রাজনীতি


চট্টগ্রামের সেই ডিসির বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ

চট্টগ্রামের সেই ডিসির বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ

নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।প্রধান নির্বাচন কমিশনার, সংস্থাপন সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিব, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বরাবর আজ শনিবার ই-মেইলে সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী ওই আইনি নোটিশ পাঠান।‘আওয়ামী লীগ প্রার্থীর জয় চেয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার মোনাজাত ও বক্তৃতা’ শিরোনামে অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত খবরের প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন নোটিশদাতা আইনজীবী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান। নোটিশের ভাষ্য, বক্তব্যে রিটার্নিং কর্মকর্তা একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষে ভোট চেয়েছেন এবং অন্যদের ওই রাজনৈতিক দলের জন্য দোয়া করতে অনুরোধ করেছেন। জেলা প্রশাসক ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে তাঁর নিরপেক্ষ ভূমিকা থাকা উচিত ছিল। অনুষ্ঠিত দোয়া অনুষ্ঠানে একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর জয় কামনা করে নোটিশগ্রহীতার (ডিসি) আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য জেলা পরিষদ নির্বাচনে তাঁর ভূমিকা নিয়ে অন্য প্রার্থীদের মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কা ও সন্দেহের সৃষ্টি করেছে।শেখ হাসিনা রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকলে আ.লীগ, বিএনপি, জামায়াত সব দলই নিরাপদে থাকবে : ডিসি চট্টগ্রামরিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নোটিশগ্রহীতার (ডিসি) ওই বক্তব্য থেকে একটি রাজনৈতিক দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রভাব বিস্তারের সমূহ সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে আইনি নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, সব ভোটার ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা এমতাবস্থায় আস্থাহীনতায় ভুগছেন। নোটিশগ্রহীতার (ডিসি) কার্যকলাপে নির্বাচনী ফলাফল প্রভাবিত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।অভিযোগ করে নোটিশে বলা হয়, রিটার্নিং কর্মকর্তার (ডিসি) মাধ্যমে ২০১৬ সালের জেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ৭৯, ৮০ ও ৮১ বিধির লঙ্ঘন হওয়া সত্ত্বেও অপর নোটিশগ্রহীতারা সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন, যা আপনাদের অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্যের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। নোটিশের শেষাংশে বলা হয়, নোটিশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নোটিশগ্রহীতার (ডিসি) বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হলে নোটিশদাতা আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হবেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২


আ. লীগ দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে ভেঙে ফেলেছে : মির্জা ফখরুল

আ. লীগ দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে ভেঙে ফেলেছে : মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন এখন নষ্ট হয়ে গেছে, কলুষিত হয়ে গেছে। বাংলাদেশের রাজনীতির কাঠামো ভেঙে পড়েছে। আওয়ামী লীগ দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে ভেঙে ফেলেছে। নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করার নিয়ম থাকলেও সেই নির্বাচনে জনগণ অংশ নিতে পারে না।আজ শনিবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ড. মোশাররফ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে প্রয়াত গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ারের স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।মাজহারুল আনোয়ারের স্মরণে রাষ্ট্রীয় কোনো উদ্যোগ না থাকায় আক্ষেপ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তাঁকে স্মরণ করার জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এমন দেশে বাস করি, এমন রাজার রাজত্বে বাস করি, যারা এই দেশকে বিভক্ত করে ফেলেছে। দেশের সব অঙ্গনে বিভক্তি।’ তিনি বলেন, মাজহারুল আনোয়ার অনেক গুণের অধিকারী মানুষ। তাঁর অবদান ও সৃষ্টি পাহাড়সম। তাঁর গান চিরকাল থাকবে।মির্জা ফখরুল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে গাজী মাজহারুল আনোয়ারের গান জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে অনুপ্রাণিত করেছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার সেই জাতিকে বিভক্ত করেছে। সব ক্ষেত্রেই আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দুই পক্ষ।দেশকে বর্তমান পরিস্থিতি থেকে থেকে রক্ষার করার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশকে রক্ষার দায়িত্ব বিএনপির একার না। বিএনপি সব শক্তি দিয়ে চেষ্টা করছে। সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, যাঁর গানে মানুষ অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন, তাঁর স্মরণসভা জাতীয়ভাবে হওয়া উচিত ছিল। গাজী মাজহারুল আনোয়ার দেশের সব বড় বড় সম্মান ও পদকে ভূষিত হয়েছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২


বিএনপি দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় : হানিফ

বিএনপি দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় : হানিফ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, কিছুদিন আগে মির্জা ফখরুল সাহেব বললেন, বর্তমান বাংলাদেশের অবস্থা নাকি পাকিস্তান আমলেই ভাল ছিল। তার এ কথার মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয় যে, তিনি পাকিস্তানের আদর্শে বিশ্বাসী। তারা যে সব রাজাকারের বংশধর, তা তাদের কথাবার্তাতেই প্রমাণিত হচ্ছে।‘তারা এখনো আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশে বিশ্বাস করে না, দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি দেখতে পারে না। তারা চায়, বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হোক। দলটির অধিকাংশ নেতাই পাকিস্তানী আদর্শের অনুসারী। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত নতুন করে রাজপথে নেমেছে। সভা-সমাবেশের নামে তাণ্ডব চালাচ্ছে। তারা উস্কানি দিচ্ছে, পায়ে পা দিয়ে গন্ডগোল করার চেষ্টা করছে। এদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ তাদের ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়ে যায়নি।শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার শুরুতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, গোলযোগ সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীল করাই বিএনপির লক্ষ্য। তারা যেকোনো মূল্যে সরকারের পতন ঘটাতে চায়। তারা বলে তারা নির্বাচনে যাবে না। কারণ তারা জানে, তাদের দলের দুই শীর্ষ নেতা দুর্নীতি, সন্ত্রাসী ও হত্যার দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত। জনগণ তাদের ভোট দেবে না।তিনি বলেন, বিএনপির লক্ষ্য সরকারের পতন ঘটানো। তাদের ধারণা, এমনটি করতে পারলেই অন্য কোনো সামরিক সরকার এসে সব দণ্ড মওকুফ করে নির্বাচন করার সুযোগ দেবে। কিন্তু বাংলাদেশে এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের কোনো সুযোগ নেই।হানিফ বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা আশা করি, সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেবে। তারপরও যদি কোনো দল অংশ না নেয়, তাহলে সেটা তাদের ব্যাপার। আমরা সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করতে চাই।অতীতে আন্তর্জাতিক পরিসরে বঙ্গবন্ধুকন্যার মতো অন্য কোনো বাংলাদেশি রাষ্ট্রনায়ক এমনভাবে মূল্যায়িত হননি উল্লেখ করে হানিফ বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইতিবাচক মূল্যায়ন সম্মান-গৌরবের। শেখ হাসিনার ওপর দেশের মানুষের আস্থা আছে, বর্হিবিশ্বেরও আস্থা আছে।তিনি বলেন, শ্রীলংকা দেউলিয়া হওয়ার কারণে সে দেশের সরকারের পতন হয়েছে। সে সময় আমাদের দেশের কিছু রাজনীতিবিদ, বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াতের নেতারা বলেছিলেন, দেশের অবস্থা খুব খারাপ, শ্রীলংকার পথে হাঁটছে। তখন আমরা বলেছি, বাংলাদেশ কখনো শ্রীলংকা হবে না।বিএনপির শাসনামলে দেশে ভয়াবহ খাদ্যঘাটতি ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে প্রথমে গুরুত্ব দিয়েছেন কৃষিকে। তিনি কৃষকের দোরগোড়ায় সার পৌঁছে দিয়েছেন। ভালো বীজ, সারের সুষম বণ্টনের কারণে আজ আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।হানিফ বলেন, করোনার পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়েছে। নেদারল্যাণ্ডসে ৩০ শতাংশ, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও যুক্তরাজ্যে ২০-৩০ শতাংশ দাম বেড়েছে। বাংলাদেশ এ বিশ্বব্যবস্থার বাইরে নয় বলেই কিছু জিনিসের দাম বেড়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২


শেখ হাসিনা রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকলে আ.লীগ, বিএনপি, জামায়াত সব দলই নিরাপদে থাকবে : ডিসি চট্টগ্রাম

শেখ হাসিনা রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকলে আ.লীগ, বিএনপি, জামায়াত সব দলই নিরাপদে থাকবে : ডিসি চট্টগ্রাম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাতে আবারও ক্ষমতায় আসেন, সে জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। এ জন্য বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর দোয়া করা উচিত বলেছেন তিনি। তিনি আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর জয় চেয়েও মোনাজাত করেন।বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এক সম্প্রীতি সভায় ডিসি বলেন, ‘আমি মনে করি, বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে যদি থাকে, তাহলে আমাদের দেশে আওয়ামী লীগ বলি, বিএনপি বলি, জামায়াত বলি—সবাই নিরাপদ থাকবে। আমি মনে করি, বিএনপি-জামায়াতেরও এখন দোয়া করা উচিত শেখ হাসিনা যেন আবার ক্ষমতায় আসেন।’জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আসন্ন দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে সম্প্রীতি সভার আয়োজন করা হয়। ওই দিন ছিল জেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন।বেলা ১১টার দিকে সভা চলাকালে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম সেখানে ঢুকে পড়েন। নেতা-কর্মীদের নিয়ে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তা ডিসি মমিনুরের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এই নির্বাচনে পেয়ারুলসহ তিনজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর সবাই হাত তুলে মোনাজাতে অংশ নেন। এ সময় ডিসিও নেতাদের সঙ্গে হাত তুলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী পেয়ারুলের জয় কামনা করেন।মনোনয়ন জমা দিয়ে নেতারা সম্প্রীতি সভায় বসে পড়েন। ডিসি মমিনুর বলেন, এখানে আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগরের সকল পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত আছেন। কিছু কথা বলি। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, সেটা নস্যাৎ করতে দেশি-বিদেশি, আন্তর্জাতিকভাবে ষড়যন্ত্র চলছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২


বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যকে আবারো দেশবিরোধী ও রাষ্ট্রদ্রোহী বললেন কাদের

বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যকে আবারো দেশবিরোধী ও রাষ্ট্রদ্রোহী বললেন কাদের

বাংলাদেশের অগ্রগতি,সাফল্য, উন্নয়ন ও অর্জন যখন বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত তখন বিএনপি মহাসচিবের পাকিস্তান আমলের প্রশংসা করা অত্যন্ত দুঃখজনক। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আজ এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিবের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহীমূলক বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে একথা বলেন। এখনকার তুলনায় পাকিস্তান আমল নাকি ভালো ছিল, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন রাষ্ট্রদ্রোহী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বিএনপির চিরাচরিত বাংলাদেশ বিরোধী অবস্থান ও স্বাধীনতা বিরোধী অপরাজনীতির গোপন অভিসন্ধির আবারও বর্হিপ্রকাশ ঘটেছে।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিবৃতিতে আরও বলেন স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, প্রগতি ও দেশপ্রেম বিশ্বাসী কোন ব্যক্তি কিংবা সংগঠন এ ধরনের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী মন্তব্য করতে পারে না। বিএনপি নেতাদের এধরণের পাকিস্তান প্রীতি বক্তব্য প্রমাণ করে মহান স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে তারা এখনও বাংলাদেশে পাকিস্তানি ধারার রাজনীতি প্রবর্তন করতে চায় বলেও মনে করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন পাকিস্তান পার্লামেন্ট ও গণমাধ্যমে যখন বাংলাদেশের অগ্রসরমান অর্থনীতির উচ্চশিত প্রশংসা করা হচ্ছে, তখন বিএনপি মহাসচিব নির্লজ্জভাবে পাকিস্তানের দালালি করছে।বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন স্বাধীন বাংলাদেশে যারা রাজনৈতিক ভাবে এবং পারিবারিক ভাবে পাকিস্তানি দর্শনের রাজনীতিকে লালন করে তারা স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এখনও "পেয়ারে পাকিস্তান" মন্ত্র জপছে।বিএনপি মহাসচিবের এ ধরনের বক্তব্য শুধু রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিলই নয়,৩০ লাখ শহীদের রক্তের সাথে বেঈমানী করা বলেও মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২


যেকোনো অপশক্তিতে রুখে দিতে নেতাকর্মীদের রাজপথে থাকার আহবান নানকের

যেকোনো অপশক্তিতে রুখে দিতে নেতাকর্মীদের রাজপথে থাকার আহবান নানকের

যেকোনো অপশক্তিতে রুখে দিতে নেতাকর্মীদের রাজপথে থাকার আহবান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট বাংলাদেশের মাটিতে আগুন সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদের সৃষ্টি করেছে। কিন্তু শেখ হাসিনা এসবকে কখনোই প্রশ্রই দেয় নি। কিন্তু এই অপশক্তি এখনো ঘাপটি মেরে বসে আছে। তাই যেকোনো অপশক্তিতে রুখে দিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের রাজপথে থাকতে হবে।বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের অন্তর্গত ওয়ারী থানা এবং ৩৮, ৩৯ ও ৪০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আমরা এখন গুরুত্বপূর্ণ একটি সময় পার করছি। বাংলাদেশের বুকে কিছু অপশক্তি ঘাপটি মেরে বসে আছে, দেশকে অস্থিতিশীল করতে। আমাদের এসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এই অপশক্তিই গ্রেনেড হামলা করে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। তারা আওয়ামী লীগকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করে দিতে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিলো। এখন তারাই আবার গণতন্ত্রের কথা বলে বেড়ায়। তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন একটি রোডম্যাপ দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সকলকে নির্বাচনে আসতে হবে। সংবিধান অনুযায়ী দেশে যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমাদের সংবিধানের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। কোন হাগডাগ দিয়ে লাভ হবে না।বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, তারা পল্টনে বসে হুংকার দেয়, তাদের এই হুংকার গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেলের মত। তাদের হুংকারে জনগণ ভয় পাবে না। এই বাংলার জনগণ তাদের জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতির কথা ভূলে নাই। আবার কোনো দেশবিরোধী কাজ করতে আসলে জনগণই তাদের ঠেকাবে।ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আশিকুর রহমান লাভলুর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক হাজী আবুল হোসেনের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহিসহ প্রমুখ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২


বিএনপির সমাবেশস্থলে লাঠিসোঁটা নিয়ে ক্ষমতাসীনদের অবস্থান

বিএনপির সমাবেশস্থলে লাঠিসোঁটা নিয়ে ক্ষমতাসীনদের অবস্থান

রাজধানীর মিরপুরে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।বিএনপি নেতাদের দাবি, পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে মিরপুরে তিনটি স্থানে সমাবেশ করার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুপুর ১টার দিকে মিরপুর-৬ কাঁচাবাজারের সামনে মঞ্চ তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়। অনুমতি পাওয়ার পর মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু করলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চারদিক থেকে হামলা শুরু করে। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রতিরোধ গড়ে তুললে উভয় পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সেখানে পুলিশ থাকলেও তারা আওয়ামী লীগ কর্মীদের হামলা ঠেকাতে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। উল্টো তারা বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপির সমাবেশের জন্য অস্থায়ী মঞ্চ তৈরিকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। এ ঘটনায় মিরপুর-৬ সড়কে ঘণ্টাব্যাপী যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে ধীরে-ধীরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করেছে দাবি করে আমিনুল হক বলেন, ঘটনার সময় পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তারা বিএনপির নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাস ও গুলি নিক্ষেপ করেছে।ঘটনার বিষয়ে জানাতে ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র নেতারা ডিএমপি কমিশনারের অফিসে যাচ্ছেন বলেও জানান আমিনুল হক।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২


বিএনপি পরাজয়ের ভয়ে আক্রান্ত, তাই নির্বাচনে আসতে চায় না : কাদের

বিএনপি পরাজয়ের ভয়ে আক্রান্ত, তাই নির্বাচনে আসতে চায় না : কাদের

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ কখনও খালি মাঠে গোল দিতে চায় না। আওয়ামী লীগ চায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন। সরকার সব দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে বিশ্বাসী। নির্বাচনে অংশ নেয়া সব দলের রাজনৈতিক অধিকার। কিন্তু বিএনপি পরাজয়ের ভয়ে আক্রান্ত, তাই নির্বাচনে আসতে চায় না।সরকার জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী চায় না, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রকৃতপক্ষে বিএনপিই নির্বাচনকে ভয় পায়। শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা নিয়ে তাদের যত ভয়। বিএনপি হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দ্বিধাগ্রস্ত।বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) নিজ বাসভবনে ব্রিফিংকালে মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এসব কথা বলেন।বর্তমানে খালেদা জিয়া, তার অবর্তমানে তারেক রহমান বিএনপির সর্বোচ্চ নেতা- বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সেতুমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত, আর যার নেতৃত্বে বিএনপি সুসংগঠিত বলে মির্জা ফখরুল দাবি করেন সেই তারেক রহমান তো দুর্নীতির বরপুত্র, দণ্ডিত পলাতক আসামি।কাদের বলেন, রাজনীতি না করার শর্তে যিনি (তারেক রহমান) মুচলেকা দিয়ে দেশ থেকে পালিয়েছেন, দলের বিপদ দেখেও এমন পলায়নপ্রিয় আর পলাতক আসামি কীভাবে বিএনপির নেতা হয়?আওয়ামী লীগ নাকি সন্ত্রাসী দল, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নয়, প্রকৃতপক্ষে বিএনপিই দেশ-বিদেশে স্বীকৃত সন্ত্রাসী দল। কানাডার আদালতেও বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।আওয়ামী লীগ মাটি ও মানুষের সংগঠন এবং জনগণের আস্থার ঠিকানা, এমন দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সন্ত্রাসবাদ ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকার এবং আওয়ামী লীগের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর। সন্ত্রাস তারাই করে, যারা জনবিচ্ছিন্ন এবং আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ। জনকল্যাণে যাদের কোনো ইতিবাচক কর্মসূচি থাকে না তারাই সন্ত্রাস-ষড়যন্ত্রকে ক্ষমতার যাওয়ার হাতিয়ার হিসেবে বেছে নেয়। বিএনপিও তাই করছে।নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিএনপির নেতাদের বিভিন্ন মন্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, কমিশনকে তারা বিতর্কিত করতে চায়। নির্বাচন ব্যবস্থাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশ্যমূলক অপতৎপরতা চালায় বিএনপি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২


সর্বাধিক পঠিত

মশিউর রহমান রাঙ্গাকে জাতীয় পা‌র্টি থেকে অব্যাহতি

মশিউর রহমান রাঙ্গাকে জাতীয় পা‌র্টি থেকে অব্যাহতি

দ‌লের সা‌বেক মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গাকে দ‌লের প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ সকল পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি দি‌য়ে‌ছে জাতীয় পা‌র্টি।বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের দলীয় গঠনতন্ত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এই সিদ্ধান্ত নেন। ইতোমধ্যে এ আদেশ কার্যকর হয়েছে ব‌লে দ‌লের প্রেস উইং থে‌কে জানা‌নো হ‌য়ে‌ছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২


তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুঃস্বপ্ন দেখে লাভ নেই, এটি এখন জাদুঘরে : কাদের

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুঃস্বপ্ন দেখে লাভ নেই, এটি এখন জাদুঘরে : কাদের

বিএনপি আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করবে কিন্তু তাদের আন্দোলনের নেতা কে এমন প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন বিএনপির আন্দোলনেরও নেতা নেই, নির্বাচনেও নেতা নেই।বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।আগামী জাতীয় নির্বাচন পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মত বাংলাদেশেও যথাসময়ে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন নির্বাচনকালীন সময়ে সরকার শুধু রুটিন দায়িত্ব পালন করবে।তত্তাবধায়ক সরকারের দুঃস্বপ্ন দেখে কোন লাভ নেই, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন জাদুঘরে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।বিএনপি জাতীয় সরকার গঠন করবে কিন্তু ঐ সরকারের নেতা কে তা কেউ জানে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন মির্জা ফখরুল বড় বড় কথা বলেন, ঢাল নাই, তলোয়ার নাই, নিধিরাম সর্দার।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন বিএনপির সকল বিষোদগার আর অপপ্রচারের জবাব দেওয়া হবে শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের মাধ্যমে।বিএনপি যদি আবারও আন্দোলনের নামে আগুন সন্ত্রাস নিয়ে মাঠে নামে তাহলে জনগণকে নিয়ে কঠোরভাবে তার জবাব দেওয়া হবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেন আওয়ামী লীগ কখনো আক্রমণ করবে না কিন্তু যতক্ষণ না পর্যন্ত আক্রান্ত হই,আক্রান্ত হলে এর জবাব দিতে প্রস্তুত।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন দলের মধ্যে অন্তঃকলহ দুর করতে হবে, দলের দুঃসময়ের ত্যাগী কর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে।তিনি আরো আওয়ামী লীগে বসন্তের কোকিলদের নেতা বানানো যাবে না।দলের দ্বন্দ্ব চিরতরে পরিহার করতে হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন দল যদি ঐক্যবদ্ধ না থাকে তাহলে নির্বাচনে সফলতা আসবে না, তাই অবশ্যই দলের ভিতরে দ্বন্দ্ব দুর করতে হবে।আওয়ামী লীগ রাজপথ থেকে এসেছে, রাজপথে আসে - যতই দুঃসময় আসুক রাজপথে থাকবে এমনটা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্য করে বলেন কাজেই আওয়ামী লীগকে রাজপথের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২


ভারত সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন বিকেলে

ভারত সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন বিকেলে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সদ্য সমাপ্ত ভারত সফর নিয়ে আজ বুধবার সংবাদ সম্মেলন করবেন। আজ বিকেল চারটায় এ সংবাদ সম্মেলন হবে।প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম গত সোমবার বাসসকে এসব কথা বলেন।৫ সেপ্টেম্বর চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ও একান্ত বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী।এতে নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিনিয়োগ, বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সহযোগিতা, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, মাদক চোরাচালান, মানব পাচার রোধসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়।প্রধানমন্ত্রীর সফরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাতটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়।স্মারক সই শেষে দুই প্রধানমন্ত্রী যৌথ বিবৃতি দেন। শেখ হাসিনা ৮ সেপ্টেম্বর রাতে দেশে ফেরেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২


জবাবদিহিতার অভাবে সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে দুর্নীতি প্রবেশ করেছে : জি এম কাদের

জবাবদিহিতার অভাবে সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে দুর্নীতি প্রবেশ করেছে : জি এম কাদের

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, অনিয়ম, দূর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির কারণে দেশের মানুষ কষ্টে আছে। তিনি বলেন, জবাবদিহিতার অভাবেই সমাজের রন্দ্রে-রন্দ্রে দূর্নীতি ছেঁয়ে গেছে। শুধু জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা গেলেই দেশ থেকে দূর্নীতি বিদায় করা সম্ভব। আর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিকল্প নেই। ১৯৯০ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বারবার রাষ্ট্রক্ষমতায় গিয়ে জবাবদিহিতাহীন রাজনৈতিক সংস্কৃতি সৃষ্টি করেছে। যদি ৫ বছর পর পর রাজনীতিবিদদের সাধারণ মানুষের কাছে যেতে হয় তাহলেই সকলক্ষেত্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে। দুটি দলই রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে আর ক্ষমতা ছাড়তে চায় না। একারণেই দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।আজ দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে আলোচনায় জিএম কাদের এসব কথা বলেন। এসময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, নির্বাচন কমিশন ক্ষমতাসীনদের ভাষায় কথা বলছে। দায় এড়াতেই নির্বাচন কমিশন আগাম অনেক কথা বলছেন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা বলছেন নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা তাদের কাজ নয়। তাদের বোঝা উচিত, সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত না হলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। বেশির ভাগ রাজনৈতিক দলের মতামত উপেক্ষা করে, নির্বাচন কমিশন হঠাৎ করেই ইভিএম-এ নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নির্বাচন কমিশন বলেছে, সকল দল চাইলে ব্যালট-এ নির্বাচন হবে। আসলে নির্বাচন কমিশনের বলা উচিত ছিলো সবাই চাইলে ইভিএম-এ নির্বাচন করা হবে। কারণ, ব্যালট পেপারে নির্বাচন বিদ্যমান এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। দেশের মানুষ ব্যালটেই ভোট দিতে চায়। তাছাড়া, উন্নত বিশ্বসহ প্রতিবেশি অনেক দেশ এখন ইভিএম বর্জন করছে। নির্বাচন কমিশনের উচিত একটি স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজনে চেষ্টা করা। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সক্ষম হবেন না বুঝতে পারলে আগে ভাগেই নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন। কারণ, নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে আগামী প্রজন্ম কাউকেই ক্ষমা করবে না।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২


‘বাংলাদেশে সহিংসতা বন্ধে একটি মাত্র পথ হচ্ছে—নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার’

‘বাংলাদেশে সহিংসতা বন্ধে একটি মাত্র পথ হচ্ছে—নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে চিরকালের জন্য সহিংসতা বন্ধ করার একটি মাত্র পথ হচ্ছে— নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আবারও চালু করা।মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব। বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপি।নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাবেক মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ বলে— তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে নেই। আরে সংবিধান পরিবর্তন করেই তো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংযুক্ত করা হয়েছিল। আমরাই (বিএনপি) সংবিধান বদল করে (তত্ত্বাবধায়ক সরকার) করেছিলাম। এখন আপনাদের (আওয়ামী লীগ) সংসদে মেজরিটি আছে, সুতরাং খুব সহজে সংবিধান পরিবর্তন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংযুক্ত করুন।সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ইতিহাস যেটা বলে, এ ধরনের অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে এবং জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কোনো সরকারই বেশিদিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি। ফ্যাসিবাদী সরকারগুলো দমন-নিপীড়নের মাধ্যমে বেশিদিন ক্ষমতায় থাকে। এবার বাংলাদেশে যেটা দেখা যাচ্ছে যে খুন-গুমের মধ্যেই মানুষ জেগে উঠেছে।তিনি বলেন, ভোলায় গুলি হওয়ার পরও সাধারণ মানুষ ভয় পায়নি। নেতাকর্মীরাও ভয় পাননি। একইভাবে তারপর থেকে সারা দেশে আন্দোলনগুলো চালিয়ে যাচ্ছে তারা। শুধু শহরগুলোতে নয়, গ্রাম-ইউনিয়ন পর্যন্ত বড়-বড় মিছিল হচ্ছে। আমরা মনে করি, মানুষ জেগে উঠেছে, এটাই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা গণতান্ত্রিক দল। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই সরকারকে দাবি মেনে নিতে বাধ্য করব।মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণের দাবি খুবই সামান্য। নির্বাচনকে নির্বাচনের মতো করে করা। নির্বাচনকে ঠিক করা, সুস্থ করা। নির্বাচনকালীন সময়ে আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনা যদি ক্ষমতা থাকে তাহলে সেই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। সুতরাং তাদের পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২


আ.লীগের সকল পদ থেকে বাদ পড়লেন পঙ্কজ দেবনাথ

আ.লীগের সকল পদ থেকে বাদ পড়লেন পঙ্কজ দেবনাথ

বরিশাল জেলা শাখা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বরিশাল-৪ আসনের (হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ) সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে অব্যাহতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। এ বিষয়ে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তাকে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।শনিবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরে একটি অব্যাহতিপত্র পঙ্কজ দেবনাথকে দেয়া হয়েছে।অব্যাহতিপত্র পাওয়ার তথ্য রবিবার সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন নানা অনিয়মে দলের মধ্যে কোণঠাসা হয়ে পড়া এমপি পঙ্কজ দেবনাথ।তিনি বলেন, আমাকে বহিষ্কার করা হয়নি। আমাকে দল থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। এই চিঠি আমিও পেয়েছি। কিন্তু কেন দিয়েছে তা আমি জানি না। জানার চেষ্টা করছি।পঙ্কজ দেবনাথকে দেয়া চিঠিতে লেখা হয়-‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদ সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী অর্পিত ক্ষমতাবলে প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে আপনাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বরিশাল জেলা শাখার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য পদসহ দলীয় অন্যান্য সকল পদ হতে অব্যাহতি প্রদান করেছে। উক্ত বিষয়ে আপনার লিখিত জবাব আগামী পনের (১৫) দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় দপ্তর বিভাগে জমা প্রদান করার জন্য সাংগঠনিক নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।’এর আগে ক্যাসিনোকাণ্ডে নাম আসার পর ২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথকে সংগঠনের সব ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৭ বছর ধরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদে ছিলেন তিনি।গেল জুলাই মাসে বরিশাল-৪ আসনের সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথের সঙ্গে এক পুলিশ কর্মকর্তার কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেখানে তাকে প্রয়োজনে মেহেন্দীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র কামাল উদ্দিন খানকে কোপানোর নির্দেশনা দিতে শোনা যায়।এছাড়াও সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি ও নৈরাজ্যের অভিযোগও আছে। ২০১৯ সালে তার বিরুদ্ধে অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্য, দুর্নীতি, দখল সন্ত্রাস, টেন্ডারবাজি, জমি দখল এবং অবৈধভাবে অর্থ সম্পদ অর্জনসহ ১৬টি অভিযোগ তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন সঞ্জয় চন্দ্র নামের এক আওয়ামী লীগ নেতা।এর এক বছর আগে ২০১৮ সালে তার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে যোগসাজশসহ নানা অনিয়ম-নৈরাজ্যের অভিযোগ আনেন মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সাগরসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২


মির্জা ফখরুলের ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও উস্কানিমূলক’ মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে আওয়ামী লীগ

মির্জা ফখরুলের ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও উস্কানিমূলক’ মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে আওয়ামী লীগ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাষ্ট্রের পুলিশ বাহিনীকে এখন নতুন করে প্রতিপক্ষ বানাচ্ছে বিএনপি। তারা এখন পুলিশ বাহিনীকেও হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ঘৃণ্য মিথ্যাচার, রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও উস্কানিমূলক মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতেই বিবৃতিটি দেওয়া হয়।ওবায়দুল কাদের বলেন, রাষ্ট্রের পুলিশ বাহিনীকে এখন নতুন করে প্রতিপক্ষ বানাচ্ছে বিএনপি। পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে মর্মে মির্জা ফখরুল যে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন- এই থেকে প্রমাণ হয়, তারাই তথাকথিত নিষেধাজ্ঞা ষড়যন্ত্রের হোতা। তারাই র‍্যাবের কতিপয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার জন্য লবিস্ট নিয়োগ করেছিল। এখন পুলিশ বাহিনীকেও হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।বিএনপি অতীতের ভুলের মাশুল দিচ্ছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে, পুলিশের ওপর হামলা করবে আর পুলিশ কি চেয়ে থাকবে? রাষ্ট্রের জনগণ ও জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ কি বিধিবদ্ধ দায়িত্ব পালন করবে না? হত্যা, ষড়যন্ত্র আর সন্ত্রাসের রাজনীতির প্রতিফল ভোগ করছে বিএনপি। তারা এখনও অতীত থেকে শিক্ষা নেয়নি। অতীতের ভুলের মাশুল দিচ্ছে। এখনও যদি গণতন্ত্রের পথে ফিরে না আসে, তাহলে ব্যালটের মাধ্যমে জনগণ তার জবাব দেবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২


সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে আদম তমিজির গভীর শোক

সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে আদম তমিজির গভীর শোক

বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন হক গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য আদম তামিজি হক।সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে এক শোকবার্তায় প্রয়াতের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান ।আদম তামিজি হক বলেন, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ‘দেশ ও মানুষের কল্যাণে অসামান্য অবদান রেখেছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তাঁর মৃত্যুতে রাজনীতির মাঠে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা সহসাই পূরণ হওয়ার নয়। সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে দেশ এক বরেণ্য রাজনৈতিক অভিভাবককে হারালো।’ রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টা ৪০ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তিনি ইন্তেকাল করেছেন। সাজেদা চৌধুরীর ছেলে শাহদাব আকবর চৌধুরী লাবু তার মায়ের মৃত্যুর তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। উচ্চরক্তচাপসহ বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যা নিয়ে আগস্টের শেষের দিকে ঢাকার সিএমএইচে ভর্তি হন তিনি। আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের এই কান্ডারী দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন।ফরিদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। তিনি এক সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বেও ছিলেন। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি জাতীয় সংসদের উপনেতা হন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২


সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে হুইপ স্বপনের শোক প্রকাশ

সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে হুইপ স্বপনের শোক প্রকাশ

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।রোববার রাতে শোকবার্তায় এই তথ্য জানানো হয়।শোকবার্তায় হুইপ স্বপন বলেন, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ ভূমিকা রেখেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী দলের অন্যতম কাণ্ডারীর ভূমিকা পালন করেছিলেন।তিনি বলেন, দেশ ও জনগণের কল্যাণে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর অবদান ও ত্যাগ জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। তার মৃত্যুতে আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গনে তথা দেশের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল।হুইপ স্বপন মরহুম সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২


সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে জাহাঙ্গীর কবির নানকের শোক

সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে জাহাঙ্গীর কবির নানকের শোক

বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, সংসদ উপনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলী সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। এক শোকবার্তায় মরহুমার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা ও শোকার্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, "সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে দেশবাসী বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন পরীক্ষিত সৈনিক ও দক্ষ মুক্তিযুদ্ধের সংগঠককে হারালো। সেই সাথে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হারালো একজন অভিভাবককে। আজীবন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রেখে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগ্রামের আপোষহীন ছিলেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। তাঁর মৃত্যু গনতান্ত্রিক অভিযাত্রায় এক অপুরনীয় ক্ষতি। এ শুন্যতা পূরন হবার নয়"।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২


না ফেরার দেশে চলে গেলেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী

না ফেরার দেশে চলে গেলেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী

জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী আর নেই। রোববার রাত ১১টা ৪০ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।সাজেদা চৌধুরী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। ফরিদপুর–২ আসন থেকে তিনি একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।বেশ কয়েক বছর ধরেই অসুস্থ ছিলেন সাজেদা চৌধুরী। গত সপ্তাহে তাঁকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি তিন ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তাঁর স্বামী গোলাম আকবর চৌধুরী ২০১৫ সালের নভেম্বরে মারা যান।সাজেদা চৌধুরীর মরদেহ ঢাকা থেকে সোমবার দুপুরে নেওয়া হবে তাঁর নির্বাচনী এলাকা ফরিদপুরের নগরকান্দায়। সেখানে জানাজা শেষে আবার তাঁর মরদেহ ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হবে। ঢাকায় একটি জানাজা হবে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায়। তাঁকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানান তাঁর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মো. শফিউদ্দিন চৌধুরী।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২


উত্তরায় বিএনপি’র সমাবেশের এক কি.মি. দূরে লাঠিসোঁটা নিয়ে আ.লীগের সমাবেশ, উত্তেজনা

উত্তরায় বিএনপি’র সমাবেশের এক কি.মি. দূরে লাঠিসোঁটা নিয়ে আ.লীগের সমাবেশ, উত্তেজনা

পূর্বঘোষণা অনুযায়ী রাজধানীর উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ইনস্টিটিউটের সামনে সমাবেশ শুরু করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা বিএনপি। এর থেকে এক কিলোমিটার দূরে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরে নবাব হাবিবুল্লাহ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনের সড়কে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও লাঠিসোঁটা হাতে সমাবেশ করছেন। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য হাবিব হাসান।‌দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতা–কর্মীদের পাল্টাপাল্টি এ অবস্থানে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। আজ রোববার বেলা তিনটা থেকে উত্তরা–পূর্ব জোনের তিনটি থানার নেতা-কর্মীদের নিয়ে নানা দাবিতে এ সমাবেশ চলছে। বিএনপি এ সমাবেশে বাধা আসতে পারে এমন আলোচনা গতকাল শনিবার থেকেই ছিল। বিএনপির সভামঞ্চ থেকেও সমাবেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। সমাবেশে আসার সময় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির নেতারা।বিএনপির সমাবেশস্থলের আশপাশের এলাকাতেও ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে। বিএনপির এ কর্মসূচি ঘিরে দুপুর থেকেই সমাবেশস্থলের আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন দেখা গেছে। সমাবেশস্থলে যাওয়ার প্রবেশপথে পুলিশ সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন।উত্তরার স্থানীয় একটি সূত্র বলছে, বিএনপির সমাবেশ প্রতিহত করতেই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা রাস্তায় নেমে এসেছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতার কারণে এখন পর্যন্ত অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি।রাজধানীর ১৬টি স্থানে অঞ্চলভিত্তিক প্রতিবাদ সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিল বিএনপি। গতকালের এ ঘোষণার পর আজ উত্তরা এলাকায় উত্তরখান, দক্ষিণখান ও উত্তরা–পূর্ব থানার নেতা-কর্মীদের নিয়ে এ সমাবেশ করা হচ্ছে।জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং ভোলা ও নারায়ণগঞ্জে পুলিশের গুলিতে তিন নেতা-কর্মী নিহতের প্রতিবাদে এ সমাবেশ করবে বিএনপি। গতকাল বিকেলে নয়াপল্টনে এক সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। গতকাল পল্টন, মতিঝিল ও শাহজাহানপুর অঞ্চল বিএনপির সমাবেশের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হয়। ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর ১৬টি জায়গায় সমাবেশ হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২