রাজনীতি


মেগাপ্রজেক্ট নয়, জনকল্যাণমুখী প্রকল্প নিয়ে আসুন: প্রধানমন্ত্রী

মেগাপ্রজেক্ট নয়, জনকল্যাণমুখী প্রকল্প নিয়ে আসুন: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ক্ষুদ্র, গ্রামীণ বা জনকল্যাণমুখী প্রকল্প নিয়ে আসতে বলেছেন।আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সভাপতিত্বকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মেগাপ্রজেক্ট করা যাবে না, তবে ক্ষুদ্র, গ্রামীণ প্রকল্প বা কল্যাণমুখী প্রকল্পে কোনো আপস করা যাবে না।'একনেক সভাপতি শেখ হাসিনা যে কোনো বড় প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে পুঙ্খানুপুঙ্খ সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।তিনি দেশের সর্বত্র অনাবাদী জমি চিহ্নিত করে চাষের জন্য প্রস্তুত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলেন।'প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, 'উৎপাদন বাড়াতে হবে। এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদী রাখা যাবে না' উদ্ধৃতি দিয়ে মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে জেলা প্রশাসকদের সহায়তায় অনাবাদী জমি চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।প্রধানমন্ত্রী চলমান বিশ্ব মন্দার মধ্যে সবাইকে মিতব্যয়ী হতে এবং অপচয় বন্ধ করতে বলেছেন।একনেক সভায় মোট তিন হাজার ৯৮১ দশমিক ৯০ কোটি টাকা আনুমানিক ব্যয়ের সাতটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে (শুধু ৩টি সংশোধিত প্রকল্পের অতিরিক্ত ব্যয় এখানে গণনা করা হয়েছে)।ব্যয়ের মধ্যে সরকারের তহবিল থেকে ৩ হাজার ৩৯২ দশমিক ৩৩ কোটি টাকা, সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ২৬৭ দশমিক ৩৫ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক উৎস থেকে ৩৩২ দশমিক ২১ কোটি টাকার যোগান আসবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৯ নভেম্বর ২০২২


বগুড়া জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সজীব সাহা সাধারণ সম্পাদক জয়

বগুড়া জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সজীব সাহা সাধারণ সম্পাদক জয়

আগামী এক বছরের জন্য বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (৭ নভেম্বর ) বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।নতুন কমিটিতে সজীব সাহা সভাপতি এবং আল মহিদুল ইসলাম জয়কে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ নভেম্বর ২০২২


আওয়ামী লীগ নেতারা এখনই জেলে যাওয়ার বিষয়ে ভাবছেন : ফখরুল

আওয়ামী লীগ নেতারা এখনই জেলে যাওয়ার বিষয়ে ভাবছেন : ফখরুল

আওয়ামী লীগ নেতারা এখনই জেলে যাওয়ার বিষয়ে ভাবছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এটা তো আগেই বোঝা উচিত ছিল। আমরা আশা করেছিলাম তারা জনগণের চোখের ভাষা বুঝতে পারবেন, তাদের কথাগুলো বুঝতে পারবেন।রোববার (৬ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে ফখরুল বলেন, এখন জেলে যাওয়ার বিষয় নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন কেন? আপনি কেন বলেন- পালাবো না, আমরা জেলে যাবো। এগুলো আরও আগে ভাবা উচিত ছিল।দলের বিভাগীয় সমাবেশ প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, সমাবেশগুলো দেখে যা মনে হয়েছে, মানুষ সব বাধা উপেক্ষা করে চলে আসছেন। বরিশালের সমাবেশের দুদিন আগে লঞ্চ, যানবাহন বন্ধ করে দেওয়া। এমনকি খেয়া পর্যন্ত বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু মানুষ সাঁতরে পর্যন্ত সমাবেশে উপস্থিত হয়েছেন।সমাবেশ নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তিনি বলেন, একজন সাধারণ মানুষ যখন বলেন চেষ্টা করতে হবে, এটা আমাদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে। আমরা অনেক বেশি অনুপ্রাণিত হয়েছি এই সমাবেশগুলো থেকে। আমাদের মধ্যে বিশ্বাস জন্মেছে। আমরা যে যেখানেই ছিলাম, অনেক বেশি নির্যাতিত, নিপীড়িত আমাদের দল।ফখরুল বলেন, যুগপৎ আন্দোলন করার বিষয়ে আমরা সবাই একমত হয়েছি। বাকি বিষয়গুলো নিয়ে দ্রুত আলোচনা করা হবে।সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আন্দোলনকে কীভাবে দমননীতি এবং মামলা দিয়ে বন্ধ করা যায় সেই প্রচেষ্টা তারা শুরু করেছে। কিন্তু তারা বুঝতে পারছে না, জনগণের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। এখন তারা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। এই মামলা-হামলা করে কোনো লাভ হয়নি, এখনো হবে না। গত ১৫ বছর ধরে এ ধরনের কাজ করে বিএনপিকে তো দমিয়ে রাখতে পারেননি।নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের মন্ত্রী বানাতে হবে না, কিন্তু পরিবর্তনটা আনুন, দেশের মানুষকে বাঁচতে দিন। দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার একটি ক্ষেত্র তৈরি করে দিন।তিনি বলেন, বিশ্বাস করি, যদি আমরা একসঙ্গে সামনে এগিয়ে যাই, তাহলে অবশ্যই জয়ী হবো।নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই সংকটে বিএনপি একা না। তাদের সঙ্গে সবাই আছে। ডিসেম্বরের আগেই ঢাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চায় সরকার।গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের বাস্তবতা বাংলাদেশে নেই।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৭ নভেম্বর ২০২২


এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না : ফখরুল

এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না : ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার বর্গীদের মতো আচরণ করছে। আমি পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই, গেট ব্যাক বাংলাদেশ। আমাদের এই আন্দোলন শুধু বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারেক রহমানের মুক্তির জন্য নয়। এই আন্দোলন পুরো জাতিকে রক্ষার আন্দোলন।মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ভোট চুরি করে এ সরকার গত ১৪ বছর ক্ষমতা দখল করে রয়েছে। এখন আবার একদলীয় সরকার কায়েম করতে চায়।শনিবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে বরিশালের বেলস পার্কের সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।তিনি বলেন, দেশে বিদ্যুৎ নেই, রিজার্ভ নেই, তেল নেই, চিনি নেই। প্রত্যেক জায়গায় সরকার চুরি করেছে। সংসদ বাতিল করে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে। এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না।এর আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিনা রহমান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ড. আব্দুল মঈন খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৬ নভেম্বর ২০২২


বিএনপি'র সাথে খেলা হবে ডিসেম্বরে, নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নিতে বললেন কাদের

বিএনপি'র সাথে খেলা হবে ডিসেম্বরে, নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নিতে বললেন কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপিকে এখন ছাড় দেওয়া হচ্ছে কিন্তু আগামী ডিসেম্বরে আর ছাড় দেওয়া হবে না। ডিসেম্বরে খেলা হবে, প্রস্তুত হয়ে যান। ডিসেম্বরে রাজপথ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির দখলে থাকবে, বিএনপির থাকবে না। শনিবার (৫ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মধ্যবাড্ডা ইউলুপের কাছে প্রধান সড়কে শান্তি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূত মাথা থেকে নামান। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আদালত বাতিল করে দিয়েছেন। এ তত্ত্বাবধায়ক সরকার জাদুঘরে চলে গেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর ফিরে আসবে না।সমাবেশে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের উদ্দেশ্যে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, আমি পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই, এদেশের আর একটি মানুষের উপর আঘাত করলে- একশত মানুষের আঘাত নেওয়ার জন্য আপনাদের(বিএনপির) প্রস্তুত থাকতে হবে। যতই ষড়যন্ত্র-বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করবেন আমরা তা সফল হতে দেব না। সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, স্থানীয় সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ এবং মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য আদম তমিজি হক সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৬ নভেম্বর ২০২২


কুমিল্লায় আওয়ামী লীগের সম্মেলনে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, বিব্রত কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ

কুমিল্লায় আওয়ামী লীগের সম্মেলনে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, বিব্রত কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ

ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সময় দুই সংসদ সদস্যের অনুসারীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়াকুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উদ্বোধনী বক্তব্যের সময় দুই সংসদ সদস্যের অনুসারীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গোলাগুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া গেছে।আজ শনিবার বেলা ১১টা ৫৬ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত কুমিল্লা নগরের নজরুল অ্যাভিনিউ সড়কে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য আঞ্জুম সুলতানার অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ বাধে।দলীয় নেতা–কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সম্মেলনে ঢুকতে গেলে আঞ্জুম সুলতানাকে বাধা দেওয়া হয়। সম্মেলনস্থলে ঢুকতে না পেরে তিনি সেখান থেকে ফিরে যান। এর কিছু সময় পরই সেখানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় নজরুল অ্যাভিনিউ এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা সোয়া ১১টায় আ ক ম বাহাউদ্দিনের সভাপতিত্বে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন শুরু হয়। এরপর ওবায়দুল কাদের বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ আল মাহমুদ, কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মো. আবদুস সবুর, কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী।সরেজমিন দেখা গেছে, বেলা ১১টা ৪৭ মিনিটে ওবায়দুল কাদের কুমিল্লা টাউন হল মাঠের সম্মেলনস্থলে বক্তব্য দিচ্ছিলেন। এ সময় সম্মেলনে প্রবেশের চেষ্টা করেন আঞ্জুম সুলতানা। কিন্তু তাঁকে সম্মেলনে ঢুকতে বাধা দেওয়া হলে তিনি সেখানে থেকে চলে আসেন। এরপর বেলা ১১টা ৫৬ মিনিটে ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলির আওয়াজ পাওয়া যায়। এ সময় প্রায় ২৫ মিনিট ধরে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান বলেন, ওই এলাকার পরিস্থিতি শান্ত আছে। টাউন হল মাঠের বাইরে অন্য সড়কে ঝামেলা হয়েছিল। প্রশাসন পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে।আঞ্জুম সুলতানা বলেন, ‘আমাকে সম্মেলনে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পরে আমি চলে আসি। এরপর ঝামেলা হয়েছে।’

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৬ নভেম্বর ২০২২


‘খালেদা জিয়া নয়, এবার আপনি (হাসিনা) জেলে ঢুকবেন’

‘খালেদা জিয়া নয়, এবার আপনি (হাসিনা) জেলে ঢুকবেন’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেছেন, আগামী নির্বাচনের আগে আপনাকে ক্ষমতা ছেড়েই নির্বাচন দিতে হবে, সেক্ষেত্রে কোন হুমকী ধামকী দিয়ে লাভ হবেনা।শুক্রবার ( ৪ নভেম্বর) সকালে অবিভক্ত ঢাকার সর্বশেষ মেয়র ও অবিভক্ত ঢাকা মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি মরহুম সাদেক হোসেন খোকার ৩য় মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।সরকার দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতিতে জনগণকে নাজেহাল করছে উল্লেখ করে আব্দুস সালাম বলেন, "জগণকে দেখভালের মুরদ নেই অথচ ক্ষমতা আকড়ে ধরে আছেন"। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে আবারো জেলে পাঠানোর হুমকী প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন," এবার বেগম খালেদা জিয়া আর জেলে ঢুকবেন না, এবার খালেদা জিয়াই জেল থেকে থেকে বের হয়ে আসবেন আর আপনি (শেখ হাসিনা) জেলে ঢুকবেন"। বিএনপির আন্দোলন নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্যগুলোর তীব্র সমালোচনা করেন আব্দুস সালাম।অনুষ্ঠানে সাদেক হোসেন খোকার জৈষ্ঠ্য সন্তান বিএনপি নেতা ইঞ্জিয়ার ইশরাক হোসেন দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, আমার বাবারা দেশের আজকের এই অবস্থা দেখার জন্য যুদ্ধ করেননি। এ সরকার জনগণের সাথেই শুধু নয়, মুক্তিযোদ্ধাদের সাথেও বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় জনগণ যে স্পিরিট নিয়ে দেশ রক্ষার আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়েছিল, আবারও সেই স্পিরিট নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ার সময় এসেছে। এর আগে সাদেক হোসেন খোকার ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জুরাইনে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। অপর দিকে বিকেলে, সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারে মিলাদ ও মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে, প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার মাগফেরাত কামণা করে দোওয়া করা হয়। এসময়, বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি খোকার শুভানূধ্যায়ী বিভিন্ন সংগঠন এবং স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ নভেম্বর ২০২২


ছাত্রলীগের সম্মেলন ৩ ডিসেম্বর

ছাত্রলীগের সম্মেলন ৩ ডিসেম্বর

ছাত্রলীগসহ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী সংগঠনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ।শুক্রবার সন্ধায় তিনি বলেন, "আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আগেই এই তিন সংগঠনকে সম্মেলন করার প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ৩ ডিসেম্বর ছাত্রলীগ, ৯ ডিসেম্বর যুব মহিলা লীগ এবং মহিলা আওয়ামী লীগ ২৬ ডিসেম্বর যুব মহিলা লীগের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।"ছাত্রলীগের সর্বশেষ ২৯তম জাতীয় সম্মেলন হয়েছিল ২০১৮ সালের ১১ ও ১২ মে। নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন ছাড়াই শেষ হয় সম্মেলন।তার আড়াই মাস পর ৩১ জুলাই আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি এবং গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি চূড়ান্ত করেন, যা ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।পরে চাঁদাবাজির অভিযোগে সমালোচনার মুখে থাকা রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানীকে ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।একই সময়ে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়, প্রথম সহ-সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়কে। ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। পরে ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তাদের সভাপতি ও সাধারাণ সম্পাদক করা হয়।আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুব মহিলা লীগের প্রথম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৪ সালের ৫ মার্চ।তখন নাজমা আক্তারকে সভাপতি ও অপু উকিলকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল।২০১৭ সালের ১৭ মার্চে সংগঠনটির দ্বিতীয় জাতীয় সম্মেলনে সভাপতি পদে নাজমা আক্তার ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অপু উকিল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পুনঃনির্বাচিত হন।আর ২০১৭ সালের ৪ মার্চ সম্মেলনের মাধ্যমে মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন সাফিয়া খাতুন, সাধারণ সম্পাদক হন মাহমুদা বেগম।তার আগের সম্মেলন হয়েছিল ২০০৩ সালের ১২ জুলাই। ওই সম্মেলনে আশরাফুন্নেসা মোশাররফ সভাপতি ও ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা সাধারণ সম্পাদক হন। পরে পিনু খান ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ নভেম্বর ২০২২


সর্বাধিক পঠিত

বিএনপির বাড়াবাড়িতে বোঝা যাচ্ছে অচিরেই তাদের আন্দোলনের পতন ঘটবে : কাদের

বিএনপির বাড়াবাড়িতে বোঝা যাচ্ছে অচিরেই তাদের আন্দোলনের পতন ঘটবে : কাদের

বিএনপি যেভাবে আন্দোলনের নামে লাফালাফি ও বাড়াবাড়ি করছে তাতে তাদের আন্দোলনের পতন ধ্বনি শোনা যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।শুক্রবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ‘উদীয়মান ভবিষ্যতের জন্য চতুর্থ শিল্প বিপ্লব’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।আওয়ামী লীগ নয়, দেশ ছেড়ে পালানোর রাজনীতি বিএনপি করে, এমন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা পালানোর রাজনীতি করে। আমাদের জন্ম এদেশে, প্রয়োজনে মরবো, জেলে যাবো- তবুও দেশ ছেড়ে পালাবো না।তিনি বলেন, মুচলেকা দিয়ে রাজনীতি করবে না বলে লন্ডনে পালিয়ে গেছে বিএনপির নেতা। আওয়ামী লীগের পালানোর ইতিহাস নেই।বর্তমান সরকার দেশেকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর করেছে, আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবে বলেও অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে বিএনপি মুক্ত করেনি, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দণ্ড স্থগিত করে বাসায় রেখেছেন।প্রতিহিংসার রাজনীতি শেখ হাসিনা করেন না, প্রতিহিংসার রাজনীতি করে বিএনপি- এমন দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা ১৫ আগস্ট, ২১ আগস্ট এবং ৩ নভেম্বর ঘটিয়েছে তাদের মুখে প্রতিহিংসার কথা মানায় না।তিনি বলেন, আজ ৫০তম পবিত্র সংবিধান দিবস, দিবসটি জাতীয়ভাবে মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে। এখন থেকে জাতীয়ভাবে দিবসটি পালন করা হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ নভেম্বর ২০২২


‘এ দেশে হত্যার যে রাজনীতি, তার প্রধান হোতা হচ্ছে বিএনপি'

‘এ দেশে হত্যার যে রাজনীতি, তার প্রধান হোতা হচ্ছে বিএনপি'

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশে হত্যা, সন্ত্রাস ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের মূল হোতা বিএনপি।সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এ দেশে হত্যার যে রাজনীতি, তার প্রধান হোতা হচ্ছে বিএনপি। তারাই বঙ্গবন্ধু হত্যা, জেলহত্যা ও ২১ আগস্টে গ্রেনেড মেরে নেতা-কর্মীদের হত্যাকারী।’আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে তাঁরা চেতনায় লালন করেন, পালন করেন। এ জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাজনীতিতে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ও হত্যার রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করতে হবে। তাঁদের সেই লড়াই চলছে।১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে নৃশংস হত্যাকাণ্ড হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন সড়ক পরিবহনমন্ত্রী। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যা করে নিঃসঙ্গ করে দেওয়াই ছিল ঘাতকদের লক্ষ্য। সেদিন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ছিলেন বিদেশে।৩ নভেম্বর জেলের অভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা ছিল ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতা। এই হত্যার অপরাজনীতির ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় ২৩টি তাজা প্রাণ ঝরে যায়। হামলাকারীদের প্রধান টার্গেট ছিল তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।জাতীয় চার নেতার অন্যতম তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজের জেলহত্যা দিবসকে জাতীয় দিবস করার দাবি–সম্পর্কিত সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, জেলহত্যা দিবসকে জাতীয় দিবস করার ব্যাপারটি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের বিষয়।গত ৩১ অক্টোবর সোহেল তাজ জেলহত্যা দিবসকে জাতীয় দিবস করার দাবিতে জাতীয় সংসদের স্পিকার বরাবর একটি স্মারকলিপি দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি তিন দফা দাবি জানিয়েছিলেন।অন্য দুটি দাবি হলো—১০ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার গঠনের দিনটিকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা এবং জাতীয় চার নেতাসহ মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনীসহ পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তক-সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ নভেম্বর ২০২২


বিএনপির অপরাজনীতি বন্ধ হওয়া দরকার : ড. হাছান মাহমুদ

বিএনপির অপরাজনীতি বন্ধ হওয়া দরকার : ড. হাছান মাহমুদ

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড ও ৩ নভেম্বর জেলহত্যার জন্য জিয়াউর রহমানকে দায়ী করে এবং পরে ক্ষমতায় থাকতে জিয়া ও বেগম জিয়া উভয়েই হত্যার পথ বেছে নিয়েছেন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে যদি ‘পলিটিক্স অব কনফ্রন্টেশন’ কে চিরদিনের জন্য বিদায় দিতে হয়, বিএনপির এই অপরাজনীতি বন্ধ হওয়া দরকার; অন্যথায় দেশে সাংঘর্ষিক রাজনীতি বন্ধ করা সম্ভব হবে না।জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (০৩ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টে নিহত শহীদ ও ৩ নভেম্বর কারাগারে নির্মমভাবে নিহত জাতীয় নেতাদের সমাধিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাতের পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তেসরা নভেম্বর ১৯৭৫ সালের এই দিনে ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত হয়েছিল। আমাদের স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রামে যারা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছায়ার মতো থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, সেই চার নেতাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে বন্দি অবস্থায় হত্যা করা হয়েছিল। তারা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বেঈমানী করেন নাই, মরণেও তারা সহযাত্রী হয়েছেন।তথ্যমন্ত্রী বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য তখন এই হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত হয়েছিল কার্যত জিয়াউর রহমানের হাতে। কারণ তখন জিয়াউর রহমানই ক্ষমতায় ছিলেন এবং তিনি প্রধান সেনাপতি ছিলেন। জিয়াউর রহমানের আওতাধীন সেনাবাহিনীর সদস্যরা অর্থাৎ বিপথগামী সেনাসদস্যরা গিয়েই কারাগারে এই হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত করেছিল। অর্থাৎ জিয়াউর রহমান যে শুধু বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত তা নয়, ৩ নভেম্বরের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেও জিয়াউর রহমান যুক্ত।জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে হত্যার রাজনীতি শুরু করেছিল উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালে নিরপরাধ সামরিক কর্মকর্তাদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছিল, বিচার ছাড়াই হত্যা করেছিল। অর্থাৎ বাংলাদেশে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন জিয়াউর রহমানের হাতে সংঘঠিত হয়েছিল। পরে খালেদা জিয়াও জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতির মাধ্যমে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে সেই সাংঘর্ষিক রাজনীতির ধারা অব্যাহত রেখেছিল।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ নভেম্বর ২০২২


সরকারের চোখ এবার বরিশালে বিএনপি’র বিভাগীয় গণসমাবেশে

সরকারের চোখ এবার বরিশালে বিএনপি’র বিভাগীয় গণসমাবেশে

৪ ও ৫ নভেম্বর সড়ক এবং নৌ পথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকবে বরিশাল। বিএনপি’র বিভাগীয় গণসমাবেশ ঘিরে ওই দুইদিন বাস ও থ্রি হুইলার বন্ধের পর এবার ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে লঞ্চ বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে মালিকদের। এর ফলে বরিশাল কার্যত দুইদিন ‘অবরুদ্ধ’ থাকার আশংকা করছে স্থানীয় জনসাধারণ। তবে সকল বাধা উপেক্ষা করে বরিশালে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ গণসমাবেশ করার করার ঘোষণা দিয়েছে মহানগর বিএনপি। গণসমাবেশ বাধাগ্রস্থ করতেই বাস এবং থ্রি হুইলারের পর লঞ্চ চলাচলও বন্ধ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের। তবে আওয়ামী লীগ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। আগামী ৫ নভেম্বর বরিশালের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে বিভাগীয় গণসমাবেশ করার লক্ষ্যে গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে রাজপথে সক্রিয় বিএনপি। জেলা এবং মহানগর থেকে তৃনমূল পর্যায় পর্যন্ত উজ্জীবিত করতে কেন্দ্রিয় নেতারা জেলা ও মহানগরে, জেলার নেতারা উপজেলায় এবং উপজেলার নেতারা ইউনিয়ন পর্যন্ত গণসংযোগ-প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন। বিএনপি’র বিভাগীয় গণসমাবেশ এখন দক্ষিণের আলোচিত বিষয়। বিএনপি নেতাদের দাবি স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসমাগম হবে ৫ নভেম্বরের বিভাগীয় গণসমাবেশে। সর্ববৃহৎ না হলেও গণসমাবেশে অনেক লোক হবে বলে আলোচনা আছে জনসাধারণের মাঝে। এ অবস্থায় গত ২৬ অক্টোবর পুরনো বিভিন্ন ইস্যু সামনে এনে ৪ ও ৫ নভেম্বর দক্ষিণাঞ্চলের সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধ রাখার দালিলিক ঘোষণা দেয় বাস মালিক সমিতির দুটি সংগঠন। এর ৪ দিন পর ৩০ অক্টোবর জেলা সিএনজি, অটোরিকশা, টেক্সিকার, বেবীট্যাক্সি, মিশুক (থ্রি হুইলার) মালিক সমিতি এবং একই শ্রমিক ইউনিয়ন পুরনো বিভিন্ন দাবীতে বরিশালে ৩ চাকার সকল যান্ত্রিক যান (থি হুইলার) বন্ধের লিখিত ঘোষনা দেয়। তখন থেকেই গুঞ্জন ছিলো বন্ধ হতে পারে লঞ্চ চলাচলও। সেই ঘোষণা এসেছে। তবে মৌখিক। গত সোমবার মহানগর শ্রমিক লীগ সাধারণ সম্পাদক পরিমল চন্দ্র দাস লঞ্চ মালিক সমিতির স্থানীয় কার্যালয়ে গিয়ে অফিস সম্পাদক আমির হোসেনকে ৪ ও ৫ নভেম্বর একতলা (স্থানীয় রুট) লঞ্চ বন্ধের মৌখিক নির্দেশ দেন। পরদিন মঙ্গলবার ফের ওই কার্যালয়ে গিয়ে ৪ নভেম্বর ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে লঞ্চ না ছাড়ার নির্দেশ দেন তিনি। শ্রমিক লীগ নেতার এমন নির্দেশ মালিকদের জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল লঞ্চ মালিক সমিতির অফিস সম্পাদক আমির হোসেন। তিনি বলেন, পরিমল দাস শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া আছে উল্লেখ করে ৪ ও ৫ নভেম্বর সকল লোকাল রুট এবং ৪ নভেম্বর ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে কোন লঞ্চ না ছাড়তে বলেন। দূরপাল্লা রুটের লঞ্চ মালিক রেজিন উল কবির বলেন, শ্রমিকরা লঞ্চ না চালালে মালিকদের কিছু করার নেই। এটা আপনারাও বোঝেন। লঞ্চ মালিক সমিতি বরিশালের সভাপতি রিয়াজ উল কবির বলেন, লঞ্চ বন্ধ রাখার বিষয়ে স্থানীয় মালিক সমিতির কোন সিদ্ধান্ত নেই। এ বিষয়ে কেন্দ্রিয় সভাপতির কাছে জিজ্ঞাসা করার পরামর্শ দেন তিনি। মুঠোফোনে লঞ্চ মালিক সমিতি কেন্দ্রিয় কমিটির সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম বলেন, তাদের কিছু বলার থাকলে সমিতির কেন্দ্রিয় পর্যায়ে জানাবে। লঞ্চ বন্ধ রাখার বিষয়ে মালিক সমিতির কোন সিদ্ধান্ত নেই। তবে ক্ষমতাসীনদের এই নির্দেশ মাথা পেতে নিচ্ছেন বলে মুঠোফোনে জানিয়েছেন একাধিক লঞ্চ মালিক। বর্তমান প্রেক্ষাপটে লঞ্চ বন্ধ না করে উপায় নেই বলেও স্বীকার করেন তারা। মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, বিএনপি’র কর্মসূচী বাধাগ্রস্থ করতে বাস ও থ্রি হুইলারের পর লঞ্চ বন্ধ করছে ক্ষমতাসীনরা। এটা তাদের অপকৌশল। কোন বাধা বিএনপি’র জনস্রোত ঠেকাতে পারবেনা বলে তিনি হুঁশিয়ারী দিয়েছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ নভেম্বর ২০২২


বঙ্গবন্ধু হত্যা-জেলহত্যা-২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ড বিএনপিরই কাজ

বঙ্গবন্ধু হত্যা-জেলহত্যা-২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ড বিএনপিরই কাজ

বঙ্গবন্ধু হত্যা-জেলহত্যা-২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ড বিএনপিরই কাজ বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।আজ বৃহস্পতিবার সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, ৩ নভেম্বর আমাদের জাতীয় ৪ নেতাকে নিষ্ঠুরভাবে কারা অভ্যন্তরে হত্যা করা হয়। আসলে বাংলার রাজনীতিতে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের যে রাজনীতি এর হোতা হলো বিএনপি। বঙ্গবন্ধু হত্যা, জেলহত্যা, ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ড তাদেরই কাজ।তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধের পতাকাকে আমরা আমাদের চেতনায় লালন-পালন করি, এ জন্য আমাদের আজ চিরতরে বাংলার রাজনীতিতে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের লড়াই চলছে। এই দিবসে আমাদের অঙ্গীকার যে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই বর্বর রাজনীতি হত্যা ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই আমরা আরও জোরদার করবো।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ নভেম্বর ২০২২


শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের মানুষ অনেক ভালো আছেন: কাজী মোয়াজ্জেম

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের মানুষ অনেক ভালো আছেন: কাজী মোয়াজ্জেম

স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন বলেছেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বের উন্নত দেশগুলো যেখানে হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে শেখ হাসিনার নেতৃত্ত্বাধীন বাংলাদেশের মানুষ অনেক ভালো আছেন।’তিনি ২ নভেম্বর বিকেলে সোনারগাঁওয়ে সনমান্দী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।সোনার বাংলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন ওই ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্টাকালীন সভাপতি ও সাবেক ইউ.পি চেয়ারম্যান আমিনুল হক।কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন এ সরকারের আমলে যে শিল্পায়ন হয়েছে এবং এই শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো বাঁচিয়ে রাখতে করোনাকালীন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে গার্মেন্টস শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রণোদনা প্রদান করেছেন যাতে গার্মেন্টস শিল্পগুলো লোকশানের কবলে পড়তে না হয়।তিনি আরও বলেন, বিদ্যুতের সংযোগ ও ব্যবহার বেড়েছে, দেশে প্রায় ৫০ লাখ অটো – রিক্সা ব্যাটারী চালিত, এগুলোর জন্য ১ কোটি ব্যাটারী সার্বক্ষনিক বিদ্যুৎ দ্বারা চার্জ দেয়া হয়, তাতে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ হয় তাতে বিএনপি- জামাত জোট সরকারের আমলে যে ৩১ হাজার মেগওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হতো তারও দ্বিগুনের বেশী বিদ্যুৎ খরচ হয়।সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. সামসুল ইসলাম ভুইয়া, নারায়নগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এস. এম জাহাঙ্গির প্রমুখ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৩ নভেম্বর ২০২২


আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে গিলে খেয়ে ফেলেছে : মির্জা ফখরুল

আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে গিলে খেয়ে ফেলেছে : মির্জা ফখরুল

বাংলাদেশ আবার পরাধীনতার জাঁতাকলে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।আজ বুধবার দুপুরে বিএনপির বগুড়া জেলা ইউনিটের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।ফখরুল বলেন, আমাদের নিন্দুকেরা বলেন বিএনপির জন্ম নাকি ক্যান্টনমেন্টে, গণতন্ত্রের কোনো চর্চা নেই। তাদের অনুরোধ করবো আসুন আজকে বগুড়ায়। দেখুন গণতন্ত্রের কী অভূতপূর্ব চর্চা। বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকতে বগুড়ায় প্রথম আমাদের আজকের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠন শুরু করেছিলেন। পোস্টার ছাপিয়ে মার্কা দিয়ে নির্বাচন হয়েছে। আজকে আবার সেই চিত্র দেখে আমার মন ভরে গেছে।বিএনপির জন্মই হয়েছিল গণতন্ত্রকে পুনর্জন্ম দেওয়ার জন্য। যে গণতন্ত্রকে আওয়ামী লীগ গিলে খেয়ে ফেলেছিল। যে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। সেই গণতন্ত্রকে আবার ফিরিয়ে নিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছিলেন। আজকে ৫০ বছর পরে, আমাদের চরম দুর্ভাগ্য, এই দেশে আবার আমাকে বলতে হয় যে, আমাদের গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়া হোক। আমার অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হোক। আমার ভোটের, কথা বলার অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হোক। এর চেয়ে দুর্ভাগ্য আর কিছু হতে পারে না, বলেন ফখরুল।তিনি আরও বলেন, ৫০ বছর পরে এ কথা নিঃসন্দেহে বলতে পারি এ বাংলাদেশ আবার পরাধীনতার জাঁতাকলে পড়েছে। আবার একটি ফ্যাসিবাদী, অগণতান্ত্রিক, কর্তৃত্ববাদী ব্যবস্থার মধ্যে পড়েছে। সেদিন যেমন এই বগুড়ার সন্তান প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ ৯ বছর রাজপথে ঘুরে ঘুরে আন্দোলন করেছিলেন গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য, সেই আন্দোলন আজ আবার ঘোষণা করেছেন আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।আমাদের আজকে যে আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু হয়েছে, সারা দেশের মানুষ যে আবার জেগে উঠছে, এই জাগরণ সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। জনগণের জাগরণের মধ্য দিয়ে এদের পরাজিত করতে হবে। আওয়ামী লীগ এখন প্রমাদ গুণছে। তারা বুঝে গেছে তাদের পায়ের নিচে আর মাটি নেই। তারা বুঝে গেছে এ দেশের মানুষ আর তাদের সঙ্গে নেই।সেই জন্য আজকে তারা ভিন্ন পথে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তারা সংঘাত সৃষ্টি করতে চায়। তারা আমাদের সংবিধানসম্মত অধিকার যে, আমি সমাবেশ-মিছিল করতে পারবো। জনগণকে সামনে নিয়ে এগিয়ে যেতে পারবো, সেটা লুপ্ত করতে যত রকমের হীন কৌশল আছে সেগুলোকে তারা আজকে ব্যবহার করছে। সমাবেশ করতে দেবে না, বারবার হুমকি। এত হুমকি কারা দেয়? যারা ভেতরে দুর্বল। তাদের গলা অনেক চড়া হয় কিন্তু ভেতরে ভেতরে ভয়ে কাঁপতে থাকে। এরা হচ্ছে সেই দল। প্রত্যেকটা সমাবেশে তারা পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে দুদিন আগে থেকে। তারা অত্যাচার করেছে, আক্রমণ করেছে—বলেন বিএনপি মহাসচিব।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৩ নভেম্বর ২০২২


বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতির জনক : ওবায়দুল কাদের

বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতির জনক : ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে মুচলেকা দিয়ে দিয়ে পালানোর রাজনীতি।তিনি আজ রাজধানীর সেতু ভবনে ব্রিফিংকালে একথা বলেন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় আওয়ামী লীগ বিশ্বাসী নয় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন প্রতিহিংসার রাজনীতির জনক হচ্ছে বিএনপি।তিনি বলেন ৭৫' এর আগস্ট স্বাক্ষ্য দিচ্ছে কারা প্রতিহিংসার রাজনীতি করে,২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা প্রমাণ করে কারা প্রতিহিংসার রাজনীতি করে। ওবায়দুল কাদের আরও বলেন বিএনপির এসব প্রতিহিংসার রাজনীতির বিপরীতে সকলকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাওয়ার প্রয়াসের নাম হচ্ছে আওয়ামী লীগ।সকল কষ্ট ভুলে উদার রাজনীতির ধারা সৃষ্টি করতে চায় বলেই পুত্র বিয়োগের শোকে সান্তনা দিতে বেগম খালেদা জিয়ার বাড়িতে ছুটে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপি নেতাদের এমন উদারতা স্মরণ করে দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন তখন কি অমানবিক আচরণ করেছিলেন আপনারা?তিনি আরও প্রশ্ন রেখে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন বেগম জিয়াকে গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন নির্বাচনকে সামনে রেখে, তখনও কি ভাষায় জবাব দিয়েছিলেন আপনারা? তারপরও বিএনপির সাথে দু'দফা সংলাপে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।ওবায়দুল কাদের বলেন বিএনপি যখন আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগ তখন দেশের ও জনগণের স্বার্থে বিএনপিকে উদারতা দেখিয়েছে। বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়ে বাসায় থাকার ব্যবস্থা করেছে।সরকার নাকি জিয়া পরিবারকে নিয়ে আতংকে ভুগছে, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন সবাই জানে জিয়া পরিবারের দুঃশাসন আর দুর্নীতির ইতিহাস।দুর্নীতি, লুটপাট, অপকর্মের জন্য এখন বিএনপির নেতাই নির্বাসনে, দেশে আসার সৎ সাহসও নেই।সবকিছুতে সরকারের দোষ খোঁজা আর দায় চাপানো বিএনপির চিরকালের অভাস ও সংস্কৃতি এমন দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন দুদকের মামলায় স্বস্ত্রীক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত, এটি আইনগত প্রক্রিয়া, এখানে সরকারের কোন হস্তক্ষেপ নেই।ওবায়দুল কাদের আরো বলেন সরকার ও সরকারি দলের অনেকের বিরুদ্ধেও দুদক মামলা করেছে, কারো কারো বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে- এ ব্যাপারে দুদক স্বাধীন ভূমিকা পালন করছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ নভেম্বর ২০২২


দেওবন্দের কর্মপদ্ধতি বৈপ্লবিক : মাহফুজুল হক

দেওবন্দের কর্মপদ্ধতি বৈপ্লবিক : মাহফুজুল হক

ভারতের দারুল উলুম দেবওন্দের কর্মপদ্ধতিকে বৈপ্লবিক ধারা বলে মন্তব্য করেছেন কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক।তিনি বলেন, ‘শায়খুল হাদীস পরিষদ’ সারাদেশে আকাবীরে দেওবন্দের চিন্তাধারা নিয়ে ব্যাপক আলোচনার মধ্য দিয়ে হতাশাজনক পরিস্থিতিতে এক নবজাগরণ সৃষ্টি করবে। মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) রাজধানীর বাবুস সালাম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে শায়খুল হাদীস পরিষদ উত্তরা জোনের উদ্যোগে ‌‘আকাবীরে দেওবন্দের চিন্তাধারা ও আজকের প্রেক্ষিত’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উত্তরা জোনের আহ্বায়ক মুফতি আনীসুর রহমানের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব মুফতি নেয়ামতুল্লাহ আমীন ও মাওলানা মুর্শিদ সিদ্দিকীর যৌথ সঞ্চালনায় আলোচনা করেন দারুল উলুম করাচির সিনিয়র মুহাদ্দিস মুফতি আব্দুল মান্নান, মুফতি আব্দুল মুনতাকিম, মাওলানা তাফাজ্জুল হক আজিজ, মুফতি হাবীবুল্লাহ মিসবাহ, মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, মাওলানা মাহবুবুল হক, মুফতি মাসুদুল করীম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরীর সভাপতি মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা হাসান জুনাইদ, মাওলানা বখতিয়ার হুসাইন সরদার, মাওলানা নুরুল ইসলাম কাসেমি প্রমুখ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ নভেম্বর ২০২২


তিন নন্দ ঘোষের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে সরকার : রুমিন ফারহানা

তিন নন্দ ঘোষের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে সরকার : রুমিন ফারহানা

বিএনপি দলীয় সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেছেন, সরকার এখন সবকিছুর দায় করোনা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও বৈশ্বিক মন্দার ওপর চাপাচ্ছে। সরকারের হাতে বর্তমানে এ তিনটি নন্দ ঘোষ আছে।মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।তিনি বলেন, সরকারের হাতে তিনটি নন্দ ঘোষ আছে। একটা নন্দ ঘোষ হচ্ছে করোনা, একটা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, আরেকটা বিশ্ব মন্দা। যাই হোক না কেন, যে অবস্থায় দাঁড়াক না কেন, সরকার সমস্ত দোষ চাপাচ্ছে এই তিন নন্দ ঘোষের ঘাড়ে।ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে অধিবেশনে তিনি আরও বলেন, ২০০৯ সালে এ সরকার যখন ক্ষমতায় আসে, তখন মেয়াদের পর মেয়াদ ক্ষমতায় থাকবে বলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে। এভাবে ক্ষমতায় থাকতে গোষ্ঠীতত্ত্ব কায়েম করতে হয়েছে। তাদের খুশি রাখতে আইন প্রণয়ন করতে হয়। তাদের সুবিধার্থে নিয়ম-কানুন করতে হয়।ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রভাব সারাবিশ্বের উপর পড়েছে উল্লেখ করে রুমিন বলেন, এতে যদি চরম অর্থনৈতিক মন্দা সৃষ্টি হয়। তাহলে সরকারের হিসাবে আমাদের চাইতে কম মাথাপিছু আয়ের দেশ ভারত, নেপাল ও আফ্রিকার অনেক গরিব দেশকে বিবিসি কেন শ্রীলঙ্কা হওয়ার তালিকায় রাখেনি। গত একযুগে যে লুটপাট হয়েছে, অনিবার্যভাবেই তা হওয়ার কথা। কুইক রেন্টাল দায়মুক্তির সমালোচনা করেন রুমিন। দিনে বিদ্যুৎ ব্যবহার করব না প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই এলাহী চৌধুরীর এমন বক্তব্যের কথা উল্লেখ করে রুমিন ফারহানা বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পরিস্থিতি কী অবস্থায় আছে সেটা তার (তৌফিক-ই এলাহি) চেয়ে আর বেশি ভালো কেউ জানে না।পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে যাচ্ছে যে—সেটা টের পাচ্ছি অক্টোবরের এই শীত শীত সময়ে শুক্রবারের মতো ছুটির দিনেও দুই থেকে তিনবার লোডশেডিং হচ্ছে ঢাকায়। আগামী বছর বিশ্বে দুর্ভিক্ষ হবে এমন আশঙ্কায় প্রতি ইঞ্চি জমি চাষ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে অনুরোধ করেছেন তার সমালোচনা করে রুমিন বলেন, সাধারণভাবে ভাবতে গেলে মনে হবে প্রধানমন্ত্রীর এই ধরনের কথা কৌশলগতভাবে ভুল। যখন তার পক্ষ থেকে এই ধরনের বার্তা আসে তখন আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়।তিনি বলেন, যখন কেউ ব্যয় করে, তখন আরেকজনের উপার্জন হয়। এই পরিস্থিতির পর প্রধানমন্ত্রী বারংবার মানুষকে দুর্ভিক্ষের বিষয়ে সতর্ক করছেন। তখন আমাদের বুঝতে হবে পরিস্থিতি আসলেই খারাপ। মানুষও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এরপর ডেপুটি স্পিকার রুমিন ফারহানাকে বসার অনুরোধ করেন, তারপরও তিনি তার বক্তব্য চালিয়ে যেতে চাইলে স্পিকার রুমিন ফারহানার মাইক বন্ধ করে দেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ নভেম্বর ২০২২


দুদকের মামলায় তারেক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

দুদকের মামলায় তারেক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলা আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দিয়েছেন আদালত।মামলা এজাহার ও সংশ্লিষ্ট নথি খতিয়ে দেখে আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আসাদুজ্জমান এ আদেশ দেন।আদালত আগামী বছরের ৫ জানুয়ারির মধ্যে ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে অগ্রগতি জানাতে বলেছেন।চলতি বছরের ২৬ জুন হাইকোর্ট তারেক ও জোবায়দাকে 'পলাতক' ঘোষণা করে ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকার দুর্নীতি মামলা দায়ের ও তার প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে করা পৃথক রিট আবেদন খারিজ করে দেন।একইসঙ্গে হাইকোর্ট ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দায়ের করা এ মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়ে সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতকে যত দ্রুত সম্ভব বিচার কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশ দেন।এ ছাড়া, ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে রায় পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে মামলার রেকর্ড ঢাকা সিনিয়র মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠাতে বলা হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ নভেম্বর ২০২২


অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ অতীতের মুক্তিযুদ্ধের মতো ঐক্যবদ্ধভাবে জেগে উঠবে: ফখরুল

অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ অতীতের মুক্তিযুদ্ধের মতো ঐক্যবদ্ধভাবে জেগে উঠবে: ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সব মানুষই চায় দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসুক। মানুষের অধিকারগুলো সুরক্ষিত হোক।তিনি বলেন, আজ আমরা গণতান্ত্রিক পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে যে আন্দোলন শুরু করেছি। সে আন্দোলনে লাখ লাখ সাধারণ মানুষ উপস্থিত হচ্ছেন।সোমবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে গুলশানের বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে হিন্দু সম্প্রদায় নেতাদের শারদীয় দুর্গাপূজা পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র যদি না থাকে তাহলে কারও অধিকার সেখানে প্রতিষ্ঠিত হয় না। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মূল কথা হলো- হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে একটি জাতীয়তাবাদ। এই জাতীয়তাবাদই হচ্ছে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ।‘আমাদের সবাইকে একটি কথা মনে রাখতে হবে, আমরা এখন বিপদে রয়েছি, সংকট রয়েছি। সেই সংকটটি হচ্ছে আমাদের অস্তিত্বের সংকট, সেই সংকটটি হচ্ছে স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব রক্ষার সংকট, সে সংকট হচ্ছে আমাদের গণতন্ত্রের সংকট। এই সংকটকে আমাদের কাটিয়ে উঠতে হবে।’গোটা জাতি আজ সংকটে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ১৯৭১ সালের কথা আমরা সবসময় বলি, স্বাধীনতার চেতনার কথা বলা হয়। কিন্তু স্বাধীনতার চেতনাটা কী? স্বাধীনতার চেতনা ছিল আমাদের দেশে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করা। স্বাধীনতার চেতনা হচ্ছে প্রত্যেকটি মানুষের অধিকারকে সংরক্ষিত করা। স্বাধীনতার চেতনা হচ্ছে সাম্য মানবিক মূল্যবোধ এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা। একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা সেটাই আজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।তিনি বলেন, দুর্ভাগ্য আমাদের, আগে দলের নেত্রী খালেদা জিয়া সবসময় আমাদের সঙ্গে বসতেন, আজ তাকে মিথ্যে মামলা দিয়ে সাজা দিয়ে প্রথমে অন্তরীন করে, এখন তাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যে মামলা দিয়ে নির্বাসিত করে রাখা হয়েছে। কিন্তু সৌভাগ্য আমাদের তিনি আজ আট হাজার মাইল দূরে থেকেও যেভাবে আমাদের নির্দেশনা দিচ্ছেন দলকে পরিচালনা করছেন, বাংলাদেশের মানুষকে জাগিয়ে তুলছেন।তিনি আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি, অতি অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ আরেকবার মুক্তিযুদ্ধ যেভাবে করেছিল সেইভাবে তারা ঐক্যবদ্ধভাবে জেগে উঠবে। এই ভয়াবহ অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে তারা সত্যিকার অর্থে একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ নভেম্বর ২০২২