাংশ আজকে বাড়ালাম আর বাল্কে কিছু গ্যাসের দাম। এলএনজি আমরা যেটা ৬ ডলারে স্পট প্রাইসে কিনতাম, সেটা এখন ৬৮ ডলার। কত ভর্তুকি দেবে সরকার? সরকার যে ভর্তুকিটা দেবে সেটা তো জনগণেরই টাকা। আর দ্রব্যমূল্য আজকে সারা বিশ্বেই বৃদ্ধি পেয়েছে।'গ্যাস উৎপাদন ও বিতরণ, বিদ্যুত উৎপাদন ও বিতরণে ৪০, ৫০ ও ৬০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হলে সেটা সরকার কীভাবে দেবে—এই প্রশ্ন রাখেন প্রধানমন্ত্রী।ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্য করে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, 'যারা বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ী আছেন, এখানেও (সংসদে) আছেন, তাদের আমি তো স্পষ্ট বলেছি। গ্যাস আমি দিতে পারব, কিন্তু যে মূল্যে গ্যাস আমরা বাইরে থেকে কিনে নিয়ে আসলাম, সেই মূল্য যদি আপানারা দেন আমরা গ্যাস দিতে পারব। আমরা বাল্কের যেটুকু বাড়ানোর বাড়িয়েছি। তারা যদি নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ চায় তাহলে যে মূল্যে কিনে আনব সেই মূল্যই তাদের দিতে হবে। এখানে ভর্তুকি দেয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই।'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, 'এটা ভুলে যাবেন না, ভর্তুকির টাকাতো জনগণেরই টাকা। যত মূল্য কম থাকে তাদের আমাদের বিত্তশালীরা লাভবান হন। যারা সাধারণ মানুষ তারা ঠিকমত বিল দেয়। বিত্তশালীরা আরাম আয়েশ করবে আর স্বল্প মূল্যে পাবে, তা কী করে হয়? সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা আমাদের পরিকল্পনা নিচ্ছি।'মুল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন সরকার প্রধান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষদের জন্য টিসিবির ফেয়ার প্রাইস কার্ড দেওয়া হয়েছে। একেবারে হতদরিদ্রের জন্য বিনাপয়সায় খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ইংল্যান্ডের মতো জায়গায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতি ১৩ দশমিক ৩ শতাংশ। পৃথিবীর সব দেশে এই অবস্থা বিরাজমান। বাংলাদেশ এখনো সেই অবস্থায় পড়েনি।সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনে বিদ্যুতের ব্যবহার ৫০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছি। এভাবে যদি সবাই উদ্যোগ নেয়- তাহলে বিদ্যুৎ ব্যবহার সাশ্রয়ী হতে পারে।'জাতীয় পার্টির এই সংসদ সদস্য বলেন, মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডোনাল্ড লু পাকিস্তান সফরের পর তেহরিক-ই ইনসাফ ক্ষমতাচ্যুত হয়ে যায়। তিনি বাংলাদেশে আসার পরে অনেকে মনে করেছিলেন, সরকারের কিছু একটা হবে। উনি যাওয়ার পরে সরকার মনে হয় খুব খুশি। আবার একটি দল মনে হয় খুবই অখুশি। রাজনৈতিকভাবে বর্তমান যে অবস্থা, মানুষের মাঝে একটি গুঞ্জন আছে- অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অবস্থার কারণে কিছু একটা কী যেন হয়। এ ধরনের কিছু আছে কি না? এ সময়ে তার মাইক বন্ধ হয়ে যায়। তিনি মাইক ছাড়াও আরও কিছু বলতে থাকেন।তার বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'একটু সর্দিকাশি হয়েছে বলে বেশি বলতে চাচ্ছিলাম না। আর ছড়াতেও চাই না। শুধু প্রশ্নের উত্তর দিতে এসেছিলাম। এই প্রশ্নের উত্তরটা না দিলেই নয়।'
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ জানুয়ারি ২০২৩
সারাদেশের ১৩টি জেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আরও ৪৫টি কমিউনিটি ভিশন সেন্টার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ নিয়ে দেশে মোট কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের সংখ্যা দাঁড়াল ১৩৫টিতে। ফলে তৃণমূলের এক তৃতীয়াংশ মানুষকে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসার আওতায় আনা হয়েছে।বুধবার গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৪৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন তিনি।অনুষ্ঠানে ভোলার চরফ্যাশন, বরগুনার আমতলী, চট্টগ্রামের বাঁশখালী এবং কক্সবাজারের পেকুয়ার কমিউনিটি ভিশন কেন্দ্রগুলো ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিল এবং সেখানে উপকারভোগীদের সঙ্গে পরে প্রধানমন্ত্রী মতবিনিময়ও করেন।নতুন চালু হওয়া কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ২০টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ২০টি, রাজশাহী বিভাগে চারটি এবং খুলনা বিভাগে একটি খোলা হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে এর আগে ৯০টি কমিউনিটি ভিশন সেন্টার খুলেছিলেন, যা বিনামূল্যে আধুনিক ও উন্নত চোখের চিকিৎসা দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় রোল মডেল হয়ে উঠেছে।অনুষ্ঠানে বক্তব্য আরও রাখেন- স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফা কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের কার্যক্রম সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা করেন।অনুষ্ঠানে কমিউনিটি আই ভিশন সেন্টার থেকে বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা প্রদান সংক্রান্ত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। কমিউনিটি ভিশন সেন্টার থেকে এ পর্যন্ত ১৩,৩১,৫৭৭ ব্যক্তি চোখের চিকিৎসা নিয়েছেন এবং ২, ১০, ৮৬৮ জন কেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে চশমা পেয়েছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ জানুয়ারি ২০২৩
বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগে শূন্যঘোষিত পাঁচটি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে বাজেট–সংকটের কারণে ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকছে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশিদা সুলতানা। বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনে নিয়োগ পাওয়া প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশিদা সুলতানা এ কথা জানান। আজ মঙ্গলবার সকালে বগুড়া জেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।উপনির্বাচনে সিসিটিভি স্থাপন প্রসঙ্গে রাশিদা সুলতানা বলেন, পর্যাপ্ত বাজেট না থাকায় পাঁচ আসনের উপনির্বাচনে নিরাপত্তায় সিসিটিভি থাকছে না। আর ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি স্থাপনের কোনো বাধ্যবাধকতাও নেই। যদি পরবর্তী কোনো নির্বাচনে সরকার বাজেট দেয়, তখন সিসিটিভি স্থাপন করা হবে। আপাতত উপনির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি থাকছে না।আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএমে ভোট গ্রহণ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার বলেন, আগে ৮০টি আসনে নির্বাচন করার মতো ইভিএম (যন্ত্র) ছিল, তবে কিছু ইভিএম নষ্ট হয়েছে। এখন সব মিলিয়ে ৬০ থেকে ৭০ আসনে ইভিএমে নির্বাচন করার মতো যন্ত্র নির্বাচন কমিশনের কাছে আছে।নিবন্ধিত সব দলকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে রাশিদা সুলতানা বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে আনার হার্ড অ্যান্ড ফাস্ট রুল আরপিওতে (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) কোথাও নেই। তবুও আমরা চাইব, নিবন্ধিত সব দলের প্রতি আহ্বান করব, সবাই নির্বাচনে আসুক। আমরা সেই ক্ষেত্র তৈরির চেষ্টা করছি। উদ্দেশ্য একটাই, আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করা। যেন ভোটাররা কেন্দ্রে এসে নির্বিঘ্নে ভোট দিয়ে চলে যেতে পারেন। এই ফিল্ড তৈরির জন্যই এত পরিশ্রম।’সভার পর রাশিদা সুলতানা বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনে সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে প্রার্থী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যদের সঙ্গেও মতবিনিময় সভা করেন। নির্বাচনে রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ওই সভায় বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান বক্তব্য দেন।সভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) জেলা কমিটির সভাপতি মাসুদার রহমান উপনির্বাচনের প্রতিটি কেন্দ্রে সিসিটিভি স্থাপনের দাবি তুলে ধরেন। তাঁর এ দাবির প্রতি সমর্থন জানান জাতীয় পার্টির (এরশাদ) প্রার্থী নুরুল ইসলাম ওমর ও জাসদের (ইনু) প্রার্থী ইমদাদুল হক। তবে প্রার্থীদের এ দাবির বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করেননি নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশিদা সুলতানা। তবে ভোট অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।এ ছাড়া প্রার্থীরা অবাধ পরিবেশে ভোট গ্রহণ, কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য মুঠোফোন নম্বর, গোপনকক্ষে ঢুকে কেউ যেন ভোটারদের প্রভাবিত করতে না পারেন, তা নিশ্চিত করার জন্য দাবি জানান।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ জানুয়ারি ২০২৩
ঢাকার ধামরাইয়ের ইসলামপুর এলাকার একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ হোসনে আরাও (৩৫) মারা গেছেন। এই নিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ পাঁচজনেরই মৃত্যু হলো।মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ধামরাই থেকে শিশুসহ ৫ জন দগ্ধ হয়ে এসেছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় একে একে চারজন মারা যান। সবশেষ আজ সকালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন হোসনে আরাও মারা গেছেন। তার শরীরের ২৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তিনি আরো বলেন, তার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব এলাকায়।গত ৭ জানুয়ারি ভোরের দিকে বিস্ফোরণের এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধ অবস্থায় সকাল ৯টার দিকে তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে মো. মনজুরুল ইসলাম (৩৫), জোসনা বেগম (২৫), সাদিয়া আক্তার (১৯) ও শিশু মরিয়ম (২) আগেই মারা যান। মঙ্গলবার সকালে মারা গেলেন হোসনে আরা (২০)।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ জানুয়ারি ২০২৩
চলতি বছরের শুরুর কয়েকটি দিন কনকনে ঠাণ্ডা ছিল। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঘন কুয়াশা ছিল দিন কয়েক। এর সঙ্গে বাড়ছিল শৈত্যবাহও। প্রায় চার দিন ধরে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এখন আবার শীত বাড়তে পারে। ইতিমধ্যে দেশের বেশির ভাগ এলাকায় রাতের তাপমাত্রা কমেছে। এ ধারা আরও কয়েক দিন থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।আজ সোমবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম অধিদপ্তরের ৬০টির বেশি স্টেশন থেকে পাওয়া তাপমাত্রার তথ্য তুলে ধরেন। তিনি জানান, ৬০টির বেশি স্টেশনের মধ্যে ৬টি স্টেশনে ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেড়েছে। অপরিবর্তিত রয়েছে আটটি স্টেশনে। বাকি স্টেশনগুলোয় তাপমাত্রা কমেছে।মো. শাহীনুল ইসলাম বলেন, দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়েছে। আবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও বেড়েছে। তবে গড়ে বেশির ভাগ স্টেশনে তাপমাত্রা কমে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় গড়ে ১ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমেছে। তাই ধীরে ধীরে শীত আরও বাড়বে। আবার সেই সঙ্গে শৈত্যপ্রবাহের এলাকারও বিস্তৃতি ঘটবে।আজ সকাল ৯টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তুলে ধরা হয়েছে। সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল কক্সবাজারের টেকনাফে ২৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।রাজধানীতে সবশেষ ২৪ ঘণ্টার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমে হয়েছে ১৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের ২৪ ঘণ্টায় এটি ছিল ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকর্ডে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকা ও এর কাছাকাছি এলাকায় মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। দিনাজপুর, সৈয়দপুর, পঞ্চগড় নীলফামারী ও মৌলভীবাজার জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা বিস্তার লাভ করতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ জানুয়ারি ২০২৩
টাকা-পয়সার লেনদেনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর গুলশান ১ নম্বরে গ্লোরিয়া জিন্স কফিস বাংলাদেশ নামে একটি রেস্টুরেন্টের সামনে গুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দু'জনকে আটক করেছে পুলিশ।রোববার (১৫ জানুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।বিষয়টি নিশ্চিত করে গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার মো. আ. আহাদ বলেন, বিকেল ৪টার দিকে গ্লোরিয়া জিন্স নামক রেস্টুরেন্টের সামনে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। একজন আরেকজনকে গুলি করেছেন। এ ঘটনায় আমরা জড়িত দুজনকেই হেফাজতে নিয়েছি। তাদের আগ্নেয়াস্ত্রের বৈধতা, নাম-পরিচয় যাচাই করা হচ্ছে।প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, টাকা পয়সার লেনদেনকে কেন্দ্র করে গোলাগুলির ঘটনার সূত্রপাত। বিস্তারিত পরে জানানো হবে, বলে জানান আ. আহাদ।জানা গেছে, গুলিতে আহত ব্যক্তির নাম আমিনুল। আর যিনি গুলি করেছেন তার নাম অহিদুল। পুলিশ দুজনকেই আটক করে
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ জানুয়ারি ২০২৩
ঢাকা সফররত মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক মার্কিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বকে শক্তিশালী করার বার্তা দিয়েছেন।রোববার (১৫ জানুয়ারি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন লু। বৈঠক শেষে যৌথ ব্রিফিং করে উভয়পক্ষ।ব্রিফিংয়ের শুরুতে বাংলায় সালাম দিয়ে বক্তব্য শুরু করেন লু। এরপর বাংলায় তিনি বলেন, মনোমুগ্ধকর নদী মাতৃক এবং অতিথিপরায়ণ মানুষের দেশ বাংলাদেশে আসতে পেরে আমি আনন্দিত। আমি এখানে এসেছি, আমাদের দুই দেশের বন্ধুত্বকে শক্তিশালী করতে। যখন বর্তমান বিশ্ব শান্তি ও নির্বাচনের জন্য সংগ্রাম করে চলেছে। শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় আসেন লু। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনি পৌঁছালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমেরিকান অনুবিভাগের মহাপরিচালক নাঈম উদ্দিন আহমেদ তাকে অভ্যর্থনা জানান।গত ৩০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের হয়ে পররাষ্ট্র কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন ডোনাল্ড লু। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর (অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি) দায়িত্ব পান লু। এর আগে এ অঞ্চলে একাধিক দেশে সফর করলেও ঢাকায় এটিই তার প্রথম সফর।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ জানুয়ারি ২০২৩
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা নিজেরাই দুর্নীতিগ্রস্ত তারাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলছেন। শুধু দুর্নীতির কথা বললে হবে না, প্রমাণ দিতে হবে, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।আজ (শনিবার) সকালে আওয়ামী লীগের নব-নির্বাচিত জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এসব কথা বলেন তিনি। যৌথসভার সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।তিনি বলেন, ১৪ বছরে যে কাজ সরকার করেছে তাতে দেশের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। করোনার পরে বিশ্বমন্দার মাঝে মানুষের জীবনযাত্রা সহজ করতে সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর কথা চিন্তা করতে হবে। মন্দার কারণে সরকার অনেক হিসাব-নিকাশ করে চলছে।তিনি আরও বলেন, গত ১৪ বছরে দেশের যে উন্নতি হয়েছে তা অনেকেই স্বীকার করতে চায় না। আওয়ামী লীগ যে ওয়াদা করে তা রাখে। প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাজ করা হচ্ছে বলেই জনগণ তার সুফল পাচ্ছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বলেও সভায় মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ জানুয়ারি ২০২৩
রাজধানীর রামপুরা টিভি সেন্টারের পাশে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে মনোয়ার আদিব (৩০) নামে এক যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষার শেষে মৃত ঘোষণা করেন।মনোয়ার আদিবের ফুপা আবুল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, মনোয়ার একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। গতকাল রাতে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হয়ে। পরে স্ত্রীকে রুম থেকে বের করে ভেতর থেকে দরজা লাগিয়ে দেয় মনোয়ার। পরে ডাকাডাকি করলে দরজা না খোলায় স্ত্রীর ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে দরজা ভেঙে দেখে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।তিনি বলেন, তার বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জ থানার দারিয়াল গ্রামে। স্ত্রীকে নিয়ে ওই বাসাতেই থাকতেন মনোয়ার।ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনা রামপুরা থানাকে জানানো হয়েছে। বিষয়টি তারা তদন্ত করছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ জানুয়ারি ২০২৩
দীর্ঘ দুই বছর পর টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বসেছে বিশ্ব ইজতেমার জমায়েত। আর সেখানে একসঙ্গে জুমার নামাজ আদায় করেছেন দেশ-বিদেশের লাখো ধর্মপ্রাণ মুসল্লি। নামাজ শেষে দুই হাত তুলে আল্লাহর কাছে অশ্রুসিক্ত চোখে প্রার্থনা করেন তারা।শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বাদ ফজর পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হকের আম বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার প্রথম পর্বের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়।রোববার (১৫ জানুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বিশ্ব ইজতেমার এ পর্ব। দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে শুক্রবার (২০ জানুয়ারি)।মুসলিম উম্মার দ্বিতীয় বৃহৎ এ জামায়াতে ইমামতি করেন কাকরাইল মসজিদের খতিব ও তাবলীগের শূরা সদস্য মাওলানা জোবায়ের।দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে হয় জুমার আজান, ১টা ৪০ মিনিটে শুরু হয় জুমার খুদবা। দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে শুরু হয় জুমার নামাজ, শেষ হয় দুপুর ১টা ৫২ মিনিটে। সকাল থেকে ইজতেমা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গতকাল রাত থেকেই তুরাগতীরে হাজির হন লাখো মুসল্লি, এসেছেন দেশের বাইরে থেকেও। আর ভোর থেকে টঙ্গীর আশেপাশের এলাকা ঢাকা, গাজীপুর, আশুলিয়া, সাভারসহ বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের জনস্রোত নামে ইজতেমা ময়দানে। ১৬০ একরের ইজতেমা ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ হওয়ায় মুসল্লিরা আশেপাশের খালি জায়গা, ফুটপাত ও রাস্তায় জায়গা নিয়েছেন। সেখানে বসেই তারা শুনছিলেন শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বিদের বয়ান। আর মাঠের বাইরে থাকা মুসল্লিদের বয়ান ও নির্দেশনা শোনার সুবিধার্থে প্রায় ৫০ মিটার পরপরই স্থাপন করা হয়েছে মাইক।এদিকে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজক কমিটির সদস্য প্রকৌশলী আব্দুন নূর বলেন, দেশ-বিদেশের লাখো মুসলিম জনতার পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে টঙ্গীর তুরাগ তীর। ইতোমধ্যে পুরো ময়দান পূর্ণ হয়ে গেছে। জিকির-আসকারে সময় পার করছেন মুসল্লিরা।উত্তরা থেকে আসা জাহিদুল ইসলাম বলেন, উত্তরার ৭ নং সেক্টরের ১৮ নম্বর রোডে বাসা। নিয়মিত সেখানেই নামাজ পড়ি। বাসার কাছে এতো বড় আয়োজন, সেটি তো মিস করা যায় না। যেখানে লাখো মানুষ এক কাতারে নামাজ পড়ে, যেখানে এতো বরকত নাজিল হয় সেখানেই জুমার নামাজটা পড়তে এসেছি।পুরান ঢাকা থেকে আসা রুবেল খান বলেন, বছরে একটা জামায়াত অন্তত লাখো মানুষের কাতারে পড়তে চাই। তাই সকাল ১০টায় রওনা হয়েছি বাসা থেকে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ জানুয়ারি ২০২৩
বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনীতিকে বিবেচনায় নিয়ে একটি ন্যায্য ও গ্রহণযোগ্য অর্থনৈতিক ব্যবস্থার জন্য এবং একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ ও উন্নত বিশ্বের জন্য একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বৃহস্পতিবার ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত ‘ভয়েস অব দ্য সাউথ সামিট ২০২৩’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে (ইন্যাগুরাল লিডারস সেশন) গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।তিনি বলেন, টেকসই বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও বৈশ্বিক দক্ষিণের (গ্লোবাল সাউথ) উন্নয়নের জন্য এগুলো সম্মিলিতভাবে সমাধান করা প্রয়োজন। মানবতার বৃহত্তর স্বার্থে বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে।প্রধানমন্ত্রী ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই সম্মেলন বিশ্বজুড়ে তাদের সমকক্ষদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার এক অনন্য সুযোগ করে দেবে। বাংলাদেশ গ্লোবাল সাউথের একটি দেশ। ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’ ধারণার আওতায় অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য জি২০-এর প্রেসিডেন্ট হিসেবে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গিকে স্বাগত জানাই।টেকসই বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রস্তাবে তিনি বলেন, প্রথমত মানবতার বৃহত্তর স্বার্থে বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে। দ্বিতীয়ত একটি নতুন দৃষ্টান্ত প্রয়োজন, যা এসডিজির সমান্তরালে সামগ্রিকভাবে বৈষম্যকে মোকাবিলা করবে। তৃতীয়ত স্বল্পোন্নত দেশ, জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশসহ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য বিশেষ অর্থায়নের প্রয়োজন, তাদের উত্তরণের সময় এটি পূরণ করতে হবে।চতুর্থ প্রস্তাবে তিনি নারীসহ সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে ‘ডিজিটাল ডিভাইডস’ সেতুবন্ধ রচনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।তরুণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিনিয়োগ করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুবিধা নিন। যার জন্য অর্থায়ন ও প্রযুক্তি হস্তান্তর সমর্থন অত্যাবশ্যক, তিনি যোগ করেন।তিনি বলেন, পঞ্চমত সব মানুষেরই ভালোভাবে জীবনযাপনের সমান অধিকার থাকা উচিত। বৈশ্বিক সম্প্রদায় জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের প্রত্যাবর্তন নিশ্চিতের বিষয়টি যেন ভুলে না যান।প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক মানব উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সাউথ-সাউথ ও ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করুন। এখানে অংশীদার, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি খাত, থিংক-ট্যাংক ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারের কাছ থেকে সমর্থন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।শেখ হাসিনা বলেন, প্রায় পাঁচ দশক আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘মহান অর্থনৈতিক উত্থান’-এর মুখে একটি ন্যায়সঙ্গত আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য জরুরি বোধ তৈরির আহ্বান জানিয়েছিলেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জি২০ প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের বিষয়ে পরামর্শমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে জি২০ প্ল্যাটফরমকে আরও অর্থবহ করার জন্য তার দৃঢ় প্রতিশ্রুতিকে আমি গভীরভাবে উপলব্ধি করি।তিনি ‘ভয়েস অব দ্য সাউথ সামিট’ আহ্বান করার জন্য এবং ‘মানবকেন্দ্রিক উন্নয়ন’বিষয়ক উদ্বোধনী নেতাদের অধিবেশনে তাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানান।সূত্র: বাসস
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ জানুয়ারি ২০২৩
মেট্রোরেলের আগারগাঁও স্টেশনে নবজাতকের জন্ম দিয়েছেন এক নারী।আজ বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপক মাহফুজুর রহমান।তিনি জানান, ওই নারীর নাম সোনিয়া রানি। আজ সকালে স্বামী সুকান্ত সাহার সঙ্গে উত্তরা থেকে তিনি মেট্রোরেলে রওনা দিয়েছিলেন। ট্রেনটি আগারগাঁও স্টেশনে পৌঁছালে তার প্রসববেদনা উঠে। তখন স্কাউট সদস্য ও ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ দ্রুত তাকে স্টেশনের ফার্স্ট এইড কক্ষে নিয়ে যায়। পরে এক নারী চিকিৎসকের সহায়তায় নবজাতকের জন্ম হয়।'মা-নবজাতক দুজনেই সুস্থ আছে
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ জানুয়ারি ২০২৩
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ বাড়ির যে তথ্য সামনে এসেছে তা অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সূত্র বলছে, পত্রিকায় প্রকাশিত ১৪ বাড়ি সংক্রান্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। তাকসিম এ খানের বিরুদ্ধে আগে থেকে চলমান অনুসন্ধানের সঙ্গে এ বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে। দুদক উপপরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম অভিযোগটি অনুসন্ধান করবে। টিমের অপর সদস্য হলেন সহকারী পরিচালক মাহবুব আলম।দুদকের এই টিম ওয়াসার পদ্মা জশলদিয়া প্রকল্পে প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা, গন্ধবপুর পানি শোধনাগার প্রকল্পে ১ হাজার কোটি টাকা, দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগার প্রকল্প, গুলশান-বারিধারা লেক দূষণ রোধ প্রকল্পসহ আরও কয়েকটি প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখছে বলে জানা গেছে। গত ৯ জানুয়ারি দৈনিক সমকালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন হাইকোর্টের নজরে আনেন দুদকের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি বাড়ি রয়েছে। এসব বাড়ির দাম টাকার অঙ্কে হাজার কোটি ছাড়াবে।দুদকে দেওয়া দুটি অভিযোগের সূত্র ধরে এ প্রতিবেদন করা হয়। তখন ওই দুটি অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধানের অগ্রগতি জানতে চান হাইকোর্ট। দুদককে ১৫ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জানাতে বলেন আদালত।যদিও এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে গতকাল (১০ জানুয়ারি) তাকসিম এ খান দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রে তার কোনো বাড়ি নেই। একটি বাড়ি আছে, সেটি তার স্ত্রীর নামে। সেখানে ১৪ বাড়ি থাকার ব্যাপারে মিথ্যা প্রতিবেদন করা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ জানুয়ারি ২০২৩