জাতীয় সংসদের হুইপ ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডে নির্মমতার শিকার হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর সর্বকনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল। এমন নির্মমতা পৃথিবীর আর কোনো শিশুকে দেখতে হয়নি।তিনি বলেন, ঘাতকরা মুজিব পরিবারকে পরিকল্পিতভাবে নিশ্চিহ্ন করার জন্য নির্মম এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল। তারা শিশু রাসেলের সামনেই বাবা-মা ভাই-বোনসহ পরিবারের সবাইকে হত্যা করার মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ করে অপশক্তির বীজ বপন করার চেষ্টা করেছিল।সোমবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা কলেজে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মবার্ষিকী ও শেখ রাসেল দিবস- ২০২২ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।হুইপ মাহমুদ স্বপন বলেন, শেখ রাসেলকে হত্যা করার মাধ্যমে ঘাতকরা ঘৃণ্য কাজ করেছে। ছোট রাসেল কোনোভাবেই রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু পরিবার যখন গৃহবন্দি ছিল, তখনো তার বাড়ির দিকে কেউ গুলি ছোড়ার সাহস করেনি। কিন্তু স্বাধীনতার পর ঘাতকরা সেই সাহস দেখিয়েছে।তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ঘাতকের গুলিতে শহীদ হওয়ার আগে জেনেছেন তার পুত্র শেখ কামাল ও শেখ জামালকে হত্যা করা হয়েছে। তবে শেখ রাসেল ও তার স্ত্রীকেও যে হত্যা করা হয়েছে তা দেখেননি। কিন্তু শেখ রাসেল দেখেছেন তার সামনেই পরিবারের সব স্বজনকে হত্যা করা হয়েছে। এত ছোট শিশুর কাছে এটি কত বড় রক্তক্ষরণ, তা বলে বোঝানো যাবে না।তিনি আরও বলেন, শেখ রাসেল যখন বলেছেন- আমি মায়ের কাছে যাব, তখনো নির্মম ঘাতকদের মন গলেনি। উপহাস করে তাকে টেনে-হিঁচড়ে দোতলায় নেওয়ার সময় তাচ্ছিল্যের সঙ্গে বলেছে- আয় তোকে তোর মায়ের কাছে নিয়ে যাচ্ছি। মায়ের মৃতদেহের সামনেই তাকে দাঁড় করিয়ে মাথায় রাইফেল তাক করে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এর চেয়ে নির্মমতা আর কী হতে পারে?আলোচনা সভায় ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য সৈয়দ আব্দুল আওয়াল শামীম ও গোলাম রব্বানী চিনু।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ টি এম মইনুল হোসেন, শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার, শেখ রাসেল দিবস-২০২২ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক পুরঞ্জয় বিশ্বাসসহ অন্য শিক্ষকরা।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ নভেম্বর ২০২২
বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের দিনে বাস বন্ধ ঘোষণার চারদিন পর পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এবার থ্রি-হুইলার চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন বরিশাল জেলা মিশুক, বেবিট্যাক্সি, ট্যাক্সিকার ও সিএনজি চালক শ্রমিক ইউনিয়ন। আগামী ৪ ও ৫ নভেম্বর বরিশালের সকল রুটে থ্রি-হুইলার চলাচল বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।যদিও কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, বাস মালিক গ্রুপ সড়কে থ্রি-হুইলার বন্ধের জন্য আল্টিমেটাম দিয়েছে। সেই আল্টিমেটামের প্রতিবাদে একই সময়ে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত একটি নোটিশে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। তবে নোটিশটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে রোববার (৩০ অক্টোবর)।নোটিশে পাঁচ দফা দাবি উল্লেখ করে বলা হয়েছে, বাসমালিক-শ্রমিকদের তিন চাকার যানের চালকদের হয়রানি বন্ধ করা; মেট্রোপলিটন এলাকায় তিন চাকার যানের নির্দিষ্ট পার্কিংয়ের ব্যবস্থা; মেট্রোপলিটন এলাকার সর্বত্র তিন চাকার যান চলাচলের অনুমতি; তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর তিন চাকার যানের ভাড়ার চার্ট প্রদান ও সহজ শর্তে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান।এ বিষয়ে বরিশাল জেলা মিশুক, বেবিট্যাক্সি, টেক্সিকার ও সিএনজি চালক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কামাল হোসেন মোল্লা বলেন, বাস মালিকরা আমাদের যানবাহন বন্ধের জন্য ধর্মঘট ডাক দিয়েছে। তাদের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতে আমরাও ধর্মঘট ডেকেছি। বিএনপির সমাবেশের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।তবে বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক বলেছেন, এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়ে সরকার গণসমাবেশ বানচাল করতে চাইছে। তবে সবকিছু মাথায় রেখেই আমরা মাঠে আছি। এসব উপেক্ষা করেই ৫ নভেম্বর বরিশাল জনসমুদ্রে পরিণত হবে। এই সমাবেশ থেকে আরও কঠিন আন্দোলনের ঘোষণা আসবে।প্রসঙ্গত, ৫ নভেম্বর বরিশালে বিভাগীয় গণসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করলেও এখনো অনুমতি পায়নি দলটি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩১ অক্টোবর ২০২২
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বক্তব্য না দিতে অনুরোধ জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ব্যক্তিগত আক্রমণ করবেন না। সামাল দিতে পারবেন না। কার কয়টা বাড়ি, কার কত টাকা আছে, এত টাকা কোথা থেকে আসে? আমি ব্যক্তিগত আক্রমণে যেতে চাই না। এটা রাজনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না। রোববার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথ সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ অনুরোধ জানান তিনি। এর আগে বিএনপির সহযোগী দলগুলোর সঙ্গে যৌথসভা করেন তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেন আমি নাকি দুবাইয়ের টাকা পাই, টাকার ওপর ঘুমাই। অযথা বেশি ঘাঁটাবেন না, বেশি ঘাঁটালে কেঁচো বেরিয়ে যাবে। আমরা পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে রাজনীতি করি। আমাদের নেতাকর্মীরা নিজের টাকায় চাঁদা দিয়ে সমাবেশ করছে। আর আপনারা (আওয়ামী লীগ) কী করেন এটা সবাই জানে।গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশ দুর্ভিক্ষে পরিণত হয়েছে, এটা আমার কথা না, প্রধানমন্ত্রীর কথা।তিনি আরও বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। নির্বাচনকালীন ৯০ দিনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়টি বাতিল করেছে আওয়ামী লীগ। এখন বলে তারা করেনি, আদালত করেছে। টিকে থাকার জন্য জনগণকে বোকা বানাতে চায় তারা। ফখরুল প্রশ্ন রেখে বলেন, এতো উন্নয়ন করেছেন তাহলে ভয় পান কেন?গায়েবি মামলায় আওয়ামী লীগকে নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, বিএনপি নেতা সরফত আলী সপু, এবিএম মোশাররফ হোসেন, সুলতানা রহমান, আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনু, সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, মুনায়েম মুন্না প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩১ অক্টোবর ২০২২
৩০ অক্টোবর ২০২২ আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে দলের বিভিন্ন প্রস্তুতি সভা ও ধারাবাহিক কর্মসূচি হচ্ছে, বিএনপির সঙ্গে এটা কোন পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নয়।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আজ ধানমন্ডিতে দলটির সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনকে সামনে প্রস্তুতি সভায় একথা বলেন। তিনি বলেন আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে বিশ্বাসী নয়। দলের এসব কর্মসূচি পূর্বনির্ধারিত। বিএনপি আবারও আগুন সন্ত্রাস সৃষ্টি করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোরভাবে প্রতিরোধের হুঁশিয়ারি দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সহযোগিতা ছাড়া বিএনপির সভা-সমাবেশ এখনো অচল ।তিনি আরও বলেন বিএনপি এখনো জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িক শক্তির বড় পৃষ্ঠপোষক।জাতীয় সংসদ থেকে বিএনপির গুটিকয়েক সংসদ সদস্যের পদত্যাগের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন তাতে কি সংসদ অচল হয়ে যাবে?তিনি বলেন এটা বিএনপির দলের সিদ্ধান্ত, সরকারের নয়। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের আগেই দলের মেয়াদ উত্তীর্ণ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর কাজী জাফর উল্লাহ, ডক্টর আবদুর রাজ্জাক, মোঃ ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও এডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ডাক্তার দীপু মনি, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ডক্টর আবদুস সোবহান গোলাপ ও দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।এদিকে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ভারতীয় জনতা পার্টি - "বিজেপি'র সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব।সাক্ষাৎ শেষে রাম মাধব বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দু'দেশের কল্যাণে কাজ করছেন এবং দু'দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিনিময় করছি।তিনি আরও বলেন বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ভারতের একজন ভালো বন্ধু।রাম মাধব ওবায়দুল কাদেরকে ভারত সফরের আহবান জানান।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩১ অক্টোবর ২০২২
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও সংসদ সদস্য মুজিবর রহমান চৌধুরী নিক্সন বলেছেন, দেশে স্বাধীনতাবিরোধীরা যেভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, তাতে রাজনৈতিক শক্তি ও সামর্থ্য প্রদর্শন করা এখন অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী ও মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী যুবলীগের নেতাদের নিয়ে যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন কমিটির প্রস্তুতি সভায় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নিক্সন চৌধুরী এ কথা বলেছন। শনিবার সকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যুবলীগ নেতারা এই সভা করেন। নিক্সন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভাটি সঞ্চালনা করেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল। যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রতিটি আন্দোলন ও সংগ্রামে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভোট ও ভাতের অধিকার আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ প্রতিটি আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুকন্যার প্রধান শক্তি হিসেবে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে যুবলীগ। সমাবেশে সশরীর উপস্থিত হওয়ার সম্মতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী যুবলীগের ওপর সর্বোচ্চ আস্থা রেখেছেন। তাঁর আস্থার মর্যাদা দিতে হবে আমাদের।’ফরিদপুর-৪ আসনের এ সংসদ সদস্য বলেন, আগামী নির্বাচন কেন্দ্র করে বিএনপি–জামায়াত পুরো বাংলাদেশে যে নৈরাজ্য ও সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে, তার জবাব যে যুবলীগ সংগঠন হিসেবে যেকোনো সময় দেওয়ার সক্ষমতা রাখে, সেই প্রমাণ এই সমাবেশের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত করা হবে। স্বাধীনতাবিরোধীরা যেভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, তাতে রাজনৈতিক শক্তি ও সামর্থ্য প্রদর্শন করা এখন অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বাধীনতাবিরোধীদের মোকাবিলা করার জন্য যুবলীগের সম্মানিত চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের নেতৃত্বে যুবলীগ একাই এক শ। এ ছাড়া সারা দেশে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যাঁরা লালন ও ধারণ করেন, তাঁদের এই মহাসমাবেশ উৎসাহিত করবে এবং অনুপ্রেরণা দেবে।নিক্সন চৌধুরী আরও বলেন, ‘আগামী ১১ নভেম্বর আপনাদের প্রিয় সংগঠন আওয়ামী যুবলীগের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সুবর্ণজয়ন্তী। সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে যুব মহাসমাবেশে দেশবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে দাঁতভাঙা জবাব দেবে যুবলীগ। যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উৎসব যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উৎসব।সভায় আরও বক্তব্য দেন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম জোয়ার্দার, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মাজহারুল ইসলাম, জহির উদ্দিন খসরু, আবু মুনির মো. শহিদুল হক চৌধুরী, মশিউর রহমান, প্রচার সম্পাদক ও সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন কমিটির সদস্য জয়দেব নন্দী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ও সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন কমিটির সদস্য সাদ্দাম হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন কমিটির সদস্য বিপ্লব মোস্তাফিজ, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ও সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন কমিটির সদস্য হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা, উপ-অর্থবিষয়ক সম্পাদক ও সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন কমিটির সদস্য সরিফুল ইসলাম।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩১ অক্টোবর ২০২২
আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে ১১টি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। রোববার (৩০ অক্টোবর) সকালে এক বৈঠকে এ উপ-কমিটিগুলো গঠন করা হয়। রোববার ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ২২তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত খসড়া কমিটিগুলো হলো, সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক শেখ হাসিনা; সদস্য সচিব ওবায়দুল কাদের, অভ্যর্থনা উপ-কমিটির আহ্বায়ক শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সদস্য সচিব দীপু মনি, অর্থ উপ-কমিটির আহ্বায়ক কাজী জাফরউল্লাহ; সদস্য সচিব এইচএন আশিকুর রহমান, ঘোষণাপত্র উপ-কমিটির আহ্বায়ক শেখ ফজলুল করিম সেলিম; সদস্য সচিব আব্দুর রহমান, দপ্তর উপ-কমিটির আহ্বায়ক ড. অনুপম সেন; সদস্য সচিব ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মঞ্চ ও সাজসজ্জা কমিটির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর কবির নানক; মির্জা আজম, প্রচার ও প্রকাশনা কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপপু; সদস্য সচিব ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, স্বেচ্ছাসেবক ও শৃঙ্খলা উপ-কমিটির আহ্বায়ক আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ; সদস্য সচিব আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, গঠনতন্ত্র সংশোধন উপ-কমিটির আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক; সদস্য সচিব সেলিম মাহমুদ, স্বাস্থ্য উপ-কমিটির আহ্বায়ক মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন; সদস্য সচিব রোকেয়া সুলতানা, সাংস্কৃতিক উপ-কমিটির আহ্বায়ক আতাউর রহমান; সদস্য সচিব অসীম কুমার উকিল, খাদ্য উপ-কমিটির আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ অক্টোবর ২০২২
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভোট জালিয়াতির বিরুদ্ধে খেলা হবে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে খেলা হবে।আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠে আয়োজিত ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, রংপুরে একটি সমাবেশ হচ্ছে। রংপুরে রঙ-বেরঙের নাটক হচ্ছে। ৩ দিন আগে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে সবাইকে এনেছে। মঞ্চের সামনে শুয়ে আছে, মঞ্চের ওপর শুয়ে আছে। বাড়ির ছাদের ওপর শুয়ে আছে। ফখরুলের খবর কী? ফখরুল শুয়ে আছে টাকার বস্তার ওপর। টাকারে টাকা, দুবাইয়ের টাকা। ফখরুল মহাখুশি। টাকা পেলেই বিএনপি খুশি। টাকার বস্তার বিছানার ওপর ফখরুল শুয়ে আছে।'তিনি বলেন, 'রংপুরে সমাবেশ করবে। ফখরুল সাহেব কত বলবেন, লাখের কমতো দেখেন না! চট্টগ্রামে লাখের কাছাকাছি, ময়মনসিংহে ৩০, খুলনায় ৩০, রংপুর কত করলেন? ৫০, ৬০ হাজার? আর ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে কত লোক হয়েছে খবর নিন। ঢাকার ছবিও দেখুন, রংপুরের ছবিও দেখুন। আপনারটা দেখুন, আমাদেরটাও দেখুন। এখানে তো শেখ হাসিনা নেই। ওবায়দুল কাদের বলেন, চট্টগ্রামে পলো গ্রাউন্ডে দেখাব- ৪ ভাগের ২ ভাগও পোরেনি। পোলো গ্রাউন্ড, ৪ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা যাবেন। ১০ লাখ লোক সেদিন দেখাব। আপনারা ১০ লাখ মুখে বলবেন, আমরা বাস্তবে দেখাব।তিনি আরও বলেন, সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ অক্টোবর ২০২২
দেশে দুর্ভিক্ষ হলে এর দায় শেখ হাসিনা ও তার সরকারকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।তিনি বলেছেন, এর আগে ১৯৭৪ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলেও দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। মানুষ খাবার খেতে না পেরে রাস্তায় পড়ে ছিল। এখন আবার সেই অবস্থা ফিরে এসেছে। ১০ কেজির চাল খাওয়াতে চেয়ে আওয়ামী লীগ এখন ৯০ টাকার চাল খাওয়াচ্ছে। চিনির দামও বেড়েছে। শাকসবজিও মানুষ কিনতে পারছে না। এটা দুর্ভিক্ষের লক্ষন।শনিবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে রংপুরের ঐতিহাসিক কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে আয়োজিত বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, সমগ্র বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের অনেক মিডিয়া এই সমাবেশের দিকে তাকিয়ে আছে। সরকার নাকি জনগণকে ভয় পায় না। ভয় না পেলে গাড়ি কেন বন্ধ করতে হয়, কেন আমাদের নেতাদের গুলি করে মারে?মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী সরকার গত ১৫ বছরে সব শেষ করে ফেলেছে। সব ক্ষেত্রে চুরি করেছে আওয়ামী লীগ। এমনকি আশ্রয়ণ প্রকল্পেও চুরি করেছে। আমাদের ৬০০ নেতাকর্মীকে গুম করেছে এই সরকার। সহস্রাধিক মানুষকে হত্যা করেছে। আলেম-ওলামাদের মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করেছে। এদের কি আর ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া যায়?নিত্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে দলের নেতা-কর্মীদের মৃত্যুর প্রতিবাদসহ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দেশের সব বিভাগে গণসমাবেশ করছে বিএনপি। চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও খুলনার পর আজ রংপুরে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। তিনি বলেন, বিএনপির এমপিরা জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করতে প্রস্তুত। মির্জা ফখরুল বলেন, 'শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না এবং নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে।''সরকারকে সংসদ থেকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে। আমাদের এমপিরা সংসদ থেকে পদত্যাগ করতে প্রস্তুত', যোগ করেন তিনি।দুপুর ২টায় বিভাগীয় এই গণসমাবেশ শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে নির্ধারিত সময়ের সোয়া দুই ঘণ্টা আগে দুপুর পৌনে ১২টায় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত শেষে মোনাজাতের মধ্য দিয়ে গণসমাবেশ শুরু হয়ে যায়। এতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ অক্টোবর ২০২২
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠে আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা শাখার ত্রিবার্ষিক সম্মেলন শুরু হয়েছে। আজ শনিবার বেলা সোয়া দুইটায় এ সম্মেলন শুরু হয়েছে।আগত নেতা–কর্মীদের বেশির ভাগই আগে থেকে ঠিক করে দেওয়া সবুজ, হলুদসহ বিভিন্ন রঙের টি–শার্ট পরে এসেছেন। সম্মেলনে কোন উপজেলার নেতা–কর্মীরা কোথায় বসবেন, তা–ও আগেই ঠিক করে রাখা হয়। নেতা–কর্মীরাও সম্মেলনস্থলে এসে নির্ধারিত চেয়ারে বসেছেন।জেলা আওয়ামী লীগের এ সম্মেলনে বেলা পৌনে একটা থেকে দলটির নেতা–কর্মীরা আসা শুরু করেন। ঢোল বাজিয়ে, ব্যান্ড পার্টি নিয়ে অনেক ইউনিটের নেতা–কর্মীরা এতে অংশ নেন। সরেজমিনে দেখা যায়, দলীয় ও জাতীয় পতাকা, বেলুন উত্তোলন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময় পরিবেশন করা হয় জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীত। গানের তালে তালে নৃত্য পরিবেশন করেন শিল্পীরা। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সময় সম্মেলনে অংশ নেওয়া নেতা –কর্মীরা দাঁড়িয়ে দেশের পতাকার প্রতি শ্রদ্ধা জানান।সম্মেলন শুরুর আগে মঞ্চ থেকে জানানো হয়, আগত নেতা –কর্মীদের জন্য পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠে ২২ হাজার চেয়ার বসানো হয়েছে। চেয়ার পরিপূর্ণ হলে সুশৃঙ্খলভাবে পেছনে দাঁড়াতে দলের নেতা–কর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।এ ছাড়া সম্মেলন শুরুর আগে মঞ্চ থেকে জানানো হয়, গাবতলী এলাকায় প্রচুর যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এ জন্য ওই পথ হয়ে নেতা–কর্মীরা আসতে পারছেন না। নেতা–কর্মীরা যাতে সম্মেলনে আসতে পারেন, এ জন্য ট্রাফিক পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে বলেও জানানো হয়।ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের এ সম্মেলনের জন্য দলীয় প্রতীক নৌকার আদলে বড় আকৃতির মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। মূলমঞ্চের সামনে আরেকটি ছোট মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা।এ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সম্মেলনের চারপাশ ছাড়াও মঞ্চের দক্ষিণ পাশে একটি নিয়ন্ত্রণকক্ষ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে পুলিশ সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন।ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ সদস্য কামরুল ইসলাম। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। প্রধান বক্তার বক্তব্য দেবেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। বিশেষ বক্তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ।সম্মেলনের সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমদ। সঞ্চালনায় থাকবেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ অক্টোবর ২০২২
ভোর থেকে মিছিল আর স্লোগান। অনেকে হেঁটে দলবল নিয়ে আসছেন, অনেকে আসছেন শত শত ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় চেপে। রংপুর শহরে প্রবেশের সব পথ দিয়েই আজ শনিবার সকাল থেকে মিছিল আসছে বিএনপির সমাবেশস্থলের দিকে।রংপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের আগে গতকাল শুক্রবার থেকে দুই দিনের জন্য পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয় জেলা মোটর মালিক সমিতি। এ কারণে সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়লেও বিএনপির কর্মীরা দলেবলে নানা উপায়ে সমাবেশস্থলে আসেন। পথে তাঁদের কোথাও কোনো বাধা দেওয়া হয়নি বলে জানান তাঁরা।লালমনিরহাট-কুড়িগ্রাম দুই জেলা থেকে রংপুর শহরে প্রবেশ করা যায় নগরের মাহিগঞ্জ সাতমাথা এলাকা দিয়ে। আজ সকাল ছয়টা থেকে আটটা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করে দেখা গেছে, প্রায় ১০০ মিলিমিটার দূরের এলাকা কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলা থেকে একটি বড় মিছিল শহরে প্রবেশ করে। এরপর সকাল আটটা পর্যন্ত একে একে লালমনিরহাট জেলার বড়বাড়ী এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল এসেছে। সেই সঙ্গে ওই এলাকার শত শত অটোরিকশায় নেতা-কর্মীরা স্লোগান দিতে দিতে সমাবেশস্থলের দিকে যান। ৯০ কিলোমিটার দূরের এলাকা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা থেকেও কয়েক শ অটোরিকশা শহরে প্রবেশ করে। এভাবে কুড়িগ্রামের উলিপুর, চিলমারী, নাগেশ্বরী, ভূরুঙ্গামারী, লালমনিরহাট সদর ও বড়বাড়ী এলাকা থেকেও বিএনপির নেতা-কর্মীরা সকাল আটটার মধ্যে রংপুরে শহরে প্রবেশ করেছে।গাইবান্ধা থেকে রংপুরে প্রবেশের দুটি পথের মধ্যে শহরের মাহিগঞ্জ এলাকায় সকাল সাতটার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা থেকে আসা বড় একটি মিছিল শহরে প্রবেশ করে। অন্য একটি পথ শহরের মডার্ন মোড় দিয়ে পলাশবাড়ী ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মিছিল এসেছে। এই এলাকা দিয়ে রংপুরে মিঠাপুকুর, পীরগঞ্জ উপজেলার মিছিলও আসতে দেখা যায়।কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী এলাকার বিএনপি নেতা বেলার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ফুলবাড়ী থেকে ভোর চারটার দিকে দুই শতাধিক অটোরিকশা তিস্তা সেতুর ওপর দিয়ে রংপুরে আসে। এই পথ পাড়ি দিতে সময় লেগেছে চার ঘণ্টা। পথে কোথাও কোনো বাধা ছিল না।’শহরের শাপলা মোড়ে মিছিল করার সময় গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা থেকে আসা নেতা-কর্মীরা জানান, বাস বন্ধ হওয়ার কারণে কোনো অসুবিধা হয়নি সমাবেশে আসতে। এলাকার সব ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ভাড়া করা হয়। এসব অটোরিকশা নগরের রবার্টসনগঞ্জ এলাকার স্কুল মাঠে রাখা হয়েছে। মিছিলে থাকা একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ভোর তিনটা থেকে আমরা রংপুর শহরে আসা শুরু করি। রবার্টসনগঞ্জ মাঠ থেকে মিছিল নিয়ে আটটার দিকে সমাবেশস্থলে যাচ্ছি আমরা।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ অক্টোবর ২০২২
বিকাল ৪টায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়ে বলা হয়েছে, সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, এই সভায় মূলত আগামী জাতীয় নির্বাচন, দলের সাংগঠনিক অবস্থা বিশেষ করে দলের আগামী সম্মেলন এবং সমসাময়িক রাজনীতির বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।তাছাড়া বিএনপি একের পর এক সমাবেশ কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছে। জমায়েতও চোখে পড়ার মতো। বিএনপির এসব কর্মসূচি, সমমনা দলগুলোর সঙ্গে ঘন ঘন বৈঠক, বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ, তাছাড়া বিএনপি ঢাকায় আগামী ১০ ডিসেম্বর মহাসমাবেশ করতে চায় সেসব বিষয় নিয়েও আলোচনা হবে শুক্রবারের বৈঠকে।এদিকে ক্ষমতাসীন দলের আরেকটি সূত্র বলছে, এই মুহূর্তে বিএনপিকে খুব একটা চাপে ফেলবে না আওয়ামী লীগ কারণ বিদেশি শক্তিগুলো বিভিন্নভাবে এই সরকারের কর্মকান্ডের ওপর নজর রাখছে। ইতিমধ্যে বর্তমান সরকারের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যদের যথাযথ স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে উপস্থিত থাকার জন্য দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অনুরোধ জানিয়েছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ অক্টোবর ২০২২
জ্বালানির অপ্রাপ্যতা ও বিদ্যুৎ সরবরাহে চরম বিপর্যয়ের সব দায় নিয়ে অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ দাবি জানিয়েছে বিএনপি। সোমবার (২৪ অক্টোবর) দলটির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণের ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ দাবি জানানো হয়।বুধবার (২৬ অক্টোবর) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সীমাহীন দুর্নীতি, অযোগ্যতা ও অব্যবস্থাপনার কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবিলায় বর্তমান সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ।এতে বলা হয়, সরকারের মদদপুষ্ট গুটি কয়েক কোম্পানিকে সুবিধা প্রদান, ইনডেমনিটি আইন প্রণয়ন, দেশে গ্যাস উত্তোলনে অনীহা, উচ্চমূল্যে এলএনজি ক্রয় এবং অর্থ লুঠ করে বিদেশে পাচারের কারণে রিজার্ভের পরিমাণ হ্রাস পাওয়া বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।অনির্বাচিত সরকারের কোথাও জবাবদিহিতা না থাকায় নজিরবিহীন দুর্নীতি দেশকে চরম পরিস্থিতির দিকে নিয়ে গেছে বলেও উল্লেখ করা হয়।বিজ্ঞপ্তিতে ফখরুল বলেন, বিদ্যুৎ নিয়ে জ্বালানি উপদেষ্টার মন্তব্য বিএনপির কয়েকটি প্রেস কনফারেন্স ও সেমিনারের বক্তব্যকেই প্রতিষ্ঠিত করেছে।সভা মনে করে, অনির্বাচিত সরকারের নেওয়া তথাকথিত মেগা প্রকল্প এবং প্রয়োজন নয় এমন সব প্রকল্প গ্রহণ, সুষ্ঠু নীতি ব্যতিরেকে উচ্চ সুদে ঋণ গ্রহণ, আন্তর্জাতিক ঋণ প্রদানকারী সংস্থাগুলোকে এড়িয়ে ব্যক্তিস্বার্থে ঋণ গ্রহণ অর্থনীতিতে গভীর সংকট সৃষ্টি করেছে। তার দায়ভার নিয়ে সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।বরাদ্দ না থাকায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি কার্যক্রম বয়স্ক ভাতা এবং বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্ত নিগৃহীত নারী ভাতার জন্য নতুন তালিকাভুক্তি বন্ধ করায় সরকারের সমালোচনা করে বিএনপি।মির্জা ফখরুল বলেন, সমাজের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সবচেয়ে অসহায় অংশ বয়স্ক ও বিধবা, স্বামী নিগৃহীত নারীরা। বর্তমান মূল্যস্ফীতির সময়ে এ কর্মসূচিতে নতুন তালিকাভুক্তি বন্ধ করা অমানবিক।অবিলম্বে নতুন তালিকাভুক্তি শুরু করার দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ অক্টোবর ২০২২
বিএনপি এমন একটি দল যাদের নেতাদের মুখে মধু অন্তরে বিষ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন তাদের মুখে গণতন্ত্রের বুলি কিন্তু চর্চায় লুটপাট আর সুবিধাবাদ। তিনি আজ সচিবালয়ে তাঁর দপ্তরে ব্রিফিংকালে এ আহবান জানান। বিএনপি স্বাধীনতার কথা বলে কিন্তু লালন ও পোষণ করে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি আর পৃষ্ঠপোষকতা করে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে বলে মন্তব্য করেন তিনি।ওবায়দুল কাদের আরও বলেন বিএনপি ভোটাধিকারের কথা বলে অথচ ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচন আর সোয়া এককোটি বেশি ভূয়া ভোটার সৃষ্টি করেছিলো। তাই তাদের মুখে মুখে কথামালার মধু ছড়ালেও অন্তরে বিধ্বংসী বিষবাষ্প।আওয়ামী লীগ তত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করেছিলো, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন হ্যাঁ করেছিলো,আর তা হচ্ছে মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও ভাতের অধিকারের জন্য, কিন্তু বিএনপি তো তখন তত্বাবধায়ক সরকারের বিরোধিতা করেছিলো।বিএনপি নেত্রী তখন বলেছিলেন শিশু আর পাগল ছাড়া নিরপেক্ষ কেউ নন,কিন্তু বিএনপি নেতারা এখন এখন একথা কেন বলে না - প্রশ্ন করেন ওবায়দুল কাদের।তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে কলঙ্কিত করেছে বিএনপি, এমন দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন এখন তাদের কেন এ পশ্চাদযাত্রা, আসলে বিএনপি ভবিষ্যৎমূখী নয়,তারা পশ্চাদমূখী।তিনি বলেন অন্ধ বিরোধিতাই বিএনপির একমাত্র হাতিয়ার। বিএনপি নেতারা বিশ্ব পরিস্থিতি অনুধাবন না করে শুধু সরকারের অন্ধ সমালোচনায় ব্যস্ত। তারা রিজার্ভ নিয়ে কথা বলে - এ প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন ৪ বিলিয়নের কিছু বেশি ছিলো বিএনপির আমলে রিজার্ভের পরিমাণ, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ দেখেছে দেশবাসী।বর্তমানে যা প্রায় ৩৬ বিলিয়ন ইউএস ডলার।ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে আরও বলেন তাদের সময়ে রেখে যাওয়া ৪ বিলিয়নের কিছু বেশি রিজার্ভের সাথে এখনকার রিজার্ভের সংখ্যাটা মিলিয়ে নিন।তারপর না হয় রিজার্ভ নিয়ে কথা বলুন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৫ অক্টোবর ২০২২
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঘূর্ণিঝড় 'সিত্রাং' মোকাবিলায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এক জরুরি সভা করেন। সভা থেকে উপকূলবর্তী জেলার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সভায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটিকে ত্রাণ তৎপরতা কার্যক্রম গ্রহণ ও প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেছেন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপির নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত সভায় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ.ফ. ম বাহাউদ্দিন নাছিম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এমপি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মৃণাল কান্তি দাস এমপি, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক শ্রী সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর অ্যাড. সম্পাদক সায়েম খান ও কার্যনির্বাহী সদস্য আনিসুর রহমান প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৫ অক্টোবর ২০২২
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগ হলো বটবৃক্ষ। ধাক্কা দিয়ে, ঝাঁকি দিয়ে ফেলা যাবে আওয়ামী লীগ এমন দল নয়। এই স্বপ্ন যারা দেখছেন, তারা দিবাস্বপ্ন দেখছেন। আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের দল। জাতির পিতার হাতে গড়া আওয়ামী লীগকে হুমকি-ধমকি দিয়ে পরাস্ত করা যাবে না।শুক্রবার (২১ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে সকাল ১০ টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহিদ শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে জাতীয় শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা-২০২২ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে গৌরব ’৭১।তিনি বলেন, শেখ রাসেল জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র এটা যেমন সত্য; পুরো পৃথিবীর মধ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের এবং নিষ্ঠুর, পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের নির্মম শিকারের প্রতীক হিসেবেও পরিচিত।মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, আজ যারা গণতন্ত্র, মানবাধিকারের কথা বলেন শিশু রাসেলের হত্যাকাণ্ড তাদের হৃদয়ে নাড়া দিতে পারেনি। নিষ্ঠুর এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে তাদের কোনো কথা নেই কেন?অভিভাবকদের উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, জাতির পিতার নেতৃত্বে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির মধ্য দিয়ে এই বাংলাদেশ অর্জিত হয়েছে। এটা সকলের জানা উচিত। এতো ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত দেশকে স্বাধীনতার চেতনা থেকে বিচ্যুত হতে দেয়া যাবে না। একাত্তরে যারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ছিলো তারা এক রাজনৈতিক মঞ্চে দাঁড়িয়ে ইতিহাস বিবকৃত করছে। রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে জ্বালাও-পোড়াও করে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করছে। এসব ইতিহাস প্রজন্মকে জানানো প্রয়োজন। কারণ তরুণ প্রজন্ম সঠিক ইতিহাস না জানলে বিপথগামী হতে পারে।আওয়ামী লীগ দেশের সর্ব প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল উল্লেখ করে হানিফ বলেন, যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় তাদেরকে সম্মিলতবাবে মোকাবেলা করার জন্য অভিভাবকদের আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকতে দেশের কোনো উন্নয়ন করতে পারেনি। তারা এখন ঈর্ষান্বিত হয়ে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে বারবার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। অতীতে হরতাল, অবরোধের নামে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করেছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, কোনো ষড়যন্ত্র উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।তিনি বলেন, শিশুরা জিপি-৫ পাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে বড় হচ্ছে। প্রতিটি শিশুর প্রথম স্কুল তার ঘর, আর শিক্ষক মা-বাবা। শিশুদেরকে নীতি-নৈতিকতা আদর্শে গড়ে তুলতে পারেন মা-বাবা। আমরা সবাই শিশুদের ডাক্তার, ব্যারিস্টার বড় আমলা বানাতে চাই কিন্তু তাদেরকে মানুষ হিসেবে গড়ার চিন্তা নেই। যার কারণে সমাজ থেকে আদর্শ মানুষ হারিয়ে যাচ্ছে। পড়ালেখার পাশাপাশি শিশুদেরকে মেধা বিকাশের সুযোগ দিন এবং নীতি-নৈতিকতা শিখিয়ে দিন যাতে আদর্শ মানুষ হতে পারে।এসময় তিনি শিশুদেরকে লেখাপড়ার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে পরপূর্ণ ধারণা দেয়ার অনুরোধ জানান।'ভোরের পাখি শেখ রাসেল' শীর্ষক এ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় তিনটি বিভাগে অন্তত ৭০০ প্রতিযোগী অংশ নেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ অক্টোবর ২০২২
বিএনপি সমাবেশে জনসমাগম ঠেকাতে সরকার বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘মৃত্যুকূপে ধাবমান বাংলাদেশ’ শীর্ষক স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ অভিযোগ করেন তিনি। সম্প্রতি বিএনপির আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহতদের স্মরণে এ ‘পুস্তিকা’টি প্রকাশ করেছে জিয়া পরিষদ। গত আগস্ট থেকে জ্বালানি তেল ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপি জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সভা-সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করে। এসব কর্মসূচি পালনকালে ভোলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের আব্দুর রহিম, ছাত্র দলের নুরে আলম, নারায়ণগঞ্জে যুব দলের রাজা আহমেদ শাওন, মুন্সীগঞ্জে যুব দলের শহিদুল ইসলাম শাওন পুলিশের গুলিতে নিহত হন।বিএনপি সমর্থিত পেশাজীবীদের সংগঠন ‘জিয়া পরিষদ’ এর উদ্যোগে পুলিশের গুলিতে নিহতদের পরিবারের কাছে আর্থিক সহযোগিতা তুলে দেন বিএনপি মহাসচিব।সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মির্জা ফখরুল চলমান আন্দোলনে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের আত্মত্যাগকে শক্তিতে পরিণত করে সকলের সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।তিনি বলেন, কীভাবে অন্যায়-অত্যাচার-নিপীড়ন-নির্যাতন হচ্ছে তা আপনারা সবাই জানেন। নিশ্চয়ই লক্ষ্য করছেন যে, আন্দোলনকে দমন করার জন্য সরকার কীভাবে ভয়ংকর কাজ করছে। তারা গণতন্ত্রের কথা বলে, আবার তারা বিরোধী দলের সমাবেশে বাধা দিচ্ছে। বাস মালিকদের দিয়ে গণপরিবহন বন্ধ করেছে, সমাবেশ যেন বড় না হয়। সমাবেশ বড় না হলে তাদের (সরকার) লাভটা কী হবে? তারা বলতে পারবে যে, বিএনপির সমাবেশ বড় হয়নি। তাতে কী হবে? মানুষের অন্তরের মধ্যে যে ক্ষোভ জমে আছে, প্রতিটি মানুষের মধ্যে যে ক্ষোভ বিরাজ করছে তা কী ওরা মুছে দিতে পারবে না? পারবে না।মির্জা ফখরুল বলেন, আর না। এখন সময় এসে গেছে যার যা শক্তি আছে সেটি দিয়ে সমস্ত দেশের মানুষকে জাগিয়ে তোলা। আজ জিয়া পরিষদের দায়িত্ব হবে এ গণজাগরণের কাজটি করা।তিনি আরও বলেন, আমাদের ত্যাগ স্বীকার করতে হবে, আমাদেরও রাস্তায় নেমে আসতে হবে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে সোচ্চার কণ্ঠে বলতে হবে, তাদের আমরা চাই না, মানুষ চায় না। যারা মানুষ খুন করে, গুম করে, যারা জনগণের সম্পদ লুটে নিয়ে বিদেশে পাঠায় তাদের মানুষ চায় না। এই সরকারকে যদি আমরা সরাতে না পারি এই দেশের অস্তিত্ব থাকবে না, জাতির অস্তিত্ব থাকবে না।জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে ও জ্যেষ্ঠ মহাসচিব অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় জিয়া পরিষদের অধ্যাপক এমতাজ হোসেন, অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান ফরহাদ, ছাত্র দলের সাইফ মাহমুদ জুয়েল, নিহত শহিদুল ইসলাম শাওনের বাবা ছোয়াব আলী ভুঁইয়া বক্তব্য রাখেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২১ অক্টোবর ২০২২
বিএনপি নেতারা মন গড়া বক্তব্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে তাদের সমাবেশের প্রতিপক্ষ বানানোর অপচেষ্টা করছে ।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আজ রাজধানীর সেতু ভবনে ব্রিফিংকালে একথা বলেন।সরকার বিএনপি'র সমাবেশে বাধাতো দেইনি বরং প্রশাসনিক সহযোগিতা দিচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন তাদের সমাবেশে লোকসমাগম হলে বলে সরকার ব্যর্থ আবার লোকসমাগম না হলে বলে সরকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে।তিনি বলেন সরকার কিংবা আওয়ামী লীগ কখনো বিএনপির সমাবেশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেনি, করবেও না।চট্টগ্রামে বিএনপির সমাবেশে আওয়ামী লীগ বা সরকারের কোন বাধা কি ছিলো,প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের। প্রশ্ন রেখে আরও বলেন - পরিবহন ধর্মঘটও তো হয়নি, তাহলে চট্টগ্রামে তাদের জনসভা স্থলই পূর্ণ হয়নি কেন?খুলনার সমাবেশ বাধাগ্রস্ত করতে বাস ধর্মঘটের যে কথা বলেছেন বিএনপি মহাসচিব, সে প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন সেখানেও সরকার বা আওয়ামী লীগ কোন হস্তক্ষেপ করেনি,করবেও না।তিনি বলেন ধর্মঘট ডেকেছে পরিবহন মালিক শ্রমিক, তারা যদি তাদের পরিবহন ও শ্রমিকদের নিরাপত্তার অভাব বোধ করে তাহলে সরকার বা আওয়ামী লীগের কি করার আছে।ওয়ান ইলেভেন নাকি আওয়ামী লীগ সৃষ্টি করেছে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন ওয়ান ইলেভেনের আগে ক্ষমতায় কারা ছিলো?বিএনপিই তখন তাদের দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক কে এম হাসানকে তত্বাবধায়াক সরকারের প্রধান করার লক্ষ্যে আইন সংশোধন করে বিচারপতিদের বয়স বাড়িয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করেছিলো জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদকে বিএনপি তত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করেছিলো।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন এক কোটি তেইশ লাখ ভুয়া ভোটার সৃষ্টি এবং এম এ আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন গঠন করে পুরো নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে চেয়েছিলো বিএনপি।এমতাবস্থায় ১/১১ তে সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়েছিলো বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২১ অক্টোবর ২০২২
প্রধান বিরোধীদল বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশগুলোতে বিপুল মানুষের উপস্থিতি এবং তাদের নেতাদের সরকার পতনের হুমকি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে ইতিমধ্যে ভাবনায় ফেলেছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে কী হবে তা নিয়ে এরই মধ্যে দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনাও শুরু হয়েছে।বিএনপি যাতে ঢাকার সমাবেশে বেশী লোক জমায়েত না করতে পারে সেই পরিকল্পনা করছে আওয়ামী লীগ। দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভা ডেকেছে আগামী ২৮ অক্টোবর। এই সভাতে ১০ ডিসেম্বর নিয়ে আলোচনা হবে বলে আভাস দিয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। বিএনপি ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিপুল মানুষ এনে সরকারকে যেন চাপে ফেলতে না পারে সে জন্য ক্ষমতাসীন দলটি আগামী ১লা ডিসেম্বর থেকেই রাজপথে থাকবে বলে একাধিক সূত্র বাংলা ওয়্যারকে নিশ্চিত করেছে।বিএনপি যাতে ঢাকার বাইরে থেকে তাদের দলের নেতাকর্মী ঢাকার সমাবেশে না আনতে পারে সে জন্য ঢাকার সাথে বিভিন্ন জেলার বাস চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হতে পারে। খুলনা থেকে ১৮টি রুটে দুই শতাধিক বাস চলাচল করে। ২১ ও ২২ অক্টোবর এই সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ থাকবে।আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, বিএনপি একের পর এক সমাবেশ কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছে। জমায়েতও চোখে পড়ার মতো। বিএনপির এসব কর্মসূচি, সমমনা দলগুলোর সঙ্গে ঘন ঘন বৈঠক, বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ; এসবের পেছনের কারণ বোঝার চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ।ক্ষমতাসীন দলের আরেকটি সূত্র বলছে, এই মুহূর্তে বিএনপিকে খুব একটা চাপে ফেলবে না আওয়ামী লীগ কারণ বিদেশি শক্তিগুলো বিভিন্নভাবে এই সরকারের কর্মকান্ডের ওপর নজর রাখছে। ইতিমধ্যে বর্তমান সরকারের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।বিএনপির পরবর্তী সমাবেশ খুলনায়, আগামী শনিবার। এরপর পর্যায়ক্রমে বাকি বিভাগীয় সদরে হবে। সর্বশেষ ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে দলটি। এদিকে ৬ নভেম্বর থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। ১০ ডিসেম্বর পরীক্ষা না থাকলেও তার আগে–পরে আছে। এ কারণে বিএনপিকে মহাসমাবেশ করতে দেওয়া হবে কি না, সেটা নিয়েও আলোচনা আছে। শেষ পর্যন্ত করতে দিলেও উপস্থিতি কমানোর সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে বলে ক্ষমতাসীন দলের একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে।আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেন, ঢাকার বাইরের জেলাগুলো থেকে যাতে মানুষ কম আসতে পারে, সে জন্য যানবাহন চলাচলে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের একজন দায়িত্বশীল নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা জেলার পাঁচটি উপজেলা এবং নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও মানিকগঞ্জ জেলায় বিএনপির কর্মী-সমর্থক আছে।এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, আন্দোলন করে বর্তমান সরকারের পতন ঘটানোর কোনো শক্তি কারও নেই। তবে বিএনপি আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করতে পারে—এই আশঙ্কা তাদের আছে। এ জন্য আওয়ামী লীগ ও সরকার সতর্ক থাকবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ অক্টোবর ২০২২
চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার এক বছর আগেই তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেনকে অবসরে পাঠানোর বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন ,অন্তর্নিহিত কারণ আমি জানি না। কারণ ছাড়া তো এ ধরনের সিদ্ধান্ত হয় না। কারণ নিশ্চয়ই আছে।সচিব আপনার সিদ্ধান্তের বাইরে কাজ করেছিলেন, এমন অভিযোগের কথা শোনা যাচ্ছে- এ বিষয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এখন কারও ব্যাপারে আমার অভিযোগ-অনুযোগ নেই। আমি সবার সাথে কাজ করতে পারি।বুধবার (১৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।সরকারের শেষ সময়ে একজন সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হলো। তিনজন পুলিশ কর্মকর্তাকে অবসর দেওয়া হলো। সরকারবিরোধী কোনো ষড়যন্ত্র হচ্ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে তিনজন পুলিশ কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠিয়েছে, সে বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যাখ্যা করেছেন, উনি বলেছেন তারা কাজ করতেন না। অনেকগুলো কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। আমার মনে হয় না, সেটা নিয়ে আর ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজন আছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ অক্টোবর ২০২২
সারাদেশে দলীয় নেতাকর্মীদের নামে ‘মিথ্যা’ মামলা ও জামিন বাতিলের করে গ্রেপ্তারের দাবিতে সমাবেশ করবে বিএনপি। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হবে।বুধবার (১৯ অক্টোবর) দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত এ সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া দলের স্থায়ী কমিটির নেতারও সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন।সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম। সঞ্চালনায় থাকবেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ অক্টোবর ২০২২