জাতীয়


লন্ডন ও নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঢাকা ত্যাগ

লন্ডন ও নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঢাকা ত্যাগ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রয়াত রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্য ও জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৭তম অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি সফরে আজ সকালে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট সকাল সাড়ে ১০টা ৩৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।বিমানটি ১৬:৪৫ ঘন্টায় লন্ডন স্টানস্টেড আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। বিমানবন্দরে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাবেন যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম ।সফরের দ্বিতীয় দিন ৬ সেপ্টেম্বর কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর অবস্থানকালীন হোটেলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। পরে যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ এশিয়া, উত্তর আফ্রিকা, জাতিসংঘ ও কমনওয়েলথ বিষয়ক মন্ত্রী লর্ড আহমদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।১৭ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের বিরোধীদলীয় এবং লেবার পার্টির নেতা স্যার কেইর স্টারমার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ১৮ সেপ্টেম্বর বাকিংহাম প্যালেসে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সম্মানে রাজার এক সংবর্ধনায় যোগ দেবেন।১৯ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃর্তানুষ্ঠানে অংশ নেবেন। একই দিন সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে নিউইয়র্কের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর লন্ডন ত্যাগ করবেন।জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আব্দুল মুহিত।২০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের আয়োজিত সংবর্ধনায় যোগ দেবেন। পাশাপাশি তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন।এছাড়াও তিনি ইউএনএইচসিআর-এর ফিলিপো গ্রান্ডি এবং স্লোলোভেনিয়ার প্রেসিডেন্ট বরুত পাহোরের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। একই দিন তিনি জাতিসংঘে নারী নেত্রীদের প্ল্যাডফর্মেও যোগ দিবেন। দিনের শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আয়োজিত সংবর্ধনাতেও অংশ নিবেন প্রধানমন্ত্রী।২১ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ, বতসোয়ানা, স্লোভাক প্রজাতন্ত্র ও জাতিসংঘ আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের টেকসই আবাসন শীর্ষক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।পরে তিনি ডব্লিউইএফ এর নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর শোয়াব ক্লাউসের সাথে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন এবং গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপ (জিসিআরসি) চ্যাম্পিয়নস মিটিংয়ে যোগ দেবেন।বিকেলে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘসদরদপ্তরে পদ্মা সেতুর আলোকচিত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন করবেন এবং এর পর কসোভোর প্রেসিডেন্ট ড. ভজোসা ওসমানি-সাদ্রিউ, ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসো মেন্ডোজা এবং রাবাব ফাতিমার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।প্রধানমন্ত্রী ২২ সেপ্টেম্বর দিনটি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) এর উপর একটি প্রাতরাশ বৈঠকের মাধ্যমে শুরু করবেন এবং আইওএম মহাপরিচালক আন্তোনিও ভিটোরিনোর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। তিনি ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সাথে একটি উচ্চ পর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকে যোগ দেবেন।পরে, তিনি কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী সামদেচ আক্কা মোহা সেনা পাদেই টেকো হুন সেন এবং আইসিসির প্রসিকিউটর নিক ক্লেগ এবং করিম খানের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।২৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। ২৪ সেপ্টেম্বর তিনি প্রবাসী বাংলাদেশীদের নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেবেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২


গঙ্গার পানির কথা বলতে ভুলেই গিয়েছিলাম!

গঙ্গার পানির কথা বলতে ভুলেই গিয়েছিলাম!

বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকতে যখন ভারত সফরে গেল তখন তারা আপ্যায়ন ভালোই করেছিলেন। কিন্তু পরে এসে উনি বললেন, গঙ্গার পানির কথা বলতে ভুলেই গিয়েছিলাম। পানিতে বাংলাদেশের যে অধিকার, সেটা বলতে তারা ভুলে গিয়েছিলেন। যারা দেশের স্বার্থের কথা ভুলে যায় তারা আবার সমালোচনা করেন কোন মুখে?তিনি বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে আমরা একটি স্মারক সই করলাম। তার মাধ্যমে সিলেট বিভাগের বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে। এসব বিষয় নিয়ে যারা সমালোচনা করে তারা কী এনেছিলেন? তারা তো সবকিছু ভুলে যান।বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নিজের বাসভবন গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সম্প্রতি ভারত সফর নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।প্রধানমন্ত্রী বলেন, কুশিয়ারার পানি বণ্টনে সমঝোতা নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করছেন। কতটুকু পানি আসল সেটা নিয়ে তাদের এই সমালোচনা। আমরা যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করলাম, এর ফলে পুরো সিলেট বিভাগ বিশেষ করে সিলেটের গোলাপগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, কানাইঘাট, সিলেট সদর, জকিগঞ্জ উপজেলার ৫৩ হাজার ৮২০ হেক্টর এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে। সেচ প্রদানের জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। এতগুলো জমি চাষের আওতায় এসে ফসল দেবে, সেই ফসল আমাদের দেশের মানুষেরই কাজে লাগবে।সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা ‘হট টক’ করে তাদের প্রশ্ন করতে পারেন না? বলতে পারেন না আপনারা তো ভুলেই গেছিলেন। ঠিক এভাবে প্রত্যেকটা বিষয়ে তারা ভুলেই যান।সেভেন সিস্টার সংক্রান্ত অপর এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের আম পাঠালাম, তারাও আনারসসহ নানা কিছু পাঠাল। তাদের সঙ্গে আমাদের সব সময় যোগাযোগ আছে। তারা আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী। তাদের সঙ্গে তো আমাদের যোগাযোগ থাকবেই। তাদের সঙ্গে পণ্য বিনিময় থেকে শুরু করে বর্ডার হাট করেছি। সেখানে আমাদের স্থানীয়রাও লাভবান হচ্ছেন। আমরা পণ্য বিনিময় করতে পারছি, কিনতে পারছি। এছাড়া স্থল বন্দর, নৌ-বন্দর বা রেল যোগাযোগ আমারা চালু করতে যাচ্ছি। শুল্কের বিষয়ও আমরা ঠিক করে দিচ্ছি। অবকাঠামো উন্নয়ন আমাদের করতে হবে, সেটাও আমরা করে যাচ্ছি। রাস্তা ঘাটের উন্নয়নও আমরা করব।’এক প্রশ্নের জবাবে সরকার প্রধান বলেন, আমাদের মুসলিম ধর্মীয় উৎসব, হিন্দু পূজা-পার্বণে ভারতের অনেকে এসে যোগ দেয়। এই আদান-প্রদান আমাদের মধ্যে আছে। আমরা অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ করি। সবসময় বলি, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। এটা আমরা মেনে চলি। কিন্তু তারপরও আমাদের দেশে কিছু মানুষ আছে, যারা সবকিছু বাঁকা চোখে দেখে। আবার সেখানেও (ভারতে) আছে। কিছু ধর্মান্ধ তো থাকবেই। তাদের বক্তব্য, কথায় অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে। এটা রুখতে আমাদের সে অর্থে কিছু করার নেই। তবে, এদেশে মাঝে মাঝে কিছু ঘটনা ঘটানো হয়। যারা অপরাধী তাদের বিরুদ্ধে আমরা সাথে সাথে ব্যবস্থা নিই। সম্প্রীতি যাতে বজায় থাকে, সে চেষ্টা করি।গত ৫ সেপ্টেম্বর চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও একান্ত বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। এতে নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিনিয়োগ, বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সহযোগিতা, অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, মাদক চোরাচালান ও মানবপাচার রোধ সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২


নভেম্বরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা : ইসি

নভেম্বরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা : ইসি

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ২০২৩ সালের নভেম্বরে ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত রূপরেখা ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। বুধবার সকালে নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে এই রূপরেখা ঘোষণা করা হয়।এসময় নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান বলেন, রূপরেখার উদ্দেশ্য একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। আস্থাশীলতার ঘাটতি রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। তবে আস্থা অর্জনে আগের চেয়ে এগিয়ে গেছে সংস্থাটি।এদিকে, নির্বাচনি রূপরেখায় নির্বাচনের যাবতীয় পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করা হয়। এতে ইভিএমের ব্যবহার, সিসি ক্যামেরা স্থাপনের বিষয় বিবেচনায় রেখে সীমানা নির্ধারণ, ফলাফল সংগ্রহে প্রযুক্তির ব্যবহার, প্রশিক্ষণ ও দক্ষ জনবল তৈরি, আইন সংস্কার, নতুন দল নিবন্ধন, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নসহ সব কাজের প্রস্তুতিমূলক সময়সূচি রাখা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২


দেশের সব বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে : শেখ হাসিনা

দেশের সব বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে : শেখ হাসিনা

দেশের সব বিভাগে পর্যায়ক্রমে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। গণভবন থেকে ভার্চুযালি যুক্ত হন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বেসরকারি খাতে হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেবা নিশ্চিতে সরকারের নেওয়া উদ্যোগের সুফল পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।তিনি বলেন, চিকিৎসাসেবা যেন তৃণমূল পর্যন্ত নিশ্চিত হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। চিকিৎসকদের আরও আন্তরিক হতে হবে। বিএসএমএমইউ জানায়, নতুন এ হাসপাতালের পথচলার মাধ্যমে দেশের চিকিৎসাব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার নির্ভরশীলতা কমবে এবং অন্তত ৪ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।সংশ্লিষ্টরা জানান, ১৩ তলাবিশিষ্ট হাসপাতালটির রয়েছে দ্বিতল বেজমেন্ট। ৭৫০ শয্যার হাসপাতালে বিভিন্ন বিভাগে থাকবে ১৪টি অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার, ১০০ শয্যার আইসিইউ। জরুরি বিভাগে থাকবে ১০০ শয্যা, ভিভিআইপি কেবিন ছয়টি, ভিআইপি কেবিন ২২টি এবং ডিল্যাক্স শয্যা থাকবে ২৫টি। সেন্টারভিত্তিক প্রতিটি ওয়ার্ডে থাকবে আটটি করে শয্যা। হাসপাতালটিতে থাকবে এক্স-রে, এমআরআই, সিটি-স্ক্যানসহ অত্যাধুনিক সব ডায়াগনস্টিক সুবিধা।সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে বিশেষজ্ঞসহ ৩০০ চিকিৎসক ও ১ হাজার ২০০ স্বাস্থ্যকর্মীর কাজ করার কথা রয়েছে। ছয়টি বিশেষায়িত সেন্টারের মাধ্যমে চলা এ হাসপাতালে বাংলাদেশি চিকিৎসকদের পাশাপাশি দুই বছরের জন্য ৫৬ জন কোরিয়ান কনসালট্যান্ট কাজ করবেন। যারা দেশীয় জনবল আরও দক্ষ করতে ভূমিকা রাখবেন।এ ছাড়া হাসপাতালটিতে প্রথম পর্যায়ে থাকবে এক্সিডেন্টাল ইমারজেন্সি, অটিজম সেন্টার, ম্যাটারনাল অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ কেয়ার সেন্টার, ইমার্জেন্সি মেডিকেল কেয়ার সেন্টার, হেপাটোবিলিয়ারি ও গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি সেন্টার, কার্ডিও ও সেরিব্রো ভাসকুলার সেন্টার এবং কিডনি সেন্টার।দ্বিতীয় পর্যায়ে থাকবে রেসপিরেটরি মেডিসিন সেন্টার, জেনারেল সার্জারি সেন্টার, অপথালমোলজি, ডেন্টিস্ট্রি, ডার্মাটোলজি সেন্টার এবং ফিজিক্যাল মেডিসিন বা রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২


বাংলাদেশ সর্বদা বিশ্ব শান্তি বজায় রাখতে সহায়তা করবে : প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ সর্বদা বিশ্ব শান্তি বজায় রাখতে সহায়তা করবে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ সর্বদা বিশ্ব শান্তি বজায় রাখতে সহায়তা করবে। তিনি বলেন, এটি আমাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা যে বাংলাদেশ সর্বদা বৈশ্বিক শান্তি বজায় রাখতে সহায়তা করবে। আমাদের সেনাবাহিনী জাতিসংঘের অধীনে বিশ্ব শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। আমরা এটি বজায় রাখতে চাই। আজ (সোমবার) র‌্যাডিসন ব্লু হোটেলে ৪৬তম ইন্দো-প্যাসিফিক আর্মিজ ম্যানেজমেন্ট সেমিনার (আইপিএএমএস) ২০২২-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন এই অনুষ্ঠানে। • আরও পড়ুন : প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর সফল হওয়ায় বিএনপির মন খারাপ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যুক্তরাষ্ট্রসহ ২৭টি দেশের সঙ্গে যৌথভাবে এই আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজন করছে। শেখ হাসিনা বলেন, শান্তি রক্ষা কার্যক্রমে অবদানের জন্য বাংলাদেশ আজ বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। দেশে এবং বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।যে কোনো সংঘাত বা সংকট বিশ্বের প্রতিটি জাতিকে প্রভাবিত করে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এটি রাষ্ট্রের নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীল উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রথম ভাষণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের পররাষ্ট্রনীতির সারমর্ম উচ্চারণ করেছিলেন: সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়। রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বিশ্বনেতাদের সৎ ও শান্তিপূর্ণ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি বলেন, আমরা সবসময় আমাদের বৈশ্বিক এবং আঞ্চলিক অংশীদারদের সাথে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছি। সূত্র : বাসস।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২


নির্বাচনের খবর সংগ্রহে বাধা দিলে ৩ বছরের জেল!

নির্বাচনের খবর সংগ্রহে বাধা দিলে ৩ বছরের জেল!

নির্বাচনের খবর সংগ্রহে সাংবাদিকদের বাধা দিলে সংশ্লিষ্টদের জন্য ৩ বছরের কারাদণ্ডের বিধান চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ লক্ষ্যে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনের (আরপিও) সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি।আজ রোববার নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেন, `আপনাদের ক্যামেরাই আমাদের চোখ। আমাদের চোখে যেন প্রত্যেকটা অনিয়ম ধরা পড়ে, এজন্য আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেবো। আমার (ইসির) অন্যায়গুলো আপনার চোখে ধরা পড়লে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমার ভুল-ভ্রান্তি দেখিয়ে দিন, আমি নিজেকে শুধরে নেবো। এই মূল্যায়ন আমি মিডিয়াকে করে আসছি।'সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গে টেনে তিনি বলেন, `আমরা চ্যালেঞ্জ নিয়েছি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে অনিয়ম, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার। এজন্য এই নির্বাচনে ২৬৫টি ভোটকক্ষের ৩৬৫টি সিসি ক্যামেরা রেখেছি। কন্ট্রোল রুম আমাদের ইসিতেই আছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে যেখানে যেটা অনিয়ম ধরা পড়েছে, আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।'`জোরপূর্বক একজনের ভোট একজন দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে, আমরা চিহ্নিত করেছি। মাঠ প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতিা নিশ্চিত হয়। এ ছাড়া, যারা সন্ত্রাসী, জোরপূর্বক ভোট দেওয়ার চেষ্টা করে থাকে, তারা ভয়ের মধ্যে থাকে। ১১টা বুথে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। আমরা অনিয়মে জড়িতদের সঙ্গেসঙ্গে আইনের আওতায় এনেছি', যোগ করেন তিনি।তিনি আরও বলেন, `সংসদ নির্বাচনেও সব কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা দেওয়ার আন্তরিক ইচ্ছা, প্রচেষ্টা থাকবে। এটার সঙ্গে আর্থিক ও ট্যাকনিক্যাল সাপোর্টের বিষয় আছে। কোথাও কোথাও বিদ্যুৎ, ইন্টারনেটও নেই। তবে আমাদের ইচ্ছা আছে।'এই নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, `বাজেট বরাদ্দের ঘাটতি থাকলে ঝূঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে সিসি ক্যামেরা দেবো। ইচ্ছা আছে পুরো নির্বাচনটাই সিসি ক্যামেরার মধ্যে আনা। সংসদের আগে যত নির্বাচন হবে সবগুলোতে ইভিএম ব্যবহার করব এবং সিসি ক্যামেরা থাকবে। সময়ের সঙ্গেসঙ্গে সিসি ক্যামেরার প্রয়োজনীতা বাড়ছে। এটা লাক্সারি নয়, এটা এখন প্রয়োজন।'

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২


না ফেরার দেশে চলে গেলেন আকবর আলী খান

না ফেরার দেশে চলে গেলেন আকবর আলী খান

অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে তিনি মারা যান। আকবর আলি খানের ভাই কবির উদ্দিন খান সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। কবির উদ্দিন খান বলেন, আকবর আলি খান অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল। সেখানে যাওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সেই তিনি মারা যান। হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।আকবর আলি খানের জন্ম ১৯৪৪ সালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন ইতিহাস, কানাডার কুইন্স ইউনিভার্সিটিতে অর্থনীতি। পিএইচডি গবেষণাও অর্থনীতিতে। আমলা হিসেবে পেশাজীবনের প্রধান ধারার পাশাপাশি চলেছে শিক্ষকতাও। অবসর নিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে। এর পর দুটো বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হয়েছিলেন, দায়িত্ব পালনে প্রতিবন্ধকতার মুখে পদত্যাগ করেন। অবসরের পর তাঁর আবির্ভাব ঘটেছে পূর্ণকালীন লেখক হিসেবে। অর্থনীতি, ইতিহাস, সমাজবিদ্যা, সাহিত্য—বিচিত্র বিষয়ে তাঁর গবেষণামূলক বই পাঠকের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়।আকবর আলি খানের সর্বশেষ আত্মজীবনী গ্রন্থ ‘পুরানো সেই দিনের কথা’। এই গ্রন্থে একজন বহুমাত্রিক ব্যক্তিত্বের জীবনের উন্মেষ ও বিকাশের কাহিনি উঠে এসেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের জলাভূমিতে লালিত সাদাসিধে বালকটি ছিলেন কল্পনাবিলাসী ও অন্তমু‌র্খী। মুখচোরা বালকটি মাঠপর্যায়ের প্রশাসক হন। দায়িত্ব নেন আইনশৃঙ্খলা, ভূমি প্রশাসন, উন্নয়ন প্রশাসন, নির্বাচন, এমনকি চা-বাগানের মতো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনার।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২


রাজনৈতিক সমঝোতা হলে ভোট হবে ব্যালটে : সিইসি

রাজনৈতিক সমঝোতা হলে ভোট হবে ব্যালটে : সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে কোনোভাবেই রাজনৈতিক সংকট প্রকট হবে না। সংকট ইভিএম নিয়ে নয়, সেটা আরও মোটাদাগের সংকট। রাজনৈতিক সমঝোতা মাধ্যমে ফয়সালা হলে সব ভোট ব্যালটে হবে।আজ বুধবার নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে ৩৯ নাগরিকের বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি এসব কথা বলেন। আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করার আহ্বান জানিয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিবৃতি দেন দেশের ৩৯ নাগরিক। তাঁরা সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহারে ইসির নেওয়া সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক হিসেবে আখ্যা দেন।বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাজনৈতিক ঐকমত্য ছাড়াই নির্বাচন কমিশন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ভোট গ্রহণে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘রাজনৈতিক সংকট হতে পারে—এটা আমি জানি না। ইভিএম নিয়ে যদি কোনো রাজনৈতিক সংকট হয়, তা মোকাবিলার ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা ইভিএম নিয়ে কোনো সংকট দেখছি না।...ইভিএম নিয়ে রাজনৈতিক সংকট প্রকট হবে না।’গত ২৩ আগস্ট এক বৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইভিএমে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। ভোটে এই যন্ত্রের ব্যবহার নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক বিতর্কের মধ্যেই এ সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। এর আগে ইসির সংলাপে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল ইভিএম নিয়ে সংশয় ও সন্দেহ প্রকাশ করেছিল। সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল নিজেও সংলাপে বলেছিলেন, অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ইভিএমে বিশ্বাস করছে না। কিন্তু সেটি শেষ পর্যন্ত খুব একটা আমলে নেয়নি ইসি। এর আগে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছয়টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছিল।আজ সিইসি বলেন, ‘আমরা বরং রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে যে সংকটগুলো দেখছি, সে সংকট ইভিএম নিয়ে নয়, আরও মোটাদাগের সংকট। আমরা আশা করি, দোয়া করি, এ সংকটগুলো কেটে যাক। কেটে গিয়ে যদি রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে ফয়সালা হয়, সব ভোট ব্যালটে হবে, শতভাগ সমঝোতায় হয়, অসুবিধা কী। তখন আমরা সিদ্ধান্ত নেব, সব দল যখন নির্বাচনে আসছে, তাহলে সেটা ভালো উদ্যোগ।’সিইসি ইভিএম নিয়ে বলেন, ‘আমাদের জন্য যেটা প্রয়োজন, ইভিএমে ভোট করলাম কি না, সেটা নয়; নির্বাচনটা সঠিক, অবাধ, নির্বিঘ্ন হলো কি না, সেটা। ইভিএমে হোক বা ব্যালটে হোক, সেটা হওয়া বড় কথা। কাজেই বড় ধরনের সংকট ওখানে নয়, আপনারও তা জানেন; ওই সংকট নিরসন হলে নির্বাচনটা সুন্দরভাবে উঠে আসবে।’

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২


সর্বাধিক পঠিত

পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে আইনের কঠোর প্রয়োগ চান বিশেষজ্ঞরা

পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে আইনের কঠোর প্রয়োগ চান বিশেষজ্ঞরা

দেশের পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে সঠিক আইন ও আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক নেতারা। তারা বলেছেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য পরিবেশ রক্ষার কোনো বিকল্প নেই।রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘সবুজ বাংলাদেশ : সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির উদ্যোগে তিনদিনব্যাপী ‘এনভায়রনমেন্টাল প্রটেকশন ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।সমাপনি অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী দেশে আসার পর থেকেই সবুজ বাংলাদেশ গঠনের কাজ শুরু করেছিলেন। ’৮৬ সালে কৃষক লীগ গঠনের মাধ্যমে তিনি সারাদেশে বৃক্ষরোপনের কাজ শুরু করেছিলেন। এখন পর্যন্ত পয়লা আষাঢ়ে তিনি এই কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ কমিটি।“প্রতি বছর মানুষ বাড়ছে আর কৃষি জমি কমছে। সেই সঙ্গে শিল্প কারখানা, স্থাপনা নির্মান ও রাস্তাঘাট-অবকাঠামো উন্নয়নের ফলেও কৃষি জমি কমছে। এজন্য মানুষকে সচেতন করা দরকার। আইন থাকলেও কৃষি জমি রক্ষায় এর কোনো প্রয়োগ নেই। এজন্য নতুন একটি আইনের কথা ভাবা হচ্ছে, যাতে কৃষি জমি রক্ষা করা যায়।”টেকসই উন্নয়নের জন্য পরিবেশ রক্ষার কোনো বিকল্প নেই বলেও মত প্রকাশ করেন তথমন্ত্রী।অনুষ্ঠানে নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “পরিবেশ রক্ষায় আওয়ামী লীগই একমাত্র দল, যে দল এই সাবজেক্টের ওপর নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অন্য কোনো রাজনৈতিক দল এটা করছে না।“আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০২ সালে এই পদটি সৃষ্টি করেছিলেন। পঁচাত্তরের জঘন্য হত্যাকান্ডের পর যখন তিনি দেশে ফিরে এসছিলেন তখন থেকেই তিনি একটি সমন্বিত ব্যবস্থাপনা, যেটি বঙ্গবন্ধ স্বপ্ন দেখেছিলেন; সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। পরিবেশ রক্ষায় তিনি অনেক কাজ করেছেন। কৃষক লীগকে কাজে লাগিয়ে ওই সময় থেকে বৃক্ষরোপন শুরু করেছিলেন, তখন তিনি বিরোধী দলীয় নেত্রীও নন। এখন বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় তিনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) বড় কন্ঠ।”এক যুদ্ধাপরাধীর সিঙ্গাপুরে বিলিয়ন ডলারের খোঁজ পাওয়া নিয়ে গণমাধ্যমকে উদ্ধৃত করে নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এই যে যুদ্ধাপরাধীদের আমরা শাস্তি দিয়েছি। এরা যে পঁচাত্তরের পরে কতো বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে আজকে এগুলো বেরিয়ে আসছে।“যারা আজকে পাচারের কথা বলছে তারা এই ঘটনার সঙ্গে সম্পূর্নভাবে জড়িত। তারা বিভিন্ন সময়ে মিথ্যাকে সত্য বানানোর চেষ্টা করে এবং অসত্যকে বক্তব্য দিয়ে দেশের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করে। এভাবে তারা সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশ নষ্ট করছে। আমাদের অর্থনীতি সম্পর্কে ভুল তথ্য দিয়ে মানুষকে আতঙ্কিত করছে। এর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী ভুমিকা রাখতে হবে যেভাবে বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ভুমিকা রাখছে।”তিনদিন ব্যাপি সেমিনারে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি ও সেমিনারে অংশ নেয়া সদস্যদের সুনির্দিষ্ট সুপারিশ তুলে ধরেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং বন ও পরিবেশ উপ কমিটির চেয়ারম্যান খন্দকার বজলুল হক।তিনি বলেন,“এনভায়রনমেন্টাল প্রটেকশন ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের সেমিনারে বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা প্রস্তাব দিয়েছেন। তারা বলেছেন, পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের জন্য কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা নিতে হবে এবং সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে, বাংলাদেশের শহরগুলো দূষণপ্রবণ হওয়ার কারণ হলো, পরিবেশগত সমস্যা। বাংলাদেশকে বায়ু ও পানি দূষণমুক্ত রাখতে শিল্প এলাকায় যথাযথ বর্জ্য শোধনাগার স্থাপন করা উচিত। মোটর গাড়ি, এয়ারো প্লেন, ট্রেন, শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে নির্গমন, বিদ্যুৎ উৎপাদন সেট আপ, ইটভাটা, অনাবৃত ভাবে পোড়ানো বা জ্বালিয়ে দেওয়া, কঠিন বর্জ্য ডাম্পিং নিয়ন্ত্রন করতে হলে সঠিক আইন ও আইনের প্রয়োগের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।“দেশের পরিবেশগতভাবে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলিকে রক্ষা করার জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলি সঠিকভাবে চিহ্নিত করা উচিত এবং ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঘূর্ণিঝড়, বন্যা এবং খরা তীব্রতর হয়েছে, এই ধরনের দুর্যোগ নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘমেয়াদী টেকসই প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। পরিবেশ সংক্রান্ত যথাযথ উন্নয়ন কার্যক্রম নিশ্চিত করার জন্য বজায় রাখার জন্য সরকারের বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে। নবায়নযোগ্য, টেকসই, জৈব উপাদান, জৈব রাসায়নিক এবং জৈব জ্বালানী উন্নয়নে কার্বন ডাইঅক্সাইড এর অতিরিক্ত নির্গমন নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।”কনফারেন্সের উদ্বোধনী অধিবেশন শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের বিভিন্ন বিভাগ এবং সেন্টার ফর এডভান্সড রিসার্চ এন্ড সায়েন্স (কারস)-এ একযোগে পরিবেশ বিষয়ক ভিন্ন ভিন্ন সায়েন্টিফিক বিষয়ে আলোচনা, সায়েন্টিফিক সেশন, পোস্টার প্রেজেন্টেশন অনুষ্ঠি হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২


প্রতি কিলোমিটারের বাস ভাড়া কমলো ৫ পয়সা

প্রতি কিলোমিটারের বাস ভাড়া কমলো ৫ পয়সা

জ্বালানি তেলের দাম পাঁচ টাকা কমায় বাসভাড়া কমাল বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে নতুন ভাড়া কার্যকর হবে।বিআরটিএর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দূরপাল্লার বাসে প্রতি কিলোমিটারের জন্য যাত্রীপ্রতি ভাড়া ৫ পয়সা কমিয়ে ২ টাকা ১৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর মহানগরে প্রতি কিলোমিটারের জন্য ৫ পয়সা কমিয়ে ২ টাকা ৪৫ পয়সা ঠিক করা হয়েছে। এ ছাড়া বাসে সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা আর মিনিবাসে ৮ টাকা।বুধবার রাজধানীর বনানীতে বিআরটিএর সদর দপ্তরে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে পরিবহন খাতের নেতা ও বাসমালিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব সিদ্ধান্ত জানান সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী।আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরে আগে ছিল কিলোমিটারপ্রতি ২ টাকা ৫০ পয়সা, এখন ২ টাকা ৪৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ডিটিসিএ আওতাভুক্ত জেলাগুলোত ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ২ টাকা ৩৫ পয়সা। এ ছাড়া বাস ও মিনিবাসের সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ ও ৮ টাকা আগেরটাই বহাল রেখেছি। নতুন এ ভাড়া আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে কার্যকর হবে।তিনি বলেন, আগামীকাল থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকবে। পরিবহন মালিকদের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি থাকবে। কোনো অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩১ আগস্ট ২০২২


বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে ব্যাশেলেতের দেওয়া বক্তব্য নিয়ে ভুল তথ্য প্রচার: জাতিসংঘ

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে ব্যাশেলেতের দেওয়া বক্তব্য নিয়ে ভুল তথ্য প্রচার: জাতিসংঘ

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশেলেতের বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য নিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভুল তথ্য প্রচার হয়েছে বলে জানিয়েছে হাইকমিশনারের দপ্তর।আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমকে পাঠানো এক ই–মেইল বার্তায় বিষয়টি জানিয়েছেন মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র রবিনা শ্যামদাসানি। তিনি বলেছেন, ‘আমরা দুঃখের সঙ্গে বলছি যে ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে।’বাংলাদেশের কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে যে, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের প্রতিবেদনে বাংলাদেশে মানবাধিকার লংঘনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়নি।ই–মেইল বার্তায় রবিনা শ্যামদাসানি বলেন, ‘আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে হাইকমিশনার বাংলাদেশ সরকার, সুশীল সমাজ ও সংশ্লিষ্ট অন্যদের সঙ্গে বৈঠকে মানবাধিকারসংক্রান্ত অনেক বিষয় নিয়ে তাঁর উদ্বেগ তুলে ধরেছেন। ঢাকা সফর শেষে তাঁর দেওয়া বিবৃতিতেও এ বিষয় উঠে এসেছে। হাইকমিশনার বাংলাদেশের মানবাধিকারসংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তৃতভাবে কথা বলায় মেয়াদপূর্তি উপলক্ষে ২৫ আগস্ট জেনেভায় দেওয়া বিবৃতিতে তিনি বৈশ্বিক বিষয়গুলোর ওপর আলোকপাত করেন। সেখানে জলবায়ু পরিবর্তন, খাবার, জ্বালানি তেল ও অর্থনৈতিক সংকট, সুশীল সমাজের কথা বলার অধিকারের মতো বিষয়গুলো ছিল। এসব বিষয় সব দেশেই রয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশও অন্তর্ভুক্ত। সেখানে রোহিঙ্গাদের দুর্দশার বিষয়টি উঠে আসে, ওই দিনই ছিল রোহিঙ্গাদের ওপর দমন-পীড়নের বছরপূর্তি। তা মানবাধিকার নিয়ে “বৈশ্বিক প্রতিবেদন” ছিল না।’ই–মেইল বার্তায় বলা হয়, বাংলাদেশ সফর শেষে ঢাকায় দেওয়া বক্তব্যে ব্যাশেলেত বলেছিলেন, মানবাধিকারসংক্রান্ত চ্যালেঞ্জগুলো অতিক্রম করার প্রথম ধাপই হলো সেগুলো স্বীকার করে নেওয়া। হাইকমিশনার যেসব সুপারিশ করেছেন, সে অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ঢাকাকে সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক দপ্তর। পাশাপাশি বাংলাদেশে মানবাধিকার রক্ষা ও তা এগিয়ে নিতেও সহায়তার জন্য প্রস্তুত রয়েছে তারা।চার দিনের বাংলাদেশ সফরের শেষ দিনে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন মিশেল ব্যাশেলেত। গতকাল বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে ১৪ থেকে ১৭ আগস্ট বাংলাদেশ সফর করেন মিশেল ব্যাশেলেত। সফর শেষে সংবাদ সম্মেলনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ থাকলে তা অস্বীকার না করে আমলে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। ব্যাশেলেত বলেছিলেন, তিনি বাংলাদেশে গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগের বিষয়গুলো নিয়ে সরকারের কাছে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগগুলো সুরাহার স্বার্থে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত সংস্থা গঠনের প্রয়োজনীতার কথাও বলেছেন।৩১ আগস্ট জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের পদে তাঁর মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এ উপলক্ষে ২৫ আগস্ট জেনেভায় ওই সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩১ আগস্ট ২০২২


কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিতে আ.লীগের শ্রদ্ধা

কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিতে আ.লীগের শ্রদ্ধা

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।শনিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে অবস্থিত কবরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে শ্রদ্ধা জানান।শ্রদ্ধা শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির সরকার পতনের ইচ্ছা দিবাস্বপ্ন ছাড়া কিছুই নয় বলে ।তিনি বলেন, এখন সরকার পতনই তাদের (বিএনপি) লক্ষ্য। আমরা মনে করি তারা দেশের জনগণকে নিয়ে ভাবে না। তাদের লক্ষ্য হলো ক্ষমতা।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকার পতন মানে ক্ষমতা। টেক ব্যাক বাংলাদেশ, আবারও হাওয়া ভবন, আবারও ধ্বংসলীলা, আবারও তাদের জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা। সরকার পতন তাদের দিবাস্বপ্ন ছাড়া কিছুই নয়।এসময় যুবলীগ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখাসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন কবির কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।এ সময়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এসএম কামাল হোসেন ও অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। ১৯৭৬ সালের এই দিনে (১২ ভাদ্র) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (সাবেক পিজি হাসপাতাল) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। কবিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। এখানেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ আগস্ট ২০২২


জাতীয় নির্বাচনে  ইভিএম থাকছে ১৫০ আসনে : ইসি

জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম থাকছে ১৫০ আসনে : ইসি

আগামী জাতীয় নির্বাচনে অনূর্ধ্ব ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।আজ মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।বৈঠক শেষে কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, 'আজকের নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে জাতীয় নির্বাচনে অনূর্ধ্ব ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই মুহূর্তে আমাদের ৭০-৭৫ আসনে ইভিএম ব্যবহার করে সক্ষমতা আছে।'কমিশনের কাছে মোট দেড় লাখ ইভিএম মেশিন আছে উল্লেখ করে তিনি জানান, প্রয়োজনে আরও ইভিএম মেশিন কেনার ব্যবস্থা করা হবে।'কোন কোন আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে, তার সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। তফসিল ঘোষণার সময় তা জানিয়ে দেওয়া হবে,' বলেন তিনি।বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা সত্ত্বেও ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, 'সব রাজনৈতিক দলের পরামর্শ বিবেচনায় নিয়েই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।'বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ সব নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৩ আগস্ট ২০২২


কোনো দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণে জোর করবে না নির্বাচন কমিশন

কোনো দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণে জোর করবে না নির্বাচন কমিশন

নির্বাচন কমিশন (ইসি) কোনো দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধ্য করতে পারে না এবং সে ধরনের কোনো প্রয়াস কমিশন গ্রহণ করবে না বলে জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশন। ইসির সঙ্গে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ থেকে পাওয়া মতামত ও পরামর্শের জবাবে ইসির পর্যালোচনা ও মতামত হিসেবে এসব কথা বলা হয়েছে। আজ সোমবার ইসি এ সংক্রান্ত একটি সার সংক্ষেপ নিবন্ধিত ২৮টি রাজনৈতিক দল, আইন, স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর কাযালয়সহ শীর্ষ কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছেন, ইসির জনসংযোগ পরিচালক যুগ্মসচিব এস এম আসাদুজ্জামান।এ ছাড়া সংলাপে সবগুলো রাজনৈতিক দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণ, নির্বাচনকালীন সরকার, ইভিএম, সেনা মোতায়েনসহ যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ও পরামর্শ পেয়েছিল তা পর্যালোচনা করে ১০টি বিষয়ে মাতমত তুলে ধরেছে নির্বাচন কমিশন।সংলাপের সারংক্ষেপের মতামত ও পরামর্শগুলোকে ১০টি ভাগে ভাগ করে ইসির মতামতও তুলে ধরা হয়েছে।প্রথমভাগে রাজনৈতিক দলগুলো থেকে পাওয়া পরামর্শ ও মতামত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, অধিকাংশ দলের পরামর্শ ছিল নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হতে হবে অর্থাৎ নির্বাচনে সবগুলো, বিশেষত প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সক্রিয় রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। কয়েকটি দলের পক্ষে পরামর্শ ছিল নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হওয়া বাঞ্ছনীয়। তবে, কোনো দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে বাধ্য করা বা জবরদস্তি করা যাবে না। সবগুলো দলের পক্ষে পরামর্শ ছিল নির্বাচন অবাধ হতে হবে। ভোটারদের স্বাধীন ভোটাধিকার প্রয়োগে সম্ভাব্য সব প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রতিষ্ঠা করে নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগের অনুকুল পরিবেশ ও সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।এ বিষয়ে ইসির মতামত হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন সবগুলো দলের বিশেষ করে, প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণ আন্তরিকভাবে প্রত্যাশা করে। নির্বাচন কমিশন কোনো দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধ্য করতে পারে না এবং সে ধরনের কোনো প্রয়াস নির্বাচন কমিশন গ্রহণ করবে না। তবে, সবগুলো দলকে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার আহ্বান শেষ পর্যন্ত আন্তরিকভাবেই বহাল থাকবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ আগস্ট ২০২২


নির্বাচন কমিশনের প্রতি দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর বড় একটি অংশের আস্থা নেই: ইসি

নির্বাচন কমিশনের প্রতি দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর বড় একটি অংশের আস্থা নেই: ইসি

বর্তমান নির্বাচনী ব্যবস্থা এবং নির্বাচন কমিশনের প্রতি দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর বড় একটি অংশের আস্থা নেই। এমন পরিস্থিতিই নিজেদের জন্য বড় সংকট ও চ্যালেঞ্জ হিসেবে মনে করছে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ইসি যে খসড়া কর্মপরিকল্পনা ঠিক করছে, তাতে এই চ্যালেঞ্জের কথা নিজেরাই উল্লেখ করেছে।অবশ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপায়ও খুঁজছে ইসি। তবে শেষ পর্যন্ত ইসি দলগুলোর আস্থা কতটা অর্জন করতে পারবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। গত ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নতুন কমিশন দায়িত্ব নেয়। এরপর পর্যায়ক্রমে শিক্ষাবিদ, দেশের বিশিষ্ট নাগরিক, সাংবাদিক, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করে ইসি। তখন ইসি বলেছিল, সংলাপে আসা প্রস্তাব ও সুপারিশগুলোর ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।ইসি সূত্র জানায়, সে কর্মপরিকল্পনার একটি খসড়া ইতিমধ্যে তৈরি করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনাররা খসড়া পর্যালোচনা করছেন। আগামী সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিকে এই খসড়া চূড়ান্ত করা হতে পারে। কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করার পর নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের সঙ্গে আবার সংলাপে বসার কথা ভাবছে ইসি। অবশ্য সে সংলাপ হবে অনেকটা কর্মশালার মতো। একসঙ্গে অনেক দল ও অংশীজনদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। সেখানে কর্মপরিকল্পনা নিয়ে অংশীজনদের মতামত ও পরামর্শ নেওয়া হবে।এর আগে কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশনও একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ‘রোডম্যাপ’ (কর্মপরিকল্পনা) ঘোষণা করেছিল। অবশ্য তখন মূলত আইন ও বিধি সংস্কারসহ কিছু রুটিন কার্যক্রম ইসি কবে নাগাদ শেষ করবে, তার রূপরেখা দেওয়া হয়েছিল। ইসি সূত্র জানায়, এবারও কমিশনের নির্দেশে ইসি সচিবালয় গতবারের রোডম্যাপের আলোকে একটি খসড়া রূপরেখা দিয়েছিল। তবে তা গ্রহণ করেনি ইসি। কারণ, সেখানে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে চ্যালেঞ্জগুলো কী কী, সে বিষয়ে কিছু ছিল না। এরপর একজন নির্বাচন কমিশনারকে একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ইসির প্রতি আস্থার সংকটের পাশাপাশি নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার, ভোটের সময় মাঠ প্রশাসনে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখা, ভোটার ও প্রার্থীর এজেন্টদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ বেশ কিছু বিষয়কে চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করেছে ইসি।এখন পর্যন্ত ইসির নেওয়া পদক্ষেপে আস্থা অর্জিত হতে পারে—এমন কোনো আলামত দেখা যাচ্ছে না। ইসি তাদের ক্ষমতা উপলব্ধি করতে পারছে না।বদিউল আলম মজুমদার, সম্পাদক, সুজননির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান বলেন, নির্বাচনের জন্য চ্যালেঞ্জগুলো কী, তা নির্ধারণ ও বিশ্লেষণের পর সেগুলো কীভাবে মোকাবিলা করা যায়, সে বিষয়ে এখন চিন্তাভাবনা চলছে। শেষ পর্যন্ত এই কমিশন পূর্ণ আস্থা অর্জনে সক্ষম হবেন বলে তিনি আশাবাদী। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে চায় ইসি।তবে এখন পর্যন্ত বিরোধী দলগুলোকে আস্থায় আনতে পারেনি ইসি। বিএনপিসহ ৯টি দল ইসির সংলাপ বর্জন করেছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে টানা দুটি প্রশ্নবিদ্ধ জাতীয় নির্বাচনের পর নির্বাচনী ব্যবস্থা ও ইসির প্রতি বিভিন্ন দল ও ভোটারদের আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। নতুন ইসি দায়িত্ব নেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলে আসছেন, আস্থা অর্জনই এই কমিশনের প্রধান চ্যালেঞ্জ। নির্বাচন কমিশনারদের মুখেও বিষয়টি একাধিকবার এসেছে।গত ৩১ জুলাই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছিলেন, অতীতের অনেক নির্বাচন নিয়েই সমালোচনা বা তর্ক-বিতর্ক হলেও ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে অতিমাত্রায় সমালোচনা ও তর্ক-বিতর্ক হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের যে সমালোচনা হচ্ছে, সেটিও তীব্র, তিক্ত।ওই দিন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছিলেন, ইসির ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনা খুবই জরুরি। অংশীজনসহ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই অবস্থা থেকে উদ্ধার করতে হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ আগস্ট ২০২২


শ্রীমঙ্গলে চা বাগানে টিলা ধসে ৪ জন নিহত

শ্রীমঙ্গলে চা বাগানে টিলা ধসে ৪ জন নিহত

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের কালীঘাট ইউনিয়নের লাখাইছড়া চা বাগানে পাহাড়ের সুরঙ্গ থেকে মাটি খুঁড়তে গিয়ে মাটিচাপায় চার চা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ (শুক্রবার) দুপুর ১টায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত চারজন‌ই লাখাইছড়া চা বাগানের চা শ্রমিক।শ্রীমঙ্গল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের লিডার আব্দুল কাদির ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘর সংস্কারের জন্য মাটি সংগ্ৰহ করতে গিয়েছিল তারা। টিলা অনেক উঁচু হ‌ওয়ায় ও নরম থাকায় ধসে পড়ে। ঘটনাস্থলেই চার নারীর মৃত্যু হয়। নিহতদের বিস্তারিত নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ আগস্ট ২০২২


নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃ্দ্ধি নিয়ে ব্যবসায়ীদের দুষলেন প্রধানমন্ত্রী

নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃ্দ্ধি নিয়ে ব্যবসায়ীদের দুষলেন প্রধানমন্ত্রী

অধিক মুনাফার আশায় কিছু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত দাম বাড়িয়েছে অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার কঠোরভাবে বিষয়টি তদারকি করছে।বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের সাথে যুক্ত হয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মানবতার ধর্মে বিশ্বাস করে। সব মানুষ স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে। তবে কারো অনুভূতিতে আঘাত দেয়া ঠিক নয়। হিন্দু পুরাণ মতে, ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টম তিথিতে সনাতন ধর্মাবলম্বী বিশ্বাসীদের ভগবান শ্রীকৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করেন। তাঁরই জন্ম তিথি স্মরণে জন্মাষ্টমী হিসেবে পালন করা হয়। এ উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর নানা সময়ে সহিংসতার কথা স্মরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজেদের মতো করে ধর্ম পালন করবে সবাই। তবে কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে কোন কথা বলা ঠিক নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।এদিকে, সম্প্রতি নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অধিক মুনাফার আশায় কিছু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত দাম বাড়িয়েছে। সরকার কঠোরভাবে বিষয়টি তদারকি করছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ আগস্ট ২০২২


জাতিসংঘের প্রতিনিধির কাছে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করলো বিএনপি

জাতিসংঘের প্রতিনিধির কাছে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করলো বিএনপি

ঢাকা সফররত জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কমিশনের এশিয়া-প্যাসিফিক শাখার প্রধান ররি মুনগোবেনের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপির চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।আজ বুধবার দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বিএনপির মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি ররি মুনগোবেনের সঙ্গে প্রায় ৫০ মিনিট বৈঠক করে।পরে প্রতিনিধিদলের প্রধান আসাদুজ্জামান আসাদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি কেমন, সেটা নিয়ে আমাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা আমাদের বক্তব্য তাঁকে বলেছি। বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি আমরা ব্যাখ্যা করেছি, যেটা বিভিন্ন সময়ে আপনারা রিপোর্ট করেছেন, পত্রপত্রিকায় এসেছে।’ররি মুনগোবেন কী বলেছেন জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘উনি আমাদের বক্তব্য শুনেছেন। উনি তো ফিট ব্যাক দেবেন না আমাদের। আপনাদের সঙ্গে মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের সংবাদ সম্মেলন আছে বিকেলে, সেখানে হয়তো বলবেন।’প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ, তাবিথ আউয়াল ও মানবাধিকারবিষয়ক কমিটির সদস্য আবরার ইলিয়াস।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ আগস্ট ২০২২


১৫ আগস্ট আমরা যারা আপনজন হারিয়েছি তাদের মানবাধিকার কোথায় ছিল? প্রশ্ন শেখ হাসিনার

১৫ আগস্ট আমরা যারা আপনজন হারিয়েছি তাদের মানবাধিকার কোথায় ছিল? প্রশ্ন শেখ হাসিনার

যারা খুনিদের আশ্রয় দেয়, তারাই মানবতার সবক শেখায় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমার বাবা-মা ও ভাইদের যারা হত্যা করেছে সেই খুনিদের আশ্রয় দিয়ে রেখেছে আজ মানবাধিকারের কথা বলা বড় বড় দেশগুলো।মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। শেখ হাসিনা বলেন, আজ চারদিক থেকে মানবাধিকারের প্রশ্ন আসে। মানবাধিকারের কথা বলা হয়। আমাদের সরকারকে মানবাধিকারের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়। যারা এই প্রশ্ন করে তাদের কাছে আমার জিজ্ঞাসা, আমাদের মানবাধিকার, ১৫ আগস্ট আমরা যারা আপনজন হারিয়েছি তাদের মানবাধিকার কোথায় ছিল? আমাদের তো বিচার চাওয়ার অধিকার ছিল না। আমরা বাবা-মা হারিয়েছি। আমরা মামলা করতে পারব না। বিচার চাইতে পারব না। কেন? আমরা দেশের নাগরিক না? আমি, আমার ছোট বোন বিদেশে ছিলাম। বেঁচে গিয়েছিলাম ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাত থেকে। এই বাঁচা কত যন্ত্রণার বাঁচা, যারা বাঁচে তারা জানে।তিনি বলেন, আমাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছিলো। ৯৬ সালে যদি সরকারে আসতে না পারতাম, যদি ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স বাতিল করতে না পারতাম, এই হত্যার বিচার কোনো দিন হতো না। বারবার বাধা এসেছে। এমনকি বক্তৃতা দিয়ে বিচার চাইতে গিয়েও বাধা পেয়েছি। যে এই কথা বললে নাকি কোনো দিন ক্ষমতায় যেতে পারব না। এ রকম কথাও আমাকে শুনতে হয়েছে। আমি বাধা মানিনি। আমি দাবিতে সোচ্চার হয়েছি। দেশে-বিদেশে জনমত সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছি।সরকার প্রধান বলেন, সর্ব প্রথম এই হত্যার প্রতিবাদ করে বক্তব্য দিয়েছে রেহানা। ৭৯ সালে সুইডেনে। এরপর আমি ৮০ সালে বিদেশে গেছি। একটা কমিশন গঠন করেছি, চেষ্টা করেছি আন্তর্জাতিকভাবে। তখন তো দেশে আসতে পারিনি, আমাকে আসতে দেওয়া হবে না। ৮১ সালে দেশে আসার পর জনমত সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছি। অপপ্রচার চালানো হয়েছে আমার বাবার নামে, ভাইয়ের নামে, মায়ের নামে- মিথ্যা অপপ্রচার। কোথায় সেগুলো? কত রকমের মিথ্যা অপপ্রচার দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে। তারপরও যখন দেখে যে না বাংলাদেশের মানুষের মন থেকে জাতির পিতার নাম মুছে ফেলা যায় না।তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট, ৩২ নম্বরে লাশগুলো তো পড়ে ছিল। কত স্লোগান, বঙ্গবন্ধু তুমি আছো যেখানে, আমরা সেখানে। অনেক স্লোগানই তো ছিল। কোথায় ছিল সেই মানুষগুলো? একটি মানুষও ছিল না সাহস করে এগিয়ে আসার? একটি মানুষও ছিল না প্রতিবাদ করার? কেন করতে পারেনি? এত বড় সংগঠন, এত সমর্থক, এত লোক। কেউ তো একটা কথাও বলার সাহস পায়নি। ১৫ আগস্ট থেকে ১৬ আগস্ট ওই লাশগুলো পড়ে ছিল। ১৬ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে গেল টুঙ্গিপাড়া। কারণ দুর্গম পথ। ২২ থেকে ২৪ ঘণ্টা সময় লাগে, কেউ যেতে পারবে না। তাই সেখানে নিয়ে মা-বাবার কবরের পাশে মাটি দিয়ে আসে। সেখানকার মৌলভী সাহেব আপত্তি করেছিল যে গোসল দেব, কাফন-দাফন…।প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু নিয়ে যাননি (বঙ্গবন্ধু), শুধু দিয়ে গেছেন। একটা দেশ দিয়ে গেছেন; একটা জাতি দিয়ে গেছেন; পরিচয় দিয়ে গেছেন; আত্মপরিচয় দিয়ে গেছেন। কিছুই নিয়ে যাননি বাংলাদেশের মানুষের কাছ থেকে। বাংলাদেশের গরিব মানুষকে যে রিলিফের কাপড় তিনি দিতে পারতেন সেই রিলিফের কাপড়ের পাড় ছিঁড়ে সে কাপড় দিয়ে তাকে কাফন দেওয়া হয়েছিল। আমার বাবা-মা, ভাই-বোন বাংলাদেশের মানুষের কাছ থেকে কিছুই নিয়ে যায়নি। ওই ১৬ তারিখে সমস্ত লাশ নিয়ে বনানীতে মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল।তিনি বলেন, মুসলমান হিসেবে যে দাবি থাকে জানাজা পড়ার সেটাও তো পড়েনি। একটু কাফনের কাপড়, সেটাও দেয়নি। পঁচাত্তরের ঘাতকরা হত্যার পর বাংলাদেশকে ইসলামিক রাষ্ট্র ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু ইসলামিক কোনো বিধি তারা মানেনি। আমার একটা প্রশ্ন, আমাদের নেতারাও তো এখানে আছেন। জাতির পিতা তো অনেককে ফোনও করেছিলেন। কী করেছিলেন তারা? বেঁচে থাকতে সবাই থাকে। মরে গেলে যে কেউ থাকে না তার জীবন্ত প্রমাণ এটা। এ জন্য আমি কিছু আশা করি না। সব সহ্য করে নীলকণ্ঠ হয়ে শুধু অপেক্ষা করেছি কবে ক্ষমতায় যেতে পারব। আর এই দেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারব। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারব। তাহলেই এই হত্যার প্রকৃত প্রতিশোধ হবে। শেখ হাসিনা বলেন, বিচারের বাণী তো নিভৃতে কাঁদে। আমি ফিরে এসেও তো বিচার করতে পারিনি। আমি ৮১ সালে দেশে এসেছি, ৯৬ সালে ক্ষমতায় গিয়েছি। এই সময়ে কতবার ওই হাইকোর্টে গিয়েছি, বক্তৃতা দিয়েছি। বিচারিক আদালতে গেছি। আমাদের তো মামলা করারও অধিকার ছিল না। কারণ ইনডেমনিটি দিয়ে তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছে।সরকার প্রধান বলেন, জজ সাহেব গোলাম রসূল সাহসী ছিলেন। কোর্টে গিয়েছিলেন এবং বিচারের রায় দিয়ে খুনিদের ফাঁসির হুকুম দিয়েছিলেন। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় ২০০১ এ যখন আসে, সব বিচার কার্য বন্ধ। এরপর আমরা যখন ক্ষমতায় আসলাম ২০০৯ সালে তখন এই বিচার কাজ শুরু করি। হাইকোর্টে আমরা আপিল করি। বিচারকদের তালিকায় লেখা আওয়ামী লীগের পক্ষের লোক। কোর্টে গেলে তারা বিব্রতবোধ করেন। মানে এই বিচারের রায় তারা দিতে পারবেন না। প্রধান বিচারপতি ছিলেন তোফাজ্জল সাহেব। আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। তার রায়ে এই খুনিদের ফাঁসি হয় যেটা আমরা কার্যকর করতে সক্ষম হয়েছি।তিনি বলেন, আজকে যেসব দেশ মানবাধিকারের প্রশ্ন তোলে আমাদের নিষেধাজ্ঞা দেয় তারা তো খুনিদের আশ্রয় দিয়ে রেখেছে। এই খুনি রাশেদ ছিল মিলিটারি অর্ডারে যে অপারেশন হয়, তার কমান্ডিং অফিসার। রাশেদ ও শাহরিয়ারের নেতৃত্বে ওখানে যায়.. এবং মাজেদ। মাজেদকে আমরা আনতে পেরেছি। কিন্তু রাশেদকে আনার জন্য বারবার আমেরিকার সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু তারা দিচ্ছে না। তাকে তারা লালন-পালন করে রেখে দিচ্ছে। আর নূর আছে কানাডায়। এদের কাছ থেকে আমাদের মানবতার সবক নিতে হয়! আমাদের মানবতার সবক শেখায় যারা আমার বাবা, মা, নারী-শিশুকে হত্যা করেছে, তারা তাদেরকে রক্ষা করে। রশিদ লিবিয়াতে পড়ে থাকে। মাঝে মাঝে পাকিস্তানে যায়। ডালিমের খোঁজ…পাকিস্তানের লাহোরে আছে এইটুকু জানি, এর বেশি জানি না। মোসলেম উদ্দিন ভারতের আসামের কোনো অঞ্চলে ছিল, বহু চেষ্টা করেছি তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। নামটাম পাল্টে রয়ে গেছে। তবুও চেষ্টা করে যাচ্ছি। এই কয়জনকে এখনো আনতে পারেনি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ আগস্ট ২০২২


বিরোধীরা আন্দোলন করতে চায়, করুক,তাদের কাউকে যেন গ্রেপ্তার করা না হয়: প্রধানমন্ত্রী

বিরোধীরা আন্দোলন করতে চায়, করুক,তাদের কাউকে যেন গ্রেপ্তার করা না হয়: প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের বিরোধীরা একটা সুযোগ পাচ্ছে। তারা আন্দোলন করছে। সেটা করুক, আমি তো চাচ্ছি, আমি নির্দেশ দিয়েছি— তারা আন্দোলন করছে, করতে দাও। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও করবে, আমি আসতে দেব। খবরদার, তাদের কাউকে যেন গ্রেপ্তার করা না হয়, বিরক্ত করা না হয়। তারা আন্দোলন করতে চায়, করুক, অসুবিধা কী?রোববার (১৪ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে সভায় সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের তো কিছু লোক থাকেই, প্রয়োজন-অপ্রয়োজনে খামোখা জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেয়। ওই ছুতা ধরে— সেটা হচ্ছে কিছু কিছু। হঠাৎ এত দাম তো বাড়ার কথা নয় প্রত্যেক জিনিসের।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যে আন্তরিকতার সঙ্গে মানুষের জন্য কাজ করছি, সেটা দেশের মানুষ জানে ও বোঝে। হ্যাঁ-না কথা বলবে। বিরোধী দল সুযোগ যখন পাচ্ছে, সেটা কাজে লাগাতে চেষ্টা করবে। কিন্তু তারা যদি বেশি করতে চায়, এর প্রভাবে তো দেশের মানুষের কষ্ট আরও বাড়বে। এটাও তাদের বোঝা উচিত।বিরোধী দলের আন্দোলনের সফলতা নিয়ে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, আন্দোলন করে তারা কতটুকু সফল হবে সেটা জানি না। কিন্তু যেটা করছে তাতে দেশের জন্য আরও ক্ষতি হবে। আমরা সেটা সামাল দিতে পারব, সেই বিশ্বাস আমার আছে।যখনই বিশ্ব বাজারে তেলের দাম কমবে সরকার তাতে সমন্বয় করবে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, সেটা আমার নির্দেশ রয়েছে। তা করে দিচ্ছি। ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও ব্যবহার সীমিত করতে হবে। হয়তো কিছুদিন আমাদের কষ্ট করতে হবে। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো যখন চালু হবে তখন বিদ্যুতের সমস্যা অনেকটা দূর হয়ে যাবে।নির্বাচনী ইশতেহার পূরণ করা হয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যা যা ওয়াদা দিয়েছি সেগুলো পূরণ করেছি। করোনাভাইরাস, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞা না থাকলে দেশের কোনো সমস্যা হতো না।প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে বিষয়গুলোতে আমরা আমদানি-নির্ভর সেখানে সমস্যা দেখা দিয়েছে। নিজ নিজ জমিতে সবাইকে উৎপাদন করতে হবে। আমাদের খাবারটা যেন আমরা নিজেরাই উৎপাদন করতে পারি, বাইরের দিকে তাকিয়ে থাকতে না হয়। সেই ব্যবস্থাটাই আমাদের নিতে হবে।নিষেধাজ্ঞায় আমেরিকা ও রাশিয়ার লাভ হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, রুবলের দামও বাড়ছে, ডলারের দামও বাড়ছে। বিশ্বব্যাপী রুবল ও ডলার স্টক হয়ে গেছে। মরছে সব দেশের সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের জন্য চরম দুর্ভোগ। সব দেশের একই অবস্থা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা, পাল্টা নিষেধাজ্ঞা ও যুদ্ধ মানুষের জীবনে সর্বনাশটা ডেকে এনেছে।শেখ হাসিনা বলেন, ১৫ আগস্ট-এ কারবালার চেয়েও জঘন্য হত্যাকাণ্ড ঘটে। আমার শুধু একটা প্রশ্নই জাগে মনে যে, আমার বাবা-মা-ভাইয়েরা কী অপরাধটা করেছিল? কেন এভাবে হত্যা করা হলো? এই শূন্য হাতে একটা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ এবং একটা প্রদেশ, তাকে রাষ্ট্রে উন্নীত করা এবং এই বিধ্বস্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা.. হাতে সময় পেলেন মাত্র সাড়ে তিন বছর। কোনো সম্পদ ছিল না।সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগকে সুসংহত করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সংগঠনের মাধ্যমেই তো আমরা কাজ করি। আমাদের যে কোনো দুর্যোগ-দুর্বিপাক যাই আসুক আওয়ামী লীগের বা আমাদের সহযোগী সংগঠন সবসময় তারা কিন্তু সজাগ থাকে এবং মানুষের পাশে সবার আগে দাঁড়ায়। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। সেই সংগঠনকে সুসংহত করা— এটাই হচ্ছে আমাদের লক্ষ্য।তিনি বলেন, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ যখন সরকারে ছিল, আমাদের যখন মেয়াদকাল শেষ হয়ে যায় তখন আমরা কিন্তু ক্ষমতা হস্তান্তর করে চলে আসি। বাংলাদেশের ইতিহাসে এ পর্যন্ত আর কখনোই ক্ষমতার পরিবর্তন এভাবে শান্তিপূর্ণভাবে হয়নি। প্রতিবারই কিন্তু একেকটা ঘটনার মধ্য দিয়ে ঘটেছে। এটা কিন্তু সবার একটু মাথায় রাখতে হবে। এর কারণ আওয়ামী লীগ সবসময় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, নীতিতে বিশ্বাস করে। জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস করে। সেজন্য ওই একবারই... তারপরের ঘটনা তো সবাই জানে।আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচন। সেই সময়ে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার, মানুষ খুন করা, সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার- সেখানে হিন্দু-খ্রিস্টান কেউ বাদ যায়নি। ২০০১ সালের নির্বাচনের যে চিত্র সেটি সবার মনে আছে। তারপর বিএনপি-জামায়াত এসে বাংলাদেশকে পাঁচ পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, বোমা হামলা। ১৫ আগস্টের খুনিদের জিয়াউর রহমান যে শুধু ইনডেমিনিটি দিয়ে মাফ করে দিয়ে পুরস্কৃত করেছে তা তো নয়। এরশাদ এসে খুনি ফারুককে প্রেসিডেন্ট ক্যান্ডিডেট করল। খালেদা জিয়া এসে আরও একধাপ ওপরে। রশিদ-ফারুক-হুদা তিনজনকে নমিনেশন। ফারুককে জেতাতে চেষ্টা করেছিল, কিন্তু সেটা পারেনি। হুদা আর রশিদকে জিতিয়ে পার্লামেন্টে বসাল।তিনি বলেন, খুনি রশিদকে পার্লামেন্টের লিডার অব অপজিশনে বসাল। তার মানে এই দেশে খুনিদের সৌহার্দটা কত এটা জনগণের জানা উচিত। সেই খুনিদের তারা পুরস্কৃত করার মানে কী? ১৫ আগস্ট হত্যার সঙ্গে এদের যে সম্পৃক্ততা, জিয়াউর রহমানের সম্পৃক্ততা, ইনডেমিনিটি দিয়ে তাদের বিচার হবে না। আমরা যারা পনেরোই আগস্ট আপনজন হারিয়েছি আমাদের তো বিচার চাওয়ার অধিকার ছিল না। মামলা করার অধিকার ছিল না, তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। অর্থাৎ বিচারহীনতার একটা সংস্কৃতি এ দেশে চালু করে দিয়েছিল। যেখানে তুমি কোনো দিন ন্যায় বিচার চাইতেই পারবে না। খুব ইয়ে লাগে যখন কেউ মারা গেলে আমার কাছে বিচার চায়। আমার তো বিচার পেতে ৩৫ বছর সময় লেগেছে। আমার বাপ, মা, ভাই সব হারানোর পরেও বিচার চাইতে পারিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ আগস্ট ২০২২