রাজনীতি


সংলাপ বিরোধীদের সঙ্গে হবে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সুযোগ নেই'

সংলাপ বিরোধীদের সঙ্গে হবে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সুযোগ নেই'

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘সংলাপ বিরোধীদের সঙ্গে হবে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সুযোগ নেই।’নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের জবাবে আজ শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এ মন্তব্য করেন। রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বেলা সাড়ে ১১টায় এ সংবাদ সম্মেলন হয়।মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা সংলাপ করছি তাদের সাথে, যারা এই সরকারকে মানে না, যারা মনে করে যে এই সরকার দেশের গণতন্ত্রকে ধবংস করে দিয়েছে; তাদের সঙ্গে আমরা সংলাপ করছি। আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপের কোনো সুযোগ নাই, প্রশ্নই ওঠে না। দে মাস্ট লিভ, তাদেরকে চলে যেতে হবে। আমরা বারবার করে বলছি যে চলে গিয়ে নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা দিতে হবে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার কাজ করবে।’নির্বাচন নিয়ে সরকার আলোচনায় ডাকলে যাবেন কি না, প্রশ্ন করা হলে তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘প্রশ্নই উঠতে পারে না। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত কোনো আলোচনার সুযোগ নেই, কোনো আলোচনা হবে না।’যুগপৎ আন্দোলন কবে নাগাদ শুরু হতে পারে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপ করছি। সময়টা এখনই বলা যাবে না। সেই সংলাপ যখনই শেষ হবে, তখন বলতে পারব।’মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা তো একটা লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (উদার গণতান্ত্রিক দল), আমরা তো নির্বাচন করতেই চাই, কিন্তু সেই নির্বাচনটা তো হতে হবে নির্বাচনের মতো। ওটা তো তামাশা হওয়ার জন্য তো হবে না। যারা ভোটের আগের রাত্রে ভোট করে ফেলে, ভোট নিয়ে চলে গেল, ১৫৪ জনকে নির্বাচিত করে দিল, নির্বাচন হয়ে গেল, প্রার্থীরা কেউ ক্যাম্পেইনে নামতে পারবে না, তাদেরকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হবে। দেশে একটা ভয়ভীতি ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করা হবে, এটা তো হতে পারে না।’মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ওনারা (শেখ হাসিনা) তো চানই বিরোধী দল নির্বাচনে না আসুক। ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার অভ্যাস হয়ে গেছে তো ওনাদের। ওয়াকওভার। আমরা বলেছি যে এই ধরনের ইলেকশন জনগণ মানবে না।’জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদান শেষে দেশে ফিরে গতকাল গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘একেবারে সবাইকে লোকমা তুলে খাওয়ায় দিতে হবে, জিতিয়ে দিতে হবে, তবেই আসো, এটা তো হতে পারে না। মিলিটারি ডিক্টেটররা এভাবেই করেছে। তারা তো জনগণের কাছে যেতেই ভয় পায়। জনগণের সামনে ভোট চাইতে গিয়েও ভয় পায়। এটাই তো বাস্তবতা।’প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাজনৈতিক দল তার মতামত বলবে, শেখ হাসিনাও তাঁর বক্তব্য বলবেন। এভাবেই তিনি টিকে আছেন জনগণকে প্রতারণা করে, মিথ্যা কথা বলে, ভয় দেখিয়ে—সবকিছু করে টিকে আছেন।’

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৭ অক্টোবর ২০২২


পদ না পেয়ে দুধ দিয়ে গোসল করে ছাত্রলীগকে বিদায়

পদ না পেয়ে দুধ দিয়ে গোসল করে ছাত্রলীগকে বিদায়

কমিটিতে কাঙ্ক্ষিত পদ না পেয়ে দুধ দিয়ে গোসল করে রাজনীতির ইতি টানলেন ছাত্রলীগ নেতা মো. আরমিন আহমেদ। ১২ বছর পর কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। দীর্ঘ প্রতীক্ষা ব্যর্থ হওয়ায় এমন কাণ্ড করলেন তিনি।বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে দুধ দিয়ে গোসল করার একটি ভিডিও নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন আরমিন। মুহূর্তের মধ্যেই সেটি ছড়িয়ে পড়ে।জানা গেছে, বুধবার ঘোষিত হওয়া এই কমিটি গঠন নিয়ে ফেসবুকে পক্ষে-বিপক্ষে কাঁদা ছোড়াছুঁড়ি চলছে। এ ছাড়াও পদবঞ্চিত একটি অংশ কমিটি বাতিল চেয়ে আজ বিকালে পাকুন্দিয়া পৌর সদর বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।এদিকে, ছাত্রলীগ নেতা আরমিন আহমেদ তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, '১২ বছর ছাত্রলীগ থেকে আমার অর্জন ৭টি মামলার আসামি, গত ১ বছর পুলিশের হয়রানি। পঙ্গু, শূন্য পকেটে দুধ দিয়ে গোসল করে রাজনীতি থেকে বিদায় নিলাম।'পোস্টে তিনি আরও লেখেন, 'ছাত্রদল থেকে আগত, বিএনপি পরিবার থেকে আগত কারো কাছে আত্মসমর্পণের চেয়ে, বিদায় নেওয়া বেটার সিদ্ধান্ত। রাজনীতিটা বুক দিয়ে নয়, আবেগ দিয়ে করেছি। আবেগে ভেজালের স্থান নেই।'এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা মো. আরমিন আহমেদ বলেন, 'ছাত্রদল থেকে আসা সভাপতির পদ পাওয়া ব্যক্তির পেছনে রাজনীতি করতে পারব না। বয়সের কারণে সিনিয়রদের কমিটিতে রাখা হয়নি। ঘোষিত কমিটিতে আমিই সবার সিনিয়র। সভাপতি করা হলে আমাকে করা হবে। আমি কোন পদের প্রার্থী তা না জিজ্ঞেস করেই ফেসবুকে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।'তিনি আরও বলেন, 'আমি দুঃখে দুধ দিয়ে গোসল করে ছাত্র রাজনীতির ইতি টানলাম। তবে পদত্যাগ করিনি। যদি কমিটি পুনর্গঠন করা হয়, তাহলে আমি ছাত্র রাজনীতিতে ফিরে আসব।'প্রসঙ্গত, সেই কমিটিতে আরমিন আহমেদকে ১ নং সহ-সভাপতি করা হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৭ অক্টোবর ২০২২


'নির্বাচনের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা দেবে বিএনপি'

'নির্বাচনের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা দেবে বিএনপি'

বাতিল হওয়া ত্রয়োদশ সংশোধনীর আলোকেই বিএনপি সময়মতো নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা জানাবে। এমনটি জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) সঙ্গে দ্বিতীয় দফা সংলাপ শেষে সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান তিনি।এর আগে সকাল ১০টায় বাংলাদেশ লেবার পার্টির সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপি মহাসচিব। লেবার পার্টির চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা আপনারা সময়মতো জানবেন। যুগপৎ আন্দোলন শুরু করলে আপনারা জানতে পারবেন। আমাদের রূপরেখায় থাকবে সংবিধানের ৫৮ অনুচ্ছেদের (খ), (গ).. যা ত্রয়োদশ সংশোধনীতে ছিল। তারই আলোকে এ রূপরেখা হবে।ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি বিজয়ী হয়ে ১৯৯৬ সালের ২৭ মার্চ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনে এয়োদশ সংশোধনী পাস করে। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করে।মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আজ বাংলাদেশ লেবার পার্টি ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির যুগপৎ আন্দোলনের দাবিনামা নিয়ে আলোচনা করেছি। অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন, সংসদ বাতিল, নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াসহ নেতাকর্মীদের মুক্তি- এসব দাবির বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি।তিনি বলেন, অন্যান্য দলের সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনা শেষে দাবিসমূহ চূড়ান্ত করে আমরা যুগপৎ আন্দোলনে এগিয়ে যাব।ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেয়। বিএনপির মহাসচিব ছাড়াও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৬ অক্টোবর ২০২২


বিএনপি জাতির জন্য বড় বোঝা : কাদের

বিএনপি জাতির জন্য বড় বোঝা : কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকার নয়, বিএনপিই দেশের জন্য বড় ধরনের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে । তিনি আরও বলেন, একটি দায়িত্বহীন এবং ব্যর্থ বিরোধীদল হিসেবে বিএনপি জাতির ঘাড়ে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে আছে।তিনি আজ সচিবালয়ে তাঁর দপ্তরে ব্রিফিংকালে এ একথা বলেন। বিদ্যুৎতের জাতীয় গ্রীডে ট্রিপ করা একটি টেকনিক্যাল বিষয়,যে কোন সময় এমন ঘটতে পারে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও গ্রিড ট্রিপ করে।কিন্তু দেখার বিষয় হচ্ছে কত সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যায়।তিনি বলেন গ্রিড বিপর্যয়ের পর গত মঙ্গলবার কয়েক ঘন্টার মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সক্ষম হয় সরকার। ২০০৩ সালে বিএনপির শাসনামলে ন্যাশনাল গ্রিডে বিপর্যয় ঘটলে তা পুনরুদ্ধারে কয়দিন সময় লেগেছিল? আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপি মহাসচিবের কাছে এর জবাব দেওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন ঘন্টার পর ঘন্টা,দিনের পর দিন বিএনপির শাসনামলে বিদ্যুৎ ছিল না,সে ইতিহাস কি বিএনপির মনে আছে? বিদ্যুৎখাতে বিএনপি জাতিকে দীর্ঘমেয়াদী অমানিশার আঁধার উপহার দিয়েছিল, উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন বিএনপি দুর্নীতির অভিযোগ করে,সরকারের অন্ধ সমালোচনা করে - অথচ বিদ্যুৎ খাতে বিভিন্ন প্রকল্পে দাতা সংস্থার অর্থায়নে থাকায় সরকারের পাশাপাশি দাতা সংস্থাও এ বিনিয়োগ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণে রাখেন।এতে অনিয়ম দুর্নীতির কোন সুযোগ নেই। যারা অন্তরে যা ভাবেন,তা মুখে প্রকাশ পায় বলে বিএনপি'র মুখে সব সময় অনিয়ম, দুর্নীতির কথা শোভা পায় বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন বিএনপির কাজ হলো বাঁকা পথে চলা,অসত্য তথ্য ও বিভ্রান্তি ছড়ানো। বিএনপির রাজনীতি বিদ্যুৎবিহীন খাম্বার মতো আশাহীন ও অন্তঃসারশূন্য । ওবায়দুল কাদের বলেন আওয়ামী লীগ নয়, প্রকৃতপক্ষে বিএনপির হাতে দেশ নিরাপদ নয়, তারাই দেশকে এবং দেশের সম্ভাবনাকে নস্যাৎ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবছর শারদীয় দুর্গোৎসব অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন শেখ হাসিনা সরকারের নিবিড় তদারকির কারণে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি কোন অঘটন ঘটাতে পারেনি।তিনি বলেন একারণেই বিএনপির মনের জ্বালা আরো বেড়ে গেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৬ অক্টোবর ২০২২


আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ শামীমের ওপর হামলা

আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ শামীমের ওপর হামলা

শরীয়তপুরের ডামুড্যায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীমের ওপর হামলা করেছে ডামুড্যা উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের নেতা কর্মীরা।সোমবার রাত ৯টায় ডামুড্যা উপজেলা পরিষদে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডামুড্যা উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর মাঝি।হামলার সময় ডামুড্যা উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয় ও ৩টি গাড়ি ভাংচুরের পাশাপাশি ২৫ জন নেতা-কর্মীকে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে ডামুড্যা থানা পুলিশ আহদতের উদ্ধার করে। শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরির্শন করেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। তবে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা বলছেন, গোসাইরহাট পূজা মন্ডপ পরিদর্শন শেষে ডামুড্যা উপজেলায় আসার পর উপজেলা কার্যালয়ে বসি। সেখানে শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাকের সমর্থকরা হামলা করেছে।ডামুড্যা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাষ্টার কামাল উদ্দিন ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম ২৫/৩০ জন নেতা-কর্মী নিয়ে গোসাইরহাট পূজামন্ডপ পরিদর্শনে যান। সন্ধ্যায় ডামুড্যা উপজেলাকার্যালয়ে যান তিনি। সেখানে গোসাইরহাট ও ডামুড্যার নেতা কর্মীদের নিয়ে খাওয়া দাওয়া শেষে আলোচনা করছিলেন। এ সময় কিছু নেতা কর্মী উপজেলা কার্যালয় থেকে নিচে নামতে ছিল। এ সময় ডামুড্যা উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গভেষনা বিষয়ক সম্পাদক জুলহাস মাদবরের নেতৃতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ডামুড্য উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে ডুকে কার্যালয়ে চেয়ার টেবিলসহ ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এরপর সেখানে থাকা নেতা কর্মীদের উপর হামলা করে। এ সময় নিচে থাকা ৩টি গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এ সময় কামাল মাষ্টার, সজল সিকদার, অপু বেপারী, মিন্টু পাল, এনামুল হক লিয়ন, রিপন সৈয়াল, রনজিৎ শিকারী, সজিব শিকারী, দিল মোহাম্মদ, আসলাম বেপারী, সজিব দাস ও অসীম দাসসহ ২৫ জন নেতা কর্মী মারাত্মক আহত হন। শরীয়তপুর জেলা শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের সভাপতি সজল সিকদার বলেন, আমরা সারাদিন বিভিন্ন পূজামন্ডপ পরিদর্শন শেষে ডামুড্যা উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন মাঝির আমন্ত্রণ রাতের খাবার খেতে আসি। এ সময় জুলহাস-মাদবরসহ ২০ থেকে ৩০ জন আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমরা ২৫ জন আহত হই।ডামুড্যা উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর মাঝি বলেন, গোসাইরহাট উপজেলা থেকে পূজামন্ডপ পরিদর্শন শেষে রাতে আমার অফিসে নেতাকর্মীসহ নৈশভোজ করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম। ডামুড্যা উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা জুলহাস মাদবর, কাজল মাদবর, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাচ্চু মাদবর, জয় মাদবর, ডামুড্যা সরকারি আব্দুর রাজ্জাক কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন মিঠুসহ ২০-৩০ জন হামলা করে। তারা শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাকের অনুসারী।আহত মিন্টু পাল বলেন, হামলায় শরীয়তপুর জেলা শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদের সভাপতি সজল সিকদারসহ কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় হামলাকারীরা ডামুড্যা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কার্যালয় ভাঙচুর করে। কার্যালয়ের নিচে থাকা ৩টি গাড়ি ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসককে জানালে পুলিশ প্রহরায় ভেদরগঞ্জের কার্তিকপুরের বাড়ি ফেরেন আউয়াল শামীম।ডামুড্যা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রুবেল মাদবর বলেন, আমরা এ হামলার সাথে জড়িত না আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।ডামুড্যা উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গভেষণা বিষয়ক সম্পাদক জুলহাস মাদবর বলেন, তারা আমাদের একটি (হায়েক্স) গাড়ি ভাংচুর করেছে। এগুলো সব মিথ্যা ও বানোয়াট। আমরা কোন হামলা করিনি।বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম বলেন, আমাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। তারা নাহিম রাজ্জাকের শ্লোগান দিয়ে আমাদের উপর হামলা করে। অপরদিকে, শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাককে একাধিকবার ফোন দিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।এ বিষয়ে ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফ আহমেদ বলেন, বিষয়টি শোনার পর দ্রুত সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনি। সেখানে কিছু চেয়ার আর গাড়ির গ্লাস ভাঙচুর করা হয়েছে। কেউ কোনও অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ অক্টোবর ২০২২


আ.লীগ ভোটের অধিকার ও কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছে : মির্জা ফখরুল

আ.লীগ ভোটের অধিকার ও কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছে : মির্জা ফখরুল

আওয়ামী লীগ সরকার পরিকল্পিতভাবে প্রথম থেকেই দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন,আওয়ামী লীগ ভোটের অধিকার, কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই অবস্থার মধ্যে আজ দুর্গোৎসব উদযাপিত হচ্ছে। দেবী দুর্গার আবির্ভাবে পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক। তারা (আওয়ামী লীগ) গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করার কাজ করেছে। গত কয়েক বছরে দেশের অনেক গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে।সোমবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে বিএনপি স্থায়ী কমিটি সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বাসভবনে দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।ফখরুল বলেন, সারা দেশের মানুষকে একটি দানব সরকার নির্যাতন করছে। অনেক দুঃখ কষ্টের মধ্যেও আমরা আজ এই অশুভ শক্তিকে পরাজিত করার শপথ নেব।আমরা বাংলাদেশের মানুষরা সব সময় অসাম্প্রদায়িক দেশ নির্মাণে কাজ করেছি উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার জন্য আমরা হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই একযোগে যুদ্ধ করেছিলাম। পরবর্তীতে সেটার জন্য কাজ করেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্য, স্বাধীনতার ৫০ বছর পর আমাদের সেই যে আশা-আকাঙ্ক্ষা, তা আর দেখছি না।খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে দাবি করে সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্বাসিত করা হয়েছে। অসংখ্য নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে।এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুন রায় চৌধুরী প্রমুখ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ অক্টোবর ২০২২


'ইডেন কলেজকে ছাত্রলীগের হাতে ছেড়ে দিয়েছে, যা ইচ্ছে করো'

'ইডেন কলেজকে ছাত্রলীগের হাতে ছেড়ে দিয়েছে, যা ইচ্ছে করো'

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘যারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে অবৈধভাবে কবজা করে, যারা দিনে ভোট করার সাহস পান না, তারা তো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শান্তিপূর্ণভাবে চলুক সেটা চান না। তারা ইডেন কলেজকে ছাত্রলীগের হাতে ছেড়ে দিয়েছে, যা ইচ্ছে করো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগকে ছেড়ে দিয়েছে। তারা সেখানে হলগুলো নিয়ন্ত্রণ করে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের হাতে ছেড়ে দিয়েছে। সেখানে কোনো ভবন নির্মাণকাজ হলে সেগুলো থেকে চাঁদা দাবি করে ছাত্রলীগ।’ সোমবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে রুহুল কবির রিজভী এ কথা বলেন।‘ইডেন কলেজে ছাত্রলীগের নজিরবিহীন কেলেঙ্কারি ও সারা দেশে নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে’ আয়োজিত এ মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান। মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস।রুহুল কবির রিজভী বলেন, অনেকেই বলেন এই আওয়ামী লীগ আর সেই আওয়ামী লীগ নেই। তাঁর প্রশ্ন, আওয়ামী লীগ কবে ভালো ছিল?’বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, ‘১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালে দেখেছি লাল বাহিনী, নীল বাহিনী, সবুজ বাহিনী। রক্ষী বাহিনীর কথাও জানি। এখন আমরা দেখছি ছাত্রলীগ বাহিনী, যুবলীগ বাহিনী, হেলমেট বাহিনী, হাতুড়ি লীগ। সঙ্গে পুলিশ-র‌্যাব তো আছেই। আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও ইডেন কলেজে যা হচ্ছে তা অবর্ণনীয় ও ন্যক্কারজনক।’ সরকার ছাত্রলীগকে খুনি বানাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ অক্টোবর ২০২২


অশুভ চক্র ভারত সরকারকে বার্তা দিতে চায় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা আ.লীগ করে : কাদের

অশুভ চক্র ভারত সরকারকে বার্তা দিতে চায় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা আ.লীগ করে : কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি অশুভ চক্র হিন্দুদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভারত সরকারকে বার্তা দিতে চাইছে যে কাজটা আওয়ামী লীগ করে। আওয়ামী লীগের হাতে সংখ্যালঘুরা নিরাপদ নয়। এই অশুভ চক্রের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।আজ রোববার সকালে রাজধানীর রামকৃষ্ণ মঠে পূজামণ্ডপে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গিয়ে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের এই শীর্ষ নেতা।ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালান, তারা কোনো দলের নয়, তারা দুর্বৃত্ত। তিনি বলেন, ‘পূজা কমিটি আমাদের বলেছে, সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার হয় না। কেন বিচার হবে না? বাংলাদেশে কত অপরাধীর বিচার শেখ হাসিনা করেছেন। এমনকি নিজের দলের লোকেরাও জেলে আছে। কাজেই যারা হিন্দুদের মন্দির, বাড়িঘর, মণ্ডপে হামলা করে, যে পরিচয়ই হোক, এই দুর্বৃত্তদের ক্ষমা নেই। এদেরকে বিচারের সম্মুখীন করতেই হবে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির স্বার্থে।’ওবায়দুল কাদের মনে করেন, দশমী পর্যন্ত দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার ব্যাপারে সরকারি দলের পাশাপাশি বিরোধী দলেরও ভূমিকা আছে।ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চান, শান্তিপূর্ণভাবে ধর্ম পালন করতে দিন। সংলাপ করছেন, করুন। আমি বলব, রাজনীতি আমরা করব, কিন্তু দুর্গোৎসব নিয়ে কোনো রাজনীতি নেই।’শেখ হাসিনার সরকার টানা ১৩ বছর ক্ষমতায় আছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই ১৩ বছরে মাত্র একটিবার দুর্গাপূজা সহিংসতা–সাম্প্রদায়িকতার শিকার হয়েছে, দুর্বৃত্ত দলের টার্গেট হয়েছে। একাধারে ১১টি দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে হয়েছে। গতবার দুর্ভাগ্যজনক কিছু ঘটনা ঘটে গেছে। ১১টি যখন শান্তিপূর্ণ হয়েছিল, ওইবারও এ রকম হবে চিন্তাভাবনা থেকে সতর্কতার কিছুটা অভাব ছিল। রাজনৈতিকভাবেও আমরা অসতর্ক ছিলাম।’ওবায়দুল কাদেরের ভাষ্য, এবার এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদ্‌যাপিত হচ্ছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ অক্টোবর ২০২২


সর্বাধিক পঠিত

সহ্যের বাধ ভেঙে গেলে তার ফল ভালো হবে না, বিএনপিকে নানক

সহ্যের বাধ ভেঙে গেলে তার ফল ভালো হবে না, বিএনপিকে নানক

বিএনপির সাম্প্রতিক সময়ের আন্দোলনে সহিংসতার প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, আমাদেরও সহ্যের সীমা আছে। সেই সহ্যের বাধ যদি ভেঙে যায় তার ফল ভালো হবে না।সম্প্রতি রাজধানীর হাজারীবাগে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন দলীয় কর্মীদের খোঁজখবর নিতে শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আগারগাঁওয়ের পঙ্গু হাসপাতালে (জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে যান নানকসহ আওয়ামী লীগের নেতারা। এসময় উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম।দলের পক্ষ থেকে আহতদের চিকিৎসার সব ব্যয় বহন করা হবে বলে তাদের আশ্বস্ত করেন নেতারা। এ ধারাবাহিকতায় আহতদের পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সচ্ছলতার জন্য নগদ ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।হাজারীবাগে বিএনপির কর্মসূচি থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ করে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, শাহ আলমের অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক। আইরিনের দুই হাত ভেঙে দিয়েছে এবং আবদুল্লাহ এখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। আবদুল্লাহর শরীরে ১৮টি সেলাই লেগেছে এবং তার কিডনি ড্যামেজ হয়ে গেছে।তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশব্যাপী এ অবস্থা চালাচ্ছে। শুধু আওয়ামী লীগকে লক্ষ্য করে নয়, তারা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, পুলিশ বাহিনীর ওপর অতর্কিত হামলা করছে। এদের খাসলত কোনো দিনই ভালো হলো না। এরা ২০০৯ সাল থেকেই একই অবস্থার সৃষ্টি করেছে। অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, মানুষ হত্যা করেছে। রাজনীতির নামে এরা সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। সরকারি অফিস জ্বালিয়ে দিয়েছে। ট্রেন লাইন উপড়ে ফেলেছে।‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আওয়ামী লীগেরও সহ্যের সীমা রয়েছে। সেই সহ্যের বাধ যদি ভেঙে যায় তার ফল ভালো হবে না। আমরা চাই দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা এবং গণতান্ত্রিক অধিকার সমুন্নত রাখতে। শেখ হাসিনার সরকার দেশের সব রাজনৈতিক দলকে মিছিল-মিটিং করার অধিকার দিয়েছে। কিন্তু সেই অধিকারকে যদি মনে করা হয় যে, তারা যা ইচ্ছা তাই করবে, জনগণের ওপর হামলা করবে, লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করবে, পুলিশের ওপর হামলা করবে। জনগণের শান্তি-শৃঙ্খলা ও জানমালের নিরাপত্তার জন্য সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ভূমিকা পালন করবে।’

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ অক্টোবর ২০২২


‘বিএনপি নিজেদের কর্মীদের নিজেরাই মারছে এবং দায়ভার পুলিশের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে’

‘বিএনপি নিজেদের কর্মীদের নিজেরাই মারছে এবং দায়ভার পুলিশের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে’

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি নিজেদের কর্মীদের নিজেরাই মারছে এবং সেগুলোর দায়ভার সরকার এবং পুলিশের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে। ভবিষ্যতেও তাদের কর্মীদের তারাই মারবে।তিনি বলেন, ‘তারা তো এই রাজনীতি করে। তারা আগেও হত্যার রাজনীতি করেছে এখনো করছে। ওনারা আসলে সংঘাতময় রাজনীতিটা করে। সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়’।শনিবার (১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। হাছান মাহমুদ বলেন, ২০০৬-২০০৭ সালে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া বলেছিলেন সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ৩০টি আসন পাবে। ২০০৮ সালে দেশের ইতিহাসে অত্যন্ত সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। ভাগ্যের এমনই নির্মম পরিহাস বিএনপি ২৯টি আসন পেয়েছে। ৩০টি আসনও পায়নি। ভবিষ্যতে যে নির্বাচন হবে আবারও ধস নামানো বিজয়ের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকার গঠন করবেন।তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে না— এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটা বিএনপি স্বপ্ন দেখতে পারে। স্বপ্ন দেখতে তো অসুবিধা নেই। তবে এই স্বপ্ন এখন তাদের জন্য দুঃস্বপ্ন। এটা কখনও বাস্তবায়িত হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ অক্টোবর ২০২২


বিএনপিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূত মাথা থেকে নামিয়ে ফেলার আহবান কাদেরের

বিএনপিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূত মাথা থেকে নামিয়ে ফেলার আহবান কাদেরের

বিএনপিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূত মাথা থেকে নামিয়ে ফেলার আহবান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন বিএনপির আন্দোলনে আওয়ামী লীগ ভীত নয়, আওয়ামী প্রস্তুত ও সতর্ক আছে,রাজপথ থেকেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে- কাজেই আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে কোন লাভ নেই। ওবায়দুল কাদের আজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় একথা বলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলের জনপ্রতিনিধি ও নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন দলের পরিচয়ে যারাই অপকর্ম করবে তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না । বিএনপিকে আবারও হুঁশিয়ার করে ওবায়দুল কাদের বলেন লাঠির সাথে জাতীয় পতাকা নিয়ে নামলে খবর আছে, জাতীয় পতাকার অবমাননা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না।বিএনপি নেতাদের নতুন করে অবরোধ ঘোষণা দেওয়া প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন তারা তাদের আগের অবরোধ না তুলে নতুন করে কেন আবার অবরোধ ঘোষণা করেছে তা জানতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জিজ্ঞাসা করতে সাংবাদিকদের পরামর্শ দেন।তিনি বলেন আগামী নির্বাচন যথাসময়ে সংবিধানে অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে, নির্বাচনকালীন সময়ে সরকার শুধুমাত্র রুটির দায়িত্ব পালন করবে।স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, নাট্য শিল্পী লাকী ইনাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো- ভিসি অধ্যাপক ডাক্তার ছায়েফ উদ্দিন আহমেদ ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আতিকুর রহমান এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু।পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে ২৮ সেপ্টেম্বর যেসব শিশু জন্মগ্রহণ করেছেন সেইসব শিশুদের প্রতিনিধিদের মাঝে বিশেষ উপহার প্রধান করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২


'টিয়ার গ্যাস-গুলি দিয়ে চলমান আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না'

'টিয়ার গ্যাস-গুলি দিয়ে চলমান আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না'

বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচিতে কোনো রকমের বাধা এলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিরোধ করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।কোনো বাধা-প্রতিবন্ধকতা ফ্যাসিবাদ, স্বৈরাচারকে টিকিয়ে রাখতে পারেনি, উল্লেখ করে সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, জনগণের মৌলিক সমস্যার সমাধান না করে শুধু টিয়ার গ্যাস-গুলি ইত্যাদি দিয়ে কখনও আন্দোলন ব্যর্থ করা যায়নি। আমাদের চলমান আন্দোলনও বন্ধ করা যাবে না। তিনি বলেন, আমাদের কর্মসূচিতে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। গণতন্ত্র উদ্ধারে বিএনপি ঘোষিত কর্মসূচিতে বাধা এলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা তা প্রতিরোধ করব।বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। জিয়া মঞ্চের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ এই শ্রদ্ধা নিবেদনের আয়োজন করা হয়েছিল। গয়েশ্বর আরও বলেন, আমরা এখন যেসব দাবিতে আন্দোলন করছি, এগুলো বিএনপির দাবি বললে ভুল হবে। কারণ এসব দাবি জনগণের। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি মানে প্রতিটা পরিবারের নাভিশ্বাস। আয়ের সঙ্গে তাদের ব্যয়ের কোনো রকমের সঙ্গতি নেই। দিন-দিন মানুষের ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে, উল্টোদিকে আয় হ্রাস পাচ্ছে। এ কষাঘাত থেকে মানুষ মুক্তি চায়।বিএনপির চলমান কর্মসূচি জনগণই সফল করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে গয়েশ্বর বলেন, সরকারের কাছে কোনো সহযোগিতা চেয়ে কোনো লাভ নেই। পথে পথে বাধা আসবেই, বাধা এসেছে, সামনেও আসবে। বাধা অতিক্রম করেই মানুষ অধিকার আদায়ে পথে নেমে আসবে।বিএনপির কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষ অংশ গ্রহণ করছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ভবিষ্যতে আরও ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করবে। হয়তো একটা সময় আসবে, আন্দোলন জনগণ সফল করবে, শুধু আমরা সেখানে উপস্থিত থাকবো। এ ব্যাপারে আমরা খুব আশাবাদী।এক প্রশ্নের জবাবে গয়েশ্বর বলেন, সংকট উত্তরণের একমাত্র পথ সরকারের পদত্যাগ। আমরা দাবি করছি, দ্রুত সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত এবং একটা অরাজনৈতিক নির্দলীয় সরকারের অধীনের একটি নির্বাচন। এ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে আমাদের পাঁচজন শহীদ হয়েছেন। একদিকে আন্দোলন এবং অন্যদিকে শহীদের রক্তের ঋণ পরিশোধের একটা প্রতিশ্রুতি আমাদের সবার থাকবে। এটি কিন্তু মূলত সরকার পতনের আন্দোলন। জনগণ এই সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- জিয়া মঞ্চের সহসভাপতি আবু তালেব, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বয়ক কমিটির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম প্রমুখ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২


'টেলিভিশন-সংবাদপত্র দেখলে মনে হয় বিএনপি বাংলাদেশ  দখল করে নিয়েছে'

'টেলিভিশন-সংবাদপত্র দেখলে মনে হয় বিএনপি বাংলাদেশ দখল করে নিয়েছে'

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন,টেলিভিশন-সংবাদপত্র দেখলে মনে হয় বিএনপি বাংলাদেশ দখল করে নিয়েছে । হাটুভাঙ্গা বিএনপি এখন লাঠির ওপর ভর করেছে। তাঁরা সমাবেশে লাঠির ওপর বাংলাদেশের পতাকা বেঁধে আওয়ামী লীগ ও পুলিশকে উসকানি দিচ্ছে। কিন্তু এই লাঠিখেলা চলবে না। রাজপথ কাউকে ইজারা দেওয়া হয়নি। খেলা হবে, রাজপথে মোকাবিলা হবে।আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘অগ্নিস্নানে শুচি হয়ে বারবার আসো তুমি ভূমিকন্যা, তোমারই হোক জয়’ শিরোনামে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আজ বুধবার বেলা ৩টায় এ আলোচনা সভা শুরু হয়।আলোচনা সভায় সূচনা বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২২–দলীয় জোটের নামে বিএনপি আবারও জগাখিচুড়ি আন্দোলন শুরু করেছে। তাঁরা হাজারীবাগে আওয়ামী লীগের কর্মীদের ওপর হামলা করেছে। ইচ্ছা করেই বিএনপি সংঘাতে জড়ানোর জন্য আওয়ামী লীগ ও পুলিশকে উসকানি দিচ্ছে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যার প্রতি আস্থা রাখুন। তিনি আপনাদের আস্থার মর্যাদা দেবেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা সজীব ওয়াজেদ জয়কে সঙ্গে নিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছেন। তাঁর এবারের লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ করা। আগামী নির্বাচনে যত বাধাই আসুক, তিনি এগিয়ে যাবেন।আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন। সভায় আওয়ীমী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাহজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, জাহাঙ্গীর কবির নানক, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২


ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা

ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা

রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌসীকে রুম থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে নির্যাতনের অভিযোগে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা ও সাধারণ সম্পাদক মোছা. রাজিয়া সুলতানাসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলাটি লালবাগ থানাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ইডেন কলেজের নুজহাত ফারিয়া রোকসানা, আয়েশা ইসলাম মিম, নূরজাহান, ঋতু আক্তার, আনিকা তাবাসুম স্বর্ণা ও কামরুন নাহার জ্যোতি। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২৫ থেকে ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোস্তফা রেজা নূরের আদালতে এ মামলা করেন জান্নাতুল ফেরদৌসী। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে রাজধানীর লালবাগ থানাকে তদন্ত করে আগামী ২৩ অক্টোবর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।আদালতের পেশকার তহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন নূর-ই আলম। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী আমির আলী, আনোয়ার হোসেন মনির, সরকার রাশেদুল ইসলাম, আবুল কালাম ও মাজেদুর রহমান।মামলার অভিযোগে বলা হয়, ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানার নেতৃত্বে অন্যান্য আসামিরা ক্যাম্পাসে চাঁদাবাজি, সিট বাণিজ্য, অনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিলেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জান্নাতুল, মামলার সাক্ষী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। এতে আসামিরা ভুক্তভোগী জান্নাতুলের ওপর চরমভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। পরে গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাত ১০ টার দিকে রিভা ও রাজিয়ার নির্দেশে আসামি আনিকাসহ অজ্ঞাতনামা ৩ থেকে ৪ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভুক্তভোগীর রুমে প্রবেশ করেন। তবে, তাকে রুমে না পেয়ে তার ব্যবহারিক আসবাবপত্র ভাঙচুর করে নগদ ২০ হাজার টাকা ও ব্যবহৃত ল্যাপটপ নিয়ে যান। এসময় ভুক্তভোগী রুমে আসার পথে তাকে ঘিরে ফেলেন আসামিরা। তাকে বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে আসামিরা ভুক্তভোগী জান্নাতুলকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুসি ও মাথি মেরে বিভিন্নস্থানে জখম করেন।গত কয়েকদিন আগে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সিট বাণিজ্য ও নানা অসঙ্গতি নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জান্নাতুন ফেরদৌসী। এ ঘটনার পর শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টায় হলের কক্ষে গিয়ে তাকে টেনেহিঁচড়ে বের করে আনেন কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নুজহাত ফারিয়া রোকসানা, আয়েশা ইসলাম মিম, কামরুন নাহার জ্যোতি, শিরিন আকতার, রিতু, স্বর্ণা, নূরজাহান, ফেরদৌসী, লিমা, পপি, বিজলীসহ আরও কয়েকজন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২


টুঙ্গিপাড়া গ্রাম থেকে বিশ্বমানবতার নেত্রী

টুঙ্গিপাড়া গ্রাম থেকে বিশ্বমানবতার নেত্রী

বিচক্ষণ ও বলিষ্ঠ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম শুভ জন্মদিন আজ। তিনি ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের মধুমতী নদী বিধৌত টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার জ্যেষ্ঠ সন্তান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি তিনি।১৯৮১ সাল থেকে টানা ৪১ বছর আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। চারবারের প্রধানমন্ত্রী এবং তিনবারের বিরোধী দলীয় নেত্রী তিনি। ডিজিটাল ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধির বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রবক্তা স্বপ্নদর্শী এই নেত্রী ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব গ্রহণের পর থেকে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে দলকে সুসংগঠিত করেন এবং ১৯৯৬ সালে প্রথম ও ২০০৮ সাল থেকে টানা তিন মেয়াদে দলকে দেশের নেতৃত্বের আসনে বসাতে সক্ষম হন। দীর্ঘ এ সময়ে পাহাড়সম অর্জন রয়েছে শেখ হাসিনার। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অনেক পুরস্কার রয়েছে তার ঝুঁলিতে। এসব অর্জনের পাশাপাশি হত্যা চেষ্টার শিকারও হয়েছেন ১৯ বার। জীবনের ঝুঁকি থাকলেও থেমে যাননি সাহসী এ নারী। তিনি আজ বিশ্বের অন্যতম সাহসী নারী নেত্রী।তার সফল কূটনৈতিকের কারণে বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলোর সাথে সুসম্পর্ক রেখে উন্নয়নের গতি অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি দেশীয় রাজনীতিতে টানা চতুর্থবার ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামী লীগ। এসময় বিএনপির কোনো আন্দোলন সফল হয়নি। সফল হয়নি কোনো ষড়যন্ত্র, বিডিআর বিদ্রোহের মতো উত্তাল পরিস্থিতিও এক হাতে সামাল দিয়েছেন তিনি। তেমনি বিএনপি-জামায়াতের হরতাল, অবরোধ মোকাবিলা করে দেশের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রেখেছিলেন।পিতার স্বপ্ন বুকে নিয়ে শত বাধা পেরিয়ে সোনার বাংলা গড়তে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। যার ভিশনারি নেতৃত্বে ষড়যন্ত্রের জাল ভেদ করে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। নিজের দল আওয়ামী লীগ ও সরকারে হয়ে উঠেছেন বিকল্পহীন। শেখ হাসিনা এমন একজন নেত্রী যিনি শত সমস্যা, বাধা, বিপত্তিতেও সকলের আস্থার প্রতীক।তার নেতৃত্বে অর্থনীতির প্রতিটি সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে একটি রোল মডেল হিসেবে পরিচিত করেছেন। দেশে নানাবিদ মেগা প্রকল্প চলমান, ইতিমধ্যে অনেকগুলোর কাজ প্রায় শেষের দিকে,গত ২৫ শে জুন বাঙালির সক্ষমতা ও গর্বের প্রতীক পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন তিনি, যার ফলে দেশের অর্থনীতি ও জিডিপির ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয় । ইতিমধ্যে উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে স্বপ্নের মেট্রোরেল ,পদ্মা সেতু রেল সংযোগ, বঙ্গবন্ধু টানেল সহ আরো অসংখ্য বড় মেগা প্রকল্প।সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনেও তিনি বিশ্বনেতাদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। মিয়ানমারে জাতিগত সহিংসতায় পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলিমদের আশ্রয় দিয়ে সারা বিশ্বে হয়েছেন প্রশংসিত। বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে করোনাকালেও দেশের প্রবৃদ্ধি এশিয়ায় প্রায় সব দেশের ওপরে।করোনাভাইরাস মহামারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত পদক্ষেপ জাতিসংঘ, বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাময়িকী ফোর্বসসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা থেকে শুরু করে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে তিনি নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন এবং করোনা মহামারির বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছে। একই সঙ্গে দরিদ্র মানুষকে ত্রাণ সহযোগিতার পাশাপাশি জীবিকা ও অর্থনীতি বাঁচাতে নিয়েছেন কার্যকরী পদক্ষেপ। দেশের অর্থনৈতিক গতিশীলতা ধরে রাখতে কৃষি ও শিল্পসহ অর্থনৈতিক খাতগুলোতে সময়োপযোগী প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন, যা বিশ্ব অর্থনীতিতে একটি রোল মডেল হিসেবে পরিগণিত হয়। এ কারণে অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে বলে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে।শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্থায়ী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, খাদ্যে স্বনির্ভরতা, নারীর ক্ষমতায়ন, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গ্রামীণ অবকাঠামো, যোগাযোগ, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, বাণিজ্য, আইসিটি এবং এসএমই খাতে এসেছে ব্যাপক সাফল্য। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচার, পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি সম্পাদন, একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতিসহ জাতীয় জীবনের বহুক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছেন তিনি।বাংলাদেশের ধারাবাহিক উন্নয়নের পাশাপাশি শেখ হাসিনার ঝুলিতে জমেছে অনেকগুলো অর্জন। পেয়েছেন আন্তর্জাতিক অনেক সম্মাননা ও পদক। এ পর্যন্ত শেখ হাসিনাকে দেওয়া আন্তর্জাতিক পুরস্কারের সংখ্যাও অনেক। টিকাদান কর্মসূচিতে বাংলাদেশের সফলতা জন্য ২০১৯ এর ২৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পুরস্কার দেয় গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনেশন এবং ইমিউনাইজেশন (জিএভিআই)। একই মাসে শেখ হাসিনাকে ড. কালাম স্মৃতি ইন্টারন্যাশনাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পদক প্রদান করা হয়।এর আগে বিশ্বের বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনস্টিটিউট শান্তি প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্র সমুন্নত ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে বিভিন্ন পর্যায়ের পদক প্রদান করে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানে দায়িত্বশীল নীতি ও তার মানবিকতার জন্য প্রধানমন্ত্রী আইপিএস ইন্টারন্যাশনাল এচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড এবং ২০১৮ স্পেশাল ডিসটিংশন অ্যাওয়ার্ড ফর লিডারশিপ গ্রহণ করেন।শিক্ষাজীবন শুরু হয়েছিল টুঙ্গিপাড়ার এক পাঠশালায়। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে পরিবারকে ঢাকায় নিয়ে আসেন। তখন পুরনো ঢাকার রজনী বোস লেনে ভাড়া বাসায় ওঠেন তারা।শেখ হাসিনা ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজে পড়ার সময় ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সদস্য এবং রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ছাত্রলীগের নেত্রী হিসেবে তিনি আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন এবং ৬ দফা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু উত্থাপিত ৬ দফা দাবিতে পূর্ববাংলায় এক অভূতপূর্ব জাতীয় জাগরণ সৃষ্টি হয়। শাসকগোষ্ঠী ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে। শুরু হয় দমন-নির্যাতন। আটক থাকা অবস্থাতেই বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করে। তার জীবন ও পরিবারের ওপর নেমে আসে গভীর বিপদাশংকা ও দুঃসহ দুঃখ-যন্ত্রণা। এই ঝড়ো দিনগুলোতেই বঙ্গবন্ধুর আগ্রহে ১৯৬৮ সালে পরমাণু বিজ্ঞানী ড.ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে শেখ হাসিনার বিয়ে হয়।ছেলে ও মেয়ে দুই সন্তানের জননী তিনি। ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ।শিল্প সংস্কৃতি ও সাহিত্য অন্তপ্রাণ শেখ হাসিনা লেখালেখিও করেন। তার লেখা এবং সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা ৩০টিরও বেশি। প্রকাশিত অন্যতম বইগুলো হচ্ছে- শেখ মুজিব আমার পিতা, সাদা কালো, ওরা টোকাই কেন, বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের জন্ম, দারিদ্র্য দূরীকরণ, আমাদের ছোট রাসেল সোনা, আমার স্বপ্ন আমার সংগ্রাম, সামরিকতন্ত্র বনাম গনতন্ত্র, আর্ন্তজাতিক সর্ম্পক উন্নয়ন, বিপন্ন গনতন্ত্র, সহেনা মানবতার অবমাননা, আমরা জনগণের কথা বলতে এসেছি, সবুজ মাঠ পেরিয়ে ইত্যাদি।উপমহাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একজন সংগ্রামী রাজনৈতিক নেত্রী, একজন সাহসী যোদ্ধা, বাঙালি জাতির অর্থনৈতিক, সামাজিক মুক্তির আলোকবর্তিকা, একজন মমতাময়ী মানবিক নেত্রীর নাম শেখ হাসিনা।সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গর্বিত সন্তান। বঞ্চিত বাঙালির একমাত্র আশ্রয়স্থল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পতাকাবাহী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী এবং স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বারবার মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে জীবনের ৭৫ টি ঝড়ো বসন্ত পেরিয়ে আজ ৭৬ এ পা দিলেন তিনি।আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি প্রিয় নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপা ..শাহীনুর ইসলাম মাহীনসহ-সভাপতিবাংলাদেশ ছাত্রলীগ,ঢাকা মহানগর উত্তর ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২


বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে দেশের কি হতো প্রশ্ন কাদেরের

বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে দেশের কি হতো প্রশ্ন কাদেরের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সারাবিশ্বে জ্বালানি তেল ও বিদ্যুৎ সংকট, কিন্তু আজ বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে দেশের কি হতো? তিনি বলেন, লাঠির সাথে জাতীয় পতাকা লাগিয়ে মারামারি করে বিএনপি পতাকার অবমাননা করেছেন। দলটির মধ্যে কোন দেশপ্রেম নেই। তারা পাকিস্তানকেই ভালোবাসে, যা মির্জা ফখরুলের বক্তব্যে প্রমাণ হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে যুবলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের দল, জনমানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। দেশের মধ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সংকট শুধু বাংলাদেশের একার নয়, পুরো বিশ্বের। বিএনপি এনিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে মিথ্যাচার করছে।পঁচাত্তরে পরে বাংলাদেশে সবচেয়ে সৎ, যোগ্য ও সাহসী নেতার নাম শেখ হাসিনা, উল্লেখ করে কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা নিজের ভাগ্য ও সুখের জন্য রাজনীতি করে না। তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা রাজনীতি করেন মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য, পিতা বঙ্গবন্ধু মুজিবের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন কাজ করে এদেশে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশের মানুষের জন্য কেউ কাজ করেনি, বলেন কাদের। অনুষ্ঠানে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল করতে হলে বিএনপিকে নির্বাচনে জিতে, সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে হবে।যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল ও সাংবাদিক অজয় দাস গুপ্ত।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২


“তুই যে ছাত্রলীগের ফাংশনে যাস না, তোকে মারলে তখন কে দেখবে?”

“তুই যে ছাত্রলীগের ফাংশনে যাস না, তোকে মারলে তখন কে দেখবে?”

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগ কর্মীর জন্মদিনের কেক কাটার অনুষ্ঠানে না যাওয়ায় এক সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।গতকাল সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান হলে এই ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, তাঁকে মারধরের ঘটনায় চবি শাখা ছাত্রলীগের উপপক্ষ বিজয়ের তিন কর্মী জড়িত। ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে না গেলে তাঁকে হল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন তাঁরা।মারধরের শিকার সাংবাদিকের নাম রিদওয়ান আহমদ। তিনি একটি জাতীয় দৈনিক ও একটি অনলাইন পোর্টালের চবি প্রতিনিধি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।মারধরের ঘটনায় গতকাল রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন রিদওয়ান। এই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচার দাবি করেছেন তিনি। একই সঙ্গে নিজের নিরাপত্তা চেয়েছেন।রিদওয়ান এ এফ রহমান হলের ২১২ নম্বর কক্ষে থাকেন। হল সূত্র জানায়, গতকাল বিজয়ের কর্মী ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী নাহিদুল ইসলামের জন্মদিন ছিল। এ উপলক্ষে বিজয়ের নেতা-কর্মীরা কেক কাটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। রাত ১১টার দিকে কেক কাটতে নেতা-কর্মীরা হলের ফটকের সামনে জড়ো হন। এর মধ্যে কয়েকজন এসে রিদওয়ানকে ছাত্রলীগের সব অনুষ্ঠান ও কর্মসূচি অংশ নিতে বলেন।ছাত্রলীগের কর্মীদের ভাষ্য ছিল, রিদওয়ান যেহেতু হলে থাকছেন, তাই তাঁকে তাঁদের (ছাত্রলীগ) সব কর্মসূচিতে অংশ নিতে হবে। তা না হলে তাঁকে হল থেকে চলে যেতে হবে।রিদওয়ান কেক কাটার অনুষ্ঠানে যাননি। হল সূত্র জানায়, রাত সাড়ে ১১টার দিকে রিদওয়ানের কক্ষে যান বিজয়ের কর্মী লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের আরশিল আজিম, একই বর্ষের নাট্যকলা বিভাগের আবু বকর সিদ্দিক ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শোয়েব আতিক। তিনি কেন কেক কাটার অনুষ্ঠানে যাননি, তাঁরা তার কারণ জানতে চান। একপর্যায়ে আরশিলের নির্দেশে রিদওয়ানকে মারধর করেন শোয়েব। এ সময় তাঁরা রাতের মধ্যেই তাঁকে হল থেকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন।জানতে চাইলে রিদওয়ান সূত্রকে বলেন, ‘কেক কাটার অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়ায় আমাকে মারধর করা হয়েছে। ছাত্রলীগের তিন কর্মীর মধ্যে আরশিল এসে আমাকে বলেন, “তুই যে ছাত্রলীগের ফাংশনে যাস না, তোকে মারলে তখন কে দেখবে?” তখন আমি বলি, “আমাকে কেন মারবে? আমি তো কোনো অন্যায় করিনি।” এ কথা বলতেই শোয়েবকে আরশিল বলেন, “এই ওরে মার।”’রিদওয়ান বলেন, আরশিলের নির্দেশ পাওয়ামাত্র তাঁকে কিল-ঘুষি-চড়-থাপ্পড় দেন শোয়েব। বিষয়টি তিনি (রিদওয়ান) বিজয়ের নেতা আল আমিনকে ফোনে জানান। আল আমিনকে বিষয়টি কেন জানালেন, সেই কারণে তাঁকে আরেক দফায় মারধর করেন শোয়েব।মারধরের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে আরশিল ও শোয়েবের মুঠোফোনে কল করা হয়। তাঁরা এই প্রতিবেদকের পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন। পরে তাঁদের একাধিকবার কল করা হয়। কিন্তু তাঁরা ফোন ধরেননি।অন্যদিকে আবু বকর সিদ্দিক বলেন, তিনি আরশিল ও শোয়েবের সঙ্গে ছিলেন ঠিকই, কিন্তু কাউকে মারধর করেননি। হুমকি দেননি। যা করার আরশিল ও শোয়েব করেছেন।’বিজয়ের নেতা আল আমিন বলেন, রিদওয়ান ফোন দিয়ে তাঁকে বিষয়টি জানিয়েছেন। মারধরের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে তিনি আন্তরিক।জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক সূত্রকে বলেন, ‘সাংবাদিক কেন, সাধারণ শিক্ষার্থীকেও মারধরের অধিকার কারোর নেই। যাঁরা মারধরের ঘটনায় জড়িত, তাঁরা কেউই ছাত্রলীগের পদে নেই। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। তবে ভবিষ্যতে যেন তাঁরা ছাত্রলীগের কোনো পদে না আসেন, সে বিষয়টি দেখা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিক।’বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় তাঁরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। অভিযোগটি তাঁরা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন। ইতিমধ্যে ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলেছেন। দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের রাজনীতি দুটি পক্ষে বিভক্ত। একটি পক্ষে আছেন সাবেক সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারীরা। আরেকটি পক্ষে আছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারীরা। এই দুটি পক্ষের মধ্যে আবার ১১টি উপপক্ষ আছে। এর মধ্যে বিজয় ও সিএফসি মহিবুলের অনুসারী। বাকি ৯টি উপপক্ষ নাছিরের অনুসারী।সুত্রঃ প্রথম আলো

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২


আমরা কারো সমাবেশে বা বাড়িঘরে হামলা করবো না : কাদের

আমরা কারো সমাবেশে বা বাড়িঘরে হামলা করবো না : কাদের

ক্ষমতায় থাকতে আওয়ামী লীগ কেন অশান্তি করবে- এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে কেন নৈরাজ্য করবে? অশান্তি করলে তো আমাদের ক্ষতি। আমরা কারো সভা সমাবেশে হামলা করবো না, কারো বাড়িঘরে হামলা করবো না। তবে সতর্ক থাকবো।সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টায় রাজধানীর শ্যামপুর বালুর মাঠে কদমতলী থানা এবং ৫২, ৫৩, ৫৮, ৫৯,৬০ ও ৬১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু রাজপথ থেকে এসেছেন, শেখ হাসিনা রাজপথ থেকে এসেছেন। আমরা বিএনপির আস্থা চাই না, আমাদের আস্থা দরকার জনগণের। শেখ হাসিনার প্রতি জনগণের আস্থা আছে।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, আমরা ক্ষমতায় আছি, বন্দুকের নলের মুখে কেউ আমাদের ক্ষমতায় বসায়নি। আওয়ামী লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথ থেকে ক্ষমতায় এসেছে। তিনি বলেন, শৃঙ্খলা মেনে দল করতে হবে। আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকলে যত লাফালাফি করুক আওয়ামী লীগের ঐক্যবদ্ধ শক্তির কাছে বিএনপি হারবে। যারা বিশৃঙ্খলা করবে তাদের প্রয়োজন নেই। যেখানে কলহ, খারাপ আচরণ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। নেত্রী কাউকে ছাড় দিবেন না।সংবাদমাধ্যমের সমালোচনা করে তিনি বলেন, যতবড় সমাবেশ হোক সরকারি দলের ছবি পত্রিকায় দেখবেন না। ছয়টি ওয়ার্ডের সমাবেশে হাজার হাজর মানুষ ফখরুল সাহেবের সমাবেশ কি এর থেকে বড়? তবু আমাদের ছবি ছাপে না। আমরা নিজের প্রচারের জন্য রাজনীতি করি না। মুক্তিযু্দ্ধের চেতনা বাঁচাতে রাজনীতি করি। স্বাধীনতা বাঁচাতে, গণতন্ত্রকে বাঁচাতে, স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে বাংলাদেশকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য আমরা রাজনীতি করি।কাদের বলেন, বিএনপি এখন উভয় সংকটে। বিএনপির সামনে বিপদ, আন্দোলনেও বিপদ, নির্বাচনেও ভয়। নেতাও তো ঠিক নেই। কে হবে নেতা? কে হবে তাদের প্রধানমন্ত্রী? সম্মেলন উদ্বোধন করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী। ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আপয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও সাবেক এমপি এ্যাডভোকেট সানজিদা খানম।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২


নির্বাচন ও জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া সরকার পরিবর্তনের কোন সুযোগ নেই : কাদের

নির্বাচন ও জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া সরকার পরিবর্তনের কোন সুযোগ নেই : কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, 'নির্বাচন ও জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া সরকার পরিবর্তনের কোন সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগ যখন রাজপথে নামবে জনগণকে সঙ্গে নিয়েই নামবে'।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আজ সচিবালয়ে তাঁর দপ্তরে ব্রিফিংকালে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে একথা বলেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কথায় কথায় সরকারের পদত্যাগ চাওয়া প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের পাল্টা প্রশ্ন করে তাঁর উদ্দেশে বলেন সরকার কেন পদত্যাগ করবে? আর কার কাছে পদত্যাগ করবে? সরকার একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্বাচিত হয়েছে, যাথাসময়ে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, - সরকার পরিবর্তন চাইলে বিএনপিকে ইতিবাচক রাজনীতিতে ফিরে আসার আহবান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন নৈরাজ্য সৃষ্টি করে সরকার পরিবর্তনের দুঃস্বপ্ন দেখে কোন লাভ নেই।তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি মীমাংসিত ইস্যু,এ নিয়ে মাতামাতি করে কোন লাভ নেই বলেও জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে আওয়ামী লীগের উন্নয়ন ও অর্জনের সাথে এদেশের জনগন রয়েছে, কাজেই অগণতান্ত্রিক পথে বিএনপির ক্ষমতা দখলের খোয়াব অচিরেই ভেঙে যাবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২


জনগণ প্রস্তুত হয়ে আছে চূড়ান্ত আঘাতের জন্য : রিজভী

জনগণ প্রস্তুত হয়ে আছে চূড়ান্ত আঘাতের জন্য : রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জনগণ প্রস্তুত হয়ে আছে চূড়ান্ত আঘাতের জন্য। প্রধানমন্ত্রী আপনি বন্দুক দিয়ে জনগণের শক্তিকে দমাতে পারবেন না। সেই রাইফেল জনগণের শক্তি কোন দিকে ঘুরিয়ে দেবে সেটা চিন্তা করে কথা বলবেন। এখনো সময় আছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন।রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।রুহুল কবির রিজভী বলেন, সারা দেশের মানুষ উত্তাল হয়ে উঠেছে, আর কোনো ব্যারিকেড দিয়ে রাখতে পারবেন না। পথে ঘাটে মাঠে এমন বেরিকেট তৈরি হবে। আজ যারা ফালতু কথা বলছে। হত্যা করার পরেও যারা নানা ভাবে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। জনগণের আক্রোশ থেকে কেউ রেহাই পাবেন না।রিজভী বলেন, বর্তমান দেশের যে পরিস্থিতি, এ অবস্থা আর চলতে দেওয়া যাবে না। গুলি করবেন? সেই গুলিতে শরীর থেকে রক্ত ঝরবে। সেই রক্ত যে মাটিতে পড়বে সেই মাটি আরও তেজস্বী হয়। সেই মাটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধে আরও অঙ্গীকারবদ্ধ হয়। দুই শাওন, নারায়ণগঞ্জের এবং মুন্সিগঞ্জের, আব্দুর রহিম, নূরে আলমের যে রক্ত ঝরেছে নিশ্চয়ই এটা বৃথা যাওয়ার জন্য নয়।নির্বাচন কমিশনারদের উদ্দেশ্য করে রিজভী বলেন, এরা নির্বাচন কী করবে। শেখ হাসিনা যদি দিনকে রাত বলে এরা তাই বলবে। তাই এই সমস্ত চাকর-বাকরদের দিয়ে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসে সবার গ্রহণযোগ্য একটা নির্বাচন কমিশন গঠন করবে, সেই কমিশনের অধীনেই সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনের গ্যারান্টি গণতন্ত্রের মায়ের মুক্তি।তিনি বলেন, যিনি তার জীবনের সব সুখ শান্তি বিসর্জন দিয়ে গণতন্ত্রের পক্ষে জনগণের হয়ে আজীবন সংগ্রাম করেছে এবং এই সরকারের নির্যাতন সহ্য করছেন। এখনো বন্দি হয়ে আছেন। তারপর তিনি মাথা নত করেননি। এই উন্নত মাথার আদর্শ অনুসারী আমরা। সেই মাথা আরও উন্নত হবে শেখ হাসিনার মাথা থুপড়ে পড়বে জনগণের আদালতে।বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, শেখ হাসিনা বলেছিলেন আমাদের একজনকে মারলে ওদের ১০ জনকে মারো, আবার তিনি জাতিসংঘে গিয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন যুদ্ধ বন্ধ এবং শান্তির কথা বলছে। তিনি জাতিসংঘে শান্তির কথা বলছেন, আর দেশে তার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বিরোধী দলের চার সিপাহ শালার হত্যা করছে। তিনি জাতিসংঘের শান্তির কথা বলছে, একই সময়ে এদেশে রক্ত ঝরছে।লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মীর সরাফত আলী সফু, অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় সহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীরা।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২