বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনে জনগণ কতৃক বার বার প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিএনপি এখন হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতা দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে। মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করে বিদেশি প্রভুদের কাছে গিয়ে দেশের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে। মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে দেশের জনগণের বিরুদ্ধে ‘স্যাংকশন’ আরোপের ক্রমাগত ষড়যন্ত্র করছ্লেছশনিবার (২১ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও দুরভিসন্ধিমূলক বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।সরকার পালানোর পথ পাবে না’ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদে ওবায়দুল কাদের এমপি বলেন, যে দলের নেতৃত্ব মুচলেকা দিয়ে রাজনীতিকে চিরবিদায় জানিয়ে দেশ ত্যাগ করে, আদালত কর্তৃক দ-প্রাপ্ত ও পলাতক আসামী হিসেবে বিদেশে পালিয়ে বেড়ায় সে দলের নেতাদের মুখে এ ধরনের বক্তব্য শোভা পায় না।বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির দুর্নীতিবাজ নেতৃত্ব বিদেশে বসে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে দল চালায়। তাদের নেতাকর্মীদের নাশকতার উস্কানি দেয়। কিন্তু বিশ্ববাসী ও দেশের জনগণের কাছে গুজব রটনাকারীদের ষড়যন্ত্র আজ ধরা পড়েছে, সত্য উদ্ভাসিত হয়েছে। তাই বিএনপি নেতৃবৃন্দ দিশেহারা। বঙ্গবন্ধুর খুনি-যুদ্ধাপরাধীদের পৃষ্ঠপোষক বিএনপি-জামাত দেশের মানুষের কোন মঙ্গল চায় না। তাই দেশের গণতন্ত্র উন্নয়ন-অগ্রগতি তাদের চোখে পড়ে না। অথচ আইএমএফ-এর ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আন্তইনেত মনসিও সায়েহ বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে সফলতার কথা উল্লেখ করে গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে শেখ হাসিনা সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, ইউরোপে যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বের তেল ও গ্যাসের সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। এ কারণে বিশ্বজুড়ে তেল ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিদ্যুৎ-এর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে পৌনে তিন গুণ। আর যুক্তরাজ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে পৌনে ছয় গুণ। বাংলাদেশ সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন গড়ে ইউনিট প্রতি তিন টাকা ভর্তুকি প্রদান করেছে। পিডিবি বছরে ৪০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি প্রদান করছে। জনগণের কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও সরকার নিরুপায় হয়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করেছে। আমরা বিএনপির কাছ থেকে রাজনৈতিক দল হিসেবে দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করি। রাজনৈতিক ফয়দা লোটার জন্য সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও গুজব না ছড়িয়ে তাদের আসন্ন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানাই। সাংবিধানিক পন্থায় একমাত্র নির্বাচনের মাধ্যমেই রাষ্ট্রক্ষমতা পরিবর্তন হতে পারে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ জানুয়ারি ২০২৩
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগের স্লোগান হলো- আমার ভোট আমি দেবো তোমার ভোটও আমি দেবো। উন্নয়নের কথা বলে ফ্যাসিস্ট এই সরকার জনগণকে বোকা বানাচ্ছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির কার্যালয়ে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।সরকারের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, গরিব আরও গরিব হচ্ছে, আর আওয়ামী লীগের নেতারা ফুলে ফেঁপে বড়লোক হচ্ছে।তিনি বলেন, জনগণকে নিয়ে এসব ফাজলামি আর চলবে না, জনগণকে নিয়ে মশকরা করা চলবে না, বিএনপি ভোট চায় তবে তা হতে হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। তা-না হলে আওয়ামী লীগ ভোট চুরি করবেই, এটা তাদের স্বভাব।বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, সব দলকে নিয়ে যে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করা হয়েছে সেই আন্দোলনে জয়লাভ করলে বিএনপি একটি জাতীয় সরকার গঠন করবে। সে জাতীয় সরকারে সব দলের নেতারা প্রতিনিধিত্ব করবেন।শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশিদ প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ জানুয়ারি ২০২৩
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেছেন, একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতেই এই দেশ নিরাপদ। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না আসলে দেশ সিরিয়া, লিবিয়া, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে। তাই দেশ ও জনগণের স্বার্থে আমাদের শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী করতে কাজ করে যেতে হবে।শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ উপ-নির্বাচন উপলক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল ওদুদ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের প্রার্থী জিয়াউর রহমানের বিজয়ের লক্ষ্যে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।সুজিত রায় নন্দী বলেন, দেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। এই অগ্রগতিকে ধরে রাখতে হলে আজকের তরুণেরা যে স্বপ্ন দেখেন, সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটাতে হবে। আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে নৌকার বিকল্প নেই।আওয়ামী লীগের এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের উন্নয়নের ক্ষেত্রে নৌকা প্রতীক বিজয়ের বিকল্প নেই। ধারাবাহিকভাবে দেশ অভূতপূর্ব উন্নয়ন হচ্ছে। এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আওয়াল শামীম, সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজি,সদস্য নির্মল কুমার চ্যাটার্জী।এ সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২ এবং ৩ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বক্তব্য দেন। এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২১ জানুয়ারি ২০২৩
আমাদের (বাংলাদেশের) গণতন্ত্র আমরাই চালাবো। বিদেশি কারও ফরমায়েশে চলবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেন, গণতন্ত্র নষ্টকারী বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের বুলি শোভা পায় না। শত বাধা-বিপত্তির মধ্যেও শেখ হাসিনা গণতন্ত্র বিকাশে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন।শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের প্রধান কার্যালয়ে শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।অনুষ্ঠানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে মৃত ইস্যু উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী নির্বাচন হবে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অংশীদারত্বমূলক। সরকার শুধু রুটিন দায়িত্ব পালন করবে।সরকারের পরিবর্তন চাইলে বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি আরও বলেন, যেকোনো দুর্যোগে মানুষের পাশে থাকা আওয়ামী লীগের সাত দশকের ইতিহাস। এটাই আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য।সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করে না, ষড়যন্ত্রের শিকার হয়। আওয়ামী লীগ হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না, কিন্তু বার বার হত্যার রাজনীতির শিকার হয়। এটাই বাস্তবতা। আজ বিএনপি কখন যে কী বলে! তাদের ভেতরে গণতন্ত্র নেই। সম্মেলন হয় না কতদিন তাদের। নিজেরাই কমিটি দেয়। তারা কীভাবে গণতন্ত্র শেখাবে আওয়ামী লীগকে?তিনি বলেন, বিএনপির আমলে ভোটচুরির রেকর্ড হয়েছে। এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার করেছিল, ওয়ান ইলেভেনের জন্য এটা অন্যতম কারণ। তারা গণতন্ত্রের বস্ত্রহরণ করেছে। তাদের মুখে গণতন্ত্রের বুলি মানায় না। এ দেশে গণতন্ত্রের যত অর্জন, ৭৫ পরবর্তী গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করতে তার অগ্রভাগে ছিলেন শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বেই গণতন্ত্র শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২১ জানুয়ারি ২০২৩
গণতন্ত্র শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনেক আগেই শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছে। বিএনপির নতুন করে গণতন্ত্র উদ্ধার করার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেতুভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জঙ্গিবাদ আপাতদৃষ্টিতে নিষ্ক্রিয় মনে হলেও বিএনপি তলে তলে সক্রিয়। তারা বড় ধরনের হামলা ও নাশকতার প্রস্তুতি নিচ্ছে গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য রয়েছে।কাদের বলেন, জনগণের জানমাল রক্ষায় আওয়ামী লীগ রাজপথে আছে এবং থাকবে। নির্বাচন পর্যন্ত গণসংযোগ ও শান্তি সমাবেশ করবে।তিনি বলেন, গণতন্ত্র শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনেক আগেই শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছে। বিএনপির নতুন করে গণতন্ত্র উদ্ধার করার প্রয়োজন নেই।তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দেয় না। আওয়ামী লীগ অবিরাম কর্মসূচিতে আছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, বিএনপির সঙ্গে সংঘাত করার কোনো ইচ্ছা আওয়ামী লীগের নেই।এজে/
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ জানুয়ারি ২০২৩
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে দেশকে উন্নতি ও অগ্রগতির দিকে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য যে, তাকে আমরা বেশিদিন পাইনি। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন। জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি এবং বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন ও মোনাজাত করেন মির্জা ফখরুল।বর্তমানে জিয়াউর রহমান ঘোষিত ১৯ দফাকে সামনে রেখে বিএনপি পথ চলছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকেও ক্ষমতাসীন সরকারের একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টার বিরুদ্ধে গোটা জাতি জেগে উঠেছে। জাতি আজ সংকটে। কিন্তু দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে গোটা জাতি জেগে উঠেছে। তারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সেই লড়াই সংগ্রামে জয়ী হব।জিয়াউর রহমান দেশকে একদলীয় শাসন থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র উপহার দিয়েছিলেন দাবি করে তিনি বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতি উপহার দিয়েছেন। আজকে আধুনিক বাংলাদেশের উন্নয়নের ভীত রচনা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। জনগণের নেতা জিয়াউর রহমান, আমরা তাকে শ্রদ্ধা জানাই। তার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আব্দুস সালাম আজাদ ও প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিসহ আরও অনেকে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ জানুয়ারি ২০২৩
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের লক্ষ্য নিয়ে কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন সমুদ্র সৈকতে বীচ ক্লিনিং কর্মসূচী পালন করেছে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ।বুধবার সকালে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের উদ্যোগে সেন্টমার্টিন দ্বীপের উত্তর পশ্চিম সমুদ্র সৈকতে এ কর্মসূচী করে।এসময় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাদ্দাম হোসাইন বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে দেশের প্রতিটি জনপদ ও পর্যটন স্পটসমূহ পরিপাটি ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের ইউনিয়ন সেন্টমার্টিন থেকে আমাদের এই কর্মসূচী শুরু করি। ধাপে ধাপে কক্সবাজারের প্রতিটি ইউনিয়নে আমাদের এ কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে।”এসময় টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুল আলম মুন্না বলেন, “কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সংগ্রামী সভাপতি এস এম সাদ্দাম হোসাইন ভাইয়ের নির্দেশে দেশী বিদেশি পর্যটকদের কাছে আমাদের কক্সবাজারকে আরো আকর্ষিত করে তুলতে আমাদের এ উদ্যোগ।”জেলা ছাত্রলীগ নেতা মঈন উদ্দিন জনি, মুরাদ মাহমুদ চৌধুরী, মোঃ মুবিন, রফিক উল্লাহ, টেকনাফ পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম বাবলু,পৌর ছাত্রলীগ নেতা কেফায়েত উল্লাহ,সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ আবদুল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান সহ টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ জানুয়ারি ২০২৩
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকদের হিংস্র থাবা দৃশ্যমান হচ্ছে। তাদেরকে যেকোন মূল্যে রুখতে হবে। তিনি বলেন, এই অপশক্তিকে রুখতে হলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।আজ বুধবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন আয়োজিত লোকজ উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল-আব্বাস সাহেবরা আন্দোলনের ডাক দিয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে যায়। এই অসুস্থতা কি রাজনৈতিক অসুস্থতা নয়? কেন আন্দোলনের ডাক দিয়ে তারা হাসপাতালে যায়? অসুস্থ রাজনীতি করতে করতে ফখরুল সাহেবরা অসুস্থ হয়ে গেছেন। বিএনপির সঙ্গে আমাদের কোনো পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নেই। আমরা ক্ষমতায় আছি, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাই, কোনো ধরনের অশান্তি আমরা চাই না। বিশেষ কোনো দিনে নয়, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা প্রতিদিনই সতর্ক অবস্থানে আছি, এটাই আমাদের কর্মসূচি।বিএনপির চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যা করণীয় তাই করা হবে। এখানে কোনো আপস নেই। মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির প্রশ্নে কোনো আপস নেই। যারা এর বিরুদ্ধে দাঁড়াবে, তাদের আমরা প্রতিরোধ করবো।অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে মেলায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী হাসেম খান, স্থানীয় সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব আবুল মনসুর, জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক এস এম রেজাউল করিম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত মো: শহীদ বাদলসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।এজে/
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ জানুয়ারি ২০২৩
গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি- নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার পৌর সদরের চাঁচকৈড় শাহপাড়া মহল্লায় গুরুদাসপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল আজিজ বাড়িতে বেলা ১২ টার দিকে ২৫-৩০ টি মোটর সাইকেল নিয়ে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা এসে অকথ্য ভাষায় গালা গালি হুমকি ধামকি দেয় স্মরন সভা বন্ধ না করলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।আজ বেলা ৩ টার দিকে গুরুদাসপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল আজিজের শাহপাড়ার বাসভবনে স্বরন সভার আয়োজন করা হয়েছিল । নাটোর-৪ গুরুদাসপুর -বড়াইগ্রাম আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গুরুদাসপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম মোজাম্মেল হক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আয়নাল হক তালুকদারের স্বরন সভার প্রস্ততি চলছিল। এমন সময় পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম সবুজ ফকির, মাসুদ সরকার,মিল্টন উদ্দিনের নেতৃত্বে মোটর সাইকেল শোডাউন নিয়ে এসে অকথ্য ভাষায় গালা গালি হুমকি ধামকি দেয় স্মরন সভা বন্ধ না করলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল আজিজের বাসার সামনে ৩০ মিনিট অবস্হান করেন।এ বিষয়ে গুরুদাসপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ আব্দুল আজিজ বলেন, উপজেলা বিএনপির আয়োজনে সদ্য প্রয়াত নাটোর-৪ গুরুদাসপুর -বড়াইগ্রাম আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গুরুদাসপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম মোজাম্মেল হক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আয়নাল হকের স্বরন সভার প্রস্ততি চলছিল। আমরা আমাদের দুই নেতার রুহের মাগফেরাত কামনা করার জন্য দোয়ার আয়োজন করছিলাম । হঠাৎ আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসী বাহিনী আমার বাসায় এসে জঘন্যতম ভাবে গালি গালাজ করে। স্বরন সভা বন্ধ না করলে আমাকে দেখে নেওয়া সহ নানান রকম হুমকি দেয়। আমরা কোন সমাজে বসবাস করছি আমাদের প্রয়াত সকলের প্রদ্ধার দুই নেতার স্বরন সভা করতে দেয় না আওয়ামীলীগ সন্ত্রাসীরা। এটা কোন ভাবে মেনে নেওয়া জায় না। এটা একটি মুসলিম দেশে হতে পারে এটা ভাবতে পাড়ি না। এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মতিন বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি তদন্ত সাপেক্ষে আইন অনুজায়ি ব্যাবস্হা গ্রহন করা হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ জানুয়ারি ২০২৩
জাতীয় সংসদের উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ কোটি টাকা দিয়ে রাজনীতি করে না। সবাই হালাল রুজিতে, পরিশ্রম করে চলে এবং পার্টি করে। দলকে দিন দিন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। মা বোনেরা যদি উৎসাহ না দেন, বাড়িতে তারা সহযোগী না হলে আমার ভাইয়েরা, চাচারা কি শান্তিতে রাজনীতি করতে পারবেন? কাজেই মা বোনদেরও সালাম জানাই। শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানাই।বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে লালবাগ শহীদ নগর খেলার মাঠে কম্বল বিতরণ কর্মসূচির অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আজকে আওয়ামী লীগের ক্ষমতা আছে সেটা না, আওয়ামী লীগ যখন বিরোধী দলে থাকে তখনও তারা জনগণ থেকে দূরে সরে যায় না। সামর্থ্য অনুযায়ী তারা জনগণের মাঝে থাকে। শুধু রিলিফের সময় তা নয়, রোজা বলেন, ঈদ বলেন, সব সময় তারা তাদের ছোট উপহারের ব্যবস্থা করেন। আজকের এই কম্বল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে উপহার। তিনি আরও বলেন, রসূলে পাক দান খয়রাতের উৎসাহ করেছেন। একদিকে রসূলে পাকের শিক্ষা, অন্যদিকে মানবতার শিক্ষা, সব মিলে জনগণের সেবা করা বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ সেটাই গ্রহণ করেছে।সবাইকে কৃতজ্ঞতা ও মোবারকবাদ জানিয়ে সংসদ উপনেতা বলেন, আপনারা দোয়া করবনে আরও যেন তৌফিক দেয় বঙ্গবন্ধুকন্যারে, আমরা সবাই মিলে দেশটাকে একে অপরের সাহায্য করতে পারি। সহযোগিতা করতে পারি এবং হাতে হাত ধরে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারি।২৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা হাজী মো. জামিল হোসেনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, সহ-সভাপতি আব্দুস সাত্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আকতার হোসেন।অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শরফুদ্দিন আহমেদ সেন্টু, লালবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান জামাল প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ জানুয়ারি ২০২৩
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের মিথ্যাচার মার্কিন দূতাবাসের বিবৃতিতে পরিষ্কার হয়ে গেছে।আজ বুধবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।তিনি আরও বলেন, 'আওয়ামী লীগের মন্ত্রীরা কীভাবে বলতে পারেন যে, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে? তিনি (ডোনাল্ড লু) তো এ কথা বলেননি!'আমরা নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারটাতে আনন্দিত নই মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'আমরা বারবার বলেছি, এই নিষেধাজ্ঞা আমাদের জন্য লজ্জাজনক, বাংলাদেশের জন্য লজ্জাজনক। নিষেধাজ্ঞা আসা উচিত ছিল সরকারের ওপর। সরকারের নির্দেশে এসব ঘটনা ঘটেছে অতীতে।''নিষেধাজ্ঞা জনগণ দিচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দিলো কি দিলো না সেটা অপ্রাসঙ্গিক। সামনে জনগণ সে নিষেধাজ্ঞাকে বাস্তবায়িত করবে,' বলেন তিনি।ফখরুল বলেন, 'সরকার গণমাধ্যমকে জোর করে ব্যবহার করে বলতে চেয়েছে জনগণের সামনে যে, যুক্তরাষ্ট্র সরকার অবস্থান পরিবর্তন করেছে এবং নিষেধাজ্ঞা তারা তুলে নেবেন। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের সরকার একটি স্বচ্ছ নির্বাচন করতে চায় জনগণকে সে রকম একটি ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। রাতে মার্কিন দূতাবাসের দেওয়া বিবৃতিতে পরিষ্কার হয়ে গেছে, আসলে অতীতেও আওয়ামী লীগের গণবিচ্ছিন্ন সরকার সব সময় মিথ্যাচার করে এসেছে।''আমরা মনে করি, বিদেশি শক্তির ওপর নির্ভর করে কখনো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায় না। জনগণের শক্তিতে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বরাবর। এবারও জনগণ এই সরকারের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে। জনগণ সব বাধা-বিপত্তি, হত্যা-নির্যাতন উপেক্ষা করে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং সংগঠিত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, ভারত—কে কী বলবে তার পেছনে নিশ্চয়ই ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি থাকে। কিন্তু আমরা যেটা লক্ষ্য করছি, গণতন্ত্রের ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রতিশ্রুতি সেটা তারা দৃঢ়তার সঙ্গে প্রকাশ করেছে। একটি স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যাপারে তারা মন্তব্য করেছেন। গণতন্ত্র যদি কোথাও ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমরা সে কথা বলবো। আমরা পরামর্শের কথাও জোর দিয়ে বলবো,' বলেন ফখরুল।এজে/
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ জানুয়ারি ২০২৩
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি এ পর্যন্ত তাদের আন্দোলনে নদীর ঢেউও তুলতে পারেনি তারা কিভাবে সুনামি নামিয়ে সরকার হটাবে। তিনি বলেন, হতাশায় বিএনপি'র জোটের বাজার ভেঙে যাচ্ছে, এ হতাশার জোট দিয়ে শেখ হাসিনা সরকারকে হটানো দূরাশার বানী।মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।কাদের বলেন, “আসল নেতাগুলো হাসপাতালে পাতিনেতারা বলছে সুনামি নামিয়ে সরকার হটাবে। আন্দোলনের সাগরের উত্তাল তুলে নদীর ঢেউও তুলতে পারলো না। আসলে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা শুনে বিএনপি অসুস্থ হয়ে গেছে। বিএনপি'র হতাশা থেকে অসুস্থতার শুরু হয়েছে। ৫৪ দলের ৫৪ মতে বিভক্ত।”আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকারের পরিবর্তন চাইলে নির্বাচনে আসুন। সরকার নির্বাচন নিয়ে মাথা ঘামাবে না নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ছাড়া কোথাও নেই, অহেতুক তত্ত্বাবধায়কের কথা ভুলে যান, আইন দ্বারা ঘঠিত নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ প্রশ্নই আসেনা।কাদের বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলনের টাকা আসে কোথা থেকে সেটা আমরা জানি, যারা শেখ হাসিনা সরকারকে হটানো জন্য টাকা দিচ্ছে তাদের খবর আছে।’ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এর সভাপতি বেনজির আহমেদ এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল,সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।এজে/
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ জানুয়ারি ২০২৩
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলসহ (আইএমএফ) আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী এখন বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার বিশ্বের ৩৫তম উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য বিএনপির হাঁকডাক যে অন্তঃসারশূন্য সেটি আইএমএফ, বিশ্বসংস্থার রিপোর্ট বলে দিচ্ছে। এ জন্য তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে।মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ‘আবদুল গাফফার চৌধুরী স্মারকগ্রন্থ’ প্রকাশ উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।গতকাল চট্টগ্রামে বিএনপির সমাবেশ থেকে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা অভিযোগ এসেছে। এ বিষয়ে সরকার কী ভাবছে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা সবসময় বলে আসছি, দেশে অশান্তি সৃষ্টি করতেই বিএনপি সভা-সমাবেশ করছে। অতীতের সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের পথ থেকে তারা বের হয়নি। সেটির বহিঃপ্রকাশ তারা চট্টগ্রামে দেখিয়েছে।আর এদিকে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন যে তারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে চান। তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের নমুনা হচ্ছে পুলিশের ওপর হামলা, গাড়িঘোড়া ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। আর এটিকেই শান্তিপূর্ণ বলেন তারা। কিন্তু অশান্তি সৃষ্টি করতেই তারা এই সমাবেশগুলো করছেন, বলেন হাছান মাহমুদ।তিনি আরও বলেন, যেহেতু সমাবেশের নামে তারা আবারও অগ্নিসংযোগ শুরু করেছে। পুলিশের ওপর হামলা করছে, জনজীবনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করছে। কাজেই ভবিষ্যতে তাদের আন্দোলন নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। আমি সেটিই মনে করি। তারা সমাবেশের কথা বলে কী করে তা নিয়ে আমাদের আবার ভাবতে হবে।তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির রাজনীতি গত কয়েকদিন ধরে আপনারা দেখতে পারছেন। রাতের অন্ধকারে বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে ছুটে যাওয়া আর পদলেহন করার নীতি গ্রহণ করেছে বিএনপি। কিন্তু পদলেহন করে কোনো লাভ হয়নি। সেটি তারা বুঝতে পেরেছেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও নিরাপত্তার বাহিনীর কর্মকর্তারা এরই মধ্যে বাংলাদেশ সফর করে গেছেন।তিনি বলেন, সম্প্রতি মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর কাজকর্মে গুণগত উন্নতি হয়েছে। তারা আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সহায়তা করতে চান। কারিগরি ও প্রশিক্ষণ দিতে চান। এতে তাদের (বিএনপি নেতাদের) মাথা খারাপ হয়ে গেছে। যে কারণে তারা আবোল তাবোল বকা শুরু করে দিয়েছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ জানুয়ারি ২০২৩
চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন।বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) জানান, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সুস্থ আছেন। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে গতকাল রাতে চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি বাসায় ফিরেছেন।গত রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকালে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই সময় শায়রুল কবির খান জানান, কারাগারে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন মির্জা ফখরুল। কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হওয়ার পর চিকিৎসকের পারমর্শে তাকে হাসপাতাল ভর্তি করানো হয়েছে।গত বছরের ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত হন এবং পুলিশসহ অর্ধশত ব্যক্তি আহত হন। সংঘর্ষের পর রাতে বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। পরদিন পল্টন, মতিঝিল, রমনা ও শাহজাহানপুর থানায় পৃথক চারটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। এতে বিএনপির দুই হাজার ৯৭৫ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে নাম উল্লেখ করা হয় ৭২৫ জনের। সেখানে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের নাম ছিল না।৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে নিজ নিজ বাসা থেকে ফখরুল ও আব্বাসকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। দুজনকে প্রথমে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন তাদের পল্টন থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।এক মাস বন্দি থাকার পর গত ৯ জানুয়ারি সন্ধ্যায় কেরাণীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তারা।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ জানুয়ারি ২০২৩
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, বর্তমান সরকারকে হটাতে যদি সুনামির দরকার হয়, তাহলে তাঁরা সবাই মিলে সেই অবস্থা সৃষ্টি করবেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ১২ দলীয় জোট আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবদুল আউয়াল মিন্টু এ কথা বলেন।সরকারি দলের নেতা ও মন্ত্রীদের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘তারা বলে, ধাক্কা দিলে নাকি পড়বে না। আমার প্রশ্ন, ধাক্কা কত বড় লাগবে? মাঝেমধ্যে যখন তুফান আসে, তার সঙ্গে কিন্তু সুনামিও আসে। যদি সুনামির দরকার হয়, তাহলে আমরা সবাই মিলে সে অবস্থার সৃষ্টি করব, যাতে করে এই লুটেরা বাহিনী কোনোক্রমেই এ দেশে আর ক্ষমতায় থাকতে না পারে।’আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসার প্রসঙ্গ নিয়ে বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘আগের লেগেছে ২১ বছর। এবার ফেলতে পারলে ৪১ বছরেও আর আসতে পারবে না।’আওয়ামী লীগের নেতা-মন্ত্রীদের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘মাঝেমধ্যে দেখবেন ২০৪১,২০৪১ সাল কয়। আরে ২০৪১ সাল তো আপনারা স্বপ্ন দেখতেছেন। আওয়ামী লীগের স্বপ্ন মানে দেশের জনগণের দুঃস্বপ্ন। অতএব দেশের জনগণকে বাঁচানোর জন্য, দেশকে রক্ষা করার জন্য ভবিষ্যতে আমরা এমন আন্দোলন গড়ে তুলব, যে আন্দোলনের ধাক্কায় এ সরকার ভেসে উড়ে যাবে।’নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবির মাধ্যমে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘আমরা মাত্র আন্দোলন শুরু করেছি। আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায় সামনের দিকে আসতেছে। কোনোভাবে এই সরকার থাকতে পারবে না। আর যদি এই লুটেরা বাহিনী থাকে, তাহলে আমাদের দেশ আর আমাদের থাকবে না। তাই রাজনৈতিক দলগুলোর ঈমানি দায়িত্ব এ সরকারকে উৎখাত করার জন্য যা যা করার তা করা।’বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠাসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপির নেতৃত্বে যুগপৎ আন্দোলন করছে সরকারবিরোধী বিভিন্ন দল ও জোট। এই দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আজ ১২ দলীয় জোট বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এ সময় নেতা-কর্মীরা বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবি ও চট্টগ্রামে বিএনপির মিছিলে পুলিশের গুলি-হামলার প্রতিবাদে স্লোগান দেন।ব্যবসায়ী নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, আজকে দেশের মানুষ বহু কষ্টে আছে। সরকার বলছে, বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়েছে। আসলে বিশ্বে এখন তেলের দাম কমেছে ২৫ শতাংশ। কিন্তু সরকার দাম কমাচ্ছে না। তারা বলে, ২৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা আছে। কিন্তু বাংলাদেশে আজ পর্যন্ত ১২ থেকে ১৪ হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন কখনো হয়নি। এখন ২৪ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা থাকলে প্রতিদিন লোডশেডিং হচ্ছে কেন? তার একটি কারণ, দুর্নীতি-লুটপাট।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ জানুয়ারি ২০২৩
বিনা উসকানিতে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিএনপির কর্মসূচিতে পুলিশ, আওয়ামী লীগ এবং তাদের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। তিনি বলেন, বিরোধী মত দমনে ক্ষমতাসীনরা অপচেষ্টা চালাচ্ছে, সারাদেশে প্রশাসনকে ব্যবহার করে দমন-নিপীড়ন চালাচ্ছে।মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।প্রিন্স বলেন, সরকারি দলের মন্ত্রী নেতারা হরহামেশাই বলেন, দেশে সবার রাজনীতি করার অধিকার রয়েছে। বিদেশিদের সামনে তারা বলেন, বিরোধী দলের কর্মসূচি পালনে সরকার নাকি সর্বাত্মক সহযোগিতা করে থাকে। তাদের এই বয়ান সর্বৈব বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। প্রকৃত সত্য, সরকার কর্তৃত্ববাদী শাসন অব্যাহত রাখতে রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। গণ আন্দোলনে ভীত হয়ে দমন নিপীড়ন চালিয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে উসকানি-প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তাণ্ডব সৃষ্টি করছে। ক্ষমতাসীনরা সভা সমাবেশে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে অভিযোগ করে প্রিন্স বলেন, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি সরকার করছে। বিরোধীমত দমনে ক্ষমতাসীনরা অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সারাদেশে প্রশাসনকে ব্যবহার করে দমন নিপীড়ন চালাচ্ছে সরকার। প্রিন্সের দাবি, গতকাল চট্টগ্রামে মিছিল পূর্ব সমাবেশ চলাকালে বিনা উসকানিতে পুলিশ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। বেধড়ক লাঠিচার্জ, গুলি, সাউন্ড বোমার হামলায় সমাবেশ পণ্ড করে দেয়। পুলিশের এই সাঁড়াশি অভিযানে ১০ জন গুলিবিদ্ধসহ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন, গ্রেপ্তার করা হয় ২০ জনকে। সীতাকুণ্ডে সমাবেশস্থল উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব গাজী সুজাউদ্দিনের মালিকানাধীন মুন স্টার কনভেনশন হলে আওয়ামী সন্ত্রসীরা পুলিশের উপস্থিতিতে বোমা হামলা চালায় এবং ব্যাপক ভাঙচুর করে। ময়মনসিংহের গৌরীপুর সদরে বিএনপির মিছিল চলাকালে পুলিশের উপস্থিতিতে হারুন পার্কের সামনে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা হামলা করে। হামলায় ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য হাফেজ আজিজুল হক, অচিন্তপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আব্দুল আউয়াল মারাত্মক আহত হন। ময়মনসিংহ উত্তর জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী তানজিল চৌধুরী লিলি, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুজ্জামান সোহেলকেও আহত করে। একইভাবে ময়মনসিংহ মুক্তাগাছা, ধামরাই উপজেলা, কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলম আওয়ামী সন্ত্রাসীরা তার গাড়ি বহরে হামলা করে। প্রিন্স বলেন, আমরা এই হামলা, গ্রেপ্তার, গুলি, মামলা, দমন নিপীড়নের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে গ্রেপ্তারদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও হামলাকারীদের শাস্তি দাবি করছি।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সুলতানা আহমেদ প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ জানুয়ারি ২০২৩
শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে বিদায় করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির নেতারা। তবে আন্দোলনে দলের নেতা-কর্মীদের ওপর আঘাত এলে অন্যায়কারীর প্রতি পাল্টা আঘাত করা, হাত তোলা নৈতিক অধিকার বলেও মন্তব্য করেন তারা। সোমবার (১৬ জানুয়ারি) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ ও মিছিল পূর্ব বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন বিএনপির নেতারা।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। আমাদের দল থেকে ১০ দফা কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। বর্তমান সরকার বিদায়ের পর কেমন সরকার দেখতে চাই তা আমরা ২৭ দফা রূপরেখায় উল্লেখ করেছি। তিনি বলেন, লুটপাট করার জন্য বিদ্যুতের কুইক রেন্টাল প্লান্ট করেছে সরকার। সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার জন্য গণতন্ত্র ধ্বংস করে দিয়েছে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে সরকারকে বিদায় করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সময় বেশি দিন নেই, বলা বলি বন্ধ হয়ে যাবে। শত চেষ্টা করলেও এই সরকারকে রাখা যাবে না। সরকার ও প্রশাসন এক হয়ে লুটপাট করছে। কারণ এই সরকার ফ্যাসিস্ট ও অত্যাচারী। সরকারি আমলাদের বিদেশে ডজন-ডজন বাড়ির খবর বের হচ্ছে। তিনি বলেন, সরকারের সমালোচনা করা সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার। সাফ কথা, জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে দেশের হয়ে যুদ্ধ করেছিলাম। রক্তচক্ষু ও হামলা-মামলা, গ্রেপ্তার উপেক্ষা করে অধিকার আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবো। মরতে হয় মরবো। এরইমধ্যে জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে, দাঁড়াবে। নেতা-কর্মীদের ওপর আঘাত এলে অন্যায়কারীর প্রতি পাল্টা হাত তোলা ও নৈতিক অধিকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, চলমান ঐক্য ধরে রাখতে হবে। রাজপথের আন্দোলনে এই সরকারের পতন ঘটবে। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশের মানুষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবে।স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, গ্রেপ্তার হামলা-মামলা অধিকার কেড়ে নিয়ে আন্দোলন থামানো যাবে না। আন্দোলন বাংলাদেশের মানুষ হাতে তুলে নিয়েছে। আন্দোলনের মালিকানা জনগণের হাতে চলে গেছে। আগামীর প্রতিটি কর্মসূচিতে উত্তর উত্তর সফলতার মধ্যে দিয়ে এই সরকারের পতন ঘটানো হবে। ঢাকা মহানগর বিএনপি উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক এবং দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু সঞ্চালনা করেন। সমাবেশে শেষে নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে নাইটিঙ্গেল মোড় হয়ে ফকিরাপুল ঘুরে আবার কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ জানুয়ারি ২০২৩
গুরুদাসপুর (নাটোর)প্রতিনিধি- নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা ও সকল অঙ্গসংগঠনের উদ্দোগে কেন্দ্রিয় কর্ম সূচির অংশ হিসাবে ১০ দফা দাবি বাস্তবায়ন ও বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবিতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।আজ সোমবার সকাল ১০ টায় উপজেলার পৌর সদরের শাহ পাড়া মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পূনরায় শাহপাড়া মোড়ে এসে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আলহাজ ওমর আলী শেখ। প্রধান অতিথী হিসাবে উপস্হিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আাব্দুল আজিজ। সমাবেশটি পড়িচালনা করেন গুরুদাসপুর পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শহিদুল ইসলাম শেখ।প্রধান অতিথির বক্তব্যবে আব্দুল আজিজ বলেন,আওয়ামীলীগ সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতা দখল করে আছে।তাই সাধারন মানুষের কথা তিনারা ভাবেন না। তিনারা ভাবেন তাদের দলিয় লোকদের কথা। নিত্যপন্য দ্রব্য চাল,তেল, ডাল সহ সকল পন্যর দাম আকাশ ছোয়া।তার সাথে আবার যোগ হয়েছে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি এট এ দেশের জনগন মেনে নেবে না।বিএনপি ১০ দফা দিয়েছে এটা সরকারকে মানতে বাধ্য করা হবে। এই সরকারে অধিনে কোন দল নির্বাচনে জাবে না। আমাদের দাবি মেনে নির্বাচন কালীন সরকার গঠন করে আগামী নির্বাচন হতে হবে। যতদিন সরকার আমাদের দাবি না মানবে রাজপথ থেকে আমরা ঘরে ফিরে জাবো না। এই সরকারের অধিনে এ দেশে আর কোন নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। অবিলম্বে বিদ্যুতের দাম কমাতে হবে। এই সরকার দেশের মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। দেশের মানুষকে মুক্ত করাই আমাদের লক্ষ।সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে আরো উপস্হিত ছিলেন,মশিন্দা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক,ধারাবাড়িষা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান হেনা,সম্পাদক শাহীন কাওছার,চাপিলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাজি রেজাউল করিম,বিয়াঘাট ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম,খুবজীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি দোরাপ সরকার। এছাড়া বিএনপি নেতা দোলাল শেখ বজলুর রশিদ ছাড়াও যুবদল,ছাত্রদল সেচ্ছাসেবকদল প্রমূখ।০১৭১৩৭০৯৮৩৮
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ জানুয়ারি ২০২৩
বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর মিছিল সমাবেশের দিন ঢাকায় শান্তি সমাবেশ করছে আওয়ামী লীগ।রাজধানীর ফার্মগেটের শান্তি সমাবেশ থেকে বিএনপি ও জামায়াতকে প্রতিহত করতে যুবলীগের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। তিনি বলেন, যুবলীগ সব সময় অন্যায়, অত্যাচার, অবিচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে। এখনো আপনারা প্রস্তুত থাকবেন। এই সময়ে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া হবে না। উঠতে গেলে তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে।হানিফ বলেন, ‘আজকে এমন সময়ে আমরা সমাবেশ করছি, যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের মাইলফলক অতিক্রম করছে, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত ও স্মার্ট দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে, তখন বিএনপি দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।’ সমাবেশে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান (নিখিল) বলেন, বিএনপি রাজপথ দখলে রাখার হুমকি দিচ্ছে। কিন্তু যুবলীগ প্রমাণ করেছে রাজপথ বিএনপির নয়, যুবলীগের দখলে।সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ জানুয়ারি ২০২৩
বিএনপি হচ্ছে সাপ যখনি সুযোগ পাবে ছোবল মারবে। নির্বাচন পর্যন্ত নেতা কর্মীদের সতর্ক অবস্থানে থাকার আহবান জানিয়ে তথ্য মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন শেখ হাসিনাকে আবারও নির্বাচিত করে সরকার গঠন করে তবেই ঘরে ফিরতে হবে।সোমবার দুপুরে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে শান্তি সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তথ্য মন্ত্রী বলেন, বিদেশিরাও এখন র্যাব,পুলিশসহ বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিতে আগ্রহী। মন্ত্রী বলেন, আই এম এফ এর রিপোর্ট অনুযায়ী জিডিপিতে ৩৫ তম অর্থনীতির দেশ পৃথিবীতে ৩১ তম অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ জানুয়ারি ২০২৩