রাজনীতি


মনোনয়ন না পেয়েই নৌকায় ভোট চেয়ে পোস্টারিং করলেন প্রতিমন্ত্রী

মনোনয়ন না পেয়েই নৌকায় ভোট চেয়ে পোস্টারিং করলেন প্রতিমন্ত্রী

আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চূড়ান্ত হবে বেশ কিছুদিন পর। তবে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে এরই মধ্যে নৌকা প্রতীক পাওয়ার দাবি করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।এ আসনের বিভিন্ন স্থানে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জাকির হোসেনের পোস্টার দেখা যাচ্ছে। এতে লেখা– ‘অনেক অর্জন আমাদের, বাকি আরও অনেক কাজ, ব্রহ্মপুত্র সেতু ও রেললাইনের জন্য মো. জাকির হোসেন এমপিকে নৌকা মার্কায় ভোট দিন।’এ ঘটনায় ক্ষমতাসীন দলের অনেক নেতাকর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ডা. ফারুকুল ইসলাম বলেন, ‘কিছুদিন আগে তিনি (জাকির হোসেন) এলাকায় মিছিল আর মিষ্টি বিতরণ করেছেন এবং সবাইকে বলেছেন যে তিনি দল থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন। আসলে ঘটনাটি মিথ্যা।’আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী আমজাদ হোসেন বলেন, ‘তিনি এমনভাবে পোস্টারিং করেছেন, যাতে মানুষ মনে করে দল তাঁকে টিকিট দিয়েছে।’ এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু বলেন, ‘সবে তপশিল ঘোষণা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যাকে দল থেকে মনোনয়ন দেবেন, তিনিই নৌকার প্রার্থী হয়ে প্রচারণা করবেন। কিন্তু এমন এক সময়ে প্রতিমন্ত্রীর এমন কাজ ঠিক হয়নি।’জেলা নির্বাচন কমিশনার জিলহাজ উদ্দিন বলেন, ‘প্রতীক বরাদ্দের আগে কোনো প্রার্থী এ রকম নির্বাচনী পোস্টার করতে পারেন না। এ ব্যাপারে প্রতিমন্ত্রীসহ সব প্রার্থীকে চিঠি দেওয়া হবে।’ এ ব্যাপারে চেষ্টা করেও প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ নভেম্বর ২০২৩


খালি গায়ে গ্রেফতার হওয়া সেই যুবক বললেন মা, তুমি টেনশন করো না, আমি আবার আসব

খালি গায়ে গ্রেফতার হওয়া সেই যুবক বললেন মা, তুমি টেনশন করো না, আমি আবার আসব

আমাকে নিয়েন না ভাই। আমার ছেলে অসুস্থ, আমার মা অসুস্থ।’ গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মিফতাহ উদ্দীন শিকদারকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তারের সময় এভাবে পুলিশকে অনুনয়-বিনয় করেন তিনি। বিএনপির পক্ষ থেকে গ্রেপ্তারের এই ভিডিওচিত্র আজ শুক্রবার সাংবাদিকদের সরবরাহ করা হয়।বিএনপি নেতারা বলছেন, মিফতাহ দীর্ঘদিন যাবৎ ঘরছাড়া ছিলেন। অসুস্থ মা ও শিশু সন্তানকে দেখতে কিছু সময়ের জন্য তিনি বাড়ি গিয়েছিলেন। সেই সুযোগেই তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।ওই ভিডিওতে দেখা যায়, মিফতাহ উদ্দীনকে খালি গায়ে সাদা পোশাকে পুলিশ তুলে নিয়ে যাচ্ছে। তখন মিফতাহ উদ্দীন পুলিশকে বলছেন, ‘আমাকে নিয়েন না ভাই। আমার ছেলে অসুস্থ, আমার মা অসুস্থ। আমাকে একটু পোশাক পরার সুযোগ দেন।’ মিফতাহের মাসহ পরিবারের স্বজনেরা গাড়িটি ঘিরে ধরেন। এ সময় মায়ের উদ্দেশে মিসতাহ উদ্দীন বলেন, ‘মা, তুমি টেনশন করো না। আমি আবার ফিরে আসব।’এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহদাৎ হোসেন বলেন, মিফতাহ উদ্দীন পলাতক ছিলেন। নাশকতা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।বিএনপি নেতারা জানান, মিফতাহর পাশাপাশি গতকাল সন্ধ্যা থেকে আজ দুপুর পর্যন্ত যশোরের বিভিন্ন উপজেলায় বিএনপির ছয় নেতাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার অপর নেতারা হলেন, সদর উপজেলার আরবপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান, পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন ও ওয়ার্ড যুবদলের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, কেশবপুর উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলতাফ হোসেন এবং কেশবপুর সদর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান।এ ছাড়া মনিরামপুরের গোপালপুর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. হাসানের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ভাঙচুর ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম বলেন, আজ রাজপথে বিএনপির কোনো কর্মসূচি না থাকলেও নেতা-কর্মীদের পুলিশি অভিযান থেমে নেই। বিএনপির চলমান এক দফার আন্দোলনে পুলিশের দমনপীড়নের অংশ হিসেবে নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার অব্যাহত রয়েছে। কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এমনটা হতে পারে না।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ নভেম্বর ২০২৩


নির্বাচন করে ফেললেও সরকার টিকবে না: ব্যারিস্টার পার্থ

নির্বাচন করে ফেললেও সরকার টিকবে না: ব্যারিস্টার পার্থ

রাজনৈতিক মতানৈক্য আর সংঘাতের মধ্যেই বুধবার তফশিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আগামী ৭ জানুয়ারি। ঘোষিত এই তফশিলকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে এ তফশিলকে প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি সমমনা দলগুলো। একই সঙ্গে বিএনপি হুশিয়ারি দিয়েছেন— তফশিল জারি হলেই নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। আগামী নির্বাচন ঘিরে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজমান। সমসাময়িক নানা ইস্যুতে বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে টকশোর আয়োজন করা হয়। সেখানে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ কথা বলেছেন। এ সময় ব্যারিস্টার পার্থ বলেন, বর্তমানে আওয়ামী লীগ দাবি করে— দেশে তাদের ৩০ শতাংশ ভোট রয়েছে। অথচ তার মধ্যে থেকে ৫ শতাংশও ভোট দিতে আসছে না। সর্বশেষ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৫৩ সেকেন্ডে ৪৭ ভোট দেওয়া হলো, এটি কিন্তু জেতার জন্য দেওয়া হয়নি। এটি মূলত ৩০ শতাংশ ভোট দেখানোর জন্য দিয়েছে। এটি না করলে তো ২ শতাংশ ভোটও পড়ত না। আগামী নির্বাচনেও যদি বিএনপি অংশ না নেয়, তা হলেও একই কাণ্ড করবে আওয়ামী লীগ। এটি করে ৪০ শতাংশ বা ৫০ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি দেখাবে। বিজেপি চেয়ারম্যান বলেন, প্রশ্ন হতে পারে— হঠাৎ কেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইভিএম বাতিল করল আওয়ামী লীগ? কারণ হচ্ছে— ইভিএমে ৩০ শতাংশও ভোট কারচুপি করতে সক্ষম হয়নি আওয়ামী লীগ। এর কারণ রাতে সেখানে ব্যালট বাক্স ঢোকানো হয়নি। বর্তমানে নির্বাচনগুলোতে যখন বিএনপি বা বিরোধী দল থাকবে না, তখন প্রিসাইডিং অফিসার ব্যালট বাক্স এগিয়ে দেবে, আর আওয়ামী লীগের লোকজন ভোট দিতে থাকবে। তা ছাড়া তো ৪০ শতাংশ ভোট কাস্ট হবে না। সরকারের উদ্দেশে পার্থ বলেন, সরকারকে একটা কথা মনে রাখতে হবে— গণতন্ত্র হলো শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরে একটা প্রক্রিয়া। সরকার যদি মনে করে থাকে যে, আমি ক্ষমতা ছাড়ব না? তা হলে এটি কীসের গণতন্ত্র? এখন যে অবস্থা দাঁড়িয়ে গেছে, বিএনপির ৫ হাজার নেতাকর্মী মারা গেলেও ক্ষমতা ছাড়বে না আওয়ামী লীগ। এমনভাবে ১৫ বছর চালিয়েছে যে, কোনো দিন ক্ষমতা ছাড়তে হবে না তাদের। এখন ক্ষমতা ছাড়ার কথা বললে পুরো সিস্টেম ভেঙে পড়বে। তিনি আরও বলেন, এ জন্য বারবার তারা বলছে— আমরা নির্বাচন করে ফেলব। আওয়ামী লীগ ভাবছে নির্বাচন করলেই আগামী ৫ বছর স্থায়ী হয়ে যাব। কিন্তু এটি সম্ভব না। সত্যি কথা বলতে— এখন আমরা, বিরোধী দল ও মিডিয়া বিদেশিদের দিকে তাকিয়ে আছি। তিনি আরও বলেন, বর্তমান দেশের পরিস্থিতি— এই পরিস্থিতিতে আমি মনে করি, রাষ্ট্রপতি সংলাপের আয়োজন করুক। প্রয়োজনে তফশিল পেছানো হোক। এতে সংলাপের ফলের ইতিবাচক না হলেও অন্তত্ব দেশে রাজনৈতিক নরমগুলো বিদ্যামান থাকবে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন দিয়ে সংলাপ করে লাভ হবে না। কারণ তার তো কোনো ক্ষমতা নেই। গ্রহণযোগ্যতা নেই। বর্তমানে দেশে রাজনীতিটাই বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে কোথায় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, আর কোথায় সমাবেশ। এ জন্য বিরোধী দলের সিনিয়র নেতাদের জেলখানায় নেওয়া হয়েছে। এটি তো হাস্যকর।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ নভেম্বর ২০২৩


‘বিএনপির মতে দায়িত্ব সরকারের, আওয়ামী লীগ বলেছে সময় নেই’

‘বিএনপির মতে দায়িত্ব সরকারের, আওয়ামী লীগ বলেছে সময় নেই’

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপকে ঘিরে প্রথম আলোর প্রথম পাতার খবর, ‘বিএনপির মতে দায়িত্ব সরকারের, আওয়ামী লীগ বলেছে সময় নেই’প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সময় নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বিরোধপূর্ণ রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছেন।তিনি জানান, ‘পারস্পরিক প্রতিহিংসা, অবিশ্বাস ও অনাস্থা পরিহার করে সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতা ও সমাধান অসাধ্য নয়।’এখন পর্যন্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সংলাপের ব্যাপারে আগ্রহ দেখালেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এ ব্যাপারে আগ্রহী নয়। দলটি বলছে, তফসিল ঘোষণার পর সংলাপ করার মতো আসলে সময় নেই।সংলাপের প্রশ্নে বিএনপি অবশ্য বলেছে, পরিবেশ সৃষ্টির দায়িত্ব সরকারের। আর সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দল সংলাপের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে।এমনকি কোনো কোনো দল তফসিল ঘোষণার আগে রাজনৈতিক সমঝোতার কথা বলছে।তফসিল ঘোষণার পরপরই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সংলাপ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘নির্বাচন সামনে, তফসিল ঘোষণা হয়ে গেছে। .. এখন আর সংলাপের কোনো সুযোগ নেই।’এরিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রও শর্তহীন সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছে। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিকে চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু।অবরোধকে কেন্দ্র করে নিউ এইজের প্রথম পাতার খবর, ‘Blockade on amid clashes, intensified police raids’ অর্থাৎ ‘সংঘর্ষ , পুলিশি অভিযান জোরদারের মধ্যেই অবরোধ পালন’।প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দেশব্যাপী বিএনপির ডাকা পঞ্চম দফার অবরোধের প্রথম দিন বুধবার দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে তীব্র পুলিশি অভিযান ও গ্রেফতারের অভিযোগ উঠেছে।ঢাকাসহ সারাদেশে মিছিল, মহাসড়কে ভাঙচুর, দূরপাল্লার বাস বন্ধ রাখা, সড়ক অবরোধ এবং যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।সেইসাথে বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সাথে সংঘাত সংঘর্ষের খবর পাওয়া গিয়েছে।বুধবার বগুড়ার শেরপুর উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সংঘর্ষে প্রায় ৪০ জন আহত হয়েছেন।সিলেটে সন্ধ্যায় বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ বেধে যায়।বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, পুলিশ গত তিন সপ্তাহে সারাদেশে ১২ হাজারের বেশি বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে এবং তাদের অভিযান বাড়িয়েছে।তফশিল ঘিরে নানা উদ্বেগ নিয়ে যুগান্তরের প্রথম পাতার খবর, ‘২৩ স্থানে নাশকতার শঙ্কা’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল পরবর্তী সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতা হতে পারে।এর মধ্যে ২৩টি স্থান নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।এসব স্থানে পিকেটিংসহ পুলিশের ওপর হামলা, পুলিশের অস্ত্র ছিনতাই, নির্বাচনি ও রাজনৈতিক কার্যালয় ভাঙচুর, রাস্তা অবরোধ, যানবাহনে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটতে পারে।প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, অন্দোলনকারীরা বেইলি ব্রিজ ও কালভার্ট ধ্বংসের পাশাপাশি লঞ্চ-স্টিমার-ফেরিতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করতে পারে।কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেল স্টেশন, গাবতলী-সায়েদাবাদ-মহাখালী বাস টার্মিনাল এবং সদরঘাট লঞ্চঘাটসহ বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট ও রেলস্টেশনে নাশকতার শঙ্কা আছে।বঙ্গভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, গণভবন, জাতীয় সংসদ ভবন, সচিবালয়, সুধাসদন, বিমানবন্দর, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মন্ত্রী-এমপিদের বাসভবন, বিদেশি দূতাবাস ইত্যাদিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।বিএনপি ও জামায়াত শিবির অধ্যুষিত এলাকায় বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। জামায়াত শিবিরসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ছাত্রাবাস, হল ও মেসে জোরদার করা হয়েছে তল্লাশি কার্যক্রম।কেউ যেন ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের বাসা-বাড়ি ও উপাসনালয়ে হামলা করতে না পারে সেদিকেও সতর্ক দৃষ্টি রাখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া আছে।এসব বিষয় সামনে রেখে সারা দেশে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ নভেম্বর ২০২৩


পিটার হাসকে হত্যার হুমকি আওয়ামী লীগ নেতার

পিটার হাসকে হত্যার হুমকি আওয়ামী লীগ নেতার

প্রকাশ্যে পেটানোর হুমকি দেওয়ার পর এবার ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে গলা কেটে হত্যার হুমকি দিয়েছেন এক আওয়ামী লীগ নেতা। কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফরিদুল আলম এ হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সন্ধ্যায় পিটার হাসকে হত্যার হুমকি দেওয়া ফরিদুল আলমের বক্তব্যের ২৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।ওই ভিডিওতে আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদুল আলমকে বলতে শোনা যায়, ‌‌‘আপনারা জানেন, বাংলাদেশে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। কী একটা পাতি হাঁস আসছে। পিটার হাস...(প্রকাশযোগ্য নয়)। সে বিএনপির হয়ে যে অসভ্য কাজ কারবারগুলো বাংলাদেশে করছে, তাকে পেলে জবাই করে মানুষকে খাওয়াইতাম। সেই পিটার হাস....। ‘জানা গেছে, গত ৬ নভেম্বর উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে কর্মী সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় ফরিদুল আলম পিটার হাস সম্পর্কে এসব কথা বলেন। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ফরিদুল আলমকে পাওয়া যায়নি। তবে ফরিদুলের বক্তৃতার সময় মঞ্চে থাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তারেক বিন ওসমান শরীফ বলেন, পিটার হাসকে নিয়ে কিছু একটা বলেছিলেন তিনি (ফরিদুল)। তবে কী বলেছিলেন মনে নাই।কালারমারছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার পাশা চৌধুরী প্রমুখ।এর আগে পিটার হাসকে প্রকাশ্যে পেটানোর হুমকি দিয়েছিলেন চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মুজিবুল হক চৌধুরী।গত ৬ নভেম্বর চাম্বল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত হরতাল-অবরোধবিরোধী সমাবেশে হাসকে হুমকি দেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে মুজিবুল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে নিয়েও কটূক্তি করেন। আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘পিটার হাস বলেছেন— এখানে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। এই পিটার হাস, আমরা খাই পাঁচ আঙুলের ভাত। আর তুই খাস ফিডার। তুই হলি বিএনপির ভগবান। আর তোরে এমন পিটুনি দেব...। বাঙালি কি ফাজিল তা তো জানোস না। তোরা বিএনপি-জামায়াতের ভগবান হতে পারবি। তবে আমাদের একটি... ছিঁড়তে পারবি না।’

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ নভেম্বর ২০২৩


'এত শঙ্কার পাহাড়, এত খরস্রোতা নদী পার হয়ে এলাম এখন আবার কাকে ভয় পাব?- কাদের

'এত শঙ্কার পাহাড়, এত খরস্রোতা নদী পার হয়ে এলাম এখন আবার কাকে ভয় পাব?- কাদের

বাংলাদেশের জনগণ, বাংলাদেশের ভোটাররা বিএনপিকে প্রতিহত করব বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।আজ বৃহস্পতিবার সকালে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।বিএনপি তফসিল প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা বলেছে, প্রতিহত করবে। তাদের এই প্রতিহতের ঘোষণায় আওয়ামী লীগ শঙ্কিত কি না জানতে চাইলে কাদের গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, 'শঙ্কার এত পাহাড় এত খরস্রোতা নদী পার হয়ে এলাম। এখন আবার কাকে ভয় পাব? এত বিপদ সংকুল দরিয়া পার হলাম, তার পরে আবার ভয় কীসের! কোনো ভয় করি না। প্রতিহত যারা করবে; আমাদের লাগবে না। বাংলাদেশের জনগণ, বাংলাদেশের ভোটাররা তাদের প্রতিহত করব।'কাদের বলেন, 'জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আপসহীন লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। আওয়ামী লীগ নির্বাচন ব্যাতিত; অর্থাৎ জনগণের রায় ছাড়া কখনো রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেয়নি।'তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগের ইতিহাস গণতান্ত্রিক রীতিনীতি চর্চা এবং গণতান্ত্রিক সংগ্রামের ইতিহাস। আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্রের পথে রাষ্ট্র ক্ষমতা বদলে চিন্তাই কখনো করেনি। আওয়ামী লীগের ইতিহাসে গণতন্ত্রের পরিবর্তে ষড়যন্ত্র নামক শব্দ কখনো সংযোজিত হয়নি। আমাদের কাজে, আমাদের আচরণে আমরা গণতন্ত্রকে অনুসরণ করেছি। গণতান্ত্রিক রীতিনীতিকে অনুসরণ করে লড়াই করেছি, সংগ্রাম করেছি এবং জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট থেকেছি।'সরকার পতনের একদফা দাবিতে বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'এখন আর কিছু নাই, সর্বশেষ নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে গেছে। আর কী দিয়ে আন্দোলন! নেতা নেই, আছে ওই যে, আবাসিক প্রতিনিধি। আবাসিক প্রতিনিধির আবাস এখন আর নেই। হঠাৎ হঠাৎ কোন গোপন গুহা থেকে বের হয় মাবুদ আল্লাহ জানেন। নেত্রী একদিন বলছিলেন একজন অফিসারকে; দরকার নেই, একজন আছে বলুক। একজন আছে বলুক যা খুশি। বলা তো লাগবে। বিরোধী কণ্ঠ লাগবে না? তাকে ধরার এমন জোর কোনো চেষ্টা সরকারের পক্ষ থেকে করা হয়নি। সে জন্য এখন খুব একজনে লাফালাফি করছে। হঠাৎ দেখি ডেমরার রাস্তায়, সঙ্গে পাঁচ থেকে সাত জন। কোথাও কোথাও ১০-১২ জন। এই করে করে আন্দোলন। আন্দোলনের নামে এটা প্রহসন।'তিনি বলেন, 'এই করে কিছুই হবে না। নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে গেছে। আমরা চাই না এমন নির্বাচন। সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করতে চাই। এখনো আমাদের এ আহ্বান সবার জন্য। সবাই আছে, আমরা একা ক্ষমতায় যেতে চাই না। সবাইকে নিয়ে আমরা এ লড়াই, নির্বাচনী লড়াই অতিক্রম করতে চাই। কাজেই যারা চিন্তা করতে আমরা শুধুমাত্র নিজেরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য, আমরা নিজেরাই নির্ঘণ্ট উচ্চারণ করেছি; এ কথা মোটেও ঠিক না।'নির্বাচন সংবিধানের বাইরে যাওয়ার উপায় নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ নভেম্বর ২০২৩


দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে আ.লীগের আনন্দ মিছিল

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে আ.লীগের আনন্দ মিছিল

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ ও সগযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।বুধবার সন্ধার পূর্বে থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে বঙ্গবন্ধু এ্যভিনিউয়ের আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আসেন তারা।আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে থেকে জিপিও মোড় হয়ে আবার বঙ্গবন্ধু এ্যভিনিওয়ে আসে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ, কৃষকলীসহ সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা আনন্দ মিছিল করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী,সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সহ-সভাপতি নুরুল আমিন রুহুল, সাংসদ তামান্না নুসরাত বুবলীসহ মহানগরের নেতারা উপস্থিত আছেন।মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা থেকে নেতা কর্মীরা মিছিল নিয়ে আসেন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে।এছাড়া তাৎক্ষণিকভাবে বাংলামটর এলাকায় ঢাকা দক্ষিণ ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান আসাদ ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যৌধ উদ্যোগে তফসিকে অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ মিছিল করে।মিছিল শেষে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বলেন, "নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিলকে স্বাগত জানাই। আমরা আশা করি ঘোষিত তফসিল অনুয়ায়ী আগামী ৭ জানুয়ারী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবারও আওয়ামী লীগ বিপুল সংখক আসন নিয়ে সরকার গঠন করবে।"নির্বাচন বানচালের কোন ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অনন্ত্র পাহারায় থাকবে।"

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ নভেম্বর ২০২৩


অসাংবিধানিক পথে সরকার পরিবর্তনের চেষ্টা করলে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত হতে পারেন - হুইপ স্বপন

অসাংবিধানিক পথে সরকার পরিবর্তনের চেষ্টা করলে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত হতে পারেন - হুইপ স্বপন

জাতীয় সংসদের হুইপ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, বাংলাদেশের সংবিধানের ৭ অনুচ্ছেদের ১ ও ২ দফা এবং ৭ক অনুচ্ছেদের ১ দফার ক, খ, ২ দফার ক ও খ উপদফা মোতাবেক কোন ব্যক্তি শক্তি প্রদর্শন বা শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে বা অন্য কোন অসাংবিধানিক পন্থায় -(ক) এই সংবিধান বা ইহার কোন অনুচ্ছেদ রদ, রহিত বা বাতিল বা স্থগিত করিলে কিংবা উহা করিবার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ বা ষড়যন্ত্র করিলে ; কিংবা(খ) এই সংবিধান বা ইহার কোন বিধানের প্রতি নাগরিকের আস্থা, বিশ্বাস বা প্রত্যয় পরাহত করিলে কিংবা উহা করিবার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ বা ষড়যন্ত্র করিলে- তাহার এই কার্য রাষ্ট্রদ্রোহিতা হইবে এবং ঐ ব্যক্তি রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে দোষী হইবে। (২) কোন ব্যক্তি (১) দফায় বর্ণিত-(ক) কোন কার্য করিতে সহযোগিতা বা উস্কানি প্রদান করিলে; কিংবা(খ) কার্য অনুমোদন, মার্জনা, সমর্থন বা অনুসমর্থন করিলে- তাহার এইরুপ কার্যও একই অপরাধ হইবে।তিনি আরও বলেন, সংবিধানের ৭ক অনুচ্ছেদের ৩ দফা মোতাবেক উপরোক্ত অপরাধে দোষী ব্যক্তি প্রচলিত আইনে অন্যান্য অপরাধের জন্য নির্ধারিত দন্ডের মধ্যে সর্বোচ্চ দন্ডে দন্ডিত হবেন। সুতরাং নির্বাচন ব্যতিত অন্য কোন উপায়ে বল প্রয়োগ করে অসাংবিধানিক পন্থায় সরকার পরিবর্তনের যে কোন চেষ্টার সঙ্গে দেশী বা বিদেশী যে কোন ব্যক্তি ষড়যন্ত্র করলে, তিনি বা তারা বাংলাদেশের প্রচলিত আইন থেকে কেউ রেহাই পাবেন না। যেকোন দেশী বা বিদেশী ব্যক্তি অসাংবিধানিক পথে সরকার পরিবর্তনের চেষ্টা করলে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত হতে পারেন। বাংলাদেশ আফগানিস্তান, ইরাক বা ফিলিস্তিন নয়। এই দেশ এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বদেশ। আজ( বুধবার) বিকেলে জয়পুরহাট-২ আসনের কালাই, ক্ষেতলাল এবং আক্কেলপুর উপজেলার ৪২ টি রাস্তা এবং ৩ টি সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সুধী সমাবেশে তিনি উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন। কালাই উপজেলা চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আক্কেলপুর উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম আকন্দ, ক্ষেতলাল উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তাকিম মন্ডল, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আলাউদ্দিন, কালাই উপজেলার ইউএনও জান্নাত আরা তিথি, ক্ষতলালের ইউএনও নুসরাত জাহান বন্যা, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মজিদ মোল্লা, মোকছেদ আলী মাস্টার, অধ্যক্ষ মোকছেদ আলী, আনোয়ারুজ্জামান তালুকদার নাদিম চেয়ারম্যান, মেয়র সিরাজুল ইসলাম, মেয়র রাবেয়া খাতুন, মেয়র শহীদুল আলম প্রমুখ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ নভেম্বর ২০২৩


সর্বাধিক পঠিত

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে একটি সহিংসতামুক্ত নির্বাচন চায়-ম্যাথু মিলার

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে একটি সহিংসতামুক্ত নির্বাচন চায়-ম্যাথু মিলার

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে একটি সহিংসতামুক্ত নির্বাচন চায়।গতকাল নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।সেসময় তার কাছে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের মধ্যে কোনো পার্থক্য আছে কি না জানতে চাইলে এ বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।জবাবে ম্যাথু মিলার বলেন, 'এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।'আরেক প্রশ্নের জবাবে মিলার জানান, যুক্তরাষ্ট্র ধারাবাহিকভাবে বলে আসছে যে বাংলাদেশে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও মুক্ত হওয়া উচিত এবং তা সহিংসতামুক্ত হওয়া উচিত।উল্লেখ্য, গত ১০ নভেম্বর ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে আলোচনার পর ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা জানান, ভারতীয় উপমহাদেশের জন্য বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা প্রয়োজন বলে তিনি বৈঠকে জানিয়েছেন।তাছাড়া, একটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তৃতীয় দেশের হস্তক্ষেপ নিয়েও উদ্বেগ জানান ভারতীয় পররাষ্ট্রসচিব।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ নভেম্বর ২০২৩


তফসিল ঘোষণা হবে, তাই সার্বিক নিরাপত্তা দেখতে এসেছি - ডিএমপি কমিশনার

তফসিল ঘোষণা হবে, তাই সার্বিক নিরাপত্তা দেখতে এসেছি - ডিএমপি কমিশনার

তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখার জন্য আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে গেছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। বুধবার (১৫ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। এর আগে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে নির্বাচন কমিশন ভবনে পৌঁছান তিনি। ডিএমপি কমিশনার বলেন, তফসিল ঘোষণা হবে, তাই সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখার জন্য আমি এসেছি। সবার সঙ্গে কথা বললাম। যেসব নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে, তা দেখতে এসেছি।হাবিবুর রহমান বলেন, নির্বাচন কমিশন ও নগরবাসীর নিরাপত্তার জন্য যে সমস্ত পদক্ষেপ পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া দরকার, যেমন— সিকিউরিটি চেকআপ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা যেগুলো আছে সেগুলো দেখা, এগুলো আমরা করছি। তিনি বলেন, অবরোধের মধ্যে তফসিল হচ্ছে, বিরোধী দলগুলো বলছে আরো কঠোর আন্দোলনে যাবে। তবে পুলিশ জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। যদি কোনো নৈরাজ্য হয় সেখানে পুলিশ অবশ্যই কঠোর অবস্থান নেবে।এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিরাপত্তা যেন নিশ্চিত হয় সেজন্য যা যা দরকার সব করব।এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল আজ (বুধবার, ১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাজধানীতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ, র‍্যাব ও বিজিবিসহ নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা।বুধবার সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। বিএনপির কার্যালয় নয়াপল্টন এলাকাসহ রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।অন্যদিকে র‍্যাব ও পুলিশ এরই মধ্যে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলেছে নির্বাচন কমিশন ভবনসহ আশপাশের এলাকা। ওই এলাকায় বাড়ানো হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য সংখ্যা।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ নভেম্বর ২০২৩


'এখন আর সংলাপের কোনো সুযোগ নেই'

'এখন আর সংলাপের কোনো সুযোগ নেই'

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এখন আর সংলাপের কোনো সুযোগ নেই।আজ বুধবার সকালে সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।এর আগে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর সংলাপের আহ্বান জানিয়ে পাঠানো চিঠি ওবায়দুল কাদেরের হাতে তুলে দেন।চিঠি প্রসঙ্গে কাদের বলেন, 'তার নিজের যে কথা, সেটা তিনি আগেও বলেছেন। সেটা হলো—একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন এবং পূর্বশর্ত ছাড়া সংলাপ। এই চিঠি বিষয়বস্তু নিয়ে আমার পার্টির প্রেসিডেন্ট এবং নির্বাহী কমিটির সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করা দরকার। কারণ আমাকে যদি জবাব দিতে হয়, আমার পার্টি চিন্তা-ভাবনা, দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা চিঠির জবাব দেবো।'তিনি বলেন, 'সময় খুব কম। যে কোনো সময়, যে কোনো দিন নির্বাচন কমিশন জাতীয় নির্বাচনের তারিখ-শিডিউল ঘোষণা করবে। শিডিউল ঘোষণার সময়টা দূরে নয়, এমনটাই আমরা শুনতে পাচ্ছি। এমতাবস্থায় আমাদের মতো দেশে ডায়ালগ যদি করতে হয়; ডায়ালগ তো আর কাউকে বাদ দিয়ে করা যাবে না! ডায়ালগ এমন না দুটি দলের সঙ্গে শুধু করতে হবে বা কয়েকটি দলের সঙ্গে। ডায়ালগ করলে শতাধিক দলের সঙ্গে করতে হবে।'এই সময়ে কখন ডায়ালগ হবে, কখন নির্বাচনী প্রক্রিয়া চলবে, সেটা একটা বিষয়। আরেকটা বিষয় হচ্ছে, ডায়ালগের ব্যাপারে আমাদের চিন্তা-ভাবনা, আমাদের যে সিদ্ধান্ত সেটা ছিল অত্যন্ত পরিষ্কার। আমরা আগেও বলেছিলাম, শর্তযুক্ত কোনো ডায়ালগের বিষয়ে আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি না। তারা তাদের একদফা দাবি প্রত্যাহার করুক। তারপর আমরা চিন্তা-ভাবনা করে দেখব। সেটা অনেক আগের কথা। সে সময় পেরিয়ে গেছে। এখন আর সেই পেরিয়ে যাওয়া সময়কে এগিয়ে নিয়ে আসার কোনো সুযোগ নেই। কাজেই সিদ্ধান্ত গ্রহণে সময়টা একটা বিরাট ফ্যাক্টর,' বলেন তিনি।চিঠির বিষয়ে দলের সভাপতির সঙ্গে কবে আলাপ করবেন জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, 'পারলে আজকেই আলাপ করব।'বিএনপি তাদের একদফা দাবি প্রত্যাহার করলে আপনারা সংলাপের বিষয়ে ভেবে দেখতে চেয়েছিলেন। আপনি বলছেন সে সময় পেরিয়ে গেছে। তাহলে কি সংলাপের সম্ভাবনা নেই, এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, 'কোনো ডেমোক্র্যাটিক পলিটিক্যাল পার্টি, যারা ডেমোক্রেসি প্র্যাকটিস করে; তারা সংলাপ চায় না—এমন কথা বলতে পারে না কিন্তু একটা সময় আছে। আজকে ইলেকশনের তারিখ ঘোষণা হচ্ছে। আপনি সংলাপ করবেন কবে? আমি সে কথা বলেছি।'আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'এখন আর সংলাপের কোনো সুযোগ নেই।'

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ নভেম্বর ২০২৩


বিএনপি-জামায়াতের অবরোধের প্রতিবাদে হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে কামরুল হাসান রিপনের বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান

বিএনপি-জামায়াতের অবরোধের প্রতিবাদে হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে কামরুল হাসান রিপনের বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান

ঢাকা-০৫ আসনে ১৫ই নভেম্বর রোজ বুধবার সকাল ১০টায় যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা থেকে শুরু হয়ে সায়দাবাদ, শহীদ ফারুক সড়ক এর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিএনপি-জামাতের ডাকা ৪৮ ঘন্টার অবরোধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন আলহাজ্ব কামরুল হাসান রিপন।এসময় উপস্থিত ছিলেন যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মান্নান, ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী সিফাত সাদেকীন চপল, কদমতলী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী শারমিন রহমান কাকলি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ আহমেদ, ৫০নং ওয়ার্ড ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি আলো, সাধারণ সম্পাদক ইমন, ৬০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী ওয়াসি উদ্দিন নূরানী, ৬০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মাসুদ রানা, ৬১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী ঝর্না হোসেন, ৬১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী আলেপ হোসেন, ৬১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী বদরউদ্দীন ছানা, দনিয়া কলেজ ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি ভাস্কর দে, পদপ্রার্থী বদরউদ্দীন ছানা, দনিয়া কলেজ ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তানবির,ডেমরা থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসিফ খান, একে স্কুল ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মল্লিক, ৫০নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্বাধীন, ৬২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মঞ্জু মোরশেদ, ৬১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী নাছির হোসেন,৬৬ নং ওয়ার্ড ডগাইর ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, ৬২নং ওয়ার্ড গোবিন্দপুর ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব হাসান শ্যামল, সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম, সদস্য মোঃ বাদল, উপদেষ্টা মোঃ জাফর, প্রচার সম্পাদক রবি, দপ্তর সম্পাদক গিয়াসউদ্দিন খান টিপু, কন্টাক্ট ইউনিট আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ রশিদ হাজী মুহাম্মদ রশিদ, ৬২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, ডেমরা থানা তাঁতী লীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম সজিব, ৬৬ নং ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এরশাদ মিয়া, ৯ নং ওয়ার্ড সারুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক রেজু সহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের হাজার ও নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ নভেম্বর ২০২৩


তফশিল নিয়ে কাল বিকালে বৈঠকে বসবে ইসি

তফশিল নিয়ে কাল বিকালে বৈঠকে বসবে ইসি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল নিয়ে আগামীকাল বুধবার বিকাল ৫টায় বৈঠকে বসবে নির্বাচন কমিশন ইসি। আগামীকাল হতে পারে নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা। এদিন প্রথমবারের মতো জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিবেন তিনি। ঘোষণা দিতে পারেন নির্বাচনের তফসিল। ভোট জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে।এর আগে সোমবার ইসি সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল নভেম্বরের প্রথমার্ধে ঘোষণা করা হতে পারে।সে সময় সচিব বলেন, ইসি বলেছে নভেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা হবে। প্রথমার্ধের দিন যেহেতু সামনে আছে, তাই আপনারা অপেক্ষা করুন। এই বিষয়ে আমরা পত্রিকায় বিস্তারিত প্রকাশ করব।এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর। নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। তাই সংবিধান অনুযায়ী, বর্তমান সংসদের পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি। পরবর্তী সংসদের জন্য ভোটগ্রহণ করতে হবে তার আগের নব্বই দিনের মধ্যে। অর্থাৎ গত ১ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হয়েছে। আর ২৯ জানুয়ারির মধ্যে রয়েছে নির্বাচন সম্পন্ন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। আর ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১০৩টি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ নভেম্বর ২০২৩


ডোনাল্ড লু’র চিঠি, শর্তহীন সংলাপে বসার আহ্বান ৩ দলকে

ডোনাল্ড লু’র চিঠি, শর্তহীন সংলাপে বসার আহ্বান ৩ দলকে

বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের তাগিদ দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি কোনো একটি রাজনৈতিক দলের বিপরীতে অন্য রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না-এমন মন্তব্য করে দেশটি বিবদমান সব পক্ষকে শর্তহীন সংলাপে বসার আহ্বান জানায়।সোমবার আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিকে দেওয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র চিঠিতে এসব কথা বলা হয়। যদিও সোমবার রাত সাড়ে নয়টায় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ‘আমরা এমন চিঠি পাইনি।’ তবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানান, ‘আমরা চিঠি পেয়েছি’। আর সোমবার বিকালে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপির কাছে ওই চিঠি পৌঁছে দেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র বলেছেন, রাষ্ট্রদূত (পিটার) হাস আসন্ন নির্বাচনের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান অনুধাবনের লক্ষ্যে বৈঠকে বসার জন্য তিনটি প্রধান রাজনৈতিক দলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। তারা সব পক্ষকে সহিংসতা পরিহার এবং সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানায়। ওই চিঠিতে বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণা করা ভিসানীতির বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়। বলা হয়, যারা গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করবে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ প্রক্রিয়ায় ভিসানীতি (থ্রিসি) প্রয়োগ করা হবে।ডোনাল্ড লু তিনটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের কাছে কোনো চিঠি পাঠিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র বলেন, প্রাইভেট কোনো কূটনৈতিক যোগাযোগের বিষয়ে মন্তব্য না করা আমাদের দীর্ঘদিনের চর্চা।সম্প্রতি দিল্লিতে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ২+২ সংলাপের পর তিন দলকে এই চিঠি দিলেন ডোনাল্ড লু। যদিও সংলাপ শেষে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা সাংবাদিকদের বলেছেন, আলোচনায় বাংলাদেশের নির্বাচনের বিষয়টি স্থান পেয়েছে। এ ব্যাপারে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করেছে দেশটি। ভারত মনে করে, এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর কূটনীতিকরা পর্দার আড়ালে তিনটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এছাড়া প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন কূটনীতিকরা। প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে বৈঠকের পর মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সাংবাদিকদের বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র শর্তহীন সংলাপ দেখতে চায়। তারপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক। সংলাপ প্রশ্নে তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, সংলাপ হতে হবে সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে। বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন খান ও জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন কুক। জানা গেছে, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনার উদ্যোগের অংশ হিসাবে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস সোমবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদেরের সঙ্গে দেখা করেন। জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে প্রায় ৪০ মিনিটের এই সাক্ষাৎপর্বে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আগামী নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়। মার্কিন রাষ্ট্রদূত এ সময় তাদের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু লিখিত একটা চিঠি জিএম কাদেরের কাছে হস্তান্তর করেন।বিষয়টি নিশ্চিত করে জাতীয় পার্টি মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত মূলত তাদের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সহকারী মন্ত্রী ডোনাল্ড লু লিখিত একটা চিঠি নিয়ে এসেছেন। তিনি চিঠিটা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের কাছে হস্তান্তর করেন। একই চিঠি বাংলাদেশের তিনটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং জাতীয় পার্টিকে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সেই চিঠির বিষয়ে সংক্ষেপে বলা যায়, বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগামীতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়। মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের মার্কিন রাষ্ট্রদূতের পক্ষ থেকে দেওয়া ডোনাল্ড লু’র চিঠিটি উপস্থিত দলের নেতাদের পড়ে শুনিয়েছেন। বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে জাতীয় পার্টি কী জানিয়েছে-গণমাধ্যমকর্মীদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা তো আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাদের কেন জানাব? বাংলাদেশের জনগণের দাবি একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। আমাদেরও একই দাবি। জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, সাবেক মন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান এমপি এ প্রসঙ্গে সোমবার যুগান্তরকে বলেন, এ ধরনের চিঠির কথা আমার জানা নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বিবদমান সব পক্ষকে শর্তহীন সংলাপে বসার আহ্বান সম্পর্কে তিনি বলেন, হরতাল-অবরোধের নামে সংঘাত-সহিংসতার পথ বেছে নিয়ে বিএনপি আলোচনার সব পথ বন্ধ করে দিয়েছে। ফারুক খান বলেন, বিএনপি প্রথম থেকেই নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে। সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা ব্যাহত করতে চায়। তারা জ্বালাও-পোড়াও অগ্নিসংযোগসহ মানুষ হত্যার পথ বেছে নিয়ে অশুভ শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে চায়। তাই তাদের সঙ্গে বসে কোনো লাভ নেই। অন্যদিকে মাঠের বিরোধী দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, প্রবীণ রাজনীতিবিদ নজরুল ইসলাম খান এ প্রসঙ্গে সোমবার যুগান্তরকে বলেন, চিঠির বিষয়বস্তু সম্পর্কে আমি এখন পর্যন্ত কিছু জানি না। চিঠি না দেখে, চিঠির বিষয়বস্তু সম্পর্কে না জেনে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তিনি আরও বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগসহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছি। এই দাবি সরকার মেনে নিলে তাদের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে। এর বাইরে অন্য কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনার সুযোগ নেই।প্রসঙ্গত, সংবিধান অনুযায়ী সংসদের ৫ বছর মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বর্তমান সংসদের মেয়াদ ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি শেষ হবে। এক্ষেত্রে ৯০ দিনের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর থেকে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ নভেম্বর ২০২৩


‘শর্তহীন সংলাপে বসার আহ্বান ৩ দলকে’

‘শর্তহীন সংলাপে বসার আহ্বান ৩ দলকে’

দেশের বিবদমান রাজনৈতিক দলগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো চিঠি নিয়ে দৈনিক যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম, ‘শর্তহীন সংলাপে বসার আহ্বান ৩ দলকে’।প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সোমবার বিএনপি ও জাতীয় পার্টিকে এ–সম্পর্কিত চিঠি দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগকেও চিঠি দেয়ার কথা রয়েছে।ওই চিঠিতে বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের তাগিদ দিয়ে বিবদমান সব পক্ষকে শর্তহীন সংলাপে বসার আহ্বান জানায়।মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র চিঠিতে এসব কথা বলা হয়। সম্প্রতি দিল্লিতে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ২+২ সংলাপের পর তিন দলকে এই চিঠি দিলেন ডোনাল্ড লু।ওই চিঠিতে বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণা করা ভিসানীতির বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়। বলা হয়, যারা গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করবে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ প্রক্রিয়ায় ভিসানীতি (থ্রিসি) প্রয়োগ করা হবে।সোমবার বিকালে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপির কাছে ওই চিঠি পৌঁছে দেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানান, ‘আমরা চিঠি পেয়েছি’।তবে সোমবার রাত সাড়ে নয়টা নাগাদ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ‘আমরা এমন চিঠি পাইনি।’এদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার পর্যালোচনা সভায় বাংলাদেশ প্রসঙ্গ নিয়ে প্রথম আলোর প্রথম পাতার খবর, ‘গণতন্ত্র ও মানবাধিকারে জোর’।প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, জেনেভায় চলমান জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের চতুর্থ ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউ-ইউপিআর বা সার্বজনীন নিয়মিত পর্যালোচনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের সামগ্রিক মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।সেখানে গুম বিষয়ক আন্তর্জাতিক সনদে স্বাক্ষর এবং গুমের অভিযোগগুলো স্বাধীনভাবে তদন্তের আহ্বান জানানো হয়। নির্যাতনবিরোধী সনদ কনভেনশন এগেইন্স টর্চারের অতিরিক্ত প্রোটোকল স্বাক্ষরের সুপারিশও করে অনেক দেশ।ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পরিবর্তন আনা এবং সাইবার নিরাপত্তা আইনের বিষয়েও আলোচনা হয়। নতুন এ আইন মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে মারাত্মকভাবে সংকুচিত করবে বলে অভিমত বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের।এক্ষেত্রে তারা মানবাধিকার আইনগুলোর সঙ্গে সেটা সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে সংশোধন করার তাগিদ দেন। এর মধ্যে কানাডার প্রতিনিধি সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানান।এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, এসব অধিকার সীমাহীন নয়, নিরাপত্তা ও শান্তি নিশ্চিত করাও গুরুত্বপূর্ণ। আইন করার উদ্দেশ্য সাইবার জগতকে নিরাপদ রাখা।এদিকে নির্বাচন ও বিরোধী দল প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ রাজনীতির ক্ষেত্রে বিরোধীদের সব রকম অধিকার নিশ্চিত করেছে এবং বিরোধীদল পার্লামেন্টে সর্বোচ্চ স্বাধীনতা ভোগ করছে।বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা অবরোধ প্রসঙ্গে কালের কণ্ঠের প্রথম পাতার খবর, ‘তিন বাসে আগুন গ্রেপ্তার ৪৮০’।প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিএনপি ও সমমনাদের চতুর্থ দফা অবরোধের দ্বিতীয় দিন সোমবার ঢাকাসহ দেশে তিনটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। এই নিয়ে দুই দিনের অবরোধে ১৪টি যানবাহনে আগুন দেওয়া হলো।দেশের কয়েক স্থানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ হয়। সারা দেশে পুলিশ ৪৮০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।সন্ধ্যায় শনির আখড়া চৌরাস্তা ব্রিজের ওপর একটি যাত্রীবাহী বাসে এবং রবিবার দিবাগত রাতে বনানী এলাকায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি স্টাফ বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।এদিকে, বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর দাবি, রবিবার রাত ৮টা থেকে গতকাল রাত ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে নতুন ১৬টি মামলায় ৪৮০ জন নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন।এসব মামলায় মোট আসামি করা হয়েছে এক হাজার ৭০০ জনকে।এই নিয়ে গত ১৭ দিনে ৬৪২ মামলায় দলটির ১৪ হাজার ২৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। এ সময়ের মধ্যে আহত হয়েছে ছয় হাজার ৮৭ জন।ঢাকা ছাড়াও কয়েক জেলায় অবরোধের সমর্থনে ঝটিকা মিছিল হয়েছে। সকালে ঢাকায় যানবাহনের চাপ আগের চেয়ে কম ছিল। অবরোধে দূরপাল্লার বাস খুব একটা ছাড়েনি।বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যায় যানবাহন বেড়ে যায়। বাড্ডাসহ কোনো কোনো সড়কে দেখা গেছে যানজটও।ডলার সংকট নিয়ে নিউ এইজের প্রধান শিরোনাম, ‘Economy slides further amid foreign currency crunch’ অর্থাৎ ‘বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের মধ্যে অর্থনীতির অধঃপতন’।প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বৈদেশিক মুদ্রার সংকট, মূল্যস্ফীতি এবং মাসিক রপ্তানি আয়ের তীব্র হ্রাসের কারণে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে।বৈদেশিক মুদ্রার সংকট, মূল্যস্ফীতি এবং মাসিক রপ্তানি আয় কমে যাওয়ায় দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে।অর্থনীতিবিদরা বলছেন অক্টোবরে মাসিক রপ্তানি আয় ১৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ কমে তিন দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। যা একই মাসে চার ডলারের বেশি ছিল।এরমধ্যে নতুন ন্যূনতম মজুরি নিয়ে তৈরি পোশাক খাতে অস্থিরতার অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা।এদিকে অক্টোবরে দেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।ক্রমাগত উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে বেশির ভাগ মানুষ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের।অর্থনীতিবিদরা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে দায়ী করেছেন। যা কিনা ২০২১ আগস্টেও ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছিল।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ নভেম্বর ২০২৩


মানুষ খুন বিএনপি-জামায়াতের একমাত্র গুণ : শেখ হাসিনা

মানুষ খুন বিএনপি-জামায়াতের একমাত্র গুণ : শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন জনগণের উন্নয়ন হয়। দুর্ভাগ্যের বিষয় বিএনপি মানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। বিএনপি-জামায়াতের কাজই হচ্ছে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারা। মানুষ খুন তাদের একমাত্র গুণ। বিএনপি-জামায়াতের আর কোনো গুণ নেই। সোমবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিভাগীয় মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা দেখেছেন এই ২৮ অক্টোবর কীভাবে পুলিশকে মাটিতে ফেলে পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। বেহুঁশ হয়ে গেছে তাও ছাড়েনি। তারপর কুপিয়েছে। ৪৫ জন পুলিশ আহত হয়েছে। সাংবাদিকদেরও ছাড়েনি। সাংবাদিকদের তারা পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। রাজারবাগ পুলিশ স্টেশনে ঢুকে হাসপাতালে আক্রমণ করেছে। কয়েকটা অ্যাম্বুলেন্স ভেঙেছে, পুড়িয়ে দিয়েছে। কয়েকটা অ্যাম্বুলেন্স ভেঙেছে, পুড়িয়ে দিয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সে করে রোগী যাচ্ছে সেই অ্যাম্বুলেন্সে আক্রমণ করেছে। এদের মধ্যে এতটুকু মনুষত্ববোধ আছে বলে আমি মনে করি না। তিনি বলেন, আমার একটাই লক্ষ্য এ দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করা। ২০০৮ সাল ২০১৪, ২০১৮ সালে ক্ষমতায় এসেছি। ধারাবাহিক গণতান্ত্রের ধারা অব্যাহত রয়েছে।এর আগে বিকেল ৩টা ১৬ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী সাকিট হাউস মাঠে আয়োজিত আওয়ামী লীগের বিভাগীয় সমাবেশে উপস্থিত হন। এরপর সেখানে তিনি ২৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে হেলিকপ্টারে খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে অবতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত সার্কিট হাউসে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর হাউস মাঠে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। বিভাগীয় এই মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ নভেম্বর ২০২৩


আগামী বুধবার ও বৃহস্পতিবার অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি

আগামী বুধবার ও বৃহস্পতিবার অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি

নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে আগামী বুধবার ও বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।গতকাল ও আজকের অবরোধ কর্মসূচির পর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নতুন এই কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছেন।গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে হামলা ও সংঘর্ষের পরদিন দলটি সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে।এরপর এক দিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিন দিন অবরোধ কর্মসূচি দেওয়া হয়। এরপর শুক্র ও শনিবার বিরতি দিয়ে ৫ ও ৬ নভেম্বর অবরোধ পালন করে বিএনপি।এরপর একদিনের বিরতি দিয়ে ৮ ও ৯ নভেম্বর তৃতীয় দফায় অবরোধ দেওয়া হয়। আবারও শুক্র ও শনিবার বিরতি দিয়ে চতুর্থ দফায় ১২ ও ১৩ নভেম্বর দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি পালন করে দলটি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ নভেম্বর ২০২৩


অবরোধের শেষ দিনেও যাত্রীশূন্য বাস টার্মিনালগুলো

অবরোধের শেষ দিনেও যাত্রীশূন্য বাস টার্মিনালগুলো

বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকা চতুর্থ দফা অবরোধের শেষ দিনেও যাত্রীশূন্য বাস টার্মিনালগুলো। আজ সোমবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর মহাখালী, গাবতলী বাস টার্মিনালে এমন চিত্র দেখা গেছে। সকাল থেকেই বাস টার্মিনাল ছিল একেবারেই সুনসান। বাসের স্টাফরা জানান, অবরোধের দিনগুলোতে বাস টার্মিনালে যাত্রীর দেখা পাওয়া যায় না। ফলে ঢাকা থেকে বিভিন্ন জেলার উদ্দেশে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার বাস। এতে লসের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে পরিবহণগুলোকে। এ ছাড়া বাস চলাচল না করায় স্টাফরাও পড়েছেন বিপাকে।এদিকে আজও রাজধানীতে গণপরিবহণ তুলনামূলক কম দেখা গেছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মোড়ে মোড়ে অফিসগামী যাত্রীরা দীর্ঘ সময় বাসের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন। বাসাবো, মালিবাগ, বাংলামোটর, ফার্মগেট, তেজগাঁও, আগারগাঁও, কাজীপাড়া, শ্যামলী, মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় এই চিত্র দেখা গেছে।অবরোধ কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে রাজধানীতেই বেশ কিছু বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ফলে আতঙ্কে রাস্তায় বাস নামাচ্ছেন না পরিবহণ সংশ্লিষ্টরা। সাধারণ মানুষও প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। এতে স্বাভাবিক সময়ের ব্যস্ত রাস্তা ও মোড়গুলো ফাঁকা রয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ নভেম্বর ২০২৩


মিরপুরে দিন দুপুরে একটি বাসে আগুন

মিরপুরে দিন দুপুরে একটি বাসে আগুন

ঢাকার মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বর এলাকায় একটি বাসে আগুন লাগানো হয়েছে। আজ রোববার বেলা সোয়া একটার দিকে বাসটিতে আগুন লাগানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।ফায়ার সার্ভিস বলেছে, বাসটি প্রজাপতি পরিবহনের। খবর পেয়ে মিরপুর ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক খুদে বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো আজ চতুর্থ দফায় সারা দেশে ৪৮ ঘণ্টার সড়ক, রেল ও নৌপথে অবরোধ শুরু করেছে। আজ সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়ে আগামী মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এ অবরোধ চলবে।সকালে ফায়ার সার্ভিস জানায়, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় গতকাল রাত ৮টা থেকে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত ১০ ঘণ্টায় ৯টি যানবাহনে আগুন লাগানো হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ নভেম্বর ২০২৩


বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মূল ফটকে ১৬ দিন ধরে ঝুলছে তালা

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মূল ফটকে ১৬ দিন ধরে ঝুলছে তালা

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মূল ফটকে ১৬ দিন ধরে তালা ঝুলছে। কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছে পুলিশ।আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় এলাকায় গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের পর থেকেই সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন। দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলছে।আজ সকালে নয়াপল্টনে গিয়ে দেখা যায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পূর্ব পাশে পূবালী ব্যাংকের নিচে ও পশ্চিম পাশে বেসরকারি একটি হোটেলের নিচে পুলিশ অবস্থান করছে। কার্যালয়ের মূল ফটকে তালা লাগানো। বিএনপি কার্যালয়ে পূর্ব ও পশ্চিম পাশে এখনো ১০টি লোহার প্রতিবন্ধক রাখা।‌ কার্যালয়ের ফটকের ভেতরে একটি প্লাস্টিকের চেয়ারে কয়েকটি খাম পড়ে আছে।বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর ডাকে চতুর্থ দফা অবরোধ চলছে আজ সকাল থেকে। নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সড়ক দিয়ে রিকশা, মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় কম। এ ছাড়া ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল কম।বিএনপির কার্যালয়ের সামনের গলির চা–দোকানদার তকদির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ২৮ নভেম্বরের সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে বিএনপির কর্মীরা এ এলাকায় আসছেন না। পুলিশ সদস্যরাই রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছেন।বিএনপি কার্যালয়ের পূর্ব পাশে জোনাকি সুপার মার্কেট ও পলওয়েল সুপার মার্কেটে গিয়ে দেখা গেছে, দোকানপাট খোলা।‌ তবে ক্রেতাসমাগম নেই। পলওয়েল সুপার মার্কেটে কথা হয় তৈরি পোশাক ব্যবসায়ী সাব্বির জোনায়েদের সঙ্গে। তিনি বলেন, তাঁরা প্রতিদিন সকাল ১০টায় দোকান খোলেন। রাত ৯টায় বন্ধ করেন। কিন্তু দিনে ৫-৭ হাজার টাকা বিক্রি হয় না।সাব্বির প্রথম আলোকে বলেন, ‘ক্রেতারা আতঙ্কে থাকেন। এদিকে আসতে চান না। তাঁর দোকানে তিনজন কর্মচারী। কিন্তু ব্যবসার খারাপ অবস্থার কারণে একজনকে বাদ দিয়েছেন।’মুদি ও বেকারি ব্যবসায়ী আসাদও ক্রেতা কমে যাওয়ার কথা বলেছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ নভেম্বর ২০২৩