দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী মারা গেছেন। আজ সোমবার রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি মারা যান।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. রেজাউর রহমান বলেন, 'তিনি রাত ৮টা ৪০ মিনিটে মারা যান।'১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় অপরাধ সংঘটনের দায়ে আমৃত্যু কারাগারে থাকা ৮৩ বছর বয়সী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে গতকাল বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ আগস্ট ২০২৩
বিএনপি লাখ লাখ ডলার খরচ করে লবিস্ট নিয়োগ করেছে, এতে তারা কিছু বিবৃতি আনতে পেরেছে। এখন তাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে বিদেশিদের পেছনে ঘুরে কোনো লাভ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।সোমবার (১৪ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাংবাদিক ফোরাম।হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির দাবি কেউ সমর্থন করে না। যে কারণে এখন তারা সুর পরিবর্তন করেছে, বলছে ভারত কি বলল, আমেরিকা কি বলল, যুক্তরাজ্য কি বলল তাতে কিছু আসে যায় না।তথ্য মন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতি জঙ্গি আটক হবার পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বললেন- আন্দোলনে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে নেওয়ার জন্য নাকি জঙ্গি নাটক করা হয়েছে। যেমন চেয়ারম্যান তেমন মহাসচিব। যখন জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছিল তখন খালেদা জিয়া বলেছিলেন, কিছু মানুষকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় কিছুদিন আটক রাখা হয় তারপরে যখন তাদের চুল দাড়ি লম্বা হয় তাদের জঙ্গি আখ্যা দেওয়া হয়। একইভাবে এখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলছেন মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে নেওয়ার জন্য জঙ্গি নাটক সাজানো হচ্ছে। এসব ঘটনাতেই প্রমাণিত হয় জঙ্গিদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম ও বিএনপির নেতারা। তিনি বলেন, আমরা জঙ্গি নির্মূল করতে পারিনি, তবে জঙ্গি দমন করেছি। আমরা জঙ্গি নির্মূল করতে পারতাম যদি বিএনপি জঙ্গিগোষ্ঠীকে পৃষ্ঠপোষকতা না করতো। জঙ্গিগোষ্ঠীকে যারা পৃষ্ঠপোষকতা করে তাদেরকে কোনো বিদেশি শক্তি সমর্থন করে না।প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ আগস্ট ২০২৩
নির্বাচনে কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না, প্রধানমন্ত্রীও পদত্যাগ করবেন না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।সোমবার (১৪ আগস্ট) সেতু ভবনের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তিনি।সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, মার্কিন যে কংগ্রেসম্যানের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের বৈঠক হয়েছে সেখানে মার্কিন কেউ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বা শেখ হাসিনার পদত্যাগের কথা বলেনি।এ সময় তিনি বলেন, ‘নো কেয়ারটেকার গভমেন্ট, নো প্রাইম মিনিস্টার রেজিগনেশন’। আওয়ামী লীগ দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ সমাবেশ করলে সেটি হয় মহাসমাবেশ, আর বিএনপি মহাসমাবেশ করলে সেটি হয় সমাবেশ। ফখরুল সাহেব দিবা স্বপ্ন দেখেন। এই দিবা স্বপ্নে কিছু হবে না। এর আগেও তারা ১০ ডিসেম্বর খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী আর ১১ ডিসেম্বর তারেক রহমানের দেশে আসার দিবা স্বপ্ন দেখেছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ আগস্ট ২০২৩
জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের নেতা ও একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে রবিবার (১৩ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করা হয়েছে।কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১-এর জ্যেষ্ঠ জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এদিন দুপুরে সাঈদীর বুকে ব্যথা শুরু হলে তাকে কারা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রফিকুল ইসলাম জানান, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বুকে ব্যথাজনিত সমস্যার কারণে সাঈদীকে হাসপাতালে আনা হয়। তার বুকে ব্যথা, হার্টে সমস্যা, প্রেসার ও ডায়াবেটিসজনিত কিছু সমস্যা ছিল। ইসিজিসহ যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হলে তাকে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে বিএসএমএমইউতে পাঠানো হয়।জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এবং দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে তার অসুস্থতার বিষয় জানিয়ে পোস্ট দিয়েছে।উল্লেখ্য, ২০১৯ সাল থেকে কাশিমপুর কারাগারে আছেন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। এর আগে ২০১০ সালের ২৯ জুন রাজধানীর শাহীনবাগের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এ জামায়াত নেতাকে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুণ্ঠন, ধর্মান্তর করাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের আটটি অভিযোগ তার বিরুদ্ধে প্রমাণিত হলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল দুটি অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। পরে রিভিউ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তার মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেন।বর্তমানে তিনি ওই মামলায় সাজাভোগ করছেন
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ আগস্ট ২০২৩
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির রাজনীতি পাকিস্তানি ভাবাদর্শের। উগ্রবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি। সাম্প্রদায়িকতাকে পুঁজি করে তারা রাজনীতি করে। ২০০১ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় উপাসনালয়, বাড়ি-ঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।তিনি বলেন, সে সময়কার মন্ত্রী, এমপিদের সরাসরি নির্দেশে বিভিন্ন জায়গায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালিয়েছিল বিএনপির সন্ত্রাসীবাহিনী। তাদের পাশবিক অত্যাচারের হাত থেকে শিশু থেকে বৃদ্ধা কেউই রেহাই পায়নি। এখন নির্বাচন যত কাছে আসছে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীররা সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ অন্যান্য ধর্মের মানুষের উপর প্রভাব সৃষ্টি করতে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন এবং পরোক্ষভাবে তাদের হুমকি দিচ্ছেন।রোববার (১৩ আগস্ট) দুপুরে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেছেন। বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্যে দুরভিসন্ধিমূলক ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনের পর বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডারবাহিনী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর যে নির্যাতন চালিয়েছিল, তা ইতিহাসে নজিরবিহীন। সারাদেশে প্রায় ৫০ হাজার নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছিল। ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় এক রাতে বিএনপি ক্যাডারবাহিনী কর্তৃক ২০০ নারী গণধর্ষণের শিকার হয়েছিল। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় শুধু নয়, বিএনপির সন্ত্রাসের শিকার হতে হয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে। বিএনপি-জামায়াত অশুভ জোটের শাসনামলে আওয়ামী লীগের ২৪ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। আর অসংখ্য নেতাকর্মী ক্ষতের দগদগে চিহ্ন বহনের পাশাপাশি মানবেতর জীবনযাপন করছে।ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতের বাবরি মসজিদের ঘটনার সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিয়ে বিএনপি মহাসচিব নির্লজ্জ মিথ্যাচার করেছেন। অথচ সে সময় বিএনপির ক্যাডারবাহিনী ও তাদের উগ্রসাম্প্রদায়িক দোসরদের হামলায় রক্তাক্ত প্রান্তরে পরিণত হয়েছিল বাংলাদেশ। হিন্দু সম্প্রদায় ও তাদের উপাসনালয়, বাড়ি-ঘরের সুরক্ষা দিতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছিল তৎকালীন বিএনপি সরকার। শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ই নয় বিএনপি তখন সাধারণ মানুষের ন্যূনতম নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছিল। বিএনপির রাজনীতি ধর্মকে পুঁজি করে এবং উগ্রসাম্প্রদায়িক অপশক্তির উপর নির্ভর করে পরিচালিত হয়ে আসছে। যার প্রমাণ ২০০১ পরবর্তী সময়েও পরিলক্ষিত হয়।তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি শাসক ও তাদের দোসর উগ্র-সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে পরাজিত করে অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল জাতিরাষ্ট্র হিসেবে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের আখরে রচিত পবিত্র সংবিধানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির শক্তিশালী ভীত রচিত হয়। বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে রাষ্ট্রের মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয় এবং ধর্ম-বর্ণ জাতি-লিঙ্গ শ্রেণি-পেশা নির্বিশেষে দেশের সকল নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত করা হয়। আওয়ামী লীগ সেই অঙ্গীকারকে ধারণ করেই রাজনীতি করে আসছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ আগস্ট ২০২৩
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বিএনপি বিশ্বাস করে জনগণকে। আমরা অত্যন্ত আশাবাদী। অনেকে বলেন, আপনার মুখে হাসি দেখি কেন সব সময়। আমি পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি, ফ্যাসিস্ট পাথর জনগণের ঘাড় থেকে সরে যাচ্ছে। জনগণ মুক্তি পাচ্ছে একটি ভয়াল থাবা থেকে।’রবিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম।নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আপনারা নিশ্চিন্ত থাকুন, পরিবর্তন আসছে। জনগণের জয় হবে ইনশাআল্লাহ।‘খালেদার জিয়ার চিকিৎসা এদেশে আর সম্ভব নয়। ডাক্তারা এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন’ বলে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তারা বলছেন, তাকে দেশের বাইরে নেয়া দরকার তাড়াতাড়ি।’তত্ত্বাবধায়ক সরকার যদি ফিরে আসে তবে আওয়ামী লীগ ১০টি আসনও পাবে না, এটা আওয়ামী লীগ ভালো করে জানে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ আগস্ট ২০২৩
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাজী হেদায়েতুল্লাহ সাকলাইনের (৭৩) একটি আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।অজ্ঞাত এক নারীর সঙ্গে তার ভিডিও সুপার এডিট করে ফেসবুকে পোস্ট করা হয়েছে- এমন দাবিতে যুবলীগ নেতাসহ ৮ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় কাজী হেদায়েতুল্লাহ সাকলাইন বাদী হয়ে যুবলীগ নেতা আরাফাত শেখকে (৪৩) প্রধান আসামিসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনের নামে মামলা করেছেন।মামলার বিবরণে জানা যায়, গত বুধবার বিকাল ৪টার দিকে কাজী হেদায়েতুল্লাহ সাকলাইন আসামিদের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে ওই আপত্তিকর ভিডিও দেখতে পান। বাদীর ধারণা, আসামিরা তার ব্যক্তিগত ভিডিও অজ্ঞাত নারীর সঙ্গে সুপার এডিট করে তাকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য ফেসবুকে পোস্ট করেছে।এ বিষয় ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইফুর রহমান মিরন বলেন, আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি। এ বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মো. ফাইজুর রহমান বলেন, কাজী হেদায়েতুল্লাহ সাকলাইন ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। তিনি আমাদের সবার মুরব্বি। তাকে নিয়ে ফেসবুকে এ ধরনের আপত্তিকর ভিডিও ছেড়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। সেই সঙ্গে যারা এই অপকর্মের সঙ্গে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর বিচার দাবি করছি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ আগস্ট ২০২৩
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বাংলাদেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না বলে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। বলেন, ‘সূর্য যদি সত্য হয়, পৃথিবী যদি সত্য হয়, আমাদের দেশপ্রেম যদি সত্য হয় তাহলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বাংলাদেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়া হবে না।’ শনিবার (১২ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘দিনের অবস্থা খারাপ, দেশের অবস্থাও খারাপ। আপনারা একটা বিশ্বাস নিয়ে যেতে পারেন। এই বছরের শেষে বা আগামী বছরের শুরুতে যে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচন এই সরকারের অধীনে হবে না।’তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা ১৯৯৪-৯৬ সালে যে দাবি করেছিলেন, বেগম খালেদা জিয়ার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। তখন সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক ছিল না। তখন যদি শেখ হাসিনার মাথায় তত্ত্বাবধায়কের ভূত না চাপতো তাহলে এখন আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করতাম না। সে সময় শেখ হাসিনা, জামায়াতে ইসলাম, জাতীয় পার্টি ও বাম দলগুলো মিলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করেছিল। তিনি (হাসিনা) বলেছিলেন, আমি আজীবন তত্ত্বাবধায়ক সরকারে বিশ্বাসী। আজ তিনি যেহেতু তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাখতে চাচ্ছেন না, তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য বিএনপির বিরুদ্ধে যে আন্দোলন করেছিলেন তার জন্য জাতির কাছে তার ক্ষমা চাওয়া উচিত।’ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ তত্ত্বাবধায়ক প্রশ্নে। আওয়ামী লীগ কি বলল, কি ভাবলো, কি করলো এই নিয়ে দেশবাসীর কোনো চিন্তা করে না।’তিনি বলেন, ‘বেগম জিয়াকে অন্যায়ভাবে বন্দী করে রেখেছে। বিচারের নামে তার ওপর প্রহসন করা হয়েছে। তারেক রহমানকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বিদেশে থাকতে বাধ্য করছে। তার স্ত্রী জোবাইদা রহমান একটি সুনামধন্য পরিবারের সন্তান তিনি কোনো রাজনৈতির সঙ্গে জড়িত নয়। কোনো সংগঠনের সঙ্গে জড়িত না। তার নামেও মিথ্যা মামলা দিয়েছে। তবে এসব করে লাভ হবে না। কারণ বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল জাতীয়তাবাদী দল।’ এ সময় নেতা কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার এবং বিএনপি যে কর্মসূচি দেবে তাতে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানন তিনি।দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন ফরহাদুজ্জামান ফরহাদ, বিএনপির সহ তত্ত্ব বিষয়ক সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, কৃষকদলের সাবেক নেতা এস কে সাদি, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ আগস্ট ২০২৩
আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে সন্ধ্যায় বসছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। নির্বাচন ঘিরে কে কোন দায়িত্ব পালন করবেন, দলের ইশতেহার তৈরিতে কার কী ভূমিকা থাকবে, দলের তৃণমূল পর্যায়ে সাংগঠনিক অবস্থা কী, এসব নিয়ে আলোচনা হতে পারে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের এ বৈঠকে। আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকটি সন্ধ্যায় গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে। সেই বৈঠকেই দলের আগামী রাজনীতি ও নির্বাচনের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলটির একাধিক সিনিয়র নেতা।জানা গেছে, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী বৈঠকের জন্য ৯টি এজেন্ডা ঠিক করা হয়েছে। এগুলো হলো- শোক প্রস্তাব, দলের সভাপতি শেখ হাসিনার জন্মদিন উদযাপন (২৮ সেপ্টেম্বর), শেখ রাসেল দিবস (১৮ অক্টোবর), জেলহত্যা দিবস (৩ নভেম্বর), নূর হোসেন দিবস (১০ নভেম্বর), ডা. মিলন দিবস (২৭ নভেম্বর), সমসাময়িক বিষয় (জাতীয় ও আন্তর্জাতিক), সাংগঠনিক বিষয় ও বিবিধ। এ ছাড়া বৈঠকে একগুচ্ছ নির্বাচনী দিকনির্দেশনা দিতে পারেন দলীয়প্রধান শেখ হাসিনা। নির্বাচন নিয়ে দেশ-বিদেশে চলমান রাজনৈতিক ইস্যু, বিরোধী দলগুলোর লাগাতার আন্দোলন মোকাবিলায় করণীয় এবং আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হবে বৈঠকে। এ বৈঠক থেকেই নির্ধারণ হবে নির্বাচনী কৌশল। আওয়ামী লীগের একজন সাংগঠনিক সম্পাদক ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজকের বৈঠকটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে দলের ৮ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের দেওয়া রিপোর্টগুলোর চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হবে। বিশেষ বর্ধিত সভায় যে সমস্যাগুলো তৃণমূলের নেতারা জানিয়েছেন, সেগুলোর বিষয়েও নিদের্শনা দিতে পারেন দলের প্রধান। বিভিন্ন সময় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও নৈতিক স্খলনের কারণে বহিষ্কৃত নেতাদের দলে ফিরিয়ে আনা যায় কি না তা নিয়েও আলোচনা হতে পারে। নানা অভিযোগ থাকলেও দলের জন্য বিভিন্ন সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন অথবা বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে মার খেয়েছেন, জেল খেটেছেন তাদের শর্ত দিয়ে ক্ষমা করে পদ-পদবি ফিরিয়ে দেওয়া হতে পারে। পাশাপাশি নির্বাচনী ইশতেহারের কতটুকু অগ্রগতি হলো সে বিষয়টিও আলোচনায় গুরুত্ব পাবে।সূত্র আরও জানায়, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক থেকে দলের তৃণমূল নেতাদের জাতীয় নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি নিতে দিকনির্দেশনা দেবেন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এদিকে আওয়ামী লীগের পক্ষে জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনায় এতদিন সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেছেন এইচ টি ইমাম। তার মৃত্যুর পর এখন কার কাঁধে এ দায়িত্ব পড়বে, তা নিয়ে আওয়ামী লীগে নানা ধরনের আলোচনা রয়েছে। সেই বিষয়েও আজকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে।আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম গণমাধ্যমকে বলেন, আজকের বৈঠক আমাদের নিয়মিত একটি বৈঠক। এই বৈঠকে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনায় হয়। এ ছাড়া সামনে নির্বাচন। তাই নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের এই কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনী ইশতেহার তৈরির কাজ কতদূর, কোনো সংযোজন-বিয়োজন করতে হবে কি না এসব বিষয়েও আলোচনা হতে পারে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ আগস্ট ২০২৩
সরকার পতনের আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামীকাল শুক্রবার বেলা দুইটায় ঢাকার দুই অংশে গণমিছিল করবে বিএনপি। একটি মিছিল বের হবে উত্তর বাড্ডার সুবাস্তু টাওয়ার থেকে। সেটি মালিবাগের আবুল হোটেল পর্যন্ত গিয়ে শেষ হবে। আরেকটি মিছিল বের হবে মুগদার কমলাপুর স্টেডিয়াম এলাকা থেকে। সেটি মালিবাগ রেলগেট পর্যন্ত গিয়ে শেষ হবে।আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এলাকায় অনুষ্ঠেয় দুই গণমিছিলের রোডম্যাপ গণমাধ্যমকে জানিয়েছে বিএনপি। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, উত্তর বাড্ডার গণমিছিলে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নেতৃত্ব দেবেন। আর কমলাপুরের গণমিছিলে নেতৃত্ব দেবেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। দুটি মিছিলেই বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা অংশ নেবেন। এই কর্মসূচির সমন্বয় করবেন মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান ও সদস্যসচিব আমিনুল হক।এর মধ্যে উত্তর বাড্ডার গণমিছিলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শাহজাহান ওমর, আবদুল আউয়াল মিন্টু ও শামসুজ্জামান দুদু, কেন্দ্রীয় নেতা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জয়নুল আবেদীন ফারুক, হেলালুজ্জামান তালুকদার, আতাউর রহমান, ফরহাদ হালিম, মজিবর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, কায়সার কামাল প্রমুখ থাকবেন।আর কমলাপুর থেকে যে গণমিছিল বের হবে, সেটিতে অংশ নেবেন স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমদ আজম খান, জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা জয়নাল আবেদীন, মনিরুল হক চৌধুরী, ফজলুর রহমান, মঈনুল ইসলাম খান, মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির, হাবিব উন নবী খান, হারুন অর রশিদ, আসাদুজ্জামান রিপন, ফজলুল হক মিলন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।বিএনপি জানিয়েছে, এই গণমিছিল কর্মসূচির সমন্বয় করবেন মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম ও ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ। এ ছাড়া দুটি কর্মসূচিতে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সম্পাদক, সহসম্পাদক এবং নির্বাহী সদস্যরা যাঁর যাঁর সুবিধামতো অংশগ্রহণ করবেন
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১০ আগস্ট ২০২৩
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে ৫০ কোটি টাকা মানহানির মামলার আবেদন করেছেন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম (হিরো আলম)। সোমবার (৭ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে তিনি এ আবেদন করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিরো আলমের আইনজীবী আব্দুল্লাহ মনসুর রিপনএর আগে রোববার (৬ আগস্ট) ডিবিতে অভিযোগের পর মামলা করতে ঢাকার আদালতে যান হিরো আলম। তিনি আদালতে প্রবেশ না করে নম্বর প্লেট ঢাকা একটি হাইয়েস গাড়িতে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পার্কিংয়ে অবস্থান নেন। এসময় তিনি গাড়িতে বসে অ্যাডভোকেট মুনসুর আলী রিপনের সঙ্গে পরামর্শ করে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ত্যাগ করেন।এসময় হিরো আলম বলেন, আজ মামলা করবো না। আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করতে এসেছি।অ্যাডভোকেট মুনসুর আলী রিপন বলেন, হিরো আলম মামলার বিষয়ে পরামর্শ করেছেন। পরবর্তী সময়ে আমরা সব কিছু জানাবো।এরও আগে ডিবি কার্যালয় থেকে বের হয়ে হিরো আলম বলেন, বিএনপির সিনিয়র নেতা রুহুল কবির রিজভী অশিক্ষিত বলে গালিগালাজ করেছেন। আমি ডিবিতে এ নিয়ে অভিযোগ করতে এসেছিলাম। কিন্তু তারা বলেছে এ বিষয়ে ডিবি সরাসরি কোনো মামলা নিতে পারে না। তাই এখন আমি কোর্টে মামলা করতে যাচ্ছি।তিনি বলেন, আমি অশিক্ষিত। কিন্তু তার দলের নেত্রী এইট পাস। অশিক্ষিত পাগল বলে আমার সম্মানহানি করেছেন। সবাই মনে করে আমি বিএনপির লোক। বিএনপির লোক আমাকে নিয়ে কথাবার্তা বলেছে। তারা একটা লোককে নিয়ে হেয় করে কথা বলেছে। অনেকেই নিচু করে, অপমান করে, তুচ্ছ করে আমার সম্পর্কে কথা বলেন। জাতীয় পার্টির লোকও আমাকে হেয় করে কথা বলেছে।তিনি আরও বলেন, আমি ডিবিতে অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু এখানে এ বিষয়ে কোনো মামলা করা যায় না, তাই কোর্টে যাবো মামলা করার জন্য। আমি এখনই যাবো। কোনো সম্মানিত লোক কাউকে পাগল ছাগল বলে অপমান করতে পারে না।দেশের বড় দুই রাজনৈতিক দলের বিষয়ে হিরো আলম বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলকে ভালোবাসি। কিন্তু এদের কিছু লোকের এমন কর্মের কারণে আজকে তাদের দলের এ অবস্থা।গত ১৮ জুলাই রুহুল কবির রিজভী রাজশাহী নগরীর ভুবন মোহন শহীদ মিনার পার্কে পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে হিরো আলমকে নিয়ে মন্তব্য করেন। এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ডিবি প্রধানের সঙ্গে দেখা করতে যান হিরো আলম।।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৭ আগস্ট ২০২৩
আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা এখন এক সংকটসংকুল দুর্গম পথের যাত্রী। আবারও ষড়যন্ত্র চলছে, সন্ত্রাস চলছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আবারও আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির জন্মকালের চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হুমকির মুখে। আবারও আমাদের পতাকা হুমকির মুখে।’সারা দেশের নেতাদের নিয়ে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা শুরু হয় আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার কিছু পরে। গণভবনে এ সভায় সভাপতিত্ব করছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।‘শত সংগ্রামে অজস্র গৌরবে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে’ শীর্ষক এই বিশেষ বর্ধিত সভায় সূচনা বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক।ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এ কথা স্বীকার করতেই হবে, কিছু দুঃখ, কষ্ট আছে—দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, মুদ্রাস্ফীতি। কিন্তু এগুলো আমাদের সৃষ্টি নয়। আমরা শাস্তি পাচ্ছি, বড় দেশগুলো এসব সংকট, দুর্ভোগ ডেকে এনেছে। শেখ হাসিনার মতো নেতা আছেন বলেই আমরা এ পরিস্থিতি সামাল দিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। এই দুর্দিন, দুঃসময় কেটে যাবে। বাংলাদেশ আবারও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।’আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘যত বাধা আসুক, ষড়যন্ত্র আসুক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করেন না। তিনি মাথা নত করতে জানেন না। তিনি মাথা নত করেন না।’দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভয় পাবেন না। ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। ওই ষড়যন্ত্রকারীরা টাকার খেলা খেলছে। আমাদের লোক অনেক বেশি। বাংলাদেশের সর্বশেষ জনমত জরিপে এখনো ৭০ শতাংশ মানুষ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে সমর্থন করে। আগামী নির্বাচনে তাঁকে ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে।’আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শপথ নিন, প্রস্তুত হোন বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ, অনেক রক্ত ঝরার বাংলাদেশ, এই দেশ, আমার পতাকা পাকিস্তানের বন্ধুদের হাতে আমরা তুলে দেব না। শেখ হাসিনা আমাদের আস্থার বিশ্বাসযোগ্য ঠিকানা। ভয় নেই শেখ হাসিনা আছেন। আমরা তাঁর নেতৃত্বে এগিয়ে যাব, আগামী নির্বাচনেও বিজয়ের বন্দরে পৌঁছাব। যত কিছুই করুক, সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে বিজয়ের বন্দরে আমরা পৌঁছাব।’এই সভায় যোগ দিতে সকাল ৯টা থেকেই তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের গণভবনে প্রবেশ করতে দেখা যায়। সকাল সাড়ে ১০টার পর সভামঞ্চে আসেন শেখ হাসিনা।দলের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যের পর সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্ধিত সভা শুরু করার অনুমতি দেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৬ আগস্ট ২০২৩
ভারতীয় জনতা পার্টির আমন্ত্রণে চারদিনের সফরে ভারতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল। রোববার (৬ জুলাই) ভারতে যাবে আওয়ামী লীগের এ প্রতিনিধি দল, ফিরবে বুধবার (৯ আগস্ট)।শনিবার (৫ আগস্ট) রাতে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।তিনি জানান, ভারত সফরের প্রতিনিধিদলে থাকবেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সদস্য পারভীন জামান ও সংসদ সদস্য আরমা দত্ত।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ আগস্ট ২০২৩
সরকার পতনের একদফা দাবিতে দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে ফের মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। এজন্য আরও সুসংগঠিত হয়ে আন্দোলন সফল করতে কেন্দ্র থেকে তৃনমূল-সব পর্যায়ে বার্তা দেওয়া হয়েছে। কর্মসূচি প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়নে এবার সমন্বয়ের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।নেতাকর্মী ও শরিকদের অন্ধকারে না রেখে সবার মত নিয়ে চূড়ান্ত করা হচ্ছে নতুন কর্মসূচি। আপাতত ঢাকায় টানা আন্দোলনের পরিবর্তে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের সমাবেশ, পদযাত্রাসহ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিতে চায়। সময় ও সুযোগবুঝে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমেই দাবি আদায়ের পরিকল্পনা দলটির।সম্প্রতি ঢাকার প্রবেশপথে অবস্থান কর্মসূচি পালনে কী কী দুর্বলতা ছিল, তাও চিহ্নিত করেছে বিএনপি। সে অনুযায়ী আগামী দিনের কর্মসূচি সফলে করণীয় নিয়ে সিনিয়র নেতাদের পরামর্শ নিচ্ছেন দলটির হাইকমান্ড। নতুন কর্মসূচি প্রণয়নে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সমমনা দল ও জোট নেতাদের মতামত নেওয়া হচ্ছে। সবার মতামতের ভিত্তিতে একদফা দাবিতে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ কর্মসূচি দেওয়া হবে। বিএনপি সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সরকার আবারও একটি একতরফা নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে। কিন্তু এবার সেই সুযোগ পাবে না। গণ-আন্দোলনে সরকারকে বিদায় নিতেই হবে। কারণ ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র রক্ষায় দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। সরকারের পদত্যাগে একদফা দাবিতে শিগগিরই ঘোষণা করা হবে নতুন কর্মসূচি। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমেই নিশ্চিত করা হবে এ সরকারের পতন।’শুক্রবার নয়াপল্টনের সমাবেশে সরকার হটানো আন্দোলনে মরণপণ যুদ্ধের সর্বাÍক প্রস্তুতি নেওয়ার ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচারী সরকারকে আরেক ধাক্কা দিতে হবে। সামনে এর বিকল্প কোনো পথ নেই। আমাদের ফিরে যাওয়ার কোনো পথ নেই। জাতির অস্তিত্বের জন্য সরকার পতন আন্দোলনে সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। জনগণের পার্লামেন্ট গঠন করতে হবে-সেটাই হচ্ছে জনগণের একমাত্র চাওয়া।’সূত্র জানায়, দুদিন ধরে গুলশান কার্যালয়ে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি। এসব বৈঠকে সমমনা দলের একাধিক নেতার আশঙ্কা-আন্দোলন দমাতে হামলা-মামলা ও দমন-পীড়নের মাত্রা আরও বাড়তে পারে। তখন পরিস্থিতি বিবেচনায় হঠাৎ করে কর্মসূচি পরিবর্তন করতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে পরিকল্পনায় একাধিক কর্মসূচি রাখা উচিত। যাতে পরিস্থিতি অনুযায়ী কর্মসূচিতে পরিবর্তন আনা যায়।সমমনা দলগুলোর একাধিক শীর্ষ নেতা জানান, বিএনপির দীর্ঘদিনের জোট শরিক ছিল জামায়াতে ইসলামী। যুগপৎ আন্দোলনে তাদেরও যুক্ত করার প্রয়োজনীতার কথা উঠেছে বিভিন্ন ফোরামের বৈঠকে। জামায়াতকে সঙ্গে নিতে বিএনপিতে পক্ষে-বিপক্ষে দুটি গ্র“প থাকলেও আন্দোলন ও ভোটের মাঠে তাদের গুরুত্ব অনুধাবনের কথা বিবেচনায় নেওয়ার প্রসঙ্গও ওঠে।সম্প্রতি বিএনপির দুজন সিনিয়র নেতার সঙ্গে জামায়াতের দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে কথাও হয়েছে। যে কারণেই অবস্থান কর্মসূচিতে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা এবং দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানকে সাজার সমালোচনা করে জামায়াতে ইসলামী বিবৃতি দিয়েছে। জামায়াত এখন পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করলেও সামনে একপর্যায়ে যুগপৎ আন্দোলনেও থাকবে।বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতারা জানান, ঢাকার প্রবেশপথে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি তাদের সরকার পদত্যাগের চ‚ড়ান্ত কর্মসূচি ছিল না। ঢাকায় মহাসমাবেশ ও প্রবেশপথে অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি জানান দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। এর পাশাপাশি সরকারের ভ‚মিকাও প্রকাশ্যে আনা সম্ভব হয়েছে। তারা মুখে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বললেও বাস্তবে তাদের পরিকল্পনা ভিন্ন। বিরোধী দলকে মাঠ ছাড়া করে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে আবার যেনতেন একটি নির্বাচন করাই সরকারের মূল লক্ষ্য-সেটাই উšে§াচিত হয়েছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতিতে সরকার বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তোয়াক্কা করছে না বলেও প্রমাণ করা সম্ভব হয়েছে।তারা আরও জানান, অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দলের কিছু দুর্বলতাও চিহ্নিত করা গেছে। কেন্দ্রীয় নেতারা অনেকে দলীয় হাইকমান্ডকে কথা দিয়েছিল ওই কর্মসূচিতে থাকবেন। সে অনুযায়ী অনেককে প্রবেশপথের কর্মসূচিতে দায়িত্বও দেওয়া হয়। কিন্তু দেখা যায় বেশিরভাগ দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতাই কর্মসূচিতে অংশই নেননি। এমনকি আশপাশের জেলার শীর্ষ নেতাদের সর্বোচ্চসংখ্যক নেতাকর্মীদের নিয়ে অবস্থান কর্মসূচিতে থাকার কথা থাকলেও সেভাবে যাননি।গাজীপুর জেলা ও মহানগরের উদাহরণ দিয়ে নেতারা জানান, উত্তরার বিএনএস ভবনের সামনে বৃহত্তর উত্তরাসহ পাশের গাজীপুর মহানগর ও জেলার নেতাকর্মীদেরই বেশি থাকার কথা ছিল। কিন্তু উত্তরার নেতাকর্মীদের দেখা গেলেও ওই দুই সাংগঠনিক জেলার একবারেই কমসংখ্যক নেতাকর্মীকে দেখা গেছে। আগের দিন মহাসমাবেশে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী ঢাকায় থাকলেও অবস্থান কর্মসূচি ঘিরে সমন্বয় না থাকায় তাদের অর্ধেকও নামানো যায়নি।সূত্রমতে, অবস্থান কর্মসূচি নিয়ে নেতাদের কার কী ভ‚মিকা ছিল তা ইতোমধ্যে দলের হাইকমান্ড বিভিন্নভাবে খোঁজ নিয়েছেন। সমস্যা চিহ্নিতও করা হয়েছে। তাই আগামী দিনের আন্দোলন কর্মসূচি সফলে সমন্বয়কে বেশি গুরুত্ব দিতে চায়। সেভাবেই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল নেতাদের দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। চ‚ড়ান্ত আন্দোলনে সবাইকে মাঠে নামার জন্য যা যা করণীয় তা ঠিক করা হচ্ছে। সব প্রস্তুতি নিয়েই এবার মাঠে নামা হচ্ছে।জানতে চাইলে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল যুগান্তরকে বলেন, সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবি আদায়ে দেশের জনগণ ফুঁসে উঠেছে। এ সরকারকে আর এক মুহূর্তও দেখতে চায় না জনগণ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে হামলা চালিয়ে তা দমন করা যাবে না। রাজনীতি হচ্ছে কৌশলের খেলা। সেই খেলায় বিএনপি আপাতত এগিয়ে রয়েছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে একদফা আন্দোলনে আমরাই জয়ী হব।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ আগস্ট ২০২৩
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ৯ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।বুধবার বিকেল ৪টা ২ মিনিটে ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আসাদুজ্জামানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল বিষয়টি জানিয়েছেন।কারাদণ্ডের পাশাপাশি তারেক রহমানকে ৩ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অনাদায়ে তাকে আরও ৩ মাস সাজা ভোগ করতে হবে।অপরদিকে জোবায়দা রহমানকে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৩৫ লাখ জরিমানা করা হয়েছে, অনাদায়ে তাকে আরও ১ মাস সাজা ভোগ করতে হবে।সেই সঙ্গে তারেক-জোবায়দা দম্পতির অপ্রদর্শিত সম্পদ হিসেবে ২ কোটি ৭৪ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।গত ২৭ জুলাই আদালত এ মামলার যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।এর আগে গত ২৪ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম সর্বশেষ সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন। ওইদিন তার সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্যদিয়ে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেন আদালত। মামলাটিতে চার্জশিটভুক্ত ৫৬ সাক্ষীর মধ্যে ৪২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল একই আদালত তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২)/২৭(১) এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এ মামলার বিচার শুরুর আদেশ দেন। ২৬(২) ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি তিন বছরের কারাদণ্ড ও ২৭(১) ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি দশ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, জ্ঞাত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। তারেক রহমানের শাশুড়ি মারা যাওয়ায় এ মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ আগস্ট ২০২৩
রংপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিভাগীয় মহাসমাবেশের মঞ্চে উঠেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকেল ৩টা ২৬ মিনিটের দিকে জিলা স্কুল মাঠের সমাবেশস্থলে পৌঁছান তিনি। এর আগে দুপুর সোয়া ১টায় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি রংপুর ক্যান্টনমেন্ট হেলিপ্যাডে অবতরণ করে। সেখান থেকে তিনি সড়কপথে রংপুর সার্কিট হাউসে যান। সার্কিট হাউস মিলনায়তনে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।প্রধানমন্ত্রী মহাসমাবেশ মঞ্চে ২৭টি প্রকল্প উদ্বোধন ও পাঁচটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার কথা রয়েছে। তার আগমন ঘিরে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের বার্তার আশা করছেন উত্তরের মানুষ।মহাসমাবেশে উপস্থিত আছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ। সভাপতিত্ব করছেন মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ আগস্ট ২০২৩
প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানিয়ে শতাধিক তোরণ আর ব্যানার-ফেস্টুনে সাজানো হয়েছে নগরী। রংপুর জিলা স্কুল মাঠে নৌকার আদলে নির্মাণ করা হয়েছে সভামঞ্চ। এখানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিভাগীয় জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী রংপুরে ২৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ৫টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। সঙ্গে নতুন প্রতিশ্রুতির ঘোষণাও দিতে পারেন তিনি।এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে উজ্জীবিত আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিভাগীয় জনসভায় ১০ লাখের বেশি জনসমাগমের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। এজন্য জেলা-উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে চলছে প্রচার-প্রচারণা। কেন্দ্রীয় একাধিক নেতা রংপুরে অবস্থান করছেন। তারা বিভাগীয় জনসভার স্থান, মঞ্চসহ উপস্থিতির বিষয়ে তদারকি করছেন।সোমবার সকালে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে বিভাগীয় জনসভাস্থল পরিদর্শন করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, এস এম কামালসহ দলের অন্য নেতাকর্মীরা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সফরসূচি প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সহকারী সচিব ইসমাত মাহমুদা। এ সফরসূচি থেকে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী কাল বেলা সাড়ে ১২টায় তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে রংপুরের উদ্দেশে রওনা দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর হেলিকপ্টার দুপুর ২টায় রংপুর ক্যান্টনমেন্ট হেলিপ্যাডে অবতরণ করবে। পরে ২টা ৫মিনিটে ক্যান্টনমেন্ট হেলিপ্যাড থেকে সড়ক পথে রংপুর সার্কিট হাউজের উদ্দেশে রওয়ানা দেবেন তিনি।প্রধানমন্ত্রী ২টা ১৫ মিনিটে সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। ৩টায় প্রধানমন্ত্রী রংপুর জিলা স্কুল মাঠের বিভাগীয় জনসভার উদ্দেশে রওয়ানা দেবেন। সেখানে তিনি রংপুর বিভাগের উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। পরে বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে জনসভায় বক্তব্য শেষে তিনি ক্যান্টনমেন্ট হেলিপ্যাডের উদ্দেশে সড়কপথে রওয়ানা দেবেন। পরে সেখান থেকে হেলিকপ্টারে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক একেএম ছায়াদত হোসেন বকুল বলেন, মহাসমাবেশে ১০ লাখের বেশি মানুষের সমাগমের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। রংপুর বিভাগের ৫৮টি উপজেলার প্রতিটি উপজেলা থেকে ৩ থেকে ৪ হাজার মানুষকে আনার প্রস্তুতি রয়েছে।মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাশেম বলেন, জনসভা সফল করতে আওয়ামী লীগের বিভাগীয় বর্ধিত সভাও করা হয়েছে। দলের শীর্ষ নেতারা ছাড়াও এমপি ও মন্ত্রীরা সবাই রংপুরের এই সমাবেশ সফল করতে বিভিন্নভাবে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের মাঝে আসছেন। নিশ্চয়ই তিনি এখানে উন্নয়নমূলক কর্মসূচির ঘোষণা দেবেন। আমরা সেই অপেক্ষায় আছি।দিনাজপুর থেকে অংশ নেবেন ১ লাখ নেতাকর্মী : দিনাজপুর প্রতিনিধি জানান, জেলা থেকে অন্তত ১ লাখ নেতাকর্মী রংপুরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দেবেন। এ জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে একটি বিশেষ ট্রেন, ৩১৬টি বাস ও কয়েকশ মাইক্রোবাস। এছাড়াও প্রায় ৩০ হাজার মোটরসাইকেল নিয়ে রংপুরে যাবেন নেতাকর্মীরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুকুজ্জামান চৌধুরী মাইকেল। বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার জানান, রংপুর বিভাগের প্রতিটি জেলার আওয়ামী লীগের নেতারা যোগাযোগ করেছেন। ভাড়া প্রদান সাপেক্ষে বুধবার আটটি ট্রেন তারা ব্যবহার করবেন। অন্যান্য ট্রেনের সময়সূচিতে যেন কোনো ব্যঘাত না ঘটে সেভাবেই সাজানো হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ আগস্ট ২০২৩
জাতীয় সংসদের হুইপ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন করতে হলে সর্বপ্রথম প্রতিদ্বন্দ্বী দলসমূহকে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াইয়ের মানসিকতা নিয়ে নির্বাচনে থাকতে হবে। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত লড়ে জেতে হবে। নির্বাচনের আগে কোন পক্ষ পরাজয় আশঙ্কায় নির্বাচন ছেড়ে দিলে স্বাভাবিকভাবেই সব জায়গায় শিথিলতা আসবে। তাতে নির্বাচনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা যাবে, হয়ত কিছু উপাদানও হাতে পাওয়া যাবে। সুতরাং যারা বাংলাদেশে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য আগ্রহী তাদের উচিত নির্বাচন কমিশনের নিকট যাওয়া। কারন বাংলাদেশের সংবিধান, আইন এবং নির্বাচন সংক্রান্ত সকল বিধিমালার আলোকে নির্বাচন কমিশনই নির্বাচন সংক্রান্ত সকল বিষয়ের একমাত্র কর্তৃপক্ষ। জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার পর নির্বাহী বিভাগের প্রয়োজনীয় কর্মচারীগণ নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা প্রতিপালন করতে সাংবিধানিকভাবে বাধ্য। নির্বাচন ও নির্বাচনের পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে কোন সরকারী কর্মচারী দায়িত্ব পালনে গাফিলতি করলে, পক্ষপাতিত্ব করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আইনী কতৃত্ব আছে ইসির, নির্বাচন কালিন সরকারের নেই। নির্বাচন কমিশনই নির্বাচন সংক্রান্ত সকল ক্ষমতার অধিকারী। তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন সকল আইনী ও নৈতিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে দল নিরপেক্ষভাবে গঠিত হয়েছে। কোন কমিশনারের কোন ধরণের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পাওয়া যায় নি। বিএনপিও কোন অথেনটিক অভিযোগ উত্থাপন করতে পারে নি। বরং নির্বাচন কমিশন আহুত সংলাপ বর্জন করে বিএনপি দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। বিএনপির যা কিছু চাওয়া তা কেবল নির্বাচন কমিশনের পক্ষেই পূরণ করা সম্ভব। সুতরাং আপনারা নির্বাচন কমিশনের দরজা ঠকঠক করুন। আজ(সোমবার) জয়পুরহাট- ২ নির্বাচনী এলাকায় ১১ টি গ্রামীণ সড়ক পাকাকরণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, ১ টি দোয়া মাহফিল ও জন-আকাঙ্ক্ষা বিষয়ক মত বিনিময় সভা এবং আক্কেলপুরে বঙ্গন্ধুর ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে হুইপ স্বপন উপরোক্ত ভাষণ প্রদান করেন। অনুষ্ঠানসমূহে আরো বক্তব্য রাখেন জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আলহাজ্ব মোকছেদ আলী মাস্টার, উপজেলা সভাপতি অধ্যক্ষ মোকছেদ আলী, আক্কেলপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুস সালাম আকন্দ, জয়পুরহাট পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আলাউদ্দিন, আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিনা আক্তার, কালাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান, ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তাকিম মন্ডল, আক্কেলপুর পৌর মেয়র শহিদুল আলম, আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেকুর রহমান, ডিএম রহিল ইমাম, মজিবর রহমান, বেলাল হোসেন প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ আগস্ট ২০২৩
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে শনিবার রাজনৈতিক সমঝোতার বিষয় এড়িয়ে যান। শনিবার বিকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর দক্ষিণ ও সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে জরুরী বৈঠক শুরুতে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন।এ সময় এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আওয়ামী লীগের এক প্রতিনিধি দল আহত বিএনপি নেতাদের ফলমুল, জুস নিয়ে দেখতে যান, তাহলে কি রাজনৈতিক সমঝোতার কোন সম্ভাবনা আছে কিনা?প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময় রাজনৈতিক শিষ্টাচার দেখিয়েছে, আজ দেখিয়েছে। কিন্তু তিনি রাজনৈতিক সমঝোতা হবে কি এই বিষয় টা এড়িয়ে যান ওবায়দুল কাদের।বিদেশি প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, "সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রধান বাধা আজকে সেই বিএনপি, এটা আজকের সহিংসতাই প্রমান।ওবায়দুল কাদের বলেন, "বিএনপি বলে তাদের উপর হামলা হয়েছে, তাদেরকে বাধা দেওয়া হয়েছে। ঢাকা শহরে ঢুকার পথ, সেই রাস্তা বন্ধ করে দেবে এটা কি তারেক রহমানের বাপ দাদার সম্পত্তি? এটা কি তার বাপ দাদার সম্পত্তি? লন্ডন থেকে নির্দেশ দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দিবে এটা কোন রাজনীতি। "যেসকল বিদেশি বন্ধুরা আমাদের পরামর্শ দেন, তাদের বলছি, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে আমরা ওয়াদাবদ্ধ।কিন্তু সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রধান বাধা আজকে সেই বিএনপি। যাদের কথা বিদেশি বন্ধুদের বলেছিলাম। বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পথম বাধা বিএনপি এটা আজকে প্রমান হলো। "বিএনপির এক দফা অগ্নি সন্ত্রাস দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, "আমরা যা আশঙ্কা করেছিলাম সেটাই এখন সত্তি হলো, আমরা বার বার বলেছি তাদের আন্দোলনের এক দফা অগ্নিসন্ত্রাস। তারা এটাই চেয়েছিলো, এটাই শুরু করতো গতকাল। আমাদের গতকাল শক্ত অবস্থানের কারণে তারা কিছু করতে পারে নি।"দেখুন তারা সমাবেশ থেকে ঢাকা সিটির প্রবেশ পথবন্ধ করার ঘোষণা করেছে। এই রাজধানীর সব প্রবেশ পথ বন্ধ করে দিবে তারা এবং অবস্থান নিবে তারা এটাই তাদের সিদ্ধান্ত। এর আগে তাদের নেতাকর্মীদের অতিরিক্ত জামাকাপড় নিয়ে ঢাকা আসতে বলেছেন এবং সঙ্গে চাদর নিয়েও আসতে বলেছেন। গণভবন থেকে শেখ হাসিনাকে না হটিয়ে তারা এ অবস্থান থেকে সড়বে না, এটাই তাদের কথা।"ভিডিওতে বক্তব্য দিয়ে তারেক রহমান আদালত অবমাননা করছে দাবি করে কাদের বলেন, "তারেক রহমান লন্ডনে বসে সারাক্ষণ ভিডিওতে এই নির্দেশ সেই নির্দেশ দিচ্ছে। আমি বুঝি না, প্রতিনিয়ত আদালতের নির্দেশ লঙ্গন করে যাচ্ছে। আদালতের আদেশ ছিলো কোন ভাবে কোন ক্রমেই কোন ভাসন কোন স্টেটমেন্ট প্রচার করা যাবে না। এর পরেও কেন বারে বারে এটা করা হচ্ছে। আদালত অবমাননা প্রতিনিয়ত হেচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টকে হাইকোর্টকে লক্ষ করে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করছে এই তারেক।"আদালত বলেছে দিতে পারবে না, প্রতিনিয় গালাগাল করছে, কারকে তো বলতে বলতে এমনও বলেছে, একটা লাশ পড়লে দশটা লাশ পড়বে। লাশ ছাড়া সে কথা বলে না। আন্দোলন করো টাকার অভাব হবে না, কি ব্যবসা করে লন্ডনে, এতটাকা আসে কোথা থেকে। তার তো কোন অভাব নেই। তার বাবার মত, তার বাবা বলেছে মানি ইজ নো প্রবলেম, সে বলছে টাকার সমস্যা নেই।"বিএনপির হামলার বর্ননা দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, "আজকে তারা কি করেছে, আজকে তারা ঢাকার প্রবেশ মুখ গুলো কিভাবে তারা অগ্নি সন্ত্রাশ তারা শুরু করে দিয়েছে, আজকে মাতুয়াইলের দিকে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে চারটি বাসে আগুন দিয়েছে। রাস্তার পাশে থাকা অনেক গাড়িতে হামলা করেছে, সদরঘাটে ভিক্টর পরিবহনের একটি বাসে আগুন দিয়েছে এছাড়া তুরাগ পরিবহনের একটি বাস। মোট রাজধানীতে সাতটি বাস ভাংচুর অগ্নি সংযোগ করে। বিভিন্ন এলাকায় লাঠিশোটা নিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়। "তারা ককটেল ও হাতবোমা নিক্ষেপ করেছে। রাজধানীর ধোলাই খালে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে একজন এসআইকে বেদড়ক পেটাতে দেখা যায়। নারায়নগঞ্জে অবস্থান চলাকালে সিদ্দিরগঞ্জ থানার ওসি আহত হয়েছে। ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের মহিবুর রহমান নয়নের উপর বিএনপি জামাত ক্যাডার বাহিনী হামলা করে এবং তার হাতের কজ্বি কেটে নেয়, সে এখন হাসপাতালে ভর্তি আছে।"তিনি বলেন, "পুলিশের উপর তারা হামলা চালিয়েছে, কিছু কিছু জায়গায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা হয় এবং ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে।"বিএনপির অগ্নি সন্ত্রাস আবার শুরু হয়েছে। ২০১৩/১৪ সালের নির্মম নি:সংশতার পুনরাবৃত্তি শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, শেখ হাসিনার সৈনিক, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জিবিত কর্মী বাহিনী চুপ করে বসে থাকতে পারে না। আমাদের দায়িত্ব আমরা পালন করবো।"জনগণের জানমাল রক্ষায় পবিত্র দায়িত্ব পালনে নির্বাচন পর্যন্ত সতর্ক পাহারায় থাকার নির্দেশ দিয়ে কাদের বলেন, "এই সিটিতে এক কিলোমিটারের মধ্যে কয়েকটা সভা সমাবেশ হয়েছে কোন সমস্যা হয় নি। তার কারণ আমরা সঙ্গাত চাই না। সঙ্গাতে বিরুদ্ধে জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় আমরা পবিত্র দায়িত্ব পালনে সতর্ক অবস্থানে ছিলাম আছি, আগামী নির্বাচন পর্যন্ত আমরা থাকবো।""অগ্নি সন্ত্রাস আমরা রোখবো, অগ্নি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমরা লড়বো, এটা আজকে আমাদের শপথ।"জরুরি সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক, কর্ণেল (অব) মোহাম্মদ ফারুক খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাশ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, উপ প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।এছাড়া জরুরি সভায় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামশ পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকী, সাধারণ সম্পাদক শবনম জাহান শিলা, যুব মহিলা লীগের সভাপতি আলেয়া সরোয়ার ডেইজি, সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসীফ ইনান উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ জুলাই ২০২৩
ডিবিপ্রধান হারুনের সঙ্গে দুপুরের খাবার খেলেন গয়েশ্বরঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে দুপুরের খাবার খেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি সুস্থ শরীরে হাসিমুখে ডিবিপ্রধানের সঙ্গে বিভিন্ন পদের আইটেম দিয়ে খাবার খান।গয়েশ্বর ও হারুন অর রশীদের একসঙ্গে বসে খাওয়ার একটি ছবি এসেছে বাংলাওয়্যারের কাছে। সেখানে দেখা যায়, শনিবার (২৯ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে তারা একসঙ্গে দুপুরের খাবার খান।ডিবি সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর ধোলাইখালে বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে সংঘর্ষের সময় সেফ করে পুলিশ। পরে তাকে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়। পরে তিনি ডিবিপ্রধানের সঙ্গে বসে একসঙ্গে দুপুরের খাবার খান। ছবিতে দেখা গেছে খাবারের মেনুতে ছিল খাসি, মুরগির মাংস, একাধিক মাছের তরকারি, রোস্ট ও সবজি। এছাড়া আম, মালটা, আঙ্গুর ও ড্রাগন ফলও ছিল খাবারের টেবিলে।খাবার শেষে ডিবির একটি সাদা গাড়িতে করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে তার বাসায় পৌঁছে দেন ডিবির সদস্যরা।এদিকে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ডিবির গেটে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে ডিবি কার্যালয় থেকে ডিবির গাড়িতে করে তার বাসায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।তিনি বলেন, বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে সংঘর্ষের সময় সেভ করা হয়। ওই সময়ও বিএনপির কর্মীরা ঢিল ছুঁড়তে থাকেন। তাকে সেভ করে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়। এরপর ডিবির গাড়িতে করে গয়েশ্বরের বাসায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।এর আগে রাজধানীর নয়াবাজার (বাবুবাজার ব্রিজের প্রবেশ মুখ) মোড়ে বিএনপি অবস্থান নেওয়ার কথা থাকলেও এর বদলে ধোলাইখাল মোড়ে অবস্থান নেয় দলটি। সেখানে বেলা ১১টায় অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি কেন্দ্র করে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বাঁধে। এক পর্যায়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের সরিয়ে দিতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। জবাবে ইট-পাটকেল ছোড়েন অবস্থানকারীরা।সেখান থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে সেফ করে পুলিশ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ জুলাই ২০২৩