আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজকের ছাত্রলীগ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগই এ দেশের সব সংকটে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। বাংলাদেশের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রাম, প্রতিটি অর্জনের সঙ্গে ছাত্রলীগ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। শুক্রবার বিকালে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগ আয়োজিত ছাত্রসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যদি শহীদের খাতায় চোখ বোলাই তাহলে দেখব ছাত্রলীগই বুকের রক্ত দিয়ে প্রতিটি অর্জন আদায়ের সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। ছাত্রলীগের ইতিহাস বাঙালির ইতিহাস- এই কথা বলে গিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এ কথাটা অক্ষরে অক্ষরে সত্য। আমরা যে বিদেশে ছিলাম দেশে আসতে পারিনি, তখন আমাদের ফিরে আসার দাবিটা প্রথমে ছাত্রলীগ করে। এভাবে বাংলাদেশের যেকোনো দুর্যোগে ছাত্রলীগ সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে।তিনি বলেন, ছাত্রলীগ মুক্তিকামী মানুষের মুক্তির জন্য প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। পাকিস্তানের শাসকরা আমাদের মাতৃভাষা কেড়ে নেওয়ার জন্য উর্দু আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। প্রথমে আঘাত আসলো আমাদের ভাষার ওপর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা এটার প্রতিবাদ করেন। শেখ হাসিনা বলেন, ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডে গর্বে আমার বুক ভরে যায়। যদি তারা আদর্শ নিয়ে চলতে পারে, তাহলে বাংলাদেশের এ অগ্রযাত্রা কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না।ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এতে সংগঠনটির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতারা অংশ নেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ওয়ান ইলেভেনের মতো অস্বাভাবিক সরকার আনার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ওয়ান ইলেভেন আমরা ভুলি নাই। আবারও অস্বাভাবিক সরকার আনার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সেই অস্বাভাবিক সরকার বাংলার মাটিতে আমরা হতে দেব না।শুক্রবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগ আয়োজিত ছাত্রসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ দেশে-বিদেশে কত ষড়যন্ত্র, কত চক্রান্তের খেলা! তারা জানে, এই দেশে ৭০ ভাগ মানুষ শেখ হাসিনাকে ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। নির্বাচনে তাকে হারাতে পারবে না। সেজন্য ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতা থেকে সরানোর চক্রান্ত করছে। নিষেধাজ্ঞা, ভিসানীতি প্রয়োগ করতে চাইছে। এ সময় বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘জ্বালারে জ্বালা, অন্তর জ্বালা। অন্তর জ্বালায় জ্বলছে বিএনপি। জ্বলছে তারেক জিয়া। কী করে হলো পদ্মা সেতু, ঢাকায় মেট্রোরেল; তাদের অন্তর্জ্বালা তো থাকবে। শেখ হাসিনা করেছে, এটা তাদের অন্তর্জ্বালা। মানুষ খুশি, আর এই দলটি (বিএনপি) অখুশি। শেখ হাসিনার অর্জনে মানুষ কেন খুশি, এ জন্য ব্যথার বিষজ্বালায় তারা মরছে। সেজন্য শেখ হাসিনাকে তারা চায় না। বিদেশি মুরুব্বিদের ডাকছে- হটাও শেখ হাসিনাকে। দরকার হলে আবার তত্ত্বাবধায়ক। আদালতের আদেশে যে তত্ত্বাবধায়ক মরে গেছে, সেটাকে তারা আবার জীবিত করতে চাচ্ছে। এটা কি হবে? শেখ হাসিনা রিজাইন করবে? সংসদ ভেঙে যাবে? এই সরকার পদত্যাগ করবে? বাংলার মানুষ যেটা চায় না, তারা কেন তা করতে চায়?’ছাত্রসমাজকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে তারুণ্যের যে ঢেউ নেমেছে তা আবেগ ও চেতনা দিয়ে নিয়ে যেতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা মাতৃভূমিকে রক্ষা করব, গণতন্ত্রকে বাঁচাব।’ছাত্রসমাজকে উদ্দেশ করে তিনি আরও বলেন, ‘গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার শত্রুদের রুখতে খেলা হবে। তৈরি হয়ে যান, প্রস্তুত হয়ে যান। নির্বাচনের আর বেশি সময় নেই। ছাত্র রাজনীতিকে আকর্ষণীয় করবেন নিজেদের আচরণে। এটা হলে নেত্রীর সুনাম আরও বাড়বে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বর্ণাঢ্য র্যালি শুরু হয়েছে। শুক্রবার বিকাল ৪টায় র্যালি শুরু হয়। এর আগে আনুষ্ঠানিকভাবে র্যালির শুভ উদ্বোধন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। র্যালিটি নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে ফকিরাপুল মোড়, নটরডেম কলেজ, মতিঝিল শাপলা চত্বর ও ইত্তেফাক মোড় হয়ে রাজধানী মার্কেটে গিয়ে শেষ হবে। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বিকাল ৩টায় র্যালি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও জুমার দিন হওয়ায় এবং বৃষ্টির কারণে কিছুটা দেরিতে শুরু হয়। র্যালিতে অংশ নিতে বৃষ্টি বাধা উপেক্ষা করেই নয়াপল্টনে জড়ো হয়েছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এদিকে র্যালি শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করা হয়। এতে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান। এ ছাড়া মঞ্চে ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, আব্দুল সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।সরজমিনে দেখা গেছে, বেলা ২টা থেকে নেতাকর্মীরা জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকার পাশাপাশি রং বেরঙের ব্যানার-ফেস্টুন এবং দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ফেস্টুনসহ নানা বাদ্যযন্ত্র এবং ঘোড়ার গাড়ি নিয়ে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী র্যালিতে যোগ দেন। এছাড়া প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানানো বেলুনও ছিল। র্যালিতে মাইকে বাজানো হচ্ছে বিএনপির দলীয় সংগীত ও বিভিন্ন দেশাত্মবোধক গান। এছাড়াও বিএনপির সহযোগী সংগঠন মৎস্যজীবী দলের নেতাকর্মীদের হাতে ছিল মাছ ধরার জাল ও টেরা এবং নেতাকর্মীরা স্লোগান দিচ্ছে 'শেখ হাসিনা, ভোট চোর'।বিএনপির এই র্যালি ঘিরে ফকিরাপুল, নাইটিঙ্গেল মোড় ও কাকরাইল এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা এড়াতে ওই এলাকায় বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
সারা দেশ থেকে অন্তত পাঁচ লাখ শিক্ষার্থী এতে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র লীগ । বৃহস্পতিবার দুপুরে সমাবেশস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব স্মরণে আগামীকাল শুক্রবার বিকেল তিনটায় একই জায়গায় এই ছাত্রসমাবেশ হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভাপতিত্ব করবেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘আমরা একটি ঐতিহাসিক টার্নিং পয়েন্টের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। আমরা স্মরণকালের বৃহত্তম ছাত্রসমাবেশ করতে যাচ্ছি। এটি শুধু সংখ্যায় বৃহত্তম হবে না, এই ছাত্রসমাবেশের রাজনৈতিক প্রভাব রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি অবিশ্বাস্য পরিবর্তন নিয়ে আসবে।’ ‘নো কম্প্রোমাইজ উইথ দ্য কিলার্স’—বার্তাটি ছাত্রসমাবেশের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে জানান তিনি।ছাত্রলীগ সভাপতি আরও বলেন, একজন শেখ হাসিনাকে নিয়ে দেশের সব পর্যায়ের লাখো শিক্ষার্থীর হৃদয়ে যে প্রচণ্ড উচ্ছ্বাস রয়েছে, তার বহিঃপ্রকাশ ঘটানোর জন্য এই সমাবেশকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এটি আর শুধু ছাত্রলীগের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, এই ছাত্রসমাবেশ দেশের পাঁচ কোটি শিক্ষার্থীর একটি প্রতীকী সমাবেশে পরিণত হতে যাচ্ছে।শেখ হাসিনাকে ভালোবেসে ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি দরদের জায়গা থেকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীর পাশাপাশি অসংখ্য সাধারণ শিক্ষার্থীও সমাবেশে অংশ নেবেন বলে জানান ছাত্রলীগ সভাপতি। জনদুর্ভোগ ও শিক্ষার্থীদের সমস্যার কথা বিবেচনা করে শুক্রবার ছুটির দিনে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, ‘দেশবিরোধী যেকোনো অপশক্তির অপতৎপরতাকে রুখে দিতে আমরা লাখো তরুণকে নিয়ে শপথ নিতে চাই। দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমরা বদ্ধপরিকর, আগামীকালের ঐতিহাসিক ছাত্রসমাবেশ থেকে বার্তাটি আমরা সারা বিশ্বকে জানিয়ে দিতে চাই৷’সমাবেশের সার্বিক শৃঙ্খলা নিশ্চিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পরামর্শ নিয়ে আজই সাংগঠনিক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলেও জানান শেখ ওয়ালী আসিফ।সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি আবু সাঈদ কনক, রনি মুহাম্মদ, বরিকুল ইসলাম বাঁধন, আবদুল আলীম খান, রবিউল হাসান রানা ও আবদুর রহিম সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসিবুল হোসেন শান্ত, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক মুসান্না আল গালিব, মাদ্রাসা শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩১ আগস্ট ২০২৩
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের একটি ভুয়া চেকের ছবি ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে গুঞ্জন উঠে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ৫০ লাখ টাকা চিকিৎসা সহায়তা নিয়ে বিদেশে গেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই চেকের ছবিটি ঘুরপাক খাচ্ছে। চেকের ছবির বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই নোংরামির শেষ কোথায়? সিঙ্গাপুরে অবস্থানরত মির্জা ফখরুল বলেন, এটা নোংরামি ছাড়া আর কিছু নয়। মির্জা ফখরুল বাপের জমি বিক্রি করে চিকিৎসা ও রাজনীতি করে। আমাকে কেনা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, বিরোধী রাজনীতিবিদদের চরিত্র হননের এক জঘন্য খেলায় মেতেছে সরকার।অন্যদিকে চেকের সত্যতার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের ডিপিএস হাসান জাহিদ তুষার বলেন, ‘এটি সত্য নয়।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ আগস্ট ২০২৩
সম্প্রতি দেওয়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সব বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সরাতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে সব বক্তব্য অনলাইন থেকে সরানোর নির্দেশ দেওয়া কেন্দ্র করে হাইকোর্টের এজলাস কক্ষে বিএনপিপন্থি এবং আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের মধ্যে টানা ৩০ মিনিটের মতো হইচই ও হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। একপর্যায়ে বিচারপতিরা এজলাস ছেড়ে খাস কামরায় চলে যান।সোমবার সকালে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কোর্টে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। বিচারপতিরা চলে যাওয়ার সময় বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা শেইম শেইম বলে চিৎকার করতে থাকেন। এর মধ্যে বিচারপতিদের লক্ষ্য করে ফাইল ছোড়া হয়।প্রসঙ্গত, এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি তারেক রহমানের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রুল জারি করেন। রুলে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রকাশ ও প্রচার নিষিদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। ওই রুল শুনানির জন্য আট বছর পর হাইকোর্টে আবেদন জানায় রিটকারী পক্ষ। কিন্তু তারেক রহমানের ঠিকানা ভুল থাকায় নোটিশ সঠিকভাবে জারি হয়নি।এ কারণে ঠিকানা সংশোধন করে ফের আবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ওই নির্দেশনা মোতাবেক তারেক রহমানের ঠিকানা সংশোধন করে নোটিশ জারির নির্দেশ দেন আদালত। এর পরই গত সপ্তাহে নোটিশ জারি করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ আগস্ট ২০২৩
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগকে এক রাতেই নিশ্চিহ্ন করে দেবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ৭৫ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত বিএনপির নির্যাতন কেউ ভোলেনি। বিএনপির আমলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঘরে থাকতে পারেনি।আজ শনিবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে মিরপুর গোলারটেক মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও মানুষ খুন―এ তিনটিই বিএনপির গুণ। বিএনপি সন্ত্রাসীদের দল। এটা আমরা বলছি না, কানাডার আদালত বলছে। তাদের হাতে রক্তের দাগ।অথচ তারা আজ মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে। তারা সামনে বসে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে। তাদের কথা শুনে মনে হয় চকবাজার মসজিদের ইমাম সাহেব বয়ান করছেন। তারা বলে ক্ষমতায় এলে আওয়ামী লীগের কোনো ক্ষতি হবে না।তারা ক্ষমতায় এলে বাকিটা এক রাতের মধ্যে শেষ করে দেবে।’শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তার মতো জনদরদি নেতা বাংলাদেশে আর কেউ নেই। তার মতো দক্ষ প্রশাসক দেশে আর নেই। বিশ্ব সংকটে যিনি বাংলাদেশকে নেতৃত্বে দিচ্ছেন, তার চেয়ে জনপ্রিয় নেতা বাংলাদেশে আর কেউ নেই। পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য শেখ হাসিনার বিকল্পও কেউ নেই।তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা হারলে বাংলাদেশ হেরে যাবে, গরিব মানুষ হেরে যাবে, স্বাধীনতা হেরে যাবে। তাই তাকে বিজয়ী করতে হবে। তিনি হেরে গেলে বাংলাদেশর উন্নয়ন হেরে যাবে। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, সংসদ সদস্য আগা খান মিন্টুসহ মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের নেতারা।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৬ আগস্ট ২০২৩
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল গণতন্ত্রের জন্য। এটি যদি না থাকে তাহলে বাংলাদশের মুক্তিযুদ্ধ, রাষ্ট্রগঠন সবকিছু অর্থহীন হয়ে যাবে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাকশাল কায়েম করা হয়েছিল। বর্তমানে দেশে আবারো অলিখিত বাকশাল কায়েম করা করেছে।শনিবার (২৬ আগস্ট) প্রেসক্লাবে নাগরিক কণ্ঠ বাংলাদেশ আয়োজিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ভোটাধিকার প্রয়োগে নাগরিক সমাজের ভূমিকা শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ড. মঈন খান বলেন, ‘সরকার বিদেশে ও মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে। তবে তারা মুখে বলে গণতন্ত্র, আর যা করে তা পুরোটাই উল্টো। বিগত ১৪ বছর ধরে সারাবিশ্বে দেশকে গণতন্ত্রকামী বলে প্রচার করে যে ফানুস উড়িয়েছে, তা এখন ফুটে গেছে। এখন দেশ ও সারাবিশ্বে এটা প্রচার হয়ে গেছে— দেশে কোনো গণতন্ত্র নেই। সে জন্য বিশ্ব আজ হস্তক্ষেপ করছে।’ বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, ‘এই আন্দোলন শুধু এনপির একার নয়, সারাদেশের মানুষের অধিকার আদায়ের। এটা শুধু আমাদের ক্ষমতায় যাওয়ার আন্দোলন নয়, সুষ্ঠু ধারা প্রয়োগের মাধ্যমে একটি সরকার গঠনের আন্দোলন। তারা ১৭৩ দিন হরতাল করে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আবেদন করেছে। সেদিন তারা বলেছে তত্ত্বাবধায়ক এছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। তবে এখন কেন তারা এতে রাজি হয় না?’ তিনি বলেন, ‘পৃথিবীতে ২০০ এর অধিক দেশ রয়েছে— গণতান্ত্রিক, অগণতান্ত্রিক কিংবা স্বৈরাচার। তবে কোনো দেশে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ১ লাখ মামলা হয়, আর ৪৫ লাখ বিরোধী দলের নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। কোথাও এমন দেখাতে পারবেন না। অস্ত্র, লগি বৈঠা দিয়ে ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করা যায়, তবে এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের মানুষের মন জয় করতে পারবে না। সরকার বন্দুকের জোরে ক্ষমতায় টিকে আছে। তবে এর মাধ্যমে তারা কোনোদিন মানুষের মন জয় করতে পারবে না। এই সরকার প্রচার করে দেশে মেগা উন্নয়ন হয়েছে। তবে দেশে মেগা দুর্নীতি করেছে তারা।’ নাগরিক কণ্ঠের আহ্বায়ক মো. রমিজ খানের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৬ আগস্ট ২০২৩
বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যখন ঘনিয়ে আসছে, দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলি সক্রিয়ভাবে তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্প্রচার করতে এবং তাদের আত্মপ্রচারের জন্য ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার এবং ইনস্টাগ্রামের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহার করছে।বর্তমানে বাংলাদেশে যেকোনে রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা এবং বিতর্ক হয়। ফেইসবুক, ইউটিউবসহ অনলাইন বিভিন্ন মাধ্যমে পাল্টাপাল্টি প্রচার প্রচারণাতেও আধিপত্য বিস্তার এখন রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে।ধারণা করা হচ্ছে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যামে পাল্টাপাল্টি অবস্থান, পরষ্পরবিরোধী প্রচারণা আরো জোরদার হবে।বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ , বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জাতীয় পার্টি (জেপি-এরশাদ), এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পেজের মাধ্যমে জনগণের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তাদের নিজ নিজ দলের জন্য সমর্থন নিশ্চিত করতে । সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে অতীতের তুলনায় উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। অধিকন্তু, এই সমাবেশগুলি এখন সামাজিক মিডিয়ার মাধ্যমে বৃহত্তর শ্রোতাদের কাছে পৌঁছাচ্ছে, অতীত থেকে বিদায় নিচ্ছে যখন এই ধরনের ইভেন্টগুলি পোস্টারের মতো ঐতিহ্যবাহী প্রচারমূলক সামগ্রীর উপর অনেক বেশি নির্ভর করে। বিভিন্ন সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যও এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলির মাধ্যমে জনগণের কাছে তাদের পথ খুঁজে পাচ্ছে।একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মনিটরিং প্ল্যাটফর্ম থেকে সংগৃহীত তথ্য, প্রকাশ করে যে বাংলাদেশের পাঁচটি প্রধান রাজনৈতিক দল গত এক মাসে রাজনৈতিক বিষয়বস্তু প্রচারের জন্য সক্রিয়ভাবে তাদের ফেসবুক পেজ ব্যবহার করছে।এই দলগুলোর মধ্যে রয়েছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জেপি, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর ফেসবুক পেজগুলো যাচাই করা হচ্ছে।বিশ্লেষণে আরও দেখা যায় যে আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজ ৩০ আগস্ট, ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যার প্রায় ৩.৩ মিলিয়ন ফলোয়ার রয়েছে। তুলনায়, ১৩ জুন, ২০১৯ এ খোলা বিএনপির ফেসবুক পেজটির প্রায় ২.১ মিলিয়ন ফলোয়ার রয়েছে।ইতিমধ্যে, ২০ জুন, ২০১৪ সালে তৈরি জামায়াত-ই-ইসলামীর ফেসবুক পেজটি প্রায় ২ মিলিয়ন অনুসরণকারীকে আকর্ষণ করেছে। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির ফেসবুক পেজ, ৬ এপ্রিল, ২০১৫ সালে চালু হয়েছে, বর্তমানে প্রায় ১৯ হাজার ফলোয়ার রয়েছে। ইউটিউবে জাতীয় পার্টির উপস্থিতি আছে বলে মনে হয় না।একটি উল্লেখযোগ্য প্রবণতা হল সমর্থকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ যারা বিভিন্ন কারণে শারীরিক পার্টি মিটিং এবং সমাবেশে যোগ দিতে পারে না। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে, তারা সরাসরি এই ঘটনাগুলি পর্যবেক্ষণ করতে পারে এবং গুরুত্বপূর্ণভাবে, রাজনৈতিক বিষয়ে তাদের নিজস্ব মতামত প্রকাশ করতে পারে।বিরোধী দল, বিশেষ করে বিএনপি ও জামায়াত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশেষভাবে সক্রিয় হয়েছে। মূলধারার মিডিয়া থেকে সীমিত কভারেজ সহ, তারা রাজনৈতিক ভিডিও, সংবাদ এবং প্রেস রিলিজ শেয়ার করার জন্য এই প্ল্যাটফর্মগুলিকে কাজে লাগাচ্ছে।উল্লেখযোগ্যভাবে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তৃতা মূলধারার মিডিয়ায় সম্প্রচারে আদালতের নিষেধাজ্ঞা তার রাজনৈতিক বার্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, প্রাথমিকভাবে ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রচারে বাধা দেয়নি। বর্তমানে লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমান এসব অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে দলীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা ও দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যাপকভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গ্রহণের জন্যও দেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ফেসবুক এবং ইউটিউব ব্যবহারকারীর জন্য দায়ী করা যেতে পারে। বাংলাদেশে আনুমানিক ৪৩.২৫ মিলিয়ন মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে, এই প্ল্যাটফর্মগুলি জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশে সরাসরি যোগাযোগের একটি লাইন প্রদান করে।অধিকন্তু, বাংলাদেশে সোশ্যাল মিডিয়ার ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার জন্য দায়ী করা যেতে পারে, আংশিকভাবে, আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার জন্য। এটি এই প্ল্যাটফর্মগুলিতে সরকার বিরোধী মনোভাব এবং সম্পর্কিত আলোচনা বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করেছে। শেখ হাসিনা সরকারের কিছু সমালোচক এমনকি সোশ্যাল মিডিয়াকে তাদের আয়ের প্রধান উৎস হিসেবে বেছে নিয়েছেন।ডাঃ মোঃ সাঈদ আল জামান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের একজন সহকারী অধ্যাপক এবং একজন ডিজিটাল মিডিয়া গবেষক, দলগুলির জন্য রাজনৈতিক যোগাযোগ জোরদার করতে এবং সম্ভাব্য ভোটারদের ক্ষমতায়নে সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকার ওপর জোর দেন৷"সামাজিক মিডিয়া এমন একটি প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে যেখানে প্রত্যেকে তাদের মতামত সরাসরি প্রকাশ করতে পারে, ঐতিহ্যগত মূলধারার মিডিয়ার সীমার বাইরে বহুমাত্রিক যোগাযোগকে উত্সাহিত করে," তিনি বলেছিলেন।ফেসবুক ছাড়াও, রাজনৈতিক দলগুলোও সক্রিয়ভাবে তাদের দর্শকদের সাথে অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হচ্ছে। টুইটারে, আওয়ামী লীগ আনুমানিক ৬ লাখ ২৮ হাজার ৩০০ ফলোয়ার সহ একটি অ্যাকাউন্ট বজায় রাখে, যেখানে বিএনপির প্রায় ৩ লাখ ১২ হাজার ফলোয়ার রয়েছে এবং জামায়াতে ইসলামীর ৮ লাখ ৩০ হাজার ফলোয়ার রয়েছে। এই দলগুলি প্রায়শই তাদের টুইটার অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন আপডেট এবং খবর পোস্ট করে।ইনস্টাগ্রামে, আওয়ামী লীগের অ্যাকাউন্টে আনুমানিক৪ লাখ ২৮ হাজার ৭০০ ফলোয়ার রয়েছে, বিএনপির ৪ লাখ ৯৩ হাজার এবং জামায়াতে ইসলামীর ১ লাখ ৯৬ হাজার ফলোয়ার রয়েছে। এই ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টগুলি ছবি এবং আপডেট শেয়ার করতে ব্যবহৃত হয়।পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, সাধারণ মানুষ এখন সরাসরি এসব রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের কর্মকাণ্ড ও মতামত প্রত্যক্ষ করতে পারে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ফেসবুক-এর পোস্টগুলি উভয়ের সমর্থন সহ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে মিথস্ক্রিয়া পায়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৬ আগস্ট ২০২৩
গণতন্ত্রের জন্য আজকে যারা মায়াকান্না কাঁদছে, তাদের রাজনীতি ষড়যন্ত্রের বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।আইভি রহমানের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সকালে বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, 'বাংলাদেশের ইতিহাস কত নির্মম! সংসদে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী...যখন এই প্রসঙ্গটি (২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা) উঠছিল, তখন বেগম জিয়া বলেছিলেন, ওনাকে আবার কে মারতে যাবে! ওনি তো ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে গিয়েছিলেন। এই উপহাসও করেছিলেন ২১ আগস্টের ঘটনার সময়। জজ মিয়া নাটক আরও নির্মম।'তিনি বলেন, 'তারা আলামত নষ্ট করে দিয়েছিল। স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড আসতে চেয়েছিল। তাদের আসার অনুমতি দেওয়া হয়নি। আজকে যে কোনো বিচারে এটা পঁচাত্তর থেকে শুরু হওয়া বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড থেকে; হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি।''গণতন্ত্রের জন্য আজকে যারা মায়াকান্না কাঁদছে, তাদের রাজনীতিটাই হচ্ছে ষড়যন্ত্র ও হত্যা। এটাই তাদের রাজনীতির মূল পরিকল্পনা,' বলেন ওবায়দুল কাদের।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ আগস্ট ২০২৩
বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদকে ‘জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান’ করা হয়েছে এবং ‘জিএম কাদেরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে’ – এমন খবরকে ‘ভুয়া’ অভিহিত করেছেন দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে তিনি এক ভিডিওবার্তায় এ দাবি করেন।এর আগে মঙ্গলবার সকালে কাজী লুৎফুল কবীর নামে এক ব্যক্তি নিজে ‘প্রেস নোট (জাপা)’ নামের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, ‘দশম জাতীয় কাউন্সিলকে সামনে রেখে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিলেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ’।এই প্রেস নোট দেখে ঢাকার বহু গণমাধ্যম সংবাদ প্রচার করে। পরে জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় বিষয়টি সঠিক নয়। রওশন এরশাদের অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে তার নাম ব্যবহার করে একটি মহল এই বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।জানা গেছে, রওশন এরশাদের নামে ইস্যু করা এই প্রেস বিজ্ঞপ্তির বিষয়টি তিনি নিজেও জানেন না। আবার কো-চেয়ারম্যান হিসেবে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তারা নিজেরাও বিষয়টি জানেন না।এ বিষয়ে মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘এটা ফেক নিউজ। যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, দলের কো-চেয়ারম্যান, তারা এ সিদ্ধান্তে কোনো সাক্ষর করেননি। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যে কেউ ইচ্ছা করলে চেয়ারম্যান হতে পারে না। কাউকে অব্যাহতি দিতেও পারে না। জাতীয় পার্টি জিএম কাদেরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছে।’তার মন্তব্য, ‘এ ধরনের কোনো ঘটনা জাতীয় পার্টিতে ঘটে নাই।’ নেতাকর্মীদের বিভ্রান্তি না হওয়ার আহ্বান জানান চুন্নু।এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এটা খুব ফালতু হয়েছে। এসব কিছু জানি না। জাতীয় পার্টি জিএম কাদেরের নেতৃত্বেই ঐক্যবদ্ধ।’এদিকে, রওশন এরশাদের নাম ব্যবহার করে প্রেস বিজ্ঞপ্তিকে ‘ষড়যন্ত্র’ আখ্যা দিয়ে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ করেছে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার দুপুরে বনানীতে দলের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের সামনের সড়কে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।Advertiseme
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ আগস্ট ২০২৩
আগামী বছর জানুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ। তবে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত পর্যবেক্ষকদের একটি তালিকা এই নির্বাচনের বৈধতার বিষয়ে নতুন করে সংশয় তৈরি করেছে।নির্বাচন কমিশন চলতি মাসে ৬৮টি পর্যবেক্ষককে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের অনুমতি দিয়ে তাদের নাম প্রকাশ করেছে অনলাইনে। তাদের (পর্যবেক্ষকদের) উপস্থিতি ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে ভূমিকা রাখার কথা। কিন্তু দেশের বিরোধী দল ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, নির্বাচনে কারচুপি হতে পারে। পর্যবেক্ষকদের এই তালিকা সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে সংশয় আরও গভীর করেছে। নিক্কেই এশিয়ার এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।স্থানীয় মিডিয়াগুলোর অনুসন্ধানে দেখা গেছে- ওই তালিকায় যেসব পর্যবেক্ষকের নাম আছে তার প্রায় অর্ধেকেরই নির্বাচন পর্যবেক্ষণের কোনো রেকর্ড নেই অথবা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাদের আছে গভীর সম্পর্ক। এটা নির্বাচনি আইনের পরিষ্কার লঙ্ঘন। এ নিয়ে বেশকিছু পর্যবেক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে নিক্কেই এশিয়া। তাতেও একই ইস্যু পাওয়া গেছে। পর্যবেক্ষকদের একটি হলো ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের একজন সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং ঢাকায় একটি ওয়ার্ড কমিটির সদস্য মিজানুর রহমানের ‘শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র’।যোগাযোগ করা হলে তিনি স্বীকার করেছেন তার সংগঠনের স্থানীয় বা জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণের কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তবে বিস্তারিত না জানিয়ে তিনি দাবি করেন, তার সংগঠনের পর্যবেক্ষক হওয়ার মতো পূর্ণ সক্ষমতা আছে।নিক্কেই এশিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বিতর্কের কথা স্বীকার করেছেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারাও। তারা বলেছেন, পর্যবেক্ষক তালিকা সংশোধন করার সুযোগ আছে। কোনো নামের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেলে তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বর্তমান নির্বাচন কমিশনে ৬ সদস্যের প্যানেলের একজন কমিশনার আনিসুর রহমান। তিনি নিক্কেইকে বলেছেন, কমিশনের ওয়েবসাইটে একটি নোটিশ পোস্ট করা হয়েছে। তাতে এমন তদন্তকে স্বাগত জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, যদি কোনো অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে তা অনুসন্ধানের পর আমরা চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করব। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলি আরাফাতও নিশ্চিত করেছেন যে, যদি নিরেট প্রমাণ দিয়ে কোনো অভিযোগ করা হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট সংগঠনকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে না নির্বাচন কমিশন। কিন্তু সমালোচকরা বলছেন, আগের নির্বাচনগুলোতে ভোট কারচুপির অভিযোগ থাকার পর এ ঘটনা কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতাকে আরও ক্ষুণ্ন করেছে। তবে তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকার অস্বীকার করেছেন। বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরা বিশ্বাস করেন, নির্বাচন কমিশন একটি দলের প্রতি পক্ষপাতী, তারা ক্ষমতাসীন দলের হয়ে কাজ করছে। সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির অন্য এমপিদের সঙ্গে জাতীয় সংসদ থেকে গত বছর শেষের দিকে পদত্যাগ করেন রুমিন ফারহানা। তিনি বলেছেন, আরেকটি লজ্জার নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার অব্যাহতভাবে ক্ষমতা ধরে রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের এই তালিকা তাই প্রমাণ করে। এরই মধ্যে আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ‘বয়লিং পয়েন্টে’ উঠে গেছে। বিএনপি ও তার মিত্ররা নিয়মিত রাজপথে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করছে। তারা নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে আসছে। আওয়ামী লীগের টানা তিন মেয়াদের প্রথম মেয়াদে ২০১১ সালে এই ধরনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইনি ধারা বাতিল করে দেয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত। বাংলাদেশের শত শত কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানির প্রধান দুটি গন্তব্য হলো যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তারা সহ বৈশ্বিক শক্তিগুলো ঢাকায় বর্তমান সরকারের অধীনে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সম্ভাব্যতা নিয়ে বার বার সংশয় প্রকাশ করছে। এই বছর যুক্তরাষ্ট্র একটি কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তারা বলেছে, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনকে যারাই বাধাগ্রস্ত করবে, তাদের বিরুদ্ধে ভিসায় নিষেধাজ্ঞা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু আভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক চাপ থাকা সত্ত্বেও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃস্থাপনের দাবি প্রত্যাখ্যান করছে শেখ হাসিনার সরকার। পক্ষান্তরে তারা বলছে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে তারা নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করেছে। ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটির রিসার্চ ফেলো মুবাশ্বার হাসানও বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সন্দিহান। তিনি বলেন, ভুয়া পর্যবেক্ষক ব্যবহার করা হচ্ছে- কর্তৃত্ববাদী শাসকগোষ্ঠীর একটি সাধারণ কৌশল। তিনি বাংলাদেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের বর্তমান তালিকাকে এমন একটি চিহ্ন হিসেবে আখ্যায়িত করেন, যা বলে দেয় কমিশন অবাধ ও পক্ষপাতিত্বহীন নয়। আওয়ামী লীগ সম্ভবত এমন একটি নির্বাচন করার পরিকল্পনা করছে, যা এসব পক্ষপাতী পক্ষবেক্ষকরা অনুমোদন দেবে।যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেটস ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর ড. আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বার বার দেওয়া ন্যায্যতার প্রতিশ্রুতি যদি সত্য হয়, তাহলে তাদেরকে আইন লঙ্ঘন করা বা কিছু পর্যবেক্ষক সংগঠনকে বেছে নেওয়ার প্রয়োজন হবে না। অন্য সব পদক্ষেপের সঙ্গে এই ঘটনাটি (পর্যবেক্ষক বাছাই) এমন একটি ইঙ্গিত যে, বর্তমান পরিস্থিতির অধীনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, যেখানে ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে- সরকার বা নির্বাচন কমিশনের লক্ষ্য তেমন নয়। ২০১৮ সালে নির্বাচনের সময় কমিশন বিদেশি পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানিয়েছিল। তবে তারা সেইসব পর্যবেক্ষক, যাদের কোনো অভিজ্ঞতা নেই বলে স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে। ওইসব পর্যবেক্ষক নির্বাচনের ফলকে অবাধ ও সুষ্ঠু বলে সাফাই গেয়েছে। কিন্তু ওয়াশিংটন পোস্ট ওই নির্বাচনকে তুলনা করেছে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে। ওই নির্বাচনে শতকরা ৯৬ ভাগ জয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগ। ওয়াশিংটন পোস্ট বলেছে, এমন ঘটনা প্রত্যাশা করা যায় উত্তর কোরিয়ায়। বাংলাদেশের সুপরিচিত একটি নির্বাচনী গ্রুপ হিসেবে পরিচিত জানিপপ। এর প্রেসিডেন্ট ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ। তিনি বলেছেন, ২০১৮ সালে যেসব পর্যবেক্ষক এসেছিলেন তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষকের বদলে ছিলেন ‘ইলেকশন ট্যুরিস্ট’। নির্বাচন পর্যবেক্ষক হতে হলে আপনার কিছু বৈশিষ্ট্য এবং ট্র্যাক রেকর্ড থাকতে হয়। স্পষ্টতই তাদের তা ছিল না। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ অধ্যায়ের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেছেন, ২০১৮ সালের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত বর্তমান নির্বাচন কমিশনের। বর্তমান যে আইন আছে তাতে কমিশনকে প্রচুর কর্তৃত্ব দিয়েছে। তারা নিরপেক্ষ এবং পক্ষপাতিত্বহীন পর্যবেক্ষক বাছাই করতে পারে, যাদের কোনো স্বার্থ নেই। এটা করতে ব্যর্থ হওয়া শুধু নির্বাচন পর্যবেক্ষণকে নিয়ে উপহাসই করা হবে না, কমিশন এরই মধ্যে যে বিশ্বাসযোগ্যতার সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে, তা আরও গভীর ও প্রশস্ত হবে।সূত্র- যুগান্তর
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ আগস্ট ২০২৩
যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই অঙ্গরাজ্যের মাউই দ্বীপে ভয়াবহ দাবানলের ঘটনায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও প্রাণহানিতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি এ ঘটনায় শোক জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চিঠি দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে পাঠানো চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘হাওয়াই অঙ্গরাজ্যের মাউই দ্বীপের সর্বত্র ভয়াবহ দাবানলের কারণে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও প্রাণহানির খবরে আমি গভীরভাবে শোকাহত।’প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে আমি এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে নিহত ও আহত ব্যক্তিদের পরিবার এবং এতে ক্ষতিগ্রস্ত সবার প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ও জনগণের পাশে আছে এবং উদ্ধারকাজে নিয়োজিত সম্মুখসারির যোদ্ধাসহ সবার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছে।প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এই মর্মান্তিক ঘটনায় যাঁরা তাঁদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি রইল আমাদের সমবেদনা।’এর আগে মাউই দ্বীপে দাবানলে ব্যাপক প্রাণহানি ও ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনায় শোক প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে চিঠি দেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ আগস্ট ২০২৩
মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি, নানা ধরনের মামলা-মোকদ্দমা এবং দল পরিচালনায় অযোগ্যতা ও অসাংগঠনিক আচরণের কারণে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদপন্থিরা। একই সঙ্গে রওশন এরশাদকে জাতীয় পার্টির নতুন চেয়ারম্যান করার কথা জানানো হয়েছে।মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) রওশন এরশাদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।এতে বলা হয়, জাতীয় পার্টির একাংশের মেয়াদোত্তীর্ণ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। দশম জাতীয় কাউন্সিলকে সামনে রেখে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিলেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ।জাতীয় পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠ কো-চেয়ারম্যানদের পূর্বে নেওয়া সিদ্ধান্ত মঙ্গলবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেন বেগম রওশন এরশাদ। সে অনুযায়ী আসন্ন দশম জাতীয় সম্মেলন পর্যন্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।এর আগে জাতীয় পার্টির অধিকাংশ প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্যের মতামত এবং চারজন কো-চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে পার্টির চলমান ক্রান্তিকাল মোকাবিলায় দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদকে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।গত বছরের ৭ ডিসেম্বরের এক সভার কার্যবিবরণীতে দেখা যায়, মামলা-মোকদ্দমায় জাতীয় পার্টির চলমান অচল অবস্থা নিরসনে পার্টির চারজন কো-চেয়ারম্যান ও দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্য দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদকে সংকট উত্তরণে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। এতে তাদের স্বাক্ষর রয়েছে।এর পরিপ্রেক্ষিতে পার্টির চার কো-চেয়ারম্যান ও দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রধান পৃষ্ঠপোষককে ক্রান্তিকাল মোকাবিলায় অস্থায়ী ভিত্তিতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব অর্পণ করেন। উল্লেখিত কো-চেয়ারম্যানরা হলেন- এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, অ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম। আর প্রেসিডিয়াম সদস্যরা হলেন- আলহাজ শফিকুল ইসলাম সেন্টু ও ডা. নাছরিন জাহান রত্নী। যা আজ মঙ্গলবার রওশন এরশাদ গ্রহণ করেছেন।জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘আমি কখনো রওশন এরশাদকে দলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিতে অনুরোধ করিনি। এক বছর, দুই বছর আগের কোনো স্বাক্ষরকে কেন্দ্র করে এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানোর সুযোগ নেই।’তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন জিএম কাদেরপন্থি একাধিক নেতা। জিএম কাদেরের প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী বিষয়টি সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে জানান। তিনি বলেন, মিটিং কোথায় হয়েছে? কারা উপস্থিত ছিলেন? এটা রওশনপন্থিরা বলতে পারবেন। এ বিষয়ে রওশনপন্থি নেতা ইকবাল হোসেন রাজুও কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ আগস্ট ২০২৩
একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার তদন্ত ও বিচার পুরোটাই আওয়ামী লীগ সরকারের ‘সাজানো নাটক’ বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মামলাটির সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি অভিযোগ করে তিনি দাবি করেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের যাদের সাজা হয়েছে, তারা সবাই নির্দোষ। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাদের ফাঁসানো হয়েছে।গ্রেনেড হামলার ঘটনা নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের দিয়ে সুষ্ঠুভাবে তদন্তের দাবিও জানান তিনি। সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।এর আগে সেখানে দলটির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি নির্ধারণে যৌথ সভা হয়। মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে সভায় দলের সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব, যুগ্মমহাসচিব, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিও তুলে ধরা হয়।২১ আগস্টের ঘটনাকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে অন্যতম জঘন্য ঘটনা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বারবার বলে এসেছি-একটা নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত হোক। কিন্তু নিরপেক্ষ তদন্ত করা হয়নি। ২১ আগস্টের ঘটনাকে আমরা নিন্দা করি। এটা নিশ্চিতভাবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে অন্যতম জঘন্য একটি ঘটনা ও নিন্দনীয়। শুধু রাজনৈতিক কারণে অযথা নেতাদের নাম দিয়ে রাজনৈতিক ফয়দা লোটা হচ্ছে। এটা কেউ সমর্থন করতে পারে না। তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি, পুরো বিষয়টি একটি সাজানো নাটক। কারণ, যেখানে মিটিং (২০০৪ সালের ২১ আগস্ট) হওয়ার কথা ছিল, সেখানে মিটিং না হয়ে অন্য জায়গায় শিফট করা হয়েছিল। কিন্তু ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে অবহিত করা হয়নি।বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তিনবার এফআইআর হয়েছে। এফআইআরে একবারও তারেক রহমানের নাম ছিল না। এক ব্যক্তি, যিনি অবসর গ্রহণ করেছিলেন-কাহার আকন্দ, যিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন, তাকে পুনরায় চাকরি দিয়ে আইও করা হয়। সেই লোক তখন তারেক রহমানের নাম সেখানে দিলেন। তারেক রহমানের নাম পুরো তদন্তের কোথাও উচ্চারিত হয়নি।’১৪৫ দিন রিমান্ডে নেওয়ার পর মুফতি হান্নানকে দিয়ে তারেক রহমানের নাম উচ্চারণ করানো হলো। তবে পরে আবার অ্যাফিডেভিট (হলফনামা) দিয়ে তিনি তা অস্বীকারও করেছিলেন। কিন্তু তা আমলে নেওয়া হয়নি।তড়িঘড়ি করে অন্য একটি মামলায় তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে, তাকে আর আদালতে আসার সুযোগই দেওয়া হয়নি। এটাকে আমরা কী বলব? তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কোনো সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্ত ছাড়াই তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতাদের নাম এখানে জড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, আমার কাছে রেকর্ড আছে-সময় পেলে আপনাদের দেখাব।আমরা আবারও বলছি, তারেক রহমান, আবদুস সালাম পিন্টু এবং লুৎফুজ্জামান বাবর-কেউই এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাদের নাম এ মামলায় দেওয়া হয়েছে।মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকার দেশে ভয়াবহ কিছু ঘটানোর পরিকল্পনা করছে। এ আশঙ্কার কথা বলা দরকার, জাতির জানা উচিত। সরকার দেশে ভয়াবহ কিছু ঘটানোর পরিকল্পনা করছে-যাতে নির্বাচনে বিরোধী দলকে সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিহ্ন করা যায়। তারা আরেকটি নির্বাচন করতে চায়, যেমন অতীতে করেছে।রোববার ছাত্রদল নেতাদের গ্রেফতারের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, অস্ত্রসহ তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এগুলো (অস্ত্র) তাদের (আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর) রেখে দেওয়া অস্ত্র। অর্থাৎ, তাদের উদ্দেশ্য হলো-এগুলো করবে, গোলযোগ সৃষ্টি করবে আর বিএনপির ওপর দোষ চাপাবে।মির্জা ফখরুল বলেন, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে এসেছে, ১ লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকা খেলাপি হয়ে গেছে। মেগা প্রকল্প, রেল প্রকল্প, ফ্লাইওভার-এগুলো কার জন্য? জনগণের পকেট কেটে নিজেদের পকেট ভরার জন্য। ৮০ পারসেন্ট চুরি করে, ২০ পারসেন্টে কোনো রকমে কাজ করে।আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা এখনো রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হইনি। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করি। তাদের নিয়েই আমরা আছি। আজ দেশের মানুষ নির্বাচন চায়। সেই বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে এ ধরনের কথাবার্তা হচ্ছে। কিন্তু এ বিষয়ে আমেরিকার কেউ স্বীকার করেননি।ভারতেরও কেউ স্বীকার করেননি।’ তিনি আরও বলেন, আজ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫২ বছরে আমরা সবচেয়ে বেশি সংকটে পড়েছি। এ সরকার দেশের মানুষের আকাক্সক্ষা ধ্বংস করেছে। প্রশাসনসহ সবকিছু ধ্বংস করেছে। একটি কোম্পানি ১১ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে। সরকারের কোনো মাথাব্যথা নেই। কারণ, তাদের নিজেদের লক্ষ্য সেটা।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ আগস্ট ২০২৩
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাজশাহী মহানগর শাখার (শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক) তারিকুল ইসলামকে। শনিবার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে,সংগঠন বিরোধি কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে তরিকুল ইসলাম (শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাজশাহী মহানগর শাখা) কে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ী বহিস্কার করা হলো।মহানগরের এক নেতা জানায়, মহানগরের হাইব্রিড নেতা তরিকুলকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করায় আমরা খুবই আনন্দিত। ছাত্রদল থেকে অনুপ্রবেশকারী এই নেতা মাদক ও অস্ত্র মামলা সহ মোট ১৩টি মামলার আসামী। ছাত্রলীগের আদর্শ ও নীতি নৈতিকার বিরোধী কার্যকলাপ যাদের মধ্যে রয়েছে তাদের ছাত্রলীগ করার কোন অধিকার নেই। শুধু বহিস্কার নয় প্রশাসনের কাছে অনুরোধ এই সকল সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি জরুরী।ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে সহানুভূতিশীল কেউ ছাত্রলীগ করতে পারবে না, এটা পরিষ্কার। সারা দেশে সাংগঠনিক ইউনিটগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে এ ধরনের কাউকে পেলে ত্বরিত বহিষ্কার করতে হবে।ছাত্রলীগের নেতারা এমন কার্যক্রমে জড়িত এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন কে প্রশ্ন করলে সে বলেন ছাত্রলীগে কিছু সুবিধাবাদী প্রবেশ করেছে। এই সুবিধাবাদীরাই নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়ে সংগঠনের বদনাম করছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ আগস্ট ২০২৩
আগামী নির্বাচনে ব্যবহার করার জন্য সরকার পেনশন স্কিমের নামে টাকা চুরির নতুন ফন্দি করেছে বলে দাবি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের।তিনি বলেন, কিছু নাই, দেশটাকে ফোকলা বানিয়েছে সরকার। এখন আবার আরেকটা নতুন কায়দা বের করেছে- পেনশন স্কিম। টাকা চুরির আরেকটা নতুন ফন্দি। কিন্তু মানুষ এবার তা হতে দেবে না।শুক্রবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর দয়াগঞ্জে সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে গণমিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।সরকারকে উদ্দেশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ভয়ে মুখ শুকিয়ে গিয়েছে। টেলিভিশনে দেখবেন, এখন মুখে হাসি নাই। চকচকা কাপড় কম পড়েন। যারা-যারা বিদেশে বাড়ি-ঘর তৈরি করেছিল সেটা কীভাবে রক্ষা করবে সেই চিন্তায় আছে।তিনি আরও বলেন, আজকে সারা দেশে এমন একটা অবস্থা তৈরি হয়েছে, দেখে মনে হবে সারাদেশটা একটা কারাগার।মির্জা ফখরুল বলেন, অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার দাবি করে-সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন হবে। কোন সংবিধান? এটা বৈধ সংবিধান না। বৈধ সংবিধান তো অনেক আগে আওয়ামী লীগ নিজেরাই কেটে-ছিঁড়ে শেষ করে দিয়েছে।তিনি আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে নতুন ভিসা নীতি করেছে। তারা বলেছে, যারা-যারা অবৈধভাবে সম্পদ গড়েছে, যারা নির্বাচনে ভোট দিতে বাধা দেবে তাদেরকে ভিসা দেওয়া হবে না।বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের পুলিশ ভাইয়েরা, কথায়-কথায় রাতের অন্ধকারে বিনা কারণে ছেলেদের গ্রেপ্তার করেন। আপনাদের ৯ জন বড় অফিসার এখন আমেরিকা যেতে পারেন না। সেখানে যে সম্পদ তৈরি করেছিল সেইগুলোর কি হবে সেই চিন্তায় ঘুম হয় না। আমরা পরিষ্কার করে বলি, পুলিশের সাধারণ কর্মকর্তা তারা কখনো চুরির সঙ্গে জড়িত না। চুরি করে বড়রা।সরকারের অবস্থা এখন আরও খারাপ বলে মন্তব্য করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আমেরিকার মানবাধিকার সংস্থাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের সরকারকে বলতে শুরু করেছে- বাংলাদেশের ওপর একটা শুনানি হোক। তারা বলছে- বাংলাদেশে বিরোধী দলগুলোর ওপর অত্যাচার-নির্যাতন হচ্ছে, নেতাকর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে। নির্বাচনে বিরোধী দলগুলোকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তাই সরকারের ওপর আবার নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হোক।সরকার পালানোর পথ খুঁজে পাবে না বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, কোনো দিকে পথ নেই। উত্তরে পর্বতমালা, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর। কোন দিকে যাবে, পালানোর কোনো পথ নেই।হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসনকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে আবারও দাবি জানান মির্জা ফখরুল।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ আগস্ট ২০২৩
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায়। আর বিএনপি চায় নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে। বিএনপি সন্ত্রাসী দল, তারা গণতন্ত্রের নামে ফ্যাসিবাদী তৎপরতা চালাচ্ছে। তাই নিষেধাজ্ঞা আর ভিসানীতি কার ওপর প্রয়োগ হয় তাই দেখা হবে।’শুক্রবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতাসহ ১৫ আগস্টের শহীদদের স্মরণে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।বিদেশিদের উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের শীর্ষ এই নেতা বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ নির্বাচন যারা চায় না, অগ্নি সন্ত্রাস করবে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা বা ভিসা নীতি প্রয়োগ হয় কিনা—দেখতে আমরাও অপেক্ষায় আছি।’ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ কাকে বলে তার জ্বলন্ত প্রমাণ বিএনপি। তারা ফ্যাসিবাদ করেছে; আর শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে শৃংখলমুক্ত করেছে। বিএনপি গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে, অর্থ পাচার করেছে, গণতন্ত্রকে হত্যা করে ভোট চুরির রাজনীতি শুরু করেছে। বিএনপি গণতন্ত্রের নামের লেবাসধারী ফ্যাসিস্ট। তারাই আন্তর্জাতিক মহলে সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত, তাদের বিরুদ্ধেই আমাদের যুদ্ধ।’তিনি বলেন, ‘পলাশীর বেঈমান সেনাপতি ইয়ার লতিফ আর পচাত্তরে জিয়া।’ শেখ হাসিনা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কারো হুমকিতে ভয় পায় না বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এই বাংলাদেশ যতদিন থাকবে, ততদিন বঙ্গবন্ধুর নাম থাকবে। বাংলাদেশ গত ১৫ বছরে স্বল্প উন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করেছে।’ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাবি ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ আগস্ট ২০২৩
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে রাজবাড়ীর আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৬ আগস্ট) রাজবাড়ীর ১ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক সুমন হোসেন এ আদেশ দেন।এর আগে ২০২১ সালের ২৩ নভেম্বর রাজবাড়ীর ১ নম্বর আমলি আদালতে মামলাটি করেন মানবিক বাংলাদেশ সোসাইটি নামে সংগঠনের রাজবাড়ী পৌর কমিটির সভাপতি শশী আক্তার। তিনি পেশায় ছাত্রী। তার বাড়ি শহরের পুলিশ লাইন্স এলাকায়।আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার প্রেক্ষিতে আদালতের বিচারক বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আদেশ দেন। সম্প্রতি পিবিআই তদন্ত শেষে সত্যতা পাওয়া গেছে মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে।বাদীপক্ষের আইনজীবী শেখ মো. মেহেদী হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধুকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে বক্তব্য দিয়েছেন বিবাদী। তিনি বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে ইতিহাস বিকৃত করেছেন। বিবাদী মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের সংখ্যা নিয়েও বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন। এতে সমাজে দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এসব কারণে বাদী গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলা নম্বর ৭৭২/২০২১। পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আদালতের বিচারক সুমন হোসেন গাজীপুরের সাবেক মেয়রের বিরুদ্ধে ৫০০/৫০৪ ধারায় অভিযোগ আমলে নিয়ে আগামী ২৫ অক্টোবর রাজবাড়ী আদালতে সশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।উল্লেখ্য, ২০২১ সালে গোপনে ধারণ করা জাহাঙ্গীর আলমের কথোপকথনের একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জেলার কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করা হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি এবং দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ আগস্ট ২০২৩
কেরানীগঞ্জের শাক্তা ইউনিয়নে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালন করা হয়েছে।গতকাল ১৫ ই আগস্ট মঙ্গলবার কেরানীগঞ্জ উপজেলার শাক্তা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে সকাল ১১ টায় ভিলেজ এডুকেশন রিসোর্স সেন্টার -ভার্ক (সিংগাইর এরিয়া,রুহিতপুর শাখার ) এর আয়োজনে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২৩ উপলক্ষে সদস্যদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন -ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য -জনাব আবুল হোসেন খান মুকুল। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ৮ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি-কামরুল হাসান জিন্না ও ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বার-আব্দুর রহিম খান ।অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন অত্র শাখার ব্যবস্থাপক -মোঃ মজিদুর রহমান ,শাখা ব্যবস্থাপক (ইর্ন্টান)-প্রদীপ সাহা ও শরীফ আহমেদ( সিনিয়র প্রোগ্রাম অর্গানাইজার)।উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আবুল হোসেন মুকুল এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন -'এমন আয়োজনে পরিবেশ ও সমাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে'। স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চারা বিতরণ ও মিলাদ মাহফিল আয়োজন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন সংগঠনটির অত্র শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ মজিদুর রহমান মহান।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ আগস্ট ২০২৩