রাজনীতি


নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য ‘স্পর্শকাতর’

নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য ‘স্পর্শকাতর’

২৮ অক্টোবর এবং এর পরবর্তী সাত দিনকে ‘স্পর্শকাতর’ সময় হিসেবে দেখছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। মূলত ঢাকায় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির বিপুল প্রস্তুতি, জামায়াতসহ অন্যান্য দলেরও একই দিনে সমাবেশ করার ঘোষণা থেকেই এমন বিবেচনা ক্ষমতাসীন দলে। ওই সময় রাজধানী ঢাকার রাজপথ নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রয়োজনে ‘আক্রমণাত্মক’ হওয়ারও প্রস্তুতি রয়েছে আওয়ামী লীগে। দলের নীতিনির্ধারণী একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।বিএনপির পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীও ২৮ অক্টোবর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে। ইসলামী আন্দোলনও আগামী ৩ নভেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে বলে জানিয়েছে। আবার ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ থেকেই বিএনপি তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনে পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা দিতে পারে।অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ২৮ অক্টোবর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ ফটকে সমাবেশ করবে। এই কর্মসূচি ঘিরে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রস্তুতি সভা হয়। এতে কেন্দ্রীয় নেতারা সামনের দিনগুলোয় ‘আক্রমণাত্মক’ হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।সভায় ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘২৮ অক্টোবর ঢাকার প্রতিটি রাস্তায় হাঁটতেও যেন আওয়ামী লীগ, সামনে আওয়ামী লীগ, পেছনে আওয়ামী লীগ থাকতে হবে। সারা শহরে আওয়ামী লীগ আর আওয়ামী লীগ থাকবে।’ তিনি বিরোধী দলের উদ্দেশে বলেন, ‘ওই দিন কেউ যদি অশান্তি করতে আসে, খবর আছে। খবর এত দিন বলি না। অনেক সহ্য করেছি, সহ্যেরও একটা সীমারেখা আছে।’ভোটের আগপর্যন্ত বিএনপি নানা ঝামেলা করার চেষ্টা করবে। এমন পরিস্থিতিতে পাল্টা শক্তি দেখানো ছাড়া আওয়ামী লীগের উপায় নেই। সভা শেষে ওবায়দুল কাদেরসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা আবার বৈঠক করেন। দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সপ্তম তলায় অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকা একাধিক সূত্র জানায়, ২৮ অক্টোবরের সমাবেশে ১০-১২ লাখ লোক জমায়েতের বিষয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া সমাবেশে আসা নেতা-কর্মীদের খালি হাতে না আসারও নির্দেশনা দেওয়া হয়। সবাই যেন আড়াই থেকে তিন হাত লম্বা লাঠি হাতে আসেন, সেই পরামর্শ দেন কোনো কোনো কেন্দ্রীয় নেতা। কোনো লাঠির মাথায় থাকবে জাতীয় পতাকা। কোনো লাঠির মাথায় থাকবে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের নানা স্লোগানসহ বিভিন্ন ধরনের বার্তা।বৈঠকে উপস্থিত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেন, লাঠি আনার অর্থ এই নয় যে আওয়ামী লীগ আগ বাড়িয়ে সংঘাতে জড়াবে। বরং এটা সতর্কতার অংশ। বিএনপিকে ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যেও কেন্দ্রীয় নেতারা এমন নির্দেশনা দিতে পারেন। তবে এবার পরিস্থিতি কিছুটা থমথমে বলে মনে হচ্ছে।বিএনপিসহ বিরোধীদের কর্মসূচির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে গতকাল বৈঠক করেছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪–দলীয় জোটও। এই জোটের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুর ইস্কাটনের বাসায় বৈঠকটি হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, ৩০ অক্টোবর ১৪–দলীয় জোটের পক্ষ থেকে ঢাকায় সমাবেশ করা হবে।বৈঠকে উপস্থিত থাকা একাধিক সূত্র বলছে, আমির হোসেন আমু ১৪ দলের নেতাদের এই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছেন যে সংবিধান মেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে যথাসময়ে জাতীয় নির্বাচন করতে হলে বিরোধীদের আন্দোলন মোকাবিলা করা জরুরি। এতে ১৪ দলের সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকা দরকার।বৈঠকে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা; জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম; জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার; তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে ১৪ দলের সমন্বয়ক আমু সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যেকোনো অপতৎপরতা প্রতিহত করতে প্রস্তুত ১৪ দল। নির্বাচনসহ যা–ই হোক, সংবিধানের মধ্যে থেকে হতে হবে। সংবিধানবিরোধী যেকোনো তৎপরতা প্রতিহত করা হবে।দলীয় সূত্রগুলো বলছে, আওয়ামী লীগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চাপে হয়তো বিএনপি ২৮ অক্টোবর সমাবেশ করে ঘরে ফিরে যাবে। এরপর দলটি গুরুত্বপূর্ণ কোনো সরকারি স্থাপনা ঘেরাওয়ের কর্মসূচি দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগও পাল্টা কর্মসূচি রাখবে। এ ছাড়া ৪ নভেম্বর মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন উপলক্ষে ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ আছে আওয়ামী লীগের। অর্থাৎ সপ্তাহজুড়ে আক্রমণাত্মক ভাব ধরে রাখবে ক্ষমতাসীনেরা। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে বিএনপিকে চাপে ফেলে দিতে পারলে ভোট পর্যন্ত আর বড় কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে না। তখন বিএনপির কর্মীদের পাশাপাশি মিত্ররাও দুর্বল হয়ে পড়বে। যেসব রাজনৈতিক দল কোন পক্ষে যাবে, তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছে, তারাও ভোটে অংশ নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।২৮ অক্টোবরের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ও উত্তেজনা সম্পর্কে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘ভোটের আগপর্যন্ত বিএনপি নানা ঝামেলা করার চেষ্টা করবে। এমন পরিস্থিতিতে পাল্টা শক্তি দেখানো ছাড়া আওয়ামী লীগের উপায় নেই।’আওয়ামী লীগ ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বড় জমায়েত করতে বিপুল প্রস্তুতি নিচ্ছে। গতকাল কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জ্যেষ্ঠ নেতাদের বৈঠকে ঢাকার একটি আসনের আওয়ামী লীগের একজন সংসদ সদস্য নিজে ১০ হাজার মানুষ নিয়ে আসার ঘোষণা দেন। এতে নাখোশ হন জ্যেষ্ঠ নেতারা। তাঁদের একজন বলেন, ‘এত কম কেন?’বৈঠকে ঢাকা জেলার একটি উপজেলা চেয়ারম্যান ২০ হাজার লোক আনবেন—এমন ঘোষণা দেন। এভাবে প্রত্যেক সংসদ সদস্য ও জনপ্রতিনিধিদের লোক আনার সংখ্যা বেঁধে দেওয়া হয়।২৮ অক্টোবরের সমাবেশ নিয়ে আজ বুধবার তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আরেকটি প্রস্তুতি সভা রয়েছে। এতে মহানগরের সর্বস্তরের নেতা ও জনপ্রতিনিধি এবং আশপাশের জেলার নেতা ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের ডাকা হয়েছে।আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ক্ষমতাসীন ও বিরোধীদের বক্তৃতা-বিবৃতির কারণে ২৮ অক্টোবর ঘিরে বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতারা বেশি লোক জমায়েতের বিষয়ে এত গুরুত্ব দিচ্ছেন যে মনে হতে পারে যে এর ওপর সরকারের থাকা না–থাকা নির্ভর করছে।এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, ‘বিএনপি ঘোষণা দিয়ে সরকার ফেলে দিতে চাইছে। সারা দেশ থেকে লোক এনে ঢাকা অচল করতে চায়। আওয়ামী লীগ তো আর বসে থাকতে পারে না। তাই বিএনপির চেয়ে বেশি লোকের জমায়েত করবে আওয়ামী লীগ, যাতে বিএনপি ঢাকা অচল করতে না পারে, সেটাই নিশ্চিত করা হবে।’ সুত্র- প্রথম আলো

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৫ অক্টোবর ২০২৩


ঢাকার প্রবেশ পথ বন্ধ করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই - স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকার প্রবেশ পথ বন্ধ করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই - স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আগামী ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাযাত্রার ডাক ঘিরে ঢাকার প্রবেশ পথ বন্ধ করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।বুধবার (২৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জনান। আগামী ২৮ অক্টোবর ঘিরে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক আছে। এদিন ঢাকার প্রবেশ পথ বন্ধ করে দেবেন কি না এমন এক প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকায় প্রবেশ পথ আমরা কেন বন্ধ করব? ব্যবসায়িক ও চাকরিসহ বিভিন্ন কাজে লোকজন ঢাকায় আসেন। পদ্মাসেতু হওয়ার কারণে অফিস-আদালত করা লোকজনও ঢাকায় আসেন। কাজেই ঢাকার পথ কেন আমরা বন্ধ করবো? ঢাকার পথ আমরা বন্ধ করবো না, তারা যদি শান্তিপূর্ণভাবে নির্দিষ্ট স্থানে সমাবেশ করে চলে যায়, আমাদের কিছু করার নেই। আমরা সেখানে কোনো বাধা দেব না।’জামায়াতে ইসলামী সভা-সমাবেশ করতে চাচ্ছে, তাদের অনুমতি দেওয়া হবে কি না—এ প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আমাদের দেশে অনেক দলমত আছে। জামায়াত এর আগেও দুয়েক জায়গায় আলোচনা করেছে। তারা যদি দেশের নিয়ম-কানুন মেনে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দেশনা মেনে যে কেউ যে কোনো কথা বলতে পারে। জামায়াত বলতে কোনো কথা নেই। দেশে গণতান্ত্রিক চর্চা আছে। আমাদের কথা হলো, আইন-কানুনের মধ্যে থেকে তারা কথা বলতে পারেন।’জামায়াতকে সভা-সমাবেশের অনুমতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা কাউকে পারমিশন (অনুমতি) দেইনি। স্পষ্টভাবে জানা উচিৎ—আমরা কাউকে পারমিশন দেইনি। জামায়াতে ইসলাম এখন পর্যন্ত কোনো নিবন্ধিত দল না, কাজেই তারা যদি জামায়াতে ইসলামের ব্যানারে আসে, তাহলে অনুমতি দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।’বিএনপির সমাবেশের অনুমতির বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি সমাবেশের অনুমতি চেয়ে আবেদন কিভাবে করেছেন, তা পুলিশ কমিশনার জানেন। তারা এতো লোক, সারা বাংলাদেশের যারা বিএনপি করে—তাদের সবাইকে ঢাকায় আনবেন। কোথায় তাদের সমাবেশের অনুমতি দিলে ভালো হবে। এছাড়া এতো লোক ঢাকায় এলে একটা অন্য ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এ জন্য তাদের কোথায় সমাবেশ করতে দেওয়া হবে এটা পুলিশ কমিশনার বুঝবেন। সেইভাবে তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন।’সরকারের পতনের দাবিতে ২৮ অক্টেবর সমাবেশ হচ্ছে। এতে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার শঙ্কা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সরকার এমন কিছু না, যে ধাক্কা দিলেই পরে যাবে। এটা গণতান্ত্রিক সরকার, কাজেই মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হবে। ধাক্কা দিলে সরকার পরে যাবে—এমন কথা সংবিধানে লেখা নেই।’

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৫ অক্টোবর ২০২৩


জামায়াতে ইসলামীর মতিঝিলে সমাবেশ করা নিয়ে আ’লীগের যা বিশ্লেষণ

জামায়াতে ইসলামীর মতিঝিলে সমাবেশ করা নিয়ে আ’লীগের যা বিশ্লেষণ

২৮ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে মতিঝিলে সমাবেশ করার ঘোষণা নিয়ে বিশ্লেষণ চলছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে। দলটির নেতারা মনে করেন, জামায়াতের ঘোষণায় লাভ-ক্ষতি দুটিই আছে।দলীয় সূত্র জানায়, জামায়াতের সমাবেশের ডাক দেওয়ার ফলে নিজেদের একধরনের লাভ দেখছে আওয়ামী লীগ। কারণ, জামায়াতকে গত এক দশক বা এরও বেশি সময় ধরে অনেকটা নিষিদ্ধ রাজনৈতিক সংগঠনের মতোই ‘ট্রিট’ করে আসছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক বিশ্বের কোনো নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। রাজপথে জামায়াতকে দমন করার নামে বিএনপিকেও দমন করা কিছুটা সহজ হবে। বিএনপিকে মহাসমাবেশ করতে না দেওয়ার অজুহাত হিসেবে জামায়াতের উপস্থিতিও ব্যবহার করতে পারবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপারেশনস) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। বিএনপিকে অনুমতি দেওয়া হবে। তবে কোথায় তাদের (বিএনপি) সমাবেশ করতে দেওয়া হবে, সেটা এখনো ঠিক হয়নি।ক্ষমতাসীন দলটির নীতিনির্ধারকেরা মনে করেন, বিএনপি পশ্চিমা বিশ্বকে দেখাতে চেয়েছে যে জামায়াতের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নেই। আর আওয়ামী লীগ বরাবরই বলে আসছে, জামায়াত এখনো বিএনপির মিত্র হিসেবেই রয়ে গেছে। বিএনপি ও জামায়াত একই দিনে রাজপথে নামার ঘোষণার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের এই বক্তব্যই প্রমাণিত হতে যাচ্ছে। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, বিএনপির সঙ্গে মিশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চাইছে জামায়াত। কিন্তু আওয়ামী লীগ কিছুতেই তা হতে দেবে না।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৫ অক্টোবর ২০২৩


'আ. লীগের ভয়ভীতি, গ্রেপ্তার, মামলা—কোনো কিছুই আর আটকে রাখতে পারবে না'

'আ. লীগের ভয়ভীতি, গ্রেপ্তার, মামলা—কোনো কিছুই আর আটকে রাখতে পারবে না'

এবারের আন্দোলন ‘অবধারিত’ লক্ষ্যের দিকে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ভয়ভীতি, গ্রেপ্তার, মামলা, রাতের বেলায় মামলা পরিচালনা—কোনো কিছুই আর আটকে রাখতে পারবে না।আজ মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম এসব কথা বলেন।সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল, ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের পাল্টা সমাবেশ দিয়েছে আওয়ামী লীগ, এতে ‘এক দফার’ আন্দোলন ঝুঁকিতে পড়ছে কি না। জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ যদি সরকারে থাকে, প্রতিটি পদক্ষেপই ঝুঁকিপূর্ণ। এই ঝুঁকি নিয়ে চিন্তা করে লাভ নেই। মানুষ এখন জেগে উঠছে। তারা তাদের দাবি আদায়ে বদ্ধপরিকর। একটার পর একটা আন্দোলন করে মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। তখন আওয়ামী লীগের কর্মসূচি হলো শান্তির নামে অশান্তি সৃষ্টি করা। এ কাজটা তারা খুব সুচারুভাবে করে যাচ্ছে।’বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘একটা কথা আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, এই কথাটা আপনারা লিখবেন। কোনো কিছুই আটকে রাখতে পারবে না। আওয়ামী লীগের কোনো ভয়ভীতি, সভা–সমিতি, যত কিছুই করুক— আমাদের, বাংলাদেশের মানুষকে তাদের দাবি আদায়ের ক্ষেত্রে আটকে রাখতে পারবে না।’মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘আপনি গ্রেপ্তার বলেন, মামলা বলেন, রাত্রিবেলা মামলা পরিচালনা বলেন— কোনোটাই আর আটকে রাখতে পারবে না। সুতরাং আপনারা নিশ্চিত থাকতে পারেন, এবারকার আন্দোলন একটা অবধারিত লক্ষ্যের দিকে যাচ্ছে এবং সেটা জনগণের বিজয় আনার জন্য।’বিএনপি নয়াপল্টনে মহাসমাবেশের জন্য পুলিশকে চিঠি দিয়েছে। তবে পুলিশ বলেছে, তারা রাস্তায় সমাবেশ করতে দেবে না। এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা এ রকম কোনো উত্তর পাইনি। আমরা জানিয়েছি তাদের (পুলিশ কর্তৃপক্ষ)। এখানে অনুমতি চাওয়ার কিছু নেই।এখানে পুলিশকে অবগত করতে হয়, সে অবগত আমরা করেছি। এখন তাদের দায়িত্ব, এখানে কীভাবে কী করবে না করবে, সেটা তারা সিদ্ধান্ত নেবে।’আওয়ামী লীগ সমাবেশ ডেকেছে। এখন জামায়াতে ইসলামীও ২৮ অক্টোবর শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা আমাদের এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিয়েছি। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে অন্যান্য দলেরও অধিকার আছে, আওয়ামী লীগেরও অধিকার আছে কর্মসূচি করার। জামায়াতে ইসলামী মহাসমাবেশ ডেকেছে, তাদের সে অধিকার আছে। গণতন্ত্র মঞ্চ যুগপৎ আন্দোলনে আছে, তারাও সমাবেশ ডেকেছে, প্রায় ৪০টি দল ডেকেছে।’একে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই আন্দোলন একটা দলের বিষয় নয়। এটা শুধু এখন বিএনপির বিষয় নয়, সারা দেশের জনগণের বিষয়। সে কারণেই আমরা বলি, এটা (আন্দোলন) আরেকটা স্বাধীনতার যুদ্ধ, একটা মুক্তির যুদ্ধ। এবারকার সংগ্রাম হচ্ছে আমাদের মুক্তির সংগ্রাম।’

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ অক্টোবর ২০২৩


খালেদা জিয়ারকে চিকিৎসা দিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আসছে কাল

খালেদা জিয়ারকে চিকিৎসা দিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আসছে কাল

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস হাসপাতালের তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ঢাকায় আসছেন। আগামীকাল বুধবার তাঁদের ঢাকায় এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে বলে বিএনপি সূত্রে জানানো হয়েছে।যুক্তরাষ্ট্রের এই বিদেশি চিকিৎসকদের আসার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন। তিনি আজ বলেন, খালেদা জিয়ার ঢাকার চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে বিদেশি চিকিৎসক আনার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের তিন চিকিৎসকের আসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, বিদেশ থেকে চিকিৎসক আনার ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হয়।সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য জানিয়েছেন, ঢাকায় মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার বেশ কয়েকজন চিকিৎসকের সঙ্গে ভার্চ্যুয়ালি বৈঠকের মাধ্যমে রোগীকে চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। যুক্তরাষ্ট্রের যে চিকিৎসকদের সঙ্গে তাঁরা এত দিন সমন্বয় করছিলেন, তাঁদের মধ্য থেকে এখন আগামীকাল যুক্তরাষ্ট্রের তিন চিকিৎসক ঢাকায় আসবেন।এদিকে খালেদা জিয়াকে আজ করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) প্রায় আট ঘণ্টা রাখার পর আবার কেবিনে নেওয়া হয়েছে। তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন আজ এ তথ্য জানিয়েছেন।গত ৯ আগস্ট থেকে আড়াই মাস ধরে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া।চিকিৎসক জাহিদ হোসেন আজ প্রথম আলোকে বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক কিছু জটিলতা বেড়ে যাওয়ায় মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে তাঁকে কেবিন থেকে আজ ভোররাত সাড়ে তিনটার দিকে সিসিইউতে নেওয়া হয়েছিল। এরপর তাঁর শ্বাসকষ্টের সমস্যা কিছুটা কমলে আট ঘণ্টা পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাঁকে আবার কেবিনে নেওয়া হয়েছে।এবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় এর আগে চার দফায় খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে নেওয়া হয়েছিল।৯ অক্টোবর বিএনপি নেত্রীর চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা এক সংবাদ সম্মেলনে করে জানিয়েছিলেন, ‘খালেদা জিয়ার জীবন ঝুঁকির মধ্যে আছে। খালেদা জিয়ার যে অবস্থা, তাতে তাঁকে বাসায় নেওয়া যাবে না। এখানকার চিকিৎসকেরা তাঁদের সাধ্য অনুযায়ী যা করার, করেছেন। এখন তাঁকে বিদেশে নিতেই হবে। এতে তাঁর জীবন রক্ষা পেতে পারে।’বিএনপি নেত্রীর মেডিকেল বোর্ডের পক্ষ থেকে অনেক দিন ধরে তাঁর লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়ে আসছে।সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, লিভার সিরোসিসের কারণে খালেদা জিয়ার হৃদ্‌যন্ত্র ও কিডনির জটিলতা বেড়েছে। তিনি হাসপাতালে কখনো কিছুটা ভালো থাকছেন, পরক্ষণেই তাঁর স্বাস্থ্যের পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। এ কারণে তাঁকে সার্বক্ষণিক চিকিৎসা দিতে হচ্ছে এবং কখনো কখনো তাঁকে সিসিইউতে নিতে হচ্ছে।২৫ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়াকে স্থায়ীভাবে মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসা দেওয়ার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। কিন্তু সরকার সে আবেদন নাকচ করে দিয়েছে।৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার ও হৃদ্‌রোগে ভুগছেন।দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দী হন। দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দী ছিলেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দিয়েছিল। এর পর থেকে ছয় মাস পরপর তাঁর সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ অক্টোবর ২০২৩


বিএনপির খায়েশ পূরণ হবে না : ওবায়দুল কাদের

বিএনপির খায়েশ পূরণ হবে না : ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে ঢাকা শহর দখলের নামে আগুন সন্ত্রাসের হুমকি দিচ্ছে বিএনপি। এসব করে লাভ হবে না। তাদের (বিএনপি) খায়েশ পূরণ হবে না।রোববার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের সিডিউল হবে নভেম্বরের মাঝামাঝি। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে জানুয়ারিতে। নভেম্বরে নির্বাচনের ট্রেন ছেড়ে দেবে, মিস করলে পিছিয়ে পড়বেন। কারও জন্য অপেক্ষা করবে না। যথাসময়ে সংবিধান অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।তিনি বলেন, সংবিধানকে যারা কচুকাটা করেছে, তারাই এখন সংবিধান মানে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার উচ্চ আদালত বাদ দিয়েছে, আওয়ামী লীগ বাদ দেয়নি। যে জিনিস নাই, সেটা দাবি করছে বিএনপি। এদেশে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আসবে না। এই সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। কারও জন্য নির্বাচন আটকে থাকবে না। কেউ আসুক আর না আসুক, তার জন্য অপেক্ষা করা হবে না।ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা মনে মনে স্বপ্ন দেখছেন রাস্তা অবরোধ করে বা দখল করে এবং আগের মতো বাস পুড়িয়ে, মানুষ পুড়িয়ে আপনারা আপনাদের ইচ্ছামতো সংবিধানকে কচুকাটা করবেন, সেই স্বপ্ন কোনোদিন পূরণ হবে না। সেটা আমরা হতে দেব না। এই সংবিধান ব্যবস্থা বহাল রেখে নির্বাচন হবে। কারো জন্য নির্বাচন আটকে থাকবে না। তিনি আরও বলেন, আমরা জাতিকে বিভক্ত করছি না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এই দেশকে গড়তে চাই। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ, আদর্শ-চেতনাকে আপনারা ধ্বংস করেছেন। ভোট চুরি করেছেন। ২০০৬ সালে নির্বাচন করতে গিয়ে দেখা গেছে আপনারা ভুয়া ভোটার তৈরি করেছেন। কাজেই আমাদের সঠিক জায়গায় আসতে হবে। এ দেশকে সংবিধান অনুযায়ী চালাতে হবে। নির্বাচন ব্যবস্থা সংবিধান অনুযায়ী চালাতে হবে। এর বাইরে যারা যাবেন, অবরোধ দখলের হুমকি দিয়ে, আপনাদের খায়েশ পূর্ণ হবে না।সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম রওশন আরা মান্নান, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, হাইওয়ে পুলিশ প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শাহাবুদ্দিন খান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মশিউর রহমান রাঙ্গা, মহাসচিব এনায়েত উল্যাহ খন্দকার, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান, সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন প্রমুখ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ অক্টোবর ২০২৩


দেশের মানুষ এখন এই সরকারকে দেখতে চায় না, তারা পরিবর্তন চায়-মির্জা ফখরুল

দেশের মানুষ এখন এই সরকারকে দেখতে চায় না, তারা পরিবর্তন চায়-মির্জা ফখরুল

বর্তমান সরকার দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।তিনি বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম সরকার জনগণের দাবি মেনে নিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। কিন্তু তারা সেটা না করে জনগণের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে। একদিকে খাদ্যের চরম মূল্যস্ফীতি, অন্যদিকে কাজের অভাব। দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি। তারা (সরকার) যতই ভয়ভীতি দেখাক, পদত্যাগ না করলে পালানোর পথ পাবে না।’রোববার (২২ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে আগামী শনিবার ঢাকায় মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে এক যৌথসভা হয়।যৌথসভা শেষে সাংবাদিকদের বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে ফ্যাসিস্ট লুটেরা ও বেআইনি সরকার জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছে। তারা গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে, নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি রসাতলে নিয়ে গেছে। তারা আবারও একতরফা নির্বাচন করতে চায়। আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীকে মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় সাজা দেওয়া শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত এক হাজার ৩৬০ জনকে গ্রেফতার করেছে।’তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আইনজীবীদের ভবন উদ্বোধন করতে গিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা কোনো নির্বাহী প্রধান বলতে পারেন না। তিনি বিচারাধীন মামলা নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে প্রমাণিত হলো যে, আওয়ামী লীগ সরকার সরাসরি প্রভাব বিস্তার করে ফরমায়েশি রায় দিতে নির্দেশ দিচ্ছে। বিএনপি নেতাদের সাজা দেওয়ার চক্রান্ত কার্যকরী করছে।’বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকার কেবল ক্ষমতায় থাকার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করছে। এমনকি আদালতকেও ব্যবহার করছে। আমরা দেশের সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করছি। আমাদের দাবি একটাই, অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। কারণ এই সরকারের অধীনে কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এটা দেশে-বিদেশে সবাই বলছেন। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা একই কথা বলছেন। এটাই আমাদের মূল দাবি।’মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের মানুষ এখন এই সরকারকে দেখতে চায় না। তারা পরিবর্তন চায়। অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। তা না হলে প্রতিদিন জনগণ রাজপথে আন্দোলন দানা বাঁধছে। তারা তাদের দাবি আদায়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে আদায় করবে। আমাদের দ্বারা কিন্তু কোথাও অহিংস ঘটনা ঘটেনি। তবুও আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা হচ্ছে। এরই মধ্যে মাত্র চার দিনেই ৪৮টি মামলা দিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা আমাদের হুমকি দিচ্ছেন। এটা চরম দুর্ভাগ্যজনক। আসলে তারাও বিরোধীদলকে নির্মূল করার জন্য ফ্যাসিস্ট সরকারের সঙ্গে এক হয়েছে।’মহাসমাবেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আগামী ২৮ অক্টোবর আমাদের মহাসমাবেশ হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। সারাদেশের নেতাকর্মীরা আমাদের মহাসমাবেশে অংশগ্রহণ করবেন। পুলিশ প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলবো- কোথাও কিন্তু আপনারা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবেন না। এটা কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায় হবে। ওবায়দুল কাদের যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে তাদের উদ্দেশ্য বোঝা যায়, তারা বিনা কারণে আমাদের অফিসে আক্রমণ করেছে। আমরা আবারও বলছি, ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। এজন্য নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা আমাদের থাকবে। আমরা কোনো নেতাকর্মীকে অবস্থান নেওয়ার নির্দেশ দেইনি।’মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি এই সরকার বর্তমান সংসদ অধিবেশনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল পাস করে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে পারে। অন্যথায় দেশে যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার জন্য এই সরকারকেই দায় বহন করতে হবে। কারণ তারা জানে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে এই সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। সেজন্যই তো বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হচ্ছে। এই সরকারের সব পদক্ষেপ হচ্ছে দেশে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা।’

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ অক্টোবর ২০২৩


দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমা পেল সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম

দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমা পেল সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম

দ্বিতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগ থেকে ক্ষমা পেয়েছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থি কার্যক্রম ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে তাকে ক্ষমা করা হয়েছে।শনিবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ বিষয়টি জানানো হয়।জাহাঙ্গীর আলম বরাবর পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ‘শুভেচ্ছা গ্রহণ করবেন। উপর্যুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বার্থ, আদর্শ, শৃঙ্খলা তথা গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততার জন্য ইতোপূর্বে আপনাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়। ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থি কর্মকাণ্ড ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে ক্ষমা প্রার্থীদের প্রতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে। সেই সূত্রে আপনার প্রতিও ক্ষমা প্রদর্শন করা হলো। উল্লেখ্য, ভবিষ্যতে কোনো প্রকার সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হলে, তা ক্ষমার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।’এর আগে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী হয়েছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। পরে তাকে বহিষ্কার করা হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২১ অক্টোবর ২০২৩


সর্বাধিক পঠিত

পূজা চলাকালীন নেতাকর্মীদের পাহারা দিতে বললেন ওবায়দুল কাদের

পূজা চলাকালীন নেতাকর্মীদের পাহারা দিতে বললেন ওবায়দুল কাদের

দুর্গাপূজা চলাকালে হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজামণ্ডপ ও বাড়িঘরে পাহারা দিতে সারাদেশে দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সকালে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকের কাছে দলীয় এ নির্দেশনার কথা জানান।ওবায়দুল কাদের বলেন, কুমিল্লার সহিংসতার ঘটনাটি দলের গোচরে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে নিজেই খোঁজখবর নিয়েছেন। দল থেকে গোটা ব্যাপারটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কেউ অপকর্ম করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।বিএনপির ২৮ অক্টোবরের সমাবেশ ঘিরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১০ ডিসেম্বরের একই পরিণতি হবে ২৮ অক্টোবরে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ অক্টোবর ২০২৩


‘আ.লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহম্মেদের বাবা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে’

‘আ.লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহম্মেদের বাবা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে’

বঙ্গবন্ধুর খুনিরা এখন মেহেন্দীগঞ্জে আওয়ামী লীগ করছেন বলে মন্তব্য করেছেন বরিশাল-৪ (মেহেন্দীগঞ্জ-হিজলা) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) পঙ্কজ নাথ। গতকাল বুধবার মেহেন্দীগঞ্জে উপজেলার উলানিয়া ইউনিয়নে সড়কসহ কয়েকটি উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বক্তৃতায় পঙ্কজ নাথ এমন মন্তব্য করেন। আজ দুপুরে উলানিয়া বাজার এলাকায় এ অনুষ্ঠান হয়।এ সময় পঙ্কজ নাথ বলেন, এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও তৎকালীন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত মহিউদ্দীন আহম্মেদ বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করার পর ঢাকায় এমপি হোস্টেলে হাঁসের মাংস ও খিচুড়ি খেয়ে আমোদ-ফুর্তি করেছেন। আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতিমণ্ডলীর একজন সদস্য এর সাক্ষী। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মহিউদ্দীন আহম্মেদের সহযোগীরা মেহেন্দীগঞ্জে ও বরিশালে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করেছেন। এখন তাঁরাই মেহেন্দীগঞ্জে আওয়ামী লীগ করছেন।মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মহিউদ্দীন আহম্মেদের মেয়ে শাম্মী আহম্মেদ বর্তমানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক। তাঁর বড় ছেলে সাহাব আহম্মেদ মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী শাম্মী আহম্মেদ। শাম্মী আহম্মেদ কয়েক দিন ধরে এলাকায় অবস্থান নিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে সভা-সমাবেশ করছেন। তিনি আজ বিকেলেও হিজলা-গৌরবদী ইউনিয়নের একতা বাজারে একটি সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন।এর আগে গত সোমবার বিকেলে হিজলার কাউরিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ হয়। সেখানে হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ এবং সাংগঠনিক উপজেলা কাজীরহাটের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা এমপি পঙ্কজের নানা সমালোচনা করে বক্তব্য দেন। ১০ বছরে এলাকায় তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর অন্যায়-অত্যাচার করায় আগামী নির্বাচনে এখানে শাম্মী আহম্মেদকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান। ওই কর্মিসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন শাম্মী আহম্মেদ।শাম্মী আহম্মেদের কর্মী সমাবেশের দুই দিন পর পঙ্কজ নাথ আজ তাঁর বাবাকে নিয়ে মন্তব্য করেন। পঙ্কজ নাথ বলেন, বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মহিউদ্দীন আহম্মেদ। ক্ষমতা পেয়ে তিনি ওই সময় বরিশাল শহরে হিন্দু ও খ্রিষ্টানদের বাড়ি দখল করেছিলেন। ঢাকায় বাবর রোডে এক বিহারির বাড়ি দখল করেছিলেন। এ জন্য বঙ্গবন্ধু তাঁকে ওই সময় গভর্নর করেননি। এতে মহিউদ্দীন আহম্মেদ বঙ্গবন্ধুর ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন বলেও মন্তব্য করেন পঙ্কজ।পঙ্কজ নাথ আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর মহিউদ্দীন আহমেদ সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে বরিশালে এসে মেহেন্দীগঞ্জের আওয়ামী লীগের পক্ষের নেতাদের থানায় ঝুলিয়ে পিটিয়েছেন। তাঁর লোক কামাল খানসহ (বর্তমানে মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র) অন্যরা মেহেন্দীগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভেঙে উল্লাস করেছিলেন। এখন পুনরায় তাঁরা একত্র হয়েছেন আওয়ামী লীগের মধ্যে প্রবেশ করে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে। তবে তাঁদের এ ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়া হবে।এসব বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে আজ সন্ধ্যায় পঙ্কজ নাথ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি মেহেন্দীগঞ্জ আওয়ামী লীগকে বঙ্গবন্ধুর খুনির সমর্থদের কাছ থেকে মুক্ত করতে চাই।’ এ সময় এসব বক্তব্য দেওয়ার বিষয়টি তিনি স্বীকার করেন।শাম্মী আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি শুনেছি। তবে এসব নোংরা ও জঘন্য মিথ্যাচারের ব্যাপারে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। বরিশালের মানুষ জানে আমার বাবা কে ছিলেন, তাঁর রাজনৈতিক ভূমিকা কী ছিল।’পঙ্কজ নাথের অভিযোগ প্রসঙ্গে কামাল উদ্দিন খান বলেন, এলাকায় দল ও জনগণ এখন আর তাঁকে (পঙ্কজ নাথ) চায় না। তাই উনি এখন দিকশূন্য হয়ে নানা বেফাঁস মন্তব্য করছেন। এর সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। কামাল খান বলেন, তিনি গত ১০ বছরে দলের নেতা-কর্মীদের ওপর নির্মম অত্যাচার করেছেন। দুটি উপজেলা ও আটটি ইউনিয়নের দলীয় প্রার্থীদের পরাজিত করিয়েছেন। গত ১০ বছরে তাঁর অন্যায়-অত্যাচারে ১১ জন খুন হয়েছেন। এখন এসব চাপা দিতে এমন অলীক মন্তব্য করছেন।মহিউদ্দীন আহম্মেদের ছেলে সাহাব আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘মহিউদ্দীন আহম্মেদ কেমন নেতা ছিলেন, সেটা এ অঞ্চলের মানুষ জানেন। আমার বাবাকে পাকিস্তানি সরকার মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল। দেশ স্বাধীন হওয়ায় তিনি বেঁচে গিয়েছিলেন। তিনি গুরুতর হাঁপানির রোগী ছিলেন। একজন হাঁপানির রোগী কি হাঁসের মাংস খেতে পারেন? আর তিনি যদি এটা করতেন, তাহলে এত দিন এসব কথা কেউ কি বলত না? তাহলে কি দলীয় সভানেত্রী আমার বোনকে তিনবার দলের সম্পাদকমণ্ডলীর পদ দিতেন? এটা কতটা হাস্যকর ব্যাপার হতে পারে যে যাঁকে দল শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সব পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে, তিনি কিনা এখন এসব কাল্পনিক গল্প শোনাচ্ছেন।’দলের নেতা-কর্মীরা বলেন, গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে পঙ্কজ নাথকে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তবে পঙ্কজের কর্মী-সমর্থকেরা বলছেন, কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে পঙ্কজ নাথকে দলীয় সব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পর তাঁকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছিল। তিনি তাঁর জবাব দিয়েছেন এবং একই সঙ্গে তাঁর ওপর দলীয় সিদ্ধান্ত বাতিল চেয়ে একটি আবেদনও করেছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের অক্টোবরে পঙ্কজ নাথ ও আবেদনকারী শতাধিক নেতা-কর্মীকে ক্ষমা করে দিয়েছেন দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখন আর দলীয় কার্যক্রমে আর কোনো বাধা নেই। সুত্র- প্রথম আলো

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ অক্টোবর ২০২৩


খালি মাঠে ওয়াকওভার চান আওয়ামী লীগ নেতারা -মির্জা ফখরুল

খালি মাঠে ওয়াকওভার চান আওয়ামী লীগ নেতারা -মির্জা ফখরুল

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে বিরোধী দলগুলোকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তারা চান খালি মাঠে ওয়াকওভার।নব্বইয়ের ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের নেতা সাইফুদ্দিন আহমেদ মণির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে আয়োজিত স্মরণ সভায় তিনি এ কথা বলেন।ফখরুল বলেন, 'নির্বাচনী ব্যবস্থা সঠিকভাবে করার জন্য আমাদের সংগ্রাম করতে হচ্ছে। ভোট দিতে পারব কি পারব না তার জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। আমার ভোট আমি দিতে পারব কি না তার জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। কী দুর্ভাগ্য আমাদের, এমনভাবে কথা-বার্তা আসে আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্য থেকে যে, মনে হয় এটা তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি এবং এটা একজনেরই সম্পত্তি।'তিনি বলেন, 'এখন আওয়ামী লীগের যে বক্তব্য, তাতে ওই কথাই প্রধান হয়ে উঠে আসে—আরে এটা তো আমার সম্পত্তি, তুমি আবার এর মধ্যে কোত্থেকে নাক গলাও! এই জিনিসটা এসে গেছে তাদের মধ্যে।'গতকাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দেওয়া বক্তব্যের জের ধরে ফখরুল বলেন, 'উনি আমাদের শেষ বার্তা দিয়ে দিয়েছেন আগামী নির্বাচনকালীন সরকার প্রধান থাকবেন শেখ হাসিনা এবং আবারও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে আসবেন। সেটাই যদি মনে করেন, উনি নির্বাচিত হয়ে আসবেন তাহলে তো নির্বাচনের প্রয়োজনই নেই! কোনো দরকার নেই তো!'ওটাই উনারা চাচ্ছেন; এই যে আমাদের নির্বাচন করার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করছেন। বিরোধী দলগুলোকে যে নির্বাচনে আসতে দিতে চাচ্ছেন না তার একটাই কারণ—তারা চান খালি মাঠে ওয়াকওভার। সেই জন্য ওবায়দুল কাদের সাহেবরা প্রাণপণ চিৎকার করে একটাই কথা বলতে শুরু করেছেন যে, এটা থাকবে এবং এটাই হচ্ছে শেষ বার্তা,' বলেন বিএনপি মহাসচিব।তিনি আরও বলেন, 'আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, আপনারা যে কথাটা বলছেন এটা কি জনগণের কথা? জনগণের কথা নয়। জনগণের ভাষাও আপনারা কোনোদিন বুঝতে চেষ্টা করেননি।'ফখরুল আরও বলেন, 'আওয়ামী লীগ একটি দল, যারা সব সময়ই জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে এবং জনগণের সঙ্গে এদের কোনো সম্পর্ক নেই। এরা নির্বাচনের আগে মানুষকে সুন্দর সুন্দর কথা বলে। এমন মন ভোলানো কথা বলে যে মানুষ একেবারে আকৃষ্ট হয়ে যায় এবং তার পরে তারা একটা সিদ্ধান্ত নেয়। দুর্ভাগ্য হচ্ছে যে, নির্বাচনের পরে পরেই ওই মানুষগুলোই আবার গান গায়—আগে জানলে তোর ভাঙ্গা নৌকায় চড়তাম না।'একমাত্র আওয়ামী লীগের কারণে নির্বাচনী ব্যবস্থা ঠিক করা যাচ্ছে না বলেও এ সময় মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।তিনি বলেন, 'এ দেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে চারটা নির্বাচন হয়েছে। এগুলো জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে। আওয়ামী লীগ জানে যে, সুষ্ঠু-অবাধ নির্বাচন হলে, জনগণ ভোট দিতে পারলে সে ক্ষমতায় থাকতে পারবে না, আসতে পারবে না। সেই কারণেই লেগে আছে, সংবিধানের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। সংবিধান তো আপনারা পরিবর্তন করেছেন! পরিবর্তন করেছেন প্রতারণা করে।'আওয়ামী লীগ কেন জোর করে বসে আছে এভাবেই নির্বাচন হতে হবে ব্যাখ্যা করে ফখরুল বলেন, 'কারণ ওরা জানে নির্বাচন যদি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হয় তাহলে তারা ক্ষমতায় আসতে পারবেন না। ক্ষমতায় আসতে না পারলে তাদের যে সমস্যা; তারা বহু চুরি করেছে, লুটপাট করেছে, দেশকে শেষ করে দিয়েছে একেবারে।'

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ অক্টোবর ২০২৩


ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ২৮ অক্টোবর

ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ২৮ অক্টোবর

আগামী ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আগামী ২৮ অক্টোবর শনিবার ঢাকায় মহাসমাবেশ করবো। সমাবেশ থেকে মহাযাত্রা শুরু হবে। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা থেমে থাকবো না। মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে নানা বাধা আসবে। সব বাধা অতিক্রম করে মহাসমাবেশ সফল করতে হবে।বুধবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এ জনসমাবেশ করেছে বিএনপি।নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, আপনারা এখান থেকে চলে গিয়ে বসে থাকবেন না। আপনারা ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষকে বার্তা দেন যে, মানুষ জেগে উঠেছে। এই জাগরণের মধ্যে দিয়ে এই সরকারের পতন হবে।সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বিভিন্ন রকমের অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চাচ্ছে। তাতে জনগণ বিভ্রান্ত হচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।সরকারকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, একটা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন। সামনে কয়েকটা দিন সময় আছে। সামনে পূজার ছুটি। এর মধ্যে সিদ্ধান্ত নেন। পদত্যাগ করে স্বসম্মানে সেভ এক্সিট নিবেন নাকি জনগণ দ্বারা বিতাড়িত হবেন।ফখরুল বলেন, রাষ্ট্রপতি দেশের বাইরে গেলে কাউকে দায়িত্ব দিয়ে যান। বর্তমান রাষ্ট্রপতি দেশের বাইরে গেছেন কিন্তু কাউকে দায়িত্ব দিয়ে যাননি। এটা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক।বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায়ে গত ১২ জুলাই ‘এক দফা’ আন্দোলনের ডাক দেয়া হয়। পরে অক্টোবরেই আন্দোলন ‘চূড়ান্ত পর্যায়ে’ নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন নেতারা।পরে ২০ থেকে ২৪ অক্টোবর দুর্গা পূজার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে পূজা শেষে ‘চূড়ান্ত’ আন্দোলনে নামার কথা জানায় বিএনপি ও সমমনারা।মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এই ‘অশান্তি সৃষ্টিকারী, এই ‘সন্ত্রাসী’ আওয়ামী লীগের পতন ঘটাব ইনশাআল্লাহ।’এ সময় তিনি শ্লোগান ধরে বলেন, ‘ফয়সালা হবে কোথায়?’ নেতা-কর্মীরা সমস্বরে বলেন, ‘রাজপথে, রাজপথে।’ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক মো. আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মো. আমিনুল হক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব লিটন মাহমুদের পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, হাবিবুর রহমান হাবিব, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল প্রমুখ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ অক্টোবর ২০২৩


বিএনপির সমাবেশ শুরু, লোকে লোকারণ্য নয়াপল্টন

বিএনপির সমাবেশ শুরু, লোকে লোকারণ্য নয়াপল্টন

সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত সমাবেশ শুরু হয়েছে। বুধবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে অস্থায়ী মঞ্চে কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সমাবেশের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সমাবেশে অংশ নিতে সকাল থেকে নয়াপল্টনের দিকে মিছিল নিয়ে দলে দলে ছুটছেন বিএনপিসহ দলটির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এসময় তাদের মাথায় লাল-সবুজসহ বিভিন্ন রঙের ক্যাপ দেখা যায়।রাজধানীর বাইরের বিভিন্ন জেলা থেকে এসেও সমাবেশে অংশ নিয়েছেন নেতাকর্মীরা। তাদের হাতে রয়েছে ব্যানার-ফেস্টুন। অনেকের হাতে রয়েছে জাতীয় ও বিএনপির দলীয় পতাকা। দলে দলে সমাবেশ স্থলে আসায় শুরুর আগে থেকেই নয়াপল্টন, কাকরাইল, ফকিরাপুল ও বিজয়নগর এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠেছে। এদিকে বিএনপির পক্ষে থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, সমাবেশে আসতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রবেশমুখে নেতাকর্মীদের বাধা দেওয়া হয়েছে। আর সমাবেশকে কেন্দ্র করে গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ৫০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।অন্যদিকে বিএনপির সমাবেশের কারণে নয়াপল্টন, কাকরাইল, ফকিরাপুল ও বিজয়নগর এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে আশপাশের সড়কে তীব্র যানজটে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।বিএনপির সমাবেশ স্থলসহ কাকরাইল, বিজয়নগর ও ফকিরাপুল এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ সদস্য। এছাড়া সাদা পোশাকেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে। এসব স্থানে প্রিজন ভ্যানও রাখা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ অক্টোবর ২০২৩


নির্বাচনে কেউ অংশ না নিলে সেটার জন্য নির্বাচন বন্ধ হবে না - কাদের

নির্বাচনে কেউ অংশ না নিলে সেটার জন্য নির্বাচন বন্ধ হবে না - কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী, স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সংবিধানের সব নিয়ম মেনে যে নির্বাচন চলছে সে নির্বাচনে কেউ যদি অংশ না নেয় সেটার জন্য সে নির্বাচন বন্ধ হবে না। বহুদল আছে যারা নির্বাচনে অংশ নেবে। দু-একটা দল অংশ না নিলে সে নির্বাচন কেন গ্রহণযোগ্য হবে না? নির্বাচনে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক অধিকার। কেউ যদি নিজের অধিকার প্রয়োগ না করে সেটা তাদের ব্যাপার।বুধবার (১৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন উপলক্ষে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, ভাঙচুর, অগ্নিসন্ত্রাস, অস্ত্র ও খুনের মামলায় আগে থেকে যারা জড়িত সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের গ্রেফতার করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নতুন করে গ্রেফতারের কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।তিনি বলেন, ৭৫ এ খন্দকার মোশতাক ও মেজর জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে যে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছিলেন, ৩ নভেম্বর জেল হত্যা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা-এ সমুদয় হত্যাকাণ্ডের মূল উদ্দেশ্য বঙ্গবন্ধু পরিবারকে ও আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করা। যে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বাংলাদেশে শুরু হয়েছিল সে ঘৃণ্য রাজনীতি থেকে তাদের উত্তরসূরিরা এখনো সরে দাঁড়ায়নি। সে ধারাবাহিকতা এখনো বহন করে চলছে জিয়াউর রহমানের দল বিএনপি।এ হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বাংলাদেশের মাটি থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্মূল করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যতদিন শেখ রাসেলের মতো অবুঝ শিশুর জন্য নিরাপদ ও বাসযোগ্য করে না তুলতে পারবো ততদিন পর্যন্ত আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে।এর আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দলীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে শহীদ শেখ রাসেলের সমাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে বনানী কবরস্থ মসজিদে শেখ রাসেলসহ পঁচাত্তরে ১৫ আগস্টে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এতে অংশ নেন দলীয় নেতাকর্মীসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ অক্টোবর ২০২৩


সরকার পরিবর্তন করতে চাইলে নির্বাচনে আসতে হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সরকার পরিবর্তন করতে চাইলে নির্বাচনে আসতে হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সরকার পরিবর্তন করতে হলে বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।তিনি বলেন, ‘বিএনপি একের পর এক সমাবেশ, একের পর এক কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছে। তারা বলছে, এভাবে তারা লাগাতার কর্মসূচি দিয়ে যাবেন। তারা যেটা চাচ্ছেন যে সরকার পতন। এই ধরনের আচরণ কিংবা ষড়যন্ত্র করে কোনোদিন সরকার পরিবর্তন হবে না। আমরা সবসময় বলে আসছি সরকার পরিবর্তন করতে হলে নির্বাচনে আসতে হবে।’মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ- আইডিইবিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। শেখ রাসেলের জন্মদিন ও শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষ যদি আপনাদের ভোট দেয়, আপনারা অবশ্যই জয়যুক্ত হলে সেখানে (সরকারে) যাবেন। এ ধরনের আন্দোলন, ঘেরাও, অবস্থান, জ্বালাও-পোড়াও ২০১৪-১৫ সালে আপনারা দেখেছেন। তাদের আন্দোলনের মাত্রা ছিল কতখানি। ৯০ দিন ধরে তারা অগ্নিসংযোগ করেছে, মানুষ পুড়িয়েছে, মানুষ হত্যা করেছে। সে কারণে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতারা হয়তো মনে করছেন- বিএনপি আবার সেই অবস্থায় যেতে পারে। আমরা মনে করি তারা একবার ভুল করেছেন, আর একবার ভুল করলে এ দেশের জনগণ তাদের ক্ষমা করবে না।’

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ অক্টোবর ২০২৩


সংলাপ নয়, চূড়ান্ত আন্দোলনের প্রস্তুতিতে বিএনপি

সংলাপ নয়, চূড়ান্ত আন্দোলনের প্রস্তুতিতে বিএনপি

এক দফা দাবি আদায়ে রাজধানীকে কেন্দ্র করে চূড়ান্ত পরিকল্পনা নিচ্ছে বিএনপি। দেশব্যাপী সমাবেশ ও রোডমার্চ কর্মসূচি শেষে রাজধানী ঢাকা মহানগরীকে এবার আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করতে চায় দলটি। এ জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থাপনা ঘেরাও, গণ অবস্থান, হরতাল, অবরোধ এমনকি ‘অসহযোগ’-এর মতো কঠিন কর্মসূচি ঘোষণার কথাও চিন্তাভাবনায় রয়েছে। ঢাকা মহানগরী (উত্তর ও দক্ষিণ) বিএনপিসহ আশপাশ জেলাগুলোর সর্বস্তরের নেতা-কর্মীকে সর্বাত্মক প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।তবে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার আগে কঠোর কোনো কর্মসূচিতে যাবে না বিএনপি ও মিত্ররা।দলের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার কর্মসূচি সফল করতে ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সব ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের কাজও প্রায় শেষ। ১৮ অক্টোবর ঢাকায় অনুষ্ঠেয় জনসভা থেকে ‘এক দফা দাবি’ মেনে নিতে সরকারকে আলটিমেটাম বেঁধে দেওয়ার কথা রয়েছে। নির্ধারিত ওই সময়ের মধ্যে দাবি না মানলে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই শেষ ধাপের কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে বিএনপি।বিএনপির নেতারা মনে করছেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিসহ অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ মনোভাব থেকে সাধারণ মানুষের বড় অংশ বিরোধী দলের আন্দোলনকে সমর্থন করছে। এর সঙ্গে নির্বাচন সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি এবং পশ্চিমা দেশগুলোর পদক্ষেপ বিএনপির জন্য সহায়ক হচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে এবার ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের মতো একতরফা নির্বাচন করা আওয়ামী লীগের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে বিএনপির এবার আন্দোলন পরিণতির দিকে যেতে পারে।কর্মসূচির বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘রোডমার্চ ও সমাবেশ অনেক করেছি। আর কোনো রোডমার্চ নেই। এখন থেকে সব ঢাকায় হবে। রাজধানীতেই সরকারের পতন ঘটাতে হবে। দুর্গাপূজার আগে আমরা কোনো কঠোর কর্মসূচিতে না গেলেও এর মধ্যে সরকার পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে না দিলে জনগণই সেই ক্ষমতা দখল করবে।’দলটির একাধিক জ্যেষ্ঠ নেতা জানিয়েছেন, যেহেতু নভেম্বরে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে সময় বেশি নেই, ফলে তারা সংলাপ বা আলোচনার প্রশ্নে কোনো চিন্তা করছেন না। তাঁরা রাজপথে চূড়ান্ত আন্দোলনে যাওয়ার বিষয়কেই অগ্রাধিকার দিচ্ছেন।বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একজন নেতা বলেছেন, আওয়ামী লীগ একতরফা নির্বাচন করে ফেললে ১৭ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি অস্তিত্বের সংকটে পরবে। এই পরিস্থিতির বিবেচনায় দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এই সরকারের অধীনে কোনোভাবেই নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার অবস্থানে অটল থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সে জন্য অক্টোবরের শেষেই ঢাকামুখী লংমার্চ বা অবরোধের মতো কর্মসূচি নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা চলছে।বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এক দফার আন্দোলনে যাওয়ার আগেই সরকার সংবিধানের দোহাই দিয়ে আমাদের সঙ্গে কোনো সংলাপে না বসার কথা বলেছিল।এখন সংলাপের আর কোনো সুযোগ নেই।’ এরপরও মার্কিন প্রাক্‌–নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল যেসব সুপারিশ করেছে, সেগুলো তারা দলের উচ্চপর্যায়ে আলোচনা করবেন বলে মির্জা ফখরুল জানান।বিএনপির নেতাদের কেউ কেউ আবার মনে করেন, সংলাপের মাধ্যমে সমাধান করে সংঘাত এড়ানো প্রয়োজন। কিন্তু কখনো সংলাপ হলেও তা অর্থবহ হবে না বলে তাঁদের ধারণা।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ অক্টোবর ২০২৩


খালেদা জিয়াকে বিষ প্রয়োগে হত্যার পরিকল্পনা, অভিযোগ রিজভীর

খালেদা জিয়াকে বিষ প্রয়োগে হত্যার পরিকল্পনা, অভিযোগ রিজভীর

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিষ প্রয়োগে হত্যার পরিকল্পনা ক্লিয়ার হয়েছে এমন অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।রিজভী বলেন,‘সময় হয়ে গেছে, এত কান্নাকাটি করে লাভ নাই’ অর্থাৎ শেখ হাসিনা জানেন বেগম জিয়া কখন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বেন।তিনি বলেন দেশবাসী জানে, একজন ব্যক্তির জীবন-মরণের বেদনার্ত করুণ সন্ধিক্ষণের কাহিনি। জনগণের মধ্যে জনপ্রিয় তিনি। যিনি জীবনে কখনোই নির্বাচনে পরাজিত হননি, তার জীবনের বেশিরভাগ সময় কেটেছে আপোসহীন সংগ্রামে। তিনি স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের প্রশ্নে নির্ভিক যোদ্ধার মতন তেজোদীপ্ত। তিনি দেশের অগ্রগতি ও প্রগতির ধারাকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তার আহ্বানে জীবনের ঝুঁকি নিতে দ্বিধা করে না কেউ। তিনি দেশবাসীর ভালোবাসায় সমাদৃত দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, সংগ্রামী মানুষ যে আবেগজনিত শক্তি অর্জন করেছে তার প্রেরণা বেগম খালেদা জিয়া।তিনি অভিযোগ করে বলেন, ২০১৭ সালে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া লন্ডনে গিয়েছিলেন। তিন মাস পর সেপ্টেম্বরে তিনি যখন দেশে ফেরেন তখন তিনি শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি একটি মিথ্যা মামলার ফরমায়েশী রায়ে তাকে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর দৃশ্য দেশবাসী দেখেছে। সোয়া দুই বছরে তিনি কেন এত গুরুতর অসুস্থ হলেন।রিজভী আরও বলেন, বেগম জিয়ার রোগব্যাধির ভয়াবহতা এখন চরম পর্যায়ে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আর্থারাইটিসে আক্রান্ত। কারাগারে যাবার পরে যকৃতের রোগ (লিভার সিরোসিস) দেখা দিয়েছে। যে রোগের কারণে তার পোর্টাল হাইপারটেনশন, পেটে ও ফুসফুসে পানি আসা, অন্ত্রের রক্তরক্ষণ হচ্ছে, যার চিকিৎসা এদেশে আর সম্ভব নয় বলে মেডিকেল বোর্ড ইতোমধ্যে পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়াও রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে নেই। বর্তমানে তিনি কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। সবমিলিয়ে দেশনেত্রীর শারীরিক অবস্থা জটিল আকার ধারণ করেছে। বারবার তাকে সিসিইউতে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ অক্টোবর ২০২৩


অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য অর্থবহ সংলাপ চায় যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষক দল

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য অর্থবহ সংলাপ চায় যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষক দল

বাংলাদেশে একটি বিশ্বাসযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক ও সহিংসতামুক্ত জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে অর্থবহ সংলাপে বসতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল।ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) ও ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) সমন্বয়ে গঠিত মার্কিন প্রতিনিধিদলটি গত সপ্তাহে বাংলাদেশ সফর করে। পাঁচ দিনের মিশন শেষে মার্কিন প্রতিনিধিদলটি বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সরকার, রাজনৈতিক দল, নির্বাচন কমিশনসহ অংশীজনদের কাছে পাঁচটি সুপারিশ রেখেছে।১৪ অক্টোবর ওয়াশিংটন থেকে প্রচারিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক মিশন পাঠানোর বিষয়টি মূল্যায়ন করতে ৭ অক্টোবর ঢাকায় এসেছিল মার্কিন প্রতিনিধিদলটি।ঢাকা সফরকালে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করে প্রতিনিধিদলটি। এ ছাড়া তারা নির্বাচন কমিশনসহ বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠক করে।বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিবেশসহ নির্বাচন-পূর্ব রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনায় গত জুলাইয়ে বাংলাদেশ সফর করেছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রাক্-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ অক্টোবর ২০২৩


বিএনপি সাথে সংলাপের বিষয়টি চিন্তা করে দেখা হবে: কাদের

বিএনপি সাথে সংলাপের বিষয়টি চিন্তা করে দেখা হবে: কাদের

বিএনপি শর্ত প্রত্যাহার করলে সংলাপের বিষয়টি চিন্তা করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিং সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে এই প্রেস ব্রিফিং হয়.বাংলাদেশে একটি বিশ্বাসযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক ও সহিংসতামুক্ত জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিতের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে অর্থবহ সংলাপে বসতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল। ১৪ অক্টোবর ওয়াশিংটন থেকে প্রচারিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের এই আহ্বানের বিষয়ে ওবায়দুল কাদেরের কাছে প্রশ্ন রাখেন সাংবাদিকেরা। জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি যদি তাদের চার শর্ত প্রত্যাহার করে, তাহলে সংলাপের বিষয়টি চিন্তা করে দেখা হবে।সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, শর্তযুক্ত সংলাপের বিষয়ে তাঁদের কোনো চিন্তাভাবনা নেই।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ অক্টোবর ২০২৩


আসলে তলে তলে কিছুই হয়নি - মির্জা ফখরুল

আসলে তলে তলে কিছুই হয়নি - মির্জা ফখরুল

তলে তলে সব হয়ে গেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতার ইঙ্গিত দিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন। সেই বক্তব্যের জবাবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তলে তলে কিছুই হয়নি।শনিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপি আয়োজিত গণঅনশন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, যে নেত্রী গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আজীবন ত্যাগ স্বীকার করে আসছেন তিনি আজ বন্দি। আজ এ অনশনে সব রাজনৈতিক দল স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে এবং শপথ করেছে এ সরকারের বিদায় না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাবে না।সরকারের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, এরা সরকার নয়। এরা শাসক। এরা ভয়ানক দল। এরা ঘোষণা দেন বিএনপি আমাদের শত্রু। একটি রাজনৈতিক দল একথা বলতে পারে না। আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল হতে পারে না। এরা কমান্ডো কায়দায় আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে।মির্জা ফখরুল বলেন, আজ খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্রের মুক্তি অবিচ্ছেদ্য অংশ। খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে গণতন্ত্র মুক্তি পাবে। তাই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। আজ দেশকে বাঁচাতে হলে, অর্থনীতি বাঁচাতে হলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প নেই।বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা সাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। তাই পূজায় আমরা কোনো কর্মসূচি রাখিনি। সরকারের লোকেরা নিজেরা পূজামণ্ডপে হামলায় চালিয়ে আমাদের ওপর দায় চাপাবে। এগুলো তাদের অতীত ইতিহাস। তারপরও গতকাল তারা হিন্দু খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভায় হামলা চালিয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ অক্টোবর ২০২৩