পেশাদার সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে। সকাল থেকেই ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের সরব উপস্থিতি দেখা গেছে। আজ বুধবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে রাজধানীর সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এ ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এর আগে ডিআরইউ নির্বাচনে খসড়া প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।এই নির্বাচনে ২০টি পদের জন্য মোট ৪৩ জন প্রার্থী লড়ছেন। তবে আপ্যায়ন সম্পাদক পদে একজন প্রার্থী থাকায় মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন ইতোমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সিনিয়র সাংবাদিক মনজুর আহসান বুলবুল।নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শেষ সময় পেশাদার সাংবাদিকদের পদচারণায় মুখরিত ডিআরইউ প্রাঙ্গণ।এবারের নির্বাচনে প্রার্থী যারাকার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন-২৩ এ সভাপতি পদে রয়েছেন তিনজন প্রার্থী। তারা হলেন কবির আহমেদ খান, মুরসালীন নোমানী, নজরুল ইসলাম মিঠু।সাধারণ সম্পাদকের একটি পদের জন্য প্রার্থী রয়েছেন ছয়জন। তারা হলেন আফজাল বারী, আরাফাত, জামিউল আহসান সিপু, মহিউদ্দিন, মাইনুল হাসান সোহেল ও শেখ মুহাম্মদ জামাল হোসাইন (শেখ জামিল)। এ ছাড়া সহসভাপতি একটি পদের বিপরীতে রয়েছেন দীপু সারোয়ার ও গ্যালমান শফি।যুগ্ম সম্পাদকের একটি পদের জন্য রয়েছেন পাঁচ প্রার্থী। তারা হলেন ফারুক খান, কামাল মোশারেফ, মঈনুল আহসান, নয়ন মুরাদ ও পবন আহমেদ।অর্থ সম্পাদক পদের বিপরীতে প্রার্থী রয়েছেন জাকির হোসাইন ও সাখাওয়াত হোসেন সুমন।সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রার্থী দুজন। তারা হলেন আবদুল হাই তুহিন ও সাইফুল ইসলাম। দপ্তর সম্পাদক পদে রয়েছেন কাওসার আজম ও রফিক রাফি। নারীবিষয়ক সম্পাদকের পদের জন্য প্রার্থী মরিয়ম মনি (সেঁজুতি) ও রোজিনা রোজী।প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদের বিপরীতে প্রার্থী কামাল উদ্দিন সুমন ও মেজবাহ উল্লাহ শিমুল। তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদকের পদের জন্য প্রার্থী মো. রাশিম (রাশিম মোল্লা) ও তোফাজ্জল হোসেন রুবেল। ক্রীড়া সম্পাদক পদের বিপরীতে প্রার্থী মো. মাহবুবুর রহমান ও মো. রকিবুল ইসলাম মানিক।সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে প্রার্থী মো. শাহাবুদ্দিন মাহতাব ও মিজান চৌধুরী। এ ছাড়া কল্যাণ সম্পাদক পদের জন্য প্রার্থী জাহাঙ্গীর কিরণ ও তানভীর আহমেদ লড়ছেন।খসড়া তালিকায় কার্যনির্বাহী সদস্যের সাতটি পদের জন্য প্রার্থী রয়েছেন ৯ জন। তারা হলেন- ইসমাঈল হোসাইন রাসেল (রাসেল আহমেদ), কিরণ সেখ, মহসিন বেপারী, মনিরুল ইসলাম মিল্লাত (মনির মিল্লাত), মো. ফারুক আলম, মো. ইব্রাহিম আলী (আলী ইব্রাহিম), মো. শরীফুল ইসলাম, মোজাম্মেল হক তুহিন ও এস এম মোস্তাফিজুর রহমান (সুমন)।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ ডিসেম্বর ২০২২
বাহরাইনের অর্থমন্ত্রী শেখ সালমান বিন খালিফা আল খালিফার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) রাতে মানামার বাংলাদেশ দূতাবাস এক বার্তায় এ তথ্য জানায়। দূতাবাস জানায়, সোমবার বাহরাইনের অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ ও বাহরাইনের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নসহ, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রসারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ স্কুলের জন্য জমি বরাদ্দ দেওয়ায় বাহরাইন সরকারকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান এবং ওই জমিতে স্কুল ভবন নির্মাণে বাহরাইন সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে দ্রুত অনুমোদন দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান। বাহরাইনের অর্থমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ নভেম্বর ২০২২
সরকারি গাড়ি ব্যবহারে শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ২৭ অক্টোবর শুদ্ধাচার কৌশলপত্র বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বৈঠকে এ বিষয়ে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেসব কর্মকর্তা সুদমুক্ত ঋণ নিয়ে গাড়ি কিনেছেন, তারা আর সরকারি গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন না। ঋণের টাকায় কেনা গাড়ি তারা ব্যবহার করছেন মর্মে মন্ত্রণালয় সিনিয়র সচিব/সচিবের কাছে প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে। সিনিয় সচিব/সচিব ওই প্রত্যয়নপত্রে প্রতিস্বাক্ষর করবেন। যারা সুদমুক্ত ঋণের টাকায় গাড়ি কিনেছেন, তারা মন্ত্রণালয়, মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর বা সংস্থার কোনো গাড়ি ব্যবহার করছেন না বা করবেন না-এমন প্রত্যয়নপত্র দিতে হবে।এছাড়া বিধিবহির্ভূতভাবে উন্নয়ন প্রকল্পের গাড়ি ব্যবহার করা চলবে না। প্রকল্পের গাড়ি ব্যবহার করছেন না মর্মেও প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে। মন্ত্রণালয়ের গাড়ি ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা ওই প্রত্যয়নে প্রতিস্বাক্ষর করবেন। বছর শেষে মন্ত্রণালয়ের শুদ্ধাচার কৌশলপত্র চূড়ান্ত বাস্তবায়ন প্রতিবেদনের সঙ্গে এসব প্রত্যয়নপত্র মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জমা দিতে হবে। সমাপ্ত প্রকল্পের যাবতীয় সম্পত্তি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিধি অনুযায়ী হস্তান্তর করতে হবে। কোনো কালক্ষেপণ করা যাবে না।শুদ্ধাচার কৌশলপত্র বাস্তবায়নে এসব নির্দেশনার ধারাবাহিকতায় ৭ নভেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় উল্লিখিত বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সব অনুবিভাগ, শাখা, উপশাখায় আদেশ জারি করেছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (শৃঙ্খলা ও তদন্ত) ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ সোমবার সন্ধ্যায় যুগান্তরকে বলেন, সুদমুক্ত ঋণে যারা গাড়ি কিনেছেন, তাদের প্রত্যয়ন দিতেই হবে। এটা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিদ্ধান্ত। এটা শুদ্ধাচার বাস্তবায়নের অংশ। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, সম্ভবত এটা সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের জন্য প্রযোজ্য হবে।শুদ্ধাচার কৌশলপত্র বাস্তবায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগের উচ্চপদস্থ একাধিক কর্মকর্তা জানান, সরকার প্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সুদমুক্ত ঋণে গাড়ি কেনার সুযোগ দিয়েছে। ঋণের টাকায় কিনলেও সেই গাড়ি নিজে ব্যবহার না করে তারা মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর কিংবা উন্নয়ন প্রকল্পের গাড়ি ব্যবহার করছেন। অনেকেই বিভিন্নভাবে প্রভাব খাটিয়ে নিজের গাড়ি থাকা সত্ত্বেও সরকারি গাড়ি ব্যবহার করেন। অধিদপ্তরের কর্তারা নিজেদের কর্তৃত্ব বজায় রাখতে অনেক সময় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের গাড়ি ব্যবহার সুবিধা দিয়ে থাকেন। আবার প্রকল্পের কর্মকর্তারা নিজেদের চেয়ার ঠিক রাখতে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের গাড়ি ব্যবহার সুবিধা দিয়ে থাকেন। গাড়ি ব্যবহার বিষয়ে অনেক অভিযোগও রয়েছে। কিন্তু কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এ নির্দেশনা। এখন একটা জবাবদিহির মধ্যে আসবে বলে আমরা মনে করি। কারণ বছর শেষে গাড়ি ব্যবহারে কে কোন ধরনের অনিয়ম করছেন তার খতিয়ান চলে যাবে এসএসবির সভাপতির কাছে। সুতরাং অনিয়ম করলে নিজেরই ক্ষতি হবে।উল্লেখ্য, উপসচিব পদে পদোন্নতি পেয়ে ইতোমধ্যে তিন বছর অতিক্রম করছেন এমন কর্মকর্তা, যুগ্মসচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিবরা সুদমুক্ত গাড়ি সেবা পেয়ে থাকেন। এছাড়া অধুনাবিলুপ্ত ইকোনমিক ক্যাডারের যুগ্মপ্রধান তদূর্ধ্ব কর্মকর্তা, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের যুগ্মসচিব (ড্রাফটিং) থেকে তদূর্ধ্ব কর্মকর্তারা সুদমুক্ত ঋণে গাড়ি কেনার সুবিধা পাচ্ছেন। তারা গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ, ড্রাইভারের বেতন, জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে খরচের জন্য মাসিক ৫০ হাজার টাকা পেয়ে থাকেন।সংশ্লিষ্টারা আরও জানান, সমাপ্ত উন্নয়ন প্রকল্পের সব সম্পত্তি জমা দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। বিশেষ করে উন্নয়ন প্রকল্পের গাড়ি সরকারি পরিবহণ পুলে জমা দেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু সময়মতো জমা না হওয়ায় বিপুলসংখ্যক গাড়ির হদিস মিলছে না বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। এ বিষয়ে কারও বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নজিরও নেই বলে দাবি করছেন কর্মকর্তারা। এছাড়া সমাপ্ত প্রকল্পের কম্পিউটার, ফটোকপিয়ার, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, স্ক্যানার মেশিনসহ যাবতীয় সম্পদ মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়ার নিয়ম যথাযথভাবে প্রতিপালন হয় না। বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে তদারকি করতে এবং বছর শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুবিভাগে নানা বিষয়ে বিধিমতো মতামত চাওয়া হয়। এ অনুবিভাগ থেকে নিয়োগবিধি, বিধিমালা প্রণয়ন কিংবা সংশোধন কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে হবে। বছর শেষে শুদ্ধাচার কৌশলপত্র চূড়ান্ত বাস্তবায়ন প্রতিবেদনে কার্যক্রম কতগুলো বিধিগত মতামত দেওয়া হয়েছে, তা উল্লেখ করতে হবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগ, দপ্তর, সংস্থার সাংগঠনিক ব্যবস্থাপনা সেবা সহজ করতে বলা হয়েছে। সেবা সহজ করার ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং গৃহীত পদক্ষেপের ফলে সেবা কতটা সহজ হয়েছে, ওই বিভাগের কাজের গতি কীভাবে বেড়েছে, তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানোর তাগিদ দিয়েছে। এছাড়া শুদ্ধাচার কৌশলপত্র বাস্তবায়নের অংশ হিসাবে মন্ত্রণালয়ের গণশৌচাগারগুলো নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে বলেছে। কারণ অধিকাংশ সময় গণশৌচাগার ব্যবহার অনুপযোগী থাকে। দুর্গন্ধে বারান্দা দিয়ে হাঁটা যায় না। নেই হ্যান্ডওয়াশ কিংবা সাবানও। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, শৌচাগার নিয়মিত পরিষ্কার করা হচ্ছে কি না, তা হঠাৎ তারা পরিদর্শন করবে। অথচ প্রতিদিন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও কয়েক হাজার দর্শনার্থী, বিদেশি নাগরিক, দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, জনপ্রতিনিধি সচিবালয়ে দাপ্তরিক কাজে প্রবেশ করছেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশই গণশৌচাগার ব্যবহার করেন।একাধিক মন্ত্রণালয়ের নন ক্যাডার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, করোনার সময় সাবান, হ্যান্ড সেনিটাইজার, হ্যান্ডওয়াশ দেওয়া হলেও এখন বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়ায় তা আর পাচ্ছি না। ৩ জুলাই অর্থ বিভাগ থেকে সেবা খাতের বাজেটের অর্ধেক টাকা খরচ করতে নির্দেশ দিয়ে পরিপত্র জারি করা হয়েছে। অর্থাৎ সেবা খাতে ১০ লাখ টাকা বাজেট থাকলে খরচ করতে পারবে ৫ লাখ টাকা। এর বেশি খরচ করলে অর্থ বিভাগ সেই অর্থব্যয়ের অনুমোদন দেবে না।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ নভেম্বর ২০২২
অবিভক্ত ঢাকার প্রথম নির্বাচিত মেয়র, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ হানিফের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার কবরে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ।সোমবার (২৮ নভেম্বর) আজিমপুর কবরস্থানে সাবেক এই মেয়রের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এছাড়া কবরস্থানে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ জামে মসজিদে কোরআন খানী ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।এছাড়া মেয়র হানিফের ছেলে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি সদস্য এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ও নেতাকর্মীসহ কবরে শ্রদ্ধা জানাতে যান। পরে দোয়ায় অংশ নেন।ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্নেহধন্য ছিলেন। তিনি ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় মারাত্মকভাবে আহত হওয়ার পর অসুস্থ অবস্থায় ২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর মারা যান।১৯৪৪ সালে ১ এপ্রিল পুরান ঢাকার আবদুল আজিজ ও মুন্নি বেগম দম্পতির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন মোহাম্মদ হানিফ। ছাত্র জীবনের ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী হিসেবে রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৬৫ সালে বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিবের দায়িত্ব পেয়ে ছয়দফা মুক্তি সনদ প্রণয়ন ও প্রচারে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। ১৯৬৭ সালে ঢাকার শেষ সরদার আলহাজ্ব মাজেদ সরদারের মেয়ের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তিনি এক ছেলে ও দুই কন্যাসন্তান রেখে গেছেন। ছেলে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ডিএসসিসির প্রথম নির্বাচিত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ও মহান মুক্তিযুদ্ধে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন মোহাম্মদ হানিফ। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ছেড়ে দেওয়া ঢাকা-১২ আসন থেকে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে হুইপের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৬ সালে তিনি ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯৪ সালে ৩০ জানুয়ারিতে অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৯৬ এর মার্চে স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনে তারই নেতৃত্বে জনতার মঞ্চ তৈরি করে তৎকালীন বিএনপি সরকারের পতন ঘটানো এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সরকার গঠনে ভূমিকা রেখেছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ নভেম্বর ২০২২
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রক্ত ও হত্যা ছাড়া বিএনপি আর কিছু দিতে পারেনি। তারা শুধু পারে মানুষের রক্ত চুষে খেতে।বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) যশোরে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভায় তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিচার পাওয়ার অধিকার আমার ছিল না। বাবা-মা-ভাই-বোন সবাইকে হারিয়েছি। তারপরও এ বাংলায় ফিরে এসেছি। বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করাই ছিল আমার লক্ষ্য। মানুষের মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়ে বিএনপি নিজেদের উন্নয়ন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) কিছুই দিতে পারে না, শুধু পারে মানুষের রক্ত চুষে খেতে। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।এর আগে দুপুর ২টা ৩৮ মিনিটে তিনি যশোর শামস-উল হুদা স্টেডিয়ামে জনসভা মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন। মঞ্চে উঠে তিনি হাত নেড়ে জনসভায় উপস্থিত নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানান। এ সময় উচ্ছ্বসিত নেতাকর্মীরা স্লোগান দেন। রিজার্ভ নিয়ে সমালোচকদের জবাব দিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেকে এখন রিজার্ভ নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনা করছে। অথচ আমাদের সরকার রিজার্ভ রেকর্ড পরিমাণ বাড়িয়েছে। আর কোনো সরকার রিজার্ভ বাড়াতে পারেনি। পর্যাপ্ত রিজার্ভ হাতে রেখেই সব কাজ করছি আমরা। রিজার্ভের কোনো সমস্যা নেই, আমাদের সব ব্যাংকে পর্যাপ্ত টাকা আছে। সামনের দিনেও কোনো সমস্যা হবে না।’তিনি বলেন, ‘রিজার্ভ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের সমালোচনা শুনছি। অনেকে প্রশ্ন করেন রিজার্ভ গেলো কোথায়? আমরা তো রিজার্ভ অপচয় করিনি। মানুষের কল্যাণে কাজে লাগিয়েছি। জ্বালানি তেল কিনতে হয়েছে, খাদ্যশস্য কিনেছি। বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি। করোনার টিকা ও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করেছি। এসব কাজে রিজার্ভ থেকে খরচ করতে হয়েছে আমাদের। কারণ আমরা সবসময় মানুষের কথা চিন্তা করে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালাচ্ছি।’প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যশোরে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, মেডিকেল কলেজ, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করে দিয়েছি। তাছাড়া আমি যখন ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসেছি, তখন থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, একটি মানুষও ভূমিহীন থাকবে না। এবার আমরা ক্ষমতায় এসে ভূমিহীনদের ঘর তৈরি করে দিয়েছি। তাই ৩৫ লাখ মানুষকে ঘর নির্মাণ করে দিয়েছি। ঘর পেয়ে মানুষের জীবন পাল্টে গেছে। কোনো মানুষ ভূমিহীন থাকবে না, ঠিকানাহীন থাকবে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার আকাঙ্ক্ষা পূরণ করেছি।এ সময় প্রধানমন্ত্রী জনসভায় উপস্থিত সবাইকে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার ওয়াদা করতে বলেন। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিবেন কি না, ওয়াদা করুন।যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের পরিচালনায় জনসভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৫ নভেম্বর ২০২২
ছরজুড়ে সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এবার ৪ ক্যাটাগরিতে ৪৫ ফায়ার ফাইটারকে রাষ্ট্রীয় পদক দেওয়া হয়েছে।মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত ফায়ার সার্ভিস ট্রেনিং কমপ্লেক্সের প্যারেড গ্রাউন্ডে সকাল ১০টায় ফায়ার সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পদক তুলে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকাসহ সব বিভাগ ও প্রতিটি জেলায় বেলা ১১টায় ফায়ার সার্ভিস সপ্তাহের উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।প্রসঙ্গত, সারাদেশে অগ্নিনিরাপত্তা জোরদার করতে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কার্যক্রমে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর লক্ষ্যে এ ফায়ার সার্ভিস সপ্তাহ উদযাপন করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ নভেম্বর ২০২২
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করে বলেছেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করে একটি সুস্থ জাতি গঠনের মাধ্যমে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ে তুলবো। ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির উদ্যোগে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত হচ্ছে জেনে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘আগামীতে নিজেকে সুরক্ষায় ডায়াবেটিসকে জানুন’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, সরকার জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে গত সাড়ে ১৩ বছরে স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে।তিনি বলেন, সারাদেশে হাসপাতালগুলোর শয্যা বৃদ্ধিসহ চিকিৎসক, নার্স, সাপোর্টিং স্টাফের সংখ্যা বহুলাংশে বৃদ্ধি করা হয়েছে। মেডিকেল শিক্ষার প্রসারে নতুন নতুন মেডিকেল কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। গ্রাম পর্যায়ে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সারাদেশে প্রায় ১৮ হাজার ৫শ কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এসব কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ফ্রি স্বাস্থ্য, পরিবার কল্যাণ ও পুষ্টি সেবা দেওয়া হচ্ছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতাল থেকে মোবাইল ফোন ও অনলাইন প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা চালু করা হয়েছে। ডায়াবেটিস একটি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণযোগ্য রোগ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, কাজেই যাদের ডায়াবেটিস আছে এবং যাদের নেই উভয়কেই ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতিগুলো সম্পর্কে জানতে হবে, নিজেকে সুরক্ষার উদ্যোগ নিতে হবে।বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, অতিরিক্ত ফাস্টফুড, চর্বিযুক্ত খাবার খেলে, শারীরিক পরিশ্রম ও নিয়মিত শরীর চর্চা না করলে, স্বাভাবিকের চেয়ে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বেড়ে গেলে ডায়াবেটিস হতে পারে। ডায়াবিটিস রোগীদের নিয়মিত ব্যায়াম, সুষম খাদ্য খাওয়া, সুশৃঙ্খল জীবন-যাপন করা ছাড়াও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ওষুধ ও ইনসুলিন গ্রহণ করতে হবে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরপরই দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধুর হাতেই বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন শুরু হয়। তিনি স্বাস্থ্যকে সংবিধানের মূল অধিকারের অংশ হিসেবে সংযোজন, প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় স্বাস্থ্যকে গুরুত্বদান, গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, চিকিৎসকদের চাকুরির প্রথম শ্রেণির মর্যাদা প্রদান, বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদ গঠনসহ বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা সৃষ্টিসহ নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণ করে চলেছে। টাইপ-১ ডায়াবেটিক রোগীদের বিনামূল্যে ইনসুলিন দেওয়ার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণেও বর্তমান সরকারের সহায়তা অব্যাহত থাকবে। প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ নভেম্বর ২০২২
যারা বেসিক ব্যাংকের চার হাজার কোটি টাকা লুটপাট ও পাচার করেছে, তাদের ‘শ্যুট ডাউন’ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) বেসিক ব্যাংকের অর্থপাচারের মামলার আসামি মোহাম্মদ আলীর জামিন শুনানিকালে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবী আবুল হোসেন বলেন, পাঁচ বছর পার হয়ে গেলেও মামলায় চার্জশিট দিচ্ছে না দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সে কারণে বিচারও শেষ হচ্ছে না।তখন আদালত বলেন, অর্থপাচারকারীরা জাতির শত্রু। কেন এসব মামলার ট্রায়াল হবে না? এ সময় দুদককে প্রশ্ন রেখে আদালত বলেন, কেন চার্জশিট দিচ্ছেন না? অর্থ লুটপাট ও পাচারের মামলার সামারি ট্রায়াল হওয়া উচিত। আদালত বলেন, যারা জনগণের টাকা আত্মসাৎ করে তাদের ‘শ্যুট ডাউন’ করা উচিত, এটাই তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।পাশাপাশি আদালত বেসিক ব্যাংকের চার হাজার কোটি অর্থপাচারের ঘটনায় দায়ের হওয়া সব মামলার সবশেষ তথ্য ২১ নভেম্বরের মধ্যে পেশ করতে নির্দেশ দেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দুদককে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৯ নভেম্বর ২০২২
যান চলাচলের জন্য ১০০টি সড়ক সেতুর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ (সোমবার) বেলা ১১টায় গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এসব সেতুর উদ্বোধন করেন।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটির গণভবন প্রান্তে সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। অনুষ্ঠানে সেতুগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। অনুষ্ঠানের সেতুগুলো ওপরে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। আমরা বাংলাদেশটাকে উন্নয়নের জন্য রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা দিয়েছিলাম।সরকার ৮৭৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুগুলো নির্মাণ করেছে। সেতুগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৫টি, সিলেট বিভাগে ১৭টি, বরিশাল বিভাগে ১৪টি, ময়মনসিংহে ছয়টি, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী ও রংপুরে পাঁচটি করে, ঢাকায় দুটি ও কুমিল্লায় একটি রয়েছে।তিনি আরও বলেন, আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। পার্বত্য চট্টগ্রামে যেখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক ছিল না, সেখানে সেটা করে দিয়েছি। এর জন্য বিভিন্ন জেলা যুক্ত করে আজ একসাথে ১০০ সেতুর উদ্বোধন করতে পারছি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ নভেম্বর ২০২২
কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক রোকসানা খানম (৫২) নিজ বাড়িতে খুন হয়েছেন। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের হাউজিং ডি ব্লকের সাততলা বাড়ির দোতলার ফ্ল্যাট থেকে তাঁর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে তাঁকে হত্যা করেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।নিঃসন্তান রোকসানা খানম সাত তলাবিশিষ্ট নিজ বাড়ির দোতলায় একাই বসবাস করতেন। বাকি ফ্ল্যাটগুলোয় ভাড়াটেরা থাকেন। রোকসানা খানম কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের দিবা শাখায় ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন। তাঁর স্বামী খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান যশোরের চৌগাছা উপজেলায় এলজিইডিতে কমিউনিটি অর্গানাইজার পদে কর্মরত।খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রোকসানা খানম চৌগাছায় ছিলেন। গতকাল সন্ধ্যার দিকে তিনি তাঁকে কুষ্টিয়ায় আসার জন্য বাসে তুলে দেন। রাত সাড়ে আটটার দিকে বাসায় পৌঁছেছেন বলে তাঁকে ফোন করে জানান। সকালে যোগাযোগের চেষ্টা করে ফোন বন্ধ পান।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ধারালো অস্ত্র বা হাতুড়ি দিয়ে মাথায় প্রচণ্ড আঘাতে শিক্ষক রোকসানাকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। মাথায় আঘাত ছাড়াও দুর্বৃত্তরা থেঁতলে দেয় তাঁর মুখমণ্ডল। এ হত্যাকাণ্ডের পর দুর্বৃত্তরা বাসার আলমারির তালা ভেঙে কাপড়চোপড়সহ মালামাল তছনছ করে। এ ছাড়া আসবাবপত্র ও কম্পিউটার ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল। স্বর্ণালংকার কিংবা টাকাপয়সা খোয়া গেছে কি না, তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি পুলিশ। সুরক্ষিত ফ্ল্যাট বাড়িতে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হাউজিং ডি ব্লক এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।খবর পেয়ে পুলিশ আজ সকালে রক্তাক্ত লাশ উদ্ধারের পর কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠায়। পুলিশ, র্যাব ও পিবিআইয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। খবর পেয়ে শিক্ষকের সহকর্মী, আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসী ছুটে আসেন। এ ঘটনায় পুলিশ এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি।সঠিক কারণ জানা না গেলেও পূর্বপরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসী চক্র এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে। কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে পুলিশ, পিবিআই ও গোয়েন্দা টিম সমন্বিতভাবে তদন্ত করছে। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর চেষ্টা চলছে। সুত্র-প্রথম আলো
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ নভেম্বর ২০২২
আব্দুর রাজ্জাক, (রাজশাহী) প্রতিনিধি : রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি)’র সিপাহী নিয়োগে অনিয়ম দুর্নীতির দায়ে দুদকের মামলায় অভিযুক্ত আরএনবির এক শীর্ষ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলে কর্মরত কর্মকর্তাদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। দুদকের মামলায় জামিনে থাকা রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের চিফ কমান্ড্যান্ট মোহা. আশাবুল ইসলামের পদোন্নতির বিষয়টি অনেকটা অবাক করার মত বলে মনে করছেন খোদ রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মচারীরা। পদোন্নতি পেতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)’র ‘ভুয়া ক্লিয়ারেন্স’ সনদ ব্যবহারের অভিযোগ ওঠেছে রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের নিরাপত্তা বাহিনীর এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অথচ সিপাহী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের করা মামলায় চার্জশিট না হওয়া পর্যন্ত জামিন নিয়েছেন তিনি। তিনি বর্তমানে রেল পশ্চিমাঞ্চলের চিফ কমান্ড্যান্ট (চলতি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।তবে ভুয়া ক্লিয়ারেন্স সনদের বিষয়টি অস্বীকার করে চিফ কমান্ড্যান্ট (চলতি) আশাবুল ইসলাম বলেন, ‘আমাকে পদোন্নতি নয়, চলতি দায়িত্বে চিফ কমান্ড্যান্ট (পশ্চিম) করা হয়েছে।জানা গেছে, ২০১৮ সালে ১৮৫ জন সিপাহী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সেই নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক মো. ইকবাল হোসেন ও সদস্যসচিব মোহা. আশাবুল ইসলামকে তলব করেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।এরপর থেকে সেই অভিযোগের অনুসন্ধান করে আসছিল দুদক। দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর নিয়োগ দুর্নীতিতে তাদের জড়িত থাকার সত্যতা পাওয়ায় দুদকের উপ-পরিচালক সিরাজুল হক গত ২৮ আগস্ট রেলের পাঁচজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আশাবুলসহ চারজন ঢাকার উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের অস্থায়ী জামিন নিয়েছেন। পরে গত ২৭ অক্টোবর চট্টগ্রামে নিম্ন আদালত থেকে জামিন পান।এ মামলায় অন্য আসামিরা হলেন নিয়োগ কমিটির সদস্য বর্তমানে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) পূর্বাঞ্চলের চিফ কমান্ড্যান্ট মো. জহিরুল ইসলাম, নিয়োগ কমিটির সদস্য বর্তমানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব ফুয়াদ হাসান পরাগ, নিয়োগ কমিটির সদস্য সাবেক সিস্টেম প্রোগ্রাম অফিসার (এসপিও, বর্তমানে অবসরে) মো. সিরাজ উল্যাহ এবং নিয়োগ অনুমোদনকারী পূর্ব রেলের সাবেক জিএম সৈয়দ ফারুক আহমেদ। এছাড়া পূর্ব রেলের আরএনবির সাবেক চিফ কমান্ড্যান্ট ইকবাল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলেও তিনি মারা যাওয়ায় মামলায় তার নাম রাখা হয়নি।কিন্তু এরমধ্যে দুদকের অনুসন্ধান চলাকালীন সময়ে ‘দুদকে কোনো অভিযোগ বা মামলার তদন্ত চলমান নেই মর্মে ২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর ক্লিয়ারেন্স সনদ নেন আশাবুল। অথচ নিয়ম অনুযায়ী, কোনো অভিযোগ বা মামলা তদন্তে থাকলে ক্লিয়ারেন্স দেয় না দুদক। এরপরও দুদকের সনদ দেখিয়ে চিফ কমান্ড্যান্ট হন আশাবুল। তার এই ক্লিয়ারেন্স সনদটি ভুয়া বলে অভিযোগ তোলেন আরএনবির এক কর্মকর্তা।এছাড়া নিয়োগ দুর্নীতি মামলার আরেক আসামি জহিরুল ইসলাম ২০২০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি কমান্ড্যান্ট (ঢাকা) থেকে চিফ কমান্ড্যান্ট হন। পদোন্নতির চারদিনের মাথায় চিফ কমান্ড্যান্ট (পূর্ব) হিসেবে পদায়িত হন। এ জায়গায় দীর্ঘ ২বছর ৮ মাস তিনি রয়েছেন বহাল তবিয়তে। ২০২১ সালের ৩১ মে অনিয়মের অভিযোগে তাকে রাজশাহী বদলি করা হলেও সেই বদলির আদেশ স্থগিত করান তিনি। দুদকের মামলার পরও সপদে বহাল আছেন তিনি।দুদক চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মো. নাজমুস সাদাত বলেন, ‘দুদকের অভিযোগ তদন্ত চলাকালীন সময়ে কোনো ক্লিয়ারেন্স বা দায়মুক্তি দেওয়ার নজির আছে বলে আমার জানা নেই। দুদক ওই মামলার জামিনের বিরুদ্ধে আবেদন জানাবে।রেলওয়ে পশ্চিমসঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদারের মুটোফোনে ফোন দিলে তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে ফোন কেটে দেয়ায় এ বিষয়ে তাঁর মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৩ নভেম্বর ২০২২
গুরদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: নাটোরের গুরুদাসপুরে সুদে টাকার দ্বন্দে দুই ভাইকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম দুই ভাই ডালু মন্ডল (৩২) এবং লালু মন্ডল (২৮) কে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় তাদের পিতা বুদ্দু মন্ডল বাদী হয়ে প্রতিপক্ষ রহম প্রামানিকসহ ৪জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছে। মো. বুদ্দু মন্ডল বলেন, ব্যবসা করার জন্য তার ছেলে ডালু মন্ডল প্রতিবেশি রহম প্রামানিকের নিকট হতে সুদে ১ লক্ষ টাকা নেয়। ৩ মাস পূর্বে আসল ১ লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়া হয়। সুদের ২০ হাজার টাকা দেওয়ার সময় নেওয়া হয়।আজ সন্ধ্যায় টাকা দেওয়ার সময় ছিল। কিন্তু রহম প্রমানিকসহ তার দুই ছেলে এলিন ও সেলিম সুদের ২০ হাজার টাকান জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। এরই জের ধরে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক আমিসহ আমার দুই ছেলে বাড়ি হতে ক্রয়কৃত প্রায় ২০ হাজার টাকার দুধ বিক্রি করতে প্রান কোম্পানীর মিলে যাওয়ার পথে রাস্তায় মামুদপুর উত্তরপাড়া ঈদগাহের কাছে পৌছালে এলিন এবং সেলিম দুধ মাটিতে ফেলে দিয়ে চাপাতি এবং হাসুয়া দিয়ে আমার দুই ছেলেকে কুপিয়ে জখম করে। এসময় আমি বাধা দিতে গেলে আমাকেও তারা মারপিট করে। এবিষয়ে অভিযুক্ত এলিন বলেন, ডালু, লালু আমাদের আত্বীয়। ব্যবসা করার জন্য ডালুকে ৩ লক্ষ টাকা হালাত দিয়েছিলাম। টাকা দিচ্ছে দিবে বলে অনেক দিন ধরে ঘুরাচ্ছে। আজকে টাকা চাওয়াতে তারাই চাপাতি দিয়ে আমাকে কোপ দিয়েছে। আমার বাম হাত চাপাতির আঘাতে জখম হয়েছে। স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য যাওয়ার চেষ্টা করলে তারা আমাকে যেতে দেয়নি। বাধ্য হয়ে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছি। তাদের চাপাতির আঘাতেই তারাই জখম হয়েছে। গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল মতিন বলেন, এঘটনায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। দুইজন আসামীকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামীদের আটকের চেষ্টা চলছে
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ নভেম্বর ২০২২
গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: নাটোরের গুরুদাসপুরে যমজ দুই বোন হাসি খাতুন (১৪) ও খুশি খাতুন (১৪) এক সাথে বিষ পান করে। এসময় আশঙ্খাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেলে নেওয়ার পথে হাসি খাতুন মৃত্যু বরণ করেন এবং খুশি খাতুন গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল ৫ টার দিকে উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের সুজার মোড় নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। যমজ দুই বোন ওই এলাকার মোঃ ফারুক হোসেনের মেয়ে। স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, যমজ দুই বোন বিয়াঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ৯টার সময় হাসির সাথে খুশির নিজ বাড়িতেই কথাকাটাকাটি হয়। দুই জনের মধ্যে মান অভিমান শুরু হয়। পরে বিকেলে আনুমানিক ৫ টার সময় নিজ বাড়িতে থাকা জমিতে প্রয়োগ করা কীটনাশক প্রথমে হাসি খুশির ওপর রাগ করে পান করে। পরে খুশিও কীটনাশক পান করে। কিছুক্ষন পরে পরিবারের লোকজন টের পেয়ে তাদের দুইজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। বিয়াঘাট ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান সুজা হাসি খাতুনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমার প্রতিবেশি ফারুক হোসেনের যমজ দুই মেয়ে কীটনাশক জাতীয় বিষ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। রাজশাহী মেডিকেলে নেওয়ার পথে একজন মারা যায় এবং অপরজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মেয়ের মৃত্যুর খবরে তার মা সাগরিকাও অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে। তাকেও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। দুই বোনের মধ্যে মান অভিমানে তারা বিষ পান করেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আব্দুল মতিন বলেন, খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ নভেম্বর ২০২২
গুরুদাসপুর(নাটোর) প্রতিনিধি: নাটোরের গুরুদাসপুরে ড্রাগন চাষ করে সফল হয়েছেন শামীম রেজা নামে এক সেনা সদস্য। দেড় বছর আগে ৪ বিঘা জমিতে তিনি ড্রাগন চাষশুরু করেন। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। এরই মধ্যে এই ফল বিক্রি করে তার আয় হয়েছে ৭ লাখ টাকার ওপরে। শামীম রেজা তার স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি এলাকার অনেকের কাছে অনুকরণীয় হয়ে উঠেছেন। এ উপজেলায় ড্রাগন চাষ করে বেকারদের স্বাবলম্বী হওয়ার অপার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানালেনএই ড্রাগন চাষী।সেনা বাহিনীর চাকরির পাশাপাশি দেড় বছর আগে এলাকায় ৪ বিঘা জমি লিজ নিয়ে ৪ হাজার ড্রাগন চারা রোপণ করেন। চারা লাগানোর পরের বছরই ২০২২ সালে উৎপাদনে আসে। তিনি বলেন, এ বছর এখন পর্যন্ত সাত লক্ষ টাকার ফল বিক্রি করেছেন। আগামী বছর পুরোপুরি উৎপাদনে আসবে। এছাড়াও তার বাগানে ৪ প্রজাতির ড্রাগন ফলসহ বিভিন্ন ধরনের ফল চারা রোপণ করতে দেখা গেছে। তার এই সাফল্যে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ দেখতে আসেন। অনেকেই ড্রাগন চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।বামনকোলা এলাকার সোহাগ আহমেদ বলেন, তিনি প্রায় প্রতিদিনই এই বাগানে আসেন। প্রথম দিকে মনে হতো শামীম রেজা এত টাকা খরচ করে ক্ষতির মুখে পড়বেন। কিন্তু এখন দেখছি তিনি সফল হয়েছেন। তাই তিনিও চিন্তা করছেন, নিজেই ড্রাগন বাগান করবেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, বিভিন্ন প্রজাতির ড্রাগন ফলের চাষ, চারা উৎপাদন ও ফল বিক্রি করে দ্রুতই স্বাভলম্বী হয়ে উঠবেন।সরেজমিনে গিয়ে শামীম রেজার বাগানে দেখা গেছে, রোপণকৃত এসব গাছে ধরেছে নানা রঙ্গের ড্রাগন ফুল ও ফল।ইতিমধ্যেই তিনি চারা উৎপাদন করেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করে জানান, ফল ও চারা বিক্রি করে প্রতি মাসে গড়ে প্রায় দেড় থেকে দুই লাখ টাকা আয় করতে পারবেন। তার এই আবাদ করতে এই পর্যন্ত ১৭ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। নাটোরসহ গুরুদাসপুরের আশপাশের এলাকা থেকে ক্রেতারা গিয়ে বাগান থেকেই ফল কিনে নিয়ে যায়। ফলের চাহিদাও বেশ অনেক। বর্তমানে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি এই ড্রাগন ফল বিক্রি হচ্ছে।এ বিষয়ে গুরুদাসপুর কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. মতিয়র রহমান বলেন, আমাদের দেশে ড্রাগন চাষ করার মত উপযোগী পরিবেশ আছে। রোগ বালাই ও খরচ অনেক কম। এতে ফল ও কাটিং করে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ নভেম্বর ২০২২
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের গণতন্ত্রের নমুনা ছিল বিরোধী দলের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন ও নিপীড়ন চালানো। তাদের আমলে বিরোধী দল আওয়ামী লীগের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পণ্ড করে দেওয়া হতো।তিনি তার ফেসবুক পেজের ভ্যারিফায়েড অ্যাকাউন্টে মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দেওয়া এক পোস্টে এমন মন্তব্য করেন। জয় তার পোস্টে দৈনিক জনকণ্ঠের সচিত্র সংবাদের ছবিও যুক্ত করেন।জয় লিখেছেন, ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আওয়ামী লীগের দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন ও নিপীড়ন চালায়। এমনকি তারা আওয়ামী লীগের যেকোনো শান্তিপূর্ণ সমাবেশ বা কর্মসূচিতেও বাধা দিত।তিনি আরও লেখেন, বিরোধীদের সমাবেশ পণ্ড করার জন্য বিএনপি সরকার জাতীয়তাবাদী বাস্তুহারা দলের ব্যানারে ছিন্নমূল সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে নাশকতামূলক হামলা করতো এবং পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা সেখানে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করতো। ২০০২ সালের ২৯ মার্চ জনকণ্ঠ পত্রিকার ছবিসহ এই নির্মম সংবাদ উঠে আসে।দেখা গেছে, মুক্তাঙ্গনে আওয়ামী লীগের একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশে তিন দফা টিয়ার শেল মেরে পুলিশ কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ওই সময় বক্তব্য রাখছিলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায় ভাড়াটে কিছু ছিন্নমুল সন্ত্রাসী। বিএনপির হাওয়া ভবন সিন্ডিকেটের একজন সংসদ সদস্যের পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয়তাবাদী বাস্তুহারা দল নামে এসব সন্ত্রীদের ব্যবহার করা হয়। বিএনপি-জামায়াত গডফাদারদের মাদক ব্যবসার ক্যারিয়ার হিসেবে কাজ করে এই ছিন্নমূল সন্ত্রাসীদের একটি অংশ।জয় লেখেন, ওই সময় পুলিশের টিয়ার শেলের আঘাতে আহত হন মতিয়া চৌধুরী, সেগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, মারিয়া, লিপি, শিখা হেলেন, মেয়র হানিফ, মোখরুসুর রহমান, আবদুস সাত্তারসহ ২০ জন নেতা-কর্মী।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ নভেম্বর ২০২২
রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহীর বাগমারায় পণ্যের মান যাচাইয়ে অভিযান চালিয়ে ৫ টি প্রতিষ্ঠানকে ১৯ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রাজশাহী জেলা কার্যালয়।১লা নভেম্বর মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার মোহনগঞ্জ বাজারে বিভিন্ন দোকানে অভিযান চালিয়ে এসব জরিমানা করা হয়।জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রাজশাহী জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মাসুম আলীর নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় বাগমারা থানা পুলিশ তাদের সহযোগিতা করেন।জানা যায়, বাজারে পণ্যের মান তদারকির নিয়মিত অংশ হিসেবে বাগমারা উপজেলার মোহনগঞ্জ বাজারে অভিযান পরিচালনা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এসময় রইস মুদি দোকানে অতিরিক্ত চিনি মজুদ রাখা ও বেশী দাম বিক্রি করায় ৫ হাজার টাকা, একই অপরাধে বিপ্লব মুদি দোকানকে ৫ হাজার টাকা, মিঠু মুদি দোকানকে দাম বেশী রাখা ও মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা করায় ৬ হাজার টাকা, অপরিষ্কার পরিবেশে খাদ্য তৈরী করায় জান্নাত হোটেলকে ১ হাজার টাকা এবং বিষাক্ত রং ব্যবহার করে পণ্য উৎপাদন করায় মোস্তফা চা'দোকানকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।নিয়মিত বাজার তদারকির অংশ হিসেবে এই অভিযান অব্যহত থাকবে বলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রাজশাহী জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মাসুম আলী জানান।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ নভেম্বর ২০২২
বাংলাদেশ পুলিশের ২ জন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শককে আজ সোমবার 'জনস্বার্থে' অবসরে পাঠিয়েছে সরকার।আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত পৃথক ২টি প্রজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে।তারা হচ্ছেন মো. আলমগীর আলম ও মো. মাহবুব হাকিম। মো. আলমগীর অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) এবং মো. মাহবুব হাকিম ট্যুরিস্ট পুলিশে কর্মরত ছিলেন।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, 'জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।'এর আগে, গত ১৮ অক্টোবর পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শহীদুল্ল্যাহ চৌধুরী, মো. দেলোয়ার হোসেন মিঞা ও মীর্জা আবদুল্লাহেল বাকীকে 'জনস্বার্থে' অবসরে পাঠিয়েছিল সরকার।এ ছাড়া, গত ১৬ অক্টোবর তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেনকে 'জনস্বার্থে' অবসরে পাঠায় সরকার।উল্লেখ্য, সরকারি চাকরি আইনের ৪৫ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারীর চাকরির মেয়াদ ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ার পর যেকোনো সময় সরকার, জনস্বার্থে, প্রয়োজনীয় মনে করলে কোনোরূপ কারণ দর্শানো ছাড়াই তাকে চাকরি থেকে অবসর প্রদান করতে পারবে। তবে শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ, সেই ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ নভেম্বর ২০২২
মোঃ আবুল বাশার, জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন চলাচল কারী বাহাদুর শাহ পরিবহনের স্টান্ড উঠিয়ে তাদের চলাচল বন্ধ করণ এবং সদরঘাটগামী সকল বাসে সপ্তাহে সাতদিন ই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়ার বিষয়ে গতকাল ৩০ অক্টোবর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, বাস মালিক সমিতি, সাংবাদিক, পুলিশ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌথ সভা শেষে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।কিন্তু প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞাকে তোয়াক্কা না করে ৩১ অক্টোবর সকাল থেকেই সদরঘাটগামী বেশ কিছু বাহাদুরশাহ পরিবহনকে চলাচল করতে ও স্ট্যান্ড করে রাখতে দেখা যায়।সোমবার (৩১ অক্টোবর) সরেজমিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় গেট সংলগ্ন দেখা যায় বাহাদুরশাহ পরিবহন স্ট্যান্ড করে রাখা হয়েছে। যা চলাচল করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটের সামনে দিয়েই।বাহাদুর শাহ পরিবহন চালানো কয়েকজন ড্রাইভারের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা এ বিষয়টি অবগত নয় আবার কেউ কেউ বলছে যাত্রীরা ভাড়া দেয় সদরঘাটের তাদের পৌছায়া না দিলে চিল্লাচিল্লি করে এ জন্য তারা গাড়ি চালাচ্ছে।বাহাদুর শাহ পরিবহন চলাচল নিয়ে জবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গেটের এলাকায় কোনো লেগুনা স্টান্ড থাকবে না, তাদের সাথে কি আলাদা করে বসা লাগবে কি না জানতে চাইলে তিনি জানান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কি প্রতিদিন তাদের সাথে আলোচনা করবে নাকি, লেগুনা স্টান্ড উঠিয়ে দেওয়া হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ নভেম্বর ২০২২
মোকছেদুল মুমীন জাককানইবি প্রতিনিধি: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবন ও দুটি আবাসিক হলের জন্য ক্রয় করা হয় ১৩ কোটি ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৫ টি লিফট। এক বছর অতিবাহিত না হতেই ১৫টি লিফট যেগুলো সচল সেগুলোও প্রায়ই চলন্ত অবস্থায় বিকল হয়ে পড়ে। লিফটের ভেতর আটকা পড়ে নাভিশ্বাস আর আতঙ্কিত হন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবন ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নামে দুটি আবাসিক হলের ভবন নির্মাণের কাজ শেষে সুইজারল্যান্ড থেকে ৫৫০ ব্রান্ডের ১৩ কোটি ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ক্রয় করা হয় ১৫ টি লিফট। ১৫ লিফটের মধ্যে দুই হলে ৯ টি এবং ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ও সামাজিক বিজ্ঞান ভবনে তিনটি করে মোট ছয়টি লিফট স্থাপন করা হয়। ওই ছয়টির মধ্যে চারটি লিফট শুরু থেকেই অধিকাংশ সময় অচল থাকে। দুটি লিফট দিয়ে দশতলা ভবনে উঠানামা করেন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ পাঁচ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী। চলন্ত লিফট হটাৎ বিকল হয়ে ভেতর আটকা পড়ে ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন ধরে এমন অবস্থা চলমান থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থাগ্রহন না করায় উদ্বিগ্ন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ শিক্ষার্থীরা।প্রতিনিয়ত লিফটে আটকানোর ঘটনা ঘটছে,আর প্রায় সময় লিফট বন্ধ থাকে একটা না একটা।১২ অক্টোবর দুপুর একটা দিকে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের লিফটে আটকা পড়েন ৬ শিক্ষার্থী। ১৯ অক্টোবর লিফটে আটকে পড়া ইংরেজী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি গ্রুপে তার আতঙ্কের বার্তায় লিখেন, ভার্সিটি ভর্তি হওয়ার পর ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতাটা হলো আজকে। লিফটে আটকে গিয়েছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি গ্রুপে সাব্বির হাসান শাওন বলেন, লিফট সমস্যা এতোটা গুরুতর হওয়ার পরও প্রশাষন থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।তবে কি প্রশাষন কর্তৃপক্ষ কোনো স্টুডেন্টের মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছে??বর্তমানে লিফটে ওঠা মানে স্বেচ্ছায় জীবন দেওয়ার মতো অবস্থা। স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী অনিক সিকদার বলেন, বৈদ্যুতিক কোন সমস্যা ছাড়াই বিকট শব্দে ৪র্থ ফ্লোরে এসে আটকে যায়।প্রতিনিয়ত এমন ঘটনা ঘটছে এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের স্থায়ী কোন সমাধান করছেনা।বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের প্রভোস্ট নুসরাত তানিয়া বলেন, এই হলের ৫টি লিফট-ই সচল। এক বছরের মধ্যে শুধু একবার যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে এক সপ্তাহ লিফট বন্ধ ছিল। তবে জেনারেটর ব্যবস্থা না থাকায় মাঝেমধ্যে বিদ্যুৎ চলে গেলে শিক্ষার্থীরা আটকা পড়েন। অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে টেকনিশিয়ান নিযুক্ত রয়েছে। টেকনিশিয়ানরা খুব দ্রুতই শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে সক্ষম হন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট মাসুম হাওলাদার জানান, হলের লিফটে মাঝেমধ্যে সমস্যা দেখা দেয়। তবে বেশি সমস্যা হয় ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনে। বিষয়টি আসলেই বিব্রতকর। ডিপিডি হাফিজুর রহমান বলেন, লিফটে সিকিরিউটি ডিভাইস অনেক। ব্যবহারকারীরা উল্টাপাল্টা চাপাচাপি করলে সমস্যা হতেই পারে। মাঝেমধ্যে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। বাংলাদেশের অনেকস্থানে এই ধরনের ঘটনা ঘটে। এতে আতঙ্কের কিছু নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, চালক ছাড়া গাড়ির যে অবস্থা, লিফটেরও ওই একই অবস্থা। অনেকেই এর আগে কোনদিন লিফট ব্যবহার করেনি। তারা একই বাটনে বারবার চাপেন। উন্নতমানের হলেই কি? লিফটগুলোর যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে না বলেই সমস্যা দেখা দিতে পারে। আমরা লোকবল চেয়ে আবেদন করেছি। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধানের চেষ্টা করছি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ নভেম্বর ২০২২
গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি : প্রতিবন্ধি স্বামীর সংসারে রোকেয়া বেগমের নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা ছিল। নানা টানাপোড়েনে প্রায়শই পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হতো। আয়ের জন্য শিশু দুটিকেও কাজে ঠেলে দিতেন। তবে বছর দুয়েক হলো রোকেয়ার সংসারে আর অর্থ দৈণ্যতা নেই। নেই অসন্তোষও। সন্তান দুটিও বিদ্যালয়ে যাচ্ছে।রোকেয়াকে এই সুখের দিন দেখিয়েছে হাঁস পালন। ধারের টাকায় ১০ টি হাঁস দিয়ে শুরু করা রোকেয়ার খামারে এখন যুক্ত হয়েছে বিভিন্ন জাতের শ দুয়েক হাঁস। হাঁস পালনে রোকের অভাব ঘুঁচেছে। পরিবারে এসেছে স্বচ্ছলতা।রোকেয়ার বাড়ি গুরুদাসপুরের হরদোমা গ্রামে। রোকেয়া জানালেন, একটা সময় ছিল যে সময় অর্থভাবে অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করতেন। আয়ের জন্য সন্তানদেরও বিভিন্ন কাজে লাগাতেন। দুই বছর আগে প্রতিবেশির দেওয়া পরামর্শে ধারের টাকায় হাঁস পালন শুরু করেছিলেন।তিনি বলেন- আয়ের সাথে বেড়েছে খামারের পরিধি। সকালে খামারের হাঁসগুলো পাশের পুকুরে চলে যায়। সারাদিন পুকুরের শামুক-ঝিনুক খায়। পরিবারের ডিম ও মাংসের চাহিদা পূরণ ছাড়াও হাঁস বিক্রি করে ব্যাপক আয় করছেন তিনি।হাঁস পালনে শুধু যে রোকেয়া বেগমের ভাগ্য ফিরেছে তা নয়। তার মতো দিনহীন বহু পরিবার হাঁসপালনে স্বচ্ছলতা দেখছেন। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে লাভজনক হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে গুরুদাসপুরে গড়ে উঠেছে শ দুয়েক হাঁসের খামার। হাঁসপালনে খামারিদের সুদিন ফেরায় এই পেশায় নামছেন আরো অনেকেই। গুরুদাসপুর প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার মতে- আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে গুরুদাসপুরে তিন জাতের হাঁস বেশি পালন করা হয়। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি পালন হয় খাঁটি ক্যামবেল জাতের হাঁস। এছাড়া ইন্ডিয়ান রানার ও চায়না জাতের হাঁসও পালন করছেন খামারিরা।গুরুদাসপুর প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্যমতে- শুধু চলনবিলেই তালিকাভুক্ত হাঁসের খামার রয়েছে ৪৫১টি। এরমধ্যে ২শর ওপরে খামার রয়েছে শুধু গুরুদাসপুরেই। প্রতিটি খামারে হাঁস রয়েছে ১০ থেকে ১৫ হাজার। এছাড়া তালিকার বাইরেও পারিবারিক পর্যায়ে শত শত খামার গড়ে উঠেছে। এসব খামারীদের পাশাপাশি খামারকে কেন্দ্র করে এই অঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ বেকারত্ব ঘুঁচিয়েছেন।পরিসংখ্যান বলছে- খামার পর্যায়ে রাজহাঁস পালন হচ্ছে ৩৮ হাজার ৫৫০টি। এছাড়া পাতিহাঁস ৭ লাখ ৫৭ হাজার ৫৯২টি। বর্ষার শুরুতে খাদ্য কম লাগায় ১ দিনের বাচ্চা থেকেই এসব হাঁস পালন শুরু করেন খামারিরা। ৬ মাস পর থেকে এসব হাঁস ডিম দিতে শুরু করে। প্রতিটি হাঁস বছরে ২০০ থেকে ৩০০টি ডিম দেয়। এতে খামারিরা খরচ বাদে প্রতি মাসে ১০ হাজারের বেশি অর্থাৎ বছরে প্রায় ১ লাখ টাকা আয় করে থাকেন। স্থানীয়রা বলছেন- সরকারি তালিকাভুক্ত ছাড়াও কয়েক’শ হাঁসের খামার রয়েছে। এসব খামারে কয়েক লাখ হাঁস রয়েছে। হাঁসপালনে এই অঞ্চলের বহু মানুষের বেকারত্ব ঘুঁচেছে। বেড়েছে আয়। পূরণ হচ্ছে স্থানীয়দের আমিষের চাহিদাও। পিঁপলা গ্রামের খামারি সোহাগ বলেন, তিনি সারা বছরই হাঁস পালন করেন। এখন তার খামারে ক্যাম্বেল ও জিংডিং জাতের ৫৮২টি হাঁস রয়েছে। ৪-৫ মাস বয়সী হাঁস কেনেন তিনি। সাড়ে ৫ মাস বয়স থেকেই ডিম দেওয়া শুরু করে হাঁসগুলো। এখন তার খামারের ৪৮০টি হাঁস ডিম দিচ্ছে। বছরে খরচ বাদে ৩-৪ লাখ টাকা লাভ থাকে তার।গুরুদাসপুর প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, হাঁসপালনে খামারিদের সরকারিভাবে বিভিন্ন ধরণের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। ক্রমেই বাড়ছে হাঁসের খামারের সংখ্যা। বাণিজ্যিক খামার ছাড়াও ব্যক্তিগত পর্যায়ে প্রায় ৫০ হাজার পরিবার হাঁস পালন করছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩১ অক্টোবর ২০২২