আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় পরিদর্শন করবে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল।আগামীকাল শুক্রবার বিকেলে পর্যবেক্ষক দল কার্যালয় পরিদর্শনে যাবেন বলে জানা গেছে।বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক অ্যাড. সায়েম খান।তিনি বলেন, মার্কিন নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল আগামীকাল নেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয় পরিদর্শনে আসবেন।সরেজমিন দেখা যায়, মার্কিন নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের আগমন উপলক্ষ্যে ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে।বিজ্ঞাপন
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ অক্টোবর ২০২৩
দলের নেতাদের মাথায় ইউরেনিয়াম ঢেলে দিতে চাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের জ্ঞান ও শিক্ষা দীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘ওবায়দুল কাদেরের এমন কথা শুনে অতি দুঃখেও হাসি পায়।’ আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে গণ অধিকার পরিষদ (রেজা কিবরিয়া) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে তাঁকে চিনি। আওয়ামী লীগের মধ্যে পড়াশোনা জানা মানুষ যে কয়জন, তিনি তাঁদের একজন। আমরা তাই জানতাম। কিন্তু তাঁর যে করুণ অবস্থা হয়েছে, তা জানতাম না। তিনি ইউরেনিয়াম কি জিনিস, তাই জানেন না।’ এর আগে গতকাল সোমবার রাজধানীর গাবতলীতে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দুই চালান ইউরেনিয়াম এসেছে। বেশি লাফালাফি করলে কিছু ফখরুলের মাথায়, কিছু মঈন খানের মাথায়, কিছু আব্বাসের মাথায়, কিছু রিজভীর মাথায় ঢেলে দেব। এখন ডান্ডা মেরে নয়, ইউরেনিয়াম ঢেলে ঠান্ডা করে দেব।’ বেশি লাফালাফি করলে ফখরুলের মাথায় ইউরেনিয়াম ঢেলে দেব: কাদেরবেশি লাফালাফি করলে ফখরুলের মাথায় ইউরেনিয়াম ঢেলে দেব: কাদেরকাদেরের এই বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে ফখরুল বলেন, ‘এর আগে তিনি উল্টাপাল্টা কথা বলেছেন—তলে তলে। এটাতে বোধ হয় তাঁর মুনিব ক্ষুব্ধ হয়েছেন। যে কারণে বেশি কথা বলতে হচ্ছে। দলগুলোতে, সরকারগুলোতে তোষামোদি যখন এমন পর্যায়ে চলে যায়, তখন হাস্যরসে পরিণত হয়। এটাতো বিনোদনের ব্যাপার হয়ে গেছে। এ সমস্ত কথা শুনে অতি দুঃখেও হাসি পায়।’ এদিন জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদেরের ওই বক্তব্যকে ‘পাগলের প্রলাপ’ বলে আখ্যা দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘আমি কাদের সাহেবকে প্রশ্ন করতে চাই—ইউরেনিয়াম কত প্রকার ও কী কী আপনি জানেন? এই সম্পর্কে আপনার কোনো জ্ঞান আছে? অজ্ঞান ব্যক্তির অজ্ঞান কথা, একজন অজ্ঞান ব্যক্তির অজ্ঞান কথা, একজন উন্মাদ ব্যক্তির পাগলের প্রলাপ।’ আব্বাস বলেন, ‘এখন যদি আমি বলি যে, ইউরেনিয়াম এটার যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, এই প্রতিক্রিয়ায় একজন মানুষ মারা যেতে পারে। তাহলে কি আপনি হুমকির আসামি হলেন না? মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাসকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন আপনি। পরিষ্কার ভাষায় বলে দিতে চাই, আমাদের এই কয়েকজন স্থায়ী কমিটির সদস্যকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১০ অক্টোবর ২০২৩
রাজপথের বিরোধী দল বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করেছে ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনি পর্যবেক্ষক দল। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, সোমবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলটির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।মার্কিন পর্যবেক্ষক দলকে বিএনপির পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও আন্তর্জাতিক মানের বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন শেখ হাসিনার অধীনে সম্ভব নয়। তাই নির্দলীয় সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। অন্যথায় নির্বাচনে যাবে না বিএনপি।বৈঠক শেষে সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক উইংয়ের প্রধান আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। 'আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে বলে আসছি, শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। বিগত দুই-তিনটি নির্বাচনে তারা বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। আজকে যাদের বয়স ৩০-৩২ বছর হয়েছে তারা বিগত নির্বাচনগুলোতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। তারা তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারেনি। অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি, বরং অবনতি হয়েছে,' বলেন আমির খসরু।প্রশাসন ও বিচারবিভাগ দলীয় করণ করা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, এখন নিপীড়ন-নির্যাতনসহ ভোট চুরির প্রকল্প অধিকতর শক্তিশালী হয়েছে। তারা ভোট চুরির প্রকল্পকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। একেবারে বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, লুটেরা ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদসহ তারা একটা প্রজেক্টের মাধ্যমে আবারও তারা বাংলাদেশের মানুষের ভোট চুরি করার অভিপ্রায়ে কাজ করে যাচ্ছে।'এখান থেকে মুক্ত হতে হলে আমাদের যে একদফা দাবি; সরকার বলা ভুল হবে—এই রেজিমের পদত্যাগ করতে হবে। একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি নির্বাচন হতে হবে। সংসদ বাতিল করতে হবে। নির্বাচন কমিশন বাতিল করে সবার মতমতের ভিত্তিতে আরেকটি নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে,' বলেন তিনি।যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষকরা কী বলেছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, 'তারা গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ, আন্তর্জাতিক মানের, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের কথা বলছে। এটার সঙ্গে কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অথবা নিরপেক্ষ সরকারের কোনো ব্যবধান নেই। শেখ হাসিনার অধীনের নির্বাচন হলে যেটা তারা বলছে, এটা হবে না। এগুলো হবে না বলেই তারা কথাগুলো বলছে। তারা তো তত্ত্বাবধায়ক সরকার-নিরপেক্ষ সরকারের কথা বলতে পারে না! এই দাবি উঠতে হবে বাংলাদেশের মানুষের কাছ থেকে। তারা যে কথাগুলো বলছে; এই দাবির সঙ্গে কোনো তফাৎ নেই। বিএনপির সাত সদস্যের প্রতিনিধিদলে ছিলেন— স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আন্তর্জাতিকবিষয়ক উইংয়ের প্রধান ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ।অন্যদিকে মার্কিন পর্যবেক্ষক দলে রয়েছেন রিক ইনডারফার্ত, মারিয়া চিন আব্দুল্লা, মারিও মাইত্রি, জেমি ক্যানডেস সাক্স স্পাইকারম্যান, আকাশ কুল্লুরি, বোনি গ্লিক, জামিল জাফের, জো কাও প্রমুখ।এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্ব পরিস্থিতি যাচাই করতে ঢাকায় পৌঁছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনি পর্যবেক্ষক দলের সাত সদস্য। শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তারা।যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) যৌথভাবে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রাক-নির্বাচন সমীক্ষা মিশন পরিচালনা করবে তারা। সাত সদস্যের প্রতিনিধিদল এবং তাদের সহায়তাকারীরা ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থান করবে।প্রতিনিধিদলের কার্যক্রম সম্পর্কে মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার জানান, দলটি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন, সরকারি সংস্থা, রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ, নারী সমাজ, সুশীল সমাজ, বিভিন্ন সংস্থা এবং বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এবং ঢাকার বিদেশি মিশনের কূটনীতিকদের সঙ্গে কথা বলবে।সফর শেষে প্রতিনিধিদলটি বিবৃতি দেবে উল্লেখ করে ব্রায়ান শিলার জানান, ইতিবাচক প্রবণতা এবং উদ্বেগের বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি তারা কিছু সুপারিশ তুলে ধরবেন। সর্বোপরি বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের দিন সীমিত আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশন পাঠাবে কিনা, তা নির্ধারণ করা হবে এ প্রতিনিধিদলের সুপারিশের মাধ্যমে।এর আগে ২১ সেপ্টেম্বর মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ৭ থেকে ১৩ অক্টোবর বাংলাদেশ সফর করবে যুক্তরাষ্ট্রের ৬ সদস্যের প্রাক-নির্বাচনি পর্যবেক্ষক দল। তবে আরও একজন বাড়িয়ে ৭ সদস্যের প্রতিনিধিদল ঢাকায় আসে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৯ অক্টোবর ২০২৩
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে ঢাকা সফররত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক নির্বাচনী প্রতিনিধি দল। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে সাড়ে ১২টার দিকে এই বৈঠক শুরু হয়।আওয়ামী লীগের ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে আওয়ামী লীগের পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। প্রতিনিধিদলে রয়েছেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান,আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সেলিম মাহমুদ ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত।বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র সরকার নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠাবে কি না, তা যাচাই করতে একটি প্রতিনিধিদল এসেছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) যৌথভাবে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রাক্-নির্বাচন সমীক্ষা মিশন (পিইএএম) পরিচালনা করছে।ঢাকায় আমেরিকান সেন্টারে গত ২১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের প্রেস অ্যাটাশে ও মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার সাংবাদিকদের জানান, প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী প্রতিনিধিদলটি বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন, বিভিন্ন সরকারি সংস্থা, রাজনৈতিক দল, নাগরিক পর্যবেক্ষক, নাগরিক সংগঠন এবং নারী ও তরুণদের সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলবে। বাংলাদেশের স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশে কাজ করা বিদেশি দূতাবাস ও হাইকমিশনগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গেও প্রতিনিধিদলের সদস্যরা কথা বলবেন।সফর শেষ হলে প্রতিনিধিদলটি একটি বিবৃতি (পাবলিক স্টেটমেন্ট) দেবে। নির্বাচন আয়োজন বিষয়ে তাদের যদি কোনো উদ্বেগ থাকে তা জানাবে এবং বাস্তবসম্মত সুপারিশ থাকলে তা-ও উল্লেখ করবে।প্রতিনিধিদলটি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে গিয়ে ওয়াশিংটন ডিসিতে এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক অংশীদার ও নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে তাদের অভিজ্ঞতা এবং বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নিয়ে আলোচনা করবে। প্রতিনিধিদলটির প্রাথমিক লক্ষ্য হবে, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং পরিপ্রেক্ষিত নিয়ে স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ তথ্য তুলে ধরা। এর পাশাপাশি তারা নির্বাচনের দিন সীমিতসংখ্যক আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশন পাঠানো হবে কি না, সে বিষয়ে মতামত দেবে। এদিকে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশসহ নির্বাচন-পূর্ব রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনায় গত জুলাইয়ে বাংলাদেশ সফর করে যায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রাক্-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৯ অক্টোবর ২০২৩
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়।দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির পক্ষ থেকে বৈঠকে অংশ নেন স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মোহাম্মদ ইসমাইল জবিউল্লাহ, বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ও বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ।বাংলাদেশ সফরে আসা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে পরিচালিত ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের (এনডিআই) প্রতিনিধি দল আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের জন্য এনডিআই-এর নীতিমালার ঘোষণা অনুযায়ী, একটি যৌথ প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন মিশন (পিইএএম) পরিচালনা করবে।আগামী ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ সফরে তারা নির্বাচন কমিশন, সরকারি সংস্থা, রাজনৈতিক দল, নাগরিক পর্যবেক্ষক, নারী ও যুব সংগঠন, সুশীল সমাজ, বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সংস্থা এবং বিদেশি কূটনৈতিক মিশনগুলোর সঙ্গে বৈঠক করবে।সফর শেষে ইতিবাচক বিষয়গুলোর পাশাপাশি উদ্বেগের ক্ষেত্রগুলো ও বাস্তসম্মত সুপারিশগুলো তুলে ধরে বিবৃতি দেবেন তারা।প্রতিনিধি দলটির প্রাথমিক কাজ নির্বাচনের প্রস্তুতি ও নির্বাচনী প্রেক্ষাপট সম্পর্কে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তথ্য সরবরাহ করা হলেও নির্বাচনের দিন সীমিত আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশন পাঠানো হবে কি না তাও নির্ধারণ করবে।আরও
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৯ অক্টোবর ২০২৩
আমি কোনো অপরাধ করিনি, শঙ্কিত কেন হবো, এটা লিগ্যাল বিষয় বলে উল্লেখ করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।তিনি বলেন, আমাকে ডেকেছে তাই এসেছি। অভিযোগের বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। এটা আইনি বিষয়, আমার আইনজীবী বলবেন।বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকালে দুদকের ডাকে কার্যালয়ে হাজির হন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবীরা। সকাল ১০টা ৩৭ মিনিট থেকে ১০টা ৫৮ মিনিট পর্যন্ত তাকে সংস্থাটির পরিচালক বেনজির আহমেদের নেতৃত্ব একটি টিম জিজ্ঞাসাবাদ করেন।জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বের হলে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রশ্ন করা হলেও তিনি আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেননি। পরে আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের সঙ্গে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী আব্দুল আল মামুন শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলা মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক অভিযোগের ভিত্তিতে করা বলে দাবি করেন।শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের অর্থ আত্মসাতের মামলায় বুধবার (৪ অক্টোবর) গ্রামীণ টেলিকমের তিন পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। গত ২৭ সেপ্টেম্বর গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জন আসামিকে তলব করে দুদক।গত ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সংস্থার উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী।এছাড়া অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ অক্টোবর ২০২৩
চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনি আর কোনো সুযোগ নেই বলে মনে করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘আইনি বিষয়টি এখন অতীত ও পুরোপুরি বন্ধ। এখন একমাত্র পথ হচ্ছে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়া। তিনি যদি দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চান, সেটা তাঁর (খালেদা জিয়া) বিষয়; আমার নয়।’আজ বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী। এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ও আইনসচিব গোলাম সারোয়ার উপস্থিত ছিলেন।সংবাদ সম্মেলনটি করা হয় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে। গতকাল মঙ্গলবার মির্জা ফখরুল বলেছিলেন, আইনমন্ত্রী একসময় বলেছিলেন দণ্ড স্থগিত করে খালেদা জিয়াকে বাসায় থাকতে দেওয়ার ক্ষমতা সরকারের নেই। অথচ তার কিছুদিন পর খালেদা জিয়া বাসায় এসেছিলেন।আইনমন্ত্রী আজ বলেন, ‘তাঁর (মির্জা ফখরুল) এই বক্তব্য মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। কোথাও এমন কথা আমি বলিনি।’ তিনি বিএনপির মহাসচিবকে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ তথ্য বলার আহ্বান জানান।আইনমন্ত্রী এরপর লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।এ সময় এক সাংবাদিক জানতে চান, চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার আইনি কোনো সুযোগ আছে কি না? জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তাঁর ক্ষমতা প্রয়োগ করে ফেলেছেন। পুনরায় এ ক্ষমতা প্রয়োগের আর কোনো সুযোগ নেই। রাষ্ট্রপতির কাছে তারা ক্ষমা চাইতে যাবে কি না সে পরামর্শ আমি দিতে চাই না। তবে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা ছাড়া আর কোনো সুযোগ নেই।’রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমতা চাইতে হলে খালেদা জিয়াকে দোষ স্বীকার করে আবেদন করতে হবে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়া সাংবিধানিক অধিকার। খালেদা জিয়া চাইলে ক্ষমা চেয়ে সাজা মওকুফ করার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করতে পারেন।অন্য এক সাংবাদিক জানতে চান, আ স ম আবদুর রব ও হাজি সেলিম দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার পরও তাঁদের দুজনকে বিদেশ যাওয়ার সুযোগ দিয়েছে সরকার।এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আবদুর রবকে মুক্তি দেওয়া হয় সামরিক শাসন চলাকালে। তাঁকে ফৌজদারি কার্যবিধির ক্ষমতাবলে মুক্তি দেওয়া হয়নি। আর হাজি সেলিমের দণ্ডাদেশ বহাল থাকার পর তিনি আপিল করেন। আপিল করার পর হাইকোর্ট বিভাগ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে। তিনি ওই সময়ের আগেই দেশে চলে আসেন।আইনমন্ত্রী আরও বলেন, খালেদা জিয়ার ব্যাপারে আইনে কোথাও বলা নেই বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার। তাঁকে শর্তযুক্ত মুক্তি দেওয়া হয়। তাতে বলা আছে, বিদেশে যেতে পারবেন না। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার বিষয়টি রাজনৈতিক নয়; এটি আইনি বিষয়।আইনমন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কোনো শর্ত দেওয়া হয়নি। তাঁর বিদেশে যাওয়ার সময় কোনো শর্ত ছিল না। তাঁকে অনুমতি নিতে হয়নি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ অক্টোবর ২০২৩
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের কৌশলগত যোগাযোগবিষয়ক সমন্বয়ক জন কিরবি জানিয়েছেন, নয়াদিল্লিতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কোন্নয়নের গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) হোয়াইট হাউসে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান জন কিরবি।গত মাসে নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে বাইডেন, শেখ হাসিনা ও তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ সেলফি তোলেন। তখন তাদের মধ্যে কিছু কথাবার্তা হয়েছিল বলেও সে সময় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল। প্রায় তিন সপ্তাহ পর হোয়াইট হাউসও এ বিষয়ে মুখ খুলল।হোয়াইট হাউসে মঙ্গলবার রাতে ব্রিফিংয়ে একজন সাংবাদিক দিল্লিতে জো বাইডেন ও শেখ হাসিনার আলোচনার প্রসঙ্গ টানেন। তিনি জানতে চান, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সম্পর্ক এখন কেমন দেখছেন?জবাবে কিরবি বলেন, ‘তারা (বাইডেন ও শেখ হাসিনা) অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেছেন। তারা জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির গুরুত্ব নিয়েও কথা বলেছেন।’নয়াদিল্লির পর গত মাসে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন উপলক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আয়োজিত নৈশভোজেও সাক্ষাৎ হয়েছিল শেখ হাসিনা-বাইডেনের।এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, বাংলাদেশিরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় এবং আমাদের সেটাই চাওয়া। আমাদের ভিসা নীতি প্রয়োগ করা হয়েছে মূলত বাংলাদেশি জনগণের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের নেতা নির্বাচনের যে আকাঙ্ক্ষা, সেটি সমর্থন করতে। ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র তা-ই চায়, যা বাংলাদেশিরা চায়- শান্তিপূর্ণ উপায়ে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ এবং বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলো আসন্ন জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ উপায়ে অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়ার বিষয়ে তাদের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে, এটিই আমাদের চাওয়া।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ অক্টোবর ২০২৩
নেতাকর্মীদের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। বলেছেন, সকলকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করতে হবে। যে কোন কিছুর বিনিময় হলেও সংবিধান অনুযায়ী আগামী সংসদ নির্বাচনকে যারা বাধাগ্রস্ত করতে চাইবে, তাদেরকে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে। নানক আরও বলেন, আওয়ামী লীগের পক্ষে যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে এর মাধ্যমে বোঝা যায়- বাংলার মানুষ উন্নয়ন-অগ্রগতি চায়। বাংলার মানুষ শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়।বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,‘ চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী’। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সারা দেশে রক্তপাত ঘটিয়েছে। ওরা ক্ষমতায় থাকাকালীন মায়ের সামনে বোনকে ধর্ষণ করেছে। আওয়ামী লীগ নেতাদের হাত-পা কেটে চোখ উপরে ফেলে দিয়েছে। ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়েছে। সেই বিএনপি-জামায়াত আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের উন্নয়ন মেনে নিতে পারছে না। দেশের শান্তি সমৃদ্ধিকে মেনে নিতে পারে না।বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুলের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল বড় বড় কথা বলেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পেছনের মূল কারিগর আপনার দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। সেই খুনি জিয়াউর রহমানই মেজর ডালিম, রশিদ, শাহরিয়াসহ বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় দিয়ে বিদেশী দূতাবাসে গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকরি দিয়েছে।তারই বধু বেগম খালেদা জিয়া ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে ওই খুনিদেরকে দিয়ে নির্বাচন করে মহান সংসদকে অবমাননা করেছে। খালেদা জিয়ার কুলাঙ্গার সন্তান তারেক রহমান একুশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছে। তারপরেও খালেদা জিয়ার ছেলে কোকো মারা যাওয়ার পরে মহান নেত্রী ছুটে গিয়েছিলেন খালেদাকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য। কিন্তু তারা গেট আটকে দিয়েছেন। এ হচ্ছে বিএনপির চিরচেনা রূপ- বলেও যোগ করেন নানক।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৩ অক্টোবর ২০২৩
জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় গুলশানের বিএনপির চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।বিএনপির চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বিকাল ৩টায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।জানা গেছে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত অবস্থা নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে। এছাড়া সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারেন বিএনপির মহাসচিব।এদিকে সোমবার (২ অক্টোবর) নয়াপল্টনে অনুষ্ঠিত কৃষক সমাবেশে ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়াকে এই অনির্বাচিত ও অবৈধ সরকার হত্যা করতে চায়।খালেদা জিয়াকে কোনো সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, মিথ্যা প্রতারণা করে জনগণকে ভুল বুঝিয়ে, আইনের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে তাকে বিনা চিকিৎসায় সরকার হত্যা করতে চায়। তারা যে কথাগুলো বলছেন, সেটার উদ্দেশ্য একটাই তারা আসলে কাপুরুষ-ভীতু। তারা জানে খালেদা জিয়া যদি সুস্থ হয়ে যান, আবার জনগণের মধ্যে ফিরে আসেন, তার ডাকে কোটি মানুষ রাস্তায় নেমে আসবে। তখন তাদের ধ্বংস হয়ে যাবে
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৩ অক্টোবর ২০২৩
অর্থপাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোবেলজয়ী ড. ইউনূসসহ ১৩ জনকে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) তলব করা হয়েছে। আগামী ৪ ও ৫ অক্টোবর তাদের জিজ্ঞাবাসাবাদ করবে দুদক।মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।এর আগে ২০২২ সালের ২৩ জুলাই নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে দুদকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দেয় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর।অভিযোগে বলা হয়, ১৯৯৬ সাল থেকে গ্রামীণ টেলিকমের বেশিরভাগ লেনদেনই সন্দেহজনক। শুধু তাই নয়, আইএলওতে দেওয়া শ্রমিকদের অর্থপাচারের অভিযোগেরও তদন্ত চায় সংস্থাটি।ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিতের অভিযোগ এনে গ্রামীণ টেলিকম ও এর প্রতিষ্ঠাতা নোবেল জয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ১১০টি মামলা করেন তারই অধীনস্ত শ্রমিকরা।সম্প্রতি ১৭৬ জন শ্রমিকের পাওনা ৪৭৬ কোটি টাকা পরিশোধ করে আবারও আলোচনায় আসেন ড. ইউনূস। শ্রমিকদের পক্ষ থেকে করা হয় মামলা প্রত্যাহারের আবেদন। এরপরই প্রশ্ন ওঠে, মামলার রফা-দফার প্রক্রিয়া নিয়ে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৩ অক্টোবর ২০২৩
অনুমতি ছাড়া রাজধানীতে কোনো সংগঠন কোনো কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে নির্ভয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) নবনিযুক্ত কমিশনার হাবিবুর রহমান।কর্মসূচি পালনের ক্ষেত্রে কোনো দল বা সংগঠন অনুমতি না নিলে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হাবিবুর রহমান এ হুঁশিয়ারি দেন।আজ সোমবার ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস সেন্টারে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ডিএমপির নবনিযুক্ত কমিশনার হাবিবুর রহমান।এর আগে গত শনিবার ডিএমপি কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেন ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত আইজিপি) হাবিবুর রহমান। রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি সদর দপ্তরে বিদায়ী কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের কাছ থেকে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তিনি।মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনারের কাছে জানতে চাওয়া হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি পুলিশের ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে কি না। জবাবে হাবিবুর রহমান বলেন, ভিসা নীতি কোনো একটি দেশের নিজস্ব বিষয়, এটা নিয়ে পুলিশের কারও উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।আসন্ন নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি মোকাবিলা অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, ঢাকায় নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হতে পারে, তেমন সব ধরনের সক্ষমতা ডিএমপির রয়েছে।হাবিবুর রহমান বলেন, ডিএমপির মধ্যে থানাগুলোর সেবার মান বাড়ানোর জন্য ‘মেসেজ টু কমিশনার’ চালু করা হবে। তিনি বলেন, থানায় গিয়ে সেবা না পেলে ভুক্তভোগীদের যে কেউ কমিশনার বরাবর মেসেজ দিতে পারবেন। এ ছাড়া ডিবিতে (ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ) গিয়েও সেবা না পেলে যে কেউ মেসেজের মাধ্যমে সরাসরি তাঁকে জানাতে পারবেন।ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ নগরী। ট্র্যাডিশনাল ক্রাইম (প্রথাগত অপরাধ) থেকে ডিএমপির ক্রাইমের ধরন আলাদা। এর বড় কারণ প্রযুক্তি। সাইবার ক্রাইম মোকাবিলায় ডিএমপি উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করে যাচ্ছে। ডিএমপির দক্ষতা ও যোগ্যতা অনেক বেশি।যানজট এ শহরের অন্যতম বড় সমস্যা উল্লেখ করে হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমি সবার আগে ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করেছি। সমস্যাগুলো শুনেছি। যানজট নিরসনে কাজ শুরু করেছি।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ অক্টোবর ২০২৩
খালেদা জিয়াকে বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হলে আগে কারাগারে যেতে হবে, তারপর আদালতে আবেদন করতে হবে- আইন মন্ত্রণালয়ের এ মতামত খালেদা জিয়ার সঙ্গে ভয়ঙ্কর তামাশা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।রোববার (১ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত জানানোর পর খুলনা থেকে এক ভিডিওবার্তায় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন।ব্যারিস্টার কায়সার বলেন, আজকের এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হয়েছে দেশে আইনের শাসন নেই। এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে ভয়ঙ্কর তামাশা করা হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় স্পষ্টভাবে বলা আছে, সরকার চাইলেই নির্বাহী আদেশে তাকে মুক্তি দিতে পারে।তিনি বলেন, আজ অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিকভাবে প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।তিনি বলেন, আইনমন্ত্রী পাবলিকলি বলেছিলেন, আবেদন করা হলে সুবিবেচনা করা হবে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আবেদন করেছিলেন শামীম এস্কান্দার। কিন্তু সে আবেদন আইনগতভাবে বিবেচনা না করে রাজনৈতিকভাবে বিবেচনা করা হয়েছে।এর আগে রোববার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের আইনমন্ত্রী জানান, চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে ৪০১ ধারার ক্ষমতাবলে যে আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়েছে, সেটি খোলার আর কোনো সুযোগ নেই।তিনি বলেন, আইনের ৪০১ ধারায় কোনো দরখাস্ত যদি একবার নিষ্পত্তি করা হয়, সে নিষ্পত্তি করা দরখাস্ত পুনর্বিবেচনা করার কোনো অবকাশ আর আইনে থাকে না। ঠিক সেই ফৌজদারি কার্যবিধি ৪০১ ধারার উপধারা ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬ ব্যাখ্যা করে আমরা আমাদের মতামত পাঠিয়ে দিয়েছি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। সেখানে আমরা মতামত দিয়েছি, ৪০১ ধারার ক্ষমতাবলে যে দরখাস্ত নিষ্পত্তি করা হয়েছে, সেটি পাস্ট অ্যান্ড ক্লোজড ট্রান্জেকশন। এটি খোলার আর কোনো উপায় নেই।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ অক্টোবর ২০২৩
সংবিধান অনুযায়ী সরকার দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জাপানের রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।আজ রোববার সকালে সচিবালয়ে তার নিজ দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়োমা কিমিনোরির সঙ্গে সৌজন্যে সাক্ষাতে তিনি এ কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের জানান, জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির প্রথম বৈঠক এরইমধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে।তিনি জানান, সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে জাপানের সহায়তায় চলমান প্রকল্পের অগ্রগতিসহ দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরো কিভাবে জোরদার করা যায় সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ অক্টোবর ২০২৩
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার অনুমতির বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় ‘না’ বলে দিয়েছে।আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আজ রোববার প্রথম আলোকে বলেছেন, আইনগতভাবে অনুমতি দেওয়ার কোনো সুযোগ সরকারের হাতে নেই। সেই মতামতই আইন মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া হয়েছে।আজ রোববার আইনমন্ত্রী তাঁর দপ্তরের সামনে সাংবাদিকদের আরও বলেন, খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি ও চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে তাঁর ভাই যে আবেদনটি করেছিলেন সে বিষয়ে আইনি মতামত দিয়ে তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।আইনমন্ত্রী আরও বলেছেন, ফৌজদারি কার্যবিধি ৪০১ এর ১ উপধারার ক্ষমতাবলে যে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়ে গেছে সেটা অতীত এবং শেষ হয়ে গেছে (ক্লোজড)। অর্থাৎ এই আবেদনের প্রেক্ষাপটে নতুন করে কোনো সিদ্ধান্তের সুযোগ থাকল না।সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ৫২ দিন ধরে ঢাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসার জন্য তাঁকে দেশের বাইরে নিতে চায় পরিবার।দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দী হন। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে তাঁকে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেয়। এরপর ছয় মাস পরপর তাঁর সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ অক্টোবর ২০২৩
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি নাশকতার পরিকল্পনা করছে। ২০১৪ সালের মতো আবারও দেশে বোমাবাজি, আগুন সন্ত্রাস করলে তাদের হাত ভেঙে দেওয়া হবে।’ শনিবার গাজীপুরের কালীগঞ্জে শহীদ ময়েজউদ্দিন আহমেদ এর ৩৯তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের সমালোচনা করে নানক বলেন, ‘আপনাদের নেত্রী খালেদা জিয়া দণ্ডিত আসামি। তারেক রহমান লন্ডনে বসে ষড়যন্ত্র করছে। সেই দন্ডিত আসামি কোনোদিন এই বাংলাদেশে নেতৃত্ব দিতে পারবে না। বিদেশে বসে বাংলাদেশকে ধ্বংসের জন্য উপদেশ এবং নির্দেশ দিতে পারে, ষড়যন্ত্র করতে পারে। কিন্তু জনগণ আপনাদের সঙ্গে ছিল না, ভবিষ্যতেও থাকবে না।'তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে দিনতারিখ দিয়ে লাভ নেই। সংবিধান সম্মতভাবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। আমরা এই দেশকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে নিয়ে যাবো।আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এ সদস্য বলেন, ‘বিএনপি নেতারা বলে পদত্যাগ করতে হবে। কিসের পদত্যাগ? কার জন্য পদত্যাগ? কি হইছে দেশের যে পদত্যাগ করতে হবে? শুক্র, কত ঈদ, কত পুজা, কত দিনক্ষণ দিলেন, সর্বশেষ বললেন ১০ ডিসেম্বরের পর খালেদা জিয়া এবং তারেক জিয়ার কথামতো দেশ চলবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই দেশ চলেছে।’ এসময় তিনি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে হওয়া দেশের নানামুখী উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন সরকারের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য সিমিন হোসেন রিমি এমপি, মেহের আফরোজ চুমকি এমপি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ অক্টোবর ২০২৩
প্রয়াত দুই সংসদ সদস্যের মরদেহে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, মাঝে মধ্যে বড় কষ্ট লাগে, আমার দেশের রাজনীতি থেকে কেন যেন মনে হয়, ভালো মানুষের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। শনিবার সকালে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের ন্যাম ভবন প্রাঙ্গণে দুই এমপির মরদেহে শ্রদ্ধা শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, শাহজাহান কামালের মতো একজন ভালো মানুষ রাজনীতিতে বিরল। তাকে হারানো মানে, আমরা একজন ভালো মানুষকে হারালাম। রাজনীতিবিদ হিসেবে তার আদর্শ ও গুণাবলি আমরা মনে রাখব এবং অনুসরণ করব। আবদুস সাত্তারও ভালো মানুষ ছিলেন। এ দুই নেতার মৃত্যুতে আমরা দুজন ভালো মানুষ হারালাম।তিনি আরও বলেন, ব্যক্তিগতভাবে শাহজাহান কামাল আমার খুবই ক্লোজলি রিলেটেড ছিল। তিনি ছাত্রনেতা থেকে পরে মন্ত্রী। একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। একজন সাচ্চা আদর্শবান মানুষ ছিলেন। আবদুল সাত্তারও একজন ভালো মানুষ হিসেবে তার এলাকায় যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিলেন। তিনি জনগণের ভোটে বারবার নির্বাচিত হয়েছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, আগামী সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। এতে বিএনপি বা কেউ অংশগ্রহণ না করলে নির্বাচন থেমে থাকবে না। আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে বেশির ভাগ দলই প্রস্তুত রয়েছে।আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার নবাবগঞ্জে আগামী সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে কেন্দ্রভিত্তিক নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় ও কর্মশালা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নবাবগঞ্জ পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভায় সালমান এফ রহমান জানান, বিদেশিরা বর্তমান সরকারকে ভবিষ্যতে আর ক্ষমতায় দেখতে চান না—বিএনপি নেতারা এ ধরনের গুজব ছড়াচ্ছেন। তিনি বলেন, বিদেশিদের একটাই চাওয়া, তা হচ্ছে, বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে হোক। তাঁদের (বিদেশিদের) চাওয়া ও আওয়ামী লীগ সরকারের চাওয়া একই। বর্তমান সরকারও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর।তারা নির্বাচন হতে দেবে না। আর যুক্তরাষ্ট্র বলেছে যারা নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করবে, তাদের ওপর বিধিনিষেধ দেবে।এ সময় স্থানীয় আওয়ামী নেতা-কর্মীদের সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানোর পরামর্শ দেন সালমান এফ রহমান। তিনি বলেন, এমনকি যাঁরা আওয়ামী লীগকে ভোট দেবেন না, তাঁদের কাছেও যেতে হবে। দেশের উন্নয়নের নানা চিত্র সবার কাছে তুলে ধরে নৌকার জন্য ভোট চাইতে হবে।সভায় বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নকাজের বর্ণনা তুলে ধরে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘গত প্রায় ১৫ বছরে দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে সরকার বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে। দেশ আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে। তাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদেরও এগিয়ে যেতে হবে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বাংলাদেশের গণতন্ত্র রক্ষা করতে হলে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে যাবে। ‘যেমন কুকুর তেমন মুগুর’, ওইরকম ইশতেহার করুন বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের দলের নির্বাচনি ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির প্রথম সভায় তিনি এসব কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন জুঁই ফুলের গান গেয়ে লাভ নেই। আমাদের এখন কঠিন সময়। তাই ‘যেমন কুকুর তেমন মুগুর’, ওইরকম ইশতেহার করুন।কে কাকে নিষেধাজ্ঞা দিল সেটা নিয়ে ভাবে না আওয়ামী লীগ। পর্যবেক্ষক কারা আসবে না আসবে সেটা ভাবার বিষয় নয় বলেও মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ এই নেতা।আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বাক ড. আবদুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ও ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির সদস্য সচিব ড. সেলিম মাহমুদ, ড. বজলুল হক খন্দকার, অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ড. শামসুল আলম, ডা. দীপু মনি, অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম, শেখর দত্ত, ড. মাকসুদ কামাল, ড. মাহফুজুর রহমান, অধ্যাপক খায়রুল হোসেন, সাজ্জাদুল হাসান, তারানা হালিম, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, জুনায়েদ আহমেদ পলক, ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে আদালতের আলাদা অনুমতির কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ তার মুক্তি দেওয়া হয়েছে নির্বাহী আদেশ অনুযায়ী। কাজেই বাকি সব পদক্ষেপও এই আদেশের আওতাতেই হওয়া সম্ভব বলে জানিয়েছেন সিনিয়র আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক।সম্প্রতি বিবিসি বাংলাকে খ্যাতিমান এ আইনজীবী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী, সরকার চাইলে শর্ত সাপেক্ষে বা শর্ত ছাড়া যেকোনো বন্দীকে মুক্তি দিতে পারে। খালেদা জিয়াকে প্রথম মুক্তি দেয়া হয়েছে দুটি শর্ত দিয়ে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে তিনি বাড়িতে থাকবেন এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে তাকে দেশেই চিকিৎসা নিতে হবে।শাহদীন মালিকের মতে, আইনমন্ত্রী যা বলছেন যে শর্ত পরিবর্তন করা যাবে না, সেটা আসলে এরইমধ্যে পাঁচবার বদলানো হয়েছে।তিনি বলেন, প্রথমে তো ছয় মাসের মুক্তি দিয়েছে, তারপর সেটা যখন আবার ছয় মাসের জন্য বাড়াচ্ছে সেটার জন্য তো নতুন করে নির্বাহী আদেশ হচ্ছে, তার মানে সিম্পলি সরকার চাইলে ঢাকায় চিকিৎসা করার জায়গায় ঢাকা শব্দটা বাদ দিলেই হলো।এটি আদালতের ব্যাপার নয় উল্লেখ করে আইন বিশেষজ্ঞ ড. মালিক বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আদালত এরই মধ্যে তার রায় দিয়েছেন। আদালতের কাছে কয়েক বার তার জামিনও চাওয়া হয়েছে এবং সেটি নাকচ করা হয়েছে। তার মানে আদালতের ‘চ্যাপ্টার’ সেখানেই শেষ হয়ে গেছে।তিনি আরও বলেন, আদালতে হয়তো যাওয়া যায়, কিন্তু এটা তো আদালতের ব্যাপার না, কারণ আদালত তো তাকে মুক্তি দেয় নাই। তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে নির্বাহী আদেশে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩