একতরফা তফসিল হলে লাগাতার হরতাল-অবরোধ; দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম এটি। বলা হয় দেশে নির্বাচনের কোনো ‘পরিবেশ না থাকায়’ এখনি তফসিল ঘোষণার পক্ষে নয় বিএনপিসহ রাজপথে নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে আন্দোলনে থাকা রাজনৈতিক দলগুলো।বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, একতরফা তফসিল ঘোষণা করা হলে লাগাতার হরতাল-অবরোধের কর্মসূচিতে যাবে দলটি। কোনো সমঝোতা না হলে কিংবা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি থেকে তারা পিছু হটবে না। মানুষের চলাচল ও পণ্য পরিবহনের সুবিধা তথা জনস্বার্থে শুক্র ও শনিবার বাদ দিয়ে এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।গ্রেপ্তার ও সহিংস ঘটনার মধ্যে বিএনপির ৪৮ ঘন্টার অবরোধ শুরু - প্রথম আলোর খবর।এতে বলা হচ্ছে একদিকে ধরপাকড় ও প্রেপ্তার অন্যদিকে সড়কে যানবাহনে অগ্নিসংযোগের সহিংস ঘটনা – এর মধ্যে চলছে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর অবরোধ কর্মসূচি।আজ চতুর্থ দফায় সারা দেশে ৪৮ ঘন্টার বড়ক, রেল ও নৌপথে এই অবরোধ শুরু হচ্ছে। রোববার সকাল ছয়টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত অবরোধ চলবে।রাতেই ঢাকায় আট বাসে আগুন – সমকালের শিরোনাম। তারা বলছে সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী রোববার থেকে চতুর্থ দফায় সারাদেশে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সড়ক, রেল ও নৌপথে সর্বাত্মক এ কর্মসূচি পালন করবে দলটি।একই সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, এলডিপি, গণফোরাম, গণঅধিকার পরিষদসহ আরও বেশ কটি সমমনা দল ও জোটের পক্ষ থেকেও এ কর্মসূচি পালন করা হবে। যুগপৎ আন্দোলনে না থাকলেও জামায়াতে ইসলামী একই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।তবে অবরোধ শুরুর আগেই শনিবার রাতে রাজধানীতে অন্তত আটটি বাসে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও তাৎক্ষণিকভাবে জড়িতদের শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।টাকার মান কমছে অস্বাভাবিক হারে – যুগান্তরের আরেকটি খবর। এখানে বলা হচ্ছে ডলারের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের মুদ্রার বিপরীতে টাকার মান অস্বাভাবিক হারে কমতে শুরু করেছে।দেশে ডলারের তীব্র সংকটের কথা বাইরের দেশগুলোতে প্রচারিত হওয়ার পর বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো টাকার মান কমিয়ে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর মুদ্রার মান বাড়িয়ে দিয়েছে। গত এক এক সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার বিপরীতে টাকার মান কমেছে ৭ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত। এত বেশি টাকার দরপতনে রেমিট্যান্স আহরণের খরচ বেড়ে গেছে। এতে ব্যাংকগুলো পড়েছে বিপাকে।থমথমে গাজীপুর-আশুলিয়া, শতাধিক পোশাক কারখানা বন্ধ – মানবজমিনের শিরোনাম। এখানে বলা হয় ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে চলমান শ্রমিক অসন্তোষের জেরে সাভার-আশুলিয়ার ১৩০টি তৈরি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।গতকাল আশুলিয়ার বাইপাইল, জামগড়া, ছয়তলা, বেরণ ও নরসিংহপুর এলাকার এসব কারখানার প্রধান গেটের সামনে বন্ধের নোটিশ টানিয়ে দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ। শনিবার সকালে কাজে যোগ দিতে আসা গেটের সামনে শ্রমিকদের ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। তবে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কারখানাগুলোর সামনে ও আশেপাশের এলাকায় বিপুল পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের শিরোনাম BNP office under lock for 14 days, 24hr watch – অর্থাৎ ১৪দিন হল তালাবন্ধ বিএনপির অফিস, ২৪ ঘন্টা নজরদারিও করা সেখানে। এ খবরে বলা হয়েছে, ২৮শে অক্টোবর মহাসমাবেশ ঘিরে সহিংসতার পর থেকে শনিবার পর্যন্ত টানা ১৪ দিন তালাবদ্ধ রয়েছে নয়া পল্টনে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়।নিউ এজের প্রতিবেদক সেখানে সরেজমিনে গিয়ে দেখেছেন, প্রধান ফটকে তালা ঝুলছে এবং ৩০-৪০ জন পুলিশ সদস্যের উপস্থিতি দেখতে পাওয়া যায় সেখানে যারা টানা টহল দিয়ে যাচ্ছে।আশেপাশে কোন নেতাকর্মীর উপস্থিতি নেই। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ২৮শে অক্টোবর থেকে তারা ২৪ ঘন্টা এখানে নজর রাখছেন। বিএনপি অভিযোগ করেছে পুলিশ তাদের ঢুকতে দিচ্ছে না।সরকারি হিসাবেই দ্রব্যমূল্য বেড়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে – মানবজমিনের অন্যতম প্রধান শিরোনাম এটি। বলা হচ্ছে নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন জ্বলছে। খরচ বাঁচাতে অসহায় মানুষ চাহিদায় কাটছাঁট করছেন। তবুও হিসাব মিলছে না।বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির যে হিসাব দেখা যায় তার বাস্তব চিত্র মেলে সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিদিনকার হিসাবেও। টিসিবি’র ৩ বছরের বাজারমূল্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রায় সব পণ্যেরই দাম বেড়েছে। কিছু কিছু পণ্যের দাম এতই বেড়েছে যে, তা ১০০ থেকে ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছুঁয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ নভেম্বর ২০২৩
বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন নিশ্চিত করা যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের লক্ষ্য বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর। গতকাল বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল।ব্রিফিংয়ে বেদান্ত প্যাটেলের কাছে জানতে চাওয়া হয়, বাংলাদেশ সরকার সন্ত্রাস ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে। দৃশ্যমান সাফল্যও পেয়েছে। বাংলাদেশের এ অর্জনে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করেছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সাফল্যকে মার্কিন প্রশাসন কীভাবে মূল্যায়ন করে?জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘এটা নিয়ে আমি একটু বিস্তৃতভাবে বলব। গত বছর দুই দেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদ্যাপন করেছে। বাংলাদেশ এমন একটি দেশ, যার সঙ্গে আমরা আমাদের সম্পর্ক ও অংশীদারি আরও গভীর করতে আগ্রহী। বাণিজ্য, জলবায়ু, নিরাপত্তা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের অংশীদারত্ব অব্যাহত রয়েছে।’এরপর বেদান্ত প্যাটেলের কাছে জানতে চাওয়া হয়, বাংলাদেশে আগামী সাধারণ নির্বাচনের আগে বিরোধীদের পক্ষ থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা চালুর দাবি তোলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র কি বাংলাদেশে অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি সমর্থন করবে?বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, আমি গতকাল, গত পরশু বা তার আগেও এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছি।’এই সাংবাদিক আবার প্রশ্ন করেন, ‘আমরা সব সময় আপনাদের কাছ থেকে জবাব পাচ্ছি, বাংলাদেশে সবাই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, আপনারা অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে সমর্থন করেন কি না, হ্যাঁ অথবা না।’এ সময় বেদান্ত প্যাটেল আরও বলেন, ‘আপনারা আমাকে আগেও বলতে শুনেছেন, কোনো দেশেই সুনির্দিষ্ট কোনো সরকার, রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীকে সমর্থন করে না যুক্তরাষ্ট্র। যেসব অঞ্চলে ভোটের আবহ বইছে, সেখানে মার্কিন প্রশাসনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন নিশ্চিত করা। কেননা, এমন নির্বাচন প্রক্রিয়ায় জনগণের ইচ্ছাকে সম্মান জানানো হয়।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১০ নভেম্বর ২০২৩
বাংলাদেশের আগামী সংসদ নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলকে যুক্ত করে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়া নিশ্চিত হোক, এমনটা চায় কানাডার হাউস অব কমন্সের আট সদস্য। নিজেদের এ প্রত্যাশার কথা জানিয়ে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি লিখেছেন।কানাডার ওই আট রাজনীতিবিদ কানাডা-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের সদস্য। ৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাঁরা চিঠি পাঠান। কানাডা-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের চেয়ার ব্রেড রেডেকপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (টুইটার) আজ শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছেন।কানাডার হাউস অব কমন্সের আট সদস্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠিতে লিখেছেন: কানাডা-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের সদস্য হিসেবে বাংলাদেশে ২০২৪ জানুয়ারির নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়, তা নিয়ে গভীর প্রত্যাশা থেকে আপনাকে লিখছি। এ নির্বাচন বাংলাদেশের কোটি কোটি ভোটারকে দেশ পরিচালনার জন্য পছন্দের রাজনৈতিক দল বেছে নেওয়ার সুযোগ করে দেবে বলেই মনে করি। এ লক্ষ্য পূরণে আমরা কয়েকটি প্রত্যাশার বিষয় তুলে ধরছি—আমরা আশা করি, সরকার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখবে এবং ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে।আমাদের প্রত্যাশা ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো, ভোট কারচুপি ও ব্যালট বাক্স ভর্তি করে দেওয়ার মতো ভোটে অনিয়ম রোধের বিষয়টি নিশ্চিত করতে সরকার সতর্কতার সঙ্গে যথাসাধ্য কাজ করে যাবে।আমরা আশা করব সহিংসতা রোধ এবং যেকোনো রাজনৈতিক মতাদর্শে বাংলাদেশের সকল জনগণকে সুরক্ষায় সরকার সব ব্যবস্থা নেবে এবং আমাদের প্রত্যাশা থাকবে বাংলাদেশের সকল বৈধ ভোটারের সক্রিয় অংশগ্রহণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।কানাডা ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক যথেষ্ট শক্তিশালী। আমরা চাই, ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরও বিকশিত হোক। দুই দেশে গণতান্ত্রিক সরকার থাকলে তখনই সম্পর্কের এ বিকাশ সম্ভব।চিঠির শেষে কানাডা-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের আট সদস্য লিখেছেন, ‘স্বচ্ছতার সঙ্গে সব রাজনৈতিক দলকে যুক্ত করে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিশ্চিত করে গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য বিকাশের ধারা অব্যাহত রাখতে আপনার প্রতি আহ্বান জানাই।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১০ নভেম্বর ২০২৩
সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আগামী রোববার (১২ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।রিজভী বলেন, আগামী ১২ নভেম্বর সকাল ৬টা থেকে ১৪ নভেম্বর সকাল ৬টা পর্যন্ত সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালিত হবে। অবরোধের আওতামুক্ত থাকবে অ্যাম্বুলেন্স, অক্সিজেন সিলিন্ডার বহনকারী গাড়ি ও গণমাধ্যমের গাড়ি।এসময় রিজভী দাবি করেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে বিএনপির ৩৬৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আহত হয়েছে ৫০ জন। আর গত ২৮ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছে নয় হাজার ৮৩১ জন। এক সাংবাদিকসহ নিহত হয়েছেন মোট ১২ জন নেতাকর্মী।এর আগে, সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ও খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দিদের মুক্তির দাবিতে বুধবার (৮ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত অবরোধের ঘোষণা দেয় বিএনপিসহ সমমনা বিরোধী দলগুলো। তাদের ডাকা তৃতীয় দফার ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শেষ হচ্ছে আগামীকাল (শুক্রবার) সকাল ৬টায়।এবারের অবরোধ কর্মসূচিতে খুব একটা সক্রিয় হতে পারেনি বিরোধী দলগুলো। তাই কর্মসূচির ধরনে এবার পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপিসহ সমমনা বিরোধী দল ও জোটগুলো।নাম না প্রকাশে বিএনপির একজন সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, টানা অবরোধ কর্মসূচি চলতে থাকলে মানুষের মধ্যে বিরক্তি চলে আসবে। নেতাকর্মীরাও হতাশ হয়ে যাবে। এমনিতে নেতাকর্মীরা ঘর-বাড়িতে থাকতে পারছে না। তাই দুই দিনের বিরতি দিয়ে এবার দুই দিনের হরতাল দেওয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে।এদিকে, গত ১৩ দিনের মতো আজ বৃহস্পতিবারও বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয় তালাবদ্ধ রয়েছে। কার্যালয়ের গেটে পড়ে আছে নির্বাচন কমিশনের সংলাপের আহ্বান জানিয়ে দেওয়া চিঠিসহ বিভিন্ন চিঠি। আর প্রতিদিনের মতো আজও দলটির কার্যালয়ে দুই পাশে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৯ নভেম্বর ২০২৩
ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশের নির্বাচনের বিষয়ে বাংলাদেশিরাই সিদ্ধান্ত নেবে। চীনের প্রত্যাশা, সব অংশীদার মিলে বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখবে। বাংলাদেশ জানে, কী ধরনের নির্বাচন প্রয়োজন।আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সেমিনারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ইয়াও ওয়েন। ঢাকায় চীন দূতাবাসের সহযোগিতায় ডিপ্লোম্যাটিক করেসপনডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিকাব) ‘বিআরআই’র ১০ বছর: পরবর্তী সোনালি দশকের সূচনা’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে।চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান ও আইন অনুযায়ীই নির্বাচন দেখতে চায় চীন। বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে চীন বাইরের কারও হস্তক্ষেপ চায় না। চীন অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না বলে মন্তব্য করেছেন ইয়াও ওয়েন। বাংলাদেশে চীনের বিপুল বিনিয়োগের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে নির্বাচনের পরও স্থিতিশীলতার ওপর জোর দেন তিনি। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে ইয়াও ওয়েন বলেন, এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোই বলতে পারবে। চীন বাংলাদেশের সমাজে স্থিতিশীলতা চায়।রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন, বাংলাদেশ, মিয়ানমার মিলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর চেষ্টা করছে। রোহিঙ্গারা এ দেশে অতিথি হিসেবে এসেছে। তাদের প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সমর্থনও প্রয়োজন। চীন দেখতে পাচ্ছে, অনেকেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চায় না।সেমিনারে চাইনিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশের (সিইএবি) সভাপতি কে চ্যাংলিয়াং বলেন, বাংলাদেশের অনেক বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে চীন। আগামী দিনে চীন আরও প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বাংলাদেশের পাশে থাকবে চীন।সেমিনারে বক্তৃতা দেন ডিকাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস ও সাধারণ সম্পাদক ইমরুল কায়েস।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৯ নভেম্বর ২০২৩
বিএনপি দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ভোটে থাকছে না ধরে নিয়ে পুরোদমে নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। রাজপথে ‘সতর্ক পাহারা’ ও ‘শান্তি সমাবেশ’ করলেও ভেতরে-ভেতরে প্রার্থী বাছাই ও নির্বাচনী ইশতেহার তৈরির কাজ চলছে। সাবেক আমলাদের নিয়ে দুটি দল প্রচারকৌশল প্রণয়ন এবং সরকারের মাঠ প্রশাসনকে ভোটে কীভাবে নিজেদের সুবিধার জন্য ব্যবহার করা যায়, এর কৌশল ঠিক করতে কাজ করছে।আজ বৃহস্পতিবার রাতে আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক বসছে গণভবনে। ওই বৈঠক থেকে আনুষ্ঠানিক নির্বাচন যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে। কারণ, বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের ‘জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি’ গঠনের বিষয়টি রয়েছে বলে জানা গেছে।এটি নির্বাচনকালীন সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হিসেবে কাজ করে থাকে। এ ছাড়া নির্বাচন প্রস্তুতিতে কিছু উপকমিটি গঠনের বিষয়ও পরিকল্পনায় রয়েছে। প্রতিবারই ভোটের আগে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয় নির্বাহী কমিটির বৈঠকে।ক্ষমতাসীন দলটির নেতারা বলছেন, কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত গ্রেপ্তার অভিযান শুরুর পর বিএনপি অনেকটা ‘ঘরে’ ঢুকে গেছে। এই পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ সর্বত্র নির্বাচনী আবহ আনার পরিকল্পনা নিয়েছে।আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো জানায়, তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তেজগাঁও এলাকায় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বসবেন। গত জুনে তেজগাঁওয়ে ট্রাক টার্মিনালের পাশের এই কার্যালয় চালু করা হয়। ক্ষমতাসীন দলটির নেতারা বলছেন, কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত গ্রেপ্তার অভিযান শুরুর পর বিএনপি অনেকটা ‘ঘরে’ ঢুকে গেছে। এই পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ সর্বত্র নির্বাচনী আবহ আনার পরিকল্পনা নিয়েছে।আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের নির্বাচন প্রস্তুতি অনেক আগেই শুরু হয়েছে। এখন পুরোপুরি নির্বাচনপ্রক্রিয়ার মধ্যে দল ঢুকে যাচ্ছে।কো-চেয়ারম্যান পদ আলোচনায়বরাবরই জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান হন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। সর্বশেষ তিনটি নির্বাচনে কো-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন প্রয়াত এইচ টি ইমাম। এবার এই পদে নতুন কে আসছেন—এই নিয়ে দলে আলোচনা চলছে।সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার গত জানুয়ারিতে সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার দুই দিন পরই আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয়ে যান। ওই কার্যালয়ে এইচ টি ইমাম যে কক্ষে বসতেন, সেখানেই তিনি বসা শুরু করেন। তখনই বলা হচ্ছিল, এইচ টি ইমামের পদে আসছেন কবির বিন আনোয়ার। বর্তমানে তিনি এই কক্ষে বসেই নির্বাচনের প্রচারকৌশল নিয়ে কাজ করছেন। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে কোনো পদ দেওয়া হয়নি বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে। অবশ্য কবির বিন আনোয়ার নিজে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক হিসেবে পরিচয় উল্লেখ করছেন।কবির বিন আনোয়ারের নেতৃত্বে সারা দেশে ডিজিটাল প্রচার, সরকারবিরোধী অপপ্রচারের জবাব দেওয়া এবং সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরার কাজ চলছে। জেলায় জেলায় প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে। তাঁরা সারা দেশে ছয় লাখ লোকের একটি দল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন। দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে আগামী নির্বাচনের ইশতেহার তৈরির কাজও চলছে।গত জুন থেকে তেজগাঁও কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে আরেকটি দল নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছে। সেখানে নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব মো. সাদিক, সাবেক সচিব কামাল আবদুল নাসের, সাবেক রাষ্ট্রদূত সোহরাব হোসেন, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার, ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়াসহ বেশ কয়েকজন সাবেক আমলা, পুলিশের কর্মকর্তা ও কূটনীতিক বসছেন। আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো বলছে, নির্বাচনের সময় মাঠ প্রশাসনের ‘সদ্ব্যবহার’ নিশ্চিত করতে এই দল কাজ করছে।সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, কবির বিন আনোয়ার ও আবুল কালাম আজাদের মধ্যে কেউ কো-চেয়ারম্যান হতে পারেন—এমন আলোচনা আছে। আবার এমনও মত আছে, এবার কো-চেয়ারম্যান পদ না-ও রাখা হতে পারে। আর রাখলেও দলের উপদেষ্টা পরিষদের কোনো জ্যেষ্ঠ নেতা এই পদ পেতে পারেন।জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব হন দলের সাধারণ সম্পাদক। দলের উপদেষ্টা পরিষদ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা এই কমিটির সদস্য থাকেন।ফরম বিক্রি ও জমানির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণার পরই দলের আগ্রহীদের মধ্যে ফরম বিক্রি শুরু করবে আওয়ামী লীগ। এবার ফরমের দাম ৫০ হাজার টাকা ধরার প্রস্তাব করা হয়েছে। এত দিন তা ছিল ৩০ হাজার টাকা। আজ কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে ফরমের মূল্য নির্ধারণ হতে পারে বলে জানা গেছে।আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী সূত্র বলছে, আগামী নির্বাচনে দলের মনোনয়নের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা করেছেন। চূড়ান্ত যাচাই-বাছাই করা হবে মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে। তবে এবার অন্তত ১০০ মন্ত্রী-সংসদ সদস্য বাদ পড়তে পারেন বলে আলোচনা আছে।আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ প্রথম আলোকে বলেন, আগামী নির্বাচনে জয়ী হওয়ার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ অনেক আগেই ভোটের প্রস্তুতি শুরু করেছে। এখন আনুষ্ঠানিক যাত্রা হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৯ নভেম্বর ২০২৩
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, তাঁর নির্বাচনী এলাকা রংপুরে প্রচুর আলু, পেঁয়াজ উৎপাদন হয়, তাই সেখানে এসব জিনিসের দাম বাড়েনি। রংপুরের নারীরা তিনবেলা ঠোঁটে লিপস্টিক দিয়ে কাজ করে। সেখানে অভাবের কোনো চিহ্ন নেই। তাই ভোট নিয়ে চিন্তা করছি না। বুধবার (৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে ন্যাশনাল ট্যারিফ পলিসি মনিটরিং ও রিভিউ কমিটির সভাশেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।বাণিজ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে প্রশ্ন করা হয়, জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলেন না, কিন্তু ভোট চাইতে তো এলাকায় যেতে হবে ক'দিন পর।এসময় মন্ত্রী বলেন, আমদানি করা পেঁয়াজের স্টক শেষ হয়ে গেছে। দাম বেশি পড়ে যাওয়ায় ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা সম্ভব হচ্ছে না এখনই নতুন পেঁয়াজ বাজারে না আসা পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম কমবে না। আগামী মাসে মুরিকাটা পেঁয়াজ বাজারে আসলে দাম কমতে শুরু করবে। তিনি বলেন, আমদানি করা আলু বাজারে মাত্র আসা শুরু করেছে। আরও আসতে থাকলে আলুর দাম কমে যাবে। একইসাথে নতুন আলু বাজারে আসতে আরও মাসখানেক সময় লাগবে। তখন দামে প্রভাব পড়বে।তিনি আরও বলেন, মূল্যস্ফীতি না কমলে জিনিসপত্রের দাম কমানো অসম্ভব হয়ে যায়। মূল্যস্ফীতি না কমা পর্যন্ত সব জিনিসের দাম বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে কমানো সম্ভব নয়, এটাও বুঝতে হবে। টিপু মুনশি বলেন, বিশ্ব বাজারে জিনিসপত্রের দামের ব্যাপারে মিডিয়া যদি পজিটিভ খবর প্রচার করে তাহলে ভোটারদের উপর এর প্রভাব পড়বে না। পণ্যের দাম শুধু দেশেই বাড়েনি, সারা বিশ্বের চিত্র একই। তবে, এসব কাটিয়ে উঠে আগামীতে এর সুফলও পাবে মানুষ। চিনির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, চিনির দাম কমানো যাবে না কারণ বিশ্ব বাজারে দাম কমে নি। বাংলাদেশে ভোটের চিত্র একেক এলাকায় একেকরকম, তাই পণ্যের দামের কারণে ভোট কমে যাবে না এটা মনে করেন না বানিজ্যমন্ত্রী। বলেন, দেশে উৎপাদিত পণ্যের দাম বেড়ে যায় চাঁদাবাজি এবং পরিবহন খরচের কারণে। জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ার প্রভাবও এর উপর পড়ছে। তবে দেশীয় উৎপাদিত শাক-সবজি বাজারে আসতে শুরু করলে দুই এক সপ্তাহের মধ্যে দাম কমতে শুরু করবে। মন্ত্রী আরও বলেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর অনুমতি পেতে দেরি হওয়ায় পণ্য আমদানি করতে দেরি হয়। এ কারণে বাজারে দামও বেড়ে যায়। এর দোষ বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের না। বানিজ্য মন্ত্রণালয় চাইলেও সময়মত আমদানি করতে পারে না।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ নভেম্বর ২০২৩
গণগ্রেফতারসহ বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আবারও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। গতকাল মঙ্গলবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ উদ্বেগের কথা জানান বিশ্ব সংস্থাটির মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক।ব্রিফিংয়ে প্রশ্নকারী এক সাংবাদিক বলেন, সহিংসতা ও জোরপূর্বক আটকের অত্যধিক ব্যবহার বন্ধে জাতিসংঘ মহাসচিবের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ সরকার। ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন— জাতিসংঘ একটি অকার্যকর সংস্থা। কিছু ভালো কথা বলা ছাড়া বিশ্বে এই সংস্থার আর কোনো ভূমিকা নেই।তিনি প্রশ্ন করে বলেন, আট হাজারের বেশি বিরোধী নেতাকর্মীকে গ্রেফতার, পুলিশের হাতে মানুষ নিহত হওয়ার বিষয়ে জাতিসংঘের অবস্থান কী?এর জবাবে স্টিফেন ডুজারিক বলেন, জাতিসংঘের সমালোচনা করাটা নতুন কিছু নয়। তিনি মনে করেন, বিভিন্ন সময় এমন অভিযোগ দাঁড় করানো হয়েছে।জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র আরও বলেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে তারা আগে যা বলে এসেছেন, সে কথাই এখন উল্লেখ করবেন। বাংলাদেশে গণগ্রেফতারসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে তারা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ নভেম্বর ২০২৩
পোশাক কারখানার নিরাপত্তা জোরদারে ঢাকা ও আশেপাশের জেলায় ৪৮ প্লাটুন বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) মোতায়েন করা হয়েছে।বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) শরিফুল ইসলাম আজ বুধবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।গতকাল গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য মজুরি বোর্ড ন্যূনতম বেতন ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করার পর ইউনিয়ন নেতারা নতুন মজুরি প্রত্যাখ্যান করেন। এরপরই বিজিবি মোতায়েন করা হলো।নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা দাবি জানিয়ে আসছিলেন শ্রমিকরা।সম্প্রতি এনিয়ে বিক্ষোভ চলাকালে গাজীপুর ও ঢাকার মিরপুর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষ হয়।বিএনপি ও জামায়াতের অবরোধের প্রথম দিনে তৈরি পোশাক কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করতে সারাদেশে পর্যাপ্ত সংখ্যক বিজিবি মোতায়েন আছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ নভেম্বর ২০২৩
বিএনপি-জামায়াতের তৃতীয় দফায় ডাকা ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক অবরোধ শুরু হয়েছে। এ অবরোধের প্রথম দিন বুধবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর বেশিরভাগ এলাকায় যান চলাচল প্রায় স্বাভাবিক। সকাল থেকেই যাত্রীবাহী বাস, সিএনজি অটোরিকশা, রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেল, পণ্যবাহী পিকআপ চলাচল করছে। তবে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা কম। সড়কে যানবাহনের আধিক্য থাকলেও যাত্রী কম বলে জানিয়েছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।অন্যদিকে অবরোধে প্রায় বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার বাস চলাচল। দু-একটি বাস রাজধানী থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলাচল করতে দেখা গেছে।মিরপুর রুটে চলাচলকারী শিকড় পরিবহন, গাবতলী রুটে চলাচলকারী গাবতলী এক্সপ্রেস কোম্পানি, ট্রান্সসিলভার বাসগুলোকে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। সদরঘাট রুটে চলাচলকারী বাহাদুর শাহ পরিবহনের ম্যাক্সিও রয়েছে রাস্তায়। গুলিস্তানেও বিভিন্ন রুটের অনেক গাড়িই দেখা গেছে। তবে সেই তুলনায় যাত্রী ছিল না।অন্যদিকে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ছিল প্রায় যাত্রীশূন্য। যদিও বাসের কাউন্টার বেশিরভাগই খোলা রয়েছে।সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের বাস শ্রমিকরা জানিয়েছেন, বরিশাল, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও সিলেট রুটে দু-একটি বাস চলছে। মালিকরাও ভয়ে বাস নামাতে চাচ্ছেন না, অন্যদিকে যাত্রীও নেই। তাই সায়েদাবাদ থেকে বাস চলাচল প্রায় বন্ধই বলা চলে।সকাল ৯টার দিকে সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে বের হওয়ার মুখে, সিলেট রুটের মিতালী পরিবহন, কুমিল্লা রুটের তিশা পরিবহনের দুটি বাসকে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ নভেম্বর ২০২৩
তৃণমূল বিএনপি নিয়ে নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, ‘বিএনপিকে দুর্বল করতে নানা তৎপরতা’।প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিএনপির সাবেক দুই নেতার নেতৃত্বে নতুন একটি দল গঠনের মাধ্যমে আন্দোলনে থাকা বিএনপিকে দুর্বল করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ গত সোমবার দলের এক আলোচনা সভায় দু’টি তথ্য দিয়েছেন।এক. বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব:) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে নতুন দল হচ্ছে। দুই. তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিতে অনেকেই লাইন ধরে আছে।মন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর বুধবার বিএনপির সাবেক দুই নেতা শমসের মবিন চৌধুরী ও তৈমূর আলম খন্দকারের নেতৃত্বে গঠিত রাজনৈতিক দল ‘তৃণমূল বিএনপি’ জাতীয় প্রেস ক্লাবে একটি যোগদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।দলটি জানিয়েছে, নেতাকর্মী ও সাবেক সেনা কর্মকর্তাসহ অনেকে তাদের দলে আজ যোগ দেবেন।রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, গত ২৮শে অক্টোবর মহাসমাবেশের পর আন্দোলনে থাকা বিএনপিকে ‘দুর্বল’ করতে এ ধরনের তৎপরতা শুরু হতে পারে।তারা এটিও বলছেন, কারাগারে আটক বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বকে বিদ্যমান ব্যবস্থায় নির্বাচনে অংশ নিতে আগামী দিনে নানা প্রস্তাবও দেয়া হতে পারে।নির্বাচনে আওয়ামী লীগের তৎপরতা নিয়ে যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম, ‘আওয়ামী লীগের সামনে এ মুহূর্তে দুই পথ’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের সামনে এখন দুটি পথ খোলা রয়েছে।খবরে বলা হয়েছে, এর একটি হলো বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে নির্বাচন করা। সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে আনতে দেশ-বিদেশের যেমন চাপ রয়েছে, তেমনি পর্দার আড়ালে চলছে বিভিন্ন মহলের তৎপরতাও।দ্বিতীয় পথ হল, বিএনপি যদি না আসে, সেক্ষেত্রে সংবিধান মেনে যারা আসবে, তাদের নিয়েই নির্বাচনে যাওয়া। দলটি এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও সম্পন্ন করছে।তবে সব দলকে নির্বাচনে আনতে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ও নেতা সংবিধান মেনে শর্তহীন সংলাপের বিষয়ে ইতিবাচক অবস্থানের কথা জানিয়েছেন বলে যুগান্তরের খবরে বলা হয়েছে।শেষ পর্যন্ত বিএনপি যদি না আসে সেটা মাথায় রেখে নির্বাচন যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সেজন্য অধিক সংখ্যক রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে কাজ করছে সরকারি দল।একই সঙ্গে নির্বাচনের আবহ ধরে রাখা ও ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে আওয়ামী লীগের।এ সময় বিএনপি হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি অব্যাহত রাখলে রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বাড়বে এবং দেশের অর্থনৈতিক সংকট ঘনীভূত হবে বলে শঙ্কা বিশ্লেষকদের।অবরোধ কর্মসূচি জোরদার করতে বিএনপির প্রস্তুতি নিয়ে কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম, ‘সম্ভাব্য এমপি প্রার্থীদের নির্বাচনী এলাকায় যাওয়ার নির্দেশ’।প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব দলের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থীদের যার যার নির্বাচনী এলাকায় যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, অবরোধ কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, সারা দেশ থেকে ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা। এ কাজটি সফলভাবে করতে হলে জেলা পর্যায়ের আন্দোলন আরো তীব্র করতে হবে।অর্থাৎ জেলা পর্যায়ের সড়ক-মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ করতে হবে।এখন এই বিষয়টির ওপর দলের শীর্ষ নেতৃত্ব নজর দিচ্ছেন বেশি।আবার অবরোধের বিকল্প হিসেবে হরতাল ছাড়া ভিন্ন কোনো কার্যকর কর্মসূচি প্রস্তাব করতেও বলা হয়েছে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের।এখন পর্যন্ত দলের বেশির ভাগ নেতা ও বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের শরিকরা সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা পর্যন্ত হরতাল-অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।এদিকে তৈরি পোশাক শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, ‘Workers reject Tk 12,500, warn of tough demos’ অর্থাৎ ‘শ্রমিকদের বেতন ১২,৫০০ টাকার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, কঠোর বিক্ষোভের হুঁশিয়ারি’।প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য মজুরি বোর্ড সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারণ করেছে ১২ হাজার পাঁচশ টাকা, যা শ্রমিকদের দাবির অর্ধেকের কিছু বেশি।শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা দেন।কারখানা মালিকদের প্রস্তাবিত নতুন ন্যূনতম মজুরি প্রত্যাখ্যান করেছেন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা।বর্তমানে শ্রমিকরা ন্যূনতম মজুরি আট হাজার টাকা পেয়ে থাকেন। শ্রমিকরা এই বেতন বাড়াতে টানা ১২ দিন ধরে বিক্ষোভ করেছে।চালের বাজার নিয়ে সমকালের প্রধান শিরোনাম, ‘চালের বাজারে উত্তাপ ক্রেতার বাড়ল চাপ’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, কয়েক মাস স্থির থাকার পর এবার দাম বাড়ার তালিকায় উঠে এসেছে প্রধান খাদ্যশস্য চাল।এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে ৫০ কেজি বস্তায় দাম বেড়েছে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। তাতে খুচরায় কেজিতে চার থেকে সাত টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। অন্য পণ্যের পর চালের দাম বাড়ায় বড় চাপে পড়েছেন ক্রেতারা।এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে বিআর-২৮ চালের। খুচরা পর্যায়ে এ জাতের চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৬ থেকে ৫৮ টাকা দরে। ৮ থেকে ১০ দিন আগে এ চালের দর ছিল ৫০ থেকে ৫২ টাকা। অর্থাৎ কেজিতে দাম বেড়েছে ৬ টাকা।গত সপ্তাহে মোটা চাল অর্থাৎ স্বর্ণা ও চায়না ইরির কেজি ছিল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৫ টাকা দরে। অর্থাৎ কেজিতে বেড়েছে চার থেকে পাঁচ টাকা।মিনিকেট বা সরু চাল কেজিতে বেড়েছে ছয় থেকে ৭ টাকা, নাজিরশাইল চাল কেজিতে পাঁচ টাকার মতো বেড়েছে।দাম বাড়ার পেছনে নানা যুক্তি দাঁড় করাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, মিল মালিক তথা বড় মজুতদাররা ভারতের চাল রপ্তানিতে শুল্ক আরোপের সুযোগ নিচ্ছেন। কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়াচ্ছেন তারা।এ ছাড়া অবরোধের কারণে পরিবহন ভাড়া বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে দামে। অন্যদিকে মিলাররা বলছেন, মাঠ পর্যায়ে মজুত ফুরিয়ে আসছে। সে জন্য বাজার কিছুটা বাড়তি। সপ্তাহ দুয়েক পর নতুন ধান উঠবে। তখন চালের বাজার স্বাভাবিক হবে তারা জানিয়েছেন।তবে সরকার বলছে চালের দাম সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ নভেম্বর ২০২৩
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, ‘মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এই দেশে চাকরি করতে এসেছেন। চাকরি করতে এসে তিনি এখন বিএনপির নিরাপত্তা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে যোগদান করেছেন।’শনিবার (৪ নভেম্বর) বিকালে জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে কালাই-ক্ষেতলাল-আক্কেলপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।হুইপ স্বপন বলেন, ‘পিটার হাস এমন ছোটাছুটি কেন করতেছেন? আমরা কী বুঝি না পেছনে ষড়যন্ত্র কী? আপনারা জেরুজালেম, গাজা ও পশ্চিম তীরের পবিত্র মাটি থেকে ফিলিস্তিনিদের উৎখাত করেছেন। আমরা জানি না, বাংলাদেশের মুসলমানরা জানে না? ওহ আমরা গরিব ছিলাম, তখন আমাদের লোক দেখানো দয়া করেছেন এখন আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ধনী হচ্ছি- পছন্দ হয় না। আমাদেরকে ফিলিস্তিন বানাতে চান? এ জন্য এত দৌড়ঝাঁপ করেন।’এ সময় বিএনপিকে বাংলাদেশ নাসারা পার্টি আখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘২৮ অক্টোবর দেশে কী হতে যাচ্ছে কী হবে, এমন আতঙ্ক তৈরি করা হয়েছিল। মনে হচ্ছিল, ২৮ তারিখ বুঝি দেশ আর থাকবে না। কিন্তু ২৮ অক্টোবর ব্যর্থ হয়ে ২৯ অক্টোবর নির্বাচন কমিশনে গিয়ে পিটার হাস বললেন নিঃশর্ত আলোচনা চাই। এতদিন বলেছেন আলোচনা হতে হবে শেখ হাসিনার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে। এখন সোজা হয়ে বলছেন নিঃশর্ত আলোচনার কথা। কয়দিন পর লেজ গোটায়ে বলবেন আমরা শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন করবো।’নাগরিক সমাবেশে জয়পুরহাট-২ কালাই ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের ৬৩টি গ্রামীণ সড়কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও টিআর কাবিখা খাত থেকে ৪২৫টি গ্রামীণ সড়কে ইট বসানোর কাজের উদ্বোধন করেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ নভেম্বর ২০২৩
নির্বাচনকে ঘিরে আন্তর্জাতিক চাপ নিয়ে সমকালের প্রধান শিরোনাম, ‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের উপায় খুঁজতে বিদেশি চাপ’।প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, এতদিন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাওয়া ছিল, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হোক। কূটনীতিকরা এখন শুধু অবাধ ও সুষ্ঠু নয়– নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, গ্রহণযোগ্য, সহিংসতামুক্ত ও অংশগ্রহণমূলক দেখতে চাইছেন।বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনের জন্য যে পরিবেশ দরকার, এর ঘাটতিও দেখছেন তারা। এ জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর তরফ থেকে সব রাজনৈতিক দলকে সংলাপের তাগিদও দেওয়া হয়েছে।এদিকে সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে নির্বাচনের বিষয়ে কূটনীতিকদের একাধিকবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেইসাথে তারা এটাও বলেছে নির্বাচনে কোনো দল অংশগ্রহণ করবে কি করবে না, এটি একান্তই সে দলের সিদ্ধান্ত।২০১৪ ও ২০১৮ সালের ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ নির্বাচনের পর বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করা নিয়ে চাপ আসছে আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে।জাতিসংঘসহ পশ্চিমা মিত্ররা মনে করে, বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশন (ইসি), মানবাধিকার কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিচার বিভাগসহ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকার রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যবহার করে।*বাংলাদেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি নিয়ে নিউ এইজের প্রথম পাতার খবর, ‘Food inflation reaches new height’ অর্থাৎ ‘খাদ্য মূল্যস্ফীতি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে’।প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, অক্টোবরে বাংলাদেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে, যা সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতিকে গত এক দশকে প্রথমবারের মতো দুই অঙ্কের কাছাকাছি ঠেলে দিয়েছে।নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার নানা প্রচেষ্টা হাতে নিলেও কোনটাই কাজে দেয়নি।বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী, অক্টোবরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। যা আগের মাসেও কিছুটা কম ছিল।অন্যদিকে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি রেকর্ড নয় দশমিক ৯৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। যা গত ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। সেইসাথে খাদ্য বহির্ভুত পণ্যের মূল্যস্ফীতিও বেড়ে আট দশমিক তিন শতাংশ হয়েছে।সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলির বাজার পর্যবেক্ষণ একপ্রকার না থাকায় গত মাসে ডিম, আলু, পেঁয়াজ, চিনি, ভোজ্য তেল, মাংস ও মাছসহ সব ধরণের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আরও বেড়েছে।যার ফলে সীমিত আয়ের ভোক্তাদের প্রয়োজনীয় খাবারটা কিনতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে।*এদিকে এইড ডাটার গবেষণা নিয়ে কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম, ‘মার্কিন চাপের বিপরীতে চীনা ঋণের রেকর্ড’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের মান নিয়ে বাংলাদেশকে চাপে রাখার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র।তবে পশ্চিমারা যখন চাপ তৈরি করছে তখন চীন সহযোগিতায় এগিয়ে আসছে। আওয়ামী লীগ সরকারের চলতি মেয়াদে (২০১৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত) চীনা ঋণের আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।যুক্তরাষ্ট্রের উইলিয়াম অ্যান্ড ম্যারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক গবেষণা ল্যাব এইডডাটার সর্বশেষ গবেষণায় বাংলাদেশে চীনা ঋণের এই চিত্র তুলে ধরা হয়।এইডডাটা বলছে, স্বাধীনতার পর থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে ছিল। এখন সেই জায়গা নিয়েছে চীন।চীন এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ঋণদাতা দেশই নয়, বিশ্বের একক বৃহত্তম ঋণদাতা দেশও চীন।নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে বছরে প্রায় ৮০ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেয় চীন। যুক্তরাষ্ট্র এখন চেষ্টা করছে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে চীনের সঙ্গে তার যে বিরাট ব্যবধান তা কমিয়ে আনতে। তবে শেষ পর্যন্ত তারা চীনের সঙ্গে পারবে কি না তা স্পষ্ট নয়।এইডডাটার গবেষণায় দেখা গেছে, বিএনপি সরকারের (২০০২-০৬) তুলনায় আওয়ামী লীগ সরকারের ২০০৯ থেকে ২০১৪ মেয়াদে দ্বিগুণ উন্নয়ন অর্থায়ন করেছে চীন। আবার ২০১৪-১৮ মেয়াদে তা সাত গুণ বেড়েছে।কারণ তারা চীনের মতো সহযোগিতা করতে পারছে না। আবার পরিস্থিতিকেও মানতে পারছে না।* বিএনপি নেতা ধরপাকড় নিয়ে মানবজমিনের প্রধান শিরোনাম, ‘তফসিলের আগে ‘ক্র্যাকডাউন’’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২৮শে অক্টোবর মহাসমাবেশে সংঘর্ষের পর বিরোধী জোটের নেতাকর্মীদের ওপর রীতিমতো ক্র্যাকডাউন চলছে।বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারে অব্যাহত রয়েছে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান। প্রতিরাতেই নেতাদের বাসায় বাসায় চলছে তল্লাশি। প্রতিদিনই গড়ে সারা দেশে পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হচ্ছেন।সিনিয়র থেকে মাঠপর্যায়ের নেতা কেউ বাদ যাচ্ছেন না। ইতিমধ্যে গত ১০ দিনে দলটির মহাসচিব, দুইজন স্থায়ী কমিটির সদস্য, তিনজন ভাইস চেয়ারম্যান, তিনজন যুগ্ম মহাসচিব, দুইজন সাংগঠনিক সম্পাদকসহ সাড়ে পাঁচ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।গ্রেপ্তারের পর সিনিয়র নেতাদের পাঠানো হচ্ছে রিমান্ডে। তালা ঝুলছে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। বন্ধ রয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ও। গ্রেপ্তার এড়াতে আড়ালে চলে গেছেন দলটির সিনিয়র নেতারা।দলীয় কর্মপন্থা নির্ধারণে বৈঠকও করছেন ভার্চ্যুয়ালি। রাজপথে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছেন দলটির মাঝারি ও মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৭ নভেম্বর ২০২৩
লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতার প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে সিল মারার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে ভোটকেন্দ্রে ওই নেতাকে একাধিক ব্যালট পেপারে নৌকা প্রতীকে সিল মারতে দেখা যায়। আজ সোমবার ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর সুষ্ঠু ভোট নিয়ে সমালোচনা তৈরি হয়েছে।ছড়িয়ে পড়া ৫৭ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা গেছে, ভোটকক্ষে বসে এক ব্যক্তি ব্যালট পেপারে অনবরত নৌকা প্রতীকে সিল মারছেন। তাঁর গলায় নৌকা প্রতীকের কার্ড ঝুলছে। এ সময় ৪৩টি ব্যালটে নৌকা প্রতীকে তাঁকে সিল মারতে দেখা যায়। তাঁকে নৌকায় সিল মারতে সহযোগিতা করছেন কক্ষে থাকা অন্য একজন ব্যক্তি।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একাধিক সিল মারা ওই ব্যক্তির নাম আজাদ হোসেন। তিনি সদর উপজেলা দিঘলী ইউনিয়নের দক্ষিণ খাগুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকার এজেন্ট হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। আজাদ চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন। গত অক্টোবর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাঁকে বহিষ্কার করে জেলা ছাত্রলীগ।এ বিষয়ে আজাদ হোসেনের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন ধরেননি। চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু তালেব প্রথম আলোকে বলেন, আজাদ তাঁদের কমিটির সহসভাপতি ছিলেন। শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে জেলা ছাত্রলীগ তাঁকে গত ৮ অক্টোবর বহিষ্কার করে। তিনি এখন ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। ভিডিওটি তিনিও দেখেছেন বলে জানান।তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মিয়া গোলাম ফারুক দাবি করেন, ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি পুরোনো। গতকালের উপনির্বাচনে এমন ঘটনা ঘটেনি। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কেউ পুরোনো ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন।প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে সিল মারার কোনো ভিডিও প্রথমে নজরে আসেনি বলে দাবি করেন উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন। পরে সন্ধ্যায় মুঠোফোনে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। জেলা প্রশাসনও ভিডিওটি আমাকে পাঠিয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৬ নভেম্বর ২০২৩
যাঁরা সন্ত্রাস ও আগুন নিয়ে রাজনীতি করেন, তাঁদের পতন অনিবার্য বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, অবরোধের নামে চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে সরকার হটাতে চায় বিএনপি। দলীয় নেতা-কর্মীদের সতর্ক পাহারায় থাকতে হবে। নির্বাচন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ চলবে।আজ সোমবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের অফিস থেকে ভার্চ্যুয়ালি সিলেটের বালাগঞ্জে নির্মাণাধীন ভাঙ্গাপুর সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনৈতিক নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বিবৃতিতে তথ্যঘাটতি আছে। তারা সেটি সংশোধন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৬ নভেম্বর ২০২৩
'সুষ্ঠু নির্বাচন কিভাবে হবে, প্রশ্ন যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের'। এটি দৈনিক কালের কণ্ঠের শিরোনাম। খবরে বলা হচ্ছে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন কিভাবে নিশ্চিত করবে, বাংলাদেশের কাছে তা আবার জানতে চাইবে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।জাতিসংঘের ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউ (ইউপিআর) কাঠামোর আওতায় মানবাধিকারবিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তি, সনদ ও আইনগুলোর প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকার ও বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে।এই অধিবেশনে বাংলাদেশকে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করবে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য আগেই তাদের প্রত্যাশার কথা জানিয়েছিল। সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় দেশ দুটির প্রতিনিধিরা তাঁদের প্রত্যাশা পুনর্ব্যক্তও করেছেন।এবার তাঁরা ইউপিআর অধিবেশনে এ বিষয়ে প্রশ্ন করবেন। আগামী সপ্তাহে জেনেভায় এই অধিবেশন বসবে।ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম 'Govt plans harsher clampdown on BNP' খবরে বলা হচ্ছে, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের অধীনে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো রাজপথে আন্দোলনে সক্রিয় হচ্ছে। অপরদিকে সরকার এমন আন্দোলন দমনে আরও কঠোর হচ্ছে।সম্প্রতি পুলিশ সদর দপ্তরে ডিআইজি পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কারো নামে মামলা থাকলে তাদের গ্রেপ্তার করতে ওই বৈঠকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশ কর্মকর্তাদের।দৈনিক যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম 'কূটনীতিকদের দৌড়ঝাঁপ পর্দার আড়ালে'। পত্রিকাটি বলছে, রাজনৈতিক সংকট নিরসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংলাপ আয়োজনের লক্ষ্যে বিদেশি কূটনীতিকদের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগ সফল করার লক্ষ্যে ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতাও শুরু হয়েছে।বিদেশি কূটনীতিকরা দফায় দফায় নিজেদের মধ্যে শলাপরামর্শ করছেন। এর পাশাপাশি আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন।তবে 'স্পর্শকাতর বিবেচনায়' জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের সঙ্গে চলমান উদ্যোগ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।'জিরো টলারেন্সে সরকার' বাংলাদেশ প্রতিদিনের শিরোনাম । পত্রিকাটি বলছে, আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াওয়ে নেতৃত্ব দেওয়া এবং অংশগ্রহণকারীদের গ্রেফতারে চলছে সাঁড়াশি অভিযান।সড়ক-মহাসড়কের যানবাহনসহ সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য চলছে সমন্বিত টহল। ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে।রেল, সড়ক ও নৌপথে যোগাযোগ নির্বিঘ্ন রাখতে ‘অপারেশন সুরক্ষিত যাতায়াত’ শুরু করছে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। এ জন্য সারা দেশে ৬৫ হাজার আনসার ও ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৬ নভেম্বর ২০২৩
বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর দ্বিতীয় দফার ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি চলছে। আগামীকাল মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) ভোর ৬টায় এটি শেষ হবে। এরপর ওইদিন বিরতি দিয়ে সপ্তাহের শেষ দুই দিন বুধ ও বৃহস্পতিবার আবার অবরোধ কর্মসূচি দেওয়া হবে। বিএনপি ও যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী দলগুলোর সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।দলগুলো বলছে, অবরোধ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনের (সোমবার) পরিস্থিতি দেখে পরবর্তী কর্মসূচি দেওয়া হবে। যদি ভিন্ন কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব না হয়, তাহলে মঙ্গলবার বিরতি দিয়ে বুধবার ও বৃহস্পতিবার অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত রয়েছে। সোমবার দুপুরে বিএনপির স্থায়ী কমিটি এবং গণতন্ত্র মঞ্চের বৈঠক আছে। সেখানে কর্মসূচির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক দল বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, নতুন কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা চলছে। আগামীকাল আমরা বসে পরবর্তী কর্মসূচি কী দেওয়া যায় তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব।গণতন্ত্র মঞ্চের একটি দলের শীর্ষ এক নেতা বলছেন, মঙ্গলবার কর্মসূচি না রাখার সিদ্ধান্ত রয়েছে। কারণ সপ্তাহে একদিন মানুষ যাতে প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করতে পারে সেজন্য বিরতি দেওয়া হবে। তবে, বুধ ও বৃহস্পতিবার অবরোধ কর্সসূচি ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে যাওয়া হবে।মঞ্চের সূত্রগুলো বলছে, সোমবার গণতন্ত্র মঞ্চের সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে। সেখানে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা স্থগিত রাখতে নির্বাচন কমিশনকে আহ্বান জানানো হবে। কারণ নির্বাচন কমিশন নিজেই গতকাল শনিবার (৪ নভেম্বর) রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বলেছেন- নির্বাচনের পরিবেশ অনুকূলে নেই। যা বিরোধী দলগুলো প্রতিনয়িত বলে আসছে। এর বাইরে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া দেওয়া হবে সংবাদ সম্মেলন থেকে।বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিলকে সামনে রেখে আগামী সপ্তাহে ঢাকায় বড় ধরনের কর্মসূচি পালন করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত রয়েছে। রাজধানীতে আবার বড় ধরনের শো-ডাউন করারও পরিকল্পনা রয়েছে। তার আগে নিয়মতান্ত্রিকভাবে অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হবে।নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির এক সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, সিনিয়র নেতাদের গ্রেপ্তার করে সরকার ভাবছে আন্দোলন বন্ধ হয়ে যাবে। বাস্তবে তা এবার হবে না। কারণ প্রথম সারির নেতারা গ্রেপ্তার হলে দ্বিতীয় সারির নেতারা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেবে, সেটা আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া আছে। এরপর প্রয়োজনে তৃণমূল থেকে আন্দোলনের নেতৃত্বে দেওয়া হবে। তারপরও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে।‘কিন্তু আন্দোলন করতে গিয়ে এরইমধ্যে সিনিয়র নেতাদের বাইরে তৃণমূলের অনেক নেতা কারাগারে গিয়েছে। এই ধারাবাহিকতা চলতে থাকলে কতদিন আন্দোলন চালিয়ে নেওয়া যাবে, সেটা নিয়ে একটা সন্দেহ তো থাকেই’, বলেন বিএনপির ওই নেতা।রোববার এক সংবাদ বিবৃতিতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ধারাবাহিকভাবে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারে প্রচণ্ড ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে এবং জনগণ আরও বলীয়ান হচ্ছে। বর্তমান সরকারের পদত্যাগসহ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা বাস্তবায়ন ছাড়া জনগণ ঘরে ফিরে যাবে না।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৬ নভেম্বর ২০২৩
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুকে আটকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। একই সঙ্গে দুদুর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জানিয়েছেন তিনি।সোমবার (৬ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বিএনপিসহ বিরোধীদলের নেতাকর্মী এবং সাধারণ জনগণ এখন একাত্তরের দুর্বিষহ দিনগুলোর চেয়েও চরম সংকটকাল অতিক্রম করছে। সেই সময় দেশের মানুষ যেমন হানাদার বাহিনীর ভয়ে দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে পালিয়ে বেড়াতো, স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী কাল পরও তেমনই এদেশের মানুষ এখন আওয়ামী স্বৈরশাসকের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।তিনি বলেন, পুলিশ দিনরাত নেতাকর্মীদের ধরতে বাড়িতে বাড়িতে হানা দিচ্ছে। টার্গেট ব্যক্তিকে বাসায় না পেয়ে তাদের বাবা-ভাই কিংবা অন্য সদস্যদের অন্যায়ভাবে আটক করে নিয়ে যাচ্ছে। আটক নেতাকর্মী কিংবা তাদের আত্মীয়-স্বজনকে থানায় নিয়ে অবর্ণনীয় নির্যাতন করছে। বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে দেশে শুরু হয়েছে স্বৈরশাহীর মহাতাণ্ডব। তবে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার স্বপ্ন দুঃস্বপ্নই রয়ে যাবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বর্তমান অবৈধ শাসকগোষ্ঠীর পতন ঘটাতে বিএনপি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৬ নভেম্বর ২০২৩
বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের জের ধরে সারা দেশে দলটির নেতা–কর্মীদের যেভাবে ধরপাকড় চলছে, তাতে উদ্বেগ জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সেই সঙ্গে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের উপায় বের করার কথা বলেছে।ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল আজ রোববার সামাজিক মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে এ আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশে আট হাজারের বেশি বিরোধী নেতা–কর্মী গ্রেপ্তারে উদ্বেগ জানাচ্ছি। প্রতিটি মামলায় অবশ্যই ন্যায়বিচার হতে হবে।’সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে জোসেপ বোরেল লিখেছেন, ‘আমরা সব পক্ষকে সহিংসতা থেকে বিরত থাকতে উৎসাহিত করি।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ উপায় বের করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যা গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার জন্য সহায়ক হবে।’গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে দলটির নেতা–কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের কয়েক ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ হয়। এতে এক পুলিশ সদস্য ও যুবদলের এক নেতা নিহত হন। সংঘর্ষের কারণে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। এর পর থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে বিএনপির নেতা–কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। ওই ঘটনার পর থেকে গতকাল শনিবার পর্যন্ত আট দিনে সারা দেশে দলটির অন্তত ৭ হাজার ৮৩৫ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতা রয়েছেন অন্তত সাতজন। সাবেক সংসদ সদস্যসহ জেলা ও মহানগর পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ নেতা রয়েছেন অন্তত অর্ধশতাধিক।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ নভেম্বর ২০২৩
সরকারের পদত্যাগের ‘এক দফা’ দাবি আদায়ে বিএনপি-জামায়াতের দ্বিতীয় ধাপে ডাকা টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরু হয়েছে। রোববার (৫ নভেম্বর) ভোর ৬টা থেকে শুরু হয়েছে এ কর্মসূচি।অবরোধকে ঘিরে শনিবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে রোববার ভোর সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ঢাকাসহ সারা দেশে ১২টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এর মধ্যে শুধু বাসই পুড়েছে ১০টি। এছাড়াও রবিবার সন্ধায় রাজধানীর বাংলামোটর মোড় ও মিরপুরে ২ টি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রোববার সকালে এ তথ্য জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম।তিনি জানান, শনিবার সন্ধ্যা থেকে রোববার ভোর সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ১২টি আগুনের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রাজধানীতে সাতটি, নারায়ণগঞ্জ-গাজীপুরে দুইটি, রাজশাহী বিভাগে (সিরাজগঞ্জ) একটি, বরিশালে (চরফ্যাশন) একটি, রংপুরে (পীরগঞ্জ) একটি ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় ১০টি বাস ও একটি রাজনৈতিক দলের কার্যালয় পুড়েছে।ফায়ার সার্ভিসের দেওয়া এ তথ্যের পরে রাজধানীর খিলগাওয়ে আরও একটি বাসে আগুন দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মেরাদিয়া বাঁশপট্টি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ নভেম্বর ২০২৩