রাজনীতি


আ.লীগ ভিসানীতি ও নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করে না : ওবায়দুল কাদের

আ.লীগ ভিসানীতি ও নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করে না : ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভিসানীতি ও নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করে না আওয়ামী লীগ। তিনি আজ সন্ধ্যায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ভিসানীতি, নিষেধাজ্ঞা হলে ক্ষতিটা তাদেরই যারা নির্বাচনে বাধা ও প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। ভিসানীতি বাস্তবায়নের বাস্তবতাটা কি সেটা দেখার বিষয়।আওয়ামী লীগ চায় অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার বার এ নিয়ে জনগণের কাছে অঙ্গীকার করেছেন। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ভোট দিবে দেশের জনগণ। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে। বিদেশিদের পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়টি তাদের ব্যাপার। এখানে পর্যবেক্ষক পাঠানোর নিযম আছে। ভিয়েনা কনভেনশন আছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গনতন্ত্রকে সুরক্ষিত করতে ক্ষমতার মঞ্চে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া বিএনপির নির্বাচন হতে দিবে না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির ইচ্ছাতেই কি নির্বাচন হবে? বিএনপি নির্বাচন চায় না। তারা যদি নির্বাচন বয়কট করতে চায় করবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ চায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন। বিএনপির নির্বাচনে আসাটা তাদের অধিকার। তবে নির্বাচনে না এসে নির্বাচন বিরোধী যেকোন ষড়যন্ত্র করলে জনগন তা প্রতিরোধ করবে। সেতুমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়কের কোন যুক্তিকতা নেই। উচ্চ আদালত এটা বাতিল করে দিয়েছে। বিএনপি উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রাখেন তারা কেন সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে? সারা বিশ্বে গনতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও সেভাবে হবে।অক্টোবরে বিএনপির মরণ কামড় প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মরন কামড় দিতে গিয়ে বিএনপিই মরে ভূত হয়ে যাবে।সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুই সেলফিতে রাজনীতির সব ফয়সালা হয়ে গেছে। দুই সেলফিতে বিএনপির রাতের ঘুম শেষ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩


যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার বিধিনিষেধের জন্য সরকার এককভাবে দায়ী- ফখরুল

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার বিধিনিষেধের জন্য সরকার এককভাবে দায়ী- ফখরুল

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার বিধিনিষেধ আরোপ শুরু করার ঘটনাকে বাংলাদেশের জন্য ‘অপমানজনক ও লজ্জাজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি এ জন্য সরকারকে এককভাবে দায়ী করেছেন।মির্জা ফখরুল ইসলাম আজ শনিবার বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার এখন বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে।এমন বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকার নির্বাচনব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে। বিরোধী দলের নেতা–কর্মীদের নির্যাতন, গ্রপ্তার করা হচ্ছে। এসব কারণে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ থেকে নানা রকম পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে।’বাংলাদেশের নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে গত ২৪ মে। এই ঘোষণার চার মাসের মাথায় গতকাল দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়, গণতান্ত্রিক নির্বাচনপ্রক্রিয়াকে বাধাদানে দায়ী ও জড়িত ব্যক্তিদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এসব ব্যক্তির মধ্যে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ও বিরোধী দলের সদস্যও রয়েছেন।বিরোধী দলের সদস্যদের ব্যাপারেও যুক্তরাষ্ট্র ভিসা বিধিনিষেধের যে কথা বলেছে, এ নিয়ে বিএনপি চিন্তিত নয় বলে বিএনপি নেতারা বলছেন। এর কারণ হিসেবে তারা বলেন, সরকারের কারণেই এ ধরনের পরিস্থিতি হয়েছে। ফলে ক্ষমতাসীনদের জন্যই এটি চিন্তার বিষয়।বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫২ বছর পর এসে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বিধিনিষেধ এসেছে। এটি আমাদের দেশের জন্য প্রাপ্য নয়। তিনি উল্লেখ করেন, এ জন্য বিএনপিসহ বিরোদী রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো দায় নেই, এককভাবে সরকারই দায়ী।’তবে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপকে বিএনপি ইতিবাচক হিসবে দেখছে, মির্জা ফখরুল ইসলামের কথায় তা মনে হয়। তিনি বলেন, বাইডেন প্রশাসন বিশ্বে গণতন্ত্রের কথা বলছে। এর অংশ হিসেবে তারা বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পক্ষে পদক্ষেপ নিয়েছে। তারা তাদের দায়িত্ব পালন করেছে।যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপে বাংলাদেশে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে—এমনটা বিএনপি মনে করছে কি না, এ প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের ভিসা নীতি দিয়েছে। কিন্তু সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করার পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সরকারের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন এখনো হয়নি। আসলে এখন সরকার কী করবে, সেটা তাদের ওপর নির্ভর করছে। আর আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখব।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩


'খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে'

'খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে'

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে আমার কাছে কোনো আবেদন আসেনি। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে। এরপর আমাদের কাছে মতামত চাওয়া হবে।শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, খালেদা জিয়া দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি হয়েও এখন যে মুক্ত হয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভালো চিকিৎসা পাচ্ছেন সেটাও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদান্যতা আর মহানুভবতায়। শনিবার কসবার একাধিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিনি মহানগর এক্সপ্রেসে করে আখাউড়ায় আসেন। সেখান থেকে তিনি সড়ক পথে কসবায় যান।বিএনপির হরতাল কর্মসূচির হুঙ্কার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কেউ আইন ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম সারওয়ার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন, আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল, পৌর যুবলীগের সভাপতি মনির খান, ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন বেগ শাপলু প্রমুখ।বিকেলে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন থেকে আন্তঃনগর মহানগর গোধূলী এক্সপ্রেস ট্রেনে করে ঢাকায় ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে আইনমন্ত্রী।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩


রাজনীতি থেকে খালেদা জিয়াকে বিএনপি'ই মাইনাস করে দিয়েছে : তাপস

রাজনীতি থেকে খালেদা জিয়াকে বিএনপি'ই মাইনাস করে দিয়েছে : তাপস

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ‘বিএনপির নেতারাই খালেদা জিয়াকে মাইনাস করে দিয়েছেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তাঁরা এসেছিলেন। তখন আর নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের কথা বলেননি। তখন আর খালেদা জিয়ার মুক্তির কথা বলেননি। এখনো বলেন না। খালেদা জিয়াকে তাঁরা ভুলে গেছেন।’ বুধবার দুপুরে রাজধানীর দক্ষিণ বনশ্রী এলাকায় ‘২ নম্বর ওয়ার্ডের উন্নয়ন উৎসব’–এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তাপস এসব কথা বলেন।বিএনপির আর খালেদা জিয়ার দরকার নেই উল্লেখ করে তাপস বলেন, ‘তারা এখন নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের কথা বলে। কিন্তু একসময় তারাই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার মানেনি। তারা একেক সময় একেক কথা বলে। তারা এখন বলে, আমরা নাকি পাঁচটি আসনও পাব না। অথচ ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা সর্বসাকল্য ৮টি আসন পেয়েছিল। ১০টি আসনও জুটে নাই। সুতরাং, এসব কথা বলে বাঙালিকে আর বিভ্রান্ত করা যাবে না।’যারা তিনবার ক্ষমতায় থেকেও কোনো উন্নয়ন করতে পারেনি, তারাই আজ কোনো উন্নয়ন দেখতে পায় না উল্লেখ করে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আজকে অনেকেই অনেক কথা বলেন। আজকে তাদের চোখে উন্নয়ন দেখা যায় না। যারা জীবনে উন্নয়ন করেনি, উন্নয়ন করতে পারেনি, তারা কীভাবে উন্নয়ন দেখবে? যারা উন্নয়ন করে, উন্নয়ন করতে পারে তারাই উন্নয়ন দেখবে। সাধারণ জনগণ—যারা উন্নয়ন চায়, তারা দেশের উন্নয়ন প্রত্যাশা করে। জননেত্রী শেখ হাসিনা সে প্রত্যাশা পূরণ করছেন। মেয়র তাপস আরও বলেন, তারা বিদ্যুৎ দিতে পারেনি। তারা মেট্রোরেল দিতে পারেনি, পদ্মা সেতু দিতে পারেনি। সুতরাং, তারা উন্নয়ন চোখে দেখতে পাবে না। তারা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেল, মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট চিন্তাও করতে পারে না। মাতারবাড়ী (গভীর সমুদ্রবন্দর, বিদ্যুৎকেন্দ্র), রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র—এসব তাদের কল্পনায়ও আসে না। তারা শুধু চিন্তা করে নিজেদের উন্নয়ন, নিজেদের পেট ভরা। আর বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা। সুতরাং, তাদের চোখে কোনো দিন উন্নয়ন দেখা যাবে না। উন্নয়ন দেখতে হলে সাধারণ মানুষের চোখ দিয়ে উন্নয়ন দেখতে হবে। ২০০৮ সালে চারদলীয় জোটের অপকর্ম, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জনগণ রায় দিয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, একসময় তারা বলেছিল, ‘আওয়ামী লীগ ১০০ বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না। আজ তারা কান্দে। এখন ভাবে, ১০০ বছরেও বুঝি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে নামানো যাবে না।’ তারা বলেছিল, আওয়ামী লীগ ৩০টি আসনও পাবে না। ২০০৮ সালে বাঙালি জাতি তাদের দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ, অপকর্মের বিরুদ্ধে শিক্ষা দিয়ে তাদের আসন দিয়েছিল মাত্র ২৯টি। ৩০টি আসনও তারা পায়নি।ভরাডুবির আশঙ্কায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট নির্বাচনে আসতে চায় না মন্তব্য করে তাপস বলেন, এবার তারা যদি নির্বাচনে না আসে—তার মানে হলো, তারা বুঝে গেছে যে নির্বাচনে আসলে তারা শূন্য আসন পাবে। সে জন্য নির্বাচনে আসতে চায় না। যেটা তারা ২০১৪ সালে করেছিল। আগুনে পুড়ে মানুষ মেরেছিল। সে জন্য ২০১৪ সালে লজ্জায় আর নির্বাচনে আসেনি।অনুষ্ঠানে ডিএসসিসি মেয়র ২ নম্বর ওয়ার্ডে গত ৩ বছরে প্রায় ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে গোড়ান খেলার মাঠ প্রতিষ্ঠা, এসটিএস নির্মাণ, রাস্তাঘাটসহ নানাবিধ উন্নয়ন করা হয়েছে বলে জানান। এ সময় ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মকছুদ হোসেন, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর ফারজানা ইয়াসমিন বিপ্লবীসহ অনেকেই বক্তব্য দেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩


বিপুল সংখ্যাক পীর মাশায়েখগণের তরিকত ফেডারেশনে যোগদান

বিপুল সংখ্যাক পীর মাশায়েখগণের তরিকত ফেডারেশনে যোগদান

আজ ২০ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকাল ৩ টায় নগরীর একটি রেস্টেুরেন্টে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাদা সৈয়দ তৈয়বুল বশর মাইজভান্ডারীর হাতে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে চট্টগ্রামের বিপুল সংখ্যক দরবারের পীর মাশায়েখ ও আওলাদগণ তরিকত ফেডারেশনে যোগদান করেন।যোগদান অনুষ্ঠান উপলক্ষে এক মত বিনিময় সভা সৈয়দ আরাফাতুল হক হাফেজ নগরীর সভাপতিত্বে ও শাহাজাদা মুফতী সৈয়দ মাঈনুল ইসলাম জুনায়েদ ও শাহাজাদা মুফতী সৈয়দ আবুল মুজতবা হুজ্জাতুল মোবাল্লিগ সুলতানপুরীর যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আলহাজ্ব তৈয়বুল বশর মাইজভান্ডারী। প্রধান বক্তা ছিলেন শাহাসূফি ডা. সৈয়দ আবু দাউদ মসনবী হায়দার। বক্তব্য রাখেন আলহাজ্ব কাজী মোরশেদ কাদেরী, শাহাজাদা রেজাউল করিম ইয়াকুবী, শাহাজাদা গোলাম ফারুক, শাহাজাদা সৈয়দ মোকাম্মেল শাহ ফরহাদাবাদী, শাহাজাদা মুফতি সৈয়দ বোরহান উদ্দিন হাফেজ নগরী, পীরে তরিকত তাজুল ইসলাম রেজভী সুন্নি আল কাদেরী, শাহাজাদা সৈয়দ মুশকিলকোসা আমিরী, শাহাজাদা আলহাজ্ব আবদুল হালিম শাহ, শাহাজাদা সৈয়দ মোকাররম আমিরী, শাহাজাদা সৈয়দ মোস্তানজিদ হাসেমী, আলহাজ্ব আলমগীর আলম, মনসুর আলম ভান্ডারী প্রমূখ।এতে চট্টলার ঐতিহ্যবাহী দরবার বিশেষ করে ফরহাদাবাদ দরবার শরিফ, পটিয়া আমির ভান্ডার, সাতগাছিয়া দরবার শরিফ, হাফেজ নগর দরবার শরিফ, পটিয়া ইয়াকুব ভান্ডার দরবাব শরিফ, চন্দনাইশ কাঞ্চন নগর রহমানিয়া দরবার শরিফ, রহিমিয়া হাসেমীয়া দরবার শরিফ, খায়ের ভান্ডার দরবার শরিফ, রেজভিয়া খানেকা দরবার শরিফ, শুকছড়ি চিস্তিয়া দরবার শরিফ, নালন্ধা দরবার শরিফ থেকে আগত বিপুল সংখ্যক পীর মশায়েখ ও আওলাদেপাক বৃন্দ বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের সাথে একাত্বতা পোষন করে তাদের নিজস্ব অনুভূতি প্রকাশ করেন। সভা শেষে দেশ ও জাতির বৃহত্তর কল্যাণে মুনাজাত পারচালনা করেন শাহজাদা সৈয়দ তৈয়বুল বশর মাইজভান্ডারী।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩


ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আ.লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ বহিষ্কার

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আ.লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ বহিষ্কার

শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংগঠনের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী।তিনি বলেন, ‘রিয়াজের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ উঠেছে। এর ভিত্তিতে কেন্দ্রের নির্দেশে আমরা তাকে পদ থেকে বহিষ্কার করেছি। সাংগঠনিকভাবে তদন্ত করা হচ্ছে।’ রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শেরেবাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয়ের (নারী শিক্ষা মন্দির) শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠে বিদ্যালয়টির সভাপতি ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এরইমধ্যে তিনি শেরেবাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয়ের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। গত ১৫ সেপ্টেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকার এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকা মহানগরীর সূত্রাপুর থানাধীন শেরেবাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির বর্তমান সভাপতি মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন পদত্যাগ করায় অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য সভাপতি হিসেবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (শিক্ষা ও আইসিটি) মনোনয়ন দেওয়া হলো।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩


ঢাকা ও ঢাকার বাইরে টানা কর্মসূচি ঘোষণা আওয়ামী লীগের

ঢাকা ও ঢাকার বাইরে টানা কর্মসূচি ঘোষণা আওয়ামী লীগের

ঢাকা ও ঢাকার বাইরে টানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। দলীয় নেতা-কর্মীদের সজাগ থেকে এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে বলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সভা শেষে এই কর্মসূচির কথা জানানো হয়। আজ ধানমন্ডিতে দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভা হয়।সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। ব্রিফ্রিংয়ে কর্মসূচির কথা জানানো হয়। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, ২৩ সেপ্টেম্বর দুপুর আড়াইটায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সমাবেশ হবে।২৫ সেপ্টেম্বর বেলা আড়াইটায় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ উত্তরায়, দক্ষিণ আওয়ামী লীগ যাত্রাবাড়ীতে সমাবেশ করবে।২৭ সেপ্টেম্বর বেলা আড়াইটায় টঙ্গীতে সমাবেশ করবে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ। একই দিন বেলা আড়াইটায় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ রাজধানীর কাফরুলে সমাবেশ করবে।২৮ সেপ্টেম্বর পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে বাদ আসর দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হবে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন (২৮ সেপ্টেম্বর) উপলক্ষে ২৯ সেপ্টেম্বর বেলা ৩টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হবে।আরও পড়ুনভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করার কৌশল নিচ্ছে আওয়ামী লীগ৩০ সেপ্টেম্বর বেলা আড়াইটায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে কৃষক লীগের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ হবে।৪ অক্টোবর চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।বর্তমান সরকারের পদত্যাগের দাবিতে গতকাল সোমবার বিএনপি ১২ দিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে। আজ আওয়ামী লীগ ঘোষণা করল।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩


অর্থ আত্মসাৎ-যৌন হয়রানির অভিযোগ আওয়ামী লীগ নেতা রিয়াজের বিরুদ্ধে

অর্থ আত্মসাৎ-যৌন হয়রানির অভিযোগ আওয়ামী লীগ নেতা রিয়াজের বিরুদ্ধে

রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শেরেবাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয়ের (নারী শিক্ষা মন্দির) শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়টির সভাপতি ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি শেরেবাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয়ের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানা গেছে।গত ১৫ সেপ্টেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকার এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকা মহানগরীর সূত্রাপুর থানাধীন শেরেবাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির বর্তমান সভাপতি মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন পদত্যাগ করায় অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য সভাপতি হিসেবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (শিক্ষা ও আইসিটি) মনোনয়ন প্রদান করা হলো।বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, গভর্নিং বডির সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন এমনটি নয়। তার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নানা অনিয়ম, দুর্নীতি-স্বেচ্ছাচারিতা ও যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদের বরাবর স্মারকলিপি দেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা মেলায় রিয়াজ পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। স্থানীয় সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদের বরাবর বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দেওয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়, গভর্নিং বডির সভাপতি মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্বেচ্ছাচারিতা, অর্থ ও নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে। রিয়াজ গভর্নিং বডির সভাপতি হওয়ার পর শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের পরিচয় দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ম্যানেজ করে অডিট আটকে রেখে শূন্যের কোটায় এনেছেন বিদ্যালয়ের প্রায় ১৩ কোটি টাকার ফান্ড। বিপুল এ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন রিয়াজ। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মণির দোহাই দিয়ে নিয়মিত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের হয়রানি করছেন। নারী শিক্ষকদের তিনি তার সঙ্গে ব্যক্তিগত সাক্ষাৎ ও লংড্রাইভে যেতে প্রস্তাব দেন। এ প্রস্তাবে সাড়া না পেলে তার রোষানলে পড়তে হয় তাদের। এ ছাড়া শিক্ষামন্ত্রীর কাছের লোক পরিচয় দিয়ে তিনি শিক্ষকদের এমপিও বন্ধ এমনকি চাকরিচ্যুত করার হুমকি দিয়ে থাকেন। এখানেই শেষ নয়, শিক্ষার্থীদের অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বিদ্যালয়টিতে শিক্ষকদের জন্য সিটিং রুম সংকট থাকলেও রিয়াজ নিজের ক্ষমতার দাপটে বিদ্যালয়ে নিজের জন্য অত্যাধুনিক একটি সভাকক্ষ তৈরি করেন। গভীর রাত পর্যন্ত তিনি সেখানে অবস্থান করেন। নারী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সেখানে বিশেষ প্রয়োজনে সাক্ষাৎ করতে বলেন।এতে আরও বলা হয়, রিয়াজ বলে থাকেন তার সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মণির বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। রিয়াজ শিক্ষামন্ত্রীর ক্ষমতা ব্যবহার করে সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজ ও যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতির পদও বাগিয়ে নেন। যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল কলেজের এক অনুষ্ঠানে ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু রিয়াজের বিভিন্ন অনিয়মের বিষয় তুলে ধরে বক্তব্য দিলেও শিক্ষামন্ত্রী কোনো ব্যবস্থা নেননি। এতে বিভিন্ন অপকর্মে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন রিয়াজ।জানা গেছে, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক এবং ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজের ঢাকা শহরে জীবন শুরু গুলিস্তানে ঝুড়িতে করে জুতা বিক্রি করার মধ্য দিয়ে। এরপর উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এসএসসি পাস করে ভর্তি হন বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজে। মূলত হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজে স্বঘোষিত জিএস পরিচয় দিয়ে সেখানে ত্রাসের রাজত্ব গড়ে তোলেন তিনি। তৎকালীন সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয় রিয়াজের হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়ে জীবন বদলে যাওয়ার চিত্র। তিনি সব টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ এবং ভর্তি বাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল অর্থের মালিক হন। ছাত্রলীগের সিন্ডিকেট ম্যানেজ করে বাগিয়ে নেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের (সোহাগ-নাজমুল) কমিটির সহ-সভাপতি পদ। এ ছাড়া তিনি জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ঢাকা মহানগর নেতা ও হোমিওপ্যাথি বোর্ডের সদস্য ডা. যুবরাজের স্ত্রী ডা. তাহমিনার সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরে এটি জানাজানি হলে ডা. যুবরাজ গুপ্ত হত্যার শিকার হন। এ ঘটনায় রিয়াজের সম্পৃক্ততা নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।সূত্র আরও জানায়, এক সময় মাদরাসায় পড়ুয়া রিয়াজ শিবিরের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন। ঢাকায় এসে বনে যান ছাত্রলীগ। রিয়াজ শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মণির ঘনিষ্ঠ এবং আস্থাভাজন এটি রাজনৈতিক অঙ্গনে ওপেন সিক্রেট। এ ছাড়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শীর্ষ একজন নেতাকে অর্থ দিয়ে ম্যানেজ করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক পদ বাগিয়ে নেন তিনি। এসব সুযোগ-সুবিধা নিয়ে তিনি বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত হয়ে পড়েন। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে অসদাচরণ ও ভয়ভীতি দেখিয়ে দলের সুনাম নষ্ট করতে তৎপর রয়েছে বলে জানা গেছে।এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ও শেরেবাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব শিক্ষক ও নারী শিক্ষার্থী যারা যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন, আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করব। একজন পুরুষ মানুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে মানসম্মান ক্ষুণ্ণ হয়। এ ছাড়া আমার বিরুদ্ধে শেরেবাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয়ের ১৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। আমি সভাপতির দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সময় দিতে পারি না, তাই পদত্যাগ করেছি। বরং আমি যখন শেরেবাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয়ের দায়িত্ব নিই, তখন যে টাকা ছিল, তার চেয়ে বেশি টাকা রেখে এসেছি।এ প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি বলেন, আমি এমন একটি ঘটনার কথা শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এ প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বলেন, আমরা শুনেছি। রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ যে অপরাধ করেছেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার বিকল্প নেই। তিনি আওয়ামী লীগের নাম ডুবিয়েছেন। একই সঙ্গে দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সম্মান ক্ষুণ্ণ করেছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩


সর্বাধিক পঠিত

দেশের মানুষের ভোটের অধিকার চুরি করেছে আ.লীগ : মির্জা ফখরুল

দেশের মানুষের ভোটের অধিকার চুরি করেছে আ.লীগ : মির্জা ফখরুল

আওয়ামী লীগ মানুষের ভোটের অধিকার চুরি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।আজ রোববার সকালে বগুড়ায় আয়োজিত পথসভায় তিনি এ কথা বলেন।ফখরুল বলেন, 'আজকে স্বাধীনতার বায়ান্ন বছর পরে আমাদেরকে আবার সংগ্রাম করতে হচ্ছে, লড়াই করতে হচ্ছে কেন? আমাদের অধিকারের জন্য। ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার; বেঁচে থাকার অধিকার।'তিনি বলেন, 'ভাতের অধিকার বললাম কারণ, চাল-ডাল-তেল-লবণ সব কিছুর দাম আকাশচুম্বী। আমার মা-বোনেরা তাদের ছেলে-মেয়েদের একটা ডিম দিতে পারে না। বিদ্যুতের দাম তিন-চার বার করে বাড়ছে। তেলের দাম তিন-চার বার করে বাড়ে। সেদিকে সরকারের কোনো খেয়াল নেই। বলে দাম তো ফিক্স করে দিয়েছি—দাম ফিক্স করলেই কি দাম কমানো যায়? চুরি তো করো তোমরা। চুরি করো আর বলো দাম ফিক্স করেছি।''এই সরকার শুধু দ্রব্যমূল্য কমাতে ব্যর্থ হয়েছে তা নয়, এই সরকার রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থ হয়েছে। এত বড় চোর যে, চুরি করে দেশকে তারা ফোকলা করে দিয়েছে। চুরি করে আর বিদেশে পাঠায়। বিদেশে বাড়ি-ঘর তৈরি করে। আর সবচেয়ে বড় চুরি করেছে—আমার ভোটের অধিকার চুরি করে নিয়ে গেছে। ১৪ তে চুরি করেছে, ১৮ তে চুরি করেছে। এখন আবার পাঁয়তারা করছে ২০২৪ এর নির্বাচনে চুরি করে পার হয়ে যাবে,' বলেন তিনি।এ দেশের মানুষ এবার চুরি করতে দেবে না মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, 'আমরা ইতোপূর্বে বলেছি, আমাদের কথা অনেকে বিশ্বাস করতে চায়নি। এখন সারা পৃথিবীর মানুষ বিশ্বাস করে যে, বাংলাদেশে দুইটি নির্বাচন হয়নি। নির্বাচনে যদি জনগণ ঠিকঠাক মতো ভোট দিতে না পারে তাহলে গ্রহণযোগ্য হবে না। আর বিরোধী দল যাতে নির্বাচনে না আসতে পারে সে জন্য আগেই মিথ্যা মামলা-গ্রেপ্তার; আগের মতো শুরু করে দিয়েছে। ৪০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা।'সরকার খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে না অভিযোগ করে তিনি বলেন, 'চিকিৎসক বলেছেন তাকে বাঁচালে হলে তার লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা দরকার। সেটা বিদেশ ছাড়া সম্ভব নয়। বারবার বলা হয়েছে, পরিবার থেকে বলেছে, আমরা বলেছি।'এ সময় তিনি বগুড়া থেকে রাজশাহী তারুণ্যের রোড মার্চের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩


বগুড়া থেকে রাজশাহী বিভাগে শুরু বিএনপির ‘তারুণ্যের রোডমার্চ’

বগুড়া থেকে রাজশাহী বিভাগে শুরু বিএনপির ‘তারুণ্যের রোডমার্চ’

সরকার পতনের এক দফা দাবিতে বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের রাজশাহী বিভাগে ‘তারুণ্যের রোডমার্চ’ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বগুড়া শহরতলির এরুলিয়া বাজারে সমাবেশের মাধ্যমে এই কর্মসূচি শুরু হয়। বগুড়া থেকে রাজশাহী পর্যন্ত এই রোডমার্চ কর্মসূচি হবে।রোডমার্চ উপলক্ষে বগুড়ায় আয়োজিত সমাবেশে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বক্তব্য দিয়েছেন জেলা বিএনপি, কেন্দ্রীয় যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতারা। সাড়ে ১১টার দিকে বক্তব্য শুরু করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর বক্তব্যের পরই রাজশাহীর উদ্দেশে নেতা-কর্মীদের গাড়িবহর ছাড়বে।রোডমার্চ উপলক্ষে গতকাল শনিবার বেলা দুইটার দিকে রাজশাহী নগরের মালোপাড়ায় বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে যুবদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি নুরুল ইসলাম বলেন, বগুড়ার রোডমার্চ থেকে পর্যায়ক্রমে গাবতলী, সান্তাহার, নওগাঁর নওহাটা মোড়, মান্দা ফেরিঘাট ও কেশরহাটে পথসভা করে রাজশাহী নগরের লালন শাহ মুক্তমঞ্চ-সংলগ্ন রাস্তায় সমাবেশ করা হবে। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর বক্তব্যের মধ্য দিয়েই শেষ হবে রোডমার্চ। সমাবেশে রাজশাহী, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের নেতা-কর্মীরাও যোগ দেবেন।নওগাঁ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, নওগাঁয় সমাবেশ উপলক্ষে নওগাঁ শহরের বাইপাস সড়কের জেলখানার মোড় এলাকা ও মান্দা উপজেলার ফেরিঘাট মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। দলের মহাসচিবের আগমন উপলক্ষে স্থানীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা কাজ করছে। এই রোডমার্চে নওগাঁ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী ছাড়াও হাজার হাজার বিএনপির সমর্থক অংশ নেবেন।আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। তারুণ্যের রোডমার্চের লক্ষ্য তরুণ-যুবসমাজকে জাগিয়ে তোলা এবং সরকার হটানোর চূড়ান্ত আন্দোলনে সম্পৃক্ত করা। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই আন্দোলন ক্রমেই ঢাকামুখী হবে। দলের কেন্দ্রীয় নেতাবৃন্দের দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য শোনার জন্য স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা কাজ করছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩


ছাত্রলীগের কমিটিতে মাদকসেবী বিএনপি পরিবারের সন্তান

ছাত্রলীগের কমিটিতে মাদকসেবী বিএনপি পরিবারের সন্তান

মাদকসেবী ও বিএনপি পরিবারের সন্তানকে কমিটিতে পদ দিয়ে মানিকগঞ্জের শিবালয় সদর উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।কমিটিতে সজিবুর রহমান ইফতীকে সভাপতি ও বিএনপি পরিবারের সন্তান আদিত্য পন্ডিত রিশাকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এম এ সিফাত কোরাইশী সুমন ও সাধারণ সম্পাদক রাজিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ছাত্রলীগের প্যাডে এ কমিটি ঘোষণা করেন।কমিটি ঘোষণার পর শিবালয় সদর উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের নতুন সভাপতি সজিবুর রহমান ইফতীর মাদক সেবনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।জানা গেছে, সজিবুর রহমান শিবালয় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর থেকে মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় একজন জনপ্রতিনিধির ছত্রছায়ায় তিনি মাদক ব্যবসা করে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ আছে। এলাকার ছেলে-মেয়েরা মাদক সেবনে জড়িয়ে পড়ায় স্থানীয় লোকজন সজিবুর রহমানের মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করেও ঠেকাতে পারছেন না। স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কাছের লোক হওয়ায় ইফতীর বিরুদ্ধে প্রশাসনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা।তিনি আরও জানান, নবনির্বাচিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক আদিত্য পন্ডিত রিশার আপন চাচা এস কে পন্ডিত ভজন শিবালয় উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। কমিটি ঘোষণার পর স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এম এ সিফাত কোরাইশী সুমন বলেন, স্থানীয় এমপির সুপারিশ অনুযায়ী কমিটি দিয়েছি। সজিবুর রহমানের মাদক সেবনের একটি ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ছবিটি এমপি মহোদয়কে দিয়েছি, এমপি মহোদয় বলেছেন ছবিটি এডিট করা।এদিকে নতুন কমিটির সভাপতি সজিবুর রহমান মাদক সেবনের ছবিটি এডিট করা বলে দাবি করে বলেন, একটি পক্ষ তাকে হেয় করার জন্যই ছবিটি ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩


সিঙ্গাপুর গেলেন ওবায়দুল কাদের

সিঙ্গাপুর গেলেন ওবায়দুল কাদের

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গেছেন ।সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার শেখ ওয়ালিদ ফয়েজ সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজ শনিবার সকালে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী ঢাকা ছাড়েন। তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গেছেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ০৫৮৪ ফ্লাইটে সকাল সাড়ে ৮টায় তিনি ঢাকা ছেড়েছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩


বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদে রদবদল

বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদে রদবদল

বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদে রদবদল হয়েছে। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমান, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এবং বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এমএ মালিককে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্যপদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।শনিবার দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।আরও জানানো হয়, সুইডেন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আবেদিন মোহনকে সহআন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাঈদ সোহরাবকে সহসাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমনকে সহঅর্থনৈতিকবিষয়ক সম্পাদক পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদ এবং যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ সম্রাটকে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যপদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।এ ছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারকে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক লিটন মাহমুদকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩


নিজেরা বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করালেও খালেদা জিয়াকে যেতে দিচ্ছে না সরকার

নিজেরা বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করালেও খালেদা জিয়াকে যেতে দিচ্ছে না সরকার

যে সরকারের অধীনে নির্বাচনে গেলে জনগণ ভোট দিতে পারে না, ভোট চুরি হয়ে যায়, ডাকাতি হয়ে যায়, সেই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।আজ শনিবার সকাল ১১টায় রংপুরে তারুণ্যের রোডমার্চ কর্মসূচি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আয়োজিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা বারবার শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের দাবিগুলো তুলে ধরেছি। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি।আওয়ামী লীগ জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে সরকারের অধীনে নির্বাচনে গেলে জনগণ ভোট দিতে পারে না, ভোট চুরি হয়ে যায়, ডাকাতি হয়ে যায়, সেই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া যায় না। তাই শুধু বিএনপি নয়, দেশের সব রাজনৈতিক দল বলেছে, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা প্রসঙ্গে মহাসচিব বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে অসুস্থ। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়া প্রয়োজন। নিজেরা বারবার বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করালেও বেগম খালেদা জিয়াকে যেতে দিচ্ছে না এই সরকার।তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, যদি আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নির্বাচনে যেতে পারি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে নির্বাচন-পরবর্তী সময় আন্দোলনকারী দলগুলোকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে।নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে সারাদেশের তরুণ সমাজ জেগে উঠেছে। এই সরকারের পতন ছাড়া ঘরে ফিরে যাব না।ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার এক দফা দাবিতে রংপুর-দিনাজপুর তারুণ্যের রোডমার্চ কর্মসূচি রংপুর নগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড়ের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়। যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল আয়োজিত রোডমার্চ দিনাজপুরে গিয়ে শেষ হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩


'সূর্যের আলো দেখা যাচ্ছে, বিএনপির সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে'

'সূর্যের আলো দেখা যাচ্ছে, বিএনপির সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে'

অহেতুক মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে নিজের দলের নেতাকর্মীদের বিপদের মুখে না ফেলতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।শনিবার বিকালে রাজধানীর গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শান্তি সমাবেশে তিনি এ আহ্বান জানান।‘বিএনপি ও জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে’ শীর্ষক এই সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্রের মেঘ কেটে যাচ্ছে, আবার সূর্যের আলো দেখা যাচ্ছে। বিএনপির সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে। আগামী নির্বাচনেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতায় এসে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। সেই লক্ষ্যে আপনারা প্রস্তুত থাকুন।’বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে হানিফ বলেন, ‘যত দিন তারেক রহমানের মতো দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী আপনাদের নেতা থাকবে, যত দিন দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া নেতা থাকবেন, তত দিন বিএনপির এ দেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার সুযোগ নেই, আসতে পারবে না।’ আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব অহেতুক কর্মীদের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে বিপদের মুখে ফেলে দিতে চান। আপনারা সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছেন। ফখরুল সাহেব- আগুন নিয়ে খেলতে যাবেন না। যদি সন্ত্রাসী দিয়ে দেশে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেন— সেটাকে কীভাবে কঠোরভাবে দমন করতে হয় আওয়ামী লীগ জানে। অহেতুক নেতাকর্মীদের বিপদের মুখে ঠেলে দেবেন না। আগামী ২০ বছরেও বিএনপি ক্ষমতায় যেতে পারবে না।’সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, কামরুল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন প্রমুখ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩


রাজপথে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো আজ কে কোথায় থাকবে?

রাজপথে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো আজ কে কোথায় থাকবে?

সরকার পতনের এক দফা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আজ রাজপথে নামছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের আয়োজনে রাজধানীতে আজ গণমিছিল করবে বিএনপি। যুগপৎ আন্দোলনে থাকা অন্য দলগুলোও পৃথক স্থানে কর্মসূচি পালন করবে। আজকের কর্মসূচি থেকে পরবর্তী পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণার কথা রয়েছে। গণমিছিল ঘিরে ব্যাপক শোডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাকা মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন। সফল করতে কয়েক দফা প্রস্তুতি সভা করেছে। উত্তর ও দক্ষিণের কেন্দ্রীয়সহ সব থানা-ওয়ার্ডের নেতাকর্মী-সমর্থকদের সর্বোচ্চ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নানা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অংশ নিতে বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতাদেরও।ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের দুটি গণমিছিলই বেলা ৩টায় শুরু হবে। উত্তরের গণমিছিলটি রামপুরার বেটার লাইফ হাসপাতালের সামনে থেকে শুরু হয়ে আবুল হোটেল-মালিবাগ রেলগেট-মৌচাক- মালিবাগ মোড়-শান্তিনগর-কাকরাইল মোড়-নাইটিঙ্গেল মোড় হয়ে নয়াপল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হবে। অন্যদিকে দক্ষিণ বিএনপির গণমিছিল কমলাপুর থেকে শুরু হয়ে পীরজঙ্গি মাজার-আরামবাগ-ফকিরাপুল মোড় হয়ে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হবে। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করবে দলটি। এতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতারা বক্তব্য দেবেন। সমাবেশ থেকে আবারও কর্মসূচি দেওয়ার কথা রয়েছে।ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক যুগান্তরকে বলেন, গণমিছিল কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও উন্মুখ হয়ে আছে। আশা করছি, বিপুল লোকসমাগম হবে। উত্তর ও দক্ষিণের দুটি গণমিছিল নয়াপল্টনের গিয়ে শেষ হবে। সেখানে দলের মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতারা বক্তব্য দেবেন।গণতন্ত্র মঞ্চসহ সমমনা দল ও জোট : বিকাল ৪টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণসমাবেশ শেষে গণমিছিল বের করবে গণতন্ত্র মঞ্চ। একই সময়ে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে থেকে শান্তিনগর মোড় পর্যন্ত গণমিছিল করবে ১২ দলীয় জোট, পল্টনের আলরাজী কমপ্লেক্সের সামনে থেকে শুরু করে নাইটিঙ্গেল মোড় হয়ে পল্টন মোড় পর্যন্ত মিছিল করবে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট। বেলা ৩টায় পূর্বপান্থপথস্থ এফডিসিসংলগ্ন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি); বিকাল ৪টায় পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে গণমিছিল বের করবে নুরুল হক নুর নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদ (একাংশ)। এ ছাড়া বাম গণতান্ত্রিক ঐক্য, গণফোরাম (মন্টু) ও পিপলস পার্টি, লেবার পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)সহ সমমনা দলগুলো একযোগে এক দফা দাবিতে এদিন একই কর্মসূচি পালন করবে। এ ছাড়াও এক দফা দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বেলা ১১টায় বিজয়নগরে মিছিল ও সমাবেশ করবে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)।গত ১২ জুলাই এক দফা আন্দোলনের ঘোষণার পর এ পর্যন্ত বিএনপিসহ সমমনা জোট ও দলগুলো ঢাকায় পদযাত্রা, মহাসমাবেশ, ঢাকার প্রবেশমুখে অবস্থান, গণমিছিল ও কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচি পালন করে। সর্বশেষ গত ২৪ ও ২৫ আগস্ট ঢাকাসহ সারা দেশে কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচি ছিল।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩


দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কাজ করেন শেখ হাসিনা : ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর

দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কাজ করেন শেখ হাসিনা : ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর বলেছেন, দেশের আপামর জনগণের একমাত্র আস্থার ঠিকানা, ভরসার ঠিকানা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। জননেত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প একমাত্র জননেত্রী শেখ হাসিনাই। আগামী নির্বাচনে টানা চতুর্থবার এবং পঞ্চমবারের মত দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে দেশের জনগণ ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনতে মুখিয়ে আছে।মঙ্গলবার (০৫ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লার তিতাস উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের সাথে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক বলেন, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সড়িয়ে দেশের উন্নয়ন কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্থ করতে দেশকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিতে দেশে-বিদেশী ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কিন্তু কোন ষড়যন্ত্রই শেখ হাসিনার অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে রাখতে পারবে না। সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে আগামী নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে। দেশের জনগনও সেই অপেক্ষায় রয়েছে। ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কাজ করেন। শেখ হাসিনা দেশের সব সেক্টরে উন্নয়ন করেছেন। সেই সুফল দেশের জনগণ পেতে শুরু করেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্য দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিনত করা। সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছেন। দেশে অনেক উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কিন্তু এসব উন্নয়ন কার্যক্রম দেখে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে, দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারা চায় না দেশ উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হোক। এরা চায় দেশকে জিম্মি করে রাখতে। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের জনগণকে সাথে নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে সামনে এগিয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন তিতাস উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক ও কুমিল্লা উত্তর জেলা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য তোফাজ্জল হোসেন এবং সঞ্চালনা করেন তিতাস উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মুন্সী মুজিবুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যাপক আব্দুল মান্নান জয়, বশির আলম মিয়াজি, আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি সালহে মোহাম্মদ টুটুল, কুমিল্লা উত্তর জেলা সেচ্চাসেবক লীগের সভাপতি জিএস সুমন সরকার, তিতাস উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহ আলম শান্তি,যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাজী নাসির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিনুল ইসলাম সোহেল শিকদার, দপ্তর সম্পাদক মির শওকত লিটন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোসলেম উদ্দিন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. মামুন, সাবেক যুবলীগ নেতা সারোয়ার হোসেন বাবু, তিতাস উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম মুরাদ, যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান কিরণকুমিল্লা জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ দেলোয়ার হোসেন পলাশ, কুমিল্লা উত্তর জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শের-ই-আলম, তিতাস উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সাজ্জাত সিকদার, বলরামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল, ভিটিকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবুল আহম্মেদ, জিয়ারকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী আলী আশরাফ, কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি শামসুল হক মাস্টার, তিতাস উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এ কে এম কামরুল হাসান তুষার প্রমুখ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩


ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে বিবৃতিতে সই না করায় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল চাকরিচ্যুত!

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে বিবৃতিতে সই না করায় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল চাকরিচ্যুত!

শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে বিবৃতিতে সই না করায় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমেদ ভূঁইয়াকে চাকরিচ্যুত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর উইং এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।সূত্র জানায়, তার বিরুদ্ধে অসদাচারণ, রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী অবস্থান নেওয়ার অভিযোগ আনা হতে পারে।এর আগে ড. মোহম্মাদ ইনূসের বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া বলেন, শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস একজন সম্মানিত ব্যক্তি, তার সম্মানহানি করা হচ্ছে বলে মনে করেন।আরও পড়ুন: যে কারণে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেননি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলতিনি বলেন, তাকে বিচারিক হয়রানি করা হচ্ছে। সোমবার হাইকোর্টের বর্ধিত ভবনের সামনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া।প্রসঙ্গত, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মামলা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোলা চিঠি (বিবৃতি) পাঠিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্বস্থানীয় দেড় শতাধিক ব্যক্তি। তাদের মধ্যে শতাধিক নোবেলজয়ী রয়েছেন। এই খোলা চিঠির প্রতিবাদে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবীদের বিবৃতি লেখা কাগজে আইনজীবীদের স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হচ্ছে। এতে আইনজীবীদের ‘নাম’ ও ‘স্বাক্ষর’-ঘর রয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩


'এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বিএনপি নেতাদের মন্তব্য শোনার অপেক্ষায় আছি'

'এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বিএনপি নেতাদের মন্তব্য শোনার অপেক্ষায় আছি'

দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একাংশের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগব্যবস্থায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপি নেতাদের মন্তব্য শোনার অপেক্ষায় আছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও তাদের নেতাদেরও এই প্রশ্ন করতে পারেন। এই উন্নয়নের মাইলফলক নিয়ে তারা কী বলেন, তা শোনার অপেক্ষায় আছি। তারা চোখ থাকলেও দেখে না, কান থাকতেও শোনোর না।’রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে পুরো দেশ আজ বদলে গেছে। ঢাকা শহর তো বটেই। ১৪ বছর আগে ঢাকা শহর থেকে চলে যাওয়া কেউ যদি ফের আসেন, তাহলে এই শহরকে চিনতে পারছেন না। একই চিত্র বাংলাদেশের অন্য শহর ও গ্রামের। দেশ আজ সত্যিকার অর্থে এগিয়ে গেছে। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় একটি অবিস্মরণীয় অধ্যায়।’দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে করা এক প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য সারা পৃথিবীতে বেড়েছে। তুরস্কে মূল্যস্ফীতি ৮২ শতাংশে উঠেছিল। পাকিস্তানে ৩২ শতাংশের ওপরে গিয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১০ শতাংশ, ইউরোপীয় ইউনিয়নে ১০ থেকে ২০ শতাংশ, রাষ্ট্র ভেদে কোনো দেশে ১০ শতাংশ, কোনো দেশে ২০ শতাংশ, জ্বালানির ক্ষেত্রে আরও বেশি। আমাদের দেশে মূল্যস্ফীতি ৮ থেকে ৯ শতাংশ। অন্য দেশের তুলনায় অনেক কম আছে। তবে এতে জনগণের যে অসুবিধা হচ্ছে, সে ব্যাপারে আমরা ওয়াকিবহাল।’তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি যাতে জনগণের অসুবিধা না হয়। সেজন্য নানা ধরনের কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। টিসিবির মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে পণ্য বিতরণ করা হচ্ছে। এক কোটি ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হয়েছে। আরও ৫০ লাখ মানুষকে খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে ২০ টাকা দামে। এভাবে এবং বিনামূল্যেও চাল দেওয়া হচ্ছে।’মন্ত্রী আরও বলেন, ‘কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আছেন বাংলাদেশেঅ তারা একটা অজুহাত পেলেই দাম বাড়ানোর চেষ্টা করেন। এদের বিরুদ্ধে আসলে আমাদের একটা সামাজিক প্রতিরোধ দরকার।’এখন ওয়ান-ইলেভেনের কুশীলবরা আবার সক্রিয় হয়েছে মন্তব্য করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যারা ষড়যন্ত্র করে তারা বসে থাকতে পারে না। এখন ওয়ান-ইলেভেনের কুশীলবরা আবার সক্রিয় হয়েছে। সুতরাং তারা আবার ষড়যন্ত্র করে কিছু করতে পারে কি না চেষ্টা করছে। তারা তো বারবার ব্যর্থ হয়েছে, এখনও ব্যর্থ হবে।আপনাদের সরকারের নীতি হচ্ছে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন যে অবস্থা তাতে এই বন্ধুত্বের সম্পর্ক ধরে রাখা সম্ভব কি? সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনের সঙ্গে পররাষ্ট্রনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। নির্বাচন হয় দেশে, ভোট দেয় দেশের জনগণ। এর সঙ্গে পররাষ্ট্রনীতি বা কার কোন দেশের সঙ্গে কী সম্পর্ক আছে বা সম্পর্ক নেই সেটার কোনো প্রভাব থাকা উচিত না, প্রভাব থাকে না।’‘তবে সব দেশের সঙ্গেই আমাদের ভালো সম্পর্ক এবং সব দেশের সঙ্গেই ভালো সম্পর্ক রেখে দেশের অগ্রগতি অর্জিত হচ্ছে। দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে’, বলেন তথ্যমন্ত্রী।আর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘যারা ষড়যন্ত্র করে, তারা ষড়যন্ত্র না করে থাকতে পারে না। ষড়যন্ত্র সব সময় থাকবে। এ ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল ছিন্ন করেই তো আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। সাড়ে চোদ্দ বছরে ষড়যন্ত্র কি কম হয়েছে? বিডিআর বিদ্রোহ থেকে শুরু করে এখনো পর্যন্ত ষড়যন্ত্র বহু হয়েছে।’‘সব ষড়যন্ত্রকে পদদলিত করে, ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে দেশ এগিয়ে গেছে। শেখ হাসিনা পরপর তিনবার দেশ পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে। ভবিষ্যতে ষড়যন্ত্র থাকবে, সেগুলো ছিন্ন করে আমরা এগিয়ে যাবো।’তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ফেসবুকে আমি দেখলাম যে ড. ইউনূস তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হচ্ছেন, আবার ফেসবুকে এটাও দেখেছি বিএনপি হিরো আলমকে পছন্দ করেছে। আসলে এগুলো ফেসবুকের প্রচার, অপপ্রচার যাই বলেন এগুলো নিয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না।’তিনি বলেন, ‘কেউ নোবেল পুরস্কার পেলে কিংবা রাষ্ট্রপ্রধান হলে বা প্রধানমন্ত্রী হলে তিনি তো আইনের ঊর্ধ্বে নয়। এ দেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিচার হয়েছে এবং সাজা ভোগ করছেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নোবেল বিজয়ীদের বিচার হয়েছে এবং তারা জেলও খেটেছেন। এমন উদাহরণ আছে। আমাদের বিচার প্রক্রিয়া অত্যন্ত স্বচ্ছ।’তিনি আরও বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা রেখে বলছি সত্যটা হচ্ছে এই, শ্রমিকদের ৫ শতাংশ হারে লভ্যাংশ দেওয়ার কথা ছিল, যেটির মূল্য হচ্ছে এক হাজার ২০০ কোটি টাকা। সেটি তিনি জালিয়াতের মাধ্যমে এবং ঘুস প্রদান করে ৪০০ কোটি টাকায় নামিয়েছিলেন। সেটিও তিনি দেননি। সেজন্য বিচার হচ্ছে। আরও অনেক মামলা আছে।’‘কেউ তো আইনের বা বিচারের ঊর্ধে নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার হচ্ছে। আমাদের দেশের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে বিবৃতি দেওয়া এটি তো আমাদের দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের ওপর হস্তক্ষেপের শামিল। সে জন্য বাংলাদেশের সচেতন নাগরিক সমাজ এবং সাংবাদিকরা এর বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েছেন’, যোগ করেন তথ্যমন্ত্রী।সংবাদমাধ্যমে দেখলাম সিঙ্গাপুরে মির্জা আব্বাস ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে কয়েকজন বিজেপি নেতা ও ভারতীয় মন্ত্রীর বৈঠক হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘কোন ট্যাবলয়েড পত্রিকায় এসব লিখেছে, তা আমি জানি না। তবে আপনি ওই পত্রিকাকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। কোনো পত্রিকায় একটা নিউজ এলে তার জবাব দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। বৈঠক করতে ভারতীয় মন্ত্রীদের ওখানে যেতে হবে (কেন), যে পত্রিকায় তা লিখেছে, তাদের জিজ্ঞাসা করুন।’সিঙ্গাপুরে বিএনপি মহাসচিব ও জাতীয় পার্টির মহাসচিবের মধ্যে বৈঠক হয়েছে বলে চাউর হচ্ছে। তবে বিমানবন্দরে নেমে বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, সরকার প্রোপাগান্ডা ছাড়াচ্ছে। এই প্রোপাগান্ডার সঙ্গে সরকার জড়িত কি না, জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটা সামাজিকমাধ্যমে আমি দেখেছি। বিদেশে বসেও দেখেছি। কিন্তু মির্জা ফখরুল বলেছেন এটা অসত্য। তার বক্তব্যকেই আমরা সত্য ধরে নিচ্ছি।’নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয়েছে- আগামী বছরের জানুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সে পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেছেন যে যেদিন তফসিল ঘোষণা করা হবে। সেদিন থেকে সরকারের অন্তিমযাত্রা শুরু হবে। এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সংবিধান অনুসারে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার এখতিয়ার তাদের। সে অনুসারে নির্বাচনের প্রস্তুতি আমাদের চলছে।’

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩


বিএনপির রাজনৈতিক দর্শনে জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের প্রত্যয় নেই - কাদের

বিএনপির রাজনৈতিক দর্শনে জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের প্রত্যয় নেই - কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির রাজনৈতিক দর্শনে জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের কোনো প্রত্যয় নেই। তারা দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির অভিযাত্রা দেখতে সক্ষম হবে না।রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা যখনই ক্ষমতায় এসেছে দেশের মানুষকে শোষণ করেছে; গণবিরোধী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দুর্নীতি ও লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে। বহিরাবরণে লুটপাটতন্ত্রের নীতি ও অন্তরে অগণতান্ত্রিক মানসিকতা ধারণ করে বিএনপি সবসময় শাসন করেছে। তাই দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি তাদের চোখে পড়ে না। এ পর্যন্ত দেশের মানুষের স্বপ্নের যেসব মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে, সেসব প্রকল্প নিয়ে তারা নেতিবাচক মন্তব্য করেছে। এ দেশের মানুষের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে বিএনপির গাত্রদাহ থেকেই প্রমাণিত হয় তাদের রাজনীতি কেবল ক্ষমতা দখলের; জনকল্যাণের জন্য নয়।কাদের বলেন, বিএনপি নেতৃবৃন্দ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা নিয়ে হীন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে বক্তব্য প্রদান করেছেন। এই বক্তব্যে বিএনপির ধারাবাহিক ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত ও পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলের অপতৎপরতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।তিনি বলেন, নির্বাচন নির্দিষ্ট কোনো দলের জন্য অনুষ্ঠিত হয় না বা কোনো দলের জন্য থেমে থাকে না। সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভুল রাজনীতির কারণে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া বিএনপি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রাকে নস্যাৎ করতেই নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার লাগাতার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। জনগণের মুখোমুখি হতে ভয় পেয়ে বিএনপি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের পথে রাজনীতি করছে।বিবৃতিতে তিনি বলেন, ইতিহাসের নিষ্ঠুর সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি, যুদ্ধাপরাধী ও বিদেশি এজেন্টদের সমন্বয়ে গঠিত বিএনপি কোনো দিনই গণতন্ত্রকে ধারণ করেনি। তারা হ্যাঁ/না ভোট ও ভোটারবিহীন প্রহসনমূলক নির্বাচন আয়োজন, রউফ, সাদেক ও আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন গঠন, ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার সৃষ্টি করে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলের পথে হেঁটেছে বার বার। জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি তাদের ভুয়া ভোটার ব্যাংক নষ্ট হওয়ায় এবং পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলের সুযোগ না থাকায় নির্বাচনে অংশগ্রহণে ভয় পায়।বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সর্বদা গণতান্ত্রিক নীতি, আদর্শ ও মূল্যবোধকে ধারণ করে রাজনীতি করে আসছে। আওয়ামী লীগের প্রাণপুরুষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে দীর্ঘ গণতান্ত্রিক আন্দোলন, স্বাধিকার ও স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই দীর্ঘ স্বৈরশাসনের নাগপাশ থেকেমুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বেই বাঙালির ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত ও সুসংহত হয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এদেশের গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির মজবুত ভীত রচনায় বদ্ধপরিকর।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩