সবাইকে মেট্রোরেলের সঠিক সংরক্ষণের দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেক টাকা খরচ করে মেট্রোরেল করা হয়েছে। এ মেট্রোরেল সংরক্ষণ করা সবার দায়িত্ব। যাতে মেট্রোরেলের কোনো কিছু নষ্ট না হয়, সে জন্য তিনি সবাইকে তা ব্যবহারে যত্নশীল হতে আহ্বান জানিয়েছেন। এই মেট্রোরেল পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।মেট্রোরেলকে বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রযাত্রার মুকুটে আরেকটি পালক হিসেবে অভিহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, আজকে আমরা বাংলাদেশের অহংকারে আরেকটি পালক সংযোজন করতে পারলাম।মেট্রোরেল উদ্বোধন উপলক্ষ্যে বুধবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে আয়োজিত সুধীসমাবেশে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।মেট্রোরেল প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রযাত্রায় আরেকটি পালক দিতে পারলাম, এটিই বড় কথা।’প্রধানমন্ত্রী বলেন, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জনগণ সেবা করার সুযোগ দিয়েছিল। সে জন্য সবার প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ ডিসেম্বর ২০২২
প্রথমবারের মতো দেশে মেট্রোরেলের যাত্রী হিসেবে যাত্রা করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন ছোটো বোন শেখ রেহেনা।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আগে আজ বুধবার দুপুরে সবুজ পতাকা উড়িয়ে মেট্রোরেল চালুর নির্দেশনা দেন। প্রথম যাত্রী হিসেবে তিনি ও তার ছোটো বোন টিকিট সংগ্রহ করেন।এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মারক ডাকটিকেট, প্রথম দিনের কভার ও স্মারক নোট উন্মোচন করবেন।প্রধানমন্ত্রী উত্তরা উত্তর মেট্রোরেল স্টেশনের মূল ফলক পরিদর্শন ও এর পাশে একটি তেঁতুল গাছের চারা রোপণ করেন এবং মোনাজাত করেন।প্রধানমন্ত্রী টিকেট অফিস মেশিন (টিওএম) ব্যবহার করে এমআরটি পাস কেনেন এবং কনকোর্স লেভেল থেকে আগারগাঁওগামী প্ল্যাটফর্মে আসেন।তিনি সবুজ পতাকা নাড়িয়ে দেশের প্রথম মেট্রোরেল চলাচলের আনুষ্ঠানিক যাত্রার শুভ সূচনা করেন এবং এর পরের ট্রেনে আগারগাঁওয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ান দেন।প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ২০০ জনের মতো আমন্ত্রিত অতিথি আছেন। অতিথিদের মধ্যে কূটনীতিক, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, নানা পেশার মানুষ, স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠী লোকজন আছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ ডিসেম্বর ২০২২
রাজধানী ঢাকাবাসীর জন্য আজ বুধবার বহুল প্রতীক্ষিত মেট্রোরেলের ফলকের রেপ্লিকা উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে এক অনুষ্ঠানে মেট্রোরেলের ফলকের রেপ্লিকা উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপরই মোনাজাত করা হয়। এ সময় তাঁর সঙ্গে আছেন ছোট বোন শেখ রেহানা। এদিকে দিয়াবাড়িতে বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মেট্রোরেল কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী দিয়াবাড়িতে সুধী সমাবেশে অংশ নেবেন। সমাবেশ মঞ্চে শেখ রেহানাও আছেন। উদ্বোধনের পর রুটের মধ্যবর্তী স্টেশনে কোনো বিরতি ছাড়াই উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল। পরদিন আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে যাত্রীরা মেট্রোরেলে যাতায়াত করতে পারবেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ ডিসেম্বর ২০২২
বহুল প্রতীক্ষিত ঢাকার প্রথম মেট্রোরেল আগামীকাল বুধবার উদ্বোধন করা হবে। সাধারণ যাত্রীরা পরদিন বৃহস্পতিবার থেকে মেট্রোরেলে চড়তে পারবেন।আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উত্তরায় মেট্রোরেল উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে মেট্রোরেলে চড়ে আগারগাঁওয়ে নামবেন। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জানিয়েছে, শুরুতে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল। পৌনে ১২ কিলোমিটারের এই পথ পাড়ি দিতে মেট্রোরেলের সময় লাগবে ১০ মিনিট ১০ সেকেন্ড।শুরুতে মেট্রোরেল চলবে দিনে চার ঘণ্টা। সকাল ৮ থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলার সময় ট্রেন মাঝপথে কোথাও থামবে না। শুরুতে উত্তরা ও আগারগাঁও স্টেশন থেকে টিকিট (কার্ড) কাটা যাবে। এই পথের ভাড়া ৬০ টাকা।প্রথম দিকে স্টেশনে দুই ধরনের কার্ড পাওয়া যাবে। স্থায়ী ও এক যাত্রার (সিঙ্গেল জার্নি) কার্ড।শুরুতে মেট্রোরেল স্টেশন থেকেই এই কার্ড কিনতে হবে। পরে পর্যায়ক্রমে স্টেশনের বাইরে কার্ড বিক্রির জন্য কিছু প্রতিষ্ঠান নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।১০ বছর মেয়াদি স্থায়ী কার্ড কিনতে হবে ২০০ টাকা দিয়ে। এই কার্ড দিয়ে যাতায়াতের জন্য প্রয়োজনমতো টাকা রিচার্জ করা যাবে।স্থায়ী কার্ড পেতে নিবন্ধন করতে হবে। বৃহস্পতিবার ডিএমটিসিএলের ওয়েবসাইটে নিবন্ধনের লিংক দেওয়া হবে। এদিন থেকে নিবন্ধন করা যাবে। নিবন্ধন করতে নিজের নাম, মাতা–পিতার নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা পাসপোর্ট নম্বর, মুঠোফোন নম্বর, ই-মেইল আইডি লাগবে।এক যাত্রার (সিঙ্গেল জার্নি) কার্ডের জন্য নিবন্ধনের প্রয়োজন হবে না। স্টেশন থেকে এই কার্ড কিনে যাত্রা করা যাবে। ট্রেন থেকে নামার সময় কার্ড রেখে দেওয়া হবে।স্টেশনের টিকিট অফিস মেশিন (টিওএম) থেকে বিক্রয়কর্মীর সহায়তায় কার্ড কেনা যাবে। এ ছাড়া ভেন্ডিং মেশিন থেকে যাত্রীরা নিজেরাই স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।সরকার মেট্রোরেলের সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ করেছে ২০ টাকা। এরপর প্রতি দুই স্টেশন পর ১০ টাকা ভাড়া যোগ হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ ডিসেম্বর ২০২২
আগামীকাল বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) উদ্বোধন হতে যাচ্ছে দেশের প্রথম বিদ্যুৎচালিত দ্রুতগতির মেট্রোরেল, যার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ প্রবেশ করতে যাচ্ছে আধুনিক সভ্যতার নতুন এক যুগে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেলের এমআরটি-৬ লাইনের দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁও অংশের উদ্বোধন করবেন আগামীকাল সকাল ১১টায়। তিনিই হবেন এই মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রী।আর সাধারণ যাত্রীরা বিশেষ করে ঢাকাবাসীরা স্বপ্নের মেট্রোরেলে চড়ার সুযোগ পাবেন পরদিন ২৯ ডিসেম্বর থেকে।১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এ পথের আধুনিক ট্রেনে সবগুলো কোচই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। শুরুর দিকে পুরাপুরি অপারেশনে যাচ্ছে না মহানগরীর নতুন এ গণপরিবহন। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জানিয়েছে, সেখানে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ চার ঘণ্টা চালানো হবে।মেট্রোরেলের উত্তরা দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশে মোট ৯টি স্টেশন। এগুলো হলো- উত্তরা উত্তর (দিয়াবাড়ী), উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর ১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া ও আগারগাঁও। তবে শুরুতে কোনও স্টেশনে দাঁড়াবে না মেট্রোরেল। দিয়াবাড়ী থেকে শুরু করে আগারগাঁওয়ে শেষ করবে। প্রতি ১০ মিনিট পর পর উভয়প্রান্ত থেকে চলাচল করবে শহরের সবচেয়ে আধুনিক এ বাহন।এদিকে উদ্বোধনের আগে সবগুলো মেট্রো স্টেশন সার্বিক প্রস্তুতি মোটামুটি শেষ হয়েছে। বিশেষ করে আগারগাঁও উত্তরা দিয়াবাড়ী স্টেশন বেশ পরিপাটি করে সাজানো হয়েছে। বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর নিজের প্রথম যাত্রী হয়ে যাবেন উত্তরা দিয়াবাড়ি স্টেশনে।এমআরটি-৬ লাইনের জন্য ২৪ সেট ট্রেন কেনা হচ্ছে জাপান থেকে। এরই মধ্যে ১৯টি ট্রেন এসেছে। ১৯ ধরনের পরীক্ষা চলছে সেগুলোর। পারফরম্যান্স টেস্ট, ট্রায়াল রান ও ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট শেষ হওয়া ১০টি ট্রেন চলবে দিয়াবাড়ী-আগারগাঁও অংশে। আর দুটি রিজার্ভ রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে শুরুতে পাঁচটি ট্রেন চলবে।আগামী মার্চে মেট্রোরেল পুরোপুরি বাণিজ্যিক কার্যক্রমে যাওয়ার পর স্টেশনে মাত্র ৩০ সেকেন্ড যাত্রাবিরতি করবে। ডিএমটিসিএলের তথ্য মতে, যাত্রীদের অভ্যস্ত হতে শুরুর দিকে বাড়তি সময় দেওয়া হবে। দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁওয়ের ভাড়া ৬০ টাকা, কিলোমিটার প্রতি ভাড়া ৫ টাকা।মেট্রোরেলের সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতা ২ হাজার ৩০৮ জন হলেও শুরুর দিকে প্রতিটি ট্রেন ১০০ থেকে ৩৫০ যাত্রী নিয়ে চলবে। মেট্রোরেলের ছয় বগির ট্রেনের দুই দিকেই থাকবে ট্রেইলার কোচ। মেট্রোরেলে প্রতিটি ট্রেনে একটি করে বগি নারী যাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। তবে নারী যাত্রীরা সাধারণ বগিতেও ভ্রমণ করতে পারবেন।উল্লেখ্য, এমআরটি-৬ প্রকল্প সরকারের অনুমোদন পায় ২০১২ সালে। ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা ব্যয় ধরে মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল। পরে তা ধাপে ধাপে বেড়ে হয়েছে ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। এরমধ্যে জাইকা ঋণ দিচ্ছে ১৯ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা। সবশেষ ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বেড়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ ডিসেম্বর ২০২২
শীত মৌসুমে দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার ভোর ৬টায় ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হলেও সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ। তবে গত বছর ডিসেম্বরে এ সময়ে ৮ এর ঘরে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এ বছর এখন পর্যন্ত এ হিম অঞ্চলে ১০ এর নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হতে দেখা যায়নি।এদিকে তাপমাত্রা ১০ নিচে না নামলেও তীব্র শীত অনুভব হচ্ছে এ জেলায়। বিকেল ৪টার পর থেকেই বইতে থাকে উত্তরের হিমেল হাওয়া। বুধবার বেলা ১১টা পর্যন্ত জেলা জুড়ে কুয়াশা আর শিশির ঝরতে দেখা যায়। গ্রামে শহরের হাটবাজারগুলোতে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা যায়। শীতবস্ত্রের অভাবে নিম্নবিত্তরা ফুটপাত থেকে গরম কাপড় কিনতে ভিড় করছে।কনকনে শীতের কারণে বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন শ্রেণির খেটে খাওয়া মানুষ। তবে পেটের তাগিদে কাউকে নদীতে পাথর তুলতে, কাউকে চা-বাগানে আবার কাউকে দিনমজুরের কাজ করতে যেতে দেখা গেছে। অটোরিকশা চালক মুশিদুল ইসলাম জানান, একদিকে তীব্র শীত, আরেকদিকে ঘন কুয়াশা। গাড়ি চালানো কষ্টকর হয়ে উঠেছে। যাত্রীও মিলছে না। আয় রোজগার কমে গেছে। আগের থেকে তেমন ভাড়া হচ্ছে না।এদিকে দিন-রাতে তাপমাত্রা দুই রকম থাকায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগ। জ্বর, সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা। উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু।চিকিৎসকরা বলছেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে। এমনিতে শীত মৌসুমে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়। শীতজনিত রোগ হিসেবে সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট বেশি হয়ে থাকে। আর শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। তাই এ সময়টাতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলে কিছুটা হলেও সুরক্ষা মিলবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ ডিসেম্বর ২০২২
রংপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের (রসিক) ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।এবার রসিকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) চলবে ভোটগ্রহণ। কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে ইভিএমসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে এই ভোটগ্রহণ। নির্বাচনে মাঠে থাকবেন ৪৯ জন ম্যাজিস্ট্রেট।নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচনী এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ন্ত্রণ ও নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।এদিকে, রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে ৮৬টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বেগম রাশেদা সুলতানা।সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। ইসি রাশেদা বলেন, সবাই মিলে নির্বাচন করতে হবে। প্রার্থীদের আচরণ হতে হবে বিধিমালা অনুযায়ী। আমাদের লোকবল খুব বেশি নেই, তবুও আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য চেষ্টা করব।তিনি বলেন, 'আমরা রসিক নির্বাচনে ৮৬টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছি। সেসব কেন্দ্রের জন্য আলাদা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমরা সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে এই কেন্দ্রগুলো নিবিড় পর্যবেক্ষণ করব। গাইবান্ধার মতো কোনো সমস্যা দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া হবে। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চাই'।এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৯ জন। এর মধ্যে ভোটের মাঠে লাঙ্গল প্রতীক ও ব্যক্তি জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়ার।অন্যদিকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী লতিফুর রহমান মিলন ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আমিরুজ্জামান পিয়ালও প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস দিচ্ছেন। এছাড়া বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী আবু রায়হান, খেলাফত মজলিসের প্রার্থী তৌহিদুর রহমান মণ্ডল রাজু, জাসদের শফিয়ার রহমান, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম খোকন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রচারণা চালাচ্ছেন। নির্বাচনে সংরক্ষিত কাউন্সিলর ৬৮ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর ১৮৩ জনসহ ২৬০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।রসিক নির্বাচনে ২ লাখ ১২ হাজার ৩০২ জন পুরুষ এবং ২ লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন নারী ভোটার ২২৯টি কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর এই সিটিতে সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা হয়েছিল ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি। সে মোতাবেক এ সিটির বর্তমান নির্বাচিতদের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ ডিসেম্বর ২০২২
নড়াইল সদর উপজেলার বিড়গ্রামে গরুচোর সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ খবর পেয়ে সকাল ৯টার দিকে নড়াইল-গোবরা সড়কের পল্লী বিদ্যুৎ স্টেশনের উত্তর পাশের শস্য ক্ষেতের মধ্য থেকে এবং দক্ষিণ পাশের মেহগনি বাগানের মধ্যে পড়ে থাকা লাশ দুটি উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য পরে লাশ দুটি নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।নিহত একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার দাড়িয়া বারইডাঙ্গা গ্রামের গফুর শেখের ছেলে আসাদুল শেখ (৩৬)। অপর ব্যক্তির নাম-ঠিকানা জানা যায়নি। নড়াইল সদর থানার ওসি মো. মাহমুদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত এক মাসের মধ্যে বিড়গ্রামের সুশেন বিশ্বাসের একটি, উজিরপুর গ্রামের রাম বিশ্বাসের ৫টি গরু চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা। ওই ঘটনার পর থেকে দুই গ্রামের লোকজন গরুচোর ধরতে নিয়মিত পাহারা দিত। রোববার দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে বিড়গ্রামের রেবো বিশ্বাসের বাড়িতে চোরেরা গরু চুরি করতে গেলে বাড়ির মালিক চোর চোর বলে চিৎকার করতে থাকেন।এ সময় আশপাশের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে চোরদের ধাওয়া দেয়। গ্রামবাসীর ধাওয়া খেয়ে চোর দলের ৩-৪ জন পালিয়ে যায়। এ সময় গরুচোর সন্দেহে আসাদুল শেখ ও অজ্ঞাত ব্যক্তিকে ধরে ফেলেন। তখন গণপিটুনি দিয়ে নড়াইল-গোবরা সড়কের পল্লী বিদ্যুৎ স্টেশনের উত্তর ও দক্ষিণ পাশে ফেলে রেখে যায়। ঘটনাস্থলেই দুই ব্যক্তি মারা যান। স্থানীয় কলোড়া ইউপি চেয়ারম্যান আশীষ কুমার বিশ্বাস জানান, ইউনিয়নের বিড়গ্রামসহ আশপাশের গ্রামে দিনের বেলায় ফেরিওয়ালা সেজে এরা কম্বল, থালা-বাটি ও অন্যান্য মালামাল বিক্রি করে খোঁজখবর নিয়ে রাতের বেলা চুরি কাজে লিপ্ত হতো। চুরি বেড়ে যাওয়ার কারণে গ্রামের লোকজন পাহারা দেওয়া শুরু করে।ওসি মো. মাহমুদুর রহমান জানান, এ ব্যাপারে সদর থানায় মামলা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ ডিসেম্বর ২০২২
আর দুদিন পর আগারগাঁও থেকে দিয়াবাড়ী পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার অংশে চালু হচ্ছে মেট্রোরেল। সে লক্ষ্যে মেট্রোস্টেশন ও সড়কের মিডিয়ান দৃষ্টিনন্দন করে সজ্জিত করা হয়েছে।স্বল্প পরিমাণ কাজ বাকি রয়েছে, সেগুলোও এখন তড়িঘড়ি করে করা হচ্ছে। ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রথম এই বৈদ্যুতিক ট্রেনের উদ্বোধন করবেন। পরের দিন থেকে সকাল ও বিকালে ২ ঘণ্টা করে মোট ৪ ঘণ্টা চলবে মেট্রোরেল। উদ্বোধন উপলক্ষে মিরপুর সাড়ে ১১ থেকে ক্যান্টনমেন্টের ভেতর দিয়ে মেট্রোরেল বরাবর নিচের সড়ক দিয়ে উত্তরা তৃতীয় প্রকল্প ও দিয়াবাড়ীতে চলাচল বন্ধ করা হয়েছে।উদ্বোধনের দিন এই সড়ক দিয়ে উত্তরা উত্তর বা মেট্রোরেলের ১ নম্বর স্টেশনে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে প্রথমে তিনি সুধী সমাবেশে অংশগ্রহণ করবেন।সুধী সমাবেশ শেষে মেট্রোরেলের ১ নম্বর স্টেশনসংলগ্ন নামফলকের উদ্বোধন করবেন। এরপর উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মেট্রোরেলে চড়ে আগারগাঁওয়ে মেট্রোস্টেশন হয়ে মেট্রোরেলের উদ্বোধনী কর্মসূচি শেষ করবেন।মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ জানায়, দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত সব স্টেশনের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এখন বারবার মেট্রোরেল চালিয়ে সবকিছু চেক করা হচ্ছে। আগারগাঁও মেট্রোস্টেশনে দায়িত্বপ্রাপ্তরা বলেন, স্টেশনটি তিনতলাবিশিষ্ট। দ্বিতীয়তলায় বাণিজ্যিক কার্যক্রমের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। সেখানে যাত্রীদের জন্য প্রয়োজনীয় এমন দোকান বসানো হবে। ওই বাণিজ্যিক জায়গায় প্রস্তুতকৃত খাবার বিক্রি করা হবে। তবে আগুন জ্বালিয়ে সেখানে কোনো খাবার তৈরি করার সুযোগ থাকবে না। মেট্রোস্টেশন কম্পাউন্ডের ভেতর ধূমপানও নিষিদ্ধ। কেননা মেট্রোরেলের নিয়ন্ত্রিত এলাকার সামান্য পরিমাণ আগুন জ্বললেও অগ্নিনির্বাপণ পদ্ধতিতে বড় আওয়াজ করবে। বিদ্যুৎচালিত ট্রেনে আগুন জ্বালানোর সুযোগ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় কোথাও এই সুযোগ রাখা হয় না। সব নাগরিকদের কথা বিবেচনা করেই মেট্রোরেল তৈরি করা হয়েছে। হেঁটে চলার সিঁড়ি, চলন্ত সিঁড়ি ও লিফটের ব্যবস্থা রয়েছে। বয়স ও শারীরিক সক্ষমতা বিবেচনা করে এসব সুবিধা ভোগ করবেন যাত্রীরা। প্রতিবন্ধীরা লিফটে চড়বেন, বয়স্করা চলন্ত সিঁড়িতে চড়বেন এবং তরুণ ও যুবকরা সাধারণ সিঁড়ি বেয়ে মেট্রোস্টেশনে ওঠানামা করবেন।বহু প্রতীক্ষিত মেট্রোরেল বা এমআরটি-৬ এর উদ্বোধনের পর প্রাথমিকভাবে সকাল ও বিকালে দুই ঘণ্টা করে চার ঘণ্টা চলবে। উত্তরা উত্তর স্টেশন বা প্রথম থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলবে এই বিদ্যুৎচালিত এই উড়াল ট্রেন। এই পথের দূরত্ব ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। উদ্বোধনের দিনই এ দুটি স্টেশন খুলে দেওয়া হবে। সে মোতাবেক সব প্রস্তুতিও সম্পন্ন করা হয়েছে। মেট্রোরেলের এই অংশের বাকি সাতটি স্টেশনও পর্যায়ক্রমে ধাপে ধাপে খোলা হবে। যাত্রীদের চাহিদা বিবেচনা করে মেট্রোরেলের শিডিউল নির্ধারণ করা হবে। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত স্টেশনগুলোর মধ্যে রয়েছে-উত্তরা উত্তর (দিয়াবাড়ী), উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া ও আগারগাঁও। উদ্বোধনী দিন শুরুর ও শেষের মেট্রোস্টেশন খুলে দেওয়া হবে। পরে ধাপে ধাপে অন্য স্টেশনগুলো খোলা হবে।উল্লেখ্য, সরকার মেট্রোরেলের সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ করেছে ২০ টাকা। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ভাড়া হবে ১০০ টাকা, কমলাপুর পর্যন্ত চালু হলে ভাড়া হতে পারে ১২০ টাকা। প্রথম পর্যায়ে মেট্রোরেলে যে অংশে চলাচল শুরু করবে, সেই উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও স্টেশন পর্যন্ত যাত্রীপ্রতি ভাড়া হবে ৬০ টাকা। বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার ২০১২ সালে মেট্রোরেল প্রকল্প গ্রহণ করে। ২০১৭ সালে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। জাপানি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা-জাইকা এই প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে। দিয়াবাড়ী থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এই মেট্রোরেল নির্মাণে খরচ হচ্ছে ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। আর মেট্রোরেল পরিচালনার জন্য প্রথম বছরে সরকার বরাদ্দ করেছে ১ হাজার কোটি টাকা।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ ডিসেম্বর ২০২২
গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার বলেছেন, সরকারি বিধি-বিধানের আওতায় কর্মচারীদের সৃষ্টি জটিলতা সমাধানের চেষ্টা করবো।বুধবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে গণপূর্ত ভবন অডিটরিয়ামে ' গণপূর্ত অধিদপ্তর কর্মচারীদের চাকরি নিয়মিতকরণ ও পদোন্নতি বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। শামীম আখতার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমস্ত কর্মচারীদের ও সমস্ত মানুষের কল্যানের জন্য কাজ করছেন। মানবিকতার দিক থেকেও প্রধানমন্ত্রী( শেখ হাসিনা) মাদার অব হিউম্যানিটি পান। সুতরাং কিসের জন্য কর্মচারীরা তার ( শেখ হাসিনা) সাপোর্ট করবেন, এটা কিন্তু সংসদীয় মিটিংয়ের আলোচনা সভায় সংসদ সদস্যরা বলেন। কর্মচারীদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, আমরা যে সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটির মিটিংয়ে যাই। সেখানে এই কমিটির সভাপতি হচ্ছেন আমাদের আগের মন্ত্রী মোশাররফ স্যার। সেখানে অনেক এমপি মহোদয় যারা আছেন স্ট্যান্ডিং কমিটিতে। সেখানে কর্মচারীদের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। গত দুইটা মিটিংয়ে সংসদ সদস্যরা তাদের(কর্মচারী) জন্য অনেক কষ্ট করেছেন। কর্মচারীদের সুবিধার কথা উল্লেখ করে প্রধান প্রকৌশলী আরও বলেন, সমস্ত বিষয়গুলো আমরা আলোচনা করবো। অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীরাও সে-বিষয়গুলো আলোচনায় নিয়ে এসেছেন। আমরা রেগুলার চেষ্টা করবো। পাশাপাশি সংসদ সদস্যেদের দিয়ে যদি কোন কাজ করানো সম্ভব হয় সেটাও করবো। এর আগে কুরআন তিলাওয়াতের মধ্যে দিয়ে মতবিনিময় সভা শুরু হয়। প্রথমে কর্মচারীদের পক্ষে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্যে প্রধান প্রকৌশলীর কাছে 'ভাউচার ভিত্তিক কর্মচারীদের' চাকরি স্থায়ীকরণ সহ তাদের বেতন বৃদ্ধির জন্য তারা দাবি জানান। গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ( সমন্বয় ও সংস্থাপন) মোঃ শহিদুল আলমের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, ঢাকা জোন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দিন, গণপূর্ত শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন সভাপতি রেজাউল করিম, কার্যকরি সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সহ-সভাপতি সুলতান মোল্লা, সোলাইমান হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক আফসার উদ্দিন, সহ- প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন, নগর গণপূর্ত ভবন কর্মচারী জাকির হোসেন, মজুরি ভিত্তিক কর্মচারী হোসাইন মোহাম্মদ প্রমুখ। এসময় গণপূর্ত অধিদপ্তরের অন্যান্য প্রধান প্রকৌশলী, উর্ধ্বতন কর্মকতা, গণপূর্ত শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন সহ গণপূর্ত অধিদপ্তরের বিভিন্ন স্তরের কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ ডিসেম্বর ২০২২
চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজার ও সীতাকুণ্ডে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় বলে জানান আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম।আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থা তুলে ধরে তিনি জানান, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি একই এলাকায় বিরাজমান রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।শাহীনুল ইসলাম জানান, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আজ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এছাড়া শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।এই আবহাওয়াবিদ জানান, সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আজ সকালে ঢাকায় বাতাসের গতিবেগ ছিল উত্তর/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ ডিসেম্বর ২০২২
ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস তার নিরাপত্তা জনিত বিষয় নিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক করেছেন যেখানে পিটার হাস তার ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন এবং নিজের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন।গত বুধবার (ডিসেম্বর) সকালে শাহীনবাগে প্রায় এক দশক ধরে নিখোঁজ বিএনপির নেতা সাজেদুল ইসলামের বাসায় যান পিটার হাস। সেখান থেকে বেরিয়ে আসার সময় বাসার বাইরে একদল লোক তাঁকে ঘিরে ধরার চেষ্টা করেন। তিনি নিরাপত্তাকর্মীদের সহায়তায় সেখান থেকে বেরিয়ে যান। এ বিষয়ে মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র সাংবাদিক জানান, নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ থাকায় বৈঠক শেষ না করেই সাজেদুলদের বাসা থেকে চলে আসেন পিটার হাস। বিষয়টি তাঁরা সরকারের উচ্চপর্যায়ে জানিয়েছেন।শাহীনবাগ থেকে আসার পর দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গিয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। সন্ধ্যায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে একটি অনুষ্ঠানের ফাঁকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান।আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘মার্কিন রাষ্ট্রদূত জরুরি ভিত্তিতে আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি বললেন যে তিনি এক বাসায় গিয়েছিলেন, আর সেখানে যখন গিয়েছেন, কিন্তু বাইরে বহু লোক ছিল। তারা উনাকে কিছু বলতে চাচ্ছিলেন। উনার সিকিউরিটির লোকেরা উনাকে তাড়াতাড়ি সেখান থেকে চলে যেতে বলেন। তারা বলেন যে ‘‘ওরা আপনার গাড়ি ব্লক করে দেবে’’। সেই নিরাপত্তা অনিশ্চয়তা থেকে তিনি তখন তাড়াতাড়ি সেখান থেকে চলে গেছেন। এবং এতে তিনি খুব অসন্তুষ্ট হয়েছেন।’পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি উনাকে (রাষ্ট্রদূত) বললাম যে আপনার নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব আমাদের। আপনার ওপর বা আপনার লোকের ওপর কেউ আক্রমণ করেছে? উনি বললেন যে, ‘‘না’’। তবে উনি বললেন যে, উনার গাড়িতে হয়ত দাগ লেগেছে। তবে এটা শিওর না। আমি বললাম, আপনার লোকদের নিরাপত্তা আমি দেব। আপনি যদি অধিকতর নিরাপত্তা চান আমরা দেব।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ ডিসেম্বর ২০২২
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে সকল শহীদকে স্মরণ করে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধিনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর কলাবাগানে স্বাচিপ মিলয়াতনে এই আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা.আ.ফ.ম.রুহুল হক বলেন,পূর্ব পাকিস্তানকে মেধা শুন্য করার যে প্রচেষ্টা শুরু হয়েছিল তারই ধারাবাহিকতায় ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়।সেই মুক্তিযুদ্ধের সময়ের অপশক্তি এখনো কাজ করে যাচ্ছে।তারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে।তাদের স্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না।মানুষের সেবার পাশাপাশি ডাক্তারদের অতিতের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কি ছিল এখন কি হয়েছে তা জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আহবান জানিয়ে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন,প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসা ব্যবস্থা কে জনগণের দোড়-গোড়ায় নিয়ে গেছেন।যার প্রমান কমিউনিটি ক্লিনিক। যার মাধ্যমে গরিব মানুষ বিনা মূল্য চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে।তাই আমি বলব,চিকিৎসক সমাজকে তার ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করতে হবে।করোনার সময় ভ্যাক্সিন প্রধানমন্ত্রীর যোগ্য নেতৃত্বে প্রাপ্তি সম্ভব হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার অবদান ছাড়া এই করোনায় এতো ভ্যাগসিন পেতাম না।তিনি তার পিতার মত জানেন জনগণের জন্য কি কাজ করতে হবে।হাসপাতাল গুলোতে বেডের সংখ্যা বাড়িয়ে দিছেন।তাই ভুলে গেলে চলবে না।তিনিও আমাদের কাছে চান।তিনি চান মানুষ যাতে চিকিৎসা পান।বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন(বিএমএ) এর সভাপতি ডা.মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন,পাকিস্তানি রা বুঝতে পেরেছিল তাদের দেশ ছেড়ে পালাতে হবে।তাই তারা ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল।তিনি বলেন, যতদিন এই বাংলাদেশ থাকবে শেখ হাসিনার হাতে এই দেশ পথ হারাবে না।এসময় তিনি স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সকল নেতা কর্মীদের বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে সব বিভেদ ভুলে দেশের জন্য কাজ করার আহবান জানান। স্বাচিপ নেতা মো. আবু রায়হান বলেন, "স্বাধিনতার স্বপক্ষের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তাহলেই আমাদের সংগঠনও শক্তিশালী হবে।"স্বাধিনতা চিকিৎসা পরিষদ স্বাচিপ এর সভাপতি ডা.জামাল উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন শহীদ ডা.আলীম চৌধুরীর সহধর্মিণী মিসেস শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, শহীদ ডা.আস্রাফ আলী তালুকদারের সন্তান, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা.মাসুদুল হাসান। আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা.মো কামরুল হাসান মিলন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ ডিসেম্বর ২০২২
আগামী ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের মধ্যেই শহিদ বুদ্ধিজীবীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।বুধবার রায়েরবাজারে শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ শহিদ হয়েছেন। সমাজে সবাই বুদ্ধিজীবী হন না। শহিদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা করতে জাতীয়ভাবে কমিটি করা হয়েছে। একটি তালিকা করা হয়েছে। শতাধিক নতুন আবেদন পাওয়া গেছে। আশা করছি, ২৬ মার্চ, মহান স্বাধীনতা দিবসের মধ্যেই শহিদ বুদ্ধিজীবীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করতে পারব।তিনি বলেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনী কতটা নিষ্ঠুর, নির্মম ছিল, তা স্মৃতিসৌধে এলে বোঝা যায়। বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে সুপরিকল্পিতভাবে জাতির মেধাবী সন্তানদের হত্যা করা হয়েছিল। খুনিরা মনে করেছিল, বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও যেন দেশটা মেধাশূন্য থাকে— এ রাষ্ট্র যাতে ব্যর্থ রাষ্ট্র হয়।মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, জামায়াত স্বাধীনতাবিরোধী দল, তারা স্বাধীনতার সময় রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে। তাই এ দেশে জামায়াতের রাজনীতি করার অধিকার থাকতে পারে না।এর আগে মিরপুরে শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বুধবার সকাল ৭টায় প্রথমে রাষ্ট্রপতি, পরে প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেখানে তারা কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শহিদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের খোঁজখবর নেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ ডিসেম্বর ২০২২
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক বলেছেন, যৌন হয়রানি সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যৌন হয়রানি বাড়ছে।আজ মঙ্গলবার প্রস্তাবিত ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২২’–এর খসড়ার ওপর আলোচনার সময় এসব কথা বলেন ডেপুটি স্পিকার।জাতীয় সংসদ ভবনের পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাবে খসড়ার ওপর মতামত জানতে বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার ব্যক্তিদের নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করে যৌথভাবে পার্লামেন্টেরিয়ান ককাস অন চাইল্ড রাইটস এবং সরকারি–বেসরকারি ১৯৮টি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির অভিজ্ঞতা বিনিময়ের প্ল্যাটফর্ম জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম।বক্তারা খসড়া আইনে যৌন নির্যাতনের সংজ্ঞা, সাজা, কমিটির নাম ও এখতিয়ার এবং আইনটি কার্যকরভাবে প্রয়োগের ক্ষেত্রে কী ধরনের প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করতে হবে তা নিয়ে মতামত তুলে ধরেন। বক্তারা বলেন, নারী ও মেয়েশিশুদের পাশাপাশি ছেলেশিশু ও তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিরাও যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে। দুর্যোগের সময় যৌন হয়রানির ঘটনা বেশি ঘটে। আইন চূড়ান্ত করার আগে এ বিষয়গুলো বিবেচনায় নিতে হবে। এ অপরাধে সাজা কতটুকু হতে পারে সেটিও আলোচনার ভিত্তিতে নির্ধারণ করার সুপারিশ উঠে আসে সভায়। যৌন হয়রানি প্রতিরোধে অভিভাবক থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টির ওপর জোর দেওয়া হয়।সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক বলেন, যৌন হয়রানি প্রতিকারের প্রেক্ষাপট থেকে আইন প্রণয়নের আলোচনা এসেছে। আইনটি এমন হতে হবে যেন তা অপরাধীদের জন্য হুমকি হয়। আইনটি কার্যকরভাবে প্রয়োগ করতে আইন প্রয়োগকারী ব্যক্তিদেরও সংবেদনশীল হতে হবে।জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা বলেন, আইনটি নিয়ে আলোচনা যেন শুধু ঢাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থাকে। পাহাড়ের মানুষেরা সহজে আইনের আশ্রয় নিতে চান না। তাঁদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।সংরক্ষিত মহিলা আসনের অপর সংসদ সদস্য আদিবা আঞ্জুম বলেন, যৌন হয়রানির প্রতিকারের আইনটি যেন কাউকে না ফাঁসাতে ব্যবহার করা হয়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।যৌন হয়রানির ক্ষেত্রে নতুন নতুন ধরনের অপরাধ বাড়ছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ মহিলা জজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও লেবার আপিলেট ট্রাইব্যুনালের সদস্য (জ্যেষ্ঠ জেলা জজ) তানজিনা ইসমাইল বলেন, যত দ্রুত সম্ভব আইনটি প্রণয়ন করা দরকার।ব্র্যাকের জেন্ডার জাস্টিস অ্যান্ড ডাইভারসিটি বিভাগের পরিচালক নবনীতা চৌধুরী বলেন, মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত হত্যার ঘটনা থেকে বোঝা যায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিকারে কমিটি গঠন করা কতটা জরুরি। কোন ধরনের কমিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য কার্যকর হবে তার ওপর আরও আলোকপাত করতে হবে।বেসরকারি সংস্থা ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘের (টিএমএসএস) নির্বাহী পরিচালক হোসনে আরা বেগম যৌন হয়রানি প্রতিরোধের ওপর বেশি জোর দেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ ডিসেম্বর ২০২২
চার মামলায় সাজার রায় মাথায় নিয়ে ‘পালিয়ে থাকা’বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা বাস্তবায়ন করার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বৃহস্পতিবার ঢাকায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের এক সভায় তিনি বলেন, “মুচলেকা দিয়ে গেছিল সাজাপ্রাপ্ত আসামি। আমি ব্রিটিশ সরকারের সাথে যোগাযোগ করব, তারেক জিয়াকে বাংলাদেশে ধরে এনে সাজা বাস্তবায়ন করব। আমেরিকা... তারা খুনি পালতেছে একটা, আবার কানাডা পালে আরেকটা, পাকিস্তানে আছে দুইটা। সবার কাছে বলব- এই খুনিদের ফেরত পাঠাতে হবে।“আর ব্রিটিশ সরকারকে বলব তারেক জিয়াকে দেশে ফেরত পাঠাতে। কারণ সে সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তারা (বহির্বিশ্ব) মানবতার কথা বলে, দুর্নীতির কথা বলে, আবার সেই খুনিকে, দুর্নীতিবাজকে তাদের দেশে আশ্রয় দেয়। কাজেই তাকে বাংলাদেশের কাছে হ্যান্ডওভার করতে হবে। এই দেশে নিয়ে এসে সাজা আমি বাস্তবায়ন করব।”বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এই সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা।তিনি বলেন, “যেসব দেশ আমাদের দেশের গণতন্ত্রের কথা বলে, তাদের দেশের অবস্থাতো আমরা জানি। প্রতিদিন মানুষ খুন হয়, ভোটের সময় ভোট চুরি হয়েছে বলে তাদের ক্যাপিটলেও আক্রমণ হয়, পাঁচ-ছয় জন গুলি করে মারে, আর তাদের কাছ থেকে আমার গণতন্ত্রের ছবক নিতে হবে! আমরা বাংলাদেশ, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকবে।”বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাকে যখন আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হল, আমি তখনই দেশে চলে আসছি। ওর বাপও (জিয়াউর রহমান) তো আমাকে ঠেকাতে পারেনি। তারেক জিয়ার বাপও আমাকে ঠেকাতে পারেনি। আবার যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, তখনও পারেনি। এতই নেতৃত্ব দেওয়ার শখ, দেশের বাইরে পালিয়ে থেকে কেন? ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি, সেই সুযোগে ডিজিটালি কথা বলে।”দেশবাসীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সবাই প্রস্তুত থাকবেন, বাংলাদেশের কোনো মানুষের একটা ক্ষতিও যেন করতে না পারে। দোকানপাট সবাইকে বলে দেবেন তারাও যেন প্রতিবাদ করে। এর আগে বহু যন্ত্রণা দিয়েছে তারা। আমরা অনেক সহ্য করেছি। এইভাবে আমার কৃষক শ্রমিক আমাদের নেতা-কর্মী কারও গায়ে হাত দিলে আর ক্ষমা নাই।”সংবাদকর্মীদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “বিএনপিকে যারা তেল মারছে, আমরা তাদেরও হিসাব করব। আওয়ামী লীগের সময় আরাম-আয়েশ করে ব্যবসা করে খাচ্ছে তো, কারও ব্যবসায় আমরা বাধা দিইনি তো। সবাইকে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবসা করতে দিয়েছি।”তার ভাষায়, “বিএনপির আমলে তো এত আরামে ব্যবসা করতে পারেনি। এই মিডিয়া একটা উল্টা পাল্টা লিখলেই তো মারত। তারপরেও এত আহ্লাদ কিসের? এত তেল মারা কিসের? আমি তো জানি না। কত তেল আছে আমি দেখব।”
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৯ ডিসেম্বর ২০২২
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্যই তার এই সংগ্রাম। 'বাবা মা, ভাই বোনকে হারিয়ে শুধুমাত্র বাংলাদেশের মানুষের উন্নত জীবন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জীবন বাজী রেখে কাজ করে যাচ্ছি।'তিনি বলেন, 'যে লক্ষ্য নিয়ে আমার বাবা দেশ স্বাধীন করেছিলেন--দুখি মানুষের মুখে হাসি ফটানো, তাদের উন্নত জীবন দেওয়া জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল, তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্যই কাজ করে যাচ্ছি''।আজ বুধবার বিকেলে কক্সবাজার সৈকতের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, 'বাংলাদেশের মানুষের কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ কারণ তারা বারবার আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন বলেই আমি দেশের জন্য কাজ করতে পারছি।''২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ সালে আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাদের নির্বাচিত করেছেন এই জন্য আমি আপনাদের কাছে চির কৃতজ্ঞ'।আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যত দূরেই থাকুন, আপনারা আমার অন্তরেই আছেন। দেশের উন্নয়ন চাইলে, জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন চাইলে নৌকায় ভোট দিন। আপনাদের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চাই।’এ সময় প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত জনতার উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা নৌকায় ভোট দেবেন কি না, হাত তুলে দেখান।’ মুহূর্তে লাখো জনতা হাত তুলে সাড়া দেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ ডিসেম্বর ২০২২
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে।আজ সোমবার সকাল ৯টা ২ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডে এই ভূকম্পন অনুভূত হয়। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) ওয়েবসাইটে এই তথ্য জানানো হয়।ইউএসজিএসের তথ্যমতে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ২।ইউএসজিএস বলছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল বঙ্গোপসাগর। এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ ডিসেম্বর ২০২২
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, উত্তরাঞ্চলে বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। আমরা ভেড়ামারা থেকে বিদ্যুৎ পাচ্ছি, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ পাব, ভারতের আদানি থেকেও বিদ্যুৎ আসবে। ফলে আগামী বছর থেকে বিদ্যুৎ সংকট অনেকটাই কেটে যাবে।তিনি বলেন, বিদ্যুতের পরিমাণ বাড়লে তার ব্যবহারও বাড়বে। ফলে ডিস্ট্রিবিউশন লাইনে ইনভেস্টমেন্ট বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে উত্তরাঞ্চলে প্রচুর খালি জায়গা রয়েছে। সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে নর্দার্ন ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) এর যথাযথ ব্যবহার করতে পারে।রোববার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর এক অভিজাত হোটেলে নেসকো আয়োজিত ‘নেসকো টুওয়ার্ডস ২০৪১, চ্যালেঞ্জ অ্যান্ড ওয়ে ফরোয়ার্ড’ শীর্ষক সেমিনারে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।নসরুল হামিদ বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয় তাদের ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটালাইজড করছে। কোন জমি কিভাবে ব্যবহৃত হবে তার একটা মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হচ্ছে। নেসকো তার এলাকায় কিভাবে বিদ্যুৎ ডিস্ট্রিবিউট করতে পারে সে বিষয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করতে পারে। ওখানে দুটো ইকোনমিক জোন এবং একটা বিসিক এরিয়া আছে। ফলে যথাযথ পরিকল্পনা অনুযায়ী বিদ্যুৎ ডিস্ট্রিবিউট করতে হবে।তিনি বলেন, উত্তরাঞ্চলে ২৭ হাজার সেচ পাম্প আছে। সেগুলোকে সোলার পাওয়ারের আওতায় আনার পরিকল্পনা করতে হবে। ২০৪১ এ বাংলাদেশের লক্ষ্য হলো জ্বালানি খাতে ৪০ ভাগ ক্লিন এনার্জি বাস্তবায়ন করা। নেসকোর এ বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত। নেসকোর আওতাধীন এলাকাগুলোর স্কুলের ছাদের সোলার প্যানেল বসানোর প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।পেমেন্ট সিস্টেম বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী তিন বছরের মধ্যে নেসকো এরিয়ার সমস্ত বিল সিস্টেম স্মার্ট প্রিপেইড মিটারের আওতায় চলে আসবে। এতে ভোগান্তি যেমন কমে যাবে, উত্তোলিত অর্থেরও যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত হবে।নসরুল হামিদ বলেন, বিদ্যুৎ খাতে আগামীতে এগিয়ে যাওয়ার পথ হলো টেকনোলজি। যার বিকল্প নেই। যে যত দেরিতে যাবে সে তত পিছিয়ে যাবে। পিজিসিবি, বিপিডিবি টেকনোলজিতে ঢুকতে পারেনি। এক্ষেত্রে নেসকো এগিয়ে গেছে। ফলে ২০১৬ জন্ম নেওয়া প্রতিষ্ঠানটি খুব অল্প সময়ে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হাবীবুর রহমান, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, নেসকো পিএলসির চেয়ারম্যান মহসিন চৌধুরী প্রমুখ।নেসকো চেয়ারম্যান মো. মোহসীন চৌধুরী বলেন, নেসকো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকায় তার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কিছুটা পিছিয়ে থাকা এই এলাকার জনগণের সরলতা সর্বত্র সমাদৃত। এই এলাকায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড দেশের অন্যান্য এলাকা থেকে একটু কম। বিদ্যুতের চাহিদাও কিছুটা কম। নেসকো এই এলাকায় একটি ক্যাটালিস্টের ভূমিকায় রয়েছে। নেসকোর সফলতার ওপর নির্ভর করছে এ এলাকার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতি প্রকৃতি। ফলে এ এলাকা হয়ে উঠবে বাংলাদেশের ক্রিটিক্যাল অর্থনৈতিক জোন।বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হাবিবুর রহমান বলেন, দুয়েক বছরের মধ্যে শতভাগ গ্রাহক প্রিপেইড মিটারের আওতায় আসবে। ২০২৫ সালের মধ্যে নেসকো একটি স্মার্ট ডিস্ট্রিবিউশন গড়ে তুলতে চায়। আমি আশা করছি, তারা সবার আগে সেটি করতে সক্ষম হবে। পাওয়ার সেলের ডিজি মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, নেসকো সব দিক থেকেই অনেক এগিয়ে গেছে। তাদের মিটার সিস্টেম, টেকনিক্যালি অনেক এগিয়ে আছে। কিন্তু তাদের সিস্টেম লস এখনো কিছুটা বেশি। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ ডিসেম্বর ২০২২
দুর্যোগ-দুর্বিপাক সবক্ষেত্রেই সেনাবাহিনী যথাযথ ভূমিকা পালন করছে বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (৪ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারীর বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে (বিএমএ) ৮৩তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ পরিদর্শনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সৌভাগ্য ২০২১ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। আমরা যেহেতু ২০২১ সালে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছি, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আজকের নবীন অফিসাররাই হবে ২০৪১ এর সৈনিক। যারা বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলবে। তিনি বলেন, ৭৫ সালের পর দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। তখন সেনাবাহিনীকে আধুনিকায়ন করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়। আমরা শান্তি চাই, যুদ্ধ নয়। জাতির পিতাই বলেছেন- সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়, আমরা তা মেনে চলছি। সেভাবে আমরা আমাদের দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্য স্থির করে আমাদের সুবর্ণজয়ন্তী ২০২১ সাল পালন করেছি। ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী পালন করেছি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ ডিসেম্বর ২০২২