নিজস্ব প্রতিবেদক : সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদ রুখতে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, বিএনপি- জামায়াতের সন্ত্রাসী কার্যক্রম মোকাবেলা করতে প্রয়োজনে একাত্তরের মতো আরও একটি মুক্তিযুদ্ধ হবে। কিন্তু পরাজিত শক্তির কাছে কখনোই মাথা নত করা হবে না। আজ বুধবার ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কৃষক লীগ কর্তৃক আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৫৯ তম জন্মদিন উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আজকে বাংলাদেশে মির্জা ফখরুলরা সমাবেশ করে, সেই সমাবেশে ২১ আগস্ট গ্রোনেড হামলার দন্ডিত আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী লুৎফর জামান বাব’র এবং উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুর মুক্তি চায় মির্জা ফখরুলরা। তখন ওদের মতলব ও উদ্দেশ্য আমাদের বুঝতে অসুবিধা হয় না। তিনি বলেন, আপনারা (মির্জা ফখরুল) বাংলাদেশকে কোথায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চান? যে বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করেছিল? যে বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করা যেতো না? যে বাংলাদেশে মতিউর রহমান নিজামীদের গাড়ীতে পতাকা তুলে দেয়া হয়েছিল? সেই বাংলাদেশে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চান? তাহলে আমাদের কথা পরিষ্কার- প্রয়োজন হলে ৭১ এর মতো আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ হবে। কিন্তু কারো কাছে মাথানত করব না। সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা একটি সময় অতিক্রম করছি। যে সময়ে দেশের গণতন্ত্র চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। আমাদের স্বাধীনতার মাস চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি এবং সার্বভৌমত্ব এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থাকবে, না কি স্বাধীনতা বিরোধীদের ইতিহাস আবার লেখা হবে? মির্জা ফখরুল সাহেব, চট্টগ্রামে আপনার জনসভায় কুক্ষাত সালাউদ্দিন কাদেরের পুত্র হুম্মাম কাদের যখন নারায়ে তাকবির-আল্লাহ হুয়াকবার স্লোগান দেয় এবং বলে, তার বাবা একজন শহীদ। তখন প্রশ্ন জাগে, যারা মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিল এবং শহীদ হলেন। তারা শহীদ, না কি একাত্তরের ঘাতকরা ওই সাকা চৌধুরী শহিদ? যুদ্ধাপরাধীরা একাত্তরে জঘন্য অপরাধ করেছে কিন্তু তাদের পরিবারের সদস্যরা এখন যে ধরনের কথা বলছে তা দেশদ্রোহিতরা শামিল। তাদের এই সকল বক্তব্যের জন্য জাতি কখনোই ক্ষমা করবে না। কাজের আমরা একটি বিশাল চ্যালেঞ্জর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছি। শহীদ শেখ রাসেলের স্মৃতি চারণ করে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ৭৫’এর ১৫ আগস্ট আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে স্বাধীনতা বিরোধী বঙ্গবন্ধুসহ শেখ রাসলকে সপরিবারে হত্যা করে ঘাতকরা। সেদিন শেখ রাসেল নিজেকে বাচাঁনোর আকুতি করেছিলেন, বলেছিলেন আমাকে মেরো না। আমাকে মায়ের কাছে নিয়ে যাও। কিন্তু ঘাতকরা তার বাবা-মায়ের রক্তাক্ত লাশের পাশে নিয়ে গিয়ে গুলি করে বুক ঝাঝরা করে দেয় শেখ রাসেলের। এমন নিষ্ঠুর হত্যা কাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। সেদিন কোথায় ছিলো মানবধিকার সংস্থা! শিশু রাসেল হত্যা নিয়ে কজন সুশিল সামাজ কথা বলেছিল! হত্যা কাণ্ডের বিচার চেয়েছেন! তিনি বলেন, ইতিহাসের খলনায়ক জিয়ার রহমান ক্ষমতায় এসে এই হত্যা কাণ্ডের বিচার ব্যবস্থা বন্ধ করেছিল। আর এরশাদরা চিনদিনের জন্য এই খুনের বিচারকে রুদ্ধ করে দিয়েছিল। এদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে। এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যেকটি নির্দেশনা অক্ষর অক্ষরে পালন করার আহ্বান জানান তিনি। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম বলেন, ৭৫’এর ১৫ আগস্ট ঘাতকদের হাত থেকে অন্তসত্ত্বা নারী, একজন ছোট্ট শিশু রক্ষা পায়নি। সে দিন ঘাতকরা এতো নির্মম ছিল- কাউকে বাঁচতে দেয়নি। একাত্তরের ঘাতকরাই ৭৫’এ এই হত্যা কাণ্ড চালিয়েছে। তারা এখনো সেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাই তাদেরকে বলবো - বিজয়ের মাস ডিসেম্বর আসার আগেই পাকিস্তানি চলে যান। সেটাই আপনাদের প্রিয় জায়গা। কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কৃষক লীগের সহ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সুইট, শরিফ আশরাফ, আব্দুল লতিফ, দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ অক্টোবর ২০২২
প্রধানমন্ত্রী কেন বারবার দুর্ভিক্ষের কথা বলছেন, সেটা তাঁরাও বুঝতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘(প্রধানমন্ত্রী) কেন বলছেন, সমস্যাটা তো আমরাও বুঝতে পারছি না। কারণ, উনারা কিছুদিন আগেও দাবি করেছেন যে তাঁরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে গেছেন। আজকে কী এমন ঘটল যে তাঁরা এখন ভয় পাচ্ছেন, একটা খাদ্যসংকট দেখা দেবে?’আজ মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সঙ্গে সংলাপ করে বিএনপি। সংলাপ শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেন, প্রধানমন্ত্রী কেন বারবার খাদ্যসংকট ও দুর্ভিক্ষের কথা বলছেন? জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম এসব কথা বলেন।বিএনপির মহাসচিব যোগ করেন, ‘মূল বিষয়টা যে জায়গায়, এত বেশি দুর্নীতি সবখানে, প্রতিটি খাতে, প্রতিটি ক্ষেত্রে, তাদের এখন এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সামাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সবখানে এত বেশি দুঃশাসন হয়েছে, মিস রুল হয়েছে যে নাথিং ইজ আন্ডার দেয়ার কন্ট্রোল। যে কারণে বিদ্যুতের সমস্যাটা তৈরি হয়েছে। তারা এখন বিদ্যুৎ দিতে পারছে না।এ প্রসঙ্গে বিপুল অর্থ ব্যয়ে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ক্রয় এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও মুখ্য সচিবের জন্য বাড়ি তৈরির বিষয় উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘৮ হাজার কোটি টাকায় ইভিএম কিনতে যাচ্ছে একটা জালিয়াতির ভোট করার জন্য। অন্যদিকে, ৪৩ কোটি টাকা দিয়ে মন্ত্রিপরিষদের সচিব ও মুখ্য সচিবের জন্য বাড়ি তৈরি করা হবে। আপনি কি আশা করেন, এটা অবিশ্বাস্য একটা ঘটনা। এ রকম প্রতিটি ক্ষেত্রে, একটা-দুইটা নয়—আজকে প্রতিটি খাতে এ রকম দুর্নীতি হচ্ছে। সে জন্যই আজকে তারা এ অবস্থায় উপনীত হয়েছে।’এ সময় বিএনপির মহাসচিব বিমানবন্দর সড়কে প্রতিদিনকার যানজটের ঘটনার কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘আজকের একটা কথা বলি, সকাল ৯টায় বাসা (উত্তরা) থেকে বের হয়েছি। এ পর্যন্ত (গুলশান-২ নম্বর) আসতেই আমার দুই ঘণ্টা লেগেছে। তারপরও পুরোটা আসতে পারিনি, আমাকে রিকশা নিয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালের পেছন দিয়ে আসতে হয়েছে গাড়ি রেখে দিয়ে। ১০ বছর ধরেই জনগণকে এই ভোগান্তি দিচ্ছে। অর্থাৎ তাদের কোথাও কোনো ম্যানেজমেন্ট নেই, প্রশাসনের ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে গেছে।’‘কয়েকটি সমাবেশ করলেই সরকার পড়ে যাবে, এমনটি যাঁরা ভাবেন, তাঁরা বোকার স্বর্গে বাস করছেন’—আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বিএনপির মহাসচিব এটাকে সরকারির দলের ‘আতঙ্ক’ বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের পর ময়মনসিংহে জনতা ঢলের মতো নেমেছে। ময়মনসিংহে কারফিউয়ের মতো অবস্থার সৃষ্টি করেছে। এমনকি বর্ষীয়ান নেতা নজরুল ইসলাম খান যে হোটেলে ছিলেন, সেখানে তারা গুলিবর্ষণ করেছে, ককটেল নিক্ষেপ করেছে। তারপরও তারা কোনো বাধার সৃষ্টি করতে পারেনি।সমাবেশের পরদিন বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘উল্টো দেখেন, পুলিশকে ব্যবহার করে তারা ৪০০ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। এভাবে দমন করে, গুলি করে, হত্যা করে, গুম করে কোনো দিনই ক্ষমতায় থাকা যাবে না, যতই তারা চেষ্টা করুক।’এর আগে বেলা ১১টায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও দুপুর ১২টায় এনডিপির নেতাদের সঙ্গে গুলশানের কার্যালয়ে পৃথক সংলাপ করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ২০ দলের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান।সংলাপ শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আলোচনার মাধ্যমে কয়েকটি বিষয়ে একমত হয়েছি, এ সরকারের পতনে লক্ষ্যে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দেশের সব বিরোধী দলের নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে যুগপৎ আন্দোলন করব।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ অক্টোবর ২০২২
সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে এক সদস্য পদপ্রার্থী ভোট আদায়ের কৌশল হিসেবে আগের রাতে ভোটারদের জাল টাকার বান্ডিল দিয়ে প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী প্রার্থী সুমন সরকারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছে অন্তত সাত ইউপি সদস্য।তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই ভোটাররা রাতে টাকা নেওয়ার পর নির্দিষ্ট প্রতীকে রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। পরে প্রার্থীর দেওয়া টাকা নিয়ে কিছু কেনাকাটা ও ফুর্তির জন্য বের হন তারা। তবে কেনাকাটা করতে গিয়ে পরখ করে দেখেন সবগুলো টাকা জাল। এরপর দ্রুত প্রার্থীকে জানালে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, জাল নোট যার কাছে পাওয়া যাবে তাকেই কিন্তু পাকড়াও করবে পুলিশ।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতারণার শিকার একজন ভোটার বলেন, ‘আগের রাতে তাদের ওই প্রার্থী নিজ হাতে টাকার বান্ডিল বিতরণ করেছেন। এ সময় তিনি বলেন, এই টাকা ভোটের আগে যেন খরচ না করা হয়। খরচ করলে টাকা দেওয়ার বিষয়টি জানাজানি হবে। এতে তার ক্ষতি হবে। পরে সেই কথা অনুযায়ী ভোটের আগে টাকাগুলো খরচ করিনি। ভোট দেওয়ার পর স্থানীয় ধানগড়া বাজারে গেলে দোকানদার টাকা হাতে নিয়ে উল্টিয়ে দেখে বলে এগুলো জাল নোট। এরপর টাকাগুলো নিয়ে প্রার্থীর কাছে গেলে তিনি পুলিশে ধরিয়ে দেবেন বলে নানা ভয়ভীতি দেখান।’বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। মশকরাও করছেন অনেকে। ফেসবুকে একজন লিখেছেন, ‘ভোট দিয়েই ভোটাররা খেলেন ধরা’।অভিযুক্ত প্রার্থী সুমন সরকার রায়গঞ্জ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। জেলা পরিষদের সদস্য পদে (বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। এরআগেও তিনি জেলা পরিষদের সদস্য ছিলেন।ওই ওয়ার্ডের পরাজিত প্রার্থী গোলাম মোস্তফা বলেন, তিনি জালনোটের বিষয়টি ফেসবুকের মাধ্যমে জেনেছেন। তবে কে কাকে জাল টাকার বান্ডিল দিয়েছে সেটা তার জানা নেই।তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জয়ী প্রার্থী সুমন সরকার। তিনি বলেন, তিনি নির্বাচিত হওয়ায় তার প্রতিপক্ষরা এমন মিথ্যা গুজব ছড়াচ্ছেন। তিনি কোনো ইউপি সদস্যকে জাল টাকার বান্ডিল দেননি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ অক্টোবর ২০২২
দেশের নিরাপত্তা, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিএনপি বড় অন্তরায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি আজ বনানী কবরস্থানে শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন বিএনপি এদেশের রাজনীতির জন্য বিষফোড়া
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ অক্টোবর ২০২২
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় বিএনপি আরেকটি ওয়ান ইলেভেন সৃষ্টির দুঃস্বপ্ন দেখছে। কয়েকটি সমাবেশ করেই সরকার পড়ে যাবে এমনটি যারা ভাবেন তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন বাংলাদেশে ওয়ান ইলেভেনের পুনরাবৃত্তি আর কখনো হবে না।তিনি আজ তাঁর বাসভবনে ব্রিফিংকালে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে একথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন আওয়ামী লীগ জলের স্রোতে ভেসে আসা কোন দল নয়,এদেশের মাটি ও মানুষের অনেক গভীরে প্রথিত আওয়ামী লীগের শেকড়।তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে উচ্চ আদালত, এটি আওয়ামী লীগ সরকারের কোন সিদ্ধান্ত নয়, - বিএনপি মহাসচিবকে আবারও মনে করি দিয়ে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন ২০৪১ সাল পর্যন্ত কে ক্ষমতায় থাকবে, কে থাকবে না তা একমাত্র আল্লাহ এবং দেশের জনগণ জানেন। তিনি বলেন আওয়ামী লীগ ভোটের রাজনীতিতে বিশ্বাসী, জনগণের আস্থার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশের মানুষ চাইলে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করবে, না চাইলে করবে না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন এ সৎ সাহস শেখ হাসিনার আছে ক্ষমতা চিরস্থায়ী কোন বিষয় নয়, জনগণের কল্যাণে কাজ করলে জনগণ কখনো কাউকে বিমুখ করে না।আর সেজন্য আওয়ামী লীগ জন্মলগ্ন থেকে জনমানুষের রাজনীতি করে আসছে। তিনি আরও বলেন আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না, ষড়যন্ত্র, হত্যা, আগুন সন্ত্রাসের রাজনীতি করে বিএনপি। বিএনপিকে একটি অকৃতজ্ঞ দল হিসেবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন তাদের নেত্রীকে নির্বাহী আদেশে মুক্ত করে বাসায় থাকার সুযোগ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিন্তু সেই মানবিকতা ও কৃতজ্ঞতাবোধও তাদের নেই।বিএনপি বিরোধিতার খাতিরে বিরোধিতা করে এমন দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন সরকার যে কাজই করুক বিচার-বিবেচনা না করে বিএনপি অন্ধ সমালোচনা শুরু করে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আবারও বলেন দুনিয়ার কোথাও যা নেই তা নিয়ে কেন বিএনপি অহেতুক বিতর্কের সৃষ্টি করে, সংবিধান অনুযায়ী পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন হবে পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মত, জনগণের জন্য রাজনীতি করলে বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে হবে। বিএনপি নেতাদের কথায় কথায় সবার পদত্যাগ ও মুখে গণতন্ত্রের কথা বলা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে বলেন যাদের দলের অভ্যন্তরেই গণতন্ত্র নেই তারা দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে কিভাবে ?ওবায়দুল কাদের বলেন যদি পদত্যাগ করতেই হয় তাহলে আন্দোলন ও নির্বাচনে টানা ব্যর্থতার জন্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরেরই সবার আগে পদত্যাগ করা উচিত। বিএনপি মহাসচিব বিনা সম্মেলনে কয় বছর ধরে দলের মহাসচিব পদে জেগে বসে আছে, বিএনপির সম্মেলন কবে হয়েছে ফখরুল সাহেবের হয়তো তাও জানা নেই বলেও মনে করেন ওবায়দুল কাদের। আমার নাকি পদত্যাগ করা উচিত, - মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন দাবি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে বলেন আগে বাস্তবতা অনুধাবন করতে শিখুন।দেশে আমার মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কত মেগা প্রকল্প হয়েছে এবং এদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থার একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। একথা দেশের মানুষ ভালো করেই জানে - কিন্তু বিএনপি জেনেও না জানান ভান করছে।সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আরও বলেন আমি বিআরটি প্রকল্পের বাস্তবতা তুলে ধরেছি, সত্যকে স্বীকার করার সৎ সাহস আমাদের আছে, মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে আমি বা আমরা বসে নেই। দ্রুত কাজ শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ অক্টোবর ২০২২
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় বিএনপির সমাবেশে যাচ্ছেন, এমন সন্দেহে এক শ্রমিককে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে গফরগাঁও উপজেলার উথুরি মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।জখম হওয়ার ব্যক্তির নাম মো. মোবারক হোসেন (৩৩)। তাঁর বাড়ি নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার আলুদ্দিয়া গ্রামে। তিনি বিয়ের অনুষ্ঠানে বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টারে শ্রমিকের কাজ করেন।গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের উপসহকারী চিকিৎসা কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, মোবারক হোসেনের ডান হাতের কবজির রগ কেটে গিয়ে গভীর ক্ষত হয়েছে। তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।আহত মোবারকের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, কমিউনিটি সেন্টারে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শ্রমিকের কাজ করেন। নিয়মিতভাবে তিনি কিশোরগঞ্জ জেলায় থাকেন। আজ শনিবার সকালে মোট ১২ জন শ্রমিক কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর হয়ে গফরগাঁও উপজেলায় যাচ্ছিলেন। গফরগাঁওয়ে কাদির কমিউনিটি সেন্টারে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে কাজ করার কথা তাঁদের। টমটম নামের এক ধরনের গাড়ি দিয়ে আসার পথে গফরগাঁও উপজেলার উথুরি মোড়ে রামদা হাতে একদল দুবৃর্ত্ত তাঁদের পথ রোধ করে। কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই ময়মনসিংহে বিএনপির সমাবেশে যাচ্ছে সন্দেহ করে সবাইকে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করতে শুরু করে। একপর্যায়ে মোবারকের ডান হাতে রামদা দিয়ে কোপ দেওয়া হয়। আহত অবস্থায় মোবারকে গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।মোবারক আরও বলেন, ‘আমার বাড়ি নেত্রকোনায়। কিশোরগঞ্জ শহরে থাকি। গফরগাঁও উপজেলার কোনো মানুষকে আমি চিনি না। আমাদের কোনো কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই মারধর করতে থাকে।’ চিকিৎসক তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে বললেও তিনি গফরগাঁওয়ে অবস্থান করছেন বলে জানান মোবারক।স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই উথুরি মোড়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা লাঠিসোঠা নিয়ে অবস্থান নিয়েছেন। তাঁরা সমাবেশে যাচ্ছে এমন সন্দেহে হলে মানুষকে যেতে বাধা দিচ্ছেন। মোবারকসহ শ্রমিকেরা টমটম দিয়ে যাওয়ার সময় প্রথমে গাড়িটিকে থামতে বলা হয়। বলার সঙ্গে সঙ্গে গাড়িটি না থামানোয় আওয়ামী লীগ কর্মীরা গাড়ির চালককে ও গাড়িতে থাকা লোকজনকে মারধর করেন।গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক আহমেদ বলেন, উথুরি মোড়ে এমন কোনো ঘটনার কথা তাঁর জানা নেই। তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন।এদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স আজ শনিবার দুপুর পৌনে বারোটায় প্রথম আলোকে বলেন, সমাবেশে যোগদানের পথে পথে বিএনপির কর্মীদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। ফুলবাড়িয়া, মুক্তাগাছা এবং তারাকান্দায় এমন বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে জানান সৈয়দ এমরান সালেহ।নির্বাচনকালীন সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, জ্বালানি তেল ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদসহ বিভিন্ন দাবিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বক্তব্য দিবেন। আজ শনিবার বেলা ২টা থেকে ময়মনসিংহ পলিটেকনিক মাঠে এ সমাবেশ শুরু হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ অক্টোবর ২০২২
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে খাল কেটে কুমির আনার রাজনীতি, তারা গণতন্ত্রের মুখোশের আড়ালে দেশকে গণতন্ত্রহীন করে রেখেছিল, এখন আবার তারা সে পথেই হাটতে চায় ।ওবায়দুল কাদের বলেন ,ধর্ম নিয়ে রাজনীতি এবং নির্বাচন এলে ভারত বিরোধিতা বিএনপির পুরানো অপকৌশল।তিনি আজ তাঁর বাসভবনে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, বিএনপি হচ্ছে গুজব সর্বস্ব রাজনৈতিক দল, গোয়েবলসীয় কায়দায় মিথ্যাচারই তাদের একমাত্র হাতিয়ার।বিএনপির এসব কৌশল এখন ভোঁতা হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন বিএনপিই এখন ধর্মের কার্ড ব্যবহার করে, আওয়ামী লীগ নয়।তিনি বলেন সরকারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহবান বিএনপির অপরিণামদর্শী রাজনীতির পরিচয় বহন করে।দেশ ও দেশের জনগণের প্রতি নূন্যতম কমিটমেন্ট কোন দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল এমন কথা বলতে পরেন না।বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার হীন মতলবে একটা বিদেশী রাষ্ট্রকে উসকানি দেওয়ার অপচেষ্টার শামিল বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের।তিনি আরও বলেন বিএনপি রাতদিন সরকারের অন্ধ সমালোচনা করছে,সভা-সমাবেশ করছে - আবার বলছে কথা বলার অধিকার নাই, তাদের অসত্য নিরেট মিথ্যাকেও হার মানায়, মিথ্যাচারকে বিএনপি এখন শিল্পে রূপ দিয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ অক্টোবর ২০২২
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় ১৩ বছরের সাজা থেকে আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে খালাস দিয়ে রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ ৯৪ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করেছেন।শনিবার (১৫ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে এ রায় দেওয়া হয়েছে।২০১৮ সালের ৮ অক্টোবর এ রায় ঘোষণা হলেও ৪ বছর পর তা প্রকাশ করলেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে দুদক আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে কী না সে সিদ্ধান্ত নেবে দুর্নীতি কমিশন।আইনজীবী সূত্র বলেছে, দুদক ২০০৭ সালের ১৩ জুন সূত্রাপুর থানায় মায়ার বিরুদ্ধে ওই মামলা দায়ের করে। এতে সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধভাবে ২৯ লাখ টাকার সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ আনা হয়। পরের বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত দুই ধারায় মায়াকে মোট ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন। সেই সঙ্গে তাকে জরিমানাও করা হয়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন মায়া। শুনানি নিয়ে ২০১০ সালের ২৭ অক্টোবর হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে খালাস দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল বিভাগে আবেদন করে, যার শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালের ১৪ জুন মায়াকে হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায় বাতিল করেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে হাইকোর্টে নতুন করে আপিল শুনানির নির্দেশ দেওয়া হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ অক্টোবর ২০২২
`সরকার পতনের যে অলীক স্বপ্ন বিএনপি নেতারা দেখছেন ও কর্মীদের দেখাচ্ছেন তা বাস্তবে কখনো ঘটবে না। জনগণ যতদিন চাইবে, শেখ হাসিনা সরকার ততদিন ক্ষমতায় থাকবে। বিএনপি নেতাদের কথায় সরকারের পতন হবে না।’শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিবের ‘ভিত্তিহীন, আজগুবি ও রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, অপরিণামদর্শী বিএনপি নেতারা বৈশ্বিক সংকটের বাস্তবতা অনুধাবন না করেই গলার জোরে কথা বলছেন ও জনগণের কষ্টকে পুঁজি করে রাজনীতি করার অপচেষ্টা করছেন।‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সৃষ্ট সংকট বিশ্বব্যাপী। বিশ্বের সব দেশই এ সংকট মোকাবিলা করছে ও আগামীতে সংকট গভীরতর হলে তা কীভাবে মোকাবিলা করবে তার দিশা খুঁজছে, অথচ বিএনপি মহাসচিব এ কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করছেন।সরকারের পদত্যাগের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ওবায়দুল কাদের বিএনপি মহাসচিবকে উদ্দেশ্য করে প্রশ্ন করেন- এ সংকটে কি তাহলে বিশ্বের সব দেশের প্রধানমন্ত্রীই পদত্যাগ করবেন?তিনি বলেন, আগামী বছর থেকে বিশ্বমন্দার আশঙ্কা করছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশ বিচ্ছিন্ন কোনো দ্বীপ নয়। বিশ্বব্যাপী এ সংকট আমাদের সৃষ্ট না হলেও, তার প্রভাব আমাদের দেশের ওপর পড়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দূরদর্শী বলেই, আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। বেশি করে খাদ্য উৎপাদনের কথা বলেছেন।আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন হবে- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, একযুগেরও বেশি সময় ধরে বিএনপি মহাসচিব তাদের হতাশ নেতাকর্মীদের চাঙা করতে এমনটা বলে যাচ্ছেন। কিন্তু শকুনের দোয়ায় যেমন গরু মরে না, তেমনি বিএনপির দোয়াতেও সরকারের পতন হবে না।‘সরকারি ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো’ ঘোষণা করায় বড় সর্বনাশ হয়েছে। জনগণের বাকস্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে’- বিএনপি মহাসচিবের এমন মন্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বিবৃতিতে বলেন, ফখরুল সাহেব হয়তো জানেন না, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, কোরিয়া ও যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো চিহ্নিত করা আছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ অক্টোবর ২০২২
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ময়মনসিংহে বিএনপির সমাবেশকে বাধা দিতে আওয়ামী লীগের পাল্টা কর্মসূচির ডাক দেওয়া থেকে প্রমাণ হয়, তারা কখনো গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা সব সময় সন্ত্রাস সৃষ্টি করে, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার কাজ করেছে। আর তা রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা নিয়েই করছে। যার ফলে রাষ্ট্রকে তারা একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। তবে বিএনপি থেমে থাকবে না। কোনো বাধাই বিএনপিকে থামাতে পারবে না।শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) সকালে ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। এই কথা একটি সময় শুধু আমরা বা অন্য দলগুলো বলত, এখন আওয়ামী লীগের সহযোগী দল জাতীয় পার্টির প্রধান কাদের সাহেব স্পষ্ট করে বলেছেন। এটাই বাস্তবতা, আন্তজার্তিকভাবে এটা স্বীকৃতি হয়ে গেছে, বাংলাদেশ এখন একনায়কতান্ত্রিক দেশ হয়ে গেছে। এটা গণতান্ত্রিক দেশ নয়।বিএনপির এই নেতা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ করে বলেন, জ্বালানি তেল, চাল, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি, হত্যা হামলা ও মামলার প্রতিবাদে ও দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আগামীকাল ময়মনসিংহে একটি সমাবেশের ডাক দিয়েছিল বিএনপি। কিন্তু ইতোমধ্যে সেখানে আওয়ামী লীগের আসল চেহারা বের হয়ে গেছে। তারা কোনো কারণ ছাড়া বিএনপির সমাবেশকে নষ্ট করার জন্য সেখানে একটি সমাবেশ ডেকেছে। এটার মাধ্যমে তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করবে। এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদসহ বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ অক্টোবর ২০২২
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজ দেশে কারো নিরাপত্তা নেই। দিনে দুপুরে ডাকাতি হয়। মা-মেয়েদের কোনো সম্ভ্রম রক্ষা হয় না। মানুষকে হত্যা করা হয়। খুন-গুম করা হয়। এমন এক অবস্থা এসেছে, র্যাবকে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আমি বলি র্যাবকে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে হবে না। নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে শেখ হাসিনার সরকারকে। কারণ হাসিনা সরকারের নির্দেশেই গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, কাস্টডিতে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে এই সরকারের আমলে। তারা নাকি কিছু জানে না। বলে অনেকে লুকিয়ে আছেন। বুধবার (১২ অক্টোবর) চট্টগ্রাম নগরের পলোগ্রাউন্ড মাঠে আয়োজিত গণসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ, পাঁচ নেতা হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়।বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের আন্দোলনের মূল লক্ষ্য এই সরকারকে অর্থাৎ শেখ হাসিনাকে এখনই পদত্যাগ করানো। তার ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নেই।তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বলেন যে, দুর্ভিক্ষ আসছে, কম খান, বাতি কম জ্বালান, পানি কম ব্যবহার করুন। এসব কথা বলছেন এখন। আপনারা আছেন কেন? বিদায় হন। আমি আগেই বলেছি সেফ এক্সিট করুন। নিরাপদে চলে যান। তা না হলে পালাবার পথটাও খুঁজে পাবেন না।বিএনপি মহাসচিব বলেন, শেখ হাসিনা আপনি পদত্যাগ করুন। আজ থেকে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, সেই আন্দোলন আমরা সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেব। সেই আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে এই সরকারের অবশ্যই পতন ঘটাব এবং জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব।মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার বাংলাদেশের সমস্ত অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। সেজন্য আমরা বলেছি অবিলম্বে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। এই সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। আমরা বলেছি বিলুপ্ত করে নিরপেক্ষ সরকারের তত্ত্বাবধায়কের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সেই সরকার নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। সেই নির্বাচন কমিশন গঠন হলে সব রাজনৈতিক দলগুলোকে এক করে নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন হবে। সেই সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে পার্লামেন্ট গঠন হবে। সেই সরকার হবে জনগণের সরকার।তিনি বলেন, আন্দোলন শুরু হয়েছে দেশকে মুক্ত করার জন্য, গণতন্ত্রকে মুক্ত করার জন্য। এই দেশকে আরেকবার পরাজয় থেকে মুক্ত করার জন্য আন্দোলন শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে শুরু করেছি গণতন্ত্রকে মুক্ত করার আন্দোলন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার আন্দোলন৷ তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার আন্দোলন। আর এই আন্দোলনের সূচনা হলো চট্টগ্রাম থেকে।তিনি বলেন, সারাদেশে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের একটাই কাজ। তা হলো জনগণের পকেট কেটে অর্থ কামিয়ে বিদেশে পাচার করা। আমরা সেই বাংলাদেশ চাই, যে বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা ১৯৭১ সালে দেখেছিলাম, যে স্বপ্ন জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া দেখেছিলেন।মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা শুনেছি বিদ্যুতের দাম বাড়বে। সবকিছুর দাম এই সরকার বাড়িয়েছে। সবকিছুর দাম বাড়াতে হয় কেন? কারণ একটিই। তারা লুট করে, চুরি করে ডাকাতি করে। জনগণের পকেট থেকে টাকা নিয়ে টাকা বিদেশে পাচার করে। কানাডা, লন্ডন ও মালয়েশিয়ায় বাড়ি করে। আর আমার দেশের মানুষ না খেয়ে মারা যায়। খুব বড় বড় কথা বলে। কিন্তু দেশের শতকরা ৪২ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে।তিনি বলেন, জনগণের সরকার গঠন করা হলে আমরা সব সমস্যা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে সমাধানের চেষ্টা করব। চাল, ডাল, তেল ও বিদ্যুতের দাম কমিয়ে আনার চেষ্টা করব। বেকারদের চাকরির ব্যবস্থা করব।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ অক্টোবর ২০২২
নির্বাচনে হেরে যাবার ভয়ে বিএনপি এখন আন্দোলনের নামে সরকার হঠানোর চক্রান্ত করছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন বিএনপি এখন গণঅভ্যুত্থানের দিবাস্বপ্ন দেখছে।আগুন নিয়ে খেললে এর পরিণতি শুভ হবে না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আজ রাজধানীর সেতু ভবনে ব্রিফিংকালে বিএনপি নেতাদের হুঁশিয়ার করে দিয়ে একথা বলেন।বিএনপি বিভাগীয় সমাবেশের ডাক দেওয়া প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের যে কোন শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে স্বাগত জানিয়ে বলেন তবে আন্দোলনের নামে সহিংসতা সৃষ্টি করলে মানুষের জান-মাল রক্ষায় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ সমুচিত জবাব দিবে।তিনি বলেন আওয়ামী লীগ সংযমী তবে রাজপথে সতর্কতার সাথে প্রস্তুত রয়েছে । গণঅভ্যুত্থান আর আন্দোলনের ভয় বিএনপি গত ১৪ বছর ধরে দেখিয়ে আসছে এমন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন তাদের এসব তর্জন-গর্জন মিডিয়া আর ফেসবুকে সীমাবদ্ধ। একথা বাংলাদেশের জনগণ ভালোই জানে।বাস্তবতার সাথে বিএনপি নেতাদের কোন সম্পর্ক নেই উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের, বলেন বস্তুত দেশে গণঅভ্যুত্থানের মত বস্তুগত পরিস্থিতি বিদ্যমান নেই।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ অক্টোবর ২০২২
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ঘরের বাইরে আনার পরিকল্পনা করছে তার দল। আর সে দিনটি হতে পারে চলতি বছরের ১০ ডিসেম্বর। ওই দিন দলের চেয়ারপারসনকে পল্টনের মহাসমাবেশে উপস্থিত করে সরকার পতনের চূড়ান্ত কর্মসূচি দিতে চায় বিএনপি। ‘১০ ডিসেম্বর দেশ চলবে খালেদা জিয়ার কথায়’- বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান তার এ বক্তব্যে এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে ধারণা বিএনপি নেতাকর্মীদের।২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ নামে কর্মসূচি পালন করেন। এবারও ঠিক একই আদলে আগামী ১০ ডিসেম্বর কর্মসূচি পালন করতে চায় দলটি। হঠাৎ আলোচনায় আসা ‘১০ ডিসেম্বর’ ঘিরে এমন পরিকল্পনার কথা জানা গেছে সম্প্রতি কিছুটা গা-ঝাড়া দিয়ে ওঠা বিএনপি নেতাদের কাছ থেকে। শনিবার ঢাকার এক সমাবেশে ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমান বলেন, ‘আগামী ১০ ডিসেম্বরের পর বাংলাদেশ চলবে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের কথায়। এর বাইরে কারও কথায় দেশ চলবে না। এই সরকারের বিদায় ঘটিয়ে তবেই আমরা ঘরে ফিরব।’জানা গেছে, বিএনপি সরকার পতন আন্দোলনের অংশ হিসেবে ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে। ওই দিন তারা নয়াপল্টনে দলের কার্যালয়ের সামনে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জনসমাগম ঘটাতে চায়। ঢাকার বাইরে থেকেও নেতাকর্মী আনা হবে। বিএনপি বলছে, যত বাধাই আসুক, তারা কর্মসূচি পালন করবেই। চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ওই সমাবেশে নেওয়ার চেষ্টা করবেন তার নেতাকর্মীরা। বাধা পেলে বাসার সামনে দাঁড়িয়েই তিনি বক্তব্য দেবেন।সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে পল্টনের মহাসমাবেশে যোগ দিচ্ছেন খালেদা জিয়া। এ বিষয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক সময়ের আলোকে বলেন, ‘১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ হবে আটলান্টিক মহাসাগরের মতো। ওই সমাবেশে খালেদা জিয়া যাবেন। আমান উল্লাহ আমানের কথায় তাই বোঝা যাচ্ছে। হয়তো পুলিশ বাসার গেটে বাধা দেবে। ম্যাডাম তো আর পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করবেন না। তিনি সেখানেই দাঁড়িয়ে যাবেন। আমরাও প্রতিবাদ শুরু করব সেখান থেকে। মার্চ ফর ডেমোক্রেসির সময়ও তাই হয়েছিল। এবারও তাই হবে।’ বাসা থেকে বের হতে খালেদা জিয়ার আইনগত বাধা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই সরকার তো খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসা নিতে দেয়নি। বিদেশ যেতে বাধা দিয়েছে। সুতরাং বাধা তো সবখানেই দিচ্ছে। ১০ ডিসেম্বরেও হয়তো বাধা দেবে। কিন্তু কর্মসূচি পালন হবে। আমাদের মনে একটি শক্তি যুগিয়েছে জনগণ, ১০ তারিখ আমরা এ সরকার ফেলে দিতে পারব।’বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু মনে করেন, আমান উল্লাহ আমানের বক্তব্য কথার কথা হলেও ১০ ডিসেম্বর থেকে আমরা একটি নতুন প্রক্রিয়া শুরু করতে চাই। এর মধ্য দিয়ে সরকার পতনের চূড়ান্ত অধ্যায় শুরু হবে। জনতার বিপ্লব ঘটবে।আর দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘আমরা ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বড় সমাবেশ করব। ওই দিন কী হবে না হবে এটা সময় হলেই জানতে পারবেন। আগে জানানোর বিষয় নয়।’ দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ‘১০ ডিসেম্বরেরআগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। ১০ তারিখের পর খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশ চলবে। আর কোনোভাবে ছাড় দেওয়া হবে না। শিগগিরই তারেক রহমান দেশে আসবেন।’বিএনপি সূত্র জানায়, ১০ ডিসেম্বর ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’র আদলে কর্মসূচি পালন করা হবে। দলের নেত্রী খালেদা জিয়াকে ‘গৃহবন্দি’ থেকে প্রথমবারের মতো জনগণের সামনে আনার চেষ্টা করা হবে। এতে নেতাকর্মীরা বেশ চাঙ্গা হবেন। তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে। প্রতিবাদে ওই দিনই হরতাল বা অবরোধের ডাক আসতে পারে। এ বিষয়ে কথা বলতে আমান উল্লাহ আমানকে টেলিফোনে পাওয়া যায়নি। তবে সোমবার সকালে দলের এক কর্মসূচিতে নিজের ওই বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমান উল্লাহ আমান। তিনি বলেন, ‘১০ তারিখ নয়। যখনই এ সরকার অবৈধভাবে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় এসেছে, তখন থেকে দেশের জনগণ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল চায়নি এ সরকার ক্ষমতায় থাকুক। জনগণ এ সরকারকে আর এক মুহূর্তও ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তাদের দাবি অনুযায়ী আমরাও মাঠে নেমেছি।’ সূত্র- সময়ের আলো
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১১ অক্টোবর ২০২২
বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চুর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন মানবিক বাংলাদেশ সোসাইটি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক কার্যকরী সদস্য, ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক সালেহ আহমেদ হৃদয়।রবিবার ৯ অক্টোবর গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চুর বাসভবনে রাজনৈতিক ও সামাজিক কাজের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করেন তাঁরা।আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে প্রতিষ্ঠিত ‘মানবিক বাংলাদেশ সোসাইটি ’ সারাদেশের অসহায়, দুস্থ গরীব ও বিভিন্ন বস্তির এলাকার সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছে। বছরখানেক ধরে বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে সংগঠনটি। প্রাথমিকভাবে, শিশুদের মাঝে বিনামূল্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানসম্মত টয়লেট নির্মাণ, অসহায়দের অর্থসহায়তা, বন্যাতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নগরায়ন, সুপেয় পানি এবং বিদ্যুতের সমস্যা সমাধান করতে কাজ শুরু করেছে মানবিক বাংলাদেশ সোসাইটি।সংগঠনটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও হক গ্রুপের চেয়ারম্যান আদম তমিজী হক।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১০ অক্টোবর ২০২২
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদান্যতায় এবং কৃপায় কারাগারের বাইরে আছেন খালেদা জিয়া বলে উল্লেখ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদান্যতায় এবং কৃপায় কারাগারের বাইরে আছেন। আমানুল্লাহ সাহেবরা যদি এমন উল্টাপাল্টা স্বপ্ন দেখেন। তাহলে সরকারকে ভাবতে হবে, খালেদা জিয়ার প্রতি প্রধানমন্ত্রী যে কৃপা দেখিয়েছেন, সেইটা দেখানো আদৌ প্রয়োজন আছে কিনা। নাকি তাকে কারাগারে পাঠাতে হবে।মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাম্প্রতিক এক বক্তব্য প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুলের বক্তব্য অনুযায়ী পাকিস্তান আমলেই ভালো ছিল অর্থাৎ বাংলাদেশ হওয়াটা সঠিক হয়নি। মেজর জিয়া মেজর থাকলেই ভালো ছিল। বাংলাদেশ সৃষ্টি না হলে মেজর জিয়াতো মেজরই থাকতো, মেজর জেনারেল হতে পারত না। এই বক্তব্যের মাধ্যমে মির্জা ফখরুল আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, যুদ্ধে শহীদ সবার প্রতি অবমাননা করেছেন। এই বক্তব্যের কারণে বাংলাদেশে তিনি রাজনীতি করার অযোগ্য হওয়া উচিত। এটা অন্য দেশে হলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতো।মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল প্রসঙ্গে রিজভীর বক্তব্যের সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, সুলতানা কামাল একজন মানবাধিকারকর্মী। সুলতানা কামালের অনেক বক্তব্যের সঙ্গে আমি নিজেও একমত নই। তার বেশিরভাগ বক্তব্যই সরকার বিরোধী। তাই বলে তাকে ব্যক্তিগতভাবে সমালোচনা করা শালীনতা এবং শিষ্টাচার বিবর্জিত, সমীচীন নয়। তার বক্তব্যের সমালোচনা হতে পারে। রিজভী আহমেদ যেভাবে বক্তব্য রেখেছেন, যেভাবে বলেছেন, সুলতানা কামাল আওয়ামী লীগের দালাল, রিজভী আহমেদ কখন যে বলে বসেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আওয়ামী লীগের দালাল। একজন রিজভী আহমেদ থাকলে বিএনপির আর কিছুই লাগে না।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১০ অক্টোবর ২০২২
সেপ্টেম্বরের চেয়ে অক্টোবরে সারা দেশেই বেড়েছে লোডশেডিং। তবে, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলছেন, লোডশেডিং কমেছে।গত শুক্রবার নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'আগের থেকে লোডশেডিং কমেছে। কিন্তু, এখনো প্রতিদিন লোডশেডিং হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ মেগাওয়াট।'যদিও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি লিমিটেডের (পিজিসিএল) প্রতিদিনের লোডশেডিংয়ের তথ্য বলছে ভিন্ন কথা।যেদিন ৭০০-৮০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং হচ্ছে বলে নসরুল হামিদ জানান, সেদিনও লোডশেডিং ছিল ৯৬৪ মেগাওয়াট, যা মোট চাহিদার ৮ শতাংশ।একই অবস্থা অক্টোবরের অন্যান্য দিনগুলোতেও।গত মঙ্গলবার গ্রিড বিপর্যয়ের কারণে দেশের বেশিভাগ এলাকা অন্ধকার হয়ে যায়। ওই দিন ছাড়া অক্টোবরের বাকি দিনগুলোয় লোডশেডিং ছিল সেপ্টেম্বরের যেকোনো দিনের চেয়ে বেশি।গত ৬ অক্টোবর লোডশেডিং ছিল চাহিদার ৯ শতাংশ বা ১ হাজার ১৮৪ মেগাওয়াট। ওই দিন সবচেয়ে বেশি লোডশেডিং হয় ঢাকা বিভাগে, মোট ৪২৯ মেগাওয়াট।এর আগের দিন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অনুমান করেছিল যে চাহিদার প্রায় ৫ শতাংশ লোডশেডিং দিতে হতে পারে। বাস্তবে তা হয়েছিল দ্বিগুণেরও বেশি। ওই দিন শোডশেডিং হয় চাহিদার প্রায় ১১ শতাংশ বা ১ হাজার ৩৭৫ মেগাওয়াট।গতকাল শনিবার ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড প্রকাশিত লোডশেডিংয়ের সময়সূচি অনুসারে, ঢাকার অধিকাংশ স্থান ও কোম্পানির আওতাভুক্ত শহরতলির কিছু অংশে ২৪ ঘণ্টায় ৩ থেকে ৫ বার লোডশেডিং হতে পারে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৯ অক্টোবর ২০২২
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন ভোটের রাজনীতিতে হেরে যাবার ভয়ে বিএনপি দেশের উন্নয়ন নিয়ে মিথ্যাচার করছে।তিনি আজ তাঁর বাসভবনে ব্রিফিংকালে বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে একথা বলেন।শেখ হাসিনা সরকার নাকি বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের পাল্টা প্রশ্ন করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে জানতে চেয়ে বলেন পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্ণফুলী টানেল, গভীর সমুদ্র বন্দর, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, এক্সপ্রেসওয়ে, ছয় লেন মহাসড়ক নির্মাণ, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, সমুদ্র বিজয়, সীমান্ত সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান - এসব করে কি সরকার দেশের ক্ষতি করেছে?ওবায়দুল কাদের বলেন আসলে এতসব উন্নয়ন ও অর্জনে দেশের ক্ষতি হয়নি, ক্ষতি হয়েছে বিএনপির।শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন ও অর্জনে বাংলাদেশের মর্যাদা এবং বঙ্গবন্ধু কন্যার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বিএনপির রাজনীতিতে সংকটের কালো ছায়া ফেলেছে বলেও জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদাক।ক্ষমতার পরিবর্তন চাইলে বিএনপিকে নির্বাচন প্রতিরোধ ও প্রতিহতের ঘোষণা না দিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহবান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপি মহাসচিবকে উদ্দেশ্য করে বলেন অগণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতায় যাবার ষড়যন্ত্র পরিহার করুন এবং আগামী নির্বাচনে জনগণই নির্ধারণ করবে কে ক্ষমতায় যাবে আর কে যাবে না।ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে আরো বলেন আপনাদের কাউকে সরিয়ে দিতে হবে না, জনগণ না চাইলে নির্বাচনই ঠিক করবে কে সরবে আর কে সরবে না।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৯ অক্টোবর ২০২২
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন অনির্বাচিত ও অগণতান্ত্রিক সরকার দেখতে চায় বলেই বিএনপি নেতারা নির্বাচনী ব্যবস্থা এবং সংবিধান নিয়ে তাদের অসাংবিধানিক, অগণতান্ত্রিক ও বেআইনি বক্তব্য প্রদান করছে, আর জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপতৎপরতা চালাচ্ছে ।তিনি আজ এক বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিভ্রান্তিকর ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে একথা বলেন। তিনি বলেন বাংলাদেশের স্বৈরতান্ত্রিক জিয়াউর রহমান ও এরশাদ নিজেদের স্বার্থে দখলকৃত ক্ষমতাকে সাংবিধানিক বৈধতা দেওয়ার জন্য সংবিধান সংশোধন করেছিলো।সংবিধানের সেই সমস্ত সংশোধনী দেশের উচ্চ আদালত অবৈধ ঘোষণা করছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন তাঁর বিবৃতিতে বলেন এখন সেই জায়গায় যাওয়ার আর কোন সুযোগ নেই। বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন এখন সংবিধান বিরোধী বক্তব্য যারা দিচ্ছে তারা একটি অগণতান্ত্রিক এবং অনির্বাচিত সরকার ব্যবস্থা দেখতে চায়।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন , সংবিধান এবং নির্বাচনী ব্যবস্থা ব্যক্তি বিশেষের খেয়াল খুশি মতো চলে না, বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশের পন্থা অনুসরণ করেই নির্বাচনী ব্যবস্থা নির্ধারণ করা হয়েছে।ওবায়দুল কাদের বলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সবসময় একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন ব্যবস্থা প্রত্যাশা করে।শেখ হাসিনা সর্বদা নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণকে স্বাগত জানিয়ে আসছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন আওয়ামী লীগ কখনো ফাঁকা মাঠে মাঠে গোল দিতে চায় না। আওয়ামী লীগ চায় দেশের সকল রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক এবং তাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করুক, এমনটা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন পাশাপাশি ভোটের রায় গ্রহণ করার মানসিকতা গড়ে তুলুক।তিনি আরও বলেন ভোটের রায় পক্ষে না গেলে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার মানসিকতা পরিহার করতে হবে।বিএনপি তো হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে না,আর করলেও তারা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার লক্ষ্যে অংশগ্রহণ করে এমন দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশ্য যদি এমন হয় তাহলে তো কখনোই গণতন্ত্র টেকসই হবে না।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ অক্টোবর ২০২২
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেছেন, আগামী ১০ ডিসেম্বরের পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের কথায় দেশ চলবে। আর কারো কথায় দেশ চলবে না।বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শনিবার সকালে সেগুনবাগিচায় আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।নেতা-কর্মীদের প্রাণ দিতে প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজনে আমরা শহীদ হবো কিন্তু বাংলাদেশে শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন নয়। এই সরকারের বিদায় ঘটিয়ে আমরা ঘরে ফিরবো।আমান উল্লাহ বলেন, নির্বাচন হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। জ্বালানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানো, লোডশেডিং বন্ধ ও জনগণকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে আমাদের ঘোষিত কর্মসূচিতে আমাদের ৫ জনকে হত্যা করা হয়েছে গুলি করে।রাজপথে ফয়সালা হবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে ৫ জন রক্ত দিয়েছে। মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তে তারা বলেছে, 'আমাদের রক্তের ঋণ তখনই শোধ হবে যখন বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে, যখন জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা হবে।' ৫ জন কেন, যদি ৫ হাজারও শহীদ হতে হয়; এই দেশে শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না।নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আমান বলেন, প্রস্তুতি নিন, কর্মসূচি আসছে; কাঁচপুর ব্রিজ, টঙ্গী ব্রিজ, মাওয়া রোড, আরিচা রোড, টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথুরিয়া—সারা বাংলাদেশ বন্ধ করে দেবেন। এই বাংলাদেশ চলবে না। আগামী ১০ ডিসেম্বরের পরে বাংলাদেশ চলবে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের কথায়। এর বাইরে দেশ চলবে না কারো কথায়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ অক্টোবর ২০২২
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন বিএনপি হচ্ছে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের অভিন্ন প্লাটফর্ম। তিনি আজ তাঁর বাসভবনে ব্রিফিংকালে একথা বলেন। বিএনপি এদেশের জন্য রক্ত দেয়নি বরং তারা মানুষের রক্ত নিয়েছে, শোষণ করেছে স্বস্তি দেয়নি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন বিএনপির হাতে এদেশ নিরাপদ নয়, দেশের মানুষকে মুক্ত করার নামে তারা শৃংখল পরানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তিনি বলেন বিএনপি অতীতে গণতন্ত্রকে শৃংখলিত করেছে,মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতার আদর্শকে শৃংখলিত করেছে। দেশের স্বাধীনতাকে বিএনপি ক্ষমতার জন্য ব্যবহার করেছে। হাজার হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর রক্তে রঞ্জিত বিএনপির হাত এমন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন বিএনপি এখন গণতান্ত্রের কথা বলে, গণতন্ত্র আর স্বাধীনতার শত্রুদের নিয়ে নাকি তারা দেশ উদ্ধার করবে।আসলে বিএনপি দেশ ধ্বংসের এজেন্ডা নিয়ে এসেছে, তারা সকল পরাজিত অপশক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছে- এমন জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন কিন্তু দেশপ্রেমিক জনগণ আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। বিএনপি ও তার দোসরদের সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিবে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিরোধ।আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে জেলা পরিষদ নির্বাচন, এ নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও সুন্দর করতে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনে চলার জন্য দলীয় সাংসদ সদস্য ও নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৭ অক্টোবর ২০২২