রাজনীতি


বগুড়ায় পুলিশের টিয়ার গ্যাসের ধোঁয়ায় ৫০ শিক্ষার্থী হাসপাতালে

বগুড়ায় পুলিশের টিয়ার গ্যাসের ধোঁয়ায় ৫০ শিক্ষার্থী হাসপাতালে

বগুড়ায় বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ব্যবহৃত টিয়ার গ্যাসের ধোঁয়ায় শহরের ইয়াকুবিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অন্তত ৫০ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদের মধ্যে ২৭ জনকে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই বিদ্যালয়ের পাশেই পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষ হয়। আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকের শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছে। গুরুতর অসুস্থদের আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে। দুপুর ৩টার দিকে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের দেখতে হাসপাতালে যান সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ শফিউল আজম।তিনি জানান, টিয়ারগ্যাসের ধোঁয়ার পাশাপাশি আতঙ্কের কারণে একসঙ্গে এতো শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে।তার ভাষায়, ‘সাধারণত অনেক শিক্ষার্থী একসঙ্গে থাকলে কয়েকজন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে অন্যরাও আতঙ্কিত হয়ে দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়ে। এখানেও তাই হয়েছে। ভয়ের কিছু নেই।’ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিএনপির পক্ষ থেকে মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুপুরে শহরের দক্ষিণের প্রবেশমুখ বনানী এবং উত্তরের প্রবেশমুখ মাটিডালি এলাকা থেকে জিরো পয়েন্ট সাতমাথা অভিমুখে পদযাত্রা বের করা হয়। মাটিডালি থেকে আসা পদযাত্রাটি জিরো পয়েন্টে না গিয়ে শহরের নওয়াববাড়ি সড়কে দলীয় কার্যালয়ের দিকে গিয়ে নির্বিঘ্নে চলে যায়। তবে বনানীর দিক থেকে আসা পদযাত্রাটি দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ইয়াকুবিয়া স্কুল মোড়ের দিকে পৌঁছার পর বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ জলেশব জলেশ্বরীতলার দিকে ঘুরে গেলেও পেছনে থাকা নেতা-কর্মীরা জিরো পয়েন্ট সাতমাথার দিকে যেতে চায়। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। বিএনপি নেতা-কর্মীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। তখন পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল নিক্ষেপ এবং রাবার বুলেট ও ব্ল্যাঙ্ক ফায়ার করে। প্রায় ২০ মিনিট ধরে ওই সংঘর্ষ চলে। এ সময় সংঘর্ষস্থল ইয়াকুবিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরে ওই সংঘর্ষ জলেশ্বরীতলা এলাকাতেও ছড়িয়ে পড়ে। ইয়াকুবিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহাদৎ হোসেন জানান, সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর স্কুল জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এরপর টিয়ার গ্যাসের ঝাঁঝালো ধোঁয়ায় শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। তিনি বলেন, ‘মূলত আতঙ্ক আর টিয়ারশেলের ধোঁয়ার কারণেই শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। কারও কারও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।’দুপুর ৩টার দিকে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসিইউয়ের সামনে গিয়ে দেখা যায়, ভেতরে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীদের উদ্বিগ্ন বাবা-মায়েরা অপেক্ষা করছেন। মমতাজ বেগম নামে এক নারী বলেন, তার মেয়ে নাদিয়াকে শ্বাসকষ্ট নিয়ে স্কুলে ভর্তি করা হয়েছে বলে স্কুল থেকে জানানো হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ জুলাই ২০২৩


লক্ষ্মীপুরে বিএনপি পুলিশ আওয়ামী লীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষে একজন নিহত, আহত অর্ধশতাধিক

লক্ষ্মীপুরে বিএনপি পুলিশ আওয়ামী লীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষে একজন নিহত, আহত অর্ধশতাধিক

লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। তিনি যুবদলের কর্মী বলে দাবি করেছে বিএনপি। তবে তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি। সংঘর্ষে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিমসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে লক্ষ্মীপুরে মদিন উল্যাহ হাউজিংয়ের একটি বাসার দোতলার সিঁড়ির পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। এর আগে বিকেলে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জেলা কৃষক দলের সভাপতি মাহবুব আলম মামুন ও সদর (পূর্ব) উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া বাবু জানান, তাদের শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা কর্মসূচিতে প্রথমে কলেজ রোড এলাকায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে। এরপর রামগতি-লক্ষ্মীপুর সড়কের আধুনিক হাসপাতালের সামনে পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বিএনপির মিছিলে হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর গুলি ছুড়তে থাকে। এতে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইব্রাহিম গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হন। সদর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক জয়নাল আবেদীন বলেন, হাসপাতালে আহত অবস্থায় অনেক রোগী এসেছে। এর মধ্যে গুলিবিদ্ধও রয়েছেন কয়েকজন। জেলা পুলিশের ডিআইওয়ান একেএম আজিজুর রহমান মিয়া বলেন, আমরা শহরের ব্রিজ এলাকায় ছিলাম। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মাঠে রয়েছি। আধুনিক হাসপাতালের সামনে কী হয়েছে তা জানি না। জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাছিবুর রহমান বলেন, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমাদের লোকজনের ওপর বিভিন্ন পয়েন্টে হামলা করেছে। পুলিশের গুলিতে ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলায় বহু নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় যুবদলের এক কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে আওয়ামী লীগের লোকজন। লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, বিএনপির উত্তেজিত নেতাকর্মীরা প্রথমে লাঠিসোঁঠা নিয়ে হামলা চালিয়েছে। তারা অতর্কিতভাবে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে হামলা, ভাঙচুর চালিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করি। বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলায় আমাদের পুলিশ সদস্যরা আহত হন। একজন কীভাবে মারা গেছে তা এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপির আয়োজনে পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশ নেয় বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী। কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ জুলাই ২০২৩


হিরো আলমের বিপক্ষে বিজয়ের আশাবাদী আরাফাত, সিসি ক্যামেরায় নির্বাচন দেখছে সিইসি

হিরো আলমের বিপক্ষে বিজয়ের আশাবাদী আরাফাত, সিসি ক্যামেরায় নির্বাচন দেখছে সিইসি

সোমবার বেলা ১১টায় গুলশান মডেল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজকেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাত। এর পর উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে তিনি তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।এ সময় জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে নৌকার প্রার্থী বলেন, জয়ের বিষয়ে আমি খুব আশাবাদী। মানুষ নৌকা ছাড়া ভোট দেবে না, তাই বিজয় সুনিশ্চিত।এর আগে আজ সোমবার সকাল ৮টায় ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা একটানা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।আরাফাত বলেন, ভোট দিতে পেরেছি; ভালো লাগছে। ভোট তো সবসময় নৌকায় দিয়েছি, এবারও নৌকায় দিচ্ছি। প্রার্থী হয়েছি কি হইনি, সেটি বড় কথা নয়, নৌকায় ভোট দেওয়াটাই সবচেয়ে বড় কথা আমার।তিনি বলেন, আমি সকালবেলা কয়েকটা কেন্দ্রে ঘুরেছি এবং খোঁজ নিয়েছি। সকালে একটু বৃষ্টি পড়েছে, বৃষ্টির কারণে ভোটার টার্ন আউট কম হয়েছে। গুলশান, বারিধারা, বনানীর ভোটাররা এমনিতে একটু দেরি করে ঘুম থেকে ওঠে, কিন্তু কালাচাঁদপুর শাহজাদপুর বা নদ্দার দিকে গেলে আপনারা দেখবেন ভোটার অনেক এসেছে। ভাসানটেকের দিকে গেলে দেখবেন ভোটার অনেক এসেছে। এখন কিন্তু ভোটের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম বলেছেন, তিনি শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকবেন, কীভাবে হারায় দেখবেন। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর বনানী মডেল স্কুল ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে হিরো আলম এসব কথা বলেন।ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আজ সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ চলবে। ভোট হচ্ছে কাগজের ব্যালটে।বনানী মডেল স্কুল ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে হিরো আলম বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তাঁর (একতারা প্রতীক) নির্বাচনী এজেন্টদের বের করে দেওয়া, মারধর করা ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেন।নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের মিলনায়তনে সিসিটিভি কন্ট্রোল রুমে ঢাকা-১৭ আসনের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি ইভিএমের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া ও যশোর জেলার বেনাপোল পৌরসভা নির্বাচনও পর্যবেক্ষণ করছেন কমিশনের কর্মকর্তারা।সকাল থেকেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত আহসান হাবীব খান, নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশিদা সুলতানা, নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, এনআইডি মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ুন কবীর এবং আইডিইএ-২ প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মো. সায়েম কন্ট্রোল রুমে উপস্থিত থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ জুলাই ২০২৩


আমার এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি, অভিযোগ হিরো আলমের

আমার এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি, অভিযোগ হিরো আলমের

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম ভোটকেন্দ্রে নিজের এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের কিছু লোকজন আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা করেছে। এ সময় ভোট সুষ্ঠু হবে কিনা এ নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।সোমবার সকালে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ করেন হিরো আলম।তিনি বলেন, ‘যারা আমার লোকদের বের করে দিয়েছেন, তাদের বুকে আওয়ামী লীগের ব্যাজ ছিল। আমি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার শুরু থেকেই আওয়ামী লীগ আমার ওপর হামলা করছে।’তিনি আরও বলেন, ‘এজেন্ট বের করে দিয়ে তারা একতরফা সিল মারার পরিকল্পনা করছে। তবে এখন পর্যন্ত আমি সিল মারার ঘটনা শুনিনি। কিন্তু আমাদের এজেন্টদের বের করে দিচ্ছে এবং মারধর করছে। এই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিনা আমরা তা জানি না।’স্বতন্ত্র প্রার্থী বলেন, ‘অনেকে হয়তো বলবেন— হিরো আলম এজেন্ট দেন না। আমরা কিন্তু ঠিকই এজেন্ট দিয়েছি। আমাদের এজেন্টদের বের করে দিচ্ছে। এমনকি আমাদের নারীদের ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছে। একজনের মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে। ভোটকেন্দ্রে তাদের কোনো গুরুত্বই নেই।’এ সময় হিরো আলমের প্রধান নির্বাচনি এজেন্ট মো. ইলিয়াস জানান, প্রত্যেকটি কেন্দ্রে তাদের এজেন্ট দেওয়া হয়েছিল। সব মিলিয়ে ৬২৪ জন এজেন্ট দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু এরই মধ্যে অন্তত ১০-১২টি কেন্দ্র থেকে তাদের এজেন্ট বের করে দেওয়া হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ জুলাই ২০২৩


‘বিজয় সুনিশ্চিত’, ভোট দিয়ে বললেন আরাফাত

‘বিজয় সুনিশ্চিত’, ভোট দিয়ে বললেন আরাফাত

সোমবার বেলা ১১টায় গুলশান মডেল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজকেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাত। এর পর উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে তিনি তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।এ সময় জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে নৌকার প্রার্থী বলেন, জয়ের বিষয়ে আমি খুব আশাবাদী। মানুষ নৌকা ছাড়া ভোট দেবে না, তাই বিজয় সুনিশ্চিত।এর আগে আজ সোমবার সকাল ৮টায় ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা একটানা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।আরাফাত বলেন, ভোট দিতে পেরেছি; ভালো লাগছে। ভোট তো সবসময় নৌকায় দিয়েছি, এবারও নৌকায় দিচ্ছি। প্রার্থী হয়েছি কি হইনি, সেটি বড় কথা নয়, নৌকায় ভোট দেওয়াটাই সবচেয়ে বড় কথা আমার। তিনি বলেন, আমি সকালবেলা কয়েকটা কেন্দ্রে ঘুরেছি এবং খোঁজ নিয়েছি। সকালে একটু বৃষ্টি পড়েছে, বৃষ্টির কারণে ভোটার টার্ন আউট কম হয়েছে। গুলশান, বারিধারা, বনানীর ভোটাররা এমনিতে একটু দেরি করে ঘুম থেকে ওঠে, কিন্তু কালাচাঁদপুর শাহজাদপুর বা নদ্দার দিকে গেলে আপনারা দেখবেন ভোটার অনেক এসেছে। ভাসানটেকের দিকে গেলে দেখবেন ভোটার অনেক এসেছে। এখন কিন্তু ভোটের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।ভালোই ভোটার আসছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের এ প্রার্থী বলেন, কেমন ভোট পড়ছে তার জন্য ভোটকেন্দ্রে চোখ রাখতে হবে। তবে এখনই তার সঠিক ফিগার বলা যাবে না।নৌকার প্রার্থী সাংবাদিকদের আরও বলেন, আরেকটা বিষয় খেয়াল করছেন কিনা, আমরা বলছি— ভোট দেন-ভোট দেন। আসলে আমরা বলছি না যে নৌকায় ভোট দেন, মানুষ ভোট দিতে এলে ভোট নৌকায় পড়বে, আমাদের ডানে বামে শুধু নৌকার ভোট। আমাদের প্রচেষ্টা হচ্ছে মানুষকে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসা।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ জুলাই ২০২৩


'ন্যাড়া বারবার বেলতলায় যায় না, গেলে তার মাথা ফাটবে'

'ন্যাড়া বারবার বেলতলায় যায় না, গেলে তার মাথা ফাটবে'

নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ন্যাড়া বেলতলায় বারবার যায় না, একবারই যায়। রোববার (১৬ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনের সামনে শ্রমিক দল আয়োজিত বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, মানুষ আজ ভোট দিতে যায় না। আপনারা ২০১৪ সালে ভোট দিয়েছেন, ২০১৮ সালে দিয়েছেন? কেউ দিতে পারেননি। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এবার নির্বাচনের আগে মানুষকে বলছেন, দেখো আমরা কত ভালো হয়ে গেছি। তারা নির্বাচনের আগে একটু সহানুভূতি দেখাচ্ছেন। কিন্তু ন্যাড়া বারবার বেলতলায় যায় না। গেলে তার মাথা ফাটবে। সুতরাং আমরা এ অবস্থায় আর বেলতলায় যাব না। ওরা আমাদের বেলতলায় নিয়ে যেতে চায়।তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের অধীনে নাকি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়। তারা মুখে মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে কিন্তু ভেতরে ভেতরে একদলীয় শাসন কায়েম করেছে। এ দেশের জনগণ এটি আর মানবে না। মূলত আওয়ামী লীগের চরিত্র ভালো না। তারা ভোটের আগে জনগণকে দেওয়া একটি কথাও মনে রাখে না। শুধু মনে রাখে, লুট, ডাকাতি এবং চুরি করে সব পাচার করে দেওয়া। ১৯৭৪ সালে এখনকার মতো যখন তারা লুটপাট শুরু করেছিলেন, মাওলানা ভাসানী তখন বলেছিলেন- আওয়ামী লীগের নামটাই বদলে দিতে হবে।বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজ আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলছেন, মাফিয়া হটাও। মাফিয়া তারা, যারা বন্দুকের জোরে ক্ষমতায় থাকেন আর শুধু লুটপাট করেন। আওয়ামী লীগ পরিকল্পনা করছে, কীভাবে আবার ক্ষমতায় আসা যায়। তারা প্রশাসনে রদবদল করছে। মন্ত্রীর পিএস এবং এপিএসদের ডিসি (জেলা প্রশাসক) বানাচ্ছে। তারা নির্বাচনের সময় রিটার্নিং অফিসার হবেন। এছাড়া ইউএনও বানানো হচ্ছে আওয়ামী লীগের পছন্দের লোকদের। নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন সবসময় সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলে। তারা বলে নির্বাচনে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটানো হবে। কিন্তু বাস্তবে তারা এটি করে না। তিনি বলেন, আজ এখানে এমন কেউ নেই যে কোনো না কোনো মামলার আসামি। কেউ বোমা মামলার আবার কেউ নাশকতার মামলার। আমরা যুদ্ধ করেছিলাম একটি সুন্দর গণতান্ত্রিক দেশ নির্মাণের জন্য। যেখানে ন্যায়বিচার থাকবে এবং ভোটাধিকার থাকবে।তিনি আরও বলেন, বর্তমানে শ্রমিক ভাইরা ন্যায্য মজুরি পান না। জনগণ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে বাজারে যেতে পারেন না। অথচ আওয়ামী লীগ বলছিল- ১০ টাকায় চাল খাওয়াবে। কিন্তু আজ চালের দাম কত? তারা বলেছিল- ঘরে ঘরে চাকরি দেবে। কৃষক ভাইদের বলেছিল- বিনামূল্যে সার দেবে। আজকে সারের দাম ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা। লন্ডন থেকে অনুসন্ধানী রিপোর্ট হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে- ৫৭২ কোটি টাকার সার বন্দর থেকে গায়েব হয়ে গেছে। যদিও এ টাকা তাদের কাছে কিছুই না। অর্থমন্ত্রী কয়েকদিন আগে বলেছিলেন- আইএমএফ-এর টাকা কিছুই না। এটা তারা কয়েকজন মিলে শোধ করতে পারেন। তারা পারবেন, কারণ তারা হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি করেছেন।কর্ণফুলী টানেল প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, আপনাদের এখানে একটা টানেল হচ্ছে। কয়েকদিন পর সেদিন উদ্বোধন করা হবে। আমরাও খুব খুশি। কারণ পৃথিবীর খুব কম দেশে টানেল হয়েছে। টানেল হওয়াতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আমাদের আপত্তি অন্য জায়গায়। আজকে জনগণ ১০ টাকায় চাল খেতে পারছেন না। অসুস্থ হলে চিকিৎসার জন্য কোনো হাসপাতাল নির্মাণ হয় না। সরকার আমাদের দেখান গত ১৫ বছরে জনগণের জন্য কয়টা হাসপাতাল নির্মাণ হয়েছে। একটাও দেখাতে পারবেন না। সাধারণ মানুষের লেখাপড়ার জন্য স্কুল-কলেজ তৈরি করেননি। এ অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে। এ জন্যই আমরা রাস্তা নেমেছি। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের সভাপতিত্বে দেশ বাঁচাতে সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে শ্রমিক দলের উদ্যোগে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ জুলাই ২০২৩


'অবাধ ও সুষ্ঠু করার ব্যাপারেই ইইউ আমাদের অঙ্গীকার চেয়েছে'

'অবাধ ও সুষ্ঠু করার ব্যাপারেই ইইউ আমাদের অঙ্গীকার চেয়েছে'

বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), এ কথা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘আজ বৈঠকে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার ব্যাপারেই তারা (ইইউ) আমাদের অঙ্গীকার চেয়েছে।’ ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘আমরাও বলেছি, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সম্ভব।’ আজ শনিবার রাজধানীর বনানীর শেরাটন হোটেলে বাংলাদেশ সফররত ইইউর তথ্যানুসন্ধানী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকটি শুরু হয় দুপুর ১২টায়। চলে প্রায় দেড় ঘণ্টা।ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধান, সার্বভৌমত্ব, আইনি ব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করে ইইউ একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়। নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কারে তারা আশ্বস্ত হয়েছে বলে আমাদের জানিয়েছে।’ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে বৈঠকের আগে আজ সকালে বিএনপি ও সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গেও আলাদা আলাদাভাবে বৈঠক করেছে ইইউ প্রতিনিধিদল।বিএনপির সঙ্গে বৈঠক নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে কী কথা হয়েছে, আমরা বললাম। বিএনপির সঙ্গে কী কথা হয়েছে, তা নিয়ে আমরা কেন বিতর্ক করতে যাব? সেটা তাদের ব্যাপার।’আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সংলাপ নিয়ে প্রতিনিধিদল কোনো কথা বলেনি। এমনকি তত্ত্বাবধায়ক সরকার কিংবা সংসদ বিলুপ্তির বিষয় নিয়েও প্রতিনিধিদল কোনো কথা বলেনি। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের সংবিধান ও বিধিবিধান অনুসারে আগামী নির্বাচন হবে।নির্বাচনকালীন সরকার প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে। এখানে পার্লামেন্ট বিলুপ্তির প্রশ্নই ওঠে না। সরকারের পদত্যাগের প্রশ্নই ওঠে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের প্রশ্নই ওঠে না।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদল এ বৈঠকে অংশ নেয়। অপর পক্ষে বৈঠকে অংশ নেয় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ মূল্যায়ন করতে আসা রিকার্ডো চেলারির নেতৃত্বে ইইউর ছয় সদস্যের একটি প্রাক্‌-তথ্যানুসন্ধানী দল।বৈঠক শেষে ইইউর প্রতিনিধিদলের সদস্যদের পক্ষ থেকে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের কোনো ব্রিফ করা হয়নি।আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলে ছিলেন দলটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাবেক কূটনীতিক মো. জমির, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, দলের আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, কার্যনির্বাহী সদস্য তারানা হালিম ও মোহাম্মদ এ আরাফাত।এর আগে সোমবার (১০ জুলাই) ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির গুলশানের বাসায় সংস্থাটির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছিলেন আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির চার নেতা। ঘণ্টাখানেক ধরে বৈঠকটি চললেও এ বিষয়ে ইইউ ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানানো হয়নি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ জুলাই ২০২৩


দেশের মানুষ একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়, ইইউকে জাপা

দেশের মানুষ একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়, ইইউকে জাপা

দেশের মানুষ একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মো. মুজিবুল হক। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের দফা একটি, সুষ্ঠু নির্বাচন।’আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ইইউ প্রতিনিধিদলের সদস্যরা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বিশেষ দূত মশরুর মাওলার গুলশানের বাসায় পৌঁছান। পরে সেখানে জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা বৈঠক করেন তাঁরা।বৈঠকে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক ছাড়াও দলটির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের) ও চেয়ারম্যানের বিশেষ দূত মশরুর মাওলা উপস্থিত ছিলেন।বৈঠক শেষে মুজিবুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘উনারা (ইইউ প্রতিনিধিরা) এসেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরেকটি টিম (প্রতিনিধিদল) আসবে ২৩ জুলাই। তাঁরা বিভিন্ন দল ও পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছেন আগামী নির্বাচনটা যাতে সুষ্ঠু হয়, ভালোভাবে হয়, নিরপেক্ষভাবে হয়—এ বিষয়ে তাঁরা কথা বলছেন। দুটি টিম তাদের মূল্যায়ন প্রতিবেদন দেওয়ার পর তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন পর্যবেক্ষক পাঠাবেন কি না।’ইইউ প্রতিনিধিদলটি জাতীয় পার্টির কাছে কী জানতে চেয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে মুজিবুল হক বলেন, ‘আমরা বলেছি, নির্বাচন আমরা চাই, দেশের মানুষ চায় একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন। সে নির্বাচনটা যদি করতে হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশন এবং সরকারের সবচেয়ে বড় ভূমিকা দরকার। এখন যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, এটা আলোচনার মাধ্যমে সম্ভব। আসলে মূল পদক্ষেপটা সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া প্রয়োজন।’নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে মুজিবুল হক বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কোনো কথা হয়নি। তাঁরা এটা নিয়ে ইন্টারেস্টেড (আগ্রহী) না।’জাতীয় পার্টি সংলাপ চায় কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির মহাসচিব বলেন, জাতীয় পার্টি অবশ্যই সব সময় সংলাপ চায়। কারণ, সংলাপ ছাড়া তো কোনো সমস্যার সমাধান হবে না। তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, বড় দুটি রাজনৈতিক দল আজকে দুই পয়েন্টে (অবস্থানে)। দুই দলই বলছে, এক দফা। কিসের এক দফা? আমরা চাই জনগণের স্বার্থে কোনো দফাটফা না; নির্বাচনটা কীভাবে করা যায়, সুষ্ঠুভাবে করা যায়, সবার সহযোগিতায়—সে বিষয়ে সবার একসঙ্গে কথা বলা দরকার।’

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ জুলাই ২০২৩


সর্বাধিক পঠিত

বর্তমান সরকারের অধীন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না, ইইউকে বিএনপি

বর্তমান সরকারের অধীন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না, ইইউকে বিএনপি

বর্তমান সরকারের অধীন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না, এমন দাবি করে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সে জন্যই সারা বিশ্ব বাংলাদেশের ওপর নজর রাখছে। ঢাকায় সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠকের পর আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এ কথা বলেন। তিনি জানান, নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অবস্থান, রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাঁদের দাবিসহ সার্বিক বিষয় তাঁরা ইইউ প্রতিনিধিদলের কাছে তুলে ধরেছেন।ঢাকার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে ইইউর ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদলের বৈঠকটি শুরু হয় আজ শনিবার সকাল ৯টায়, চলে প্রায় এক ঘণ্টা।সংলাপ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে কোনো গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই। এখানে মানবাধিকার প্রশ্নবিদ্ধ, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রশ্নবিদ্ধ, আইনের শাসন, জীবনের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ। এখানে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই। সংলাপের জন্য তো একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশ লাগে।আমীর খসরু মাহমুদ আরও বলেন, সংলাপ গণতান্ত্রিক পরিবেশের একটি অংশ। বাংলাদেশে কোনো গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই। সেই পরিবেশ প্রথমে তৈরি করতে হবে। তারপরই সংলাপের প্রশ্ন আসবে।ইইউ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ছাড়া দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আন্তর্জাতিক-বিষয়ক কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ ও আসাদুজ্জামান এবং সাবেক সচিব ইসমাইল জবিউল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।ইইউ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর দলীয় কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, নির্বাচনকে নিয়ে বাংলাদেশের প্রতি সারা বিশ্বের কেন এত নজর, এটাই হচ্ছে প্রশ্ন। কেন ইউরোপীয় ইউনিয়নকে এখানে এসে বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে তাদের মতামত দিতে হচ্ছে? দক্ষিণ এশিয়ার অন্য কোনো দেশে তো তাদের যেতে হচ্ছে না। কেন বাংলাদেশে আসতে হচ্ছে?বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকারের অধীন নির্বাচন গ্রহণযোগ্য নয়, সে কারণেই সারা বিশ্ব বাংলাদেশের ওপর নজর রাখছে।’আমীর খসরু মাহমুদ জানান, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করছে।বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ইইউ জানতে চাচ্ছে, বাংলাদেশের নির্বাচন আদৌ জনগণের ভোটের মাধ্যমে সম্ভব হবে কি না। তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় বলে আসছি, এ সরকারের অধীন নির্বাচনে যাওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না, সম্ভব নয়। কারণ অনেক। এ কারণগুলো বলে শেষ করা যাবে না। মূল কারণগুলো হচ্ছে এদের অধীন নির্বাচন হবে না। কারণ নির্বাচনের দিন তো দূরে থাক। ভোট চুরি তো এখনই চলছে। এই যে ডিসি পোস্টিং হচ্ছে, পুলিশের পোস্টিং হচ্ছে, বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তার চলছে, বিএনপির জনসভায় বাধা দিচ্ছে, গতকালের পদযাত্রায় আক্রমণ করেছে। এটা তো অব্যাহতভাবে চলছে।’আমীর খসরু মাহমুদ আরও বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিচার করে তাড়াতাড়ি সাজার ব্যবস্থা করছে, তারা যাতে নির্বাচন করতে না পারেন। এসব কাজ তারা প্রতিদিন করছে ভোট চুরির জন্য। কারণ, তারা নির্বাচনকে নিয়ন্ত্রণ করে জোর করে আবার ক্ষমতায় আসতে চায়। স্বাভাবিকভাবে এ কথাগুলো আজকের আলোচনায় এসেছে। শেষ কথা হচ্ছে, এই সরকারের অধীন দেশের মানুষ তাদের ভোট প্রয়োগ করতে পারবে না। জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারবে না।আরও পড়ুনসুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ চায় যুক্তরাষ্ট্রসংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন ও যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়াএক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন পর্যবেক্ষণ পাঠাবে কি পাঠাবে না, এটা তাদের সিদ্ধান্ত। কথা হচ্ছে, নির্বাচন তো হতে হবে। পর্যবেক্ষক আসার প্রশ্ন তখনই আসে, যখন একটি নির্বাচন হয়। এ মুহূর্ত পর্যন্ত বাংলাদেশের জনগণ, গণতান্ত্রিক বিশ্ব বিশ্বাস করে না, জনগণ বিগত নির্বাচনগুলোতে ভোট দিয়ে সরকার গঠন করেছে। ভবিষ্যতেও বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই। এই প্রেক্ষাপটে তারা যে সিদ্ধান্ত দেবে, সেটা তাদের ব্যাপার। তারা এখানে আসার উদ্দেশ্যটা পরিষ্কার করছে, বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হয়নি। নির্বাচন যদি হতো, তাহলে তারা তো নেপাল, ভুটান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ভারত—কোথাও যাচ্ছে না। কেন বাংলাদেশে আসছে, সেটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। বাংলাদেশে যে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না, সেটার লক্ষণ প্রতিদিনই আমরা দেখছি। জেল, মিথ্যা মামলা, দুর্নীতি দমন কমিশন, বিচার বিভাগকে ব্যবহার করা প্রতিনিয়ত চলছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ জুলাই ২০২৩


'সংলাপ নিয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপ করবে না যুক্তরাষ্ট্র'

'সংলাপ নিয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপ করবে না যুক্তরাষ্ট্র'

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ করবে না বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া।তিনি বলেন, গতকাল দুই রাজনৈতিক দল যে র‌্যালি করেছে সেটা আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি। সেখানে কোনো সংহিসতার ঘটনা ঘটেনি। এটা একটা ভালো অনুশীলন এবং আমরা এর পুনরাবৃত্তি দেখতে চাই। বাংলাদেশে কখন নির্বাচন হবে সেটা বাংলাদেশ সিদ্ধান্ত নেবে। সংলাপের বিষয়ে বলবো, এ বিষয়ে আমাদের প্রত্যক্ষ কোনো হস্তক্ষেপ থাকে না।বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিষয়ে কী আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে উজরা জেয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে জোরালো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অন্য মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকেও অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিষয়ে বলেছেন। যুক্তরাষ্ট্র সবসময় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সমর্থন করে।তিনি বলেন, ৫ দশক ধরে আমাদের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে চায়। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দুই দেশের চমৎকার সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেছি। জলবায়ু পরিবর্তন, মানবাধিকার, নিরাপত্তা বিষয়ে আমাদের অংশীদারত্ব রয়েছে, সামনের দিনগুলোতেও তা অব্যাহত থাকবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ জুলাই ২০২৩


আমাদেরও এক দফা, শেখ হাসিনাকে রেখেই নির্বাচন : ওবায়দুল কাদের

আমাদেরও এক দফা, শেখ হাসিনাকে রেখেই নির্বাচন : ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির এক স্বপ্ন মারা গেছে, আরেক স্বপ্ন দেখছে। কী স্বপ্ন দেখছে? শেখ হাসিনার পদত্যাগ। আমাদের এক দফা, সংবিধান সম্মত নির্বাচন; আমাদের এক দফা, শেখ হাসিনাকে রেখেই নির্বাচন।বুধবার (১২ জুলাই) বিকেলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, বিএনপির খবর জানেন? তাদের এক দফা হলো শেখ হাসিনার পদত্যাগ। আমাদের এক দফা শেখ হাসিনাকে ছাড়া নির্বাচন হবে না। বিএনপি জানে নির্বাচন হলে তারা হেরে যাবে। শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তার কাছে ভেসে যাবে। তারা শেখ হাসিনাকে হিংসা করে। শেখ হাসিনার অপরাধ তিনি উন্নয়ন করেছেন; শেখ হাসিনার অপরাধ ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বেন।বিদেশিদের উদ্দেশে কাদের বলেন, আপনারা চান অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন। আমরাও সেটা চাই। সেই সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা দিতে আসলে প্রতিহত করব।ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির এক দফা হলো শেখ হাসিনার পদত্যাগ। আমাদের দফা একটা। শেখ হাসিনা ছাড়া কোনো নির্বাচন নয়। নির্বাচন শেখ হাসিনার আমলেই হবে। বাংলাদেশের জনগণ যাকে ভালোবাসে, বাংলাদেশের জনগণ যে নেত্রীর সততাকে পছন্দ করে, যে নেত্রীর উন্নয়নকে পছন্দ করে, বাংলাদেশের মানুষ যে নেত্রীর পরিশ্রমকে পছন্দ করে, যিনি সারারাত জেগে মানুষের কথা ভাবেন, রাত ২টায় ফোন করেও যাকে পাওয়া যায়, আমাদের এমন নেতা আমরা হারাতে পারি না। তিনি বলেন, তারা পদ্মা সেতু চায়নি, তারা মেট্রো রেল চায়নি, তারা এক দিনে ১০০ সেতুর উদ্বোধন চায়নি, তারা রূপপুর প্রকল্প চায়নি, সেই উন্নয়ন যাদের পছন্দ নয়, তারা শেখ হাসিনাকে পছন্দ করে না। বিএনপি অনেক স্বপ্ন দেখেছিল, আজকেও কাঁথা, বালিশ নিয়ে লোক আনার চেষ্টা করেছে। আগে একটা স্বপ্ন ছিল, সেই স্বপ্ন ডিসেম্বরে গোপীবাগের গরুর হাটে গিয়ে মারা গেছে। আরেক স্বপ্ন দেখছে। কী স্বপ্ন? শেখ হাসিনার পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাদের এক দফ পল্টনের কাদা পানিতে আটকে গেছে। বৃষ্টির পানিতে নয়া পল্টনের কাদা পানিতে বিএনপির স্বপ্ন আটকে গেছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে, ভোট চুরির বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে, লুটপাটের বিরুদ্ধে, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে খেলা হবে। বলে দিচ্ছি মাঠে আছেন, মাঠে থাকবেন। খেলা হবে নির্বাচন পর্যন্ত। খেলা চলবে ছাড়বেন না যখনই শেখ হাসিনার নির্দেশে ডাক দেব তখন চলে আসবেন।তিনি আরও বলেন, যারা আমার দেশের অগণিত মানুষের রক্ত ঝরিয়েছে, যাদের হাতে রক্তের দাগ তাদের সঙ্গে আপস নয়। তাদের সাথে কোনো সংলাপ নয়। আমরা ৭১ এর চেতনার সঙ্গে আপস করতে পারি না। আমাদের নেত্রী অনেক দয়া দেখিয়েছেন, অনেক মহানুভবতা দেখিছেন। গণতন্ত্রের অপশক্তির সঙ্গে আপস আওয়ামী লীগ করতে পারে না। ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি এ রকম মঞ্চ দেখতে চাই না। শৃঙ্খলা থাকতে হবে। এত নেতা আমার দরকার নেই। একটা মিটিংয়ে এত বক্তাও আমার দরকার নেই। আওয়ামী লীগ যখন খেলতে নামবে তখন কোনো অপশক্তি সামনে দাঁড়াতে পারবে না। তৈরি হয়ে যান, প্রস্তুত হয়ে যান। আমি সবাইকে বলব সামনে শোকের মাস, শোকের মাসের ভাবগাম্ভীর্য কেউ নষ্ট করবেন না। শোকের মাসের বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা, শেখ রেহানার ছবি ছাড়া আপনার ছবি দিয়ে প্রচার করবেন না। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ জুলাই ২০২৩


শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন নয়, বিএনপির এক দফা

শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন নয়, বিএনপির এক দফা

আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি আদায়ে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। প্রাথমিকভাবে ঢাকায় দুই দিন এবং সারা দেশে এক দিন পদযাত্রা করবে তারা।আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনের সমাবেশ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।মির্জা ফখরুল বলেন, এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ১৮ জুলাই মহানগরীসহ ঢাকা এবং সারা দেশের মহানগরী ও জেলা পর্যায়ে পদযাত্রা করা হবে। এ পদযাত্রার মধ্য দিয়েই তাদের পতনকে আরও ত্বরান্বিত করা হবে।ঢাকা মহানগরীতে পদযাত্রা হবে দুই দিন। ১৮ জুলাই সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত গাবতলী থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত পদযাত্রা করা হবে। ১৯ জুলাই সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উত্তরার আবদুল্লাহপুর থেকে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক পর্যন্ত পদযাত্রা হবে বলে জানান মির্জা ফখরুল। এর আগে সমাবেশে বক্তব্যে বিএনপি নেতারা রক্ত দিয়ে হলেও আওয়ামী লীগ সরকারের অধীন নির্বাচন হতে না দেওয়ার ঘোষণা দেন। তাঁরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করলেই কেবল নির্বাচন হবে।আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আজ বেলা দুইটায় এ সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেন, ‘রক্ত দিয়ে হলেও আমরা এবারের নির্বাচন প্রতিহত করব।’ দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে চায় না বলে দাবি করেন বিএনপির এই নেতা। সে কারণে আওয়ামী লীগের আজকের সমাবেশে মানুষ নেই বলে দাবি করেন তিনি।বিএনপি নেতা আবদুস সালাম বলেন, ‘গত ১৪-১৫ বছরে শেখ হাসিনা কোনো কথা শোনেননি। তাই ওনার এখন কোনো কথা বলারও দরকার নাই।’ তিনি বলেন, সরকারের কিছু কর্মকর্তা এখনো আওয়ামী লীগের ভাষায় কথা বলেন। তিনি তাঁদের সতর্ক করেছেন।এ সরকারের অধীন কোনো নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদিনও। সমাবেশে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলেই নির্বাচন হবে। প্রধানমন্ত্রী আপনাকে যেতেই হবে।’বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা দাবি করেন, তাঁদের আজকের সমাবেশে নেতা–কর্মীদের উপস্থিতি প্রমাণ করেছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে। বিএনপির চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলন কর্মসূচি শুরুর পর থেকে ১৭ নেতা-কর্মী নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশে বরকতউল্লা বলেন, ‘এ জন্য আপনাদের বিচার হবে।’আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে লুটপাটের রাজত্ব বানিয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, ‘এ সরকারকে আর ক্ষমতায় রাখা যায় না।’ প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে শামসুজ্জামান বলেন, ‘আপনি নিজে ঠিক করবেন, নাকি আমরা ঠিক করে দেব; আপনাকে যেতেই হবে। এরশাদ থাকতে পারেননি, আপনিও থাকতে পারবেন না।’নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনের দাবি আদায়ের প্রত্যয় জানিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেন বলেন, সব শ্রেণি–পেশার মানুষ আজ রাজপথে নেমে এসেছে।এর আগে সকাল থেকেই দলের নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন। দুপুর ১২টার মধ্যেই বিএনপির নেতা-কর্মীদের অংশগ্রহণে ভরে যায় সমাবেশস্থল। নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত রাখতে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে তৈরি করা মঞ্চে গান পরিবেশন করা হয়। ফাঁকে ফাঁকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতারা বক্তব্য দিতে থাকেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ জুলাই ২০২৩


আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে ২৩ শর্তে আগামীকাল সমাবেশের অনুমতি দিল পুলিশ

আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে ২৩ শর্তে আগামীকাল সমাবেশের অনুমতি দিল পুলিশ

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ২৩ শর্তে আগামীকাল বুধবার বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। সমাবেশের সময় বেধে দেওয়া হয়েছে দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।একইসঙ্গে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে শান্তি সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে ডিএমপি। আওয়ামী লীগকে বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময় বেধে দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য শর্তগুলো দুই দলের জন্য একই।আজ মঙ্গলবার ডিএমপি বিএনপি ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগকে আলাদাভাবে চিঠি দিয়ে এই অনুমতির কথা জানিয়েছে।বুধবার ঢাকায় সমাবেশ করে সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়ার কথা জানিয়েছে বিএনপি। এজন্য নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন করেছিল দলটি। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনের ঘোষণায় তাঁদের নতুন কর্মসূচিও থাকবে।এদিকে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে আগামীকাল বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে শান্তি সমাবেশ ঘোষণা করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। বিএনপির সমাবেশের দিন বড় জমায়েতের প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্ষমতাসীন দলটি।যেসব শর্তে আওয়ামী লীগ–বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি১. এই অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে অনুমোদন নিতে হবে; ২. স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রে উল্লেখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন করতে হবে; ৩. অনুমোদিত স্থানেই সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে; ৪. নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে; ৫. স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশস্থলের চারদিকে উন্নত রেজ্যুলেশনযুক্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে; ৬. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশে আগতদের হ্যান্ড হেল্ড মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে (ভদ্রোচিতভাবে) চেকিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে ; ৭. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশস্থলে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা রাখতে হবে; ৮. শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সীমিত আকারে মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করতে হবে, কোনক্রমেই অনুমোদিত স্থানের বাইরে মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না; ৯. অনুমোদিত স্থানের বাইরে প্রজেক্টর স্থাপন করা যাবে না; ১০. অনুমোদিত স্থানের বাইরে, রাস্তায় বা ফুটপাতে কোথাও লোক সমবেত হওয়া যাবে না; ১১. আযান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না; ১২. ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত আসতে পারে এমন কোন বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শণ বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না; ১৩. সমাবেশের কার্যক্রম ব্যতিত মঞ্চকে অন্য কোন কাজে ব্যবহার করা যাবে না; ১৪. সমাবেশ শুরুর ২ (দুই) ঘন্টা পূর্বে লোকজন সমবেত হওয়ার জন্য আসতে পারবে; ১৫. অনুমোদিত সময়ের মধ্যে (১৪.০০ ঘটিকা হতে ১৭.০০ ঘটিকা) সমাবেশের সার্বিক কার্যক্রম শেষ করতে হবে; ১৬. কোনো অবস্থাতেই মূল সড়কে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না; ১৭. আইন-শৃঙ্খলা পরিপন্থি ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কার্যকলাপ করা যাবে না; ১৮. রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যকলাপ ও বক্তব্য প্রদান করা যাবে না; ১৯. উস্কানিমূলক কোনো বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না;২০. কোনো ধরনের লাঠি-সোঁটা/ব্যানার, ফেস্টুন বহনের আড়ালে লাঠি, রড ব্যবহার করা যাবে না; ২১. আইন-শৃংখলার অবনতি ও কোন বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন;২২. উল্লেখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে এবং ২৩. জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোন কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে এই অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১১ জুলাই ২০২৩


বাংলাদেশে গনতন্ত্র নেই বলেই বিদেশিরা আসে : ফখরুল

বাংলাদেশে গনতন্ত্র নেই বলেই বিদেশিরা আসে : ফখরুল

ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মার্কিন প্রতিনিধি দলের ঢাকা সফরের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তারা কেন বাংলাদেশে আসে? অন্য দেশে তো যায় না। কারণ এখানে গণতন্ত্র নেই, এখানে নির্বাচন হয় না, এজন্য আসে।মঙ্গলবার (১১ জুলাই) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে নারী নেতৃত্বের অগ্রগতি বিষয়ক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এ কথা বলেন তিনি। কর্মশালাটির আয়োজন করে বিএনপি মিডিয়া সেল। সহযোগিতা করে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল।দেশে গণতন্ত্রের চর্চা বারবার ব্যাহত হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছিলাম গণতন্ত্রের জন্য। কিন্তু সেই সময় যারা ক্ষমতায় ছিল তারা সেই গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। সোজা কথা আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। জনগণ যখন তাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছিল, দেশের মানুষের সমস্যা সমাধান করতে পারছিল না, তখন তারা তারা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বিভিন্ন কালাকানুন তৈরি করে গণতন্ত্র ধ্বংস করে।বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের একটা চরিত্রগত সমস্যা আছে সেটা হচ্ছে তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তাদের পছন্দ একনায়কতন্ত্র। তার মনে করে দেশে তারা ছাড়া ভিন্ন কেউ নেই। দেশের মালিক শুধু তারাই এরকম মানসিকতা তাদের।আওয়ামী লীগ সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর গণতান্ত্রিক অধিকারকে ধ্বংস করে দিয়েছে বলে দাবি করেন মির্জা ফখরুল। বলেন, আজকে বিদেশিদের নিয়ে কথা হচ্ছে। আমেরিকা ও ইইউর একটি টিম আসছে, কেন তারা আসছে? তারা এখানে মানবাধিকার গণতন্ত্র ও নির্বাচন সম্পর্কে জানতে আসছে। কারণ এখানে নির্বাচন হয়নি (গত দুটি সংসদ নির্বাচন) এবং নির্বাচন হয় না।সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন প্রমুখ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১১ জুলাই ২০২৩


ইইউ নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগের কথা বলেনি : কাদের

ইইউ নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগের কথা বলেনি : কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) নির্বাচন নিয়ে কোনো উদ্বেগের কথা বলেনি। তারা ভালোটা আশা করেছে। আজ সোমবার সচিবালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে দেখা করেন। তারপর ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন, নির্বাচন নিয়ে তাদের (ইইউ) উদ্বেগ কোন জায়গায়? এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, কোনো উদ্বেগের কথা তারা বলেনি। তারা ভালোটা আশা করেছে। কোনো খারাপ কিছু নিয়ে কোনো কথা বলেনি। বাংলাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হোক, সেটা তারা চেয়েছে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী ও পরিপক্কতা অর্জন করুক, এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে বলতে গিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, মূলত নির্বাচন নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে। এ ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নে বন্ধু দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের অগ্রগতি এবং চলমান বিশ্বপরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে। একটি অবাধ, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। তাদের বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা সরকার নিয়মিত (নির্বাচনকালীন) কাজ করে যাবে এবং এই সরকার তখন নির্বাচনকালে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করবে, সহযোগিতা করবে, যাতে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হয়। আর সরকারি দল তখন শুধু রুটিন ওয়ার্ক পালন করবে।অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, সেভাবেই নির্বাচন হবে। সংবিধানের বিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। মন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের বক্তব্য জানিয়েছি এবং তাদের সঙ্গে সুন্দর আলোচনা হয়েছে। আলোচনা ফলপ্রসূ ও অর্থবহ।’নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো সুপারিশ ছিল কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‌‘পর্যবেক্ষক নিয়ে আমরা বলেছি, সুস্বাগত। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে পর্যবেক্ষক আসবেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন, নিবিড়ভাবে পরিবীক্ষণ করবেন। পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব অনুযায়ী তাঁরা দায়িত্ব পালন করবেন।পর্যবেক্ষকদেরও দায়িত্ব পালনে ভিয়েনা কনভেনশনের নীতিমালা আছে। সেই নীতিমালার মধ্যে বিদেশি কূটনৈতিকেরা দায়িত্ব পালন করবেন। এখানে আমাদের কোনো আপত্তি থাকার প্রশ্ন নেই। বরং নির্বাচন নিয়ে নানান কথা হয়, যে কারণে পর্যবেক্ষকদের থাকাটা স্বাগত জানাই। তাঁরা সরেজমিন দেখতে পাবেন নির্বাচন কীভাবে হচ্ছে। কাজেই এ নিয়ে বাধা-বিবাদের সুযোগ থাকবে না।’আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইইউর ছয়জনের একটি দল এসেছে। তারা খুঁটিনাটি বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করবে। তা এখানে আলোচনা হয়নি। তারা (ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল) আওয়ামী লীগের সঙ্গেও বসবে ১৫ জুলাই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার, সংসদের বিলুপ্তি, সরকারের পদত্যাগ এসব নিয়ে কোনো কথাই হয়নি ইউরোপীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে। তবে উন্নয়ন নিয়ে কথা হয়েছে।একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না? জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সবকিছু নিয়েই আলোচনা হয়েছে।’বিএনপিকে নির্বাচনে আনা নিয়ে কোনো কথা বলা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘না, এ কথা আমরা কেন বলব? বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে নির্বাচন নিয়ে যেহেতু তাদের আগ্রহ আছে, তখন নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করার জন্য কাউকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ করবে কি না, এটি তাদের ব্যাপার।’বিএনপি তো রাস্তায় আছে, তারা এ সরকারের অধীন নির্বাচনে যাবে না, সাংবাদিকদের এমন মন্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরাও রাস্তায় আছি। তারা বিক্ষোভে আছে, আমরা শান্তি সমাবেশে আছি।’তাহলে রাজনীতি তো সেই একই পথে যাচ্ছে, সমঝোতা তো হচ্ছে না, বড় ধরনের রাজনৈতিক সমঝোতার দিকে কি যাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ। এত তাড়াতাড়ি হাল ছেড়ে দিচ্ছেন কেন?’এ মাসের শেষের দিকে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল ভারত যাচ্ছে। বিজেপির সঙ্গে বৈঠক আছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়কমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনের সঙ্গে এর কোনো বিষয় নেই। এটি হচ্ছে, আমার নেতৃত্বে একটি দল চার বছর আগে ভারতে গিয়েছিলাম। এরপর রামমাধবের নেতৃত্বে ভারত থেকেও একটি দল এসেছিল। এটি দলের সঙ্গে দলের একটা বিষয়। এই প্রশ্নটি ভারতের সঙ্গে করেন, কিন্তু চীনের সঙ্গে যে প্রতিবছর সফর বিনিময় করি, সেটি তো বলেন না। এটি নিয়ে কোনো প্রশ্ন করেন না।’যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে কেন কথা বলব? দরকারটি কী?’

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১০ জুলাই ২০২৩


আন্দোলনের নতুন যাত্রার ঘোষণা ১২ তারিখে: মির্জা ফখরুল

আন্দোলনের নতুন যাত্রার ঘোষণা ১২ তারিখে: মির্জা ফখরুল

একটি নিরপেক্ষ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য নতুন আন্দোলনের যে যাত্রা, সেটি ১২ জুলাই ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে যে যুগপৎ আন্দোলন চলছে, সে আন্দোলনের সব রাজনৈতিক দল-জোটগুলো-আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামী ১২ তারিখে আমরা প্রত্যেকে আমাদের নিজ নিজ জায়গা থেকে গণতন্ত্রের জন্য, একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আন্দোলনের নতুন যে যাত্রা, সে যাত্রার ঘোষণা আমরা ইনশা আল্লাহ দেব।’আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক দোয়া মাহফিলে মির্জা ফখরুল ইসলাম এ কথা বলেন। এ সময় তিনি উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘সবাইকে অনুরোধ করব, দোয়া করবেন যেন শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচিগুলো পালন করতে পারি, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষকে মুক্ত করতে পারি।’বাধ্য হয়েই আন্দোলনে নেমেছেন এমন কথা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। এই আন্দোলন তো আমরা ইচ্ছা করে করছি না, বাধ্য হয়ে করছি। আমরা নির্বাচন করেই পরিবর্তনটা চাই। কিন্তু নির্বাচন তো আপনি করতে দিচ্ছেন না। নির্বাচন আপনি নিজে নিজে করছেন আপনার মতো করে। সেই ব্যবস্থা তো চলতে পারে না।’মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সেই কারণে আমরা বারবার বলছি, এই দেশটাকে বাঁচানোর জন্য এখন আপনাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করে, পদত্যাগ করে একটা নির্বচন দিন। সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এই দেশের সংকট দূর হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি, এ দেশের মানুষ বিশ্বাস করে।’বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও রফিকুল ইসলাম মিয়ার সুস্থতা কামনায় এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, ‘বর্তমান অবৈধ ও নিপীড়নকারী সরকার অত্যন্ত সচেতনভাবে গোটা জাতি-রাষ্ট্রকেই অসুস্থ করে ফেলেছে। তিনি বলেন, এই দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা খালেদা জিয়াকে এই সরকার আটক করে রেখেছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে নির্বাসিত করে রেখেছে।’বিএনপি মহাসচিব বলেন, যেসব নেতা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ৪০, ৫০, ৮০, ১০০টি মামলা আছে। দুজন-তিনজন নেতার বিরুদ্ধে ৩০০টি পর্যন্ত মামলা আছে। তিনি বলেন, ‘সংবাদমাধ্যমকে প্রশ্ন করতে চাই, আপনারা আমাকে দেখাতে পারবেন যে একটি গণতান্ত্রিক দেশে, একটি গণতান্ত্রিক দলের রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ৪০ লাখ মিথ্যা মামলা আছে। দলের প্রধান থেকে শুরু করে এমন একজন নেতা নেই, যাঁর বিরুদ্ধে মামলা নেই।’সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার কারাগার থেকে বাসায় থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘উনি (প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ইঙ্গিত করে) বলেন আমি করুণা করেছি। তাঁর দয়ায় নাকি...আমরা তো দয়া চাইনি, আমরা তো জাস্টিস চেয়েছি। আমরা ন্যায়বিচার চেয়েছি, প্রাপ্য চেয়েছি। এখানে আমরা কোনো রাজত্বে বাস করি না। রাজা-রানির রাজত্বে বাস করি না।’বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের পর খালেদা জিয়াসহ অসুস্থ নেতাদের আরোগ্য কামনা করে নেতা-কর্মীরা মিলাদ ও দোয়ায় অংশ নেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এ সময় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, জয়নাল আবেদীন, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, কামরুজ্জামান রতন, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১০ জুলাই ২০২৩


এই সপ্তাহেই বিএনপির 'এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা,  চিন্তিত নয় আওয়ামী লীগ

এই সপ্তাহেই বিএনপির 'এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা, চিন্তিত নয় আওয়ামী লীগ

শেখ হাসিনার সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর এক দফার আন্দোলন নিয়ে চিন্তিত নয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটি মনে করছে, ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে থেকে সর্বশেষ গত ডিসেম্বর পর্যন্ত যত আন্দোলন করেছে বিএনপি, সবগুলোই এক দফার ছিল। এটি নতুন কিছু নয়।আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী সূত্র বলছে, বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচিতে চিন্তিত না হলেও রাজপথের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে যা যা করণীয়, সবই করবে আওয়ামী লীগ। এরই মধ্যে বিএনপির ‘তারুণ্যের সমাবেশের’ পাল্টা হিসেবে দেশের আট বিভাগীয় শহরে ছাত্র ও যুব সমাবেশ করার পরিকল্পনা নিয়েছে আওয়ামী লীগ। মূলত দলের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে এসব সমাবেশ করা হবে। এসব কর্মসূচিতে নিজ নিজ বিভাগের মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটির ভূমিকা থাকবে। দিন-তারিখ এখনো ঠিক হয়নি। তবে চলতি মাস থেকেই সমাবেশগুলো শুরুর কথা রয়েছে।শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে বিএনপি যে এক দফা আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণার কথা বলছে, তা মাথায় রেখেই এসব সমাবেশের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, বিএনপি যাতে এককভাবে রাজপথের দখল নিতে না পারে, সেটাই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য। এ জন্যই ছাত্র ও যুবসমাজের নামে তরুণদের রাজপথে নামানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর বাইরে বিএনপির চলমান কর্মসূচি দেখে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ভিন্ন কর্মসূচিও নেওয়া হতে পারে।আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, আট বিভাগে সহযোগী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে সমাবেশের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এখনো কর্মসূচি চূড়ান্ত হয়নি। শিগগিরই একটা বৈঠক করে চূড়ান্ত করা হতে পারে। তিনি আরও বলেন, বিএনপি কী করবে, এটা নিয়ে আওয়ামী লীগ চিন্তিত নয়। তাদের পুরো মনোযোগ এখন নির্বাচনের দিকে।যুবলীগের একজন শীর্ষ নেতা বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে বিরোধীরা এক দফার যে আন্দোলনের পরিকল্পনা নিয়েছে, তা মূলত রাজপথ দখলের চেষ্টা। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সহযোগী সংগঠনগুলো রাজপথ যেকোনো মূল্যে নিজেদের দখলে রাখবে। এ ক্ষেত্রে সংঘাত হলে কিছু করার নেই।বিএনপির এক দফার আন্দোলন সম্পর্কে আওয়ামী লীগের মূল্যায়ন হচ্ছে—এটি নতুন কিছু নয়। কারণ, ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর যত আন্দোলন করেছে বিএনপি, এর প্রতিটিরই লক্ষ্য ছিল শেখ হাসিনার সরকারের পতন। এমনকি গত ডিসেম্বরে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, এরও মূল লক্ষ্য ছিল সরকারের পতন ঘটানো। কিন্তু আওয়ামী লীগ রাজপথ দখলে রাখার কারণে তা পারেনি বিএনপি। আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটানোর মতো অবস্থা বিরোধীদের নেই বলেও মনে করছে ক্ষমতাসীন দল।আওয়ামী লীগের উচ্চপর্যায়ের সূত্র বলছে, রাজপথে বিএনপির আন্দোলনের প্রতিটির পাল্টা কর্মসূচি দেবে আওয়ামী লীগ। গত ডিসেম্বর থেকে এভাবে পাল্টাপাল্টি করে দলের পক্ষে ইতিবাচক ফল পেয়েছে আওয়ামী লীগ। ফলে তা অব্যাহত রাখা হবে। এভাবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়ে যাবে। তখন আর আন্দোলন জমবে না।আওয়ামী লীগের একজন দায়িত্বশীল কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতন ঘটাতে হলে গণ-অভ্যুত্থান ঘটাতে হবে। এর কোনো সম্ভাবনা, লক্ষণ বা ইঙ্গিত তাঁরা দেখছেন না। আর বিএনপি হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি দিতে পারবে না। জ্বালাও-পোড়াওয়ের পথও বন্ধ। কারণ, এ ধরনের কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো পছন্দ করবে না। বড়জোর বেশি বেশি লোক জমায়েতের চেষ্টা করবে বিএনপি। আওয়ামী লীগও চলতি মাস থেকে বড় বড় জমায়েত করবে। সেপ্টেম্বর থেকে নির্বাচনী জনসভা শুরু করবে ক্ষমতাসীন দলটি।এদিকে, বিএনপির আন্দোলনের চেয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর কূটনৈতিক তৎপরতা, মার্কিন ভিসা নীতি, পশ্চিমা আইনপ্রণেতাদের ভূমিকা বেশি ভাবাচ্ছে আওয়ামী লীগকে। ১৫ জুলাই ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের বৈঠক হতে পারে। এর আগে মার্কিন কর্মকর্তারা বৈঠক করবেন।এসব বৈঠকে আওয়ামী লীগ পাঁচ সিটি করপোরেশন ও উপনির্বাচনে সুষ্ঠু ভোটের বিষয়টি তুলে ধরবে। পাশাপাশি আইন প্রণয়ন করে সরকার নির্বাচন কমিশনকে যে শক্তিশালী করেছে, সেই যুক্তিও থাকবে আওয়ামী লীগের।দলটির দায়িত্বশীল একাধিক নেতার সঙ্গে বিদেশি কূটনৈতিকদের তৎপরতার বিষয়ে কথা হয়। তাঁরা মনে করছেন, ভোটের আগে এই তৎপরতা নতুন নয়। এবার বাড়তি হচ্ছে ভিসা নীতি ও নিষেধাজ্ঞার শঙ্কা। তবে সরকার নির্বাচন করে ফেলতে পারলে সমস্যা হবে না।আরেকজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, বিএনপির এবারের আন্দোলন কর্মসূচি কৌশলী। তবে এগুলো দিয়ে সরকারের পতন ঘটানো সম্ভব নয় বলে তাঁরা মনে করেন।গতকাল শনিবার ঢাকা উড়ালসড়ক প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি দেখতে গিয়ে বিমানবন্দর এলাকায় বিএনপির এক দফা আন্দোলন নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপিসহ ৩২ দলের জগাখিচুড়ির ঐক্যের এক দফার আন্দোলনের পতন অনিবার্য।’ তিনি আরও বলেন, বিএনপির আন্দোলনের নেতা কে? ক্যাপ্টেন ছাড়া কি জাহাজ চলবে? সরকার যেমন আছে, তেমনই থাকবে।ভোটের আগে এই তৎপরতা নতুন নয়। এবার বাড়তি হচ্ছে ভিসা নীতি ও নিষেধাজ্ঞার শঙ্কা। তবে সরকার নির্বাচন করে ফেলতে পারলে সমস্যা হবে না।অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশ সফরের বিষয়টিকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে রাজি নন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।তিনি গতকাল সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, মার্কিন প্রতিনিধিদল আসছে নির্বাচন–সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে নয়, তারা রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি জানতে আসছে। আর ইইউ প্রতিনিধিদল আসছে নির্বাচনে পর্যবেক্ষক দল কীভাবে পর্যবেক্ষণ করবে, তা দেখতে।ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বলছেন, তাঁরা বিএনপির আন্দোলনের বিপরীতে কর্মসূচি রাখছেন, একই সঙ্গে মানুষকে নির্বাচনমুখী করার কর্মসূচি নিয়েও এগোনোর পরিকল্পনা নিয়েছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৯ জুলাই ২০২৩


আ. লীগ আবারও প্রমাণ করলো তাদের দ্বারা সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: মির্জা ফখরুল

আ. লীগ আবারও প্রমাণ করলো তাদের দ্বারা সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এবার যে আন্দোলন হবে, সেটা চূড়ান্ত পর্যায়ের আন্দোলন। তিনি বলেছেন, এ আন্দোলনে বাংলাদেশের সব মানুষ সম্পৃক্ত হবে এবং জনগণ তাদের অধিকার আদায় করে নেবে।আজ বুধবার রাতে যুগপৎ আন্দোলনে শরিক জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সঙ্গে বৈঠকের পর বিএনপি মহাসচিব এ কথা বলেন।মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যারা আমাদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করছে, আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করছি। আমরা অতি শিগগির চূড়ান্ত কর্মসূচি ঘোষণা করব। তবে একটা কথা নিশ্চিত, এবারের যে আন্দোলন হবে, এ আন্দোলন হবে চূড়ান্ত পর্যায়ের আন্দোলন।’নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা খর্ব করে জাতীয় সংসদে পাস হওয়া জাতীয় নির্বাচন-সংক্রান্ত আইন (গণপ্রতিনিধিত্ব আইন) সংশোধনের জন্য সরকারের সমালোচনা করেন বিএনপির মহাসচিব।এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এই সরকার ক্ষমতাকে তার নিজের হাতে রাখার জন্য, নির্বাচনব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে নিজের করায়ত্তে রাখার জন্য কালকে (গত মঙ্গলবার) গণপ্রতিনিধিত্ব আইনের ধারা সংশোধন করেছে। এই সংশোধনীটা সম্পূর্ণভাবে নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিপন্থী। এই সংশোধনীর মধ্য দিয়ে সরকার আবারও প্রমাণ করল, তারা তাদের মতো করে নির্বাচন করতে চায়। ভোটের অধিকার হরণ করেই এই সরকার ক্ষমতায় টিকে আছে।’লিয়াজোঁ কমিটির সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু উপস্থিত ছিলেন। সমমনা জোটের পক্ষে এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদের নেতৃত্বে জাগপার খন্দকার লুৎফর।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৬ জুলাই ২০২৩


জনগণের কাছে এখন ধানের শীষ পেটের বিষ হয়ে গেছে : কাদের

জনগণের কাছে এখন ধানের শীষ পেটের বিষ হয়ে গেছে : কাদের

ধানের শীষ পেটের বিষ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এদেশের মানুষ আবারও নৌকা চায়। পেটের বিষ আর খেতে চায় না। আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ শাখা ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। বুধবার (৫ জুলাই) সকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। ওবায়দুল কাদের বলেন, এই মুহূর্তেও বিএনপিসহ তাদের সমমনা দলগুলো গুজব নিয়ে ব্যস্ত। তারা ভোটারদের কাছে যাচ্ছে না। তারা যাচ্ছে বিদেশিদের কাছে। অনেক মালা গেঁথে আটলান্টিকের দিকে তাকিয়ে আছে। তারা ভাবছে বিদেশি প্রতিনিধি এসেই ভিসানীতি দেবে। তিনি বলেন, পাঁচ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে যারা অপপ্রচার চালিয়েছে, তাদের অপপ্রচার একেবারেই সত্য নয়। বিএনপি নির্বাচনে না এলেও অন্যান্য দল, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অংশগ্রহণে ভোটার উপস্থিত ভালো ছিল। অনেকে অপপ্রচার করেছে যে, ভোটের প্রতি ভোটারের আগ্রহ নেই। নির্বাচন মানেই বিশৃঙ্খলা, জাল ভোট, এসব অপপ্রচার চালানো হয়; যা বাস্তবে ঘটেনি। সেদিক থেকে আমরা বাংলাদেশের নির্বাচনের আশার আলো দেখতে পাই। নির্বাচন ব্যবস্থাকে গণতান্ত্রিক করেছেন শেখ হাসিনা। ওবায়দুল কাদের বলেন, অন্ধকারে ঢিল ছুড়ে লাভ নেই। বিরোধীরা বার বার অন্ধকারে ঢিল ছুড়েছে। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন যেভাবে সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ হয়েছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনও এ ধারাবাহিকতায় হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ জুলাই ২০২৩


বিএনপি সশস্ত্র বাহিনীসহ দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে অগণিত অর্থ ব্যয় করছে - হুইপ স্বপন

বিএনপি সশস্ত্র বাহিনীসহ দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে অগণিত অর্থ ব্যয় করছে - হুইপ স্বপন

জাতীয় সংসদের হুইপ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে রক্তস্নাত আত্মত্যাগের মহিমান্বিত কালের যাত্রার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী গড়ে উঠেছে। দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনী বাংলাদেশের গর্ব। আমাদের রাষ্ট্রীয় সীমানা ও অভ্যন্তরীণ শান্তির অতন্দ্র প্রহরী। দেশের প্রতি ইঞ্চি মাটির সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনী অবিরাম অবদান রেখে চলেছে। আমাদের পুলিশ বাহিনীও মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়ে উঠেছে। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরেই পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনের পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজারবাগ পুলিশ লাইন, পিলখানায় বিজিবি ব্যারাক এবং সশস্ত্র বাহিনীর বাঙালি সৈন্যদের ব্যারাকসমূহে নৃশংস হামলা পরিচালনা করে। বর্তমান বিশ্বে জঙ্গীবাদের প্রকোপের কালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসবাদ দমন করে বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রশংনীয় ভূমিকা পালন করছে। অভিজ্ঞ উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে পরিচালিত বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন অভিযাত্রায় সকল শ্রেণীপেশার মানুষের পাশাপাশি বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ বাহিনী, সিভিল প্রশাসন এবং সেবা সংস্থাসমূহ অসামান্য ভূমিকা পালন করে চলেছে। তিনি বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ বাহিনী দেশের অভ্যন্তরে কাজ করার পাশাপাশি জাতিসংঘের নেতৃত্বে বিশ্ব শান্তি রক্ষায় অতীব প্রশংসিত কাজ করে দেশের জন্য সুনাম এবং বৈদেশিক মুদ্রা বহন করে আনছে। অগণিত সম্মানিত প্রবাসী বাঙালীর পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা বাংলাদেশের উন্নয়ন ও পথচলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে ঢাকা সেনানিবাসে পাকিস্তানী সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার নিকট বাইয়্যাত গ্রহণকারী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি এবং তাদের বিটিম জামায়াত অগণিত টাকা ঢেলে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ বাহিনী ও সিভিল প্রশাসনের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর দেশপ্রেমিক সদস্যদের একটি স্বপ্ন আছে, তারা জাতিসংঘ মিশনে গিয়ে একটি ভাল অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে জীবন সুন্দর করে সাজাবেন। বিএনপি- জামাত আজ তাদের পেটে লাথি মারার জন্য মরীয়া হয়ে উঠেছে। মুরব্বীদের পদলেহন করে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য মরীয়া হয়ে তারা আজ দেশের বিরুদ্ধে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছেন। আজ (রবিবার) জয়পুরহাট-২ নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন বাজারে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় এবং কালাই, ক্ষেতলাল, আক্কেলপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়র, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও সহযোগী সংগঠণসমূহের উপজেলা নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় তিনি উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।তিনি আরও বলেন, ইতিপূর্বে এই দেশবিরোধী অপশক্তি বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে দেবার জন্য প্রবাসীদের ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ প্রেরণ বন্ধ করতে অপপ্রচার চালিয়েছেন। এখন জাতিসংঘ মিশনে বাংলাদেশের বিচক্ষণ ও চৌকষ সেনাদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা, বাংলাদেশ থেকে গার্মেন্টস আমদানী বন্ধ করার জন্য মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে লবিং করছে। তাদের দুঃখ যে, বাংলাদেশ তাদের পেয়ারের পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মত দেউলিয়া হচ্ছে না। তারা বাংলাদেশকে পাকিস্তানের কাতারে নিয়ে গিয়ে দেশ ধ্বংস করার জন্য মরীয়া হয়ে উঠেছেন। তিনি এই দেশবিরোধী অপশক্তিকে বয়কট ও মোকাবেলা করার জন্য অভিজ্ঞ রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার জন্য সকল দেশপ্রেমিক নাগরিকদের এগিয়ে আসার জন্য বিনীত অনুরোধ করেছেন। মত বিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মজিদ মোল্লা, আব্দুল রাবিক, আব্দুল কাদের মন্ডল, জাহিদুল আলম বেনু, অধ্যক্ষ মোকছেদ আলী, মিনফুজুর রহমান মিলন, মোস্তাকিম মন্ডল, সিরাজুল ইসলাম সর্দার, আহসান কবীর এবলব, ফজলুর রহমান, দেলোয়ার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেকুর রহমান, রাবেয়া সুলতানা, আতিকুর রহমান মিঠু, মশিউর রহমান, মোঃ আলী আকবর, রত্না রশীদ, হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ জুলাই ২০২৩